এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রক্তিম বসন্ত , নববর্ষ ঃ-অধিকার অর্জনের অনমনীয় লড়াই

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৭৭৭ বার পঠিত
  • বসন্ত উৎসব , রঙের উৎসব , ফাগুয়া -হোলী , বাঙ্গালীর দোল উৎসব এসে গেল । অদ্ভুত ভাবে ঠিক একই দিনে বছরের একই সময়ে সেই ঐতিহাসিক সময়ে থেকে কুর্দ জনতা রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং গণহত্যা অগ্রাহ্য করে আজকের দিনে (২১সে মার্চ ) রাস্তায় , প্রকাশ্য স্থানে জমা হয় ‘নিউ রোজ ‘ মানাতে । 'নিউ রোজ' হোল কুর্দ নববর্ষ একই সাথে বসন্তের উৎসব । আগের কালে পাহাড়ে পাহাড়ে শীতের ঝরা পাতায় আগুণ লাগানো হত । সারা কুর্দিস্তান , ইরাক , ইরান , তুরস্ক , আর্মেনিয়া , সিরিয়া এমনকি আফগানিস্তানের পাহাড় আগুনে লাল হয়ে যেত আজকের দিনে । কাল থেকে যে বসন্ত । সাত দিন ধরে নাচ ,গান , খানা পিনা, উপহার বিনিময়ের বাঁধন ছাড়া উৎসব । এখনো শহরে গ্রামে প্রত্যেক বাড়ি থেকে কাঠ কুটো জমা করে আগুণ লাগানো হয় । সেই আগুণকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে নাচ গান উৎসব । ঠিক কোথায় যেন আমাদের হোলির পূর্বের ন্যাড়াপোড়া অথবা 'হোলিকা দহনের’ সাথে অদ্ভুত একটা মিল আছে । আমাদের দেশেও বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রত্যেক বাড়ি থেকে এক টুকরো কাঠ জমা করে ‘ হোলিকা দহনের’ উৎসব পালন হত, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো হয় । আর ঠিক আমাদের হোলির দিনেই এই অনুষ্ঠান হয় সারা কুর্দিস্তান ,ইরান এমনকি আফগানিস্তান ,আর্মেনিয়াতে ।

    হয়ত’বা আমাদের এই হোলির পরম্পরার ইতিহাস , অদ্ভুত রকমের সাযুজ্য সম্পন্ন প্রথা এমনি হোলী কে ঘিরে যে মিথ তা কুর্দদের প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার এই উৎসব থেকেই ইরান আফগানিস্তানের পথ ধরেই এসেছে, কে জানে। কিন্তু চমকে ওঠার মত সাযুজ্য , একেবারে কার্বন কপি , বক রাক্ষসের মিথ এবং ভীমের হাতে তার মৃত্যু পর্যন্ত, প্রায় একই উৎসব একই মিথ ।

    কিন্তু কুর্দদের এই স্বাভাবিক হাজারো বছরের প্রাচীন বসন্ত উৎসব প্রায় ১০০ বছর ধরে আর উৎসব নেই - ক্রমে তা রক্তেরর্ নববর্ষ ,আত্মাভিমান পুনঃউদ্ধার , স্বাধীনতা এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অনমনীয় প্রতিরোধের লড়াই এ পর্যবসিত । তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি ,উগ্র জাতীয়তাবাদের হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনি । নিউ রোজ মানেই উৎসবের সাথে সাথে প্রতিরোধের প্রস্তুতি ।

    গত একশো বছরের মতো এই বছরেও তুরস্কের সরকার দেশ জুড়ে কুর্দ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে । গৃহযুদ্ধ চলছে সেই জুলাই থেকে পিকেকে’র সাথে । এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম বলি হয়েছেন ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি তে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কর্মরত এক ব্রিটিশ নাগরিক । কম্পিউটারের এই প্রফেসর কে 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানের নিমত্রন গ্রহণ করার কারনে পত্রপাঠ দেশত্যাগী করা হয়েছে তিনি নাকি সন্ত্রাস বাদীদের সমর্থক ,এক্ষেত্রে তুরস্কের সরকার আমাদের সরকারের বড় দাদা তুল্য । আমাদের দেশে পাকিস্তানে চলে যাও বলে ধমকি দেওয়া হলেও তুরস্ক ওইসব ফাঁকা আওয়াজে বিশ্বাস না করে কেবলমাত্র নিউ রোজের নিমত্রন গ্রহণ করার অপরাধে প্রফেসর কে সিধা প্লেনে তুলে দিয়েছে ।

    এই লেখা টি যখন আমি লিখছি তখন সারা তুরস্ক জুড়ে সাধারণ নাগরিকেদের নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে কোথাও কাঁদানে গ্যাস ,কোথাও জল কামান ছুঁড়ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী । নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নিউ রোজ ‘ এর আগুণ । অশ্বারোহী বাহিনী সাধারণ জনতার দঙ্গল ছত্রভঙ্গ করছে । ভাবা যায় আজকে এই একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশের ২৫% নাগরিক তাঁদের চিরাচরিত 'নববর্ষ’ পালনের এক নির্বিষ অনুষ্ঠান পালন করবেন আর রাষ্ট্র সেই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করবে , গুলি চালাবে এমনকি গন হত্যা ঘটাবে ? অথচ তুরস্কে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছে কেমাল আতাতুর্কের সময় থেকে আর কুর্দরাও সেই সময়ে থেকে প্রতি বৎসর সমস্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে পথে নামছে , অগ্রাহ্য করছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ,তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারী চোখ রাঙ্গানি , রক্তাক্ত নববর্ষ পালিত হচ্ছে প্রতিটি বৎসর ।

    ঐতিহাসিক সময় থেকে কুর্দরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হলেও আমাদের আকবরের মত অটোম্যান শাসক রাও কুর্দদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচরণ ,সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান নি । তাই সাংস্কৃতিক আধিপত্য নিয়ে , ভাষার আধিপত্য নিয়ে সংঘাতের ঘটনা ছিল অতীব নগণ্য । ঠিক যেমন দীর্ঘ মুসলমান শাসন কালে ভারতে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা হাতে গোনা যায় । কিন্তু অটোম্যান সাম্রাজ্যের শেষের দিক থেকে ক্রমে ইউরোপের সংস্কৃতি , আধুনিকতার ধারনা ,খ্রিস্টীয় ধর্ম এবং ইউরোপের সাথে সংস্পর্শ তুরস্কের অভিজাত সমাজের মানসিক গঠন বদলাতে থাকে । গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ অনুগামীগন এবং আর্মেনীয় খ্রিস্টান তুরস্কের ব্যবসা ,সম্পদ এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । কুর্দদের প্রথা , সংস্কৃতি ,ভাষা কেমন যেন ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখা শুরু হয় । তখন তুরস্কে তুর্কী জাত্যাভিমানের উদয়ের সময় । কুর্দ এবং অন্যান্য জনজাতির সাথে সংঘাতের বীজ বপনের সূত্রপাত ।

    অবস্থা চরমে ওঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তুরস্কে কেমাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী পার্টির উত্থানের সাথে সাথে । কেমাল আতাতুর্কের ধর্মের আধিপত্যহীন , আধুনিক , একতাবদ্ধ ,এক জাতী ,এক প্রাণ , এক ভাষা, এক গান এই তথাকথিত প্রগতিশীল সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনের দর্শন বিশ্বে বিশেষত পশ্চিমের দুনিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়ালেও স্থাপন করতে থাকে উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদ । সমস্ত মাদ্রাসা তুলে দেওয়া হয় । ডিক্রী বলে তুর্কী ভাষা ছাড়া সমস্ত ভাষা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । সমস্ত কুর্দ শহরের নাম তুর্কীয় নামে পরিবর্তিত হতে থাকে । প্রকাশ্য স্থানে কুর্দ ভাষায় কথা বলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । কুর্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক লহমায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় । আইন অমান্যে জেল এবং অত্যাচার নেমে আসে কুর্দ জনজাতির ওপর । জাতীয়তাবাদের নামে সংখ্যাগুরুর বুলডোজার চালানো হতে থাকে সংখ্যালঘু জনজাতির ওপর ।

    ঠিক এমনিটিই হয়ে থাকে আধুনিক সেকুলার 'নেসান স্টেটে’ । আমেরিকায় লিবার্টি সীমাবদ্ধ থাকে কেবল মাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য । ব্রিটেনে আইরিশ’রা হয়ে পড়ে উৎপাত । ইউরোপে ইহুদী এবং জিপসিদের দেখা হতে থাকে কৃমি কীটের থেকেও অধম হিসাবে । তুরস্কে কুর্দদের এক লহমায় অস্তিত্বই মিটিয়ে দেওয়া হয় । জাতীয়তাবাদী সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক হেজিমনি ।

    অসংগঠিত এবং সবল রাজনৈতিক পার্টির অনুপস্থিতিতে কুর্দরা নিজেদের মত প্রতিরোধ করতে থাকেন । রক্তাক্ত হতে থাকে প্রতিটি প্রতিরোধ । অবশেষে ১৯৩৮ -১৯৪০ সালের সময় থেকে কুর্দ প্রতিরোধ রাষ্ট্রের প্রবল শক্তির কাছে ক্রমশ হেরে যেতে থাকে । দীর্ঘ কাল প্রবাসে থাকার ফলে আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম যেমন নিজেদের ভাষা ,সংস্কৃতি বিস্মৃত হতে থাকে, সম্পৃত হতে থাকে বৃহৎ আগ্রাসী সংস্কৃতির সাথে । গান , নাচ , পোশাক , ভঙ্গিমা যেমন আজকের দিনে বলিউড গ্রাস করে নেয় ঠিক তেমনই পরবর্তী কুর্দ প্রজন্ম ভুলে যেতে থাকে নিজেদের ভাষা , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য এবং পরম্পরা । কিন্তু তুর্কী জনজাতি কুর্দদের ঠিক নিজের লোক বলে মানতে পারেনা -ঠিক যেমন আমরা নর্থ ইস্ট বাসিন্দাদের চিঙ্কি অথবা অন্যগ্রহের প্রাণী বলে মনে করি । আবার কুর্দরাও প্রাণপণ তুর্কী বনার প্রয়াসে ক্রমে নিজেদের সংস্কৃতি তুর্কীয় সংস্কৃতির সাথে মেলানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বিশাল তুর্কীয় জাতীয়তাবাদের সমুদ্রে ইতস্তত ভেসে থাকে ।

    ইতিমধ্যে আবদুল্লা অচালান ১৯৭০ এর দশকে কুর্দ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন ( এ বিষয়ে আমি অন্য পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি বলে সেই ইতিহাসের পুনারবৃত্তি আর করছিনা ) অচালান কুর্দ আইডেন্টিটি ,শ্রেণী নির্বিশেষে একতা এবং সংখ্যাগুরুর আইডিওলজিকাল হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনির আইডিওলজি গড়ে তুলতে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং এই হারিয়ে যাওয়া পরম্পরা 'নিও রোজ' প্রকাশ্যে পালন করতে কুর্দ জনতাকে উৎসাহিত করতে থাকেন । ভাষা এবং সংস্কৃতি এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র যা ধর্ম এবং শ্রেণী নির্বিশেষে এক ছিন্ন বিচ্ছিন ক্ষুদ্র জনজাতিকে একতাবদ্ধ করতে পারে । পিকেকে অগ্রগামী হিসাবে নিজেরা প্রকাশ্যে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং নিও রোজ পালনের উৎসব পালন করতে শুরু করে । রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এতকাল লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের নববর্ষ পালনের উৎসবে ধীরে ধীরে কুর্দ জনতা অংশগ্রহণ করতে শুরু করে । সাথে সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় দমনের ধারাবাহিকতা ।

    আবদুল্লা অচালান কুর্দ জনতার এই পরম্পরাকে 'কাউন্টার হেজিমনির ‘ আইডিওলজিতে পরিনত করতে থাকেন। 'নিউ রোজ' শ্রেণী এবং ধর্ম বিভেদ ভুলে আপামর কুর্দ জনতার রাষ্ট্র বিরোধী জমায়েতে পরিনত হতে থাকে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে । ‘ নিও রোজ ‘ কুর্দ জনতার সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে । নিউ রোজ এর পুন;উত্থান এবং এই উৎসব কে কেন্দ্র করে কুর্দ মবিলাইজেসান , তুরস্কের আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য সফলতা ।এ এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরোধী ক্ষুদ্র জনজাতির পাল্টা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত ।

    এক দিকে নিউ রোজের উৎসবকে কেন্দ্র করে ,তার সাথে জড়িত মিথ,অল্টারনেটিভ স্টোরি ,সাধারণ জ্ঞান ব্যবহারে কুর্দ সংস্কৃতি ,আইডেন্টিটির এক অভূতপূর্ব একতাবদ্ধতা অন্যদিকে তুরস্কের সরকারের এই একতাবদ্ধতার অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়াস । এই 'নিউ রোজের’ সাথে মিথ ,ইতিহাস এবং প্রতিবাদের সূত্র জড়িয়ে আছে - এ কোন সাধারণ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নয় - অত্যাচারী রাজার হাত থেকে হাজারো বছর পূর্বে কুর্দ জনজাতির মুক্তির সফলতার এবং বসন্ত আগমনের ইতিহাস বা লোককথা ভিত্তিক মিথ ।

    সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে এক আসিরিয়ান অত্যাচারী রাজা ছিল 'যুহাক’ । কোন এক সময়ে যুহাক ইরান এবং বর্তমান কুর্দিস্তান দখল করে । অত্যাচারী শাসন চলতে থাকে ১০০০ বছর ধরে । তার অত্যাচারের ফলে কুর্দিস্তানে বসন্তের আগমনই হতোনা । তার শক্তি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দিন দুই শক্ত সমর্থ যুবককে বলি দিয়ে তাঁদের ঘিলু এই রাজার কে খাদ্য হিসাবে দিতে হোত । কিন্তু যিনি এই কঠিন কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি দু জন যুবকের বদলে কেবলমাত্র একজনকে হত্যা করে তার ঘিলুর সাথে ভেড়ার ঘিলু মিশিয়ে রাজা 'যুহাক’ কে দিতেন । বেঁচে যেত একজন যুবক প্রত্যহ । কেমন যেন আমাদের বক রাক্ষসের গল্পের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা ? ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে অত্যাচারী রাজা 'যুহাক’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করল । অবশেষে 'কাওয়া’ পেশায় কর্মকার , যার ৬ ছেলে ইতিমধ্যে রাজা 'যুহাক’ এর এই অত্যচারে বলিপ্রদত্ত হয়েছে -বলি থেকে বেঁচে ফিরে আসা কুর্দ যুবকদের নিয়ে এক অকুতভয় সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন । কোন এক ঐতিহাসিক সময়ে ২০সে মার্চ রাত্তিরের অন্ধকারে সেই সৈন্যবাহিনী রাজা যুহাকের রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে , কাওয়া তার নিজের হাতে তৈরি এক বিশাল হাতুড়ীর ঘায়ে অত্যাচারী রাজা ’ যুহাক’ এর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে । কাওয়া ২১সে মার্চ পাহাড়ে আগুণ লাগিয়ে দেন দেশবাসী কে খবর দিতে যে অত্যাচার সমাপ্ত । ঠিক তার পরের দিন থেকে 'বসন্ত' প্রায় হাজার বছরের রাজা 'যুহাক’ এর অত্যাচারী শাসনের অবশেষে ফিরে এলো কুর্দিস্তানে ।

    এই যে শক্তিশালী মিথ । হাতুড়ীর আঘাতে অত্যাচারীর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে দেওয়ার প্রতীক । কুর্দ জাতীর স্বাতন্ত্রতা । প্রত্যেক দিন একজন সক্ষম যুবকের বলিদান স্বত্বেও অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজার বছর ধরে লড়াইয়ের ক্ষমতা । লোহা দিয়ে তৈরি জনজাতি । এই শক্তিশালী মিথ এবং তাকে ঘিরে উৎসবের পুন;উত্থান অদ্ভুত বুদ্ধিমত্তার সাথে অচালান প্রোথিত করে দিলেন কুর্দ জনতার হৃদয়ে । এই পরিপ্রেক্ষিতে 'নিও রোজ' তুর্কী জাতীয়তাবাদের চাপে বিচ্ছিন্ন কুর্দ জনতাকে একতাবদ্ধ করে দিল । পুনরায় কুর্দ জনজাতি রাষ্ট্রীয় দমন অগ্রাহ্য করে আতসবাজি পুড়িয়ে ,নেচে , গেয়ে , উপহার বিনিময় করে তাঁদের হাজারো বছরের এক প্রথা নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান পালন করতে শুরু করে । একই সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় অত্যাচার ।

    ১৯৯০ সালের 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানে নুসাইবিন শহরে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৩ জনের মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল । ১৯৯১ সালের অনুষ্ঠানে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। ইস্তাম্বুল , আদানা , জিজরে , কুল্প ,হানি এবং দিয়ারবাকির শহরে নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে তুরস্কের সরকার নির্বিচারে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালালে ৩১ জন লোক প্রাণ হারান । ১৯৯২ সালে ২০শে মার্চ পুনরায় পুলিশের গুলি চালনায় ২ জন নিরস্ত্র ব্যক্তির মৃত্যু হলে মানুষ ক্ষেপে ওঠে ২১ সে মার্চ ৯৪ জন নিরস্ত্র জনতার মৃত্যু ঘটে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালেও যথারীতি তুরস্ক সরকারের এই কুর্দ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধকরনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে । কিন্তু ততদিনে কুর্দ প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে পিকেকে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তাই এই দমন নেমে আসে শহরাঞ্চলে ।

    ১৯৯৩ সালের নিউ রোজ অনুষ্ঠান ভঙ্গ করার প্রাথমিক টার্গেট ছিল আদানা শহর । তুরস্কের পুলিশ অফিসাররা তার সাথে আক্রমণ নামিয়ে আনে বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালে ২১সে মার্চ বসন্ত উৎসব গুঁড়িয়ে দিতে প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয় । বাড়ি ঘরে নির্বিচারে গোলা বর্ষণ চলতে থাকে । এই আক্রমণে এক ১৬ বছরের কিশোর এক ৬২ বছরের বৃদ্ধ সমেত ৬ জন প্রাণ হারান । তুরস্কের সরকার ২০০২ সাল পর্যন্ত এই আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন ,কিন্তু অনমনীয় কুর্দ 'রাও এই নিউ রোজ অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৯৯৯ সালে আবদুল্লা অছালান কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক 'নিও রোজ' নববর্ষেরে সাথে সাথে অচালানের মুক্তির দাবীতে ম্যাসিভ কুর্দ জনতার সমাবেতে পরিবর্তিত হতে থাকে । ২০০০ সালে কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক কুর্দ জনতা রাস্তায় নামে নিউ রোজ পালন করতে ।

    প্রত্যেক বছর ক্রমাগত বেড়ে চলা জনতার ঢল এবং বিপুল ঐক্যবদ্ধতার কাছে অবশেষে রাষ্ট্র পিছু হটে । প্রায় একশো বছরের অবশেষে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনতার বলিদানে 'নিও রোজ' আজ এক সত্যিই দেখবার মত অনুষ্ঠান । পুনরায় এই বছর তুরস্কের সরকার 'নিউ রোজ’ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধ করেছে কিন্তু সমুদ্রের উচ্ছ্বাস বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানোর মত উড়ে গেছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা । নিউ রোজ ‘ কাওয়ার ‘ বিজয়ের উৎসব , অত্যাচারের অবসানে বসন্ত আগমনের উৎসব ।

    প্রতীক ,মিথ অনেক দেশেই অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সংগঠিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে । আমাদের আনন্দমঠ , ভারতমাতার কল্পনা ,পোঙ্গলে বলি রাজার ফিরে আসার মিথ ইত্যাদি কিন্তু এক শক্তিশালী মিথ ব্যবহার করে এক মৃতপ্রায় প্রথাকে জাতী ধর্ম শ্রেণী নির্বিশেষে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র জনজাতিকে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করার এত সফল দৃষ্টান্ত আধুনিক বিশ্বে অনুপস্থিত । অচালান সেই কারনেই কুর্দ জনতার হৃদয়ের নেতা । নিউ রোজ এক সত্যিই মনে রাখার মত বুদ্ধিদীপ্ত কাউন্টার হেজিমনি আইডিওলজি -রক্তাক্ত কিন্তু ঐক্যবদ্ধ অসাধারণ বসন্ত উৎসব ।

    সমস্ত কুর্দিস্তান জুড়ে , ইউরোপ জুড়ে এই বসন্তের উৎসব অশুভের পরাজয় এবং শুভর জয় ,পালিত হচ্ছে একই দিনে আমাদের হোলির সাথে সাথে — আপনাদের জন্য থাকলো এই উৎসবের কিছু চিত্র এবং ভিডিও । Here are the YPG & YPG fighters celebrating #Nowruz pic.twitter.com/iOXymhQ8HB
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৭৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০১:০৭56709
  • না উনি বিপিএল কার্ডের গল্পের বাহানায় অনেক বড় দার্শনিক প্রশ্ন করেছেন যে মানুষের মধ্যে তঞ্চকতা প্রবণতা , লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা বর্তমান আছে এবং থাকবেও তাকে অস্বীকার কি উপায়ে ? তাঁর উত্তরে আমি ' মিউচুয়াল এইড ' বলেছি । ডিসি আপনি সাইবেরিয়ার কঠিন নির্মম প্রাকিতিক পরিবেশে জীবজগতের ওপর করা বিখ্যাত গবেষণা ক্রপ্টকিনের ' মিউচুয়াল এইড ' পড়েছেন ? ওই নির্মম প্রাকিতিক পরিবেশে লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতার সাথে সাথে নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে একে ওপরের বৈরী প্রজাতি সহযোগিতার মাধম্যেই বেঁচে থাকে । তাই সম্ভব । কমিউনিটি সেন্স তৈরি করা সম্ভব । লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা বর্তমান থাকা স্বত্বেও সম্ভব -যে প্রজাতি বা গোষ্ঠী যত বেশী পারস্পরিক সহযোগী সেই প্রজাতির সারভাইব করা তত বেশী সহজ ।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০১:১৩56710
  • আরে চেন্নাইতে ঘরে ঘরে বিপিএল কার্ড পাবেন, একদম বাড়িয়ে বলছিনা। আমি যখন প্রথম এখানে পাকাপাকি থাকতে শুরু করলাম, রেশন কার্ড বানানোর কথা ভাবলাম, তখন জানতে পারলাম এখানে দুরকম কার্ড। তা কর্পোরেশন অফিসে গিয়ে বল্লাম আমার সবুজ কার্ড চাই, কড়া ধমক দিয়ে ভাগিয়ে দিল। তারপর যতো দিন যায়, কথায় কথায় যখনই কোন প্রতিবেশী বা অফিসের কাউকে জিগ্যেস করি তোর কি কার্ড, বলে গ্রিন কার্ড। আমি তো অবাক! তারপর আস্তে আস্তে রহস্যটা ফাঁস হলো - এখানে বেশীর ভাগ গ্রিন কার্ড বানিয়ে রেখেছে, তার একটা ফিক্সড অ্যামাউন্ট ঘুষ আছে, আর হোমরাচোমরা কারুর একটা রেফারেন্স লাগে।

    দেবব্রতদা, আমি এই ডেমোক্র্যাসির কথাই বলছি। এর অনেক দোষ আছে, কিন্তু পৃথিবীর বেশীর ভাগ দেশে এর থেকে বেটার অপশন পাওয়া যায়নি। আরেকটা ব্যাপার আছে। আপনি রোজাভা নামের যে জায়গাটার কথা বলছেন, সেটা একটা প্রায় ওয়ার জোন। ওখানে নানারকম কারনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে। যদি কোনদিন স্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়, পিসফুল সিচুয়েশন তৈরি হয় তখনও এই মডেল কাজ করবে কিনা জানা নেই। আমি বলছিনা যে ডেমোক্র্যাসির বিকল্প কিছু খোঁজার দরকার নেই। তবে এই সমবায়ভিত্তিক বা কমিউনিটি ভিত্তিক শাসন ব্যাবস্থা সব জায়গায় কাজে দেবে বলে মনে হয়না, বিশেষ করে লার্জ স্কেলে এই মডেল ফলো করা যাবেনা বলেও মনে হয়। আর এই ধরনের মডেলর সাফল্য বা ব্যার্থতার বিহার এতো তাড়াতাড়িও করা যায়্না। রোজাভায় এই ব্যাবস্থা অন্তত কুড়ি তিরিশ বছর চলুক, একটা প্রজন্মের পর আরেকটা প্রজন্মের হাতে যাক, তখন বোঝা যাবে ব্যাবস্থাটা টিঁকে আছে না ব্যার্থ হয়েছে।
  • দ্রি | 47.48.65.72 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০১:২১56686
  • আরো একটা ব্যাপার। এই ধরণের রোজাভা মডেলে এক্সপেক্ট করা হয় মানুষ ডে টু ডে লাইফে কন্টিনিউয়াসলি পলিটিসাইজ্‌ড থাকবে। প্রত্যেকটা ইস্যুতে কমিউন মেম্বারদের ভোট দিতে হবে। তার মানে প্রত্যেকটা ইস্যু জানতে হবে, বুঝতে হবে, ওপিনিয়ান ফর্ম করতে হবে। এখনকার দিনের ব্যস্ত মানুষদের কাছে এটা একটা বদারেশান। অনেকেই মনে করে পলিসি ডিসিশানগুলো আমার হয়ে অন্য কেউ করে দিক। আমি অফিস যাব, আসব, রিল্যাক্স করব। প্রচুর মানুষের এইরকম মনোভাব থাকলে রোজাভা কোন ট্র্যাকশান পাবে না।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০১:২২56711
  • না এই স্টাডির কথা পড়িনি।

    " লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা বর্তমান থাকা স্বত্বেও সম্ভব -যে প্রজাতি বা গোষ্ঠী যত বেশী পারস্পরিক সহযোগী সেই প্রজাতির সারভাইব করা তত বেশী সহজ ।"

    আমি ঠিক এটা বলতে চাইনি। লোভ, হিংসা ইত্যাদি নিয়েও একটা সিস্টেম কতোটা রোবাস্টলি টিঁকে থাকতে পারে সেটা বলতে চেয়েছি। ডেমোক্র্যাসিকে বেস্ট অ্যামং ওয়ার্স্ট এইজন্য বলে যে এখনো অবধি এটা একটা রোবাস্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করছে। বহু দোষ, বহু অসুবিধে সত্ত্বেও। কিন্তু কমিউনিজম (অন্তত আমরা যা দেখেছি), মোনার্কি, ডিক্টেটরশিপ সবকিছুই ফেল করেছে কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক সিস্টেম বহু দেশে মোটামুটি স্টেবল একটা জায়গায় গেছে। ডেমোক্র্যাসির বদলে অন্য কিছু এলে তাকেও এই স্টেবিলিটি বা রোবাস্টনেসের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এবার রোজাভা নিজেই যেহেতু একটা আনস্টেবল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই তার মডেল অন্য কোথাও স্টেবল সিস্টেম হিসেবে ডেভেলপ করবে কিনা সেটা এতো সহজে বলা যায়না। না করার সম্ভাবনা বেশী।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০১:২৪56712
  • *সাফল্য বা ব্যার্থতার বিচার
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.44 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০২:৫১56687
  • বাঃ খুব আলোচনা হচ্ছে - আমি যতটুকু জানি সেই বিদ্যেয় চেষ্টা করি এক এক করে ঃ-

    hu সোভিয়েত রাশিয়ার প্রথম চার বছরের ইতিহাস খুব খুঁটিয়ে দেখলে কি করে শ্রমিকদের বা কৃষকদের পরিচালিত সমবায় ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সোভিয়েত গুলি বলশেভিক পার্টির একাধিপত্যে আমলাতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতায় পরিনত হোল এবং বলপূর্বক বশ্যতা আদায় করা হোল সেই ট্রেন্ড জানা সম্ভব -এই বিষয়ে এই ব্লগেই " ইউক্রেন নেস্টর মাখনো ।।।।। " একটি লেখা আমি শুরু করেছি ( সবে প্রথম পর্ব ) আপনি চোখ রাখতে পারেন । এই ট্রেন্ড যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই মেকানিজম যাকে " ডেমোক্র্যাটিক কনফেডারিলিজম " বলছে ইতিমধ্যে ২০০৫ সাল থেকে দক্ষিণ তুরস্কে এবং রোজাভায় বর্তমান । এই মেকানিজম এক পার্টির আধিপত্য এবং আমলাতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা প্রতিষ্ঠা করতে রাজনৈতিক ভাবে বাধা দেবে , এমনকি রোজাভার সামরিক শক্তি বিকেন্দ্রীভূত ,ট্রটস্কির নেতৃত্বে রেড আর্মির কেন্দ্রিকতা ন্য় । সুতরাং রেড আর্মি অথবা চেকা দিয়ে এই জনতার গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা রাশিয়ার মত অত সহজে উচ্ছেদ করা যাবেনা । " রোজাভায় এমন কি করা হচ্ছে যাতে এর পুনরাবৃত্তি হবে না? " রোজাভায় ঠিক এই মেকানিজম সচেতন ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে - যাতে দেশ এবং অর্জিত গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা কতিপয় কেন্দ্রীয় কমিটির বা পলিতব্যুরর নেতৃত্বের হাতে চলে না যায় । কিন্তু তার পরেও ১০০% গ্যরান্টি আছে এইরকম ভবিষ্যতবাণী আমি করতে পারবোনা তবে যে ফরম্যাটে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রশাসন , আইন , শিক্ষা ,মিলিশিয়া , স্বাস্থ্য , অর্থনীতি সাজানো হয়েছে এবং হচ্ছে সেই ফরম্যাটটাই বিকেন্দ্রীভূত ফরম্যাট । এই ফরম্যাট উল্টে দেওয়া ভীষণ রক্তাক্ত প্রতিবিপ্লব ছাড়া অসম্ভব ।

    " কোন প্রেক্ষিতে এই রাষ্ট্রহীনতা একটা জনদরদী রাষ্ট্রের চেয়ে ভালো?" এর উত্তরে রাষ্ট্র কি কেন এই মুল বিষয় দিয়ে শুরু করতে হয় তাও এইটুকু থাক আপাতত " "the State is a special organisation of force: it is an organisation of violence for the suppression of some class." এটা সবথেকে সোজা ডাইরেক্ট লেনিনীয় ডেফিনেসন । বাকি রাষ্ট্র ধরে ধরে আলোচনায় আসতে পারে । যেমন এই লেখাটায় " suppression of some class " হিসাবে সেকুলার গণতান্ত্রিক তুরস্কে কুর্দ দমনের কথার কেবলমাত্র একটি দিকের কথা এসেছে
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.44 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫১56688
  • দ্রি ঃ- কেমাল আতাতুর্ক বিষয়ে অচালানের মূল্যায়ন আপনি " Prison Writings Volume II: The PKK and the Kurdish Question in the 21st Century" এই বইটায় পাবেন -বেশ বড় অধ্যায় ।

    " আর রোজাভা মডেলের বড় হিচ হল ইকনমি। কুর্দদের নিজস্ব কারেন্সি নেই। কিন্তু তাও তাদের ইকনমি চলছে তেল আছে বলে। "

    দ্রি ঃ রোজাভার ইকনমি তেল নির্ভর নয় , তেল এবং গ্যাস প্রচুর পরিমানে আছে কিন্তু রোজাভা তা এক্সপ্লয়েট করেনা ( নিজেদের প্রয়োজনের বাইরে ) এক্সপোর্ট ও করেনা ,আইসিসের মত ব্ল্যাক মার্কেটও বিক্রি করেনা । কেন করেনা তার তাত্বিক ভিত্তি ' ইকোলজি ' । ক্যাপিতালিস্ত ইকনমি পৃথিবীর ' ইকোলজি 'র বারোটা বাজাচ্ছে এবং পুঁজিবাদের সাথে প্রকৃতি ধ্বংস ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । তার সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের লোভে দেশ দখল , যুদ্ধ , উচ্ছেদ ,ইত্যাদি । তার অন্যতম উদাহরণ আমাদের বস্তার । রোজাভার ইকনমি ঠিক এই চালু ইকনমিক মডেলের বিপরীত সেই কারনেই তাঁরা তাঁদের তেল এবং গ্যাস প্রচুর পরিমানে থাকলেও তার ব্যবহার যথাসম্ভব সীমিত রেখেছে - এবং তারও এক মেকানিজম আছে যাতে প্রশাসন ইচ্ছা খুশী এই মেকানিজম ভায়োলেট করতে না পারে । " The central pillars of democratic confederalism are ecology and feminism." ওঃ রোজাভায় কোন রকমের ট্যাক্সও নেই । না সেলস ট্যাক্স , না ইনকাম ট্যাক্স না অন্য কোন ধরনের tax।

    " কুর্দদের নিজস্ব কারেন্সি নেই " ঠিক কথা ,অচালান তা চানওনা , " ডেমক্রাটিক কনফেডারালিজম" এক্ষুনি সশস্ত্র উপায়ে রাস্ট ক্ষমতা দখল করে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লাইন নয় , তাই রাষ্ট্রের অনেক গুলি বিষয়ে বর্তমানে নাক গলাতে অনিচ্ছুক তাঁর মধ্যে বিদেশনীতি , কারেন্সি অন্যতম - অথচ রোজাভায় সেই সুযোগ ছিল নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজেদের কারেন্সি প্রচলন । সেও এক নূতন নেশন স্টেট স্থাপন এবং সেই রাষ্ট্রের গাড্ডায় পরা । বরং কারেন্সি'র প্রয়োজনীয়তাই সীমিত অতি সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে । রোজাভায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন বেতন নেই বা থাকলেও অতি নগণ্য - শিক্ষক , উকিল , জজ , পুলিশ , মিলিটারি ,প্রেস , রাজনৈতিক সংস্থা , প্রফেসর ,ইঞ্জিনিয়ার - কোন বেতনই নেই । তাই কারেন্সির প্রয়োজন অতি নগণ্য । আমাদের পক্ষে হজম করা মুশকিল এবং বোঝাও মুশকিল

    ভেনেজুয়েলায় হুগো শাভেজএর মডেল আর রোজাভা ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.44 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৩56689
  • দ্রি ঃ- আপনার বাকি প্রশ্ন গুলীতে আমি রাত্তিরের মধ্যে সম্ভবত আমার মতামত রাখতে পারব । কিন্তু আপনি এবং আপনারা পড়ছেন দেখে উৎসাহিত বোধ করছি
  • SS | 110.36.244.127 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৩56690
  • যা বোঝা গেল রোজাভা নামক স্বর্গে থাকতে হলে
    তেলের মত ন্যাচারাল রিসোর্স থাকতে হবে।
    যুদ্ধবিগ্রহ চলতে দিতে হবে, স্থিতাবস্থা থাকলে মডেল ফেল করে যাবে।
    অস্ত্রশস্ত্র চালাতে হবে, নিয়মিত কমিউনের পাহারাদারী করতে হবে।
    আরও বড় কোনো বন্দুকবাজ (যেমন আইসিস) আক্রমণ করলে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা এই মন্ত্র জপতে জপতে ওয়েস্টার্ণ ডেমোক্র্যাসির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে হবে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৪56713
  • অনেক গুলো কিন্তু আছে , শান্তির অবস্থায় রোজাভা টিকবে কিনা ? ঃ-

    আমার মতে আইসিস থাকা রোজাভার পক্ষে আশীর্বাদ , বাকি শক্তি এখন আইসিস নিয়ে ব্যস্ত -রোজাভার মত একটি রাষ্ট্র বিরোধী পুঁজিবাদ বিরোধী মডেলের দীর্ঘ কালীন সফলতা আইসিসের তুলনায় বেশী খতরনাক অন্তত বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর কাছে । দুটি রাস্তা হতে পারে হয় রাষ্ট্র একটু বেশী গণতন্ত্র আত্মধিকার দিয়ে টিয়ে ব্যালেন্স করবে অথবা ধ্বংস করবে । আইসিসের বিপক্ষে বোমা মারার অনেক যুক্তি /কুযুক্তি খাড়া করা সম্ভব কিন্তু তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে রোজাভায় বোমা মারা একটু মুশকিল কারন তারা মৌলবাদীও নয় ,বিচ্ছিনতাবাদীও নয় । তাই যত বেশী দিন রোজাভার মডেল বর্তমান থাকবে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর কাছে তত বেশী সমস্যা । সিস্টেম একটা এলাকায় এস্টাব্লিশ হয়ে যাবে

    বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক সিস্টেমের কিছু রাষ্ট্রে এক আপাত স্টেবিলিতি অবস্থায় আসতে কম দিন সময় লাগেনি এবং সেই ইতিহাস বেশ রক্তাক্ত । এরই মধ্যে পূর্ব ইউরোপে , আফ্রিকায় , মধ্যপ্রাচ্যে , পাকিস্তান , আফগানিস্তান , মালয়েশিয়া , এবং পূর্বতন সোভিয়েত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই আপাত স্টেবিলিটির দাবী খুব একটা দাঁড়াচ্ছেনা বরং ক্রমাগত বেড়ে চলা অসাম্য ,বেকারি , গ্রীস , স্পেন , তুরস্ক এমনকি ফ্রান্সে অস্থিরতা এই ব্যবস্থার প্রতি প্রত্যহ প্রশ্ন জাগাচ্ছে । সে ক্ষেত্রে স্থবিরতা এবং গতানুগতিকতার অভ্যস্ততা ভেঙ্গে বিকল্প খুঁজতে অসুবিধা কোথায় ?

    তুরস্কের এবং সিরিয়ার কুর্দরা রাষ্ট্রের এই আধিপত্য মানেন নি , গত চল্লিশ বছর ধরে এক একটা দিনের লড়াই রক্তের বিনিময়ে জিতেছেন - যে রকম এই পোস্টের মুল বক্তব্য নিউ রোজ অনুষ্ঠান এবং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক মডেল খাড়া করছেন তো আমাদের সমর্থনে কি অসুবিধা ? বরং ওয়েট & ওয়াচ এবং বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর কাছে আশীর্বাদ তুল্য ।

    রোজাভার মডেলের কথা , কাশ্মীর থেকে বালুচিস্তান , পাপুয়া থেকে আফগানিস্তান । লিবিয়া , ইরাক সকলেই ভাবতে পারে ।

    রোমান মডেল অফ ডেমক্রাসী যদি অ্যামেরিকান সেনেট হয় তবে রোজাভা এথেনীয় মডেল অফ ডেমক্রাসী । যেখানে রাষ্ট্র যদি যুদ্ধে যেতে চায় রেফারেন্ডামে যেতে হবে উল্টো দিকে দেশবাসী পরমাণু বোমা মারার বিরোধী হলেও বুশ মিথ্যার আশ্রয়ে ইরাকে যুদ্ধে চলে যেতে পারে ।
  • নির | 11.39.38.120 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৮56691
  • রোজাভা কি তাহলে সেই প্রাচীন গোষ্ঠীজীবন? (প্রায়)সবাই সমান স্ট্যাটাসে থাকে, অচালানের মত একজন গোষ্ঠীপতি থাকেন, বিনিময় প্রথা চলে, লড়াই হলে সবাই একসাথে অস্ত্র ধরে?
  • hu | 140.160.143.221 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:২২56714
  • ৪০% সংরক্ষণ করে যেখানে মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করতে হয় সেখানে জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন নেই এটা মানা গেলো না। ডিস্ক্রিমিনেশন না থাকলে কোটার দরকার কিসের? তাছাড়া একটা দেশে যুদ্ধ চলাকালীন মেয়েদের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে আসা খুব একটা অস্বাভাবিকও নয়। এটা মডেলের মেরিট কিনা সেটা বোঝার জন্য যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমেরিকায় আজ পর্যন্ত মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি বলে দেবব্রতবাবু খোঁচা দিলেন। আমেরিকার সমাজ পার্ফেক্ট নয়। কোনদেশেরই নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এদেশের মেয়েরা অন্যান্য দেশের মেয়েদের চেয়ে অনেক ভালো আছে। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান থাকলেই সেদেশে নারী স্বাধীনতা আসবে ইকোয়েশন এত সহজ তো নয়।

    জনদরদী রাষ্ট্রের চেয়ে রাষ্ট্রহীনতা ভালো কেন - আমার এই প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রতবাবু যেটা লিখলেন সেটা বুঝতে পারি নি। একটু সহজ ভাষায় লেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৫56715
  • একদম ছোট্ট জনগোষ্ঠীর মডেলে না হয় হল। কিন্তু, রোজাভার জনগোষ্ঠী কি নিজেদের টিভি বা ফোন নিজেরা তৈরী করেন, নাকি চায়না বা কোরিয়া-র ওপর নির্ভরশীল। সেখান থেকে শুরু হবে কনফিউশন।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৮56716
  • আহা, সে তো ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকাতে মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছে।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:৩০56692
  • রোজাভায় ব্যবসায়ীরা কেমন আছে? ব্যবসার মডেল-টা কেমন?
    ব্যক্তিগত লাভের জন্য লড়ে যাওয়া সম্ভব কি?
    তা না হলে, মানুষের কাজ করার মোটিভেশন কী হবে - যদি না বহু লোক একটা উন্নত মানসিক অবস্থায় পৌঁছে থাকে, যেখানে কমিউনের সকলের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যই প্রতিটি ব্যক্তির লক্ষ্য
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৪:৩৪56693
  • btw, দেবব্রত, আপনার প্রতিটি লেখাই আগ্রহ নিয়ে পড়ি, মন্তব্য করি অনেক কম।
    লেখার স্টাইল পাঠক হিসাবে আমার খুব পছন্দ নয়, একটু বেশি ডেন্স মনে হয়, কিন্তু বিষয় খুবই ভাল লাগে
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:১০56717
  • hu ঃ- আপনি অর্ধেক পড়েছেন জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন নিয়ে এইবার খোঁচা পুরোটা পড়ুন ঃ-
    গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর পরে ১৯২০ সালে আমেরিকায় মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার প্রথম স্বীকৃতি পায় । গণতান্ত্রিক আমেরিকা তার জনসংখ্যার ৫১% কে দেশের নীতিনির্ধারণের আওতার বাইরে কেবল শয্যা সঙ্গী করে রেখে দেয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর ধরে । আমেরিকার দক্ষিণের প্রদেশগুলীতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান আমেরিকানদের ভোটাধিকারই ছিলোনা তার সাথে জেল বন্দী ,মানসিক রোগগ্রস্ত ,ইমিগ্রান্ট ,গৃহহীন এমনকি দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের ভোটাধিকারের ক্ষমতা না থাকাকে আমরা যদি হিসাবের মধ্যে ধরি তাহলে দেখতে পাবো বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত মাত্র ১০% শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান নাগরিকের ভোটের ভিত্তিতে আপামর বিশ্বে ছড়ি ঘুরিয়েছেন আমেরিকার ৫২জন রাষ্ট্র প্রধান।আমেরিকার গণতন্ত্র ছিল কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান পুরুষদের হাতে ,কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের দ্বারা নির্বাচিত সংখ্যালঘু শাসকের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্ব শাসন ।

    অন্যদিকে সভ্যতার নামে নাক আকাশে তুলে রাখা ফ্রান্সের "Liberty, Equality, Fraternity" ঘোষণার অধিকারীরা মহিলাদের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন । মহিলাদের আবার লিবার্টি কিসের ? ফ্রান্সের মহিলারা প্রথম ভোটাধিকার পেলেন এই সবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ১৯৪৪ সালে । দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা (নারী ),তার ওপর অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই প্রায় দুশো বছর ধরে গণতন্ত্রের রথ গড়গড়িয়ে চলে গেলো ফ্রান্সের মত দেশে । গণতন্ত্রের এই যে আধা পবিত্র স্ট্যাটাস তার বস্তুত কোন ভিত্তিই নেই ।

    নারী অধিকারের গ্যরান্টি তার রাজনৈতিক নীতিনির্ধারণে অংশীদারিত্বের হিসাবে হয় স্যার । আপনি আমেরিকার এবং বাকি সমস্ত দেশের প্রেসিডেন্টের কথা বাদ দিন মেয়র থেকে সেনেট দেখে নিন টের পাবেন মহিলারা ইউরোপ আমেরিকায় কোথায় আছে । এই বার শুনুন যুদ্ধ বিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের রোজাভা ঃ- সমস্ত সংগঠন , পঞ্চায়েত থেকে মিলিটারি , অর্থনীতি থেকে পার্টি প্রধান যৌথ নেতৃত্বে চলে - একজন মহিলা একজন পুরুষ - সমাজের প্রতিটি স্তরে , প্রতিটি নীতিনির্ধারণে এই বাধ্যতা মূলক মহিলা উপস্থিতি পুরুষ প্রাধান্যর দেওয়াল গুঁড়িয়ে দিচ্ছে । কোটা রাখতে হয় কারন পুরুষ এমনি যায়গা ছেড়ে দেয়না । মহিলা সামরিক বাহিনী রাখতে হয় যাতে পুরুষ অর্জিত অধিকার সামরিক বলে দখল না করে নেয় । পৃথিবীর কোন গণতন্ত্রের ক্ষমতা নেই এই পরিমাণ নারী অধিকার নিশ্চিত করা । বাতেলা অনেক হয়েছে । স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায় যে হ্যা সামথিং এক্সট্রা অর্ডিনারি । নাকি পাশ্চাত্যে হয়নি বলে স্বীকার করতে কুণ্ঠা ?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:১৯56718
  • অনেক অনেক মার্গারেট থ্যাচার আসছে না কেন - তাই বলছেন
  • hu | 140.160.143.221 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:২৪56719
  • আপনার প্রথম দুটো প্যারাগ্রাফ আগেই জানি তো। তাতে কি হল? মেয়েদের ভোটাধিকারের কনসেপ্ট তো সারা পৃথিবীতেই নতুন। দেখতে হবে এই নতুন কনসেপ্ট কারা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে পারলো। সেখানেই পশ্চিম অনেক এগিয়ে আছে। মহিলা কোটায় বাধ্যতামূলক উপস্থিতি তো ভারতের রাজনীতিতেও আছে। সেখানে মেয়েরা বাড়ির পুরুষদের শেখানো কথা বলে আসেন। ওতে কিছু হয়?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:২৯56720
  • দরকার নেই দু দশটা মেয়র বা সেনেটে আসুক আগে। আর পেন্টাগন জয়েন্ট কম্যান্ডে চালিয়ে দেখাক । জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন নিয়ে বাতেলা - দেশের মেয়েরা অন্যান্য দেশের মেয়েদের চেয়ে অনেক ভালো আছে। ধুর ধুর স্বাধীনতা রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ । যে দেশ ১৯৪৪ সালের পূর্বে ( তাও বাঁশ খেয়ে ) মেয়েদের ভোটাধিকার দিতে পারেনা সেখানে আবার জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন নিয়ে বাতেলা।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:৩১56721
  • ভারতে নেই ৩৩% কোটা পাস হয়ে গেলো নাকি -জানিনাতো ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:৩৬56722
  • " মেয়েরা বাড়ির পুরুষদের শেখানো কথা বলে আসেন। ওতে কিছু হয়? " ধরে নিচ্ছি প্রথম প্রজন্মে হয়না কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মে হয় । সে যাই হউক রোজাভায় এই মহিলা প্রতিনিধিত্বর এবং সমস্ত সংস্থা যৌথ নেতৃত্বে চালানর ক্ষেত্রে যাতে মহিলারা পুরুষ দের প্রক্সি না হয় তাঁর একটা মেকানিজম আছে - পরে কোথাও লেখা যাবে - রাষ্ট্র বিষয়ে আমি দু লাইন কোট করেছিলাম "the State is a special organisation of force: it is an organisation of violence for the suppression of some class." hu একটু বলুন প্লিস রাষ্ট্র কেন দরকার ?
  • hu | 140.160.143.221 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৫:৪৯56723
  • পঞ্চায়েতে কোটা আছে না?
    দেখুন, রাষ্ট্র কেন দরকার তা নিয়ে আমার কোন পড়াশোনাই নেই। ছোট থেকেই রাষ্ট্র দেখে এসেছি, তাই এটা আমার কাছে স্বতঃসিদ্ধ। অনেকে রাষ্ট্রহীনতার কথা বলেন দেখি। কেন বলেন এটাই আমি বুঝতে চাই। আমার মনে হয় এমন একটা ফ্রেমওয়ার্ক দরকার যেটা মুষ্ঠিমেয় দু-একটা মানুষের শুভবুদ্ধির সাপোর্ট ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। কোন মডেলই নিখুঁত হবে না এটাও আমি ধরে নিচ্ছি। যে মডেলে অপেক্ষাকৃত কম এরর সেটা আমি বেছে নিতে চাইবো। এই আগ্রহ থেকেই আমি রাষ্ট্রহীনতার ব্যাপারটা বুঝতে চাইছি। এটা যেহেতু একটা বিকল্প মডেল, তাই আমি আশা করব যারা এই মডেল প্রপোজ করবেন তারাই এর কার্যকারীতা এবং অন্য মডেলটির ব্যর্থতা বোঝাবেন।

    আর আপনি যদি বলেন পশ্চিমের নারীস্বাধীনতা শুধু রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ, তাহলে বলতেই হচ্ছে পশ্চিম আপনি একেবারেই দেখেন নি। শুধু শুনেছেন এবং সম্ভবত বায়সড রিপোর্ট শুনেছেন।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩০56724
  • " ছোট থেকেই রাষ্ট্র দেখে এসেছি, তাই এটা আমার কাছে স্বতঃসিদ্ধ। অনেকে রাষ্ট্রহীনতার কথা বলেন দেখি। কেন বলেন এটাই আমি বুঝতে চাই। " এইটা সঠিক সিরিয়াস ট্রেন্ড এই বিষয়ে লেখা আসবে ওই রোজাভা অন্য বিষয়ে ।

    " আর আপনি যদি বলেন পশ্চিমের নারীস্বাধীনতা শুধু রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ" না সেটি বাক্যার্থে না ধরাই মঙ্গল -সেটা রোজাভার মহিলা অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বলা , মেনে নিতে ক্ষতি নেই একটা অজানা , পিছিয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চল মহিলা অধিকারের বিষয়ে এমন অনেক কিছু করছে যেটা অভাবনীয় তাই সেই বিষয়ে প্রাথমিক স্বীকৃতিটুকু থাকলে ক্ষতি নেই আর তাতে পশ্চিমের নারী স্বাধীনতা ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছেনা । রজাবার এইটুকু অবশ্য প্রাপ্য ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫২56725
  • আমেরিকায় মেয়েদের " স্বাধীনতা রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ " -- এটা কি আপনি জেনে বললেন, নাকি কল্পনাপ্রসূত ?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৩56726
  • কিন্তু রান্নাঘরের বাইরে মেয়েদের স্বাধীনতা তো বহু বহু দেশে আছে।
  • দ্রি | 186.10.104.243 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৯:১৭56727
  • রোজাভার ইকনমির বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে ধারণা করতে গেলে এনার ইন্টারভিউ পড়া যেতে পারে। আবদুররহমান হেমো। ইনি রোজাভার তিনটি ক্যান্টনের একটির ইকনমিক অ্যাডভাইসার।

    মূল পয়েন্টগুলোঃ

    কোঅপারেটিভ।

    We have started to build cooperatives in all different sectors: we have trade cooperatives, company cooperatives, construction cooperatives. The organizational model for our economy is the cooperative. Our aim is to be self-sufficient. If there is just bread, then we will all have a share. This is the main principle of cooperatives.

    কৃষিপ্রধাণ।

    The main economic activity here is agriculture, and so the majority of cooperatives are concentrated in agriculture. That is our social economy. The other cantons function in the same way.

    এম্বার্গো।

    in all three cantons we are surrounded—we are embargoed. Rojava is rich in natural resources and agriculture, but we receive no infrastructure investment. Internationally there’s no investment here.

    নিজেদের বানানো কিছু কোম্পানী।

    So in the revolutionary process we created companies to develop agriculture economy, and to supply seeds to the peasants so they can continue to cultivate their lands. And we supply them with diesel for the agricultural machinery.

    And we created companies to refine oil, produce diesel and other products. To produce diesel is actually less expensive than water. Water costs 25 cents a half-liter, while a liter of diesel costs 25 cents. Water is twice as expensive as oil.

    প্রাইভেট ওনারশিপ, প্রপার্টি রাইট।

    Some of companies are private—the canton self-government has no control over them. Some of them made agreements with the self-government so they can cooperate. For instance, an oil company can be privately owned, but it has an agreement with the self-government. We own the oil, they give us diesel. The energy committee decides how pure the product has to be and how to price it. It’s similar for agriculture—there are private companies that have agreements with the self-government.

    মাইনে নেই (?!)

    There’s no division of labor. Agriculture is the main occupation. This is an economy of survival. There are no wages. Some people just make their living from a cow.

    যুদ্ধ, বিগেস্ট এমপ্লয়ার, ৭০%

    Under the democratic self-government, 70 percent of the budget is spent for defense—for the YPG, YPJ, and Asayiş. The war costs us $20 million each year. We buy all our weapons, and weapons are very expensive. We have an army that needs clothes and food. The need to finance the army forces us to centralize the war economy—otherwise it’d be impossible for fighters to live in these conditions.

    পাবলিক সার্ভিস, ৩০%

    It finances all the costs of the schools in Rojava. We give the schools diesel. And we finance bread. Every family can get three breads a day.

    প্রশ্নঃ But where does the money come from? You can’t export the oil, and you consume your own vegetables.

    The income comes from selling oil products in the local economy. And we also have some income from the border crossings.

    ট্যাক্স নেই।

    most of the population is very poor. We decided not to collect taxes from the people. If we did, it would all be over. So we get no fixed income in the form of taxes to finance the system.

    কষ্টের জীবন।

    We have limited electricity, clean water, the necessities of daily life. We used to get electricity from Raqqa, but not anymore—ISIS controls it. All we have to rely on is the diesel generators.

    A lot of displaced people come here, to the Kurdish areas, and they live in very basic conditions.

    The economy in Cizîre/Rojava is functioning on a survival basis. The other cantons, Afrin and Kobanê, depend on the wealth of Cizîre. Our economy is vital for the others.

    We are paying all costs for institutions of self-government and public services.

    We have no surplus to reinvest. We don’t have the means to develop our economy. We need it to invest in other areas, but we can’t. We’re not able to create an environment where everyone can a chance to work, where professionals can get jobs, because we don’t have the means to create companies.

    The social economy income is all we have. The costs are growing because of the war. And the self-government’s administration, which we have to finance, has more members now.

    If we get no opening to the outside world, our economy will stay the same, and there will be no development. But we need outside investment. To organize it, the government has passed a law called “open economy” to organize it. Any outside investor would have to respect the economy.

    খুব সুখে নেই রোজাভা। ইকনমিক অ্যাডভাইসার কিন্তু বাইরের লোকের পয়সা চাইছেন, ইনভেস্টমেন্ট চাইছেন কাতরভাবে। কিন্তু সেসব মানেই প্রফিট। আর প্রফিট এসে গেলেই রোজাভার পুরো পারপাস ডিফিটেড হয়ে যাবে। কিন্তু প্রফিট না চাইলে কাটাতে হবে ইলেকট্রিসিটি হীন, কম্পিউটারহীন, কীকহীন জীবন।

    কী চাই আমাদের? কেক, না ফ্রিডম? আমার মনে হয়, আমরা অধিকাংশ মানুষই কেকের জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিতে পারি মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানীর কাছে। ইলেক্টেড প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতার চেয়ে মেটিরিয়াল কম্ফর্ট বেশী বড় অধিকাংশের কাছেই।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.125.80 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:১০56694
  • @ aranyaঅনেক গুলি প্রশ্ন একসাথে । স্বাভাবিক । আজকে এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিকল্প ব্যবস্থা বিষয়ে আগ্রহ স্বাভাবিক , আমাদের চালু ব্যবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখার হিসাব স্বাভাবিক । ছোট ছোট করে প্রবেশ করি । যদিও পূর্বেই বলেছি একটা লেখায় ধরা সম্ভব নয় ।

    প্রথমে আসা যাক ব্যবসা ঃ- আইনত রোজাভায় সমস্ত সম্পত্তির ( মাটির নিচে এবং ওপরে ) অধিকারী কমিউনিটি ( রাষ্ট্র নয় ) -কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার বর্তমান । কিন্তু যদি আপনি তা ব্যবহার করেন । যেমন ধরুন জমি । কোন জমির মালিক রোজাভায় থাকেন না , চাষাবাদও করেন না তাহলে সেই জমির অধিকার মালিকের থাকলো বটে কিন্তু কমিউনিটি সেই জমি চাষ আবাদ করতে পারে । সিরিয়া সরকার এইরকম বিস্তীর্ণ উর্বর জমি ন্যাসনালাইজ করে রাষ্ট্রের অধীনে এনে তাতে কিছু কিছু গম বা শস্য চাষ করত , বা ফেলে রাখত । সেই সমস্ত জমি রোজাভা প্রশাসন বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীন চাষিদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছে । সেই ভূমিহীন চাষিরা কমিউন বা কৃষি কো অপারেটিভ গঠন করলে - প্রশাসন সেই সমবায় কে ট্রাক্টর, বীজ এবং সার বিনা সুদে ধার দিয়েছে । বর্তমানে সমবায় গুলি শস্য উৎপাদন করে ,বিক্রি করে প্রশাসন কে সেই ধার মিটিয়ে নিজেরা নিজেদের আত্মনির্ভর হিসাবে গড়ে তুলছেন ।

    রোজাভা সিরিয়ার ব্রেড বাস্কেট ছিল কিন্তু সিরিয়া সরকার এমনকি একটি ময়দা মিলও বানাননি এই অঞ্চলে , এই অঞ্চলে ২০০০০ এর ওপর তৈলকূপ থাকলেও রোজাভায় কোন রিফাইনারি নেই ,তাই খুব একটা বড় ব্যবসায়ী বা বড় ব্যবসা এই অঞ্চলে ছিলোনা , যা ছিল ক্ষুদ্র নিজস্ব ব্যবসা ,ট্রেডিং, স্মল মান্যুফাকচারিং । সেই ব্যবসায় কোন বিধি নিষেধ নেই , কিন্তু মনপলি এবং হোর্ডিং নিষিদ্ধ । রোজাভায় বর্তমানে কোন ট্যাক্স নেই তাই ব্যবসা করলেও ট্যাক্সের বালাই নেই । ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বর্তমান । ব্যক্তিগত সম্পত্তি আইনত স্বীকৃত । রোজাভা'য় কো অপারেটিভ এবং ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী উভয়ে উভয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করে বর্তমানে উল , খাদ্যশস্য ,এবং পশুজাত সামগ্রী এক্সপোর্ট করছে এবং মেশিনারি , ওষুধ , শিল্পের কাঁচামাল , কন্সুমার গুডস আমদানি করছে, কিন্তু কো অপারেটিভের দিকে পাল্লা হেলে আছে বলতে পারেন । প্রশাসন জল , বিদ্যুৎ , শিক্ষা , স্বাস্থ্য বিনামূল্যে এবং প্রতি পরিবার পিছু ২টি ব্রেড ( পাউন্ড পাঁচেক হবে ) ৫০% সাবসিডি তে এবং ডিসেল নামমাত্র মূল্যে সরবরাহ করে । বেসিক চাহিদা যদি ফ্রি তে বা অতি নগণ্য মূল্যের বিনিময়ে পাওয়া যায় স্বাভাবিক ' কারেন্সির ' প্রয়োজনীয়তা কমে আসে । যেহেতু প্রশাসন আপনার বেসিক চাহিদার অধিকাংশ পূরণ করে তাই স্বাভাবিক দাবী আপনিও আপনার শ্রমের কিছু অংশ সমাজের কাজে কমিউনিটির স্বার্থে ব্যয় করবেন - তাই রোজাভায় - শিক্ষক , উকিল , জজ , পুলিশ , মিলিটারি ,প্রেস , রাজনৈতিক সংস্থা , প্রফেসর ,ইঞ্জিনিয়ার , ডাক্তার - কোন বেতনই নেই ,সব বিনা বেতনের স্বেছাসেবক । পুঁজিবাদী সভ্যতার ব্যক্তিকেন্দ্রিক ,আত্মকেন্দ্রিকতার ইঁদুর দৌড়ের বিপরীত -কমিউনিটি সেন্স । আমি কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করব কমিউনিটি আমার স্বার্থে । ইউটোপিয়া নয় বাস্তব । যে সমস্ত বাড়ির পুরুষ যুদ্ধে গেছেন তাঁদের জমি চাষ করছে কমিউনিটির বাকি সদস্যরা( বিনা ওয়েজেস) কারন যুদ্ধে গেছেন (বিনা ওয়েজেস ) কমিউনিটির স্বার্থে এখন কমিউনিটির দায়িত্ব যোদ্ধার পরিবার এবং তাঁর চাষের জমির দেখভাল করা । ক্যাপিটালিস্ট মর্ডানিটির পরিবর্তে গণতান্ত্রিক মর্ডানিটি ।

    আপনি লেখার স্টাইল বিষয়ে লিখেছেন " একটু বেশি ডেন্স মনে হয়" ঠিকই । ডেন্সিটি একটু কমাতে হবে ।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৭56695
  • তার মানে রোজাভা আমাদের মতো স্বার্থপর লোকেদের জন্য নয়, যারা নিজেদের নিয়ে ছাড়া আর কিছু ভাবে না, বদের হাঁড়ি, আর অন্যকে বাঁশ দিতে পারলে সবচে খুশী হয়। আর কমিউনিটি সার্ভিস তো দূরের কথা, বিনা বেতনে কাজ করার কথা শুনলে অবধি আঁতকে উঠি। যাক আমার জন্য ডেমোক্র্যাসিই ভালো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন