এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৃহন্নলা, ছিন্ন করো ছদ্মবেশ’

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০১৫৮ বার পঠিত
  • ৪৫ বছর ধরে তিনি নিখোঁজ । ১৯৭১এর ৫-৬ আগস্টে ময়দানে যদিও কেউ নাকি তার রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেছিল ,মাথা কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যানহোলে প্রমাণ লোপের চেষ্টায় । অধ্যাপক দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি (শেল্টার) থেকে ৭১-এর চৌঠা অগস্ট রাত সাড়ে-এগারোটা নাগাদ সরোজ দত্তকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রুণু-দেবী-তারাপদ’রা সেই থেকে পুলিশের খাতায় অথবা সরকারী মতে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি এখনো নিখোঁজ । তিনি সেই কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম যার তীক্ষ্ণ অনন্য স্বর শাসকদের কাছে আতঙ্ক -ভেঙ্গে চুরমার করে মধ্যবিত্তের সযত্নে সাজানো মিথ। আমাদের দার্শনিক ইমারত ভেঙে চুরমার করে দেবার কারিগর সরোজ দত্ত । যিনি সমর সেনের ‘In Defense of Decadents’ প্রগতিশীলতার মোড়কে ধেয়ে আসা প্রচ্ছন্ন ফ্যাসিবাদী এলিওটিজমকে চিহ্নিত করেন ১৯৩৯এ । ১৯৬৯ সেই শানিত সরোজ দত্ত যুক্তি সাজান ভারতে একই সাথে বিদ্যাসাগর , রামমোহন এর মত ব্রিটিশ শাসকের অনুগত ব্যক্তিত্ব’র সাথে মঙ্গল পাণ্ডের মূর্তি ,বীরসার মুর্তি স্থাপিত হতে পারেনা । সিপাহি বিদ্রোহের অর্থাৎ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের মূর্তি স্থাপন করতে হলে সেই বিদ্রোহের সমর্থকদের মূর্তি ভাঙা দরকার।

    সরোজ দত্তর নৈতিক প্রশ্রয়ে বা তাত্ত্বিক আস্কারায় নকশাল তরুণরা যে কালাপাহাড়ি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার ফলেই অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত মনীষীদের ধুপ-ধুনো জ্বালিয়ে পুজো করার বদলে যথার্থ মূল্যায়নের আগ্রহ শিক্ষিত বাঙালি সমাজে তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সমগ্র বঙ্গীয় রেনেসাঁ বা নবজাগৃতির পুনর্মূল্যায়নের তাগিদও সৃষ্টি হতে থাকে। বিনয় ঘোষের মতো নিষ্ঠাবান গবেষক এই মূল্যায়নের কাজে হাতও দেন এবং নবজাগরণ সম্পর্কে তাঁর আগের ধারণা সম্পূর্ণ বর্জন করেন। আর রণজিৎ গুহের নেতৃত্বে যে নিম্নবর্গীয় ইতিহাস রচনার ধারা সূচিত হয়, তার প্রেরণা সমসাময়িক ইতিহাসে ওই নকশাল রাজনীতিরই চ্যালেঞ্জ। সরোজ দত্ত যার পথিকৃত ।

    সরোজ দত্ত ১৩২১ বঙ্গাব্দের ২১ ফাল্গুন বাংলাদেশের নড়াইল জেলার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম হৃদয়কৃষ্ণ দত্ত, মা কিরণবালা দত্ত। নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর ১৯৩০ সালে কলকাতায় আসেন স্কটিশ চার্চ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে। ওই একই কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হন। তার গোড়ার দিকের ঘটনাবলী আর দশটা লোকের মতোই! জন্মেছেন, পড়েছেন, পাশ করেছেন , চাকরি করেছেন, সংশয়েও ভুগেছেন। কিন্তু আর দশজনের মতো সেই তমসার তামাশায় তিনি জীবনটাকে বিলীন হতে দেননি! ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন সমাজ ও রাষ্ট্র নির্ধারিত বৃত্ত- ‘হেসে ওঠে দস্যু কবি অক্রোধের ক্লীবলজ্জা ছেড়ে, তামসীর তৃপ্তির দিন সাঙ্গ হলো তমসার তীরে’!

    কলেজে থাকতেই কমিউনিস্ট পার্টির গণসংগঠনে যুক্ত হন, জেল খাটেন। তবে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে তার ওঠবসটা নিয়মিতই ছিল। ১৯৩৮ সালে এমএ পাস করার পর যোগদান করেন প্রগতি লেখক সঙ্ঘে। এই সময় থেকেই সরোজ দত্তর কবিতা প্রকাশ হতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন অমৃতবাজার পত্রিকায়। পরে কর্মী-ধর্মঘটে যোগ দিয়ে চাকরি খোয়ালে ‘পরিচয়’ ও ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সম্পাদনার কাজে যুক্ত হন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হলে তিনি শেষোক্ত সংগঠনে যোগ দেন এবং দলীয় মুখপত্র ‘দেশহিতৈষী’র সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হন। ‘শশাঙ্ক’ ছদ্মনামে তাঁর আগ্নেয় লেখাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে। অতঃপর নকশালবাড়ি, দেশহিতৈষী থেকে দেশব্রতী এবং চারু মজুমদারের নেতৃত্বে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা রূপে তাঁর বিকাশ। সরোজ দত্ত ক্রমে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী থেকে উত্তীর্ণ হন বিপ্লবী বুদ্ধিজীবীতে, শেষে কমিউনিস্ট বিপ্লবীতে।

    কবি-ইন্টেলেকচুয়াল-সাংবাদিক সরোজ দত্ত-কে পুলিশ কেন খুন করল, এটা অনেকেই ভেবে পান না। কানু সান্যাল বা সন্তোষ রাণা-রা তো সরাসরি যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার পরেও তো তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল রাষ্ট্র। কিন্তু সরোজ দত্তর বেলায় কেন…? কেননা সরোজ দত্ত জানতেন যে বিপ্লব একটা প্যারাডাইম শিফ্ট, এবং চূড়ান্ত পর্বে সেটা মননে। সহস্র বছরের ফিউডাল সাংস্কৃতিক হেজিমনি (আধিপত্য)-কে ভেঙে নতুন পাল্টা জনতার হেজিমনি গড়ার পথেই এগোচ্ছিলেন তিনি। সরোজ দত্ত ভয়ঙ্কর ,তার কলম জীবিত থাকলে শাসকের উলঙ্গ শরীর ঢাকার আর উপায় থাকেনা , বুদ্ধিজীবীর উপায় থাকেনা হ্যা হ্যা করে পুরস্কার মঞ্চে ওঠার । আর হয়ত তাই তার চলার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হল।

    সরোজ দত্ত শহীদ হওয়ার পর চারু মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন: “কমরেড সরোজ দত্ত পার্টির নেতা ছিলেন এবং নেতার মতই তিনি বীরের মৃত্যু বরণ করেছেন।” হ্যাঁ, সরোজ দত্ত নেতা ছিলেন, এমন একজন নেতা যিনি স্ত্রী’র মুখে সাবধানে থাকার পরামর্শ শুনে উত্তর দিয়েছিলেন: “এইডা কি কইলা বেলা! যুদ্ধে কি শুধু বাহিনী মরব! আরে দুই একডা সেনাপতিরও তো জান যাইব!” নির্মম ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।

    এই আগস্ট মাসেই ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ত বাহিনীর হাতে লোরকা খুন হয়েছিলেন কিন্তু আজকের স্পেন সেই ১৯৩৬ এর ইতিহাস খুঁড়ে বার করছে আর অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (!) ও বাম আন্দোলনের অন্যতম দূর্গ এ ভারত বা এ বাংলায় শহীদ সরোজ দত্ত ও তাঁর নিহত ও শহীদ সাথীদের ইতিহাসকে জনসমক্ষে হাজির করতে বিচারালয়ের ‘ন্যায়াধীশরা’ রাজি হননি। রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্ণধারদের কথা তো ওঠেই না। সত্যকে চাপা দিতেই ‘ভদ্রলোকেরা’ বেশি ব্যস্ত ! আর সেই ..........

    বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ~ সরোজ দত্ত

    তোমার বুদ্ধির সুধা, সুরা হল আঁধারে পচিয়া।
    হে অগ্নি পানিয়ে!! নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলি;
    কৌমার্য করিতে রক্ষা, আত্মরতি সম্বল তোমার,
    তোমার দুর্বল কন্ঠে স্বেচ্ছাবন্দী পাখির কাকলি,
    প্রাণশক্তি প্রাণহীণ, ধরিয়াছ প্রাণঘাতী নেশা,
    চরণে কাঁদিছে কায়া, ছায়া ভাবি হাসো উপহাসে,
    করেছ গতির রক্তে পঙ্গুতার প্রশস্তি রচনা,
    বিচ্ছেদ ভুলিতে চাহ বিরহের নিবীর্য বিলাপে।
    প্রসবের ব্যর্থতায় অভিমানী শৌখিন শাখার
    স্বার্থপর আত্মনাশ, বনস্পতি করিবেনা ক্ষমা,
    তৃষ্ঞায় শ্বসিছে তরু শিকড়ের শুন্য ভাণ্ড হাতে।
    সংবর এ ক্লীব কান্না! দেখনি কি মৃত্তিকা নির্মমা?
    রাজদণ্ড বহি ফিরে, শ্লথছন্দে রচিয়া বিলাপ,
    যে চাহে অলকা, তার নির্বাসন যোগ্য অভিশাপ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ২০১৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 213.132.214.88 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০৫55598
  • তবে সরোজ দত্ত র মৃত্যুর বা নিখোঁজ হওয়ার কেসটা বামফ্রন্ট মালিক শ্রেণীর দালাল তারা বের করে নি তাও বুঝি, সাধারণ মানুষের সৎ প্রতিনিধি মমতা বের করলেন না কেন, এতো নিও কমিউনিস্ট থাকা সত্ত্বেও সেটা আমারো প্রশ্ন। নোবেলের মত এবার এটা বের করলে নিশ্চিন্তে মরতে পারি। ঃ-))))
  • h | 213.132.214.88 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০৯55599
  • রঞ্জনদা কে বিভিন্ন বিখ্যাত লোকের পারিবারিক বিষয়ে আমার একটা সিরিয়াস প্রশ্ন ছিল। মুজফ্ফর আহমেদের পিসতুতো সেজ বড়দা জানি কবে মাধ্যমিক পাশ করেন?
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:৩৬55600
  • ওটা তো সহজ প্রশ্ন, রঞ্জনদা থু ( বা ফু বা দুটোই)ৎকারে উড়িয়ে দেবেন। অ্যাডিশনাল অংকের নম্বার জিগ্গেস করুন, তবে না!
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪১55601
  • মাধ্যমিক কী হে? তখন তো ম্যাট্রিকুলেশান ছিল
  • h | 213.132.214.84 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪৫55602
  • তোমরা যারে ইংরাজি কও মহাত্মা গান্ধী, আমরা তারে বাংলায় কই সি আর দাশ ইত্যাদি। ম্যাট্রিকুলেইশন আর মাধ্যমিক আলাদা হল?
  • kc | 204.126.37.130 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫১55603
  • "তাঁদের (বিপ্লবীদের) মৃত্যুর পর অবশ্য সাধারণত তাঁদের নির্বিষ সাধু বানিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়, সেইভাবে তাঁদের গুণগান করা হয় এবং নিপীড়িত শ্রেণীর প্রতি সান্তনা এবং ধোঁকা দেবার উদ্দেশ্যে খানিকটা অপ্রাকৃত সম্ভ্রমের সঙ্গে তাঁদের নাম ব্যবহার করা হয়। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বিপ্লবীতত্ত্বের সারমর্মকে নিবীর্য ও বিকৃত করে তার বিপ্লবী ধার ভোঁতা করে দেবার চেষ্টা হয়।"
    - স্টেট অ্যান্ড রেভল্যুশন, লেনিন

    এই টইটা পড়ে এই কটা কথা টুকে দেবার লোভ সামলাতে পারলামনা।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫৬55632
  • অরণ্য,
    ঠিক ঠিক। বাইনারিকে বি এর সঙ্গে গুলিয়ে ছড়িয়ে লাট করেছি। ক্ষমাপ্রার্থী।ঃ((((

    ডিসি ও এতোজ,

    আমার মনে কিছু বিদেশি কবিতার রসাস্বাদনে সেই দেশের ভাষা, ঐতিহ্য ও বাগভঙ্গী অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
    রবীন্দ্রনাথ হাইকু কবিতার উদাহরণ দিয়ে লিখেছেনঃ

    শরৎকাল
    ব্যাঙের লাফ
    টুপ করে শব্দ।

    এটা কেমন কবিতা বা কেন কবিতা-- তা আজও বুঝতে পারি নি। ওঁর টীকা সত্ত্বেও।

    বা , লোরকার একটি কবিতার (সুনীল গাঙ্গুলীর অনুবাদে) এই লাইনটিঃ

    তখন কেন বলল আমায় কুমারী সে
    যখন তাকে নিয়ে গেলাম নদীর ধারে।
  • dc | 132.164.232.95 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:০০55604
  • "কমরেড রেই অদি বিয়া করবে, থাইলে মুজফফর আহমেদ রেই বিয়া খরলে ফারথো।"

    ব্যাপক :d
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:১৫55605
  • @h,
    --যে বছর কোন রোববার ছিল না সেই বছরে।
    আর অন্য সব বক্তব্যে ভীষণ একমত।
    মার্কসবাদী সাহিত্য বলতে অমন একটা লিনিয়ার সজনেডাঁটা গোছের ব্যাপার কেন হবে? কেন পালংশাক, মোচাঘন্টও হবে না?
    শুধু লুকাচের রিয়ালিজমই সোশ্যালিস্ট লিটারেচার? ব্রেখটের এপিক বা এলিয়েনেশন নয়? আসলে লিটারেচার ও সমস্ত শিল্প মাধ্যম একটা ডায়নামিক ব্যাপার; পথ খোঁজা, পথে হাঁটা, নতুন নতুন রাস্তা বের করা। সময়ের দাবিতে ফর্ম বদলাবে।
    নইলে মার্ক্স বালজাকের উপন্যাসে বুর্জোয়া সভ্যতার নরকের আগুন দেখতে পান! লেনিনের পুশকিন ও তলস্তয় নিয়ে বক্তব্য সর্বজনবিদিত। উনি আরও বলেন --- দু'রকম সাহিত্যের কথা। একটা এজিটেশনাল আবার একটা বর্তমান ব্যবস্থার প্রতি গোপনে অনাস্থা চারিয়ে দেবে।
    সমর সেন পরেরটা ভাল করেছিলেন।
    আর তাঁর নিজের আদর্শের প্রতি নিষ্ঠায় অবিচল থাকা (কোন মার্ক্সিস্ট পার্টির সদস্য না হয়েও)? সেটাও জীবনযাত্রাতেই প্রমাণিত। সরোজবাবু যাই বলুন।

    এই ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসীন কোন শাসকদলই সরোজ দত্তের মৃত্যুর তদন্ত করবে না। কারণ তাতে নিজেদের পুলিশতন্ত্রের আবরণ খসে পড়ার সম্ভাবনা। যার জন্যে মমতা শহীদ দিবস পালন করেন, আবার মণীশ গুপ্তকে মন্ত্রী করেন।
    হাজার হোক , সরোজ একসময় জ্যোতিবাবুদের কমরেড ছিলেন। ওঁদের পত্রিকা বহুবছর সম্পাদনা করেছেন। সেই স্বাধীনতা থেকে দেশহিতৈষী!
    আর সরোজের বন্দী হওয়া ও মৃত্যুর সময় সরকারে ছিলেন সিধুবাবুর কংগ্রেস। মমতার আদি পার্টি। সরোজের সঙ্গে মমতার কোন আত্মীয় যোগ তো নেই।
    বরং বৈরিতা আছে।
    খোদ জ্যোতিবাবু রুণু গুহনিয়োগীকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। -- রুণু খুব ভালো পুলিশ, ডাকাত ধরতে পারে!
    কাজেই সরোজ দত্তের মৃত্যু যুদ্ধকালীন অবস্থায় শাসকতন্ত্রের আতংকিত হওয়া ও বদলার কাহিনীমালায় একটি সংযোজন হয়েই থাকবে।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:১৮55606
  • ইয়েস কেসি! ইয়েস!
    যে মহাশ্বেতা আজীবন রাষ্ট্রের দমনের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লিখে গেলেন , মরণে তাঁকেই পুলিশের গান স্যালুট দিয়ে অপমান করা হল বা প্রহসন !
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:২৮55607
  • এ মা! আমি সত্যি গুলিয়েছি। দমুর পোস্টটা পড়ে চটজলদি মনে করেছি যে বি=হনু! এখন আবার পড়ে বিসর্গের হ্যাটা অনুসরণ করে বুঝতে পারলাম কতটা ছড়িয়েছি!!

    সরি বি!
    কিন্তু আপনি একসময় b নামে পানিহাটি/খড়দা এলাকা নিয়ে কিছু স্মৃতি এবং বিদেশের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত কিছু দারুণ লেখা গুরুতে লেখেন নি? বা একবার বাড়িভাড়া খোঁজার সময় যাঁর সাথে কথা হয়েছিল সেই ২০০৯ -১০ এ, আপনি কি তিনি ন'ন?
    যাই হোক, গুছিয়ে ছড়ানোর জন্যে আর আলফাল বকার জন্যে ক্ষমা প্রার্থী।
    লেখাটা, প্লীজ, প্লীজ পাঠাবেন।;)))
  • h | 213.132.214.86 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪২55608
  • আপনি কি শংকর গুহ নিয়োগীর বড় শ্বাশুড়ি র ননদাই রাঙাদা নন যিনি হিজলী তে গুলি খেয়েছিলেন, মানে অরিজিনালি রঙপুর নন?
  • Kallol | 233.238.238.2 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪২55609
  • সরোজ দত্ত সাঙ্গবাদিক, কম্যুনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ সৈনিক। শহিদ হয়েছেন। ওর মৃত্যুর তদন্ত কোন সরকারই করবে না। যেমন কোন সরকারই বরানগর, কাশীপুর গণহত্যার তদন্ত করবে না, চরুবাবুর লক আপে মৃত্যুর তদন্ত করবে না। কিন্তু তাই বলে সরোজ দত্তের কবিতা দারুন কিছু হয়ে যায় না, ওনার সব বক্তব্য সঠিক হয়ে যায় না। একই কথা চারুবাবু ও অন্যান্য সব শহীদদের ক্ষেত্রেই সত্যি।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫১55610
  • হনু,
    এবার কেঁদে ফেলবো। কান মূলছি।

    কিন্তু @বি,
    বইটা প্লীজ পাঠাবেন।

    কল্লোল,
    ডিট্টো!
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৬55634
  • উহুঁ, রবীন্দ্রনাথের অনুবাদে ছিল,

    "পুরোনো পুকুর
    ব্যাঙের লাফ
    জলের শব্দ।"

    জাপানী হাইকু তো বিশেষ ধরণের কবিতা। দাড়িদাদু বলেছেন জাপানী পাঠকের মনটা চোখে ভরা।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০১:১৫55635
  • তুলনায় চীনা তর্জমা দেখুন, প্রেমেন্দ্র মিত্রের তর্জমা,

    "হে পৃথিবী কোথায় যাবো ক্লান্ত
    আকাশে চাই সেখানে উদ্ভ্রান্ত
    আমার মন গহন বন ফুরায় না।

    অতল থেকে নাম-না-জানা তৃষ্ণা
    মেটাতে যা পান করেছি বিষ না
    তবুও শাপ বুকের তাপ জুড়ায় না।

    হয়তো হিয়া নিজেরই বাণে বিদ্ধ
    বৃথাই খোঁজে শিকারী সন্দিগ্ধ
    মানে না ভুল ওষধিমূল কুড়ায় না। "

    কবিতার সত্যিকার অনুবাদ প্রায়-অসম্ভব। হয়তো ট্রান্সফর্ম করে আনতে পারেন বিরল কিছু প্রতিভাবান কবি, এইটুকুই।
  • cm | 127.247.100.39 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০১:৩৪55636
  • বাঃ, এটা বেশ লাগলো।
  • kc | 198.71.209.214 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০২:১০55645
  • রঞ্জনদা, সমর সেনকে আক্রমণ করার আগের সংখ্যায় সরোজ দত্ত সমালোচনা করেছিলেন, খুব সম্ভবত বুদ্ধদেব বসুর। আমার সেই সমালোচনাটি বেশী ভাল লেগেছিল। যদি না পড়া থাকে বলবেন, এখন বই খুব পাওয়া যায়, পাঠক পাওয়া যায়না।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪৩55646
  • না না না না ছি ছি ছি ছি, কী যে বলেন!
    বাজেরকম কারণে হাসি পাবে কেন? আনন্দে হাসি পায়। ঃ-)

    এই যেমন
    "সূর্যমুখী ফুলগুলো ল্যাজ তুলে নাচছে
    পাপের পাপাচারে পেঁপেও তেতো
    প্রতিকারে প্রতিপক্ষ ল্যাংড়া

    কুহু কুহু আহা আহা"

    এ কবিতার এই লাইনগুলো পড়েও আনন্দ হয় তো! ঃ-) এমপ্যাথি নেই কে বললো? খুব আছে।
    ঃ-)
  • দেব্ব্রত | 37.63.159.27 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৫২55647
  • রঞ্জন দা সমর সেন সরোজ দত্ত বিতর্ক প্রায় ৫ পর্বে এমনকি ১৯৭৭ এও সমর সেন সেই বিতর্ক উল্লেখ করে লিখেছেন, পড়তে চাইলে পাঠানো যায়।
  • :-X | 127.194.194.94 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:৪১55648
  • এগুলো বাজে দাবি দাওয়া। এখানে লিং দিতে কি অসুবিধা? পড়তে চাইলে পাঠাব বলার মানে কি? একটা ফোরামের আলোচনাকে পার্সোনাল স্পেসে নিয়ে গিয়ে রেস্ট্রিকটেড নলেজ ট্রান্সফারের মত বুর্জোয়েসির যুক্তি কি? খোদ সরোজ দত্তও এ-জিনিস ডিফেন্ড করতে পারবেন না। শেম শেম।
  • হাসিরাশি দেবী | 188.175.128.50 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৪:৫৭55637
  • আপনারা নতুন হাসির গান শোনেন না ? নতুন আলুর খোসা আমার এই ভালবাসা মার্কা ?
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৩55649
  • কেসি,

    অবশ্যই পড়তে চাই।

    এতোজ,
    ঃ))
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৫55650
  • দেবব্রত,
    অবশ্যই পড়ব, পাঠান।
    কোন ব্যাপারেই আমিই শুধু জানি এমন ঔদ্ধত্য আমার নেই। আর এই বিতর্কগুলোয় দুপক্ষেই কিছু সত্যি থাকে। সেটাই আমাদের লাভ।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৮55651
  • যাঁরা পাঠাতে চানঃ

    আমার আইডি [email protected]

    এর আগে কেসির পাঠানো ট্রটস্কির লেখা, কিয়েভ ১৯৪১ ও সিঁফোর ড্রপবক্সে অ্যাডর্নো আমার সম্পদ হয়ে আছে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.219 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৪৪55652
  • X বলছেন " এগুলো বাজে দাবি দাওয়া। এখানে লিং দিতে কি অসুবিধা? " - না সত্যিই অসুবিধা নেই এখন অনেকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করতে পারে - আর লিংক পাওয়া মুশকিল কিছু আছে কিছু টাইপ করতে হবে প্রথমে সমর সেনের লেখাটি থাকলো যা নিয়ে বিতর্ক বা সরোজ দত্ত সমর সেন কে ধোবী পাট দেওয়া শুরু করেন ।

    প্রেক্ষাপট ঃ- নিখিল ভারত প্রগতি লেখক সম্মেলনে সমর সেন ১৯৩৮ সালে সাহিত্য কিভাবে বিপ্লবে সহায়তা করতে পারে সেই প্রসঙ্গে একটি প্রবন্ধ পড়েন "ইন ডিফেন্স অফ দা ডেকাদেন্টস ' । সেই প্রবন্ধ'র বিষয়ে সরোজ দত্ত ‘অতি আধুনিক বাংলা কবিতা’ এই শিরোনামে একটা সমালোচনা লেখেন । ‘অগ্রণী’ পত্রিকায় তা ছাপা হয় ১৯৪০ । সমর সেন তার উত্তর করেন একই শিরোনামে, ছাপা হয় একই পত্রিকায় , একই বছরে ,পাশাপাশি একই সাথে সরোজ দত্তের একটা দীর্ঘ ‘প্রত্যুত্তর’ও। সমর সেন সেই প্রত্যুত্তরের আর কোন জবাব দেননি ; কিন্তু অনেক পরে, ১৯৭৭ এ বাবু বৃত্তান্ত 'র পরিশিষ্টে ‘উড়ো খৈ’-অংশে এই বির্তক নিয়ে একটা অনুভূতি শেয়ার করেন। এইপোস্টে সেই প্রথম প্রবন্ধ টি থাকল। পরের পোস্টে সরোজ দত্তের প্রথম সমালোচনামূলক প্রবন্ধটি দেওয়া যাবে ।

    In Defence of the ‘Decadents’ঃ- সমর সেন

    Certain critics point out with a sneer that ‘Progress’ is a Victorian word. Perhaps they are right: the Victorian belief in progress was based upon security and a rising level of production. Forebodings and uneasy apprehensions shad-owed the late-Victorian period, because it was an age of finance unlike the early Victorian age of production. The relation between production and distribution is far less apparent in our age of finance, hence the sense of frustration marking the closing years of the last century. To the sceptical critics of progress it may be pointed out that though the present century has widened the gap between productive forces and social relations and to a certain extend justifies their enlightened scepticism, the latest powers of the world production still permit a rational belief in progress. We find that production power of man has still immense possibilities. So we are still for progress. It is not desirable in our day to reaffirm the medieval conception of human life, to declare that man’s fate is inevitably tragic and all notions of progress an illusion. To assert this under the painful pressure of circumstances is a subterfuge, a means to shrink responsibility.

    It is rather easy to talk about our belief in progress with reference to past history. But the moment we come to consider the present, to define the meaning of the progressive movement in literature, we seem to be in a melting pot, and confused voices of lamentation, denunciation and warning strike the ear. The modern Bengali poet is between two fires. If the tries to be honest with regard to the vices of his own class and voices his sense of decay he falls under, and is found guilty of the charges of obscenity and obscurity. The eternal principles of art, he is told, are beauty and truth, truth and beauty, to deny which is bad taste, a perversion. On the other hand he is told from the progressive quarter, which emphasizes his defeatism and obscurity, that he is a decadent and damned petty-bourgeois. The damning is thus complete. He then thinks of perhaps a dozen or so his admirers and continues to use a medium of expression whose beauties commend themselves only to the dozen or so, with confusing results both for the moralist and the progressive critic. A gentleman, sceptical of the progressive demands on poetry, when politely told that he was a decadent bourgeois, reported: “you can call me a swine if you like, but I am what I am.”

    It is certainly time to clear up a host of misunderstandings. A really progressive critic will be a great force today. But a certain notion is gaining ground, fanned by some the progressives and the newspapers which have their own sentimental ideas about literature, that to be progressive means to write about mazdoors and kisans in a broad, sentimental vein, to depict all the glories of a possible proletarian revolution and to do all these in a way which would be understood by the man in the street. Away with defeatism and all bourgeois subtleties of expression! Nothing is more important than direct propaganda. It may be that the results will be slightly disappointing for some time, but all will be well in the future society.

    The progressive who proceeds in this manner is not an objective critic. He is a sentimental humanist. We must not forget in our new-born enthusiasm for the cause that literature has a tradition of its own and that there are many invisible gaps between the economic basis and the cultural superstructure. If we consider the changes effected in Bengali poetry in the last fifteen years we must admit that it has definitely ‘progressed’. The best of it has almost got clear for that sickening vice bequeathed by the Tagorean tradition – sentimentalism. It has improved and made considerable changes in technique. From a loose and ineffective language to a highly polished and flexible one, from a mere turning loose of emotion to a consciousness of the disruptive forces threating society, – these are considerable achievements. To sacrifice all these in order to widen the appeal and rouse the people by direct propaganda will be a dangerous sacrifice. It will mean a swing backward in literary tradition and revive the sentimental age in a changed grab. Such demands on poetry, backed by the newspaper and the progressives, will have dangerous consequences for the rising generation, which has every chance of being taken in by these easy methods of cheap and quick popularity. The critic who asks for such a literary change in the name of progress, we repeat, is at best a sentimental humanist.

    What can be achieved if, in the immediate present, the Bengali poet tries to widen his appeal? Mass-appeal is indeed a tremendous thing. It can at least help to fill up the empty pockets of the unfortunate writers. But how do the masses come in? The vast majority of them is illiterate. The reading section consists entirely of the middle-classes. To appeal to them is to pander to the tastes of a demoralised class, to turn poetry into simple wish-fulfillment. Consider the plight of the Indian film industry and the Radio, both of which are middle-class and popular. If the middle-class has any vitality left it would have at least created something significant during and after the Civil Disobedience Movement. But nothing of that kind happened, because at this later hour in history the colonial bourgeoisie has no life at all. With huge and vital section of population illiterate and dim in the background, we cannot really hope to effect a revolution with our writings. That would be putting the cart before the horse. We can at present only soliloquise, we cannot address the real audience.

    To be really progressive in our time and in our country, where only a fraction is literate, is to preserve the integrity of what is good in our past tradition, to be true to oneself and at the same time to realise that poetry is medium through which the individual tries to adjust his relations to society, to be conscious of the complex forces which are changing our world. To be able to preserve one’s personal integrity as a poet will help the progressive cause in the long run. People consider Hopkings and Eliot to be among the real pioneers of English poetry. And it will not be superfluous to remind that Eliot is often condemned for his obscurity, and is the one poet who is convinced to his bones of the decay of all civilisation. In these times of dereliction and dismay, of wars, unemployment and revolutions. The boredom and the horror, rather than glory of life, is our immediate reality. Perhaps that is because we have our roots deep in the demoralised petty-bourgeoisie and the lack the vitality of a rising class. It is best to admit this and write about the class you know well than to exult in the future glories of a classless society. Consciousness of decay is also power. We believe that mankind will undergo a far-reaching transformation in a classless society, that only in a changes social order, politically free, and based on emancipation and equality of the peasant and the worker, will it again be possible to establish the vital links between literature and the people which have snapped, but at present we find ourselves unable to translate that belief in to good poetry. We cannot do that unless we act. In the meantime we draw a distinction between the poetry of revolutionary struggle and the poetry of revolution as a literary fashion.

    Consciousness of decay is certainly a power. But a critical situation arises when we find that at a certain stage this also is not enough even from the point of view of poetic integrity. We will reach that stage very soon, and we must make a choice if we are to continue as living writers. This involves an entire reconstruction of our ways of living. An active part in the mass-movement will certainly help that poet who has been able to preserve his integrity. He will be able best to combine literary tradition with social content and will act as a releasing force. He will then perhaps cease to soliloquise and will begin to be representative. Such a reconstruction of living is not an easy job for the present generation of Bengali poets, most of them settled in life and approaching the critical age of thirty. It would have been easier with Congress out of office, an active body in the anti-imperialist front. But now the problem is infinitely more complex in an atmosphere thick with sheepish pacifist slogans of truth and non-violence and all the accumulated rubbish of an out-of-date, constitutional nationalism. But no task is too difficult when it is a vital affair. If the modern Bengali writers fails to make this difficult choice, we can take leave of him and ask him not to mourn any longer for the decay of society but rather to mourn for himself.
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ০৮:০১55638
  • ---"কবিতার সত্যিকার অনুবাদ প্রায়-অসম্ভব। হয়তো ট্রান্সফর্ম করে আনতে পারেন বিরল কিছু প্রতিভাবান কবি, এইটুকুই।"
    লাখো বাত কী এক বাত!
  • 0 | 132.176.27.175 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪৭55639
  • কেসির দেওয়া লেনিনের কোটেশনের বক্তব্যের সাথে পুরো একমত। এই অব্দি কমেন্টগুলো পড়ে সেরকম'ই লাগছে।
  • san | 113.245.14.101 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১১:১১55640
  • দেবব্রতবাবুর পোস্টে সরোজ দত্ত আর বিষ্ণু দে'র অনুবাদের তুলনামূলক আলোচনা পড়তে ইন্টারেস্টিং লাগল। যদিও একমত হলাম না।

    ব্যক্তিগতভাবে বিষ্ণু দে কে অনুবাদক হিসেবে অনেক বেশি সফল বলব।
  • Arpan | 233.227.25.31 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১১:১২55641
  • রঞ্জনদা, ঐ তিন লাইন হাইকুতে তো পুরো ক্যানভাস আঁকা হয়ে যাচ্ছে, খুব মিনিমালিস্ট ওয়াটার কালার বা ইংক ওয়াশ যেমনটি হয়।

    আপানি দেখতে পাচ্ছেন না?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন