এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাতের থালায় লুকিয়ে আছে সাদা শয়তান

    Gautam Mistri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ মে ২০১৬ | ২১৩৩৮ বার পঠিত
  • ইংরেজী ভাষায় একটা প্রবচন আছে – “The whiter the bread, the sooner you’re dead”, অর্থাৎ রুটি (প্রকারান্তরে ভাত) যত সাদা হবে আপনি তত তাড়াতাড়ি মারা যাবেন। ভাত সাদা হবে নাতো কি লাল হবে? ভ্রূ কুচকে গেলেও প্রস্তাবটা তেমনই। কিছু কিছু দেশে লাল ভাতের কদর সাদা ভাতের চেয়ে বেশী। চীনদেশে ও থাইল্যান্ডে লালভাতের চাহিদা আছে। শ্রীলঙ্কায় পাঁচতাড়া হোটেলেও ভাত চাইলে লালভাতই পাওয়া যাবে। অন্যান্য তৃণভোজী প্রানীরা ঘাসপাতা বেছে খেলেও শস্যদানা এযাবৎ আস্তই খেয়ে এসেছে, এখনও তাই খায়। বেশী বুদ্ধিমান প্রানী হিসেবে মানুষ প্রথম কি করেছিলো জানা নেই। কালের বিবর্তনে মানুষ ক্রমশঃ ঘাস জাতীয় গাছের বীজ অর্থাৎ ধান ও গমের খোসা ছাড়িয়ে খাবারের স্বাদ পেয়ে গেল। এতে যদিও খাবার চিবানো আর হজম করা সহজ হল আর শস্যবীজের খোসার মধ্যে থাকা তেল জাতীয় পদার্থের বর্জনের ফলে শস্যবীজের অধিক সময়ের জন্য সংরক্ষনের সুবিধা হয়ে গেল। তেল জাতীয় পদার্থ মিশ্রিত শস্যদানার গুঁড়ো হাওয়ার সংস্পর্শে এলে বেশীদিন অবিকৃত থাকে না। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত প্রযুক্তির অধিকারী মানুষের খাবারের টেবিলে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশই শস্যবীজের দখলে। প্রাতরাশের রুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, স্যান্ডউইচ বা গ্রামবাংলার পান্তা; মধ্যাহ্নভোজের ভাত বা রুটি, বিকালের জলখাবারের মুড়ি, বাদাম, চপ, কাটলেট, পিৎজা, পাস্তা আর রাতের খাবারের রুটি বা ভাত — এই গুলোই খাবারের প্রধান অংশ। সঙ্গের পদগুলো বৈচিত্র্যময় হলেও পরিমাণের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাধান্য পায় না।ভাত বা রুটি আমাদের প্রধান খাবার; যদিও পৃথিবীর কোন কোন জনগোষ্ঠীর খাবারের থালায় মাঝেমধ্যে প্রধান খাদ্য হিসেবে আলুর দেখা মেলে। তা সে চালই হোক বা গমই হোক, ঘাস জাতীয় শস্যদানার অবিকৃত গঠন একই রকম।

    বর্তমানে প্রচলিত ধান থেকে চাল বানানোর মেশিনে ধানের বাইরের খোসা (ব্রান) আর মধ্যবর্তী অংকুর বা বীজযুক্ত আবরণ (জার্ম) ছাড়িয়ে ভেতরের সাদা (এন্ডোস্পার্ম) অংশটি ব্যবহারের জন্য আলাদা করা হয়। চাল ও আটার সওদাগরেরা প্রায় ২৫ ধরণের রাসায়নিকের সন্ধান জানেন যার দ্বারা এরপরে একে আরও চকচকে, লোভনীয় ও সুস্বাদু বানানো হয়। ধান গাছের নিজের বংশবৃদ্ধির জৈবিক প্রয়োজনের অংকুরটি হল মাঝের “জার্ম” অংশটি। তাকে রক্ষা করার জন্য ও অঙ্কুরোদগমের সময় প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগায় বাইরের খোসাটি। ভেতরের সাদা যে অংশটি আমরা চাল হিসাবে বেছে নিই সেটা মামুলি ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ বর্জিত জটিল শর্করা। চালের তুষে বাইরের খোসা আর মাঝের প্রাক- অঙ্কুর (জার্ম) থাকে। ভবিষ্যতের শিশু উদ্ভিদটির বীজের (মূলতঃ প্রোটিন) পুষ্টির প্রয়োজনীয় সংকেতওয়ালা জিন এই মধ্যেকার আবরণে থাকে।বাইরের খোসায় থাকে প্রতিরক্ষার বর্ম হিসাবে ফাইবার, ভিটামিন আর প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। মধ্যেকার এন্ডোস্পার্ম অংশ, যেটাকে আলাদা করে পরিশোধিত চাল অথবা সাদা আটা আর ময়দা খাবার জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা নিছক শর্করা। বীজ থেকে জন্মানোর পরে সদ্য অঙ্কুরিত উদ্ভিদটির পাতা সৃষ্টির আগে পর্যন্ত (অর্থাৎ যখন নবঅঙ্কুরিত উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষের বা photosysthesis মাধ্যমে খাদ্য প্রস্তুতের জন্য অপরিণত) উদ্ভিদের শর্করার প্রয়োজন মেটায় ভেতরের এন্ডোস্পার্ম অংশটি।

    শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট অপেক্ষাকৃত সস্তা আর আসক্তি উদ্রেককারী খাবার। তাই সহজে আমাদের খাবারে বড় অংশের অংশীদার হয়ে পড়ে। যত চকচকে সুদৃশ্য লম্বাদানার পালিশ করা পরিশোধিত চালের ভাত হবে, পেট ভরানোর জন্য তত বেশী পরিমানের ভাতের প্রয়োজন হবে আর তাড়াতাড়ি হজম হয়ে আবার খিদে পাবে। শর্করা জাতীয় খাবারে আসক্তি আমাদের অগোচরে ঘটে যায়। মিষ্টির দোকানের প্রতি আকর্ষন একরকমের প্রাদুর্ভাবের মত আমাদের আগ্রাস করেছে যদিও এটা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি নয়। ঘটনাচক্রে শর্করা জাতীয় খাবারের প্রতি এই আসক্তি সচেতন পশ্চিমী দুনিয়ার প্রতিপত্তিবান নাগরিকদের চেয়ে আমাদের মত গরিব দেশগুলোর (ধনী দরিদ্র সবার) মধ্যে বেশী পরিমানে দেখা দেয়। গত শতাব্দীর আটের দশকের জনপ্রিয় হলিউডের চলচিত্র “প্রেটি উওম্যান”-এর একটা দৃশ্যের কথা প্রাসঙ্গিক। বিলাসবহুল হোটেলের পেন্টহাউসের প্রাতরাশের টেবিলে ধনী নায়ক গরীব নায়িকার সামনে সযত্নে চয়ন করে রাখা ফল, বেরি আর সসেজ-স্যালামি পুর্ণ দুটো থালা পেশ করলেন। প্রিয় নায়কের ভালোবাসা মেশানো সুষম খাবারের প্রাতরাশের থালা ঠেলে ফেলে,নায়িকা দূরে রাখা ঝুড়ি থেকে ময়দা-মাখন-মিষ্টির সংমিশ্রণে তৈরী মিষ্টি পাউরুটি তুলে নিলেন।

    আমাদের মত গরিব গুর্মোর দেশে “ভিক্ষার চাল কাড়া না আকাড়া” এই ধরণের তর্কের অবকাশ আছে। সস্তার খাবার হিসাবে শর্করা আমাদের প্রয়োজন, মুস্কিল হয় এতে আসক্তি জন্মে গেলে। শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার জন্য খাদ্যে অন্যান্য খাদ্যাংশের মত নির্দিষ্ট পরিমাণে শর্করাও প্রয়োজন। খিদে পেলে খাবারের বন্দোবস্ত তো করতেই হয়। মনে রাখতে হবে, আগের কিস্তির খাবার কেবল পেট (পাকস্থলি) থেকে জায়গা খালি করে রক্তে মিশেছে। ফলেই খিদে পেয়েছে। আগেকার খাবারের যে অংশটি তখনও খরচ করা যায়নি, কেবল রক্তে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেটা যাবে কোথায়? খাবারে শর্করার আধিক্যে প্রথমে অব্যবহৃত শর্করা সীমিত পরিমাণে যকৃতে (লিভার) গ্লাইকোজেন হিসাবে জমা হয়। যকৃতের ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেলে, অব্যবহৃত শর্করা চর্বি হিসাবে শরীরের অপ্রিয় জায়গা গুলোতে জমা হতে থাকে। তাই পেট ভরাতে হবে এমন খাবার দিয়ে, যেটা পেটে অনেকক্ষণ থাকবে, দেরীতে হজম হবে ও দেরীতে খিদে পাবে, ইতিমধ্যে চর্বি হিসাবে জমা হবার জন্য দাঁড়ানো গ্লুকোজের লাইন লম্বা করবে না।

    পুনরাবৃত্তির দোষ এড়ানোর জন্য শর্করার গ্লুকোজে পরিণত হবার হার (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) আর গ্লুকোজে পরিণত হবার পরিমাণ (গ্লাইসেমিক লোড)-এর বিস্তারিত আলোচনা এড়ালাম। শ্বেতশুভ্র পঞ্চবিষের প্রথম পর্বে (চিনি যখন বিষ) এর আলোচনা পাওয়া যাবে। আমাদের খাবারের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে বেছে নিতে হবে, আর সেই শর্করা হবে তন্তু (ফাইবার), ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ জটিল শর্করা। আস্ত শস্যদানা সেই প্রয়োজন ভালোভাবেই মেটায়।যে কারণে চিনি দুষ্ট, সেই কারণে সাদা, চকচকে, সরু, লম্বা সুগন্ধিত পরিশোধিত চালও সমমাত্রায় ক্ষতিকারক। সোজা কথায় বলতে, মূলতঃ দুটি কারণে মেশিনে ছাটা চকচকে সাদা চালের ভাত, ময়দা আর বাজারে উপলব্ধ সব রকমের বেকিং করা খাবার (পাউরুটি, কেক, কেক, বিস্কুট, কুকিজ, প্যাটিস, সিঙ্গারা, নিমকি ইত্যাদি) বর্জনীয়। প্রথমতঃ এসব খাদ্যের মূল উপাদান শস্যদানার বাইরের আবরণের ফাইবার (তন্তু) ও ঠিক তার নীচের অংশের (বীজ বা র্জাম) ভিটামিন ফেলে দেওয়া হয়েছে, পড়ে রয়েছে কেবল শর্করা (empty calorie)। দ্বিতীয়তঃ, খাবারে যত পরিশোধিত শর্করা থাকবে সেটা তত তাড়াতাড়ি হজম হবে অর্থাৎ গ্লুকোজে পরিণত হবে, রক্তে চিনির মাত্রা তত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে (উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের জন্য) তন্তুবিহীন হবার জন্য অধিক পরিমাণে শরীরে গ্লুকোজ জমতে থাকবে (উচ্চ গ্লাইসেমিক লোডের জন্য)। অব্যবহৃত গ্লুকোজ চর্বিতে পরিণত হতে থাকে, পরে দীর্ঘ সময়ের অভুক্ত থাকাকালীন সময়ে শক্তি যোগানোর জন্য। কিন্তু সেই অভুক্ত অবস্থার অবকাশ আর ইহ জীবনে আর হয়ে ওঠে না।

    এক বা দুই পুরুষ আগেও খাবারের থালায় ঢেঁকিছাঁটা চাল থাকতো, প্রাতরাশে চিড়ে, মুড়ি, থাকতো। বরিশালের বালাম চালের কথা শুনেছেন? লালচে ঢেঁকিছাঁটা বালাম চালের খ্যাতি আছে। ঘরোয়া এবং নিকট প্রতিবেশী দেশের সেই খাদ্যসংস্কৃতি অবহেলা করে দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা পশ্চিমী খাবারের বাছাই করা ক্ষতিকারক খাবারগুলো গ্রহণ করেছি। স্বাস্থ্যহানিকর বিস্কুট, পাউরুটি ও অজস্র বেকিং করা খাবার, চটজলদি খাবার, মেশিনে ছাঁটা সুদর্শন সুঘ্রাণযুক্ত চালের ভাত আমাদের খাবারের মূখ্য অংশ। ইদানিং কালে যে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের বাড়বাড়ন্তের কথা শোনা যাচ্ছে তার প্রধাণ কারন বিকৃত খাদ্যাভ্যাস। আঠারোশো খ্রিস্টাব্দে বিদেশে যন্ত্রচালিত ধান ও গম ভাঙা কলের আবিষ্কার হয়েছিলো। বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সেই প্রযুক্তি আমাদের গ্রাস করে আমাদের খাদ্যাভ্যাস পালটে দিয়ে। বংশ পরম্পরায় আমাদের রোগ সৃষ্টিকারী জিনের পরিবর্তন করে আমাদেরকে দুনিয়ার সবচেয়ে হৃদরোগের ও ডায়াবেটিসের মত মারণ রোগের উপযোগী করে তুলেছে। আরও কারণ আছে, তবে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা মূখ্য। আমরা পেটে যা ঢোকাচ্ছি, তাই দিয়েই তৈরী হচ্ছে আমাদের পার্থিব এই শরীর। কখনো কখনো পরিশোধিত শস্যদানা বা তার থেকে প্রস্তুত খাদ্যবস্তুতে অতিরিক্ত ভিটামিনের অন্তর্ভুক্তির (enriched, fortified) কথা বলা হয়ে থাকে। সেটা পরিমাণে প্রাকৃতিক পরিমাণের চেয়ে কম ও মানের দিক দিয়ে সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের।এখন বাজার ব্রাউন পাউরুটিতে ছেয়ে গেছে, তারমধ্যে অধিকাংশই কেবল রঙ করা সাদা পাউরুটি মাত্র।

    তাহলে উপায় কি?
    গম জাতীয় শস্যদানা থেকে প্রস্তুত আটার ক্ষেত্রে পূর্ণদানা থেকে প্রস্তুত খাবার, রুটি ইত্যাদি ব্যবহারে অসুবিধা নেই। কেবল বাদামি রঙ দেখে পূর্ণদানার পাউরুটি চেনা যাবে না, প্যাকেটের ওপরে “whole grain” লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে। কৃত্রিম উপায়ে পালিশ করা নয়, মোটা দানা লালচে চালের ভাতই শ্রেয়। পেট ভরানোর জন্য এই চালের ভাত পরিমাণে কম লাগে বলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। সুস্বাদু, সুদর্শন আর সুগন্ধিত নয় এই সব কারন ছাড়াও পূর্ণদানার শস্য থেকে তৈরী খাবার বেশী চিবোতে হয় বলেও অনেকের এটা অপছন্দ। মনে রাখতে হবে, এটা এগুলোর গুণ হিসাবে দেখা উচিত। বেশী চিবোনোর জন্য খেতে সময় বেশী লাগলে আমাদের ভক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রক মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস সক্ষমভাবে কাজ করতে পারে। ওজন বশে রাখায় এটা বেশ কাজে আসে। তন্তুসমৃদ্ধ আস্তদানার গমের আটা ও মোটা লালচে চালের ভাত অনেকক্ষণ পাকস্থলীতে থেকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বহুক্ষন ধরে শক্তি যোগাতে থাকে, কৃত্রিমভাবে তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। সঙ্গে অঙ্কুরিত ছোলা এবং ডাল (সবুজ খোসাওয়ালা মুগ, বিনস) জাতীয় খাবার থাকলে ভালো হয়। পরিভাষায় একে লেগুমস (legums) বলা হয়ে থাকে। এতে যথেষ্ট তন্তু ও প্রোটিন থাকে। পূর্ণদানার শস্যবীজকে আমরা ভালো শর্করা বলব। ভালো শর্করায় অতিরিক্ত গুণ হিসাবে পাওয়া যাবে রোগপ্রতিরোধকারী এন্টিঅক্সিডেন্টস, “ই” ও “বি” শ্রেণীর ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর বহুশৃঙ্খলের অসম্পৃক্ত স্নেহ জাতীয় খাদ্যাংশ (polyunsaturated fatty acid)।

    পরিশোধিত শস্যদানা থেকে প্রস্তুত প্রক্রিয়াকৃত খাবারে (যেমন পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, কুকিজ, চানাচুর, পাস্তা, নূডলস, পিৎজা ইত্যাদি) তন্তু ও ভিটামিনবিহীন শর্করা থাকে সেটা আমাদের শরীরে চিনির মত কাজ করে। এই ধরনের চাল বা আটা / ময়দা থেকে প্রস্তুত করা খাবার রক্তে সুগারের ও ট্রাইগ্লিসারাইডের (এক ধরনের রক্তে প্রবাহমান স্নেহ জাতীয় পদার্থ) মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও পেটে চর্বি জমতে থাকে। এর সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায় আর ওজন বেড়ে যাবার জন্য হাঁটু ও অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ বা অতিমাত্রায় প্রকট ধরণের নিরাময়ের অযোগ্য বাতের রোগ (osteo-arthritis) সৃষ্টি করে। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম ডেভিসের মতে পরিশোধিত শস্যদানা একটি নিখুঁত মধুমাখা বিষ, যেটা নেশা ধরায় আর তিল তিল করে নিশ্চিতভাবে হৃদরোগ আর ডায়াবেটিসের মত অনিরাময়যোগ্য রোগের দিকে ঠেলে দেয়। সাদা পাউরুটির দুটি স্লাইস ছ’চামচ চিনি আর একটা চকলেটের বারের চেয়ে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশী পরিমাণে বাড়ানোর ক্ষমতা ধরে।

    আমাদের প্রপিতামহগণ হলদে সোনালি গমের আটা আর লাল মোটাদানার ভাতে ক্ষুন্নিবৃত্তি করে স্বাস্থ্যখাতে নিয়ন্ত্রিত খাতে বেশ বেঁচে বর্তে ছিলেন। বিগত পঞ্চাশ বছরে জিনের ওপর খোদকারী করে উচ্চফলনশীল খর্বাকৃতি শস্যের বিপ্লবের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে অনেক বেশী করে শস্যদানা উৎপাদন করে শস্যভান্ডার গড়ে তুলেছি। ফলে অদূর ভবিষ্যতে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা এড়ানো গেছে। অধিক ফলনশীল শষ্যের স্বাস্থ্যের উপর নিরাপত্তার নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা করা হয়নি। নতুন ধরণের এই গমে “পরিবর্তিত ধরণের গ্লায়াডিন (gliadin)” নামে একধরনের প্রোটিন থাকে যেটা গম জাতীয় খাবারের গ্লুটেন (gluten)-এর সমগোত্রীয়”। গ্লুটেন এন্টেরোপ্যাথি নামে একধরনের আন্ত্রিক রোগ ছাড়াও গ্লায়াডিন আমাদের মস্তিষ্কে আফিং (morphine) জাতীয় রাসায়নিকে রূপান্তরিত হয়ে “ভালো লাগা” (feel good effect) ধরনের নেশা ধরায় ও খিদে বাড়ায়। দেখা গেছে, পরিশোধিত সাদা আটা ও ময়দার খাবার দিয়ে পেট ভরাতে হলে দৈনিক প্রায় ৪০০ কিলোক্যালোরি বেশী খাওয়া হয়ে যায়।২০০৪ সালের এক গবেষণায় (Ludwig 2004, Lancet), লাল আটার চেয়ে সাদা আটায় ইঁদুরদের পেটে ৭১ শতাংশ বেশী চর্বি জমে যায়।

    দীর্ঘমেয়াদী ভাবে সাদা শস্যদানা খাওয়ার জন্য খাবার অব্যবহিত পরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যায়।এমতাবস্থায় রক্তের বিশেষ কিছু প্রোটিনের সাথে শর্করার বিক্রিয়ায় (glycation) “এডভান্সড গ্লাইকেসন প্রোডাক্টস (AGP)” তৈরী হয়ে যায়। এডভান্সড গ্লাইকেসন প্রোডাক্টস রক্তনালীর প্রদাহের (inflammation) এক অন্যতম কারণ। অধুনা প্রকট হয়ে আত্মপ্রকাশ করা বিভিন্ন হৃদরোগ ও সেরিব্রাল স্ট্রোকের কারণ হিসাবে পরিশোধিত শস্যদানা একটা প্রধান নিয়ন্ত্রক। এই ধরনের শ্বেতসার (শর্করা, কার্বোহাইড্রেট) খাবার ফলে উদ্ভুত উচ্চ মাত্রার রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন করার জন্য অধিক মাত্রায় ইনসুলিনের ডাক পড়ে। দীর্ঘসময় অতিমাত্রায় ইনসুলিনের প্রভাবে শরীরের কোষসমূহে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে (insulin resistance)। এর অবধারিত ফল হিসাবে পেটে এক বিশেষ ধরনের ক্ষতিকারক সক্রিয় চর্বি জমতে শুরু করে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ হল এর অন্তিম পরিণতি।

    আমাদের খাবারের মূখ্যভাগ হিসাবে অপরিশোধিত শস্যদানার ফাইবার বা তন্তু রক্তে চিনির মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়ানোর সুফল ছাড়াও আরও উপকার করে। মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। ঝাড়ুদারের ভূমিকা পালন করার মত পৌষ্টিক তন্ত্রের রোগজীবানু ও অন্যান্য ময়লা সাফ করে। বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। অন্ত্র থেকে রক্তে কোলেষ্টেরলের মিশ্রণ কমায়। অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগের প্রকোপ হ্রাস করে। শস্যদানা সমৃদ্ধ খাবার রক্তে অম্লতা বাড়িয়ে দেয়, যেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাড়ের থেকে ক্যালসিয়ামের ডাক পড়ে। হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে গেলে হাড় ভেঙ্গে যাবার প্রবনতা বেড়ে যায়।

    খাবারের শস্যদানার নির্বাচনের সময় তার সঙ্গে অংকুরিত ডাল ও ছোলা জাতীয় খাবার (স্প্রাউট, লেগুম) অন্তর্ভুক্ত করলে বিশেষ লাভ হবে। এতে প্রয়োজনীয় ফাইবারের সাথে সাথে ভিটামিন ও বেশ খানিকটা প্রোটিনও পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক ভিটামিন কৃত্রিম রাসায়নিক উপায়ে প্রস্তুত ভিটামিনের চেয়ে বেশী কাজে আসে। অংকুরিত শস্যদানার শর্করা খাবারের থালায়ই মলটোজে পরিণত হয়ে হজমের প্রথম ধাপ পেরিয়ে থাকে। বদ হজমের সম্ভাবনা নির্মূল করে। খাবারে শস্যদানার সাথে কাঁচা বাদাম জাতীয় খাবার মিশিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে বিশেষ উপকার হয়। এতে রক্তে চিনির মাত্রা কমে ও উপকারী অসম্পৃক্ত ফ্যাট পাওয়া যায়, যেটা রক্তের ক্ষতিকারক লঘু ঘনত্বের কোলেস্টেরল কমায়।

    খাবারে শস্যদানা মুখ্য অংশ অধিকার করে থাকলেও এর অপরিহার্যতা সব বৈজ্ঞানিকগন স্বীকার করেন না। কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগে আদিম মানুষ শস্যদানা ছাড়াই জীবিকা নির্বাহ করত। শস্যদানার এই বিকৃত রূপে অভ্যস্ত হবার পিছনে ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্র আছে। পরিশোধিত শস্যদানায় মধ্যেকার জার্মের অংশ না থাকার জন্য গুদামে আর খাবারের দোকানের আলমারিতে বহুদিন পর্যন্ত শস্যদানা সংরক্ষন করা যায়। আসলে আমরা শস্যদানা ছাড়াই বেশ সুস্থ থাকতে পারি। সেটা বড় বিপ্লব। যতক্ষন না সেটা সম্ভব হচ্ছে, শস্যদানার পরিমাণ কমানো ও তার গুনমান পরিবর্তন করা জরুরি। রান্নাঘরে এই বিপ্লব করতে পারলে আমাদের শরীর আমাদের প্রচেষ্টা কে অনেক ধন্যবাদ দেবে। “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”-প্রবচন টা ভুলে ভরা। কোন মা যেন এটা বিশ্বাস না করে। ইস, আমার স্কুল জীবনে আমাকে যদি এ সব কথা বিশ্বাস জাগানোর মত করে কেউ বলতো!

    একনজরে
    পূর্ণদানার শস্যবীজের উপকারিতাঃ
    ১। ত্রিশ শতাংশ সেরিব্রাল স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম।
    ২। পঁচিশ শতাংশ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কম।
    ৩। ত্রিশ শতাংশ হৃদরোগের সম্ভাবনা কম।
    ৪। স্থূলতা হ্রাস।
    ৫। হাঁপানির প্রকোপ কম।
    ৬। বিভিন্ন প্রদাহজনিত (inflammatory disease) রোগের বোঝা কম।
    ৭। রক্তচাপ বশে রাখা সম্ভব।
    ৮। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে চিরতরে মুক্তি।
    ৯। বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম।
    ১০। সুস্থসবল দাঁত ও মাড়ি।

    যে কারণে পরিশোধিত শস্যদানা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে
    ১। তন্তু বা ফাইবার ও ভিটামিন বর্জিত
    ২। সাদা আটা ও ময়দায় ক্ষতিকারক গ্লুটেন ও গ্লায়াডিনের উপস্থিতি
    ৩। সুদৃশ্য ও সুগন্ধযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ও ব্লিচিং পদার্থের ব্যবহার
    ৪। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও উচ্চ গ্লাইসেমিক লোডের বৈশিষ্টের জন্য খাবার সাথে সাথে দ্রুত ও উচ্চমাত্রায় রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি। এর ফলে প্রথমের দিকে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি ও পড়ে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাস।

    পরিশোধিত শস্যদানার বিকল্পঃ
    ১। পূর্ণদানার গমের আটা
    ২। বাদামি পাউরুটি, বহুরকমের শস্যদানা (multi-grain) থেকে প্রস্তুত (মাখন বা ভোজ্যতেল বিহীন) (নরম রং করা বাজার ছেয়ে যাওয়া ব্রাউন ব্রেড নয়)
    ৩। অপেক্ষাকৃত মোটাদানা ও লালচে চালের ভাত (কৃত্রিম উপায়ে পালিশ না করা)
    ৪। চিড়ে, মোটা চালের মুড়ি
    ৫। অংকুরিত ছোলা ও খোসাসহ ডাল
    ৬। ভুট্টা, বাজরা, জোয়ার, ওট

    গৌতম মিস্ত্রী, কোলকাতা, ২৮শে মে, ২৯১৬
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ মে ২০১৬ | ২১৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:৪৪53880
  • এলেবেলের সাথে কি একটু যোগাযোগ করা যায় ?
  • dc | 132.178.22.10 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:৪৫53918
  • নানা কাউকে কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য না। তবে অন্যের কথা বা কল্পনা আমার ওপর আরোপিত না হলেই ভালো হয় ঃ) এমনিতে চাইবো সায়েন্স বা টেকনোলজি সংক্রান্ত তর্ক আর আলোচনা ঠান্ডা মাথায় হলেই ভালো হয়। তবে আমারও মনে হচ্ছে আমরা বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়ছি, তাই আপাতত বিরতি দিয়ে পরে মাথা ঠান্ডা করে আবার আলোচনায় যোগদান করা যেতে পারে।
  • T | 190.255.250.60 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:৫৩53919
  • নাহ, ডিসি বেশ ঠান্ডা মাথার লোক।
  • potke | 126.203.24.171 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৩:৫৯53920
  • হ্যাঁ, মাইরি!
  • | 11.39.12.215 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:২০53922
  • হুঁ
    আর বেশ ভদ্রও।
  • | 11.39.12.215 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:২০53921
  • হুঁ
    আর বেশ ভদ্রও।
  • dd | 116.51.28.247 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:২৪53881
  • যাস্ট নিজের অভিজ্ঞতা বলি। একমাত্র সিনিয়র সিটিজেনদের মেমরিতেই এটা থাকবে।

    ষাঠের দশক থেকেই ভারতে চুড়ান্ত অন্নাভাব দেখাদিলো। যথেষ্ট খাবার নেই। আমদানী করার পয়সাও নেই। তখন পথে ঘাটে ভুখা মিছিল বেরোতো। দুর্ভিক্ষ বা আকাল। সারা ভারত জুড়ে। আন্দোলন,গুলি।

    ৭৬'র মন্বন্তরে অমর্ত্ত্য সেন দেখিয়েছেন সেই দুঃসময়ে তিরিশ লক্ষ লোক না খেতে পেয়ে মরলেও মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক গোষ্ঠী না খেয়ে মরে নি। কন্ট্রোলের বাজারে কষ্টে সৃষ্টে টিঁকে ছিলেন কিন্তু অনাহার তাদের স্পর্শ করে নি।

    সেটা প্রায় ঘটে গেছিলো ষাঠের দশকে। পয়সা দিলেও খাবার জোটে না এমনি অবস্থা। সেই আমেরিকাই জাহাজ ভর্ত্তি করে গম পাঠালো। আর তার সাথে গোখাদ্য মাইলো। সেই ঋণ যা হয়েছিলো ভারত সরকার কোনোদিনই তা শোধ করতে পারতো না তাই সেই পাহাড় প্রমান ঋণ মকুব ও করে দিলো আমেরিকা।

    আমার ছিলাম স্বল্পাহারী পরিবার, তাত তিন ছোটো ছোটো ভাই বোন তাই রেশনের চালে পেট ভরে যেতো কিন্তু যে পরিবারে একটু বেশী খাবার দরকার হতো, চার পাঁচটি সা যোয়ান ছেলে তারা পেট ভরে খেতে পেতেন না। আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যেই।

    মাঝে মাঝে একেবারে পচা দুর্গন্ধ চাল জুটতো রেশনে। ভাত রান্না হলে গোবরের মতন গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো। উপায় নেই। হয় ওটা খাও নয়তো অনাহারে থাকো।

    ঐ অবস্থা থেকে বছর ১৫-২০'র মধ্যে বা তারো কম সময়ে ভারত খাদ্যে স্বনির্ভর হলো। পর পর দু তিন বছর খরা হলেও শষ্যের ভাঁড়ারে টান পড়ে না। এর একটা বড়ো কারন ঐ গ্রীন রেভোলিউশন।

    সেটা সর্বাংগ সুন্দর কিছু নয় কিন্তু গোটাদেশকে অনাহার থেকে বাঁচাতে বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলো। আর যেহেতু আর সবের মতনই কৃষি বিজ্ঞাও কিছু স্ট্যাটিক বিজ্ঞান নয় তাই কিছু ভুল বা দোষ থাকলে সেটা শুধরে যাবে। নতুন পদ্ধতি আসবে। আসছেও।

    সবেতেই সেই একমাত্রিক জুজুর ভয় আর গেলো না।
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:২৭53882
  • আর সাপ্লাই চেন প্রসঙ্গে, মোদি সরকার দেখছি ই-মান্ডি নামে একটা স্কিম চালু করছে, এতে বোধায় প্রাইস ডিসকভারি আরেকটু ট্রান্সপারেন্ট হবে। দেখা যাক এর কোন সুফল হয় কিনা।

    এগ্রি কমোডিটি যদি অরিজিনাল প্রোডিউসার (চাষী) সরাসরি ক্রেতাকে (আমর মতো কেউ যে চাষ করেনা) বিক্রি করতে পারে তাহলে তো খুব ভালো হয়। বা আমি যদি চাষীকে সরাসরি অর্ডার দিতে পারি। মাঝখানে অবশ্যই ডেলিভারি লেয়ার থাকবে, যেমন ফ্লিপকার্ট বা অ্যামজন ক্রেতা আর বিক্রেতার মাঝখানে স্টোরফ্রন্ট হিসেবে কাজ করছে। কৃষিতে স্টার্টাপের তো বিরাট সম্ভাবনা, রিটেল মার্কেটের থেকে কোন অংশে কম না!
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:৪০53883
  • ডিডি-দার এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম। টাকা দিয়েও চাল কিনতে পাওয়া যায় না। রেশনে দু সপ্তাহ চাল না এলে - পরিবারে না খেয়ে মরার আতংকের আবহ।

    এর মধ্যে দিয়ে যারা গেছেন তারা জানেন - সে কি জিনিস।
  • pi | 233.231.41.156 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৪:৪১53923
  • তক্কে ঢোকার সময় নাই, অবশ্য কুনো লাভও নাই। যা হয়েছে,তেমন খারাপ তো কিছু হয়নি, বরম ভালোর পাল্লা অনেক ভারি, তাই অন্য কিছু করা যেতনা, এখনো ঐ লাইন ধরেই ভাবতে হবে, অন্য কিছু বললেই তাকে চূড়ান্ত খিল্লি আর হ্যাটা ( হ্যাঁ, খুব ঠাণ্ডা মাথায় আর ভদ্রভাবেই, আর এগুলো টণ্ট করে বলছি না, সত্যিই বলছি), তাকে জোর করে এক্সট্রীমে নিয়ে গেলে যেগুলো করতে আরো সুবিধে হয়, সেই লাইনে তো আর তর্ক হয়না। আলোচনা তো না ই। কন্স্ট্রাক্টিভ কিছু হয়না ( অবশ্য এটা পড়লেই অনকে হাঁ হাঁ করে উঠবেন, কন্স্ট্রাক্টিভ কিছু করার জন্য আর গুরুর আলোচনা কেন, সেতো শুধু টাইমপাস)

    যাহোক, সবুজ বিপ্লব নিয়ে এই লেখাটা দিয়ে গেলাম, যদিও সেটা দিয়েও কোন লাভ নাই ঃ(
    http://www.guruchandali.com/default/2015/09/15/1442289176523.html

    ও, এবার আসামে অখিল গোগৈএর কাজ কিছু দেখে এলাম, ২০০ প্রজাতির ধান বীজ উদ্ধার ক'রে সেগুলোর চাষবাস চলছে। ভালো লাগলো।

    দেবল দেবের কাজকর্মও যতটা যা জেনেছি, খুব ভাল লেগেছে।

    এঁরা এই কাজগুলো না করলে যে আরো কত ক্ষতি হত, সেগুলো ভাবলে মাঝেমধ্যে ভয় লাগে। অবশ্য যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তার কতটা ইর্রিভার্সেবল , সেটা ভাবলেও। এগুলোকে আর যাই হোক, নেহার জুজু ভাবতে পারিনা। ভাবলে অবশ্য ভালৈ থাকা যেত।

    ভরত মনসাতার একটা দারুণ বই পড়ছি, এইটার অনুবাদ, মনফকিরা থেকে বেরিয়েছে। http://www.indiawaterportal.org/articles/vision-natural-farming-book-bharat-mansata-2010
    এখনো অব্দি অর্গ্যানিক ফার্মিং যেটুকু যা করে দেখার চেষ্টা করছি, যেটুকু যা পড়ছি, মনে হচ্ছে না তো খুব ইকনমিক আনভায়বেল অপশান যে গ্রীন ক্যাপিটালিজমের দ্বারস্থই হয়ে একটা অতি স্বচ্ছল শ্রেণীকেই শুধু ক্যাটার করা যাবে।

    সিকিম ১০০% অর্গ্যানিক হয়ে এর মধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছে। অন্ধ্রতেও নানা উদাহরণ দেখেছি। ফলনের ও খরচের তুলনা করে দেখিয়েছেন। সেসব আগে লেখাও হয়েছে।

    যারা এগুলো করছে বা করার কথা বলছে, তারা এতটাই খিল্লি যোগ্য গাণ্ডু, এমনটাও মনে হয়না।

    এই নিয়ে এত কিছু পড়ার আছে, করার আছে, তার কিছু অংশও আদৌ করতে পারলে ( হয়তো পেরে ওঠা যাবেইনা) বরম কিছু লাভ আছে।
  • dc | 233.182.244.231 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:০৮53924
  • পাই যে নানান কাজকর্মের কথা লিখলেন সেগুলো পড়তে ভাল্লাগলো। অবশ্য এর কিছু স্বর্ণেন্দুও উল্লেখ করেছেন। এর মানে আমরা সেই ষাটের দশকের গ্রিন রিভোলিউশানে আটকে নেই, আরো নতুন নতুন পদ্ধতি ট্রাই করছি, এটা বেশ ভালো। গ্রিন রিভোলৌশানের দরকার ছিল ষাটের দশকে, কিন্তু এখন আমরা আরো এগিয়ে এসেছি। গুড।
  • আলু | 11.39.38.124 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:২০53925
  • বা কলা খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
  • Arpan | 24.195.227.10 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:২৭53926
  • লাল কলা এখানে পাওয়া যায়। ডাক্তারেরা খেতে বলে।

  • মানে | 11.39.57.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:৩৯53927
  • সস্তার সিঙ্গাপুরি নেহি চলেগা?
  • dc | 233.182.244.231 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:৪৬53928
  • এবাবা চেন্নাইতে লাল কলা তো সিঙ্গাপুরির থেকেও শস্তা!
  • সবাই | 11.39.57.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৫:৫১53929
  • তো আর চেন্নাই থাকেনা। লাল চাল, লাল কলা সিপিএমের ষড়যন্ত্র নয়তো!
  • dc | 233.182.244.231 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৬:১৭53930
  • লাল চাল আর লাল কলা দুটোই কিন্তু চেন্নাইতে শস্তা আর সহজলভ্য। জ্বর টর হলে ডাক্তাররাও খেতে পরামর্শ দেয় :p
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৭:৩৯53884
  • "সবেতেই সেই একমাত্রিক জুজুর ভয় আর গেলো না।"

    :)
    এইটার মত হাস্যকর লাইন খুব কম দেখেছি জীবনে। একটা প্রশ্ন করব? আপনারা কি ষাটের দশকের স্মৃতিতেই থাকেন? এই ২০১৬ এ কি বায়বীব অবয়বে ঘুরে বেড়ান? গুরুতে এইসব নির্মল আনন্দ দেওয়া ছাড়াও কি একটু খবর পড়তে ইন্টারনেট টা আদৌ ব্যবহার করেন?

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মেক্সিকো, দক্ষিণ ও দক্ষিন-পুর্ব এশিয়ায় একগাদা দেশ, লাতিন আমেরিকার অনেকগুলো দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একগাদা অ্যাক্টিভিস্ট যারা মধ্যে বহু প্রথম সারির কৃষিবিজ্ঞানী সবাই একমাত্রিক জুজু দেখছে আর আপনারা আর আপনাদের ষাটের দশকের স্মৃতিই শুধু ঠিক জানে, তাই না?
    ভারতের কৃষিবিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্টদের কথা নাহয় নাই বললাম, আপনাদের তো বিদেশের রেফারেন্স ছাড়া মন ওঠে না তাই এইগুলোই বললাম।

    গুরুতেই ভারতে IRRI এর কার্যকলাপ নিয়ে সুন্দর লেখা বেরিয়েছিল...
    এই বছরেই কেন্দ্রীয় সরকার মনসান্টোর জিএম- সরষের ফিল্ড ট্রায়াল অ্যাপ্রুভ করেছে এবং সেই সংক্রান্ত ডেটা, যা আইন অনুযায়ী জানাতে বাধ্য সরকার, তা কৃষিবিজ্ঞানী ও অ্যাক্টিভিস্টদের দিচ্ছে না, একাধিকবার চাওয়া, আরটিআই ফাইল করা সত্যেও, এই নিয়ে মামলাও চলছে... একটু গুগলটা সার্চ করেই দেখুন না।

    "তাই কিছু ভুল বা দোষ থাকলে সেটা শুধরে যাবে। নতুন পদ্ধতি আসবে। আসছেও।"

    নতুন পদ্ধতি অনেক আছে, আসছেও... সেগুলো জমিতে চাষ হওয়া অবধি যাচ্ছে না... কারণ মনসান্টো-র মত অ্যাগ্রো-জায়ান্ট দের ব্যবসায়িক স্বার্থ... পৃথিবীজুড়ে IRRI এর বিভিন্ন কৃষি সংস্থাগুলো সরাসরি তাদের স্বার্থে কাজ করছে...

    একটার পর একটা দেশে একের পর এক জিএম- ক্রপ নিষিদ্ধ হচ্ছে, আপনারা বলছেন একমাত্রিক জুজু! বলিহারি আপনাদের, জেগে ঘুমনোটা ছেড়ে কবে চোখ খুলে দেখবেন?

    অনির্বান এর সময় হলে বার্কলের কৃষিবিজ্ঞানী দের কথা ও আরো ভাল বলতে পারবে, আর ফেসবুকে যারা আছেন ডঃ দেবল দেব কে খুঁজে অ্যাড করে দেখুন না একটু ( Debal Deb বানানে পাবেন ), ধান নিয়ে উনি কি করেন, ওনার 'বসুধা' কি ও কেন?
    গুগল এ বিটি-কটন, বিটি-বেগুন, জিএম- আলু, জিএম- ভুট্টা এগুলোও কি ও কেন একটু দেখুন না ঘেঁটে...

    তারপর নাহয় বোদ্ধা মুখ করে বাকিরা একমাত্রিক জুজু দেখছে কিনা জ্ঞান দেবেন।
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৮:০১53885
  • স্বর্ণেন্দু বোধায় খুব রেগে গেছেন, কিন্তু আপনার পোস্টটা পড়ে ভালোই লাগলো। এই যে লিখেছেন ধান নিয়ে কাজ হচ্ছে, আবার অন্যদিকে জিএম ক্রপ নিয়ে ফিল্ড ট্রায়াল হচ্ছে, এলেবেলে বললেন জৈব সার ব্যবহার করা হচ্ছে, এর মানে টেকনোলজি এক জায়গায় আটকে নেই। ষাটের দশকে গ্রিন রিভোলিউশান না হলে আমাদের দেশে লক্ষ লোক না খেতে পেয়ে মারা যেতো, কিন্তু সেই ষাটের দশকের গ্রিন রিভোলিউশানে আমরা আটকে নেই, আর নতুন নতুন টেকনিক আসছে, নানান এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে, প্রাইভেট এন্টারপ্রাইস ভালো না পাব্লিক ইন্টারেস্ট বেশী মূল্যবান সে নিয়ে তর্কও হচ্ছে। গ্রিন রোভোলিউশান হ্যাস ডান ইটস জব, বাট উই আর মুভিং অন। টেকনোলজির বিবর্তন হচ্ছে। দিস ইস গুড।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৮:০৬53886
  • ধুস্‌। বহুদুর।

    Environmental scientists at McGill University in Montreal and the University of Minnesota performed an analysis of 66 studies comparing conventional and organic methods across 34 different crop species. "We found that, overall, organic yields are considerably lower than conventional yields," explains McGill's Verena Seufert, lead author of the study to be published in Nature on April issue.
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৮:১৩53887
  • আফ্রিকা-তে জয় গ্রিন রিভোলিউশনের জয়।

    African "green revolution"—a combination of better crop varieties and increased use of fertilizers—says soil scientist Pedro Sanchez, director of tropical agriculture at The Earth Institute at Columbia University in New York City and co-leader of the Millennium Villages Project, an effort to transform selected African villages with targeted aid and technology interventions.
    ...
    With the help of government subsidies, farmers can now obtain two bags of fertilizer and five kilograms of hybrid maize seed at just 25 percent of the actual price.
    ...
    It remains to be seen if improved agricultural techniques, wider use of fertilizer and government subisidies help promote development and curb hunger in sub-Saharan Africa—a true "green revolution" like the one that took place in Asia in the 1960s and 1970s....
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৮:৫৯53889
  • dc কে,
    জিএম সরষে নিয়ে ফিল্ড ট্রায়াল হচ্ছে পড়ে আপনার ভাল লাগল !!!
    আপনি বোধহয় ঠিক করে পড়েননি কি লিখতে চাইলাম... কোন ডেটা রিভিল করা ছাড়াই ও পসিবল টক্সিসিটি ও এফেক্ট নিয়ে কিছু না জানিয়েই সেগুলোর জমিতে চাষ অ্যাপ্রুভ করছে সরকার... হলুদ ফুলে ভরা বাংলার সরষে খেতে এখন থেকে একই রকম দেখতে বিষ চাষ হবে...
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:০২53890
  • " গ্রিন রোভোলিউশান হ্যাস ডান ইটস জব," শুধু নয়, এখনো they are trying to do the same 'job'....their 'job' was never about food-security, its about the multi-billion dollar global agro-business.......

    we are trying resist doing their 'job' at the expense of our fields, our air, water, forests and our health and nutrition.
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:০৩53891
  • trying to resist হবে আগেরটায় of course
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:১২53892
  • আহা, উত্তেজিত হচ্ছ কেন, আমি তো মনসান্টোর জয়, ফোর্ড ফাউন্ডেশনের জয়, রকেফেলারের জয় বলছি না --- দেবব্রত/এলেবেলে/ডিসি... এদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, সবুজ বিপ্লবের সুফল এবং সূদুর প্রসারী কুফল নিয়ে।

    আর দেখো ভাই, যদি বিষ খেয়ে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যায়, যেমন তেমন বেড়ে যাওয়া নয়, প্রায় ১৫-২০ বছর, তাহলে তো বুঝতেই পারছ ....

    বাই দ্য ওয়ে, লিংক গুলো দেওয়া হয় নি, মোস্টলি নে্চার আর সায়েন্টিফিক আমেরিকান থেকে, পিডিএফ থেকে কাট-পেস্ট বলে দিই নি।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:১৬53893
  • আফ্রিকার তথ্য গুলো AGRA - Alliance for Green Revolution in Africa সাইট http://agra.org/
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:১৮53894
  • নানা আমি বলতে চেয়েছি এই যে নানান এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে, ফিল্ড ট্রায়াল হচ্ছে, বিতর্ক হচ্ছে, এর মানে আমরা এক জায়গায় আটকে নেই। নানান অল্টার্নেটিভ ট্রাই করছি, ভুল করছি, শিখছি। এটা ভালো লাগলো।

    আপনার একটা লিংকের লাস্ট প্যরাটা পড়তে ভাল্লাগলোঃ

    While all of the food safety scares surrounding GM food continue to be debunked as fast as they materialize, there are no doubt potential risks that are not yet fully understood... And there is nothing to say that new varieties of GM food could, in principle, potentially be harmful," he writes. Ultimately, he argues that science marches on.
  • dc | 132.174.180.192 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:২৪53895
  • আর আমার মনে হয় আমরা বেশ খেলা মনেই আলোচনা করছি, এর মধ্যে এই চাড্ডি, ছাগল ইত্যাদি টার্ম গুলো টেনে এনে বোধায় আলোচনায় খুব একটা ভ্যালু অ্যাড হয়না (অবশ্যই এটা আমার পার্সোনাল ওপিনিয়ন)
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মে ২০১৬ ০৯:২৬53896
  • এবং, মাল্টাই-বিলিয়ন-ডলার বিগ কর্পের মনোপলি যদি মানুষের ক্ষতি করে, তাহলে অফ কোর্স তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত, কিন্তু মানুষের ক্ষতি করে তো সেটা করা যাবে না।

    এটা একটা ভিসিয়াস সাইকেল।

    বিগ ক্যাপিটালের বিরুদ্ধে লড়াই করা, আবার একই সাথে সায়েন্টিফিক রিসার্চের জন্য তাদেরই ফান্ডিংএর দিকে তাকিয়ে থাকা - এর থেকে পুরো বেরোনো না গেলেও, গভর্নমেন্ট রেগুলেশন দিয়ে কিছুটা আটকে রাখা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন