এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্ম ঃ বাঙালির মৃত্যু

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ জুন ২০১৬ | ১৭১৪১ বার পঠিত
  • ২০ সে জুন ১৯৪৭ বাঙলার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে বাঙলা ভাগের পরিকল্পনা গৃহীত হয় । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রোধে বাঙলার যে শিক্ষিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী অংশ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র ৪ দশকের ব্যবধানে বাঙলার সেই শিক্ষিত হিন্দু জাতীয়তাবাদী অংশ দেশভাগের পূর্বে ধর্মের ভিত্তিতে প্রদেশকে ভাগ করার পক্ষে সংবদ্ধ আন্দোলন চালায় এবং প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে বাঙলা ভাগ মেনে নেয় । সেই অর্থে আজকে ২০শে জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্মদিবসের সূত্রপাত বটে কিন্তু একই সাথে নেহেরু ,প্যাটেল ,জমিদার শ্রেণী , মারোয়াড়ী লবি’র ক্ষুদ্র স্বার্থ এবং শ্যামাপ্রসাদবাবুর উগ্র জাতীয়তাবাদের কাছে সমগ্র সাধারণ বাঙালির পরাজয়ের দিন । তার অর্থ এই নয় যে একই অর্থনৈতিক শ্রেণীভুক্ত ঢাকার নবাব এবং উচ্চ বংশীয় মুসলিম লীগের নেতারা,হাসান ইস্পাহানী গ্রুপ ইত্যাদি স্বার্থান্বেষীরা চুপচাপ বসে ছিলেন বরংসমপরিমাণ তৎপরতায় তারাও হিন্দুদের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি না করে নিজেদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার স্বার্থে দেশভাগের পক্ষে সায় দেন ।

    শেষ চেষ্টা একটা হয়েছিল বটে । ১৯৪৭ সালে বাঙালি জাতীয়তাবাদী যেরকম শরৎ চন্দ্র বসু , সুরাবর্দি , কিরণ শঙ্কর রায় , আবুল হাসিম , সত্য রঞ্জন বক্সী এবং মোহাম্মদ আলি চৌধুরী বাঙলা ভাগের বিরোধী "সংযুক্ত স্বতন্ত্র বাঙলার “ স্বপক্ষে দাবী পেশ করতে থাকেন । সুরাবর্দি এবং শরৎ চন্দ্র বসু বাংলার কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের এক কোয়ালিশন সরকার গঠন করে বাংলার জনতাকে সাম্প্রদায়িক লাইনে বঙ্গ ভঙ্গের বিরোধিতা করার জন্য উৎসাহিত করতে থাকেন, সাক্ষরিত হয় বেঙ্গল প্যাক্ট । ২৭ সে এপ্রিল ১৯৪৭ সালে সুরাবর্দি দিল্লীতে এক প্রেস কনফারেন্স এই স্বতন্ত্র অবিভক্ত বাংলার পরিকল্পনা পেশ করেন । ২৯ সে এপ্রিল আবুল হাসিম কোলকাতায় সমরূপ ইচ্ছা প্রকাশ্য করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন । একই সময়ে ১৯৪৭ সালের ২১ এপ্রিল খ্যাতিমান বাঙালী নিন্মবর্ণ নেতা এবং তৎকালীন ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রী যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে জানান, বাঙলার নিন্মবর্ণ হিন্দুরা বাঙলা ভাগের প্রস্তাবের বিরোধী। কিন্তু অন্যদিকে প্যাটেল সার্বভৌম বাঙলার দাবীকে বর্ণনা করেন ‘ একটা ফাঁদ হিসাবে যেখানে কিরণ শঙ্কর রায় শরৎ বসুর সঙ্গে আটকা পড়বেন ‘ । পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস ততদিনে বিধান রায়ের নেতৃত্বে দিল্লী লবির অনুগত দাসে পরিনত । ইতিমধ্যে কুখ্যাত কোলকাতা রায়ট দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন রেখা গভীর এবং প্রায় অলঙ্ঘনীয় করে তুলেছে । এই সময়ে বর্ধমান মহারাজের সভাপতিত্বে হিন্দু প্রধান জেলাগুলির আইনপ্রনেতারা এক বৈঠকে ৫৮ জন বিভাজনের পক্ষে ভোট দেন কিন্তু সেই সভাতেই মুসলিম লীগের ২১ জনা বিভাজনের বিপক্ষে ভোট দেন। ৫৮ জনের সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষ আরো সিদ্ধান্ত নেয় যে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো ভারতে যোগদান করবে। অন্যদিকে, মুসলিমপ্রধান জেলাগুলোর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ১০৬ জন যার মধ্যে ১০০ জন ছিলেন মুসলিম লীগের, ৫ জন ছিলেন নিন্মবর্নের হিন্দুদের প্রতিনিধি এবং এক জন ছিলেন খ্রিস্টানদের প্রতিনিধি বাঙলা ভাগের বিপক্ষে ভোট দেন। বাকি ৩৫ জন পক্ষে ভোট দেন। পরবর্তীতে বর্ধমান মহারাজের সভাপতিত্বে হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলোর আইনপ্রণেতাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ১০৭-৩৪ ভোটে মুসলিমপ্রধান এলাকার আইনপ্রণেতারা প্রস্তাবিত পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, বেঙল ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাথে তাল মিলিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার বেঙল শাখার সাথে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা বাঙলা ভাগের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন ।

    মুসলিম লীগের এক বিপুল অংশ এবং বাঙলার নিন্মবর্ণ মূলত নমঃশূদ্র হিন্দুরা বাঙলা ভাগের প্রস্তাবের বিরোধী হলেও ,কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভা এবংকমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার বেঙল শাখার আগ্রহে ,নেহেরু প্যাটেল লবির কাছে শরৎ চন্দ্র বসু , সুরাবর্দি , কিরণ শঙ্কর রায় , আবুল হাসিম , সত্য রঞ্জন বক্সী এবং মোহাম্মদ আলি চৌধুরী বাঙ্লাভাগের বিরোধী সংযুক্ত স্বতন্ত্র বাঙলার স্বপ্ন পরাজিত হয়। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ চক্রান্তের বিরুদ্ধে ,বাঙলা ভাগের বিরুদ্ধে যে বাঙালী তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলল সেই একই বাঙালী ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ মেনে নিলো কেন ? এর উত্তর লুকিয়ে আছে অর্থনৈতিক আধিপত্য ,দীর্ঘকাল যাবত সমস্ত সামাজিক বিষয়ে ক্ষমতার আধিপত্য , সাংস্কৃতিক আধিপত্য, শিক্ষার আধিপত্য এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক আধিপত্য হারানোর উদ্বেগের ধারাবাহিক সত্যের মধ্যে ।

    এখন ব্যবসা বা শিল্প বাঙালী ভদ্রলোকদের সমৃদ্ধির ভিত্তি ছিলোনা -তাদের সমৃদ্ধির ভিত্তি ছিল ভূমি । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে সম্পত্তির সাথে যে সম্পর্কের সৃষ্টি হয় তার অপরিহার্য উপজাত ফল হোল এই উচ্চবর্ণ বাঙালী ভদ্রলোক শ্রেণী । খাজনা আদায় কারি ,জমির পত্তনি স্বত্ব দেওয়ার অধিকারী ঠাকুর পরিবারের মত বড় জমিদার থেকে তালুকদার পর্যন্ত সবাই ছিল এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত । তারা জমিতে কাজ করত না , জমি থেকে প্রাপ্ত খাজনা দিয়েই তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহ হত -" ভদ্রলোক হোল দেশের অনুভূতিহীন মাটির সন্তানদের ঠিক বিপরীত ",কায়িক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকাকে এই বাবু শ্রেণীর লোকেরা নিজেদের ও সমাজের নিন্ম শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে অপরিহার্য উপাদান বলে বিবেচনা কোরত । কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে এই আয় কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায় । কৃষি পণ্যের উৎপাদনের হার ক্রমেই কমে আসতে থাকে ,চাষের আওতায় অনাবাদী জমি আনার প্রয়াস ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে । ১৮৮৫ সালে জমিদারের ক্ষমতা সীমিত করবার আইন প্রণয়ন হয় ,জমির খাজনা থেকে আয়ের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয় । ভদ্রলোক শ্রেণী পাশ্চাত্য শিক্ষা কে আয়ের বিকল্প সূত্র হিসাবে আঁকড়ে ধরা শুরু করে ।ভদ্রলোক হিন্দুরা মনে করতে শুরু করে পাশ্চাত্য শিক্ষা তাদের জন্যই সংরক্ষিত , সে কারনে তারা ঐ মাথাভারি শিক্ষা ব্যবস্থার ভিতটিকে বিস্তীর্ণ করবার প্রয়াস কে তীব্রভাবে বাধা দিতে শুরু করে -কারন নিন্ম পর্যায়ের লোকেদের জন্য শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হোলে তাদের একচেটিয়া অধিকার হ্রাস পেতে পারে । বিংশ শতাব্দীতে ভদ্রলোকেদের পরিচিতি সম্পদের আভিজাত্যর সাথে সাথে সাংস্কৃতিক আভিজাত্যে পরিবর্তিত হতে থাকে -তারা সংস্কৃতিবান ,আলোকিত ,বেঙ্গল রেনেসাঁর উত্তরাধিকারী অগ্রগতি এবং আধুনিকতার পতাকাবহন কারি সুতরাং বাঙলার রাজনীতি ,সমাজনীতি ,অর্থনীতি ,শিক্ষানীতি সমস্ত বিষয়ে তাঁদের মাতব্বরি স্বতঃসিদ্ধ বলে ধরে নেওয়া শুরু করে ।

    কিন্তু বিংশ শতাব্দীর দুইএর দশক থেকে বাঙলায় এই চিত্র দ্রুত পাল্টাতে থাকে সব থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি ঘটে চিরাচরিত কৃষি ভিত্তিক পেশার পরিবর্তে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মুসলমান বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের উদ্ভব । শিক্ষা ,চাকরী ,সংস্কৃতি এবং রাজনীতিতে এই মুসলমান সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ক্রমশ লক্ষিত হতে থাকে । ১৮৭০/৭১ সালে বাঙলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাত্র ৪% ছাত্র ছিল মুসলমান অথচ ১৯২০/১৯২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় প্রায় ১৪-১৫ % । বাংলার কোন কোন অঞ্চলে যেমন ঢাকা ,হুগলী এমনকি প্রেসিডেন্সি কলেজে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা হিন্দু ছাত্রদের সংখ্যার সমপরিমাণ এমনকি কোথাও কোথাও বেশি হয়ে দাঁড়ায় । আর এই নব্য শিক্ষিত মুসলমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী পরবর্তীতে বাঙলার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । মুসলমানদের এই অভাবনীয় অগ্রগতি তাদের হিন্দু কাউন্টার পার্টের সাথে প্রতিযোগিতা একই সাথে মুসলমান জনসংখ্যার বৃদ্ধি ক্রমে বাঙলায় হিন্দু জনসংখ্যা কে পেছনে ফেলতে শুরু করে । ১৯৩১ সালে বাঙলায় মুসলমান জনসংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৫৪.২৯% । পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা । বাঙলার অধিকাংশ জেলায় তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ,নব্য শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যুবক সম্প্রদায় মুসলমান সমাজের মধ্যে এক প্রত্যয়ের জন্ম দেওয়া শুরু করে । অপ্রত্যক্ষ ভাবে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বলীয়ান , হিন্দুদের সাথে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে দর কষাকষি , রিজার্ভ সিট ,মুসলিম কোটার অধিকারের মাধ্যমে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে হিন্দু আধিপত্যের সাথে মুসলমানদের সূক্ষ্ম সংঘাতের সূত্রপাত হতে শুরু হয় ।

    ১৯৩২ সালে ম্যাকডোনাল্ডের সম্প্রদায়ভিত্তিক রোয়েদাদের ফলে প্রদেশে নাটকীয় ভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়ে যায় । প্রায় একই সাথে ঘোষিত হয় পুনা প্যাক্ট ,প্রাদেশিক আইনসভায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পরে , ‘ মুসলমানদের কাছে তাদের চিরস্থায়ীভাবে অধীনতা সম্ভাব্য ভবিষ্যতের ছবি হয়ে পরে । একই সাথে কৃষিজাত পণ্যের মূল্য ও গ্রামীণ ঋণ আকস্মিক ও নাটকীয় ভাবে কমে যাওয়ায় খাজনা ও পাওনা আদায়ের পদ্ধতির ওপরে মারাত্মক চাপ পড়ে -অথচ এইগুলিই ছিল এতকালের আয়ের উৎস । খাজনা আদায়ে খাজনা আদায়কারিরদের ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পাওয়ার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি রায়তদের অনুকূলে চলে যেতে থাকে আর এই রায়তদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান । এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে রায়তরা ক্রমবর্ধমান হারে জমিদারদের কর্ত্‌ত্ব অবজ্ঞা করে গ্রামীণ বাঙলায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে থাকে ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইন উচ্চ শ্রেণীর কৃষকদের ভোটের অধিকার দেয় -এই প্রথম মুসলমান চাষি আইনসভার পরিমণ্ডলে নিজেদের কথা বলার অধিকার পায় ।মুসলমান রায়ত এবং মুসলমান বুদ্ধিজীবি এই প্রথম বাঙলার রাজনীতিতে এতকালের মধ্যসত্বভোগি, খাজনা আদায়কারী সুদ ব্যবসায়ী ভদ্রলোকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে ।

    অন্যদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী ইস্যুর ওপর ভদ্রলোক শ্রেণীর স্বার্থ প্রাধান্য বিস্তারের প্রাসঙ্গিকতার কারনে এবং এই আশু বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার স্বার্থে ক্রমে কংগ্রেস ,মূলত বেঙ্গল কংগ্রেস হিন্দু স্বার্থ রক্ষায় ডানপন্থীদের দখলে চলে যায় ,এই সময়ে বাঙালী ভদ্রলোক সম্প্রদায় ব্রিটিশ শাসনকে অত্যন্ত অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করে । মুসলিম শাসন কে হিন্দু সমাজের পক্ষে মারাত্মক ও তাৎক্ষনিক হুমকি হিসাবে দেখার সূত্রপাত শুরু হয় ।সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উচ্চ ভদ্রলোক শ্রেণী মুসলমান শাসন মেনে নেয় কি উপায়ে ? সৃষ্টি হতে শুরু করে হিন্দু জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা বাদ । নিজেদের শক্তি বাড়ানোর উদ্দ্যেশ্যে এতকালের অবহেলিত দলিতদের শুদ্ধি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিন্দু সমাজের মধ্যে স্থান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় , ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠনের প্রয়াস। অধস্তন মুসলমানদের শাসনকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি ,বিভাগের দাবী ও পৃথক আবাসভূমির স্বার্থে ভদ্রলোকেরা বেঙ্গল কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভা কে প্রকৃত অর্থে নিয়োজিত করে । বাঙালি রাজনৈতিক নেতৃত্ব যা এককালে জাতীয় রাজনীতির নির্ণায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ক্রমে নিজেদের শ্রেণীস্বার্থ রক্ষায় ,আঞ্চলিক ,সংকীর্ণ, গোষ্ঠী বিভক্ত এবং দিল্লী কংগ্রেসের আজ্ঞাবাহক হয়ে পড়ে । এমন একটা সময় ছিল যখন কংগ্রেস নেতৃত্ব অখণ্ড ভারতের কোন একটা অংশের বিচ্ছিনতা অভিশাপ হিসাবে বিবেচনা করতেন কিন্তু সেই কংগ্রেস ১৯৪৬ এর কেন্দ্রীয় আইনসভার নির্বাচনে মাত্র 1.3% মুসলমান ভোট পায় । বাঙলায় ২৫০ টি আসনের মধ্যে মুসলিমলীগ ১১৩ টি আসন দখল করে ক্ষমতা দখল করে । এই নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস দেশের এমন সব অংশ ছেড়ে দিতে চায় যেখানে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আশা নেই এবং কেন্দ্রে তাঁদের ক্ষমতার প্রতি হুমকি হিসাবে প্রতীয়মান কিন্তু তারা সাবেক মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলির হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ জেলাগুলো ভারতের সাথে রাখতে হবে এই দাবী তোলে এবং দাবীর অর্থ বাঙলা এবং পাঞ্জাব অবশ্যই ভাগ হতে হবে ।

    ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস বাঙলায় বর্ণ হিন্দুদের সর্ব সম্মত পছন্দের দল হিসাবে গণ্য হয় - হিন্দু মহাসভা মাত্র 2.73% ভোট পায় এবং শ্যমাপ্রসাদ ইউনিভার্সিটি বিশেষ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন । কিন্তু মহাসভার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিপুল বিজয় হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদের বিজয় ছিলোনা বরং কংগ্রেসের ওপরে বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস দৃঢ় ছিল যে কংগ্রেস হিন্দু মহাসভার তুলনায় তাদের স্বার্থ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করবে । কিন্তু ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ সুরাবর্দি’র নেতৃত্বে পুনরায় ক্ষমতায় আসে -হিন্দু বাঙ্গালিদের প্রত্যাশা হতাশায় পরিনত হয় -অন্যদিকে সুরাবর্দি মন্ত্রিসভায় হিন্দু মুসলমান সমতা’র পূরানো ফর্মুলা বাতিল করে মন্ত্রীসভা ১৩ জন থেকে মাত্র ১১ জনে নামিয়ে আনেন এবং হিন্দু মন্ত্রীদের সংখ্যা ৩ এ নামিয়ে আনেন ,তার ওপর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে এই তিনজন হিন্দু মন্ত্রীর মধ্যে দুই জন কে তপশীল সম্প্রদায় থেকে গ্রহণ করেন ।

    হিন্দু ভদ্রলোকেরা একেতে পরাজিত ,তার ওপর ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের সময়ের খাদ্যমন্ত্রি সুরাবর্দি বর্তমানে প্রধান মন্ত্রী , তার মন্ত্রীসভায় মাত্র একজন মন্ত্রী হিন্দু উচ্চবর্ণের প্রতিনিধি , তাদের পক্ষে এই অপমান অসহ্য হয়ে ওঠে । বাঙলা ভাগের ক্ষেত্রে হিন্দু মহাসভা এবং কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনে কংগ্রেস অগ্রণী ভূমিকায় ছিল । সারা বাঙলায় বাঙলা ভাগের জন্য ৭৬টি জনসভা সংগঠিত হয় তার মধ্যে কংগ্রেস একাই ৫৯ টি জনসভা সংঘটিত করে ,বারোটি মহাসভার উদ্যোগে আর মাত্র ৫টি সভা মহাসভার সাথে যৌথ ভাবে সংগঠিত হয় । ভদ্রলোকেরা ছিল এই আন্দোলনের মুল শক্তি , এতে বিস্ময়ের কিছু নেই । বস্তুত প্রাদেশিক রাজনীতিতে ক্ষমতা হারিয়ে ,জমিদারি পদ্ধতির দ্রুত অবক্ষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হতাশ ভদ্রলোক গ্রুপ তাদের এতকালের সুযোগ সুবিধা ক্ষমতা বজায় রাখতে স্বীয়শক্তি নিয়োগে তৎপর হয়ে ওঠে ।

    অন্যদিকে বাঙলার মারোয়াড়ী এবং বাঙ্গালী কোটিপতি ব্যবসায়ীরা মুসলমান বনিকদের ক্ষমতা প্রতিহত করতে সর্বশক্তি দিয়ে উঠে পড়ে লাগেন । বিড়লা ,ঈশ্বর দাস জালান , গোয়েঙ্কা ,নলিনী রঞ্জন সরকার -বাঙলার এইসমস্ত কোটিপতি প্রতিটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে উপস্থিত থেকে দেশভাগের সমর্থনে আন্দোলন পরিচালনার কৌশল নির্ধারণ করতেন । বাঙলার সমস্ত এলাকা থেকে মারোয়াড়ী ব্যবসাদারেরা সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের কাছে দরখাস্ত প্রেরণ করেন , তারা বলেন যে ' মুসলিম লীগের সরকারের অধীন বাঙলায় ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং তারা বাঙলা বিভাগের প্রচেষ্টায় আন্তরিকভাবে সমর্থন করে' । কলকাতার মারোয়াড়ীদের কাছে বাঙলা বিভাগ তাঁদের স্বার্থের পক্ষে অতি উত্তম - অধিকাংশ মারোয়াড়ী পাটের ফাটকা বাজারে প্রভূত অর্থ উপার্জন করলেও পাটশিল্প কে ততদিনে তারা মেরে ফেলতে শুরু করেছে । তাদের মধ্যে আনন্দিলাল পোদ্দার ,কারনানি ,ঝুনঝুনওয়ালা , শেঠরা কয়লাখনি তে বিপুল বিনিয়োগ শুরু করেছে । বিড়লারা চিনি ,বস্ত্র ,ব্যাংকিং ,বিমা ,ক্যেমিকাল শিল্পে ভারতজুড়ে বিনিয়োগ করছে কলকাতার পাট শিল্পের মৃত্যুর বিনিময়ে । অন্যদিকে সুরাবর্দি হাসান ইস্পাহানী গ্রুপের আর্থিক ক্ষমতার ওপরে নির্ভরশীল । অবিভক্ত বাঙলা মারোয়াড়ীদের ব্যবসা বিস্তৃতির পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে । মুসলিম লীগের অধীনে থাকলে তাদের উন্নতির সম্ভাবনা সীমিত অন্যদিকে বাঙলায় কংগ্রেস সরকার স্থাপিত হোলে সরকার তাদের পকেটে থাকবে এই নিখুঁত ব্যবসায়িক স্বার্থে বিড়লা এবং সমস্ত মারোয়াড়ী সম্প্রদায় বাংলাভাগের সমর্থনে তাঁদের সমস্ত ক্ষমতা (আর্থিক ক্ষমতা সমেত ) নিয়োজিত করে ।

    মূলত জমিদার ,পেশাজীবী ,বাঙলার অসংখ্য সন্মানীয় চাকুরীজীবী ,মধসত্ব ভোগী উচ্চ বর্ণের হিন্দু ভদ্রলোক ,মারোয়াড়ী ব্যবসাদার এবং দিল্লীর কংগ্রেস লবির ক্ষুদ্র স্বার্থের কাছে বাঙ্গালি পরজিত হয় আজকের দিনে । তৎপরবর্তী দুই দশকের ইতিহাস ,বঞ্চনা স্বজন হারানোর বেদনা এবং ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালির বৈশিষ্ট্যগত দুর্বলতা, বাম ডানের মধ্যে শক্ত মেরুকরণ এবং এখনো অনেক হিন্দু ভদ্রলোক কর্ত্‌ক উৎকট স্বাদেশিক সংস্কৃতির অব্যহত চর্চা সেই হিন্দু বাঙালি সাম্প্রদায়িকতার ধারবাহিকতা । জাতীয়তাবাদ বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে দেশে দেশে আর বাঙালি ভদ্রলোকের সাম্প্রদায়িকতা পরিচালিত হয়েছে নিজেদেরই জাতির বিরুদ্ধে তার সাথে সুচতুর পরিকল্পনা অনুযায়ী সঙ্গত করেছে মারোয়াড়ী সম্প্রদায় । এখনো আমাদের মধ্যে অনেকেই মুসলমানদের বাঙালি বলে স্বীকার করতে দ্বিধাগ্রস্ত এবং কতিপয় স্বার্থান্ধ মতবাদ প্রচারকারী প্রদেশ ভাগের থেকেও মারাত্মক বাঙালি জাতির ভবিষ্যতকেই হুমকি দিচ্ছে অবিরত ।

    আজ কোন আনন্দের দিন নয় -হিন্দুর বিজয়ের দিন নয় বরং অতি সংখ্যালঘিষ্ঠ ভদ্রলোক হিন্দু এবং মুসলমান বাঙালির হাতে আপামর বাঙালির পরাজয়ের দিন । স্বজন এবং স্বদেশ হারানোর দিন ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ জুন ২০১৬ | ১৭১৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ০৪:৪০55300
  • 'সেটা হয়েওছে' মনে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েওছে। অখন্ড বাংলা হলে বর্ণহিন্দু আধিপত্য থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য হত। এক্ষেত্রে পশিম পাকিস্তানি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হবার জন্য হয়েছে।
  • PT | 213.110.242.5 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ০৬:৩৭55301
  • "হিন্দুরা মেজরিটি হলেই এক মাত্র সবাই নিরাপদে থাকে, মুসলিম রা মেজরিটি হলেই বিপদ, তাকে অংকের হিসেবে ভুল বলা যাবে কি ? একই সংখ্যা তো কত ভাবে এনালিসিস করা যায়।"

    চমৎকার ধরেছেন!!
    (কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে এই তত্বটা পব-র বিজেপিরা নিয়মিত প্রচারে ব্যবহার করে। অর্থাৎ কিনা ইতিহাসের ঘটনার ইন্টারপ্রিটেশন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়াটাকে "ইতিহাস চর্চা" বলে আখ্যায়িত করা যায় কিনা সেটাই প্রশ্ন!!)
  • amit | 230.245.40.8 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ০৬:৫২55302
  • এক্সাক্টলি এটাই পয়েন্ট। পূর্ব নির্ধারিত ইনফারেন্স নিয়ে লেখা হলে, একই সংখ্যা অনেক ভাবে ইন্টারপ্রিট করা যায়।

    আর মূল লেখা টার সুর যে একপেশে, সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছি। যেটা মূল লেখক নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীদের লেখার প্রতিবাদই ওনার একমাত্র উদ্দেশ্য:

    ""(26 June 2016 13:04:55 IST 212.142.76.164 (*) #
    PT বাবু ইতিমধ্যে জয়া চ্যাটার্জি ডাউন লোড করেছেন - এই নিবন্ধটির অনেক তথ্য ওনার বইটি থেকে নেওয়া ওনার বইয়ের একদম শেষে দেখুন " এই বইটি যদি জাতীয়তাবাদী অতীত নিয়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের দাবীকে চ্যলেঞ্জ করে ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে তাদের বৈধতাকে কিছুটা হলেও অস্বীকার করতে পারে , সেইটাই হবে এই বইটি রচনার সার্থকতা ।
    মুল নিবন্ধ টি ২০ সে জুন ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপ এ " জাতীয়তাবাদী অতীত নিয়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের শ্যামাপ্রসাদ কে নিয়ে একটি বীরত্ব মূলক প্রচার '' এর পাল্টা জবাব হিসাবে লিখিত এখন এই লেখা যদি কারো কারো বিশেষ ব্যাথার জায়গায় চেপে ধরে -ধরছে ইতিমধ্যে দেখতে পারছি তাহলে আমি এই রচনাটি স্বার্থক বলে মনে করব ।""

    এবার নিজেকে আগ বাড়িয়ে অতি উগ্র ভাবে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের বিরোধী প্রমান করতে গিয়ে একগাদা গরুর রচনা লিখলে সেটার সততা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়, বিশেষত যেখানে এতটা জটিল একটা সাবজেক্ট। এবার সেটা হলে বিতর্ক হবেই।
  • প্রশ্ন | 125.112.74.130 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ০৭:৪৬55303
  • লেবানন রোয়ান্ডা র কথা উঠলেই আব্বুলিশ কেন ? বেশ তাহলে পূর্ব পাকিস্তান ? স্বাধীনতার পরে পূর্ববঙ্গে 30% হিন্দু ছিল যা নামতে নামতে এখন 8% ও আছে ? অখণ্ড বাংলা হলে 60% মুসলিম ও 40% হিন্দু হতো আর তাতেই তুল্যমূল্য হয়ে ভারসাম্য আসতো ও ইতিহাস পাল্টে যেত ? কষ্টকল্পনার ও সীমা আছে ।
    " কিন্তু বাঙলার এই শক্তি টা ছিল - ভাষা ,সংস্কৃতি ,খাদ্যাভ্যাস সমস্ত কিছু প্রায় এক এমনকি ধর্ম তেও গোঁড়ামি তুলনামূলক কম ছিল ।"- বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইরাক ,সিরিয়া ,তুরস্কে সবাই মুসলিম হলেও লড়াই হচ্ছে কোথাও শিয়া সুন্নি কোথাও বিভিন্ন ট্রাইব কোথাও বিভিন্ন নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে । একজন ইরাকি শিয়া আর সুন্নীর খাদ্য সংস্কৃতি , জীবনধারা সব ই সমান তাতেও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আটকাচ্ছে না । আর ধর্মীয় গোঁড়ামি ? 1947 দেশভাগের আগে বাংলায় direct action day great calcutta killing নোয়াখালী দাঙ্গা অলরেডি ঘটে গেছে । পূর্বপাকিস্তানে কত তাড়াতাড়ি নমঃশুদ্র দের কি দশা হয়েছিল পূর্বপাকিস্তানে তা যোগেন বাবুর লেখাতেই জানা যায় , যোগেন মন্ডল তাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে ভারতে ফিরে আস্তে বাধ্য হন । এই আলোচনায় তা অনুপস্থিত মানে হয় অন্ধের হস্তিদর্শন নয় ইতিহাসের ইচ্ছাকৃত চেরিপিকিং ।
    মাড়োয়ারি বিজনেস হাউস কং এর পিছনে ছিল আর ইস্পাহানি গ্রূপ , করাচির হারুন গ্রূপ রা লীগের পিছনে ছিল না ? তাহলে তাদের বিজনেস ইন্টারেস্ট ছিল না পূর্বপাকিস্তান ভাগ করার ? নারায়ণগঞ্জের পাট কল গুলোর মালিকানা তাদের হাতে চলে এলো যে দেশভাগের পর ?
    "যারা লিখছেন - বাংলাভাগ হয়ে ভালো-ই হয়েছে, নয়তো আমাদের (হিন্দুদের) চাপাতির কোপ কপালে ছিলো। বলতে দ্বিধা নেই জ্ঞানত অথবা অজ্ঞানত তারা রক্তে প্রোথিত সেই সাম্প্রদায়িকতার বীজ বহন করছেন যেখানে মুসলমানদের বাঙালি বলে গণ্য করতেও অসুবিধা আছে ।"
    - এখন ভিক্টিম দের ধর্মের স্টিরিও টাইপ কে করলো ? দেবব্রত বাবু কি বাংলাদেশে চাপাতির কোপে খুন মুক্তমনা মুসলিমদের (যেমন ওয়াশিকুর রহমান) নাম শোনেন নি ?
    একটু অন্য প্রসঙ্গে -
    "বাঙালি নেপলিয়ান থেকে স্তালিনগ্রাদের বীরগাথা পর্যন্ত জানে কিন্তু বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে কতিপয় শক্তি যে জীবন মরণ পণ করে আইসিসের মত কদর্য শক্তির সাথে স্রেফ সাহসে ভর করে কোন রাষ্ট্রের ব্যাকআপ ছাড়া লড়ে যাচ্ছে তাদের কথা জানেনা "
    - এক সেনা কমান্ডার যুদ্ধে শহীদ হলে ( তিনি যতই বীর হন ) তা "পাহাড়ের থেকেও ভারী" বলাটা কত যুক্তিগ্রাহ্য তাতে যাবো না। কিন্তু "কোন রাষ্ট্রের ব্যাকআপ ছাড়া লড়ে যাচ্ছে " সত্যের অপলাপ । রাশিয়া আমেরিকার আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণ না হলে , আমেরিকা মাটিতে নিরন্তর যুদ্ধোপকরণ যোগান না দিলে এবং তুর্কি রা মদত দেওয়া না বন্ধ করলে কুর্দিশ সেনা জিততো না । আর কুর্দিশ রা একা মাটিতে লড়েনি ইরাকি ও আসাদের সেনাবাহিনীও জোরদার আক্রমণ করে চলেছে ISIS কে ।
  • কল্লোল | 125.242.184.237 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ১১:২০55304
  • প্রশ্নের কাছে প্রশ্ন।
    আপনি কি লেখাটি ও তার্পর মন্তব্যগুলো পড়ে লিখছেন? মনে তো হয় না।
    লেবানন রুয়ান্ডার কথা "আব্বুলিশ" বলা হয় নি। বলা হয়েছিলো এই দেশগুলোর সাথে বাংলার কোন মিল নেই, তাই তুলনা অনর্থক।
    আমি তো লিখেছি - কটা জিনিস পরিষ্কার করে বোঝা দরকার - ১) সিন্ধ, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, নঃইঃফ্রঃর সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তিসমূহ বাংল ভাগের পক্ষে ছিলো - তাদের নিজেদের স্বার্থে। অখন্ড বাংলা পাকিস্তানে এলেও, বাঙ্গালীরা জাতিগত সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে। সেদিনের হিন্দু-মুসলমান আবহে এটা ততো বিপদ না হলেও অচিরেই বিপদ আসতে পারে, সেটা তারা বুঝতেন, ও ঠিকই বুঝতেন। ২) বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থেই বাংলাভাগের পক্ষে ছিলো না। আবারও লিখছি নিজেদের স্বার্থে। তারা বংলা ভাগের পক্ষে ছিলেন না, এটাই ঘটনা, সেই বাস্তবতা উল্টে দেখাতে হবেই কেন?
    বিড়লা ,ঈশ্বর দাস জালান , গোয়েঙ্কা ,নলিনী রঞ্জন সরকার - চারজনের মধ্যে একজন বোধহয় বাঙ্গালী। তারপরেও মনে হলো মাড়োয়ারীরা চক্রান্ত করেছে? বর্ধমানের মহারাজা হিন্দু অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকে দাবী তুলেছেন বাংলা ভাগের - এটাও নিশ্চই মাড়োয়ারী ষড়যন্ত্র না। হ্যাঁ, সে সময় মাড়োয়ারী ব্যবসায়ী লবির প্রভাব কংগ্রেসে খুবই প্রবল ছিলো, এটা অস্বীকারের কোন তথ্য আছে? এরা নিজেদের স্বার্থেই বাংলাভাগ চেয়েছিলো। যেমন উল্টদিকে - বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থেই বাংলাভাগের পক্ষে ছিলো না।
    দেবব্রতও বারবার লিখেছে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প লবি দেশভাগ (ফলতঃ বাংলা ভাগ চেয়েছে) সেগুলো চোখ এড়িয়ে গেছে বোধহয়। তাহলে আর একবার পড়ে ফেলুন।
  • amit | 230.245.40.8 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ১১:৫২55305
  • সেই একই লুপ এ গোল গোল ঘোরা চলছে।

    আচ্ছা, কল্লোল-দা কে প্রশ্ন: আপনার কথায় "বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থেই বাংলাভাগের পক্ষে ছিলো না। আবারও লিখছি নিজেদের স্বার্থে। তারা বাংলা ভাগের পক্ষে ছিলেন না, এটাই ঘটনা"।

    তারা এতটাই যদি ব্যগ্র ছিলেন (?? ) বাংলা কে এক রাখার জন্য, একবারও কি মুসলিম নেতারা প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলা ভাগ এড়াতে পুরো বাংলা কে পাকিস্তান এর বদলে ভারতে সংযুক্ত করা হোক ? নাকি সেটার সম্ভাবনাই ছিল না ? গোলগোল না ঘুরে এটার সোজা উত্তর দেবেন প্লিজ ?

    সেটা যতদূর জানি, কখনো সেরকম প্রস্তাব আসে নি মুসলিম লীগের থেকে। অর্থাৎ আপনাদের কথায় বাংলা এক রাখতে হলে পুরো বাংলাকেই পাকিস্তান এ মিশিয়ে দেয়াটাই একমাত্র রাস্তা খোলা ছিল ? সেটা হয়নি বলে সেই দুঃখে পরবর্তী কালে বাংলাদেশ এ সংখ্যালঘুদের মেরে, ধরে তাড়ানো হয়েছে ?

    আর আপনার আগের মন্তব্য "দুই সম্প্রদায়ের সংখ্যাগতভাবে তুল্যমূল্য জায়গায় থাকলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টিই হতো না" এটার উত্তর আগেই দিয়েছি। এটা আপনার নিজের বিশ্বাস, এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। সংখ্যা তুল্যমূল্য থাকা সত্ত্বেও, "এক জাতি, এক প্রাণ ইত্যাদি ইত্যাদি" গালভরা বাণী সত্ত্বেও 1946 এর দাঙ্গা আর তার পরবর্তী বাংলাদেশ এ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আটকায় নি। সেই একই বাঙালি, একই ভাত ডাল খেয়ে, একই ভাষায় কথা বলে অন্য সম্প্রদায় এর ওপর অত্যাচার করেছিল। ভাবের ঘরে চুরি করে কেও স্বপ্ন দেখতেও পারেন, তাতে রক্ত ঝরা আটকায় নি।

    যখন অন্য দেশের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন আপনারা যুক্তি দেন বাংলার সংস্কার আলাদা, এখানের সাথে অন্য দেশের তুলনা হবে না, যদিও ইতিহাস অন্য কথা বলে। অনেকটা পেহলাজ নিহালনির "সংস্কারি বন্ড এর " মতো হয়ে যাচ্ছে না আপনাদের যুক্তিটা ?
  • প্রশ্ন | 190.179.40.51 (*) | ২৮ জুন ২০১৬ ১২:৪১55306
  • কল্লোল বাবু , ইতিহাস সিলেক্টিভ রিডিং বিপজ্জনক । অন্ধের হস্তিদর্শনের মতো । দেবব্রত বাবুর প্রতিপাদ্যের সাথে যায় না এমন অপ্রিয় প্রসঙ্গ ( যেমন যোগেনবাবুর প্রত্যাবর্তন , কলকাতা নোয়াখালী দাঙ্গা , দেশভাগ পরবর্তী পূর্ববঙ্গে হিন্দু বিতাড়ন) গুলো "পরে একদিন" বলে এড়িয়ে গেছেন , ওনার লেখার সমালোচনা করলে আবার রেগেও গ্যাছেন ( তাহলে আর গুরুতে লেখা কেন বাপু ) । শ্যামাপ্রসাদ কে ভিলেন সাজাতে গিয়ে উনি great calcutta killing এর নায়ক সুরাবর্দি কে মহান "বাঙালি জাতীয়তাবাদী" বানাচ্ছেন ।

    "বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তিসমূহ নিজেদের স্বার্থেই বাংলাভাগের পক্ষে ছিলো না।" আজ্ঞে না অত সাদাকালো ভাগ ছিল না । ফজলুল হক নিজে 1940 সালে লাহোর প্রস্তাব পেশ করেন মুসলিমদের নিজভূমি পাকিস্তানের পক্ষে । ঢাকার নবাব নাজিমুদ্দিন ছিলেন আরো কট্টর , ডিফেন্স কাউন্সিলে যোগদান নিয়ে জিন্নার সাথে বিরোধে ফজলুল 43 সালে সরে যান ,প্রজা কৃষক পার্টি ও ক্ষমতা হারায় এরপর জিন্নার মদতে 43 সালে লীগের নাজিমুদ্দিন হন বাংলার "প্রধানমন্ত্রী" ( মুখ্যমন্ত্রী কে তখন তাই বলা হতো ) । নাজিমুদ্দিনের আমলেই ব্রিটিশ পরিকল্পনায় সিভিল সপ্প্লাই মন্ত্রী সুরাবর্দির যোগসাজসে হয় কুখ্যাত 43 এর মন্বন্তর - শুধু মেদিনীপুরে হাজারে হাজারে মানুষ অনাহারে মরে - চার্চিল'স সিক্রেট ওয়ার বই টি দেখতে পারেন । মরার ওপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসে 46 এর দাঙ্গা । কি আশ্চর্য ! পূর্ব পাকিস্তান হবার পরেই রাতারাতি হিন্দুদেড় জমি সম্পত্তি গুলোর দখল পায় স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতারা । তবে হ্যাঁ বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান রাজনৈতিক শক্তি ভীষণ চেয়েছিলো সম্পদশালী কলকাতা শহর কে পূর্ব পাকিস্তানে নিয়ে যেতে ( অনেকটা হায়দরাবাদ নিয়ে অন্ধ্র তেলেঙ্গানার টানাটানি ) ,পশ্চিমবঙ্গের গরিব জেলা গুলো যেমন মেদিনীপুর বীরভূম বর্ধমান পুরুলিয়া বাঁকুড়া নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মোহ ছিল না,থাকলে 43 এ মানুষ গুলোকে এভাবে পরিকল্পিতরূপে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতোনা ।
    অমিত ঠিকই বলেছেন - "এটা আপনার নিজের বিশ্বাস, এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। সংখ্যা তুল্যমূল্য থাকা সত্ত্বেও, "এক জাতি, এক প্রাণ ইত্যাদি ইত্যাদি" গালভরা বাণী সত্ত্বেও 1946 এর দাঙ্গা আর তার পরবর্তী বাংলাদেশ এ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আটকায় নি। সেই একই বাঙালি, একই ভাত ডাল খেয়ে, একই ভাষায় কথা বলে অন্য সম্প্রদায় এর ওপর অত্যাচার করেছিল। ভাবের ঘরে চুরি করে কেও স্বপ্ন দেখতেও পারেন, তাতে রক্ত ঝরা আটকায় নি। যখন অন্য দেশের উদাহরণ দেওয়া হয়, তখন আপনারা যুক্তি দেন বাংলার সংস্কার আলাদা, এখানের সাথে অন্য দেশের তুলনা হবে না, যদিও ইতিহাস অন্য কথা বলে।"
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.249 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০১:২৯55311
  • মন্তব্যাবলী বহুদূর এগিয়ে গেছে , নিয়মিত অনুসরণ করতে পারিনি বলে দুঃখিত । ছোট খাট বিষয় বাদ দিলেও যে প্রসঙ্গ গুলি নিয়ে বলবার আছে :-( যদিও টাইপ করতে আলসেমি ) ধারাবাহিক ভাবে বলি ?

    1, ১৯৪০ এর লাহোর প্রস্তাবে একক পাকিস্তান গড়ার প্রস্তাব ছিলোনা যা ছিল তা খানিকটা এইরকম " ৩# সিদ্ধান্ত গৃহীত হোল যে , নিখিল ভারত মুসলিম লীগের এই অধিবেশনের বিবেচিত অভিমত এই যে , এই দেশে কোন শাসন্তান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য নয় যতক্ষণ পর্যন্ত নিন্মোক্ত মুল নীতির উপর সেটি পরিকল্পিত হয় -যেমন ভৌগলিকভাবে লাগোয়া ভূখণ্ডগুলিকে এক একটি অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করে সেগুলির এলাকা প্রয়োজন অনুযায়ী রদবদল করে এমনভাবে গঠন করতে হবে যে , যে সকল অঞ্চল মুসলিম অধ্যুষিত , যেমন ভারতের উত্তর - পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চল, সেগুলিকে একত্রিত করে স্বাধীন "রাষ্ট্রসমূহে” পরিনত করতে হবে যেখানে গঠনকারী একক গুলি হবে স্বাধীন ও সার্বভৌম । এই সমস্ত একক অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ,সাংস্কৃতিক ,অর্থনৈতিক ,রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা এবং অন্যান্য স্বার্থ ও সুবিধে যথাযথভাবে রক্ষার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধানে সুনির্দিষ্ট এবং বাধ্যতামূলক রক্ষণ ব্যবস্থা সন্নিবেশিত করতে হবে । ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে মুসলমান এবং অন্যান্যরা সংখ্যালঘু সেখানে তাদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শাসন ব্যবস্থা , স্বার্থ ও সুবিধে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধানে যথাযথ, কার্যকর , বাধ্যতামূলক এবং সুনিশ্চিত ভাবে রক্ষা করতে হবে ।
    এখানে , মানে ১৯৪০ এর লাহোর প্রস্তাবে ‘ একক পাকিস্তান গঠনের ‘ গল্প টি ঠিক কোথায় পরিলক্ষিত হোল ? লাহোর প্রস্তাবে দেশ বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি ।

    কলকাতা , নোয়াখালী দাঙ্গার প্রশ্ন আসছে কিন্তু কলকাতা দাঙ্গার পরে পাটনার দাঙ্গার কথা আসছেনা , সেখানে ৩০০০০ মুসলমান নিহত হয়েছিল । পাটনার দাঙ্গার কথা অবশ্য আসার কথাও নয় তাহলে মুসলমান সাম্প্রদায়িকতা কিছুটা ফিকে পরে যায় এবং হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার চরিত্র সামনে আসে । না ব্যাপারটি অত সোজা নয় কলকাতার দাঙ্গায় সুরাবর্দির কোন রাজনৈতিক লাভ হয়নি উল্টে চূড়ান্ত বদনাম এবং হিন্দু অবিশ্বাসের শিকার হয়েছিল - লাভ হয়েছিল জিন্নার এবং প্যাটেলের । জিন্না পাটনা এবং কলকাতা সফর করেননি । দাঙ্গা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে 'স্থির মস্তিষ্কে ' জিন্না বলেছিলেন যে , সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তাঁর দ্বিজাতি তত্ব প্রমাণ করেছে । আর প্যাটেল বলেছিলেন এতে হিন্দুদের লাভ হয়েছে । এই বিষয়ে সুরঞ্জন দাশের বই ' কমিউনাল রায়টস ইন বেঙ্গল ' দেখুন । দাশের গবেষণার সম্ভবত উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হোল , ১৯৩০ সালে ঢাকার দাঙ্গা থেকে শুরু করে ১৯৪৬ সালের কলকাতা হত্যাযজ্ঞ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলিতে হিন্দু ভদ্রলোকদের ব্যপক অংশগ্রহণ দাঙ্গা বিষয়ে সুরঞ্জন দাশ ( সম্ভবত বর্তমানে যাদবপুরের উপাচার্য ) ' কমিউনাল রায়টস ইন বেঙ্গল ' বইটি এই ফাঁকে দেখে রাখতে পারেন অনেক ভ্রান্ত ধারনার অবসান হবে বলে আসা রাখি । আর দুর্ভিক্ষ নিয়েও যথেষ্ট গবেষণা পত্র বর্তমান " তাতে নাজিমুদ্দিনের আমলেই ব্রিটিশ পরিকল্পনায় সিভিল সপ্প্লাই মন্ত্রী সুরাবর্দির যোগসাজসে হয় কুখ্যাত 43 এর মন্বন্তর " এই অর্ধসত্যের সমর্থন নেই । প্রথমেই বলেছি টাইপ করতে আলস্য তাই এই নিবন্ধে এইটাই আমার শেষ মন্তব্য । সকলকে ধন্যবাদ মতামত রাখবার জন্য। একটি ফেসবুক পোস্ট হিসাবে " লেখাটি দরকারের থেকে অনেক বেশি এটেনশন" দেওয়ার জন্য তবে লেখাতে তথ্যের বিকৃতি আছে বলে মনে হচ্ছেনা এখন মতামত নাই মিলতে পারে সেটাই যুক্তিসঙ্গত সকলের ইতিহাস পাঠ একই হতে হবে এইরকম কোন কথা নেই ।
  • কল্লোল | 125.242.190.247 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০১:৪৭55307
  • প্রশ্ন। বাংলার সাম্প্রদায়িক মুসলমান শক্তি চেয়েছিলো অখন্ড বাংলা পাকিস্তানে যাক। তারা নিজেদের স্বার্থেই বাংলা ভাগ চায় নি, দেশভাগ চেয়েছিলো। দুটোর (বাংলাভাগ ও দেশভাগ) যে তফাৎ আছে আশা করি সেটা বুঝিয়ে বলতে হবে না।
    এবার অখন্ড বাংলা পাকিস্তানে গেলে কি হতো, তাতে আপনার একরকম মত, আমার অন্যরকম। আপনি মনে করেন কালে কালে আজ পাকিস্তান বা বাংলাদেশে যা ঘটছে তাইই হতো। আমি মনে করি, ৭১এর অনেক আগেই বাংলাদেশ (অখন্ড বাংলা) পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতো। তাতে স্বাভাবিকভাবে ভারত মদতও দিতো। আর অখন্ড বাংলা থাকলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা সামাজিক-রাজনৈতিক ভারসাম্য থাকতো।
    আপনি ১৯৪৬-৪৭এর দাঙ্গাকে বড় করে দেখছেন। আমি কয়েকশো বছর ধরে দুই সম্প্রদায়ের পাশাপাশি শান্তিতে সহবস্থানকে দেখছি। আপনি মানুষের অশুভবুদ্ধিতে আস্থা রাখছেন, আমি মানুষের শুভবুদ্ধিতে আস্থা রাখছি।
    এই আর কি।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০২:২৭55308
  • আচ্ছা, তাহলে এবার 1946 বা তার পরবর্তী 60-70 বছর এর রুক্ষ বাস্তব ছেড়ে কল্পিত শুভবুদ্ধির আশায় প্রণিপাতই শেষ আশ্রয় ? তবে যেটা বোঝা গেলো না, যারা ভাবছেন দেশ ভাগ হয়ে বহু প্রাণ বেঁচেছে, তাদের কে অশুভ বুদ্দিতে আস্থা কেন বলা হচ্ছে ? তাদের যদি ধারণা থাকে যে দেশ ভাগ হয়ে অনেক প্রাণ বেঁচেছে, সেটা কি শুভ নয় ? নাকি চাপাতির ডগায় "মেরেছো কলসির কানা , তবে কি প্রেম দেব না " গান শোনানো শুভ বুদ্ধির ওপর ভরসা করার নমুনা ?

    রাস্তায় চলতে গেলে কি আপনারা চোখ বন্ধ করে হাঁটেন ? ড্রাইভারদের শুভ বুদ্ধির হাতে নিজের জীবন টাকে ছেড়ে দিয়ে ? নাকি ট্রাফিক এর হাল দেখে তারপর সিগনাল পেরোন ?

    আরো একটা কথা। অনেক বার আপনার মন্তব্য এসেছে অন্য দেশের সাথে বাংলার তুলনা হয় না। আপনারই করা কিছু আগের মন্তব্য, পরে কেন জানি মনে হলো অন্য দেশের সাথে তুলনা করা বেশ পছন্দই করতেন, সেটা তাহলে যখন আপনার সুবিধা হয় ?

    Name: কল্লোল

    IP Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 01:50 PM

    ভারতে রেপ কেস তবু নথিভুক্ত হয়। ইরান বা ঐরকম দেশে যেখানে ধর্ষিত হলে মেয়েটির মৃত্যুদন্ড হয়, সেখানে নথিভুক্তই হয় না রেপ।

    Name: ঊমেশ

    IP Address : 118.171.128.168 (*) Date:23 Dec 2015 -- 02:55 PM

    কল্লোল'দার তুলনাটা চাড্ডি দের মতো হয়ে গেলো।
    চাড্ডিরা যেমন কথায় কথায় বলে পাকিস্তান, সৌদি হলে কি পারতে এই করতে, ঐ করতে।

    আরে বাবা, তুলনা যখন করবো একটু ভালো কারো সাথে তো করবো।
    রেপ নিয়ে যদি ইরানের সাথে ভারতের তুলনা করা হয়, তাহলে আর কিছু বলার নেই।

    Name: কল্লোল

    IP Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 03:31 PM

    হতে পারে। তা, ভারতের সাথে কেন ইরানের তুলনা হবে না, সেটা তো বুঝলাম না।
    যদি ইরানের সাংস্কৃতিক মানের কথা বলো ভারতের চেয়ে খুব পিচিয়ে এমন তো নয়।
    ইরানে চমৎকার সিনেমা হয়, ভারতের ভালো ভালো চলচ্চিত্রকারেরা তার প্রশংসা করে থাকে। সমসময়ের ইরানের সাহিত্যও বেশ উঁচু দরের বলে জানি। ইরানে ধর্ষিত হলে মেয়েটিকে ফঁসী দেওয়া হয়। ভারতে ধর্ষিত হলে ধর্ষককে বিয়ে করার বিধান হয়। ভারতে গরুর মাংস কিনলে লোকে পিটিয়ে মারে। ইরানে শুওরের মাংস কিনলে হয়তো তাইই হয়। ইরানে শরীয়া মেনে শাস্তি চলে, হাত কেটে দেওয়া ইঃ এখানেও খাপ পঞ্চায়েৎ চলে রমরম করে। এখানে লোককে গাড়ি চাপা দিয়ে মারলে প্রমাণ হয় গাড়ির জ্বালানীতে মদ ছিলো তাই গাড়ি নিজে নিজে ফুটপাতে উঠে লোক মেরে দেয়। পুলিশ গুলি চালিয়ে ১২/১৩ জনকে মেরে দেবার পর কমিশনে প্রমাণ হয় যে কেউ গুলি চালায় নি, গুলি চালাতে কেউ আদেশ দেয় নি। রাইফেলগুলো নিজে নিজে চলে গেছিলো। ইরানের জিডিপি ভারতের প্রায় চারগুণ বেশী।
    তুলনা হবে না কেন?

    Name: PT

    IP Address : 213.110.246.25 (*) Date:23 Dec 2015 -- 03:36 PM

    মহারাষ্ট্র সরকার সলমনের ব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টে যাচ্ছে। তদন্ত হওয়া ও মামলা দায়ের করা এই জন্যেই জরুরী। লড়াইটা চালিয়ে যাওয়া যায়।

    Name: কল্লোল

    IP Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 03:41 PM

    তবু যদি এই তুলনায় মন খারাপ হয়, তবে নিন -
    Number of reported forcible rape cases in the United States 2014 - 84041
    Number of reported forcible rape cases in the India 2014 - 33,764
    এবার তুলনা ঠিক হলো তো? নাকি আবার বলা হবে অতো উন্নত দেশের সাথে খেলবো না।

    ভারতে ধর্ষন বেশী হয় এমন নয়। তার মানে এই নয় ধর্ষনের ব্যাপারে ভারত তপোবন গোছের ছুইট পুচু পুচু।
    তাই, ভারতে কেন অ্যাতো ধর্ষন হচ্ছে এই কথার কোন মানে খুঁজে পাই না।

    Name: amit

    IP Address : 24.202.188.159 (*) Date:23 Dec 2015 -- 04:06 PM

    আমেরিকা তে বা যেকোনো সভ্য দেশে রেপ যেসব ক্রিতেরিয়া ধরা হয়, ইন্চ্লুদিং মারিটাল রেপ, এক স্কেল ধরতে গেলে গোটা ভারত উজার হয়ে যাবে। আপেল এর সাথে আপেল এর তুলনা করা ভালো , আপেল এর সাথে পচা কলার নয়।

    http://www.guruchandali.com//guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1355851357497&contentPageNum=91
  • কল্লোল IP 125.242.190.247 | 111.63.217.77 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০৩:৩১55309
  • এতোদিন গুরুতে আমি একাই কল্লোল নামে লিখতাম। এখন দেখছি অন্য এক কল্লোল এসেছেন যাঁর আইপি 135.17.65.226।
    আমার অইপি 125.242.190.247। আমার শেষ পোস্ট 29 June 2016 07:17:10 IST।
    এরপর যে পোস্টগুলো IP Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 01:50 PM, P Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 03:31 PM এবং IP Address : 135.17.65.226 (*) Date:23 Dec 2015 -- 03:41 PM - কল্লোল নামে এসেছে সেগুলো আমার নয়।
    135.17.65.226 আইপির কল্লোলবাবু, আপনি দয়া করে অন্য কোন নাম নিলে ভালো হয়।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০৩:৪৯55310
  • ওগুলো যদি আপনার কমেন্ট না হয়, তাহলে আমি দুঃক্ষিত। কথার ঝোকে অনেক সময় আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি, অনেক অপ্রয়োজনীয় পুরো কাসুন্দি ঘাটা হয়ে যায়। যেগুলো না হলেও হয়তো কোনো ক্ষতি ছিল না।

    যাই হোক, এই লেখাটি দরকারের থেকে অনেক বেশি এটেনশন পেয়েছে, যদিও যেটার জন্য মূল লেখকের কথার সুর আর পরবর্তী মন্তব্য গুলো বেশি দায়ী। এতটা সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অনেক বেশি পরিশীলন আর পড়াশোনা লাগে, নাহলে অন্ধের হস্তীদর্শন হয়ে দাঁড়ায়।
  • kallol | 116.212.135.165 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০১:৫৪55312
  • মোবাইল থেকে লিখ্ছি। তাই নাম ইঙ্গরাজিতে লিখতে হলো। এই পোস্ট অমিতের ২৯ জুন ৭ঃ৫৭র পোস্টের উত্তর।
    আমি শুভবুদ্ধি বলতে, মানুষ মিলে মিশে থাকবে এই শুভবুদ্ধির উপর আস্থা রেখেছি। যেটাও কয়েকশ বছরের বাঙ্গলার ইতিহাস। আর অশুভবুদ্ধি বলতে, মানুষ দাঙ্গা করবেই, এই বিশ্বাসে আস্থা রাখার কথা বুঝিয়েছি।
    আঅপনার রাস্তা পারের উদাহরণই ধরা যাক। বহুসময়ে গাড়ির ভিড়েও রাস্তা পার হই, স্রেফ হাত দেখিয়ে। পার হয়েও যাই। গাড়ি চলকদের উপর আস্থা রাখি তো। আমরা সবাই রাখি। রাস্তায় বের হলে নানান বিপদ হতেই পারে, তার ভয়ে কখনো-ই একলা রাস্তায় বের হন না, এমন তো নয়। সহনাগরিকদের উপর আস্থা রখেন তো।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.21 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০৩:০৮55317
  • লিখেছিলাম এই টইয়ে আমার এইটাই শেষ মন্তব্য কিন্তু আমার 29 June 2016 18:59:53 IST মন্তব্যের উত্তরে 'প্রশ্নের ' মন্তব্যের প্রসঙ্গে এই মন্তব্যটির অবতারণা । প্রশ্ন লিখছেন " দেবব্রত বাবু , ইতিহাসের ইচ্ছাকৃত চেরি পিকিং বিপজ্জনক।পাকিস্তান সৃষ্টি নিয়ে অনেক ইতিহাস বই আছে। পাতি উইকিপিডিয়া থেকেই লাহোর প্রস্তাবের ভার্বাটিম টেক্সট পাওয়া যায়" । এখন পাতি উইকিপিডিয়া থেকে জ্ঞান অর্জন অনেক সময় পাতি প্রতিপন্ন হয় যেমন লাহোর প্রস্তাবটি বিষয়ে 'প্রশ্নের ' মন্তব্যটি হয়েছে ।

    এই টইয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই সেটা দেখা যাচ্ছে - তবে সত্যের অপলাপের প্রচেষ্টা এবং লাহোর প্রস্তাবের ভুল পাঠ বর্তমান - অধিকাংশ শিক্ষিত বাঙ্গালির অবিশ্যি এই ভুল ধারনা বর্তমান যে লাহোর প্রস্তাবে পাকিস্তানের প্রস্তাব গৃহীত হয় । না তা হয়নি । প্যারাগ্রাফ ' ৩ ' এর ইংরাজি এবং আমার পোস্টে তার বঙ্গানুবাদ দেখলে মালুম হবে । তবে আমরা যাকে বলে চেরিপিকিং টাইপ দেগেই দিয়েছেন । কিন্তু আম্বেদকর ?

    চেরিপিকিং আম্বেদকর ঃ-
    " What does this Resolution contemplate? A reference to paragraph 3 of the Resolution will show that the Resolution contemplates that the areas in which Muslims predominate shall be incorporated into independent States. In concrete terms, it means that the Punjab, the North-Western Frontier Province, Baluchistan and Sind in the North-West and Bengal in the East instead of remaining as the provinces of British India shall be incorporated as independent States outside of British India. This is the sum and substance of the Resolution of the Muslim League." এর অর্থ কি পাকিস্তান ? কোথাও উল্লেখ আছে ? যা আছে ব্রিটিশ ভারতের বাইরে আলাদা স্বতন্ত্র রাষ্ট্রসমূহ (স্টেট্‌স বহুবচন ) । মনে রাখবেন শব্দটা " independent States" State নয় ।

    চেরিপিকিং জয়া চ্যাটার্জি ঃ-

    “ এ কথা সত্য যে জিন্নাহ কখনো এমনকি ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের কাছে তাঁর পাকিস্তান দাবির স্পষ্ট ব্যখ্যা দেননি । জনগণের কাছে অতি পরিচিত লাহোর প্রস্তাবেও দেশ -বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি । আসলে পাকিস্তান ধারনার অস্পষ্টতাই এই স্লোগান কে অত্যধিক শক্তিশালী করে তোলে । বিভিন্ন লোকের কাছে এর অর্থ বিভিন্নভাবে প্রতীয়মান হত এবং বলতে গেলে জিন্নাহর যত অনুসারী ছিল পাকিস্তান সম্পর্কে প্রায় ততগুলো ধারনা সৃষ্টি হয় “

    চেরিপিকিং আয়েশা জালাল ঃ-
    “ The resolution made no mention of “partition “ ,certainly none of “ Pakistan “ . In the League’s ‘considered’ view ,The Muslim-majority provinces were to be ‘grouped to constitute Independent States in which the constituent units shall be autonomous and sovereign “
    ভালো করে পড়ে মন্তব্য করুন নইলে " অন্ধের হস্তিদর্শন " হবে এবং অনেক কিছু সম্পর্কে ( যেমন লাহোর প্রস্তাব) ভুল ধারনা বহন করবেন । যদিও আমার তাতে কিছু অসুবিধা নেই । সকলকে ধন্যবাদ
  • amit | 37.33.181.118 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০৬:৪৪55313
  • কল্লোল-দা, এই টয় টাকে ছাড়ান দেওয়া যাক এবারে। অন্য কোথাও জমিয়ে তর্ক করা যাবে আবার।
  • Ranjan Roy | 192.69.131.58 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০৭:০৭55314
  • ডিট্টো অমিতবাবু!
    নতুন কোন বক্তব্য নেই কোন পক্ষে!
  • প্রশ্ন | 209.116.174.51 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০৭:১৮55315
  • "এখানে , মানে ১৯৪০ এর লাহোর প্রস্তাবে ‘ একক পাকিস্তান গঠনের ‘ গল্প টি ঠিক কোথায় পরিলক্ষিত হোল ? লাহোর প্রস্তাবে দেশ বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি ।"
    দেবব্রত বাবু , ইতিহাসের ইচ্ছাকৃত চেরি পিকিং বিপজ্জনক।
    পাকিস্তান সৃষ্টি নিয়ে অনেক ইতিহাস বই আছে। পাতি উইকিপিডিয়া থেকেই লাহোর প্রস্তাবের ভার্বাটিম টেক্সট পাওয়া যায় -
    https://en.wikipedia.org/wiki/Lahore_Resolution

    The statement declared:

    "No constitutional plan would be workable or acceptable to the Muslims unless geographical contiguous units are demarcated into regions which should be so constituted with such territorial readjustments as may be necessary."[15]

    Additionally, it stated:

    " That adequate, effective and mandatory safeguards shall be specifically provided in the constitution for minorities in the units and in the regions for the protection of their religious, cultural, economic, political, administrative and other rights of the minorities."

    Most importantly, to convince smaller provinces such as Sindh to join, it provided a guarantee:

    " That geographically contiguous units are demarcated into regions which should be constituted, with such territorial readjustments as may be necessary that the areas in which the Muslims are numerically in a majority as in the North Western and Eastern Zones of (British) India should be grouped to constitute ‘independent states’ in which the constituent units should be autonomous and sovereign."

    জাফরুল্লা খানের বয়ানে ফজলুল হক একমত হন ও প্রস্তাব টি পেশ করেন , অথচ পাঞ্জাবের সিকান্দার হায়াৎ খান পাঞ্জাব বিভাজন মানতে পারেন নি তাই বিরোধিতা করেন ও নিজেকে সরিয়ে নেন।

    " আর দুর্ভিক্ষ নিয়েও যথেষ্ট গবেষণা পত্র বর্তমান " তাতে নাজিমুদ্দিনের আমলেই ব্রিটিশ পরিকল্পনায় সিভিল সপ্প্লাই মন্ত্রী সুরাবর্দির যোগসাজসে হয় কুখ্যাত 43 এর মন্বন্তর " এই অর্ধসত্যের সমর্থন নেই । " আজ্ঞে না , মধুশ্রী মুখার্জির চার্চিল'স সিক্রেট ওয়ার বই টি পড়ুন ।

    কল্লোল বাবু ,
    "আমি শুভবুদ্ধি বলতে, মানুষ মিলে মিশে থাকবে এই শুভবুদ্ধির উপর আস্থা রেখেছি। যেটাও কয়েকশ বছরের বাঙ্গলার ইতিহাস।"
    মানুষের শুভবুদ্ধির ওপর আস্থা তো পূর্ববঙ্গে থেকে যাওয়া 30% লোক রেখেছিলো, লেবানন রোয়ান্ডার কথা নয় এই পূর্ববাংলার বাংলার কথাই বলছি ,যোগেন মন্ডল ও রেখেছিলেন । পরে যোগেন বাবুর লেখায় বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রনা নথিভুক্ত আছে। আজ তাদের হাল দেখাই যাচ্ছে।

    যাগ্গে এই চেরিপিকিং লেখাকে প্রয়োজনাতিরিক্ত গুরুত্ত্ব দিয়ে লাভ নেই।
  • কল্লোল | 111.63.193.88 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ১২:০৪55316
  • প্রশ্ন।
    একটা অসম তুলনা করে যাচ্ছেন বারবার।
    আমি লিখছি, অখন্ড বাংলা পাকিস্তানে গেলেও কি হতে পারতো বা কি কি হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
    আপনি লিখছেন, খন্ডিত পূর্ব বাংলায় কি কি হলো।
    আশা করি বোঝা গেলো।
  • প্রশ্ন | 190.179.40.19 (*) | ০১ জুলাই ২০১৬ ০৬:০৬55318
  • দেবব্রত বাবু ,
    "এখন পাতি উইকিপিডিয়া থেকে জ্ঞান অর্জন অনেক সময় পাতি প্রতিপন্ন হয় " - ভাববেন না সবাই শুধু উইকিপিডিয়া পরেই কমেন্ট করে ,আগের লাইনে ছিল "পাকিস্তান সৃষ্টি নিয়ে অনেক ইতিহাস বই আছে" । আপনি জয়া চ্যাটার্জি দেখালে আমিও আই এইচ কুরেশি , আসলাম মালিক দেখতে পারি। মুসলিম দের নিজভূমি কথাটা লাহোর প্রস্তাবে প্রথম উল্লেখ হয় । এটা ফজলুল বদলে অন্য কেউ পেশ করলে জয়া চ্যাটার্জি হয়তো ডিফেন্ড করার চেষ্টা করতেন না ।
    প্রথমে বললেন "লাহোর প্রস্তাবে দেশ বিভাগের কথা উল্লেখ করা হয়নি " , রেসল্যুশন ভার্বাটিম টেক্সট তুলে দেবার পর এখন গোলপোস্ট সরাচ্ছেন "পাকিস্তান" শব্দটা ছিল কিনা । "সত্যের অপলাপের প্রচেষ্টা এবং লাহোর প্রস্তাবের ভুল পাঠ বর্তমান" - ইংরেজি ভালোই জানি , তাই রেসল্যুশন টেক্সট এর মানে আপনাকে বুঝিয়ে দিতে হবে না।
    বরং ২২ মার্চ 1940 সম্মেলনের প্রথম সেশনে জিন্না কি বলেছেন তা শুনুন - "Hindus and the Muslims belong to two different religions, philosophies, social customs and literature. They neither inter-marry nor inter-dine and, indeed, they belong to two different civilizations that are based mainly on conflicting ideas and conceptions. Their concepts on life and of life are different. It is quite clear that Hindus and Muslims derive their inspiration from different sources of history. They have different epics, different heroes and different episodes. Very often the hero of one is a foe of the other, and likewise, their victories and defeats overlap. To yoke together two such nations under a single state, one as a numerical minority and the other as a majority, must lead to growing discontent and final destruction of any fabric that may be so built up for the government of such a state".

    চেরিপিকিং করে আপনি অন্ধের হস্তিদর্শন করুন আমার তাতে কিছু অসুবিধা নেই । লেখার যোগ্যতার থেকে দরকারের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে , আর পোষাচ্ছে না , সময় নষ্ট। অন্যদের কে পাতি মূর্খ ভাবা ঠিক নয় ।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.148.56 (*) | ০১ জুলাই ২০১৬ ১১:৩৯55319
  • এতো মহা মুশকিল , না পড়ে মন্তব্য করার ঝোঁক । আজ্ঞে না লাহোর প্রস্তাবে দেশভাগের প্রসঙ্গও ছিলোনা - পাকিস্তানের প্রসঙ্গও ছিলোনা । আম্বেদকার থেকে ,জয়া চ্যাটার্জি থেকে এমনকি আয়েশা জালাল থেকে দিলাম তাও পছন্দ হলোনা ? উল্টে " এটা ফজলুল বদলে অন্য কেউ পেশ করলে জয়া চ্যাটার্জি হয়তো ডিফেন্ড করার চেষ্টা করতেন না ।" ফজলুল হক জয়া চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নাকি ?

    " ইংরেজি ভালোই জানি , তাই রেসল্যুশন টেক্সট এর মানে আপনাকে বুঝিয়ে দিতে হবে না।" সে বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্ধেহ নেই তবে মনে হয় আম্বেদকার ,জয়া চ্যাটার্জি এমনকি আয়েশা জালাল তেনারাও জানতেন /জানেন -কিন্তু কি আশ্চর্য তেনারা লাহোর প্রস্তাবে দেশভাগও পাননি ,পাকিস্তানও পাননি - কেননা তেনারা রেসল্যুশন টেক্সট নিরপেক্ষ ভাবে পড়েছেন । বিশেষ কোন চশমা দিয়ে নয় ।

    পরিশেষে আপনাকে বা কাউকেই মুর্খ ভাবার মত ঔদ্ধত্য আমার নেই , আমার সে যোগ্যতাও নেই । বিতর্ক হলে পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তি বা তথ্য আসবে তাতে আপনার বা অন্যের মতের সাথে অমিল হতে পারে , কখনো মন্তব্য তির্যক হতে পারে , সেটা উভয়পক্ষেই হতে পারে । কিন্তু ওইটুকুই । কোর্টে ফাটাফাটি করে আসার পরে এজলাসের বাইরে দুপক্ষের উকিল যেমন একসাথে চা খান -সেইরকম । যুক্তি সংগত ভাবে কেস ডিফেন্ড করা মাত্র । নাথিং পারসোনাল ।
  • গুলশান | 190.179.142.8 (*) | ০২ জুলাই ২০১৬ ১০:৫৬55321
  • http://www.anandabazar.com/bangladesh-news/situation-under-control-13-rescued-after-commando-operation-in-dhaka-bng-dgtl-1.425328
    তা সে যতই 'পলিটিকালি ইন্কারেক্ট' হোক গে অর্পনের মতোই মনে হয় আমাদের ও ।
    "এসব ঘটনা ঘটে আর আরেকবার করে মনে হয় ভাগ্যিস পার্টিশনটা হয়েছিল আর বাপ-ঠাউদ্দারা বিচক্ষণের মত এদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন।"
  • sm | 7845.11.561223.101 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫৭55325
  • ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা বাদ মানে কি বলতে চাইছেন?আরো কিছু গোর্খা ল্যান্ড , বোরো ল্যান্ড, উর্দুস্তান তৈরী হতো?
    কি করে বোঝা গেলো, ভারতীয় অখন্ড উপমহাদেশ একই পাসপোর্ট, একই মুদ্রা চালু রেখে সুবোধ বালক হয়ে থাকতো। চীন, একেবারে দাদার মত স্নেহ সুলভ আচরণ করতো?
    এও কি সম্ভব!
  • বাসুদেব হালদার | 342323.178.786712.58 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫২55323
  • বাংলার ভদ্রলোক শ্রেণীর (ব্রাবৈকা) দ্বারা কেবলমাত্র মুসলমানরা শোষিত হয়ে আসছিল তা নয়, তাদের সম নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের নিম্নবর্ণের ও দলিত হিন্দুরাও শোষিত হয়ে আসছিল যুগ যুগ ধরে। ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি এই শোষনের বিরুদ্ধে কিছুদিনের জন্যে হলেও অসম্প্রদায়িক যুথবদ্ধ সংগ্রামের আশা জাগিয়েছিল।যে কারণে হোক, পরবর্তীকালে তাঁর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পাঁকে নামা বাংলার দলিত হিন্দু মুসলমানের অসম্প্রদায়িক সংগ্রামের চেতনাকে নষ্ট করে দেয়। তবুও বাংলার তফশীলি নেতৃত্ব ভদ্রলোকের কংগ্রেসকে বিশ্বাস না করে, লীগের সঙ্গে থেকেছে। পরিবর্তে বাংলার দলিত হিন্দুরা কি পেল? শুধুই উৎখাত, ভাষা ও সংস্কৃতি বঞ্চিত প্রবাস! এখনও এই পশ্চিমবঙ্গের দিকে ক্ষীণ হলেও যে হিন্দু স্রোত তা দলিতদেরই। এখনও বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে যারা লক্ষ্য তারা দলিতই। এই বাংলায় ওয়াহাবী,ফরাজী আন্দোলন ও বিশুদ্ধ ইসলামের চর্চা সংবেদনশীল বিভিন্ন ধারার লৌকিক ইসলামের বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে দেয়।একে আরও ত্বরান্বিত করেছিল মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক প্রচারণা। একারনেই ১৯০৫সালের পর থেকে দাঙ্গার সংখ্যা বাড়ছিল। এই ঘটনায় শুধু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো নয়, কংগ্রেসের অনেক নেতার ভূমিকাও অতি ন্যক্কারজনক ছিল। আসলে একটা সময় বাংলার নিপীড়িত দলিত জনগণ ধর্মের কারনে ভাগ হয়েছিল দুটি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা। একটি ছিল ইংরেজদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যূত অভিজাত মুসলিম সমাজ। যাদের বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি না ছিল কোনো শ্রদ্ধা, না ছিল এখানকার মানুষদের প্রতি কোনো ভালোবাসা। আরেকটি ছিল ইংরেজদের প্রসাদ লাভকারী উচ্চবর্ণের হিন্দু। তারা বাংলা ভাষা কে তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করত। নিজ সমাজের বাইরে কাউকেই বাঙালি মনে করত না।তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বেশি আস্থা রেখেছিল।যে জাতীয়তাবাদে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে সুক্ষ্ম ভাবে ছিল হিন্দু-হিন্দি-হিন্দূস্তান-র তত্ব। বর্ণবাদী এই জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মবাদী মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের জন্যেই উপমহাদেশের কোথাও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিকাশলাভ সম্ভব হয়নি। সেটা হলে এই উপমহাদেশে ইওরোপীয় ইউনিয়নের মত একটা ইউনিয়ন হতো, সামরিক জোট থাকতো,একই মুদ্রা চালু হতো, পাসপোর্ট-ভিসা থাকতো না, কাশ্মীর সমস্যা বা উদ্বাস্তু সমস্যা তৈরি হতো না। উপমহাদেশের ভূমি না থাকতো চীনের জবরদখলে না থাকতো তাদের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা। এমনকি আমেরিকারও না। ইংরেজরা ক্ষমতা ছেড়ে যাবার পর ক্ষমতা ভারত ও পাকিস্তানে ক্ষমতা তারাই পেয়েছিল যারা আদিকাল থেকে ক্ষমতা ভোগ করে এসেছে। বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার ইতিহাসের এই ধারার খানিকটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। এই উপমহাদেশে ধর্ম ও বর্ণবাদী চিন্তাধারার বিপক্ষে ঝড়ের গতিতে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিকাশ দরকার।
  • বাসুদেব হালদার | 342323.178.786712.58 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫২55324
  • বাংলার ভদ্রলোক শ্রেণীর (ব্রাবৈকা) দ্বারা কেবলমাত্র মুসলমানরা শোষিত হয়ে আসছিল তা নয়, তাদের সম নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের নিম্নবর্ণের ও দলিত হিন্দুরাও শোষিত হয়ে আসছিল যুগ যুগ ধরে। ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি এই শোষনের বিরুদ্ধে কিছুদিনের জন্যে হলেও অসম্প্রদায়িক যুথবদ্ধ সংগ্রামের আশা জাগিয়েছিল।যে কারণে হোক, পরবর্তীকালে তাঁর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পাঁকে নামা বাংলার দলিত হিন্দু মুসলমানের অসম্প্রদায়িক সংগ্রামের চেতনাকে নষ্ট করে দেয়। তবুও বাংলার তফশীলি নেতৃত্ব ভদ্রলোকের কংগ্রেসকে বিশ্বাস না করে, লীগের সঙ্গে থেকেছে। পরিবর্তে বাংলার দলিত হিন্দুরা কি পেল? শুধুই উৎখাত, ভাষা ও সংস্কৃতি বঞ্চিত প্রবাস! এখনও এই পশ্চিমবঙ্গের দিকে ক্ষীণ হলেও যে হিন্দু স্রোত তা দলিতদেরই। এখনও বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে যারা লক্ষ্য তারা দলিতই। এই বাংলায় ওয়াহাবী,ফরাজী আন্দোলন ও বিশুদ্ধ ইসলামের চর্চা সংবেদনশীল বিভিন্ন ধারার লৌকিক ইসলামের বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করে দেয়।একে আরও ত্বরান্বিত করেছিল মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক প্রচারণা। একারনেই ১৯০৫সালের পর থেকে দাঙ্গার সংখ্যা বাড়ছিল। এই ঘটনায় শুধু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো নয়, কংগ্রেসের অনেক নেতার ভূমিকাও অতি ন্যক্কারজনক ছিল। আসলে একটা সময় বাংলার নিপীড়িত দলিত জনগণ ধর্মের কারনে ভাগ হয়েছিল দুটি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা। একটি ছিল ইংরেজদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যূত অভিজাত মুসলিম সমাজ। যাদের বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি না ছিল কোনো শ্রদ্ধা, না ছিল এখানকার মানুষদের প্রতি কোনো ভালোবাসা। আরেকটি ছিল ইংরেজদের প্রসাদ লাভকারী উচ্চবর্ণের হিন্দু। তারা বাংলা ভাষা কে তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করত। নিজ সমাজের বাইরে কাউকেই বাঙালি মনে করত না।তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বেশি আস্থা রেখেছিল।যে জাতীয়তাবাদে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে সুক্ষ্ম ভাবে ছিল হিন্দু-হিন্দি-হিন্দূস্তান-র তত্ব। বর্ণবাদী এই জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মবাদী মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের জন্যেই উপমহাদেশের কোথাও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিকাশলাভ সম্ভব হয়নি। সেটা হলে এই উপমহাদেশে ইওরোপীয় ইউনিয়নের মত একটা ইউনিয়ন হতো, সামরিক জোট থাকতো,একই মুদ্রা চালু হতো, পাসপোর্ট-ভিসা থাকতো না, কাশ্মীর সমস্যা বা উদ্বাস্তু সমস্যা তৈরি হতো না। উপমহাদেশের ভূমি না থাকতো চীনের জবরদখলে না থাকতো তাদের হুমকি দেওয়ার ক্ষমতা। এমনকি আমেরিকারও না। ইংরেজরা ক্ষমতা ছেড়ে যাবার পর ক্ষমতা ভারত ও পাকিস্তানে ক্ষমতা তারাই পেয়েছিল যারা আদিকাল থেকে ক্ষমতা ভোগ করে এসেছে। বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার ইতিহাসের এই ধারার খানিকটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। এই উপমহাদেশে ধর্ম ও বর্ণবাদী চিন্তাধারার বিপক্ষে ঝড়ের গতিতে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিকাশ দরকার।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৫55327
  • সত্যি তো!!!!!
    "ওই নীল পাখিটাকে পাখিটাকে পাখিটাকে---- " গেলেন কোথা?
    ঃ-)
  • dc | 127812.49.017812.71 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৭55328
  • বেড়ালের খবর দুজন ভালো দিতে পারবে - শ্রডিংগার আর জিআওপিং। এদের প্ল্যানচেট করে আনা হোক।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২৬55326
  • ঊরিত্তারা। এই টইটাকে কবর খুঁড়ে আবার কে বার করে আনলো- ? এটা নিয়ে আগে পাখিবাবু আর কল্লোল দার সাথে প্রচুর ভাট হয়েছিল। এখন পাখিবাবুকে আর বিশেষ দেখি না এ পাড়ায়।

    যাক গিয়ে, এনাদের যা বক্তব্য আমার গোদা মাথায় ঢুকলো, সেটা হলো ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ (??) ধর্ম ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ এর থেকে ঢের ভালো। তাই ভাষা দিয়ে ধর্ম কে রিপ্লেস করতে হবে। কিন্তু একটা কালো বেড়াল মেরে অন্য রঙের বেড়াল এনে কোন ফায়দা হবে তা খোদাই জানেন।
  • বাসুদেব হালদার | 342323.233.1256.171 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৮55334
  • কোনো অঞ্চলের কোনো একটি জনগোষ্ঠীর নিজেদেরকে নিজেদের মত করে পরিচালিত করার পূর্ণ অধিকার আছে।আর এই অধিকার না পেলে না পাওয়াটা ন্যায্য হয়ে যায় না।না পাওয়ার কারনগুলো হল -উগ্রজাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা এবং শাসকগোষ্ঠীর শোষণযন্ত্রটিকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। এছাড়া এই স্বাধীকারের বাসনা ভুলিয়ে রাখার জন্যে ধর্মীয় বিভেদকে ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ড থেকে আয়ারল্যান্ড আলাদা হয়েছিল, কিন্তু উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনে রয়ে যায় ধর্মীয় বিভেদের কারণে।আগেও বোঝাতে চেষ্টা করছি জাতীয়তাবাদ মানে অন্য ভাষাগোষ্ঠী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ নয়। বরং ধর্মীয় উগ্রতাই একে ধ্বংস করে ফেলে।যেটা হয়েছে বাংলাদেশে। উপমহাদেশে প্রথম এই ধরনের চেতনা বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারলে উপমহাদেশের ইতিহাস আজ আরও গণতান্ত্রিক পথে এগোত।একে ব্যর্থ করে দেবার জন্যে কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী তো অবশ্যই কাজ করেছে। হিংসার উৎস ,শোষক শ্রেণীর শাসনযন্ত্র ধরে রাখার নানা কূট উপায়ের মধ্যে। অর্থাৎ কারণহীন হিংসার কোনো কারণ নেই। ক্ষমতা লাভের জন্যে ধর্মের ব্যবহার হয় কদর্যভাবে। পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকান রামনবমী, গণেশ চতুর্থী, হনুমান জয়ন্তীর প্রতিযোগিতা চলছে; ইমামদের ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশের অঙ্গরাজ্যে!মেকী ধর্মনিরপেক্ষতা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দাবীকে নস্যাৎ করবেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন