এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮৩১ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cb | 208.240.130.75 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৫১53564
  • এবং রন্জনদার জন্য রামের সেই অফারটা সবসময় ভ্যালিড থাকবে :)
  • Ishan | 127.194.3.77 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০৩53546
  • ছোটোলোক যে ব্যক্তিগতভাবে এইগুলি এখানে লিখছেন তা নয়। ওনারা আপিশিয়াল চিঠি দিয়েও এইরূপই জানিয়েছেন। সে চিঠির বক্তব্য হল, গুরুচন্ডালির প্রোপ্রাইটার বিদেশ থেকে 'ইনভেস্ট' করেছেন (মনে হয় এফডিআই মিন করেছেন), এবং তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরা ক্রিমিনাল চার্জ আনতে পারেন। ছোটোলোক সেটাকেই একটু মশলা দিয়ে পরিবেশন করলেন আর কি। সে বেশ করেছেন, শুধু তাঁর সংগে লিরিকালের সম্পর্কটা কী, সেটাও খোলসা করে লিখে দিতে পারতেন।

    ওদিকে, কেস কী ঘাঁটা, সে আর কী বলব। লিরিকালের কর্ণধার, এতকিছুর পরে, এখনও স্বেচ্ছায় গুরুর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সিগনেটরি। ফলে গুরুর কোথা থেকে কী 'ইনভেস্টমেন্ট' আর কত কোটি টাকা রিটার্ন, এ তিনি বিলক্ষণ জানেন। ছোটোলোককে একটু আপডেট করে দিতে পারতেন।

    বাকি আর কী। এবার সবাই আবার একটু টিপিন টিপিন রেডি করে রাখবেন। লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেল্লাম।
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০৭53547
  • এবং গুরুর প্রতিটি পাই পয়সা আমদানি খরচার হিসেব আরো অনেকের কাছে আছে, এমনকি এখন যাঁরা জানা যাচ্ছে, লিরিক্যাল এর সাথে যুক্ত ঃ)।
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০৯53548
  • আরে এইটা তো ক্যালকমে গগি লিখেছিল! সৈকতদা নাকি কালাধোন দিয়ে গুরু চালাছছে। রঞ্জনদাও সিমিলার আইনি পরামর্শ দিলেন তাহলে!
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:১১53549
  • ঈশান, :-)))
    এখন আবার ক্যাশলেসের যুগ। ও টিপিন আমি পুণেতে বসেই লাইন আপ করে দেবনে।
  • de | 24.139.119.172 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:১২53550
  • মামুর জন্য তো টিপিনবাক্সোর লাইন পড়ে যাবে! ঃ) এর আগের বার তো ব্যাং, কুমুদি, ছোটাইদি আরো কারা কারা সব ছিলো। আম্মো ছিলাম! এবারও আছি!

    জোকস অ্যাপার্ট -

    গুরুর আইনগত কনস্ট্রাকশন, ট্যাক্স ইঃ দেখার জন্য প্রফেশনাল কারোকে নিয়োগ করা হলে ভালো হয় না? কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে কতো ট্যাক্স দিতে হয়, কোন স্ল্যাবের মধ্যে থাকলে কতো পারসেন্ট, এসব ব্যাপার ছেড়ে দেওয়ার মতো না। কেউ অসুবিধেয় ফেলতে চাইলে ফেলতেই পারে। খুব ক্লোজ বন্ধুরা যখন শত্রু হয়, তারা সাধারণ শত্রুর চেয়ে বেশী ক্ষতিকারক।
  • PM | 59.14.101.228 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২০53551
  • এবার কেসটা কেমন মিস্ত্রি কেস এর মতো লাগছে। ওনারের আস্থা নেই--- কিন্তু মিস্ত্রি টাটা কম্পানির MD ঃ)।

    টাটা বাবুকে অনেক ঘাম ঝরাতে হচ্ছে এ থেকে বেড়োতে। দুটো যুযুধান সংস্থার দায়িত্বশীল পদে একই ব্যক্তির থাকা উচিত নয় এক্কেবারে। বড় সমস্যায় পড়তে পারেন --যখন আস্থা তলানীতে
  • সামরান | 124.29.227.181 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৩৩53552
  • সৈকতকে বলছি,
    আমার ধারণা ছিল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অথরাইজড সিগনেটরি হিসেবে আমার নাম রিমুভ করা হয়েছে। আজকে জানলাম হয়নি। অ্যাকাউন্ট যেহেতু তোমার নামে ওটা তোমাকেই করতে হবে সম্ভবত। আমি করতে পারব কিনা জানি না। অ্যাকাউন্ট ডিটেলও আমার কাছে কিছু নেই, ২০১৫র এপ্রিল অথবা মে মাসে তোমার কথামত ডেবিট কার্ড উইথ পিন আমি তাপসকে দিয়ে দিই। জুলাই মাসে আমার পারিবারিক সসমস্যার য়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দাও। আমি চাই না আমার নাম ওখানে থাকুক।
  • সামরান | 124.29.227.181 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৩৯53553
  • জুলাই মাসে পারিবারিক সমস্যার কারণে ব্যাংকের কাজকর্ম দেখার অসুবিধে ছিল বলে চেকবই সহ বাকি কাগজপত্র-যা আমার কাছে ছিল,সবই তাপসকে দিয়ে দিই। ওই অ্যাকাউন্ট ডিটেল আমার কাছে কোথাও লেখাও নেই যে আমি ব্যাংকে গিয়ে নিজের নাম রিমুভ করার চেষ্টা করব।
  • a | 212.52.36.59 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৪৭53429
  • ব্যাপারটা আমরা ওরায় চলে গেল ফাইনালি দেখে খারাপ লাগছে। তবে এরকম হতই, শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
  • cb | 83.197.188.200 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৫০53430
  • এ হে , বিশ্রী কান্ড একেবারে। খারাপ লাগল
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০০53608
  • নাও থাকতে পারে আবার কী! অবভিয়াসলি থাওকবে না। অলরেডি হাল্কার ওপর বাওয়াল লেগে গ্যাছে :P
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০২53609
  • ৯ নিয়ে কেন গুরু বলছে, এই নিয়ে যারা লিখেছেন, তাঁদের জন্য,

    ১। গুরুচ্ণ্ডালি বাংলা বানানে ৯ নেই। বানানে ৯ ব্যবহার করা যায়না। হচ্ছে শৈল্পিক কারণে।

    ২। ৯ বাংলা বর্ণমালায় অব্যবহৃত অক্ষর। আমরা শৈল্পিক কারণে শৈল্পিক ভাবে ব্যবহার করেছি। শুধু আমরাই করেছি। গুরুচন্ডা৯র একটি নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা আছে, বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিলনের। গুরুচন্ডা৯র বইয়ের নাম চটি বই, বটতলার ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক পেপারব্যাকের মেলবন্ধনের ইঙ্গিতবাহী এই নাম। এই চিন্তাভাবনাটা ৯ ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠছে।

    ৩। কথাটা শুধু গুরুচন্ডা৯ নামে ৯ ব্যবহার নিয়ে নয়, 'লি' কে ৯ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, ভাটিয়া৯, কূটকচা৯, প্যাঁচা৯ , সবেতেই।

    ৪। ৯ গুরুচন্ডা৯র ব্র‌্যান্ড লোগো। রুচন্ডা৯ এইসময় খবরের কাগজে একটা পাতা বার করত। সেটার নাম ছিল প্যাঁচা৯। গুরুচন্ডা৯ ব্র‌্যান্ড বোঝানোর জন্য প্যাঁচা৯তে ৯ ব্যবহার করা হত।

    এবং সেই লোগোটি ছিল কাঠবিড়া৯ র উপরে প্যাঁচা।

    প্রতি প্যাঁচা৯ তে শুরুতে দুই লাইন থাকত, যেখানে লি কে ৯ দিতে প্রতিস্থাপিত করে লেখা হত।

    ৫। এখনো বইমেলায় লোকে আমাদের ৯ এর স্টল বলে জানে। সুমেরুদা দিনের পর দিন ৯ ৯ ৯ ৯ করে গুরুর স্টলে স্লোগান দিয়ে গেছে।

    কাল না পরশুও একজন পোস্ট করেছেন , ' Ami asole jantam na lyrical alada stall je. Lee dekhe guru bhabtam'।

    ৬। গুরুচন্ডা৯ র লোগো এক দেড় বছর আগে বানিয়ে দেন হিরণ মিত্র। ৯ টা আলাদা করে বানিয়েছিলেন। আর সেটা হিরণদার বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল, হ্যাঁ, সুমেরুদা।

    একটা নমুনা মাত্র। এই কথা যে আরো কত জন বলে গেছেন, নানা জায়াঅয়, বিশেষ করে বইমেলায়। এমনকি ঐ স্টল দেখেই গুরু ভেবে চলে গেছেন বলেও পরে জানিয়েছেন। গুরু ভেবেই স্টলে গেছেন। গুরুর গেটাপ বদলেছে ভেবেছেন। আমরা বইমেলায় দুটো স্টল নিয়েছি, এসব কথা যে শুনেছি তো বলেইছি।

    এরপরেও যদি কারুর বুঝতে অসুবিধে হয়, কী কেন বলা হচ্ছে, আর কী বলব। জেগে ঘুমালে জাগানো যায়না।
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১০53610
  • এই প্রকাশনা হচ্ছে টচ্চে, অন্যদের কাছে জানতে পারার পরেও কিছু বলিনি। সৈকতাদা রঞ্জনদাকে দিয়ে বললো, কথা বলতে, বসতে রজি আছে, উত্তর দিল না, তাও কিছু বলিনি। প্রচণ্ড খারাপ লেগেছিল। শুধু সেটা সুমেরুদাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, খুব খারাপ লেগেছে।
    এরপর ৯ঋকাল নাম দেখে চমকালাম। খারাপ লাগল। লিখেছিলাম, ৯, ৯ তোমার অজ্জিনা৯টি নেই ৯ঋকাল !
    তবু ৯ চলতে থাকল। নানা জায়গায় এল।

    এরপর সৈকতদা গ্রুপে ২৮ অক্টোবর লিখেছিল।

    '৯ তো দেখছি এপিডেমিক হয়ে গেল। মনে হয়, আগেই হয়েছে, আমি একটু লেটে চলি বলে জানতে দেরি হল। লিলি। লালি। ঋ৯। ওরে বাবা।
    এ সেই বোধহয় ২০১৪ সালের কথা। তখনও এসব কিছু হয়নি। গুরুচন্ডা৯র একটা বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল যাদবপুরে। সেখানে বলেছিলাম, গুরুচন্ডালি আর কী মহৎ কাজ করেছে জানিনা, তবে একটা জিনিস নিশ্চিত, যে, বাংলা বর্ণমালায় ৯ কে পুনঃপ্রতিস্থাপিত করেছে। এখন আর কেউ ৯ কে নয় ভেবে, 'গুরুচন্ডানয় টা কি?' বলে প্রশ্ন করেনা। এখন সবাই গুরুচন্ডালি ই বলে। এদিক থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয় আর গুরুচন্ডালির মাঝখানে আর কেউ নেই। শুনে সবাই খুব হাসাহাসি করেছিল। আম্মো। প্রতুলবাবু এই শুনে, চটি পড়লে কেন লোকে চটে যাবেনা, কী একটা বলেছিলেন। চন্দ্রিল বলেছিলেন, সৈকতের যেমন লেখা তেমনই বলার ছিরিছাঁদ। যত্ত বাজে কথা।
    কিন্তু তখন কে আর জানত, আমি মেনলি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। হুঁ হুঁ বাওয়া। কে জানত এমন দিনও আসবে, যখন ৯ এর মহামারি হবে। দিগ্বিদিকে অ৯ গুঞ্জরিবে, জোছনা গ৯ দিয়ে আসবে যাবে। দ্যাখবেন, অজ্জিনা৯টি চুলোয় দিয়ে ৯ তে দুনিয়া এবার ছেয়ে যাবে, আর দেয়ালে পোস্টার পড়বে 'সহজে লিকার ছাড়ানোর মহৌষধ' এর। সেই দিন আসিতেছে।'

    এই লেখার পরেরদিন এই পোস্টার এল। এবং চারিদিকে লি কে ৯ দিয়ে বলা শুরু হয়ে গেল। কেউ চাইলেই দেখে নিয়ে পারেন।





    আর লাস্টেরটা সেই পোস্টার। চটি খুলে গোড়া৯ বাঁচানোর যে পোস্টারটা ঋত্বিকের খুব পছন্দ হয়েছিল।
    চটি নিয়ে স্ল্যাণ্ডারিং এর একটি নমুনা মাত্র।
    গুরু বা ব্যক্তিগত স্ল্যাণ্ডারিং ও নানাভাবে উত্যক্ত করার কথা বাদই রাখলাম। বহুদিন ধরে আমাদের পিছনে কী কী করা হয়েছে, বলা হয়েছে, প্রচুর বন্ধুত্বর মুখোশ পরে, সেসবও নাহয় বাদই দিলাম। আপাততঃ।
  • PM | 59.248.37.218 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৮53611
  • একটা কথা ক্লিয়ার হচ্ছে না--- ৯ঋকাল কি শুধু প্রকাশনা? নাকি তাদের গুরুর মতো ওয়েবসাইট ও আছে?

    যতটুকু মনে হয়েছে, গুরুর মুল ফোকাস প্রকাশনা নয়, ওয়েবসাইট। সেক্ষেত্রে এনারা ঠিক ডাইরেক্ট প্রতিপক্ষ নয়।

    তাছাড়া আমার মনে হচ্ছে এটা প্রকাশনার দিক থেকে দুটো আলাদা মডেলের প্রতিদ্বন্দিতা।

    গুরু চায়, প্রেসেন্টেসনে আর লাভে ( প্রকাশক আর লেখক) নজর না দিয়ে কনটেন্ট টা আর লেখককে যত বেশী সম্ভব বেশী লোকের কাছে পৌছে দেওয়া।

    লিরিক্যাল প্রেসেন্টেসন আর লাভে ( লেখক সহ) জোর দিচ্ছে।

    কিছু লেখক যারা পয়সা চান তারা ওখান থেকে বই বের করতে পছন্দ করবেন। এই তো মোদ্দা কথা।

    বাকি অনৈতিক কাজ গুলো মোটেই ঠিক হয় নি। যেহেতু তথ্য দিয়ে কেউ প্রতিবাদ Kঅরেন কি তাই ধরে নিতেই হবে যে অভিযোগ গুলো সত্যি ঃ(
  • pi | 209.94.1.207 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৩53612
  • পি এম , আমার আগের পোস্টগুলো একটু পড়ে নেবেন
  • rabaahuta | 60.180.243.60 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৫53613
  • কাঠবেড়ালির প্রসঙ্গটা কাগুজে গুরুর একদম শুরুর দিকে লেখা হতো, ঠিক মনে পড়ছে না। বাংলাভাষার বড় প্রজেক্টে সামান্য কাঠবেড়ালি, এইরকম কি সব। ভাষা আলাদা হতে পরে, সেম বক্তব্য লিরিকালেও দেখলামঃ) তবে গুরুর এইবিষয়ক পুরনো লেখাটা খুঁজে পাচ্ছি না, তাই আদালতে সাক্ষী দিতে ডাকলে মোটেই যেতে পারবো না। আবার বলি, এরকম একটা দুটো মিল সমাপতন ভাবতেই পারতাম, কিন্তু এইখানে দেখছি সমাপতনে সমাপতনে এক্কেবারে দুনিয়া অন্ধকার।
    ঋত বিষয়ক তর্কটায়, ব্যক্তিস্বাধীনতা পিতৃতন্ত্র এইগুলি একটু চাপানোই লাগলো, প্রশ্ন ছিল নিরপেক্ষতা নিয়ে- তো সেই প্রশ্ন তো ভ্যালিড বলেই মনে হচ্ছে। আর, ইনফ্যাক্ট নিরপেক্ষ না হলে লেখা যাবে না এমন দাবীও তো কেউ কোথাও করেনি। বক্তব্যকে নিরপেক্ষ বলে ধরার উপায় নেই, এইটুকুই। মেকস সেন্স তো।

    গুরুচণ্ডা৯র তো কলম থামানোর ঐতিহ্য দেখিনি। একাধিক গুরুবিরোধীই তো গুরুতে লিখে থাকেন, গুরুর পাতাতেই গুরুকে এবং গুরুর নিয়মিত লোকজনদের নিন্দেমন্দ করেন। সৈকতদাকে অতি কুৎসিত ব্যক্তিগত খেউড় করেও এখানে লিখেছেন একজন নিয়মিত কিছুদিন, কেউ আপত্তি তো করেইনি, তাঁর ভালো লেখা অ্যাপ্রিশিয়েট করতেও কেউ সঙ্কোচ করেননি। আর সেই শুবা সিরিজের ঐতিহাসিক সময়, সৈকতদা জেলে গিয়ে কি টিফিন খাবে সেইসব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছিলো, তাই জন্যে কি আর সম্ভাবনাময় মোকদ্দমাকারীকে কেউ লিখতে নিষেধ করেছে? প্রশ্নটা তো শুধু প্রতিপক্ষ বা প্রতিযোগিতা নয়। আজ তো কাগুজে গুরু, আজ তো কাগুজে গুরু, ওয়েবসাইট নিয়েও কি প্রতিযোগিতা হয় নি? যাগ্গে। এখনো, রীতিমতো নাম করে বলে দেওয়া যায় গুরুর নিয়মিত লেখকের লথা যাঁরা গুরুর প্রতিটি পদক্ষেপকে বিদ্রূপ, পরিহাস আর অভিযোগ করে থাকেন, অনলাইন এবং অফলাইন। কেউ কিন্তু লিখতে না করেনি কখনো।
    লেখালিখি ও তার পরিসর, ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব সবই সম্মানীয় কিন্তু না বস, কিন্তু নিরপেক্ষ বলে মানতে পারলাম না। আর নিরপেক্ষ বলে মানতে না পারলেই এই মার্কেটে মনে হবেই, যে অনৈতিকতার অভিযোগগুলি উঠছে, অন্যপক্ষীয় তার সমর্থক; আর না হলে অনৈতিকতাজনিত ত্রুটি ধরিয়ে দিতে না পারার কারন অনুসন্ধানে প্রবৃত্তি জাগে।

    বাংলালাইভের ও গুরু তথা গুরু ও লিরিকালের সম্পর্কে কি মিল সেটাও বুঝিনি। সে অবশ্য আমি অর্বাচীন বলে হতে পরে। কোনদিন বাংলালাইভে যাই নি। গুরুত্র যখন আসি তখন তা পরিনত। কিন্তু বাংলালাইভের কোনরকম বৌদ্ধিক সম্পত্তি অপহরণের দায় আছে নাকি গুরুর ওপর? সরাসরি কোন কনফ্লিক্ট বা তার অভিযোগ ছিল?

    আমি যা নিয়ে আশ্চর্য হয়েছি, এই যে মূলতঃ ব্র্যাণ্ডিং অপহরণের দায়গুলো চাপছে, সমমানের বা আরো অনেক উচ্চমানের ব্র্যাণ্ডিং তৈরীর ক্ষমতা তো সুমেরুদার আছে। গুরু তো সেইভাবে ব্র্যাণ্ডিং বিষয়ে মনই দেয়নি, টেকস্ট কন্টেন্টেই মনোযোগ দিয়েছে প্রধানত যেহেতু। তাহলে এগুলো কেন? না হয় বছর দুয়েক সময় লাগতো, পাঠকের সঙ্গে চেনাশুনো হতে। এই নেগেটিভ পাবলিসিটি টাই বাঞ্ছিত ছিল? এত তাড়াহুড়ো কি একেবারেই প্রয়োজন ছিল?
  • সিকি | 132.177.117.245 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২১53565
  • খুড়ো, যে কটা লোককে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় এ জীবনে, তুমি তাদের মধ্যে একজন। তোমার পুরো বক্তব্যে একমত হতে পারি নি, সামান্য এক জায়গায় যৎসামান্য দ্বিমত আছে আর কি - বাকি সব ঠীক হ্যায়।

    অন্যত্র লিখব - এই টই দূষিত হয়ে গেছে। এখানে আর লেখার পরিবেশ নেই। কিছু জীব এখন কাদা আর পূরীষ মিশ্রণে ব্যস্ত এখানে।
  • Pi | 74.134.66.54 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৪53566
  • লামাদা এই হুমকির গল্পে গুরুকে জড়িয়েছে এরকম কিছু আমি জানিনা, বলিওনি। ক্লিয়ার করে দিলাম
  • | 52.106.23.147 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৬53567
  • সিবির পোস্টট ভল লাগল।
  • Pinaki | 148.227.175.133 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৮53614
  • হুতোকে একশোটা ক।
  • T | 229.75.11.86 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৫53615
  • ইয়েস, হুতোদাকে ক।
  • একক | 53.224.129.63 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৭53616
  • # গুরু ও গুরুর ঘোষিত শুভানুধ্যায়ীরা যা যা বুঝে নিলে ভালো হয় :

    --- মূল দায়ী একদল পাঠক -লেখক , তারা পেছনে না থাকলে এ হতোনা , কিন্তু তাদের দোষ দিলে বা হান্টিং করলে ( এগুলো করার "কারণ" যদিও আছে ) লাভ তো হবেই না উল্টে ক্ষতি । কাজেই রাগ গিলে নেওয়া ছাড়া গতি নেই । বড় হওয়ার লক্ষণ রাগ গিলতে শেখা।

    ---গুরু একটা ল্যাদখোর আলগা আলগা মোড এ চলেছে এতদিন , আইন -সুরক্ষা -ক্রিয়েটিভ লাইসেন্স এইসবের প্রশ্নে । ওগুলো একটু ধরে বেঁধে করার সময় এসেছে । খেসারত গেলে গেরস্তের বুদ্ধি খোলে । গুরুর ও খুলবে ।

    --- মামলা ইত্যাদি বিষয়ে সব পক্ষকেই একটাই কথা : শুট শুট ডোন্ট টক ।

    --- বই একটা প্রোডাক্ট । লেখার বাইরে বেরিয়েই একটা গোটা প্রোডাক্ট । আমার হাতে যদি দুটো বই আসে , যার একটাতে সো কল্ড "কন্টেন্ট " রিচ কিন্তু হতচ্ছেদ্দা করে বানানো , সেক্ষেত্রে কন্টেন্টটুকু মাথায় শুষে নিয়ে একটা স্ক্যান্ড কপি ড্রপবক্স এ রেখে , ফিজিক্যাল কপি টা ভুলে যাবো । আমার কাছে যদি আরেকটা বই আসে যার কন্টেন্ট তথৈবচ কিন্তু কাগজ-অলংকরণ খুব ভালো , তবে সেটা কিনে বিয়েবাড়িতে উপহার দেব , নিজের সংগ্রহে রাখবোনা এবং ভুলে যাবো । দুই এক্সট্রিম এন্ডের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভাবা এই সময়ে জরুরি । এটা কোনো নির্দিষ্ট প্রকাশনা ধরে বলছিনা , একদম লিটল ম্যাগ থেকে আনন্দ সবার কাজ ঘাঁটার অভিজ্ঞতা থেকে ,এবং এর থেকে কাওকে বড় একটা সরে আসতে দেখিনি তাই বলছি । এবং এর সঙ্গে পাঠক বাড়ানোর মডেলের কোনো বিরোধিতা নেই , প্রতিটা বিষয়ের অডিয়েন্স বুঝে বইয়ের দাম ও ছাপাই এর মান সেট করার ব্যাপারটা প্রকাশনার ক্ষেত্রে জরুরি । পাঠক বা বিষয় কোনোটাই ওরকম আজগুবি মনোলিথ নয় । কাজেই সবক্ষেত্রে দাম ও বইয়ের ট্যানজিবল কোয়ালিটিও মনোলিথ হতে পারেনা ।

    --- ঝামেলা ঝঞ্ঝাট থিতিয়ে এলে একটু সময় নিয়ে ভাবার যে : গুরুর সঙ্গে একদল পাঠক-লেখকের এতটা দূরত্ব তৈরী হলো কীকরে । ওই "লি" দেখে ভুল করেছি .....ওসব একদম ন্যাকা কথা , প্রথমবার কেও ভুল করতে পারে বুঝতে কিন্তু নিয়মিত সংযোগ গড়ে তোলার সময়েও ভুল করে সংযুক্ত এটা হতে পারেনা । আমার সাইটে রোজ ভিসিটর কয়েক হাজার দেখাচ্ছে বা কয়েকশো লোক টুকটাক লিখছে মানেই এরা "আমার ভিসিটর " ভাবা অপরিণত ব্যাপার । এরা গ্লোবাল ভিজিটর যারা সাত ঘাটে ঘুরে , জায়গা বুঝে ডিম্ পাড়বে । সো, ইনকিউবেশন স্ট্রাটেজি আবার রিভ্যাম্প করার দরকার আছে ।

    ----এরকম সময়ে কন্সপিরেসি থিওরি নাবানো খুব সহজ । যেমন ধরা যাক : ব্যক্তিবিশেষ গুরুর ওপর ঝাল মেটানোর জন্যে এইভাবে ইনভেস্টমেন্ট এর শর্ত রাখেন যাতে শুধু প্রকাশনা করলেই হবেনা , সেই সঙ্গে গুরুর বিরুদ্ধে মার্কেটিং করতে হবে । গুরুকে শেষ করে দিতে হবে । কাজেই সেক্ষেত্রে পুরো প্ল্যানে ও প্রচারে গুরুকে ম্যালাইন করা হবে এটাই স্বাভাবিক । ইনভেস্টর বড় দায় । তো আমার এই স্বকপোলকল্পিত আজগুবি কন্সপিরেসি থিওরির পরেও একটা সত্যি খোলা বাজারে থেকেই যাচ্ছে যে ....ব্যক্তিবিশেষ তো পার্সোনাল স্কোর মেটালেন , বাকি যে লোকজন গুরুকে উদ্যেশ্য করে লেখা নেগেটিভ প্রচারে ভার্চুয়াল হাততালি দিলো তারা কারা ? তারা তো প্রথম থেকেই কোনো ব্যক্তির কন্সপিরেসির পার্ট নয় ? তাদের কমন ফ্যাক্টর কী ? এতগুলো লোক ভলান্টারিলি যখন সঙ্গ দেয় , তখন আবার , গুরুর সেলফ ইন্ত্রস্পেকত এর জরুরত আছে । কন্সপিরেসি থিওরি ওনট হেল্প ।
  • এমা কি কেচ্ছা ! | 213.110.242.4 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩২53568
  • ইস্কিরিন শট আছে নাকি দাদা? দ্যান্না :)
  • একক | 53.224.129.63 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৩53617
  • আমি এটা লিখতুম না । পুরো সময়টাই শারীরিক অসুস্থতার কারনে ইন্টারনেট এ কিছুই লিখিনি । কিন্তু যা হয়েছে চোখে পড়েছে । তাই মনে হলো কিছুই না লেখা গা এড়িয়ে যাওয়া হবে । তাই এইটুকু । না পোষালে অবজ্ঞা করবেন ।
  • PM | 59.248.37.218 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৮53618
  • পাই , পড়েছি। তাই তো লিখলাম যে গুরু থেকে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তার কোনো তথ্য সহ বিরোধীতা লিরিক্যালের কেউ করেন নি। লিরিক্যালের পক্ষ সমর্থনের যে চেষ্টা এখোনো হয়েছে তাতে "গুরু আর তার পরিচালকরা কত খারাপ" এছাড়া কোনো পয়েন্ট নেই। তাই ধরে নিতেই হবে যে গুরুর তরফের অভিযোগগুলো মিথ্যা না কল্পনা প্রসুত নয়।

    এক্কেবারে সাধারন পাঠক হিসেবে এটাই মনে হলো। আর সত্যি বলতে যাদের লেখা পড়তে ভালোবাসতাম তারা এই কাজগুলো করেছেন ভেবে দুঃখ ই পেয়েছি । আসলে আমি তো ক্রিয়েটিভ লোক নয়--- ক্রিয়েটিভ মানুষ জনের নৈতিকতা বোধ , কাজ কর্ম আমার থেকে আলাদা হবেই হয়তো ঃ(

    তবে গুরুর প্রকশনা মডেলটা নিয়ে বোধ হয় নতুন করে একটু ভাবা উচিত। যাতে পুরোনো গুরুর লেখকদের ( যারা প্রথম ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখার উত্তেজনার লেভেলটা পেরিয়ে এসেছেন) অ্যাস্পিরেসন টাকেও ক্যাটার করা যায়।

    এটা জাস্ট বাইরের লোকের অবসারভেসন- প্রিয় লেখকদের পেতে আর ফিরে পেতে ---সিরিয়াস কিছু নয় ঃ)
  • Rabaahuta | 60.180.243.60 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪১53619
  • এইগুলো ভাবার বিষয় বাস্তবিক, বিশেষ করে "ওই "লি" দেখে ভুল করেছি .....ওসব একদম ন্যাকা কথা , প্রথমবার কেও ভুল করতে পারে বুঝতে কিন্তু নিয়মিত সংযোগ গড়ে তোলার সময়েও ভুল করে সংযুক্ত এটা হতে পারেনা । " - এইটা আমার মনে হচ্ছে যবে থেকে শুনেছি। আর পয়েন্ট#১।
  • Rabaahuta | 60.180.243.60 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪২53620
  • @Comment from একক on 08 February 2017 20:57:40 IST 53.224.129.63 (*) #
  • Pi | 209.94.1.204 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৪53621
  • একটা কারণ যা শুনেছি, নিজেদের বই বের হবার আশা বা সামনে গাজর ঝোলানো, যা বলার হোক। বেশিরভাগ লোকজনকেই বই বের করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অনেকের (সবার না ) কাছেই যা ইরেসিস্টিবল।
  • | 116.193.210.162 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০০53622
  • ইয়ে, একটু ভয়ে ভয়ে বলি। পাই, হুটো প্রচুর আবেগের জায়গাটা বুঝতে পারছি। আর আমি তো অনেকটা এই জালিবাজির কাহিনী জানিও (যেটা পাই জানে) তারপরেও বলছিলাম যে বইমেলা তো শেষ। এবার এই টই ও সম্প্রতি বিগত অতীতে ধনঞ্জয়ের গুরুত্বপূর্ণ বই ইত্যাদির প্রকাশ থেকে বুঝেছি গুরু সারা বছর ধরে বই প্রকাশের দিকে ফোকাস করছে। তো সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব আইনগত বিষয়গুলো সেটল করে নিয়ে এই ওরা কত্ত খারাপ এইটা মাথা থেকে বের করে দিয়ে কাজকর্মের দিকে ফোকাস করা যায় না? আধ বাড়ানো হাতগুলো যাতে সরে না যায় সেইটে দেখা বোধহয় জরুরী।

    হ্যাঁ এককের শেষ প্যারাটা প্রচন্ডভাবে একমত। বাকীটাতেও অনেকটা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন