এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৬২ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.55.84 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩১53395
  • ডিডি ও অন্যান্যেরাঃ

    ১) না ; আমি রেজিস্টার্ড উকিল নই। শুদু দু'রাত্তির চোতা পড়ে পাশ কর যা দিয়ে প্র্যাকটিস হতে পারে না।
    কাজেই এটা প্রিভিলেজড কমিউনিকেশন নয়। আর গুরুর উকিলের পাঠানোর নোটিস ও তার উকিলের অফিস থেকে পাঠানো জবাব --দুটোই সৈকতের কাছে আছে। কাজেই এখানে নতুন কিছুই বলি নি। আর টেকনিক্যাল সাইডগুলো এখানে লিখি নি, উচিত নয় বলে।
    আমি শুধু এক পাকা টেকো জ্যেঠু যে বাড়িতে কারও অসুখ হলে কোন ডাক্তারের কাছে বাঅ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে , কী পথ্য হবে এ নিয়ে পরামর্শ দেয়। গুরু কর্তৃপক্ষের পাঠানো উকিলের নোটিস প্রাপ্তির আগে অবদি আমার কোন ভূমিকা ছিল না।
    ২)
    সিকি,
    দিল্লিতে দেখা হলে অবশ্যই আড্ডা এবং সবরকম কথাবার্তা হবে।
    আমি গুরুর ফেসবুক খোলার সময়েই ঈপ্সিতাকে বলেছিলাম --ওতে আমার রুচি নেই। আমি মেইনস্ট্রিম গুরুতেই থাকতে চাই, রয়েছি।
    কখনও কখনও তুমি বা কেউ আমাকে জানিয়ে এখান থেকে লেখা তুলে ফেসবুকে দিয়েছ,ঃ))
    কাজেই সামনাসামনি যা ক্থা হয়েছে সেটা নিয়েই আলোচনা। কোন পিএনপিসি নিয়ে নয়।

    ৩) sch,
    সেটাই তো আশ্চর্যের। পাই বল্লেন নি, বলেছেন সৈকত। সোজাসুজি। সেই প্রেক্ষিতেই আমাকে ওঁরা চলে যেতে বললেন।
    খুব রেগে গেলে মানুষে ভুল কথা বলে, আমিও।
    প্রমাণ? আমার প্রমাণ তো ওঁরা নিজেই। যাই ভাবুন, ওঁদের ওপর এইটুকু বিশ্বাস এখনও আছে যে ওঁরা অস্বীকার করবেন না।
    কিন্তু আর না। আমি এ নিয়ে কথা বাড়িয়ে অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাই না।
    বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় বিলাসপুরের প্রতিবাদ মিছিলে যেমান শ্লোগান দিয়েছিলাম--
    " মন্দির-মসজিদ নহীঁ গিরেঙ্গে,
    হিন্দু-মুসলিম নহীঁ লড়েঙ্গে।
    মন্দির বনে, মসজিদ রহেঁ
    এ হী আওয়াম কী মাঙ্গ হ্যাঁয়।"

    গুরু প্রকাশ করুক আরও ভালো আরও পুষ্টিকর চটিবই, লিরিক্যাল ওদের মত করে অন্য বই।
    এইভাবেই আমরা এগিয়ে চলি।
  • গোবর্ধন তলাপাত্র | 57.11.61.250 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩২53396
  • ট্রাম্প ইফেক্ট নাকি? শেষ কোরে দেবো?
  • গুড়গুড়ে ভশ্চায | 116.222.41.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩৫53397
  • বাঃ গোবরা, উপেনবাবুর ছেলের ছড়াটা বেশ মনে রেখোচো তো? তা খেউড় বেস জোমেচে কিন্তু, কী বলো?
  • গোবর্ধন তলাপাত্র | 57.11.121.39 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩৬53398
  • সে আর বলতি ভটচাজ্জি মশাই। আপনার অপেক্ষাতেই ছিলেম। জমিয়ে বোসুন মশাই।
  • ranjan roy | 24.96.55.84 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৪০53400
  • R2h
    হুতো কি?
    সরি! সরি!
    আমি বইটা দেখিইনি।
    তখন গুরুর কাউন্টারের ক্রেতার ভিড়; পাই ও ঈশানের উত্তেজিত অভিযোগ, আমার শুকনো মুখ আর এর মধ্যে টেলিগ্রাফের বিশ্বজিতের অনুরোধ-- একবার এপিডিআর এসে আসুন, অপেক্ষা করবো।
    এর মধ্যে পাই কিছু বালেছে পাখালিয়া/পাখিয়াল বা অমনি কিছু-- যা মনে আছে লিখে ফেলেছি। এখন মনে হচ্ছে রূপংকরদার নামটাও বোধ হয় গুলিয়ে ফেলে ভুল কিছু লিখেছি।
    তুমি কাইন্ডলি ঠিক নামটি লিখে দাও। আর তোমার এত ভালো কবিতা মর্মপীড়ের দয়ায়! অনেক বই হবে।
    হ্যাঁ, নব্বইয়ের রূপকথা নিয়েও কথা হয়েছিল। মনে পড়ছে। সে চলে গেছে। কাজেই ভেরিফাই করা হয় নি।
  • গুড়গুড়ে ভশ্চায | 116.222.41.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৪০53399
  • এই বসলুম। আফিমের দুটো গুলি থাগলে দাও না দেকি। সাঁজের ঝোঁকে এট্টু মৌতাত করতুম।

    তা হ্যাঁ হে, আট্টু ধুনো দ্যাও না, দেকি।
  • T | 165.69.191.254 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৪৬53401
  • রঞ্জনদা, সে আপনি লেখার স্বত্ত্বাধিকার ইত্যাদি প্রসঙ্গ আনতেই পারেন, সেসবের কথা বলিনি, জিজ্ঞাসা করেছি এথিক্যাল কিনা। আপনি গুরুতে টই খুলে যা লিখছেন সেসব গুরুর পাঠকরা পড়ছে এবং মতামত দিচ্ছে বা দিচ্ছে না, এবং ভেবে দেখুন সেই পাঠকবেসটা তৈরী করতে কিন্তু কিছু জনতা গুচ্ছ পরিশ্রম করেছে। জাস্ট একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে মার্কেটে ছেড়ে দিলাম, যে যা পারে এসে লিখুক, সেরকম ব্যাপারটা যে নয়, তা নিশ্চয়ই জানেন। ফলে আপনি আপনার টইয়ের লেখা অন্য কোথাও পাবলিশ করলে গুরুচন্ডা৯ কে যে অ্যাকনলেজ করবেন এটা একটা মিনিমাম সৌজন্যতা মনে হয়, এবং এটা আশা করা যায়। আপনার যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেটার ভূমিকায় এই ব্যাপারটা লিখেছেন কিনা সেটা জানার কৌতুহল রইল। সম্পাদকের অনুমতিক্রমে বুলবুলভাজায় প্রকাশিত হয় নি, এটা একেবারেই বাজে এক্সকিউজ।

    নিছক আইনি ও বেয়াইনি বিবিধ প্রসঙ্গে যখন যাচ্ছেন তখন আমার একটা কথা বলার আছে। দেখুন টইতে তো লিখছে একটা নিক এবং রয়েছে একটা আইপি। ফলে লিগ্যালি ব্যক্তি রঞ্জন রায় (যার অস্তিত্ব রয়েচে) যে সেই লেখার মালিক তা প্রমাণ করতে পারবেন তো ? :) কিন্তু দেখুন 'এ তো সব্বাই জানে' টাইপ একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে, এবং সে সুযোগটুকু আপনি নিচ্ছেন। এই বোঝাবুঝি টুকুনই আরেকরকম ভাবে অন্যপক্ষের অভিমানের কারণ হয়, যে আপনি অ্যাদ্দিন এদিকে লেখালেখি করে শেষে একেবারে উল্টোদিকের হয়ে গেলেন! অজান্তে লিখেও ফেলেছেন 'আমাদের উকিল'। এটুকু না বুঝে ফারাবীকে লিখতে দিচ্ছে আমাকে দিচ্ছে না বলে আর কী হবে।

    কলকাতা শহরে কিন্তু আপিস রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদির জন্য বাড়ীর অভাব নেই রঞ্জনদা, উকিল বা পরামর্শদাতারও অভাব নেই। নিরপেক্ষ থাকতেই পারতেন।
  • গুড়গুড়ে ভশ্চায | 116.222.41.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৪৯53402
  • আচ্ছা ভাই গোবরা, জুরিখে কি খুউপ ঠাণ্ডা পড়ে?

    না মানে শুধুই কলকেতা নিয়ে কুচ্ছো চলছে, কেমন গরম লাগছে। ভাবলুম একটু দেশবিদেশের কুচ্ছোও করি আর কি। বোঝোই তো ...
  • de | 24.139.119.174 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৩53403
  • এতো ঝামেলার পুরোটাই সম্ভবতঃ এড়ানো যেতো প্রপার অ্যাকনলেজমেন্ট আর রেফারেন্স থাকলে। ছোটবেলা থেকে পেপার লিখতে শেখানো উচিত।
  • গোবর্ধন তলাপাত্র | 57.11.121.39 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৪53404
  • এথিক্স কতাটা বেস পচন্দ হোয়েচে। এনিয়ে কতা হতেই পারে। হোক হোক। আইন বাদ দিয়ে হোক।

    মুস্কিল টা হোলো, মুর্গি থেকে ডিম না ডিম থেকে মুর্গি। আসোলে দুটৈ সত্ত্যি। গুরু যেমোন পেলাটফর্ম দিয়েচে, তেমনি লেখোকরা লেকাও দিয়েচেন। দুয়ে মিলে জিও গুরু। এখোন গুরু যদি পেরাইভেট কোম্পানী হোয়ে যায় আর যোদি বোলা হোয় ঐ পেলাটফোর্ম টাই আসোল, পেলাটফোর্মের জোন্যৈ লেখাগুলো দাড়ালো সেটাও অসৈত্য হোবে বোলেই মোনে হোয়। মানে গুরু লেখোক তৈরী কোরেচে নাকি লেখোক গুরু তৈরী কোরেচে এর মীমাংসা হোয়া দোর্কার।
    তাপ্পর এথিক্স এর গোল্পোটা আরো ভালো বোজা যাবে।
  • গোবর্ধন তলাপাত্র | 57.11.121.39 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৭53405
  • ভটচাজ্জি মশাই,
    জুরিখ তো দূরের কতা, এবার সৌদি, টার্কি সোব জায়গায় কত্ত বরপ। কাশ্মীরে ট্রেন চোল্চে যেন ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেল। আহা। খুব ওইমিয়াকন যেতে ইচ্চে কোরে ।
  • গুড়গুড়ে ভশ্চায | 116.222.41.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:০০53406
  • বা বা! সত্যি, চাদ্দিকে কতওও বরপ। পুউরো জমে কুলপি অ্যাকেবারে।
  • গোবর্ধন তলাপাত্র | 57.11.121.39 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:০৩53407
  • জাই একটু বাইরে থেকে বোরোপ নিয়ে আসি। নৈলে স্কচ টা টিক জোমচে না।
  • গুড়গুড়ে ভশ্চায | 116.222.41.27 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:০৫53408
  • যুক্তির বহরও জমিয়ে দিচ্চে অ্যাকেবারে। নেহাত দুটো আফিমের গুলি নেবো বলে কতা দিইচি, নইলে অ্যামোন হাসি পাচ্চে ...
  • Pathak | 24.139.222.45 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:১৪53409
  • ঠিক T-র কথাটাই বলছি, রঞ্জনবাবুর রক্তজল করা রমনীয় দ্রোহকাল বা যোষিতা ঘোষালের আইটি আইটি পা পা যদি দশ কপিও বিক্রী হয়ে থাকে, তার পেছনে গুরুচন্ডালীর কোনো অবদানই নেই ! যে লেখকেরা অন্যত্র লেখালেখি করে সেভাবে পরিচিত নন যে আর প্রকাশনী আত্মপ্রকাশ করল এই বইমেলায়, সেখান থেকে প্রকাশিত উচ্চমূল্যের এই বইগুলি কিনল কারা ? সেইসব চেনা-জানা-পাঠক মুখ কোথায় পেতেন এই লেখকরা যদি দীর্ঘদিন ধরে গুরুর পাতায় না লিখতেন ?
    আর নৈতীকতার অভিযোগ করায় রঞ্জনবাবু দুঃখ পেয়েছেন কিন্তু লিরিক্যলের স্ট্যান্ডকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেন কিনা জানতে চাইলে বারবার আইনি পথে উত্তর দিচ্ছেন। তার অর্থই হল নৈতিক ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলার পাচ্ছেন না। কিন্তু কেন এদের সমর্থন করছেন প্রশ্নটা নিজেই করে নিজেই যে উত্তর দিয়েছেন সেটাই একসঙ্গে হতাশ ও বিস্মিত করল, কারণ সেটাই আসল কথা। বইটা বেরোল বলে, জাস্ট ওখান থেকে বইটা বেরোল বলে আর সব কিছু তুচ্ছ হয়ে গেল !
  • Ishan | 24.99.116.47 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:২৬53410
  • রঞ্জনদা এই গুলো কয়েকবার লিখেছেন দেখলামঃ

    "তবু সৈকত ও পাই বললেন-- লিরিক্যাল একটি আইনভাঙা অসৎ অনৈতিক সংস্থা। এদের আমাদের বিরুদ্ধে আইনি পরামর্শ দিয়ে আপনি ওদের কাজকম্মের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আমরা মনে করি লিরিক্যাল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা ওদের শেষ করে দিতে চাই।ওরা থাকবে না সেটা দেখব। আপনার প্রতি আগের রেসপেক্ট চলে গেছে। কাজেই এখানে আর লেখালেখি---!"
    ....
    "সেটাই তো আশ্চর্যের। পাই বল্লেন নি, বলেছেন সৈকত। সোজাসুজি। সেই প্রেক্ষিতেই আমাকে ওঁরা চলে যেতে বললেন।"

    নানা কাজে ব্যস্ত। বাকি কথা পরে লিখব। আপাতত এইটুকুই লেখার, যে, এইগুলি আমি বলিনি। যা বলেছিলাম, তা মোটামুটি এইঃ
    ১। লিরিকাল আন এথিকাল কাজ করেছে।
    ২। আপনি উহাদের আইনী পরামর্শদাতা। বইয়ে লিখিতভাবে আপনার নাম আছে, কাজেই সে দায়িত্ব আপনি অস্বীকার করতে পারেননা। আপনি এসে এখানে বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে নানা খোঁজ খবর নেবেন, তারপর অন্যপক্ষের হয়ে আইনী চিঠি দেবেন, দুটো একসঙ্গে চলেনা। আপনি পক্ষ বেছে নিন। লিরিকাল উইথ লি এক্সিস্ট করুক এটা আমি চাইনা। আপনিও ক্লিয়ার-কাট পক্ষ বেছে নিন।

    গুরুতে লিখবেন না, বা শেষ করে দেব, এইসব আমি বলিনি। আমার উপস্থিতিতে অন্য কেউই বলেনি। এর আরও মিনিমাম দুইজন সাক্ষী আছে।

    আপাতত এই। বাকি পরে লিখব।
  • sch | 55.251.235.58 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:৫৫53411
  • faith restored. রঞ্জন্-দা কে কি করকম কথা বলতে পারে একটু আন্দাজ আছে। Even এটাও যদি বলে থাকে "we will see that lyirical does not exist" - তাহলেও কিন্তু ওই শেষ করে দেব জাতীয় কথা দাঁড়ায় না
    এই ধরণের বিষয়ে একটু খেয়াল করে কথা বললে ভালো হয়। যাক গে ওদিকে আপনি ফেবু'র অভিযোগ সামলান - এত্ত অভিযোগ ঊঠলে আপনার সাধের বই অচিরেই ডুগডুগি বাজাবে।

    সৈকত মনে হয় আমার বয়েসী, পাই অল্প ছোট- কিন্তু আমার দুজনের প্রতিই গভীর শ্রদ্ধা আছে । এতো লুজ টক করবার মতো লোকজন ওরা নয় - এবং সেটাই সমস্যা

    - যে সব লোকজন ঠারে ঠোরে গুরুর উদ্দেশে নানা বাঁকা কথা ফে বুতে লিখছে, সরা সরি তাদের কিছু সুললিত খিস্তি বাণী দিলে এদ্দিনে চুপ করে যেত - কিন্তু ওই এ বললাম সৈকতরা বড়ো অহিংস।

    রবি ঠাকুরের সম্পাদক গল্পটা মনে পড়ল।
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৯:০০53412
  • উকিলের চিঠি ইত্যাদি যদি হয়ে থাকে সেটা সত্যিই বেশ বালখিল্য কাজ হয়েছে মনে হয়। ওটা বাদ দিয়েই ব্যাপারটা বেটার গড়াত।
    রঞ্জনদা এবং এরকম অনেকে ৯ঋকালের তরফের নোংরামিগুলোকে বেফালতু ডিফেন্ড করার লাইন পেয়ে গ্যালো, আইন ইত্যাদি ভাট দিয়ে।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৪৪53413
  • আমি এবার থেকে টুক৯রিকাল বলে ডাকবো, আদর করে। ঃ-)
  • AG | 57.15.253.226 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৫৬53414
  • বা খিল৯কাল ও বলা যেতে পারে
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২৩53426
  • রঞ্জনদার কথাই লিখবো, মূলতঃ সেই ভেবেই শেষের দিকের পোস্টে লিখেছিলাম, সময় পাইনি। এখন বংগ থেকে বস্টন পৌঁছতে পৌঁছতে দেখি গঙ্গা থেকে চার্লসের অনেক জল বয়ে গেছে। এখনো পড়াশুনো নিয়ে সময়ের চাপাচাপি আর কম্পুর নতুন পাগলামো শুরু হলেও কিছু কথা লেখা দেখি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, কারণ আপনি অনেকগুলো কথা ভুলভাল লিখেছেন ( কিছুটা শ্রদ্ধা এখনো বেঁচে থাকায় ও আপনার ভুল বোঝা বা ভুলে যাওয়া সংক্রান্ত সম্ভাবনার ডাউটকে বেনিফিট দিয়ে মিথ্যা শব্দটা ব্যবহার করলাম না ) ও কোট করেছেন। দেখি , ল্যাপির ব্যাটারি থাকতে থাকতে লিখে ফেলতে পারি কিনা ( কারণ চার্জ হচ্ছেনা )। তবে আবারো খুব তাড়াহুড়োতে অগোছালো ভাবেই লিখতে হবে।

    তবে হ্যাঁ, আমি লিখলে ভদ্রতাবশতঃই আপনার নাম দিতাম না, কিন্তু এখন আর এত পোস্টের পরে না দেওয়ার মানে নেই।

    এক তো, আমি আপনাকে এখানে আর লিখবেন না, একথাও বলিনি , আর সৈকতদা কী বলেছে, তাও লিখে দিয়েছে। নোটিসের কথাই বলেছে। ৯ দিয়ে ৯ঋকাল এর অস্তিত্ব চায় না। আর হ্যাঁ, ওটা নোটিস মাত্র ছিল ( কোন মামলার কথা নয়, অতি স্পষ্টভাবে আবারো জানিয়ে দিলাম), আমাদের লি কে ৯ দিয়ে রিপ্লেস করে ব্যবহারকে কপি করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে, যেটা করার সম্পূর্ণ অধিকার আমাদের আছে। লি কে ৯ দিয়ে রিপ্লেস করা আর একটা ৯ লোগোতে লাগনো, এদুটোকেও আবারো গুলিয়ে না দিলেই ভাল হয়।
    মজা হল, বা বলা ভাল, যা নিয়ে সেদিন আপনাকে বলেছিলাম, এবং যা নিয়ে আপনার আচরণে অবাক হয়েছিলাম, আর তারপর আপনার সাথে সেনিয়ে কথা বলে আপনার বক্তব্য শুনে আরো, আর অবাক হয়েছিলাম বলেই আগের দিন লিখব ভেবেছিলাম, সেটা হল, এই লি কে ৯ দিয়ে রিপ্লেস করাকে কপি করা নিয়ে আপনার সাথে আগে আমার কথা হয়েছে, এবং আপনি এটা ঠিক নয়, এর কোন প্রয়োজন ছিল না, ভাল কাজ হয়নি , এসব বলেছেন। ৯ দিয়ে এবং অন্যান্য নানা স্ল্যাণ্ডারিং ও ভাল কাজ নয়, একথাও স্পষ্ট করে বলেছিলেন। এমনকি এও বলেছিলেন, এগুলো একদম আপনার ভাল লাগছে না, প্রথম থেকেই বলেছিলেন, আমাদের কিছু না জানিয়ে এভাবে কিছু করাও আপনি পছ্ন্দ করেননি এবং আরো কত কিছু আপত্তিকর ( মনে পড়ছে কিছু ? ) , তো , তারপরে এই লি কে ৯ দিয়ে লেখা নিয়ে নোটিসের উত্তর যখন আপনি দেন, এনিয়ে এবং বাকি কিচু নিয়ে আইনি পরামর্শ আপনি দেন, অফিসিয়াল আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে আপনার নাম লেখা থাকে, তাতে অবাক হব না ? খারাপ লাগবে না ? যদিও, তার আগেও খারাপ লাগা ছিল, যে কথা আমাকে আলাদা করে বলতে পারেন, সেগুলো খোলাখুলি এখানে বা অন্যত্র লিখ্তএ পারেন না দেখে। সেও নাহয় অবলিগেশন ছিল বুঝে তত কিছু মনে করিনি। কিন্তু খারাপ বা ভুলকে খারাপ বা ভুল বলে লিখে আকনলেজ না করুন, তাকে আবার আরেক সময়ে ডিফেণ্ড করতে দেখলে, তাও আবার নোটিসের ফর্মে, খারাপ বা অবাক না লাগাটাই কি আশ্চর্যের নয় ? আরো আশ্চর্য হয়ে যাই, যখন আপনাকে প্রশ্ন করি, এটা আপনি অনৈতিক বা ভুল মনে করেও কেন সেটা লিখতে পারাছেন না বা তাদের বলতে পারছেন না ( এদিকে আমাকে বলেছেন ), উল্টে তাকে ডিফেন্ড করছেন কীভাবে, এর উত্তরে যখন শুনি , নিজের বই বেরোচ্ছে, তাই ডিফেন্ড করছি। ভুল বা অনৈতিক হলেও। হ্যাঁ, এটা খুবই সৎ উত্তর হয়তো, সেই সততাটুকুকে আপ্রিশিয়েট করেও এই উত্তর শুনে আপনার সম্বন্ধে যে শ্রদ্ধা ছিল, সেটা তলানিতে এসে পৌঁছায় ( কিন্তু তলানিতে কিছু অবশিষ্ট এখনো আছে, শুরুতেই বলেছি), হ্যাঁ এই কথাটা আমি অবশ্যই বলেছি।
    তার একটা কারণ , এখানে টইপত্তরে ব্লগে নানা তর্কাতর্কিতে প্রায় প্রতিটা বিষয়ে আপনাকে প্রচুর ন্যায় অন্যায় ঠিক ভুল বিচার করে স্ট্যান্ড নিতে দেখেছি কিনা ! এমনকি যে তর্কের পরে , আপনি আমাদের তেল দিয়ে চলেছেন, কারণ আপনার আমাদের থেকে বই বের করার দায় থাকতে পারে বলে সে ছোটোলোক হয়ে গেলেন, তারপরে আপনি কত ব্যথিত হয়ে আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, এসব কী, আপনার কোন বক্তব্যে তো এমন কোন দায় থাকেই না, আর বই তো বরং সে দের সাথেই বেরোচ্ছে, গুরুর সাথে নয় ইঃ প্রঃ। এবং আরো কত অনুযোগ।

    আর আরো খারাপ লেগেছে, বা বলা ভাল খুব বিরক্ত হয়েছি, এই স্ট্যাণ্ড আপনি নিতে পারেন, সেটার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অপনার আছে, সেটা ভেবে নেবার পরেও যখন আপনাকে গুরুর পাতায় গুরু নিয়ে বা আমাদের সাথে প্রচুর সখ্যতা দেখান, স্টলে এসে গল্পগাছা করেন , যেন কিছুই হয়নি, যেখানে আপনি গুরুর বিরুদ্ধে আইনি পরামর্শদাতা ! যেখানে একটা স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট আছে। সেই কথাটাই সইকতদা অতি স্পষ্টভাবে বলেছিল আপনাকে, আমিও। আর আপনি মেনেও নিয়েছিলেন ( আমাদের সব কথা আরো লোকজনের সামনে হয়েছিল, যার মধ্যে আপনার পুরানো বন্ধুও আছেন, তাই ভুলে গেলে কনফার্মও করে নিতে পারেন)।
    তাই আপনি দু জায়াগাতেই হেসে হেসে গল্প করলে সেই নিয়ে সমস্যা তো আছে বটেই।
    দুটো জিনিস একসাথে ঠিক বা একসাথে ভুল হতে পারেনা, বারেবারে সে কথা বলা হয়েছে। আমাকে আগে যাই বলে থাকুন, এখন আপনার মনে হতে পারে ওরা ভুল বা অনৈতিক কিছু করেনি , বা মনে হলেও ওদের থেকে আপনার বই বেরিয়েছে বলে আপই ওদের ডিফেন্ড করতে পারেন বা ওদের ভুল বলতে পারেন না, আমাকে যা বলেছেন, তা ওদের বলতে পারেন না, সে সবই নাহয় হল, কিন্তু তার পরে আবার আমাদের সাথে এত সখ্যতা দেখানোর চেষ্টা কেন ? চেষ্টা করতেই পারেন, কিন্তু তাতে আমাদেরও বিরক্তি আসতে পারে, খারাপ লাগা বাড়তে পারে আর সেটা আমরা জানাতে পারি।
    এর সাথে গুরুতে আপনি আপনার লেখা বা বিতর্ক কি অন্য কিছু নিয়ে টইতে পোস্ট করতে পারবেন না, এরকম তো কিচ্ছু বলা হয়নি ! এগুলো বললে শহীদ হয়ে সহানুভূতি পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু কথাটা পুরোই ভুল।

    কোথাও থেকে বই বেরোলে তাদের ভুলকেও ডিফেন্ড করা আপানার স্ট্যাণ্ড হতেই পারে, কিন্তু আমাদের এখান থেকে কোন বই বেরোনোর সাথে আমাদের কোন ঠিক ভুল বলাকে আমরা কোনোদিন না গোলানোর চেষ্টা করেছি , আমাদের বিরুদ্ধমতকেও পুরোপুরি স্পেস দিয়ে এসেছি ( যে স্পেস দেওয়া নিয়ে আবার অনেকের সাথে মতানৈক্য এমনকি মনোমালিন্যও হয়েছে)। হ্যাঁ, সবার সাথে প্রতি কথায় হ্যাঁ এ হ্যাঁ, না এ না মিলিয়ে চললে, নানাবিধ তর্ক করে লোকজন্কে না চটালে হয়তো বই এর বিক্রি আরো বাড়তো ( প্রকাশনাকে লাভজনক ব্যবসা দেখলে সেটা হয়তো ম্যাটার করতো)। বা অন্যদের কাছ থেকেও তেল খাবার ইচ্ছা বা অভ্যেস থাকলে বা সেগুলোকে বইপ্রকাশ করার ক্রাইটেরিয়া ভাবলে।
    গুরুকে পারস্পরিক পিঠ চাপড়ানোর ক্ষেত্র হিসেবে বোধহয় এখানে অনেকেই দেখতে চায়নি। সে সাইট হোক কি ফেবু। গুরু থেকে যাদের বই বেরিয়েছে, তাদের জন্যেও সেটা কখনো ডিসাইডিং ক্রাইটেরিয়া হয়নি। যাদের সাথে তুমুল তর্ক হয়েছে নানা বিষয়, লেখা প্রকাশযোগ্য মনে হলে সে লেখাও প্রকাশ হয়েছে, বই হয়েছে।
    যাগ্গে, অন্যদিকে চলে যাচ্ছি। অন্য অনেক কথাই বলার ছিল। আর সময় নেই, ব্যাটারিও মরো মরো।
    আরেকটা ভুল চট করে বলে দি।
    আপানার বা সে র টইএর লেখা বই হওয়া নিয়ে। এনিয়ে কোন লিগাল কিছুই আমি বলিনি। নৈতিকতার উল্লেখও করিনি। খালি মৃদু হেসে কৌতূহলের বশে জানতে চেয়েছিলাম, আপনাদের বইতে এখানে গুরুর সাইটে লেখার কোন উল্লেখ আছে কিনা। আপনি তাতে খুবই অপ্রস্তুত হয়ে উত্তর দেন, আপনার প্রথম বইতে আছে। আমি বলি, প্রথম বই তো না, এই বইএর কথা জিগেশ করছি। আপনি খুব আমতা আমতা করে বলেন, এই রে, এটা তো খেয়াল নেই। আমি খালি এটাই বলি, তাহলে আপনার দিক থেকে আপনি কিছু উল্লেখ করেননি, তাই তো ? তাতেও আপনি ফাম্বল করেন । এটা আমার কৌতূহল ছিল মাত্র। ঐ এডিটেড সেকশন , টইপত্তর এসব কোন উত্তরই তখন আসেনি, এখন অনেক ভেবে চিন্তে ডিফেন্স এল দেখে আবারো হাসিটা পেল ঃ)। এনিয়ে অন্যেরা লিখে দিয়েছে, আমার আর আলাদা বলার নেই। ও হ্যাঁ, একটা কথা, যা হয়তো অনেকে জানেনা। স্মৃতি খুব তঞ্চকতা না করলে, এই লেখার পরিকল্পনা সৈকতদা আপনাকে একদা দিয়েছিল, বা মামুর সাথে কথা সূত্রেই এই নিয়ে লেখার কথা হয়। তাতে এনিয়ে অন্য কোথাও থেকে বই বেরোনো আর গুরুর কোনোরকম উল্লেখ থাকা না থাকায় যদিও কিছু আসে যায়া না, কিন্তু মনে পড়লে হাসি আসাকে আর কী করে রুখি বলুন।

    আর হ্যাঁ, আপনি বোধহয় সত্যিই অনেক কিছু ভুলে যান। এর আগে আমাকে আর সৈকতদাকে আপনি অতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, এই বই করার কথা, নতুন প্রকাশনার কথা ২০১৬ তে গুরুর স্টলে আপনাকে ওরা বলে। আগের দিন সেটা পুরো অস্বীকার করলেন দেখে আরেকবার মনে করিয়ে দিলাম। আর এই প্রকাশনার কথা অন্যদের থেকে জানার পর ( যাদের এনিয়ে অবাক বা খারাও লেগেছিল, আর লেগেছিল বলে যারা যুক্তও হয়নি, না আপনি তাঁদের মধ্যে নেই, আপনার বই বের হচ্ছিল বলেই বোধহ্য ), যখন আপনার সাথে কথা হ্য, যখন সৈকতরদা আপ্নার মাধ্যমে ওদের সাথে কথা বলার প্রস্তাব পাঠায়, তখন আর তার পরেও আপ্নি বারবার আমাদের বলে গেছেন, ওরা কেন এরকম করল, ঠিক করেনি ইঃ প্রঃ। আবার এটাও যদি কোনোদিন ( ভুলে গিয়ে) অস্বীকার করেন, তো বলে রাখলাম।
    আপনার ওদের থেকে বই বেরোচ্ছে, এসব বললে আপনিই সমস্যায় পড়বেন বা অপ্রস্তুত হবেন বলে আর ভদ্রতাবশতঃ এই কথাগুলো আগে বলিনি। কিন্তু এখন এই এতরকমের রঙ্গতামাশা চলতে দেখে বলেই দিলাম।
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২৬53427
  • আর স্পষ্ট করে যদি না বোঝা যায়, আবারো বললাম, আপনাকে কোথাও বলা হয়নি গুরুতে লিখবেন না বা লিখতে পারবেন না।
    লিখবেন না কেন। অবশ্যই লিখুন।

    দে দি, এসবের সাথে লামাদাকে হুমকির কোনোরকম যোগাযোগ নেই। ওদের পক্ষ থেকে রটানো হয়েছিল এটা। লামাদার সাথে কেস ইঃ সম্পূর্ণ অন্যদের ইস্যু, লামাদা ও তাদের ব্য়্ক্তিগত ইস্যু। গুরুর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু খুবই সুচতুরভাবে, এটা নিয়েও অপপ্রচার করা হয়, লামাদার বই ওদের থেকে বেরোচ্চে বলে লামাদাকে গুরু থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেরকমই আমাদের কানে এসেছে।
  • rabaahuta | 60.180.243.60 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২৮53415
  • সৈকতদার লেখা 'গুরুতে লিখবেন না, বা শেষ করে দেব, এইসব আমি বলিনি। আমার উপস্থিতিতে অন্য কেউই বলেনি।' পড়ে ভালো লাগলো। এইটা এক্সপেক্টেডই ছিলো যদিও।

    রঞ্জনদার ---- "কাল পাই স্টলে বললেন --দেখুন, রূপংকর সরকারের পাখি নিয়ে বইটিতে ওঁকে "পাখালিয়া" বলা হয়েছে। আর এটা নেওয়া হয়েছে আমাদের চটি কবিতার বই "পাখালি" থেকে।" ---- কমেন্টটা থেকে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে। আমার বিশ্বাস পাই এটা বলে নি - বিশেষ করে পাখালি নমে কোন চটি যখন বেরোয়-ই নি আদৌ। রঞ্জনদা, এই সুতোয় তো 'অনেকটা এইরকম কি যেন' এলে সমস্যা, শব্দ, অক্ষর এইসব নিয়ে যখন মোকদ্দমা।
    ৩১শে জানুয়ারীর একটি প্রোমোশোনাল পোস্টের টেকস্টে চটির নাম পাওয়া গেছে। তা যেতেই পরে, শব্দের মালিকানা তো নেই, কিন্তু একের পর এক সমাপতন, একই শব্দ বা শব্দবন্ধ ব্যাবহার।

    আর আরেকবার, রঞ্জনদা, আদালত অবধি যখন গড়িয়েছে, স্পেসিফিক হওয়া ভালো, বাকী তো মর্মপীড় ভরসাঃ)
  • pi | 74.134.66.54 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:২৯53428
  • গুরু থেকে প্রকাশিত হুতোর কবিতার বইয়ের নাম পাখিয়াল। ওদের বইয়ের লেখকের পরিচিতি এখন পাখিয়াল নামে চলছে।
    আমাদের এক ব্যাগ ৯০ সেই কবে থেকে ৯০ এর রূপকথা বলে উল্লেখিত হচ্ছে, তো ক'দিন ধরে ওদের বইও ৯০ এর রূপকথা হয়ে গেছে। আরো অনেক ট্যাগলাইনের কপির মতই।

    পাখিয়াল নাম নিয়েও গড়বড় হয়েছে দেখে বলে গেলাম।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:৩৮53416
  • এ মাইরি হেব্বি মজার। লোকে দিনে দুপুরে চুরি করবে, কিন্তু চোর চোর বলে চিল্লালেই - "অ্যাই, গলা উঁচু করলে কেন? গলা উঁচু মোট্টে ভালো জিনিস নয়।" ঃ-)

    তবে আমার এখন মনে হচ্ছে তাতিনের পথটাই ভালো ছিল। ঐসব হাফ-হার্টেড আইনের পথে না গিয়ে 'টুক৯বাজের পুটকি সীল' - এই ক্যাপশানে খিল্লী ক্যাম্পেন নামালে মনে হয় ভালো হত।
  • Ishan | 127.194.3.77 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৯53554
  • না, তুমি আমাকে সরাতে বলনি। সরানো হয়ওনি। ওটা সম্ভবত আমি করতে পারিনা। তোমাকে কনসেন্টে সই করতে হবে, বা এই জাতীয় কিছু একটা আছে। ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়েছিলাম, ঠিক কী করতে হবে, ডিটেলটা এখন আর পুরোটা মনে নেই। সে, ডিটেল যাই হোক, দিনের শেষে গুরুর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে তুমি স্টেকহ্ল্ডার। আমাকে সরাতে বলনি, আমি সরাইওনি। আমাকে স্পেসিফিকালি না বললে সরাবই বা কেন? চিঠিচাপাটি দেবার আগে এগুলো ভাবলে ভালো হত।

    একটা বড়ো সমস্যা, স্পেসিফিকালি এখানেই তো। কেউ নতুন পাবলিকেশন করবে, তাতে তো সমস্যা নেই। সমস্যা হল, কে আছে, কে নেই, কে অন্য পাবলিকেশনে জড়িয়ে গেল, যেখানে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট থাকা খুবই সম্ভব, তার জাস্ট কোনো খবর নেই। পরিষ্কার করে বলে -কয়ে করলে, গ্রেসফুলি বিষয়টা হ্যান্ডল করা যেত।

    ইন ফ্যাক্ট একই গপ্পো কাবলিদারও, কথা হয়েছে, তাই সেটা কাবলিদাকে বলেওছি। কাবলিদার বাড়ি কাবলিদা আমাদের ব্যবহার করত দিয়েছিল, সেজন্য গুরু খুবই উপকৃত হয়েছে। কাবলিদা নিজের বাড়ি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবে, সে নিয়েও কিছু বলার নেই। কিন্তু বাড়ি যেমন, কাবলিদার, একই সঙ্গে কাবলিদা তো গুরুর প্রকাশকও। ফলে স্বচ্ছতার খাতিরে ইনফর্মেশনটুকু আমার প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করি।

    খুব পরিষ্কার সক্কলকে বলছি, লিরিকাল করছেন, বেশ করছেন, কিন্তু জানিয়ে শুনিয়ে করুন, তাতে সবারই সুবিধে হয়, চাপ কী?
  • a | 212.78.234.188 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৪53431
  • বইমেলা ক'দিন হয়? সকলেই জানেন তারপর বছরের আর বাকী দিন, লেখালিখির ব্যথা উঠলে এই গু.চ ভরসা।
    গু.চ ডিজিট্যাল ও প্রিন্ট দুই জায়গাতেই আছে। সেখানে সদ্য জন্মানো লিরিক্যাল আছে শুধু প্রিন্টে।
    প্রতিষ্ঠানের ব্যপ্তির(প্রচার ও প্রসার) কথা ভাবলে চাঁদ ও চাঁদমালা, মনে আসে, যথাক্রমে। তাদের মধ্যে তুলনা চলেনা।

    জা দেখার, তা হ'ল যে-কাজ গুরুকে গুরুচন্ডালি করেছে সেই কাজে যেন কোন ফাঁক/ফাঁকি এসে না পড়ে।
    কে থাকবে, কে যাবে, সময় উত্তর দেবে। এই মুহূর্তে গু.চ র কোনো চাপ নেই।

    নিজেদের কাজে মগ্ন থাকুন পাশাপাশি সতর্কও। অযথা শক্তিক্ষয় করবেন না শব্দাস্ত্র প্রয়োগ করে।
  • কল্লোল | 116.206.152.113 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৯53432
  • এবারের বইমেলা থেকে বড় তেতো স্বাদ নিয়ে ফিরলাম। বন্ধুদের মধ্যে এই তুইমুই বড় বিষন্ন করে তোলে।
    ৯ঋকালের ক্ষেত্রে একই ঠিকনা না জানিয়ে ব্যবহার করাটা অনৈতিক সেটা আগেও বলেছি। দুই দিক থেকেই এই উকিলের চিঠিগুলো অপ্রয়োজনীয় ও বালখিল্যতা। ট্যাগলাইন যুদ্ধ অনেকক্ষেত্রেই বুদ্ধিদীপ্ত কিন্তু শালীন নয়।
    আমি ব্যক্তিগতভাবে ৯ নিয়ে চিন্তিত নই। আমি কপিরাইটে বিশ্বাস করি না। গুরুচন্ডা৯ শুধু ৯ব্যবহারের কারনে আজকের জায়গায় পৌঁছায়্নি। ধারাবাহিক্ভাবে ভালো লেখা ভালো বই গুরুকে এই জায়গা দিয়েছে।
    কেউ গুরুচন্ড৯তে থেকেও ৯ঋকালে থাকতেই পারেন, দুই জায়গা থেকেই বই ছাপাতেই পারেন। সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু আজ যখন বিভ্রান্তি তৈরী হয়েই গেছে, তখন ৯ঋকালের বন্ধুদের অনুরোধ (হ্যাঁ আমি এখনো বন্ধু বলেই মনে করি) পরিষ্কার করে ফেবু পাতায় লিখে দে আমরা গুরুচন্ডা৯ নই, তার শাখাও নই, বোনতুতো-ও নই। তোদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এলেম আছে, নিজের পরিচয়েই ৯ঋকাল বড় হোক - এটাই চাই। নিজেদের মধ্যে বসে গোটা ব্যাপারটার নিষ্পত্তি হোক। আর এই ট্যগলাইন যুদ্ধ বন্ধ হোক। বিষয়টা কুরুচিকর হয়ে যাচ্ছে। কে আগে শুরু করেছে, কে তার জবাব দিয়েছে মাত্র এই তুইমুইতে আমি উৎসাহী নই। তোদের সবার সঙ্গেই খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক, সেটা কোথাও খন্ডিত হোক আমি চাই না।
  • . | 57.15.241.23 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০২53555
  • গুরু এই বিবাদে ব্লকিত শত্রুকে আনব্লকিত মিত্রোঁ বানিয়ে দিয়েছে- এর জন্য একটা বংগবিভীষণ প্রাপ্য।
  • তাতিন | 213.110.242.21 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১২53433
  • "যাঁরাই রূপংকরদাকে ব্যাংকজীবন বা অন্য ভাবে জানেন তো নিশ্চয়ই জানেন ওর বহুবছরের পাখি নিয়ে লেখা বড় ক্যামেরা নিয়ে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘোরা --গোদা কথায় পাখি নিয়ে প্যাশনের জন্যে-- বন্ধুরা ওঁকে পাখালিয়া (রাখালিয়ার মতন) বলে ডাকে!" -- রঞ্জনদা।

    এটা সত্যি? নাকি লিগাল নোটিসের উত্তর দেওয়ার জন্য মকশো করা হল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন