এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাতের থালায় লুকিয়ে আছে সাদা শয়তান

    Gautam Mistri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ মে ২০১৬ | ২১৪৫২ বার পঠিত
  • ইংরেজী ভাষায় একটা প্রবচন আছে – “The whiter the bread, the sooner you’re dead”, অর্থাৎ রুটি (প্রকারান্তরে ভাত) যত সাদা হবে আপনি তত তাড়াতাড়ি মারা যাবেন। ভাত সাদা হবে নাতো কি লাল হবে? ভ্রূ কুচকে গেলেও প্রস্তাবটা তেমনই। কিছু কিছু দেশে লাল ভাতের কদর সাদা ভাতের চেয়ে বেশী। চীনদেশে ও থাইল্যান্ডে লালভাতের চাহিদা আছে। শ্রীলঙ্কায় পাঁচতাড়া হোটেলেও ভাত চাইলে লালভাতই পাওয়া যাবে। অন্যান্য তৃণভোজী প্রানীরা ঘাসপাতা বেছে খেলেও শস্যদানা এযাবৎ আস্তই খেয়ে এসেছে, এখনও তাই খায়। বেশী বুদ্ধিমান প্রানী হিসেবে মানুষ প্রথম কি করেছিলো জানা নেই। কালের বিবর্তনে মানুষ ক্রমশঃ ঘাস জাতীয় গাছের বীজ অর্থাৎ ধান ও গমের খোসা ছাড়িয়ে খাবারের স্বাদ পেয়ে গেল। এতে যদিও খাবার চিবানো আর হজম করা সহজ হল আর শস্যবীজের খোসার মধ্যে থাকা তেল জাতীয় পদার্থের বর্জনের ফলে শস্যবীজের অধিক সময়ের জন্য সংরক্ষনের সুবিধা হয়ে গেল। তেল জাতীয় পদার্থ মিশ্রিত শস্যদানার গুঁড়ো হাওয়ার সংস্পর্শে এলে বেশীদিন অবিকৃত থাকে না। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী মানুষের খাবারের টেবিলে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশই শস্যবীজের দখলে। প্রাতরাশের রুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, স্যান্ডউইচ বা গ্রামবাংলার পান্তা; মধ্যাহ্নভোজের ভাত বা রুটি, বিকালের জলখাবারের মুড়ি, বাদাম, চপ, কাটলেট, পিৎজা, পাস্তা আর রাতের খাবারের রুটি বা ভাত — এই গুলোই খাবারের প্রধান অংশ। সঙ্গের পদগুলো বৈচিত্র্যময় হলেও পরিমাণের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাধান্য পায় না।ভাত বা রুটি আমাদের প্রধান খাবার; যদিও পৃথিবীর কোন কোন জনগোষ্ঠীর খাবারের থালায় মাঝেমধ্যে প্রধান খাদ্য হিসেবে আলুর দেখা মেলে। তা সে চালই হোক বা গমই হোক, ঘাস জাতীয় শস্যদানার অবিকৃত গঠন একই রকম।

    বর্তমানে প্রচলিত ধান থেকে চাল বানানোর মেশিনে ধানের বাইরের খোসা (ব্রান) আর মধ্যবর্তী অংকুর বা বীজযুক্ত আবরণ (জার্ম) ছাড়িয়ে ভেতরের সাদা (এন্ডোস্পার্ম) অংশটি ব্যবহারের জন্য আলাদা করা হয়। চাল ও আটার সওদাগরেরা প্রায় ২৫ ধরণের রাসায়নিকের সন্ধান জানেন যার দ্বারা এরপরে একে আরও চকচকে, লোভনীয় ও সুস্বাদু বানানো হয়। ধান গাছের নিজের বংশবৃদ্ধির জৈবিক প্রয়োজনের অংকুরটি হল মাঝের “জার্ম” অংশটি। তাকে রক্ষা করার জন্য ও অঙ্কুরোদগমের সময় প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগায় বাইরের খোসাটি। ভেতরের সাদা যে অংশটি আমরা চাল হিসাবে বেছে নিই সেটা মামুলি ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ বর্জিত জটিল শর্করা। চালের তুষে বাইরের খোসা আর মাঝের প্রাক- অঙ্কুর (জার্ম) থাকে। ভবিষ্যতের শিশু উদ্ভিদটির বীজের (মূলতঃ প্রোটিন) পুষ্টির প্রয়োজনীয় সংকেতওয়ালা জিন এই মধ্যেকার আবরণে থাকে।বাইরের খোসায় থাকে প্রতিরক্ষার বর্ম হিসাবে ফাইবার, ভিটামিন আর প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। মধ্যেকার এন্ডোস্পার্ম অংশ, যেটাকে আলাদা করে পরিশোধিত চাল অথবা সাদা আটা আর ময়দা খাবার জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা নিছক শর্করা। বীজ থেকে জন্মানোর পরে সদ্য অঙ্কুরিত উদ্ভিদটির পাতা সৃষ্টির আগে পর্যন্ত (অর্থাৎ যখন নবঅঙ্কুরিত উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষের বা photosysthesis মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুতের জন্য অপরিণত) উদ্ভিদের শর্করার প্রয়োজন মেটায় ভেতরের এন্ডোস্পার্ম অংশটি।

    শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট অপেক্ষাকৃত সস্তা আর আসক্তি উদ্রেককারী খাবার। তাই সহজে আমাদের খাবারে বড় অংশের অংশীদার হয়ে পড়ে। যত চকচকে সুদৃশ্য লম্বাদানার পালিশ করা পরিশোধিত চালের ভাত হবে, পেট ভরানোর জন্য তত বেশী পরিমানের ভাতের প্রয়োজন হবে আর তাড়াতাড়ি হজম হয়ে আবার খিদে পাবে। শর্করা জাতীয় খাবারে আসক্তি আমাদের অগোচরে ঘটে যায়। মিষ্টির দোকানের প্রতি আকর্ষন একরকমের প্রাদুর্ভাবের মত আমাদের আগ্রাস করেছে যদিও এটা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি নয়। ঘটনাচক্রে শর্করা জাতীয় খাবারের প্রতি এই আসক্তি সচেতন পশ্চিমী দুনিয়ার প্রতিপত্তিবান নাগরিকদের চেয়ে আমাদের মত গরিব দেশগুলোর (ধনী দরিদ্র সবার) মধ্যে বেশী পরিমানে দেখা দেয়। গত শতাব্দীর আটের দশকের জনপ্রিয় হলিউডের চলচিত্র “প্রেটি উওম্যান”-এর একটা দৃশ্যের কথা প্রাসঙ্গিক। বিলাসবহুল হোটেলের পেন্টহাউসের প্রাতরাশের টেবিলে ধনী নায়ক গরীব নায়িকার সামনে সযত্নে চয়ন করে রাখা ফল, বেরি আর সসেজ-স্যালামি পুর্ণ দুটো থালা পেশ করলেন। প্রিয় নায়কের ভালোবাসা মেশানো সুষম খাবারের প্রাতরাশের থালা ঠেলে ফেলে,নায়িকা দূরে রাখা ঝুড়ি থেকে ময়দা-মাখন-মিষ্টির সংমিশ্রণে তৈরী মিষ্টি পাউরুটি তুলে নিলেন।

    আমাদের মত গরিব গুর্মোর দেশে “ভিক্ষার চাল কাড়া না আকাড়া” এই ধরণের তর্কের অবকাশ আছে। সস্তার খাবার হিসাবে শর্করা আমাদের প্রয়োজন, মুস্কিল হয় এতে আসক্তি জন্মে গেলে। শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার জন্য খাদ্যে অন্যান্য খাদ্যাংশের মত নির্দিষ্ট পরিমাণে শর্করাও প্রয়োজন। খিদে পেলে খাবারের বন্দোবস্ত তো করতেই হয়। মনে রাখতে হবে, আগের কিস্তির খাবার কেবল পেট (পাকস্থলি) থেকে জায়গা খালি করে রক্তে মিশেছে। ফলেই খিদে পেয়েছে। আগেকার খাবারের যে অংশটি তখনও খরচ করা যায়নি, কেবল রক্তে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটা যাবে কোথায়? খাবারে শর্করার আধিক্যে প্রথমে অব্যবহৃত শর্করা সীমিত পরিমাণে যকৃতে (লিভার) গ্লাইকোজেন হিসাবে জমা হয়। যকৃতের ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেলে, অব্যবহৃত শর্করা চর্বি হিসাবে শরীরের অপ্রিয় জায়গা গুলোতে জমা হতে থাকে। তাই পেট ভরাতে হবে এমন খাবার দিয়ে, যেটা পেটে অনেকক্ষণ থাকবে, দেরীতে হজম হবে ও দেরীতে খিদে পাবে, ইতিমধ্যে চর্বি হিসাবে জমা হবার জন্য দাঁড়ানো গ্লুকোজের লাইন লম্বা করবে না।

    পুনরাবৃত্তির দোষ এড়ানোর জন্য শর্করার গ্লুকোজে পরিণত হবার হার (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) আর গ্লুকোজে পরিণত হবার পরিমাণ (গ্লাইসেমিক লোড)-এর বিস্তারিত আলোচনা এড়ালাম। শ্বেতশুভ্র পঞ্চবিষের প্রথম পর্বে (চিনি যখন বিষ) এর আলোচনা পাওয়া যাবে। আমাদের খাবারের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে বেছে নিতে হবে, আর সেই শর্করা হবে তন্তু (ফাইবার), ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ জটিল শর্করা। আস্ত শস্যদানা সেই প্রয়োজন ভালোভাবেই মেটায়।যে কারণে চিনি দুষ্ট, সেই কারণে সাদা, চকচকে, সরু, লম্বা সুগন্ধিত পরিশোধিত চালও সমমাত্রায় ক্ষতিকারক। সোজা কথায় বলতে, মূলতঃ দুটি কারণে মেশিনে ছাটা চকচকে সাদা চালের ভাত, ময়দা আর বাজারে উপলব্ধ সব রকমের বেকিং করা খাবার (পাউরুটি, কেক, কেক, বিস্কুট, কুকিজ, প্যাটিস, সিঙ্গারা, নিমকি ইত্যাদি) বর্জনীয়। প্রথমতঃ এসব খাদ্যের মূল উপাদান শস্যদানার বাইরের আবরণের ফাইবার (তন্তু) ও ঠিক তার নীচের অংশের (বীজ বা র্জাম) ভিটামিন ফেলে দেওয়া হয়েছে, পড়ে রয়েছে কেবল শর্করা (empty calorie)। দ্বিতীয়তঃ, খাবারে যত পরিশোধিত শর্করা থাকবে সেটা তত তাড়াতাড়ি হজম হবে অর্থাৎ গ্লুকোজে পরিণত হবে, রক্তে চিনির মাত্রা তত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে (উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের জন্য) তন্তুবিহীন হবার জন্য অধিক পরিমাণে শরীরে গ্লুকোজ জমতে থাকবে (উচ্চ গ্লাইসেমিক লোডের জন্য)। অব্যবহৃত গ্লুকোজ চর্বিতে পরিণত হতে থাকে, পরে দীর্ঘ সময়ের অভুক্ত থাকাকালীন সময়ে শক্তি যোগানোর জন্য। কিন্তু সেই অভুক্ত অবস্থার অবকাশ আর ইহ জীবনে আর হয়ে ওঠে না।

    এক বা দুই পুরুষ আগেও খাবারের থালায় ঢেঁকিছাঁটা চাল থাকতো, প্রাতরাশে চিড়ে, মুড়ি, থাকতো। বরিশালের বালাম চালের কথা শুনেছেন? লালচে ঢেঁকিছাঁটা বালাম চালের খ্যাতি আছে। ঘরোয়া এবং নিকট প্রতিবেশী দেশের সেই খাদ্যসংস্কৃতি অবহেলা করে দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা পশ্চিমী খাবারের বাছাই করা ক্ষতিকারক খাবারগুলো গ্রহণ করেছি। স্বাস্থ্যহানিকর বিস্কুট, পাউরুটি ও অজস্র বেকিং করা খাবার, চটজলদি খাবার, মেশিনে ছাঁটা সুদর্শন সুঘ্রাণযুক্ত চালের ভাত আমাদের খাবারের মূখ্য অংশ। ইদানিং কালে যে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের বাড়বাড়ন্তের কথা শোনা যাচ্ছে তার প্রধাণ কারন বিকৃত খাদ্যাভ্যাস। আঠারোশো খ্রিস্টাব্দে বিদেশে যন্ত্রচালিত ধান ও গম ভাঙা কলের আবিষ্কার হয়েছিলো। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সেই প্রযুক্তি আমাদের গ্রাস করে আমাদের খাদ্যাভ্যাস পালটে দিয়ে। বংশ পরম্পরায় আমাদের রোগ সৃষ্টিকারী জিনের পরিবর্তন করে আমাদেরকে দুনিয়ার সবচেয়ে হৃদরোগের ও ডায়াবেটিসের মত মারণ রোগের উপযোগী করে তুলেছে। আরও কারণ আছে, তবে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা মূখ্য। আমরা পেটে যা ঢোকাচ্ছি, তাই দিয়েই তৈরী হচ্ছে আমাদের পার্থিব এই শরীর। কখনো কখনো পরিশোধিত শস্যদানা বা তার থেকে প্রস্তুত খাদ্যবস্তুতে অতিরিক্ত ভিটামিনের অন্তর্ভুক্তির (enriched, fortified) কথা বলা হয়ে থাকে। সেটা পরিমাণে প্রাকৃতিক পরিমাণের চেয়ে কম ও মানের দিক দিয়ে সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের।এখন বাজার ব্রাউন পাউরুটিতে ছেয়ে গেছে, তারমধ্যে অধিকাংশই কেবল রঙ করা সাদা পাউরুটি মাত্র।

    তাহলে উপায় কি?
    গম জাতীয় শস্যদানা থেকে প্রস্তুত আটার ক্ষেত্রে পূর্ণদানা থেকে প্রস্তুত খাবার, রুটি ইত্যাদি ব্যবহারে অসুবিধা নেই। কেবল বাদামি রঙ দেখে পূর্ণদানার পাউরুটি চেনা যাবে না, প্যাকেটের ওপরে “whole grain” লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে। কৃত্রিম উপায়ে পালিশ করা নয়, মোটা দানা লালচে চালের ভাতই শ্রেয়। পেট ভরানোর জন্য এই চালের ভাত পরিমাণে কম লাগে বলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সুস্বাদু, সুদর্শন আর সুগন্ধিত নয় এই সব কারন ছাড়াও পূর্ণদানার শস্য থেকে তৈরী খাবার বেশী চিবোতে হয় বলেও অনেকের এটা অপছন্দ। মনে রাখতে হবে, এটা এগুলোর গুণ হিসাবে দেখা উচিত। বেশী চিবোনোর জন্য খেতে সময় বেশী লাগলে আমাদের ভক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রক মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস সক্ষমভাবে কাজ করতে পারে। ওজন বশে রাখায় এটা বেশ কাজে আসে। তন্তুসমৃদ্ধ আস্তদানার গমের আটা ও মোটা লালচে চালের ভাত অনেকক্ষণ পাকস্থলীতে থেকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বহুক্ষন ধরে শক্তি যোগাতে থাকে, কৃত্রিমভাবে তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। সঙ্গে অঙ্কুরিত ছোলা এবং ডাল (সবুজ খোসাওয়ালা মুগ, বিনস) জাতীয় খাবার থাকলে ভালো হয়। পরিভাষায় একে লেগুমস (legums) বলা হয়ে থাকে। এতে যথেষ্ট তন্তু ও প্রোটিন থাকে। পূর্ণদানার শস্যবীজকে আমরা ভালো শর্করা বলব। ভালো শর্করায় অতিরিক্ত গুণ হিসাবে পাওয়া যাবে রোগপ্রতিরোধকারী এন্টিঅক্সিডেন্টস, “ই” ও “বি” শ্রেণীর ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর বহুশৃঙ্খলের অসম্পৃক্ত স্নেহ জাতীয় খাদ্যাংশ (polyunsaturated fatty acid)।

    পরিশোধিত শস্যদানা থেকে প্রস্তুত প্রক্রিয়াকৃত খাবারে (যেমন পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, কুকিজ, চানাচুর, পাস্তা, নূডলস, পিৎজা ইত্যাদি) তন্তু ও ভিটামিনবিহীন শর্করা থাকে সেটা আমাদের শরীরে চিনির মত কাজ করে। এই ধরনের চাল বা আটা / ময়দা থেকে প্রস্তুত করা খাবার রক্তে সুগারের ও ট্রাইগ্লিসারাইডের (এক ধরনের রক্তে প্রবাহমান স্নেহ জাতীয় পদার্থ) মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও পেটে চর্বি জমতে থাকে। এর সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায় আর ওজন বেড়ে যাবার জন্য হাঁটু ও অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ বা অতিমাত্রায় প্রকট ধরণের নিরাময়ের অযোগ্য বাতের রোগ (osteo-arthritis) সৃষ্টি করে। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম ডেভিসের মতে পরিশোধিত শস্যদানা একটি নিখুঁত মধুমাখা বিষ, যেটা নেশা ধরায় আর তিল তিল করে নিশ্চিতভাবে হৃদরোগ আর ডায়াবেটিসের মত অনিরাময়যোগ্য রোগের দিকে ঠেলে দেয়। সাদা পাউরুটির দুটি স্লাইস ছ’চামচ চিনি আর একটা চকলেটের বারের চেয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশী পরিমাণে বাড়ানোর ক্ষমতা ধরে।

    আমাদের প্রপিতামহগণ হলদে সোনালি গমের আটা আর লাল মোটাদানার ভাতে ক্ষুন্নিবৃত্তি করে স্বাস্থ্যখাতে নিয়ন্ত্রিত খাতে বেশ বেঁচে বর্তে ছিলেন। বিগত পঞ্চাশ বছরে জিনের ওপর খোদকারী করে উচ্চফলনশীল খর্বাকৃতি শস্যের বিপ্লবের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে অনেক বেশী করে শস্যদানা উৎপাদন করে শস্যভান্ডার গড়ে তুলেছি। ফলে অদূর ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা এড়ানো গেছে। অধিক ফলনশীল শষ্যের স্বাস্থ্যের উপর নিরাপত্তার নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা করা হয়নি। নতুন ধরণের এই গমে “পরিবর্তিত ধরণের গ্লায়াডিন (gliadin)” নামে একধরনের প্রোটিন থাকে যেটা গম জাতীয় খাবারের গ্লুটেন (gluten)-এর সমগোত্রীয়”। গ্লুটেন এন্টেরোপ্যাথি নামে একধরনের আন্ত্রিক রোগ ছাড়াও গ্লায়াডিন আমাদের মস্তিষ্কে আফিং (morphine) জাতীয় রাসায়নিকে রূপান্তরিত হয়ে “ভালো লাগা” (feel good effect) ধরনের নেশা ধরায় ও খিদে বাড়ায়। দেখা গেছে, পরিশোধিত সাদা আটা ও ময়দার খাবার দিয়ে পেট ভরাতে হলে দৈনিক প্রায় ৪০০ কিলোক্যালোরি বেশী খাওয়া হয়ে যায়।২০০৪ সালের এক গবেষণায় (Ludwig 2004, Lancet), লাল আটার চেয়ে সাদা আটায় ইঁদুরদের পেটে ৭১ শতাংশ বেশী চর্বি জমে যায়।

    দীর্ঘমেয়াদী ভাবে সাদা শস্যদানা খাওয়ার জন্য খাবার অব্যবহিত পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যায়।এমতাবস্থায় রক্তের বিশেষ কিছু প্রোটিনের সাথে শর্করার বিক্রিয়ায় (glycation) “এডভান্সড গ্লাইকেসন প্রোডাক্টস (AGP)” তৈরী হয়ে যায়। এডভান্সড গ্লাইকেসন প্রোডাক্টস রক্তনালীর প্রদাহের (inflammation) এক অন্যতম কারণ। অধুনা প্রকট হয়ে আত্মপ্রকাশ করা বিভিন্ন হৃদরোগ ও সেরিব্রাল স্ট্রোকের কারণ হিসাবে পরিশোধিত শস্যদানা একটা প্রধান নিয়ন্ত্রক। এই ধরনের শ্বেতসার (শর্করা, কার্বোহাইড্রেট) খাবার ফলে উদ্ভুত উচ্চ মাত্রার রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন করার জন্য অধিক মাত্রায় ইনসুলিনের ডাক পড়ে। দীর্ঘসময় অতিমাত্রায় ইনসুলিনের প্রভাবে শরীরের কোষসমূহে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে (insulin resistance)। এর অবধারিত ফল হিসাবে পেটে এক বিশেষ ধরনের ক্ষতিকারক সক্রিয় চর্বি জমতে শুরু করে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ হল এর অন্তিম পরিণতি।

    আমাদের খাবারের মূখ্যভাগ হিসাবে অপরিশোধিত শস্যদানার ফাইবার বা তন্তু রক্তে চিনির মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ানোর সুফল ছাড়াও আরও উপকার করে। মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। ঝাড়ুদারের ভূমিকা পালন করার মত পৌষ্টিক তন্ত্রের রোগজীবানু ও অন্যান্য ময়লা সাফ করে। বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। অন্ত্র থেকে রক্তে কোলেষ্টেরলের মিশ্রণ কমায়। অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগের প্রকোপ হ্রাস করে। শস্যদানা সমৃদ্ধ খাবার রক্তে অম্লতা বাড়িয়ে দেয়, যেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাড়ের থেকে ক্যালসিয়ামের ডাক পড়ে। হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে গেলে হাড় ভেঙ্গে যাবার প্রবনতা বেড়ে যায়।

    খাবারের শস্যদানার নির্বাচনের সময় তার সঙ্গে অংকুরিত ডাল ও ছোলা জাতীয় খাবার (স্প্রাউট, লেগুম) অন্তর্ভুক্ত করলে বিশেষ লাভ হবে। এতে প্রয়োজনীয় ফাইবারের সাথে সাথে ভিটামিন ও বেশ খানিকটা প্রোটিনও পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক ভিটামিন কৃত্রিম রাসায়নিক উপায়ে প্রস্তুত ভিটামিনের চেয়ে বেশী কাজে আসে। অংকুরিত শস্যদানার শর্করা খাবারের থালায়ই মলটোজে পরিণত হয়ে হজমের প্রথম ধাপ পেরিয়ে থাকে। বদ হজমের সম্ভাবনা নির্মূল করে। খাবারে শস্যদানার সাথে কাঁচা বাদাম জাতীয় খাবার মিশিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে বিশেষ উপকার হয়। এতে রক্তে চিনির মাত্রা কমে ও উপকারী অসম্পৃক্ত ফ্যাট পাওয়া যায়, যেটা রক্তের ক্ষতিকারক লঘু ঘনত্বের কোলেস্টেরল কমায়।

    খাবারে শস্যদানা মুখ্য অংশ অধিকার করে থাকলেও এর অপরিহার্যতা সব বৈজ্ঞানিকগন স্বীকার করেন না। কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগে আদিম মানুষ শস্যদানা ছাড়াই জীবিকা নির্বাহ করত। শস্যদানার এই বিকৃত রূপে অভ্যস্ত হবার পিছনে ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্র আছে। পরিশোধিত শস্যদানায় মধ্যেকার জার্মের অংশ না থাকার জন্য গুদামে আর খাবারের দোকানের আলমারিতে বহুদিন পর্যন্ত শস্যদানা সংরক্ষন করা যায়। আসলে আমরা শস্যদানা ছাড়াই বেশ সুস্থ থাকতে পারি। সেটা বড় বিপ্লব। যতক্ষন না সেটা সম্ভব হচ্ছে, শস্যদানার পরিমাণ কমানো ও তার গুনমান পরিবর্তন করা জরুরি। রান্নাঘরে এই বিপ্লব করতে পারলে আমাদের শরীর আমাদের প্রচেষ্টা কে অনেক ধন্যবাদ দেবে। “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”-প্রবচন টা ভুলে ভরা। কোন মা যেন এটা বিশ্বাস না করে। ইস, আমার স্কুল জীবনে আমাকে যদি এ সব কথা বিশ্বাস জাগানোর মত করে কেউ বলতো!

    একনজরে
    পূর্ণদানার শস্যবীজের উপকারিতাঃ
    ১। ত্রিশ শতাংশ সেরিব্রাল স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম।
    ২। পঁচিশ শতাংশ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কম।
    ৩। ত্রিশ শতাংশ হৃদরোগের সম্ভাবনা কম।
    ৪। স্থূলতা হ্রাস।
    ৫। হাঁপানির প্রকোপ কম।
    ৬। বিভিন্ন প্রদাহজনিত (inflammatory disease) রোগের বোঝা কম।
    ৭। রক্তচাপ বশে রাখা সম্ভব।
    ৮। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে চিরতরে মুক্তি।
    ৯। বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম।
    ১০। সুস্থসবল দাঁত ও মাড়ি।

    যে কারণে পরিশোধিত শস্যদানা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে
    ১। তন্তু বা ফাইবার ও ভিটামিন বর্জিত
    ২। সাদা আটা ও ময়দায় ক্ষতিকারক গ্লুটেন ও গ্লায়াডিনের উপস্থিতি
    ৩। সুদৃশ্য ও সুগন্ধযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ও ব্লিচিং পদার্থের ব্যবহার
    ৪। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও উচ্চ গ্লাইসেমিক লোডের বৈশিষ্টের জন্য খাবার সাথে সাথে দ্রুত ও উচ্চমাত্রায় রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি। এর ফলে প্রথমের দিকে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি ও পড়ে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস।

    পরিশোধিত শস্যদানার বিকল্পঃ
    ১। পূর্ণদানার গমের আটা
    ২। বাদামি পাউরুটি, বহুরকমের শস্যদানা (multi-grain) থেকে প্রস্তুত (মাখন বা ভোজ্যতেল বিহীন) (নরম রং করা বাজার ছেয়ে যাওয়া ব্রাউন ব্রেড নয়)
    ৩। অপেক্ষাকৃত মোটাদানা ও লালচে চালের ভাত (কৃত্রিম উপায়ে পালিশ না করা)
    ৪। চিড়ে, মোটা চালের মুড়ি
    ৫। অংকুরিত ছোলা ও খোসাসহ ডাল
    ৬। ভুট্টা, বাজরা, জোয়ার, ওট

    গৌতম মিস্ত্রী, কোলকাতা, ২৮শে মে, ২৯১৬
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ মে ২০১৬ | ২১৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৭:৫৮53841
  • ঠিক, উনি তো '৪৩ এর দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন। সে তো গ্রিন রিভোলিউশনের আগে।
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:০১53842
  • " সাপ্লাই চেন ইমপ্রুভ করলে খাদ্যের অপচয়ও কমবে, একই শস্য ফলিয়ে বেশী লোক খেতেও পাবে।

    " up to 40 percent of the good, safe food produced in America today never makes it to people’s plates. Instead that 40 percent – or 70 billion tons – goes to waste.
    In America today 49 million people in America face hunger."

    আমেরিকার সাপ্লাই চেন অত্যন্ত খারাপ , একেবারে কহতব্য নয় ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:০৫53843
  • সেকি! 49 million face hunger ! মোট জনসংখ্যাই তো ৩১৫ মিলিয়ন। মানে ১৫% । বাপ্‌রে !
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:১৯53844
  • যাগ্গে, আমেরিকায় পোভার্টি-ওবেসিটি রিলেশনশিপ নিয়ে,
    ... people in America who live in the most poverty-dense counties are those most prone to obesity. Counties with poverty rates of 35% or more have obesity rates 145% greater than wealthy counties....

    Poverty and Obesity in the U.S.
    http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3198075/
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৩৩53845
  • গ্রিন রেভলিউসনের পরের কথা ( একটি মাত্র ) - " Arsenic contamination is spreading fast in 12 states and beyond, with around one lakh people already dead and the chemical entering the food chain through farm products in the region, a committee of secretaries in a report to the government has said." পাঞ্জাবে ১২টি জেলা , হরিয়ানায় ১০-১২ টি ,পশ্চিমবঙ্গে ১২ টি চূড়ান্ত আর্সেনিক । WHO'র মাত্রা ১PPB , দেশের স্ট্যান্ডার্ড ১০ PPB এই সমস্ত জেলাতে আর্সেনিকের মাত্রা ৫০ PPBএর অধিক
    " The council found high quantity of arsenic in potato, brinjal, arum, amaranth, radish, lady finger, and cauliflower, while a relatively low level of accumulation was found in beans, green chilli, tomato, bitter guard, lemon and turmeric." the report said, adding that high-yielding rice varieties have more arsenic accumulation than the local varieties." খান খুবসে খান উচ্চ আর্সেনিক যুক্ত পাঞ্জাবের আলু , লাল গমের আশির্বাদ বাঙলার আর্সেনিক যুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা ) চাল ,হরিয়ানার আর্সেনিক যুক্ত তেল , স্যালাদে আর্সেনিক যুক্ত গাজর - সাপ্লাই চেন ইম্প্রুভ করুন কটক থেকে টিমাবাক্টু গ্রিন রেভলিউসনের ফল হাতে কলমে উপভোগ করুন ।
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৩৫53846
  • হ্যাঁ অ্যামেরিকাতেই তো সাপ্লাই চেন ক্রমাগত ইম্পরুভ হচ্ছেই! তবে আমি ভারতের কথা বলছিলাম, যেখানে আরও ইনএফিসিয়েন্ট। দেবব্রতবাবু অ্যামেরিকার উদাহরন দিলেন কেন বুঝলাম না, তবে যদি বলেন যে পৃথিবীর সব দেশেই সাপ্লাই চেন ইমপ্রুভ করা উচিত আর গ্লোবালি ইন্টেগ্রেটেড লং চেন গড়া উচিত তো একমত।

    আর অমর্ত্য সেন ১৯৬১ পরবর্তী গ্রিন রিভোলিউশান নিয়ে কি বলেছেন সেটাও দেবব্রতবাবু জানালে ভালো হয়।
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৩৯53847
  • "" কিন্তু পাঞ্জাবে গ্রিন রিভোলিউশন না হলে তো ১৯৬১-র খাদ্যসংকটে সারা দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত।" না যেতনা কেন যেতনা তার জন্য অমর্ত্য সেন "

    এখানটা কি রেফারেন্স সহ সাবস্ট্যান্সিয়েট করা যাবে? অমর্ত্য সেনের মুখে কথা না বসিয়ে উনি নিজে পাঞ্জাবে গ্রিন রিভোলিউশন নিয়ে কি বলেছেন (মানে লিখেছেন) জানতে আগ্রহী।
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৪১53848
  • " সেকি! 49 million face hunger ! মোট জনসংখ্যাই তো ৩১৫ মিলিয়ন। মানে ১৫% । বাপ্‌রে ! "

    ওই wiki থেকে " Hunger in the United States is an issue that affects millions of Americans,[1] including some who are middle class,[2] or who are in households where all adults are in work.[2] Research from the Food Safety and Inspection Service found that 14.9% of American households were food insecure during 2011, with 5.7% suffering from very low food security. Journalists and charity workers have reported further increased demand for emergency food aid during 2012 and 2013." বাপরে !

    কিন্তু সাপ্লাই চেন খুব খারাপ সন্দেহ নেই নইলে ১৫% কালকে কি খাবে জানেনা আর ৭০ বিলিয়ন টন খাদ্য নষ্ট হয় ?
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৪৫53849
  • খাদ্য নষ্ট হওয়া কমানোর জন্য আর ফুড সিকিউরিটি বাড়ানোর জন্যই তো সাপ্লাই চেন বেটার করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতেও এই চেষ্টা হচ্ছে।

    কিন্তু অমর্ত্য সেনের রেফারেন্সটা?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৮:৫০53850
  • দেবব্রত,
    না, তা কেন। এই যে দেখো না, শুরু থেকে।

    এশিয়ার অবস্থা '৬০-এর দশক থেকে খারাপ হচ্ছিল --

    By the early 1960s, famine was looming across much of Asia, and the continent’s farmers were ill-equipped to meet the challenge. Asia was running out of suitable agricultural land, and increased productivity looked unlikely.
    Despite government investment in irrigation and fertilizer, most farmers still relied on traditional crop varieties and low-input, low-output farming practices.

    ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য এবং খাদ্যাভাব -

    As the food balance deteriorated, chronic poverty and hunger worsened, and it only took a poor monsoon, which came in 1964, to tip millions of people into famine.

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করা ছাড়া গতি ছিল না --

    Major catastrophes were only averted in the early 1960s with the help of food aid from abroad.

    তখন এলো গ্রিন রিভোলিউশন -

    The new varieties high-yielding wheat and rice were much more responsive to fertilizers and irrigation, and many farmers doubled or tripled their yields. The seeds also grew faster and were insensitive to daylight length, enabling more crops to be grown each year on the same piece of land.

    খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেল, এবং খাদ্যে স্বয়ংনির্ভরতা বাড়ল -

    The result was the doubling of cereal production in Asia between 1970 and 1995, from 310 million to 650 million tons per year. Although the population increased 60 percent over the same period, the rise in food production was so great that cereal and calorie availability per person actually increased nearly 30 percent, and wheat and rice became cheaper.

    জঙ্গল-ও বাঁচল ---

    Undoubtedly the Green Revolution saved huge areas of forest, wetlands, and hillsides from being converted into cropland.

    Up to the mid-20st century, higher production could only be achieved by cultivating more acres. But thanks to new seed varieties, Asia doubled its food production with only a 4 percent increase in land use.

    This remarkable feat prevented the otherwise inevitable soil erosion and loss of biodiversity that follows the deforestation and cultivation of fragile lands.

    কিন্তু কিছু গন্ডগোল ছিল -

    Fertilizers and pesticides were often used excessively or inappropriately, polluting waterways and killing beneficial insects and other wildlife. In some places, poor irrigation and drainage practices caused salt to build up in the soil to such an extent that farmers had to abandon some of their best farmland. Often, water was being used faster than rain could replace it, sending groundwater levels into retreat. Biodiversity also suffered as the new crops took over; many traditional plant varieties were lost. Some of these outcomes were the inevitable result of millions of largely illiterate farmers adopting modern inputs almost overnight.

    বিজ্ঞান ও উন্নততর প্রযুক্তি, এইসব সমস্যার মোকাবিলা করবে -

    The good news is that Green Revolution farming doesn’t have to be synonymous with environmental decay. Practices such as low-till farming, precision placement of fertilizers, integrated pest management (which combines pest-resistant varieties, biological control mechanisms, and pesticides), and improved water management have been developed to increase yields even while reducing water and chemical use.

    তাহলে, এবার আফ্রিকা সবুজ হোক।

    জয় প্রযুক্তি। জয় বিজ্ঞান।
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:০৫53851
  • অমর্ত্য সেনের রেফারেন্স তো তার পুরো বইটার বক্তব্য, গোটা গোটা অক্ষরে লিখে গেছেন যে খরা /বন্যা এবং প্রাকিতিক বিপর্যয়ে ফসল উৎপাদন কম হওয়া দুর্ভিক্ষের সাময়িক কারন কিন্তু ১৯৪২এর দুর্ভিক্ষের কারন খাদ্য শস্য বণ্টন না করা , অসহায় মানুষের দারিদ্রতা নিয়ে ব্যবসা করা ইত্যাদি -ঠিক সেই কারনেই আমাদের দেশে খাদ্য গুদামে পচে অথচ চা বাগানে BMI 17,5, আমেরিকায় ১৫% জনসংখ্যা ক্ষুধার্ত , আফ্রিকা তো হিসাবের বাইরে । সুতরাং " পাঞ্জাবে গ্রিন রিভোলিউশন না হলে তো ১৯৬১-র খাদ্যসংকটে সারা দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত" ইহা ভ্রান্ত ধারনা । সমস্যা উৎপাদনে নয় সমস্যা বণ্টনে এবং চূড়ান্ত অসম বণ্টনে । তার জন্য বৈজ্ঞানিক রেভলিউসন নয় , উচ্চ ফলনশীল স্টেরয়েড নির্ভর শস্য বীজ নয় - সামাজিক বিপ্লব প্রয়োজন । ইহা বোধ হয় ইতিপূর্বে বলেছি এবং তার সাথে গ্রিন রেভলিউসনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে অসহায় ব্যর্থতার কথা । ফিলিপিন্স/ পাঞ্জাব তার উজ্জ্বল বর্তমান উদাহরণ । আর আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভিয়েতনাম / কম্বোডিয়া এই উদাহরণের নবতম সদস্য হিসাবে নাম লেখানর জন্য ইতিমধ্যে খাতা খুলে ফেলেছে ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:০৭53852
  • কিন্তু জনসংখ্যা তো ৩০০% বৃদ্ধি হল।
    খাদ্য উৎপাদন যদি সেই অনুপাতে না বাড়ে তাহলে তো মুশকিল, বন্টনের প্রশ্নই উঠছে না।
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:০৯53854
  • সেন ও দ্রেজের বই "Hunger and public action", এই বইতে ১৯৬১ পরবর্তী পাঞ্জাব বা গ্রিন রিভোলিউশন নিয়ে একটি ওয়ার্ডও নেই।

    সেনের বই "Poverty and Famines An Essay on Entitlement and Deprivation", এই বইটিতে মাত্র একটি জায়গায় পাঞ্জাবের উল্লেখ আছে, সেখানে লেখা হয়েছে (In Indira Rajaraman's ( 1974) pioneering work on poverty in Punjab, in an initial round of optimization, unsuspecting Punjabis were subjected to a deluge of Bengal grams. অর্থাত এখানেও গ্রিন রেভোলিউশান নিয়ে কিছু লেখা নেই।

    তাহলে কি দেবব্রতবাবু স্রেফ নেম ড্রপিং এর জন্য অমর্ত্য সেনের নামটা ধপাস করে ১৯৬১র গ্রিন রেভোলিউশানএর ঘাড়ে ফেলে দিলেন?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:০৯53853
  • আচ্ছা দেবব্রত,
    তোমার কি কোনো বন্টন ব্যবস্থা জানা আছে যাতে করে ৩০ কোটি মানুষের চাল/গম দিয়ে ১২০ কোটি মানুষের পেট ভরানো যায়।
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:১২53855
  • "অমর্ত্য সেনের রেফারেন্স তো তার পুরো বইটার বক্তব্য, গোটা গোটা অক্ষরে লিখে গেছেন যে খরা /বন্যা এবং প্রাকিতিক বিপর্যয়ে ফসল উৎপাদন কম হওয়া দুর্ভিক্ষের সাময়িক কারন কিন্তু ১৯৪২এর দুর্ভিক্ষের কারন খাদ্য শস্য বণ্টন না করা "

    তার মানে ১৯৪২ এর কথা ১৯৬১ পরবর্তী সময়ের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন? :d আগে একটা টইতে অবশ্য একটা ০ বাদ পড়ে গেছিল :d
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:১৩53856
  • আর গ্রিন রিভোলিউশন না এলে তো সব জঙ্গল এদ্দিনে চাষের জমিতে চলে যেত। নতুন টেকনলজিতে একই জমিতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ল, তবেই না জঙ্গল রক্ষা পেল। পরিবেশ বাঁচল।

    জয় টেকনলজি। জয় বিজ্ঞান।
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:১৭53857
  • চাল /গম /আলু /ভুট্টা পৃথিবী জুড়ে এই শুধু খেতে বা উৎপাদন করতে হবে কেন ? এই হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার ফল

    " Beginning in 1845 and lasting for six years, the potato famine killed over a million men, women and children in Ireland and caused another million to flee the country." কেননা তারা শুধু আলু নির্ভর ছিল কিনা ! যেমত বর্তমানে আমরা সারা বিশ্ব প্রায় পাঁচটি খাদ্য শস্য নির্ভর , একটার উৎপাদন কম হলেই গন আত্মহত্যা এবং দুর্ভিক্ষ - জয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলোজির জয় !
  • dc | 132.174.185.54 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:৩০53858
  • হুঁ ১৮৪৫ সালের মতো দুর্ভিক্ষ আবার ২০১৬ সালে দেখা দেবে, ভেবেই ভয়ে অস্থির হয়ে উঠছি। দেড়শো বছরেরও বেশী পুরনো ইতিহাসের শিক্ষা বলে কথা!
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ০৯:৫৮53859
  • খুব চিন্তায় আছি " সাপ্লাই চেন ইমপ্রুভ করলে খাদ্যের অপচয়ও কমবে, একই শস্য ফলিয়ে বেশী লোক খেতেও পাবে।" কিন্তু তাও আমেরিকায় ৭০ বিলিয়ন টন খাদ্যশস্য নষ্ট হয় ক্যান আর এতো খাদ্য তবু দেশের ১৫% জনতা ক্ষুধার্ত ক্যান ! যদিও ছাগল তত্বে কারো পেটেন্ট নেওয়া নেই ।
  • দেবব্রত | 212.142.76.183 (*) | ২৯ মে ২০১৬ ১০:০৭53860
  • " আর গ্রিন রিভোলিউশন না এলে তো সব জঙ্গল এদ্দিনে চাষের জমিতে চলে যেত। নতুন টেকনলজিতে একই জমিতে উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ল, তবেই না জঙ্গল রক্ষা পেল। পরিবেশ বাঁচল।"
    কিন্তু Icm দা ইটি কি বললেন ? " Tropical forests once occupied 16 million km2, today about 8-9 million km2 remain It is estimated that Latin America and Asia have already lost 40% of their original forest; Africa a little more than half. In many countries the rate of deforestation is accelerating. For example, most of the forested areas of Bangladesh, India, the Philippines, Sri Lanka and parts of Brazil's rain forest could be gone by the end of the century." স্বর্নেন্দু প্রায় ঠিক বলেছেন কনফার্মড চাড্ডিদের সাথে ইতিহাস আলোচনা করা বৃথা । মহাজন যে পথে করেন গমন ।
  • Arpan | 24.195.225.240 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:১৪53910
  • ৮৫ টাকা কিলো আমাজনে।

  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:২১53911
  • @Arpan
    ৮৫ টাকা কিলো চাল আপনি-আমি নাহয় কিনে খেলাম, কিন্তু তাতে সমস্যা মিটে যাবে ?

    এই সুতোয় প্রথম মন্তব্যেই লিখেছিলাম এটা, এছাড়াও আছে genetic contamination, যার থেকে এই " organic " crop রা রেহাই পায় না কিন্তু
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:২৩53912
  • হুঁ অ্যামাজনে তো অলরেডি নানান এগ্রি প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছেই, বিগ বাস্কেটও বা কম কি।

    তবে ই মন্ডি ব্যাপারটা সত্যি বেশ ইন্টারেস্টিং। অনেক বছর আগে ফ্লিপকার্ট যখন প্রথম খুলেছিল সেই সময়ের কথা মনে পড়লো - যখন ফ্লিপকার্টের ছোট্ট একটা ওয়েবসাইট ছিল আর ওদের থেকে একটা দুটো বই অর্ডার করতাম। তখন কে জানত অনলাইন রিটেল আজকের বিরাট কনজিউমার স্পেসে পরিণত হবে! আজকের ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, স্ন্যাপডিল, বিগ বাস্কেট, জোম্যাটো - কনজিউমারদের কতো চয়েস, কতো সুবিধে। এরকম আজকের ই মন্ডিও হয়তো বছর পাঁচেক পর প্যান ইন্ডিয়া এগ্রি মার্কেটে পরিণত হবে, চাষী আর কনজিউমার ডাইরেক্ট কেনাবেচা করবে। তবে এখন যে ফর্মে আছে তাতে এটা হওয়ার চান্স খুব কম, কারন এটা সরকারের নিয়ন্ত্রনে। এই এগ্রি মার্কেট যদি ওপেন করে দেওয়া হয়, প্রাইভেট প্লেয়াররা পার্টিসিপেট করে মিডল লেয়ারগুলো বানায়, তাহলে এখনকার অনলাইন রিটেলের মতো সাকসেস স্টোরি হতেই পারে। আমি এখন অ্যামাজনে রাজস্থানি চটি অর্ডার করতে পারি, জয়পুরের ব্যাবসায়ীর তৈরি জুতো চেন্নাইতে ঘরে বসে পেয়ে যাই। বছর পাঁচ-দশ পরে চেন্নাইতে বসে কাশ্মীরের অর্চার্ডে ফলানো আপেল বা নাগপুরি সান্ত্রা ডাইরেক্ট অনলাইন অর্ডার করতে পারবো। মানে এখন যেমন সুপারমার্কেটে গিয়ে এগুলো পাই তার থেকে অনেক বেশী ডাইরেক্ট রুটে এই কেনাবেচাটা হবে। আমার মনে হয় কৃষিক্ষেত্রে এই চেনটা তৈরি হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, কারন ইনিশিয়েটিভও শুরু হয়েছে, ডিমান্ডও আছে, আর সাপ্লাই তো আছেই।
  • Arpan | 24.195.225.240 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:৩০53913
  • স্বার্ণেন্দু, আপনাকে উদ্দেশ্য মনে হয় কিছু বলিনি। অত উত্তেজিত হবেন না।
  • Arpan | 24.195.225.240 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:৩১53914
  • * উদ্দেশ্য করে
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:৩৪53915
  • "গ্রিন রেভোলিউশান, জিএম ক্রপ, ইন-সিটু প্রিসার্ভেশান অফ লিনিয়েজ, এই সব রকম এক্সপেরিমেন্টই করে চলা উচিত। ভবিষ্যতে যেটা সফল হবে সেটাই আমরা গ্রহন করবো।"---- সাব্বাস!!! এরপর আর কিই ই বা বলার থাকতে পারে? ঠিকই তো, আপাতত আমাজনে এগ্রি প্রোডাক্ট কিনি, ওদিকে এক্সপেরিমেন্ট চলুক, যেটা সফল হবে সেটাই আমরা গ্রহন করবো।

    ঐ এক্সপেরিমেন্টে মাত্তর কয়েক লক্ষ লোকে অপুষ্টিতে ভুগবে, আর কয়েক হাজার আত্মহত্যা করবে বই তো কিছু নয়, বলুন। উলটে চাষিগুলো চাষবাস ছাড়লে শহরে কাজের লোকের যোগান বাড়বে বলুন।

    ছিঃ
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০১:৪২53916
  • এহে স্বর্ণেন্দু ভয়ানক রকম উত্তেজিত হয়ে গেছেন। কিন্তু প্লিজ, নিজের ইম্যাজিনেশন আমার ওপর চাপাবেন না। গৃহকর্মীদের (আপনি যাদের শহরে কাজের লোক হিসেবে রেফার করলেন) নিয়ে কিছু বলেছি বলে মনে পড়ছেনা।
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:২৪53878
  • এলেবেলের পোস্টে ফ্যাক্ট গুলো পড়তে বেশ ভাল্লাগলো। এটাই আগে একটা পোস্টে লিখেছিলাম, প্রত্যেক টেকনোলজির উপকার-অপকার দুটোই থাকে, সেগুলোর থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা এগোতে থাকি। যেমন জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানো - দশ-পনেরো বছর পর জৈব সারেরও উপকার-অপকার বুঝতে পারবো, তার থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আরো বেটার কিছু ব্যবহার করবো।

    তবে এলেবেলে গ্রিন রিভোলিউশান নিয়ে যে কোটটা করেছেন ওখানে পুরো প্যারাগ্রাফটা দেননি, তাই আমি কাউন্টার আর্গুমেন্ট সমেত কোটটা দিলামঃ

    The critics point out that the Green Revolution's natural affinity with farmers who are highly educated, well-financed "early adopters" simply allowed those farmers to out produce and force out their neighbors, the subsistence farmers. These families then became migrants, forced to become the new urban poor. And critics argue that the Green Revolution was little more than a new colonial movement allowing high-tech companies in industrialized countries to exploit developing nations. They say that western plant scientists ignored the wisdom of farmers who had been scrapping together a living for centuries.

    Borlaug and his supporters argue that, in fact, their whole idea was to give the benefits of technology away, for free. The Mexican Agricultural Program, CIMMYT, and the IRRI all shared their plant lines with local producers around the world. In addition, all of the programs brought budding plant scientists from around the world to be trained at their facilities. In most countries, hybrid varieties of wheat and rice produced in Mexico or the Philippines were quickly crossed with local varieties to maintain the best strengths of the local plants and to foster genetic diversity.
    For whatever the outcomes of the Green Revolution, no one can deny the good intentions of its scientists, men like Borlaug and Henry Beachell. For instance, when critics suggested that planting only the "miracle" varieties was killing genetic diversity, the Green Revolution scientists pushed for an international program to collect as many different strains of plant diversity as possible in many different locations.
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:২৭53879
  • এলেবেলে যে পেজটা থেকে কোট করেছেন সেই পেজেরই শুরুর প্যারাগ্রাফটাও গুরুত্বপূর্ণঃ

    Today, the Green Revolution continues. As of 2007, Norman Borlaug is still alive and still working. But the revolution has critics and the practices Borlaug pioneered have changed. Agricultural technology has begun to take advantage of powerful genetic tools and -- in large measure -- has moved from the realm of public good to private, corporate gain.

    খেয়াল করুন, গ্রিন রেভোলিউশান কোন স্থবির, থেমে থাকা টেকনোলজি না। এর পরিবর্তন হচ্ছে, আরো নতুন টেকনোলজি আসছে। এটাই কাম্য।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:২৯53917
  • @dc
    আহা ভাগ্যিস ঐটুকু লিখেছি, নইলে আপনি বলার কি পেতেন?
    @Arpan
    খোলাপাতায় কিছু লিখলে সেটা আমাকে উদ্দেশ্য করে না লিখলে সেই নিয়ে আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে কেন কিছু লিখতে পারব না বুঝলাম না। আর আপনাকে উদ্দেশ্য করে যে কমেন্টটা লিখেছি তাতে তো উত্তেজনার কিছু ছিল না, এখানে আমার অন্যান্য কমেন্ট দেখে উত্তেজনার কথা বলে থাকলে সেইগুলোও কিন্তু আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়।

    যাই হোক, বহু সংখ্যক লোকের বাঁচা-মরা জড়িয়ে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা উত্তেজিত না হয়ে অবশ্যই করতে পারি, কিন্তু সেগুলো নিয়ে "গ্যালারিতে বাদামভাজা নিয়ে বসলাম" অ্যাটিচিউডের কিম্বা মাঝে মধ্যে " গ্রিন রেভোল্যুশনের জয়" বলে big capital এর cheerleading এর ইনসেন্সেটিভিটি দেখলে উত্তেজিত না হওয়া আমার পক্ষে বেশ কঠিন, তাই এই টই থেকে কাটলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন