এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গণতন্ত্র = ভোটতন্ত্র এবং পুতুলনাচের ইতিকথা

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০১৬ | ৭১২২ বার পঠিত
  • যথারীতি 'ভোট ‘ এসে গেলো । পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে (!) পঞ্চায়েত ,জেলা পরিষদ ,মিউনিসিপ্যালিটি থেকে শুরু করে রাজ্য ,কেন্দ্র , বিভিন্ন উপ নির্বাচন ইত্যাদি মিলিয়ে ক্যালেন্ডারের প্রায় ৩৬৫ দিন ধরে কোথাও না কোথাও ‘ ভোট ‘ লেগেই রয়েছে । রয়টারের রিপোর্ট অনুযায়ী কেবল মাত্র গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৩০০০০ কোটি টাকা সরকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিকদল মিলিয়ে খরচ করেছেন আমাদের মাননীয় সাংসদ নির্বাচনের স্বার্থে । আমরা যদি এর সাথে পঞ্চায়েত ,জেলা পরিষদ ,মিউনিসিপ্যালিটি থেকে শুরু করে রাজ্য ,কেন্দ্র ,উপ নির্বাচন ইত্যাদি খরচের পরিমাণ যোগ করি সম্ভবত অঙ্কটি দ্বিগুণ অথবা তিনগুন পরিমানে পৌঁছাতে পারে । তার সাথে ভোটার কার্ড ,ভোটার লিস্ট ,আধা সামরিকবাহিনীর নিযুক্ত করার প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ এবং নানাবিধ খরচ খরচা মিলিয়ে অঙ্কের পরিমাণ যদি ১০০,০০০ কোটি’র মাত্রা অতিক্রম করে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই । পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের স্বার্থে এইটুকু অর্থ তো খরচ করাই যায় ।

    প্রত্যেক নির্বাচনের মতই এইবারেও গলি থেকে রাজপথ ,কুঁড়ে ঘরের দেওয়াল থেকে বিলবোর্ড এই দলের ক্যান্ডিডেট ওইদলের ক্যান্ডিডেটের নাম , নিশান, মুষ্টিবদ্ধ হাত, স্লোগান এবং প্রতিশ্রুতির বন্যায় মুখ ঢেকেছে । আমাদের ইতিমধ্যে গা'সওয়া এই পুতুলনাচের বিজ্ঞাপনে মূল নাটকের কাহিনী এক থাকলেও একঘেয়েমি কাটাতে নাটকের নাটকীয়তার টান টান উত্তেজনার প্রাথমিক শর্ত হিসাবে কিছু সময়ের ব্যবধানে পাত্র পাত্রী এবং চরিত্র বদলে যায়। গতবারের ভিলেন এইবার হয়ে যান পমেটম মাখা শয্যাসঙ্গী । কিছু বছর পূর্বের গণতন্ত্র হত্যাকারী এইবারে উইগ পাল্টে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধার পালার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ।

    এই বিপুল নির্বাচন প্রার্থী ,বিজ্ঞাপনের পাহাড়ের মধ্যে কখনো সখনো 'ভোট বয়কটের’ ডাক চোখে পড়ে বিশ্বজুড়ে । ভোট বয়কট ক্যাম্পের সদস্যদের মধ্যে প্রায় সকলেই বামপন্থী এবং এদের অধিকাংশই নিজেদের বিপ্লবীদল হিসাবে দাবী করেন । অনেকেই আবার ভোট বয়কটের ডাক দেন বিশুদ্ধ লজিস্টিকাল কারনে ,নিজেদের ক্যান্ডিডেটদের জমানত জব্দের অবমাননার হাত থেকে বাঁচতে । এদের এই ভোট বয়কটের ডাকের পেছনে না আছে কোন গভীর রাজনৈতিক কারন বা দর্শন , যেমন ধরুন স্পেনের ‘পডেমস’ একদা ’'নো ভোটের’' চ্যাম্পিয়ন সহসা নূতন রাজনৈতিক কোয়ালিশন করে ভোটের বাজারে নেমে পড়েন । কিন্তু তার মধ্যেও অনেকেরই ভোট বয়কটের’ ডাকের পেছনে লজিস্টিকাল কারনের সুবিধাবাদীত্ব নয় বরং বিভিন্ন গভীর রাজনৈতিক দর্শন বর্তমান যা আমাদের পুতুলনাচের অভস্ত্য জীবনে মাঝে মাঝে অনুরণন তোলে। ভাবতে বাধ্য করায় এই একঘেয়ে পুতুলনাচের বাইরে জীবনের কথা । এই ভোটতন্ত্রের অসাড়তার কথা । যেখানে দৃশ্য তৈরি হয় বাস্তবের পটভূমিতে ,কেন্দ্রীয় চরিত্র পেশাদার ঘাগু অভিনেতা’দের হাত থেকে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় জনতার স্বতস্ফুর্ততায় ।

    আপাতত বর্ষার তুমুল বর্ষণে এই অনাবশ্যক জঞ্জালের পাহাড় না ধুয়ে যাওয়া পর্যন্ত এই দৃশ্য দূষণ , প্রতিশ্রুতির বন্যার হাত থেকে রেহাই নেই । রেসের ঘোড়ার ওপর বাজি লাগানোর অথবা লটারিতে জিতে যাওয়ার বিভিন্ন ফর্মুলা ,গবেষণা লব্ধ বিশদ জ্ঞান ,অনুমান , বিশেষজ্ঞ মতামত ,আশা ,হতাশা , নিরাশা ,উত্তেজনা’র ক্ষণিক অবসান হবে আমাদের রাজ্যে তুমুল বর্ষার মাঝামাঝি এবং পৃথিবীর সব থেকে বৃহৎ সংগঠিত পুতুলনাচের পালা আমেরিকায় তার কিছুদিন পরে । তার পর আবার কোথাও নূতন উদ্যমে পুতুলনাচের পালা ।

    আমেরিকার নির্বাচনী পুতুলনাচের এইবারের পালার অন্যতম বর্ণময় চরিত্র বার্নি “স্যান্ডার্স যখন উইংসের বাইরে খঞ্জনি বাজাতেন সেই ২০১০ সালে The Nation পত্রিকার এক প্রবন্ধে মতামত দিয়েছিলেন ‘ "upper-crust of extremely wealthy families are hell-bent on destroying the democratic vision of a strong middle-class … In its place they are determined to create an oligarchy in which a small number of families control the economic and political life of our country."

    ২০০৭ সালের প্রাপ্ত হিসাবে আমেরিকার মাত্র ১% জনতার হাতে দেশের ৮০% সম্পদ বর্তমান , মাত্র ৪০০জন উচ্চ পর্যায়ের ধনী ব্যাক্তির হাতে আমেরিকার অর্ধেকের বেশী সম্পদ আর এনারাই নির্বাচন নামক পুতুলনাচের 'বিগ ডোনার’ বর্তমানে এনাদেরই ডোনেশনে বার্নি এবং বাকি চরিত্রদের নাচন কোঁদন । বার্নি যখন পার্শ্ব চরিত্র অভিনেতা ছিলেন তখন ভুল করে এই সত্য বলে গেছেন ।

    তবে আমাদের রাজ্যে বিষয় টি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ,এক কথায় ইউনিক । এখানে নির্বাচনের খরচ মূলত দু ভাবে সংগৃহীত হয় । একদল উচ্চ পর্যায়ের শিল্প সংগ্রাহক উচিৎ মূল্যে ছবি কিনে থাকেন, অন্য খুচরো আমদানি বাদ দিলে মূলত সেই ছবি বিক্রির পয়সায় দল নির্বাচন লড়ে অন্যদিকে আরেক দল শেয়াল'দা স্টেসানে কৌটো ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে সারা দেশে আলিসান পার্টি অফিস বানান এবং সেখান থেকেই পুতুলনাচের পালা নির্দেশিত হয় ।

    গণতন্ত্র = “ Denial , Inequality , Cartel”

    পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম মাত্র কয়েক বছর হোল প্রায় প্রত্যেকেই নিজেকে ,নিজেদের আজকাল 'গণতান্ত্রিক' বলে ঘোষণা করতে ভালোবাসেন । অধ্যাপক গণতন্ত্র বিষয়ে লম্বা লেকচার দেন - ক্যাম্পাসের বাইরে গণতন্ত্র রেখে এসে । গণতন্ত্র শব্দটায় এমন অদ্ভুত যাদু তার যে কোন অর্থ হতে পারে যে কারনে উত্তর কোরিয়াও নিজেদের Democratic People’s Republic বলে ঘোষণা করে থাকেন । গণতন্ত্র প্রায় জলের মত । সব কিছুর সাথে খাপ খায় অদ্ভুত ভাবে, যে পাত্রে রাখবেন সেই পাত্রের আকার ধারণ করার অদ্ভুত ক্ষমতা । প্রবল ক্যাপিটালিস্টের কাছে ,গণতন্ত্র ক্যাপিটালিজমের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত । প্রবল সোশ্যালিজমের কাছে গণতন্ত্র সোশ্যালিজমের সাথে অচ্ছেদ্য। এমনকি গণতন্ত্র নাকি ডিক্টেটরশিপ ,অ্যানারকিজম ,ইসলাম ইত্যাদির সাথেও বিচ্ছেদ ঘটানোই যায়না । এরই মধ্যে চরম আধিপত্য কে 'গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা' বলে সুন্দর শব্দগুচ্ছ আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন মহামতি লেনিন ।

    গণতন্ত্র মানেই তা 'সত্য ,সুন্দর এবং শ্বাসত ' , এই গণতন্ত্রের বিভিন্ন রকমের রূপ ,গন্ধ এবং স্বাদ ঃ- কন্সটিটিউসনাল ডেমক্রাসি , লিবারেল ডেমক্রাসি , সোশ্যাল ডেমক্রাসি , খ্রিসচিয়ান ডেমোক্রাসি, উত্তর কোরিয়ান ডেমক্রাসি এমনকি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেমোক্রাসি পর্যন্ত । ঠিকে করা 'শ্রীজাতা' কবিরা গণতন্ত্রের মাহাত্ম্য গেয়ে থাকেন ( সবাই নন অবশ্যই ) অন্যদিকে গণতন্ত্রের প্রতি সন্ধিহান আরেক কবি Oscar Wilde, লিখেছিলেন “democracy means simply the bludgeoning of the people, by the people, and for the people. It has been found out."

    অথচ বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত অতি নগণ্য হাতে গোনা দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা বজায় ছিল । উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত অভিজ্ঞতা লব্ধ সাধারণ জ্ঞানে মানুষ গণতন্ত্রের চরম বিরোধিতা করে এসেছে । আমেরিকার কৃষকেরা গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন তার সাথে সাথে কৃষক বিরোধী অ্যান্টি ফেডারিলিস্টরাও । ১৯শতকের সময় থেকে যখন ইউরোপে গণতন্ত্র সন্মান পেতে শুরু করে ,ততদিনে তার এথেন্সিয় প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে গেছে । এতদিনে তা 'প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র’। নাগরিক এখন ইলেক্টরেট কিন্তু এখনো সংখ্যালঘু। এই সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ কেবল পুরুষ সময়ে সময়ে তাঁদের শাসক নির্বাচিত করতে থাকলেন মেজরিটি ভোটের মাধ্যমে অথবা যে স্বল্পসংখ্যক মানুষের ভোটাধিকার ছিল তাঁদের মধ্যে মেজরিটি ভোটের মাধ্যমে । নির্বাচিত শাসক এর পর বাকি শাসকদের মনোনীত করতে থাকবেন। যেরকমটি চিরকালটি হয়ে এসেছে - যে কেউ কেউ শাসন করবে আর বাকিরা শাসিত হবে ।

    ১৯শতকের এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যখন অতি অল্প সংখ্যক দেশে বর্তমান তখন তা বৌদ্ধিক সমর্থনে পেয়ে গেলো জন স্টুয়ারট মিল এর মত কিছু বুদ্ধিজীবীর কিন্তু সাথে সাথে সমপরিমাণ সক্ষম বুদ্ধিজীবী হার্বাট স্পেন্সার , নিৎসে , প্রুধো গণতন্ত্রের দার্শনিক ভিত্তির বিরোধিতা করতে থাকলেন , প্রশ্ন তুলতে থাকলেন গণতন্ত্রের কার্যকারিতা বিষয়ে । কিন্তু সেকুলারিজমের সাথে সাথে গণতন্ত্র সেই সময়ের উদীয়মান রাজনৈতিক দর্শন। ধীরে ধীরে জাতীয়তাবাদ , লিবারেলিজম ,সোশ্যালিজম এবং খ্রিস্টিয়ানিটি কে জায়গা করে দিতে থাকলো নিজের পরিসরে । অথবা গণতন্ত্রের আইডিয়া তে ভর করে জাতীয়তাবাদ , লিবারেলিজম ,সোশ্যালিজম এবং খ্রিস্টিয়ানিটি গণতন্ত্রে মিলে মিশে এক বিদঘুটে জগাখিচুড়ী । একে অপরকে স্বীকৃতি এবং বিপুল মাহাত্ম্য কির্তন প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র’ কে মান্যতা দিতে থাকলো দ্রুত ।

    এই সময় অ্যালবেরিকো জেন্টিলি নামক এক অক্সফোর্ডিয় সিভিল আইনের প্রফেসর যুক্তি সাজালেন - যে সমস্ত ফাঁকা জমি এখনো চাষ না করে ফেলে রাখা হয়েছে সেই সমস্ত জমি প্রকৃতির নিয়মে দখল করে নেওয়া রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলে ধরতে হবে । সাধারণের সম্পত্তি ‘কমন’ এর সীমা সঙ্কুচিত হয়ে গেলো গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে। গণতন্ত্রের সেই প্রাথমিক যুগ ইউরোপের কলোনি বিস্তারের যুগ ,মার্কেট ইকনমি প্রতিষ্ঠার যুগ,দাস ব্যবসার ঘৃণ্যতার যুগ । জন লকে -ঘোষণা করলেন নেটিভ জনতার সম্পত্তি ,জীবন এবং স্বাধীনতার বিন্দুমাত্র অধিকার নেই । আমেরিকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর রাজাদের তাদের এলাকার জমির ওপর কোন আইনগত অধিকারই নেই এই মর্মে ডিক্রী ঘোষিত হোল । ঠিক এখনো এই ধরনের ডিক্রী বলে নিয়ামগিরি পাহাড় অথবা বস্তারের জঙ্গল দেশের উন্নতির স্বার্থে দখল হয়ে যায় ।

    জন লকে "Father of Liberalism" ক্রীতদাসের মালিকের ক্রীতদাসের ওপর অধিকার স্বীকার করে নিয়ে বললেন ‘ Absolute ,arbitrary, despotical power’ এই ক্ষমতার মধ্যে ‘ the power to kill him any time’ অন্যতম । সেকুলারিজম এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার অগ্রগামী ব্যবস্থাপকেরা তাদের পূর্বের পোপ তন্ত্র অথবা ধর্মীয় বিধানের পূরানো অভ্যাসে ফিরে গেলেন । গণতন্ত্র এবং সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হিসাবে বলা হয়েছিল -শান্তিপূর্ণ ,স্বাধীন ,ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সমতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এক নূতন রাজনৈতিক ব্যবস্থা কিন্তু এই ‘ Absolute ,arbitrary, despotical power’ এর বন্দুকের নলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রসার“"Liberty, Equality, Fraternity" ‘র নাটকীয় স্লোগান অচিরাৎ পরিবর্তিত হয়ে গেল ................................................... “ Denial , Inequality , Cartel” এর বাস্তবতায় ।

    গণতন্ত্র = সংখ্যালঘুর ভোটে নির্বাচিত শাসকের সংখ্যাগুরু শাসন

    ভারতের ১২০কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫% ভোট দানের অধিকারী , বাকি অপ্রাপ্তবয়স্ক,মানসিক রুগী ইত্যাদি । গত পঞ্চাশ বছরের গড় ভোট দানের হিসাব আনুমানিক ৫৫% ভোট দাতা সাধারনত ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে উপস্থিত হন । আমরা এর মধ্যে ছাপ্পা ভোটের সত্যতা এবং মিলিটারি দিয়ে কাশ্মীরে বা ছত্তিসগড়ে ঘাড় ধরে ভোট দান হয়ে থাকে সেই সত্য তথ্যের খাতিরে হিসাবে আনছিনা । অর্থাৎ ভারতের ১২০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৪২কোটি লোক ভোট দিয়ে থাকেন যা মোট জনসংখ্যার ৩৫% কিছু কম বা কিছু বেশী । গত নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি এই ৩৫% ভোটদাতার মধ্যে থেকে ৩১% ভোট পেয়ে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে আমাদের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়েছেন আগামী ৫ বছরের জন্য । অর্থাৎ সমস্ত ভারতবাসীর মাত্র ১৩% ভোটে আগামী ৫ বছরের নিরঙ্কুশ শাসকের অধিকার । সংখ্যাতত্ববিদেরা চুলচেরা হিসাব করে হয়ত দেখাতে পারেন যে বিভিন্ন কোয়ালিশন সরকার এর থেকে কম পরিমান ভোট পেয়েও দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বনেছেন।

    ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র ঠিক যেন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি চালানোর পাটিগণিত । বাজারে শেয়ার ছাড়া আছে কয়েকশো কোটি কিন্তু মাত্র সামান্য পরিমান শেয়ারের বলে কতিপয় ব্যক্তি যুগ যুগ ধরে কোম্পানির মালিকানা দখল করে রাখার পাটিগণিতের খেলা চালাতে থাকেন । ভারতের সর্ববৃহৎ বিজনেস গ্রুপ টাটা তে রতন টাটার ব্যক্তিগত শেয়ার হোল্ডিং ছিল ১%এর কম , অথচ ১০৮.৭৮ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি এবং ৬০০,০০০ কর্মচারীর মাই বাপ ছিলেন রতন টাটা । অগণিত শেয়ার হোল্ডাররা কাগজে কলমে কোম্পানির মালিক হলেও আসল মালিকানা থেকে যায় কতিপয় ব্যক্তির হাতে যারা চতুরতার সাথে জনতার পয়সায় সাম্রাজ্য চালান বাকিদের জন্য পড়ে থাকে বৎসরান্তে ছিটে ফোঁটা ডিভিডেন্ট ।

    গণতন্ত্রের এই দুর্বলতা ,বিশেষ করে বললে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে’র এই সংখ্যালঘুর ভোটের জোরে দেশবাসীর ওপর শাসনের অগনতান্ত্রিক অধিকার গনতন্ত্রের সূতিকাগার ফ্রান্স এবং আমেরিকা থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত । গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর পরে ১৯২০ সালে আমেরিকায় মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার প্রথম স্বীকৃতি পায় । গণতান্ত্রিক আমেরিকা তার জনসংখ্যার ৫১% কে দেশের নীতিনির্ধারণের আওতার বাইরে কেবল শয্যা সঙ্গী করে রেখে দেয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর ধরে । আমেরিকার দক্ষিণের প্রদেশগুলীতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান আমেরিকানদের ভোটাধিকারই ছিলোনা । তার সাথে জেল বন্দী ,মানসিক রোগগ্রস্ত ,ইমিগ্রান্ট ,গৃহহীন এমনকি দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের ভোটাধিকারের ক্ষমতা না থাকাকে আমরা যদি হিসাবের মধ্যে ধরি তাহলে দেখতে পাবো বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত মাত্র ১০% শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান নাগরিকের ভোটের ভিত্তিতে আপামর বিশ্বে ছড়ি ঘুরিয়েছেন আমেরিকার ৫২জন রাষ্ট্র প্রধান।আমেরিকার গণতন্ত্র ছিল কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান পুরুষদের হাতে ,কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের দ্বারা নির্বাচিত সংখ্যালঘু শাসকের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্ব শাসন ।

    অন্যদিকে সভ্যতার নামে নাক আকাশে তুলে রাখা ফ্রান্সের "Liberty, Equality, Fraternity" ঘোষণার অধিকারীরা মহিলাদের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন । মহিলাদের আবার লিবার্টি কিসের ? ফ্রান্সের মহিলারা প্রথম ভোটাধিকার পেলেন এই সবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ১৯৪৪ সালে । দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা (নারী ),তার ওপর অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই প্রায় দুশো বছর ধরে গণতন্ত্রের রথ গড়গড়িয়ে চলে গেলো ফ্রান্সের মত দেশে । গণতন্ত্রের এই যে আধা পবিত্র স্ট্যাটাস তার বস্তুত কোন ভিত্তিই নেই । তাই আমরা যারা এই নির্বাচনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী 'ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ জাতী বিদ্বেষী প্রচার এবং তার ক্রমাগত বেড়ে চলা জনপ্রিয়তা বিষয়ে আশঙ্কিত তারা বোধ হয় ভুলে গেছি যে এই দুর্বলতা গণতন্ত্রের বর্তমান ব্যবস্থার রক্তের মধ্যে প্রোথিত। হিটলার থেকে মোদী ,বুশ থেকে ইন্দিরা গান্ধী ,লি প্যাঁ থেকে বেগম খালেদা জিয়া এই ‘প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে ‘ সংখ্যা লঘিষ্ঠের ভোটেই সংখ্যা গরিষ্ঠ হিসাবে জিতে এসেছেন, না হলে সম্পূর্ণ উল্টোমতের রাজনৈতিক দলের সাথে সুবিধাবাদী রামধনু জোট বানিয়েছেন অথবা সংখ্যালঘুর সরকার ।

    বামপন্থা এবং সংসদীয় গণতন্ত্র

    পার্লামেন্ট যে পুঁজিবাদী সংস্থান এবং”প্রতিনিধিত্ব মূলক’ গণতন্ত্র যে প্রথম থেকেই সম্পদশালী ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষা’র উদ্দেশ্যে গঠিত সেই বিশ্লেষণ মার্কসবাদী এবং বামপন্থীদের কাছে অজানা ছিলোনা । সময়ের দাবীতে , সমাজের সম্পদহীন সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এবংসম্পদশালীদের সংখ্যালঘু অংশের দ্বন্দ্ব ,মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবীতে আন্দোলন ,আফ্রিকান অ্যামেরিকানদের ভোটাধিকারের দাবীর আন্দোলন এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সার্বজনীন মান্যতার কথা মাথায় রেখে ধীরে অতি ধীরে ইউরোপের গণতন্ত্র ১৯৬৫ সালে এসে সার্বজনীন ভোটাধিকার স্বীকার করেছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রায় তিনশো বছর পড়ে । এর মধ্যে ঘটে যাওয়া ফরাসী বিপ্লব চিরতরে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে যে বংশপরম্পরায় অভিজাতদের শাসনের অধিকার সমাপ্ত । ঘটে গেছে প্যারিস কমিউনের শ্রমিক অভ্যুথানের মাধ্যমে ডাইরেক্ট গণতন্ত্রের বিকল্প ব্যবস্থার দৃষ্টান্ত ।

    তারই মধ্যে জার্মানির পার্টির বুর্জুয়া পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ । মার্ক্সের মৃত্যুর পরের বছর জার্মান পার্টি ৫লাখে অধিক ভোট ,(১৮৮৪ ) ১৮৯০ এর মধ্যে দ্বিগুণ ভোট এবং ১৯১২ সালে ৪০ লক্ষ'র অধিক ভোটের প্রভাবে এঙ্গেলস ভাবতে থাকেন যে পার্লামেন্টারি ইলেকশন পার্টি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ব্রিলিয়ান্ট উপায় । কিন্তু পার্লামেন্ট যে পুঁজিবাদী সংস্থান ,ভেতর থেকে রিফর্ম যে অসাধ্য তা প্রমাণিত হতে শুরু করে দ্রুত । ক্ষমতার কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকা জার্মানির বামপন্থীরা শ্রেণী সংগ্রাম বিসর্জন দিয়ে শ্রেণী সমঝোতা , সুবিধাবাদের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেন । রোজা লুক্সেমবার্গ লেখেন ‘The kind of parliamentarism we now have in France, Italy, and Germany provide the soil for such illusions of current opportunism as overvaluation of social reforms, class and party collaboration, the hope of pacific development toward socialism, etc.’

    এঙ্গেলস জার্মানিতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক ভোটে সফলতা দেখে ভেবেছিলেন যে পার্লামেন্টারি ইলেকশন পার্টি এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ব্রিলিয়ান্ট উপায় কিন্তু সেই ভাবনায় কিঞ্চিৎ দুর্বলতা ছিল। তিনি ভাবেননি যে পার্লামেন্ট বিপ্লবীদের সুবিধাবাদিতে পরিনত করে । ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ততদিনে জার্মানির বৃহত্তম পার্টিতে পরিনত, ইতিমধ্যে রিফর্মিস্ট । ১৯১৪ সালে জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জার্মান পার্লামেন্ট রাইখস্ট্যাগে যুদ্ধের সপক্ষে ভোট দেয়। ব্রিলিয়ান্ট ই বটে । সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের পক্ষে মার্কসবাদী পার্টির নিরঙ্কুশ সমর্থন। পৃথিবীর সর্বত্র এই উধাহরন বর্তমান আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙ্গে দু টুকরো হওয়ার কারণও এই । ভারত চীন যুদ্ধে সুবিধাবাদী অবস্থান।

    রোজা লুক্সেমবার্গের নেতৃত্বে জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থী বিপ্লবী অংশ এই সুবিধাবাদী অবস্থানের বিরোধিতায় পার্টি ভেঙ্গে বেরিয়ে আসেন । গঠিত হয় USPD । ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় জনতা ক্ষমতা দখল করে । সশস্ত্র উপায়ে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে থাকে ইউরোপ এবং এশিয়ার বামপন্থী বিপ্লবী জনতা । বলশেভিক বিপ্লবের উধাহরনে ১৯১৮ সালের নভেম্বর মাসে জার্মানি জুড়ে শুরু হয় সশস্ত্র বিপ্লব ।১৯১৮ সালের ৩০সে ডিসেম্বর রোজা লুক্সেমবার্গের নেতৃত্বে গঠিত হয় জার্মান কমিউনিস্ট পার্টি KPD। রাশিয়া ততদিনে লেনিনের নেতৃত্বে জার্মানির সাথে ব্রেস্ট -লিটভস্ক চুক্তি আবদ্ধ । রাশিয়ায় গৃহযুদ্ধ তখন ৫০-৫০ অবস্থানে । রোজা লুক্সেমবার্গের নেতৃত্বে সশস্ত্র আন্দোলনে বলশেভিক সমর্থন শূন্য । ১৯১৯ সালে রোজা লুক্সেমবার্গ কমিউনিস্ট বিরোধী শক্তির হাতে নিহত হন । KPD আশু বিপ্লবের পথ থেকে সরে এসে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে যায় ।

    ১৯২০ সালের শেষের দিকে তৃতীয় আন্তর্জাতিকের মিটিং এর সময়ে বলশেভিক নেতৃত্ব রাশিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রায় জিতে আসার মত নির্ণায়ক অবস্থানে । রোজা লুক্সেমবার্গ -লেনিনের আন্তর্জাতিক তীক্ষ্ণ সমালোচক আততায়ীর হাতে ততদিনে নিহত হয়েছেন । লেনিনের আশু উদ্দেশ্য রাশিয়ার টালমাটাল সমাজতন্ত্র রক্ষা ,সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে আশ্বস্ত করা যে রাশিয়া বিশ্বজুড়ে বিপ্লবী যুদ্ধ বিস্তারে আগ্রহী নয় একই সাথে রাশিয়ার সমর্থনে বিশ্বের কমিউনিস্ট পার্টিগুলির আনুগত্য আদায় । প্রকাশিত হয় সমঝোতার দলিল ‘ Left-Wing Communism: An Infantile Disorder,’ । বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র উপায়ে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প উপায়ে সেই থেকে পার্মানেন্ট তালা চাবি । KPD ১৯২৩ সালে জার্মানির ভোটে ১০% ভোট পায় তার পর হিটলারের হাতে কচুকাটা হওয়ার অপেক্ষা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাশিয়ার অঙ্গুলিহেলনে পূর্ব জার্মানির শাসন ভার সামলানোর মধ্যে দিয়ে এঙ্গেলেস কথিত ব্রিলিয়ান্ট উপায় সফলতার সাথে নির্বাহ করে ।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত পুঁজিবাদী পার্লামেন্ট এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের তাত্বিক ঢাল হিসাবে পৃথিবীর সমস্ত বামপন্থী দল লেনিনের কম্প্রমাইস ফর্মুলা Left-Wing Communism: An Infantile Disorder,’ ব্যবহার করে এসেছে । তার পরবর্তীতে অবশ্য আর প্রয়োজন হয়নি কারণ ততদিনে ক্যাপিটালিজম সর্বগ্রাসী । কল্যাণকামী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে সুবিধাবাদী কমিউনিস্ট নেতৃত্বের লাল পতাকার রং ফিকে হতে হতে প্রায় গেরুয়া তে পর্যবসিত । কমিউনিস্ট পার্টির দাবী দাওয়া পিএফ, গ্রাচিউটি অথবা মেডিক্যাল লিভ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ । কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব ইন্দিরা গান্ধীর জরুরী অবস্থার সমর্থক ,মন্ত্রী সভার মাননীয় সদস্য । পরবর্তীতে বিভিন্ন বুর্জুয়া পার্টির মধস্ততায় তৃতীয় জোট গঠনের অনুঘটকের কর্মকাণ্ডই বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সমার্থক হিসাবে আমাদের মেনে নিতে বলে ব্রিগ্রেড ভরানো । ইউনিয়নের নেতৃত্বের মালিকপক্ষের সাথে সহযোগিতার ভুরি ভুরি নিদর্শন, কৌটো ঝাঁকিয়ে তিন তোলা মহল — মমতা দেবী তো কেবল অনুঘটক মাত্র ঘুণে ধরা শুরু তো সেই কবেই ।

    সারা পৃথিবী জুড়ে বামপন্থা’র পানাপুকুরে পরিনত হওয়ার প্রধান এবং অন্যতম কারণ পার্লামেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে পার্লামেন্ট সিস্টেম পরিবর্তিত করার দিবা স্বপ্ন দেখা এবং দেখানোর আত্মপ্রবঞ্চনা । তবুও মানুষ ভরসা করে , ঠকে ,উঠে দাঁড়ায় । হয়ত লাল পতাকাই শেষ ভরসা আর এই মজ্জাগত বিশ্বাসে ,অসংখ্য মানুষের আশার প্রতীক "আলেক্সিস সিপ্রাস " জানুয়ারি ২০১৫ তে এই সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাতে আসেন। গ্রিসবাসীর কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল আমরা "ক্রিচ্ছসাধন " মানিনা। ২০১৫ এর জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের শেষ অবধি"আলেক্সিস সিপ্রাস “এর শাসন কালে গ্রিসের জনতা সাক্ষী থেকেছেন ~ অনন্ত উন্মাদনা,আত্মাভিমান পুনঃরুধ্বারের উজ্বল আশা ,দেশব্যাপী রেফারেন্ডাম এবং অবশেষে লজ্জাজনক আরও কঠিন চুক্তি সম্পাদনের কঠিন হতাশার। "আলেক্সিস সিপ্রাস " পার্লামেন্ট ভঙ্গ করে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং আরও কঠিন ঋণ চুক্তি সম্পাদন করছেন । নূতন ঋণের চুক্তি হিসাবে গ্রিসের সমস্ত সরকারী সম্পত্তি এয়ারপোর্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ,হাসপাতাল থেকে পার্লামেন্ট ভবন বন্দক দেওয়া হয়েছে । আলেক্সিস সিপ্রাসের এই অসাধারণ Somersault সম্ভবত এই শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বামপন্থী বিশ্বাসঘাতকতার নজির হয়ে থাকলো ! সাথে পুনরায় প্রমাণিত হোল নির্বাচন ,পার্লামেন্ট ভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্র বামপন্থার পথ নয়।

    গণতন্ত্র ভোট তন্ত্র এবং পুতুলনাচ ঃ-

    আজকের দিনে পুঁজিবাদী শক্তি সমস্ত উৎপাদন ,বণ্টন এবং অর্থনীতির চাবিকাঠির ঠিকাদার । রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা জনতার ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে । নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রত্যেক নির্বাচনের সময়ে তার নির্দিষ্ট ইলেক্টরেটের সাথে প্রতিশ্রুতি এবং ম্যানিফেস্তোর মাধ্যমে মূলত সুবিধাবাদী চুক্তি করে । খুব একটা কঠিন কাজ নয় -আমি রাস্তা দেব ,কলেজে ওয়াইফাই দেব , প্রতি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ ,দু টাকা দামের চাল ,বিনি পয়সায় সাইকেল ,খুব বেশী হলে জাতের নামে আরক্ষণ এই ধরনের সামান্য প্রতিশ্রুতিতেই আজকাল ভোট সংগ্রহ করা সম্ভব । আমাদের সামনে অন্য কোন উন্নত বিকল্পই তো নেই চাইব টা কি ? চালাক ভোটার তার অঞ্চলে পার্টির পতাকার কি রং , কি উদ্দেশ্য ,কে প্রার্থী এইসব বিচারের পূর্বে প্রতিশ্রুতি ডেলিভারির সম্ভাবনা দেখে মনস্থির করে। তাই সাত খুনের আসামী ,দুর্নীতির দায়ে জেলখাটা প্রার্থী সহজেই নির্বাচিত হয় । সিস্টেম কে বাই পাস করে এই সব প্রফেশনাল দুর্নীতি গ্রস্ত আমাদের কাজ ঠিক আদায় করবে এই ভরসায়।প্রফেশনাল রাজনৈতিক নেতাদের কাজ এই ছোট ছোট প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট ভোটারদের যে কোন উপায়ে বুথে হাজির করানো। পৃথিবী জুড়ে ডেমক্র্যাট ,লেবার পার্টি ,কংগ্রেস ,তৃনমূল ,সিপিয়াইএম, বিজেপি ইত্যাদি সকলের এখন একই উপায় ‘আমার পার্টিকে ভোট দিন বিনিময়ে আমার পার্টি আপনাকে এই এই দেবে ‘ এলিটিস্ট পিতৃতান্ত্রিক অ্যাপ্রোচ । গন আন্দোলন ,গন অংশগ্রহণের বিন্দুমাত্র উত্তেজনা নেই ।

    এই রাজনীতি মেনেই নিয়েছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় সুতরাং এই ব্যবস্থার মধ্যেই কাজ করো । রাজনীতি এখন প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আপাত শ্রেষ্ঠ ম্যানেজমেন্ট টিম খোঁজার মধ্যে সীমাবদ্ধ। রাজনীতি ক্রমশ সংখ্যালঘু প্রফেশনাল রাজনীতিজ্ঞর হাতে সীমাবদ্ধ । অধিকাংশ জনতার রাজনীতি এখন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ভোটের বুথে গিয়ে EVM মেশিনে চাবি টেপার ঘেরাটোপে বন্দী, বাকি কাজ নির্বাচিত প্রতিনিধির । কিন্তু পুঁজিবাদী শ্রেণীর কাছে এই সামান্য অংশগ্রহণ যথেষ্ট । তাদের উৎপাদনের ব্যবস্থাপনা এবং শোষণের ধারাবাহিকতা আগামী পাঁচবছরের জন্য নিশ্চিন্ত, জনতার ভোটে এন্ডর্সড । তাই কে কার সঙ্গে জোট করলো ,কে স্টিং অপারেশনে মুখ দেখালো কিছুই যায় আসেনা ।

    ১৮৮২ সালে হার্বাট স্পেন্সারকে তার আমেরিকা ভ্রমণের সময় আমেরিকার স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন “ You retain the forms of freedom; but, so far as I can gather, there has been a considerable loss of the substance. It is true that those who rule you do not do it by means of retainers armed with swords; but they do it through regiments of men armed with voting papers, …………”Here it seems to me that “the sovereign people” is fast becoming a puppet which moves and speaks as wirepullers determine.”

    স্বাধীন ,শিক্ষিত জনতা কি করবে ? ভোটের উত্তেজনায় গা ভাসাবে না রাজনৈতিক দল বিশেষত বামপন্থী দলগুলিকে বাধ্য করবে এই সত্য মেনে নিতে যে ‘If voting changed anything they’d make it illegal.’
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ মার্চ ২০১৬ | ৭১২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • কল্লোল | 111.63.84.107 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৭56231
  • রাস্তা খোঁজা চলবেই। একটা বিষয় পরিষ্কার, পুঁজিবাদ সমাধান নয়। মর্কসীয় সমাজতন্ত্রের রাশিয়ান বা চিনা মডেলও সমাধান নয়। সমাধান বলতে আমি সব মানুষের ভালো থাকার কথা বোঝাচ্ছি।
    হয়তো রোজাভা আন্দোলন একটা রাস্তা বাতলাতেও পারে। তবে সেটাই একমাত্র রাস্তা এমনটা নিশ্চই নয়। মানুষের সামাজিক ভূমিকাকে ক্রমশঃ বাড়িয়ে তোলার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের পরিসরকে ছোট করে আনা, একটা উপায় হতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উৎপাদন ও বন্টনকে পুঁজি ও বাজারের হাত থেকে বের করে আনার কাজটিই দুরুহতম।
    মুস্কিল আর একটি। কোন একটি অঞ্চলে রাষ্ট্রের গুরুত্বকে কমিয়ে আনা হলেও, সেই সমাজের বৈদেশিক নীতি নিয়ে ও অন্য রাষ্ট্রগুলির সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা থাকবেই।
    জীবনের শেষ অংশে না হলেও, শেষের কছাকাছি পৌঁছেও স্বপ্ন দেখা ছাড়্তে রাজি নই।
    রাস্তা খোঁজা চলবেই.......
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.153 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৫:০৪56232
  • " জীবনের শেষ অংশে না হলেও, শেষের কছাকাছি পৌঁছেও স্বপ্ন দেখা ছাড়্তে রাজি নই।
    রাস্তা খোঁজা চলবেই.." কল্লোল দা আপনাকে বড় হাতের ক , কম্প্রমাইস সবাইকেই কম বেশী করতে হয় তাই বলে ভাবাও বন্ধ করে দেব ? কই ১৭ বছরের ওপর জেলেবন্দি অচালান তো ভাবা বন্ধ করেন নি ।
  • ranjan roy | 125.117.210.73 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৫:৪২56233
  • কী আশ্চর্য! ভাবা বন্ধ করলে তো মরে যাব।
    তবে এখনও কোন কিছু পরিষ্কার করে দেখতে পাচ্ছি না। হাতড়াচ্ছি।
  • | 127.194.83.17 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৬:১৫56234
  • @দেবব্রত,
    আমাকে উদ্দেশ্য বা উপলক্ষ্য করে যদি একথাটা বলে থাকেন, "বিপ্লবী তত্ব বা বিপ্লবী তত্ব নিয়ে মাথাঘামানো বলে যেটা মনে হচ্ছে আসলে সেটা অবাক হওয়ারই কথা এখন ...", তো আমি জানিয়ে রাখি, আমি অবাক মোটেই হইনি। আমার কথাটা স্পষ্ট। এমন হতাশ সময়ে-- উচ্চবর্ণের উচ্চবর্গের লেফটদের হতাশা হয়তো নিম্নবর্গীয় অস্পৃশ্য থেকে পলিটিক্যাল মেনস্ট্রিমে উঠে আসা জাতিসমূহের তরুণদের মানসিক অবস্থার থেকে আলাদা, কিন্তু সেখানে অন্তত লেফট পলিটিক্সের জোর নেই--

    কিন্তু সে যাহোক, এমন মধ্যবিত্ত-বিপ্লবী-মনের হতাশ সময়ে "নানা আজগুবি কথা ও তত্ত্ব হাওয়ায় ভাসবে, ও সেগুলোতে কান দেবার মতো মানুষের অভাব হবে না। কোনোটা সরাসরি স্থিতাবস্থার সওয়াল। কোনোটা বা ভীষণ বিপ্লবী, এতোই বিপ্লবী যে করে দেখার মতো সামান্য ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। তবে অন্যরকম কিছু থাকতেই পারে।"

    আর আজগুবি তত্ত্বপ্রস্তাব আমার কাছে ফেলে দেবার মতো জিনিস নয়। এমন একটা আজগুবি তত্ত্ব দিয়েছিলেন সুইস পেটেন্ট অফিসের এক করণিক। সেটা অনেক পরে নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেলটি দেবার সময়, "আহা, বাছা ছোটোবয়সে ভুল করেছে, কিন্তু ওর অন্য এই তত্ত্বটা খুব ভাল; তাই ওর ডেভিয়েশন সত্ত্বেও ওকে নোবেল দিলুম গো!" এমন বলেছিল।
    ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের তো আরও কেলো। গাণিতিক একটা প্রস্তাব দিলেন, নিজেই তার ফিজিক্যাল রিয়েলিটি সম্পর্কে ভাল কথা কিছু বললেন না, কিন্তু দেখা গেল ফিজিক্যাল রিয়ালিটি মোটের ওপর অমনটাই।

    সুতরাং তত্ত্বপ্রস্তাবের খসড়া আমি ফেলে দিতে রাজি নই। কিন্তু তার টেস্ট তো প্র্যাক্টিসে। কারা সেই প্র্যাক্টিস করছে, সেটা দেখতে হবে। যারা কথা বলছে, তারা কী করছে? তারা যদি কিছু নাই করে, কারা কী করছে? দেখতে হবে, নইলে টই ভরবে মৃতবৎসা চিন্তায়।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.153 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩৭56235
  • জ ঃ- তত্ব তো নূতন কিছু নয় । পূরানো পরীক্ষিত তত্ব যা কিনা কালের নিয়মে ভুলে যাওয়া হয়েছে তা স্মরণ করানো । বামপন্থীদের জায়গা তো রাস্তা ,কারখানা, খেত - ভোট তন্ত্রের কানাগলি নয় । প্র্যাকটিস তো অনেকেই করছেন /করেছেন মায় শঙ্কর গুহ নিয়োগী সমেত । কোথাও ক্ষুদ্র কোথাও বৃহৎ পরিসরে সুতরাং আজগুবিই বা হতে যাবে কেন ? মেন স্ট্রিম বামপন্থার বাইরেও বামপন্থা সেই ১৯১৭'র সময় থেকেই আছে । শুনবো কি শুনবো না তা অভ্যস্ত কানের ওপর নির্ভর করে । ভারতবর্ষে আজ পর্যন্ত ' রোজাভা ' নিয়ে কোন হেলদোল দূরের কোথা একটা যুতসই লেখা পর্যন্ত নেই হয়ত সম্পাদক এবং বিদগ্ধ লেখক গন মৃতবৎসা চিন্তায় পাতা /টই ভরানো ভেবেছেন ।
  • | 127.194.88.53 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৯:২৬56227
  • ভোট করার মধ্যে দিয়ে কিছু কিছু করা যায়, এটা প্রমাণিত। কেউ আলেন্দে হন, কেউ ইভো মোরালেস।
    কেউ বা নেপালের মাওবাদীদের মতো কিছু। এতে সন্তুষ্ট হতেই পারেন মধ্যবিত্ত। না হতেও পারেন। কিন্তু ভোটের বাইরে কী করা যায়, তা নিয়ে দুটো সমস্যা। এক, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দুই, না-জানা পথে গিয়ে কোন আঘাটায় ঠেকব, সেই ভাবনা।

    বিংশ শতকের ছয়ের দশক পর্যন্ত একধরণের আশাবাদ ছিল। সাতের দশকে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় দুই ক্ষেত্রেই সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠে, এবং বুদবুদের মতই মিলিয়ে যায়। কেননা, হাতে পেন্সিল ছাড়া তেমন কিছু পড়ে থাকেনি।

    বড় দুটো দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বদলে যে ব্যবস্থা হাজির হয়েছিল, সেটা সেখানকার মানুষের ততকালীন সমস্যাবলীর সমাধান যতটুকু ভালভাবে করেছিল, তা সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা করতে পারত না। সে সময়ে সেটা বড় এচিভমেন্ট ছিল। কিন্তু জনগণের হাতে ক্ষমতা দেবার প্রকল্প লাগু করা সেভাবে হয় নি, বা হলেও, তা ফলপ্রসূ হয় নি। তবে লেনিনের 'লেফট উইং কম্যুনিজম' বা ব্রেস্ট-লিতোভস্ক চুক্তি থেকেই তার শুরু কিনা, জানি না।

    ভিয়েতনাম কিউবা এমনকি কাম্পুচিয়া আলবেনিয়া হয়ত খানিকটা আবেগ সঞ্চার করতে পারে, কিন্তু ভারতের মতো দেশের কাছে এগুলো কোনো বিকল্প ব্যবস্থা দেখাতে পারে না, সংগ্রাম ও আর্থিক-রাজনৈতিক ক্ষমতার পথে কীভাবে এগোতে পারা যায় তা বলতে পারে না। আর আজকে তাদের অবস্থা তো তেমন বলার মতো কিছু নয়।

    এমতাবস্থায় নানা আজগুবি কথা ও তত্ত্ব হাওয়ায় ভাসবে, ও সেগুলোতে কান দেবার মতো মানুষের অভাব হবে না। কোনোটা সরাসরি স্থিতাবস্থার সওয়াল। কোনোটা বা ভীষণ বিপ্লবী, এতোই বিপ্লবী যে করে দেখার মতো সামান্য ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। তবে অন্যরকম কিছু থাকতেই পারে।

    দেবব্রত-র তত্ত্ব, বা তত্ত্ব তৈরির আগে গা ঘামানো, ঠিক কোন দলে যে পড়ে, জানি না। তবে দেখছি। আশায় বাঁচে চাষা।
  • ranjan roy | 125.117.235.26 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৯56228
  • আমার মত ঘরপোড়া গরুরা এখন সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়।
    আর" অকুল জলে ভাসলাম আমি কুলের আশা ছাড়ি" করার হিম্মত নেই।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.61 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১০:৩৬56229
  • জ ঃ- ভোট দিয়ে অনেক কিছু করা যায় , করা হয়েছে কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে করা যায়না তার অতীতের উধাহরন জার্মানির KPD এবং আধুনিক উদাহরণ গ্রীস যেখানে পূর্ণ বহুমত স্বত্বেও পুঁজিবাদী ব্যবস্থার কাছে মাথা নোয়াতে হয় ।

    ভোটের বাইরে -মানে সংসদীয় গণতন্ত্রের বাইরে ভোট দিয়েই প্যারী কমিউন ছিল , এমনকি রাশিয়ার ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের শেষ পর্যায় পর্যন্ত সোভিয়েত ছিল ভোটেই ,স্পেনের চার বছর ছিল ভোটেই ,২০ বছর ধরে মেক্সিকো তে যাপাতিস্তা আছে ভোটেই এবং গত ৪০ বছর ধরে PKK,এবং সেই সংগ্রামের ফল স্বরূপ বর্তমানে রোজাভা আছে যেখানে গণতন্ত্র নিচের স্তর থেকে ভোটের মাধ্যমেই উঠে আসে । কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র নয় ।

    আবার ভোট বয়কট করে ,প্রস্তুতিহীণ রাষ্ট্র বিরোধিতার ৭০এর উধাহরনও আছে ।

    বিপ্লবী তত্ব বা বিপ্লবী তত্ব নিয়ে মাথাঘামানো বলে যেটা মনে হচ্ছে আসলে সেটা অবাক হওয়ারই কথা এখন যখন ' এই রাজনীতি মেনেই নিয়েছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় সুতরাং এই ব্যবস্থার মধ্যেই কাজ করো । রাজনীতি এখন প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আপাত শ্রেষ্ঠ ম্যানেজমেন্ট টিম খোঁজার মধ্যে সীমাবদ্ধ।'

    স্থিতাবস্থা বাস্তবে তো বটেই এমনকি মানসিক স্তরেও ।
  • ranjan roy | 125.117.235.26 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১১:৪০56230
  • রাজনীতি এখন প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মধ্যে বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আপাত শ্রেষ্ঠ ম্যানেজমেন্ট টিম খোঁজার মধ্যে সীমাবদ্ধ।'

    -- এই লাইনটায় ক; সত্যবচন।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.167 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০১:১০56266
  • ইউটপিয়া ঃ- আর যাই বলুন আপত্তি নেই। আপনাকে আমার লেখার সাথে একমত হতে হবে এমন দিব্যি দেওয়া নেই তবে তথ্য নিয়ে বিশেষ বলবেন না । পুরানো বাতিল হয়ে যাওয়া ওষুধ নতুন নামে নতুন ভাবে নতুন দামে বাজারে আসে এবং পেটেন্ট পায় - একটু চেক করে নেবেন । সময় পেলে বিশদে লেখা যাবে । তথ্য না ঘেঁটে আমি তথ্য উল্লেখ করিনা । টাটার ব্যক্তিগত হোল্ডিং এবং টাটা সন্স এর হোল্ডিং এ ফারাক আছে । আপনি খুব ভালোই জানেন একটা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কি ভাবে কি পাটিগণিতে কি মাকড়সার জালের অঙ্কে চলে ।
  • dc | 132.164.41.106 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০১:১৫56267
  • আড়াইশো বছর আগেকার রেফারেন্স! এটা ক্লাসিক :d
  • কল্লোল | 111.63.80.36 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৫56236
  • ভারতীয় বামপন্থার একটা মুস্কিল হলো বড় বেশী প্রভু ভক্তি।
    মার্কস বাকুনিনের বিরুদ্ধে কি লিখলেন, সেটা পড়া হবে, কিন্তু বাকুনিন কি বলছেন তা আর দেখা হবে না।
    লেনিন রোজার সমালোচনায় কি লিখলেন সেটা পড়া হবে, কিন্তু রোজার বক্তব্য পড়া হবে না।
    স্তালিন ট্রটস্কির বিরোধীতা করে কি লিখলেন সেটা অবশ্যপাঠ্য, কিন্তু ট্রটস্কির লেখা ছোঁয়াও পাপ।
    অবশ্য এখন তো ওসব পাটই চুকে গেছে।পার্টির ইস্তেহার পড়ার সময়ই নেই সদস্যদের।
  • dc | 132.164.41.106 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৭56237
  • আমার তো পুঁজিবাদী ব্যাবস্থাকেই প্রেফারেবল মনে হয়, এখনো ওবধি যে সমস্ত ব্যাবস্থা আবিষ্কার বা অ্যাপ্লাই করা হয়েছে তাদের তুলনায়। পুঁজিবাদে যে ফ্রি কম্পিটিশন বা ফ্রি ট্রেডের কথা বলা হয় সেটা অ্যাপ্লাই করে তো দেখি অনেক সুফল পাওয়া যাচ্ছে। য়ুরোপের বেশ কিছু দেশে যে মিক্সড ইকনমি ফলো করা হয়, সেটা এখনো অবধি সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে মনে হয়। সরকারের উচিত শিক্ষা আর স্বাস্থ্য খাতে জোর দেওয়া, কিছু কিছু ইনফ্রা ডেভেলপ করা, রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস নিরপেক্ষ ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা, আর নানান সেক্টরে কমপিটিশন এনকারেজ করা। অবশ্যই ভবিষ্যতে পুঁজিবাদের বিবর্তন হয়ে অন্য কিছু আসবে, তবে এখন এই সিস্টেমটা অনেক দেশেই বেশ ভালো কাজ করছে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.153 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:৩১56268
  • dc ঃ- হ্যাঁ সেই সময় থেকে ক্রমে পুঁজি মনোপলি হচ্ছে কিনা - সেই ইতিহাস এবং চরিত্র মার্ক্স সাহেব তার ক্যপিটালে লেখা শুরু করেন । পরে পরে অনেকে বিস্তারিত এক এক দশক ধরে ধরে লিখেছেন ।

    সিরিয়াস নোট ঃ- এ বিষয়ে মডার্ন রিভিউ অনেক আর্টিকেল ছেপেছে । কি ভাবে ফ্রি মার্কেট , ছোট পুঁজি ক্রমে বিগ কর্পোরেট এবং মনোপলি ক্যাপিটালে পরিনত হোল ইত্যাদি । শুরু কিন্তু সেই ১৮২৫-১৮৫০ এর সময় থেকে dc দা । ফ্রি মার্কেট এর মৃত্যুর শুরু সেই সময় থেকে ।
  • nili | 212.142.124.34 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৮:৩৯56238
  • কিন্তু উপায় কি ? ভোটের বিকপ্লে ভোট না দিলে তো এক পক্ষ কে সুবিধা করে দেয়া হবে ? যদিও তাতে খুব একটা লাভ নেই এ পক্ষ কামেরার সামনে ঘুস খাবে অন্যরা ক্যামেরার আড়ালে ।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.184.199 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৯:৫১56239
  • dc দা ঃ- ক্যাপিটালিজম এখন আর ফ্রি ট্রেড নয় বরং মনোপলি - প্রত্যেক সেক্টর কৃষি থেকে রিটেল , ওষুধ থেকে খাদ্যবস্তু এখন দৈত্যাকার ট্রান্সন্যাসনাল কোম্পানিগুলির একাধিপত্য - ওয়াল মার্ট এর বাৎসরিক ব্যবসার পরিমান ৪০৫ বিলিয়ন ডলার , (দুটো বাংলাদেশ কে একাই কিনে নিতে পারে )বিশ্ব জুড়ে ৭৫০০ দোকান ২০লাখ নিন্মবেতনের কর্মচারী । cargill - ফুড ইন্ডাস্ট্রির দৈত্য পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ দেশের ইকনমির থেকে বেশী অর্থের মালিক। প্যানাসনিক -পৃথিবীর ৪০% রি চার্জেবল ব্যাটারির মার্কেট একাই দখল করে বসে আছে । মাত্র ১০ টা বৃহৎ অতি বৃহৎ কোম্পানি পৃথিবীর ৬০% কেমিক্যাল ,৭০% শস্যবীজ , ৭৫% ফার্টিলাইজার এবং ৬৫% ওষুধের মার্কেট দখল করে বসে আছে । এই সে দিনের উবের এখন পৃথিবীর বৃহত্তম ট্যাক্সি এগ্রিগেটর । সামান্য কয়েকটা উদাহরণ ।

    dc দা ১৭৫০- ১৮০০ সালে’র হাজারো ছোট ছোট উদ্যোগীর ,পরিবার ভিত্তিক উৎপাদন ,ব্যবসা এখন কতিপয় গোষ্ঠীর হাতে । এখন এই অতি সম্পদশালী গোষ্ঠী তাদের অর্থ এবং প্রতিপত্তির জোরে যা খুশী করতে পারে । দেশের আইন বদলে দিতে পারে , দেশবাসী শান্তি চাইলেও অন্য দেশের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে । আপনার মাটির নীচের তেল কয়লা তুলে শ্মশান বানাতে পারে , জঙ্গল থেকে আদিবাসী উচ্ছেদ করতে পারে , আপনার অর্থনীতি কে গ্রীসের মত, স্পেনের মত হাল বানাতে পারে , কার্টেল করে তেলের দাম কমাতে পারে আবার বাড়াতে পারে , বাতিল পুরানো ওষুধ নূতন পেটেন্ট নিয়ে দশগুণ দামে বেচতে পারে এবং ছোট খাট দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কান ধরে ওঠাতে এবং বসাতে পারে । এবং করে ।

    আপনি চাইবেন যে মাত্র ১০ -২০ টা কোম্পানি , বা দেশীয় টাটা /রিল্যাএন্স পৃথিবীর /দেশের অধিকাংশ সম্পদের ইজারাদার হয়ে যাক ? ফ্রি ট্রেড - কম্পিটিশন ছিল এক কালে ১৭৫০-১৮০০ সালে ক্রমে পৃথিবী বাসী বৃহৎ কোম্পানির মাস মাইনের কর্মচারী ,আর তার নিচের স্তরেরা এই কর্মচারীদের ভৃত্য , আর তার নিচের স্তরেরা আত্মহত্যার দিন গুনছে ।

    ক্যাপিটালিজম অতি সুন্দর পৃথিবীর ২% লোকের কাছে , ১০-১২% মধ্যবিত্তর কাছে ওকে টাইপ কিন্তু বাকি ৮০% বাসিন্দার কাছে অসহায় দাসত্ব । আমি নিশ্চিত আপনি ওপরের ব্রাকেট এর সীমানাতেও নেই ।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৯:৫৫56240
  • ওয়ালমার্ট কি করে বাংলাদেশকে সুইবার কিনে নেবে সেইটা ঠিক বুঝলাম না।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৯:৫৬56241
  • *দুইবার
  • dc | 132.164.41.106 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১০:১৭56242
  • না দেবব্রতদা, ওয়ালমার্ট যতো বড়োই হোক, তাদের এখন অ্যামাজনের কাছে কম্পিটিশনে হেরে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দশ বছর পরে হয়তো দেখবেন ওয়ালমার্ট ধুঁকছে। আবার দেখুন এক সময়ের মনোপলিস্ট মাইক্রোসফট, যারা ওএসএর ৮০% বাজার ধরে ফেলেছিল, তাদের মার্কেট শেয়ার এখন ১০% এর কমে নেমে এসেছে। ফ্রি কম্পিটিশন হলে কি হয়, প্রত্যেকে ইনোভেট করতে চায়, নাহলে জানে যে কমপিটিশনে হেরে যাবে, যার সুবিধে পায় আমাদের মতো কনসিউমাররা। অবশ্যই সরকারকে এনশিওর করতে হবে যাতে মোটামুটিভাবে নিয়ম মেনে কম্পিটিশন হয়। এই এখন যেমন দেখুন এউরোপে গুগলের বিরুদ্ধে একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা চলছে (এক সময়ে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধেও হয়েছিল)। আর ছোট উদ্যোগী হলেই যে সে এফিসিয়েন্টলি রিসোর্স ইউটিলাইজ করতে পারবে তা নয়, অনেক সময়ে অ্যাডভান্টেজ অফ স্কেল থাকে, তখন অবশ্যই বড়ো কোম্পানি প্রেফারেবল। তবে এটা ঠিক যে ছোট উদ্যোগীরা অনেক সময়ে বেশী অ্যাজাইল হয়, তার উদাহরন পাবেন উবের ট্যাক্সি কোম্পানিতে, যাদের ইনোভেটিভ মডেল প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টেশন সার্ভিসে বিরাট ডিসরাপটিভ এফেক্ট এনেছে। এই ইনোভেশন, মার্কেট ডিসরাপ্ট করা, নতুন নতুন টেকনোলজির কমার্শিয়ালিজ করা, এগুলো ক্যাপিটালিজমএর ভালো দিক। খারাপ দিকও অবশ্যই আছে, কারন কোন সিস্টেমই পারফেক্ট না। তবে আমি কোন ব্র্যাকেটের সীমানাতেও না থেকেও বলতে পারি যে ক্যাপিটালিজমের কিছু ভালো দিকও আছে।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.184.199 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১০:৫৬56243
  • অবশ্যই আছে - বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণী আছে । তবে আমি যে গুলো বললাম সেইগুলোও আছে - এখন আপনি জানেন কখনো ওয়ালমার্ট কখনো অ্যামাজন বা অন্য কেউ -কিন্তু ১৭৫০-১৮০০ সময়ের ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত ব্যবসার , ফ্রি ট্রেড এর জায়গা দ্রুত দখল হয়ে যাচ্ছে অতি বৃহৎ কোম্পানির হাতে , তথ্যগত ভাবে ইকনমিক ইমব্যালন্স বাড়ছে ,এবং সম্পদের অধিকার কেন্দ্রীভূত হচ্ছে কতিপয় কোম্পানির হাতে । তাদের অর্থের জোড় বা উৎপাদনের ক্ষমতার কাছে ছোট পুঁজি উধাও হয়ে যাচ্ছে । গুগল বা অন্য কোম্পানির মধ্যে যে মামলা তা পুঁজির আভ্যন্তরীণ বাজার দখলের দ্বন্দ্ব - তার সাথে ফ্রি ট্রেড এর সম্পর্ক কম ।

    আমি আমাদের দেশের জঙ্গল /পাহাড় দখলের উধাহরন দিয়েছি - গণতান্ত্রিক দেশে কিভাবে অধিকাংশ জনতার স্বার্থ না দেখে জাতীয় সম্পদ কতিপয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয় তার উদাহরণ অসংখ্য ।

    কিন্তু কে সিধান্ত নেবে ? গণতন্ত্রের নামে সংখ্যালঘুর ভোটে নির্বাচিত ,অতি সংখ্যালঘু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কি করে বস্তারের মানুষ কি চায় বা নিয়ামাগিরির কি ভাবে সিধান্ত নেবে ? পশ্চিম ইউরোপে ১০-১২% বেকারত্ব , গ্রীসে ২৫% , স্পেনে ২২% আফ্রিকা বাদ দিন , আমাদের দেশে হিসাব গড়বড়ে তাও বোধ হয় ২০-২২% । দারিদ্রসীমা র সীমারেখা হাস্যকর পর্যায়ে নামানো স্বত্বেও দেশে ৭০% লোক হত দরিদ্র -আপনার মনে হয় ঠিক ঠাক চলছে ? রিফর্ম সম্ভব ?
    আমার বক্তব্য ঠিক আছে - পুঁজিবাদের বিকল্প অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা বা উদাহরণ দেওয়া যায়নি ,তার অনেক আভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ছিল কিন্তু বামপন্থা এই ভোটের রাজনীতিতে কি উদ্ধার করবে ? কি রিলিফ দেবে ? ভোটের সময় ছাড়া কেন রাস্তায় নামবেনা - জাস্ট এইটুকু । তাও তো সাধারণ ৮৫% জনতা অন্তত লড়াই দেওয়ার যায়গায় থাকতো এতো সির্ফ পিঠ দেখানো ।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:০০56244
  • "দারিদ্রসীমা র সীমারেখা হাস্যকর পর্যায়ে নামানো স্বত্বেও দেশে ৭০% লোক হত দরিদ্র"

    এই কথাটার মানে কী?
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:০৩56245
  • "মাত্র ৪০০জন উচ্চ পর্যায়ের ধনী ব্যাক্তির হাতে আমেরিকার অর্ধেকের বেশী সম্পদ আর এনারাই নির্বাচন নামক পুতুলনাচের 'বিগ ডোনার’ বর্তমানে এনাদেরই ডোনেশনে বার্নি এবং বাকি চরিত্রদের নাচন কোঁদন ।"

    বার্নি ধনীদের থেকে বিগ ডোনেশন নিয়েছেন? আপনার সোর্সটা একটু জানাবেন?
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:০৯56246
  • দেবব্রত বাবু, আপনার লেখাটা ক্লিশে হলেও মেনে নিতাম। কিন্তু বড্ড ভুলে ভরা।

    "ভারতের সর্ববৃহৎ বিজনেস গ্রুপ টাটা তে রতন টাটার ব্যক্তিগত শেয়ার হোল্ডিং ছিল ১%এর কম " ???
    আপনি রতন টাটার ট্রাস্টের নাম শুনেছেন?

    আরেকটু জেনেশুনে লিখলে ভালো হতো।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.184.199 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:২৪56247
  • s আপনি লেখাটি ঠিক ঠাক পড়েছেন ? ক্লিশে বলে আপনার মনে হতেই পারে, কারণ লেখাটি আপনার মনে ধরবে বলে আমি লিখিনি কিন্তু তথ্যে ভুল নেই ' রতন টাটার ব্যক্তিগত শেয়ার হোল্ডিং ছিল ১%এর কম' জানতে হলে এটা দেখুন " He owns less than 1% of the group that bears his family name. But he is a titan nonetheless: the most powerful businessman in India and one of the most influential in the world.:" The Economist Mar 3rd 2011

    বার্নি'র নিজের একটা লেখা আমি কোট করেছি , কোথায় লেখা সেটার নাম ধাম সমেত -সেখানে উনি কি বলেছেন একটু দেখে নেবেন ।

    আরেকটু পড়ে এসে কমেন্ট করলে ভালো হত ।
  • dc | 132.164.41.106 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:২৮56248
  • দেবব্রতদা এখানে কোন টাইপো নেই তো - ১৭৫০-১৮০০? মানে আজ থেকে দুশো আড়াইশো বছর আগের কথা? উরেব্বাস! মানে সেই যে পালকি বাহক বা লন্ঠন শিল্প তাদের কথা বলছেন কি? আমি কুড়ি তিরিশ বছর আগের ইতিহাস নিয়েই তেমন মাথা ঘামাইনা, তো দুশো বছর!!!
  • dc | 132.164.41.106 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩০56249
  • "আমি আমাদের দেশের জঙ্গল /পাহাড় দখলের উধাহরন দিয়েছি" - আমি ন্যাচারাল রিসোর্স মানুষের কাজে লাগানোর পক্ষে। তবে ভারতে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম এ ভর্তি, এটা ঠিক বলেছেন। কম্পিটিটার বাড়ইয়ে এইসব রিসোর্স আরো বেশী এফিসিয়েন্টলি ইউটিলাইজ করতে পারলে আমি কোন আপত্তি করবনা।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৩56250
  • আপনিও এইটা দেখুনঃ
    The Tata founders bequeathed most of their personal wealth to the many trusts they created for the greater good of India and its people. Today, the Tata Trusts controls 66 percent of the shares of Tata Sons, the holding Tata company. The wealth that accrues from this asset supports an assortment of causes, institutions and individuals in a wide variety of areas

    http://www.tata.com/aboutus/sub_index/Tata-trusts

    আপনি এদিক ওদিক থেকে নিজের পছন্দ মতন ইনফরমেশন চেরিপিক করলে, আর পুরো পিকচারের কথা না ভাবলে তো এমনই হবে। টাটা সন্স কি পাবলিক কোম্পানি? তাদের শেয়ার হোল্ডার কারা? টাটা সন্স এখনো টাটার একটা বড় অংশের মালিকানা প্রোমোটারদের হাতে। এইগুলো না ভাবলে তো মুশকিল।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৫56251
  • আমেরিকার ইলেকশনে ডোনেশনের লিমিট আছে। তাই সুপার প্যাক তৈরী করা হয়। বার্ণীর সুপারপ্যাক নেই। অতেব বড় ডোনেশনের কথাই আসছে না। আমার মনে হয় আপনি বার্ণী স্যান্ডার্স সম্বন্ধে খুব কম জানেন, বা জেনেও লোককে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করছেন।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৮56252
  • আপনার দারিদ্রসীমা নিয়ে যে কোটটা করেছি উপরে আর ওয়ালমার্ট দুইবার বাংলাদেশ কিনে নেবে - এগুলোর একটু ব্যাখ্যা হলে ভালো হয়।

    মানে ফ্যাকচুয়ালি এতো ভুল রয়েছে যে বাকিটা পড়তে অসুবিধে হচ্ছে।
  • S | 108.127.180.11 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৪০56253
  • আর ১৯তম সেন্চুরিতে বড় পুঁজি ছিলো না? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি? রথসচাইল্ড ফ্যামিলি?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন