এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৪০ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • @অরিজিৎ | 193.82.199.156 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:২০53278
  • ওটা TBEM টাটা বিজনেন্স এক্সেলেন্স মডেল।
  • i | 116.69.193.160 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:০০53267
  • দেখুন ভিতরের কথা জানি না , জানার কথাও নয়। আবার কিছু কথা কানে আসেও। আমার মনে হয় এখানে এভাবে আবছা আবছা কুয়াশা কথায় ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। এদিক ওদিক ভিত্তিহ্হেন কথা উড়বে । হয়তো কিছু বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে চিরতরে। নিজেরা মুখোমুখি বসে আপনারা কথা বলে নিন না। দুটি প্রকাশনীই বাংলা ভাষায় বই বের করবেন। যুদ্ধু করে লাভ আছে?
  • a | 144.159.131.34 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:২৬53279
  • যা শুধু কিছু কিছু লোকই জানেন তা নিয়ে পাব্লিক ডোমেনে আলোচনা করে লাভ কি? নাকি পস্চারিং হচ্ছে? নাকি শক্তি প্রদর্শন? কে জানে?
  • কল্লোল | 116.216.142.77 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৩53287
  • পাশের বড়ি। আমার এক ও একমাত্র বইটির কোন কপি রাইট নাই। তো?
    আমি মনে করি এটা গুরুর স্পিরিটের বিরোধী।
    আবারও বলছি, গুরু নিজের জোরে যে জায়গাটা অর্জন করেছে, তা অমন হুশ করে "মেরে" দেওয়া যাবে না। ফলে মামলা, কপি রাইট ইঃ নিয়ে আমার অস্বস্তি থাকলো। ভালো লাগছে না।
  • কল্লোল | 116.216.142.77 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৯53288
  • হঠাৎই মনে এলো। বিদ্যাসাগর মশাই বর্ণপরিচয় লেখার পরেও রবীন্দ্রনাথ সহজপাঠ লিখেছেন। তাতেও বাংলা অক্ষরপরিচয়ের পথিকৃত হিসাবে বিদ্যাসাগর মশাইয়ের অবদান কেউ কেড়ে নিতে পারে নি।
    গুরুর নিরপত্তাহীণতার কোন কারন নাই।
  • ক্যাম্পা কোলা | 233.191.43.57 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৪53289
  • গুরু তো কপিলেফট! কিন্তু কপিলেফটও এথিক্স বাদ দিয়ে নয়।
  • rathin | 89.172.193.32 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:১২53290
  • ওই ৯ মালটা আমি ফেসবুকে একবার দেখে গুরুর কিছু একতা ভেবেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি গুরু না পুরো টুকলি। কল্লোল যাই বলুক সহজপাথ পড়ে বাবা বর্নপরিচয়ের টুকলি লাগেনা।
  • ক্যাম্পা কোলা | 233.191.43.177 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:১৫53291
  • রবীন্দ্রনাথ যদি "চঞ্চল বড় সুবোধ বালক" দিয়ে সহজপাঠ লিখতেন?

    কপিলেফট এর জিনিস কপি, রিপ্রিন্ট ইত্যাদি সবই করা যায়, কিন্তু সঠিকভাবে ঋণস্বীকার করে। সেইটাই এথিক্স।
  • sm | 233.223.157.231 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:১৯53292
  • ওরে সহজ পাথ নয়রে সহজ পাঠ। সব পথই কি এতো সোজা বাবা!
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৫৩53293
  • পিনাকী, ঐজন্যই T এর উদাহরণ দিলাম। ব্যক্তি তিতাস বা তৈমুর লং কেউই টি-এর কপিরাইট নিতে পারে না। কিন্তুক কোনও কোম্পানি যখন
    ট্রেড লাইসেন্স বের করে মাঠে নামতে যায়, তখন ডিজাইন ফেজেই ঠিক করে নিতে হয় ৩৯ ডিগ্রী বাঁকিয়ে লিখব নাকি ১৮০ ডিগ্রী।

    'পাশের বাড়ী'র গন্ধটা কেমন যেন। এত মামলাবাজ কেন মশাই? এ তো আমাদের কোন্নগরের মামলা-খুড়োর মত দেখতে। মামলা করলে অবশ্যি কারো কারো ভাল পাবলিসিটি হয়।

    বর্ণপরিচয় আর সহজ পাঠ এর উদাটা এত বোকা বোকা যে কিছু বলার নেই। শুধু রবীন্দ্রনাথ কেন যারই মনে হবে সেই যে কোন বই লিখতে পারে, যে প্রকাশকেরই মনে সেই সেটা ছাপাতে পারে। ভারতীয় কপিরাইট আইন অনুযায়ী (আমি যতটুকু ঘেঁটেছি) লেখার ওপরে লেখকেরই অধিকার)

    আর কপি রাইট না মেনে কপি লেহট মানলে ক্রিয়েটিভ কমন্স ইত্যাদি মানতে হয় আর কি।
  • কল্লোল | 116.216.144.157 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০০53296
  • ডিসি। আমার বইটা তো আগেই গুরুতে সুতো হিসাবে প্রকাশিত। এরপরেও কেউ বইটার পিডিএফ আপলোড করলে খুব সম্মনিত বোধ করবো।
    কেউ অনৈতিক কাজ করেছে মনে হলে তার প্রতিবাদ হোক। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কপি রাইট, মামলা মোকদ্দমায় গড়ালে সেটা আমার কাছে খুবই অপছন্দের হবে। আমি মনে করি সেটা গুরুর স্পিরিটের বিরোধী। শেষ পর্যন্ত এটা ক্ষমতার লড়াইয়ে গড়াক, আমি চাই না। আমি বরাবরই গুরুকে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে দেখতে চেয়েছি।

    একদিন এই গুরু থেকেই কপিরাইটের ঝামেলায় পড়া সিডি বিক্রি হয়েছে, সব জেনেই।

    রবীন্দ্রনাথ আর বিদ্যাসাগরের কথাটা পেড়েছিলাম পথিকৃত হিসাবে বিদ্যাসাগরের নাম থেকেই যাবে সেই প্রেক্ষিতে। ৯এর ব্যবহারে গুরু পথিকৃত, সেটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:১৭53294
  • *কপি লেফট
  • dc | 181.49.206.49 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:১৯53295
  • আমি এতোসব ঝামেলায় না গিয়ে নির্ভেজাল চুরি সমর্থন করি। সেই কোন আদিমকালে ন্যাপস্টার থেকে গান আর লাইমওঅ্যার থেকে বই নামাতে শুরু করেছিলাম, তারপর আর বই আর গান কিনে পড়িনি/শুনিনি। টরেন্ট শুরু করার পর থেকে টিকিট কেটে সিনেমাও খুব কম দেখেছি। যাঁরা কমিক্স টমিক্স ইত্যাদি স্ক্যান করে আপলোড করেন তাঁরা আমার খুব প্রিয়। বাংলা বইও পিডিএফ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকি, পিডিএফ পেলেই ডাউনলোড করে পড়ে ফেলি। গুরুচন্ডালির বইগুলোও, বা কল্লোলবাবু ওনার যে বইয়ের কথা বল্লেন, আশা করব সহৃদয় কেউ স্ক্যান করে পিডিএফ বানিয়ে ফেলবেন যাতে পড়ে ফেলতে পারি।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:২৩53297
  • ওহ্‌, লিকার নিয়ে এত ক্যালোরব্যালোর... দাঁড়াও, তারাপদ-দাকে ঘোস্ট-ফ্রি নাম্বারে ফোন করে বলছি, সবকটাকে মাতাল সমগ্র-র পরের এডিশনে নিয়ে নেবে।
  • রৌহিন | 233.223.133.8 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫৬53298
  • কল্লোলদার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এথিক্স পর্যায়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, জানাবো। গুরু লিগাল পর্যায়ে যাক এটা চাইব না।
  • ঈশান | 183.24.110.20 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৯53299
  • বাকি কথা পরে। কপিরাইট ও সিডি প্রসঙ্গে একটাই সংশোধন আপাতত। কল্লোলদার মনে আছে কিনা জানিনা, যে সিডিটির কথা হচ্ছে, তখন আমাদের টেবল ছিল। টেবল থেকে এমনিই সিডি বিক্রি করা জায়না, গিল্ডের নিয়মানুসারে। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়নের সামনে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল, ইনফর্মালি, মাঠে বসে। সেখানে ওই সিডি প্রথম দেখি, সম্ভবত কিনেওছিলাম একটা। গুরু থেকে ফর্মালি ও সিডি বেচা সম্ভব ছিলনা, হয়ওনি।

    অনেকদিন আগের কথা। একটু আধটু ভুল থাকতে পারে। থাকলে ধরিয়ে দিও।
  • কল্লোল | 116.216.150.21 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩৪53300
  • ঈশান। একদম ঠিক। বইমেলায় লিম্যা টেবিলে সিডি বেচা যায় না। কিন্তু বেচা হয়। আমরাও বেচেছি। সেই সিডিটি নিয়ে কপিরাইটের ঝামেলা, উকিলের চিঠি সবই হয়েছিলো। তাতে আমাদের সেই সিডিটি বেচতে ও কিনতে কোন প্রশ্ন ওঠেনি।
    পরে অ(ন)ন্য মহীন করতে গিয়ে সে বিরোধ অনেকটাই মিটে যায়। আমার গর্ব হয় গুরুর একটা বইয়ের উদ্যোগ এই ঝামেলাটা কিছুটা মেটাতে সাহায্য করেছিলো।
    আজ তবে এসব কেন?
  • ঈশান | 183.24.110.20 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১০:২৯53305
  • "আমরা" মানে গুরু নয়। কপিরাইট সংক্রান্ত সমস্যা হবার পর এটা নিয়ে স্পষ্ট করেই কথা হয়েছিল। মহীন আমার অত্যন্ত প্রিয় দল, প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গেই সুসম্পর্ক আছে, কিন্তু কপিরাইট সংক্রান্ত ডিসপিউট ও তার সমাধান তাঁরাই করেছেন, ও নিয়ে আমার বা গুরুর আলাদা করে কোনো ভূমিকা আছে বা থাকার জায়গা আছে বলেও আমার মনে হয়না।

    এই ব্যাপারটা আলাদা করে লিখছি, কারণ, এটা আমরা অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়ে থাকি। জয়া মিত্রর একটি অনুবাদ আমরা প্রকাশ করেছি, তার জন্য রাইট রীতিমতো ডলার মূল দিয়ে আমেরিকান পাবলিশারের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে। বাংলা বই একটা অনুবাদ করে অনেকেই ছেপে দেয়, আমরা সেটা করিনি, সেজন্য এক বছর পিছিয়ে গেছে প্রকাশ, জয়াদি দুঃখও পেয়েছিলেন, তবুও করা হয়নি। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত অন্য জায়গার যেকটি লেখা গুরুতে প্রকাশ করা হয়েছে, অনুবাদে বা সরাসরি, সব কটার অনুমতি নেওয়া হয়েছে, এবং ঋণ স্বীকার করা হয়েছে।

    এই বিষয়টা শুধু কপিরাইটের এমন না। এথিক্সেরও। কপিরাইট থাকুক বা না থাকুক, স্রষ্টার একটা স্বীকৃতি প্রাপ্য বলে মনে করি। যেমন কল্লোল দাশগুপ্তের লেখা বই কেউ রাধারমন সমাদ্দারের লেখা বলে ছেপে দিলে আপত্তি করব। সে কপিরাইট থাকুক, না থাকুক। কপিরাইট যদি নাও হয়, এটা সম্মানের প্রশ্ন। ডেকোরামের প্রশ্ন।
  • ঈশান | 183.24.110.20 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:১৬53306
  • আর হ্যাঁ, আরেকটা কথা। যা ঘটছে, এবং ঘটে চলেছে, সে তো পাবলিক ডোমেনেই হচ্ছে। চোখের আড়ালে কিছু না। জবাবে গুরু কিছু করতে পারে এবং কোনো একসময় ক্ষমতা-টমতা হয়ে উঠতে পারে, ইত্যাদি স্পেকুলেশনের বদলে যা ঘটছে তা নিয়ে যথাস্থানে এবং যথাসময়ে "প্রতিবাদ" টা করলে ভালো হত।
  • h | 213.99.211.135 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৪০53301
  • ১ - দুটো সংস্থার মধ্যে বিষয় (যদি থেকে থাকে), তারা ই ঠিক করবে। আদালত, মামলা আদৌ হবে কিনা তাঁরাই ঠিক করবেন। তাতে পরিচিত হওয়ার কারণে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ দেখি না। ভালো বই ছাপালে পড়ব। বিষয়টায় আগ্রহ পেলে, নইলে বয়ে গেছে। প্রকাশিত বই এর মান আর বিষয় ছাড়া প্রকাশনা সংস্থার বিষয়ে আমার আর কোন আগ্রহ নাই।

    ২ - যাঁরা 'কমিউনিটি' বলে কোন একটা বস্তুটির একটা কেউ হওয়ার ফলে আইন আদালতের পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁরা গন্ডমুর্খ অথবা অনভিজ্ঞ বা স্রেফ মজা পাচ্ছেন।
    ৩ - এটা দুঃখজনক, নতুন প্রকাশনাটি সৃজনশীলতায় কোন ধরনের কোন খামতির কোন সম্ভাবনা না থাক সত্ত্বেও, হয় বদরসিকতা করে নয় মানুষকে সংশয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে এরকম একটা নাম বেছেছেন। তবে অস্বীকার না করাই ভালো একটা অক্ষর কে কি ভাবে ব্যবহার করবে সেটা তার ব্যাপার। বিশেষতঃ যে ৯ টা দেখা যায় গুরুর সমস্ত ব্যবহারে, সেটা ট্রেডমার্ক যোগ্য কিনা জানি না, যে ভাবে ব্যবহৃত আছে, তাতে একটি অক্ষর ট্রেডমার্ক যোগ্য হওয়াও কঠিন, একটি শব্দ হতে ই পারে। এবং সেটি পুনর্ব্যবহৃত হয় নি বলেই মনে হয়, হলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সংশ্লিষ্ট লোক নেবেন, অতিরিক আলোচনা র কারণ দেখি না, কমৌনিটি আপডেট এর দরকা র অন্তত আমার নাই বলে ক্লিয়ার করে দিলাম।

    ৪ এখনো পর্যন্ত নতুন প্রকাশনার যা বইয়ের খবর পেয়েছি, একটাও কেনার আগ্রহ পাই নি। কারণ ডিজাইন না বিষয় আমায় আকৃষ্ট করে। তবে সুন্দর ডিজাইন করে লেখক কে এবং পাঠক কে একটা চিন্তা ভাবনা, একটা যত্নের, বার্তা দিতে চাইছেন তাঁরা আপত্তির কারণ দেখি না। গুরু র কথা বলতে পারি, গত ১০ বছরে যা বই ছাপা হয়েছে, আমার নাক উঁচু রুচিতে গোটা কয়েক মাত্র ই সংগ্রহ করে অনেক দিন রেখে দেওয়ার মত, এবং সেটা বিষয়ের জন্য। ছাপায় অযত্ন আগেও ছিল, এখনো পুরো পুরি কাটে নি। এন্ড অফ দ্য ডে, একশো বছর পরেও আমি যে বইগুলোর কথা বলছি তার মূল্য থাকবে।
    অনামী, স্বল্প পঠিত, নতুন লেখক রা তাঁদের বিষয় পৌছে দেওয়ার জন্য যাঁরা গুরু চন্ডালির সাহায্য নিয়ে ছিলেন, তাঁরা পরের বইটির সময়ে কি করবেন তাঁদের ব্যাপার, চুক্তি থাকলে চুক্তি সাপেক্ষে, না থাকলে নিজের ব্যাপার। তবে আমর মনে হয়েছিল প্রথম ১০ বছর কে যদি একটা প্রজন্ম বলে ধরি, এই প্রজন্মের প্রকাশিত লেখকেরা দুটো নেশায় গুরু র কাছে এসেছিলেন। নিজের বই ছাপানোর আনন্দে, নিজের বক্তব্য সম্পর্কে কনভিকশন ছিল বলে। এবার হতেই পারে এর পরের প্রজন্ম গুরুকেও চটি থেকে বেরিয়ে এসে সুদৃশ্য বই বের করার পরামর্শ দেবেন, বা একাধিক ইমপ্রিন্ট সিরিজ থাকবে, অ্যাকচুয়ালি এখনি আছে। মরিচ্ঝাঁপি যে ভাবে ছাপা, চটি গুলো সে ভাবে ছাপা নয়। সব প্রকাশনা তেই এরকম একটা বিষয়, লেখক-লেখিকা, প্রকাশক, ইত্যাদির একটা লাইফ সাইকল চলে, এতে আলাদা নতুন কিসু দেখি না।
    ৫,। প্রতিটি ডিসপুট ই জেহেতু আলাদা এবং ডিসপুট যেহেতু প্রকাশক, লেখক/লেখিকা, এবং কপিটিশন এর মধ্যে, পাঠক দের বিশেষ কিসু বলার নাই। আমার বাংলা বক্তব্য টলস্টয় যে ছাপাবে পড়ব। কিন্ডলে বা ভার্সো বা প্রগতি প্রকাশনী বা বাংলায় অনূদিত ক্রয়েটজার সোনাটা। এ পৃথিবীর বুকে টলস্টয় আসুক নেমে। ফর্মাট বদলাবেই, প্রকাশনায় যত্ন আর লেখার মান বাড়ুক।
    ৬। ভলান্টারিজম এর একটা সমস্যা আছে। যার থেকে এই কমিউনিটি নামক ভেগোলোজি টির শুরু। যাঁরা ভলান্টইয়ার করেন, তাঁদের নিজেদের ক্রিয়েটিভ মোটিভেশন প্রকাশ করার জায়গা তাঁরা কখন পাবেন, বা কখন পাচ্ছেন মনে করবেন, বা পাচ্ছেন না মনে করবেন, সেটা নাজুক ব্যাপার। পেশাদারী আন্ডারস্ট্যান্ডিং , কন্ট্রাকচুয়াল রিলেশনশিপ ইত্যাদি এলে ভালৈ হবে, সকলেই বুঝতে পারবেন, একটা প্রকাশনায় কার কি রোল। এবং কোন কোন কাজে কত টা সহাবস্থান করবেন তাঁরা নিজেরাই ঠিক করে নেবেন।
    ৭। সেল্ফ পাবলিকেশন এর দুনিয়ায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাবলিকেশন জিনিস্টার নতুন সংজ্ঞা হচ্ছে, আর এটা টেকনোলোজির জন্য ই সম্ভব হচ্ছে। আর একবিস`হ শতকেও বাংলা পাবলিকেশন কে বইমেলার জায়গা বা ছাপা বইয়ের কথা ভাবতে হচ্ছে এটা দেখলেও ভালো লাগে। ইমরান কাজী র মত যে সব পাজি ছেলেরা ছাপা বইয়ের মৃত্যু ঘোষণা করেছে তারা এসব দেখুক জ্বলুক আর লুচির মত ফুলুক এই আশা নিয়ে আজকের বাণী থেকে আপনাদের মুক্তি দিলাম ;-) আপনারা এমন আর কিছু লিখে ফেলবেন না, যাতে আমাকে এসে আবার লিখতে হয়।
  • h | 213.99.211.135 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৪৫53302
  • End of the day গোটাটাই প্রকাশনা সংস্থা গুলোর ব্যাপার। আমরা ভেবে করব কি।
  • cm | 127.247.96.178 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৪৭53303
  • আমরা তাহলে কি নিয়ে ভাবব এবং কেন ভাবব সে বিষয়ে যদি কিছু বলেন। অবশ্যই why there is something instead of nothing গোত্রের সমস্যার অভাব নাই।
  • h | 213.99.211.134 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৫৩53304
  • হাহাহা হাহা --- আসলে আমি বলার কে। মানুষ যা করবে করবে। আর করবে প্রকাশনা সংস্থা। হাহাহাহাহা সি এম, এটা হেবি দিয়েছো। যেটা এক লাইনে বলা যেত, সেটা বলতে পারিনি, বই যারা পড়ে তারা কমিউনিটি আপডেট নিয়া করবে টা কি। বিভিন্ন লোক বই লিখবে, অন্যান্য বিভিন্ন লোক ছাপাবে, বেচবে, আমরা পড়ব বা পড়বা না। এত ঝক্কি পোসায় না ;-) হাহাহা হাহা --- আসলে আমি কিসুই বলার কে।
  • ক্যাম্পা কোলা | 37.63.136.147 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৫53313
  • বাবা গো। এত কিছু হয়! এই ডায়নামিক্স বোঝার চেয়ে বরম চেষ্টা করলে নিউরাল নেটওয়ার্ক বুঝে ফেলবো।
  • i | 147.157.8.253 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৯53307
  • আলোচনার মধ্যে ঢুকছি না। ১৫ই জানুয়ারির আমার দ্বিতীয় পোস্টে আরো দু লাইন লেখা উচিত ছিল। সেজন্য পুরোনো পোস্টটি পুনর্লিখন করছি।
    **********************************************************
    দেখুন একদম ভিতরের কথা জানি না , জানার কথাও নয়। আমার সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছিল অন্য প্রকাশনীর একজনের সঙ্গে, ব্যক্তিগত মেইলে এবং সম্ভবতঃ ওয়াটস্যাপে। তিনি কিন্তু একবারও বিরুদ্ধ কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলেন নি। কী কথা হয়েছিল, আমার বক্তব্য কী ছিল সে সব এই সুতোয় অপ্রাসঙ্গিক।
    অথচ এর পরে কিছু কথা কানে আসেও। সে সবের নিশ্চয়ই কোথাও কোনো ভিত্তি রয়েছে।

    আমার মনে হয় এখানে এভাবে আবছা আবছা কুয়াশা কথায় ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। এদিক ওদিক ভিত্তিহীন কথা উড়বে । হয়তো কিছু বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে চিরতরে। নিজেরা মুখোমুখি বসে আপনারা কথা বলে নিন না। দুটি প্রকাশনীই বাংলা ভাষায় বই বের করবেন। যুদ্ধু করে লাভ আছে?
    *******************************************************
    কিছু উত্তর পাই দিয়েছেন সেদিনই। গুরুচন্ডালি ভুল বোঝাবুঝি বাড়িয়ে চলেছে এরকম কোনো বক্তব্য বা আমার মূল বক্তব্যে এরকম কোনো নিহিতভাব ছিল না। এখনও নেই। মাঝখানে যত লোক ঢুকবে, দু পক্ষের বিরোধ মেটার সম্ভাবনা তত কমবে। এটাই সেদিন মনে হয়েছিল। আজও সেরকমই ভাবছি।
    বাংলা ভাষায় প্রকাশনার স্বার্থে , এই সব ঝামেলা দ্রুত মিটুক। দুটি প্রকাশনী ভালো লেখা প্রকাশ করে চলুক।
  • Rit | 57.11.33.27 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৪53314
  • কোলা দা,
    :D
  • কল্লোল | 116.216.184.114 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৩53308
  • "এই বিষয়টা শুধু কপিরাইটের এমন না। এথিক্সেরও। কপিরাইট থাকুক বা না থাকুক, স্রষ্টার একটা স্বীকৃতি প্রাপ্য বলে মনে করি। যেমন কল্লোল দাশগুপ্তের লেখা বই কেউ রাধারমন সমাদ্দারের লেখা বলে ছেপে দিলে আপত্তি করব। সে কপিরাইট থাকুক, না থাকুক। কপিরাইট যদি নাও হয়, এটা সম্মানের প্রশ্ন। ডেকোরামের প্রশ্ন।"
    আমারও ঠিক এটাই বলার ছিলো। কেউ কেউ এই সুতোয় কপিরাইট ও মামলার কথা তুলেছিলেন - তাই সে বিষয়ে আমার অস্বাচ্ছন্দের কথা জানিয়েছি।
  • pi | 233.191.43.35 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৮53309
  • বারবার ক্ষমতা দেখনোর কথা আসছে। গুরু ব্যতীত অন্যত্র বের করা নিতে চাপে কথা। কেন আসছে জানিনা। একটা দুটো কথা তাই স্পশ্ট করতে বাধ্য হচ্ছি।

    গুরুর নিয়মিত লেখলেখি কেউ অন্য কোন প্রকাশন এর থেকে বই বের করলে তো কেউ বলেনি করা যানেনা। এমনকি গুরুতে টই ব্লহ বুবুভ বা ম্যাগে প্রকাশিত লেখাও গুরুর উল্লেখ সহ বা ছাড়াও অন্যত্র বস বই হয়ে বেরিয়েছে বা বেরোচ্ছে।
    আলোচ্য প্রকাশন থেকেও, গুরুর টই বা ব্লগে বেরোনো লেখা। এমনকি যে লেখক গুরু থেকে বই নিয়ে , যাহোক এনিয়ে এত লেখার সময় নেই এখন।

    তো, সে নিয়েও বা আর কী করা হয়েছে ? এমনকি গুরুতে প্রকাশিত লেখাও গুরু থেকে বেরোনোর জন্য অনেকাম্শে তৈরি হয়ে যাবার পরেও অদ্ভুত কোন কারণ দেখিয়ে অন্য প্রকাশনা থেকে বের করে গুরুর স্টল থেকে গুরুর বইয়ের মতই বা তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এও হয়েছে।

    আর সে নিয়ে গুরুতে কিছু লেখাও হয়নি , ভদ্রতাবশত বহু ডেকোরাম লন্ঘন নিয়েও কিছু লেখা হয়নি। অনেক খারাপ লাগা সত্ত্বেও। কিন্তু বারবার উল্টো অভিযোগ এলে হয়তো কিছু বলতে হয় বা বললে ভাল হত বা হয় মনে হচ্ছে।
  • Lama | 213.132.214.86 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৫১53310
  • এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রাসঙ্গিক মনে করছি। গুরু বা অন্য কোনো প্রকাশনা সংস্থা থেকে বই বার করা বা না করা নিয়ে গুরু বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে কেউ আমাকে অন্তত চাপ দেয় নি।

    তবে, আমার প্রথম বই বার করার খবরটা প্রকাশ্যে আসার ঠিক পরেই ফেক প্রোফাইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ত করে আমার লেখক পরিচয় নিয়ে ব্যঙ্গ করা এবং মামলা মোকদ্দমার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো যাঁরা করেছেন তারা কোনোভাবেই গুরু বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নন বলেই আমার ধারণা। সম্ভবত এঁরা এসব করেছেন নিছক মজা দেখার জন্য (বা ন্য কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে), কিন্তু এসবের ফলে আমার মানসিক শান্তি যথেষ্ট বিঘ্নিত হয়েছে এবং আর লিখতে ইচ্ছে করছে না।

    যিনি মামলা করবেন বলেছেন তিনি সত্যিই যদি তা করেন তাহলে আইনী পথে সেটার মোকাবেলা করব, আর যদি না করেন, আমার মানসিক শান্তিভঙ্গ এবং চরিত্রহননের জন্য আমিই আইনি ব্যবস্থা নেবার কথা ভাবছি। আইনকানুনঘটিত ব্যাপারে এর বেশি আর বলব না, তবে এইটুকু বলি- এসব মামলা মোকদ্দমার সঙ্গে গুরুর কোনো সম্পর্ক নেই।

    আমার এই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার জন্য গুরু বা অন্য কোনো সংস্থা দায়ী নয় এবং বিরক্তি ও তজ্জনিত লেখালিখিতে বিতৃষ্ণা একান্তই আমার ব্যক্তিগত।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ১২:৫৫53311
  • ওগুলো হিংসে করে করেছে লামা। ওগুলোকে খুব একটা পাত্তা দিতে নেই। আর লিখতে গেলে একটু নির্লিপ্তি দরকার হয়।
    ওগুলো পাতি কাটিয়ে দাও।

    অর্ধশতাব্দী সত্যি সত্যি পার করলে এগুলো ঝেড়ে ফেলতে শিখে যেতে বাছা :-D
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন