এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৃহন্নলা, ছিন্ন করো ছদ্মবেশ’

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০২৩৬ বার পঠিত
  • ৪৫ বছর ধরে তিনি নিখোঁজ । ১৯৭১এর ৫-৬ আগস্টে ময়দানে যদিও কেউ নাকি তার রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেছিল ,মাথা কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যানহোলে প্রমাণ লোপের চেষ্টায় । অধ্যাপক দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি (শেল্টার) থেকে ৭১-এর চৌঠা অগস্ট রাত সাড়ে-এগারোটা নাগাদ সরোজ দত্তকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রুণু-দেবী-তারাপদ’রা সেই থেকে পুলিশের খাতায় অথবা সরকারী মতে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি এখনো নিখোঁজ । তিনি সেই কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম যার তীক্ষ্ণ অনন্য স্বর শাসকদের কাছে আতঙ্ক -ভেঙ্গে চুরমার করে মধ্যবিত্তের সযত্নে সাজানো মিথ। আমাদের দার্শনিক ইমারত ভেঙে চুরমার করে দেবার কারিগর সরোজ দত্ত । যিনি সমর সেনের ‘In Defense of Decadents’ প্রগতিশীলতার মোড়কে ধেয়ে আসা প্রচ্ছন্ন ফ্যাসিবাদী এলিওটিজমকে চিহ্নিত করেন ১৯৩৯এ । ১৯৬৯ সেই শানিত সরোজ দত্ত যুক্তি সাজান ভারতে একই সাথে বিদ্যাসাগর , রামমোহন এর মত ব্রিটিশ শাসকের অনুগত ব্যক্তিত্ব’র সাথে মঙ্গল পাণ্ডের মূর্তি ,বীরসার মুর্তি স্থাপিত হতে পারেনা । সিপাহি বিদ্রোহের অর্থাৎ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের মূর্তি স্থাপন করতে হলে সেই বিদ্রোহের সমর্থকদের মূর্তি ভাঙা দরকার।

    সরোজ দত্তর নৈতিক প্রশ্রয়ে বা তাত্ত্বিক আস্কারায় নকশাল তরুণরা যে কালাপাহাড়ি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার ফলেই অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত মনীষীদের ধুপ-ধুনো জ্বালিয়ে পুজো করার বদলে যথার্থ মূল্যায়নের আগ্রহ শিক্ষিত বাঙালি সমাজে তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সমগ্র বঙ্গীয় রেনেসাঁ বা নবজাগৃতির পুনর্মূল্যায়নের তাগিদও সৃষ্টি হতে থাকে। বিনয় ঘোষের মতো নিষ্ঠাবান গবেষক এই মূল্যায়নের কাজে হাতও দেন এবং নবজাগরণ সম্পর্কে তাঁর আগের ধারণা সম্পূর্ণ বর্জন করেন। আর রণজিৎ গুহের নেতৃত্বে যে নিম্নবর্গীয় ইতিহাস রচনার ধারা সূচিত হয়, তার প্রেরণা সমসাময়িক ইতিহাসে ওই নকশাল রাজনীতিরই চ্যালেঞ্জ। সরোজ দত্ত যার পথিকৃত ।

    সরোজ দত্ত ১৩২১ বঙ্গাব্দের ২১ ফাল্গুন বাংলাদেশের নড়াইল জেলার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম হৃদয়কৃষ্ণ দত্ত, মা কিরণবালা দত্ত। নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর ১৯৩০ সালে কলকাতায় আসেন স্কটিশ চার্চ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে। ওই একই কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হন। তার গোড়ার দিকের ঘটনাবলী আর দশটা লোকের মতোই! জন্মেছেন, পড়েছেন, পাশ করেছেন , চাকরি করেছেন, সংশয়েও ভুগেছেন। কিন্তু আর দশজনের মতো সেই তমসার তামাশায় তিনি জীবনটাকে বিলীন হতে দেননি! ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন সমাজ ও রাষ্ট্র নির্ধারিত বৃত্ত- ‘হেসে ওঠে দস্যু কবি অক্রোধের ক্লীবলজ্জা ছেড়ে, তামসীর তৃপ্তির দিন সাঙ্গ হলো তমসার তীরে’!

    কলেজে থাকতেই কমিউনিস্ট পার্টির গণসংগঠনে যুক্ত হন, জেল খাটেন। তবে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে তার ওঠবসটা নিয়মিতই ছিল। ১৯৩৮ সালে এমএ পাস করার পর যোগদান করেন প্রগতি লেখক সঙ্ঘে। এই সময় থেকেই সরোজ দত্তর কবিতা প্রকাশ হতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন অমৃতবাজার পত্রিকায়। পরে কর্মী-ধর্মঘটে যোগ দিয়ে চাকরি খোয়ালে ‘পরিচয়’ ও ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সম্পাদনার কাজে যুক্ত হন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হলে তিনি শেষোক্ত সংগঠনে যোগ দেন এবং দলীয় মুখপত্র ‘দেশহিতৈষী’র সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হন। ‘শশাঙ্ক’ ছদ্মনামে তাঁর আগ্নেয় লেখাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে। অতঃপর নকশালবাড়ি, দেশহিতৈষী থেকে দেশব্রতী এবং চারু মজুমদারের নেতৃত্বে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা রূপে তাঁর বিকাশ। সরোজ দত্ত ক্রমে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী থেকে উত্তীর্ণ হন বিপ্লবী বুদ্ধিজীবীতে, শেষে কমিউনিস্ট বিপ্লবীতে।

    কবি-ইন্টেলেকচুয়াল-সাংবাদিক সরোজ দত্ত-কে পুলিশ কেন খুন করল, এটা অনেকেই ভেবে পান না। কানু সান্যাল বা সন্তোষ রাণা-রা তো সরাসরি যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার পরেও তো তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল রাষ্ট্র। কিন্তু সরোজ দত্তর বেলায় কেন…? কেননা সরোজ দত্ত জানতেন যে বিপ্লব একটা প্যারাডাইম শিফ্ট, এবং চূড়ান্ত পর্বে সেটা মননে। সহস্র বছরের ফিউডাল সাংস্কৃতিক হেজিমনি (আধিপত্য)-কে ভেঙে নতুন পাল্টা জনতার হেজিমনি গড়ার পথেই এগোচ্ছিলেন তিনি। সরোজ দত্ত ভয়ঙ্কর ,তার কলম জীবিত থাকলে শাসকের উলঙ্গ শরীর ঢাকার আর উপায় থাকেনা , বুদ্ধিজীবীর উপায় থাকেনা হ্যা হ্যা করে পুরস্কার মঞ্চে ওঠার । আর হয়ত তাই তার চলার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হল।

    সরোজ দত্ত শহীদ হওয়ার পর চারু মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন: “কমরেড সরোজ দত্ত পার্টির নেতা ছিলেন এবং নেতার মতই তিনি বীরের মৃত্যু বরণ করেছেন।” হ্যাঁ, সরোজ দত্ত নেতা ছিলেন, এমন একজন নেতা যিনি স্ত্রী’র মুখে সাবধানে থাকার পরামর্শ শুনে উত্তর দিয়েছিলেন: “এইডা কি কইলা বেলা! যুদ্ধে কি শুধু বাহিনী মরব! আরে দুই একডা সেনাপতিরও তো জান যাইব!” নির্মম ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।

    এই আগস্ট মাসেই ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ত বাহিনীর হাতে লোরকা খুন হয়েছিলেন কিন্তু আজকের স্পেন সেই ১৯৩৬ এর ইতিহাস খুঁড়ে বার করছে আর অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (!) ও বাম আন্দোলনের অন্যতম দূর্গ এ ভারত বা এ বাংলায় শহীদ সরোজ দত্ত ও তাঁর নিহত ও শহীদ সাথীদের ইতিহাসকে জনসমক্ষে হাজির করতে বিচারালয়ের ‘ন্যায়াধীশরা’ রাজি হননি। রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্ণধারদের কথা তো ওঠেই না। সত্যকে চাপা দিতেই ‘ভদ্রলোকেরা’ বেশি ব্যস্ত ! আর সেই ..........

    বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ~ সরোজ দত্ত

    তোমার বুদ্ধির সুধা, সুরা হল আঁধারে পচিয়া।
    হে অগ্নি পানিয়ে!! নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলি;
    কৌমার্য করিতে রক্ষা, আত্মরতি সম্বল তোমার,
    তোমার দুর্বল কন্ঠে স্বেচ্ছাবন্দী পাখির কাকলি,
    প্রাণশক্তি প্রাণহীণ, ধরিয়াছ প্রাণঘাতী নেশা,
    চরণে কাঁদিছে কায়া, ছায়া ভাবি হাসো উপহাসে,
    করেছ গতির রক্তে পঙ্গুতার প্রশস্তি রচনা,
    বিচ্ছেদ ভুলিতে চাহ বিরহের নিবীর্য বিলাপে।
    প্রসবের ব্যর্থতায় অভিমানী শৌখিন শাখার
    স্বার্থপর আত্মনাশ, বনস্পতি করিবেনা ক্ষমা,
    তৃষ্ঞায় শ্বসিছে তরু শিকড়ের শুন্য ভাণ্ড হাতে।
    সংবর এ ক্লীব কান্না! দেখনি কি মৃত্তিকা নির্মমা?
    রাজদণ্ড বহি ফিরে, শ্লথছন্দে রচিয়া বিলাপ,
    যে চাহে অলকা, তার নির্বাসন যোগ্য অভিশাপ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০২৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪৪55615
  • " এই তো আমি খেয়ে উঠলাম চাংশা নদীর জল আর উচাংয়ের মাছ,
    এই পাহাড় দেখেই ঋষি বলেছিলেন--"।

    এটা পড়ে সিরিয়াসলি আমি ভেবেছিলাম খিল্লি, মানে সত্যি-সত্যি খিল্লি।
    ঃ-) ঃ-) ঃ-) ঃ-) ঃ-) ঃ-)
  • h | 213.132.214.87 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪৪55614
  • আমি এভাবে দেখি। ৮৬ থেকে ২০০৮ অব্দি প্র্যাকটিকালি সেনাবাহিনী কি করেছে কেউ জানে না কাশ্মীরে। ২০০৮ এর পর থেকে দুটো কেস এ কনসিস্টেন্ট প্রচার হয়েছে, তাতে কিচুহ ফল হয়েছে। একটা হয়েছে, একটা গোটা গ্রামে মহিলা দের অত্যাচার এর কেস, এটা ২৫ বছর হয়ে গেলেও শাস্তি হয় নি, এটা নিয়ে এখন তীব্র প্রচার হচ্ছে। আর পদগাওঁকর রিপোর্ট এর পরে সম্ভবত স্টোন থ্রোয়ার দের হত্যার ব্যাপারে, একটা কোর্ট মার্শাল হয়েছিল, ২০০৮। অতএব কিসু কোনো দিন হবে না বলে মনে করি না। এবং বাবরি মসজিদ কেস এ লিবার হান্স কমিশন রিপোর্ট , বা বম্বে রায়ট এ সৃ কৃশ্ন কমিশন রিপোর্ট এর মত অন্তত এম্বারাসমেন্ট তো করা দরকার, যে রিপোর্ট গুলো আছে, সেগুলৈ প্রকাশ করুক না মমতার 'বন্ধু' সরকার । প্রথম ম্যানিফেস্টো তে তো এগুলো ছিল। এবারের ম্যানিফেস্টো তে আছে কিনা খেয়াল করি নি।
  • Ekak | 53.224.129.40 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪৮55616
  • লাও , এবার মায়াকোভস্কির কিউরিও ভ্যালু বের করার চেষ্টা হচ্ছে :(

    কিন্তু স্মৃতি যে বলছে, একটা রাশিয়ান পোয়েট্রি গ্ৰুপ আর সাররিয়ালিস্ট -ডাডা এরা মিলে মায়াকোভস্কিকে মু তোর্ চুলকে দিয়েছিলেন একবার । সেই যখন মান রে -দুচ্যাম্প একসঙ্গে ওয়ার্কশপ করছেন আর উদিকে মায়াকভস্কি হঠাত বার খেয়ে বলে বসলেন তিনি রাশিয়ান কবিতার আমূল শুদ্ধিকরন করবেন .....তখন এদিক থেকে লোকজন ( কী শয়তান ভাবুন ) লিখিত প্রস্তাব পাঠায় যে মায়াকভস্কি বরং পুশকিন মনুমেন্টের তলায় গিয়ে পথচারী দের জুতো পরিষ্কার করুন !!! তাতে বেশ হাত মকশো হবা ।(হুবহু কোট না , তবে পুশকিন আর জুতো পরিষ্কার টা ছিল )

    এটা বলছে কারা যারা নিজেরাই রাত্রদিন সব ভেঙে নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে
    :) এমনকি সেইসময়েও , সোভিয়েত বাম শিবির ও তাদের চ্যালাচামুণ্ডার বাইরে মায়াকোভস্কি কে , কে যে সিরিয়াসলি নিতেন , এট্টু জানতে পারলে ভালো হয় :):)
  • dc | 132.164.232.95 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:০৫55617
  • Atoz মাইরি, ওটা পড়ে আর না লিখে থাকতে পারিনি, প্রায় বিরিঞ্চি লেভেলের উক্তি :d আর একক মনে করিয়ে দিলেন গণনাট্য! ওরে বাবা, সে আরেক গন কেস :d
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:১২55618
  • ভদ্রলোক ইচ্ছে করেই মনে হয় গম্ভীরমুখে এইসব "চাংশা উচাং রহে হামারা" টাইপের খিল্লি করতেন, আর লোকেদের আহা বাহা শুনে ভেতরে ভেতরে উলুটিপালুটি খেয়ে হাসতেন । ঃ-)
  • মাও দা | 119.236.90.209 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৮55620
  • Swimming:
    Poem by Mao Zedong (June, 1956)



    I have just drunk the waters of Changsha
    and have come to eat the Wuchang fish.
    Now I am swimming across the great Yangtze,
    looking afar to the open sky of Chu.
    Let the wind blow and waves beat,
    better far than idly strolling in courtyard. Today I am at ease.
    It was by a stream that the Master said:
    “Thus do things flow away!”

    Sails move with the wind, tortoise and snake are still,
    great plans are afoot:
    A bridge will fly to span the north and south,
    turning a deep chasm into a thoroughfare.
    Walls of stone will stand upstream to the west to hold back
    Wushan’s clouds and rain till a smooth lake rises in the narrow gorges.
    The Mountain Goddess if she is still there
    will marvel at a world so changed.”
  • মাও দা | 101.219.237.244 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৮55619
  • Swimming:
    Poem by Mao Zedong (June, 1956)



    I have just drunk the waters of Changsha
    and have come to eat the Wuchang fish.
    Now I am swimming across the great Yangtze,
    looking afar to the open sky of Chu.
    Let the wind blow and waves beat,
    better far than idly strolling in courtyard. Today I am at ease.
    It was by a stream that the Master said:
    “Thus do things flow away!”

    Sails move with the wind, tortoise and snake are still,
    great plans are afoot:
    A bridge will fly to span the north and south,
    turning a deep chasm into a thoroughfare.
    Walls of stone will stand upstream to the west to hold back
    Wushan’s clouds and rain till a smooth lake rises in the narrow gorges.
    The Mountain Goddess if she is still there
    will marvel at a world so changed.”
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫০55621
  • ডিসি ও এতোজ,
    বিক্ষিপ্ত একটা দুটো লাইন থেকে হাসি আসতেই পারে।
    যেমন ওই "তোমা ছাড়া এ জগতে মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো" শুনে বা "আমার বাঁশি তোমার হাতে ফুটোর পরে ফুটো তাতে" ।
    ভাবা যায় যে ওই দ্বিতীয় লাইনটা রবিঠাকুরের হাত দিয়ে বেরিয়েছে?

    কিন্তু মাওয়ের ওই "সাঁতার" কবিতাটি বিষ্ণু দে অনূদিত মাও সে-তুং এর কবিতা বইটিতে পড়ে দেখবেন-- তার অন্তর্লীন সৌন্দর্য্য ও মেটাফর কেমন ফুটে উঠবে!
    অবশ্যি হাসি অনেক ভাল। আদৌ রামগড়ুরের ছানা হওয়া উচিত নয়।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৪55622
  • না না, এ মানে খুবই ভালো কবিতা তো!
    চাংশা নদীর জল আবার তার উপরে আবার উচাংএর মাছ!!!! ওহ্হ্হ্হ। চ্যাং মাছ হলে আরো জমে যেত! "চড়াং করে চেয়ারে চড়ে খেয়ে খেল্লাম উচাং এর চ্যাং মাছ ভাজা", ভাবুন দেখি, কী অনুপ্রাস!!!!!
    ঃ-)
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৭55623
  • একক,
    মায়াকোভস্কি ফিউচারিস্ট কবিগোষ্ঠীর সদস্য হয়ে "জনতার রুচির গালে এক থাপ্পড়" গোছের কবিতা লিখেছিলেন। পরে কমিউনিস্ট কবি হয়ে যান। যদ্দূর মনে হয় আন্না আখমাতোফা, পাস্তেরনাক ও অসিপ মেন্ডেল্স্ট্রামকে পরবর্তী কাল বেশি বড় কবি মনে করে। লেনিন নিজে মায়াকোভস্কির থেকে পুশকিনের কবিতা বেশি পছন্দ করতেন।
    তবে তোমার "ফুলপ্যান্ট পরা মেঘ" (Cloud in Trousers) কেমন লাগে? আর "লেনিনকে নিয়ে ব্যবসা কর না, দোহাই তোমাদের!"?
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৮55625
  • আপনি যা তা! ঃ)))))
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৮55624
  • তুলনীয় হতে পরে,

    "সূর্যমুখী ফুলগুলো ল্যাজ তুলে নাচছে

    -----
    -----
    কিচিরমিচির বসন্তের কোকিল
    কুহুকুহু আহা আহা।"

    ঃ-)

    ওহ্হ্হ, অব্যর্থ কবিতা। মন ভালো করতে জুড়ি নেই। ঃ-) ঃ-) ঃ-)
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৩55626
  • রঞ্জন-দা কি বাইনারি-র সাথে গুলিয়েছেন - যিনি কানাডা থেকে লেখেন?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৭55629
  • আরে কে কী কেন কোথায় কী বৃত্তান্ত দেখে কী হবে? সবই এক, "কেন্দ্রগতং নির্বিশেষং"। ঃ-)
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৭55628
  • এলসিএম-এর পোস্টে নকশাল-দের সম্বন্ধে চন্দ্রিলের এই লাইনটা দেখলাম -'এ জাতির সবচেয়ে দরদের বস্তুঃ 'সাকসেসফুল শহিদ', সে ইমেজে এঁরা বলে বলে ফার্স্ট। '

    আদর্শের জন্য শহীদ হতে অনেক সাহস লাগে, মনের জোর লাগে। বিশেষতঃ যখন শহীদের জন্য পরলোকে স্বর্গে ৭২ জন হুরী অপেক্ষা করে নেই, স্বর্গ-ই নেই, মৃত্যুতেই সব শেষ
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.24 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:০৭55627
  • সরোজ দত্ত বা কাশীপুর বরানগর এবং অসংখ্য এনকাউন্টারের তদন্ত আগামী ১০ বছরের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা নেই - আর যদি হয়ও অর্চনা গুহ মামলার পরিনতি হবে অথবা লখিম্পুর বাথে । বিগত ৩৭ বছরের ওপর মরিচঝাঁপী ঘটনা ঘটে যাওয়া স্বত্বেও ,রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে চেপে ধরবার সুযোগ থাকার সম্ভাবনা থাকলেও মমতা’র সরকার আজ পর্যন্ত কোন কমিশন গঠন করেনি কারন শাসকের স্বার্থ এক এবং কেউই কাউকে খুব গভীর ভাবে চেপে ধরতে চায়না । না হলে এতদিনে শিখ হত্যা নিয়ে কংগ্রেস কে মোদী কোণঠাসা করে দিত ।

    অনুবাদ নিয়ে বাসু আচার্য্য’র একটি লেখা পড়েছিলাম সেখান থেকে ঃ- “ অনুবাদ সাহিত্যে মুন্সীয়ানা কার কতটা, সেটা খুব ভালভাবে না হলেও অল্পবিস্তর ঠিক করা যায় একই কবিতার দুই বা তিন’টি অনুবাদের তুলনামূলক আলোচনার মধ্যে দিয়ে। এইক্ষেত্রে একটা কমপ্যারেটিভ স্টাডি, স্বল্পাকারে হলেও, করা যেতে পারে সরোজ দত্ত এবং বিষ্ণু দে’র মধ্যে। এঁরা দু’জনেই মোটামুটিভাবে কন্টেম্পোরারি এবং কবি-অনুবাদক হিসাবে সাহিত্যমহলে শ্রদ্ধেয়।
    ধরা যাক মাও-এর ‘The Swimming’ কবিতাটি। ইংরাজি অনুবাদের শুরু থেকে শেষঅব্দি লক্ষ করলে দেখা যাবে যে বিষ্ণু দে তাঁর অনুবাদের অ্যাস্থেটিক ভ্যাল্যু নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, যে ক্রমশঃ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছেন। অপরপ্রান্তে সরোজ দত্ত কবিতার কাব্যগুণকে বজায় রেখেছেন, কিন্তু কোনভাবেই মূল বক্তব্যকে দুর্বধ্য করে তোলেননি। একটা ছোট উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। কবিতার একেবারে শেষে আছে –
    The mountain goddess if she is still there
    Will marvel at a world so changed.

    বিষ্ণু দে’র অনুবাদ অনুযায়ী –

    দেবী তো সুখেই থাকেন ওইখানে,
    তবে কিনা এই দুনিয়া বদলে অবাক মূর্তিবৎ।

    সরোজ দত্ত’র উপস্থাপনা অনেক সোজাসাপটা –

    আর যদি এখনো সেখানে থেকে থাকেন
    পাহাড়ের দেবী
    তাহলে চমকে উঠবেন তিনি
    এ কি! এত পাল্টে গেছে তাঁর দুনিয়া!

    আঙ্গিকগত দিক থেকে বিষ্ণু দে’র লেখা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। গোটা কবিতাটা তাই উনি ছয়মাত্রার কলাবৃত্ত ছন্দে অনুবাদ করেছেন। শব্দের ব্যবহার চূড়ান্তভাবে নান্দনিক। একথাও বললে অত্যুক্তি হয় না, যে ফর্মের দিক থেকে বিষ্ণু দে সরোজ দত্ত’র থেকে সহস্র যোজন এগিয়ে। কিন্তু তাঁর বঙ্গানুবাদের সাথে যদি ইংরাজি অনুবাদ মেলানো হয়, তাহলে দেখা যাবে তা নিতান্তই একটি অক্ষম ট্রান্সলেশন। কবিতার মূল বিষয়বস্তুকে বিষ্ণু দে অনুবাদে প্রকাশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন। গোটা কবিতা পড়লে এও দেখা যাবে যে তিনি মূল কবিতার ক্রিয়াপদেরও পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। অনুবাদকের এই স্বাধীনতা থাক্তেই পারে, কিন্তু প্রশ্ন হল, কন্টেন্ট আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে না তো? খেদের সাথে বলতে হয়, হচ্ছে! বিষ্ণু দে’র অনুবাদ গ্রীক নাটকের মত ধ্রুপদী, কিন্তু তাতে মূল কবিতার নাট্যগুণ এবং বিষয়গুণ উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূল কবিতার আঙ্গিক থেকে সরে গিয়েও-তারমধ্যে নিজস্ব বৈশিষ্ঠ্য বজায় রেখেও তাই সরোজ দত্ত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন। তিনি মাও-এর মত প্রাচীন চিনা কবিতার স্বরভঙ্গী (শুই তিয়াও তাও) কে অনুসরণ করেননি, কিন্তু কোনভাবে তা ক্ষুণ্নও করেননি। বাঙালি পাঠকের কাছে মাও-এর কবিতার নির্ভুল কম্যুনিকেশন একমাত্র ঘটেছে তাঁর হাত দিয়েই। সেই অনুবাদের শব্দ নিতান্তই সাধারণ, কিন্তু কন্সট্রাকশন হিসাবে দেখলে তা অসামান্য ডাইনামিক।

    জটিল ফর্মালিস্ট ট্রীটমেন্ট কিভাবে কন্টেন্টকে গ্রাস করে এবং তার সাথে কবিতাকে সাধারণের মাঝখান থেকে দূরে ঠেলে দেয়, তার আরো উদাহরণ দেওয়া যায় এই একই কবিতা থেকে। ইংরাজি অনুবাদে আছে –

    It was by a stream that the master said-
    Thus do things flow away!

    বিষ্ণু দে অনুবাদ করেছেন –

    কে যেন নদীর পারানি কহিল কিবা,
    পারানি জনের অমনি ওরে ধরণ।

    সরোজ দত্ত লিখেছেন –

    এই নদী দেখেই তো একদিন ঋষি বলেছিল,
    এ যেন সারা প্রকৃতি বয়ে চলেছে!

    উপরিযুক্ত কনফ্যুসিয়ান মিথের অনুবাদ করতে গিয়ে বিষ্ণু দে অকারণ জটিলতার সৃষ্টি করেছেন – বিকৃ্ত করেছেন কবিতার সারবস্তুকে। শব্দের খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি, কিন্তু মূলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারেননি। অন্যদিকে সরোজ দত্ত’র অনুবাদ অনেক সহজবোধ্য, সাবলীল, স্পষ্ট এবং একই সাথে শৈল্পিক। আরো একটা ব্যাপার লক্ষ করার মত – ইংরাজি অনু্বাদে আছে, “It was by a stream that the master said…”। সরোজ দত্ত অনুবাদ করেছেন, “এই নদী দেখেই তো একদিন ঋষি বলেছিল…”। লক্ষ করলে দেখা যাবে, উনি ঋষির সাথে বলেছিল শব্দটি ব্যবহার করেছেন – বলেছিলেন নয়। কারণটা আদৌ সাধারণ নয়। এই শব্দ ব্যবহারের মূলে রয়েছে তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ। চীনা কম্যুনিস্টরা বরাবর কনফ্যুসিয়সকে একজন দুর্বৃত্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। সংশোধনবাদীদের অভিযুক্ত করেছেন আধুনিক কনফ্যুসিয়স বলে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, একটি ভ্রাতৃপ্রতিম কম্যুনিস্ট পার্টির কর্মী সরোজ দত্ত কোনভাবেই সেই এলিটিস্ট ভাববাদী দার্শনিককে “আপনি-আজ্ঞে” সম্বোধন করতে পারেননি।বলেছিলেন শব্দ ব্যবহার করলে হয়তো কবিতার পংক্তিটা পড়তে বা শুনতে অনেক ভাল লাগত, কিন্তু কম্প্রোমাইজ করেননি সরোজ দত্ত। আসলে, একজন কম্যুনিস্ট কখনো পলিটিক্সকে বাদ দিয়ে প্রোটোকল নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন না। তিনিই বা এর বিপরীতে যান কি করে!

    সরোজ দত্ত’র মতবাদিক আবেগের স্পর্শ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর অনুবাদগুলোর মধ্যে। কবিতার মূল বজায় রেখে কিভাবে অনুবাদকে একইসাথে বৈপ্লবিক এবং নান্দনিক মাত্রা দেওয়া যায়, তা বার্টল্ট ব্রেখটের ‘Questions from a Worker Who Reads’ কবিতার অনুবাদটা পড়লেই বোঝা যাবে। মূল কবিতার (ইংরাজি অনুবাদ) একেবারে শুরুতে ব্রেখট লিখেছেন –

    Who built Thebes of the seven gates?

    সরোজ দত্ত’র অনুবাদটা হয়েছে একটু অন্যরকম –

    কারা গড়েছিল থেবেস নগরীর সাত-সাতটি প্রবেশদ্বার?

    কবিতার মূল অর্থের দিক থেকে জোরটা দেওয়া উচিত নগর নির্মাণের উপরে, কখনই প্রবেশদ্বারের উপর নয়। প্রশ্ন জাগে, সরোজ দত্ত’র মত একজন চৌখশ ট্রান্সলেটর কি করে এমন একটা ভুল করলেন? এটা কি তাড়াহুড়োতে ঘটে যাওয়া কোন প্রমাদ না ইচ্ছাকৃত ‘ভুল’? নগরীর প্রবেশদ্বার বা সিংহদরজা একটা বিশেষ শ্রেণী বা ক্লাসকে রিপ্রেজেন্ট করে। সেই শ্রেণীভুক্তরা উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা নিজেদের আওতায় রাখে, ফলতঃ উৎপাদক শ্রেণী তার উৎপন্ন বস্তুর উপর কোনো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। উৎপাদকের রক্তে-ঘামে অপ্রেসররা ফুলে ফেঁপে ওঠে। বৃহৎ মানুষদের নির্মাণের পেছনের কারিগররা হলেন সেই নামহীন অসংখ্য মানুষ, যারা সমাজে সর্বাধিক দিয়েও সামাজিকভাবে পরিত্যক্ত। প্রবেশদ্বারের উপর জোর আরোপ করে সরোজ দত্ত সম্ভবত শ্রেণীবিভক্ত সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রোডিউসার-কনজিউমার সম্পর্কের anti-egalitarian রূপটাই ধরতে চেয়েছেন।

    কবিতার এক জায়গায় ‘great Rome’ শব্দের অনুবাদ করতে গিয়ে যখন শঙ্খ ঘোষ বা বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত প্রথিতযশা কবিরা “মোহনীয় রোম” বা “সার্বভৌম রোম” ব্যবহার করেছেন, তখন সরোজ দত্ত লিখেছেন “সাম্রাজ্যিক রোম”!! একটা শব্দের মধ্যে দিয়ে রোমান সাম্রাজ্যের সামগ্রিক রাষ্ট্রচরিত্র ব্যাখ্যা করে দেওয়ার ব্যাপারটা ব্যক্তিমতাদর্শের নির্দিষ্ট প্রকাশ। এই একই কবিতার শেষ স্তবকের আগের স্তবকে আছে –

    Every page a victory.
    Who cooked the fest for the victors?
    Every ten years a great man.
    Who paid the bill;

    এই অংশের অনুবাদে সরোজ দত্ত’র বলিষ্ঠতা কলমের সাথে সাথে বৈপ্লবিক আবেগের মাত্রা সপ্তম অক্টেভ স্পর্শ করেছে –
    ইতিহাসের পাতায় বিজয়কাহিনী,
    কিন্তু বিজয়োৎসবের খরচ জুগিয়েছে কারা?
    প্রতি দশ বছর অন্তর একজন মহাপুরুষের আবির্ভাব,
    কিন্তু কাদের গাঁটের শেষ কানাকড়ি টেনে নিয়ে
    তৈরি হয়েছিল, সেই মহা আবির্ভাবের পথ?
    সরোজ দত্ত’র মৌলিক কবিতার মত, তাঁর অনুবাদও রেভল্যুশনারি স্পিরিটে ভরপুর। বেছে বেছে সেইসব কবিতাই ট্রান্সলেট করেছেন যার সামাজিক-রাজনৈতিক মূল্য আছে – আছে নতুন মানুষের মূল্যবোধ গঠন করার চাবিকাঠি। টেকনিকাল দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাবে, কিছু বিচ্যুতি সত্তেও (যা পৃথিবীর সব অনু্বাদকর্মেই বর্তমান), সরোজ দত্ত একজন কবিতা অনুবাদক হিসাবে বাংলা সাহিত্যে একটা বিশেষ আসনের দাবিদার। তিনি হয়তো বিশাল কিছু আলাদা নন অন্যান্য সেরা অনুবাদককদের থেকে, তিনি হয়তো স্রোতেরই একটা অংশমাত্র – কিন্তু তবু সেই বিরল প্রজাতির কবি-অনুবাদক, যাঁর কলমে আন্তর্জাতিক সাহিত্য হয়ে উঠেছে বাংলার ঘরের সম্পদ।” এখন রঞ্জন দার মনে হতে পারে বিষ্ণু দে বেশী নান্দনিক আবার কারো মনে হতে পারে " বিষ্ণু দে অকারণ জটিলতার সৃষ্টি করেছেন – বিকৃ্ত করেছেন কবিতার সারবস্তুকে। শব্দের খেলায় মেতে উঠেছেন তিনি, কিন্তু মূলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারেননি। "
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:১৭55630
  • আচ্ছা, অনেককাল আগে এই সাইটেই একটা কবিতার উল্লেখ করেছিলেন কেউ, তার অংশবিশেষ হল,

    "মাঞ্চুরিয়ার ফিঞ্চু ফিচুং পড়লো দরিয়ায়
    পড়েই বলে অ্যাং ব্যাং চ্যাং প্রাণ বাঁচানো দায়।"

    এটা কার লেখা আর পুরো কবিতাটা কী, কেউ দিতে পারেন?
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:১৯55586
  • ফ্ল্যাট? কর্মসুবাদে আম্রিকা? ছোটো ছোটো দারুণ লেখা?

    নজ্জায় লাল হব না বেগুনী হব বুঝতে পাচ্ছি না।
  • dc | 132.164.232.95 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:২২55631
  • It was by a stream that the master said-
    Thus do things flow away!

    ইনি কি মাস্টার উগওয়ে?
  • dc | 120.227.227.25 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০৭55587
  • ইয়ে একটা কথা বলি, রঞ্জনদা আর দেবব্রতদা যেসব কবিতা বা কবিতার টুকরো এখানে লিখলেন সেগুলো ভয়ানক রকম ক্লিশে লেখা মনে হয়। এই যেমন "জাপ পুষ্পকে জ্বলে ক্যান্টন, জ্বলে হ্যাংচাও, কমরেড আজ বজ্রকঠিন বন্ধুতা চাও?" বা "এই তো আমি খেয়ে উঠলাম চাংশা নদীর জল আর উচাংয়ের মাছ," এই লাইনগুলো পড়লেই ভুঁড়ির ভেতর থেকে ভয়ানক রকম হাসি উঠতে থাকে, মনে হয় সিরিয়াসলি কেউ গম্ভীর মুখে এরকম চড়া সেন্টিমেন্টের লেখা লিখতে পারে? যাগ্গে, আমি এমনিতেই কবিতা বুঝিনা তার ওপর ক্যাপিটালিস্ট, এসব কবিতা পড়লে আমার মতো জঘন্য লোকের হাসি ছাড়া আর কি পাবে ঃ( আপনাদের অলোচনার মধ্যে পোস্ট করার জন্য সরি চেয়ে নিলাম, তবে কিনা এতোগুলো হাসির কবিতা পড়ে না লিখে পারলাম না।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৪:২৭55588
  • রঞ্জনদা হনুর সাথে বি'কে গুলিয়েছেন। দুজনের নাম একই বটে, তবে লোক আলাদা। আর হনুও কিছু আম্রিকা থাকে না, মাঝে মাঝে লোককে জ্ঞান দিতে যায়।
  • ranjan roy | 132.180.196.247 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:১৩55589
  • দ,
    সরি! কিন্তু কেন গোলাবো না?
    হনু হনু থাকবে , বড় জোর হানু হবে, বি হলে কি দুটো ন্যাজ বেশি গজাবে?

    ডিসি,
    কাহে কো সরি?
    হাসি পেলে যদি হাসা না যায়, পলিটিক্যালি করেক্ট বিহেভিয়র হল কি না ভাবতে হয় তো গুরুচন্ডালি ছেড়ে অন্য কোন পাড়ায় চলে যাব। বস্তুতঃ এটাই তো গুরুর ইউএসপি ( ব্যক্তিগত মত)।
    আসলে চল্লিশের দশকের দেশ আর বাংলা কবিতা ভাবুন। কেন? রবীন্দ্রনাথের "ওই দেহখানি বুকে তুলে নেব বালা, পঞ্চদশ বসন্তের একগাছি মালা" পড়ে আমারও ফ্যাক ফ্যাক করে হাসি পায় বা " বলি ও আমার গোলাপবালা, বলি ও আমার গোলাপবালা" চিন্ময় চাটুজ্জের গলায় শুনে--!!
    ISABS এর ট্রেনিং যেটার গল্প আমি " আলো অন্ধকারে যাই" টইয়ে শুনিয়েছি , শিখিয়েছে যে লুকোছাপা না করে ট্রু ইমোশন বা ফিলিং প্রকাশ করতে। অর্থাৎ রাগ, বিরক্তি, দুঃখ, হাসি ইত্যাদি, যুক্তির মোড়কে না ঢেকে।
    দাঁড়ান, ওই লেখাটা আজ খেরোর খাতায় তুলে দিই।

    একক,
    নাটক ও গদ্য সাহিত্যে নকশালী প্রভাব নিয়ে একটু পরে লিখছি।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:১৬55590
  • রঞ্জনদা কি আমায় হুনুমান বল্লেন? বই পাঠাবো না।
  • ranjan roy | 132.180.196.247 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৩55591
  • আচ্ছা, আমি বল্লাম? নিজেকে অমন সুন্দর নাম থাকতে হনু বলে গুরুতে কে পোস্ট করে?
    বেশ, তবে " অঞ্জনানন্দনং বীরং " বা "পবনপুত্র " বলি? সরি! সরি! এ তো বাপ-মা তোলা হয়ে গেল , অনিচ্ছাসত্ত্বেও! তাহলে-- জয় বজরঙ্গবলী! তোড় দে দুশমন কী নলী!
    এবার নিশ্চয়ই পাঠাবে? আচ্ছা, ফাউ দেব ভোদকা বা বিয়র? এবার ?
  • :-) | 69.160.210.3 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৩৮55592
  • রঞ্জনদা রেটে ছড়াচ্ছে।
  • Abhyu | 81.12.145.3 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪০55593
  • ফ্ল্যাট নাহোক পৈতৃক বাড়ি। কর্মসুবাদে আম্রিকা। ছোটো ছোটো দারুণ লেখা। এ তো পরিষ্কার আমার বর্ণনা।
  • h | 213.132.214.85 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:০২55594
  • ডিসি, হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা ঃ-))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))))
  • Ekak | 53.224.129.40 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৬55595
  • আরে ওই একই জিনিস হয় গণনাট্য সময়ের গান শুনতে গেলে। কবিতার বাঁচোয়া হলো কয়েক লাইন পড়েই কোডপাইরিন লাগলে আর পড়িনা , কিন্তু গান সেতো কানের কাছে বেজেই চলেছে :( মানে রোগা বাঙালি অম্বুলে বাঙালি নির্বিশেষে সব্বাই বাস সিঙ্গার হয়ে উঠলো রাতারাতি , অথচ বাস যে আমি অপছন্দ করি তা মোটেই না সেতো বহু পুরোনো জিনিস , ওলম্যান রিভার শুনতেও মন্দ লাগেনা , বেশ একটা হু হু হুহু হু হু হুহু করে পেরিয়ে পেরিয়ে বয়ে চলেছে , কিন্তু যেই আবার গণনাট্য শোনার চেষ্টা করি বাবাগো বাংলা শব্দ আর আবেগ বসিয়ে এবং তদুপরি ক্লেফ আর ক্লেফ থাকেনা ইয়াব্বড় বোরো বোল্ডার হয়ে দাঁড়ায় কেমন একটা ঘোঘো ঘো ঘো ঘ্রোওওওওও সেকী বিকট অনুভূতভূতি রে ভাই :(:( চিত্রকল্প ভাবলে রীতিমতো কষ্ট হয় কারণ একটা হলো বেড়াল হাঁড়ি খেতে গিয়ে মাথা আটকে ফেলেচে আর নিজেকে স্বয়ং শ্রোডিঙ্গার ভেবে বাকিদের অন্ধকার বলে গাল পাড়ছে !! মোটেই জনগণকে আহ্বান তাহবান কিস্যু মনে হয়না :(( যাগ্গে যাক এখানে বহু লোক ড়কক দিল্লীচলো টাইপ গান ভকত আর লাইপ রিস্ক বাড়াতে চাইনা :((
  • Debabrata Chakrabarty | 233.191.16.100 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:১১55596
  • ১৯৪০ এর সময়ের কবিতা বর্তমানে উদ্ভট লাগারই কথা , তার মধ্যে বহু কিছু ঘটে গেছে - জীবনানন্দ এসে গেছেন,হাংরি এসে গেছে , শক্তি সুনীল ইত্যাদি । কবিতার ভাষা বদলে গেছে , ফর্ম বদলে গেছে ইতিমধ্যে । সরোজ দত্তের অধিকাংশ কবিতা সেই কল্লোল যুগে লেখা ,অধিকাংশ অনুবাদও তাই - এমনকি আজকে মায়াকোভস্কি পড়লে কেমন যেন পোস্টার পড়ছি বলে মনে হয় । পরবর্তীতে সরোজ দত্ত অমৃতবাজারে সাংবাদিক ( সহ সম্পাদক বোধ হয় ) আর স্বাধীনতা পূর্বে ১৯৪০ এর দশকে অমৃতবাজার পাক্কা হিন্দু সাম্প্রদায়িক , মালিকের সাথে শ্রমিকদের লড়াইয়ে শ্রমিক পক্ষ অবলম্বনে চাকরি যায় - যাওয়ারই কথা তার পরে পার্টী হোল্টাইমার এবং সিপিয়াই । সিপিএম , নকশাল মুখপত্রের এডিটর -প্রায় প্রতিদিনই লিখতেন তবে অধিকাংশ রাজনীতি প্রচারের স্বার্থে সেই সময়ে সাহিত্য প্রায় নেই তবে আপোষ বিরোধিতার দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ পাল্টায়নি । একটা ছোট্ট কবিতা থাকলো ঃ-

    মধ্যবিত্তের বিপ্লব বিলাস (১৯৩৯ )

    বৈশাখের মধ্যদিনে অগ্নিদাহে মূর্ছাতুর আমি ,
    চাহি জল, চাহি ছায়া , চাহি বৃষ্টি ধারা,
    সকলি আনিবে যবে মহামেঘ কালবৈশাখীর,
    পাতার কুটিরে আমি উৎকণ্ঠায় হব দিশাহারা ।

    মধ্যবিত্তের এই চরিত্র বিশেষ পালটায়নি আজকেও ।

    তবে সরোজ দত্তের গদ্য তীক্ষ্ণ, মেদবর্জিত ,ন্যাকামো বর্জিত -বামপন্থী সাহিত্যের ধারায় আজ পর্যন্ত কেউ ধারে কাছে আসেনা সম্ভবত রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং আপোষ বিরোধিতার অন্তর থেকে ওই রূপ গদ্য লেখা যায় । আজকেও যদি কাউকে নির্মম রাজনৈতিক আক্রমণ করতে হয় তবে সরোজ দত্তের গদ্য তাকে শক্তি যোগাবে ।

    নমুনা থাকলো ঃ- এটি সমর সেনের সাথে বিতর্কের অংশ থেকে সামান্য কোট

    " শ্রীযুত সেন ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত সমাজের অধিবাসী অথচ বিপ্লবী। অতএব, স্বভাবতই আমরা তাঁহার কাব্যে ভাবাদর্শের বেদনাময় পরিণতির একটি পথরেখা আবিষ্কার করিব। কিন্তু কোথায় সে পরিণতি? ক্ষয়িষ্ণু সমাজের ক্ষয়িষ্ণু কবি শ্রীযুত সমর সেনের সাম্যবাদী ভাবাদর্শ উর্বশীর মতো ‘যখনি জাগিলে বিশ্বে যৌবনে গঠিতা পূর্ণ প্রস্ফুটিতা’। কবি ক্ষয়িষ্ণু বলিয়া কাব্যও ক্ষয়িষ্ণু হইবে, কিন্তু ভাবাদর্শ হইল সমস্ত ক্ষয়, অপচয়ের ঊর্ধ্বে সুগঠিত, সুসম্পূর্ণ, সুসমৃদ্ধ সাম্যবাদ। কোকেনের প্যাকেটে ঔষধের লেবেল মারিয়া দিবার মধ্যে যেটুকু বাহাদুরী আছে তাহা শ্রীযুত সেনেরই প্রাপ্য। একটি উদাহারণ দিই:

    ‘তবু জানি-
    জটিল অন্ধকার একদিন জীর্ণ হবে, চূর্ন হবে, ভস্ম হবে
    আকাশগঙ্গা আবার পৃথিবীতে নামবে
    ততদিন
    ততদিন নারীধর্ষণের ইতিহাস’

    ‘তবু জানি’ – কিন্তু তিনি জানিলেন কি উপায়ে? জটিল অন্ধকার একদিন জীর্ণ হবে, চূর্ণ হবে, ভস্ম হবে, এ জ্ঞান তাঁহার কোথা হইতে আসিল? বিপ্লবী আন্দোলনের ভিত্তিমূল শ্রমিক ও কৃষকশ্রেণীর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তো তাঁহার নাই। অভিজ্ঞতার পরিধি তো একদিকে অশিব, অসত্য, অসুন্দর মধ্যবিত্তজীবন ও অন্যদিকে –

    ‘আবার নিঃশব্দ হিংস্র প্রান্তরে,
    রক্ত-পতাকা আকাশে ওড়ে,’

    এই পর্যন্ত। তিনি তো মার্ক্সিস্ট – তিনি তো গান্ধীর মতো ইনার ভয়েস কিংবা সুভাষ বসু-র মতো ইনটোশন-এ বিশ্বাস করেন না। এ ভাবাদর্শ তিনি গ্রহণ করিয়াছেন কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও বেদনার সংঘাতে? বর্তমান ডেকাডেন্ট মধ্যবিত্ত সমাজে বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবীর ভিড়ের মধ্যে টেক্সট বুক মার্ক্সসিজম-এর যে সহজ সিদ্ধির পথ শ্রীযুত সেন আবিষ্কার করিয়াছেন তাহাতে তাঁহার বৈষয়িক ধূর্ততার প্রশংসা না করিয়া আমরা থাকিতে পারি না। ‘রোমান্টিসিজম’-এর ভীরু কবির ভাবাদর্শ যে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বিচ্যুত হইয়া রোমান্টিক হইয়া উঠিয়াছে, কবির কি সে খেয়াল নাই?"
  • h | 213.132.214.88 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০০55597
  • আসলে সরোজ দত্ত বলে নয়, একটা কথা রঞ্জনদার মত বাচ্চা ছেলেদের হয়তো মনে নেই [ ;-) ] ইনটেলেকচুয়াল দের 'আর্টিস্টিক' কারণে নিজেদের মধ্যে গাল পাড়ার প্রবণতা, রাজনৈতিক বিষয়ে , একটা বিশুদ্ধতা খোঁজার প্রবণতা য় এবং অবশেষে দীর্ঘ ভ্রাতৃহত্যার সংস্কৃতিতে পরিণত হয় সেটা দুঃখের এবং ফার্সিকাল। সাসুন এর ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সোশালিজম যখন বেরোলো, আমরা মজা করে বলতাম ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ ফ্যাকশনালিজম। মুজফ্ফর আহমেদের আত্মজীবনী পড়লে মনে এত কুচুটে মাল, যে সবাই কেই সন্দেহ করে, আর সবার বিশুদ্ধতার পরীক্ষা নেয় নিয়মিত, সে মাল এত বড় পার্টি তৈরী করলো কি করে। আসলে এটা সময়ের দোষ, আমরা এমন একটা সময়ের লোক, যখন একটা ইসু তে পাঁচটা লোক নামাতে পারি না, সে সময়ে, বহু লোক কে সঙ্গে নিয়ে চলাকে বা কোয়ালিশন গড়াকে ঐ বিশুদ্ধতা চর্চার থেকে বেশি পসন্দ করবো এটা স্বাভাবিক।

    সেটা নিয়ে ডিসির মত খ্যা খ্যা হাসি পায় আমারো।

    সমর সেন, ট্রাকটরের গানের সমর সেন কে যথেষ্ট কমিটেড নয় বলে গাল পাড়া সম্ভতঃ সরোজ দত্তের পক্ষেই সম্ভব, এবং সত্যি কথা বলতে কি, তাতে হয়তো সমর সেন কিসু মনেও করেন নি, যে ভদ্রলোক প্রায় একই সময়ে ফ্রন্টিয়ার এ লিল্খেছেন, যিনি আমার জীবন সম্পর্কে আমি মধ্যবিত্ত বলেই বলার মত বিশেশ কিসু নেই বলে ল্যাদ খেয়ে ৩০-৪০ পাতায় বাবুবৃত্তান্ত র মত সরস মেমোয়ার লিখেছেন, তাকে গাল দিয়েছিলেন সরোজ বাবু, খুব ই সুইট ছিলেন বলতে হয়। সমর সেন এর মত ডেকাডেন্ট যেন বাংলায় যুগে যুগে আসে। বুদ্ধ দেব বসু বা অম্লান দত্ত বা আবু সইয়দ আয়ূব এর মতো 'আমেরিকা পন্থী' দু চারটে পেলেও বাঁচা যায়, তারা তো মোদী সমর্থক এন আর আই য়ের থেকে ঢের ভালো ঃ-)

    যাক সরোজ দত্তের সম্পর্কে আমার মেন ইন্টারেস্ট বাড়িয়েছিলেন সুনীল সেনগুপ্ত, একটা গপ্প বলে, তবে ভদ্রলোক পচন্ড গুল মারতেন, সত্যি মিথ্যা জানি না। অ্যাপারেন্টলি, কারো একটা বিয়েতে সরোজ দত্ত আর সুনীল দা গেছেন, তো বৌ দেখে সরোজ বাবুর পসন্দ হয় নি, বলেছেন, এইটা একটা কারে বিয়া করসে .... তো অ্যাপারেন্টলি তখন সুনীল বলেন, উনি আমাদের বড়ো কমরেড, তো তারপরে সরোজ যেটা বলেন, সেটা পোলিটিকালি ইনকারেক্ট ক্লাসিক, ' কমরেড রেই zঅদি বিয়া করবে, থাইলে মুজফফর আহমেদ রেই বিয়া খরলে ফারথো।' মজাটা হল এখন এরকম সরস ইনকারেক্ট লোক ও পাই না, একা ট্রাম্প কত করবে ;-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন