এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫০৭৫ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫০৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ্তাতিন | 213.110.242.21 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৩53434
  • কল্লোলদা, ৯৫% বা তারও বেশি সুন্দর সম্পর্কই একদিন খন্ডিত হয়। আপনি চাপ নিয়ে কী করবেন?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৯53435
  • করে দিন খন্ড খন্ড
    করে দিন লন্ডভন্ড
    এ ঝড় প্রচন্ড।

    নৈরাজ্যদা, বাকুনিন ( বাকুনিনই তো? ) এ ব্যাপারে কিছু বলেন নি? ;-)
  • :( | 127.199.213.253 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৮53436
  • এত যখন কথা হচ্ছে তখন ঠিক ভুল সব কথাগুলো এখানে আরো পরিস্কার হয়ে উঠে আসা ভালো।
    লেখকরা অনেকেই যখন গুরুতে লিখেছে তখন গুরুর কিছু এমন প্ল্যাটফর্ম ছিলনা, এখানে লিখে বিখ্যাত হবে বা বই ছাপা হবে বলে লেখেনি, লেখার খুশীতে লিখেছে, নিজেদের জায়গা ভেবে লিখেছে। সম্পর্ক আবহাওয়া এমন ছিল সেইসব অনামী লিখিয়েদের জোরে ডাকাও হত টইয়ে লেখার জন্যে।
    এমনকি প্রথম দিকের বইমেলা ইত্যাদি তে ক্রেতা ও মুলত লেখকদের পরিচিত, বন্ধু আত্মীয়র দল । এই ফেসবুক ও বিখ্যাতদের আনাগোনার আগের গুরুর যে শুরু তাতে মডেল টা এরকমই ছিল।
    গুরু বলে লেখকদের লেখা লোকে পড়েছে এটা সবসময় সত্যি নয়, অন্তত ছিলনা।

    অনেক লেখা লোকে অন্য জায়গা থেকে টইয়ে তুলেছে, এমনও হয়েছে সেটা টইয়ের অবস্থানের জন্যেই।
    প্রকাশনা নিয়ে যা আলোচনা, গন্ডগোল চলুক, এর সঙ্গে লেখকদের দায়্দায়িত্ব নীতি এসব না গোলানো ই ভালো।
  • কল্লোল | 116.216.168.131 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৬53437
  • তাতিন। সম্পর্কের বিষয়ে তোমার আমার দেখা সম্ভবতঃ আলাদা।
    বন্ধুত্ব আমার কাছে খুব পবিত্র একটা সম্পর্ক। ৯৫% বন্ধু আজও বন্ধুই আছে। আজও একে অন্যের সান্নিধ্য আবিল হই।
  • Ishan | 127.194.3.77 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৩০53556
  • একটা জিনিস লিখতে ভুলে গেছি। ছোটোলোক বলেছেন, ১০ বছর ধরে বইপত্র ভালো বিক্রি হচ্ছে। ওদিকে ওনাদের চ্ঠিতে অন্য জিনিস লেখা আছে। গুরু নাকি বই বার করছে গতবছর থেকে। তার আগে যা ছিল, সবই বুকলেট না প্যামফ্লেট কী একটা যেন। :-)

    খুবই ইন্টারেস্টিং।
  • সিকি | 57.30.16.30 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪৭53438
  • তাতিনের অ্যাপ্রোচটা বড্ড বিরক্তিকর লাগছে।
  • তাতিন | 233.176.83.179 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:২২53557
  • লিরিকাল থেকে পাঠানো চিঠিটা আপলোড করা হোক।
  • ahem | 69.160.210.3 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:২৮53439
  • এবছর ওমনাথ এই টই তে এখনো কিছু লেখেনি। এটা এমনিই জানিয়ে রাখা হল। বেনামী লেখার সাথে ওমনাথকে রিলেট করার একটা ঐতিহ্য আছে কিনা। বইমেলার শেষ দিন বাপ্পাদার সাথে দেখা হল। তাঁর কথা থেকেও জানলাম গুরুপোস্টের বিভিন্ন প্রকার স্মাইলিকে তিনি ওমনাথ বলেই ধরে থাকেন।
  • :) :) | 192.58.195.97 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:৩২53440
  • প্রাক্তন ব্যান্ক কর্মী তায় উকিল মহোদয় কে এহেন চ্যলেন্জ করা কি উচিত হচ্ছে? ভাবিয়া করিবেন।

    সেই কবে ব্যান্ক থেকে দুর্নীতি না না-দুর্নীতির দায়ে সাসপেন্ড হয়েছিলেন--- সিপুয়েম ইউনিয়ন পাশে দাড়ায় নি--- সেই রাগ আজো পুষে রেখেছেন ঃ) বিষ উগ্রে দেবার একটাও সুযোগ এতোদিন বাদেও ছাড়েন না ঃ)

    একই হাল গুরুর ও হবে--- যুক্তি-কুযুক্তি দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গুরু বিরোধীতা চলবে .. ভেবে দেখুন এমন পাঙ্গা নেবেন কিনা :D :D
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:৪১53442
  • বিরক্তিকর লাগে এরকম অ্যাপ্রোচই নিয়েছি। পুরো ব্যাপারতা নিয়ে নেকুপুষুপনার গোড়ায় একটু ইউরিয়া ঢালা দরকার।
  • pepe | 113.21.127.78 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:৪১53441
  • কল্লোল দার 07 February 2017 07:29:57 IST পোস্ট টা ১০০% সমর্থন করলাম
  • robu | 213.132.214.83 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:৪৩53443
  • যুক্তি তর্ক পাইদি রঞ্জনদারা যেরকম চালাচ্ছেন চালান, কিন্তু এই বেনামি ধুনোগুলোকে পাত্তা না দিয়ে প্লিজ। এদেরকে বা এদের বক্তব্যকে তর্কের অংশ না করে ভালো।
    কাউন্টার-আর্গুমেন্ট নাম্বার আগেই বলেদি, আমি রোবু, এটাও বেনামি, কিন্তু আমাকে এই নাম এখানকার তর্কের প্রোটাগোনিস্টরা চেনেন এবং নামের পেছনে মুখটুকু আইডেন্টিফাই করতে পারেন, কাজেই ওই লাইনে খেলে লাভ নেই।
  • তাতিন | 213.110.242.23 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৫:৫৪53444
  • বেনামি ধুনোগুলো না থাকলে এই যুক্তি তর্ক এগোতই না। এবং ম্যাক্সিমাম লোক এই পেজ-এ চোখ রাখছে এদের ফলো করতেই।
  • ট্যারান টুলা | 233.191.45.92 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:০০53445
  • কিছু লোক থাকে দাঁড়িয়ে মজা দেখার জন্যে, কিছু লোক থাকে চিমটিময় কমেন্ট দেওয়ার জন্যে, আর কিছু লোক থাকে এই ছ্যাঁচরামি জাস্টিফাই করার জন্যে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:০২53446
  • এ, এমন কিসু না।

    আনন্দবাজার থেকে বেরিয়ে বরুনবাবু করলেন বর্তমান, বরুনবাবুর সঙ্গে জেলে গেছিলেন গৌরবাবু, তিনি শুরু করলেন আজকাল, বেশিদিন ছিলেন না অবশ্য, অশোকবাবুর হাতে আজকাল তুলে দিয়ে শেষের কদিন গৌরবাবু ছিলেন আনন্দবাজারেই। তো এমার্জেন্সি-র পরে দু-দুজন আনন্দবাজার থেকে হাওয়া - সাঙ্গপাঙ্গো সহ।

    অত বাদবাছাই ছিল না। মানে ধরো, আনন্দবাজার/অমৃতবাজার গ্রুপের কয়েকজন মিলে, প্রায় আড্ডার স্টাইলে, কিন্তু সিরিয়াস ইনটেনশন নিয়ে, '৭৭ সালে বাংলা ক্রীড়াপত্রিকা 'খেলার আসর' নামিয়ে দিলেন, অশোক দাশগুপ্ত এডিটর, প্রথম সংখ্যা ৫০০০ কপি, দ্বিতীয় সংখ্যা ১০ হাজার - এক সপ্তাহে স্টক শেষ।

    তরপর ধরো ১৯৯৫ সাল নাগাদ শুরু হল আউটলুক - একটু লেফ্‌ট-লিবারাল ঘেঁষা পত্রিকা, তরুন ছিলেন ম্যানেজিং এডিটর। কিন্তু ভেতরে সুপ্ত বাসনা - স্টিং অপারেশন বেস্‌ড্‌ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজ্‌ম্‌ করতে চায় - সে সময় তেমন ছিল না। মালিক রাহেজা গ্রুপের তাতে খুব সায় নেই। অনিরুদ্ধ-কে নিয়ে তরুন বেরিয়ে এলেন আউটলুক ছেড়ে, তৈরি করলেন তেহেল্‌কা - ২০০০ সালে - শুরুতে যদিও অনলাইন।

    তারও পাঁচ বছর বাদে ধরো, বাংলা লাইভের মজলিশ ছেড়ে কয়েক্জন বেরিয়ে শুরু করল গুরুচন্ডালি, আর তারও ধরো বছর বারো বাদে গুরুচন্ডালির কয়েকজন শুরু করল লিরিকাল।

    এবারে - - এর মধ্যে মনোমালিন্য, একজনের প্লাটফর্ম থেকে আর একজনের উৎপত্তি, লোকবল ভাঙ্গানো - এসব হয়, হয়ে থাকে।

    কালের হিসেবে এসব কিছু থাকে না। বাজার পরে থাকে শুধু - অমৃত তাকে ছেড়ে চলে গেছে বহুদিন, আনন্দ কদ্দিন থাকবে তা মহাকাল জানেন।
  • dc | 132.174.96.10 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:২৪53447
  • 11:02:13 মন্তব্যটা অতি জঘন্য লাগলো।
  • Bappa | 113.197.82.111 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:২৬53558
  • টইয়ের তিনটি সুতোতেই চোখ থাকত। এই সুতোগুলোতে নজর দিতাম না। কিছুটা কঠিন বিষয়বস্তু বা অতিরিক্ত সদর দপ্তরের নিজস্ব আলাপচারিতার কারণেও পড়তে উৎসাহ পেতাম না। কিন্তু একটা সুতো অতগুলো পৃষ্ঠা জুড়ে বড় হয়েছে দেখে পড়লাম। আমি যেসব সুতোয় লিখেছি, তার বাইরে গিয়ে এত বড় একটা সুতো অনেক দিন পর এক টানা পড়ে গেলাম। খুব বিস্বাদ হয়ে গেল মনটা। কেন এরকম ঘটে? আত্রেয়ীও কি এখানে এই কারণে লেখে না আর? কিন্তু ও তো খুব নির্ভীক চরিত্রের ছিল; আর এখানের আলোচ্য ব্যক্তিরা তো কোনোভাবেই কোন নির্ভীকতার পরিচয় দিচ্ছে না। যদিও যে কজনকে আমি বুঝতে পারছি, তার মধে একজনকে আপাত নির্ভীক বলেই লোকে জানে, সে স্বীকৃতিও সে পায়।

    তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এরকম আকচাআকচি বা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি মাঝেমাঝেই এ পাতায় জেগে ওঠে। পড়ে মোটেই ভালো লাগে না। কিছু লিখতে তো ইচ্ছে করেই না। কিন্তু এবারেরটা একেবারেই আলাদা এবং খুবই নিম্নরুচির, কেউ কেউ অবিশ্যি বলছে এসব না হলে নাকি জমে না।

    তবুও লিখতে হবে; লিখতে হবে কারন আমার নাম অহেতুকভাবে সোমনাথ এই সুতোয় তুলে এনেছে। বই মেলার শেষ দিন ওর সাথেই শুধু দেখা হয় নি, কল্লোলদার সাথেও দেখা হয়েছিল, সোমনাথ যার সাথে কথা বলতে আসায় ওর সাথে দেখা, সেই শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের সাথে আমি অনেক আগে থেকেই ‘অনীক’-এর স্টলের সামনে কথা বলছিলাম। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বহুদিন চিনি। সোমনাথকে এর আগে একবারই সল্ট লেক ভজহরি’র আড্ডায়(এ পাতার ভাষায় ‘রিয়াল ভাট’-এ) দেখেছিলাম।

    আমি ওকে চিনতে পেরে, নিজেই পরিচয় দিয়ে ওর সাথে কথা বলতে থাকি। তবে ঐ "গুরুপোস্টের বিভিন্ন প্রকার স্মাইলিকে তিনি ওমনাথ বলেই ধরে থাকেন” বক্তব্যটুকু ও বোধহয় এই সুতোতে বিভিন্ন গুপ্তনামে গুরু’র প্রতি নোংরা মন্তব্য থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার তাগিদে একটু উত্তেজনায় করে ফেলেছে। আমি ওর সাথে কদিন আগের কোন একটা স্মাইলি দেওয়া পোস্টের পর এখানকার নিয়মিত বক্তব্য-রাখা কাউকে লিখতে দেখেছিলাম, “ওমনাথদা, থ্যাঙ্ক ইউ”; সেটাই ওকে বলি। এবং নবারুণ ভট্টাচার্য্য নিয়ে ওর লেখার বারবার উল্লেখ করি, যেগুলো ও অন্য চিহ্নের নামে লিখত। ওর সাথে অনেকক্ষণই কথা হয়, ওর বিভিন্ন কজের কথাও ও বলে।

    প্রসঙ্গতঃ সোমনাথ একটা গুরুতর জিনিষ খেয়াল রাখে নি যে আমি কখনই ওকে সোমনাথ ছাড়া অন্য কোন তৎসম, তদ্‌ভব নামে উল্লেখ করি নি, করিও না। বস্তুতঃ কারুর ক্ষেত্রেই সাধারণতঃ করি না।

    ওর পোস্টঃ
    ahem on 07 February 2017 10:58:55 IST 69.160.210.3 (*) #
    এবছর ওমনাথ এই টই তে এখনো কিছু লেখেনি। এটা এমনিই জানিয়ে রাখা হল। বেনামী লেখার সাথে ওমনাথকে রিলেট করার একটা ঐতিহ্য আছে কিনা। বইমেলার শেষ দিন বাপ্পাদার সাথে দেখা হল। তাঁর কথা থেকেও জানলাম গুরুপোস্টের বিভিন্ন প্রকার স্মাইলিকে তিনি ওমনাথ বলেই ধরে থাকেন।
    ----------------------------
    যাই হোক, ওর সাথে কয়েকটি সাইট নিয়ে কথা হয়। আমি এবং ও ফোন নম্বরও বিনিময় করি। আমার অনুমান ও এই সুতোয় চলতে থাকা আলোচনার বিষয়বস্তু সম্বন্ধে হয়তো ওয়াকিবহাল, তাই এই সুতোয় নিজেকে মুক্ত রাখতেই হয়তো এই বক্তব্য। অথচ সেদিন এ ব্যাপারে ও আমায় কিছুই বলে নি। যাক গে, এটা ওর ব্যক্তিগত বিচারের মধ্যে পড়ে। ওর সাথে দেখা হওয়ার পরে আমার চার নম্বর গেটের বাইরে কল্লোলদার সাথে কথা হয়। কল্লোলদা বেরোনোর তাড়ায় ছিলেন, তাই বেশি কথা হয় নি, তবে উনি যে ভারাক্রান্ত ছিলেন সেটা বুঝতে দেন নি।

    ভারাক্রান্ত প্রত্যেক শুভাকাঙ্খীই হবেন। কিন্তু এর সঙ্গে এও বলা উচিত যে লোক বেছে বেছে পক্ষপাত মূলক মন্তব্যের আর অনেকটাই মজলিশ ধাঁচে বেছে বেছে পিঠ চাপড়ানি বা প্রশ্রয় এই জায়গায় নিয়ে এলো সবাইকে। এরকম ঘটনার উপর কারুরই নিয়ন্ত্রণ থাকে না, তবে কিছু কিছু ব্যাপারে অন্ধ প্রশ্রয় এই নকলনবীশদের এতটা বেপরোয়া করে তুলেছে। সব নাম জানি না, তবে দুয়েকটি নামের ব্যক্তিকে আমি খুবই হাড়ে হাড়ে চিনি। বিপদে পড়লে এর যে কোন প্রান্ত থেকে খুব গুরুতর ব্যক্তিগত ব্যাপারে বাপ্পাদার শরণাপন্ন হয়েছিল, আবার তারই সঙ্গী কোন সময় পিঠে ছোবল মারতেও ছাড়ে নি, তাও মিথ্যের পর মিথ্যে দিয়ে। এটাও এখানে বলা উচিত যে বেনামে আমাকে এসে “খিস্তি” করার পরও এদেরই কেউ মুক্ত কণ্ঠে আমাকে দোষমুক্ত করেছে, অন্ততঃ তার তরফ থেকে।

    নিজে কিছু লিখতে ভয় পাচ্ছি, তবুও না লিখে পারলাম না, যে আমার বিশ্বাস পাই বা ঈশান অন্ততঃ জ্ঞানতঃ শ্রী রঞ্জন রায় সম্বন্ধে মিথ্যে বলবে না। কারণ এ পাতায় হয়তো ঈশনকে অনেক সময় তবূ বা কৌশলী হতে দেখেছি, কিন্তু পাইকে তা কখনই হতে দেখি নি। আমি বস্তুতঃ যা দেখেছি তিনটি সুতোতে।

    পাই, ঈশানের বিরাট বিরাট লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই। গুরু-কে এই পরিস্থিতিতে আসতে হল’, এটা খুবই দুঃখজনক। হয়ত লসাগুদার কথাই ঠিক। বহুকাল আগে আমার এক গুরুজন বলেছিলেন, চারটে বাঙালী একত্র হলে একটা লাইব্রেরী হবে, তারপর একটি নাটকের দল, তারপর কোন কারণে সেই নাটকের দল যাবে ভেঙে।” ঊন্নততর প্রযুক্তির যুগে বৈদ্যুতিন ঠেক বা পাঠাগারও যে একই দিকে হাঁটবে তা স্বতঃসিদ্ধ।

    (এই ফাঁকে সিকি ওরফে শমীককে একটা অযাচিত কথা বলি, তুমি যে এই বারবার গু-চ’কে স্বয়ম্ভু বলছো, তার পূর্বজদের প্রতি কোন দায় নেই বলে দাবী করছ, সেটা বোধহয় ঠিক বলছ না। গু-চ সব দিক দিয়েই স্বতন্ত্রতায় উজ্জ্বল আজ, কিন্তু এর গর্ভগৃহ তো বাংলালাইভের মতামত আর পরে মজলিশ’ই। এই কথাটি কিছুদিন আগে তুমি এবং সোমনাথ কিশোর ভারতী নিয়ে খুঁড়ে আনা পুরোনো সুতোতেই লিখেছিলে। প্রসঙ্গতঃ এটাও বলে রাখি যে মতামতের পাতায় আমার প্রথম চিঠিটি ছিলো তোমাকেই লেখা, সেই ২০০৪ সালে ‘আরেক বুর্জ্জোয়া বাপ্পা' নাম দিয়ে। কি? মনে পড়লো? তার পরে তো কত ঘটনা, কত খেউড়, মেল-হ্যাকিং,…. ইত্যাদি প্রভৃতি, তার পর আমার মেল হ্যাকিং, আর তার পর আমার হয়ে অরিজিৎ ও দময়ন্তীর এজলাসে রহস্য উন্মোচন, সেটা এই সাইটেই আর তার পর পরই আমার এখানে আসা। মনে করে দ্যখো, সব ঠিকই মনে পড়ে যাবে।)

    এই সুতোর ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট যেগুলো আমার চোখে আটকেছে সেগুলো তুলে তুলে দিলাম-

    15 January 2017 23:21:08 IST 90.254.154.105 (*) #
    আমার ফেবুতে দেখে ধারণা হয়েছিল ৯ঋকাল গুরুরই আর একটা উদ্যোগ, যেখানে হয়তো অন্য ধরণের বই পাবলিশ করা হবে, তাই অন্য নাম দিয়ে নামানো হয়েছে। এখন দেখে বুঝলাম ব্যাপারটা তা নয়। এই ব্যাপারটা এথিকালি ঠিক লাগলো না। গুরুর নেটওয়ার্ক ইচ্ছে করে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা - সেটাতো প্রমাণ করা যাবে না, আমার সে নিয়ে ইন্টারেস্টও নেই। যেটা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে, আমি সেটুকুর ওপর বেস করেই বলছি। '৯' যে গুরুর পরিচয় চিহ্ন, সেটাতো অজানা বিষয় নয়। যাঁরা ৯ঋকাল বানিয়েছেন, তাঁরা সিম্পলি '৯' টাকে ছেড়ে দিতে পারতেন, যদি গুরুর থেকে আলাদা কিছু বানানোর উদ্দেশ্য ছিল। এখন আদালতে গিয়ে মামলা করে ৩০ ডিগ্রী কোণে বেঁকিয়ে গুরুর থেকে আলাদা ভঙ্গিতে আইনীভাবে ৯ লেখার পারমিশন পাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু তাতে করে কি এই বেসিক আনএথিকাল গোড়াপত্তনটাকে মুছে ফেলা যাবে?
    ------------------------------------
    16 January 2017 04:48:06 IST 95.229.73.124 (*) #
    তাতিন, পাল্টা বাওয়াল দিয়ে তিক্ততা বাড়া ছাড়া আর কিছু লাভ আছে কিনা জানিনা। তবে আমার সাথে ৯ঋকালের কারুর কখনো কথা হলে এই কাজটা যে আনএথিকাল হয়েছে - সেটা স্পষ্টভাবেই সামনাসামনি বলব। আমার মতে সবারই সেটা বলা উচিৎ। পেছনে নয়, সরাসরি।
    ----------------------------------
    কিন্তু নিচের এই মন্তব্যটি বেশ তাৎপর্য্যপূর্ণ, কারণ এর অগে অপরপক্ষের কেউ এসে কিছু মন্তব্য করে নি এই পোস্টের আগে। এটা কি এক ধরণের আহ্বান জানানো? প্রসঙ্গতঃ, এর পরে, যদিও ঠিক সঙ্গে সঙ্গে নয়, গুরু-র বিরুদ্ধে ধমকানি আসতে শুরু হয়। -------------------------------------
    25 January 2017 01:03:22 IST 213.110.242.24 (*) #
    কিন্তু, সুমেরুদা বা লিরিকালের কেউ কি এই পেজ ফলো করছে? নিশ্চয়ই করছে, কিন্তু লিখছেনা কেন? ক্যালকমে কীসব টাকা পয়সার গল্প ঘুরছে, ক্লাব মাহিন্দ্রার একটা গল্পও ছিল। সেগুলো নিয়ে পয়েন্টার দিলে ভালো হত না?
    ------------------------------------
    07 February 2017 15:09:57 IST 213.110.242.23 (*) #
    ঋত্বিকের আছে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আর আমা আছে সিমপ্ল ইন্টারেস্ট। এই ৯ঋকাল গুরু বাওয়ালটা পড়ে পৈশাচিক আনন্দ হয় মাঝে মাঝে। লোকজন ডেকে এনে পড়াই। আর হ্যাঁ, দলবেঁধে যে কোনও কাজ করলে এ নোংরামি করতেই হয় এই হাইপোথিসিসটা সত্যি প্রমাণ হওয়ায় একটা স্যাটিস্ফেকশন আসে।
    আমি পার্সোনালি ৯ঋকাল-উদ্যোক্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ এই হারামিপনাটা উপহার দেওয়ার জন্যে। তোমাদের জন্য পৃথিবীর মতন একটা বোরিং গ্রহ ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে।
    -------------------------------------
    07 February 2017 15:28:20 IST 213.110.242.23 (*) #
    যাই হোক, এই কেসএ আরেকটা ব্যাপার হয়েছে। বেশ কলেজ বাওয়াল টাইপের সেটা।

    গুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেকে বেরিয়ে গ্যাছে, রাগ টাগ করে।ফেসবুক গুরু থেকেও এরকম হয়েছে, তারা আবার ক্যালকম জয়েন করে ও তাদের আমরা গু-রিফিউজি বলি। এরকম সব মানুষ দেখি দলবেঁধে ৯ঋকাল হয়ে গ্যাছে।

    মানে ধরুন ইনবক্সে কি ওয়ালে সৈকতদার নামে গুচ্ছ খিস্তি করছে আর ৯ঋকালের প্রোমো পাশাপাশি শেয়ার করছে। এমন কী পরস্পর ব্লক্ত লোকজন ব্লক তুলে ৯ঋকাল করছে। একতা অ্যান্টি-গুরু রামধনু ফর্ম করেছে। যেমন রিসেন্ট ফেজ-এ নানে ও তাদের ভাইজোনড প্রেমিকদের দেখছি হেভি ৯ঋকাল্প্রীতি। একজন এক্গুস-রু অ্যাডমিন তো বলেই দিলেন তাঁর লেখালিখির স্পেস আর গুরুতে নেই, ফলে ৯ঋকাল।
    -------------------------------
    07 February 2017 13:04:19 IST 90.254.154.105 (*) #
    এই অনেক সমস্যাই এভয়েড করা যেত যদি যাঁরা এখন তীব্র বেদনাহত হয়েছেন বলে মনে করছেন, তাঁরা যখন এগুলো ঘটছে, তখন বন্ধুবিচ্ছেদের ভয় না পেয়ে সরাসরি বলতেন - "ভাই সুমেরু, সবই তো ঠিক আছে, কিন্তু ৯ টা কি না রাখলেই নয়? বা কাবলিদার বাড়ীর ঠিকানাটা?" অথবা নিতান্ত এইটাও যদি বলতেন - "ভাই এত কিছু যে করছ, সৈকত, ঈপ্সিতা বা শমীক - এরা জানে তো? এদের সাথে কথা বলেছো তো?" যে সময় একটা নৈতিক অবস্থান নেওয়ার ছিল, সেসময় না নিয়ে এখন হাহুতাশ করার কোনো মানে আছে বলে মনে হয় না। ঠিক সময়ে ঠিক ফীডব্যাক পেলে কে বলতে পারে, হয়তো সুমেরুদারাও বুঝতো যে একটা লাইন ক্রস করা হয়ে যাচ্ছে। হয়তো অন্যভাবে ভাবতো। কেউ তো আর ১০০% শয়তানি মাথায় নিয়ে চলে এমন নয়। কিন্তু লাইন ক্রস করার সময় তারা প্রশ্রয় পেয়েছে। তারা ভেবেছে 'গুরুর বিবেক' বলে পরিচিত জনতা (রঞ্জনদা ইত্যাদি) আমাদের সঙ্গে আছে, অতএব চলো, কোনো ব্যাপার না। এই দায়টা যাঁরা প্রশ্রয় দিয়েছেন তাঁরা এড়াতে পারেন না।
    -------------------------------------
    07 February 2017 13:49:31 IST 90.254.154.105 (*) #
    এটা বেশ চমৎকার কিন্তু। খিল্লীই শেষ কথা। তাই আমি চোরেরও যতটা, গৃহস্থেরও ততটাই। ঃ-) অথচ এই কথাগুলোর আড়ালে যেটা ঢাকা পড়ে যায় সেটা হল, ন্যূনতম নৈতিকতা বজায় রেখে চললে পরে কিন্তু এই পক্ষ নেওয়ার মত আগলি জায়গায় ব্যাপারগুলো যায় না। যে আনএথিকাল কাজ করছে, তার ছবিতে লাইক দিলে বা তার সাথে আদারওয়াইজ সুসম্পর্ক বজায় রাখার মানে যদি এই হয় যে আনএথিকাল কাজটার প্রতিও চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে, কখনই কিছু বলা যাবে না, কারন বললে খিল্লী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেরকম অবস্থান নিয়ে চললে আজ নাহোক কাল এধরণের অপ্রীতিকর সিচুয়েশনে তো পড়তে হবেই। কারণ যার সাথে সেই আনএথিকাল কাজটা হচ্ছে - সে তো চাইবেই পক্ষ বেছে নেওয়া হোক। তাই না?

    অথচ ঘটনা হল, এটা একেবারে ভুল ধারণা, যে সুসম্পর্ক মানে কারুর করা ভুল বা অন্যায়ের প্রতি চোখ বুঁজে থাকা। বরং যথা সময়ে এই ঠিক ভুল সংক্রান্ত ফীডব্যাকগুলো মানুষকে অনেক ভুলভাল কাজ করা থেকে বিরত রাখে।
    ----------------------------------
    07 February 2017 15:59:41 IST 190.179.142.27 (*) #
    লসাগু কে ক -
    "তো, গুরুচন্ডালি-তে দেখলাম সৈকত খাসা সফ্টওয়্যার লিখেছে, আর একদম খুল্লমখুল্লা আনমডারেটেড আবহাওয়া। আর, নানারকমের সব লেখাপত্তর। এর নাম যদি গুরুচন্ডালি না হয়ে, বামাচরণ হত তাও আমি আসতাম। নাম বা লিকার বা প্যাঁচা দেখে আসি নি।" যাইহোক লিরিকাল গুরুতে পূর্বপ্রকাশিত ঋণস্বীকার করলে ভালো করতো,ব্যাপারটা অনৈতিক হয়েছে ।
    কিন্তু ৯ কার বর্ণ কবে থেকে গুরুর একচ্ছত্র সম্পত্তি হলো ? !
    -----------------------------------------------------------
    তোমাদের বক্তব্যগুলোকে আনলাম না। তোমাদের লেখার বাইরে আমার কাছে যেগুলো প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েচে, একেবারেই আমার ব্যক্তিগত স্তরে, সেগুলোই দিলাম, হয়তো আরও অনেক দেওয়া যেত, তবে কেউই আর পড়ত না (এখনও পড়বে কি?)

    কিন্তু ভেবে দ্যাখো, আজ যাদের অনৈতিক বলছ, তাদের অনৈতিকতাকে কি দিনের পর দিন সমর্থন করনি আগে? কখনও প্রশ্রয় দাও নি? ঐ কি বলে না, ‘কাঠ খেলে আংরা দাস্ত হবে।’

    দুঃখজনক হচ্ছে যে এই ধরণের ঘটনার পরের আবহে সবার মধ্যে একটা অসুস্থ অবিশ্বাসের, সন্দেহের বিষবাষ্প জমে। তোমাদের মধ্যে সেটা না হলেই ভাল। যদিও এই অতিরিক্ত বাতিকগ্রস্ত সন্দেহপ্রবণতা কেউ কেউ চেষ্টা করেও নিজের মন থেকে সরাতে পারে না।

    পরিশেষে, এটাকে থামাও এবার। নিজেরা স্বমহিমায় উজ্জ্বল থাকো! যে ক্লাব্গুলো শুধু দুর্গা পুজায় দৃশ্যমান হয়, তারা সারা বছর ক্লাব চালাতে পারে না।

    তবে যদি প্রকাশনা, খ্যাতি, ইত্যাদির বাসনা তীব্র হয়ে থাকে, তাহলে কাউকেই কিচ্ছুটি বা কিস্যু বলার নেই।
  • ট্যারান টুলা | 131.241.218.132 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৩২53448
  • @ডিসি - এই তো সময় গড়পড়তা বাঙালীর নিজের জাত চেনানোর। মুখে ঢাকাচাপা দিয়ে আলবাল কিছু বলে সটকে পড়াই তো ট্র্যাডিশন।
  • তাতিন | 213.110.242.24 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৩৩53559
  • ওরে বাবা অ্যাটম!
  • সিকি | 57.30.16.30 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৩৪53449
  • আমিও প্রতিবাদ জানালাম ঐ বক্তব্যটির। খুব নোংরা মানসিকতার প্রকাশ।

    আর তাতিনকে, তোমার ব্যাখ্যা আরো বেশি বিরক্তিকর লাগছে। লোকের নেকুপুষুমনা সারাবার দায়িত্ব তুমি যেচে নিজের ঘাড়ে নিতেই পারো, তবে এটা মনে রেখো, তোমাকে কেউ দায়িত্ব দেয় নি।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৪৪53450
  • এই একটা নেগেটিভ ব্যাপার -- ইউজার রেজিস্ট্রেশন নাই, লগ ইন নাই, আইডেন্টিটি-লেস, ফেসলেস এন্টিটি হিসাবে যার নামে যখন যা খুশি লেখো।
    ক্লোজ্‌ড্‌ সাইটেও হতে পারে, তবে ঐ আর কি, অন্তত কষ্ট করে একটা ফেল আইডি বানাতে হবে, এসেট্রা।
  • দুপয়সা | 190.179.40.51 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৪৮53451
  • ১। গুরুতে পূর্বে খসড়া রূপে প্রকাশিত লেখাই যেত ।এটা ভদ্রতা - এতে লিরিকালের মর্যাদা বাড়তো,টুকলিবাজ তকমা গায়ে লাগতো না । যদিও প্রকাশিত লেখার লেখকের নাম একই আছে এবং কন্টেন্টের অধিকার লেখকের গুরুতেই বলা হয় । গুরুতে যেহেতু আইপি লগ হয় আদালতে সহজেই প্রমান করা যাবে অমুক তারিখে লিখিত লেখকের পরিচয় কি , গুরুকে মাস্ক আইপির এলগো ওপেন করতে হবে আদালতে ।
    ২।আইনি জ্ঞান যেটুকু আছে তাতে বলি স্বরবর্ণ লি ( ৯ ) বা বাংলা সংখ্যা নয় ( ৯) দুটোর কোনোটাই গুরুর কপিরাইট নয়, আর কেউ কোনো সংখ্যায়/শব্দে ইউজ করলো কিনা সেটা আদালত ধর্তব্যে আনবে না। এবার সেই ৯ লেখার ফন্ট স্টাইল ক্যালিগ্রাফি সেটা কি কপি হয়েছে ?
    ৩। যদি বাড়ির মালিক অনুমতি দেয় একই বাড়িতে একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, একই তলায় একাধিক রুমে একাধিক সংস্থা ধর্মতলায় প্রচুর আছে ।
  • Bappa | 113.197.82.111 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৪৯53560
  • আরেকটু সংযোজনঃ-
    সম্ভবতঃ পিনাকী লিখেছে, "কেউ তো আর ১০০% শয়তানি মাথায় নিয়ে চলে এমন নয়।"

    মানতে পারলাম না, তার উদাহরণস্বরূপ নীচ একটা লিঙ্ক দিলাম।
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=29488&boxid=163514267

    যদি এরকম কেউ এই নতুন দলে থাকে, যদি???!!!.....
    থাকতে পারে হয়তো।
  • তাতিন | 233.176.94.173 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫৮53453
  • ক) আমি নিজের দায়িত্বেই লিখছি সেটা আলাদা করে বলার দরকার জানতাম না

    খ) টারান্টুলাকে, মাল্লু বা সাউথ কোরিয়ান ফোরামে অনুরূপ আলোচনায় মুখে ঢাকাচাপা দিয়ে আলবাল কিছু বলা হয় না?
  • তাতিন | 233.176.94.173 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫৮53452
  • ক) আমি নিজের দায়িত্বেই লিখছি সেটা আলাদা করে বলার দরকার জানতাম না

    খ) টারান্টুলাকে, মাল্লু বা সাউথ কোরিয়ান ফোরামে অনুরূপ আলোচনায় মুখে ঢাকাচাপা দিয়ে আলবাল কিছু বলা হয় না?
  • Pi | 74.134.66.54 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৫৯53454
  • হুম। বন্ধুত্ব ব্যাপারটা বোধহয় সবার জন্য আলাদাই হয়। যে লেভেলের স্ল্যান্ডারিঙ্গ হয়েছে সেটা দেখলে আমি বন্ধুদের হয়ে থাকতে বা ক্ষমা চাইতে বলতাম কিম্বা বন্ধুদের রাখতেই অস্বস্তি হত। বন্ধু বলে বা বলেই দিনের পর দিন ভুলভাল কাজ ইগনোরযোগ্য বা প্রতিবাদ অযোগ্য , বা যে ভুগছে সেই প্রতিবাদ করবে, সেও আবার ঐ ঠিক কাজ আন বাপুর বাইরে টাকায় যাবেনা বা করলেও আমার মত করেই এটা করতে পারতাম না।
    আন
  • Pi | 74.134.66.54 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:০৮53455
  • ২। লি কে ৯ ( নয় নয় ) দিয়ে লেখা নিয়ে বলা হয়েছে। আপনি বোধহয় বোঝেননি।
    ৩। কেন যাবেনা। এটা লিগস্ল নয় এমন কথ বলা হয়নি। এটাও বুঝতে ভুল হয়েছে। কিন্তু অন্য যাদের ঠিকানা আছে , তাদের সেটা জানানো ভদ্রতা।
    আর এটা করা লোকহনকে বিভ্রান্ত
    করার জন্য , এটা তো ঘটনা। উপরে লিখেচি।

    লসাগুদাকেও বলি, আমার কাল্কের পোস্টটা পড়ে দেবেন। একটা থেকে বা ভেঙ্গে অন্য প্রকাশনা হওয়াটা কোন ইস্যু। কোন্টা কেন ইস্যু , লেখা আছে।
  • ছেনো | 233.191.3.46 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩১53561
  • ছোটলোক দেখলাম একই কথা বারবার লিখে যাচ্ছেন । ওনাকে খালি এইটুকুই বলার গুরুতে যদি কোনো অজ্ঞাতসারে অনিয়ম হয়েই থাকে ট্যাক্স ইত্যাদি নিয়ে গত দশ বছরে তাহলে সেই দশ বছরের মধ্যে ন বছর লিরক্যালের লোকেরাই এটা চালিয়ে গেছেন কেননা তাঁরাই তখন গুরুর অপারেশন চালাতেন , মায় অ্যাকাঊণ্ট এ অবধি এখনও আছেন । ডেবিট কার্ড আর পিন তো এই সেদিনকে দিয়েছেন সেটা নিজেরাই স্বীকার করেছেন ।

    সুতরাং ছোটলোক বন্দুকটা কোনদিকে তাক করবেন এইবারে ঠিক করে নিন
  • s | 60.158.182.25 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩৪53457
  • সবকিছু পড়ে খুবই খারাপ লাগছে।
    রঞ্জনদা এবার বোধহয় রিটায়ার করলেই ভালো হয়। আপনার কথাগুলো পড়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টাও অনেক কম কষ্টসাধ্য মনে হচ্ছে।
    লিরিকাল নামটাতে ঐ ৯ না থাকলে বিন্দুমাত্র আকর্ষনীয় হত না এটা বাচ্চা ছেলেও বুঝবে। সেই ৯ কতটা ব্যাঁকা, কতটা মোটা, আর গুরুর ৯ এর থেকে কতটা আলাদা, এই সব যুক্তি, কি বলে নেহাতই শিশুসুলভ।
    --------
    দামী বই থেকে লেখকেরও দু পয়সা আসছে বলে কি ওদিকে ভিড় হচ্ছে? নিছকই অনুমান।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৩৪53456
  • এই অনেক সমস্যাই এভয়েড করা যেত যদি যাঁরা এখন তীব্র বেদনাহত হয়েছেন বলে মনে করছেন, তাঁরা যখন এগুলো ঘটছে, তখন বন্ধুবিচ্ছেদের ভয় না পেয়ে সরাসরি বলতেন - "ভাই সুমেরু, সবই তো ঠিক আছে, কিন্তু ৯ টা কি না রাখলেই নয়? বা কাবলিদার বাড়ীর ঠিকানাটা?" অথবা নিতান্ত এইটাও যদি বলতেন - "ভাই এত কিছু যে করছ, সৈকত, ঈপ্সিতা বা শমীক - এরা জানে তো? এদের সাথে কথা বলেছো তো?" যে সময় একটা নৈতিক অবস্থান নেওয়ার ছিল, সেসময় না নিয়ে এখন হাহুতাশ করার কোনো মানে আছে বলে মনে হয় না। ঠিক সময়ে ঠিক ফীডব্যাক পেলে কে বলতে পারে, হয়তো সুমেরুদারাও বুঝতো যে একটা লাইন ক্রস করা হয়ে যাচ্ছে। হয়তো অন্যভাবে ভাবতো। কেউ তো আর ১০০% শয়তানি মাথায় নিয়ে চলে এমন নয়। কিন্তু লাইন ক্রস করার সময় তারা প্রশ্রয় পেয়েছে। তারা ভেবেছে 'গুরুর বিবেক' বলে পরিচিত জনতা (রঞ্জনদা ইত্যাদি) আমাদের সঙ্গে আছে, অতএব চলো, কোনো ব্যাপার না। এই দায়টা যাঁরা প্রশ্রয় দিয়েছেন তাঁরা এড়াতে পারেন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন