এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • কলেরার দিনগুলিতে সন্দীপন

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ অক্টোবর ২০১৯ | ৭৪৩৭ বার পঠিত


  • সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের অস্তিত্বকে ড্রয়িংরুমসাহিত্য-প্রিয় বাঙালি তাঁর জীবৎকালে বিশেষ মেনে নিতে পারেনি। সন্দীপনের ভাষা এবং বিষয়বস্তু দুটোই এর জন্য সমানভাবে দায়ী। সুনীলসাহিত্যের পাঠক সন্দীপন পড়তে গিয়ে যতিচিহ্ন থেকে যতিচিহ্নে হোঁচট খেত, রসভঙ্গ হয়ে যেত তাদের। কাউকে কাউকে বলতেও শুনেছি, "সন্দীপন আমি কেনই বা পড়ব! সহজ করে লিখতে পারাটাও সাহিত্যিকের একটা গুণ এবং সুনীল সেইদিক থেকে অনেক মহান লেখক!" সন্দীপনের মৃত্যুর পর এদিকে, তাঁর সেই ভাষা নিয়েই একচোট হইচই হয়েছিল বটে! আহাহা, সোনালী ডানার ঈগল, আহা, ডাবলবেডে একা; কিন্তু বিষয়বস্তুর বিষয়টিকে সচেতনভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সন্দীপনের ভাষা আমার কোনোদিনই কঠিন লাগেনি, তবে বিষয় হজম করতে গেলে মনে হয় অনেককেই নিজেদের অনেক মহান চারিত্রিক গুণের কথা স্বীকার করে নিতে হতো! তারচেয়ে এই ভালো, ওসব সন্দীপন করে, আমরা করি না। সন্দীপন একাই চরিত্রহীন, আমরা নিরীহ সাহিত্যপয়দাকর্মের সঙ্গে যুক্ত 'বা-লে'।

    যাই হোক, আজ যে সন্দীপনের জন্মদিন সেটা নিতান্তই কাকতালীয়। এই লেখাটা এমনিতেও লিখতেই হতো খুব শিগগীরই। কারণ বেঁচে থাকার সময় মধ্যবিত্ত রক্ষণশীল পাঠকের ছিছিক্কারের লক্ষ্যবস্তু সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় এবার একাধারে নারীবাদ এবং অপরদিকে চাড্ডি আক্রমণের শিকার। মজার ব্যাপার এই যে, নারীবাদী এবং চাড্ডি উভয়পক্ষেরই মূল বক্তব্য একই; সন্দীপন সেক্সিস্ট, মিসোজিনিস্ট এবং চরিত্রহীন। এই গোটা আখ্যানটাই তৈরী করা হচ্ছে মূলত একটি চিঠির ভিত্তিতে। চিঠিটি "চাইবাসা চাইবাসা" নামক গল্প থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা (তারিখ ১৩ই জানুয়ারি, ১৯৬০) বলে জানা যাচ্ছে। এখন যদিও গল্পটি পড়লে সেখানে সত্যিকারের চিঠিপত্রই তুলে ধরা হয়েছে বলে মনে হবে কিন্তু চিঠিটির প্রকৃতই অস্তিত্ব ছিল নাকি তা সন্দীপনের মস্তিস্কপ্রসূত তার কোনো প্রমাণ নেই। চিঠিটির আরেকটি মজার দিক হচ্ছে সেখানে সন্দীপন ট্রেনে কি করেছিলেন তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় এবং সুনীলও যে বাসে অনুরূপ কিছু করেছিলেন তার উল্লেখ আছে, শুধু সুনীল এক্স্যাক্টলি কি করেছিলেন সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। এটা টিপিক্যাল সন্দীপনীয় খচরামো। বাসে কি হয়েছিল সেটা চিঠিগুলোর পর যেখানে লেখক নিজস্ব নোটগুলি রেখেছেন সেখানে উল্লেখ করাই যেত। কিন্তু কে না জানে যে সুনীল ভদ্রলোক। সন্দীপন নিজেকে নগ্ন করলেন, কিন্তু বন্ধুর ইমেজে আঁচটুকুও লাগতে দিলেন না। এই চিঠিটা লেখাতে নাই থাকতে পারতো, সেক্ষেত্রে সন্দীপনকে গালাগাল করার অবকাশও থাকতো না। সন্দীপন কিন্তু চিঠিটাকে বিনা দ্বিধায় টেক্সট-এর অন্তর্গত করলেন। সন্দীপন এইজন্যই সন্দীপন। ধারণাটুকুও আসার বহু আগেই সন্দীপন #IDidItToo করে ফেলেছেন। সন্দীপন বাংলাসাহিত্যের প্রথম #IDidItToo -কারী লেখক।

    তবে কিনা এই গোটাটাই কথার কথা। কারণ গোটাটিই সুনীল দেখেছেন। সুনীল যা দেখেছেন সন্দীপন কি তাই-ই করছিলেন? এ বিষয়ে গোটা গল্পটায় হ্যাঁ অথবা না কোনোকিছুই বলা নেই। "ভুল হয়েছে" থেকে "বেশ করেছি" অথবা এমনকি "হ্যাঁ হয়েছিল" বা "সুনীলের ধারণা"; কোনোকিচ্ছু না !

    "এয়ারপোর্টে প্লেন নামার আগে মেঘের মধ্যে দিয়ে স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকেও অবিকল অনুরূপ আদিবাসিনী দেখিয়েছিল। মশালে আগুন, আমেরিকার স্বাধীন জেনানাকে ঘিরে ঘুরছিল অতলান্তিকের সমুদ্র-জল, ২৭-২৮ বছর আগে দেখা, রাজাখার্শোয়াং-এর কুয়াশা-কাটা রমণী-মূর্তির কথা প্লেনে বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে হঠাৎই মনে পড়েছিল।"

    কি লেখা হলো সেটা যারা পড়তে জানেন পড়লে বুঝবেন নিশ্চয়ই। উপরের লাইনগুলি "জঙ্গলের দিনরাত্রি" থেকে নেওয়া, যে উপন্যাস (অথবা নয়, তর্ক চলতে পারে)-টিকে এক ব্যক্তি দেখলাম সেক্সুয়াল প্রিডেটরদের ডায়রি বলে উল্লেখ করেছেন। বলাবাহুল্য, লেখাটি তিনি পড়ার প্রয়োজন মনে হয় না বোধ করেছেন বলে। কারণ "জঙ্গলের দিনরাত্রি" মূলত একটি "অযৌন হানিমুন"-এর গল্প, যে হানিমুনটি ঘটেছিলো সন্দীপন এবং শক্তি নামক দুই চাটুজ্যের ভিতর। সেখানে নারী এবং যৌনতা সংক্রান্ত প্রচুর কথা রয়েছে, যেমন সন্দীপনের প্রায় সব লেখাতেই থাকে। লেখক এও জানিয়েছেন যে তিনি নারী-কাতর। কিন্তু কোথাও যৌন-আগ্রাসনমূলক কোনো ঘটনার বিবরণ নেই। কোনো এক রহস্যময় হাটে এক রহস্যময়ী আদিবাসী নারীর সাথে পয়সার বিনিময়ে রমণের একটা অনুল্লিখিত গল্প আছে, কিন্তু সেখানেও এমনকি যৌনক্রিয়ার কোনো বিবরণ নেই। ছোট্ট অংশ, গোটাটাই ম্যাজিক রিয়্যাল, এমনকি হাটটাও পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া আরেকটি অংশে ফুলমণি নামক এক পঞ্চাশোর্ধ মেথরানির কথা রয়েছে। খাবারের বিনিময়ে যৌনতা দিয়ে তাকে খুশি করেন সন্দীপন। এখানেও যৌনক্রিয়ার কোনও বিবরণ নেই, যা রয়েছে তা হলো ঘটনার বিভিন্ন পর্যায়ে সন্দীপনের বিভিন্ন আশঙ্কার বিবরণ। বলাবাহুল্য, এই স্মৃতি সন্দীপনের কাছে সুখদায়ক নয়। তার মোটেই ইচ্ছে ছিল না, শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতার বশে সে ওই প্রৌঢ়ার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। অর্থাৎ খাবারের বিনিময়ে বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য হয়েছিল প্রিন্স অফ লিটিল ম্যাগাজিন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় কে প্রিডেটর? --- এবার যিনি এই লেখাটিকে সেক্সুয়াল প্রিডেটর-এর ডায়রি বললেন তিনি কি ভেবে বললেন আমার সত্যিই জানা নেই। পাহাড়ি ঝর্ণার সঙ্গে ওঁরাও রমণীর পিঠের ওপর লুটিয়ে থাকা বেণীর তুলনাকে যৌন আগ্রাসন বলে না, কাব্যসৌন্দর্য্য বলে, যেটা সন্দীপনের গদ্যে বহুজায়গায় নানাভাবে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

    হ্যাঁ, সন্দীপন সেক্সিস্ট ছিলেন। নিঃসন্দেহে ছিলেন। কিন্তু মাথায় রাখা প্রয়োজন যে তিনি সেই দৃষ্টিভঙ্গি লুকোতে যাননি কোনোদিন, বরং ডকুমেন্ট করেছেন, ক্রুডভাবে ডকুমেন্ট করেছেন নিজের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়েই। যৌনতাকে স্বাভাবিক ভেবে স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাপ্রোচ করেছেন নিজের নিরহংকার নোংরামি (ফাল্গুনী-র থেকে ধার নিলাম) সহকারে। সুনীলের মত পদতলে বসে কৃপাপ্রার্থী হতে চাননি। এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে বাকিরা এই কাজটা করেননি; হাংরিরা যেমন পুরুষ ও প্রকৃতির বাইনারি টেনেছেন এটা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েই যে পুরুষ এবং তার "শক্তি"-ও আসলে প্রকৃতি থেকেই সৃষ্ট। আরও অনেক কথাই বলা যায়, অনেক বড় করা যায় লেখাটাকে। কিন্তু ইচ্ছা করছে না। বরং সন্দীপনকে কোট করেই শেষ করি, আবারও "জঙ্গলের দিনরাত্রি" ---

    "এলিয়টের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এক বিশাল কমমেমোরিয়াল ভলিউমে সবাই দিস্তে দিস্তে লিখলো! শুধু এজরা পাউন্ড লিখেছিলেন পাঁচ লাইন। যথা: কে আর লন্ডনের অলি-গলি দিয়ে হাঁটার সময় অমন শুখা হিউমার করবে! আর ওর কবিতা নিয়ে কি আবার বলব। শুধু বলতে পারি: রিড হিম।"

    পি এস: আপনি ঠিক সেটাই দেখবেন যা আপনি দেখতে চান, কারণ সম্ভবত, সিদ্ধান্ত আপনার আগেই নেওয়া হয়ে গেছে।



    বাংলাসাহিত্যে একটা উপন্যাস আছে যার প্রথম পরিচ্ছেদে জানা যায় উপন্যাসটির মূল চরিত্রের যে প্রেমিকা তার আরেকটি প্রেমিক রয়েছে, কিন্তু সে এখনও প্রপোজ করে উঠতে পারেনি। আমাদের মূল চরিত্র, অবিনাশ, চায় তার প্রেমিকা, মমতা, ওই দ্বিতীয় প্রেমিকটিকে বেশি গুরুত্ব দিক; একই দিনে দুজনের সঙ্গে দেখা করার থাকলে মমতা যেন সঞ্জয়ের কাছেই যায়, তার কথা ভাবার দরকার নেই। সে একঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে যাবে। অথচ ঘটনা শুরু যেদিন, সেইদিন মমতা এসেছিল দু'ঘন্টা দশ মিনিট দেরি করে। আসার কথা তার ছিল না, মূল চরিত্রেরও কথা ছিল না অপেক্ষা করার, তবু তাদের দেখা হয়। এর একমাস বাদে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় পার্ক সার্কাস সেমেটারির সামনে। দশ বছরের সম্পর্ক ছিল তার আগে তাদের মধ্যে। আরও জানা যায়, সঞ্জয়, তথা মমতার অপর প্রেমিকের পার্টির রঙ গেরুয়া।

    এছাড়া রয়েছে মান্তু, একজন রেপ সারভাইভার, অবিনাশের বোন। সে অবিনাশের সঙ্গেই থাকে। তার বর তাকে ত্যাগ করেনি, সে নিজেই থাকতে পারেনি আর। মান্তু ফ্ল্যাটের বাইরে যায়না, এটাই তার অসুখ। পরিবারের সম্মানের খাতিরে তার ধর্ষণের ঘটনা শ্বশুর পুলিশে রিপোর্ট করেননি। রণেন, তার বর, তাকে ভালোবাসে। মান্তু ঘৃণা করে রণেনকে। চঞ্চল আর রণেন, মার্ক্সবাদী পার্টির সদস্য। অবিনাশ একটু ফ্রয়েড ঘেঁষা। মান্তুর রেপের ঘটনাটা চঞ্চলকে নাড়া দিয়েছিল। চঞ্চল রেপ সিরিজের আটটা ছবি আঁকে তারপর। প্রকাশ কর্মকারের সেই ছবিগুলো পছন্দ হয়েছিল।

    চঞ্চলের এ পর্যন্ত শয্যাসঙ্গিনীর সংখ্যা আট।

    সঞ্জয়কে মমতা বিয়ে করবে, সম্ভবত।

    মমতা মরাল ওম্যান হিসেবে মরতে চায়, অথচ অবিনাশের সঙ্গে সম্পর্কও রেখে যেতে চায়, এমনকি বিয়ের পরেও।

    অবিনাশ ভাবে, "তাহলে তো আমি আগাগোড়া যেভাবে দেখছি সেটাই ঠিক। আমার হারাবার কিছু নেই। মাঝে মাঝে একে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া করার কিছু নেই।"

    এর আগে একটা গোটা অংশ জুড়ে অবিনাশের দেওয়া বিবরণ রয়েছে মমতার সঙ্গে কবে কোথায় কতটা সেক্স করা গেছে সেই নিয়ে। মূলত ঘরের অভাবেই তাদের সম্পর্কটা বেশিরভাগ সময়ই ঠোঁট আর বুকের মাংসে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। কারণ, মমতা বারেবারেই জানিয়েছে যে ঘর পাওয়া গেলে তার কোনও আপত্তিই নেই। অবিনাশকে সে শরীরীভাবে চায়, কিন্তু বিছানা দরকার, জিএসআই এর গোপন অন্ধকার ঘরে পৃথিবীর মানচিত্রের ওপর শুয়ে করার জিনিস নয় ওসব।

    লেখক সন্দীপন জানেন, মেয়ে, পাগল এবং ক্রীতদাসদের শরীর-অধিকার কোনও দিনই তাদের নিজেদের নয়।

    বলে দিলে গোটাটাই বলে দেওয়া যায়, যেমন রয়েছেন অপর্ণাদি, যিনি মমতার বাবা সুখময়ের থেকে ১৫ বছরের ছোট।

    উপন্যাস শেষ হওয়ার কিছুটা আগে মান্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। যার ফলস্বরূপ, অবিনাশ মমতাকে বলে, "একটা ঘর খালি হয়েছে মমতা। আমরা একটা ঘর পেয়েছি।"
    সন্দীপন লেখেন, "বলতে বলতে আমি বুঝলাম এই সেই অনির্বচনীয় কিন্নরকণ্ঠ যে-স্বরে চিরকাল প্রেমিকরা 'আমি তোমায় ভালোবাসি, মেয়ে' বলে এসেছে।"

    ছবির অংশটি মমতা সেনগুপ্ত-র চিঠি থেকে নেওয়া। লেখকের রাজনৈতিক অবস্থান লক্ষনীয় যে, উপন্যাসটি শেষ হয় এই চিঠি দিয়ে। মমতা জানায় সঞ্জয়কেও সে ছেড়ে যাচ্ছে তবে তার কারণ সে অবিনাশ কে বলবে না।

    চিঠির শেষ লাইন, "আমি তৃতীয় পুরুষের খোঁজে আছি।"
    একটি পুনশ্চ রয়েছে। তাতে জানা যাচ্ছে বাবা আর অপর্ণাদির বিয়েতে মমতা সম্মতি জানিয়েছে।

    এই উপন্যাসটিতে পুরুষের যৌনতা ও তৎসংক্রান্ত ধারণা, পুরুষের ভালোবাসা এবং হিপোক্রেসি ইত্যাদি বিষয়কে যেভাবে নগ্ন করা হয়েছে তা আর কোনো পুরুষসৃষ্ট উপন্যাসে ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আর কোনো পুরুষরচিত উপন্যাস লিঙ্গরাজনীতির ভিত্তিতে নারীপুরুষের সম্পর্ক নিয়ে এভাবে সোচ্চার কিনা আমি জানিনা সত্যিই।

    'কলেরার দিনগুলিতে প্রেম' - এই নামের সঙ্গে মার্কেজের কোনও সম্পর্ক নেই।

    এরপর যখন একটি ছোটগল্পে উদ্ধৃত সুনীল গাঙ্গুলির একটি চিঠি (যার প্রকৃত অস্তিত্ব রয়েছে নাকি কল্পনাপ্রসূত জানা যায় না)-তে উল্লিখিত একটি ঘটনা (যা ঘটার সময় সুনীলের বাঙ্ক থেকে সন্দীপনের বাঙ্কের দূরত্ব, রাত্রের ট্রেনে আলোর পরিমান, সুনীল কোনো নেশা করে ছিলেন কিনা কোনকিছুই জানা যায় না)-র ভিত্তিতে নারীবাদীরা এই লেখককে অভিযুক্ত করেন, বলেন ওয়াক থু --- মনে হয় না কোথাও একটা ভীষণরকম অবিচার হয়ে যাচ্ছে? সেই অবিচার সন্দীপনের প্রতি নাকি নারীবাদের প্রতি দীক্ষিত পাঠকই তার বিচার করবেন!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৬ অক্টোবর ২০১৯ | ৭৪৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aranya | 890112.162.9001223.99 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৩৬51213
  • অনমিত্র আমার প্রিয় লেখক, ভাল লাগল এই সন্দীপন স্মরণ।

    মহান লেখক বলে কিছু হয় না, যেমন মহান রাঁধুনী বলে কিছু হয় না, লেখালেখি একটা কাজ, অন্য যে কোন কাজের মতই।

    মহান মানুষ হয়, তিনি অন্য মানুষের জন্য বা প্রাণী, উদ্ভিদ, পরিবেশের জন্য কি করেছেন, তার নিরিখে। শঙ্কর গুহনিয়োগী, পুণ্যব্রত গুণ মহান মানুষ, আমার চোখে।

    সহজ করে লিখতে পারা অব্শ্যই সাহিত্যিকের একটা গুণ, তেমনি সন্দীপনের ভাষা বা কমলকুমারের ভাষা একেবারে অন্যরকম, অসাধারণ - এদের মধ্যে তুলনার কোন মানে নেই।

    সন্দীপন তার নারীকাতরতা বা নারীলোলুপতা নিয়ে খোলাখুলি লিখেছেন, নিজেকে নগ্ন করেছেন - তার জন্য কুর্ণিশ। কিন্তু মেয়েদের মাল মনে করার যে মনোভাব , তার জন্য মানুষ হিসবে তাকে নম্বর দেওয়া গেল না।

    কোন এক আত্মীয় মারা গেছেন, সন্দীপনের শ্মশানে যাওয়ার কথা। দরজায় বেল বাজল - একটি কলেজ ছাত্রী দেখা করতে এসেছে , হাতে বই। প্রিন্স অফ লিটল ম্যাগাজিন লিখছেন - বুঝলাম আজ আর শ্মশানযাত্রা হল না। ১৫ মিনিটের মধ্যে মেয়েটিকে বিছানায় নিয়ে এলাম

    তো আমার জানতে ইচ্ছে করে, সেই মেয়েটির পরে কি হল, কেমন জীবন কাটাল সে। সন্দীপন সেই ওয়ান নাইট বা ওয়ান ডে স্ট্যান্ডের পর হয়ত আরও কিছুদিন মেয়েটিকে বিছানায় এনেছেন, তার পর কাটিয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির ওপর কি অভিঘাত এই সব ঘটনার?

    লেখক সন্দীপন অনন্যসাধরণ - ভাষা ও বিষয় দু দিক থেকেই।

    মানুষ সন্দীপন - নাঃ , তেমন কিছু লেখার নেই
  • গোদা প্রশ্ন | 237812.69.893412.15 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৮51215
  • কিন্তু ব্যক্তিকে কনডেম করা কি সাহিত্য সমালোচনার অবজেক্টিভ? ধরুন জানা গেল ব্যক্তি সন্দীপন একজন নোংরা চরিত্রের লোক। এটা জেনে আমি পাঠক হিসেবে কোথায় পৌঁছোলাম, আর বাংলা সাহিত্যই বা এই নলেজ অর্জন করে কোথায় পৌঁছোলো?
  • সমালোচক | 236712.158.676712.136 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৪51216
  • পাঠক বা বাংলা সাহিত্যের কোথাও পৌঁছনো নিয়ে কেউ বদার্ড নয়। একজন লোক যে শিল্প করে বলেই ব্যক্তিজীবনে মোলেস্টর হলে সেই মোলেস্টেশন কেসগুলোকে লোকে (পাঠক বা সাধারণ মানুষ) ওভারলুক করবে, মিটু স্টেটমেন্ট গুলো থেকে সেই দাবীর অসারতা বেরিয়ে আসে। সন্দীপনের গদ্য বাংলা সাহিত্যকে কয়েক যোজন এগিয়ে নিয়ে গেলেও ব্যক্তি সন্দীপন জীবনে মোলেস্টর হলে তাঁকে সেই কাজের জন্য দন্ডিত হতে হবে, ডিফেমড হতে হবে, তাঁর সামাজিক অবস্থানকে লজ্জিত হতে হবে - এটাই বর্তমান বিতর্কের নারীবাদী অবস্থানের দাবী। তিনি সাহিত্য এক্সেলেন্সের মাধ্যমে কোনো মোলেস্টেশন কেসকে খুবই শিল্পসম্মত ভাবে উপস্থিত করতেই পারেন, কিন্তু দিনের শেষে সেই কেসটির জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে, লজ্জিত হতে হবে - এটাই দাবি।

    এবার কেস হল উত্তম পুরুষে লেখা যেকোনো সাহিত্যকীর্তিকে লেখকের জীবনপঞ্জী হিসেবে দাঁড় করানোর কিছু আইনি ও বোধগম্য বাধা আছে। থিওরেটিকাল মরাল পুলিসগিরি করার সময়, লোককে মার্ক করার সময় বা আঙুল তোলার সময় সেগুলি ম্যাটার করে না, কিন্তু সেটিকে এস্ট্যাব্লিশ করতে গেলে করে। অনিন্দ্য যেমন বললেন, যে সেলফ এর কনস্ট্রাকসন এবং যে সেলফ এর অটপ্সি সন্দীপনের লেখার বিষয়, সেটাকে সন্দীপন ব্যক্তিমানুষটির সাথে ইকোয়েট করা একটি রাবিশ প্রপোজিশন যতক্ষন না ফিজিকাল ওয়ার্ল্ডের কেউ কোনো বাস্তব ঘটনা হিসেবে সেটিকে আইডেন্টিফাই করছে।
  • অনিন্দ্য সেনগুপ্ত | 236712.158.676712.22 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৭51217
  • @গোদা প্রশ্ন - না, 'ব্যক্তিকে কনডেম করা' সাহিত্য সমালোচনার অবজেক্টিভ নয়। দেখবেন যে সমস্ত লেখার জবাবে অনমিত্র লিখেছে সেগুলোও ঠিক সাহিত্য সমালোচনা নয়, সেগুলি একধরণের সামাজিক অ্যাক্টিভিজমের পোস্ট। এবার প্রশ্ন হল - লেখা ও পাঠের বাইরে কি তাহলে সাহিত্য আলোচিত হবেনা? উপরে অরণ্য শেষের দিকে যেটা বলেছেন - একজন লেখক কারুর সঙ্গে অন্যায় করলেন, তারপর সেটা ফলাও করে লিখলেন, তারপর সেটাকে সাহিত্যপাঠের ভিতরে ও বাইরে কীভাবে দেখবো?
    এখানে ডিসক্লেমার - যেটাকে অরণ্য বলেছেন যে সন্দীপন করেছিলেন - সেটা 'ডকুমেন্টারি' না 'ফিকশন' আমার সন্দেহ থাকবে, আবার তা প্রমাণ করারও উপায় নেই।
    প্রশ্নটা হল - একজন লেখক নোংরা হতে পারেন, কিন্তু তার নোংরামোর জন্য অপরের যদি ক্ষতি হয়, তাহলে কি তিনি শাস্তিযোগ কিছু করেছেন? অবশ্যই করেছেন বলে আমার মত। কিন্তু তার নিরিখে তার কাজ পড়ে যাবো কি? এখানে আমি শিওর নই।
    অ্যাক্টিভিস্টরা বলবেন যে শিল্প এইসব শিল্পীদের নোংরামি করার অজুহাত তৈরি করে (গত দুসপ্তাহে বাংলা থিয়েটারে মিটু মনে করুন; যেখানে কিন্তু র‍্যান্ডম ব্যাভিচারের অভিযোগ আসেনি; এসেছে আর্ট প্র্যাক্টিস করার অজুহাতে মলেস্টেশনের অভিযোগ), সেটা আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তোলে (পুরুষ)শিল্পী জিনিয়াস ঘোষণা করে, আরো খারাপ, সেই অপরাধ আমরা ইগনোর করতে আরম্ভ করি শিল্প নিয়ে আলোচনা করার কালে, অপরাধ পার পেয়ে যায়। পাবলো নেরুদা আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন তিনি ধর্ষণ করেছিলেন, বর্ণনা করেছিলেন - এরপরও পাবলো নেরুদা মহান কবি হয়ে থাকবেন। অতএব সাহিত্য আলোচনা তার সাহিত্যবহির্ভুত এই নোংরা কর্মটাকে 'ইগনোর' করে চলবে, তাতে প্রমাণিত হবে যে সাহিত্য বাস্তব পৃথিবীর ন্যায়-অন্যায়ের প্রতি উদাসীন।
    ফেমিনিস্ট অ্যাক্টিভিস্টদের কাছে বেশিরভাগ এমনতর শিল্পীকৃত অন্যায়ই জেন্ডারড, অন্য কথায়, নারীদের নিম্নতর মনে করা। কারণ এইরকম শিল্পের ধারণায় শিল্পী আইডেন্টিটিটাই এসেনশিয়ালি ম্যাস্কুলিন।
    বেশি লিখে ফেললাম - আদতে প্রশ্নটা হল - ব্যক্তি লেখক কেমন তা সাহিত্য সমালোচনার অঙ্গ নয় - কিন্তু সাহিত্য সমালোচনা ব্যক্তি লেখকের অন্যায়ের প্রতি কি স্টান্স নেবে? উদাসীন থাকবে? আমার কাছে resolved উত্তর নেই।
  • গোদা প্রশ্ন | 236712.158.453412.117 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৭51218
  • "পাঠক বা বাংলা সাহিত্যের কোথাও পৌঁছনো নিয়ে কেউ বদার্ড নয়। একজন লোক যে শিল্প করে বলেই ব্যক্তিজীবনে মোলেস্টর হলে সেই মোলেস্টেশন কেসগুলোকে লোকে (পাঠক বা সাধারণ মানুষ) ওভারলুক করবে, মিটু স্টেটমেন্ট গুলো থেকে সেই দাবীর অসারতা বেরিয়ে আসে। সন্দীপনের গদ্য বাংলা সাহিত্যকে কয়েক যোজন এগিয়ে নিয়ে গেলেও ব্যক্তি সন্দীপন জীবনে মোলেস্টর হলে তাঁকে সেই কাজের জন্য দন্ডিত হতে হবে, ডিফেমড হতে হবে, তাঁর সামাজিক অবস্থানকে লজ্জিত হতে হবে - এটাই বর্তমান বিতর্কের নারীবাদী অবস্থানের দাবী।"

    যে সমালোচনাটার কথা হচ্ছে সেখানে ব্যক্তি সন্দীপন মলেস্টর কিনা তার চেয়েও বড় ইস্যু যেটা করার চেষ্টা করা হয়েছে (আরও অনেকে করেছেন) সেটা হল লেখার মাধ্যমে মলেস্টেশনকে নর্মালাইজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেক্সিজম, মিসোজিনি ইত্যাদিকে গর্বিত ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে, ইত্যাদি। এবং যিনি বা যাঁরা এটা করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আসলে পুরোটাই 'উল্টো বুঝলি রাম' কেস হয়েছে। অর্থাৎ আপনি অনেক মাথা খাটিয়ে একজনের লেখায় ক্যাজুয়াল সেক্সিজম খুঁজে পেলেন, অথচ দেখা গেল সেই সেক্সিজমের উপস্থাপনাটা পুরোটাই লেখার সচেতন ক্রাফটের পার্ট, এবং উদ্দেশ্য মোটেও সে নিয়ে গর্ব করা নয়। এটাকে গোদা বাংলায় মুরগি হওয়া বলা যায়। আবার হাওয়া আপনার দিকে থাকলে গলার শির-টির ফুলিয়ে এবং একটি দল জুটিয়ে আপনি এটাও এস্টাব্লিশ করে দিতে পারেন যে লেখক এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, অর্থাৎ তাঁর লেখার উল্টো ব্যাখ্যার দায় তাঁরই। ফেসবুক যুগে যখন জটিলতা বর্জন এবং সরলীকরণের প্রতিযোগিতা চলছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় সম্ভবনাটাই সবচেয়ে বেশি।
  • সমালোচক | 237812.69.563412.15 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:০৫51219
  • Satabdi Das
    June 27, 2018
    চন্দ্রিল ভট্টাচার্য বলেছিলেন,’আম বাঙালির কাছে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের স্পেলিং মিস্টেক।’ ভীষণ স্মার্ট খিল্লি! আমাদের কৈশোরে শেখানো হয়েছিল, ‘সন্দীপন না পড়লে পড়েছটা কী?’

    পড়তে গিয়ে গদ্যশৈলী চমকে দিল। বিশেষত ছোটগল্পের। উপন্যাস পড়ে মনে হল এত না লিখলেও চলত, কারণ তিনখণ্ডের উপন্যাস সমগ্রটা মিলেমিশে একটাই অস্তিত্ববাদী উপন্যাস যেন।

    কিন্তু সুস্থির ভাবে লেখা সম্পর্কে একান্ত ব্যক্তিগত এই যে পাঠকের মতামত, সেটা দেওয়াও সহজ ছিল না। প্রাথমিক ভাবে যে বোধটা হত,সেটা ঘেন্নার। রাগের। ক্ষোভের। একজন লেখকের নায়কেরা অবলীলায় ধর্ষণ করে। প্রিয় নারীকে খুন করতে চায়। কারণ সে তো নিজেই অস্তিত্ববাদী সংকটের আবর্তে। মানব অস্তিত্ব নিয়েই দার্শনিক ও মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন যেখানে, সেখানে নারীর ধর্ষণ,তাকে কুক্কুরীজ্ঞানে অপমান করা..এসব এমন কি আর মাথাব্যথার কারণ!

    আজ সকালে অবশ্য হঠাৎ পড়ে ফেললাম, ‘চাইবাসা চাইবাসা’। ফিকশন নয়, ছ পাতার আত্নজৈবনিক এপিস্টোলারি। শক্তি ও সুনীলের কিছু চিঠি তুলে দেওয়া। বস্তুত হয়ত একথা বোঝাতেই যে সন্দীপন তাঁদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। ঘেন্নাটা একদম নাভিকুণ্ড থেকে বমির মতো দলা পাকিয়ে উঠল।

    সুনীলের চিঠিটিই বিশেষত লক্ষ্যণীয়। বঙ্গের মূল ধারার সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারক ও বাহক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এখানে কিছু ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নিজ আচরণের। কারণ তার আগের একটি ফর্মাল ইংরিজি চিঠিতে সন্দীপন কিছু কাটা কাটা অভিযোগ এনেছেন, তা অনুমেয় সুনীলের চিঠি থেকেই।

    অন্য অভিযোগগুলি, দেবেশ রায় সংক্রান্ত কিছু কূট-কচালি ইত্যাদি বাদ দিলে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মূল ব্যাখ্যা ‘সেদিন রাতের ট্রেনের ঘটনা’ নিয়ে। সেটাই চিঠির সিংহভাগ দখল করে আছে। সেই যেদিন ওঁরা চাইবাসা থেকে ফিরছিলেন!

    সুনীল বলছেন, সেদিন রাতে ট্রেনে সন্দীপনের পদতলে আদিবাসী এক যুবতীকে বসে থাকতে দেখে তিনি 'খুশি' হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন ‘বাসে ছোট ছোট মেয়েগুলির থেকে’ তিনি যেরকম 'তৃপ্তি' পেয়েছিলেন, সন্দীপনও তেমন কিছু পাবেন। বন্ধুর জন্য বন্ধুর সুখ আর কি! ব্রাদারহুড। ক্যামরেদারি। অত:পর সন্দীপনকে গোপনে সেই আদিবাসী নারীর শরীর ছোঁয়ার চেষ্টা করতে তিনি দেখেন। খানিক ভালো লাগা খানিক ঈর্ষা নিয়ে চুপ থাকেন উপরের বাঙ্কে।

    এরপর মেয়েটি অসহায়তা ও ক্রোধ নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। তার ‘কুৎসিত’ মা অচেনা ভাষায় কিছু বলে। মেয়েটির চোখে ঘুম ছিল। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হওয়ার ফলে তার ঘুম হয় না।

    অর্থাৎ একটি ট্রেনে একজন নারী লাঞ্চিত হচ্ছেন,মলেস্টেড হচ্ছেন একজন পুরুষের হাতে। এবং পুরুষটি ব্যতিক্রমী লেখক যাঁর গদ্যশৈলী না চিনলে কিছুই চেনা হয় না। এই পুরুষ এভাবে শহুরে মেয়েদেরও মলেস্ট করে থাকেন, কিন্তু প্রান্তিক আদিবাসী নারী তাঁর কাছে আরোই সহজভোগ্য। তার শরীরের নানা খাঁজে তিনি রাতের অন্ধকারের সুযোগে হাত তো রাখবেনই- এমনটা মনে করেন তাঁর বন্ধু, যাঁর নামে বাঙলা সাহিত্যে একটি যুগ চিহ্নিত হবে। তিনি এমন মনে করেন, কারণ বাসে ছোট ছোট মেয়েদের শরীর থেকে তিনিও এমন সুখ পেয়েছেন।

    অত:পর সুনীল বলেন, আরও হাস্যকর ভাবে, মেয়েটির অসহায়তা তাঁর মধ্যে বিবেকদংশন নয়, অপরাধবোধ নয়,যা জাগিয়ে তোলে তা হল ‘শিভালরি’। মেয়েটির শরীরে হাত না দিয়ে সন্দীপন ‘নিজের বুকে তাকে শুতে দিতে পারত’! অসাধারণ! একজন সরাসরি ভোগ করতে চান।একজন বুক পেতে,মাথা টেনে নিয়ে, ঘুমোতে দিয়ে মেয়েটিকে আবারও, ভোগই করতে চান, তাকে আরেকটু নমনীয় করে। কারো একবারের জন্যও মনে হয়না, ঘুমের বিষয়ে মেয়েটি স্বাবলম্বী।তার যেমন সেই মুহূর্তে যৌনতাকামী হাতের প্রয়োজন ছিল না, তেমনই প্রয়োজন ছিল না আশ্রয় হিসেবে কোনো বুকের। মেয়েটি তার ক্রুদ্ধ চোখ দিয়ে শুধু বলতে চেয়েছিল-এই স্থান,কাল, এই রাত, এই ট্রেন-আমারও।
    লিভ। মি। আলোন।

    অত:পর, ঠিক তিন দিনের মাথায় সুনীল আবার সন্দীপনের সাহিত্যরীতিতে মনোনিবেশ করেছিলেন, তাঁকে আর ‘জাজ’ করেননি-বলছেন তিনি।

    সন্দীপন সব চিঠির পর, ‘চাইবাসা চাইবাসা’ শেষ করছেন এ’কথা জানিয়ে যে, এই সুনীলের সাথেই রোরো নদী পেরিয়েছিলেন, নদীর ওপারে তাঁদের যৌথভাবে জীবনের প্রথম আদিবাসী নারীকে পাওয়া।

    ওয়াক এবং থু:!
  • সমালোচক | 236712.158.566712.199 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:২৪51220
  • Deep Chatterjee
    October 23, 2019 at 11:08 AM ·
    এই যে বঙ্গ সংস্কৃতি জগতের অনেক বিশিষ্ট মানুষের নামে মলেস্টেশন, যৌন হেনস্থা, পিডোফিলিয়া, এমনকি অ্যাটেম্পট টু রেপ পর্যন্ত সব কেস রোজ রোজ সামনে আসছে, এই নিয়ে নতুন করে “শকিং!”, “সাংস্কৃতিক অধঃপতন!”, “এতো বিখ্যাত মানুষ, তাও এরকম!” ইত্যাদি বলে ভিরমি যাওয়ার কিছু নেই। বঙ্গ সংস্কৃতি অনেকদিন আগেই মরে গেছে। এখন শুধু শবদেহ প্রিসার্ভেশন ব্যবস্থাটা ভেঙ্গে পড়ছে বলে মড়া পচার গন্ধতে সবাই নাক ঢাকছেন।
    নারায়ণ সান্যাল, ১৯৮৯ এবং ১৯৯২-তে দু’টি বই লেখেন—যথাক্রমে “আবার সে এসেছে ফিরিয়া” এবং “মান মানে কচু”। দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে লেখা বইদু’টি আজ প্রায় বিস্মৃতির অতলে চলে গেছে, এবং সেই বইতে নারায়ণ সান্যাল বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির অধঃপতনের যে আলোচনা যথেষ্ট তথ্য দিয়ে রীতিমত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছিলেন, সেটা আমরা দেখেও দেখিনি। বদলে সান্যালবাবুকে উদ্ধৃত করেই বলি— “অরুন্ধতী! সর্বস্ব আমার! হাঁ করো, আ-আলজিভ চুমু খাও!”—এই জাতীয় কবিতাকে এবং কবি-সাহিত্যিকদের মাথায় তুলে কিংবদন্তী, সাহিত্য-সম্রাট বানিয়েছি।
    ঐতিহাসিক উপন্যাসের নামে বিখ্যাত মানুষ, বাঙালির আইকনদের নিয়ে যে যাচ্ছেতাই করা হয়েছে, ইতিহাস বিকৃতি, তথ্য-বিকৃতির চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সুনীল যে সেই আয়োজনের প্রধান হোতা, সেই নিয়ে নারায়ণ সান্যাল আজ থেকে তিরিশ বছর আগে “আবার সে এসেছে ফিরিয়া”-তে প্রায় লাইন তুলে তুলে দেখিয়েছিলেন, কিন্তু তারপরও “সেই সময়” বা “প্রথম আলো” নিয়ে বাঙালির আদলেখপনা বিন্দুমাত্র কমেনি, উল্টে বইগুলোকে “ক্লাসিক” স্টেটাস দেওয়া হয়েছে। আর সুকৌশলে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে “আবার সে এসেছে ফিরিয়া”-কেই। একটা সংবাদপত্র গ্রুপ আর একটা ধ্বংসাত্মক রেজিমেন্টেড বিদেশী রাজনৈতিক মতবাদে অন্ধবিশ্বাসী পার্টি কীভাবে বঙ্গ-সংস্কৃতি জগতে একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপনের জন্য এই সাব-স্ট্যান্ডার্ড, খেলো পাবলিকদের সাহিত্য-সংস্কৃতির মহাগুরু বানিয়েছেন, সেটা স্পষ্ট হয়, যখন দেখি এই সুনীল-সন্দীপনরা নিজেদের স্মৃতি-চারণে মলেস্টেশনের কথা রসিয়ে রসিয়ে লিখে, পাবলিশ করে, তারপরও দশকের পর দশক ধরে বাংলার মানুষের স্যালুট পেয়ে যান। তো আজ সেই উত্তর আধুনিক বাংলার নাটক, সঙ্গীত, শিল্প জগতের বিশিষ্টদের মলেস্টেশন, নোংরামি সামনে আসার পর, “এ আমি ভাবতে পারছি না!” বলে বাঙালির আকাশ থেকে পড়ার কী আছে?
    না হে বিশিষ্ট বঙ্গসন্তানগণ। আপনারা বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এইসবই ভেবে এসেছেন। তাই নারায়ণ সান্যাল যখন আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে লিখেছিলেন—“সাময়িক পত্রিকার এইসব পোষা-কবি আর কথা-সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে শুধু ইররেলিভেন্ট নয়, অবসীন! তাদের রচনাবলী পদাঘাতে পাপোসেও ফেলা যাবে না, কারণ পাপোসটা পয়সা দিয়ে কেনা!”—তখন আপনারা সেটা দেখতে পাননি, বদলে সেই পাপস মাথায় দিয়ে দামী বালিস ভেবে শান্তির ঘুম ঘুমিয়েছিলেন। এখনো ঘুমোন। আর নিজেদের সাংস্কৃতিক বলে প্রমাণ করতে এই বইগুলো কিনে ঘরের বইয়ের তাক, আলমারি সাজান। তাই আজ সুনীলের নামে রাস্তা হয়, আর নারায়ণ সান্যালের বই আউট অফ প্রিন্ট হয়। নিজেদের হিপোক্রিসিকে একটু সরিয়ে রেখে, একটা কথা একটু স্বীকার করুন না—আমরা মলেস্টার, আলুর দোষের লোকেদেরই বঙ্গ-সংস্কৃতির আইকন বানিয়েছি। তাঁরা সাহিত্যলালিত পানু-চটি লিখেছেন, আমরা মুগ্ধ হয়ে “মাস্ট রিড ক্লাসিক” বলে সেগুলো পড়েছি, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়েছি। সেই বইগুলিকে একটার পর একটা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সত্যি জানতে আমরা শিখিনি বা শেখাইনি বা ইচ্ছাকৃতভাবে সে অভ্যেস ত্যাগ করেছি। আমড়ার আঁটি মাটিতে পুঁতলে, সেখানে তো হিমসাগর আম ফলবে না।
    বাংলার কালচার হয়ে গেছে কিছু অপ্রয়োজনীয়, দুর্বোধ্য, যৌনগন্ধী, উত্তর আধুনিক বাম আঁতলামো, যার ঘাঁটি নন্দন-অ্যাকাডেমি চত্বর, আর কফি হাউস, যাদবপুর এইসব কিছু জায়গা। এবং সেই তথাকথিত সাংস্কৃতিক জগতে বিগত পঞ্চাশ বছর ভারতের হাজার হাজার বছরের দার্শনিক চিন্তাকে “পুঁজিবাদী সামন্ততান্ত্রিক শোষণ আর বঞ্চনার চক্রান্ত, ফ্যাসিবাদী হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা” বলে “নো এন্ট্রি” বোর্ড দেখান হয়েছে। ফলে আমাদের নিজস্ব যা তা গেছে, আর বিদেশের বদহজম হওয়াগুলো বমি হয়ে বেরিয়েছে। সাংখ্য, বৌদ্ধ দর্শন সোপেনহাওয়ার থেকে শুরু করে সার্ত্রে, কামুদেরও প্রভাবিত করেছে, অদ্বৈত বেদান্ত বিশ্বের তাবড় তাবড় বৈজ্ঞানিকদের ভাবিয়েছে, আর আমরা এখানে বসে, রবীন্দ্রনাথের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, নিজেদের লাম্পট্য, পিডোফিলিয়াকে জাস্টিফাই করার জন্য, রবীন্দ্রনাথকেই লম্পট, পিডোফাইল বানিয়ে কুৎসা করা বইয়ের লেখকদের নিয়ে আত্মহারা হয়ে গেছি। আমাদের দেশের একজন মানুষ আজ থেকে অনেক বছর আগে একবার বলেছিলেন—“মনুষ্যসমাজ যেরূপ সাহিত্যের দ্বারা পরিপুষ্ট হয় তার মনোবৃত্তি তদ্রূপ গড়িয়া ওঠে।”—তাঁর নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। তো আমরা বিগত কয়েকদশক ধরে উত্তর আধুনিক শিল্প চর্চার নামে, “ইররেলিভেন্ট, অবসীন” সাহিত্য থেকে শিল্প-সংস্কৃতিক জগতের অন্যান্য সবকিছু মাথায় করে নেচেছি—আমাদের মনোবৃত্তিও সেরকম গড়ে উঠেছে। তাই আজ তার স্বাভাবিক পরিণতিতে থিয়েটার, সঙ্গীত, সাহিত্য, বাচিক শিল্প সব জায়গা থেকেই মলেস্টেশন, যৌন হেনস্থা, পিডোফিলিয়া-র ঘটনা উঠে আসছে। এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আমরা এতদিন ধরে “সাংস্কৃতিক মনন” বলে যা বেছেছি, যা চর্চা করেছি, আর যা বাদ দিয়েছি, তার রিটার্ন গিফ্ট। আর্টের নামে উত্তর আধুনিক, দুর্বোধ্য, বাম এলিট, পানু নিয়ে আঁতলামো করলে, আর এই জগতের বাইরে বিশ্বসুদ্ধু সবাইকে অশিক্ষিত ভাবলে, সেসবের প্রতিবাদ করলে “সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনে ভুগছে, তাই এইসব বলছে” বলে বক্তৃতা দিলে, মলেস্টার, রেপিস্ট, পিডোফাইলরাই কালচার কাকু হয়ে সাংস্কৃতিক জগতে রাজত্ব করবেন। তখন আর এই বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সেলিব্রিটিদের নিয়ে “উনি এরকম! আমি তো ভাবতেই পারিনি!” বলার কিছু নেই।
    এইসব মুগ্ধতার বদভ্যেস ছাড়ুন। এটা বুঝুন আপনার সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু নন্দন-অ্যাকাডেমি-কফি হাউস-যাদবপুরের উত্তর আধুনিক বাম আঁতলামোতে নেই, আছে এই দেশের হাজার হাজার বছরের দার্শনিক চিন্তায়, সাংখ্য-বৌদ্ধ-তন্ত্রের আদি যুগ থেকে ন্যায়-নব্যন্যায়-বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলনের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হয়ে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথ-অরবিন্দ পর্যন্ত যার অন্যতম বড় কেন্দ্র আমাদের এই বঙ্গভূমি। “নীরার খোলা পিঠে আমি আঁচড় কেটেছি, তাই তেত্তিরিশ বছর আমি নখ কাটব না” নিয়ে নাল না ফেলে, নিজেদের প্রকৃত সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে অনুসন্ধানী হন। তবে যদি এই দূষিত, ঘৃণ্য পরিবেশ থেকে পরবর্তী প্রজন্ম মুক্ত হতে পারে। নাহলে এ জিনিস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকবে। একসময় সুনীলরা করেছেন, এখন রঙ্গিলা দাড়ুলরা করছেন, পরে আরও কেউ করবেন। আর আমরা একহাতে মলেস্টারদের মহান শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী বলে মাথায় তুলব, আরেক হাতে “ইনি এরকম করলেন! ভাবতেও পারছি না! আমি ওঁর কতবড় ভক্ত ছিলাম।” বলে কপাল চাপড়াব।
  • b | 237812.69.453412.44 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৪৫51221
  • যাই হোক, এই প্রসঙ্গে আমি প্রাচীন বঙ্গ্ভূমির সাহিত্যের একটি উদাহরণ দেইঃ

    ধীরসমীরে যমুনাতীরে বসতি বনে বনমালী।
    পীন-পয়োধর-পরিসর-মর্দন-চঞ্চল করযুগশালী।।
  • Atoz | 237812.69.4545.147 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৫৩51222
  • প্রাচীন বঙ্গভূমির বিশিষ্ট সাহিত্য চর্যাপদ এনে ফেললে আর দেখতে হবে না! অবশ্য সেসব সান্ধ্যভাষায় রচিত, নানারকম আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায়।
  • Atoz | 237812.69.4545.137 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৫৭51223
  • বি, আপনার উদ্ধৃতটারও আধ্যাত্মিক ব্যাখা দেওয়া যায়।
    যেমন ধরুন না কেন, "মৃত্যুর নদীতীরে তিনি জীবনের বনমালী, পরম প্রেমে ক্ষণায়ুশাসিত জীবকে নিয়ত পরিচালনা করে করে তাঁর হাতে কড়া পড়ে গেল। " ঃ-)
  • b | 236712.158.786712.105 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:১৯51224
  • এ তো মহাভারতের মামাতো ভাই। ভাগ্যিস ফেসবুক করি না।
  • সমালোচক | 237812.69.563412.123 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:২২51225
  • শতাব্দী দাসের লেখায় কমেন্টগুলো -- তো, এগুলোই অনমিত্রকে দিয়ে সন্দীপন প্রশস্তি লেখায়, এবং এগুলোই আজকের আলোচনার প্রাসংগিকতা বোঝায়। আপনি "গোদা প্রশ্ন", যেদিকে আলোচনাটাকে ঠেলতে চাইছেন - সেক্সিস্ট, মিসোজিনিস্ট অ্যঙ্গেলকে সাহিত্যের কনটেন্ট হিসেবে ফর্ম দ্বারা নর্মালাইজ করার বিরোধীতা, দেখা যাচ্ছে নারীবাদীরা আদৌ করছেন না। তাঁরা ব্যক্তি সুনীল ও সন্দীপনকেই মিসোজিনিস্ট, মোলেস্টার ও সেক্সুয়াল প্রিডেটর হিসেবে আক্রমণ করছেন।
    ==================================================

    Akash Chatterjee পড়লাম। ইঁট পেতে যাই। সন্দীপন সম্পর্কে অনেকগুলো কথা বলা যায়। এই পিতৃতন্ত্র নিয়েই। যাক গে, বাকিরা কী বলে শুনি।
    1
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Satabdi Das
    Satabdi Das সন্দীপনকে শুধু পিতৃতান্ত্রিক বলা যায়না। ভয়ানক মিসোজিনিস্ট ও সেক্সিস্ট।
    11
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Akash Chatterjee
    Akash Chatterjee ঠিক। এটা যেমন সত্যি, তেমন এর একটা উল্টোপিঠ আছে। মীরাবাঈ, আলমারি এবং আরো বেশ কয়েকটি লেখায়। অনেকগুলো লেখাতেই। যেখানে সন্দীপন আদপে বিদ্রুপ করেছেন-- নিজেকে, এবং বাঙালি পৌরুষের বিপন্নতা শিভালরি সমস্ত কিছুকেই। এই পৌরুষের আবার সার্টেন ক্লাস আইডেনটিটির জায়গা রয়েছে- তা মধ্যবিত্ত। ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এই মানসিকতা, সমস্তকিছুই( যা আদপে সন্দীপনেরও) তা বিদ্রুপের বা উপহাসের মুখোমুখি হয়েছে।
    1
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Satabdi Das
    Satabdi Das কিন্তু তাতে মিসোজিনি একই থাকে। নিজেই নিজেকে বিদ্রুপ করেন, নিজেই নিজেকে নিয়ে সঙ্কটে। অন্য লিঙ্গের প্রতি মনোভাব তাতে বদলায় না।
    2
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Aeonian Anirban
    Aeonian Anirban 'আত্মবমন' নামের গল্প টি পড়ুন, যদি আগে না পড়ে থাকেন।
    Hide or report this
    Like
    · 5d
    Abhijnan Sarkar
    Abhijnan Sarkar জঙ্গলের দিনরাত্রি বলে আজকাল থেকে বেরানো আর একটি বই আছে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের। প্রতিপাদ্য হচ্ছে, অরণ্যর দিনরাত্রি ছবিটি সেই সময়ের স্টার কৃত্তিবাসীদের নিয়ে কত মডারেট আখ্যান, সেটার সমালোচনা।তাদের চাইবাসা ও আদিবাসী অঞ্চলে অভিযান কত বড় যৌন অ্যাডভেঞ্চার ছিল তার বর্ণনা রয়েছে এই বইতে। মোটামুটি সেক্সুয়াল প্রিডেটরদের ডাইরি।
    7
    Hide or report this
    Like
    · 1y · Edited
    Satabdi Das
    Satabdi Das ওটা পড়েছি। উপন্যাস সমগ্রর পার্ট হিসেবেই আছে।
    1
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Tripti Santra
    Tripti Santra গদ্যটায় অন্য খাজ....তা বাদে খেকুরে, পারভারট
    5
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath সন্দীপন পড়তে গেলে যে উইটটা পাঠকের থাকা দরকার তা বহু পাঠকেরই নেই
    3
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Hide 35 Replies
    Satabdi Das
    Satabdi Das খুবই উইটি মলেস্টেশন।
    11
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Satabdi Das
    Satabdi Das এনিওয়ে, এই এক্সকিউজটাও বহুশ্রুত।
    5
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath উহু এক্সকিউজ নয়, এটা একদম বাস্তব সত্যি, আমরা যারা সন্দীপনকে সামনে দেখেছি তারা খানিকটা এই ব্যাপারটার সঙ্গে হ্যাবিচুয়েট। ওই তিলে খচরামিটা বোধহয় একমাত্র সন্দীপনকেই মানায়। লোকে পড়ে হয়ত বলবে এমা কি ঘিনে ঘিনে সেক্স নিয়ে লিখেছে পার্ভাট, তারাই আবার স্মরণজিত পড়ে আহা উহু করবেন। সন্দীপন পড়তে গেলে অনেকটা সজনীকান্ত বুঝতে হবে। ওই লেভেলের প্যারডি সেই সময় দাঁড়িয়ে সজনীকান্ত লিখেছিলেন। ভাবতে পারেন সজনীকান্ত প্রিয় বন্ধু মনোজ বসুকে একজায়গায় বর্ননা করছেন বনজ মোষ বলে। এই উইটটা সকলে নিতে পারেন না। যেভাবে রবীন্দ্রনাথকে মাগীবাজ এবং শরৎচন্দ্রকে মাতাল আখ্যা দেওয়া হয় কিংবা জীবনানন্দকে অশ্লীল কবি, অনেকটা সেভাবেই এরা সন্দীপনকেও দাগিয়ে দেন
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Satabdi Das
    Satabdi Das আপনার সমস্যাটা কী? যে বইটির পাতা তুলে দেওয়া হয়েছে, সেটিতে চিঠিটি সুনীলের লেখা, সন্দীপনের না। তা ফিকশন নয়। বাস্তব ঘটনা। এবং তা মলেস্টেশন। এতে আপনি উইট খুঁজছেন?
    এই 'আমরা যারা তাকে চিনি-ওরা যারা স্মরণজিত পড়ে' ইত্যাদি ইলিটিস্ট বিভাজন এই পোস্টে অবান্তর। আমরা যারা স্মরণজিত পড়িনা তারা এই ঘটনা ও তা নিয়ে সন্দীপন ও সুনীল উভয়েরই মনোভাব অত্যন্ত বিবমিষা উদ্রেককারী মনে করি।ধন্যবাদ।
    24
    Hide or report this
    Like
    · 1y · Edited
    Simantini Ghosh
    Simantini Ghosh Suvendu Debnath , Molestation ebong Meyeder shorir ke mangshopindo kore tola, ei duto r modhye wit kothay , eta bujhiye bolle badhito hoi.
    Ami abashyo Smaranjit porini. Sandipan kichu porechi, ebong tar (fiction) lekhar modhye awsombhob misogyny ebong existential crisis, dutoi prokot bole mone hoyeche. Seta onek bikhyato lekhoker lekha tei paowa jae, karon somajmanoser urddhe khub kom manush e jete paren. Fiction hole tar interpretation niye debate er obokash thake aboshyo.
    Kintu eta to mongoRa golpo noy, eta ekti chithi, jate ekta shotyi ghotonar bornona dewa ache. eta kon interpretation e witty seta janar agroho roilo.
    5
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath নাহ আমি এই বইটিতে উইট খুঁজি নি সমস্যাও নেই আমার, কারণ লেখকের ব্যক্তিগতজীবন কখনই আমার কাছে উপজীব্য হয়ে ওঠেনি, আমি শিল্পীর শিল্প নিয়েই আলোচনা করতে ভালবাসি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নয়। কারণ শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন তা সে যে কোনও আর্ট ফর্মের শিল্পীই হোননা কেন ঘাঁটতে গেলে যে পাঁক উঠে আসবে, তা অনেকেই সহ্য করতে পারবেন না। বাংলাসহ বিশ্ব সাহিত্যে এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। আমি আপনার এক্সকিউজটি বহুশ্রুত বলার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দীপনকে জানার কথা বলেছি, এই বইটির বা পাতাটির লেখা প্রসঙ্গে নয়।
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    অন্বেষা সেনগুপ্ত
    অন্বেষা সেনগুপ্ত সন্দীপনের সঙ্গে স্মরণজিতের তুলনা অাসছে কোথ্থেকে?
    3
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Simantini Ghosh আপনি একটু বুঝতে ভুল করেছেন ম্যাডাম, আমার বক্তব্যটা এই লেখাটির পরিপ্রেক্ষিতে ছিল না। তাহলে তো চিঠি বা লেখাটির উল্লেখ করতাম যে এর মধ্যেও উইট আছে। আমি বলেছি লেখক সন্দীপনের সাহিত্যকর্ম নিয়ে
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Raya Debnath
    Raya Debnath সন্দীপনের লেখা , লেখার প্রতিপাদ্য নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করতে গেলে সন্দীপনকে ‘চিনতে ‘হবে? মলেস্টেশন উইট? আপনার কাছে উপজীব্য হয়নি কারণ মলেস্টেশনে আপনি উইট খুঁজে পান। আমাদের রাস্তাঘাটে মলেস্টেড হতে হয়তো তাই এই ভয়ানক অপরাধে আমরা উইট খুঁজে পাই না।
    এটা একটা ঘেন্না পাওয়া চিঠি। “ব্যক্তিজীবন” দেখেন না মানে? অবশ্য আপনার “দেখা”বা “না দেখায়” আদিবাসী মেয়েটির যৌন হেনস্থা হওয়া আটকায় না। মেয়েরাই খুব একটা মানুষ নয়, তো এ আবার আদিবাসী মেয়ে, তাই না?
    12
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath @শতাব্দী এর উত্তরে সন্দীপন কি লিখেছিল সেটা কি ওই বইটিতে দেওয়া আছে? কারণ সুনীলের চিঠি পড়ে, সন্দীপনের জবাব জানতে আগ্রহ বোধ হচ্ছে।
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Simantini Ghosh
    Simantini Ghosh Tahole seta ekhane khub e oprasongik. Karon lekha ti r mul protipadyo Sandipan er sahityo kormer somalochona noy, otyonto gorhito achoron er somalochona.
    ar ei bohu shilpi byektijibon e pervert tai shilpi r shilpo tar byektijbon er theke alada, eta o bohusruto ojuhaat. Kar bhababeg ahoto hobe, starting from Klaus Kinski to Woody Allen to Harvey Weinstein to Dipesh Chaudhuri, ta niye amar kono mathabyatha nei.
    This is exactly what perpetuates the permissive environment in which a rape culture thrives.
    Orom bhababeg ahoto howai bhalo. At least ekta dialogue o jodi toiri hoy, tahole oneke khub ashojhyo bodh korleo bodhoy samgrik bhabe kono khoti nei.
    Dhonyobad.
    7
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Raya Debnath Raya Debnath এই তো আমি পুরোটা না পড়েই বলতে শুরু করে দিলেন? আমি কিন্তু আগেই বলে নিচ্ছি আমি সন্দীপনের ফ্যান নই। এবার বলি আমি এই লেখাটির প্রসঙ্গে মন্তব্য করি নি। মলেস্টেশনে উইট আমি খুঁজে পাই সেটা আমার কমেন্ট দেখে বুঝে গেলেন? যাহ বাবা, এ তো আচ্ছা হল দেখছি, ফেসবুকে আজকাল কোনও বিষয়ে কমেন্ট করা দায় হয়ে পড়ছে। আগে শুনুন কি জানুন কি বলতে চাইলাম। তবে না আমার প্রতিবাদ করবেন বা আমাকে বকাবকি করবেন।বাকি রইল আদিবাসী রা মেয়ে কিনা সেটা আমি মর্মে মর্মে বুঝি ম্যাডাম কারণ জীবনে অনেকটা দীর্ঘ সময়ে তাদের মধ্যে কাটিয়ে বুঝেছি, কি পরিমাণ লড়াই তাদের করতে হয় এবং তাদের হয়ে লড়তে গিয়ে চাকরিটি খুইয়েছি।
    1
    Hide or report this
    Like
    · 1y · Edited
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Simantini Ghosh হ্যাঁ আপনার এই কথাটা খুব জায়েজ এবং যুক্তি সংগত এটা মেনে নিতে কোনও বাধা নেই যে আমার কমেন্টটা অপ্রাসঙ্গিক। আমি শতাব্দীর এই পোষ্টের পুরোটা পড়ে জাস্ট প্রথম লাইনটির পরিপ্রেক্ষিতেই কথা বলেছি অর্থাৎ ওই চন্দ্রিল কি বলেছেন সন্দীপন সম্পর্কে। বাকি সুনীল এবং সন্দীপনের মধ্যে রেষারেষিটা সকলেই জানেন। যদি সন্দীপন এটা করে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই অপরাধ, কিন্তু করেছেন কতটা সেটা একটু সন্দেহ আছে, তাই Satabdi Das র কাছেই প্রশ্ন করেছি দেখুন যে ওই বইটিতে সন্দীপনের উত্তরের চিঠিটা আছে কিনা, কারণ দেখাটা সুনীলের কি না তাই।
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Raya Debnath
    Raya Debnath আপনি, ভেবে দেখছেন ঠিক কী কী বলছেন? আপনি এসে জ্ঞান দিচ্ছেন কী ভাবে সন্দীপন ‘পড়তে’ হয়, সজনীকান্ত বুঝে সন্দীপন পড়তে বলছেন। বলছেন সবাই নাকি সন্দীপনের “উইট” টা বোঝে না। কোথায় বলছেন কথাগুলো? না, যেখানে স্পষ্টত সন্দীপনের একটি অপরাধমূলক আচরণ নিয়ে কথা হচ্ছে। সেখানে এসে লিখছেন “তিলে খচরামি”টা সবাই করতে পারে না, আবার গলাবাজি করছেন?
    আপনি শিল্পির ব্যক্তিজীবন নিয়ে বদারড নন জোর গলায় বলেছেন, এমনকি আপনাকে বিষয়টি আরোও একবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরেও। এই সমস্ত কিছুই করতে পেরেছেন কারণ মলেস্টেশন অপরাধটি আপনাকে সরাসরি এফেক্ট করে না এবং আপনি সেটা ছাড়া বিষয়টি বোঝার মত ন্যূনতম সংবেদনশীল নন।
    একটা লেখার প্রথম লাইন পড়ে লাফিয়ে এসে গুচ্ছ প্রবলেমেটিক বক্তব্য রেখে অন্যকে নিজের সেই প্রবলেমেটিক মন্তব্য রিরিড করতে বলে এখন বলছেন লেখাটা আপনি পড়েননি?
    আপনিতো অসাধারণ
    11
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Satabdi Das
    Satabdi Das Suvendu Debnath, আপনি ওঁর কাছের লোক হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছেন অথচ এসব কমবেশি সকলেরই জানা।এখানে কোনো 'উত্তর'নেই।আত্মপক্ষ সমর্থন থাকবে কেন?সন্দীপন একে অপরাধ ভাবছেন না। শুধু একজন নারীকে কীভাবে পেতে হয়, সে নিয়ে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। লক্ষ্য একই। কীভাবে তিনি লেখাটি শেষ করেছেন, তা আমার লেখায় বলা আছে।পড়ে নিন।
    6
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Raya Debnath অপনি দেখছি আলোচনার মাঝ খান টুকু এসে পড়ে ব্যক্তিকে বিচার করেন। আমি শতাব্দীর বহুশ্রুত কথাটির পরিপ্রেক্ষীতে বলেছি। যাই হোক আপনার সঙ্গে তর্ক করা বৃথা ম্যাডাম। অথচ এই পোষ্টে একই জিনিস প্রতিবাদ করছেন Simantini Ghosh। ওনার আলোচনার কথা এবং যুক্তি কিন্তু মন্দ লাগছে কারণ যুক্তি সহকারে বলছেন এবং ভুলটি ধরিয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে আপনার বক্তব্যটা বড্ড অফেনসিফ হয়ে উঠছে। ভাষাটিও শুধু মাত্র আক্রমণ করার জন্যই মনে হচ্ছে। কারণ আমি একবারও বলিনি লেখাটা পড়িনি বলেছি কি কোথাও? পরিস্কার বলেছি পুরো লেখাটি পড়ে চন্দ্রিলের মন্তব্যটার প্রসঙ্গে আমি বলেছি। আপনি না বুঝলে আমার দায় নয়। আগে বুঝতে শিখুন কি বলতে চেয়েছি ভাল করে পড়ুন। আর এই প্রসঙ্গে এই চিঠিটি প্রসঙ্গে একটু সন্দীপনের উত্তরটা যদি খুঁজে দিতেন। ভালো লাগত
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Satabdi Das নাহ নাহ মোটেও কাছের লোক বলে পরিচিয় দিই নি শতাব্দী, আমি বলেছি আমরা যারা সন্দীপনকে চাক্ষুষ দেখেছি, তার মানে কিন্তু কাছের লোক নয়। বাকি রইলো সুনীলের বক্তব্য এই চিঠিতে, সেটা নিয়ে বলি, সন্দীপন এবং সুনীলের মধ্যে এই ধরণের দোষারোপ পালটা দোষারোপ চিরকাল চলেছে। যখন সন্দীপনকে চিঠিটা লেখা হয়েছে তখন তার তো একটা বক্তব্য থাকবেই তাই না? সুনীল ট্রেনের ওই আবছায়া আলোয় যা দেখেছেন সেটা তো তার ধারণা, কারণ ট্রেনের একদম টপ বাঙ্ক থেকে তিনি দেখছেন নীচের সিটে একজন আদিবাসী মেয়ে সন্দীপনের পায়ের কাছে বসে আছে, সন্দীপন তার শরীর ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন, অর্থাৎ ওই আধো অন্ধকারে সুনীল মেয়েটির মায়ের মুখ মেয়েটির চোখের ক্রোধ দেখতে পাচ্ছেন। সুনীলের বহু লেখায় এভাবে সন্দীপনকে হ্যাঁটা করা হয়েছে, যা পরবর্তী কালে জানা গিয়েছে সন্দীপনের প্রতি রাগ বশতই করা হয়েছে। তাই এখানে সন্দীপনের চিঠির জবাবটিখুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাববেন না আমি সন্দীপনের ফ্যান বা সন্দীপনকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছি। আমি একটা ঘটনার যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র, যে এক পক্ষ শুনেই কারও দিকে আঙুল তোলা উচিত নয়, যখন এই রকম একটা সিরিয়াস অ্যালিগেশনের ব্যাপার। সুনীল এবং সন্দীপনের একে অপরের প্রতি বিদ্বেষটা এবং বন্ধু মহলে একে অপরের প্রতি মনোভাবটা সকলেরই জানা প্রায়। তাই আমি আগ্রহী সন্দীপনের জবাবটা জানার ব্যাপারে
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Ipsita Sengupta
    Ipsita Sengupta "আমরা যারা সন্দীপনকে সামনে দেখেছি তারা খানিকটা এই ব্যাপারটার সঙ্গে হ্যাবিচুয়েট। ওই তিলে খচরামিটা বোধহয় একমাত্র সন্দীপনকেই মানায়। লোকে পড়ে হয়ত বলবে এমা স্মরণজিত পড়ে আহা উহু করবেন। সন্দীপন পড়তে গেলে অনেকটা সজনীকান্ত বুঝতে হবে। " শতাব্দীর পোস্টটা পড়ার পর আপনি সেই প্রেক্ষিতে এটা লিখলেন Suvendu Debnath বাবু?
    5
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Raya Debnath
    Raya Debnath অফেনসিভ? আপনি একটা লেখা আপনার কথা অনুযায়ী “না পড়ে” সন্দীপনের উইট বোঝাতে আসছেন ? যেখানে একটি মেয়ের যৌন হেনস্থা হয়েছে সেই নিয়ে স্পষ্ট কথা হচ্ছে সেখানে “এক লাইন পড়ে” উইট বোঝাতে এসেছেন আর আপনি অফেনসিভ হওয়ার কথা বলছেন? আপনার বোধ আছে , আপনি কী বলছেন? আমি আপনার প্রত্যেকেই কমেন্ট পড়েছি। অত্যন্ত জঘন্য দিয়ে শুরুই করেছেন আবার এখন নিজের কথা জাস্টিনটাই করছেন?
    1
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Ipsita Sengupta হ্যা লিখলাম, কারণ সুনীলের এই চিঠিখানি নিয়ে আমার বহু অংশে সন্দেহ রয়েছে। আপনি হয়ত সুনীল সন্দীপনের রেষারেষিটা জানেন। তাই কারণ যেখানে চিঠির বর্নানা দেওয়া হয়েছে। আবারও বলছি, যে সন্দীপন যদি এমন কাজ করে থাকেন তা ক্ষমার অযোগ্য, কিন্তু আদৌ করেছেন কি না সেটার জন্যই সন্দীপনের উত্তরটা জানার কথা বলছি
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Suvendu Debnath
    Suvendu Debnath Raya Debnath "না পড়ে" ? এই রে এদিকে আপনি বলছেন আমার সব কমেন্ট পড়েছেন আবার বলছেন আমি লিখেছি "না পড়ে" তাও না পড়ে টা কোট করে।
    Hide or report this
    Like
    · 1y
    Raya Debnath
    Raya Debnath
  • ফেবু | 237812.69.893412.15 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৫২51226
  • অর্থাৎ ছাগলদের দ্বারা ধানচাষ।
  • Ishan | 237812.68.8956.160 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৩২51227
  • মাঝে দুটো লম্বা পোস্ট মুছে দিলাম। আলোচনা আটকানোর জন্য নয়। কিন্তু পোস্টগুলি এত লম্বা, যে ফোন ঝুলে যাচ্ছে।

    যিনি করেছেন, একটু ভেঙে ভেঙে করে দিলেই কোনো সমস্যা থাকেনা।
  • S | 236712.158.780112.66 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৫১51228
  • ঈশানদা এরকম একটা জিনিস মুছে দিলেন? পতিবাদ করে গেলাম।

    আমি অনেকটা পড়েও বুঝতে পারলাম না যে মিটু আর সার্কাজমের কোনটা বিজেপি আর কোনটা সিপিএম?
  • :-) | 237812.68.234512.178 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:১৮51229
  • ছ্যাঃ সন্দীপন আবার লেখক হলো কবে? ও তো না-লেখক। গপ্পের প্রতি লাইনে লাইনে নারীর জয় হবে, গোলগাল চাষীভাইদের জয় হবে, দুনিয়ার মজদুর এক হবে, তব্বে না গপ্পো। না না, আন্দোলন চলুক।

    বিশেষ করে আমার চাড্ডিতুতো ভাইরা ভারতবর্ষ গল্পটা খুঁজে পড়ে ফেলুন। বিচি হালকা করে টাকে উঠে যেতে পারে, কিন্তু আন্দোলনের ভালো মেটিরিয়াল পাবেন। দুদিন পর রায় বেরোবে। এই তো সময়।

    আর আমি আমি করে ইন্টুমিন্টু লিখেছে দেখলেই বাঁড়া ধরে দিন টান রাজা হবে খানখান। মাইরি অরওয়েল কতভাবে ফিরে আসে! :-)
  • অনিন্দ্য সেনগুপ্ত | 236712.158.676712.108 (*) | ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ১১:২৫51214
  • সন্দীপন রিলেটেড কন্ট্রোভার্সিটা ইদানিং একটূ টুইস্টেড ভাবে রিসারফেস করেছে। দীপ চ্যাটার্জি নামে একজন - মিটু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে - ৫০ দশক পরবর্তী বাংলা সাহিত্যকে এক কথায় রাইট অফ করে দিয়েছে রিগ্রেসিভ মরালিস্ট স্টান্স থেকে, যার সঙ্গে জ্বালানীর মত কাজ করেছে বামপন্থার ডিনাউন্সিয়েশন। বছর দেড়েক আগে শতাব্দী দাশ একটা পোস্ট দিয়েছিলেন সন্দীপনের লেখা থেকে উদ্ধৃত করে এবং তাকে ডিনাউন্স করে, সেটা এবার ব্যবহৃত হয়ে যায়।
    শতাব্দী দাশ যেভাবে ডিনাউন্স করেছিলেন, সেই পার্সপেক্টিভটা এক জাতীয় আধুনিকতাবাদী বাংলা সাহিত্যচর্চার সেক্সিজম নিয়ে। ৫০-এর দশকে কৃত্তিবাস, তার আগে হাংরি, শাস্ত্রবিরোধী ইত্যাদি যে আন্দোলন তা যে সেক্সিজম এবং ম্যাস্কুলিনিজমের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেটা প্রমাণ করা কঠিন নয়। শতাব্দীর পোস্টটা সেই পার্সপেক্টিভ থেকেই লেখা। লেখায় যে ডিনাউন্সিয়েশনটা আছে সেটা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে যে সেক্সিজমের নর্মালাইজেশন তার প্রতিক্রিয়াতেই ঘটে।
    এইবার মুশকিল হল - বাঙালি পুরুষ-শিল্পী যে আদতেই নিপীড়ক, গত দু‘সপ্তাহের যে শকিং রেভেলেশনগুলো ঘটছে - তা নিয়ে লিখতে গিয়ে বামবিরোধী কলমে মরালিস্ট বামবিরোধী সুরটাই প্রবল হয়ে ওঠে, শতাব্দীর পোস্টটা ব্যবহৃত হয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমাদের দায় হল শতাব্দীর সঙ্গে সহমত হওয়ার পরে এনগেজ করে (যদি তর্কও করতে হয়) দীপদের ডিনাউন্স করা।
    আমি এই আশংকাটা করছিলাম - সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় এবং মলয় মিত্রের বিরুদ্ধে যে প্রবল রিঅ্যাকশন, তার মধ্যে মরালিস্ট কনজারভেটিভ স্বর যে প্রাধান্য পাচ্ছে সেটা চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছিল। এটার জন্য মিটু-কে দায়ী করা যায়না, সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করার এটা একটা ভয়ংকর কোল্যাটারাল, আম জনতার এই প্রবেশ, যে আমজনতা এখন মরালিস্ট, শিল্প-বিরোধী, রিগ্রেসিভ - তারা এই আর্ট-প্র্যাক্টিসকেই পার্ভারশন হিসেবে দেখবে, এবং এই সুযোগে বামপন্থাকে আবার খিস্তোবে। আমরা সবাই জানি সেই খিস্তোনোতে খানিক হলেও যুক্তি থাকবে, একধরণের বামপন্থী প্র্যাক্টিস দীর্ঘদিন সেক্সিস্ট এবং ক্ষমতালোভী ছিল মাইক্রো ও ম্যাক্রো লেভেলে। এ সেই কৃতকর্মের ফল।
    অনমিত্রর এই লেখায় এই বামবিরোধী কনটেক্সট সম্পর্কে পরিষ্কার থাকা উচিত ছিল - ভ্যালিড সমালোচনা কীভাবে দক্ষিণপন্থীদের অস্ত্র না হয়ে ওঠে তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন - সেটা অ্যাড্রেস করে লিখতে শুরু করলে ভালো হত। কারণ লেখাটার প্রয়োজন হঠাৎ হয়নি।
    সন্দীপন কমপ্লেক্স। প্রথম পাঠে উনি রিপালসিভ, কারণ উনি মডার্নিস্ট এবং ডিস্টার্বিং। আমি ভদ্রলোকের সঙ্গে একবার দীর্ঘ একটা আড্ডা দিয়েছিলাম এক সন্ধ্যেয় - উনি মুখে বলা কথাকেও লেখার এক্সটেনশন হিসেবে ব্যবহার করতেন। অতএব উনি যে নিয়ত একধরণের কন্সট্রাকশন অফ সেলফ চালিয়ে যাচ্ছেন সেটা নিয়মিত সন্দীপনের লেখা যারা পড়েন তারাই জানেন। ওনার কাছে সেলফ-ও একটা ফিকশন এবং অবজেক্ট। ওনার লেখার প্রধান আক্রমণের বস্তু হল সেক্সিস্ট মধ্যবিত্ত একটা পুরুষ সত্তা, যেটা থেকে উনি নিজেকে দূরত্বে রাখেন না, ইমপ্লিকেট করেন, ফিকশনালাইজ করেন, নির্মাণ করে চলেন। এই যে ‘আত্ম‘ একটা পলিটিকাল নির্মাণ এবং অ্যাফার্ম করার জন্য নয় বরং ডিনাউন্স করার জন্য, এবং একজন কনজিউমেট লেখক যে যখন লিখছেন না তখনও লেখার রিহার্সাল করে চলেছেন সেটা নির্মাণ করে, self as a speaking construction, এটা ধরা খুব মুশকিলের আমাদের দৈনন্দিনের বুদ্ধিতে।
    অনমিত্রর রিডিংগুলো সেইদিক দিয়ে নুয়ান্সড এবং ঠিক। আমি একটা ভালো বই হারিয়েছি - সেটায় স্ক্রিনশট দেওয়ার মত একটা জায়গা ছিল - সন্দীপন একটা সাক্ষাৎকারে বলছেন যে ফেমিনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী থেকে তার লেখা নস্যাৎ করে দেওয়া যায়, সেটাই একমাত্র ভ্যালিড পার্সপেক্টিভ। এবং এটা নির্বিকারে বলেছিলেন। সন্দীপনের লেখা কঠিন, আপাতভাবে রিপালসিভ; কিন্তু ক্রাফটে অথবা ভাষার কাব্যগুণ, পারফর্মেন্স এবং এক্সেলেন্সে এতটাই উচ্চমানের যে সেটা তোমাকে টেনে নিয়ে যেতে পারে আরেকটু নিবিড় এবং বুদ্ধিমান পাঠে, তখন পরতে পরতে কমপ্লেক্সিটি বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু এই ধৈর্য অনেকেরই থাকবেনা, এবং সন্দীপন হয়তো কমপ্লেনও করতেন না - তিনি শিল্পীর অমরত্বে বিশ্বাস করতেন না; তার হয়তো কাজ ছিল দুটো - একটা বুর্জোয়া ম্যাস্কুলিনিস্ট সেলফকে ন্যাংটো করে চাবকানো এবং তার পাশে ভাষাকে একভাবে সার্ভ করে যাওয়া একরকম ব্যানাল থেকে কাব্যিকতার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অর্থাৎ সেলফের বাইরে ভাষার পুজারীর উর্ধ্বতন subject এবং যৌনসত্তার নিম্নতর সেলফ - এটা ডি এন এ হেলিক্সের মত পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উঠতে থাকে। এর প্রিডিসেসর জীবনানন্দ, হ্যামলেট আর কামুর আউটসাইডার।
    এই প্র্যাক্টিসটা সাহসী hazardous এবং difficult - ওনার রাইটিং সাবজেক্টিভিটি ওনার কাছে বেশি জরুরী ছিল, যার নিরিখে ওনার যে সামাজিক-সেক্সুয়াল সেলফ, তাকেও সেই সাবজেক্টের অবজেক্ট করে তুলতে পারতেন এবং তাকে তাচ্ছিল্য করা ওনার কাছে ব্যাপার ছিল না। এটা সবাই পারবেনা। যে চিঠিটা আলোচ্য এবং উদ্ধৃত সন্দীপনের লেখা থেকে - সেটা আদপেই সুনীলের লেখা কিনা সেটাই সন্দেহের - কিন্তু সেটাও এই কন্সট্রাকশন অফ সেলফের মধ্যে পড়ে।
    এবার কেউ যদি বলে যে ওই লেখার ভেতরের 'সন্দীপন' নামক কন্সট্রাক্টটা তার মানে ফিকশনাল, মিথ্যে - ব্যক্তি সন্দীপন ওরকমটি নন - ব্যাপারটা হল অত সহজও নয়। হয়তো ব্যক্তি সন্দীপন ওটাই, কারণ সেই সন্দীপনটাই লেখক সন্দীপনের খাঁচার মধ্যে গিনিপিগ। এটা বোঝা কঠিন। এই লোকগুলো আর্টে নিবেদিত; আর্টের আর্টিকুলেশনের বাইরে যে সেলফ সেটা ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং প্রহারযোগ্য ছিল - আমার সন্দীপন পড়ে এটাই মনে হয়।
    তার জন্য কি 'ব্যক্তি'-কে এক্সকিউজ করা যায়? অর্থাৎ লেখককে এক্সকিউজ হিসেবে খাড়া করা যায়? সন্দীপন থাকলে হয়তো বলতেন যে তার লেখা নশ্বর - তাই ব্যক্তিকে কনডেম করাই যায় লেখাকে ইগনোর করে।
  • dc | 236712.158.786712.105 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৫51230
  • "এটার জন্য মিটু-কে দায়ী করা যায়না, সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করার এটা একটা ভয়ংকর কোল্যাটারাল, আম জনতার এই প্রবেশ, যে আমজনতা এখন মরালিস্ট, শিল্প-বিরোধী, রিগ্রেসিভ - তারা এই আর্ট-প্র্যাক্টিসকেই পার্ভারশন হিসেবে দেখবে, এবং এই সুযোগে বামপন্থাকে আবার খিস্তোবে। আমরা সবাই জানি সেই খিস্তোনোতে খানিক হলেও যুক্তি থাকবে, একধরণের বামপন্থী প্র্যাক্টিস দীর্ঘদিন সেক্সিস্ট এবং ক্ষমতালোভী ছিল মাইক্রো ও ম্যাক্রো লেভেলে। এ সেই কৃতকর্মের ফল।"

    এটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। মানে সেক্সিজম ইত্যাদির সমালোচনা বামপন্থাকে বাঁচিয়ে করতে হবে?
  • | 236712.158.566712.59 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪০51234


  • ঃ-))))) আমার মনে হয় সন্দীপন এর মেন যে জিনিসটা ইনটারেস্টিং, ভদ্রলোক, নিজের ইচ্ছা, অ্যাসপিরেশন এবং স্রেফ বাঙালি মধ্যবিত্ত হবার কারণেই কিসুই তেমন পেরে না ওঠার ঘটনাটা নিয়ে কখনো ঢাকতে ঢাকতে কখনো খুলতে খুলতে, নিজেকেই স্ক্যান্ডালাইজ করতে করতে লিখেছেন। এবং দ্যাট মেকস হিম আ গ্রেট। এবং চ্যাংড়া নুনু টাইপের একটা ছেলের উপস্থিতি কে একজন পরিণত বয়স্ক মহিলার ভালো নাই লাগতে পারে, দেয়ার মে ইভেন বি সিরিয়াস রিজন্স, কিন্তু সন্দীপন কে নিয়েও যদি ইনডাল্জ না করি কাকে নিয়ে করব মাইরি।

    এই যে পল অস্টার, বা কেরুয়াক এমনকি গিন্সবার্গ দের কিছুটা হুইটম্যান কিংবা হয়তো হাক্সলি বা হেমিং ওয়ে অনুপ্রাণীত পুরুষকার সেটার একটা ইমিডিয়েট প্রভাব থাকলেও, আমার মনে হয় সন্দীপন এর সেন্সিবিলিটি টা কে সব সময় বিপন্নতা বলতে ইচ্ছে না করলে একটা গ্রেট অ্যাবসেন্স অফ কারেজ বলতে ইচ্ছে করে মাইরি, কিন্তু কারেজ নিজের নেই বলে সেটা বলতে পারি নাঃ-))) মরাল পজিশন এর দিক থেকে বলছি, অথচ ভাষার ব্যবহার টায় অসম সাহসী।

    সিরিয়াস কেস অফ বিলেটেড অ্যাডোলোসেন্স। এবং আমি জানিনা সিরিয়াস ক্রিটিক রা এভাবে দ্যাখেন কিনা। আমার একটা জিনিস করার ইচ্ছে আছে, একদম চ্যালেঞ্জ করে, সেটা হল, ৫০ পরবর্তী স্বল্প পঠিত বাঙালি সাহিত্যিক দের সেমিনাল কয়েকটা লেখা নিয়ে ইংরেজি তে লেখা এবং ক্যাটিগোরি র কেস টা ইউরোপীয় ভাষা গুলোর সাহিত্যিক দের কাজের পাশে রেখে করব। ফলো-ইং আপ উইথ ওয়ান অর টু অনুবাদ স।

    এটা আমরা যারা বাংআলী তাদের কাছে খিল্লি ছাড়া কিছু না, কারণ আমাদের ঐতিহ্য নানা রকম কিন্তু আমার এটা চিৎঅকার করে বলতে ইচ্ছে করে পৃথিবীর সর্বত্র, নিরীক্ষা নানা রকম হয়েছে, এবং সেটা শুধুই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পাবার জন্য হয় নি এখেনে।
  • ন্যাড়া | 236712.158.565623.153 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৪51235
  • (সিএস কি বই-সৈকত?) আপনাদের মনে হয়না, হিরোশিমা-পরবর্তী, মানে আজকালের সন্দীপন, ক্রমশঃ ক্র‍্যাফট-সর্বস্ব হয়ে উঠছিলেন? ওই সময় থেকে সন্দীপনকে আমার যথেষ্ট রিপিটিটিভ লাগে। বিশেষ করে বুঝলাম সন্দীপনগুলো একত্রে পড়ে।
  • এলেবেলে | 124512.101.780112.71 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০০51236
  • @ন্যাড়া, সহমত। ওই কারণেই চন্দ্রিল সন্দীপনকে 'বছরবিয়োনি' বলে ব্যঙ্গও করেছিলেন। আজকালে প্রতি বছর উপন্যাস লেখার ফরমায়েশ পেলে ও জিনিস হতে বাধ্য।
  • অনিন্দ্য সেনগুপ্ত | 236712.158.786712.67 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৫৮51231
  • @dc "সেক্সিজম ইত্যাদির সমালোচনা বামপন্থাকে বাঁচিয়ে করতে হবে" এটা কোথাও লেখা বা ইমপ্লাই করা হয়নি তো - বলা হয়েছে বরং সেক্সিজম ইত্যাদি সমালোচনায় বামপন্থীদেরও বাঁচানো যাবেনা (বামপন্থা তো একধরণের পন্থা, যার মধ্যে একটা হল মার্ক্সবাদ, সেটাও কি সেক্সিস্ট বলা যায়?)
  • সমালোচক | 237812.68.674512.247 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৫৯51237
  • @ঈশান, আমার ৫ বছরের পুরোনো স্যামসাং ঝুলল না, আপনার নতুন ফোন ঝুলে গেল? আপনার ক্লোজেস্ট লোকেরা ছাড়া একজনও বলতে পারবে তার ফোন ঝুলে যাচ্ছে? নিজের সাইটে পাওয়ার এক্সারসাইজ করবেন তার জন্যে এরকম ছেঁদো এক্সকিউজ দেওয়ার দরকার নেই তো। সোজা বলুন, ফেসবুক থেকে কনভার্সেশন সাইটে কপি পেস্ট করার অধিকার সবাইকে দেওয়া নেই বা গুরুর গ্রুপ ছাড়া ফেসবুকের অন্য কোথাও থেকে কপিপেস্ট এখানে অ্যালাউড না, বা এটুজেড যেমন বললেন পাবলিক পোস্টের পাবলিক কমেন্ট কপি করলেও নেটিকেটে আটকাচ্ছে বা কিছুই নয়, আপনার পছন্দ হয়নি।

    অনমিত্রের লেখা, বা অনিন্দ্য-র মন্তব্য সবই ফেসবুকে চলা যে মন্তব্যপরম্পরার রিঅ্যাকশন সেটা পড়া না থাকলে এই বিষয়ে এনগেজ করা নিতান্ত বোকাবোকা ব্যপার।

    প্রায় ঘন্টা দেড়দুয়েকের পরিশ্রম উড়িয়ে দিলেন। প্রতিটি কমেন্ট এক্সপ্যান্ড করে, গোটা আলোচনা দুইখান আরেকবার রিট্রিভ করা সম্ভব নয়।

    ভালো। অ্যাডমিন নির্ভর ব্যক্তিগত সাইট যে নৈর্ব্যক্তিক হওয়া সম্ভব নয় সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন।
  • সিএস | 236712.158.676712.216 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:০১51238
  • ন্যাড়াবাবু, আপনার প্রথম প্রশ্নর উত্তর, সিএস সংক্রান্ত, হ্যাঁ। ঃ-)

    আর দ্বিতীয় প্রশ্ন, সন্দীপনের উপন্যাস সংক্রান্ত, না, সেরকম মনে করিনা। কিন্তু একটু সময় লাগবে, বিশদে লিখতে। ছোট করে বলতে গেলে এরকম যে আজ নয়, সে বিশ বছর আগে আমার প্রথম অফিসে এক কলীগকে সন্দীপন পড়িয়েছিলাম। প্রতিক্ষণের 'পঞ্চাশটি গল্প" সে সময় নিয়ে পড়েছিল এবং আমি বুঝেছিলাম যে তা মাথাটি অল্প হলেও চঞ্চল হয়ে পড়েছে। তারপরই তাকে প্রতিক্ষণেরই উপন্যাস একাদশ বইটি দিই, কিন্তু সে এক রাতের মধ্যেই বইটি পড়ে ফেরত দেয়। এবার বুঝতে পেরেছিলাম যে, সন্দীপনের উপন্যাসের ওপর যা একটা বড় অভিযোগ যে উনি সেখানে ওনারই গল্পগুলিকে রিসাইকেল করেছেন, ফ্রেজ আর দৃশ্য আর চরিত্র সহ, অতএব গল্পগুলি পড়া হয়ে গেলে, উপন্যাসগুলির মধ্যে আর নতুনত্ব খুঁজে পায়নি, আমার ঐ কলীগটি। আমার বক্তব্য, গল্পগুলিতে, সৃষ্ট চরিত্রগুলিকে নিয়ে যা লিখেছেন সেগুলি থেকে সময় আর মধ্যমিত্তমদির জগত উঠে আসে, সেইদিক দিয়ে গদ্যের যা কাজ সেটা করিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু উপন্যাসে এসে, হিরোসিমা উপন্যাসের পরেও ঐ একই রকমের চরিত্রগুলিকে নিয়েই, একই রকমের ঘটনা বা বর্ণনা ব্যবহার করেও ক্রমাগত ভ্যারিয়েশনের কাজ করে গেছেন। লক্ষ্য যেন একটাই যে আশি আর নব্বইয়ের দশকে যখন গতরজব্দ উপন্যাস আর সিরিয়াল সাহিত্যের রমরমা , তখন কম্প্রোমাইজ না করে, হাতে যা আছে তা দিয়ে, গদ্য-কবিতার মাঝামাঝি একটা ভাষা দিয়ে বড় সঙ্গীতকারদের মত (আমার মনে থাকছে পস্চিমের সঙ্গীতকারদের কথাই) ক্রমাগত কাজের মধ্যে অদলবদল ঘটিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়বস্তুর নিরিখেই, কলেরার দিনগুলিতে প্রেম, রুবি কখন আসবে, কুকুর সম্বন্ধে দুটো-একটা কথা, এখন জীবন অনেক সতেজ স্বাস্থ্যে ভরা, এসো নীপবনে ইত্যাদি উপন্যাসগুলি একই রকম বলতে পারিনা। সন্দীপন শুধুই কৃৎকৌশল, এরকম একটা কথা দীর্ঘদিনই, কিন্তু বিষয়টা দেখবে না, এরকম একটা কথা সন্দীপনের দিক থেকেও ছিল, বিশেষ করে উপন্যাসগুলি নিয়ে।

    এটা আপতিক নয় যে 'এসো, নীপবনে' উপন্যাসটিতে লোকেশ চরিত্রটি, সে যার হাতে খুন হবে সেই জয়ীতাকে বলেছিল যে সে প্রেমিকা হলেও তার কন্যাসমা, আর ঐ উপন্যাসের আরো কয়েক বছর পরে, শেষের দিকে এসে, 'স্বর্গের নির্জন উপকূল' উপন্যাসের গল্পটিই ছিল মেয়ের হাতে বাবার খুন হয়ে যাওয়া নিয়ে। যেন 'এসো, নীপবনে' উপন্যাসটি লেখার পরে, থীমটি বাকি রয়ে গেছিল, সেটি শেষ হল পরের উপন্যাসটিতে। একে রিপিটেশন বললে তাই, কিন্তু আমি বলি ভ্যারিয়েশন। এবং এও থাকে যে 'এসো, নীপবনে' ফ্রেজটি রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস হয়ে উঠেছিল - যে শান্তিরঞ্জন, চল্লিশের দশকের ল্বেখক, সন্তোষকুমারের সমসাময়িক, অতি অল্প-পঠিত, কিন্তু সন্দীপনদের প্রন্জন্মের কাছের লেখক, মোটামুটি কম বয়সে মারা গেলে সন্দীপন শ্মশানযাত্রীও হয়েছিলেন - সেই উপন্যাসে নারী পুরুষের এক ত্রিভুজের কথা ছিল যা সন্দীপনের হাতে আবারও ফিরে আসবে বলে মনে করি।

    (বানান ভুল থাকতে পারে, আগের পোস্টে ছিল, আশা করি বোঝা যাবে।)
  • Ishan | 236712.158.451223.119 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:২৮51239
  • কমেন্ট ওড়েনি। হাইড করা আছে। কীভাবে পাঠাব জানাবেন। অ্যাডমিনগিরির ব্যাপারই নেই।
  • সিএস | 237812.68.674512.103 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৪৮51232
  • মনে রাখবেন, সন্দীপনের নামটিও আসল নাম নয়, জন্মদত্ত নামটি বদল করে সন্দীপন নামটি নিয়েছিলেন কম বয়সেই এবং সেই নাম কেউ ব্যবহার করুক বা বলুক, চাইতেনও না। অর্থাৎ 'সেল্ফ' নিজেরই নির্মাণ, সন্দীপনের ক্ষেত্রে একটি সচেতন ক্রিয়া। চরিত্র তো একটিই যা আমি, যার বিবিধ নাম, বিজন, রাজমোহন, অংশু, মহেন্দ্র, প্রতুল, অবিনাশ, এরকম কথা সন্দীপন প্রায়ই বলতেন। প্রতি দশকে এক একটি নাম আসে যার মধ্যে দিয়ে দশকগুলিকে দেখে নেওয়া যায়, যারা সন্দীপন নামক লেখক্চরিত্রটির পার্সোনা (জীবনানন্দেরও যেমন, সুবিনয় মুস্তাফি, লোকেন পালিত, মাল্যবান, হেম, সুতীর্থ), যার লেখল চরিত্রটি থেকে নিজেদের অবয়ব পাচ্ছে, তাদের 'সেল্ফ' তৈরীর মাধ্যমে আবার এই চরিত্রগুলির মাধ্যমে সন্দীপন, অ্যাজ এ লেখক, সেই ব্যাপারটিও গড়ে উঠছে, লেখক ও চরিত্রদের মধ্যে এই যাতায়াত বাংলা ভাষায় একমাত্র জীবনানন্দের ক্ষেত্রে হয়েছে বলে মনে করি।

    সন্দীপনের ডায়েরিও আমি অনেকাংশে বানানো বলে মনে করি। ঠিক যেমন ভাবে কাফকার ডায়েরিও, বানানো। অর্থাৎ, য ঘটেছে সেগুলিকে নথিবদ্ধ করার বদলে অভিজ্ঞ্তাগুলিকে "লিখিত" রূপ দেওয়াই প্রথম উদ্দেশ্য যেন, শব্দ আর বাক্যগুলিকে ঠিক্ঠাক বসানো। আর এই যে চিঠিত, সুনীল নিজেই চিঠিগুলির অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এক সাক্ষাতকারে, তদুপরি এই বলেছিলেন যে চাইবাসা পর্বে তাঁরা যেসব জায়গায় যেতেন, সন্দীপন অনেক সময়েই থাকতেন না, এও ছিল সুনীলের মত। উপরন্তু এও, যে সন্দীপন হয়ত সেইসব জায়গায় সুনীলদের সাথে থাকতে চাইতেন।

    শুধু কিন্তু সন্দীপন নামে ব্যক্তি চরিত্রটির সেল্ফটিই বানানো হচ্ছে না, তাহলে তিনি বিশেষ লেখক হতেন না, আসল উদ্দেশ্য তো নিজেকে ব্যবহার করে, মধ্যবিত্ত এক everyman-কে তৈরী করা, সন্দীপনের সারা জীবনের লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য, যদি সেরকম কিছু থেকে থাকে, এও আমি মনে করি। প্রমাণ হিসেবে, শেষের দিকে লেখা "ফুটবল খেলার শব্দ" নামে গল্পটি, উৎসাহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
  • সিএস | 237812.69.453412.8 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:১১51233
  • তবে ঠিক করেছি যে এবার থেকে নারায়ণ সান্যাল পড়াই সেফ। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত মিয়ে দশকর্মা ভান্ডার টাইপের প্রচুর বই লিখেছেন, সেগুলিই পড়াই ভাল, যেমন জীবনানন্দ না পড়ে সজনীকান্ত, এনারা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের অধঃপতনের ব্যাপারে খুবই চিন্তিত, সেই কবে থেকে !
  • গোদা প্রশ্ন | 236712.158.453412.57 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৭51240
  • অনিন্দ্যবাবু লিখেছেনঃ
    "বেশি লিখে ফেললাম - আদতে প্রশ্নটা হল - ব্যক্তি লেখক কেমন তা সাহিত্য সমালোচনার অঙ্গ নয় - কিন্তু সাহিত্য সমালোচনা ব্যক্তি লেখকের অন্যায়ের প্রতি কি স্টান্স নেবে? উদাসীন থাকবে? আমার কাছে resolved উত্তর নেই।"

    অন্যায় বলতে এখানে কোন অন্যায়ের কথা বলতে চাওয়া হচ্ছে? মলেস্টেশন এবং রেপ আইনি অর্থে ক্রাইম। অপরাধ। তার সাথে লেখক, অলেখক, লেখা, সাহিত্য সমালোচনা - কোনোকিছুরই যোগাযোগ নেই। যে-ই করে থাকুন প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেন। মারা যাওয়ার পরে এরকম অপরাধের তথ্য প্রমাণিত হলেও অপরাধ অপরাধই থাকবে। সাহিত্য সমালোচকের একটা অপরাধের প্রতি হঠাৎ চোখ বুজে থাকার প্রয়োজন কেন পড়বে, বা দ্বিধা কেন হবে - সেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হল না। কিন্তু এক্ষেত্রে এই মলেস্টেশন নামক অপরাধটির যে বিবরণ রয়েছে, সেটা আদৌ ঘটেছিল কিনা কেউ জানে না। জানা সম্ভবও নয়। উল্লিখিত চিঠিটি যেহেতু তসলিমা নাসরিনের আমার মেয়েবেলার মত আত্মজীবনীর অংশ বলে লেখকের দিক থেকে দাবী করা নয়, তাই তা কতটা সত্যি, কতটা ফিকশন কেউ জানে না। কাজেই এই চিঠিটি নিয়ে এটুকুই একজন র‌্যাশনাল মানুষ বলতে পারে যে এটা সত্যি হয়ে থাকলে কিন্তু অপরাধ হয়েছে। কেউ আরও এক পা বাড়িয়ে বলতে পারেন 'আমার মনে হয় এই চিঠিতে যা উল্লেখ আছে সেগুলো সত্যি'। কিন্তু সেটা তাঁর মনে হওয়া। এটুকুই। পিরিয়ড। এরকম স্পেকুলেশনগুলো গসিপের অংশ হতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত রাগী রাগী সিরিয়াস ভঙ্গিতে একখানা গম্ভীর অ্যানালিসিস জাস্ট একটা স্পেকুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নামিয়ে দিলাম - এ কোনো সুস্থবুদ্ধির মানুষের কাজ হতে পারে না। যাঁর কিছু প্রমাণ করার এজেণ্ডা থাকবে, বা বাজার গরম করার, অথবা নিতান্ত নির্বোধ, তাঁর কথা আলাদা। তিনি সর্বদাই রজ্জুতে সর্প দেখবেন।

    এবার প্রশ্ন হল, তাহলে সাহিত্য সমালোচনার সাথে সম্পর্কিত অংশ কোনগুলো? সেটা হল ঐ সেক্সিজম, মিসোজিনি - ইত্যাদি। অর্থাৎ একজন লেখকের লেখনশৈলীর মধ্যে যদি এইসব প্রবণতাগুলো দৃশ্যমান হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই সাহিত্য সমালোচনার অঙ্গ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এগুলো কি অপরাধ? সুবিধাবাদ, কুচুটেপনা, অন্যকে হেয় করার প্রবণতা, বাড়াবাড়ি ইগো, এলিটিজম - এরকম ধরণের হরেক নেগেটিভ গুণাবলী মানুষের থাকে। প্রতিটা রিয়েল, রক্তমাংসের মানুষই (ফেবু প্রোফাইলের 'আইডিয়াল' সামাজিক ন্যয়যোদ্ধাটি নয়) এরকম কোনো না কোনো (এক বা একাধিক) খারাপ গুণ নিয়ে চলে। সেক্সিস্ট প্রব্ণতাও সেরকমই একটি অনাকাঙ্খিত, কিন্তু বাস্তব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যমাত্র। সমাজের কেবলমাত্র একটি ক্ষুদ্র প্রগতিশীল বাবলের মধ্যে সেক্সিস্ট প্রবণতাকে অন্য সমস্ত নেগেটিভ গুণাবলীর থেকে বেশি নেগেটিভ স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে ইদানিংকালে। যদিও সেই ক্ষুদ্রাংশের বাইরে ব্যাপক মানুষের কাছে অভদ্রতা, মিথ্যেভাষণ, দলবাজি, কুচুটেপনা - এরকম আরও বহু নেগেটিভ গুণাবলী অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। এই প্রগতিশীল ক্ষুদ্রাংশের কাজ ছিল সেই বৃহদংশের মানুষ, যাঁদের সেক্সিস্ট প্রবণতার বোধ স্পষ্ট নয়, তাঁদের সেই প্রবণতা সম্পর্কে আলোকিত করা। কিন্তু প্রগতিশীলতার তুলনায় প্রগতিশীলতার প্রদর্শন (প্রিটেনশন) যে যে মাত্রায় এই ক্ষুদ্রাংশের কাছে গুরুত্ব পেতে পেতে গেছে, সেই সেই মাত্রায় 'দেখো আমার সেক্সিজমকে চিহ্নিত করার দক্ষতা কত বেশি' এই অলিখিত দেখনদারির মধ্যে পুরো বিষয়টা গিয়ে পড়েছে। এবং এতে করে অন্য যেসমস্ত নেগেটিভ চারিত্রিক গুণাবলী বৃহদংশের কাছে ম্যাটার করে, এই প্রগতিশীল ক্ষুদ্রাংশ সেগুলোকে ইগনোর করতে এবং ইমবাইব করতে শিখেছেন। ফলে সময়েরে ফেরে সেক্সিজম হয়ে উঠেছে নেগেটিভিটির প্রায় একমাত্র মাপকাঠি এবং তা হয়ে উঠেছে অপরাধসম। এবং পাশাপশি বেড়ে উঠেছে অন্যান্য খারাপ গুণগুলোর প্রতি একধরণের নিস্পৃহতা এবং সেগুলোকে চিহ্নিত করতে পারার অক্ষমতা। ভেবে দেখবেন, সহজ বুদ্ধিতে এটাই বলে যে উত্তম, মধ্যম বা প্রথম পুরুষে কোনো লেখক যদি সুবিধাবাদ, বা কুচুটেপনার মত কোনো নেগেটিভ গুণাবলীকে লেখায় খুলে মেলে ধরতেন, তাহলে সেই অকপটতা প্রশংসিত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হত। সেখানে সেক্সিজম বলেই তার খোলামেলা প্রকাশকে নিন্দার যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি মলেস্টেশন বা রেপের মত অপরাধের সাথে খানিকটা গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে, একই স্ট্যাটাস দিয়ে ফেলা হচ্ছে। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই আপনি দেখতে পাবেন, এমন একটি 'আলোকিত' প্রজন্ম আমরা পেয়েছি, যারা নিজেদের সেক্সিজম নিয়ে হয়ত সত্যিই কুন্ঠিত, কিন্তু কুচুটেপনা এবং দলবাজি নিয়ে গর্বিত, বা বলা যায় সেগুলোকে চিহ্নিত করার বোধ তারা হারিয়েছে। তাই প্রথমটিকে তারা গোপন করতে চায় ঘরের কার্পেটের নিচে, আর দ্বিতীয়টির উদযাপন চলে অজান্তে। একই সঙ্গে। পাশাপাশি।
  • সমালোচক | 237812.68.454512.252 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৮51243
  • একটাই তো ফিরিয়েছেন কেবল !! অন্য পোস্টের জন্য পাওনা বাকি আদ্ধেক গাল তো বাকিই রয়েছে।
  • গুরুচণ্ডা৯ | 237812.68.90056.107 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২৭51241
  • নিন ফিরিয়ে দিলাম। পারলে এবার একটু ভেঙে দিন। আর গাল দেবেন না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন