এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৩৮ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 183.21.199.39 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪২52337
  • দারুন নাচেন বলতে থাঙ্কমনি কুট্টি আর রন্ধনে জুলিয়া চাইল্ডের কথা বলিনি। এখানে সাধারণ মানুষের কথা হচ্ছিলো ভেবেছিলাম। আমার পাড়ার বৌদি যিনি মমতাশংকরের কাছ দশ বছর নাচ শিখেছেন বলে কলার তুলে সব স্টেপিং ভুল গেছেন বলেন, তার গর্বের কারণ তিনি নাচ 'জানেন'। আমার আপত্তি এখানে। যিনি চমৎকার রাঁধেন তাকে সেই একই জায়গায় বসিয়ে দেখতে অসুবিধে কিসের?
    বাড়ির কাজ করা মহৎ কাজ নাই হতে পারে, নিতান্ত ফেলনা ই বা কেন হবে? ছত্রে ছত্রে যা অনেকের লেখার মধ্যেই ফুটে বেরোচ্ছে সেটা হলো একটি বিশেষ সেটের জন্যে,তাদের কাজের জন্যে অসম্ভব অবজ্ঞা। কেন?

    নিজেদের পরিমন্ডলেই দেখি, সংসার করে নিজেকে ফুরিয়ে ফেলেছে,বাকি সব চুলোয় গেছে। চাইলেই তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারিনা। আমার ই অক্ষমতা হবে।দিনের শেষে যদিও জানি ,সব পরিমাপই টাকায় গিয়ে শেষ হবেঃ)
    সেই জন্যেই নিজের বাড়ি থেকে সংস্কারের কাজ শুরু করুন। ছোট ছেলেমেয়েদের কাজে লাগান। অন্যদের উৎসাহ দিন।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৩52338
  • হয়তো আপনি ঠিক। কিন্তু ভারতের মতন দেশে যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় প্রচুর বেশি লেবার সেখানে সুযোগ তো কম হবেই। আর আমি এই লড়াইয়ের থিওরিতে খুবেকটা বিশ্বাস করিনা। দুর থেকে বলা খুব সহজ। কিন্তু নিজেকে যখন ফেস করতে হয় তখন বুঝি যে ঐসব বইয়ে লেখা নীতিবাক্যগুলো সফল লোকেদের গ্যানের ঢেকুর।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৭52339
  • গৃহবধূ পরিমণ্ডলে বা ইন জেনেরাল বেশিরভাগ পরিবারে, সংসারে তো বরম দেখি রান্না ভাল করা, গুছিয়ে পরিপাটি করে সংসার করারই অনেক বেশি কদর, চাহিদা, এখনো। মেয়েদের জন্য। গৃহকর্মেনিপুণা ঘরোয়া মেয়েদেরই।

    যাহোক, এটা তর্কের জন্য বলা নয়, যা মনে হয় পরে আরেকবার গুছিয়ে বলার চেষ্টা করব, এটা একটা অবজার্ভেশন, সেটা বলে গেলাম।
  • | 24.97.96.189 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৯52340
  • পাইয়ের পোস্টের প্রেক্ষিতে, এই সমালোচনা বা বিরুদ্ধমত কেন রাখা হচ্ছে--এই টোন খুব স্পষ্টভাবে এসেছে। ব্যক্তি পাই, ব্যক্তি দ বা ব্যক্তি দে কী কেন বলছে এইটা বারবার এসেছে, এতে এদের বক্তব্য যে কাঙ্খিত নয় সেইটাই স্পষ্ট মনে হয়েছে আমার।

    এই লেখক এককালে লিখেছিলেন মস্তিষ্ক খাটিয়ে যেমন আমরা রোজগার করি সেরকম শরীর খাটিয়ে রোজগার করাটাকে কেন ছোট চোখে দেখি ---- গুরুতেই আছে সেই লেখা। তো সেই তাকে সন্তানধারণের মূল্যমান স্থির করতে চাইছেন কিনা এই প্রশ্ন করলে যদি 'আপনি প;রথম থেকেই কেমন দিলাম' ম্নোডে আছেন' টাইপের ব্যঙ্গ ধেয়ে আসে তাহলে আমার তরফ থেকেও পাল্টা ব্যঙ্গ থাকবে।
    থাকবেই।

    আর গৃহ নামক ইউনিটের ভেতরে সন্তানধারণও একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। আমারা দেখেছি গৃহের বাইরে এর আর্থিক মূল্যও আছে। তাহলে সেটিকে এই মুহূর্তে পেমেন্টের আওতায় রাখা হচ্ছে, না হচ্ছে না, না হলে কেন হচ্ছে না সে প্রশ্ন আমার রয়েই গেল।
  • pi | 192.66.26.68 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৪52365
  • এক এক অন্য পয়েন্টগুলো নিয়ে পরে লিখবো, কিন্তু তার আগে জানা দরকার সোসেন কিম্বা দেদি কোথায় বলেছে ঘরের কাজ একজনের ফুলটাইম ঘরে থেকে করার মত অপরিহার্য ? আবারো বলছি, ঘরের কাজের কোন চাপ নেই বা ঘরের কাজের কোন দরকার নেই, এজাতীয় কোন মন্তব্য আমি করিনি, তাই পাই বলেছে ঘরের কাজের চাপ নেই, একথা কীভাবে কেন এসেছে আমি জানিনা। এখন যা বোঝানোর চেষ্টা করলে তাতে সম্পূর্ণ আরো গুলিয়ে গেল।
    আর তুমি যাদের কথায় সহমত হয়েছো, তাঁরা ঘরের কাজ ভাগাভাগি ক'রে করতে বলেছেন, বাইরে কাজ করলে, এরকম কথাই আমিও আগে বলেছি বলেই তুমি বলেছো দেখলাম। একজন বাইরে কাজ করবেন, অন্যজন ঘরে থাকবেন, সেক্ষেত্রে ঘরের কাজ ভাগাভাগি ক'রে করার মডেল নিয়ে সোসেন, দে ও বলেছে বলে বুঝিনি। দে দি লিখেছে, বাইরের চাকুরিরতা মেয়েদের ঘরে বাইয়ে দুটোতেই চাপ পড়ে। সেটা তো ইন জেনেরাল একশোবার ঠিক, আমাদের দেশের কন্টেক্সটে। আমি এই নিয়ে দেদির সাথে তর্কে যেতে যাবো কেনই বা খামোখা ? এখানে আমরা সবাই বলছি, দুজনে বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ ভাগাভাগি ক'রে নেওয়া উচিত, নইলে মেয়েরাই ঘরের কাজ করবে, এরকম ভাবনা থেকে মেয়েদের উপর চাপ অনেক বেশি পড়ে। আবার তার মানে এটাও না যে ঘরের কাজের এত চাপ থাকবে যে তার জন্য একটি মেয়ে বা ছেলে ( পরে এখানে ঘরকন্যাদের জায়গায় হাজব্যাণ্ডকেও বসানোর দাবি প্রথম টইতে আলোচনার পর এখানে আলাদা ভাবে মেনশনড হয়েছে, আর হ্যাঁ, আমি আজকের পোস্ট এ এই সংযোজনে এখানে আলোচনার ভিত্তিতে ওয়েলকাম মডিফিকেশন বলতে এই অংশটি বুঝিয়েছিলাম, প্রথমবারের লেখায় পুরোটাই ছিল 'ঘরকন্যা' নিয়ে) কে ঘরে থেকে সারাদিন সেই কাজ ক'রে যেতে হবে, তার জন্য বাইরের কাজ তারা করতেই পারবে না। অপরিহার্য বলতে আমি এইটি বুঝিয়েছি, এন +১ তম বার বললাম, ক্ষীণ আশা আছে এবারে বোঝাতে পারবো।
    এবার অপরিহার্য যখন আমি সত্যি মনে করিনা তো কী বলব রে বাবা ? সেতো অনেক কাজই কাজ হিসেবে অপরিহার্য মনে করিনা ! তো, তার মানেই সেই কাজকে অসম্মান করা নাকি ! বা কারুর চয়েজকে ? সারাদিন ঘরে থেকে কাজ করে যাবার মত অপরিহার্জ নয়, অন্য কারুর হেল্প নিয়েও করা যায় বা বাইরে কাজ ক'রে শেয়ার ক'রে, এটা বলা মানে অসম্মান করা হলে, সেটা নিতান্ত তোমার ব্যাখ্যা, আমার নয়, সেটার দায় দয়া ক'রে আমার ঘাড়ে চাপিও না, আর আমার আদতে ইন্টেনশন অসম্মানের এসব ও বসিও না। এমনকি ঘরের কাজের বিলকুল কোন দরকার বা চাপ নেই বলে মনে যদি করতাম সেক্ষেত্রেও কেউ গৃহবধূ বা বর হলে তাঁদের চয়েজকে আমি সম্মানই করতাম। নিজের ব্যক্তিগতভাবে সেটা করতে, সেভাবে চলতে খুব অস্বস্তি হলেও, আপত্তি তাকলেও। আমি মানুষের চয়েজ ও সেইমত চলার অধিকারে বিশ্বাস করি। এবার এটা যদি কাউকে করতে ফোর্স করা হয়, মেয়ে হলে বাইরে কাজ করতে না দিয়ে ( যেটা বহু বহু ক্ষেত্রে ঘটে থাকে), বা কাজ করতে চাইলেও চাকরির অভাবের কারণে বা অন্য কিচু করার সুযোগের অভাবে এটা করতে বাধ্য হলে, সেক্ষেত্রে সেই নিয়েও আপত্তি তুলতাম।
    চয়েজ বলতে আমি উভয়তঃ চয়েজ বুঝি, বিবাহ, সংসার বা কোন ফর্মে একসাথে থাকার ক্ষেত্রে। মিউচ্যুয়াল আণ্ডারস্ট্যান্ডিং। কেউ কোন কাজ না করেও ঘরে থাকতে চাইলে , আর সেটা নিয়ে পার্টনারের কোন অসুবিধে না থাকলে, আমি বা রাষ্ট্র কোথাকার কে তাই নিয়ে এটা কোরো, সেটা কোরোনা বলে নিদান হাঁকার ? কিন্তু একপক্ষকে অন্য পক্ষ ফোর্স করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করলে অবশ্যই বলার থাকে। বা রাষ্ট্র কাজ চাইলে দিতে না পারলে, সেই নিয়েও দাবিদাওয়া তোলার থাকে। কিন্তু এখানে সেইসব কেস আনাই হয়নি। আনলে অনেক কিছু আলোচনায় আসতো । এইরকম কেসের ক্ষেত্রে আমি ছোটাইদির মডেল, এই সব মেয়েরা বাইরে কাজ করলে কত পেতে পারতেন, সেইরকম হিসেবে একটা ভাতা বা কমপেনসেশনের কথা তাও ভাবতে পারি। এক্ষেত্রে মনে পড়লো, কেউ বেকার ভাতা তোলার কথায় স্বর্ণেন্দু বোধহয় বলেছিল, এই তুলনা আসেনা, বা আসতে পারে খালি সেসব ক্ষেত্রেই , যেখানে কেউ বাইরে কাজ করতে চেয়ে অন্য কিছুর চাপে কাজ করতে পারছেন না বা কাজ পাচ্ছেন না। এই সেটটাকে প্রথম থেকেই আলাদা করে নিলে এত আপত্তি হয়তো উঠতো না। এই সেটের জন্য
    আমি সত্যি ই এটা একটা সমস্যা মনে করি, এবং কিছু সমাধান চাই।

    কিন্তু অন্য সেট, মানে কেউ স্বেচ্ছায় বাইরে কাজ করতে না চাইলে, কাজ পেয়েও বা কাজ করার মত কোয়ালিফিকেশন থাকলেও ( মানে মোটামুটি কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী কাজ থাকলেও বা পেলেও বলছি) , সেখানে কেউ ঘরে থেকে ঘরের কাজ করলে কেন তাঁকে বাইরে কাজ করলে কী পেতে পারতেন সেই অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে বুঝতে পারিনি। যেটা বুঝেছি, সেটা আগেও বলেছি, দু'জনের একসাথে থাকার ব্যাপার, সেখানে বিয়ের আগে ঠিক কেন দুজনের কে কী চায়। সংসারের টাকা, আমার তোমার, আলাদা আলাদা এই ব্যাপারটাও ঠিক বুঝিনা। রোজগারের টাকা ( সে একার হোক, , দোকার হোক) দু'জনে মিলে, দুজনের ও পরিবারের অন্যদের জন্য খরচ হবে, বেসিক ব্যাপার এটাই বুঝি।
    বিয়ের আগে থেকেই কেউ চাকরি করতে চায়না জানালে বা অন্যজন চায়না বউ করুক বলে, তাতে বউয়ের কোন সমস্যা না থাকলে , সেটা তাদের ব্যাপার। খরচটা সংসারের সবার জন্যেই হবে, এই ধারণা, নর্মটা চালু হোক না, অসুবিধে নেই তো। রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দেবার দরকার আছে ?
    চয়েজে বিশ্বাসী বলেই আমি এসব ক্ষেত্রে কোনকিছু বাধ্যতামূলক করারও বিপক্ষে। সে বাইরে কাজ করা হোক কি ঘরেতে ৫০-৫০। কিন্তু কারুর এক্সপ্লয়েটেশন না হয়ে মিউচ্যুয়াল আণ্ডারস্ট্যান্ডিং এ হচ্ছে, এরকমই চাইবো। তবে প্রতি কাজেই বিভাজন থাকুক, এমন না চেয়ে ওভারঅল একটা শেয়ারিং থাকবে, এমনটা চাইবো।
    এবার কেন, ১। সারাদিন ধরে ক'রে যাবার মত অপরিহার্য নয় মনে করছি বা ২। অপরিহার্য বলে এইভাবে প্রোজেক্ট করাতে আশঙ্কিত হচ্ছি , আগেও বলেছি, বোঝানোর চেষ্টায় এন + ১ ও শেষতম বার।

    ১। কারণ, এরকম না করেও অনেকেই চালাচ্ছেন। এতে মেয়েটির উপর বেশি চাপ পড়ছে, সেই পয়েন্টটাকে এই ঘরের কাজ কাউকে এক্সক্লুসিভলি করে যেতেই হবে তার ফেভারে যাচ্ছে না গিয়ে বরম ভাবতে বলব ঘরের কাজ অন্যে শেয়ার করছে না বলে চাপ পড়ছে, করলে পড়তো না।
    বাইরে অনেক কাজ থাকলে গৃহসহায়িকার সাহায্য নেওয়া যায় ও অনেকেই নেন। তো, তাঁরা কেউ ঠিকঠাক সংসার করছেন না, ঠিকঠাক চালাচ্ছেন না, এটা বলা তাঁদের অসম্মান করা নয়, আমি পাল্টা এই প্রশ্নটা করি ? অবশ্য জানিনা, উত্তর পাবো কিনা।
    আগেও অনেক প্রশ্নের পাইনি। এদিকে কেন প্রশ্ন করছি, তাই নিয়ে প্রশ্ন শুনে যাচ্ছি। কেউ কোন মডেল পেশ করলে, তাই নিয়ে সমস্যার জায়গা থাকলে তো সেগুলো প্রশ্নের ফর্মেই প্রথমে আসবে। সেগুলোকে মডেলপেশকারী আকনলেজই না করলে , বা প্রশ্ন করলেই কেন তুমি কিছু সাজেশন দিলে না ( দিলেও সেটা পছন্দ হচ্ছে না, মডেলে ফিট করছে না বলে), উল্টে প্রশ্ন করলে বলে অভিযোগ অনুযোগ করলে তো মুশকিল। ঐ যে এফেক্টিভ আলোচনা হতে পারছেনা বলে কথা উঠলো এখানে, আমি তো মনে করি সেটার অন্তরায় এগুলো।
    আর হ্যাঁ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট অব বাইরের কাজ, আমি সবরকম গৃহকাজকে এমনিতেই করা মাস্ট মনে করিনা। আবার করার কোন মানে নেই, এমন নিদানও হাঁকিনা। অনেক আগের পোস্টেই লিখেছিলাম, কোন কাজ দরকারি, কোনটা নয় , সেট খুবই সাবজেক্টিভ। কারুর কাছে রোজ বিছানা পাটপাট করে রাখা, ঘরদোর ঝাঁ-চকচকে ঝকঝকে তকতকে করে রাখাকেই আদর্শ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় মনে হবে, তো আরেকজন কারুর সেটাকে শুচিবায়ুগ্রস্ততা মনে হতে পারে, আবার দ্বিতীয়জনকে প্রথমজনের নোংরার বেহদ্দ মনে হতে পারে। কারির দশ রকম পদ না হলে ঠিক করে খাওয়াই হল না মনে হতে পারে তো কারুর দু তিন পদেই দিব্বি চলে যেতে পারে। কারুর পরিপাটি ক'রে রান্না ক;রে রান্নাঘর না গুছোলে চলবেই না তো কারুর কাছে সেটা অগোছালো হয়ে থাকলোএ কিছু আসে যায়না।
    তো, এগুলো বহু ক্ষেত্রেই সাবজেক্টিভ (সংসার নামক ইউনিটের ক্ষেত্রে, আবারো বলছি সেগুলো মিউচ্যুয়ালি আলোচনা করা দরকার, নিজেদের আডজাস্টমেন্টের দর্কার)। কতটা মিনিমালি দরকার, কতটা অপটিমাম, এসবও তর্কযোগ্য। এসব নিয়ে এরকম কোন সীমারেখাই যেখানে টানা যায়না, সেখানে কীকরে এই পয়েন্টে একমত হব যে, দুজনে বাইরের কাজ করলে বা বাইরের কারুর সাহায্য নিলে সেটা 'ঠিক' করে করা হবেনা বা তা 'যথেষ্ট' নয় বা 'আদর্শ' নয়। বা এগুলো কিছুতেই একজনের হোলটাইম ঘরে থাকার বিকল্প হতে পারে না ?

    আর হ্যাঁ, অন্যদের ঘরের কাজ শেয়ার করার কথা প্রসঙ্গ এত বার আসে আর সেখানে এক পক্ষের ( মূলতঃ ছেলেদের), ঘরের কাজ শেয়ার না করা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসে বলে ( যার একটা বড় অংশ আমাদের দেশে একটা বিশাল অংশে ভ্যালিড), এটাও সইত্যের খাতিরে স্বীকার করা দরকার, কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু এই অভিযোগটা আসে এই সাবজেক্টিভিটির জন্য । একজন যতটা এবং যেভাবে হওয়া দরকার মনে করছেন, অন্যজন হয়তো সেটা করছেনই না। অন্যের জন্যই না নয়, নিজের জন্যও না। তিনি হয়তো সেটাকে সেরকম কাজ ই মনে করছেন না। এটাতে ( বোল্ড ও আণ্ডারলাইন, এই সাবসেটটাতে), এত গেল গেল রব তোলার কী আছে ? এটা তো দোষের কিছু না? চাহিদা ও পার্স্পেক্টিভ আলাদা হওয়া। আর তাই প্রত্যেকে বেসিক জিনিস করতে জানুক, শিখুক, করুক ঠিক আছে, কিন্তু কোন লেভেলে গিয়ে কতটা করা বাধ্যতামূলক বলব, বা না করলে অভিযোগ করবো, সেটাও ভাবা দরকার। মানে, এই নিয়ে সেট কোন গাইডলাইনই সম্ভব নয়। সবকিছু এতই সাবজেক্টিভ আর প্রত্যেক মানুষ এত আলাদা।

    ২। এটাতে আশঙ্কিত, কারণ এই কোন একজনের ফুল টাইম ঘরের কাজ অপরিহার্য বললে কি কারুর একজনের ( যেটা মেয়েদের ) ঘরে থাকা মাস্ট , বাইরে কাজ করা চলবেই না ( আটকে থাকার কথা আমি বলিনি, ওটা আমার কথার আরেক ভুল ইন্টারপ্রিটেশন), এটাই তো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাই এই কথাটা বলে অবিচ্ছেদ্য লেজুড় হিসেবে এই আশঙ্কা কেন আসবেনা, সেটা বহুবার বুঝতে চেয়েছি, সদুত্তর তো পাইনি, উল্টে প্রশ্ন করার জন্য বকা খেয়ে গেছি।

    তবে ছোটাইদির পোস্টে দুঃখ পেয়েছি। নাকি রাগই করবো, আমাকে রাগ করার জন্য অনুমতি দিয়েছে যখন ? ঃ)
    কেন, সে পরে লিখবো , হাঁস সন্দেশ পেলে কিনা ভেবে দেখবো ঃ)

    আরও বাকি কিছু কথা ছিল, বিশেষ করে গৃহপরিচারিকা নিয়ে কিছু মন্তব্যের ভিত্তিতে। আর এই মেয়েলি গুণের কদর না হওয়ার অভিযোগ নিয়ে। পরে।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৮52341
  • কী আশ্চর্য্য লড়াইয়ে বিশ্বাসী বলে লড়াই করে নাকি লোকে? এ কী হর্লিক্স নাকি? করতে হয় বলে করে, নিরূপায় হয়ে করে। আমি দূর থেকে কোন কথা বলি নি (বইপড়া তত্ত্বজ্ঞান নাই), নিজের কথা বললাম।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১১52366
  • তির্যককে,

    "টিমের মডেল বোধহয়, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন ঃ-))"

    না টিমের মডেল না, দ্রিয়ের মডেল। সাইটেশনে ভুল করবেন না।
    কার মডেল সেটার থেকেও বড়ো কথা, "মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন" ফ্রেজ। অর্থাৎ আপনার মতে এটা একেবারেই ধুর সলিউশন। এবং সেটা ভাবার অধিকার আপনার আছে। শুধু অন্যেরা আপনার মডেলকে ধুর বললেও সেই অধিকার তাদের আছে। এট্কুই।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৩52342
  • পাই, এস, টিম এর পোস্টের প্রেক্ষিতে ( এইটা দ র থেকে ধার করলাম কারণ দ কে রাগাতে চাই না, হাঁস সন্দেশ আজও ডিউ ঃ)) ...
    শ্মেষ ইত্যাদির কথা লিখ্লাম যখন তখন দুই পক্ষর কথাই লিখেছি। মত ও বিরুদ্ধমত দু তরফের কথাই লিখেছি।

    আসলে মাথার মধ্যে দুটো ব্যাপার ঘুরঘুর করল এই লেখা ও চাপান উতোর পড়তে গিয়ে-এক নম্বর হল ইফেকটিভ কম্যুউনিকেশন। দ্যাখেন, মত বিরুদ্ধমত থাকবেই। এই মডেল এ ফাঁক আছে। বস্তুত এই সমস্ত লেখা প্রকাশের বহু বহু আগে তির্যকের সঙ্গে আমার এই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল-আমার মূল বক্তব্য ছিল ইম্প্লিমেন্টেশন, দুই এতে আমরা এগোবো না পিছোবো আর তিন মেয়েদের বাইরে বেরোনোর জন্য কিছু এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ( চাইল্ড কেয়ার, ইত্যাদি) কতটা কি আছে আর চার এইর ফলে মেয়েরা বাইরে বেরোতে নিরুৎসাহিত হবে কি না... আর কি কি বলেছিলাম স্মরণে আসছে না। আরও কিছু ডেটার প্রয়োজন আছে এও হয়তো বলেছিলাম। তো, বলছিলাম, আমার বহুবিধ পাল্টা যুক্তি সত্ত্বেও কথাবার্তা চলেছিল, কেউ রেগে যাই নি, দক্ষিণাপনে দোসা খেয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম হ্যান্ডশেকান্তে। এর কারণ বোধ হয় প্রথমেই সমস্যাটা অ্যাড্রেস করেছিলাম। এখানে বহুসময়ই সেটা হয় নি। ফোরামে সেটা হয় না সব সময়। তাও মানি। কিন্তু ঐ ইফেকটিভ কম্যুউনিকেশন হল না অথচ হতে পারত জাস্ট সমস্যাটা আছে এটা মেনে নিয়ে বিরুদ্ধমত জানালেই/ বলার ধরণে।

    আর ঐ লাইনগুলো-'কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। '
    চাপান উতোর শ্ম্লেষ -ঐ মুখগুলো চোখের ওপর ভাসতে লাগল।
  • dc | 132.164.236.159 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১৮52367
  • "সংসারের টাকা, আমার তোমার, আলাদা আলাদা এই ব্যাপারটাও ঠিক বুঝিনা"

    এইটে সেই প্রথম দিন থেকে বলার চেষ্টা করছি ঃ) যৌথ দায়িত্বের সংসারে রিসোর্স শেয়ার করা (টাইম আর মানি), আর যৌথভাবে যে যার সুবিধে মতো কাজ শেয়ার করা, এই মনোভাব যদি ছোট থেকেই শেখানো যায় তো সেটাও একটা সলিউশান হতে আরে।
  • dc | 132.164.236.159 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২১52343
  • সমস্যা যে আছে এটা বোধায় এখানে অনেকেই মানে। আলোচনা, শ্লেষ ইত্যাদি এসেছে সমস্যার সমাধান বের করতে গিয়ে। তির্যক যেভাবে সমস্যাটা তুলে ধরেছেন আসলে সমস্যাটা আদৌ সেরকম কিনা, সমস্যার সমাধান, তার কার্যকারিতা, এসব নিয়ে অনেকেই নিজের নিজের মতো বলেছেন। তবে এখনো অবধি যা বুঝেছি, তির্যক নিজের সমাধান ছাড়া অন্য কারুর সমাধানকে তেমন গুরুত্ব দেননি, সমস্যাটাকে অন্য কোন ভিউপয়েন্ট থেকে দেখতেও চাননি। অবশ্যই ওনার সেই অধিকার আছে।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২১52344
  • আর বোধ হয় বলেছিলাম, বেতনক্রম কি ভিত্তিতে ঠিক হবে-গৃহপরিচারিকাদের যে বেতন দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী না এই মহিলা তাঁর যোগ্যতা ইত্যাদি অনুসারে গৃহের সময়টুকু বাইরে দিলে যে আয় করতে পারতেন তার ভিত্তিতে, কে বেতন দেবে এই সব আর কি। আর কিছু মনে পড়ে না। অনেকদিন হ'ল।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৩52345
  • শ্লেষ শ্লেষ শ্লেষ

    একটা ম কোত্থেকে আসছে
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫০52368
  • অনেকক্ষণ ধরে "ঘরের কাজ " কথাটা ব্যবহৃত হয়ে চলেছে । এই "ঘরের কাজ " জিনিস টা ঠিক কি কেও একটু বোঝান তো ।

    সবচে আশ্চর্যের যা : একটি দামড়া ছেলে , ধরা যায় একুশ বাইশ অবধি হোস্টেলে কাটালো , খেয়ে -পরে দিব্য বেঁচে রইলো তখন তার "ঘরের কাজ " কে করে দিতো ? ঠিক তার পরেই সে বিয়ে করছে এবং দেখতে পাচ্ছি তার কোটি কোটি "ঘরের কাজ " জেনেরেট করছে !!!! হাইলি সাসপিশাস ! এগুলো কি আদৌ কোনো কাজ নাকি "অধিকারবশত আলসেমি " ?

    জাস্ট ভেবে দেখুন , বাইরে থেকে সিস্টেম টাকে স্টাডি করলে কি মনে হচ্ছে ? একটা প্রাণী ডু ইট ইউওর্সেল্ফ মডেলে প্লাস কিছুটা আউত্সর্সিং (মেসে খাওয়া / ভুলুদার চায়ের দোকান ) ইত্যাদি দিয়ে যে সাস্টেইনেবল লিভিং চালাতে পারে এই মডেল টা প্রমানিত । হঠাত সেই প্রাণী টা একটা ম্যারেজ নামক সোশিও-সেক্সুয়াল কন্ট্রাক্ট এ ঢুকছে এবং তার পর থেকে তার "ঘর এর কাজ " জেনেরেট করছে যেটা করবার সময় -সুযোগ তার নেই , অন্যজন করবে !

    ধরা যাক এই "ঘর এর কাজ " জেনেরেট করার কিছু কারণ আছে । যেমন একটা হতে পারে ইন হাউস ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে কস্ট কাটিং করা , প্রডাকশন টাইম কমিয়ে আনা ইত্যাদি । এখন একটা ইন্স্তিতিউশোন এরকম হোম প্রডাকশন এর চাপ তখনি নেই যখন তার লং টার্ম ভিশন এবং বাজেট আছে । সেই কারণ এই লোকজন আজকাল বিয়ে করার আগেই ফ্ল্যাট -ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিন এসব গুদামজাত করে ফেলছে। সমাজ এর যে ক্লাস টা এইরকম প্রসেস এফর্দ করতে পারে তাদের হাতে টাকা আছে এবং তাদের এই বিয়ের পর জেনেরেতেদ "ঘরের কাজ " পুরোটাই আইদার আউট সোর্সদ অর অটোমেটেদ । বাড়িতে যিনি আছেন তাঁর কাজ জাস্ট একটা হাই লেভেল ম্যানেজমেন্ট চালানো যেটাও একেবারেই বিলেব্ল জব নয় । ফান্ড বেশি না থাকলে/ প্রপারলি অতমেতেদ হলে , পোস্ট টা কাটিয়ে দেওয়া কাম্য।

    এখন , সর্বর্ত্র ম্যানেজমেন্ট এ যা ঘটে ,সো কল্ড "ঘরের কাজ " এও তাই । যেহেতু নিজেকে বিলেবল প্রমান করার চাপ রয়েছে তাই চলে আসে প্রেসেন্টেশন , জার্গন , সফট -সেমি সফট -সুপার সফট এরকম নানা "স্কিল " :) তখন একই বেডশীট তেত্রিশ বার টান টান করে পাতা হয়। কালোজিরের এস্থেটিক্স , বাথরুমের দেয়ালে পোস্টার এর কানের কাছে নীল চামড়া , কমপ্লিটলি ফেইলীয়র প্রজেক্ট যেমন "কিচেন গার্ডেন " যা কিনা মাসের কাঁচালংকা ব্যবহারের টেন পার্সেন্ট উত্পাদন করতেও গত সাত মাসে সক্ষম হয়নি সেখানে আবার ফান্ডিং এর আবেদন।

    এই সো কোল্ড "গৃহশ্রম " নিয়ে এত হ্যাজ কিসের ? কিসের ই বা তাকে এত গ্লোরিফাই করার চেষ্টা ? এটার ফিফটি পার্সেন্ট হলো একজনের বেড়ে ওঠার পারসেপশন যে বিয়ে করার পর আর হোস্টেল লাইফের মত নিজের কাজ নিজে করতে হবেনা , অন্যে করে দেবে । আর বাকি ফিফটি পার্সেন্ট হলো আরেকজনের "লড়াই " একটা নন বিলেবল পোস্ট এ নিজেকে প্রুভ করার যে সেও কিছু করছে :)

    -------

    এবার এইগুলো বললেই ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্ন আসবে একটা অন্যদিকের গোলপোস্ট থেকে । সেটা হলো ওই যে লোকগুলো বন্গা লোকাল থেকে নাবলো সকাল ছ টায় আর ফিরছে শেষ ট্রেনে , তাদের বাড়িতে এইসব বড়লোকি আউট সোর্স , অটোমেশন কোথায় ? তাদের "ঘরের কাজ " তো সত্যি হাতে কলমে কাজ । কথাটা ঠিক । কিন্তু তাদের ম্যানেজমেন্ট টাও সোয়েট সপ ম্যানেজমেন্ট । ওখানে একটা মিনিমাম ফান্ড নিয়ে কর্মচারী কে এবিউস করে সারপ্লাস বাড়ানোই নীতি ।বউ এর শাড়ি কেনার চে বাচ্চার ইস্কুলের ফী জরুরি । যে লোক টা বনগা লোকাল থেকে ছটায় নাবলো তার মাইনের অর্ধেক কেন পুরোটা তার বউ এর হাতে তুলে দিলেও তাদের সমস্যার একচুল এদিক ওদিক হবেনা । নিম্নবিত্তের সংসার মানেই শোষণ, এবং যেভাবে হোক সারপ্লাস জেনেরেশনের চেষ্টা জারি রেখে যাওয়া। তাদের ওই চক্কর থেকে বেরোতে গেলে , দুজন কেই কিছু না কিছু অর্থকরী কাজ করতে হবে পরিবারের বাইরে।

    ----

    আমি সিরিয়াসলি , গৃহকন্যা মডেল যে কোন ক্লাস এন্ড ইকনমিক স্টেটাস কে কেটার করবে তার মাথামুন্ডু কিছু বুঝিনি । হ্যা কিছু পরিবার তথা ফ্রড ইন্স্তিতিউশোন আমি চিনি , যেখানে যথেষ্ট রোজগার করা সত্বেও , পার্টনার এর সঙ্গে কোনো টাকা ভাগ করেনা , দেখভাল করেনা , অন্য কোথাও আরেকটি বেনামী ইন্স্তিতিউত তথা পরিবার পালছে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু এইসব এক্সট্রিম কেসে , আইনি সাহায্য ও খোরপোষ আদায় ছাড়া আর কোনো রাস্তা উপযোগী বলে জানা নেই ।

    আর হ্যা , আকাদা যেটা বললেন , যে শ্রম ফ্রম কাটিয়ে দাও , বিয়ে করলেই রোজগার এর অর্ধেক মাসে মাসে দিতে হবে । এটা নিয়েসমস্যা নেই। তবে তাতে কার কি সমস্যার সমাধান হবে তাও জানা নেই :) সমস্যা তো দুটো । টু সমারায়স , একটা ইকনমিক স্তেটাসে হাতে একচুয়াল জব নেই তাদের সিম্পলি বাইরে বেরিয়ে বা ঘরে বসেই প্র্থকরি কাজ খুঁজতে হবে । আরেক্ত্যা স্তেটাসে হাত ভর্তি গৃহশ্রম যার থেকে রক্ষা পেতে হলে সেই অর্থকরী কাজ করেই রোজগার বাড়াতে হবে এবং গৃহশ্রম কে আউত্সর্স এন্ড অটোমেট করতে হবে। টাকা এলেই চাকা হবা :) নৈলে চক্রবৃধ্ধি ।
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫২52346
  • বলছিলাম যে সমাধানটা তো তির্যকেরও নয়, দেশে তো ২০০৮ থেকে এই নিয়ে বিভিন্ন মডেল তৈরির চেষ্টা চলছে, বাইরে আরো আগে। টাইমসের একটা লিং দেওয়া আছে।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৬52347
  • জানি। সে নিয়েও কথা হয়েছিল। অ্যাকচুয়ালি, এই চিন্তা, চিন্তার বিবর্তন, এই কথাগুলো তির্যকের লেখার গোড়ায় আসলে ভালো হ'ত।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০২52369
  • প্রথমে 'ঘরের কাজ'এর একটা লিস্ট বানানো হোক। তারপর সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর জন্য বেতন দাবী করা হচ্ছে - সেগুলো চিহ্নিত করা হোক। কোয়ন্টিফাই করা প্রয়োজন মনে হলে মিনিমাম এখান থেকে শুরু করতে হবে। একটা গড়পড়তা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি ধরে হিসেব হোক। ওপর ওপর আলোচনা করলে ঝগড়াই হবে খালি। তির্যক একটা লিস্ট করে ফেলুন প্রথমে। তারপর কাজ ধরে ধরে বলুন কিভাবে কোয়ান্টিফাই করবেন আর কিভাবে তার কোয়ালিটি কন্ট্রোল করবেন।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৪52370
  • আমি লিখেছিলাম, কোন একজন পার্টনার ফুলটাইম ঘরের কাজ না করলেও 'দিব্বি চলে যায়', তো কত শ্লেষ চলে এল, যদিও কেন চলবে না, তার ব্যাখ্যা এল না। আর হ্যাঁ, দিব্বি কথাটা দিব্বি সাবজেক্টিভ, এটাও ভুলবেন না। আমার কেন মনে হতে পারেনা যে আমার দিব্বি চলে যাবে, সেটা কেন অন্যে ঠিক করবে, চলছে কি চলছে না, তাও বুঝিনি। এটার কিউসির বেঞ্চমার্ক কী বা আদৌ কি থাকা সম্ভব, এ প্রশ্নের উত্তর পাইনি। আমার উত্তর থাকা সম্ভব নয়। সেটা কেন ভুল উত্তর, তার উত্তর পাইনি।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৯52371
  • আর আনন্দবাজারের লেখাটায় ক্যাপশনে দেখলাম এই কথাটা রয়েছে -

    "বরং গৃহকর্ম সবৈতনিক হলে মেয়েদের বাইরে বেরনোর দরকার কমবে।"

    মানে আপনি কি 'মেয়েদের বাইরে বেরোনোর' বিরোধী? এই ব্যাপারটা একটু এক্সপ্লেন করবেন?
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১০52372
  • আপাতত একক আর পিনাকীদা কে ক দিলাম। লিস্ট হোক। হাওয়ায় হাওয়ায় খালি থিসিস হয় কাজের কাজ হয়না। আগে এই নিয়ে কি কাজ হয়েছে এগুলোও আলোচনায় আসুক, কী কী সমস্যা ছিলো সেসব।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১১52348
  • "বেতনক্রম কি ভিত্তিতে ঠিক হবে-গৃহপরিচারিকাদের যে বেতন দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী না এই মহিলা তাঁর যোগ্যতা ইত্যাদি অনুসারে গৃহের সময়টুকু বাইরে দিলে যে আয় করতে পারতেন তার ভিত্তিতে"

    ছোটাই, আপনি যে দুটো অপশান দিচ্ছেন অর্থনীতির ভাষায় সেদুটো হলোঃ ঐ কাজের মার্কেট রেট আর বাড়িতে থাকার অপুর্চুনিটি কস্ট।

    এটা ঠিক হবে কে দিচ্ছে তার উপরে। যদি সরকার দেয় তাহলে মার্কেট রেটই দেবে - সেটা নিয়ে কোনো মনে হয়্না তক্ক আছে। কিন্তু যদি স্পাউস দেয় তাহলে আলোচোনা হতেই পারে। পক্ষের যুক্তি গুলো মোটামুটি বুঝতে পারছি। একটু উল্টোদিকের যুক্তি গুলো ভেবে দেখি। এক্জন মহিলা যদি বাড়িতেই থাকেন তাহলে তিনি বাইরে কাজ করলে কত পেতেন সেটা কি করে জানা যাবে? ইন্ডেক্স তৈরী করা যেতেই পারে। আরেকটা কি একটা মাথায় এলো - ভুলে গেলাম।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৪52373
  • দিদিমণি কোন ইশকুলের দিদিমণি জানা নেই, তবে দিদিমণি নিজে যে ইশকুলে পড়েছিলেন তাতে অপরিচিত কাউকে খোকা, তুমি ইত্যাদি সম্বোধন যে অভদ্রতা সেইটা শেখায়নি :)

    আর দিদিমণি যা করতে বললেন, সেটাও আমার নয়, যিনি প্রস্তাব আনছেন তাঁকে করতে হবে ফুলটুসি হাইপোথিসিস নেগেট করতে... যতদিন না করতে পারছেন ততদিন সেইটেই যে নয় এইটে ধরে নিয়ে প্রস্তাব বানানোর অর্থ নেই। তবে ভদ্রতার মতই দিদিমণি যুক্তি ব্যাপারটাও শেখেন নি সম্ভবত
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৫52374
  • এবং এরপরেও এই মডেলে মেয়েদের ( এই সমস্ত লাইনে কিন্তু বারেবারে মেয়ে বলে উল্লেখ, ঐ এক দুজায়গায় ছেলে বসিয়ে নিলেও চলবে জাতীয় দায়সারা ডিসলেইমার ছাড়া) এরপরেও লোকে স্টিরিওটাইপিং বলে আপত্তি তুললে এত আপত্তি !) বাইরে বেরোনো ডিসকারেজ হচ্ছে বা এই ফুলটাইম কাজ করা অপরিহার্য হলে বাই ডিফল্ট এই ডিসকারেজমেন্টটা চলে আসে, বলা যাবে না ! কেন যাবে না, তার উত্তর পাওয়া যাবে না যদিও। কারণ এক কথায় কোথাও পক্যা থাকতে হবে বলে দায়সারা করে লিখে দেওয়া হয়েছে, না না ডিসকারেজ করা হচ্ছে না। এদিকে ডিসকারেজমেণ্ট যে অবশ্যম্ভাবী, তার দায় সারার প্রয়োজন নাই।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৬52375
  • এককের 21 April 2016 21:20:55 পোস্ট এ ক
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৮52377
  • ও আর দিদিমণির অনেকগুলো পয়েন্ট ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য ভ্যালিড। সেই সেই ক্ষেত্রে জনতা নিজে নিজেই একটা না একটা পথ খুঁজে নেয় স্বনির্ভর হওয়ার (উপায় নেই বলে, করতেই হয়)। তাদের থেকে ঘরের কাজে ব্যস্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের স্পাউসের পরিস্থিতি কেন আলাদা বুঝিনি। যেখানে ঘরের কাজের থেকেও পারিবারিক আয় বাড়ানো বেশি দরকার, আমার মতে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৮52376
  • "এই সো কোল্ড "গৃহশ্রম " নিয়ে এত হ্যাজ কিসের ? কিসের ই বা তাকে এত গ্লোরিফাই করার চেষ্টা ? এটার ফিফটি পার্সেন্ট হলো একজনের বেড়ে ওঠার পারসেপশন যে বিয়ে করার পর আর হোস্টেল লাইফের মত নিজের কাজ নিজে করতে হবেনা , অন্যে করে দেবে । আর বাকি ফিফটি পার্সেন্ট হলো আরেকজনের "লড়াই " একটা নন বিলেবল পোস্ট এ নিজেকে প্রুভ করার যে সেও কিছু করছে :)"----জাস্ট অসাধারণ ।
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩০52378
  • ওসব করার আগে বিভিন্ন সময় এই নিয়ে যা যা কাজ হয়েছে সেটা লিপিবদ্ধ করণ ভালো। সেখানেই আমরা যা যা প্রোজ অ্যান্ড কনস বলছি সেগুলো অনেক কভার হয়ে গেছে। তারপর থেকে শুরু করা উচিত।

    উপরের চাপান-উতোরে আমার দুয়েকটি কথা বলার আছে, এক হল গুরুকে/গুরুতে লেখা লোকজনকে কি বলা হয়েছে সে নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কিস্যু নেই, এগুলো কোনো অ্যাজেন্ডা না। এমনিতে এখানে ঠিকঠাকই আলোচনা চলছে, তির্যক লেখক এবং মডেলের সমর্থক হিসাবে লোকে যে যে পয়েন্টগুলো তুলে ধরছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করুন, পাইও কোথায় কি বলা হয়েছে না হয়নি সেসব পার্সোনালি না নিলেই ভালো। শ্লেষ ফেষ ব্যঙ্গ বিদ্রূপ কিছু না , মনে করুন একেক লোকের একেক লেখার স্টাইল, কিন্তু এইটা তির্যকের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্টাডি হতে পারে, মডেলের গ্রহণযোগ্যতা কোন শ্রেণীর কাছে কিরকম। যদি এই ব্যাপারটা নিয়ে এগোনোর উৎসাহ কারোরই থাকে, তাহলে এই আলোচনাটা যথেষ্ট ভালো স্টার্টিং পয়েন্ট, মুশকিল হচ্ছে এখানে বিশেষ ডিপেন্ডেন্ট গৃহবধূ নেই, সুতরাং আলোচনা একটু বায়াসড হচ্ছে। তাদের মতামত আমরা পাচ্ছি না। এখানকার পুরুষেরা তেমন ঘরের কাজ করতে অনিচ্ছুক ও নন। স্যাম্পল আরো ছড়িয়ে একটা সার্ভে করা কিন্তু সম্ভব, তির্যক, পাই, ছোটাইদি, দমুদি, কি মত?
    দুই, দমুদি সন্তানধারণ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন সেটি একটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সন্তানধারণ মেয়েদের প্রোডাক্টিভিটিকে, জীবনকে, প্রায়রিটিকে বিরাটভাবে অ্যাফেক্ট করে, পুরুষদেরো করেনা তা নয়, কিন্তু জৈবিক ভাবে অনেক বেশি শ্রম দিতে হয় মেয়েদের, এবং ৭৫% গৃহশ্রম জুড়ে থাকে সন্তানের দেখভাল। এই বিশাল অংশকে মূল্যায়নে আনতে হবে, এড়িয়ে গেলে হবে না।এই ব্যাপারটাকে শ্লেষাত্মক না ভাবাই ভালো।

    এখানে যতক্ষণ ডিপেন্ডেন্ট মহিলাদের গলা এবং ডিপেন্ডেন্ট শুদ্ধু পুরুষ দের গলা না শোনা যাচ্ছে ততক্ষণ ব্যাপারটা অসম্পূর্ণ। বৃদ্ধ বাবা মা কে এর ভিতরে আনা চলবে না, কারণ ওটা রেট্রোঅ্যাকটিভ।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩৬52379
  • সন্তান "ধারণ " শুধু না , আমি প্রস্তুতি -ধারণ -ইনিশিয়াল দু বছর পালন এই পুরো প্যাকেজ টা কেই স্বীকার করছি এবং এটা ঘটনা যে এক্ষেত্রে মেয়দের ফিসিকালি এফর্ট এন্ড টাইম কোন্ত্রিবিউত করতে হয়। এখন এই দু-চার বছরের টাইম গ্যাপ তার কারিয়ার এর ক্ষতি করতে পারে এবং করেও । কাজেই এখানে একটা কমপেনসেশন প্ল্যানিং এর প্রয়োজন আছে । কোয়ান্টিফাই করা জরুরি ।
  • pi | 192.66.25.219 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৮52381
  • এখানে ডিপেন্ডেণ্ট গৃহবধূরাও তো অনেকসময় মতামত দেন বা দিয়েই থাকেন। ওঁদের ভয়েস শোনা যাচ্ছে না, এমন না।

    আর আমি পার্সোনালি নিয়েছি কি নিয়নির আগে অন্য একটা পয়েন্ট আসে। কোন ফোরামকে জেনেরালাইজড ভাবে প্রগতিশীল বলে খোঁচা দেওয়া , লোকজন কোন অন্ধকারে আছে এসব বলে দেওয়া, এগুলো কি খুব এফেক্টিভ আলোচনার প্রেমাইস তৈরি করে , যেটা হচ্ছে না বলে ছোটাইদির আক্ষেপ ? বরম তার পরেও, সেই ফোরামেই আবারো লিখে মতামত চাওয়া হয়েছে এবং লোকে তাই নিয়ে যে যার মত দিয়েছে।

    নইলে 'এলজিবিটি, মাইনরিটি কি পরিচারিকাদের সমস্যা গুরুত্বপূর্ণ' মনে করেও গৃহবধূর সমস্যার সাথে রিলেট করতে না পারার 'আসল অন্ধকারে' বাস করার পার্সোনাল খোঁচা নিয়ে আর কী বা আসে যায়।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৮52380
  • maternity provisions এর কথায় এই সুতোয় কেউ দ্বিমত পোষণ করেছে বলে মনে হয় না।
    কিন্তু সেইটার সাথে তির্যকের পোস্ট এর সম্পর্ক কি?
    সেইগুলো তো এমনিই অগৃহবধূদের অ্যাফেক্ট করে অনেক বেশী।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৪52382
  • যাঁদের কারিয়ার গোল আছে তাঁদের কেই য়াফেকত করে । যাঁদের নেই তাঁদের আর কি করবে।

    এখন এইখানেও একটা গোলমাল আছে । আমার মা আমার জন্মের পর চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন । কাজেই আমার ও এরকম আহ্লাদে ধারণা হয়েছিল যে বাড়িতে একজন মা সর্বদা থাকা জরুরি । পরে বুঝেছি ধারণা টা সম্পূর্ণ ভুল ।আমার যেসব বন্ধু দের চাকুরিজীবি মা , তারা যখন ইস্কুল থেকে ফিরে নিজেই খাবার গরম করে খেত তাদের দেখে আমার একটা শিশুসুলভ অনুকম্পা হত যে দেখো মা নেই , সেটা একেবারেই শিশুসুলভ । ওই কারণে তাদের জীবনে -পেশায় কথাও কোনো সমস্যা হয়নি । কাজেই ম্যাটার্নিটি প্রভিশনের বছর চারেক সময় বাদ্দিলে , বাকি জীবনে মেয়েদের , মা ভুমিকা পালনের জন্যে বাবাদের চে বেশি করে বাড়িতে সময় দেওয়া প্রয়োজন এটা একেবারেই মানিনা । সম্পূর্ণ আজগুবি এবং সমাজের চাপিয়ে দেওয়া মান্ধাতা ধারণা এসব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন