এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮৩৭ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 132.177.183.245 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:০৫53255
  • কুম্ভমেলা সম্পর্ক বলেই লিখছি, লামা, "প্রতিদ্বন্দ্বী" কথাটা একেবারে মন থেকে মুছে ফেলো। কেউ কারুর সাথে কোনও রকমের প্রতিযোগিতায় নেই। কিছু ব্যক্তিবিশেষ, বিশেষ কোনও কারণে better known to them, একটা কাল্পনিক লড়াইয়ের ময়দান বানিয়েছে। সেখানে লড়ার ইচ্ছে কারুর নেই।

    গুরু কোনও পাবলিশিং হাউস নয়, কোনও বন্ড পেপারে সাইন করার গল্প নেই যে, এখানে লিখলে অন্য জায়গায় বই বের করা যাবে না, বা অন্য জায়গায় বই বের করলে এখানে লেখা যাবে না। আশা করি অন্যদিকেও ব্যাপারটা তাইই।

    রঞ্জনদার সাথে এই নিয়ে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছিল। কখনও সময় সুযোগ পেলে তোমার সাথেও কথা বলতে পারি, যদি চাও।

    তিক্ততা যেখানে যে লেভেলেই থাকুক, সেটা মিটে যাক এটা চাই, আর তোমার সাথে তো তিক্ততা কারুর কখনও ছিল না, নেই-ও। লেখা কেন থামাবে?
  • রৌহিন | 233.223.134.35 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:১৩53256
  • সিকি কে ক। লামা, আরো লেখ।
    আজ আমাকে একজন শিখিয়েছে - সমস্যা দু প্রকার। নিজের সমস্যা আর অন্যের সমস্যা।
  • skm | 206.15.23.9 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫০53257
  • লামা ক্যারি ওন ।এটা গুরু এর ডিসক্রেডিট যে ওরা তোমার বা সে এর লেখাগুলো বই করতে পারেনি ।। তোমাদের দুটো ভালো বই এর জন্য অপেক্ষা করছি
  • Rit | 213.110.242.24 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৭:৪১53258
  • বড় বই বড়। ভালো বই ভালো। বড় বই ভালো হলে বড় ভালো। সব নতুন বই এর দিকে জুল জুল করে তাকিয়ে আছি।
  • Du | 57.184.9.120 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:৫৭53259
  • খুবই আশ্চর্য্য হলাম লেখকের পুরোনো লেখার ওপর চুক্তি চাপানো দেখে। হয়্তো নতুন লেখক বলেই এরকম চুক্তি করতে বাধ্য করতে পেরেছে।
  • gopan lok | 60.180.243.60 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:৩০53260
  • না না, লেখার ওপর চুক্তি নেই, অপ্রীতির ইতিহাস অন্যরকম।
  • Lama | 213.132.214.87 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:০৭53252
  • কি লিখব জানি না। নিজেকে ভীষণ প্রাসঙ্গিক, একই সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিকও মনে হচ্ছে।

    এই আমি, অর্থাৎ লামা, একটি সাধারণ লোক হওয়া সত্ত্বেও জীবন অনেক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিয়েছে। সেইসব অভিজ্ঞতা লিখতে শুরু করেছিলাম গুরুচন্ডালীর হাত ধরে। ঘটনাচক্রে প্রথম বই প্রকাশ হ্তে চলেছে (যদি আদৌ হয়) এমন একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে, যাকে কেউ কেউ এই গুরুচন্ডালীর প্রতিদ্বন্দ্বী বলে জানেন বা মানেন।

    অর্ধশতাব্দী বেঁচে নেবার পর সম্প্রতি কিছু অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেও এই দুটি প্রকাশনার সঙ্গে সম্পর্কিত। বইটা লিখে ফেলার আগে জীবনের এই দিকটি আমার অজানা ছিল, যার ফলে লেখালিখি ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম।

    যাই হোক, আলোচ্য বিষয় আমি নিজে নই, প্রতিপাদ্য হচ্ছে একটি লোকের লেখক হয়ে ওঠা এবং লেখকগিরি ছাড়ার সঙ্গী হয়ে থাকল গুরুচন্ডালী।

    নীরব পাঠক হিসেবে, শুভানুধ্যায়ী হিসেবে সঙ্গে আছি
  • | 52.106.101.203 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৫৩53261
  • দু
    পুরান লেখার ওপরে চুক্তি চাপানোর খবর কোথায় পাওয়া যাচ্ছে?
  • প্রতিদ্বন্দ্বী | 160.129.110.220 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:২১53262
  • প্রতিদ্বন্দ্বী না হলে কি আর গুরুর চটির কাউণ্টারে জুতো পরুন ও গোড়ালি রক্ষা করুনের করুণ লেভেলে নামতে হয় ?
  • ঈশান | 183.24.110.20 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪৭53263
  • না, গুরুর দিক থেকে এখনও কোনো চুক্তি ইত্যাদি নেই। অন্য কোথায় কী আছে জানিনা। আর লামার কথায় একটু ধোয়াঁশার অবকাশ আছে। তাই পরিষ্কার করেই লিখি, কদিন আগেও কথা হল, ব্যক্তিগতভাবে কোনো অপ্রীতিকর কিছু হয়নি। অন্য কোথায় হয়েছে, সেটা জানিনা। লামা ইচ্ছে হলে পরিষ্কার করে লিখে দিতে পারে।

    আর দ্বিতীয় কথা এই, যে, গুরুর কোনো 'প্রতিদ্বন্দ্বী' হয়েছে বলে মনে হয়না। পরিচিত অনেক পাবলিকেশন বা ওয়েবসাইট বা পত্রপত্রিকা আছে। ছোটো বড়ো। বেশিরভাগের সঙ্গেই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। কারণ, সবাই একটা মিনিমাম ডেকোরাম মেনে চলে। একে অপরকে গাল পাড়েনা। অন্যের বৌদ্ধিক কনসেপ্ট বা ট্রেডমার্ক ব্যবহার করেনা। নিজের প্রচারের জন্য অন্যের নেটওয়ার্ক বা চ্যানেল ব্যবহার করেনা। ইত্যাদি প্রভৃতি। কারো কারো ক্ষেত্রে এই মিনিমাম ডেকোরামগুলির কিছু কিছুর অভাব দেখছি। সেটা দুঃখজনক।
  • তাতিন | 213.110.242.22 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫২53264
  • কেন?
    প্রতিদিন একবার ক্যাচলাইন করেছিল- ভগবানকে ভয় পায় শয়তানরা -- বর্তমানকে ঠুকে। এরকম তো চলেই। কমপ্ল্যানের অ্যাডে ব্র্যান্ড এইচ দিয়ে হরলিকসকে বোঝানো হত।
  • pasher bari | 181.25.193.131 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৬53265
  • আপনাদের ট্রেডমার্ক ব্যবহার করলে বা আপনাদের কপিরাইট মেরে দিলে মামলা করতে পারেন। ভেবে দেখতে পারেন।
  • i | 116.69.193.160 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৩৪53266
  • জীবনের অজানা দিক সামনে এলে , লোকে তো আরো বেশি লেখে বা টেখে। লেখা ছাড়ে নাকি কেউ? আর এত ঘোষণা করে কিছু ছাড়তে হয় নাকি? এব্যতীত লামা কি করে অর্ধ শতাব্দী পার করে ফেললেন অলরেডি তাও বুঝলাম না।
    আশা করব লামা তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৩53268
  • কিছু বছর গ্রেস পেয়েছেন মনে হয়, তাই অর্ধশতাব্দী। ঃ-)
  • pi | 233.191.28.255 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৪53269
  • এটা আদৌ কোন ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার থাকলে অনেক আগেই মিটে যেত বা হয়তো কিছু হতই না। যা করা হয়েছে তা ইচ্ছাকৃতভাবে ও পরিকল্পিতভাবে , এবঙ্গ আমাদের সাথে কোনোরকম কোন কমিউনিকেশন না করে ( এখনেও, এবঙ্গ গুরুর দিক থেকে করতে চাওয়ার পরেও), সেটাও কেউ কেউ জানেন , হয়তো অনেকেই জানেননা। ভদ্রতাবশত ই অনেক কিছু লেখা হয়নি , খুবই খারাপ লাগা সত্ত্বেও, তিক্ত ঘটনার কথা, ডেকোরাম কোনোভাবে মেনে না চলার কথা (মামু প্রচরের জন্য নেটওয়ার্কিঙ্গ চ্যানেলের কথা বলেছে, কিন্তু শুধু প্রচর নয়, সবকিছুর জন্য , এরকমই অনেক কথাই লেখেনি)। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের দিক থেকে শত্রুতা চেয়ে ভুল বোঝাবুঝির ক্রমশঃ বাড়িয়ে চলা হচ্ছে এমন কিছু নয়। এখানে আরো অনেকের এনিয়ে ভুল বোঝা যাতে না থাকেনা বা বাড়িয়ে , তাই লিখ্লাম।
  • i | 116.69.193.160 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৭53270
  • ওকে, পাই
  • | 116.210.205.85 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:২৫53271
  • ঈশানের বলা অন্যের বৌদ্ধিক কনসেপ্ট বা ট্রেডমার্ক প্রসঙ্গে ঃ
    আমাদের কোম্পানি যখন সত্যম কেনে ও পরে মার্জার হয় তখন বেশ কিছুদিন ধরে লোগো কী হবে নাম কী হবে এই বিভিন্ন আলোচনা চলত, ওয়ার্কশপ টাইপেরও হত। তখন একটা জিনিষ শুনেছিলাম। TCS আর Tech Mahindra দুইই T দিয়ে কিন্তু দুজনের লোগোতে Tএর ব্যবহার একরকমের নয়। আর এটা শুধুই এথিক্সের প্রশ্ন নয়, লিগ্যাল প্রশ্নও বটে।
    তখনই শুনেছিলাম যদিও Toblerone একেবারেই অন্য বিজনেস তবুও TCS কিন্তু নিজের T, Toblerone এর মত করে ডিজাইন করে না।

    লামা হুতো ইত্যাদি যারা ডিজাইনের লোক তারা আরো ভাল জানবে, আমাদের লীডারশিপের কোর্সগুলোতে এগুলো এথিক্স অর ডেকোরামের চ্য়্প্টরে পড়ায় বটে তবে শেষে টুক করে বলে দেয় এথিক্সের সীমানাটি টপকাইলেই তুমি লিগালিটির আওতায় পড়িবে বাছা।
    ঐজন্য আমরা সর্বদা লোগো ও টেমপ্লেট শেয়ার ড্রাইভ থেকে নামিয়ে নিই, কদাচ নিজেরা বানাতে যাই না।
  • Rit | 213.110.242.8 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:২৮53272
  • টাইপোগ্রাফি, পেঁচা-ইঁদুর এর ডিজাইন ইত্যাদির কপিরাইট-আইপি করিয়ে নেওয়া উচিত। যদি না করা থাকে। আর বোধ হয় সেটা মেন্টেন ও করতে হবে।

    তবে কমনলি ব্যবহৃত সিম্বলের, লেটারের, ফর্মুলার কপিরাইট হয় না। যেমন π এর উপর পীথাগোরাস বা পাই দি কেওই কপিরাইট ক্লেম করতে পারবে না। ঃ)
  • ক্যাম্পা কোলা | 37.63.139.70 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৩২53273
  • অথরাইজড লোগো ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। ইনফ্যাক্ট আমরা নিজেরা বসাইও না, পোস্টার ডিজাইন পাঠিয়ে দিই, ব্র্যান্ডিং টীম বানিয়ে দেয়।
  • cm | 127.247.96.180 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৩৪53274
  • কমন৯!
  • Rit | 57.11.111.67 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪৬53275
  • ঠিক। কমন৯!
  • ক্যাম্পা কোলা | 37.63.139.70 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪৮53276
  • আরও মজা হ্যাজ। টাটা গ্রুপের সব কোম্পানি টাটার টি লোগোটা ব্যবহার করতে পারে না। একটা কী যেন অ্যাসেসমেন্ট হয়, নামটা ভুলে গেছি - হেব্বি ঝাড়ের - সেইটা পাশ করলে তবে ওই লোগো ব্যবহার করার পারমিশন মেলে। তিন বছর না কতদিন পর পর ঐ অ্যাসেসমেন্ট হয়।
  • Lama | 233.191.21.16 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:১৩53280
  • Comment from i on 15 January 2017 05:04:57 IST 116.69.193.160 (*) #

    "জীবনের অজানা দিক সামনে এলে , লোকে তো আরো বেশি লেখে বা টেখে। লেখা ছাড়ে নাকি কেউ? আর এত ঘোষণা করে কিছু ছাড়তে হয় নাকি? এব্যতীত লামা কি করে অর্ধ শতাব্দী পার করে ফেললেন অলরেডি তাও বুঝলাম না।
    আশা করব লামা তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।"

    এটা কি ডাক্তার? ঘোষণা করে লেখা ছাড়তে চাওয়া কারো খারাপ লেগে থাকলে দুঃখিত। চুপচাপ পা টিপে টিপে সরে পড়ার দরকার ছিল।

    ঈপ্সিতা, আমি কাউকে কারো প্রতিদ্বন্বী বলিনি, বলেছি কেউ কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন

    সৈকত, ধোয়াঁশার ব্যাপারটা আশা করি টেলিফোনে বোঝাতে পেরেছি।
  • pasher bari | 204.88.143.66 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:১৪53281
  • কল্লোলের অ্যানার্কিস্ট ইডিওলজিতে মামলা, কপিরাইট এসব চলে না। কিন্তু গুরু তো আর স্টেটলেস কোন সিস্টেমে চলে না। যে বা যারা গুরুর কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জ করেছে, তাদের শাস্তি না হলে শুধু গুরুর না, সাধারণভাবে পাবলিশিং জগতের ক্ষতি।

    আবার, যদি কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট না হয়ে থাকে, তাহলে এধরনের হুইস্পার ক্যাম্পেন একটা অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার। তাই মামলা হওয়া প্রয়োজন। আশা করব গুরুর নেতারা এ ব্যাপারে যথেষ্ট স্বচ্ছতা বজায় রেখে আইনের আশ্রয় নেবেন, ও মামলার গতিবিধি নিয়ে গুরু কমিউনিটিকে প্রকাশ্যে নিয়মিত আপডেট দেবেন।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:৫১53282
  • আমার ফেবুতে দেখে ধারণা হয়েছিল ৯ঋকাল গুরুরই আর একটা উদ্যোগ, যেখানে হয়তো অন্য ধরণের বই পাবলিশ করা হবে, তাই অন্য নাম দিয়ে নামানো হয়েছে। এখন দেখে বুঝলাম ব্যাপারটা তা নয়। এই ব্যাপারটা এথিকালি ঠিক লাগলো না। গুরুর নেটওয়ার্ক ইচ্ছে করে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা - সেটাতো প্রমাণ করা যাবে না, আমার সে নিয়ে ইন্টারেস্টও নেই। যেটা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে, আমি সেটুকুর ওপর বেস করেই বলছি। '৯' যে গুরুর পরিচয় চিহ্ন, সেটাতো অজানা বিষয় নয়। যাঁরা ৯ঋকাল বানিয়েছেন, তাঁরা সিম্পলি '৯' টাকে ছেড়ে দিতে পারতেন, যদি গুরুর থেকে আলাদা কিছু বানানোর উদ্দেশ্য ছিল। এখন আদালতে গিয়ে মামলা করে ৩০ ডিগ্রী কোণে বেঁকিয়ে গুরুর থেকে আলাদা ভঙ্গিতে আইনীভাবে ৯ লেখার পারমিশন পাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু তাতে করে কি এই বেসিক আনএথিকাল গোড়াপত্তনটাকে মুছে ফেলা যাবে?
  • তাতিন | 213.110.242.22 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:০৩53283
  • যদ্দিন পৃথিবী থাকবে তদ্দিন আনএথিকাল ব্যাপার স্যাপার থাকবে।লিভ উইথ দিস। অবশ্য পালটা বাওয়াল দেওয়ার ইচ্ছে হোলে দেওয়াই যায়।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৮:২৬53284
  • লামা,

    'এটা' হোলো ছোটাই মানে ইন্দ্রাণী। ডাক্তার বড় হাতের আই লেখেন, আমি ছোটো-বহুদিন যাবৎ।
    দুঃখ প্রকাশের কিছু হয় নি। খারাপ/ ভালো লাগার কোনো কথা নয়। এর বেশি আর লিখতে ইচ্ছে করছে না।
    ভালো থাকবেন। লেখা থামাবেন না।
  • কল্লোল | 116.216.151.30 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:০৩53277
  • গুরুতেও কপি রাইট ইঃর কথা উঠছে!!
    আমার ভালো লাগছে না।
    বিষয়টা আমি জানি, না জেনে লিখছি না। গুরু নিজের জোরেই তার জায়গা করে নিয়েছে। কেউ সেটা "মেরে" দিতে পারবে না।
    তাই কপি রাইট বা মামলার কথায় খুব অস্বচ্ছন্দ বোধ করছি।
  • Pinaki | 95.229.73.124 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:১৮53285
  • তাতিন, পাল্টা বাওয়াল দিয়ে তিক্ততা বাড়া ছাড়া আর কিছু লাভ আছে কিনা জানিনা। তবে আমার সাথে ৯ঋকালের কারুর কখনো কথা হলে এই কাজটা যে আনএথিকাল হয়েছে - সেটা স্পষ্টভাবেই সামনাসামনি বলব। আমার মতে সবারই সেটা বলা উচিৎ। পেছনে নয়, সরাসরি।
  • Pinaki | 95.229.73.124 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:২০53286
  • এই কাজ বলতে টুক৯ র কথা বলছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন