এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৩৫ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২৩৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 192.66.25.219 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৫52383
  • আর আগে কী কী কাজ হয়েছে ( কাজ মানে যদি কথা হয়ে থাকে , তো কথাই। কারণ আদতে এই লেখাও আদতে কথাই), সেগুলো দেখা অবশ্যই উচিত। সব কিছু কেঁচে গণ্ডুষ বা চাকা পুনরাবিষ্কার ক'রেও লাভ নেই। মডেল বানালে মিনিমাম প্রিরিক্যুইজিট সেটাও থাকে।
  • pi | 192.66.25.219 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৮52384
  • বছর চারেকও মাকেই আলাদা বেশি সময় দিতে হবে, এটা কীভাবে ঠিক হল ?
  • :( | 69.160.210.3 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০২52349
  • আলোচনা চাইলে তো আগের টই তেই কন্টিনিউ করা যেত। সিরিয়াসলি আলোচনা চাইলে তির্যক হয়তো দেশে বিদেশে এই নিয়ে যেসমস্ত সিরিয়াস চিন্তা ভাবনা কাজ হয়েছে তার রেফারেন্স দিয়ে / প্যারাফ্রেজ করে শুরু করতেন (নিজেও খানিক সেসব নিয়ে পড়াশুনো করতেন, সেই পাঠসচেতনতা তার লেখায় বিম্বিত হত)। কিন্তু তির্যক তো প্রথম থেকেই - কেমন অনন্যসাধারন থিয়োরি/সল্যুশন দিলাম - মোডে আছেন। এই মোডে কোথাও কোনো থিয়োরি প্রেজেন্ট করা যায়? অনেকেই তো পেপার লেখার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তারা কি বলেন? এই মোডে প্রেজেন্ট করলে তো খিল্লি হবেই।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৪52385
  • চার বছর টা একটা কন্সারভেটিভ টাইম এপ্রোচ । ম্যাক্সিমাম আর কি । গড়পরতা একটা -দুটো ফেইলীয়র এটেম্প্ট এর পর বাচ্চা আসা - বেবি ক্যারি করা - জন্মের পর ল্যাকতেতিং পিরিয়ড থেকে একেবারে হওয়ানিং স্টেপ টা পেরিয়ে ছেড়ে দিতে মোটামুটি সব মিলিয়ে ম্যাক্স তিন-চার বছর যায় । মানে আমি ধরে নিচ্ছি ,প্রথমেই বেবি সিটার এফর্দ করার পয়সা নেই ইত্যাদি । প্লে স্কুলে দিতে গেলেও তো এটলিস্ট টডলার হতে হবে । এই আর কি ।

    আউত্সর্সিং এফর্দ করতে পারলে তো ছ মাসেও সম্ভব :) আমার বোনপো হবার সময় , বোন জাস্ট তিন মাসের ছুটি নিয়েছিল প্রফেশন থেকে । তার পক্ষে এর বেশি সময় দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব না ।
  • pi | 192.66.25.219 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৮52386
  • আমার মাকেই তিন মাসে জয়েন করতে হয়েছিল।

    বরং কথা হওয়া উচিত কেয়ারগিভার আফোর্ড করতে পারা, তার প্রভিশন থাকা নিয়ে। এই চা বাগান , ইঁট ভাটার মহিলাদের জিগেশ করুন, সে অর্থে প্রায় কোন লিভই নেই। আগে বা পরে। বাস্তবে । তো এগুলো তো সিরিয়াস সমস্যা। এগুলোর পাশে অনেককিছুই শৌখিন সমস্যা মনে হয়।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১৬52387
  • এককের মত আমারো ছোটবেলায় এইসব ভুলভাল ধারণা ছিলো মায়েদের ভূমিকা নিয়ে। পরে দেখেছি এর অনেকগুলোই সানি আর মান্ধাতার আমলের পারিবারিক নির্মাণ (সংক্ষেপে পানি)। আউটসোর্সিং করা গেলে সেটাই, নয়ত বাচ্চা আর পার্টনার মিলে কাজ শেয়ার করবে, এর বাইরে খুব একটা পথ নেই।
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৩২52388
  • দেশে একটা স্টুডেন্ট। বাপের বাড়ি শ্যামনগর নৈহাটি, শ্বশুরবাড়ি চন্দননগর অনেকটা ভিতরে স্টেশন থেকে আধঘন্টা। রাত্তির ন'টায় ল্যাব থেকে বেরোতে হলেও কোনো হেলদোল ছিলনা, ঐ চূড়ান্ত ভিড়ের ট্রেন, বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িই থাকত। আটমাস প্রেগন্যান্সিতে থিসিস জমা দিল, ঐ ট্রেনে যাতায়াত দেখে আমরাই ভয় পেয়ে যাচ্ছিলাম, ঐ অবস্থায়।তারপর মাস ছয়েক স্কলারশিপ ছিলো না, আবার জয়েন করলো। তাকে সাড়ে চারটের পর আধঘন্টা ল্যাবে রাখতে পারতাম না। উল্টোডাঙ্গা থেকে তার বাড়ি যেতে মিনিমাম আড়াইঘন্টা। একদিন খুবই দরকার ছিল, ল্যাবে কি আর কাজকম্ম ওরম টাইম বেঁধে হয়? সে পরিষ্কার বলে দিল আমি পারবো না।একদিন ট্রেন দেরি হয়ে দেরি হয়েছিল, বাচ্চা এত কেঁদেছে যে জ্বর এসে গিয়েছিল, কেউ থামাতে পারছে না, আমি নিজে সারা রাত কেঁদেছি। সম্ভব নয়।

    তো এইসব জৈবিক গিল্ট,এটসেট্রা, মায়েরাই বুঝবেন। আমি যা দেখলুম দুদিকেই প্রোডাক্টিভিটি প্রায় শূন্য। লাভের মধ্যে বাচ্চা বড় হচ্ছে। উহাই সব।
  • aka | 217.243.51.221 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৩৩52350
  • দুইটা কথাঃ

    এক, আমি অত্যন্ত সিরিয়াসলি আমার মতামত জানিয়েছি, অল্টারনেটিভ মডেল বলেছি, ঠিক মনে হয় ভুল মনে হয় অন্য কথা। সে নিয়ে তর্কেও রাজী আছি।

    দুই, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলে কেউ সিরিয়াসলি নেবে, কেউ ফাজলামো করবে, কেউ তক্কো করবে, এতে আপত্তি থাকলে সোশ্যাল মিডিয়ায় না লেখাই ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার প্রাথমিক ব্যপার হল কামফর্টেবল বিয়িঙ্গ আনকমফর্টেবল। বিরুদ্ধতা আসবে, সেটাকে ওয়েলকাম করে এগিয়ে চলুন, নয়ত লিখবেন না।

    আর তৃতীয়তঃ (এটা ফ্রি) তীর্যকের প্রবলেম আইডেন্টিফিকেশন ফাইন, কিন্তু সলিউশন নিয়ে ডিবেট হওয়া ঠিক, আর সেটাই হয়েছে। ডিবেটে সব চলে পার্সোনাল অ্যাটাক চাড়া। সেটা হয় নি বলে মনে হয়েছে।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৫৩52389
  • পুরোনো লোকেরা খুব এইটা বলতেন, যে মায়েরা বাড়িতে না থাকলে বাচ্চা মানুষ হয়না। আসেপাশে তাকালে সুন্দর ডেটা পাওয়া যায় কথাটায় কোন সত্যতা নাই, স্রেফ মেয়েদের ঘরে আটকে রাখার একটা অজুহাত।
  • Tirjak | 127.194.29.124 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০৬52390
  • @সোসেন,
    আমি লেখক ও মোডেলের সমর্থক হিসেবে আজ অবধি সরাসরি যে যা প্রশ্ন করেছেন আড্রেস করেছি। আর আগের পর্যায়ে যা আলোচনা হয়েছিল তার থেকে এইটা বলাই যায় যে গুরু যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, সেখানে এই মডেল গ্রহণযোগ্যতা খুব কম। প্রায় শূন্য। সেই কথাই আ বা প-র লেখায় বলা আছে (গুরু-র নাম না করে)। সেটা গুরু না হয়ে অন্য পত্রিকা হলেও হয়তো একই হত। কিন্তু এতে গুরু কে খোঁচা দেওয়ার অভিজোগ কি করে আসে আমার মাথায় ঢোকে না, তবে সেটা আপনার অভোযোগ নয়। এই পর্যায়ের আলোচনায় যে কারণেই হোক গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা বেড়েছে।

    দ সন্তানধারণ ও সেই কারণে মেয়েদের কেরিয়ারের সমস্যা নিয়ে এই আলোচনায় প্রশ্ন তোলেননি, সন্তানধারণের আর্থিক মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন।

    @টিম,
    হ্যাঁ, আমার মতে ঐ মডেল জাস্ট খিল্লী করেই লেখা। তির্র্যকের মডেলের বাস্তবজোগ্যতা নিয়ে এত ভেবেছেন (সেটা তির্যকের লাভ) আর দুই গৃহবধুর মিউচুয়াল গৃহকর্ম খুব বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে ? হ্যাঁ হতেই পারে আর আপনার ধুর বলার অধিকারও কেউ কেড়ে নেয় নি। ধুর লাগলে গলা খুলে বলুন না, কেউ কি বলতে বাকি রেখেছে !

    @পাই,
    কোনো সাইটকে প্রগতিশীল বললে সেটা খোঁচা দেওয়া হয় এইটা কে ঠিক করল ? সেই সাইট যদি গুরু-ই হয় তো সেই খোঁচা (আদৌ যদি খোঁচা হয়) সেটা তুমি গায়ে মাখছো কেনো ? 'এখানকার লোক জন' অন্ধকারে আছে, এই লোকজন কারা ? তির্যক কি এই লোকজনের মধ্যে পড়েন না ? তাহলে কারা গুরুর লোক আর কারা আউটসাইডার ? তাইলে তো চাপে পড়ে গেলাম গো, এইটা তো ভাবি নাই। আর ওখানে গুরু-র নামও করা নেই, জে এমনিতে গুরু কে সনাক্ত করা যাবে। বরং তুমিই একটি পাতায় গুরু-র লেখার লিঙ্ক দিয়ে কাউকে কাউকে জানিয়েছো জে গুরু-ই সেই পত্রিকা। তাতে আমার কিছু মনে হয়নি কারণ আমার খোঁচা ব্যাপারটা ধারণায় ছিল না।

    গুরুর যে স্পিরিটকে এতকাল সম্পদ বলে জেনেছি সেখানে তো কেউ কাউকে রেয়াত করে না। দরকার মত গলা খুলে মন্দ ও ভালো বলে। সেটাই গুরুগৌরব বলে জানতাম। কবে থেকে গুরুর এত স্পর্শকাতর হয়ে গেল আমার জানা ছিল না।

    ডিঃ "এখানেই আসল অন্ধকার" বলতে যে অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে সেই অন্ধকারে গৃহশ্রম ও গৃহবধূরা পড়ে থাকেন, 'গুরুর লোকজন' নয়। লেখাটা পড়লে বোধহয় সেটা বোঝা যাবে।
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১০52391
  • আমিও আর্থিক মূল্যায়নের কথাই বলেছি, আবার পড়ুন। মূল্যায়ন করতে গেলে কোথায় কোথায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা দেখতে হবে তো।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১৫52392
  • @ তির্যক,
    মডেল আমি দিই নি, সেটা ডিফেন্ড করার দায় আমার নেই। যিনি দিয়েছেন তিনিই বলবেন সিরিয়াসলি বলেছিলেন না খিল্লি মোডে। আমি আপনার মডেলকে ধুর বলিনি। সমস্যাটা বাস্তব, সমাধান বাস্তবোচিত হয়নি এবং সম্স্যার শিকড় জিইয়ে রাখা হবে বলে মনে হয়েছে, বলেওছি। ধুর মনে করলে সোজাসুজিই বলতাম, তার বদলে আলোচনায় অংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
  • Pinaki | 95.229.73.124 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:২০52394
  • ওগুলো কাটিয়ে দিন। ইন্ডিভিজুয়ালি সকলকে এড্রেস না করে বর'ম ওপরের প্রশ্নগুলো নিয়ে লিখুন। এগজাম্পল দিন স্পেসিফিক। তবে আলোচনা এগোবে। নইলে পার্সোনাল চাপান উতোর হবে। কে প্রগতিশীল আর কে নয় তার মধ্যেই ঘুরপাক খাবে।
  • Pinaki | 95.229.73.124 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:২০52393
  • ওগুলো কাটিয়ে দিন। ইন্ডিভিজুয়ালি সকলকে এড্রেস না করে বর'ম ওপরের প্রশ্নগুলো নিয়ে লিখুন। এগজাম্পল দিন স্পেসিফিক। তবে আলোচনা এগোবে। নইলে পার্সোনাল চাপান উতোর হবে। কে প্রগতিশীল আর কে নয় তার মধ্যেই ঘুরপাক খাবে।
  • Arpan | 233.227.242.121 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৮52395
  • সমবায়। সমবায়।

    গৃহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সমবায় বানিয়ে নতুন স্টার্টাপ গোছের কিছু চালু করুন। নিজের পয়সা নিজেই রোজগার করবেন আর তার মধ্যে কোন হীনমন্যতাও আসবে না। সবার বাইরের চাকরি পাওয়া জাস্ট প্রকৃত প্রস্তাবেই সম্ভব না।
  • i | 134.149.161.219 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৬52351
  • ( আমার এই ভ্যাজর ভ্যাজরে কাজের কথা কিসুই নাই -নো ভ্যালু অ্যাডিশন-নো কিস্যু-তাই এই পোস্টের পরে আমি ক্ষান্ত দেব)

    আকা ১১ঃ০৩, এইটা যদি আমার জন্য পোস্ট হয়, আমার দুইখান উত্তর ঃ
    ১। আপনারে কিসুই কই নাই। বস্তুত পার্সোনালি কাউকেই কই নাই। ইফেকটিভ কমিউনিকেশন কেন হল না-আমার বক্তব্য সেইটা নিয়েই।
    ২।এইটাও অ্যাড্রেস করেছি- বিরুদ্ধমত থাকবেই আর ফোরামে নানা কথা আসবেই-এইসব বলেছি।
    আর সব থেকে বড় কথা-তির্যক এর কামফর্টেবল বিয়িঙ্গ আনকমফর্টেবল হওয়াতে কোনো আপত্তি আছে কি না আমি জানি না। সে তির্যক জানেন। আমি যতদূর তাঁকে জানি, এ ব্যাপারে তাঁর কোনৈ চাপ থাকার কথা নয়।
    ৩। ( এটা ফ্রী)। আমি আমার মনের কথা বলেছি ( এস ঠিক ধরেছেন)-এর বেশি কিছু না। কমও না।হয়তো দুপক্ষই আমার ওপর অল্পবিস্তর চটবেন। তা চটুন। তবে আশা রাখি, পরবর্তী মোলাকাতের আগে রাগ পড়ে যাবে। হাঁস সন্দেশ/ দোসা পেয়ে যাব আগের মতই।

    বিনীত ছোটাই।

    পুনঃ এস কে অর্থনীতিতে ব্যবহৃত শব্দদুটি জানানোর জন্য থ্যান্কু।
  • Kaktarua | 216.223.181.135 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৪52396
  • পাই আর একক এর পোস্ট কে অনেকগুলো ক।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৪৮52352
  • আমি একটা সহজ বিষয় বুঝতে পারছি না, দুজন মানুষ নিজের নিজের মত উপার্জন করবে, একসাথে যখন থাকবে, একটা সংসারে টাকা ও শ্রম দুইই লাগে, হয় দুটোই ৫০-৫০, আর নয়ত যথাক্রমে উপার্জনের রেশিওতে আর ইনভার্স রেশিওতে ভাগ করে নেবে। এতে অন্যায্যটা কি যে তার সল্যুশন লাগবে?
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৫১52353
  • কারণ সাধারনতঃ একটা সংসারে মহিলাদের কান্ট্রিবিউশন বেশি থাকে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৫৮52354
  • সংসারে দেয় অর্থ ও শ্রম দেওয়ার পরে যা টাকা ও সময় পড়ে থাকবে, তা যার যার নিজস্ব। সংসারের দুজনের দেয় টাকা ও শ্রম কিভাবে ব্যবহৃত হতে তাই নিয়ে মত-সিদ্ধান্তের অধিকার ৫০-৫০।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:০৫52355
  • S,
    "সাধারনতঃ একটা সংসারে মহিলাদের কান্ট্রিবিউশন বেশি থাকে।" --- কি ভাবে? ডাল রাঁধাটা আর্ট-কন্ট্রিবিউশন, ডালের দাম জোগানোটা নেহাত মুটেমজুরগিরি, কিম্বা গৌরবে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন?
  • তির্যক | 24.139.222.45 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:২৭52356
  • @dc,
    লেখাটি প্রথম থেকেই বিরোধিতার সামনে পড়েছে, তাতে কোনো চাপ নেই (বোল্ড & আন্ডার্লাইন্ড), কিন্তু বার বার গৃহবধুদের সমস্যা থেকে কর্মরতাদের দিকে চলে গেছে আর বিকল্প মডেল বলতে প্রথম থেকে যা বলা হয়েছে সেগুলো মূলতঃ কাজ ভাগাভাগি ইত্যাদি যেগুলো বাস্তবে ঘটে না বা অনেক সময় বাসতবে সম্ভবো হয় না। সেসবও আমি যথসম্ভব উল্লেখ করেছি কিন্তু সেখান থেকে আলোচনাটা কে ঘুরিয়ে আনার কাজ আমাকেই করতে হয়েছে (দায় তো লেখকেরই !) তাই অপ্রাসঙ্গিক বিষয় গুলো উল্লেখ করে দিতে হয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে আপনার অনেক কথা ভালো লেগেছে, অন্ততঃ আপনি যে কিছু ভেবেছেন তা বোঝা গেছে, আগের বারও লেগেছিল, উল্লেখও করেছি। তবে সকলের সব কথাই যে সব সময় উল্লেখ করা হয়ে উঠেছে তা নয়, এটা হয়তো ঠিক।
    তবে গতকাল থেকে অনেক গঠন মূলক আলোচনা হয়েছে দেখলাম, আকা, ম, S, আরো অনেকের কথা ভালো লাগল, কিছু বিকল্প মডেলও দেখলাম, (ঐ মিউচুয়াল এক্সচেঞ্জ এর প্রস্তাবও পড়লাম, টিমের মডেল বোধহয়, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন ঃ-)) সোসেনের অনেক কথায় খুব একমত হলাম। এতক্ষণ এইসব লেখার সুযোগ পাই নি, তাই বলে এসবকে গুরুত্ব দিচ্ছি না এমন নয়।

    @দ,
    ব্যক্তি পাই, ব্যক্তি দে বা ব্যক্তি দ নয়, এই আলোচনায় পাই, দে বা দ যা বলেছেন আমি তো তাই উল্লেখ করেছি, তাতে আপত্তি কিসের ? যদি দুজনের বক্তব্য কোথাও কোথাও পরস্পরবিরোধি হয়েও থাকে তো সেখান থেকেও তো নতুন আলোচনা শুরু হতে পারে। হতেই পারে একজন যেভাবে দেখছেন অন্যজন সেভাবে দেখছেন না ! এই আলোচনায় প্রথম থেকেই (মানে গত বছর থেকেই) বিরুদ্ধমত এসেছে, আমি এযাবত উত্তর দিয়ে চলেছি, এর পরও 'কাঙ্খিত নয়' কিভাবে বোঝা গেল আর তার পরও আপনি কি করে লিখে চল্লেন সেইটা কিলিয়ার হল না। এই দ্বিতীয় দফার আলোচনায় আপনি প্রথম থেকে যা বলেছেন তার একটা সামারি করে দিয়েছিলাম, যদি দেখে থাকেন তো বুঝবেন গোলপোস্ট সরাবার অভিযোগ কেন করেছি। যদি ভুল বা মিথ্যে কথা লিখে থাকি তাহলে সরাসরি সেটা উল্লেখ করুন, সঠিক হলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেব।
    কিন্তু ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ-খিল্লী তো চলছেই, প্রথম থেকেই। শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতাও চলছে, সেটা নিয়ে আমি তো অভিযোগ করিনি। একেবারেই দুঃখ পাইনি বা হতাশ হইনি বল্লে মিথ্যে বলা হবে কিন্তু আমি ধরেই নিয়েছি, এই রকম আলোচনায় কিছুটা এই রকম হবেই। তবু আলোচনা চলুক, এটাই চেয়েছি। কিন্তু কেউ (মানে আপনি) যদি নিজের সমস্ত মন্তব্যের উত্তর চান, না হলেই ধরে নেন উপেক্ষা, কিন্তু নিজে কোনো উত্তরকে আড্রেস্স করার দরকার বোধ না করেন, সুদীর্ঘ আলোচনার শেষেও আসল কথাটাই না বুঝে মন্তব্য করেন, তাহলে তাঁকে একটি শ্লেষাত্মাক মন্তব্য শুনতে হতেই পারে। সেই মন্তব্যের সঙ্গেও প্রশ্নের উত্তর কিন্তু দেওয়াই ছিল, ক্ষতটা আপনি ভুলতে পারেননি কিন্তু আঘাত করেই চলেছেন। কিন্তু যে মডেলে আলাদা আলাদা করে কোনো কাজের মূল্য ধার্য্য করা হয়নি (সেটা পরিচারিকা মডেল) সেখানে কেন নিজের সন্তান ধারণের মূল্যের উত্তর আমাকে দিতে হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনিও দেন নি। দেবেন না, জানি কারণ এই আলোচনায় আপনি শুধু 'প্রশ্ন ছোঁড়া' মোডে আছেন, উত্তর দেওয়া মোডে নেই।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৯52357
  • সংসার বলতে ঘরের কাজ বুঝিয়েছি।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৪52358
  • আবারও চাট্টি মিথ্যে কথা।
    তবে এইবার বোধহয় আমি এতখানি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণটা বুঝতে পারছি ....
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩৪52359
  • "মূলতঃ কাজ ভাগাভাগি ইত্যাদি যেগুলো বাস্তবে ঘটে না বা অনেক সময় বাসতবে সম্ভবো হয় না।"--- একে অ্যানেকডোট বলে, যুক্তি নয়... আর আপনার লেখাটাই এমন একটা জিনিস প্রস্তাব করতে যেটা বাস্তবে আদৌ ঘটে না... তাই এখনকার সামাজিক বাস্তবতার অধিকাংশই ঐটা নয় বলে কিছুকে কাটিয়ে দিয়ে যা এখনো অবধি আদৌ বাস্তবে কোথাও কখনো ঘটেনি সেই নিয়ে আলোচনা করা যায় না... হয় মেনে নিন যে গোটা আলোচনাটাই এই সঙ্ক্রান্ত নানা কিছুর থিওরেটিকাল ফিসিবিলিটি আর ডিসায়ারেবিলিটি নিয়ে, সেক্ষেত্রে কাজ ভাগাভাগিও আজকে বাস্তবে কতখানি ঘটে তা ইম্মেটিরিয়াল, আর নইলে আপনি যা নিয়ে আলোচনা করছেন তা করার অর্থই থাকে না।
  • তির্যক | 24.139.222.45 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩৭52360
  • পাই,
    তোমাকে কিছুটা পার্সোন্যালিই লিখতে হচ্ছে, কারণ তুমি এখানেই খোলাখুলি তোমার অভিযোগ / রাগের কারণ জানিয়েছ। তুমি জে এই বিষয়টা এত পার্সোনালি নিতে পার এই ধারণা আমার ছিল না। বরং আ বা প তে লেখাটা বেরোবার পর তোমার মন্তব্য (যতই ঠোকো ইত্যাদি) আমি মজা হিসেবেই নিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম আমি ভুল ভেবেছিলাম আর তুমিও সম্পূর্ণ ভুল বুঝেছো।
    ১। প্রথমবার বিস্তীর্ণ আলোচনা হয়েছিল, তোমার সঙ্গেও, কিন্তু সেখানে আমি কোনো বিক্ল্প মডেলের প্রস্তাব পাইনি যা লেখায় পয়েন্ট হিসেবে ইন্ক্লুড করা যায়। সেখানেও তুমি বিরোধিপক্ষই ছিলে আর পয়েন্ট থেকে পয়েন্টে শিফ্ট করে গেছিলে। সেটা দোষের নয় কিন্তু সেটা সত্যি আর লেখাটা আ বা প তে বেরোবার পর কেউ এক্জন ভাটিয়ালীতে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু এই সব প্রশ্নের উত্তের সেখানেও দিতে হয়েছিল যে, গৃহবধুরা কি এমন কাজ করেন, সব কাজ তো পরিচারিকারাই করেন, আড্ডা মেরে, সিরিয়াল দেখে আর পি এন পি সি করেই তো দিন কাটান, তাহলে পরিচারিকার চেয়ে গৃহবধুর মাইনে কেন বেশি হবে। নিজের বাড়ির কাজ তো নিজেরই কাজ তার জন্য কেন মাইনে দিতে হবে। শুধু তুমি না, আরো অনেকেই লিখেছিলেন। এই সত্যিটা মেনে নিতে আমারও খারাপ লেগেছিল, আমিও গুরু-র কাছ থেকে কিছুটা অন্য প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম কারণ এখানে সত্যিই বিভিন্ন ধরণের সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, যে কারণে আমি লেখাটা এখানেই প্রথম প্রকাশ করি। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও মনে হয়েছিল যে এটাই সমাজের সত্যিকারের ছবি। কিন্তু গুরু-র লোকজন তো সমাজের কোনো এক্টা আলাদা শ্রেণী নয় যে চিত্রটাকে 'তাদের' মনের বা ভাবনার অন্ধকার বলে ধরতে হবে ! তাই আমি এটা সমাজের চিত্র বলেই ধরেছি আর তাই লিখেছি। তুমি এটা এত পার্সোন্যালি (বা গুরুয়্যালি) নেবে ধারণা ছিল না।
    ২। গুরু-কে প্রগতিশীল পত্রিকা বলা তোমার কাছে খোঁচা মনে হলে কিচ্ছু করার নেই, কারাণ এই মনে হওয়া একান্ত ব্যক্তিগত। কিন্তু আমার অবস্থান আমি আগেই লিখেছি। কোন বিরক্তি বা রিজার্ভেশন নিয়ে নিরপেক্ষ মতামত দেওয়া যায় বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাই সংযোজনটা কোথায় মূল লেখার থেকে আলাদা বা কেন এটা লেখা হল, তা তোমার নজরে আসার কথাই নয়। কিন্তু তুমি যে প্রথম লেখাটার আসল জায়্গাটাই ভুলে গেছ (বা খেয়াল করোনি) সেটা এই বারের তোমার প্রথম কমেন্ট থেকে মালুম হল। যেটাকে তুমি আলোচনার দরুণ মডিফিকেশন বলে মনে করেছো, সেটাই প্রস্তাবের মূল কথা, তা প্রথম থেকেই ছিল (গৃহবধুর বেতন থেকে কাজের লোকের মাইনে হবে)।
    ৩। তুমি ঘরের কাজ ভাগাভাগি ছাড়া আর কিছু বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছ বলে দেখলাম না। বরং নানারকম প্রশ্ন করেছো, তাতে আপত্তির কিছু নেই কিন্তু সেগুলোকে বিকল্প বলা যায় না। তুমি বা তোমরা অনেকেই বার বার কাজ ভাগাভাগির প্রশ্নে যেখানে দুজনেই বাইরে কাজ করেন সেই জায়্গায় চলে গেছেন। আর আমি বার বারই বলার চেষ্টা করেছি যে সেটা এই আলোচনার বাইরে। কিন্তু এই আলোচনাতেও তুমি বার বারই বলেছো গৃহবধুর ঘরের কাজ অপরিহার্য নয়। গৃহবধু 'কেন' টাকা পাবেন এইটাই যাঁকে / যাঁদের হাজার বার বোঝাতে হয় তাঁদের কাছ থেকে বিকল্প মডেল পাওয়া কি করে সম্ভব ?
    ৪। তোমার মুখে ঠিক কি কথা 'বসিয়েছি ' বলতে পারো ? এটা কিন্তু খুব সিরিয়াস অভিযোগ। তুমি বলেছো গৃহকর্ম দরকারী কিন্তু অপরিহার্য নয় (বলেছো তো ?) আর দে বলেছেন কর্মরতা মহিলাদের 'ঘরে-বাইরে' সমান চাপ নিতে হয়। অর্থাত একজন মহিলা (কর্মরতা হয়েও) স্বীকার করছেন 'ঘরের চাপ' আছে। তাহলে কোথাও গিয়ে ঘরের চাপ অপরিহার্য হচ্ছে। একজন কর্মরতা মহিলার ক্ষেত্রে হচ্ছে, সোসেনও সেই একই কথা বলেছেন পরে। সেই কথা উল্লেখ করা কি কথা বসানো ? আর এমন তো নয় যে একটা আলোচনায় ক্রশ টক হয় না, যেমন এখন হচ্ছে আকা-র সঙ্গে, সেক্ষেত্রে তুমি তো সোসেন বা দে-র সংগেও এখানেই আলোচনা করতে পারতে কেন ওরা এটা অপরিহার্য মনে করছেন।
    ৫। টোন ইত্যাদি নিয়ে আমি কোনো অভিযোগ করিনি, করছিও না। তার মানে টোনে কোনো দুঃখ নেই এমনও নয়, যেটা ছোটাই কেও টেনে এনেছ। হ্যাঁ তুমি বলেই এতটা একটু অপ্রত্যাশিত। তবে এটা এখানেই মিটে গেলে ভালো।
  • তির্যক | 24.139.222.45 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৫৫52361
  • @দ,
    নিজেকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাববেন না যে এতটুকুও আলাপ না থেকেও আপনার ওপর 'ব্যক্তিগত আক্রোশ' থাকবে ! আর 'চাট্টি মিথ্যে কথা ...' ঠিক মমতা বন্দ্যো-র স্টাইলে ! ঃ-) (সব সাজানো ঘটনা !)

    @স্বর্ণেন্দু,
    আপনার কথা একটুও বুঝলাম না। আসলে এক এক জনের উত্তরে সমস্যার এক এক দিক আলোচনা করেছি। কেন বাস্তবে ঘটে না বা কোথায় সম্ভব নয়, সে সবও লিখেছি। ধরে নিলাম আপনি সবটাই পড়েছেন, সত্যি তো লেখাটা কিছু কিছু ঘটনার ওপরই দাঁড়িয়ে, সেগুলো 'যুক্তি' নয়। তাতে যা হয় হল...আমার / আপনার মেনে নেওয়া না নেওয়ায় তো বাস্তব বদলায় না।

    @ ঃ(
    ঠিকই কয়েছেন। সেরেফ মাথা থেকেই লেখা। কি কি করলে ভালো হত সে ব্যাপারে একমত। কিন্তু কোথায় কি কাজ হয়েছে তা লেখা এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল না, আমাদের দেশে কথা কিছু হলেও কাজ যে বিশেষ হয়নি, তা তো দেখাই যাচ্ছে, যে সমস্যাটাই বোঝানো যাচ্ছে না। কি করা যাই তাই নিয়ে ভাবাই উদ্দেশ্য ছিল। আপনার কথা মত আর একটা লেখার কথা মাথায় রাখলাম।
  • dc | 132.164.236.159 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০১52362
  • তির্যক, যে সমস্যাটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার গুরুত্ব অবশ্যই আছে। কিন্তু যে সলিউশানটা আপনি দিয়েছেন আর যেটা নিয়ে বেশীরভাগ আলোচনা হয়েছে সেটা অনেকেরই নানান কারনে ইমপ্র্যাক্টিকাল মনে হচ্ছে, বা সেটা সঠিক সল্যুশান মনে হচ্ছে না। তবুও আকা, সোসেন, দে, দ আরও অনেকের পোস্ট আমার বেশ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। যদি কিছু মনে না করেন তো একটা প্রশ্ন আছে - আপনার টার্গেট সেগমেন্টটা এক্স্যাক্টলি কি, মানে কাদের জন্য এই সল্যুশান দিচ্ছেন? কোন রেন্জের হাউসহোল্ড ইনকাম গ্রুপের কথা ভেবে আপনার সলিউশান দিচ্ছেন?
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:২৩52363
  • গৃহবধু 'কিভাবে' টাকা পাবেন এর আগের প্রশ্ন গৃহবধু 'কেন' টাকা পাবেন... তাই আগেরটার উত্তর হাজার কেন, লক্ষ বার বোঝাতে হতে পারে... লক্ষ বারই আপনি যাকে বোঝান মনে করছেন তাতে অন্য কিছু লোকের দ্বিমত থাকতে পারে...
    আমি বহুবার লিখেছি, বিকল্প মডেল কি সেটা পরের কথা, কেন বিকল্প দরকার সেইটাই তো প্রশ্ন ...

    রেগুলার টাইম অকুপেশন হিসেবে গৃহবধূত্ব , এইটা জাস্ট বন্ধ হওয়া উচিত... আর আপনি অকুপেশন জীবিকা হবে না কেন আর কিভাবে হতে পারে তার মডেল খুঁজছেন... এবং যারা এইটা বলছেন তাদেরকে নানান কিছু বলছেন... প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক, প্রগতিশীল- অপ্রগতিশীল নানান কিছু দেগেও দিচ্ছেন...
  • S | 117.151.152.218 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৪২52397
  • আরে সেতো আমি একটা ইমেল পেলাম যে আমার এক কলিগের বাচ্চা হয়েছে। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম, মেয়ে তো কালকেও ফুলটাইম কাজ করে গেলো। ইনি কিন্তু লইয়ার, অর্থনৈতীক কারণে বাধ্য ছিলোনা নিস্চই।

    আবার আরেক বসকে দেখলাম বাচ্চা হওয়ার আগে ৬ মাস ছুটি, বাচ্চা হওয়ার ২ সপ্তাহে অফিসে। এসবের হিসেব হয়না। কিন্তু ৩-৪ বছর অনেকের ক্ষেত্রেই লাগতে পারে। আগে-পরে মিলে, বাচ্চা মানুষ (নিকটাত্মীয় নেই, বাইরের কারোর কাছে খুব ছোট বাচ্চাকে ছাড়তেও চায় না - হয়তো স্নেহাবশেই) ইত্যাদি মিলে ১-২ বছর তো লাগেই। তাইতো বলেছিলাম ম্যাটারনিটি কম্পেনশেষন লাগে। আর এই ১-৪ বছরে কেরিয়ার অনেকটাই ধাক্কা খায়।

    বাচ্চা ধারণ ও পালনে (প্রথম কয়েক বছর) মায়েদের রোল (এবং ডিসিশান) অনেক বেশি থাকে জেনারালি। এবং মায়েদেরকে সেই স্পেসটাও দেওয়া উচিত। বুঝতে পারছিনা পেইড ম্যাটারনিটি লীভে অসুবিধেটা কোথায়? এখনই তো কয়েক মাস পাওয়া যায়। সেটাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিলে ক্ষতি কী? মা ও বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো থাকার থেকে বেশি জরুরী আর কিছু আছে বলে তো মনে হয়না। সংসার, কোম্পানি, সরকার, দেশ, দশ - সকলের জন্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন