এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারীদিবস ঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম ঃ কিছু সংযোজন

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২০৬৬ বার পঠিত
  • ঘরকন্না ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প

    যে জীবন ফড়িং-এর দোয়েলের, মানুষের সাথে তার যে দেখা হয় না, সেকথা জানাই ছিল। কিন্তু যেসব জীবন মানুষের-মানুষীরই, তাদের আশেপাশেই থেকেও সেইসব জীবনের সাথেও যে মানুষের আসলে দেখা হয় না, তাও মাঝে মাঝে এমনভাবে জানতে পেরে অবাক হতে হয়।
    এই ক’দিন আগে আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রবন্ধ ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে দেবেন না কেন ?’ পড়ে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া মতামতগুলো পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হল। সেদিনটা দোলের ছুটির পরের দিন, কাগজের প্রিন্ট বেরোয় নি তাই লেখাটা শুধু আবাপ’র ওয়েব সংস্করণেই বেরিয়েছিল, যাঁরা পড়েছেন তাঁরা প্রায় সবাই উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্তও। এবং মহিলারা বেশির ভাগই কর্মরতা। তাই এই লেখা, এই ‘ঘরের কাজের জন্য মাইনে’র ধারণা হয়তো সরাসরি তাঁদের জন্য নয়। যে মধ্যবিত্ত / নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধুদের কথা ভেবে এই লেখা, তাঁদের হয়ত এই লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি কিন্তু তাঁদের যে আমরা একেবারেই চিনি না, এমনও তো নয় ! কিন্তু দেখা গেল এই লেখা যাঁরা পড়েছেন সেই পাঠকগোষ্ঠীর সিংহ ভাগ মহিলা ও কিছু পুরুষ এই ব্যাপারটায় নানাভাবে আপত্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। লেখকের কাছে প্রতিটি মতামতই মূল্যবান, বিরুদ্ধ মতামত বেশীই মূল্যবান কারণ তা প্রায় টর্চের আলোর মত যেকোন ধারণার অন্ধকার কোণায় আলো ফেলে দেখিয়ে দেয় তার ভুল ভ্রান্তি। উল্টোদিকে বিরুদ্ধ মত যারা পোষণ করেন, লেখকেরও দায় থাকে তাঁদের বোঝার ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দেওয়া।
    তাই প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো গৃহশ্রমের / গৃহকর্মের মূল্যায়নই এই লেখার মূল কথা। গৃহকর্ম বলাই বেশী ভালো কারণ ততটা শ্রমসাধ্য নয় কিন্তু অনেকটা যত্ন ও ভালোবাসা (এবং আত্মত্যাগ) মেশানো যে সব ছোট ছোট কাজ একটা ঘর কে সংসার করে তোলে আর গৃহবধু কে পরিচারিকার থেকে আলাদা করে সেগুলোর কথাও এখানে ভাবা হয়েছে। সেই গৃহকর্ম যাতে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত হতে পারে এবং গৃহবধুও নিজেকে বঞ্চিত না ভাবেন বা ‘আমি তো কিছু করি না’ জাতীয় হীনম্মন্যতায় না ভোগেন, সেই জন্য তাঁর একটা নিয়মিত বেতনের কথা ভাবা, যেটা তাঁর স্বামীর বেতনের একটা অংশ (ধরুন ২০%)হিসেবে নিয়মমাফিক সরাসরি তাঁর কাছে আসবে (যেভাবে ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে আসে)। স্বামী এখানে এমপ্লয়ার নন, দাতা তো ননই, তাঁর রাজী হওয়া না হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যেভাবে ট্যাক্স, পি এফ এর টাকা কাটা যায় সেই ভাবেই নিয়মমাফিক তাঁর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন কাটা হবে (অবশ্যই যদি স্ত্রী চাকরী না করেন)। সেই বেতন ঘরের কাজের দরুণ মহিলাটির নিজস্ব উপার্জন, আর এই উপার্জনই তাঁকে স্বনির্ভর করে তুলবে। নিজের ছোটখাটো চাহিদার জন্য স্বামীর কাছে হাত পাততে হবে না, কৈফিয়ৎ দিতেও হবে না। একজন গৃহবধু সসম্মানে বলতে পারবেন ‘আমি ঘরের কাজ করি’।
    এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অজস্র যুক্তি ও আপত্তির মধ্যে প্রথমই হল, গৃহবধুর আর আলাদা করে কাজ কি ? ঘরের সব কাজই তো পরিচারিকা করেন, বাচ্চাকে পড়ান টিউটর আর স্কুলে নিয়ে যায় পুলকার বা স্কুলবাস। তাছাড়াও এইসব মহিলারা স্বামীর কাছ থেকে মোটা টাকা হাতখরচা পান, তাতেই তাদের শখ-আহ্লাদ দিব্য মিটে যায়। আর খাওয়া-পরা সমেত সংসারের বড় খরচ তো পুরুষটির(স্বামী)উপার্জন থেকেই হয়, এর পর আবার মাইনে কিসের ! এই কথাগুলো পড়েই মনে হয়েছিল আমরা কবে খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের বাইরের পৃথিবীটা চিনতে শিখব ! অথচ আমরা যে একেবারেই সংবেদনশীল নই তাও নয়, গায়ক অভিজিৎ যেদিন রাস্তায় থাকা মানুষদের গালাগাল দিয়েছিলেন, সেদিন আমরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলিনি। বাড়ির পরিচারিকাদের এমনকি যৌনকর্মীদেরও শ্রমিকের সম্মান দেওয়া নিয়ে আমরা ভাবি। তাহলে গৃহবধুদের ব্যাপারে আমরা এত উদাসীন কেন !
    আসলে আমরা অনেকেই নিজেদের চাকরী করা জীবনটা দেখতে পাই, পাশের বাড়ির / ফ্ল্যাটের গৃহবধুর আরামের জীবনটা দেখতে পাই আর দেখতে পাই নীচের তলার বাসিন্দা আমার ‘কাজের মাসি’র কঠিন জীবনটা। এর বাইরে মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উপার্জন স্তরের বাসিন্দা যে গৃহবধুরা তাঁদের জীবনটা আমরা দেখতেই পাই না। এই শহর কলকাতায় আমাদের আশেপাশেই তাঁরা থাকেন, কোনো একটা সরকারী ইস্কুলের গেটের কাছে ছুটির সময়টা একটু দাঁড়াবেন, বাচ্চাদের নিতে আসা মায়েদের কথায় কান দেবেন, তাঁদের চেহারা-সাজগোজের দিকে নজর দেবেন, বুঝতে পারবেন গৃহবধু কাকে বলে। একপর্ব রান্নাবান্না সেরে বরকে কাজে পাঠিয়ে বাচ্চাকে নিতে এসেছেন, গিয়ে বাকি রান্নাটা সারতে হবে, ফেরার পথে হয়ত এটা ওটা বাজারও করে নিতে হবে। ঠিকে কাজের লোক একটা এঁদেরও আছে, বাসন মেজে ঘর মুছে কি সপ্তাহে একদিন কিছু কেচে দিয়ে যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। রোজকার কাচাকাচি, ঘরগোছানো, বাচ্চাকে স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো, জামা কাপড় ইস্ত্রী করা, অতিথি আপ্যায়ন, অসুখে সেবা, এই সব কাজ এঁরা নিজের হাতেই করেন। এই ডিউটি নিয়ে কিছু বলার নেই, এঁদেরও নেই, আমারও নেই কিন্তু দিনের শেষে এঁরা কেন নিজেদের ‘স্বনির্ভর’ মনে করবেন না, উপার্জনের প্রশ্নে মাথা নীচু করে থাকবেন, সেই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। কারণ এটাই বাস্তব, পয়লা বৈশাখে নিজের মাকে একটা শাড়ী দিতে গেলে এই মহিলাদের বরের কাছে হাত পাততে হয়, আর হাত পাতলেই সব সময় হাত ভরে এমনও নয়। এই জীবনটা ‘আমাদের’ নয়, কিন্তু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের ওই প্রান্তে যে বিরাট সংখ্যক মহিলা বাস করেন যাদের স্বামীরা ছোটখাটো চাকরী বা ব্যবসা করেন, তাঁদের জীবনটা এইরকমই।
    কিন্তু নিয়ম যদি করতেই হয় তাহলে তা সকলের জন্যই করতে হবে আর তাতে আখেরে কিছুটা যাতে সুরাহা হয় সেটাই দেখতে হবে। স্বামীর মাইনের / উপার্জনের কিছু নির্ধারিত অংশ যদি স্ত্রী-র হাতে আসে আর মহিলাটি যদি তার থেকেই পরিচারিকার মাইনে দেন তাহলে একটা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে যিনি বেশির ভাগ কাজ নিজের হাতে করেন আর যাঁর সব কাজ পরিচারিকা করে দেয় তাঁদের মধ্যে উপার্জনগত ভাবে একটা তফাৎ থাকবে। স্বামীকে আর আলাদা ভাবে বৌকে হাত-খরচ দিতে হবে না, আর স্ত্রীও নিজের এই উপার্জনের কতটা সংসারে খরচ করবেন, কতটা নিজের হাতে রাখবেন সেটা তিনিই ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁকে স্ব-নির্ভর বা উপার্জনক্ষম নন একথা আর বলা যাবে না কারণ মাসের শেষে তাঁর হাতেও নিয়ম করেই কিছু টাকা আসছে আর সেই টাকাটা তাঁর স্বামী দিচ্ছেন না। এই কথাটিই এই ব্যবস্থার মূল কথা আর এই কথাটা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে তাই আবার লিখতে হল।
    কিন্তু যাঁরা এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই বুঝতেই পারছেন না, বাড়ির কাজ যা অনেকটা নিজের জন্যও করা, যা ভালবেসে করা তার জন্য মাইনে কেন ! পুরুষেরা কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে বলেছেন যে মাইনে থেকে ভাগ দিতে হলে তো কাজের লোক রাখলেই হয়, বিয়ে করার দরকার কিসের ! আর মেয়েরা অনেকেই একটা কথা বলেছেন যে সংসারের পেছনে একজন মহিলার যা অবদান তা কি টাকা দিয়ে মাপা যায় ! অর্থাৎ নিজের সংসারে কাজ করে টাকা নিতে তাঁদের ‘ইগো’তে লাগছে। আবারও বুঝিয়ে বলি, দেখুন, একটা রাস্তায় যানজটের জন্য দেরী হলে সেই দেরীর দরুণ ক্ষতিটুকুও অর্থমূল্যে মাপা যায় কারণ তা দেশের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে। ওপরে যেসব কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা সমেত একটা পূর্নাঙ্গ সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে গৃহবধুরা যে তাকে তাকে সুষ্ঠু ভাবে চালান, সেটা কাজের মানুষটির(পড়ুন পুরুষটির)উৎপাদনশীলতাকে ও কর্মক্ষমতাকে নিশ্চই প্রভাবিত করে কিন্তু সেই বিরাট পরিমাণের শ্রম আমাদের অর্থনীতিতে উহ্যই থেকে যায় যুগের পর যুগ তার কোন ‘মূল্যায়ন’ হয় না, এটা কতটা সঙ্গত সেটা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। সংসারের ‘সমস্ত’ কাজের জন্য কাজের লোক রাখা এমনিতেই সম্ভব নয়, যতটা রাখা সম্ভব তার জন্যও খরচের অঙ্ক বিরাট। কিন্তু সেই খরচ দিয়েও একজন গৃহবধুর মত পরিষেবা পাওয়া যায় না, এইটা ছেলেদের ও মেয়েদের সবাইকেই বুঝতে হবে। সেভাবে দেখতে গেলে কোনো পেশাতেই পেশাগত দক্ষতা, যত্ন ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে মাপা যায় না; যে যত্ন নিয়ে একজন আদর্শ ডাক্তার একটি শিশুর জন্ম ঘটান বা যে ভালোবাসা নিয়ে একজন শিক্ষক কঠিন বিষয়কে সহজ করে শেখান তাও কি টাকায় মাপা যায় ? তবু সেই সব পেশার ক্ষেত্রেই আমরা আর্থিক মূল্যায়নকে মেনে নিয়েছি কারণ এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। তাই গৃহকর্মকে একটা পেশা হিসেবে সম্মান দিলে তার মূল্যায়নের কথাও ভাবতে হবে।
    কিন্তু হয়নি এযাবৎ। আর সেই জন্যই কেউ গৃহকর্মকে পেশা হিসেবে ভাবতে পারেন না আর সেই ভাবেই সংসারের ছোটবড় কাজগুলো অকিঞ্চিৎকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সে কাজগুলো না করলে যে চলবে এমনও নয়। খেতে আপনাকে হবেই, গৃহবধু রান্না না করলে রান্নার লোক রাখা, না হলে হোম ডেলিভারী। রান্নার লোকের ওপর তদারকি না করলে রান্না খারাপ, তেল বেশি, পরপর ক’দিন খারাপ / একঘেয়ে রান্না খেলে একদিন বাইরের খাওয়া চাইই। তার মানে রান্না-খাওয়া ব্যাপারটা একেবারে এলেবেলে নয়, কিন্তু যখন তা বাড়ির বৌটি করছেন তখন আমরা সেটা আলাদা করে ভাবছি না। সেই রকমই অন্যন্য কাজও। কাউকে না কাউকে সেগুলো যত্ন করে করতেই হয়, না হলে পরিবারের ধারণা দাঁড়ায় না। তাই বিয়ে করাটা নারী-পুরুষ কারুর কাছেই সমাজসেবা নয়, নারীর যেমন নিরাপত্তা চাই, পুরুষেরও দিনের শেষে নিজের সংসার নিজের ভালোমন্দ দেখার মানুষ দরকার।
    তবে এখানে ঘরের কাজ মূলতঃ মেয়েরা করেন এবং পুরুষ বাইরেই কাজ করেন বলেই বার বার ‘গৃহবধু’ বলা হয়েছে, তবে আসলে এটা গৃহশ্রমের মূল্যায়নের গল্প। তাই যে নারী বাইরে কাজ করতে চান করুন, যে পুরুষ ঘরে কাজ করতে চান করুন (সেই ‘কি’ আর ‘কা’ এর গল্প), বেতনের নিয়মটা আলাদা কিছু হবে না কারুর জন্য। দুজনেই বাইরে কাজ করলে ঘরের কাজ তাঁরা কিভাবে করবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করবেন কারণ সে ক্ষেত্রে মহিলাটিরও নিজের মত জানানোর যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। কিন্তু ঘরের তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলো সে মেয়েরা করুন বা ছেলেরা করুন, কাজ হিসেবে যে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটাই মনে করানোর জন্য এবং তাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য এই নিয়ম।
    গৃহশ্রমের এইভাবে মূল্যায়নকে যারা সরাসরি স্বীকার বা অস্বীকার করতে পারেন না দেখা গেছে তারা এর বাস্তবায়ন নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত। যেমন গৃহবধু যদি ‘মাইনে’ পান তাহলে ইনক্রিমেন্ট, পি এফ, গ্রাচুইটি, ইত্যাদি কি ভাবে হবে, সি-এল, ই-এল এর সুযোগ থাকবে কিনা, আরো ভালো ‘মাইনে’ পেলে গৃহবধুর চাকরী বদলানোর সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি। বোঝাই যাচ্ছে এর অনেক কিছুই স্রেফ বিরোধিতা করার জন্য বলা, কিন্তু লেখকের দায় থাকে সব প্রশ্ন নিয়েই ভাবার। তাই এই ধরনের সমস্যারও কিছু সমাধানের কথা ভাবতে হয়। স্ত্রীর বেতন যেহেতু স্বামীর বেতনের একটা অংশ হিসেবে আসবে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর আয় যেমন যেমন বাড়বে, স্ত্রীরও সেই অনুপাতেই বাড়বে, পেনশনও পাবেন সেই ভাবেই। কিন্তু দেশের সমস্ত চাকরীর শর্ত যেমন একরকম নয়, সেইরকম এই চাকরী থেকে ‘ছাঁটাই’ এর প্রশ্ন নেই কারণ বর এর এমপ্লয়ার নন, মহিলাই বা চাকরী ‘বদলানো’-র কথা ভাবতে পারবেন কি করে, নিজের স্বামী সন্তান ছেড়ে অন্য সংসারে অন্য স্বামী-সন্তানের মাঝখানে ফিট করে যাওয়া কি বাস্তব সম্মত কথা হল ! যাঁরা এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা সম্ভবতঃ এত কিছু না ভেবেই বলেছেন। কিন্তু এর পর থেকে এইরকম প্রশ্ন করার আগে আশা করব একটু ভেবে করবেন। আর সি-এল-ই-এল ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বলব আপনি যেমন অফিসে প্রয়োজনমত ছুটি নেন, গৃহবধুও দরকার মত নেবেন, তখন ঘরের কাজ কিভাবে হবে তা তিনিই ঠিক করবেন। তবে এই সব অনেক প্রশ্নই অবান্তর কারণ গৃহবধু পরিচারিকা নন, নিজের দায়িত্বেই তিনি সংসারের নানাদিক দেখে থাকেন। বিনা পারিশ্রমিকেই। শুধু পারিশ্রমিক নিলেই তাঁকে ভাড়া করার কাজের লোকের সঙ্গে গুলিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। গৃহবধুকে তাঁর জায়গায় রেখে তাঁর পরিষেবাকে সম্মান জানাবার জন্যই এই ভাবনা।
    এই নিয়ম চালু হতে গেলে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেক মেয়েরা নিজেরাই এই পারিশ্রমিক নিয়ে চাইবেন না। কিছুটা চক্ষুলজ্জা (নিজের সংসারে কাজ করে পয়সা নেবো ! ছিঃ, লোকে কি বলবে ), কিছুটা ইগোয় লাগা (আমার দায়িত্ব কি টাকায় মাপা যায় !) যে কথা আগে বললাম। কিন্তু ‘সাফারার’ এর মতামত নিয়ে নিয়ম চালু করতে গেলে হয়তো সতীদাহ-বিধবা বিবাহ-বহুবিবাহ কিছুই রদ করা যেত না। কিন্তু যখনি একটা নিয়ম চালু হয়, কিছু মানুষ তার সুবিধে পেতে শুরু করেন, তখনই আস্তে আস্তে সেটা অর্থবহ হয়ে ওঠে। তার বাস্তবায়নের নানা সুবিধে অসুবিধেও তখনই সামনে আসে আর তার সংশোধনেরও রাস্তা খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাবটা গোড়ায় বিনাশ করে দিলে এ সব কিছুই আর হয়ে ওঠে না।
    গৃহশ্রমের মূল্যায়নের এই মডেল একটি ধারণা মাত্র। মানে এটা নিয়েও যে ভাবা দরকার আর এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে, সেইটা জানানো। এভাবেই যে হতে হবে তা কোথাও দাবী করা হয়নি কিন্তু কিভাবে হতে পারে সেইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু মজার কথা হল, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁরা কেউ কিন্তু কোনও সমাধান দেননি, শুধু নানারকমের প্রশ্ন তুলে ঠাট্টা-তামাশা করেই কর্তব্য সেরেছেন। তবু এই অবকাশেই এই বিষয় নিয়ে দু-চারটে কথা আবারও লেখার সুযোগ হল, এটাই বা কম কি !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ | ১২০৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩৩52291
  • ডিসি , আমি বলছিনা যে স্কিল লাগেনা । কিন্তু সেটা কোনো রকেট সায়েন্স ও নয় । যারা বছরের পর বছর রান্না করে চলেছে তাদের কাছে ব্যাপারটা আর তেমন আনন্দের না । ওসব প্রথম প্রথম ভাল্লাগে এই মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল তারপর সুক্তো তারপর চালকুমড় এটা সেটা কিন্তু ক্রমশ ব্যাপরটা এত লেস ইনোভেটিভ হয়ে দাঁড়ায় যে আর বলার নয় । জাস্ট হ্যাজ কেস । ধরুন কাতলা মাছের তেতো করলেন পলতা পাতা দিয়ে বা পর্ক এর ,বড়ি বেগুন দিয়ে টক । বেশিরভাগ জনতা খাবে না । আঁকা বা লেখা বা সঙ্গীত যে অর্থে ইনোভেশনের রাস্তা খোলে রান্না সে অর্থে খোলেনা কারণ আমরা সবাই অল্পবিস্তর প্রচলিত স্বাদে অভ্যস্ত । আর একই রান্না , একই ছবি বা লেখার মত অগুন্তি মানুষ আস্বাদ করতে পারেনা । নাটক এর মত এভার চেঞ্জিং পারফর্মিং আর্ট কেও ভিডিও করে রাখা যায় , রান্না তা হয়না । কাজেই জিনিষটা ন্যারো হতে বাধ্য যদি না প্রফেশনালি শেফ এর জীবন বেছে নেন । আমি রান্না করতে একসময় ভয়ঙ্কর ভালবাসতুম । উইক এন্ড মানেই বাড়িতে বন্ধুদের আড্ডা -খাওয়া দাওয়া । এখন একদম কাজ চালানো গোছের করি । সময় নষ্ট মনে হয় । আর্ট ঠিকই কিন্তু পেশাদারী ভাবে করার সুযোগ না থাকলে খুবই লেসার আর্ট ।
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪০52292
  • মানে , ধরুন আপনার বাড়িতে তিন টি প্রাণী । তাদের রুচি , রক্তের সুগার , শ্যাওলা এসব মাথায় রেখে একটা টেম্পলেট অলরেডি আছেই । আর আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বছরের পর বছর সেই রান্না রেঁধে চলেছেন । কতটা বিরক্তিকর বুঝতে পারছেন ? বছরের পর বছর সিঙ্গল ক্লায়েন্ট এর একই প্রজেক্ট এ আটকে থাকার মত :( আর তারা ভালো বলল না অখাদ্য এটা একটা সময়ের পর খুব একটা এসে যায়না । আপনার কবিতা যদি সারাজীবন নির্বাচিত পাঁচ জন পড়ে তাহলে একটা সময়ের পড়ে তাদের রিয়েকশন ও বেজায় প্রেডিকটেবল ।

    আশা করি বোঝাতে পারছি । ইন্টারন্যাশনাল কুইসিন -কুলিনারী আর্ট এসব অনেক বড় ব্যাপর -গালভরা কথা , কিন্তু আমাদের চারপাশে যাঁরা এই সিঙ্গল ক্লায়েন্ট এর প্রজেক্ট এ সারাজীবন ডিবাগ আর ডেলিভারি করে যাচ্ছেন তাঁরা জানেন কাজটা চরম আন ইনোভেটিভ।
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪৭52293
  • একক, রান্না করার স্কিলকে রকেট সায়েন্সও বলছিনা, আবার একেবারেই রুটিনও বলছিনা। ভালো রান্না করাটা একটা স্কিল, এটাই বলছি। এবার একই রান্না রোজ করতে থাকলে তো বোরডম আসবেই, তার সাথে স্কিলের কি সম্পর্ক? বরং নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাঁধলেন, কয়েকদিন আপনার বাড়ির অন্য কেউ রাঁধলো, কোনদিন রেস্টুরেন্টের একটা রান্না দেখে ভাল্লেগেছে সেটা কিভাবে বানানো যায় সেই চেষ্টা করলেন, আরেকদিন ইউটিউবে আফগানি পোলাও দেখে সেটা বানালেন, এসবে কিন্তু স্কিলও দরকার হয় আবার ইনোভেশনেরও স্কোপ থাকে। আর এই রান্না করা, তার জন্য বাজার থেকে একেকটা ইনগ্রেডিয়েন্ট কিনে আনা, এটা সেটা কেটেকুটে তৈরি করা, এই পুরো প্রসেসটা আমার কাছে অন্তত এখনো বেশ ইনটারেস্টিং লাগে। তার মানে এই না যে সবসময়েই ইনোভেটিভ হতে হবে বা সব রান্নাতেই স্কিল লাগবে। তবে বোরডম অ্যাভয়েড করলে এক্সপেরিমেন্ট করাই যায় আর তার জন্য স্কিলও লাগে। সেটা রকেট বানানোর স্কিল না, রান্না করার স্কিল। একটার সাথে অন্যটার তুলনা করে কি হবে?
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৫52294
  • নানা আমার ঘরের যে চারটি প্রাণী আছি সেই চারজনেই নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসি। আমি নিজেই ইউটিউবে এটা ওটা নানান রেসিপি বার করি আর দুজনে মিলে সেগুলো বানানোর চেষ্টা করি। বেক বা গ্রিল টাইপের হলে আমার ইনপুট বেশী থাকে, অন্য রান্না হলে কম থাকে। আজ সন্ধেবেলাই যেমন সিগরির একটা ড্রিংক বানিয়ে বাকি তিনজনকে খাওয়ালাম, সবাই মিলে বললাম কোন ইনগ্রেডিয়েন্টটা একটু কমবেশী দিলে আরো অথেনটিক টেস্ট আসবে। এর মধ্যে "ইন্টারন্যাশনাল কুইসিন -কুলিনারী আর্ট " এসব কিছুই নেই, জাস্ট ঘরের মধ্যে নিজেদের যা ভালো লাগে সেসব পাল্টে পাল্টে রান্না করা আর খাওয়া।

    " আর আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বছরের পর বছর সেই রান্না রেঁধে চলেছেন"

    এটা আমরা প্রায় কখনো করিনা, মাঝে মাঝেই নতুন কিছু বা অন্যরকম বানাই। কখনো স্রেফ চিকেন রুটি তো কখনো হানি গ্লেজড চিকেন। এতে কিন্তু কিছুটা স্কিল লাগে ঃ)
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১০52295
  • ক্লায়েন্ট বাড়ছে না যে :( যতই নতুন নতুন জিনিস ট্রাই করা হোক না ক্যানো একটা সময়ের পর আনেকসপেক্তেদ কিছু ঘটেনা :|
    ক্রমাগত কিছু না কিছু আনেকসপেক্তেদ আউটকাম না এলে আমি কেমং বোর হয়ে যাই :(

    আর খাওয়াদাওয়া এমন একটা জিনিস যেখানে মানুষ একটু রিপিটেশন এক্সপেক্ট করে একই পদের ক্ষেত্রে । মানে আপনি যদি পাঁচবার পাঁচরকম আফগানি পোলাও রাঁধেন তাহলে যিনি খাবেন তিনি কেমন একটা ভ্যাবাচ্যাকা মুখ করে আপনার দিকে তাকাবেন । এর সঙ্গে মানুষের মস্তিস্কের যোগ আছে । একই পদের যে স্বাদ এক্স্পেক্তেদ বলে ইম্প্রিন্ট হয়ে গ্যাছে সেটা রিপিট না হলে বা দ্রুত বদলাতে থাকলে মানুষের স্যাশিয়েতিং ইন্স্তিন্ক্ত কাজ করেনা ।

    মানে , ধরুন বাজাতে গিয়ে যেমন প্রতিবার একই সুর একটু অন্যভাবে লাগালে শ্রোতা বাহবা দিয়ে ওঠে সেটা রান্নার ক্ষেত্রে অমন নয় । বরং ওই একই বোরিং স্বাদের আফগানি আবার ডিটো নাবান বলবে ভালো হয়েছে । নতুন স্বাদের আফগানি টা কেমন হয়েছে জিগালে বলবে ভালো কিন্তু "আগেরবারের মত " হয়নি । রান্না হচ্ছে এমন এক হতভাগা আর্ট যেখানে মানুষ "আগেরবারের মত " চায় বা সেরকম মানুষের সংখ্যা বেশি :|

    এনিওয়ে আপনার যখন ভাল্লাগছে অবশ্যই মন দিয়ে সেটা করবেন । রিসোর্স -হাইজিন -ফ্লেভার এই তিনটে পয়েন্ট কে একজায়গায় রেখে ঠিকঠাক রান্না করা অবস্যই একটা দারুন ব্যাপার :) আমি একটু দ্রুত বোর হই । নো প্রবলেম ।
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩১52296
  • হুঁ আমরা এখনো এই বোরডমের থ্রেশোল্ড পেরইনি, দেখা যাক পরে কি হয়।

    আর রান্না একইরকম রাখা কিন্তু মাঝে মাঝে সেই একই রান্না অল্প একটু পাল্টানো, এর মধ্যেও একটা অপটিমাইজেশান টেকনিক আছে ঃ)
  • | 24.97.39.211 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৮52297
  • ম-এর 18:16র পোস্ট
    এই দ্যাখো!! আমি ঐসব সবাইকে সবকিছু শেখানোর কথা বলতে গিয়ে খানিক দাঁত মুখ খিঁচানি খেলাম যে নতুন কিছু বলি নি। এদিকে আমার নতুন কিছু বলবার কোনও দাবীই ছিল না। যে গোলপোস্ট পুঁতিই নি সেটাও নাকি সরিয়ে ফেললাম।
    হাঃ
    মরুগ্গা zIউক।

    সোসেনের সাম্প্রতিক পোস্ট দেখে মনে হল আগেও লিখেছি অন্য প্রসঙ্গে ভাটে বা টইয়ে আরেকবার লিখে রাখি শুধু ঘরের কাজে আটকে না থাকা বলতে কিন্তু সবসময় চাকরি করাই হতে হবে এমনটা আমি মনে করি না। সেটা নিজের কোনও উদ্যোগ হতে পারে কিম্বা নিতান্ত শখও হতে পারে যার আর্থিক মূল্য তেমন নেই। নিজস্ব কিছু রোজগার থাকলে অবশ্যই ভাল। তবে কোন বাড়ীতে যদি স্পাউস দুজন মিলে ঠিক করে একজন উপার্জন ব্যপারটা দেখবে, সেক্ষেত্রে আরেকজন তার কোনও শখ নিয়েও থাকতে পারে। সেটা আশেপাশের বাচ্চাদের পড়ানো বা নিজের গান বাজনা বা অন্যকিছুও হতে পারে। তো এই শখের জন্যও তো হাতে খানিক সময় দরকার। সেইজন্যও গৃহকর্ম সকলের হাত মিলিয়ে করা দরকার।
    বাকী তুমি যেমন আগে বলেছ গৃহ নামক ইউনিটে গৃহকর্মের জন্য অন্য কেউ যথা সরকার বা আর্নিং মেম্বারের চাকুরিদাতা পয়সা দেওয়া নিয়ে -সেইটের সাথে একমত।
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১৭52298
  • আমি মনে হয় তীর্যকের সলিউশনটা বুঝতে পেরেছি।

    বিয়ের সময় একটা কন্ট্র্যাক্ট হবে যে বউ বা বর যেই চাকরী করুক সে অন্যপক্ষকে মাসে মাসে একটা টাকা দেবে - কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী। এইটা ট্যাক্স রিটার্ণের সময় ফাইল করতে হবে যে দেওয়া হয়েছে। বা যেমন ভাবে খরপোষ দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা চেক করা হয় এইটাও সেই ভাবেই চেক করা হবে।

    বর বা বউয়ের একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে সেখানে মাসে মাসে কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী টাকা জমা পড়বে।

    বছর বছর কন্ট্র্যাক্ট রিনিউ করা যাবে।

    আবার লাইফ সেভিং ঘটনা ঘটলেও যাবে। মানে যে টাকা দিচ্ছিল তার চাকরী চলে গেল, বা আনপেইড লিভে গেল। মানে এক্সেপশন ক্রাইটেরিয়া ঠিকমতন ডিফাইন করতে হবে।

    কিন্তু মোটের ওপর ভালই লাগল।

    এর সাথে অন্যপক্ষ গৃহকর্ম করছে কিনা, সন্তান ধারণ করছে কিনা এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই মনে হল।

    যাস্ট বিকজ উই আর পার্টনার, একটা মাসে মাসে টাকার বন্দোবস্ত হল। নাও হতে পারে কন্ট্র্যাক্টের ওপর ডিপেন করবে।

    খারাপ কি?
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৫52299
  • দমুদি, আমি তো আগেই বলেছি, পার্টনারশিপের চয়েস। কিন্তু পার্টনারশিপ ব্যাপারটা খুব শক্তপোক্ত জিনিস নয় বলেই মনে করি-তাই চয়েসটা বদলে যেতে বেশিক্ষণ লাগে না, আর তখন চাইলেই আরেকটা চাকরি জোটে না। আর এখানে তো অর্থকরী ব্যাপার নিয়েই কথা হচ্ছে। শখের জিনিসপত্র শেষ অব্দি অর্থকরী না হলে কন্টিন্যু করা মুশকিল, যতক্ষণ না হাতে নিজের টাকাপয়সা জমছে।
  • dkd | 149.72.158.28 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৪52300
  • কি একটা জোক পড়েছিলাম যে বিয়ে হলো এমন একটা ব্যাপার যে কাউকে আপনি এমন জোর ভালোবাসেন যে আপানাদের এই ভালোবাসার মধ্যে আপনি রাষ্ট্রকে জড়িয়ে নেন যেন আপনার ভালোবাসার মানুষটি সহজে পালাতে না পারেঃ)
    জোক তো জোকই, সম্পত্তির উত্তরাধিকার ইত্যাদি প্রভৃতি আছে, আমিও বিয়ে বিরোধী কিছু না, তবে কিনা রাষ্ট্রকে আমার বসার ঘরের নীল সোফাসেটে বসে আমার ওপর নরদারী করতে দেবো কিনা, বা আমার এম্প্লয়ারকে এমনি এমনি আমার স্পাউসেরও বেতনদাতা হয়ে যেতে দেবো কিনা সেইসবও ব্যাপার।

    তবে ইস্যু টা যে সত্যিই ইস্যু সেটা নিয়ে দ্বিমত বা দ্বিধা নেই। ব্যতিক্রম অনেক আছে কিন্তু ব্যতিক্রমই।
    রাষ্ট্রকে ঘরের ভেতর নাক গলাতে দেবো কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললে ডোমেষ্টিক হিংসা ম্যারাইটাল রেপ ইত্যাদির আইনী প্রতিকার বিষয়ে প্রশ্ন উঠে যায়, সেটাও আবার কাম্য নয়। এইসব আরকি।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৪52269
  • প্রশ্নস,
    আমিও একটা প্রতিপ্রশ্ন করি... " আজকাল বড় চাকুরে মেয়েদের তো অভাব নেই।" তা সত্ত্বেও আপনারই প্রশ্ন ২ এর উদাহরণটা কটা দেখেছেন? সংখ্যাটা অত্যন্ত কম হলে কেন?

    প্রশ্ন ৫ এ ফুলটুস/ ফুলটুসি করে নিন। নেবে কিনা আমি জানি না, নিতে পারবে কতদূর আমার সন্দেহ আছে ( কেন র উত্তর প্রতিপ্রশ্নে )। পেয়েও যদি না নেয়, তাহলে কেন নেবে না টা সহজ, একটা ছেলে আমাদের সমাজে এই ফ্রি রাইড নেওয়ার একটুও সামাজিক প্রশ্রয় পায় না।

    প্রশ্ন ৪ খুব বোকা বোকা, কারণ বেকার ভাতা দাক্ষিণ্য নয়, কর্মক্ষম ও কাজ চায় এমন মানুষকে কাজ দিতে না পারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটার ব্যর্থতা, তার দায়স্বীকার।

    প্রশ্ন ৩ , সমাজ- রাষ্ট্র - ব্যবস্থার কাছে নিরাপত্তা চাওয়া আমার হক, আমারই মত আর একজনের থেকে নিরাপত্তা, তায় আবার চরম নিরাপত্তা আশা করা- চাওয়া- দাবী করা কোনটারই যুক্তি কি?

    প্রশ্ন ২ সমান অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলে কিছু হয় না। হয় আপনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন, নয়তো নন।
    সমান অধিকার? হ্যাঁ, দুটো স্বাধীন লোকের যৌথ সম্মতিতে যৌথতায় সমান অধিকার থাকাই উচিৎ, উপার্জনের তফাত নিরপেক্ষভাবে। তবে তফাত খুব বেশি হলে বাস্তবত তা হবে না, কিন্তু সেটা আইন করে ঠেকাতেও পারবেন না।
    বাকিটার ইউনিভার্সাল উত্তর হয় না, কাশ্মীর বেড়ানো আর অসুস্থ হলে চিকিৎসা করানোর উত্তর আলাদা হওয়া খুবই সম্ভব।

    প্রশ্ন ১ করতে চাইব কেন? তারপর তো করে দিলে ভাঙবে থাকবের প্রশ্ন।
  • aka | 208.91.7.14 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪১52301
  • রাশ্ট্র প্রোটেকশন না দিলে দেবে কেডা? কেউ নাই। রাষ্ট্রকে ট্যাক্সো দেন, পার্টনারকে মিউচুয়ালি এগ্রিড আপন পার্টনারশিপ মানি দেবেন। যাঁরা এটা চান না, তাঁরা কন্ট্র্যাক্ট করবেন লাগবে না কিসুই, তাইলেই মিটে গেল।

    যাঁরা চান, তাঁদের জন্য একটা ব্যবস্থা রাষ্ট্র নামক সুরক্ষার ঘেরাটোপে। আমার তো দিব্য লেগেছে ব্যবস্থা অন সেকেণ্ড রিডিং এবং আমার ইন্টারপ্রিটেশনে।

    এটাই তীর্যক বলেছেন কিনা সেটা উনি বলতে পারবেন।
  • de | 24.139.119.173 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৩52270
  • গৃহকর্ম প্রফেশন হলে অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্টও হবে তো? কোয়াটার্লি, ইয়ারলি -

    কিন্তু, রিপোর্টের ইভ্যালুয়েশন কে করবে?

    দ্রি র ওই গৃহবধূ সুইচিংয়ের মডেলটা একঘর ঃ)

    আইন করে না হলে ৫০-৫০ গৃহকর্ম বা পয়সাকড়ি যা ই হোক না কেন কেউ মানবে না! জোর যার মুলুক তার হবে -
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৮52271
  • নিজের কাজ নিজে করুন, ঘরের কাজ সবাই মিলে করুন, ঘরের কাজকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিন, স্ত্রীকে (স্বামীকে) নিকটতম বন্ধু বলে ভাবতে শিখুন, যৌথ দায়িত্বে সংসার চালান। ছোটবেলার থেকেই এই ভাবনাগুলো শেখান। এর থেকে বেশী প্র্যাক্টিকাল সলিউশন তো দেখছি না।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৯52272
  • এখুনি নেট এ একটা লেখা পেলাম ...

    " °সাংসারিক সংবিধান°
    ১. বিয়ের পরের ৬ মাস/১ বছর হচ্ছে ট্রেনিং পিরিয়ড। ওইসময় আমাকে রান্না করাটা শিখিয়ে দিতে হবে। সপ্তাহে সাড়ে তিনদিন রান্নার দায়িত্ব নিতে আমার তরফ থেকে আগ্রহই থাকবে।
    ২.ঘরের বাকি সব কাজই মোটামুটি পারি। ঘর মোছা, ঝাঁট দেওয়া, জামাকাপড় কাচা, বাসন মাজা এইসব কাজগুলো ভালোই পারি বলে মনে হয়। সেটা মনোমত না হলে এই সময়ের মধ্যে শিখিয়ে নিতে হবে। এইসব কাজকে আমি বাজে কাজ বলে মনে করি না, বরং ভালোইবাসি করতে।
    ৩. নিজস্ব পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। মিউচ্যুয়ালি। একের ওপর অন্যের পছন্দ চাপানো(ইমোশনালি জোর করে হলেও) খুব বাজে জিনিস। সকালে আমি চা ভালোবাসি আর তুমি কফি, সেখানে তুমি বলতেই পারো যে, “তোমার চা আমি বানাব না। নিজে করে খাও।” তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু, ‘আমিও খাচ্ছি তুমিও খাও না’ টাইপের আবদার চলবে না।
    ৪. নানা রকমের ফান্ড এর ব্যবস্থা থাকবে। তা থেকে দুজনেই খরচ দেবে এবং নেবে। এবং মাসের শেষে ক্লিন অডিট দেওয়া হবে। এবং কোনখাতে খরচ বেশি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।
    ৫. ছোটো বা বড়, সবাইকে তর্ক করতে জানতে হবে। যুক্তি দিয়ে ঠিকঠাক তর্ক করতে জানতে হবে। আবেগ দিয়ে তর্ক বা কুযুক্তিওয়ালা তর্ক একদমই আনচলেবল্।
    ৬. ঘরের সব সদস্যকে নিয়ে প্রতি শনিবার রাতে আদালত বসবে। সবার অভিযোগ কোনোরকম পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই শোনা হবে এবং হাতভোট, জুরি সিস্টেম প্রভৃতি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিচার হবে। জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সদস্য জরুরি মিটিং ডাকতে পারে।
    ৭. যেকোনো ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলতে এবং প্রশ্ন করতে জানতে হবে। তা ব্যাপারটা যতই লজ্জার, রাগের বা অস্বস্তির হোক না কেন! যেকোনো প্রশ্ন,পছন্দ-অপছন্দ এবং সমালোচনা মুখের ওপর বলাটাই অ্যাপ্রিশিয়েট করা হবে। এমনকি খিস্তিও।
    ৮. সেকেন্ড এডিশনগণের আবির্ভাব হলেই জীবনকে বিরিয়ানি থেকে পান্তাভাত করে দিতে হবে, এমন দাবি চলবে না। ৪০ বছর বয়সেও হাত ধরা যায়, ৪০ বছর বয়সেও একসাথে সিনেমা দেখতে যাওয়া যায়, ৪০ বছর বয়সেও চুমু খাওয়া যায়। লোকহাসির ভয় আমি এখনো করিনা, তখনো করবো না।
    ৯. একাকীত্বের দাবিকে মান্যতা দিতে হবে। আমার মাঝে মাঝে একা হাঁটতে বেরোতে ইচ্ছা হতেই পারে। গভীর রাতে একা টেবিলল্যাম্পে গল্পের বই পড়তেই পারি। একা কোথাও ঘুরতে বা ট্রেক করতেও যেতে পারি। পকেট ধরে ঝুলে পড়া চলবে না।
    ১০. শেষত, সাংসারিক বৃত্তের যাবতীয় দায়িত্ব, কর্তব্য এবং তাদের ফলাফলের বোঝা দুজনের ওপর সমানভাবে পড়বে। পড়বেই। এবং সেটা এড়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে বড়জোর সিমবায়োসিস চলতে পারে, প্যারাসাইটিজম নেভারস্য নেভারম!

    পুনশ্চ: ওদিক থেকেও আমি এরকম একটা লিস্টি শুধুমাত্র আশাই করবো না, ইনসিস্টও করবো। না দিলে, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে। "

    পুরো লেখাটাঃ
    https://aniketerblogorblogor.wordpress.com/category/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C/
  • de | 24.139.119.173 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫২52273
  • বাঃ - দিব্বি ছেলে -
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৭52302
  • তাহলে তো পুরো ব্যাপারটাই কাস্টোমাইজ্ড করে নিলেই হয়। আলাদা আলাদা কনট্র্যাক্ট, কোন টেম্প্লেট নাই। অত পরিশ্রম রাষ্ট্রের পোষাবে?
  • dc | 132.174.173.131 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৮52274
  • স্বর্ণেন্দুর লিস্টি পড়ে মনে হচ্ছে ৩ নং পয়েন্ট যিনি লিখেছেন তিনি এখনো বিয়ে করেননি :p আর ৮ নং পয়েন্ট যিনি লিখেছেন তিনি এখনো ফার্স্ট এডিশানেই আছেন :p

    (৪০ বছর বয়সে হাত ধরা আর চুমু খাওয়া ওসব কোন ব্যাপারই না, বিরিয়ানি থেকে পান্তাভাতে পর্যবসিত হওয়ার আসল কারন বুঝবেন যখন দিনরাত্রি আপনার ঘর ব্যা ব্যা আর ম্যা ম্যা ধনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে)।
  • দ্রি | 75.19.167.130 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৫52303
  • মনে হয় মিনিস্ট্রি অফ ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার্স নামে একটা নতুন পোর্টফোলিও লাগবে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৫52275
  • dc,
    :P
    লিস্টি আমার নয়কো, এইসব তক্কের মাঝে চোখে পড়ল দিলুম।
  • ব্যস! | 178.26.197.46 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২০52304
  • হুঁ, তাহলে ব্যপারটা দাঁড়ালো সেই কয়েনেজ? গৃহবধূ, গৃহকাজ ইত্যাদি বললে জটিলতা হুহু বেড়ে যায়। সকলে আসে তেড়ে, রেরেরেরে করে। তীর্যক ভুল করে ফেলেছেন।

    কিন্তু পার্টনারশিপ বললেই ব্যপার অনেক সহজ। সবরকম কেস, এমন কি লিভ টুগেদারও এই পার্টনারশিপের আওতায় চলে আসে। আকা চমৎকার সিমপ্লিফাই করে দিয়েছে।

    অতএব তর্ক শেষ। এবার প্রস্তাবটা সরকারের কাছে পেশ করলেই হয়।
  • :) | 127.194.214.187 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৫52305
  • একক যেটা রান্নার ক্ষেত্রে বলল সেটা বিবাহিত জীবনের সেক্সের ক্ষেত্রেও বলবে? মানে দিনের পর দিন ... বোরিং ... ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বছরের পর বছর সেই একই ... বিরক্তিকর ... বছরের পর বছর সিঙ্গল ক্লায়েন্ট ... ইত্যাদি?
  • sosen | 177.96.107.218 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৮52307
  • এই হাসিমুখ কে? তার কি এই বছর বে হয়েছে? নাকি এখনো হয় নাই?
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৬52308
  • নাহ , কয়েনেজ পাল্টে দিয়েই ব্যাপার টা ঠিক হয়ে যায়না :) যায় ও নি । পার্টনারশিপ এর অর্ধেক হিসেবে দিলে রোজগেরে পার্টনার তো প্রথমেই আউত্সর্স আর অটোমেশন কস্ট আরেকজনের এর ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে । ওয়াশিং মেশিন এর দাম , কাজের মাসির মাইনে ওই থেকে এফর্দ করতে পারলে করো নইলে নিজে বুঝে নাও । এটা সবক্ষেত্রে ঘটবেনা , অনেকেই এমনিতে সারামাসের খরচ বাদদিয়ে বাকিটা নিজেদের হাতখরচ রাখেন ভাগ করে । তাঁদের জন্যে আইন লাগেনা । যেখানে আইন লাগবে সেখানে কাজের মাসির মাইনে ও বন্ধ করার সিচুএশনও হবে । আলটিমেটলি ঘরে থাকা পার্টনার ঘুরে ফিরে সায়ফনিং এজেন্ট ।

    এতবড় গর্ত রেখে প্রস্তাবনা কে আইন বলেনা । ফুটো গামছা বলে । সরকার করলেও ।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪০52276
  • এইসব লিস্টি পড়লে মনে হয় যে খোকা এখনো বড় হয়নি। কি সরল ঃ))
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৩52277
  • একদম :))
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৩৬52309
  • "যাস্ট বিকজ উই আর পার্টনার, একটা মাসে মাসে টাকার বন্দোবস্ত হল। নাও হতে পারে কন্ট্র্যাক্টের ওপর ডিপেন করবে।

    খারাপ কি?"

    ---- খারাপ ভাল পরের কথা, আগের প্রশ্ন কেন? "যাস্ট বিকজ উই আর পার্টনার"??!!!
    মাসে মাসে টাকা যোগাতে হয় যার জন্যে, তাকে লায়াবিলিটি কয়, পার্টনার নয়।

    বছরে দুটো পেপার আমার জন্যে লিখে দেবে ( যে দুটোয় শুধু আমার নাম থাকবে, রিসার্চ করা, লেখা এসব করবে সে ) এই চুক্তিতে আমি কারোর সাথে আজীবন রিসার্চ কোলাবরেশনে যেতে চাই।
    খারাপ কি?
    যাস্ট বিকজ উই আর কোলাবরেটরস, এইটুকু করা যায় না বলুন? :P
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৪৩52310
  • স্টেট রেগুলেটেড চুক্তি কী এনশিওর করবে? জার্নালের ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর না সাইটেশন? ঃ-))
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:৫৩52311
  • আরে দুটোই ।
    আফটার অল, উই আর কোলাবরেটরস।
    এবং এর সাথে আমি ( অন্যপক্ষ ) তৃতীয় যৌথ পেপার আদৌ লিখছি কিনা এর কোন সম্পর্ক নেই বলেই মনে হল।
    ঃ))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন