এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আদর্শ নারী মাগি ও অন্যান্য

    Soumit Deb লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ মার্চ ২০১৬ | ৯০৩৪ বার পঠিত
  • আদর্শ নারীঃ

    ইহা তৈয়ার করিতে দশটি উপায় গ্রহণ করিতে হয়।

    ১ শাসন- ছোট থেকেই তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে তুমি মেয়ে। তুমি একটা এমন প্রানী যার সমস্ত স্বাভাবিকতা আসলে ভীষন গোপনীয় ও না হলেই ভালো হত। স্বাধীনতা মানে হলো পনেরোই আগস্ট।

    ২ আদর- অন্য কোনো অপশন না দিয়ে আগেই পুতুল, রান্নাবাটি, ইত্যাদি এনে দেওয়া। তাছাড়া সেই ছোট বয়সেই “ভালোবেসে” তাকে সংসার সংসার খেলায় অনুপ্রেরণা দেওয়া, বউ সাজিয়ে ছবি, যা মিষ্টি লাগছিলো!

    ৩ আরও শাসন- এবার একেবারে গেঁড়ে মাথার ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যেহেতু তুমি মেয়ে তাই তুমি তোমার স্বাভাবিকতা গোপন রাখবে। দাদা চিল্লিয়ে বলতেই পারে মা আমার স্যান্ডো কই, তুমি কানের আছে এসে ফিস্ফিস করে বলবে, “ব্রা” কোথায়। কারণ “ব্রা”, “প্যান্টি” ভালো শব্দ নয়।

    ৪ ভীষণ শাসন- তুমি এই ভাবে হাঁটুর ওপর ফ্রক তুলে ঘুরতে পারোনা মেয়ে, এটা বোঝার চেষ্টা করো! এরপর যখন মাসতুতো দাদা মোলেস্ট করবে তখন প্রতিবাদ করারও মুখ রাখবেনা দেখছি!

    ৫ পিরিয়েড- বৈবাহিক সম্পর্কে রেপ হয়না, হতে পারেনা, ঠিক সেই ভাবেই এটা যে তোমার হয় সেটা ভুলে থাকবে। পারলে নিজেকেও বলবেনা যে পিরিয়েড হয়েছে। কাউকে ছোঁবেনা। এ একেবারে নিঘিন্নি ব্যাপার। একদম বলবেনা, কাউকে বলবেনা। চুপ! চুপ! চুপ!

    ৬ সাবধানতা- পৃথিবীর সমস্ত ছেলে আসলে ওঁত পেতে বসে আছে শুধু রেপ করবে বলে। তোমায় বুঝতে হবে আত্মীয় ছাড়া বাকি সব্বাই তোমায় যৌনতা মেশিন বলে ভাবে। তুমি বুক পেট যোনী সমন্বীত এক জীব, আর বাকি দুনিয়া লোপুপ! সাবধান! অবিশ্বাস ঢুকিয়ে নাও দেখি নিজের ভেতর আচ্ছাসে! ঘেন্না কোরো তো পুরুষ জাতটাকে, দেখি ক্যামন পারো। ভালো করে ঘেন্না করো।

    ৭ পোষাক- নেহাত ওদের ধর্ম নাহলে বোর্খাই রেফার করা যেত। ওটা যখন হচ্ছেনা, তখন দেখো যতটা ঢেকে রাখা যায়। জিন্স কেবল ফ্যামলির সাথে পূরী গেলে তখন। যে নেকড়েদের কথা বল হলো তারা ভদ্র পোষাক দেখলে সম্ভ্রমে সরে যায়।

    ৮ বিয়ের বয়স- পিরিয়েড স্টার্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিয়ে না হয়ে যাওয়া অব্দিই গোটা সময়টাই। এবার মন দিয়ে শোনো এতদিন ধরে যে ঘেন্না জমাতে শিখিয়েছি, সেটা একজন পুরুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তোমায় যারা দেখতে আসছে তাদের মধ্যে যার সাথে তোমায় ইচ্ছে না থাকলেও যৌনতা করতে হবে সে।

    ৯ দেখাশোনা- ভালো করে প্রোডাক্ট সেজে এসো দেখি মা! পড়াশুনা? আচ্ছা হাঁটো, বসো, হেসে হেসে উত্তর দাও। এই যে এতদিন পড়াশুনো করালাম, পয়সা খরচা করে নাচ গান আবৃত্তি, গলাভারী গান গাইতে শেখালাম, শুধু এইদিনটার জন্যেই কিন্তু! পাশ করতেই হবে!

    ১০ সিঁদুর- বরই তোমার ধর্ম, সে দরকার পড়লে অনিচ্ছাকৃত যৌনতা চালাবে তোমার সাথে, তুমি স্পিকটি নট। তার সম্পত্তি হওয়ার ট্রেডমার্ক হিসেবে মাথায় সিঁদুর আর বিষ্যুদ বার পাঁচালী পড়বে। পুরুষমানুষরা একটু ওরকম হয়। গয়না শাড়ি দিচ্ছে তো! আর কি চাও? এরপর তোমার দুর্ভাগ্যবশত মেয়ে হলে, তাকেও এই ভাবে তৈরী করবে।

    মাগিঃ

    এরা মদ সিগারেট খায়, ছোটোছোট পোষাক পরে, দুই বা ততোধিক প্রেম করে। মুখ খারাপ করে, ছেলেবন্ধু করে। চাকরি বাকরি শিক্ষা ইত্যাদির দিকে একটা ঝোঁক থাকে। ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি আকৃষ্ট। এদের সাথে প্রেম করা যায় কিন্তু জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বিয়ের জন্যে ইহারা উপযুক্ত নহে। কারণ ইহারা ও ইহাদের স্বাভাবিক মনে করা ও সমর্থন করা “ভেঁড়ুয়া” পুরুষরা বিভিন্ন অমুলক প্রশ্ন করে।

    যেমন পোষাক নিয়ে বলা হলে বলে

    একজন স্যুট পরিহিত পুরুষকে ধরে নেওয়া যাক কিছু সমকামী পুরুষ রেপ করলো, তবে এক্ষেত্রে দায়টা কার?

    আচার আচরণ নিয়ে বলা হলে বলে

    তাহলে রাস্তার পাগলীরা প্রেগনেন্ট হয় কি করে?

    সংস্কৃতি নিয়ে বলা হলে প্রশ্ন তোলে

    ক্যানো? মেয়েটাই ক্যানো সিঁদুর পরবে? তাহলে ছেলেটাও নাকছাবিটাবি পরুক নাকি? আমি যদি কারোর সম্পত্তি হই তাহলে সেও তো আমার সম্পত্তি!

    নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলে

    ছেলেটার মা-বাবা বেশি ইম্পর্টেন্ট সেটা কে ঠিক করলো? আমি যদি বাড়ি ছেড়ে বেরোই তাহলে সেও আসুক। নাহলে দুই-জনই নিজের নিজের বাবা-মাকে নিয়ে একসাথে থাকি।

    আর তাই এদের মোলেস্ট বা রেপ করা হলে মোলেস্টার বা রেপিস্টকে সরাসরি আক্রমন করা যায়না, কারণ এরা মদ সিগারেট খায়, ছোটোছোট পোষাক পরে, দুই বা ততোধিক প্রেম করে। মুখ খারাপ করে, ছেলেবন্ধু করে…

    থিয়োরিঃ

    ছেলে-পার্সপেকটিভ

    “ও একটা মেয়ে”- ভীষন বন্ধু হলেও একটা মেয়ে। ছোটবেলা থেকে চিনলেও একটা মেয়ে! ও ব্রা পরে। ও নিচু হলে ওর বুক দেখা যায়। ওর পিরিয়েড হয়। আমায় খালি লক্ষ্য রাখতে হবে ওর গায়ে হাত দিলে যেন বুঝতে না পারে, বন্ধু বিষয়টা মন থেকে বেরিয়ে গ্যাছে, কারণ ও একটা মেয়ে। জামা উঠে গেলে না তাকিয়ে করবোটা কি? আরি আমি তো ছেলে! আর জামাটা ঠিক নিতে বলবো? ইল্লি নাকি? ও একটা মেয়ে তো রে বাবা! বেশি মর্ডান হয়ে কাজ নেই। আর অসভ্যতা তো করছিনা কোনো!

    মেয়ে পার্সপেকটিভঃ

    “আমি একটা মেয়ে”- ছেলেটা ভীষন বন্ধু হলেও আমি একটা মেয়ে। ছোটবেলা থেকে চিনলেও আমি একটা মেয়ে! আমি ব্রা পরি। নিচু হলে আমার বুক দেখা যায়। আমার পিরিয়েড হয়। আমায় খালি লক্ষ্য রাখতে হবে ও গায়ে হাত দিলে যেন বুঝতে না পারে আমি বুঝতে পারছি ওর মন থেকে বন্ধু বিষয়টা বেরিয়ে গ্যাছে, কারণ ও একটা ছেলে। জামা উঠে গেলে তো তাকায় ও। আরি আমি তো মেয়ে! আর জামাটা ঠিক নিতে বলবে? ইল্লি নাকি? ও একটা ছেলে তো রে বাবা! বেশি মর্ডান হয়ে কাজ নেই। আর অসভ্যতা তো করছেনা কোনো! পরে “পুরুষ” বলে গালাগাল করে দেওয়া যাবেক্ষন।

    কনক্লুশনঃ

    মনে রাখতে হবে...

    “মেয়ে এবং ছেলেদের ভেতর পার্থক্য কেবল চেহারাগত। আর কোনো তফাৎ নেই থাকতে পারেনা, থাকা সম্ভব নয়।

    ছেলেদের এই পৃথিবীতে যতটা অধিকার
    আছে মেয়েদেরও ঠিক ততটাই। এককণাও বেশি বা কম নয়।

    বন্ধুত্বের লিঙ্গ নির্ধারন করা আসলে এক ধরণের মানসিক সমস্যা

    একটা ছেলে যে যে কাজ করতে পারে একটা মেয়েও ঠিক সেই সেরই কাজ গুলোই করতে পারে।

    এরা দু-জনেই মানুষ!

    এদের কাউকেই আলাদা করে দুঃচ্ছাই বা পূজো করার কোনো মানে নেই শুধুমাত্র লিঙ্গ বায়াসড হয়ে।

    মেয়ে মানেই যেমন মাল নয়, পুরুষ মানেই সেরকম ঘেন্না নয়

    এইটে বিশ্বাস করতে হবে যে সমস্ত ছেলেরা মেয়েদের হয়ে কথা বলে তারা ভেঁড়ুয়া নয়। পুরুষদের সাথে এরকম কিছু হলেও তারা পুরুষদের হয়েও কথা বলতো। কিন্তু পুরুষ ভ্রুণ হত্যা হয় কি?

    সুন্দর দেখতে লাগলে মানুষ মাত্রেই তাকায়। তার মানে কনুই মারা নয়। সেটা মাসলম্যান-হৃত্বিক-লুকএলাইকদের দুপায়ের মাঝে হাঁটূ দিয়ে সপাটে তারিফ দেওয়ার চাইতে কোনো অংশে কম নয়”-

    ...এই সমস্ত আসলে আসলি দুনিয়ায় হয়না। হতে পারেনা। কারণ ছোট থেকে মানুষদের পুরুষ বা নারী হতে শেখানো হয়। মানুষ হতে নয়। যাক গে যাক আট-ই মার্চ যেন কি বার পড়েছে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ মার্চ ২০১৬ | ৯০৩৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    Lookআচুপি - Soumit Deb
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একদম | 132.177.242.59 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০২:৫৩55881
  • ফাটিয়ে ...
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:২২55882
  • লেখাটা ভালো, কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে এমন লেখা হচ্ছে লোকে পড়ে লাইক দিচ্ছে অথচ লাইক দেওয়া ও জীবনের প্র্যাক্টিকাল ক্লাসের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব।
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৮55883
  • ছেলেদের আর মেয়েদের সব কিছুতেই সমানাধিকার, এতে একমত।

    কিন্তু "মেয়ে এবং ছেলেদের ভেতর পার্থক্য কেবল চেহারাগত। আর কোনো তফাৎ নেই থাকতে পারেনা, থাকা সম্ভব নয়।" এটা কি ঠিক? দুয়েক জায়গায় পড়েছি যে ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে বেশ কিছুটা সাইকোলজিকাল পার্থক্যও আছে। তবে এই ব্যাপারে আমার খুব বেশী ধারনা নেই, অন্যরা এটা নিয়ে লিখলে ভালো হয়।
  • ঠিক | 132.177.242.59 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩২55884
  • এই পয়েন্টটা নিয়ে লিখব ভাবছিলাম। চেহারাগত ছাড়াও আরও অনেক পার্থক্য আছে। সমানাধিকারের দাবিতে একমত হয়েও বলতে চাওয়া উচিত, ছেলে আর মেয়ে "সমান" নয়। আলাদা। কেউ উঁচু কেউ নিচু নয়, আলাদা এনটিটি। আলাদা ফিজিক, আলাদা মানসিকতা, আলাদা দৃষ্টিভঙ্গী। এইটা স্বীকার করে নিয়ে অধিকারের কথা বললে ভালো হয়।
  • Soumit Deb | 111.221.135.94 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:৪০55885
  • অবশ্যই আলাদা এন্টিটি। একেবারে ডিফারেন্ট। আসলে চেহারাগত বলে ওই গোটাটাকেই ধরতে চেয়েছি। কিন্তু বিষয়টা কানেক্টিং হয়নি।
  • ranjan roy | 24.97.201.154 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:১৬55886
  • শারীরিক চিহ্ন= প্রাকৃতিক।
    প্রজননে ভূমিকা= প্রাকৃতিক।
    লিঙ্গ সচেতনতা ( মেয়ে বা ছেলের কোনটা পলিটিক্যালি করেক্ট বিহেভিয়র)= সামাজিক নির্মাণ।

    আমাদের অবচেতনেঃ
    ১) পেশাঃ
    ছেলে= ইঞ্জিনিয়র।ডাক্তার। মেয়ে= শিক্ষিকা।
    [ টীকাঃ মেয়েরা পুরুষ গাইনিকেও দেখান। কিন্তু ছেলেরা মহিলা ডাক্তারকে? ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে।]
    ছেলে= ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, রেফারী, পুলিশ। পাইলট।
    মেয়ে=রিসেপশনিস্ট, পি এ। ক্লার্ক। এয়ারহোস্টেস।

    ২)সঙ্গীতঃ ছেলে= তবলাবাদক, সেতার বাদক, পারকাশনিস্ট। গায়ক।
    মেয়ে= অভিনেত্রী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী। হারমনিয়াম বাদক।

    ৩) বিয়ে/পরিবার
    ছেলে= ভালো মাইনে, শক্তসমর্থ, হাইট।
    মেয়ে= সুন্দরী, ফর্সা, গৃহকর্মনিপুণা।চাকরি স্বামীর শহরেই হতে হবে।
    ছেলে= ঘরজামাই হলে? ছি ছি!
    মেয়ে= গৃহবধূ হলে আদর্শ; আলাদা থাকলে--ঘরভাঙানি।
    ছেলেমেয়ে দুজনকেই শুধু ছেলের মা-বাবাকে দেখতে হবে। মেয়ের মা-বাবা? যদি ছেলে না থাকে? বৃদ্ধাশ্রমে যাবে।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:৩১55887
  • ডাক্তারিও ছেলেদের? আর ছেলেরা শিক্ষকতা করলে? সেরেছে। আজকাল তো সব জায়্গায় ছেলে রিসেপশনিস্ট দেখি। পিএ মনে হয় এখন আর তেমন নেই। মাইকেল জ্যাক্শন যে নাচতো?
  • pi | 233.231.40.73 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:০৪55888
  • আজকাল সব বিমানেই বিমানসেবক দেখি। স্টিরিওটাইপ আস্তে হলেও ভাঙছে। তা সে কর্পোরেট দুনিয়া করলেও তো ভাঙছে।
    ওদিকে কোন একটা সিনেমায় বোধহয় হাউস-হাজব্যাণ্ড এর রোল আসতে চলেছে। সাগ্রহে অপেক্ষা করছি।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:০৯55889
  • শুধু মাইকেল জ্যাকসন কেন? উদয়শংকরও নাচতো এবং তাদের পরিবারের অনেক পুরুষই নাচত। বলিউড ডান্স ঘরাণায় এখন ছেলেরা দল বেঁধে নাচ শিখছে হুড়োহুড়ি করে। সীট পাচ্ছে না।

    তাহলে তো ইন্দিরা গান্ধী মেয়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিভা পাতিল মেয়ে প্রেসিডেন্ট, ইত্যাদি বেশ কিছু উপমা টেনে আনা যায়। অ্যামেরিকায় তো মেয়েদের পোলিটিকসে খুব কম যাতায়াত।

    মেয়ে ডাক্তার সংখ্যায় কিছু কম। বরং বেশ কিছু প্রোফেশনে মেয়েরা প্রায় নেইই বললে চলে। ট্রেন চালক, পাইলট, বাস ড্রাইভার, ট্যাক্সি চালক, লরি চালক, ট্রাম/মেট্রো চালক। কেন?
    ইঞ্জিনীয়ারিং এর কিছু স্ট্রীমে। মেরিন, মাইনিং, অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস, মেক্যানিকাল, ইত্যাদি। কেন?
    নার্সিং এ ছেলে অপেক্ষাকৃত কম কেন?
    প্রোফেশনাল রাঁধুনী অধিকাংশই ছেলে কেন?
    প্রোফেশনাল পেইন্টার অধিকাংশই ছেলে কেন?

    হাউজওয়াইফ এত বেশি কেন?
    হাউজহাজবেন্ড ডুমুরের ফুল কেন?
    মেয়েদের চাকরিতে নেবার সময় জিগ্যেস করে কেন, কটা বাচ্চা আছে, কত বয়স তাদের, ইত্যাদি?

    আরো আছে।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৩55890
  • লুরুতে মহিলা কন্ডাকটার দেখেছি। ড্রাইভারও।

    সাউথ এশিয়ায় মহিলারা রাজনীতিতে খুব সফল। পাকিস্তানেও বেনজির ভুট্টো ছিলেন। বাংলাদেশের দুই বড় দলের নেত্রীই মহিলা। শ্রীলংকাতেও তো মা মেয়ে সরকার চালিয়েছেন।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৫55891
  • আর চাক্রির ইন্টারভিউতে ছেলেদেরও পার্সোনাল লাইফ নিয়ে কোস্চেন করা হয়।

    প্রোফেশনাল রাঁধুনী অধিকাংশই ছেলে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখনো পাইনি।
  • pi | 233.231.40.73 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৮55892
  • আমি ভাটে জিগিয়েছিলাম একবার। অনেক আলোচনা হয়েছিল। শেষে মনে হয় কেউ কেউ বলেছিল, প্রফেশনাল রাঁধুনি হতে হলে প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, সেটা একটা কারণ হতে পারে।

    সেদিন লিলুয়ার দিকে একজন আর এদিকে এক গ্রামের দিকে একজন মহিলা ফুচকাওয়ালী দেখে দারুণ লাগলো। আমি স্বচক্ষে আর দেখিনি তেমন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৯55893
  • মেয়েদের স্যালারী কম। একই কাজের জন্য। চা বাগান ইত্যাদিতে পরিষ্কার রেট চার্ট আছে কুলি ও কামিনদের জন্য।
    পৃথিবীর প্রচুর দেশে বিয়ের পরে পদবী পাল্টাতে হয়।
    জন্মের পরে পিতার পদবী নিতে হয়। কেন?
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:২১55894
  • আমার এক বন্ধু বলেছিলো যে মেয়েরা নাকি ক্রিয়েটিভ কাজে ভালোনা, রিপিটেটিভ কাজে ভালো।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:২৯55895
  • ক্রিয়েটিভ কাজে ভালো না, কেন?
    রিপিটেটিভ কাজে ভালো, কেন?
  • pi | 233.231.40.73 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩০55896
  • আজ শুনলাম, মেয়েদের আডভান্স প্রেগনান্সিতে পুরো ছুটি দেবার ( পেড লিভ) নিয়ম আছে লেবার ল য়ে, ইঁট ভাটাগুলোতে। বেশিরভাগই দেয়না। সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এলেও প্রেগনান্ট মহিলা আছে কিনা , সেসব নাকি চেপে যায় !
    অবশ্য সরকারি কর্মীরাই বা ক'টা ভাটায় যান। এইসব মাইগ্রান্ট শ্রমিকদের অবস্থা তো ভয়াবহ। প্রায় কোন স্কিমের আওতাতেই আসেন না। আর মহিলাদের অবস্থা আরো অনেক বেশি খারাপ। কী অবস্থায় কী কাজ করেন ভাবা যায়না। তারপর সেই অবস্থায় সন্তান ধারণ, প্রসব , পালন .. এর থেকে খারাপ অবস্থা বোধহয় কমজনেরই হয়। তারপর আছে মদ খেয়ে এসে মরদদের পিটুনি।

    আর ফিজিক্যাল লেবারের কাজগুলোতে আউটপুট অনুযায়ী টাকা দিতে দেখি। মেয়েদের শারীরিক ক্ষমতা কম হবার কারণে আউটপুট অপেক্ষাকৃত কম, এই লজিকে কম টাকা দিতে দেখি। লেবার ল এই নিয়ে কী বলে ? ওয়েজে অফিশিয়ালি তো কোন ডিস্ক্রিমিনেশন নেই বোধহয় ?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩২55897
  • প্রোফেশনাল খেলাধুলোর জগতে (যেমন টেনিস) মেয়েদের প্রাইজ মানি কম কেন?
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৪55898
  • কম সেট খেলতে হয় বলে।
    প্রোফেশনাল খেলাধুলোর জগতে ছেলে মেয়েদের আলাদা কম্পিটিশন কেন?
    এইবারে ক্রিস রক জিগ্যেস করলেন "মেল আর ফিমেল অ্যাক্টরদের আলাদা ক্যাটেগরি কেন?'
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৯55899
  • চা বাগানে পরিষ্কার আইন আছে, এক ঘন্টায় কুলি যদি ৫০টাকা পায় তো কামিন ৪০ টাকা।
    তারপরে, একরকম লিখিয়ে নিয়ে আরো কম কম টাকা তো দেয়ই। বা কুলি কামিনের সংখ্যা বেশি বাড়িয়ে লেখার রেওয়াজ। সে অন্য প্রসঙ্গ। সেটা করাপশান।
    প্রোডাক্টিভিটির প্রশ্নে, হাই এন্ড ইন্ডাস্ত্রিতে পুরুষদের প্রোডাক্টিভিটি অনেক ক্ষেত্রেই কম। তারা স্মোকিং ব্রেক নেয় বেশি। হিসেব করলে দেখা যায়, ব্যাপারটা উল্টো।
    আমার নিজস্ব কেস স্টাডি ছিলো।
    টিকেটিং সিস্টেমে কাজ। কে কটা টিকিট সলভ করছে। সফটোয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে। পরিসংখ্যান অন্য কথা বলে। হয়ত রিপিটেটিভ টাস্ক , তাই। কিন্তু, মেয়েরা প্রায় দ্বিগুণ টিকিট ক্লোজ করেছে। ছেলেরা কফি ব্রেক, সিগারেট ব্রেক বেশি নিয়েছে বলে কিনা জানি না, কিন্তু স্পীড কম ছিলো।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪০55900
  • কম সেট খেলায় কেন?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪১55901
  • মেয়েদের হেলথ ইনশিওরেন্সের প্রিমিয়াম বেশি দিতে হয় কেন?
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৪৪55902
  • মেয়েদের জামাকাপড় জুতো এত আনকফর্টেবল কেন?

    মেয়েদের টিশার্ট পাতলা কোয়ালিটির কাপড়্ন দিয়ে বানায় কেন? ছেলেদের টিশার্টের কাপড় অনেক ভালো কোয়ালিটির কেন?

    সুইম সুটের ক্ষেত্রেও, ঐ। কেন?
  • Abhyu | 85.137.4.219 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৪55925
  • মারিয়ম মীর্জাখানি যখন ফিল্ড্স মেডেল পেলেন তখনও এরকম দেখা গিয়েছিল। ম্যাথের বাইরের লোকের কথা বাদই দিলাম, মীর্জাখানির কাজের এক লাইনও বোঝার সামর্থ্য নেই তবে ম্যাথের পিএইচডি আছে এরকম ছেলেরাও "মেয়ে বলে অ্যাওয়ার্ড" গোছের আওয়াজ দিয়েছে। আর "দেখে তো মেয়ে বলে বোঝাই যায় না" গোছের কমেন্ট তো আছেই।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০২:২১55926
  • মফস্বল গ্রামের দিকে এদেশে সত্যিই মেয়েদের সাবজেক্ট আলাদা। মানা না মানার কথা নয়। ঘটনা।
    এই অবস্থা আগে আরো বাজে ছিল। মেয়েরা ইচ্ছে করে পড়াশুনো করত না, আওয়াজ খাবার বুলি হবার ভয়ে। আমার এক শিক্ষিকার মুখে শুনেছি। তিনি খুব অল্প বয়সে এসেছিলেন পূবের গেশ থেকে। তিনি সব বাধা পেরিয়ে একার চেষ্টায় মনের জোরে পড়াশুনো চালিয়ে যান। ইদানীং রিটায়ার করেছেন।
    মানা না মানার কথা যদি ওঠে তবে বলব, এরকম ব্যবস্থা মেনে নেয়া উচিৎ নয়। কিন্তু এখনো এরকমই চলছে। পরিবর্তন নেগলিজিবলি স্মল।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০২:২৫55927
  • "মেয়ে বলে পাঁচ পেয়েছিস" এরকম আওয়াজ তো আমি নিয়মিত খেয়েছি আমার ক্লাসমেট বা অন্যান্যদের থেকে। আরো রূঢ় কথাও শুনেছি। প্রথমে অবাক হতাম কান্না পেত, পরে পাত্তা দিতাম না।
  • Ekak | 212.62.91.53 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৭55928
  • এগুলো চাকরির জায়গাতেও শুনেছি । মেয়েরা পদোন্নতি করলে আলাদা করে মেয়ে বলে কারণ খোঁজা :) ছোটবেলাতেও তো , ছেলে বাচ্চাদের আলাদা করে এটা মাথায় ঢোকানো হয় যে ক্লাসের মেয়েদের সামনে পড়া না পারা কতটা লজ্জার ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০২:৪০55929
  • পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে কোন কোন পুরুষ বসের সঙ্গে শুয়েছে। চেনা ছক।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০55930
  • আরে সে, একই গরুর রচনা চালালে হবে? এখন তো মেয়েরাই প্রচুর কোম্পানির বস। অধস্তন রাও মেয়ে। সুতরাং কে কাকে দোষ দেবে?
    মেয়েরা সায়েন্স, ম্যাথস, ফিনান্সে যত উন্নতি করবে ততই তো ভালো।
    খালি ছেলেরাই যত নন্দ ঘোষ টাইপ প্যাঁচাল না পারলেই হলো।
  • Abhyu | 85.137.4.219 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:০৩55931
  • আমার 19:14:16 IST পোস্টটা কিন্তু "মফস্বল গ্রামের দিকে"র গল্প নয়। রীতিমত ডিগ্রীধারী লোকের "মূর্খতার উচ্চ স্তম্ভ ও অহঙ্কারের হাস্যকর প্রকাশ " :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন