এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৃহন্নলা, ছিন্ন করো ছদ্মবেশ’

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ১৯৯২০ বার পঠিত
  • ৪৫ বছর ধরে তিনি নিখোঁজ । ১৯৭১এর ৫-৬ আগস্টে ময়দানে যদিও কেউ নাকি তার রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখেছিল ,মাথা কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যানহোলে প্রমাণ লোপের চেষ্টায় । অধ্যাপক দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি (শেল্টার) থেকে ৭১-এর চৌঠা অগস্ট রাত সাড়ে-এগারোটা নাগাদ সরোজ দত্তকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল রুণু-দেবী-তারাপদ’রা সেই থেকে পুলিশের খাতায় অথবা সরকারী মতে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি এখনো নিখোঁজ । তিনি সেই কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম যার তীক্ষ্ণ অনন্য স্বর শাসকদের কাছে আতঙ্ক -ভেঙ্গে চুরমার করে মধ্যবিত্তের সযত্নে সাজানো মিথ। আমাদের দার্শনিক ইমারত ভেঙে চুরমার করে দেবার কারিগর সরোজ দত্ত । যিনি সমর সেনের ‘In Defense of Decadents’ প্রগতিশীলতার মোড়কে ধেয়ে আসা প্রচ্ছন্ন ফ্যাসিবাদী এলিওটিজমকে চিহ্নিত করেন ১৯৩৯এ । ১৯৬৯ সেই শানিত সরোজ দত্ত যুক্তি সাজান ভারতে একই সাথে বিদ্যাসাগর , রামমোহন এর মত ব্রিটিশ শাসকের অনুগত ব্যক্তিত্ব’র সাথে মঙ্গল পাণ্ডের মূর্তি ,বীরসার মুর্তি স্থাপিত হতে পারেনা । সিপাহি বিদ্রোহের অর্থাৎ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের মূর্তি স্থাপন করতে হলে সেই বিদ্রোহের সমর্থকদের মূর্তি ভাঙা দরকার।

    সরোজ দত্তর নৈতিক প্রশ্রয়ে বা তাত্ত্বিক আস্কারায় নকশাল তরুণরা যে কালাপাহাড়ি তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার ফলেই অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত মনীষীদের ধুপ-ধুনো জ্বালিয়ে পুজো করার বদলে যথার্থ মূল্যায়নের আগ্রহ শিক্ষিত বাঙালি সমাজে তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সমগ্র বঙ্গীয় রেনেসাঁ বা নবজাগৃতির পুনর্মূল্যায়নের তাগিদও সৃষ্টি হতে থাকে। বিনয় ঘোষের মতো নিষ্ঠাবান গবেষক এই মূল্যায়নের কাজে হাতও দেন এবং নবজাগরণ সম্পর্কে তাঁর আগের ধারণা সম্পূর্ণ বর্জন করেন। আর রণজিৎ গুহের নেতৃত্বে যে নিম্নবর্গীয় ইতিহাস রচনার ধারা সূচিত হয়, তার প্রেরণা সমসাময়িক ইতিহাসে ওই নকশাল রাজনীতিরই চ্যালেঞ্জ। সরোজ দত্ত যার পথিকৃত ।

    সরোজ দত্ত ১৩২১ বঙ্গাব্দের ২১ ফাল্গুন বাংলাদেশের নড়াইল জেলার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম হৃদয়কৃষ্ণ দত্ত, মা কিরণবালা দত্ত। নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর ১৯৩০ সালে কলকাতায় আসেন স্কটিশ চার্চ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়তে। ওই একই কলেজ থেকে ১৯৩৬ সালে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হন। তার গোড়ার দিকের ঘটনাবলী আর দশটা লোকের মতোই! জন্মেছেন, পড়েছেন, পাশ করেছেন , চাকরি করেছেন, সংশয়েও ভুগেছেন। কিন্তু আর দশজনের মতো সেই তমসার তামাশায় তিনি জীবনটাকে বিলীন হতে দেননি! ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন সমাজ ও রাষ্ট্র নির্ধারিত বৃত্ত- ‘হেসে ওঠে দস্যু কবি অক্রোধের ক্লীবলজ্জা ছেড়ে, তামসীর তৃপ্তির দিন সাঙ্গ হলো তমসার তীরে’!

    কলেজে থাকতেই কমিউনিস্ট পার্টির গণসংগঠনে যুক্ত হন, জেল খাটেন। তবে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে তার ওঠবসটা নিয়মিতই ছিল। ১৯৩৮ সালে এমএ পাস করার পর যোগদান করেন প্রগতি লেখক সঙ্ঘে। এই সময় থেকেই সরোজ দত্তর কবিতা প্রকাশ হতে শুরু করে। ১৯৩৯ সালে সহ-সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন অমৃতবাজার পত্রিকায়। পরে কর্মী-ধর্মঘটে যোগ দিয়ে চাকরি খোয়ালে ‘পরিচয়’ ও ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সম্পাদনার কাজে যুক্ত হন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে সিপিআইএম তৈরি হলে তিনি শেষোক্ত সংগঠনে যোগ দেন এবং দলীয় মুখপত্র ‘দেশহিতৈষী’র সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হন। ‘শশাঙ্ক’ ছদ্মনামে তাঁর আগ্নেয় লেখাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে। অতঃপর নকশালবাড়ি, দেশহিতৈষী থেকে দেশব্রতী এবং চারু মজুমদারের নেতৃত্বে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা রূপে তাঁর বিকাশ। সরোজ দত্ত ক্রমে বামপন্থী বুদ্ধিজীবী থেকে উত্তীর্ণ হন বিপ্লবী বুদ্ধিজীবীতে, শেষে কমিউনিস্ট বিপ্লবীতে।

    কবি-ইন্টেলেকচুয়াল-সাংবাদিক সরোজ দত্ত-কে পুলিশ কেন খুন করল, এটা অনেকেই ভেবে পান না। কানু সান্যাল বা সন্তোষ রাণা-রা তো সরাসরি যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার পরেও তো তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল রাষ্ট্র। কিন্তু সরোজ দত্তর বেলায় কেন…? কেননা সরোজ দত্ত জানতেন যে বিপ্লব একটা প্যারাডাইম শিফ্ট, এবং চূড়ান্ত পর্বে সেটা মননে। সহস্র বছরের ফিউডাল সাংস্কৃতিক হেজিমনি (আধিপত্য)-কে ভেঙে নতুন পাল্টা জনতার হেজিমনি গড়ার পথেই এগোচ্ছিলেন তিনি। সরোজ দত্ত ভয়ঙ্কর ,তার কলম জীবিত থাকলে শাসকের উলঙ্গ শরীর ঢাকার আর উপায় থাকেনা , বুদ্ধিজীবীর উপায় থাকেনা হ্যা হ্যা করে পুরস্কার মঞ্চে ওঠার । আর হয়ত তাই তার চলার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হল।

    সরোজ দত্ত শহীদ হওয়ার পর চারু মজুমদার ঘোষণা করেছিলেন: “কমরেড সরোজ দত্ত পার্টির নেতা ছিলেন এবং নেতার মতই তিনি বীরের মৃত্যু বরণ করেছেন।” হ্যাঁ, সরোজ দত্ত নেতা ছিলেন, এমন একজন নেতা যিনি স্ত্রী’র মুখে সাবধানে থাকার পরামর্শ শুনে উত্তর দিয়েছিলেন: “এইডা কি কইলা বেলা! যুদ্ধে কি শুধু বাহিনী মরব! আরে দুই একডা সেনাপতিরও তো জান যাইব!” নির্মম ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা।

    এই আগস্ট মাসেই ফ্রাঙ্কোর ফ্যাসিস্ত বাহিনীর হাতে লোরকা খুন হয়েছিলেন কিন্তু আজকের স্পেন সেই ১৯৩৬ এর ইতিহাস খুঁড়ে বার করছে আর অন্যদিকে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (!) ও বাম আন্দোলনের অন্যতম দূর্গ এ ভারত বা এ বাংলায় শহীদ সরোজ দত্ত ও তাঁর নিহত ও শহীদ সাথীদের ইতিহাসকে জনসমক্ষে হাজির করতে বিচারালয়ের ‘ন্যায়াধীশরা’ রাজি হননি। রাষ্ট্রের ও সরকারের কর্ণধারদের কথা তো ওঠেই না। সত্যকে চাপা দিতেই ‘ভদ্রলোকেরা’ বেশি ব্যস্ত ! আর সেই ..........

    বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ~ সরোজ দত্ত

    তোমার বুদ্ধির সুধা, সুরা হল আঁধারে পচিয়া।
    হে অগ্নি পানিয়ে!! নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলি;
    কৌমার্য করিতে রক্ষা, আত্মরতি সম্বল তোমার,
    তোমার দুর্বল কন্ঠে স্বেচ্ছাবন্দী পাখির কাকলি,
    প্রাণশক্তি প্রাণহীণ, ধরিয়াছ প্রাণঘাতী নেশা,
    চরণে কাঁদিছে কায়া, ছায়া ভাবি হাসো উপহাসে,
    করেছ গতির রক্তে পঙ্গুতার প্রশস্তি রচনা,
    বিচ্ছেদ ভুলিতে চাহ বিরহের নিবীর্য বিলাপে।
    প্রসবের ব্যর্থতায় অভিমানী শৌখিন শাখার
    স্বার্থপর আত্মনাশ, বনস্পতি করিবেনা ক্ষমা,
    তৃষ্ঞায় শ্বসিছে তরু শিকড়ের শুন্য ভাণ্ড হাতে।
    সংবর এ ক্লীব কান্না! দেখনি কি মৃত্তিকা নির্মমা?
    রাজদণ্ড বহি ফিরে, শ্লথছন্দে রচিয়া বিলাপ,
    যে চাহে অলকা, তার নির্বাসন যোগ্য অভিশাপ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ আগস্ট ২০১৬ | ১৯৯২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১১:৪৬55642
  • পাচ্ছি।ঃ))
    কিন্তু সেভাবে দেখলে সাঁতার কবিতাতেও একটা ছবি শুধু নয়, তার অতিরিক্ত একটা ভিশনও পাচ্ছি।ঃ)))
    তাতে বিপ্লবের রণহুংকার নেই, কোন তাৎকালিক বক্তিমে নেই , অথচ ওই চীনা দ্বিমাত্রিক ওয়াটার কালার এর মত।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫১55643
  • ভিন্নরুচিরহিঃ লোকাঃ।
    আমারও খানিকটা স্যানের সঙ্গে মিলল।অবশ্যই সরোজের অনুবাদে বিপ্লবী ওজস্বিতা বেশি। কিন্তু মাওয়ের অধিকাংশ কবিতায় রণহুংকারের জায়গায় একধরণের দার্শনিক প্রশান্তি রয়েছে। ইংরেজিতেও সেই স্বাদ।

    আর যেকোন শিল্পকর্মের স্বাদ পেতে হলে খানিকটা এমপ্যাথি চাই। তাই ডিসি/এতোজের পেট গুলিয়ে হাসি পেলেও আমার বা দেবব্রতর পায় না। ওই এমপ্যাথিই দোষী।ঃ)))
    নো হার্ড ফিলিং!
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫৬55644
  • আর সমর সেনের ইন ডিফেন্স অফ ডেকাডেন্স ও সরোজ দত্তের শাণিত গদ্যে আক্রমণ পড়ে আজকে, একুশ শতকে, সমর সেনকে সরোজ ধোবি পাছাড় দিয়েছেন--এমন মনে হল না। বরং সরোজের আক্রমণে তথ্য ও যুক্তির চেয়ে রেটোরিক ও উষ্মা বেশি মনে হল।
    আমার বিতর্ক সমর সেনের পরিশীলিত শান্ত ভাষাই উপযুক্ত মনে হয়। সরোজের শৈলী ক্রমশঃ দুই যুযুধান পক্ষকে ব্যক্তিগত খেউড়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আমার মনে হয়।
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫২55633
  • দেবব্রত শেষ পোস্টে যে অনুবাদ পংক্তি গুলো দিয়েছেন, তাতে বিষ্ণু দে-র চেয়ে সরোজ দত্তের অনুবাদ ভাল লাগল
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০১:২১55653
  • দেবব্রত,
    অনেক ধন্যবাদ, এই পরিশ্রমসাধ্য প্রয়াসের জন্যে। সরোজ দত্তের পালটা'র জন্যে মুখিয়ে আছি।ঃ)
    আর ভাবছি বিতর্কটি আজকেও কত প্রাসংগিক।
  • dc | 181.49.205.10 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০১:২৪55654
  • রঞ্জনদা, এটা হতে পারে মাওএর প্রতি আমার এমপ্যাথি নেই বলে ওনার কবিতার দার্শনিক প্রশান্তি দেখতে পাইনি। মাও, ছোট বুশ, হিটলার, স্ট্যালিন, ইদি আমিন, টোনি ব্লেয়ার ইত্যাদিদের আমি ওয়ার ক্রিমিনাল হিসেবে দেখি, তাই এদের প্রতি খুব একটা এমপ্যাথি নেই। কিন্তু সেটা একেবারে অন্য তর্ক ঃ)

    একটা থট এক্সপেরিমেন্ট করা যাক। ধরুন নদীর ধারে বেড়াতে গেছেন, পাশে একজন ভদ্রলোক এসে বসলেন, তারপর খুব গম্ভীরভাবে বললেন, It was by a stream that the master said-Thus do things flow away! আমার সাথে এরকম হলে আমি তো প্রথমে ঘাবড়ে ঘ হয়ে যাবো, তারপর একটু হেসে জিগ্যেস করবো মাস্টার উগওয়ে নাকি? (যদি কুংফু পান্ডা সিনেমাগুলো দেখে থাকেন তো এই প্যারোডিটা আরো সহজে ধরতে পারবেন - এই সিনেমাগুলোয় ঠিক এই টাইপের উদ্ভট, অ্যাপারেন্টলি দার্শনিক কিন্তু আসলে মিনিংলেস একেকটা উক্তির প্যারোডি করা হয়েছে)। কিন্তু তারপর যদি ভদ্রলোক বলেন যে মাও এরকম লিখেছিলেন, তখন আমি মাথা নেড়ে বলব ও, তাই নাকি, মাও বলেছিলেন, তাহলে তো খুবই গভীর দার্শনিক কথা, উফ কি বলেছিলেন! মানে অন্য কেউ বললে আমরা মনে মনে ভাবি কি অ্যাং-ব্যাং-চ্যাং বকছে রে! কিন্তু মাও বলেছিলেন শুনলে ভাবি বাপরে, কি গভীর দার্শনিক উক্তি!

    ডিঃ অবশ্যই এটা ইংরেজি অনুবাদ ধরে বলছি, মাও সত্যি সত্যি চীনে ভাষায় এরকম খিল্লি টাইপের কিছু লিখেছিলেন কিনা জানিনা।
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪৭55655
  • নদীর তীরে দাঁড়িয়ে দার্শনিক বললেন - 'এইভাবেই জীবন বয়ে যায়'

    - একটা কবিতার লাইন হিসাবে দিব্যি তো - আমার কাছে অবশ্যই। আদৌ খিল্লি লাগল না
  • dc | 181.49.205.10 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০১:৫০55656
  • আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে ঃ)
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০২:১৭55657
  • আমি সত্যিই বুঝলাম না খিল্লি কীভাবে - নদীর প্রবাহের সাথে জীবনের বহমানতার তুলনা তো সাহিত্যে অনেক এসেছে - ক্লিশে বলা যেতে পরে, কিন্তু খিল্লি - কে জানে, হবে হয়ত ..
  • dc | 74.62.219.98 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩১55658
  • এগুলো যে ক্লিশে (আমার কাছে) সেটা আগেই বলেছি, আর ক্লিশে বলেই এই ধরনের উক্তি শুনলেই একটু মজা পাই। কেউ বললো, "এই তো জীবন, নদীর মতো বয়ে যায়", আরেকজন বললো "এই তো জীবন, আপেল গাছ থেকে ফলের মতো টুক করে খসে পড়ে যায়", বা "এই তো জীবন, মাঝেমাঝেই ঝড়ের মতো ওলটপালোট হয়ে যায়"। তো প্রথমটা বলেছে মাও, দ্বিতীয়টা বলেছে পাড়ার মন্টু, আর তৃতীয়টা বলেছে সাহিত্যিক প্যালারাম চক্রবর্তী। ঠিকই আছে, সবই খুব গভীর দার্শনিক উক্তি।
  • aranya | 154.160.226.96 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০২:৫৬55659
  • আচ্ছা, ক্লিশে বলে মজা পাওয়া সম্ভব। কে বলেছে ম্যাটার করা উচিত নয়, আর মাও, স্তালিন ইঃ-কে ক্রিমিনাল হিসাবে দেখা যেতেই পরে - এ বিষয়ে একমত।
  • sk | 126.203.172.240 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০১55681
  • হনু লিখেছে দেখলাম - তারাশংকরের চরিত্ররা ইতিহাস আর ঐতিহ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কারা তারা ? শিবনাথ ? যতীন ? করালী ? কে ?
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৪৬55682
  • বা; কেসি।
    লিংকটা পড়ে লাভ হল।
    কিছু চিন্তা ও মাইনডসেট বুঝতে পারলাম।

    দেবব্রত,
    কেসির লিং থেকে ২০১৪'র দেশব্রতী দেখুন। সেখানে একটি লেখায় কিন্তু উদ্ধৃতিতে " সে অগ্নি-পানীয়ে জ্বলে" ই লেখা হয়েছে।

    সোমনাথকে ধন্যবাদ।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৪৯55683
  • ও সোমনাথ,
    একটাও খুলছে না যে! বলছে DNS address could not be found!
  • h | 213.132.214.85 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫১55660
  • দেবব্রত বাবু কে অসংখ্য ধন্যবাদ, সমর সেন এর লেখাটা কে পুরো টাইপ করার পরিশ্রম করতে, এই সব আলোচনা, সখের মোষ চড়ানো বই কিসু না, সোশাল নেটওয়ার্কিং এর মূল সুর টা যেখানে ব্রিংকম্যানশিপ সেখানে এই সিরিয়াসনেস ভালো লাগে।

    আর একটা বক্তব্যও আছে, লিংক দেওয়া নিয়ে, আমি জানিনা লোকে বোঝে কিনা, পৃথিবীর সব কিছুর লিংক কিন্তু নেই। দাবী যদি এটা হয়, একজন একটা বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে, তাকে সমস্ত রিসোর্স লিংক সহযোগে এখানে উপস্থিত করতে হবে, সেটা সত্যি ই বাজে দাবী। এবং মিনিংলেস। ১৯৩০-৪০ এর দশকের ১৯৭০ এর দশকের কবিতা সাহিত্য বিষয়ের আলোচনা হচ্ছে সেখানে সোর্সের লিংক চাই বলাটা জাস্ট ন্যাকামোর চুড়ান্ত এবং দেবব্রত বাবুর প্রতি ডিসরেসপেক্টফুল, হোয়াট হ্যাজ হি ডান টু ডিজার্ভ দ্যাট? যাস্ট বাজে খিল্লি, কবিতার ইতিহাসে আগ্রহ আছে কিনা সন্দেহ হয়।

    আরেকটাও কথা, টুকরো টুকরো কবিতার লাইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ফাইন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা টাইপের জিনিশের সঙ্গে সরোজ দত্তের কবিতার তুলনাও হচ্ছে, এটা হাস্যকর। কবিতা সময়ের বাইরে না, ৩০ এর দশকে যদি রবীন্দ্রনাথ কে অতিক্রম করাটা বাংল কবিতার একটা অংশের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে, তিরিশের শেশের দিকেই সেটা সম্ভব ও হচ্ছে, ৪০ এর দশকে বাংলা কবিতা অন্য মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে।

    অগ্রণী, পরিচয় পত্রিকা র বিতর্ক গুলো এখন মিনিংলেস মনে হলেও, তখন একটা সিম্পল কথা বোঝা দরকার, কংগ্রেসের রাজনীতির প্ল্যাটফর্মের বাইরেও নানা ধরণের নতুন রাজনীতির প্রকাশ হচ্ছে, এবং ইন্টেলেকচুয়াল রা দুটো বিশ্বযুদ্ধ বা স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ, চীনের ঘটনাবলী, বা তীব্র দুর্ভি`অ, চুড়ান্ত কমিউনালাইজেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজের ইডিয়ম খুঁজছেন, সেটা আমাদের জেনারেশন এর দেশে লেখা পাঠানোর থেকে স্লাইট টাফ। শাটের দশকের অভিঘাত বহুদিন থাকছে, ৭০ এর বিপ্লব প্রচেষ্টা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও। এখন এই গুলো সমস্তটা কে নিয়েই ইনসোলেন্ট খিল্লি চলতেই পারে, ইন ফ্যাক্ট ইনসোলেন্স না থকলে পাঠকের এবং নতুন রাইটার এর এগোনো মুশকিল, কিন্তু এটা বোঝা দরকার, কবিতা সম্পর্কে আগ্রহ আর কবিতা কে কেন্দ্র করে রাজনইতিক ইতিহাস রচনা করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে যাঁদের আগ্রহ নেই, তাঁদের দেবব্রত বাবুর লেখা ভালো লাগবে না, সরোজ দত্ত কে মূর্খ মনে হবে, সমর সেন এর ফরোয়ার্ড এর প্রবন্ধ গুলো পড়লে, তাঁকেও অকারণে রাগী বা ন্যাকা মনে হওয়া স্বাভাবিক, লিংক নিরপেক্ষে। গুরুচন্ডালি কেন আধুনিক যেকোনো সোশাল নেটওয়ার্কিং এর পাতায় অনেক কিসুই নেই, তাই বলে সেটা সাংস্কৃতিক ইতিহাস থেকে মুছে যায় না।

    দেবব্রতবাবু কি বসে বসে ৩০-৪০ থেকে ৬০-৭০ সব ডিবেট কপি করবেন না?

    ফাইনালি অরণ্যদা আর ডিসির কনভারসেশন টা সত্যি মজা লাগলো, ক্লিশে না ভেবেও মজা লাগলো ঃ-) আর কচ্ছপের তুলনা করাটা জাস্ট টু মাচ হয়ে গেলো, তবে এটা বোধ হয় খেয়াল রাখা দরকার, ছোটো অ্যাফরিজম টা শুধু চীনের স্টাইল ই না, ঊনবিংশ শতক থেকেই অনেকই মরালিটি বা দর্শন আলোচনায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন, যেমতি শপেন্হাউয়ার।
  • h | 213.132.214.85 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫৩55661
  • *করবেন?
  • h | 213.132.214.85 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫৪55662
  • এবং রবীন্দ্রনাথ, লিপিকায়। নাম দুটো বললাম, ইস্ট বা ওরিয়েন্ট এর বাইরে থেকে বলে।
  • h | 213.132.214.85 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫৮55663
  • কিছু কমেন্ট পড়ে তো মনে হল, সোশাল নেটওয়ার্কিং এর পাতা ছাড়া কবিতার বই পত্তর এর সঙ্গে জীবনে দেখা অব্দি হয় নি।
  • dc | 181.49.205.10 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১০55664
  • h এর বড়ো পোস্টটার সাথে বেশ কিছুটা একমত, আর লাস্টেরটার সাথে পুরোপুরি একমত ঃ)

    নেটে অনেক কিছুর লিংক থাকেনা, এটা খুব খুব সত্যি। সেইজন্য আমি নিজে সাধারনত খুব একটা লিংক চাইনা, তবে কেউ দিলে অবশ্যই সেটায় গিয়ে দেখে নি লিংকটা যথাযথ কিনা। কারন নেটে সায়েন্টোলজি থেকে উফো অ্যাবডাকশান থেকে চেলোমম টাইপের ক্র্যাকপট সাইটে ভর্তি।

    আর হ্যাঁ, টুকরো টুকরো কবিতার লাইন নিয়ে কথা বললে অনেক সময়ে খাপছাড়া মনে হয়। তবে এখানে আমি যেটুকু বলেছি সেটুকু ভয়ানক ক্লিশে আর কর্নি মনে হয়েছে বলে বলেছি। অবশ্যই এটা আমার বোঝার অক্ষমতা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী। তবে যাই হোক, ঐ "জীবন বয়ে যায় নদীর স্রোতের প্রায়" টাইপের লাইনগুলো ভয়ানক কর্নি আর ক্লিশে মনে হয়, সেজন্যই হাসি পায়, সে লাইন মাও বললেও (কর্নি আর ক্লিশের মধ্যে তফাত খেয়াল রেখেই লিখলাম)।

    আর "কিছু কমেন্ট পড়ে তো মনে হল, সোশাল নেটওয়ার্কিং এর পাতা ছাড়া কবিতার বই পত্তর এর সঙ্গে জীবনে দেখা অব্দি হয় নি" - আমার জন্য ১০০% সঠিক। গোটা জীবনে কবিতার থেকে একশো হাত দূরে থেকেছি ঃ( এই টইতে আমার পোস্ট করাই উচিত হয়নি, স্রেফ রঞ্জনদার উৎসাহে লিখেছি।
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১৭55684
  • দেশব্রতীর লিংকে দেখলুম "জনৈক অভিনেতা " র বয়ানে লেখা হয়েছে যে তিনি উত্তমবাবুর কাছে শুনেছিলেন যে ,একজন মাতাল পুলিশ টলতে টলতে গিয়ে সরোজবাবুর মুন্ডু কেটে নিয়ে আসে । এই জায়গাটা কেমন একটু লাগছে । পাঠক খেয়াল করবেন নিশ্চই যে এটা "মুন্ডু কাটা " , জাস্ট চাপাতি চালিয়ে জখম করা নয় । এখন পুলিশের কাছে তো লম্বা কাতানা থাকবেনা তবে ধরে নেওয়া যাক বাংলা সোর্ড যেগুলো রায়োট ফাযতে বেরোয় ওগুলোর ফুট তিনেক তাই দিয়ে কুপিয়ে একটা মানুষের মুন্ডু কেটে আলাদা করা , সে প্রায় ষাট পাউন্ডের ওপর প্রেশার প্রয়োগের দরকার , একে পুলিশটি তখন মাতাল ,টলছে, কেমন একটা লাগছে এই জায়গাটা পড়ে ।

    অন্য কোনোভাবে হাপিস করে দিয়ে ভয় ছড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এই হাড়হিম কাহিনী তৈরী করেনি তো রাষ্ট্রশক্তি ?
  • h | 213.132.214.83 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৩55665
  • নানা হাসি পাওয়া স্বাভাবিক। আমার তো চারু মজুমদারের যে কোনো লেখা পড়লেই হাসি পায়, কনটেক্স্ট বদলে গেছে সুদু না, যুক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষের ধারণা আলাদা হয়, এবং বদলায়। আগেও বলেছি, আমি রাজনীতি করা মাল, বারো চোদ্দো বছর গেছে কিছুই না করে, যদিও হিন্দু উচ্চবর্ণ তথা লিবেরেল হওয়ার কারণে, পিস টাইমে, এবং বাবা কাকা দাদাদের মত স্টেট রিপ্রেশন সহ্য করতে হয় নি, কিন্তু ভীষণ উষ্মা সহযোগে কেনো বই পত্তর পড়তাম, ভাবলে নিজের গালেই চড় মারতে ইচ্ছে করে, মেয়েকে শিশুপাঠ্য রবীন্দ্রনাথ পড়াতে গিয়ে বোগাস লাগে, মেয়ে দেখি বড়দের একেবারে কনটেম্পোরারি উপন্যাস বেশি পসন্দ করছে, সারা জীবন সোভিয়েত সাহিত্য সাইবেরিয়া, স্তেপ অঞ্চল নিয়ে ইলামবাজারের বীরভূমী প্রান্তরে বসে হাহুতাশ কেন করলাম সেটা মনে হয়, আবার তারা শংকরের চরিত্র যখন ইতিহাস শুধু না ঐতিহ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে, তখন, মনে হয়, শান্তিনিকেতনে বীরভূমি ভূমিপুত্রের অভিজ্ঞতা চুরি করে ফেলার ফন্দি টায় শঠতা ছিল, কিন্তু মুক্তচিন্তা ছিল না। তো পড়া জিনিসটা একটা জার্নি। লেখাটা, লিখন সেটাও তাই। সেটা কে অস্বীকার করে আমরা দেবব্রত বাবুর বক্তব্য বুঝতে পারবো না। সেই মিনিমাম চেষ্টা তো করতে হবে, নইলে এঙ্গেজ করে লাভ কি বাল।

    নো হার্ড ফিলিংস আই লাভ ইয়োর হিউমর।
  • h | 213.132.214.83 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৪55666
  • *শঠতা ছিল না ঠিক ই,
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৭55667
  • ডিসি,
    আপনার জন্যে আমার উৎসাহে কোন ভাঁটার টান নেই (খিল্লি সত্ত্বেও)। চালিয়ে যান।
    এইজন্যেই গুরুতে আড্ডা দিই। একই কথা এতোজ এর জন্যেও--উইথ ডিউ রেস্পেক্ট।
    আরে, নইলে মনে হবে একটা মঠের মধ্যে দীক্ষিতদের মধ্যে বিতর্ক/বিমর্শ/বিতন্ডা হচ্ছে। তাতে আমার অরুচি।। ক্লোন হতে অরাজি।
    এইজন্যেই আমি এককের ফ্যান!!
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৯55685
  • উত্তমবাবুর ভার্সন আগে অন্যের মুখে শুনেছি । উল্লেখ পড়েছি । কিন্তু এই ভার্সনটা পড়ে সন্দেহ জাস্ট চেপে রাখা যাচ্ছেনা । এ যেন একটা স্টোরি যেটা একজনকে দিয়ে বলানো হলো একদম ফিয়ার সাইকোসিস এর উদ্দেশ্য নিয়ে । এস ইফ সে যেন শুনে ফেলেছে । পুলিশ বলছে : এইভাবে বাকিদের ও খুন করবো । সেটা উত্তম কত দূর থেকে শুনলেন ? সকালের ময়দান এ কতদূর অডিবল রেঞ্জ । আবার ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের মধ্যে থাকলে পুলিশ ওনাকে দেখে ফেলতো । এ যেন উত্তমের মুখ দিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে দেখ শালা নকশালরা এইভাবে তোদের মারবো ।

    হয়তো মেরেছিলো খুব আন এট্রাকটিভ ভাবে । তারপর গুম করে দেয় । তারপর গপ্পো টা ছড়ায় । মাঝখান থেকে উত্তম রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করতে গিয়ে দুদিক দিয়ে ফেঁসে যান । হু নোস্ ।
  • Ranjan Roy | 132.180.17.115 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩০55668
  • বাকি হনুর পোস্টগুলোতে বড় ক। আমি এই কথাগুলোই বলতে চাইতাম, এমন গুছিয়ে বলতে পারিনি। এখন মনে হচ্ছে 'ক্যামনে ব্যাটা পেরেছে সেটা জানতে"ঃ)))
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৮55670
  • কবিতার লিংক আবার কে চাইলো ? যাগ্গে যাক মমতা ফমতা আসছে দেখেই অনেক আগে এখান থেকে সরে গেসলুম । মমতা "কবি নন " বলে নয় , নন সিক্যুতৰ যেটা মমতার বৈশিষ্ট তার সঙ্গে বর্তমান আলোচনার কোনো যোগাযোগ নেই বলে । আপাতত মনে হচ্ছে পুরো আলোচনা বাবু সময় সেনের সঙ্গে সরোজবাবুর তর্ক সিরিজে ফোকাস হয়েছে । চলুক ।
  • dc | 233.236.71.51 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৩০55672
  • "তো পড়া জিনিসটা একটা জার্নি।"

    এবার কিন্তু আমি আপনার পাখা হয়ে যাব ঃ)
  • kc | 198.71.209.214 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৩৬55673
  • বাহ, সোমনাথ কাজটা করে দিয়েছে, কম্প্যুটার খুললে আমিও এই কাজটা করতাম। আর দুটো বইএরও লিং রেখে দিও। অনিল আচার্য্য'র সত্তর দশক।

    একটা লিং আম্মো রেখে যাই। মোবাইল থেকে ফুট কাটা খুব কঠিন,

    https://aajkerdeshabrati.files.wordpress.com/2014/04/deshabrati_03132014.pdf
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন