এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮২৫ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৪৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাতিন | 213.110.242.7 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪৭53344
  • ঙ্কাদা না খোঁচালে স্কুপ গুলো বেরোবে না। অচেনা নামদের এই আলোচনায় স্বাগত।
  • Rit | 57.15.152.1 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:৫৫53345
  • ডিসি মারাত্মক লোক।
  • dc | 120.227.239.148 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০১53346
  • মানে?! আমি এ ব্যাপারে কিস্যু জানিনা, অন্য নামে পোস্টও করিনি।
  • avi | 57.15.56.65 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০৩53347
  • উইনঅ্যাম্পের মটো পুরো জলহস্তীর রোস্ট। এটা মিস করেছিলাম।
  • Rit | 57.15.152.1 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০৪53348
  • উইনঅ্যাম্প :D
  • dc | 120.227.239.148 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০৮53349
  • আচ্ছা। আমি ভাবলাম ঐ পোস্টটা সবাই মিস করে গেছে :d লামাবাবু আশা করি কিছু মনে করেন নি, আপনার নাম দেখে প্রথমেই উইনয়াম্পের কথা মনে পড়েছিল।
  • সিকি | 132.177.131.79 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৬:২২53350
  • স্কুপ জেনে কি খুব উপকার হয়, তাতিন?
  • gopan lok | 60.180.243.60 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:৪৫53352
  • সাক্ষী দিলে নাকি পয়সা পাওয়া যায়।
  • তাতিন | 213.110.242.20 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:৫১53351
  • অবশ্যই। ইসের ভাইয়ের মত জীবনে স্কুপরাই বসন্তের হাওয়া। প্লাস স্কুপ জানা থাকলে মামনিদের সঙ্গে ইনবক্সটা বেটার চালানো যায়।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:৪৯53353
  • তার মানে পয়সা দিলেও সাক্ষী পাওয়া যায় ঃ-)
  • pi | 57.15.152.46 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:২৩53354
  • কিছু কথা বলা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
    এই ধরণের কথাবার্তা অযথা পাবলিক ফোরামে লিখব না বলে ভদ্রতা করে এতদিন চুপ করে না থাকলেই বোধহয় ভাল হত। প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণেও লেখা হয়ে ওঠেনি, কিন্তু অনেকেই বললেন লেখাটা দরকার বলে তাড়াতাড়িতেই লিখছি। খুব অগোছালো ভাবেই।
    এর আগে অন্য যেসব গ্রুপে কথা হয়েছে, লিখেছি, কনসার্ণ্ড ব্যক্তিদের ট্যাগ করেই। কোন উত্তর আসেনি।যা এসেছে, তা হল স্ল্যাণ্ডারিং, নানা প্রকারে বিরক্ত করা আর একের পর এক।।।জানিনা, একে কপি বলে না চৌর্যবৃত্তি বলে না কি।
    কেউ অন্য পাব্লিকেশন করলে কোন সমস্যাই নেই। একদম প্রথমে এটা স্পষ্ট করে নেওয়া দরকার।গুরুর সাথে যুক্ত কেউ করলেও। কারুর অন্য মডেল , অন্য ভিশন থাকতেই পারে। কিন্তু, এখানে কতগুলো কিন্তু আছে। যেগুলো একটু বলা প্রয়োজন। খুব সময় কম। খুব অগোছালো ভাবে অসুবিধের মধ্যেই লিখছি।
    ওয়ান ফাইন মর্নিং , গত বছরে মেলার কিছু পরে লোকজনের কাছে শুনতে শুরু করলাম যে কেউ কেউ গুরুর নানা লোককে একটি পাব্লিকেশন খুলে যোগ দেবার আহবান জানিয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ অবাক হয়েছেন, আবার নতুন কেন। তখন জানানো হয়েছে, দামি বইএর পাব্লিকেশন হবে, গুরুর শস্তাইয় পুষ্টিকর চটি মডেলের থেকে আলাদা। কনফ্লিক্ট নেই, বলা হয়েছে, কাউকে কাউকে। নেই বলেই বোধহয় তাঁদের কেউ ভেবেছিলেন, আমরাও জানি। কথাপ্রসংগে জানতে পেরে জাস্ট আকাশ থেকে পড়ি আমরা। কারণ, এ নিয়ে জাস্ট কোন কথা হয়নি। আর সেইসব বন্ধুদের কেউ কেউ তখনো গুরুর সাথে একেবারে আক্টিভলিই যুক্ত। মানে, গুরুর কাজকর্ম নিয়ে নিত্যদিন কথা হচ্ছে, এমনি আড্ডা। শুধু এই নিয়ে বিন্দুবিসর্গ কিছু জানা নেই। জাস্ট কোন কথা নেই।
    কথা বলতে এটুকুই যে, ওদের কেউ গত বইমেলায় অ(ন)ন্য মহীনের বই উদবোধন উপলক্ষে মহীনের অনুষ্ঠনের জন্য ক্লাব মাহিন্দ্রা টাকা দেবে বলে জানায় এবং এটা নিতে খুবই চাপাচাপি করে। আর তখন এয় বলে গুরু থেকে কিছু পাব্লিকেশনের জন্যও, কফি টেবল জাতীয় বই বা দামি বইয়ের জন্য টাকা দিতে আগ্রহী হতে পারে। এবার সৈকতদা কোনকিছুই তাড়াহুড়োতে বলে না। এই নিয়েও বলে যে , এই বইমেলার ঝামেলার মধ্যে পাব্লিকেশন নিয়ে কথা বলা তো যাবেনা। মেলার ঝামেলা মিটলে এ নিয়ে কথা বলা যাবে খন। আর ইতিমধ্যে আমরা ( বেশ কয়েকজনই ছিলাম) ঠিক করি, এই টাকা কী কেন স্পষ্ট লাগছে না ও অন্যান্য অস্বস্তি আছে বলে নেবোনা। বিস্তারিত যাচ্চি না এখানে।
    আর পাব্লিকেশনের ব্যাপারে, গুরুর চটি বই বাদে অন্য কিছু করা যায় কিনা সেই নিইয়ে মেলা মিটলে পরে আস্তে ধীরে কথা বলবে, এটাই জানায়। আমরা চাইলে সাথে চটি বাদে অন্যরকমের বইও কিছু করতে পারি কিনা, সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা যায় কিনা, সে নিয়ে কথা আগেও হয়েছিল , সে কথা অদের থেকে ভাল আর কেউ জানেনা। এই হল আমাদের জানা মত ওদের সাথে কথা। বাস। তারপরে বইমেলার কিছুদিন পরেই জানতে পারি লোকজনের কাছে নতুন পাব্লিকেশ্ন নিয়ে মেইল, গুরুর স্টলেই গত বছর অ আগে থেকে পাব্লিকেশন নিয়ে কথা।
    এমনকি , বইমেলার বেশ কিছুদিন পরে যখন ভবানীপুরের বাড়িতে গুরুর ভাট হয়, গুরুর বই তোলা, হিসেব , কারুর বই নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত কাজের সাথে, সেই ভাটের জন্য নানা জায়গায় লিখি, ফেবু গ্রুপেও , তারাও লেখে, গুরুর ভাটে লোকঅকে আসতে বলে। পরে শুনি, যখন ভাট হয়েছে, আর বই গোছগাছ, আনা নেওয়ার কাজ হয়েছে, তখন সেই বাড়িরই অন্য ঘরে নতুন প্রকাশনার মিটিং হয়েছে। গুরুর ভাটে বা বই নিতে আসা লোকজনকে সেই মিটিং এ ডাকা হয়েছে। এমনকি গুরু থেকে প্রকাশিত্ বইয়ের লেখককের তাঁর বইয়ের পরের খণ্ড নতুন প্রকাশনা থেকে দামি বই হিসেবে বের করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর তার পরেই গুরুর সাথে বহুদিন ধরে যুক্ত নানাজনের কাছে মেইল গেচে, নতুন প্রকাশনার সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত হোয়ার জন্য। বহুজইনের কাছে মেইলেই পরে মেইল। শুধু আমরা কিচ্ছুটি জানিনি। যদিও গুরু নিয়ে আর নানাবিধ জিনিস নিয়ে আমাদের নিয়মির মেইল চ্যাট ফোনাফুনি আড্ডা সবই হয়ে চলেছে। সবের প্রমাণ রয়েছে। এমনঅকি ব্যাঙ্ক আকাউণ্টেও এখনো অব্দি তাদেরই কারুর নাম !
    এসব জানার পরেও সৈকতদা এরকম একজন বন্ধুকে দিয়ে জানায়, না জানানতে খারাপ লাগলে নিয়ে কথা বলতে রাজি আছে। নো রেসপন্স। পরে তো শুনলাম, বইমেলার সময়ই ওরা নানাজনকে এই পাব্লিকেশন নিয়ে আপ্রোচ করে। গুরুর স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই, গুরুতে আসা, গুরুর লোকজনকে। তারও পরে শুনতে পেয়েছি, এই আপ্রোচ করা শুরু হয়েছে, এখন সেদিন কে স্ক্রিন্সশট দিল, তাতে লেখা এটা নাকি ২০০৯ থেকে প্ল্যান !! সে কারুর ইচ্ছা কোনরকম থাকতেই পারে, সবাইকেই একি রকম ভেবে একইরকম কাজ করতে হবে , এমনও না। কত আলাদা পাব্লিকেশনই তো আছে। আমাদের তো তাদের সাথেও সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা হল এই পুরো পদ্ধতিতে ! আর এই রকম লুকাছুপিতে। একেকজনকে একেক্রকম কথা বলায়। আমাদের কিচ্ছুটি না বলায়। এমনকি একই ঠিকানায় দু মাস আগে ট্রেড লাইসেন্স হল বলে খবর পেলাম। সেটাও কেউ আমাদের জানায়নি।
    আকসিডেন্টালি পুরো এক অন্য কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি। একই ঠিকানায় অফিস হয়ে গেছে। আমাদের আপিসে গিয়ে লোকজন দেখছে দরজায় ওদের পোস্টার। অনেকে বলেছেন, তাঁরা ওই গ্রুপে আডেড ( আমাদের করা হয়নি), তাঁরা জানেন এটা গুরুরই একটা সাহিত্যগ্রুপ। ওই গুরুর লোকজন, ৯ আর ভবানীপুরের ঠিকানা দেখে। বই করা গিয়ে লেখকএর সাথে কথা বলতে গিয়ে শুনি, হ্যাঁ, আমাকে তো বলেছে , দেখছি। আমি বললাম , কে বলেছে ? উত্তর এল, দের কারুর নাম। ওরা মানেই গুরুর বই ধরে নিয়েছেন আর গুরুর বই বলেই হ্যাঁ বলেছেন। ফার্দার কথা বললে হয়তো জানতেন অন্য পাব্লিকেশনের কথা। কিন্তু ওরা বলছে ভেবেই গুরু বা গুরুর সাথে কিছু এটুকুই ধরে নিয়েছেন আর সেজন্যই প্রথম কথায় হ্যাঁ বলে দিয়েছেন। আর বাকি অনেকেই , কেউ এসব কিছুই জানেনা। জানে ওরা আমাদের সাথেই আছে। সেরকমও একদম স্পেসিফিকালি বলা হয়েছে, শুনলাম। বলা হয়েছে, এটা একটা অন্যরকম প্রকাশনা। গুরুর চটি সিরিজের থেকে আলাদা। তাই আলাদাভাবে হচ্ছে ইঃ। দুটো আলাদা বিজনেস মডেল । কোন কনফ্লিক্ট নেই।
    হ্যাঁ, কনফ্লিক্ট থাকার তো প্রশ্নই থাকত না। কিন্তু সেটা না থাকার প্রথম ধাপ, আমাদের জানানো। আমাদের সাথেই কাজ করতে করতে অন্য কিছু শুরু করলে, সেটার উল্লেখটুকু করা। আমাদের সাথে এই কাজ করা যায় কিনা, সে নিইয়ে আলোচনা ও অবশ্যই হতে পারত , এবং গুরুর কিছু বুইয়ের অন্যরকমের এডিশন করা যায় কিনা, করা হবে কিনা। সেসব নিয়েই কথা শুরু হয়েছিল।
    এই প্রকাশনীর এক লেখিকার চেয়ে ভাল সেটা আর কেউ জানেন না। কানে প্রায়ই এসেছে, তাঁর বই গুরু থেকে না করা বা করতে না চাওয়া নিয়ে নাকি সমস্যার শুরু। তিনি গুরুর সাথে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু বই বের হয় অন্য প্রকাশনা থেকে। এরকম ভুলভাল মিথ্যা কথা কারা কী ছড়িয়েছেন জানা নেই, কিন্তু আমরা যা বলছি মেইলে তার তথ্য প্রমাণ অ আছে। মুখের নানা কথা, নানাজনের সাথে, সে তো ছেড়েই দিলাম। কথা এই বইটা করার জন্য আলাদা করে কথা হয়, অন্য বইয়ের থেকে দামি পাতা , ছবি দিয়ে। এর জন্য সৈকতদা রাজিও হয়। আমাদের দিক থেকে ইনিশিয়াল ম্যাটার তৈরি করে আমাদের মত করে সেটয় করেছিলাম। শিল্পী ছবি আঁকতে সময় নিচ্ছেন বলে এক বছর আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়। পরের বার তৈরি করে দেবার তাড়া অ কথাবার্তার ফাঁকেই হঠাৎ ফোন পাই, এক অদ্ভুত কারণ জানানো হয় ( সেটা লিখতে আমার অসুবিধে নেই, কিন্তু লেখিকার জন্য পার্সোনাল হয়ে যেতে পারে বলে বাদ রাখলাম), যে অন্য প্রকাশনী এ পাণ্ডুলিপি পাঠানো হয়েছিল, ওরা বের করবে। মেইলয় আছে। আমরা যেন প্লিজ কিছু মনে না করি। সে বই বেরোয়। গুরু থেকে গুরুর বই এর মত করে বিক্রি করা হয়। পুরো নিজেদের বইএর মত করে। বা তার চেয়েও বেশি। সাজানো হয়েছে, গুরুর বইয়ের সাথে বা আরো বেশি বেশি করে । একেবারে সবার উপরে , সবার সামনেও থেকেছে। অনেকে এসেছেন, লেখিকা বা অন্য কেউ তাদের হাতে ঐ বইটি সবার আগে তুলে দিয়েছেন, নিতে বলেছেন, সই করে দিয়েছেন। লোকজন , গুরুর বই বলে কম বাজেট নিয়ে আসা লোকজন, ঐ একটি দামি বই নিয়ে টাকা ফুরিয়ে গেছে বলে চলে গেছেন। কেউ কেউ, এই কিছুদিন আগেও জানিয়েছেন, ঐ বই গুরুর বই বলেই জানতেন তাঁরা। খেয়ালই করেননি। পরে, গতবছর যখন অন্য বই আর রাখা হবেনা সিদ্ধান্ত হয় , তখনঅ বই বিক্রি হয়েছে স্টলের সামনে গুরুর ঠেক থেকেই। এসবের পরেও ওই ধরণের রটনা কানে এলে বেশ খারাপ লাগে বইকি

    ৯ নিয়ে আর কী বলি ! ৯ আর গুরুচণ্ডা৯ কতটা ওতপ্রোত, তা ওদের থেকে ভাল আর কারুর জানার কথা নয়। গত বছর হিরণ মিত্র ৯ এর ক্যালিগ্রা[ফি করে দিয়েছিলেন, আমি বলাতে। সেই ফাইল হিরণ মিত্রের থেকে নিয়ে এসেছিল ওদেরই কেউ। এই ৯ নিয়ে আমাদের কত কথা, কত গল্প। এটা একটা আইডেন্টিটি। মেলাইয় গুরুর স্টলে কিছুক্ষণ থাকলেই পাঠকদের কথা শুনলেই কেউ জানবে। , ওরাই নাকি অরিজিনাল ৯ !!! এখন আরো কত কী শুনছি !
    সেই ৯ এর ব্যবহার দেখে আমরা স্তম্ভিত ! লি কে ৯ দিয়ে লেখা কী কেন, এসব নিয়ে সৈকতদা গুরুর গ্রুপে একটা পোস্ট দেয়। ৯ তো শুধু একটা বর্ণ নয়। লুপতবর্ণকে কেন ফেরানো, অন্যভাবে ফেরানো, কী ভেবে কী কেন, সেই বৃত্তান্ত। তারপর দেখা গেল ওদের সব পোস্টার লি কে ৯ দিইয়ে দিয়ে লেখা।
    তবে এখন যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হল, এই ৯ , এই ঠিকানা, এক লোকজন, এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই। বহু বহু লোক ভেবে রেখেছেন এটা গুরুরই আলাদা কিছু ব্যাপার। বইমেলায় একের পর এক লোক বলছনে, বাঃ ভাল তো , গুরুর তাহলে মেলায় এবার দুটো স্টল। একটা দামি বই, একটা শস্তা। ভাল বিজনেস প্লান তো । কিম্বা লোকে এসে পরে বলছে, তোমাদের দেখপাম না, কিন্তু অদের দেখলাম, গুরর এবার একটু অন্যরকম। তবে ৯ টা একই আছে।
    নানাজায়গা থেকে খবর এসেছে, আসছে, আমাদের সিস্টার কনসার্ন বলে। শুধু যাদের সিস্টার তারা জানেনা, এটা কনসার্নের ব্যাপার বটে।
    মিডিয়ার লোকজন বলেছেন, আপনাদের কাজকর্ম এতদিন ধরে দেখছি, ভাল কাজ। আপনাদের বন্ধুদের কাজ দেখে, আপনাদেরই কিছু কাজ হবে , ভাল হবে কভার করা হয়েছে।
    কত লোজকন ঐ ৯ , এক ঠিকানা, এক লোকজন দেখে মনে করেছেন, ওটা গুরুরি একটা আলাদা সাহিত্যগ্রুপ। আমরা যে ওতে নেই, আমাদের যে কিছু বলা হয়নি, আমাদের ইনভাইটই করা হয়নি, শুধু সেটুকু জানেন না। কনফ্লিক্ট কিছু না থাকলে এগুলো ঠিক কেন ?
    যে যে বই আমরা করব ঠিক করেছি , লেখাচ্চি, সময় দিয়েছি, কোথাও কিছু বেরোলে তাদের সাথে যোগাযোগ, আমাদের পুরানো লেখকদের পরের কিছু যা আমরা করব ভেবেছি বা পরবর্তীরে যা আমাদের ই্চ্চা , পরিকল্পনা, তাদেরও বলা, যে লেখন গ্রুর থেকে বই করবেন বলে জানিয়েছেন, যা মেইলেও আছে, তাঁদের গিয়ে বই করিয়ে নেওয়া ( এবং তাঁরাও জানেন এসবে আমরাও আছি। যেহেতু একই লোক )

    চটি বই নিয়ে তুমুল স্ল্যাণ্দারিং তো আছেই।

    আর মনে হয় এই সবটুকু লোকের মনে এই ইম্প্রেশন তৈরির জন্য বা গুরুর এতদিনের তোইরি ইমেজকে পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করার জন্য। এতদিনের তোইরি পাঠক , লেখক, শুভানুধ্যায়ী, নানা ভাবে হাত বাড়িয়ে দেওয়া লোকজনের নেটয়ার্ক ব্যবহারের জন্য।
    আর রোজই কিছু না কিছু চমৎকার ব্যাপার দেখা যাচ্ছে। গুররু বই, ট্যাগলাইন সবই ব্যবহৃত হয়ে যাচ্ছে, ওদের বই , প্রোমশনে। চমৎকার !
  • T | 229.75.11.86 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:২৬53355
  • পাইদি, ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু রাগ মাগ করে আর কি করবে, এই যা সব লিখেছ তা কলেজ স্ট্রীট বইপাড়ায় এবং বাংলা প্রকাশনা জগতে নতুন ব্যাপার নয়, বরং এসবের থেকেও আরো বড়ো বড়ো কান্ড চলে। গুরুর চটি বই বা মোটা বই তার কন্টেন্টের জন্যই পাঠক কিনে পড়বে। একটি 'উলটো পালটা প্রতিষ্ঠান' হওয়ার কারণে গুরুচন্ডা৯ র প্রকাশনার গুরু দায়িত্ব আছে, কারো সাথে প্রতিযোগীতা নেই, তো এইসব বেশী পাত্তা দিও না। চটি বই নিয়ে স্ল্যান্দারিং কিছু চোখে পড়েছে (এক ব্যাগ নব্বই সংক্রান্ত) তবে সেসব যারা করেছে তাদের দৌড় ফেসবুক অবধিই মনে হয়।
  • sch | 55.250.245.19 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৭53356
  • পাই - সেদিন আমি ফে বু সম্বন্ধে এই বিষয়ের কথাই উল্লেখ করেছিলাম - কেউ টাইম লাইনে জানিয়েছেন তিনি সতের সাথে আছেন - অসতের সাথে - উদ্দেশ যে গুরু তা বলাই বাহুল্য। আমি সেটাই বলেচিলাম আর ম আমাকে অনেক কিছু বলে দিলেন।

    কেউ নিজে কোণো কাজ করতেই পারেন - তার জন্য অন্যকে ছোট করার প্রয়োজন কোথায়
  • | 116.193.189.75 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:৩৫53357
  • তিতাসকে মোটের উপরে বেশ বড় 'ক'। আর সত্যি বলতে কি আমি খুব একটা অবাকও হলাম না।

    এই এখানেই কপিরাইট রিলেটেড আর টি রিলেটেড পোস্টগুলো করেছিলাম। একই সাথে বলেছিলাম যে লেখার ওপরে লেখকের সবচেয়ে প্রথমে অধিকার। এইটা তো সৈকতও উল্লেখ করেছে। মজা হল ফেবুতে চোখে পড়ল ঐ কপিরাইট ইত্যাদি নিয়ে টন্টিং চলছে আরেকজনের পোস্টে এবং সেখানে কিন্ত্তু এই লেখকের অধিকার অংশটা উপেক্ষা করে বাকীটুকু নিয়ে টন্টিং চলছে। যেনার পোস্টে চলছে তিনিও চুপচাপ সেটি এনজয় করছেন। তো, এইটা তো পুরানো কলকাতার রক কালচার বোধহয়। বাড়ীর বাইরের রকে লোকে বসে গজল্লা করবে সামনে দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে তাকে নিয়ে শুনিয়ে শুনিয়ে কমেন্ট করবে। আমি ধরে পাতি আনফলো করে দিলাম।
    ঐ নিয়ে রিয়্যক্ট করার মানে পাই নি।

    ধারাবাহিক স্ল্যান্ডারিম চলতে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    আর ঐ শেষ বিচার পাঠকই করবে। নানারকম চোট্টামি করে অল্প কিছুদিন চলতেই পারে। দীর্ঘমেয়াদে চলে না।
  • Pi | 57.15.247.24 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৪৬53358
  • শ্চ, বুঝেছি। ওনাকে নিয়ে , ঐ পোস্ট বা গুরুর ব্লগপোস্টে, কিছু লিখিনি ভদ্রতা করেই আর ওনার ব্য়্ক্তিজীবন প্রসঙ্গ এসে যেতে পারত বোলে।কিন্তু এবার হয়ত বলা দরকার
  • Pi | 57.15.247.24 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৪৭53359
  • এবঙ্গ আরো কিছুজনকে নিয়ে কিছু কথা
  • | 183.24.110.20 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৪53360
  • sch, আপনার পোস্টে আমার নাম দেখে ভারী অবাক হলাম। আপনাকে আমি অনেক কথা কী বলে দিলাম!
    আশ্চর্য তো!
  • sch | 55.251.235.58 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৫53361
  • তক্কের দরকার নেই ... তাও রেফারেনসের জন্য দিলাম - কিন্তু আর কোন আলোচনা না করাই ভালো - এই টইটা খুব জরুরী - বেলাইন হলে বাজে লাগবে
    ---------------------------------------------------------------------------------------------------------
    name: ম mail: country:

    IP Address : 183.24.110.20 (*) Date:31 Jan 2017 -- 05:54 PM

    স্চ, আমার জানামতে গুরুর গত বছর পর্যন্ত একটি আলাদা স্টল হতো।স্টলের বাইরে লোকজন আড্ডা দিত। এবার তো যতদূর জানি একটি প্যাভেলিয়ানের ভেতরে জায়গা হয়েছে, যেখানে একটি গলির মধ্যে সারি সারি দোকান। সেখানে খুব বসে আড্ডা দেবার জায়গা আছে বলে শুনিনি। আপনি গেছেন আমার চেয়ে বেটার জানবেন, কিছু ভুল বলে থাকলে নিশ্চয়ই শুধরেও দেবেন।

    আর আমার পোস্টে ব্যক্তি সৈকতের শরীর খারাপের খবরে আপনি ব্যক্তি/সমষ্টি এবং ফেসবুকের পোস্ট ইত্যাদি কোথা থেকে টেনে আনলেন ঠিক বুঝলাম না। খুব অপ্রাসঙ্গিক এবং খারাপ লাগলো।
  • সিকি | 192.69.230.79 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২১53417
  • টি এবং হুতো অনেকটাই বলে দিয়েছে, নতুন করে আর কিছু বলার নেই বিশেষ। গোবর্ধন তলাপাত্র এবং রঞ্জনদা যা লিখছেন, তাতে যুক্তির বড়ই অভাব চোখে পড়ছে। গুরু প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, লেখক লেখা দিয়েছেন, ব্যাপারটা যদি এখানেই শেষ হয়ে যেত, তা হলে তো কোনও বক্তব্যই উঠে আসত না। শুধু রেডিমেড লেখকটিকে নিয়েই অন্যপক্ষ তাদের প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইড করতে পারত। আর প্ল্যাটফর্ম দেবার সংস্থার তো অভাব নেই, গাংচিল, আনন্দ, এবিসি, এক্সওয়াইজেড, কেউ কখনও কাউকে আটকে রাখে নি, তা হলে এই বিশেষ প্রকাশনাটিকে নিয়েই কেন এত কথা উঠছে সেটা নিয়ে বহু চর্চা হয়ে গেছে।

    কারণ এই বিশেষ প্রকাশনাটি শুধু "প্ল্যাটফর্ম" থেকে লেখকটিকে তুলে নিয়েই ক্ষান্ত হয় নি, প্ল্যাটফর্মটির দীর্ঘদিনের তৈরি করা পাঠক-বেস, পরিচিতি, সার্কল সমস্তকিছুকে ব্যবহার করেছে। যেটা সচরাচর অন্য প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইডাররা করেন না। অন্য প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইডাররা চটিকে প্রতিযোগী ঠাউরে তার বিকল্প হিসেবে "জুতো" নামায় না মার্কেটে। বেছে বেছে গুরুর মেলা সংক্রান্ত এনগেজমেন্টের পোস্টে এসে লাইক, লাভ ইত্যাদি ইমোটিকন মেরে যায় না। অন্য প্ল্যাটফর্ম কখনও এই লাইনে প্রচার করে না - গুরুর শেষে ৯, আমাদের শুরুতে ৯ - গুরুর শেষ দিয়ে আমাদের শুরু। আপাত-নিরীহ, কিন্তু বেএশ অর্থবহ বক্তব্য ছিল।

    রঞ্জনদা বলছিলে না, সৈকত বা পাই কে বলেছিল - ওদের শেষ দেখে ছাড়ব? আজ জেনে রাখো, বক্তব্যটা র‌্যাদার অন্য তরফ থেকে এসেছিল প্রথম, গুরুকে শেষ করে ছাড়ব। ভার্বাটিম নয়, ভাবার্থ। গুরুকে শেষ করে আমাদের শুরু হবে।

    এক ঠিকানায় একাধিক সংস্থা থাকবে না কেন রঞ্জনদা, দিব্যি থাকে। নয়ডায় আমার আপিসের বিল্ডিংয়েই আমাদের দোকান ছাড়া ফাইসার্ভ, সিএসসি, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আরও কতগুলো যেন অফিস রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, কেউ কারুর "অজ্ঞাতে" "রেজিস্টার্ড অফিস" খুলে বসে নি, বসে না কোনও বিল্ডিংয়ে। ঠিকানাটা আলাদা হয়, বিল্ডিং এক হলেও, তৃতীয় তল আর সপ্তম তল মেনশন করতে হয়।

    হয়েছিল, তোমার বই যেখান থেকে বেরোচ্ছে তাদের রেজিস্টার্ড ঠিকানা ঠিক করার সময়ে? কাবলিদার বাড়ির কত নম্বর তলে তোমার প্রকাশনার অফিস আর কত নম্বর তলে গুরুর অফিস, রঞ্জনদা? গুরু জানত, জানানো হয়েছিল, যখন তোমার প্রকাশনা একই ঠিকানাকে রেজিস্টার্ড অ্যাড্রেস বানিয়েছিল?

    বইমেলার আগে গিল্ডে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দেওয়া হয়েছিল "আমরা গুরুচণ্ডা৯-র সিস্টার কনসার্ন, ওরা আর আমরা তো একই"। গুরুর কেউ জানতে পারে নি, জেনেছিল যখন গুরুর লোক গিল্ডে গেছিল স্টলের জন্য কথা বলতে। এটাও আশা করি গুরুর "প্ল্যাটফর্ম"কে ইউজ করা নয়, কী বলেন তলাপাত্র মশাই?

    নিজের বই বেরোতে পারবে না তাই এদেরকে ডিফেন্ড করা এত জরুরি হয়ে পড়ল? বই বেরনোর জন্য প্ল্যাটফর্মের অভাব পড়েছে? তোমার বই গত বছর বেরোয় নি অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে? মানে, তুমি কোথা থেকে তোমার বই বের করবে সেটা সম্পূর্ণ তোমার স্বাধীনতা, সেটা তোমার সাথে শেষ যেদিন আলোচনা হয়েছিল সেদিনও আমি বলেছিলাম। গুরু কখনও এই বিষয়ে কাউকে আটকায় নি। সৈকত নিজেই অন্যত্র কলাম লেখে। সে তুমি যে প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়েছো নিজের বই প্রকাশের জন্য, তাতে কারুর কোনও বক্তব্য নেই, কিন্তু তারপরে সেই অজুহাতে ডিফেন্ড করার নামে যে সব যুক্তিটুক্তি তুমি দিচ্ছো, সরি রঞ্জনদা, তোমার এইসব যুক্তি পড়ার পর আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে তুমি নিজে আইনি লজিক ব্যাপারটা কতটা বোঝো।

    সব্যসাচীবাবু, যিনি গতবছর থেকে নিরলসভাবে গুরুর স্টল সামলে যাচ্ছেন হাসিমুখে, তাঁকে নিয়ে যখন টানাটানি চলেছিল, "আপনি আমাদের বইও একটু বিক্রি করিয়ে দিন না" বলে, তুমি ছিলে তখন স্টলের কাছাকাছি?

    এটাও বোধ হয় গুরুর "প্ল্যাটফর্ম" ব্যবহার না করেই শুধু লেখককে বিকল্প প্ল্যাটফর্ম প্রোভাইড করা - তাই না তলাপাত্র মশাই?
  • | 183.24.110.20 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৩53362
  • নমেঃ স্চ মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ৩৭।২৫১।৭১।৫১ (*) ডতেঃ৩১ যন ২০১৭ -- ০৫ঃ৩৪

    ম, সৈকত দ্রুত সুস্থ হয়ে ঊঠুন। কিন্তু আমার বিশ্বাস গুরু ব্যক্তি নির্ভর নয় - সৈকতকে কষ্ট না দিয়ে বাকিরা নিশ্চ্য়ই আড্ডা জমিয়ে দিতে পারবেন - গুরুর স্টলে উজ্জল হাসি মুখগুলো সব সময় থাকবে। গুরু একটা ব্যকিক্রমী প্রয়াস - তার ভালো হোক সবসময়ে চাই।
  • সিকি | 192.69.230.79 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৫53418
  • কথাপ্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, এবং জানিয়ে রাখা দরকার বলে আমি মনে করি, এই সব যুক্তিটুক্তি বাজারে নামে যখন খুব বেশি করে যুক্তির অভাব পড়ে। এক লেখকের একটি অত্যন্ত সুন্দর বইয়ের প্রথম পর্ব বেরিয়েছিল গুরুচন্ডা৯ থেকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই বই যখন ধারাবাহিকভাবে বেরিয়েছিল, এবং যখন বই হয়ে বেরোয়, তখনও - আগাগোড়া প্রুফ চেক করেছি, পেজ সেটিং করেছি, নিজের উদ্যোগে স্টলে দাঁড়িয়ে লোককে পুশসেল করেছি, যতভাবে সম্ভব তার পাবলিসিটি করেছি।

    পরের বছর, সেই লেখক সেই একই বইয়ের দ্বিতীয় পর্ব বের করলেন অন্য প্রকশনা থেকে, প্রথম পর্ব সমেত - যেটা অলরেডি বই হিসেবে তখনও গুরুর স্টলে বিক্রি হচ্ছে। কোনও জবাবদিহি নেই, কোনও প্রায়র ইনফর্মেশন নেই, একদিন, ওয়ান ফাইন মর্নিং জানা গেল বইটি দুই খণ্ডে একত্রে বেরোচ্ছে অমুক প্রকাশনী থেকে।

    আজও গুরুর ইনভেন্টরিতে আনসোল্ড কপি পড়ে আছে প্রথম পর্বের। দিল্লি বইমেলায় আমি নিজে লোককে রিডাইরেক্ট করে দিয়েছি সেই দ্বিতীয় প্রকাশনীর স্টলের দিকে - ওখানে যান, দু খণ্ড একসঙ্গে পাবেন, এটা শুধু প্রথম পর্ব।

    তো, বক্তব্য হচ্ছে, সেই তখনও প্রচুর যুক্তি এবং স্ল্যান্ডারিংয়ের অবতারণা হয়েছিল বাজারে, অনলাইনে এবং অফলাইনে। অনেক দোষারোপ, অনেক আস্ফালন চোখে পড়েছিল আমার, শুধু বেসিক প্রশ্নের উত্তরটা পাওয়া যায় নি - গুরুতে অলরেডি প্রকাশিত একটা বইয়ের পুরোটা অন্য প্রকাশনীর বইতে ছেপে দেবার আগে একবার গুরুকে কেন জানানো হল না।

    আইনি স্টেপ নেবার ইচ্ছে থাকলে সেদিনও নেওয়া যেত, গুরু নেয় নি। নিতে চায় নি। কিন্তু এইবারে এই বিশেষ প্রকাশনীটি সে রকমের কোনও সুযোগ রাখেন নি হাতে। আলোচনায় বসার এখনও সময় আছে, চাইলে এখনও আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে খোলাখুলি আলোচনা হবার স্কোপ আছে। কিন্তু অন্য তরফে সে ধরণের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে নি, কেবল তলাপাত্র ছদ্মনামে কিছু সারকাস্টিক যুক্তি-কুযুক্তির বন্যা বয়ে চলেছে। এখনও।
  • | 183.24.110.20 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৬53363
  • আপনার পোস্ট টা দিতে সম্ভবত ভুলে গিয়েছিলেন।
    আর এটা বেশ দরকারি টই। তাই আশা করবো আপনার বক্তব্যের সার্থকতা বোঝাতে আমার নামটি টেনে আনবেন না।

    ধন্যবাদ।
  • | 116.193.233.253 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৭53419
  • "গুরুতে লিখবেন না' "শেষ করে দেব" এইগুলো সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে এ আমাকে কেউ কিছুতেই বিশ্বাস করাতে পারবে না। গুরুচন্ডা৯র কাজকর্মের স্বেচ্ছাশ্রমের সাথে আমি প্রায় ৬ বছর হল জড়িত নই। কিন্তু তবুও এইসব বক্তব্য সৈকতের বলে আমাকে বিশ্বাস করানো যাবে না।

    জাস্ট জানিয়ে রাখলাম আর কি।
  • তাতিন | 233.176.0.45 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫৯53420
  • লিরিকাল কীভাবে স্টল পেল সেটা জানা গ্যাছে কি কোনওভাবে? গুরুর বই নিজের ই বলে চালিয়েছে এমন গুজবই কি সত্যি?
  • তাতিন | 233.176.0.45 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০০53421
  • লিরিকাল কীভাবে স্টল পেল সেটা জানা গ্যাছে কি কোনওভাবে? গুরুর বই নিজের ই বলে চালিয়েছে এমন গুজবই কি সত্যি?
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৫৪53364
  • "আর ঐ শেষ বিচার পাঠকই করবে। নানারকম চোট্টামি করে অল্প কিছুদিন চলতেই পারে। দীর্ঘমেয়াদে চলে না।"

    তাহলে আনন্দবাজার চলল কী করে? পৃথিবীতে মূলতঃ চোট্টামিটাই চলে। তাছাড়া একটা লোকের কর্মজীবন ২০-২৫ বছর বড়জোর, ঐটুকু চলে গেলেই হল। এই সব গোলগোল কথা বলে স্তোক দিয়ে লাভ কী?
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৫৭53365
  • ফলে একটা প্র্যাক্টিকাল রাস্তা হচ্ছে যে যে ঢ্যামনামি করছে তাদের আছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ওই লেখক লেখিকা না লিখে সুমেরু সামরান নামগুলো লেখা। পার্সোনাল ইনফো ভদ্রতাবশতঃ শেয়ার না করে ফেসবুকে লিখে দেওয়া। এমন করা যাতে ভদ্রসমাজে কথা বলার আগে চারবার ভাবতে হয়।
    ওসব না হলে পুরোটাই অক্ষমের আস্ফালন মনে হবে।
  • ranjan roy | 24.96.55.84 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:০৯53366
  • গুরুচন্ডালির কোন টইয়ে এই আমার শেষ পোস্ট
    =============================
    [ আমি এতদিন গুরুর পাতায় গুরু/লিরিক্যাল বিতর্কে কোন মন্তব্য করি নি। শোভন হত না। গুরু-ফেসবুকে যাই না, ক্যাল-কমে যাই না। তাও কিছু কথা কানে এসেছিল। প্রতিক্রিয়া দিই নি, ধরে নিয়েছিলাম এসব সাময়িক উত্তেজনা, ভুল বোঝাবুঝি,-- দু'দিনে মিটে যাবে। কারণ দুটোর প্রোডাক্ট আলাদা। মটো আলাদ। গুরু বলেন ল্যালা ম্যানিফেস্টো ও শস্তায় চটিবুক আন্দোলনের কথা।
    কিন্তু লিরিক্যাল স্পষ্ট একটি ব্যব্সায়িক প্রকাশনার মডেল। মেইনস্ট্রিমের আদলে। কিসের কম্পিটিশন? একটা বাস্কেটবল একটা হকি।
    " আমরা দু'জনা দুইটি ডালের পাখি,
    একটি রজনী একটি শাখার শাখী,
    তোমাতে আমাতে মিল নাই, মিল নাই
    তাই বাঁধিলাম রাখী।"
    এবার গুরুর ম্যানেজমেন্ট/অ্যাডমিন আমাকে স্প্ষ্ট কথায় জানিয়ে দিয়েছেন-- আমার গুরুর পাতায় লেখা আর ওঁদের অভিপ্রেত নয়। আমি এখন গুরুতে পার্সোনা নন গ্রেটা।
    কারণ, আমি ঘোষিত ভাবেই লিরিক্যালের আইনি পরামর্শদাতা। ভূমিকাটি শুরু গুরুর উকিলের পক্ষ থেকে দেওয়া আইনি নোটিসে র্রিপ্লাই বানানোয় সহায়তা করায়।
    তাই আমার গুরুর পাতায় বন্ধুত্বপূর্ণ স্বরে ডায়লগবাজি অনৈতিক, কাজেই পত্রপাঠ--!
    সৈকত -পাই ভুল বলেন নি। ওঁদের জায়গা থেকে দেখলে ঠিক আছে। কিন্তু ওঁদের অবস্থানটিই একমাত্র অবস্থান হবে এমনতো নয়। তাই চলে যাবার আগে আমি আমার অব্স্থানটি স্পষ্ট করতে চাই।

    Dঃ আমি এখানে কোন শোনা কথা, কোন ইনুয়েন্ডো, কোন গসিপ বা ফেসবুকের কমেন্ট নিয়ে কথা বলব না। বিশেষতঃ যেখানে পাই তাতিনের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন যে ক্যালকমের ফেসবুকে প্রকাশিত টিপ্পনির দায় তাঁর নয়। আমি ওই অব্স্থানকে সমান করি।
    আমি শুধু গতকাল গুরুর স্টলে জনসমক্ষে আমার সঙ্গে সৈকত ও পাইয়ের মুখোমুখি যা কথাবার্তা হয়েছে বা ওঁরা অভিযোগ ইত্যাদি জানিয়েছেন সেই নিয়ে কিছু বলব।]
    (চলছে)
  • Du | 182.58.105.217 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:২২53422
  • দ আমি এই অলরেডি ছেপে যাওয়া লেখার স্বত্বাধিকার (শমীকের লেখায় দেখলাম)নিয়েই জিজ্ঞেস করেছিলাম শুরুর দিকে যেটা নিয়ে তুমি আমায় প্রশ্ন করলে কিন্তু আমি আর কিছু লিখিনি।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:২৫53367
  • যাব্বাবা, রঞ্জনদাও চল্লেন নাকি?

    এসব কি হচ্ছে রে বাবা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন