এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২২৬১ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২২৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 117.151.152.218 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৪৪52398
  • আছে তো ক্রেস। কিন্তু খুব ছোটো বাচ্চাকে তো আর ক্রেসে ছাড়া যায়্না।

    এনিওয়ে অপ্পন বাবুর একই সেন্টেন্সে সমবায় আর স্টার্টাপ দেখে অমোদ পেলুম ঃ))
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৫৮52399
  • ম্যাটার্নিটি লীভ বাড়ানোর স্টেপ মনে হয় সরকার নেবে না ।ম্যাটার্নিটি সংক্রান্ত স্ট্রেস থেকে ক্যারিয়ার স্পীসিসের মৃত্যুহার আগের তুলনায় অনেক অনেক কম । বরং এখনকার ডাক্তারি বলে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় (অবস্যই সিভিয়ার কমপ্লিকেসি না থাকলে ) নর্ল্মাল লাইফ লীড করা দরকার । কাজেই সব মিলিয়ে ম্যাটার্নিটি লীভ বাড়ানোর স্বপক্ষে ডেটা নাই । পুষ্টিহার বাড়ানো নিয়ে কাজ হলে কাজ হয় অবস্য । ওই নুনে চাট্টি আয়োডিন মেশানো বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হলুদ ভিটামিন বড়ির ঢপবাজি না , সত্যিকার নিউত্রিশাস ফুড । এক্সট্রা রেশন কার্ড যেটা প্রি প্রেগন্যান্সি থেকে ল্যাকতেতিং পিরিয়ড অব্দি কভার করবে ।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৩২52330
  • ছোটাইদি,

    শুরুতে আট পাতা সিরিয়াস আলোচনা হয়েছে, এখনও ফাঁকে ফাঁকে হচ্ছে, ব্যঙ্গ হচ্ছে বলে তো মনে হচ্ছেনা, খানিক চন্ডালী হচ্ছে তা ঠিক।

    মডেলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেউ কেউ তো বিকল্প মডেল বলছেন। এই নিয়ে বোধহয় দুটো লেখায় এই আলোচনাটা হলো, যদি ভুল না করি।

    গুরুর আলোচনারই বরং তেমন কোন দাম নেই। না পলিসিমেকাররা এই আলোচনাটা করছে, না সমাজের মেজরিটি। বরং যে যার বৃত্তে একটু ভাবলে কাজে দেয়। আমি যে বাড়িতে বড়ো হয়েছি সেখানে চারজনের মধ্যে তিনজন তির্যক বর্ণিত গৃহবধূ, একজন (আমার মা) স্বনিযুক্তি প্রকল্পে অর্থনৈতিকভাবে খানিকটা স্বাধীন। সুতরাং এই সমস্যা নিয়ে ব্যঙ্গ করার জায়গাই নেই। কিন্তু পরিপাটি ঘরের কাজের মূল্যায়ণ করে বা না করে তার জন্য পারিশ্রমিক (?!) ধার্য করা শস্তার শ্রমকে গ্লোরিফাই করবে বলেই মনে হয়। যিনি পরিপাটি ঘরের কাজ করতে ভালোবাসেন তাঁকে এটা মেনে নিতেই হবে যে এটা সবার কাছে অপরিহার্য্য নয়। অন্যদিকে যদি তাঁর উপার্জনক্ষম স্পাউসের কাছে সেটা অপরিহার্য্য হয় তাহলে সে দায় তাঁর নয়। সুতরাং এই এক্সপেক্টেশনের দায় তিনি নেবেন না। বরং প্রত্যেকের নিজের জন্য কিছু অর্থ উপার্জন করা উচিত। যতটুকু না হলেই নয় ততটুকু, কেউ বাবা মাকে কাশ্মীর নিয়ে যেতে চাইলে বেশি, কেউ অন্তত বছরে একটা কাপড় দিতে চাইলে কম। এইটাই কি বেটার মডেল না? তা না করে ইতিমধ্যেই আইন প্রণয়ণে শূন্য পাওয়া ভারত সরকারের হাতে এই বিষয়টা চাপিয়ে দিয়ে কি সত্যিই কোন লাভ আছে? আলোচনার বিষয় উৎপাদন ছাড়া?
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০১52408
  • ভিটামিন বড়িতে কাজ হয়না, এই স্টাডি গুলো জানতে চাই। কারুর মনে হওয়া জাতীয় স্টেটমেন্ট থেকে ঢপের বড়ি বলে দেওয়া হলে আলাদা কথা। বাচ্চাদের কী ভিটামিন , কী সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয় আদৌ জানা আছে ? সাবজেক্ট না ই হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে এরকম কনফিডেন্ট সুইপিং স্টেটমেন্ট দিয়ে দেওয়ার ট্রেণ্ড একটু বিপজ্জনক। এটা নিয়ে কাজ করি বলে কাউণ্টার করতে পারছি, অন্য অনেক ক্ষেত্রেই এরকম কনফিডেণ্ট স্টেটমেন্ট দেখে ভুল ধারণা করে নিতে পারি বা অনেকেই পারে।

    'বাজারচলতি লবনে সেটা প্রয়োজনের বেশি মাত্রায় মেশানো হয় যা উল্টে ক্ষতি করতে পারে।' এটা নিয়েও স্টাডি জানতে চাই।
    আয়োডিন আমরা বাড়ি বাড়ি স্যাম্পল নিয়ে মেপে মেপে দেখি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত তো পাইইনি, বরম কম পেয়েছি।
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০৬52409
  • আর ইম্প্লেমেন্টেশনে অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হতে পারে, সে নিয়ে দ্বিমত নাই। সে নিয়ে স্টাডি , আসেসমেন্ট, কাজ , সবই চলছে। গ্রাউণ্ড লেভেলে কাজ করতে গেলে কত সমস্যা আসতে পারে, তা সত্ত্বেও কতজন কীভাবে কী কাজ করেন, সেগুলো দেখার পরে সমালোচনা থাকলেও আর এক কথায় সবকিছু ভুলভালও বলে দিতে পারিনা।
    আর হ্যাঁ, এই সব সেন্টারে গিয়ে বসেই এসব খেতে হবে, এমনও না। বাড়িতেও খাবার বা রেশন নিয়ে আসার ব্যবস্থা আছে। আর সেটা সকালে দেওয়া হয়। মেয়েরা কাজে বেরোনোর আগে নিতে পারেন। নেন ও । চা বাগান, ইঁট ভাঁটার মেয়েদের, মায়েদের অবস্থা সবচে খারাপ, তাও চেষ্টা করেন সকালে সংগ্রহ ক'রে নিয়ে কাজে যেতে।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১২52410
  • আমি স্টাডি পড়ে এগুলো জানি নি তো ! কাজেই নেট এ নতুন করে খুঁজে সময় নষ্ট করব না । ডাক্তার রা বলেন ভিটামিন বরি না খেয়ে নিউত্রিশাস খাবার খেতে এটুকু অভিজ্ঞতা । এবার সেই ডাক্তার কে খুঁজে এনে সাক্ষ্য মানাও বললে কমপ্লিট হাত তুলে দিচ্ছি :)
    বরং "ভিটামিন বড়ি দিয়ে ম্যাটার্নিটি তে ভিটামিন এর অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করা গ্যাছে " ( অবস্যই , সরাসরি নিউত্রিষণ কনসিউম করার অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই এরকম স্যাম্পল এ ) পেলে নোট্ করে রাখব । পরের বার ডাক্তার রে আবার জিগাবো ।

    বক্তব্যের কনফিডেন্স সংক্রান্ত অংশ অবজ্ঞা করলুম । যে যে ক্ষেত্রে কাজ করে সে সেটা নিয়ে সঠিক ইনফরমেশন দিতে এগিয়ে আসবে এ তো ভালো কথা , তাইবলে বাকি রা যে পয়েন্ট অবধি জেনেরাল পারসেপশন শুনে যতটা জানে সেটা খামোখা ইন কন্ফিদেন্ত্লি বলতে যাবে ক্যানো । কনফ্লিক্ট হলে জানা যাবে , মিটে গ্যালো :)
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১৪52411
  • কারা উপকৃত হচ্ছে, দেখতে গেলে একটু গ্রামেগঞ্জে ঘুরতে হবে। শহর নিয়ে আমি বিশেষ কাজ করিনি, তাই কনফিডেণ্টলি বলতে পারবো না।

    ও হ্যাঁ, কিছু সাপ্লিমেন্ট বাচ্চাদের, কিশোরীদের স্কুলেই দেওয় হয়। মিড ডে মিল এর মত কিছু ওষুধপত্তরও।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২০52412
  • "আর হ্যাঁ, এই সব সেন্টারে গিয়ে বসেই এসব খেতে হবে, এমনও না। বাড়িতেও খাবার বা রেশন নিয়ে আসার ব্যবস্থা আছে। আর সেটা সকালে দেওয়া হয়। মেয়েরা কাজে বেরোনোর আগে নিতে পারেন। নেন ও । চা বাগান, ইঁট ভাঁটার মেয়েদের, মায়েদের অবস্থা সবচে খারাপ, তাও চেষ্টা করেন সকালে সংগ্রহ ক'রে নিয়ে কাজে যেতে।"

    হিয়ার আই বেগ টু স্টেট সামথিং । চা বাগান বা ইন্ট ভাটা কে বাদ দিচ্ছিনা । কিন্তু এনারাই সব নন । রাষ্ট্র সবার । হদ্দ গরিবের , গরিবের , নিম্ন মধ্যবিত্ত , উচ্চ বিত্ত সবার । একেবারে যাঁরা কিছু এফর্দ করতে পারেন না তাঁদের জন্যে শুধু দোকান খুলে বসে থাকার নাম রাষ্ট্র চালনা নয় । সমাজে মানুষ স্টেটাস সচেতন হবে এটা একটা খুব খুব স্বাভাবিক ব্যাপার । তাই নিয়ে তাদের ওপর রাগ করে লাভ নেই তো । এই জন্যেই চাই এমপ্লয়ার কে বাধ্য করতে । আরেকটা কারণ হলো (একেবারেই ব্যক্তিগত ধারণা ) যে চাকরি করলে যদি ম্যাটার্নিটি সংক্রান্ত হান্দ্রেদ পার্সেন্ট বেনিফিট পাওয়া যায় তাহলে আরও বেশি মেয়ে চাকরির দিকে আসবেন । অনেকে হয়ত বাচ্চা বড় হলেই ছেড়ে দেবে , কিন্তু বাইরের দুনিয়াতে বেরোনোর / নিজে টাকা রহ্জ্গার এর একটা লোভ ধরিয়ে দেওয়া যাবে । হুইচ ইস নট ব্যাড ।
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২১52413
  • ধুর বাবা, কী ভিটামিন বড়ি সরকার থেকে দেওয়া সেটা তো আগে জেনে তারপর বল !

    আয়রন, ফলিক অসিড দেওয়া হয়, আর বাচ্চাদের ভিটামিন এ। এবার এগুলো কোন কাজের নয় বললে অতি অবশ্য ডাটা চাইবো। এগুলো খাওয়ার আগে পরে কী তফাত হচ্ছে, সে ডাটাও কিছুদিন বাদে দিয়ে দিতে পারবো। মা আর বাচ্চাদের মধ্যে আনিমিয়া কতটা প্রিভ্যালেন্ট কোন আইডিয়া আছে ? আয়রন ফলিক আসিড সাপ্লিমেন্ট কতটা সাহয্য করে বা এসেনশিয়াল কেন ?যেখানে সরকারের দেওয়া বড়ি খাওয়ানোতে কন্ভিন্স করতে জান যায়, সেখানে এইসব খাওয়ার মানে নেই জাতীয় ভুলভাল কথাবার্তা না ছড়ালেই নয় ?

    আর কোথায় বলা হয়, এই বড়ি খেলে নিউট্রিশাস ফুড খেতে হবেনা ? নিউট্রিশাস ফুড নিয়ে এডুকেশন , সেগুলো খাওয়ানো, আই সি ডি এস এর মিলে সেগুলো দেওয়া, এগুলোও একেবরে সরকারি স্কিম। একটু জেনে কথা বললে ভাল হয় তো, অন্ততঃ ভুলভাল মেসেজ যাওয়া খুবই বিপজ্জনক, পাবলিক হেল্থের জন্য।
    ওপরে সরকারি স্কিমের ডিটেইল্স দিয়েছি, আরো গাইডলাইন চাইলে দিয়ে দেব। নিউট্রিশাস ফুড নিয়ে।
    এখনো প্রাণপন চেষ্টা চলছে শস্তায় পুষ্টিকর খাওয়ানো নিয়ে স্থানীয় ভাবে আলাদা মেনু বানানোর, সেগুলো নিয়ে প্রচার, প্রসারের।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৫52414
  • ফলিক এসিড তো কাজ দেয় । খুবই জরুরি। ওটুকু জানি :) আমার ভিটামিন নিয়ে বিরূপ ধারণা ওই হলুদ বরি গুলো যেগুলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাউন্টার থেকে দেয় । আর ক্যালসিয়াম এর ব্যাপার টা ইচ্ছে হলে ক্লিয়ার করিস । ক্যালসিয়াম আবার আলাদা আলাদা কি এটা বুঝিনা ।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৯52415
  • এই "সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্য " ব্যাপারটা নিয়ে চরম আগ্রহ আছে । অসুধের চেও । সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে কিছু প্রবন্ধ পড়েছিলুম ( কোনো ডাক্তারবাবুর লেখা , আবাপ তে ) তাতে তিনি বিশাল দুঃখ করেছেন , মানুষ এসব সস্তা পুষ্টিকর খাদ্য ফেলে দামী ম্যাগি খায় ক্যানো । আমার প্রবন্ধ গুলো অবাস্তব লেগেছে । কারণ স্বাদ ভালো না হলে শুধু পুষ্টির জন্যে মানুষ কিছু খাবেনা । প্রচার করলেও খাবেনা । স্বাদ ভালো অথচ পুষ্টিকর এবং সস্তা এরকম খাবার প্যাকেজিং নিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে কি ? জানতে চাই ।
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৫52416
  • ঘরে রান্না করা শাক, নানা রকম পাতা পুতি খেতে খারাপ হবে কেন ? খুবই ভাল হয়। এরকম নানা রান্না চালুও আছে। আছে বলেই লোকজন বেঁচে বর্তে থাকে।
    আমি এখন নিজের খেতে ক'রে রান্না করে খেয়ে ও টেস্ট করে বলছি। ওলকপি , ফুলকপি, বাঁধাকপি পাতাই ধরা যাক, এমনি লোকে ফেলে দেয়। কিন্তু কী পুষ্টি ! রান্না করলেও ভালৈ লাগে। এবার পেস্টিসাইড নিয়ে কথা হলে সেটা আলাদা বড় ইস্যু। আমি যাঁদের নিয়ে কাজ করি, তাঁরা নিজেদের জমিতে এটুকু একটু আধটু ফলিয়ে নিতেই পারেন। আমি এখন সম্পূর্ণ অর্গ্যানিক পদ্ধতিতে চাষবাস করেও দেখছি, কেমন কী ফলন হয়।

    আমি যেসব বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করি, তারা ম্যাগির টেস্ট পায়নি, আফোর্ড করতে পারেনা। আই সি ডি এস এর খিচুড়ি ভালই খেয়ে থাকে। কয়েকটা খায়না
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৪৫52417
  • বেঁচে বর্তে তো মানুষ খুব বাজে কন্ডিশন এও থাকে :( পেস্তিসায়দ নিয়ে কথা বলছিনা । ওসব টানলে অন্যদিকে চলে যাবে বিষয় । আমার বক্তব্য খুব ডেফিনিট এক্ষেত্রে । সমস্ত মাল্টিন্যাশনাল ফুড জায়েন্ট ব্যবসা করছে টেস্ট এন্ড ফ্লেভার এর ওপর । সবার কাছেই নিউত্রিষণ হলো সেকেন্ড প্রায়োরিটি । কারণ মানুষ আগে স্বাদ দেখে । স্বাদ ভালো লাগলে সেটাই বার বার খায় । ফুলকপি বাঁধাকপি এসব ভালো জিনিস অবস্যই কিন্তু ছতব্যালায় মা ওরকম একগুচ্ছ সবজি দিয়ে নুডল রান্না করে দিলে তিন চামচ খাওয়ার পরেই কাক -গরু খুঁজতুম । স্বাদ একটা বিশাল ফ্যাক্টর যেটা আমাদের সরকার ভাবে না । আমাদের একটা জেনেরাল ধারণা আছে যে গরিব মানুষ এমনি খেতে পায়না তার আবার স্বাদ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কি হবা । আলটিমেটলি যা ঘটে তা হলো লোকে নিউত্রিবাস ফুড ফেলে মাল্টি ন্যাশনালের পাউচ ফুড কিনে খায় । তিন টাকা -পাঁচ টাকার প্যাকেট এ ওই করেই নেবেছে মার্কেট । এই জায়গাতে না লড়লে , লোকজন কে নিউত্রিশাস ফুড এর মেনু দিয়ে কি কাজ হবে । সন্দেহ হ্যাস ।
  • avi | 125.187.34.119 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৫৬52418
  • আমার এক কাজিন বাংলার এক জেলা শহরের এক নামী স্কুলে তখন নাইন বা টেনে পড়ত। একদিন শুনলাম তার নাকি রক্তাল্পতা ধরা পড়েছে। তার মা ফোন করেছিলেন। মেয়ে নাকি ফিজিক্যাল শেপের লোভে ভালো খাওয়াদাওয়া করে না এসব অভিযোগ। আয়রন সাপ্লিমেন্টের কথায় জিজ্ঞেস করলাম, ওদের স্কুল থেকে ট্যাবলেট দেওয়া হত কিনা। তাতে জানলাম একটু উপরের সোস্যাল স্ট্রাটার মায়েদের নাকি ওখানে জেনারেল কনশেনসাস স্কুল থেকে দেওয়া এসব হাবিজাবি জিনিস না খাওয়ানো। তার পরিবর্তে নিজেরা আলাদা ভাবে এটা নিয়ে ভেবেছেন কিনা, তার উত্তর নেগেটিভ। প্রসঙ্গত সে সিঙ্গল চাইল্ড, এমনিতে যত্নের অভাব নেই।
    আর একটা গল্প। আমাদের পাড়ায় এক উঠতি পেডিয়াট্রিশিয়ান তখন সবে প্র‍্যাকটিস শুরু করেছেন। আগে পেরিফেরির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে তখন থিতু হয়েছেন। ক'দিন পরে দেখি দলে দলে কচিকাঁচা, একদম নিউ রিলিজ ইনক্লুডেড, এসে রুটিনমাফিক টীকাগুলো তাঁর থেকে চড়াদামে কিনে যায়। দু-একজন পরিচিত মা-বাবার সাথে কথা বলে জানলাম ডাক্তারবাবু তাঁদের জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হাবিজাবি ওষুধ বা টীকা না নিতে। ওদিকে আমি তখন কমিউনিটি মেডিসিন নিয়ে তারকেশ্বরে আছি, রিভার্স কোল্ড চেইন সরকারি স্তরে ভালোই মনিটরড হয় দেখছি রোজ, বস্তুত ওই পুরো মেগা ব্যাপারটা একজন ডাক্তার ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে সামলান সে নিয়েই আমি সন্দিহান, এসব শুনে আমি পুরো হাঁ।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০২52420
  • আগের একটা লিন্কে দেখলাম এক্জন বাচ্চার জন্যে বছরে ৬৫০-১৫০০ বরাদ্দ হয়। ওতে কি শুধু ওষুধ, টীকা ইত্যাদিই দেওয়া হয় নাকি আরো কিছুও আছে? সেক্ষেত্রে আমার তো বেশ কমই মনে হলো। অথচ হিসাবে দেখছি একটা বড় অংশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে আর ওভারহেডেই চলে যাচ্ছে। এটা কি ঠিক ভাবছি?
  • pi | 192.66.30.29 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০২52419
  • আই সি ডি এসের খিচুড়ি বেশিরভাগ বাচ্চা একসাথে বসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খায়। খুব ছোটদের সাথে তাদের মায়েরা থাকেন। আরো ছোট হলে মায়েরা খিচুড়ি নিয়ে যান। বা কাজে বেরোতে হলেও।
    তো, একসাথে বসে তো তারা মোটামুটি ভালোই খায়। একটি দুটি ছাড়া।
    মিড ডে মিলের জন্যও রীতিমতন টান আছে।

    এই খাবারগুলো নানারকম কম্পোনেন্ট মেপেজুখেই বানানোর জন্য বলা থাকে, আরো স্টাডি হচ্ছে, ইম্প্রুভমেন্টের চেষ্টাও। একবার অন্ততঃ এই খিচুড়ি খেয়ে থাকলে ( বেশি রোগা হলে বেশি খিচুড়ি), অনেকটা পুষ্টিই কভারড হতে পারে। আর এখনো অব্দি কোন মায়ের কাছে ম্যাগি বা নুডলস ( ম্যাগি এখানে এখনো ব্যানড), খেয়ে অন্য খাবার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শুনিনি, আমি যে সেকশনের মধ্যে কাজ করি , তাদের মধ্যে। এখানকার গ্রামগুলোর মুদির দোকানে এসব তেমন আভেলেবেইল বলেও দেখিনি।
  • pi | 192.66.30.29 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৫52421
  • অভি, একেবারেই এরকম হয়। এবার আমার আত্মীয়াদের প্রেগন্যান্সি , বাচ্চা হওয়া এবং তদ্দজনিত ডাক্তারি পরামর্শ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা আপনার সাথে মিলে যাচ্ছে। রুটিন ফ্রিতে পাওয়া টিকা যে দামে প্রাইভেট ঝকঝকে ক্লিনিক থেকে কিনছেন মা বাবারা, দেখে হাঁ হয়ে গেলাম !
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৫52422
  • সরকার যেখান থেকে কেনে সেগুলো তো ইন্টারনাল প্রকীয়র্মেন্ট । ফুল সাবসিডি পায় । কাজেই দের হাজারে এফর্দ করা অসম্ভব নাও হতে পারে । শুনে কম লাগছে বটে । গদাধর প্রকল্পে প্রতি একশ বাচ্চা পিছু প্রতি মাসের খরচ এর চে অনেক বেশি । অবস্য মিশন ওসবে কোনো সাবসিডি পায় না ।
  • pi | 192.66.30.29 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২৯52423
  • প্রতিদিন বাচ্চা ও মা প্রতি মোটামুটি পাঁচ টাকার খাবার বরাদ্দ থাকে। ৫০০-৮০০ কিলোক্যালোরির খাবার।
    এটা রাজ্যভিত্তিক, কোথায় কী দেওয়া হয়।


    এই আইসিডিএস এর বাজেট কাট নিয়ে বা বাড়ানো না নিয়ে তো নানা কথা হচ্ছে। অবশ্য আমাদের আলোচনার ইস্যুর মধ্যে এসব পড়েনা। পাব্লিক হেল্থ আর কবেই বা ইস্যু হল ।
    অঙ্গনওয়াড়ি দিদি, তাঁদের হেল্পাররাও কাজের তুলনায় খুব কম টাকা পান। আশাদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। রোজ এঁদের কান্নাকাটি শুনি। আর কাজের বহর বেড়ে যাওয়ার ফিরিস্তি। বিধবা ভাতা, সাক্ষরতা, আরো গাদা গুচ্ছ স্কিম, সব এঁদের দেখতে হয়, রোজের এই খিচুড়ি রেঁধে খাওয়ানো, সব রেকর্ড মেইনটেইন, পড়ানো, শেখানো আর গুচ্ছ রুটিন প্রোগ্রাম ছাড়াও। তাও মেয়েরা কাজ করছেন, নিজেদের বাড়ির কাজের বাইরে বেরিয়ে, দেখলে খুব ভাল লাগে। বাড়িতে কেবল নিজের বাচ্চার জন্য কাজ না ক'রে, অন্যদের জন্যেও করছেন দেখলে। আর হ্যাঁ, সেটার জন্য আলাদা পরিশ্রম হয়, আলাদা স্কিলের ব্যবহার হয়। এটার সাথে বাড়িতে এই একই কাজ করাকে গুলিয়ে দিতে দেখলে অবাকই লাগে। নিন, টইকে পথে ফিরিয়ে এনে দিলাম ঃ)
  • pi | 192.66.30.29 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৮52424
  • আরেকটা বেলাইন কথা বলে এতে ইতি টানবো। এই খিচুড়ি খেতে বেশ সুস্বাদু হয় , দিদিরা খুব জোরজার করলে টেস্ট করতে হয় ঃ)। তো, বাচ্চাদেরও অপছন্দ করার বিশেষ কারণ নেই। অনেকেই চেটেপুটে খায়।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫০52425
  • "পাব্লিক হেল্থ আর কবেই বা ইস্যু হল ।"

    এডুকেশন, হেল্থ, আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ছাড়া কোনো দেশ অর্থনৈতীক ভাবে এগোয় না। একেবারেই ক্যাপিটালিস্ট মডেল।
  • ঈশান | 183.21.199.39 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৯52426
  • এরা সব শহুরে ছেলেপুলে রে। আইসিডিএস অঙ্গনওয়াড়ি এসবের নাম শোনেনি। আমার মামার বাড়ির পাশে খিচুড়ি বানানো হত। হেবি গন্ধ বেরোতো। কিন্তু তখন বড়ো হয়ে গেছি আর চেয়ে খাওয়া যায় না। :-)

    ফালতু কথা থাক। গরীবদের খাবারের চয়েস নিয়ে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় 'পুওর ইকনমিক্স'এ ইয়াব্বড়ো স্টাডি করেছেন। তার নানা দিক আছে। আলোচনাটা অবিকল এই নিয়ে। খুব মোটা দাগে বললে, 'লোকে কলা না খেয়ে তেলেভাজা খায় কেন' এইরকম। তাতে স্বাদ একটা ফ্যাক্টর বটে, কিন্তু যদ্দুর মনে পড়ছে লাইফ স্টাইলও একটা বড়ো ফ্যাক্টর ছিল। যেমন লোকে চিপস খায় লাইফ স্টাইলের আকর্ষণে। যদিও ওই টাকায় কলা খেলে তার পুষ্টি ক্যালরি সবেরই উন্নতি হত।

    উদাহরণগুলো সবই বানিয়ে বললাম। খুব অথেন্টীক লিখলাম বলে ধরবেন না। ক্যালরি নিয়ে পড়লেই মনে হয় মাস্টার স্বাস্থ্যচর্চা করিয়ে দিচ্ছে, তাই খুব মন দিয়ে পড়িনি। এইটা নিয়ে পাই বা অন্য কেউ আলাদা টই খুলে বিশদে লিখলে, আম্মো নাহয় আরেকবার রিডিং দিয়ে অথেন্টিক ভাবে খানিকটা টুকে দেব।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০১52427
  • অঙ্গনওয়াড়ি শুনেছিলাম। হ্যাঁ হেল্থকেয়ার স্কিম নিয়ে আমার খুব লিমিটেড ধারণা।
  • pi | 233.231.37.63 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪৫52428
  • হ্যাঁ, অভিজিত বিনায়কদের ঐ স্টাডি পড়েছিলাম। নিজে দেখে এখন মনে হয় ঠিকই। খুব প্রত্যন্ত গ্রামের যেমন অসুবিধে অনেক আছে, একটা সুবিধে হল, এই ধরণের লাইফস্টাইলের হাতছানির সুযোগ তেমন বেশি নেই। তবে কালে কালে কী হবে, কে জানে। অন্য কিছু না থাকলেও একটু আফোর্ড করতে পারলেই আর বিদ্যুৎ এলেই দেখি ডিশ টিভি চলে এসেছে। তবে ভিতরের দিকের দোকানে ( সে এমনিতেই সংখ্যায় খুব কম) সেরকম সাপ্লাই নাই।
    দেবর্ষিদাদের লেখাতেও এই নিয়ে একটা আলোচনা ছিল, যদ্দুর মনে পড়ছে। ক্যালরি কন্সাম্পশন কমে যাওয়া নিয়ে।
  • pi | 233.231.37.63 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৫০52429
  • আর বলা হয়নি , সকাল সকাল উঠে তির্যকের পোস্ট দেখে বেশ বিরক্ত লেগে গেছে, আবারো প্রশ্নগুলো সব এড়িয়ে যাওয়া আর একটা জিনিস তুলে নিয়ে অপব্যাখ্যা। এ নিয়ে আর কচলাতে ভাল লাগছে না, তাই ঐ তর্ক বা ইন্টারাকশনে যাবোনা।
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০১52430
  • ভুটানে এই সমস্যা টা অলরেডি ঢুকে গ্যাছে । দুনিয়ার কোরিয়ান প্যাকেজ ফুড । বাচ্চারা হামলে পরে ওই খায় ।
  • pi | 233.176.41.239 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ১২:১১52400
  • নে চাট্টি আয়োডিন মেশানো বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হলুদ ভিটামিন বড়ি ঢপবাজি কেন ? বিস্তারিত জানতে চাই। ডাটা সহ। সিরিয়াসলি।

    পুষ্টিহার বাড়ানো নিয়ে কাজ হচ্ছে না কে ববলো ?

    আইসিডিএস এ প্রি প্রেগন্যান্সি থেকে ল্যাকতেতিং পিরিয়ড অব্দি কভার করা রেশন, রান্না নেই, এটা কে বললো ? এইসব স্কিমের বিস্তারিত বর্ণনা চাই, নাকি বাস্তবে এগুলো পালিত হচ্ছে, সেই ছবি চাই ?

    তবে হ্যাঁ, এসব আবার নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তদের উপরের পরিবারের লোকজন এলিজিবল হলেও আফোর্ড করেন না, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে গিয়ে গরীব মহিলা, বাচ্চাদের সাথে একসাথে বসতে বা ইন্টারাক্ট করতে নিশ্চয় গায়ে লাগবে ঃ)। সে যাগ্গে, তাঁরা নিজেরা আফোর্ড করতে পারলে সরকারের টাকা বাঁচবে, তা নিয়ে বলার কিছু নাই, কিন্তু সরকারের তরফ থেকে মায়েদের জন্য , মেয়েদের জন্য অনেক ভাল ভাল স্কিম রয়েছে, এট অস্বীকার করলে সইত্যের অপলাপ হবে।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ১২:১৭52401
  • আচ্ছা এইরকম কিছু স্কিমের একটু ডিটেলস দেবেন। আর সেগুলো ঠিক কতটা সফল। আমি সত্যিই জানতে চাই। আমার তো মনে হয় ভারতে মায়েদের স্বাস্থ্যের হাল খুব খারাপ। ছোটোবেলা থেকেই পুষ্টি তে ভোগে, বিয়ের পর থেকে রোজ ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁসেলে কাজ, খুব তাড়াতাড়ি রোগ ভোগ হয়ে যায়, তারপরে একগাদা বাচ্চা হওয়ার ধকল।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ১২:১৮52402
  • অ-পুষ্টি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন