এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৃহন্নলা, ছিন্ন করো ছদ্মবেশ’

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০২৪৭ বার পঠিত
  • ৪৫ বছর ধরে তিনি নিখোঁজ । ১৯৭১এর ৫-৬ আগস্টে ময়দানে যদিও কেউ নাকি তার রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেছিল ,মাথা কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যানহোলে প্রমাণ লোপের চেষ্টায় । অধ্যাপক দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি (শেল্টার) থেকে ৭১-এর চৌঠা অগস্ট রাত সাড়ে-এগারোটা নাগাদ সরোজ দত্তকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রুণু-দেবী-তারাপদ’রা সেই থেকে পুলিশের খাতায় অথবা সরকারী মতে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি এখনো নিখোঁজ । তিনি সেই কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম যার তীক্ষ্ণ অনন্য স্বর শাসকদের কাছে আতঙ্ক -ভেঙ্গে চুরমার করে মধ্যবিত্তের সযত্নে সাজানো মিথ। আমাদের দার্শনিক ইমারত ভেঙে চুরমার করে দেবার কারিগর সরোজ দত্ত । যিনি সমর সেনের ‘In Defense of Decadents’ প্রগতিশীলতার মোড়কে ধেয়ে আসা প্রচ্ছন্ন ফ্যাসিবাদী এলিওটিজমকে চিহ্নিত করেন ১৯৩৯এ । ১৯৬৯ সেই শানিত সরোজ দত্ত যুক্তি সাজান ভারতে একই সাথে বিদ্যাসাগর , রামমোহন এর মত ব্রিটিশ শাসকের অনুগত ব্যক্তিত্ব’র সাথে মঙ্গল পাণ্ডের মূর্তি ,বীরসার মুর্তি স্থাপিত হতে পারেনা । সিপাহি বিদ্রোহের অর্থাৎ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের মূর্তি স্থাপন করতে হলে সেই বিদ্রোহের সমর্থকদের মূর্তি ভাঙা দরকার।

    সরোজ দত্তর নৈতিক প্রশ্রয়ে বা তাত্ত্বিক আস্কারায় নকশাল তরুণরা যে কালাপাহাড়ি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার ফলেই অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত মনীষীদের ধুপ-ধুনো জ্বালিয়ে পুজো করার বদলে যথার্থ মূল্যায়নের আগ্রহ শিক্ষিত বাঙালি সমাজে তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সমগ্র বঙ্গীয় রেনেসাঁ বা নবজাগৃতির পুনর্মূল্যায়নের তাগিদও সৃষ্টি হতে থাকে। বিনয় ঘোষের মতো নিষ্ঠাবান গবেষক এই মূল্যায়নের কাজে হাতও দেন এবং নবজাগরণ সম্পর্কে তাঁর আগের ধারণা সম্পূর্ণ বর্জন করেন। আর রণজিৎ গুহের নেতৃত্বে যে নিম্নবর্গীয় ইতিহাস রচনার ধারা সূচিত হয়, তার প্রেরণা সমসাময়িক ইতিহাসে ওই নকশাল রাজনীতিরই চ্যালেঞ্জ। সরোজ দত্ত যার পথিকৃত ।

    সরোজ দত্ত ১৩২১ বঙ্গাব্দের ২১ ফাল্গুন বাংলাদেশের নড়াইল জেলার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম হৃদয়কৃষ্ণ দত্ত, মা কিরণবালা দত্ত। নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর ১৯৩০ সালে কলকাতায় আসেন স্কটিশ চার্চ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে। ওই একই কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হন। তার গোড়ার দিকের ঘটনাবলী আর দশটা লোকের মতোই! জন্মেছেন, পড়েছেন, পাশ করেছেন , চাকরি করেছেন, সংশয়েও ভুগেছেন। কিন্তু আর দশজনের মতো সেই তমসার তামাশায় তিনি জীবনটাকে বিলীন হতে দেননি! ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন সমাজ ও রাষ্ট্র নির্ধারিত বৃত্ত- ‘হেসে ওঠে দস্যু কবি অক্রোধের ক্লীবলজ্জা ছেড়ে, তামসীর তৃপ্তির দিন সাঙ্গ হলো তমসার তীরে’!

    কলেজে থাকতেই কমিউনিস্ট পার্টির গণসংগঠনে যুক্ত হন, জেল খাটেন। তবে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে তার ওঠবসটা নিয়মিতই ছিল। ১৯৩৮ সালে এমএ পাস করার পর যোগদান করেন প্রগতি লেখক সঙ্ঘে। এই সময় থেকেই সরোজ দত্তর কবিতা প্রকাশ হতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন অমৃতবাজার পত্রিকায়। পরে কর্মী-ধর্মঘটে যোগ দিয়ে চাকরি খোয়ালে ‘পরিচয়’ ও ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সম্পাদনার কাজে যুক্ত হন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হলে তিনি শেষোক্ত সংগঠনে যোগ দেন এবং দলীয় মুখপত্র ‘দেশহিতৈষী’র সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হন। ‘শশাঙ্ক’ ছদ্মনামে তাঁর আগ্নেয় লেখাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে। অতঃপর নকশালবাড়ি, দেশহিতৈষী থেকে দেশব্রতী এবং চারু মজুমদারের নেতৃত্বে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা রূপে তাঁর বিকাশ। সরোজ দত্ত ক্রমে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী থেকে উত্তীর্ণ হন বিপ্লবী বুদ্ধিজীবীতে, শেষে কমিউনিস্ট বিপ্লবীতে।

    কবি-ইন্টেলেকচুয়াল-সাংবাদিক সরোজ দত্ত-কে পুলিশ কেন খুন করল, এটা অনেকেই ভেবে পান না। কানু সান্যাল বা সন্তোষ রাণা-রা তো সরাসরি যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার পরেও তো তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল রাষ্ট্র। কিন্তু সরোজ দত্তর বেলায় কেন…? কেননা সরোজ দত্ত জানতেন যে বিপ্লব একটা প্যারাডাইম শিফ্ট, এবং চূড়ান্ত পর্বে সেটা মননে। সহস্র বছরের ফিউডাল সাংস্কৃতিক হেজিমনি (আধিপত্য)-কে ভেঙে নতুন পাল্টা জনতার হেজিমনি গড়ার পথেই এগোচ্ছিলেন তিনি। সরোজ দত্ত ভয়ঙ্কর ,তার কলম জীবিত থাকলে শাসকের উলঙ্গ শরীর ঢাকার আর উপায় থাকেনা , বুদ্ধিজীবীর উপায় থাকেনা হ্যা হ্যা করে পুরস্কার মঞ্চে ওঠার । আর হয়ত তাই তার চলার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হল।

    সরোজ দত্ত শহীদ হওয়ার পর চারু মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন: “কমরেড সরোজ দত্ত পার্টির নেতা ছিলেন এবং নেতার মতই তিনি বীরের মৃত্যু বরণ করেছেন।” হ্যাঁ, সরোজ দত্ত নেতা ছিলেন, এমন একজন নেতা যিনি স্ত্রী’র মুখে সাবধানে থাকার পরামর্শ শুনে উত্তর দিয়েছিলেন: “এইডা কি কইলা বেলা! যুদ্ধে কি শুধু বাহিনী মরব! আরে দুই একডা সেনাপতিরও তো জান যাইব!” নির্মম ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।

    এই আগস্ট মাসেই ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ত বাহিনীর হাতে লোরকা খুন হয়েছিলেন কিন্তু আজকের স্পেন সেই ১৯৩৬ এর ইতিহাস খুঁড়ে বার করছে আর অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (!) ও বাম আন্দোলনের অন্যতম দূর্গ এ ভারত বা এ বাংলায় শহীদ সরোজ দত্ত ও তাঁর নিহত ও শহীদ সাথীদের ইতিহাসকে জনসমক্ষে হাজির করতে বিচারালয়ের ‘ন্যায়াধীশরা’ রাজি হননি। রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্ণধারদের কথা তো ওঠেই না। সত্যকে চাপা দিতেই ‘ভদ্রলোকেরা’ বেশি ব্যস্ত ! আর সেই ..........

    বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ~ সরোজ দত্ত

    তোমার বুদ্ধির সুধা, সুরা হল আঁধারে পচিয়া।
    হে অগ্নি পানিয়ে!! নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলি;
    কৌমার্য করিতে রক্ষা, আত্মরতি সম্বল তোমার,
    তোমার দুর্বল কন্ঠে স্বেচ্ছাবন্দী পাখির কাকলি,
    প্রাণশক্তি প্রাণহীণ, ধরিয়াছ প্রাণঘাতী নেশা,
    চরণে কাঁদিছে কায়া, ছায়া ভাবি হাসো উপহাসে,
    করেছ গতির রক্তে পঙ্গুতার প্রশস্তি রচনা,
    বিচ্ছেদ ভুলিতে চাহ বিরহের নিবীর্য বিলাপে।
    প্রসবের ব্যর্থতায় অভিমানী শৌখিন শাখার
    স্বার্থপর আত্মনাশ, বনস্পতি করিবেনা ক্ষমা,
    তৃষ্ঞায় শ্বসিছে তরু শিকড়ের শুন্য ভাণ্ড হাতে।
    সংবর এ ক্লীব কান্না! দেখনি কি মৃত্তিকা নির্মমা?
    রাজদণ্ড বহি ফিরে, শ্লথছন্দে রচিয়া বিলাপ,
    যে চাহে অলকা, তার নির্বাসন যোগ্য অভিশাপ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০২৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 154.160.226.94 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৬ ০৮:০৯55529
  • ভোরের কুয়াশা ঢাকা ময়দানে পুলিশ একজনকে গুলি করে মারছে - এই দৃশ্য নাকি দেখে ফেলেছিলেন প্রাতঃভ্রমণে বেরোনো মহানায়ক উত্তমকুমার, তার পরই ভয়ে বম্বে পাড়ি দেন।
    সরোজ দত্তের খুন হওয়া দেখে ফেলেছিলেন - এইরকম একটা মিথ ? প্রচলিত আছে।
    ভুলেই গিয়েছিলাম ঐ মানুষটির, সরোজ দত্তের কথা, দেবব্রত-কে ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য
  • | 55.251.234.155 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৪১55530
  • পুলিশের খাতায় বা সরকারি নথিতে তিনি এখনও নিখোঁজ, ৪৫ বছর পরেও। তবে ময়দানের ঘাসে তাঁর কবন্ধ লাশ ১৯৭১-এর অগস্টে রক্তাক্ত পড়ে থাকতে দেখেছিলেন কেউ-কেউ। সম্ভবত পত্রপাঠ তা লোপাট করে দেওয়া হয়। বহুস্বর ভারতীয় গণতন্ত্রে তাঁর অনন্য কণ্ঠস্বর শাসকদের কাছে বড় বিপন্নতা সৃষ্টি করে থাকবে। তাই কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক সরোজ দত্ত ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। #চৌঠা অগস্ট যদিও ডোবারম্যানের বাহিনীর খাতাই উনি নিখোঁজ ৫ অগস্ট থেকে ...

    নিখোঁজ কিন্তু বাস্তব টা যে সবাই আজ জানে - ডোবারম্যানের বাহিনী শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনকে জলাতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার জন্যে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ‘মূর্তি ভাঙার কারিগর’কে।

    অধ্যাপক #দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি (শেল্টার) থেকে ৭১-এর #চৌঠা অগস্ট রাত সাড়ে-এগারোটা নাগাদ কমরেড সরোজ দত্তকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রুণু-দেবী-তারাপদ’রা। ভোর-রাতে তাকে আরিয়ানস্ ময়দানে গুলি করে মাথাটা কেটে নিয়ে প্রমাণ লোপের চেষ্টাও করেছিল নিক্সন-ব্রেজ়নেভের ভাড়াটে বাহিনী। কিন্তু “পাপ কি কখনো ছাই চাপা থাকে? যাকে ভাবো মূক…..তার অবিনশ্বর আত্মা চীৎকার করে ওঠে….” সরকারী খাতায় যদিও সরোজ দত্ত আজও ফেরার। ৭৭-এর প্রতিশ্রুতি ২০০৯ সালেও পালিত হলনা। ২০১৬ তে ? পাগল ! ওদিকে কর্ণপাত বা নেত্রপাত, কোনোটাই করবেন না! মুখ্যমন্ত্রীত্ব বড় বালাই !

    যাইহোক, এটা বলাই বাহুল্য যে কমরেড সরোজ দত্তর অনুগামীরা চানও না কোনো সরকারী শিলমোহর। সরকার এবং রাষ্ট্র, এই দু’টো অত্যাচার যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার আজন্ম লড়াই, তাকে সরকারী কেতাবে ‘মর্যাদা’ প্রদান করা হবে ভাবলেই গোটা শরীর ঘৃণায় সঙ্কুচিত হয়ে ওঠে। যখন দেখি ‘বিপ্লব’ ‘নকশালবাড়ি’ ইত্যাদির নাম ব্যবহার করে কোনো কোনো গোষ্ঠী ‘মানবাধিকার কমিশন’ নামক সরকারী আস্তাকুঁড়ের দ্বারস্থ হন, তখন কমরেড #সরোজ দত্তর মতই বলতে ইচ্ছে করে, "শুয়োরের বাচ্চাদের দাঁতের পাটি খসিয়ে দি।"
  • ranjan roy | 125.117.226.149 (*) | ০৬ আগস্ট ২০১৬ ১০:৩৩55531
  • দেবব্রত,
    দ্বিতীয় লাইনটা মনে হয়ঃ
    সে অগ্নি পানীয়ে নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলী,
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০১:১২55537
  • " বাপ্পো সেই ১৯৪০ সাল থেকেই বিপ্লব আসছে?" না তারও আগে থেকে , প্রায় সভ্যতার শুরুর সময় থেকে " ছোটবেলায় " ইতিহাস ছিল ?

    " নকশাল দের নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে?" তাতে অবিশ্যি সরোজ দত্ত মৃত ,না নিখোঁজ তা সমাধান হবার নয় ,আর " জনগণের কি উবগারে এসেছে;" তার পূর্বে জনগণের উবগারের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হয় !
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০১:২৫55538
  • নাঃ আমি চিরকাল ইতিহাসে পাতিহাস।
  • Ekak | 53.224.129.46 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:১৬55539
  • নকশালরা আসার ফলে কোনো উপকার হয়নি বললে অনৃতভাষণ হয় ।

    প্রথমতঃ নকশালরা দিয়ে গ্যাছে ক্ষুদ্র উদ্যোগীকরণ । একটা সামান্য জং ধরা পাইপ আর কিছু কল কব্জা দিয়ে যে টুক করে বন্দুক বানিয়ে ফেলা যায় এটা আগে বাঙালি ভাবতে পারতো না । স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগেও , খেয়াল করুন , সামান্য একটা মাউজার জোগাড় করার জন্যে কতই না আকুলি বিকুলি । ওদিকে উল্লাসকরবাবু না থাকলে আধুনিক বোমা বাঁধাও দূর অস্ত থাকতো । নকশাল মুভমেন্ট প্রথম বড় উদ্যোগ যেখানে সাধারণ ঘর থেকে আসা লোকজন ও ঝটপট পাইপগান বা চটপট কয়েকটা বোমা বাঁধতে শিখে ফেললো । এর আগে কেও এসব করেনি ? করেছে , কিন্তু খোঁজ নিলে জানবেন এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিস্ফোরণ আগে ঘটেনি ।

    দ্বিতীয় যেটা দিয়েছে তা হলো : অপরাধের মান্যতা । আপনি উল্টোদিকের লোকটিকে খুন করতে চান ? ওর শ্রেণীবিন্যাস নির্ণয় করুন ও খুন করে ফেলুন । সে ব্যক্তিগত ভাবে কেমন লোক বিচার্য্য নয় । আপনি ব্যক্তিগত ভাবে একটি ছিঁচকে চোর বা অপরাধী কিনা বিচার্য্য নয় । শ্রেণী শেষ কথা । এইযে অপরাধের মান্যতা তৈরী হলো এরই সুফল হিসেবে আমরা পরবর্তীকালে দেখতে পাচ্ছি কোরাপশনের প্রলেতারিওকরণ । করাপশন শুধু আর সমাজের উঁচুতলার অধিকার হয়ে থাকবে না বরং রন্ধ্রে রন্ধে একটা দুঃসাহসের জন্ম দেবে যে : আমরাও আমাদের হিস্যা থুড়ি উপরি বুঝে নিতে পারি । এই সাহস টা নীচের লেভেলে ছড়িয়ে দিচ্ছে নকশাল মুভমেন্ট ।পরবর্তীকালে হাতে কলমে ইমপ্লিমেন্ট করছে সিপুএম । কনফিডেন্সটা আগের গেম লেভেল থেকেই এসেছে ।

    তৃতীয় যেটা দিয়েছে তা অবশ্য সবচে ইম্পরট্যান্ট । শিল্পভাবনার বিকেন্দ্রীকরণ । "ভারত আবার জগৎসভায় " মার্কা কেন্দ্রিক শিল্পভাবনা চারিদিক ছেয়ে ফেলেছিলো । এটা অসহ্য হলেও একে আটকানোর ক্ষমতা সাধারণের ছিলোনা । নকশালরা এসে পাল্টা কেন্দ্রিকতা শুরু করলো যেখানে শ্রেণীশত্রু- প্রেসিডেন্সি-পাইপগান-লাল টুকুটুকে সব মিলে এমন এক বিষাক্ত কোনকক্ষন তৈরী হলো , এবং দুই দিকের দুটি কেন্দ্রিকতা , যারা কিনা আদতে ঘোড়ার মালিকপক্ষ ছাড়া কিছুই নয় , তাদের ঝগড়ার মধ্যে দিয়ে ঘোড়া টা পালিয়ে বাঁচলো।

    তবে এই পুরো ধর্মচক্র এক চক্কর ঘুরে আসতে আসতে শেষ পায়েস খাচ্ছে সুজাতা থুড়ি মমতার হাত থেকে । সুধী খেয়াল করবেন , রবীন্দ্রপুজো দিয়ে শুরু ও মুন্ডু কাটায় হাপ সার্কল এবং দেব এর পুরস্কারপ্রাপ্তি তে এক চক্র পূর্ণ । এই সবই নকশাল দের দান । নইলে ঊনবিংশর বাবুয়ানি -উচ্চমন্যতা -কেন্দ্রিকতা থেকে বাঙালি বেরোতে পারতো না । অপরাধ ও শিল্পের জগতে এই হো হো হো হো হারাকিরি ও হতোনা ।
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩১55540
  • তাহলে তো নকশাল আন্দোলনের অনেক উপকার দেখছি। কিন্তু মাঝখানে বিপ্লব বেচারা ফেঁসে গেল।
  • দেব্ব্রত | 233.191.16.195 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩৫55532
  • হ্যা রঞ্জন দা 'সে অগ্নি পানীয়ে'......
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৪৪55541
  • dc অন্য প্রসঙ্গ আপনাকে ভাটে লিখেছিলাম একটা বই ডাউন লোডে সাহায্য করবার বিষয়ে -আপনি কি একটু দেখবেন ? The Islamic Syncretistic Tradition In Bengal – Roy, Asim
  • khyak | 116.221.142.13 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৪৫55542
  • বিপ্লব ঐ ঘোড়াটায় চড়ে পালিয়ে বেঁচেছে আর ডন কিহোটে হয়ে বিপ্পোবাল এসেছে ঝুড়ি ঝুড়ি থিয়োরি নাবাতে।
  • Ekak | 53.224.129.46 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৩55543
  • বিপ্লব হতে গেলে অনেক অনেক বেশি প্রি-কন্ডিশন এবং সর্বোপরি আলাদারকম মাটি লাগে । ওটা অনুপস্থিত ছিল । কাজেই দুঃখ করে লাভ নেই । এইযে সরোজবাবু কে নিয়ে এতো ঢেকুর তোলে নকশালরা , ওনার কবিতায় পড়ে দেখুন না , ভাষা দেখুন , ফর্ম দেখুন , আদৌ রাডিকাল কিছু বলে মনে হয় ? হয়না ।

    মূর্তি ভাঙা নিয়ে কথা উঠলে বাঙালি এখনো কিন্তু-কিন্তু তে ভোগে । একদল সরাসরি মূর্তি ভাঙো বলতে ভয় পায় । তাদের দৌড় সরোজ ভোজন অবধি .। আরেকদল অন্য পুজোর সঙ্গে গণেশপুজো করার মতো সম্মান টম্মান জানিয়ে রবিও থাকুন সরোজ ও থাকুন মার্কা কথা বলেন ।

    অথচ , যেটা আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন ওঠেনা যে , নকশাল আন্দোলন শিল্পের জগতে একটা প্রতিস্পর্ধা খাড়া করতে পারলো না ক্যানো ? স্টেটিস্ট শিল্পধারণার তলপেটে আঘাত হানাই যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে নকশাল বাঙালি কেন আরেকটা ডাডা মুভমেন্ট আনতে পারলো না ? উত্তর নকশালদের মধ্যেই রয়েছে । ওরা বিদ্যাসাগর এর "মূর্তি " নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল । এটা প্রশ্ন তোলেনি যে , আর্ট থেকে শতহস্ত দূরে এমন গাবমার্কা সিমেন্টের চ্যাঙ্গর কে রাস্তার মাঝখানে খাড়া করা হবে কেন ? সে বিদ্যাসাগর এরই হোক বা সিধো-কানহোর । আর্ট দিয়ে আঘাত করতে পারেনি । একটা ভয়ঙ্কর মূর্তি বসিয়ে দেখতে পারেনি যা বুঝে উঠতে বাঙালির অম্বল হয়ে যাবে । পারেনি বলেই বিপ্লব বলতে যা বোঝায় তা হয়নি । সংঘর্ষ হয়েছে , সংশ্লেষ নয় । একটাই ভালো হয়েছে তা হলো ঘোড়া টা খেপে গিয়ে পালিয়েছে :)
  • Ekak | 53.224.129.46 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৪55544
  • * সরোজ ভজনা
  • aranya | 154.160.226.94 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৮55533
  • সরোজ দত্ত-কে শ্রদ্ধা করি, আদর্শের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।
    তবে একটা ছোট্ট কথা - ভাঙা সহজ, গড়া কঠিন। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নি, বিদ্যাসাগর, রামমোহন ইঃ অতীব ঘৃণ্য মানুষ ছিলেন, তাদের মূর্তি ভাঙা কোন কাজের কথা না। স্কুল, কলেজ, ল্যাবরেটরি পুড়িয়ে দেওয়া, ধ্বংস করা কোন কাজের কথা না, ব্যক্তি হত্যা তো নয়ই
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:২৫55545
  • ঐ বইটা সাইটটাতে পাইনি তো! সেদিনই উত্তর দিয়েছিলাম, হয়তো কোন কারনে আপনি দেখতে পাননি।
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩১55547
  • আর মাইরি বলছি সরোজবাবুর কোন লেখাই আমি পড়িনি (অবশ্যই সে আমারই অক্ষমতা), কাজেই তাঁর লেখা র‌্যাডিকাল ছিল না ফ্রি ছিল সে নিয়ে কোন ধারনাই নেই। (এই পোস্টটা একককে)
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩১55546
  • নকশাল আন্দোলনের সময় এবং অবদান কেবল " ফ্রন্টিয়ার " পত্রিকা ৭০ এর দশকে এবং তৎপরবর্তী কেবল এটুক দেখলেই ধারনা হয় যে উদ্দীপনা এবং বিদ্রোহের অভাবে সাহিত্য থেকে সাংবাদিকতা কেমন ন্যাতানো দেশলাইয়ে পরিনত হয় ।

    " এইযে সরোজবাবু কে নিয়ে এতো ঢেকুর তোলে নকশালরা , ওনার কবিতায় পড়ে দেখুন না , ভাষা দেখুন , ফর্ম দেখুন , আদৌ রাডিকাল কিছু বলে মনে হয় ? হয়না ।" কবিতা আমি বিশেষ বুঝিনা তবে বিনয় ঘোষ লিখেছিলেন “ভবিষ্যতে মানুষের মহাতীর্থ গঠনের স্বপ্নে মশগুল তরুণ কবি সরোজ কুমার দত্ত প্রাক্তন সংস্কৃতি এবং সাহিত্য থেকে সাম্যবাদী এমন সব উপাদান শ্রদ্ধার সঙ্গে সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করবেন যাতে ভবিষ্যতের ভিত গঠনের কাজ সুসম্পন্ন হয়। …তাঁর কবিতার সুগভীর ছন্দ শুধু বাঙলার সংস্কৃত–পন্থী কবিদেরই স্মরণ করিয়ে দেয় না, অমিত্রাক্ষর ছন্দেও তিনি মাইকেলি ভঙ্গি বজায় রেখে স্বকীয়তার প্রমাণ দিয়েছেন। শব্দগুলো তাঁর যেমন কাঠিন্যে উজ্জ্বল, তেমনি নিবিড় আবেগে কম্পমান, তাদের সম্মিলিত সুর দীপ্ত কন্ঠের ঘোষণার মত শোনায়।” সরোজ ভজনা হবে নিশ্চয় ! তবে খুব বেশি কিছু কবিতা উনি লেখেননি ইহা সত্য ।

    " বিপ্লব হতে গেলে অনেক অনেক বেশি প্রি-কন্ডিশন এবং সর্বোপরি আলাদারকম মাটি লাগে " সেক্ষেত্রে জার্মানি তে হওয়ার কথা ছিল -রাশিয়াতে নয় । যা লাগে তা অ্যাজেন্ডা ,কর্মী ,উদ্দীপনা এবং নেতৃত্ব এবং অবশ্যই কিছু কন্ডিশন - আজকে মধ্যপ্রাচ্যের যা কন্ডিশন সেক্ষেত্রে রোজাভা কিছু স্বতন্ত্র নয় অথচ ওখানে বিপ্লব হচ্ছে অন্যত্র প্রতিবিপ্লব কারন সেখানে অ্যাজেন্ডা ,কর্মী ,উদ্দীপনা এবং নেতৃত্ব নেই রোজাভায় কন্ডিশনের সাথে সেইগুলি আছে ।

    যে মাটিতে দুর্গা বানানো যায় সেই মাটিতে বাঁদরও বানানো যায় শিল্পীর দক্ষতা সেখানে গ্রহণীয় , হ্যা হাওয়ায় অবশ্য মূর্তি বানানো যায়না তার জন্য মাটি /পাথর লাগে তা সেই মাটির ৭০ এও অভাব ছিলোনা এখনো নেই , হয়ত এখন আরও বেশি আছে কিন্তু সরোজ দত্ত নেই সুর্য/বুদ্ধ আছে ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.175 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৭55548
  • ডিসি " ঐ বইটা সাইটটাতে পাইনি তো! " আপনার এই মন্তব্যটি আমার চোখ এড়িয়ে গেছে , আরে সেই জন্যই তো আপনাকে লিখলাম কারন আমিও পাইনি । ঠিক আছে আমি অন্যসুত্রে দেখছি ।
  • Ekak | 53.224.129.46 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪৬55549
  • না , মাটি ও লাগে । উদ্দীপনা -স্বপ্ন এগুলোকে কেও অস্বীকার করছেনা । কিন্তু শুধুই ওগুলো সম্বল হলে শেষে হতাশা ছাড়া কিছু থাকেনা । ইটস লাইক আ সাকসেসফুল এন্টারপ্রেনিওরশিপ । একচোখ কানা ঘোড়ায় চড়ে লাফালে খাদে পতন অনিবার্য্য। ঐকারণেই লোরকার সঙ্গে সরোজবাবুর কোনো তুলনাই হয়না । লোরকা একজন আগাগোড়া শিল্পী । তাঁর রাজনীতি ছিল , যে কারণে দালির সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরে , কিন্তু এন্ড অফ দ্য ডে , লোরকা আমেরিকায় দাঁড়িয়ে কবিতা ও নাট্যজগতের অন্যতম সেরা বক্তৃতাটি দিয়ে গেছেন । রাজনৈতিক বিদ্রোহ এসেছে শিল্পের মধ্যে দিয়ে । লোরকা কে বামশিবিরের পেট পোয়েট মায়াকোভস্কির সঙ্গে গোলালে ভুল হবে । লোরকাদের ছাতা লাগেনা । সরোজ সরোজের মতো । একজন সেনাপতি যিনি পদ্যে বলেন । ব্যাস । শিল্পে নতুন কিছু দিচ্ছেন না ।
  • Ekak | 53.224.129.46 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৫০55550
  • আর আমি ঠিক সরোজ মূল্যায়ন ও করছিনা । আপনার লেখা টা পড়ে বলছি বলা যায় । যেমন ধরুন ঋত্বিক । খুব অনেস্টলি বলেন যে সিনেমা ওনার কাছে একটি টুল মাত্র যা রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে কাজে লাগাচ্ছেন । সরোজ কেও সেরকমই লাগে । আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে পোস্ট -ঊনবিংশ "বিপ্লব " গুলো এরকমই । এইজন্যেই আমাদের বিপ্লবে রক্ত প্রচুর ঝরেছে , কিন্তু পেইন্টিং -স্কাল্পচার -মিউসিক এর মধ্যে দিয়ে , অর্থাৎ যা কিনা আদতে অনেক সুদূরপ্রসারী ফল রেখে যায় জাতি গড়ার কাজে , সেখানে কোনো বড় আঘাত আসেনি ।
  • :) | 119.200.130.62 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৫৫55551
  • আচ্ছা রোদ্দুর রায়কে কী আপনাদের 'সাংগীতিক নকশাল" বলে মনে হয়? :D
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০০55552
  • আমি সবার মধ্যেই পসিটিভ সম্ভাবনা খুঁজি । কোনো খিল্লি করে বলছিনা রোদ্দুরের মধ্যেও খুঁজেছিলুম । ওর মধ্যে একটা সাচা ব্যারন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল যদি নিজের ডিরেকশন ঠিক করতে পারতো । কিন্তু সেটা পারেনি । অলরেডি হারিয়ে গেছে । আর কিছুই মনে হয়না ।
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০৭55553
  • দেখুন রোদ্দুর রায়ের গলায় আমি যতোগুলো রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনেছি বাকি হোল লাইফে অতোগুলো শুনিনি। উনি নমস্য ব্যক্তি।
  • dc | 181.49.209.169 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৪:১৬55554
  • ও হ্যাঁ গত কয়েক বছর কলকাতা ঘুরতে গিয়ে সিগনালে আটকেও কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনেছি অবশ্য। তো মমতা আর রোদ্দুর রায়, এই দুজনকেই আমি শ্রদ্ধা করি।
  • ranjan roy | 24.97.84.104 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪৮55555
  • ট এর ৭ অগাস্টের পোস্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ব্যক্তিগত অনুভূতি ও মন্তব্যঃ
    উনি বলছেনঃ
    "ডোবারম্যানের বাহিনী শ্রমিক-কৃষকের আন্দোলনকে জলাতঙ্কগ্রস্ত করে তোলার জন্যে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল ‘মূর্তি ভাঙার কারিগর’কে।"
    --- আমার মন্তব্যঃ
    ১) সত্তরের দশকের নকশাল আন্দোলন মূলতঃ শিক্ষিত মধ্যবিত্তের আন্দোলন ছিল।
    শ্রমিক ও কৃষকের এক ক্ষুদ্রাংশ এতে সামিল হয়েছিলেন, বৃহদাংশ কংগ্রেস ও সরকারী বামপন্থীদের সঙ্গে ছি।
    ২) এটা আদৌ কোন দাবীদাওয়ার আন্দোলন ছিল না। শহীদ সরোজবাবুরা খোলাখুলি রাষ্ট্রক্ষমতার দখলের জন্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধাবস্থায় কী হবে? নো হোল্ড বারড্‌ লড়াই। সরোজ নিজে এটার জন্যে তৈরি ছিলেন। বেলা দেবীকে উচ্চহাস্যে বলা পংক্তিটিই তার প্রমাণ।
    ৩) যদি দেবী/ রুণু/তারাপদরা বা স্বয়ং সিদ্ধার্থ রায় সরোজবাবুদের বাহিনীর হাতে ধরা পড়ত তাহলে তাদের কী পরিণতি হত? সহজেই অনুমেয়।
    ৪)আম্র্রিকা সাদ্দাম ও লাদেনের সঙ্গে কী ব্যবহার করেছিল? কেন করেছিল?
    -- ভয় পেয়েছিল বলে।
    সরোজ ও চারুবাবুকে তৎকালীন সরকার ভয় পেয়েছিল। এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় সম্মান।
    ৫) কিন্তু একটা কথা।
    সরোজ ও চারুবাবুর শহীদ হওয়া প্রমাণ করে যে তাঁদের বিশ্বাসে ফাঁকি ছিল না, ভাবের ঘরে চুরি ছিল না। নিজেদের আদর্শের মূল্য তাঁরা জীবন দিয়ে চুকিয়েছেন।
    কিন্তু তাতেই তাঁদেব্র রাজনৈতিক লাইন বা প্রোগ্রামের যাথার্থ্য প্রমাণিত হয় না; অনুকরণীয় হয় না---স্পিরিটটুকু ছাড়া। একই কথা কিষেণজীর সম্পর্কেও।
    ৬) সরোজবাবুর মূর্তিভাঙার কালাপাহাড়ি লাইনের ফল আউটে বঙ্গের নবজাগরণ ও মনীষীদের নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন হয়েছে? -- মানা কঠিন। এক্জন সমর সেন বা একজন বিনয় ঘোষ আদৌ ব্যাপক বাঙালী মধ্যবিত্ত মানসের প্রতিনিধিত্ব করেন না।
    অধিকাংশ স্কুল-কলেজের ছেলেরা কথিত রেডগার্ড অ্যাকশনে বই পোড়ানোর বা মূর্তির গলাকাটার সময় তাদের নিয়ে বিতর্ক/মূল্যায়ন /রচনার সঙ্গে ভালভাবে পরিচিত ছিল না। কজন স্কুলে বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ ছাড়া অন্য কোন ভূমিকা জানে?
    -- ওরাএগুলো করেছিল সরোজ আদি গুরুর আদেশে। ঠিক যেমন বাংলাদেশে উনিশ-কুড়ির হাতে চাপাতি ঝলসে উঠেছে কথিত ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে--গুরুর প্রতি বিশ্বাসে।
    আর নবমূল্যায়নের জন্যে পূর্বশর্ত বই পোড়ানো ? মূর্তিভাঙ্গা? ল' অফ নেগেশন অফ নেগেশন???
    ৭) সরোজবাবুর দুটো কবিতা বেশ ভালো লেগেছিল, বিশেষ করে "পূর্ণিমার চূর্ণ চতুর্দশী"।
    দোলপূর্ণিমা,অর্জুন ও উর্বশী র মেটাফরের অনন্য প্রয়োগঃ
    আজিকে উর্বশী তার হাসিয়া খুলেছে বক্ষবাস,
    আজিকে অর্জুন শিরে উদ্যত নটীর অভিশাপ"।
    কিন্তু সামগ্রিক ভাবে ওঁর কবিতা বাংলা কাব্যধারায় বিষয় বা শৈলীতে কোন নতুন মাত্রা যোগ করেছে?
    -- আমার মত কবিতার আবাল হরিদাস পালের তা মনে হয় নি।
    ৮) শেষেঃ
    রাগের কারণ থাকলে রাগ হবে , উত্তাপ বাড়লে ফুটে বেরোবে; কিন্তু শুধু আবেগ, বিচারহীন গালাগালে থেমে ফুরিয়ে গেলে আত্মহননের বেশি কিছু প্রাপ্তি হবে না।
  • ranjan roy | 24.97.84.104 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪৯55556
  • "নিরর্থ হাহাকারে,
    দিও না, দিও না অভিশাপ বিধাতারে"।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.157 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০৯55557
  • সরোজ দত্ত আদতে কমিউনিস্ট হওয়ার চেষ্টা রত ছিলেন এবং পেশায় সাংবাদিক -অমৃতবাজার -স্বাধীনতা -দেশহিতৈষী -দেশব্রতী । কবিও ছিলেন বটে ১৫ বছর বয়েসে লেখা কিছু পদ্য পাওয়া যায় । যা কিছু সাহিত্য চর্চা তা প্রগতি লেখক সঙ্ঘর সাথে যোগদানের দরুন যেখানে তার মতে সাহিত্য বিপ্লবের পক্ষে একটি টুল বটে আর সেক্ষেত্রেই সমর সেন বা বুদ্ধদেব বসুর সাথে দ্বিমত । এই কারনেই বেশ কিছু সিলেক্টিভ অনুবাদ করেছিলেন যা উনি বিপ্লবের পক্ষে একটি টুল হিসাবে কাজে লাগবে বলে মনে করতেন ।

    নকশাল আন্দোলন ডাডা ম্যানিফেস্টো টাইপ সংগঠিত কিছু নয় ঠিকই কিন্তু তার অভিঘাতে - ইতিহাস চর্চা থেকে একদল নূতন সাহিত্যিক ,প্রাবন্ধিক সৃষ্টির কারিগর - ঝাঁসির রানির লেখিকা এই অভিঘাতেই হাজার চুরাশির মা লেখেন , তস্য পুত্র তা আরও তীব্র করেন এবং আরও অনেকে । সে অর্থে স্থবির সামাজিক মধ্যবিত্ত অবস্থান কে ঝুঁটি ধরে নাড়িয়ে দেওয়ার পেছনে রাজনীতি ছিল তার সাথে সাহিত্য বিচ্ছিন্ন কোন পাল্টা সাহিত্যিক দৃষ্টান্ত স্থাপিত করবার লড়াই নয় । লোরকা স্পেনের এক বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্ট ,রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেইরূপ না হলে লোরকা হতেন না ।

    মাটি থাকলেই যে বিপ্লব হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই , আর সমস্ত কিছু কবে উপযুক্ত পরিস্থিতি খাপে খাপ হবে এই ভেবে বিপ্লবীরা বসে থাকেন না , প্যারি কমিউন থাকেনি , নেস্টর মাখনো থাকেনি ,ক্যাটা লনিয়া থাকেনি ,নকশাল আন্দোলনও থাকেনি - এটা কোন " একচোখ কানা ঘোড়ায় চড়ে লাফালে খাদে পতন অনিবার্য্যতা নয় "এইরকমটাই হয় এইটাই নিয়ম । কিন্তু যদি উদ্দীপনা ,সততা আবেগ না থাকে তাহলে উপযুক্ত মাটি থাকলেও তা পানা পুকুরে পর্যবসিত হয় যেরকমটা গোটা বিশ্বে হচ্ছে । সরোজ দত্তর সাথে লোরকার তুলনা এইটাই - লোরকা'র মৃত্যুর যেমন তদন্ত হয়েছিল বা স্পেনের জনতা সেই ইতিহাস জানতে উৎসুক সরোজ দত্তর ক্ষেত্রে সেটা অনুপস্থিত ।
  • kc | 198.71.236.170 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১৩55558
  • রঞ্জনদা আরও লিখুন। যদিও পাঁচ নম্বরটা নিয়ে অনেক তর্ক করা যায়। আর সমর সেনের আত্মজীবনীর নাম বাবু বৃত্তান্ত। দেবব্রতবাবু কোনো লেখা লিখলে তথ্যসূত্র দেবেন, অন্য কেউ দিয়ে দিলে ভালো দেখায় না।
  • ranjan roy | 24.97.84.104 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫৫55559
  • এই পোস্টে দেবব্রত খুব ব্যালান্সড গভীরের বক্তব্য রেখেছেন বলে মনে হল।
    অবশ্যই নকশাল আন্দোলন কোন স্বতন্ত্র সাহিত্য আন্দোলন নয়। সেইভাবে বিচার করা ভুল। কিন্তু সর্বদেশে সর্বকালে গভীরভাবে সমাজকে নাড়িয়ে দেওয়া আন্দোলনের বা ঘটনার অভিঘার সাহিত্যে পড়েছে। বঙ্গে বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ, তেভাগা এগুলোর অভিঘাত সাহিত্যে শিল্পে পড়্বেছে। সোমনাথ হোর, চিত্তপ্রসাদ, জয়নাল আবেদিন, সমরেশ বসু, মনোজ বসু, বিমল কর, মানিক, সুভাষ, তারাশংকর--অগুণতি। ওদিকে সলিল, হেমাঙ্গ,ঋত্বিক আরও অনেকে।
    নকশাল আন্দোলনের কাঙ্ক্ষিত অভিঘাত সারফেস লেভেল এর বেশি?
    বঙ্গে মতি নন্দী, সমরেশদের কিছু লেখা। অবশ্যই বসুর কথা বলছি; মজুমদারের নয়।
    মহাশ্বেতা/নবারুণ। নাটকে কোলাকাতার হ্যামলেট, তীর। রাঘব বন্দ্যো, । সিনেমায় মৃণাল/সত্যজিৎ/ বুদ্ধদেব, উৎপলেন্দু--সহজেই হাতে গোণা যায়।
    সঙ্গীতে শান্তনু/অজিত পান্ডের যুগলবন্দী?
    পূর্বসুরীদের তুলনায় বেশ ফিকে।
    সুকান্ত/সুভাষ/দিনেশ দাস/ রাম বসুর মত কেউ? সমীর রায়? আর?
    অন্ধ্রে গদ্দার, চেরাবান্দরাজু, শ্রীশ্রী।
    তবে কমুনিস্ত-লম-বিম্বু-কাস্তেজীবলম,
    আওন্না-কাদান্না-আঁদে--ইস্তলম
    ( কমুনিস্ট আমরা, আমরা কমুনিস্ট;
    খেটে খায় যারা তাদেরই আমরা ,আমরা কমুনিস্ট।
    মানো বা না মানো মত আমাদের আমরা রব সে ইস্ট।)
    --আমার কাছে বাংলার প্রতুল মুখোর চেয়ে বেশি আদৌ মনে হয় নি। এর চেয়ে সুমন ভালো।
    পাঞ্জাবে নাটকে গুরুশরণ সিং ও আরও একজন বড় কবি "পাশ"; হিন্দি বলয়ে গোরখ পান্ডে (এঁরা শেষ দুজন প্রয়াত)। শেষোক্ত জনের লিরিক বিখ্যাত ব্যান্ড ইন্ডিয়ান ওশান গেয়ে থাকে।
    -কেসি,
    আমি ক্লান্ত; বড় ক্লান্ত। ভায়োলেন্সের নৈতিকতার প্রশ্নে। সহজ সুইপিং জেনেরালাইজেশনের প্রশ্নে।
    অনেকের ভাবভঙ্গী যে নকশাল আন্দোলন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল; ওদের কোন আন্ডার-বেলি ছিল না।ঃ(((
    কেন যে রাষ্ট্রযন্ত্র ওদের গুঁড়িয়ে দিল!
    সিপিএম থেকে নকশাল সবাই উঃ কোরিয়ার ওই ক্যালিগুলা সদৃশ শাসকের বিরুদ্ধে ওর -- এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ারের বিরুদ্ধে কিছু বলবে না।
    গতকাল ছত্তিশগড়ে ছোট্ট একটি আয়োজনে একটি ছাত্র উঃ কোরিয়ার পাগলের হাতে মারাত্মক খেলনার কথা তুলেছিল, কিন্তু আমার বন্ধু বাম নেতার বক্তব্য যে এগুলো আমরা প্রকাশ্যে বলব না। কেন ওই কিম ইল সুং এর নাতি লাল-চাড্ডি পরে আছে বলে? আমি কাপুরুষ চুপ করে রইলাম!!
    এইভাবেই সিলেক্টিভ সত্য নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া? ইজরায়েল কে যে স্তালিনের রাশিয়া সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং চেক স্মল আর্মস দিয়ে প্রথম ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ জেতাল--সেটা চেপে গিয়ে শুধু আম্রিকাকে দোষী বলে অতি সরলীকরণ করা?
    আইসিস প্রশ্নেও শুধু আম্রিকার দিকে আঙুল তুলেই ক্ষান্তি দেওয়া?
    এই লুপ আর দ্বিচারিতা আমাকে ক্লান্ত করে।
    এখন শুতে যাচ্ছি। কাল ট্রেন ধরব।
    ভবিষ্যতে নকশাল আন্দোলনের আংশিক মূল্যায়ণের ইচ্ছে আছে। কৃষি প্রশ্ন বা ইন্দিরার ২০ পয়েন্ট প্রোগ্রাম সামনে আসা ওই আন্দোলনে ডাইরেক্ট ফল বলে মনে হয়।
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৮55560
  • রঞ্জনদা , প্লীজ একটু ফোকাসে থাকুন ।

    তর্কের খাতিরে প্রথম দফায় মেনে নেওয়া যাক যে ভায়োলেন্স একটা ভ্যালিড রাস্তা এবং সাম আর মোর ইকুয়াল ।

    এটা মেনে নিয়েই , নকশাল দের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ব্যাপারটাকে একটু বাজিয়ে দেখা যাক শুধু যে এটা এক্স্যাক্টলি কী । আশা করি আপনার খেয়াল থাকবে যে , কাল যে গানে ফুল-পাখি বসিয়ে গাইতুম আজ তার কথা পাল্টে মজুর-কিষান করে দিলে তা দিয়ে সংস্কৃতির কিস্যু যায় আসে না । বা আগেও যেরকম বলেছি যে , একইরকম বিকট, শিল্পের থেকে যোজন দূরে থাকা মূর্তি রবীন্দ্ৰনাথের না হয়ে সিধোকানহর হলে ।

    এনারা , বিশেষত এই সরোজবাবুকে সামনে রেখে মাঝে মধ্যেই বলেন যে পুরোনো মরছে পড়া পচা গলা সংস্কৃতি কে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । সেই বস্তু কী আপনি কেমন বুঝেছেন একটু লিখুন । মানে ফর্ম এর দিক দিয়ে কী হলো , নতুন কী শিল্পরীতি উঠে এলো যা এইজ ছিলোনা । বা নতুন করে কোনো পুরোনো জিনিস জায়গা করে নিলো কিনা , এই যারা কিনা খেতে খাওয়া মানুষের রাজনীতি করলেন , তাঁরা ফোক কালচার -মিউসিক এগুলোকে কী চোখে দেখলেন , কতটা তুলে আনলেন , যাঁরা সেসব করলেন তাঁদেরই বা রাজনৈতিক সতীর্থরা টিটকিরি দিলেন নাকি শিল্প বলে অনুধাবন করলেন , এই সব ।

    বুঝতেই পারছেন , আমি বিপ্লব সবটা বেশ সিরিয়াসলি নিই । একদম ইউরোপিয়ান প্যাটার্নে ভাবছি কপি -পেস্ট না চাইলেও , বা খুব ছোট করে হলেও আমেরিকান প্যাটার্নে যেখানে কালো মানুষদের হাত ধরে ধরে ফোক আর ইন্ডাস্ট্রির যন্ত্রের আওয়াজ মিলছে এসে সংগীতে ।

    এরম ,কিস্যু হইসিলো টযেসিলো ? নাকি খোকার চেয়ে খোকার আলোচনার ওজন বেশি ??
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.157 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৭55561
  • রঞ্জনবাবু ,অন্য প্রসঙ্গ - অশোক বাবু আমাদের অনুরোধে রাজেন্দ্রলাল শেষ করে ডিরজিও নিয়ে পোস্ট করেছেন - আপনার মতামতের অপেক্ষায় । নকশাল আন্দোলনের মূল্যায়ন নিয়ে লিখুন সমৃদ্ধ হই ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন