এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রক্তিম বসন্ত , নববর্ষ ঃ-অধিকার অর্জনের অনমনীয় লড়াই

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯৩৬ বার পঠিত
  • বসন্ত উৎসব , রঙের উৎসব , ফাগুয়া -হোলী , বাঙ্গালীর দোল উৎসব এসে গেল । অদ্ভুত ভাবে ঠিক একই দিনে বছরের একই সময়ে সেই ঐতিহাসিক সময়ে থেকে কুর্দ জনতা রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং গণহত্যা অগ্রাহ্য করে আজকের দিনে (২১সে মার্চ ) রাস্তায় , প্রকাশ্য স্থানে জমা হয় ‘নিউ রোজ ‘ মানাতে । 'নিউ রোজ' হোল কুর্দ নববর্ষ একই সাথে বসন্তের উৎসব । আগের কালে পাহাড়ে পাহাড়ে শীতের ঝরা পাতায় আগুণ লাগানো হত । সারা কুর্দিস্তান , ইরাক , ইরান , তুরস্ক , আর্মেনিয়া , সিরিয়া এমনকি আফগানিস্তানের পাহাড় আগুনে লাল হয়ে যেত আজকের দিনে । কাল থেকে যে বসন্ত । সাত দিন ধরে নাচ ,গান , খানা পিনা, উপহার বিনিময়ের বাঁধন ছাড়া উৎসব । এখনো শহরে গ্রামে প্রত্যেক বাড়ি থেকে কাঠ কুটো জমা করে আগুণ লাগানো হয় । সেই আগুণকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে নাচ গান উৎসব । ঠিক কোথায় যেন আমাদের হোলির পূর্বের ন্যাড়াপোড়া অথবা 'হোলিকা দহনের’ সাথে অদ্ভুত একটা মিল আছে । আমাদের দেশেও বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রত্যেক বাড়ি থেকে এক টুকরো কাঠ জমা করে ‘ হোলিকা দহনের’ উৎসব পালন হত, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো হয় । আর ঠিক আমাদের হোলির দিনেই এই অনুষ্ঠান হয় সারা কুর্দিস্তান ,ইরান এমনকি আফগানিস্তান ,আর্মেনিয়াতে ।

    হয়ত’বা আমাদের এই হোলির পরম্পরার ইতিহাস , অদ্ভুত রকমের সাযুজ্য সম্পন্ন প্রথা এমনি হোলী কে ঘিরে যে মিথ তা কুর্দদের প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার এই উৎসব থেকেই ইরান আফগানিস্তানের পথ ধরেই এসেছে, কে জানে। কিন্তু চমকে ওঠার মত সাযুজ্য , একেবারে কার্বন কপি , বক রাক্ষসের মিথ এবং ভীমের হাতে তার মৃত্যু পর্যন্ত, প্রায় একই উৎসব একই মিথ ।

    কিন্তু কুর্দদের এই স্বাভাবিক হাজারো বছরের প্রাচীন বসন্ত উৎসব প্রায় ১০০ বছর ধরে আর উৎসব নেই - ক্রমে তা রক্তেরর্ নববর্ষ ,আত্মাভিমান পুনঃউদ্ধার , স্বাধীনতা এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অনমনীয় প্রতিরোধের লড়াই এ পর্যবসিত । তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি ,উগ্র জাতীয়তাবাদের হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনি । নিউ রোজ মানেই উৎসবের সাথে সাথে প্রতিরোধের প্রস্তুতি ।

    গত একশো বছরের মতো এই বছরেও তুরস্কের সরকার দেশ জুড়ে কুর্দ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে । গৃহযুদ্ধ চলছে সেই জুলাই থেকে পিকেকে’র সাথে । এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম বলি হয়েছেন ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি তে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কর্মরত এক ব্রিটিশ নাগরিক । কম্পিউটারের এই প্রফেসর কে 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানের নিমত্রন গ্রহণ করার কারনে পত্রপাঠ দেশত্যাগী করা হয়েছে তিনি নাকি সন্ত্রাস বাদীদের সমর্থক ,এক্ষেত্রে তুরস্কের সরকার আমাদের সরকারের বড় দাদা তুল্য । আমাদের দেশে পাকিস্তানে চলে যাও বলে ধমকি দেওয়া হলেও তুরস্ক ওইসব ফাঁকা আওয়াজে বিশ্বাস না করে কেবলমাত্র নিউ রোজের নিমত্রন গ্রহণ করার অপরাধে প্রফেসর কে সিধা প্লেনে তুলে দিয়েছে ।

    এই লেখা টি যখন আমি লিখছি তখন সারা তুরস্ক জুড়ে সাধারণ নাগরিকেদের নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে কোথাও কাঁদানে গ্যাস ,কোথাও জল কামান ছুঁড়ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী । নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নিউ রোজ ‘ এর আগুণ । অশ্বারোহী বাহিনী সাধারণ জনতার দঙ্গল ছত্রভঙ্গ করছে । ভাবা যায় আজকে এই একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশের ২৫% নাগরিক তাঁদের চিরাচরিত 'নববর্ষ’ পালনের এক নির্বিষ অনুষ্ঠান পালন করবেন আর রাষ্ট্র সেই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করবে , গুলি চালাবে এমনকি গন হত্যা ঘটাবে ? অথচ তুরস্কে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছে কেমাল আতাতুর্কের সময় থেকে আর কুর্দরাও সেই সময়ে থেকে প্রতি বৎসর সমস্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে পথে নামছে , অগ্রাহ্য করছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ,তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারী চোখ রাঙ্গানি , রক্তাক্ত নববর্ষ পালিত হচ্ছে প্রতিটি বৎসর ।

    ঐতিহাসিক সময় থেকে কুর্দরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হলেও আমাদের আকবরের মত অটোম্যান শাসক রাও কুর্দদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচরণ ,সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান নি । তাই সাংস্কৃতিক আধিপত্য নিয়ে , ভাষার আধিপত্য নিয়ে সংঘাতের ঘটনা ছিল অতীব নগণ্য । ঠিক যেমন দীর্ঘ মুসলমান শাসন কালে ভারতে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা হাতে গোনা যায় । কিন্তু অটোম্যান সাম্রাজ্যের শেষের দিক থেকে ক্রমে ইউরোপের সংস্কৃতি , আধুনিকতার ধারনা ,খ্রিস্টীয় ধর্ম এবং ইউরোপের সাথে সংস্পর্শ তুরস্কের অভিজাত সমাজের মানসিক গঠন বদলাতে থাকে । গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ অনুগামীগন এবং আর্মেনীয় খ্রিস্টান তুরস্কের ব্যবসা ,সম্পদ এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । কুর্দদের প্রথা , সংস্কৃতি ,ভাষা কেমন যেন ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখা শুরু হয় । তখন তুরস্কে তুর্কী জাত্যাভিমানের উদয়ের সময় । কুর্দ এবং অন্যান্য জনজাতির সাথে সংঘাতের বীজ বপনের সূত্রপাত ।

    অবস্থা চরমে ওঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তুরস্কে কেমাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী পার্টির উত্থানের সাথে সাথে । কেমাল আতাতুর্কের ধর্মের আধিপত্যহীন , আধুনিক , একতাবদ্ধ ,এক জাতী ,এক প্রাণ , এক ভাষা, এক গান এই তথাকথিত প্রগতিশীল সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনের দর্শন বিশ্বে বিশেষত পশ্চিমের দুনিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়ালেও স্থাপন করতে থাকে উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদ । সমস্ত মাদ্রাসা তুলে দেওয়া হয় । ডিক্রী বলে তুর্কী ভাষা ছাড়া সমস্ত ভাষা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । সমস্ত কুর্দ শহরের নাম তুর্কীয় নামে পরিবর্তিত হতে থাকে । প্রকাশ্য স্থানে কুর্দ ভাষায় কথা বলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । কুর্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক লহমায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় । আইন অমান্যে জেল এবং অত্যাচার নেমে আসে কুর্দ জনজাতির ওপর । জাতীয়তাবাদের নামে সংখ্যাগুরুর বুলডোজার চালানো হতে থাকে সংখ্যালঘু জনজাতির ওপর ।

    ঠিক এমনিটিই হয়ে থাকে আধুনিক সেকুলার 'নেসান স্টেটে’ । আমেরিকায় লিবার্টি সীমাবদ্ধ থাকে কেবল মাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য । ব্রিটেনে আইরিশ’রা হয়ে পড়ে উৎপাত । ইউরোপে ইহুদী এবং জিপসিদের দেখা হতে থাকে কৃমি কীটের থেকেও অধম হিসাবে । তুরস্কে কুর্দদের এক লহমায় অস্তিত্বই মিটিয়ে দেওয়া হয় । জাতীয়তাবাদী সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক হেজিমনি ।

    অসংগঠিত এবং সবল রাজনৈতিক পার্টির অনুপস্থিতিতে কুর্দরা নিজেদের মত প্রতিরোধ করতে থাকেন । রক্তাক্ত হতে থাকে প্রতিটি প্রতিরোধ । অবশেষে ১৯৩৮ -১৯৪০ সালের সময় থেকে কুর্দ প্রতিরোধ রাষ্ট্রের প্রবল শক্তির কাছে ক্রমশ হেরে যেতে থাকে । দীর্ঘ কাল প্রবাসে থাকার ফলে আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম যেমন নিজেদের ভাষা ,সংস্কৃতি বিস্মৃত হতে থাকে, সম্পৃত হতে থাকে বৃহৎ আগ্রাসী সংস্কৃতির সাথে । গান , নাচ , পোশাক , ভঙ্গিমা যেমন আজকের দিনে বলিউড গ্রাস করে নেয় ঠিক তেমনই পরবর্তী কুর্দ প্রজন্ম ভুলে যেতে থাকে নিজেদের ভাষা , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য এবং পরম্পরা । কিন্তু তুর্কী জনজাতি কুর্দদের ঠিক নিজের লোক বলে মানতে পারেনা -ঠিক যেমন আমরা নর্থ ইস্ট বাসিন্দাদের চিঙ্কি অথবা অন্যগ্রহের প্রাণী বলে মনে করি । আবার কুর্দরাও প্রাণপণ তুর্কী বনার প্রয়াসে ক্রমে নিজেদের সংস্কৃতি তুর্কীয় সংস্কৃতির সাথে মেলানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বিশাল তুর্কীয় জাতীয়তাবাদের সমুদ্রে ইতস্তত ভেসে থাকে ।

    ইতিমধ্যে আবদুল্লা অচালান ১৯৭০ এর দশকে কুর্দ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন ( এ বিষয়ে আমি অন্য পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি বলে সেই ইতিহাসের পুনারবৃত্তি আর করছিনা ) অচালান কুর্দ আইডেন্টিটি ,শ্রেণী নির্বিশেষে একতা এবং সংখ্যাগুরুর আইডিওলজিকাল হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনির আইডিওলজি গড়ে তুলতে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং এই হারিয়ে যাওয়া পরম্পরা 'নিও রোজ' প্রকাশ্যে পালন করতে কুর্দ জনতাকে উৎসাহিত করতে থাকেন । ভাষা এবং সংস্কৃতি এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র যা ধর্ম এবং শ্রেণী নির্বিশেষে এক ছিন্ন বিচ্ছিন ক্ষুদ্র জনজাতিকে একতাবদ্ধ করতে পারে । পিকেকে অগ্রগামী হিসাবে নিজেরা প্রকাশ্যে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং নিও রোজ পালনের উৎসব পালন করতে শুরু করে । রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এতকাল লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের নববর্ষ পালনের উৎসবে ধীরে ধীরে কুর্দ জনতা অংশগ্রহণ করতে শুরু করে । সাথে সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় দমনের ধারাবাহিকতা ।

    আবদুল্লা অচালান কুর্দ জনতার এই পরম্পরাকে 'কাউন্টার হেজিমনির ‘ আইডিওলজিতে পরিনত করতে থাকেন। 'নিউ রোজ' শ্রেণী এবং ধর্ম বিভেদ ভুলে আপামর কুর্দ জনতার রাষ্ট্র বিরোধী জমায়েতে পরিনত হতে থাকে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে । ‘ নিও রোজ ‘ কুর্দ জনতার সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে । নিউ রোজ এর পুন;উত্থান এবং এই উৎসব কে কেন্দ্র করে কুর্দ মবিলাইজেসান , তুরস্কের আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য সফলতা ।এ এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরোধী ক্ষুদ্র জনজাতির পাল্টা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত ।

    এক দিকে নিউ রোজের উৎসবকে কেন্দ্র করে ,তার সাথে জড়িত মিথ,অল্টারনেটিভ স্টোরি ,সাধারণ জ্ঞান ব্যবহারে কুর্দ সংস্কৃতি ,আইডেন্টিটির এক অভূতপূর্ব একতাবদ্ধতা অন্যদিকে তুরস্কের সরকারের এই একতাবদ্ধতার অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়াস । এই 'নিউ রোজের’ সাথে মিথ ,ইতিহাস এবং প্রতিবাদের সূত্র জড়িয়ে আছে - এ কোন সাধারণ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নয় - অত্যাচারী রাজার হাত থেকে হাজারো বছর পূর্বে কুর্দ জনজাতির মুক্তির সফলতার এবং বসন্ত আগমনের ইতিহাস বা লোককথা ভিত্তিক মিথ ।

    সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে এক আসিরিয়ান অত্যাচারী রাজা ছিল 'যুহাক’ । কোন এক সময়ে যুহাক ইরান এবং বর্তমান কুর্দিস্তান দখল করে । অত্যাচারী শাসন চলতে থাকে ১০০০ বছর ধরে । তার অত্যাচারের ফলে কুর্দিস্তানে বসন্তের আগমনই হতোনা । তার শক্তি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দিন দুই শক্ত সমর্থ যুবককে বলি দিয়ে তাঁদের ঘিলু এই রাজার কে খাদ্য হিসাবে দিতে হোত । কিন্তু যিনি এই কঠিন কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি দু জন যুবকের বদলে কেবলমাত্র একজনকে হত্যা করে তার ঘিলুর সাথে ভেড়ার ঘিলু মিশিয়ে রাজা 'যুহাক’ কে দিতেন । বেঁচে যেত একজন যুবক প্রত্যহ । কেমন যেন আমাদের বক রাক্ষসের গল্পের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা ? ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে অত্যাচারী রাজা 'যুহাক’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করল । অবশেষে 'কাওয়া’ পেশায় কর্মকার , যার ৬ ছেলে ইতিমধ্যে রাজা 'যুহাক’ এর এই অত্যচারে বলিপ্রদত্ত হয়েছে -বলি থেকে বেঁচে ফিরে আসা কুর্দ যুবকদের নিয়ে এক অকুতভয় সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন । কোন এক ঐতিহাসিক সময়ে ২০সে মার্চ রাত্তিরের অন্ধকারে সেই সৈন্যবাহিনী রাজা যুহাকের রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে , কাওয়া তার নিজের হাতে তৈরি এক বিশাল হাতুড়ীর ঘায়ে অত্যাচারী রাজা ’ যুহাক’ এর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে । কাওয়া ২১সে মার্চ পাহাড়ে আগুণ লাগিয়ে দেন দেশবাসী কে খবর দিতে যে অত্যাচার সমাপ্ত । ঠিক তার পরের দিন থেকে 'বসন্ত' প্রায় হাজার বছরের রাজা 'যুহাক’ এর অত্যাচারী শাসনের অবশেষে ফিরে এলো কুর্দিস্তানে ।

    এই যে শক্তিশালী মিথ । হাতুড়ীর আঘাতে অত্যাচারীর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে দেওয়ার প্রতীক । কুর্দ জাতীর স্বাতন্ত্রতা । প্রত্যেক দিন একজন সক্ষম যুবকের বলিদান স্বত্বেও অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজার বছর ধরে লড়াইয়ের ক্ষমতা । লোহা দিয়ে তৈরি জনজাতি । এই শক্তিশালী মিথ এবং তাকে ঘিরে উৎসবের পুন;উত্থান অদ্ভুত বুদ্ধিমত্তার সাথে অচালান প্রোথিত করে দিলেন কুর্দ জনতার হৃদয়ে । এই পরিপ্রেক্ষিতে 'নিও রোজ' তুর্কী জাতীয়তাবাদের চাপে বিচ্ছিন্ন কুর্দ জনতাকে একতাবদ্ধ করে দিল । পুনরায় কুর্দ জনজাতি রাষ্ট্রীয় দমন অগ্রাহ্য করে আতসবাজি পুড়িয়ে ,নেচে , গেয়ে , উপহার বিনিময় করে তাঁদের হাজারো বছরের এক প্রথা নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান পালন করতে শুরু করে । একই সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় অত্যাচার ।

    ১৯৯০ সালের 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানে নুসাইবিন শহরে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৩ জনের মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল । ১৯৯১ সালের অনুষ্ঠানে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। ইস্তাম্বুল , আদানা , জিজরে , কুল্প ,হানি এবং দিয়ারবাকির শহরে নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে তুরস্কের সরকার নির্বিচারে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালালে ৩১ জন লোক প্রাণ হারান । ১৯৯২ সালে ২০শে মার্চ পুনরায় পুলিশের গুলি চালনায় ২ জন নিরস্ত্র ব্যক্তির মৃত্যু হলে মানুষ ক্ষেপে ওঠে ২১ সে মার্চ ৯৪ জন নিরস্ত্র জনতার মৃত্যু ঘটে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালেও যথারীতি তুরস্ক সরকারের এই কুর্দ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধকরনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে । কিন্তু ততদিনে কুর্দ প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে পিকেকে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তাই এই দমন নেমে আসে শহরাঞ্চলে ।

    ১৯৯৩ সালের নিউ রোজ অনুষ্ঠান ভঙ্গ করার প্রাথমিক টার্গেট ছিল আদানা শহর । তুরস্কের পুলিশ অফিসাররা তার সাথে আক্রমণ নামিয়ে আনে বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালে ২১সে মার্চ বসন্ত উৎসব গুঁড়িয়ে দিতে প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয় । বাড়ি ঘরে নির্বিচারে গোলা বর্ষণ চলতে থাকে । এই আক্রমণে এক ১৬ বছরের কিশোর এক ৬২ বছরের বৃদ্ধ সমেত ৬ জন প্রাণ হারান । তুরস্কের সরকার ২০০২ সাল পর্যন্ত এই আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন ,কিন্তু অনমনীয় কুর্দ 'রাও এই নিউ রোজ অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৯৯৯ সালে আবদুল্লা অছালান কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক 'নিও রোজ' নববর্ষেরে সাথে সাথে অচালানের মুক্তির দাবীতে ম্যাসিভ কুর্দ জনতার সমাবেতে পরিবর্তিত হতে থাকে । ২০০০ সালে কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক কুর্দ জনতা রাস্তায় নামে নিউ রোজ পালন করতে ।

    প্রত্যেক বছর ক্রমাগত বেড়ে চলা জনতার ঢল এবং বিপুল ঐক্যবদ্ধতার কাছে অবশেষে রাষ্ট্র পিছু হটে । প্রায় একশো বছরের অবশেষে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনতার বলিদানে 'নিও রোজ' আজ এক সত্যিই দেখবার মত অনুষ্ঠান । পুনরায় এই বছর তুরস্কের সরকার 'নিউ রোজ’ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধ করেছে কিন্তু সমুদ্রের উচ্ছ্বাস বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানোর মত উড়ে গেছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা । নিউ রোজ ‘ কাওয়ার ‘ বিজয়ের উৎসব , অত্যাচারের অবসানে বসন্ত আগমনের উৎসব ।

    প্রতীক ,মিথ অনেক দেশেই অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সংগঠিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে । আমাদের আনন্দমঠ , ভারতমাতার কল্পনা ,পোঙ্গলে বলি রাজার ফিরে আসার মিথ ইত্যাদি কিন্তু এক শক্তিশালী মিথ ব্যবহার করে এক মৃতপ্রায় প্রথাকে জাতী ধর্ম শ্রেণী নির্বিশেষে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র জনজাতিকে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করার এত সফল দৃষ্টান্ত আধুনিক বিশ্বে অনুপস্থিত । অচালান সেই কারনেই কুর্দ জনতার হৃদয়ের নেতা । নিউ রোজ এক সত্যিই মনে রাখার মত বুদ্ধিদীপ্ত কাউন্টার হেজিমনি আইডিওলজি -রক্তাক্ত কিন্তু ঐক্যবদ্ধ অসাধারণ বসন্ত উৎসব ।

    সমস্ত কুর্দিস্তান জুড়ে , ইউরোপ জুড়ে এই বসন্তের উৎসব অশুভের পরাজয় এবং শুভর জয় ,পালিত হচ্ছে একই দিনে আমাদের হোলির সাথে সাথে — আপনাদের জন্য থাকলো এই উৎসবের কিছু চিত্র এবং ভিডিও । Here are the YPG & YPG fighters celebrating #Nowruz pic.twitter.com/iOXymhQ8HB
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.125.80 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৮56696
  • @নির লিখছেন " রোজাভা কি তাহলে সেই প্রাচীন গোষ্ঠীজীবন? (প্রায়)সবাই সমান স্ট্যাটাসে থাকে, অচালানের মত একজন গোষ্ঠীপতি থাকেন, বিনিময় প্রথা চলে, লড়াই হলে সবাই একসাথে অস্ত্র ধরে?"

    প্রাচীন গোষ্ঠী জীবন কেন হবে ? আধুনিক , বেশ আধুনিক -স্টাইলের কিছু কম নেই , বোরখার বালাই নেই , হাতে হাত ধরে প্রেম করতে মানা নেই ,আধুনিক ইউনিভার্সিটি বর্তমান । প্র্যায় সমান স্ট্যাটাস এখনো নয় শ্রেণী বিভেদ আছে , ব্যক্তিগত সম্পত্তি আছে -যদিও কম । কমপক্ষে ১২টি রাজনৈতিক দল আছে , স্ট্রাইকের অধিকার আছে , মৃত্যুদণ্ড নেই , যাবজ্জীবনের মেয়াদ ১২ বছর । মেয়েরা সমস্ত রাজনৈতিক , প্রশাসনিক ,সামাজিক স্তরে সমান ভাবে আইনত আছে , বহুবিবাহ নেই , বাল্য বিবাহ নেই । ৩৫% সামরিক শক্তি মহিলা , নির্বাচিত পুলিশ (রাষ্ট্র নিয়জিত নয় ) । এবং সবথেকে যেটি বড় অধিকার সেটি গণতান্ত্রিক অধিকার । যে কোন সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার আছে । জনতা পছন্দ না হলে যে কোন সময় মোদী অথবা মমতা কে চেয়ার থেকে নামিয়ে দিতে পারে ' ready to recall " বরং রোজাভার গণতান্ত্রিক মডেল এবং নারী স্বাধীনতার মডেলের তুলনায় পৃথিবীর যে কোন গণতন্ত্র প্রাগৈতিহাসিক বলে মনে হতে পারে । যেমন ধরুন আমেরিকা আজ পর্যন্ত একটি মহিলাকে তাদের দেশের প্রেসিডেন্ট বানাতে পারলনা । ১৯৪৪ সালে ফ্রান্সের মহিলারা ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছে । ভারতবর্ষ - ৩৩% মহিলা সংরক্ষণ করতে ঘেমে নেয়ে একশা । অথচ রোজাভায় ৪০% মহিলা কোটা সর্বত্র বাধ্যতামূলক । রোজাভার সমস্ত পোস্ট পার্টি থেকে মিউনিসিপ্যালিটি কো চেয়ার ভিত্তিতে চলে । একজন মেয়র নন দু জন তাঁর মধ্যে একজন মহিলা হতে বাধ্য । রোজাভার তুলনায় পৃথিবীর যে কোন গণতন্ত্র প্রায় প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ের ।
    ( পশ্চিমে হয়নি তো তাই এত নাকসিটকানি )

    অচালান ১৭ বছর ধরে জেলে বাস করছেন - গোষ্ঠীপতি কি ভাবে হবেন ? বিনিময় প্রথা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাওই ছিলোনা (আজ্ঞে হ্যা এমন কিছু জেনে থাকলে ভুল জেনেছেন ) তো রোজাভায় কি করে থাকবে ?

    এটি একদম সত্য" লড়াই হলে সবাই একসাথে অস্ত্র ধরে " - এমনকি মায়েরাও - মাদার ব্রিগ্রেড আছে -রীতিমত বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ,অটোম্যাটিক রাইফেল ধারী ।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৫২56697
  • dc ট্যাক্স নেই , ইলেকট্রিক ,গ্যাস ,তেল, জলের বিল নেই , রুটিও প্রায় মুফতে , ছেলের স্কুলের মাইনে ,বই পত্তর , টিউশনের খরচ নেই , ডাক্তারের ডাকাতই বিল নেই , ওষুধের খরচ নেই তার ওপর অন্যকে মানে নেতা কে বাঁশ দেওয়ার একেবারে আইনসম্মত প্রথা বর্তমান , ভেবে দেখবেন নাকি ? যদিও একটু মহিলা ঘটিত দাদা গিরি আছে ঠিকই !
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:০৩56698
  • দেবব্রতদা বাকি তো ঠিকই আছে, তবে কিনা স্রেফ রুটিতে আমার চলে না, কেক নাহলে মুশকিল হয়ে যায়। আর শুধু নেতা না, আমি আমার অফিসের সহকর্মী থেকে পাড়াপড়শী সবাইকে বাঁশ দিতে ভালোবাসি। অমন আদর্শ দেশ, যেখানে সবাই এতো এতো ভালো, সেখানে কি আমার জায়গা হবে? আর সবথেকে বড়ো কতা, আমার খুব টাকার লোভ। মোটা ব্যাংক ব্যালেন্স নাহলে আমার চলে না। বিনে টাকায় কাজ করতে হলে টাকা জমাবো কি করে?
  • pi | 74.233.173.177 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:০৭56699
  • ইয়ে , প্রাচীন জনগোষ্ঠীর মধ্যেও কিন্তু হাতে হাত ধরে প্রেম করতে মানা নাই তেমন। ওসব মানা টানা আমাদের সভ্য সমাজের অবদান অনেকটাই।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:০৮56700
  • dc ' যাক আমার জন্য ডেমোক্র্যাসিই ভালো' ভালোই তো প্রাগৈতিহাসিক না আধুনিক ? রোজাভা তো বাকিদের মানে তথাকথিত ডেমোক্র্যাসিকে প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে দাঁড় করাচ্ছে !
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:১৯56701
  • মানে যে ডেমোক্র্যাসিতে আছি, সেটা অধুনিক না কি সেটা বলতে পারব না।

    একটা কথা বলি, আমি মানুষের ভালত্বয় বিশ্বাস করিনা। আমি জানি মানুষের মধ্যে লোভ, হিংসা, স্বার্থপরতা, সব আছে, থাকবেও। কারন এটাই মানুষের নেচার। কাজেই যেসব সমাজ ব্যাবস্থা মানুষের ভালত্ব, মহত্ব ইত্যাদির ওপর বেস করে বানানো সেগুলো নিয়ে আমার একটু সন্দেহ হয়। এই যেমন সমাজতন্ত্র, ছোটবেলায় শুনতাম সমাজতন্ত্র নাকি উন্নততর মানুষ তৈরি করবে, যারা শুধু অন্যের উপকার করে বেড়ায় আর মেপে দেখে সবাই সমান হলো কিনা। তার চেয়ে ডেমোক্র্যাসিতে দেখি এসব "আমরা সবাই সবার তরে" টাইপের মানুষের দরকার হয়না, যেমন আছে তাই দিয়েই কাজ চলে যায়। হয়তো এজন্যই ডেমোক্র্যাসিকে বলে বেস্ট অফ সেভেরাল ওয়ার্স্ট অপশানস।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:২০56702
  • pi ঃ- থুড়ি ওইটা একটু ভুল লিখে ফেলেছি আসলে আমি পাশে আইসিসের কথা মনে করছিলাম ।

    dc ঃ- টাকা । জমে ? ব্যাংক ব্যালেন্স ? সেতো নামে আপনার , আসলে মাল্যের কাজে লাগে । যা জমান সে তো ভবিষ্যতের নিরাপত্তা । ভবিষ্যৎ নিরাপদ ? মুদ্রাস্ফীতি ,প্রিমিয়াম , হসপিটাল বিল। সব তো শেষ ! আর তার পরেও যাঁদের জমে তাদের জন্য আপাতত রোজাভা নয় । বাকি ৯৮% সেখানে যেতে পারেন অথবা সেই মডেল নিজের দেশে ।

    কেক খান না কে বারন করেছে , আপনি তো ওই যে টুকু ফ্রি পাচ্ছেন তাঁর বিনিময়ে কিছুটা শ্রম দিচ্ছেন বাকি তো আপনার কেক খান , সিনেমা দেখুন ,দেশ বেড়ান ,বই পড়ুন নিউ রোজ মানান ।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:২৮56704
  • ডেমোক্র্যাসিই তো । কতিপয় ব্যক্তির শাসনের পরিবর্তে প্রকৃত সংখ্যাগুরুর শাসন । মানুষের ভালত্ব, মহত্ব'র বিষয় নয় । ' সারভাইবাল অফ দা ফিটেস্ট ' এর ভুল ব্যাখ্যার পরিবর্তে ' মিউচুয়াল এইড 'মেকানিজম এর আধুনিক প্রয়োগের মডেল - কনফ্লিক্ট , বৈষম্য গণতান্ত্রিক উপায়ে কমানোর মডেল সমস্ত দোষ এবং গুন মেনে নিয়ে ।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:২৮56703
  • না দাদা আমার ব্যাংক ব্যালেন্স স্রেফ আমার। মাইরি বলছি, মাল্য ফাল্য কেউ আমার টাকায় হাত দিতে পারবে না, মাল্যর জুজু আমায় না দেখালেও হবে :d

    আর আমি বিনে পয়সায় কিছু নিতেও চাইনা, দিতেও চাইনা। ভুল বল্লাম, বিনে পয়সায় কিছু পেলে তো নেবই নেবো, এমনিতে যতোটুকু নিতাম তার থেকে বেশী নেবো, কিন্তু বিনে পয়সায় এতোটুকু কিছু দেবো না। এই ধরুন চেন্নাইতে দুরকম রেশন কার্ড আছে, সবুজ আর সাদা। সবুজটা বিপিএল, সাদাটা আর সবার। আমি কিন্তু প্রথমেই হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে আর আমার পাড়ার একটা লোককে ধরে সবুজ কার্ডটা বানিয়ে নিয়েছি। ফলে যখন আম্মা বললো চেন্নাইতে যাদের যাদের সবুজ কার্ড আছে তারা সবাই বন্যার কম্পেন্সেশান হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পাবে, তখন আমিও দিব্যি পেয়ে গেলাম (টাকাটা আমার ব্যাংকে অনলাইন ট্রান্সফার হয়েছিল)। আমি এরকমই শয়তান টাইপের লোক।
  • dc | 120.227.228.23 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৩২56705
  • কমিউনিটি বেসড শাসন ব্যাবস্থা আর ডেমোক্র্যাসি কি এক? আপনার বর্ণনা পড়ে তো তেমন মনে হচ্ছেনা!
  • hu | 78.63.145.192 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৪56683
  • দেবব্রতবাবু, এই বিষয়ে আপনার বিশদ আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম। যুদ্ধ চলাকালীন অনেক ব্যবস্থাই কাজ করে। যুদ্ধের শেষে সেটা ব্যবহার্য থাকে না। সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও আপনি লিখেছেন প্রথম চারবছর এটা কাজ করেছে। তারপর ক্ষমতা তার হাত বাড়িয়েছে। রোজাভায় এমন কি করা হচ্ছে যাতে এর পুনরাবৃত্তি হবে না? এবং কালকের প্রশ্নটা আবার করি - কোন প্রেক্ষিতে এই রাষ্ট্রহীনতা একটা জনদরদী রাষ্ট্রের চেয়ে ভালো? যদি এই বিষয়গুলো আপনার লেখায় আলোচনা করেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবো।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৫56706
  • আপনি তেমন কিছু শয়তান টাইপের লোক বলে মনে হচ্ছেনা ,আপনি বরং অতি ভদ্র লোক মাত্র পাঁচ হাজার টাকা তাও সিস্টেমের গলতের ফাঁক ফোঁকরে ।

    মাল্যর জুজু আমায় না দেখালেও হবে এ কথা আপামর গ্রীস বাসীও ভেবেছিল , তারা এইটাও ভেবেছিল " আমার ব্যাংক ব্যালেন্স স্রেফ আমার" তার পরে কি হোল ?
  • দ্রি | 181.25.193.132 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৪০56684
  • ওজ্যালানের কোন বইতে আতাতুর্কের ডিটেইল্‌ড মূল্যায়ন আছে বলুন তো?

    আর রোজাভা মডেলের বড় হিচ হল ইকনমি। কুর্দদের নিজস্ব কারেন্সি নেই। কিন্তু তাও তাদের ইকনমি চলছে তেল আছে বলে। ভ্যালুয়েব্‌ল ন্যাচারাল রিসোর্স নেই এরকম জায়গায় এই ধরণের কমিউন চালানো ইকনমিকালি ভায়াব্‌ল নয়। এই স্টাইলের কাউন্সিল কমিউনিজ্‌ম (যা এই সাইটে কাউকম বলে প্রসিদ্ধ) ভেনেজুয়েলায় হুগো শাভেজ চালিয়েছিলেন তাঁর জীবদ্দশায়। কিন্তু পুরো মডেলটাই ফাঁড়িয়েছিল হাই অয়েল প্রাইসের ওপর বেস করে। এখন অয়েল প্রাইস কোল্যাপ্স করার পর ভেনেজুয়েলায় এখন কারেন্সি ক্রাইসিস চলছে, করুণ অবস্থা। ইউ এস ব্যাক্‌ড অপোজিশান সুযোগ বুঝে মাদুরোর ওপর চেপে বসেছে। এতদিন ভেনেজুয়েলাই ছিল কিউবার লাইফলাইন। খুব শস্তায় কিউবাতে তেল দিত। এখন ভেনেজুয়েলার সে সামর্থ্য নেই। তাই কিউবা বাধ্য হয়েছে আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করতে। ওজ্যালান যে ডেমোক্র্যাটিক ফেডারালিজ্‌মের মডেল দিয়েছিলেন সেটা মিড্‌ল ইস্টের জন্য। ইন ফ্যাক্ট উনি কমিউনিটি ধরে ধরে সেই প্রোপোজাল দিয়েছিলেন। কিন্তু মিড্‌ল ইস্টের একটা বড় সুবিধে হল ওখানে প্রচুর হাই ভ্যালু ন্যাচারাল রিসোর্স রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর সব প্রান্তে এই মডেল চলবে না।
  • Debabrata Chakrabarty | 37.63.176.34 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৪১56707
  • ডেমোক্র্যাসি কি এক? মানে কোন ডেমোক্র্যাসির কথা বলছেন - এই প্রতিনিধিত্ব মূলক পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাসি ? যেখানে সংখ্যাগুরুর ওপর সংখ্যালঘিস্টের শাসন ? যেখানে পাঁচ বছর পরে কয়েক ঘণ্টার জন্য দেশের মাত্র ১৩% জনতার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মোদী ক্ষমতায় আসেন ? এই টা ডেমোক্র্যাসি কি উপায়ে ?
  • pi | 74.233.173.181 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১২:৪৯56708
  • ডিসি র শয়তানের উকিল সাজার খুব পাকা অভ্যেস আছে বটে তবে ভুয়ো বিপিএল কার্ড বানানোটা একটু কান্চা হয়ে গেল । কেউ বিশ্বাস করবে না ঃ)
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:১১56729
  • দ্রি ঃ- এই সাক্ষাতকার টি বেশ পুরানো তবুও এই বিষয়ে আমি পূর্বের পোস্ট গুলীতে বলেছি

    1। মাইনে নেই ( সেই শুনে অনেকে আঁতকে উঠেছেন ) ২ । কো অপারেটিভ ইকনমি ৩ । নো ট্যাক্স ৪ । প্রাইভেট ইকনমি ইত্যাদি
    আপনি একটু মিসইন্টারপ্রেট করেছেন ঃ-

    " যুদ্ধ, বিগেস্ট এমপ্লয়ার, ৭০%" । ওখানে সৈন্য বাহিনী মাস মাইনে পাননা যুদ্ধ করার জন্য । একটা জাতীর সক্ষম পুরুষ এবং মহিলা দেশের অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষা করার স্বার্থে আইসিসের সাথে লড়ছে এক আদর্শে ভর করে সেখানে " বিগেস্ট এমপ্লয়ার" কথাটার অর্থ অন্যান্য দেশের মাইনে পাওয়া সৈন্যদের সাথে সমতুল্য করে দেওয়া । যুদ্ধ খাতে খরচ আর যুদ্ধ মেশিনারি দেশের সবচেয়ে বড় কর্মক্ষেত্র বলাটা এক নয় ।
    রোজাভা কষ্টে তো বটেই কিন্তু দুর্ভিক্ষে নয় ,দাসত্বেও নয় " তবে সিরিয়ার বাকি অংশ , ইরাক , লিবিয়া , ইয়েমেন এবং অন্যান্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলির তুলনায় প্রায় স্বর্গে আছেন ওখানকার অধিবাসীরা ।নিরাপত্তা ,স্বাধীনতা , গণতন্ত্র এবং আত্মনির্ভরতায় ।

    " ইকনমিক অ্যাডভাইসার কিন্তু বাইরের লোকের পয়সা চাইছেন, ইনভেস্টমেন্ট চাইছেন কাতরভাবে। কিন্তু সেসব মানেই প্রফিট। আর প্রফিট এসে গেলেই রোজাভার পুরো পারপাস ডিফিটেড হয়ে যাবে। কিন্তু প্রফিট না চাইলে কাটাতে হবে ইলেকট্রিসিটি হীন, কম্পিউটারহীন, কীকহীন জীবন।"

    না সমীকরণ অত সরলরৈখিক নয় -রোজাভার আফরিন ইউনিভার্সিটি সিরিয়ার বেঁচে থাকা এক মাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারং পড়ানো হয় ,এইবার " ইলেকট্রিসিটি হীন, কম্পিউটারহীন, কীকহীন জীবন" সেখানে সারা সিরিয়ার একমাত্র ইউনিভার্সিটি " ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারং" পড়ায় কেন ? না পরিস্থিতি অত প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ের নয় । পাওয়ার প্লান্ট আইসিসের কব্জায় তো কি হয়েছে ? প্রতিটি মহল্লায় জেনারেটর আছে এবং তেলের দাম জলের তুলনায় সস্তা, মহল্লা ডিসাইড করে দিনে কতক্ষণ জেনারেটর চলবে বর্তমানে দিনে গড়ে -১২ ঘণ্টা ইলেক্ট্রিসিটি থাকে । তাই কম্পিউটার থেকে শুরু করে ,মোবাইল ফোন , ফেসবুক , সিনেমা হল সবই আছে । রোজাভার যে কোন স্কুলের ইনফ্রাস্টাকচার আমাদের বেস্ট সরকারী স্কুল কে গুনে দশ গোল দেবে । তাই সাব সাহারান আফ্রিকান কান্ট্রি নয় ।

    " ইকনমিক অ্যাডভাইসার কিন্তু বাইরের লোকের পয়সা চাইছেন, ইনভেস্টমেন্ট চাইছেন কাতরভাবে। কিন্তু সেসব মানেই প্রফিট। আর প্রফিট এসে গেলেই রোজাভার পুরো পারপাস ডিফিটেড হয়ে যাবে।"

    রোজাভা ভারতবর্ষ নয় যে মোদী চাইল আর আদানি জমি পেয়ে গেল , সেখানে একটা একদম নিচের স্তর থেকে চেক & বাল্যেন্স মেকানিজম আছে ইচ্ছা করলেই তেলেরকূপ কাউকে দিয়ে দেওয়া যায়না । আর এই যে আবেদন সেই আবেদন মূলত বিদেশে বসবাসকারী সম্পন্ন কুর্দ জনতার কাছে - তাঁরাই কেবলমাত্র এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজেদের দেশে ইনভেস্ট বা সাহায্য করতে পারেন - করছেনও বিধ্বস্ত কোবানে গড়ে তুলতে বিদেশে বসবাসকারী কুর্দরাই সহযোগিতা করছেন ।
  • কল্লোল | 111.56.184.114 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৩56730
  • দ্রি। আপনি লিখেছেন - "কী চাই আমাদের? "

    এই আমরা কারা? আমার আপনার মতো মানুষ, যাদের কাছে রাষ্ট্র স্বতঃসিদ্ধ, কর্পোরেট স্বতঃসিদ্ধ, ব্যক্তিগত সাচ্ছন্দ স্বতঃসিদ্ধ? নাকি আপনি মানবজাতির কথা বলছেন?
    আমার অবশ্য মনে হয় প্রথমটাই ভেবেছেন আপনি।আমার প্রত্যয় আপনি জানেন মানুষের স্বভাব ইঃ একরঙ্গা নয়।

    কাজেই ঐ যে আপনি লিখেছেন -আমরা অধিকাংশ মানুষই কেকের জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিতে পারি মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানীর কাছে। ইলেক্টেড প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতার চেয়ে মেটিরিয়াল কম্ফর্ট বেশী বড় অধিকাংশের কাছেই।

    সেটা সব ক্ষেত্রে সব পরিস্থিতিতে সত্য নাও হতে পারে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৭56731
  • কুর্দ রা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখে নিয়েছেন তথাকথিত " মেটিরিয়াল কম্ফর্ট ' পৃথিবীর কত সংখ্যক লোকের করায়ত্ত । স্পেন , গ্রীস ,আফ্রিকা আমেরিকা সমস্ত তাঁর সাথে প্রত্যহ বোমা বর্ষণ এবং দলে দলে উদ্বাস্তু জীবন । তাই অধিকাংশ কুর্দ আত্মসমর্পণের বদলে প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন এটা জেনেই যে হার্ডসিপ অপেক্ষা করছে । আত্মসমর্পণ করলে তো সেই কবেই তুরস্কেই করে নিতেন - সেই দেশে তথাকথিত " মেটিরিয়াল কম্ফর্ট ' কম কিছু নেই । কারো কারো কাছে আত্মসমর্পণ বেটার চয়েস কিন্তু বিগত ১০০ বছরের কুর্দ ইতিহাস সেই কথা বলছেনা । বামপন্থার এই পানা পুকুরে পর্যবসিত হওয়ার সময়ে , পুঁজিবাদ কে একমাত্র পথ হিসাবে মেনে নেওয়ার দাসত্বের সময়ে একমাত্র পিকেকে এবং কুর্দ জনতা " অন্য বিশ্ব যে সম্ভব " সেই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন অসংখ্য স্বাধীনতাকামী জনতার হৃদয়ে । ভবিষ্যৎ বলবে সেই স্বপ্ন মৃত হয়েছে , না পথভ্রষ্ট -আপাতত সেই স্বপ্নের পতাকা সিরিয়া এবং তুরস্কের কিছু অঞ্চলে পতপত করে উড়ছে এলাকা বিস্তৃত হচ্ছে এবং তা দৃশ্যমান ।

    " ইলেক্টেড প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতার" মধ্যেই ক্রোনি দের আটকানোর উপায় বর্তমান সেটি আমাদের মত এবং অনেক দেশের গনতন্ত্র প্রিয় জনতা না বুঝলেও বা বুঝেও কিছু না করলেও - কুর্দ' রা বুঝেছেন । আর তাই সেখানে রাতারাতি আদানি /আম্বানি দেশের সম্পদের মালিক হয়ে যেতে পারেনা কারন তাহলে মোদী বা মমতাকে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে ।
  • meghnad | 114.168.172.50 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৪56732
  • অনেক দেশেই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা কেড়ে নেবার অধিকার আছে। আমেরিকাতে কোন রাজ্যের গভর্ণরকে রিকল নির্বাচনের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া যায়।
  • দ্রি | 45.0.127.52 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৪:৩৬56734
  • "ওখানে সৈন্য বাহিনী মাস মাইনে পাননা যুদ্ধ করার জন্য । একটা জাতীর সক্ষম পুরুষ এবং মহিলা দেশের অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষা করার স্বার্থে আইসিসের সাথে লড়ছে এক আদর্শে ভর করে সেখানে " বিগেস্ট এমপ্লয়ার" কথাটার অর্থ অন্যান্য দেশের মাইনে পাওয়া সৈন্যদের সাথে সমতুল্য করে দেওয়া । "

    মাইনে তো ওখানে কেউই পান না। ওখনে যার সৈনিক তারা যুদ্ধ চলানোর জন্য খেতে পরতে পান, অর যারা কৃষিজীবি তারা চাষ করার বিনিময়ে খেতে পরতে পান। সুতরাং যুদ্ধ এই মানুষগুলোকে কাজ দিয়েছে, জীবনের পারপাস দিয়েচে। এটা তো ফ্যাক্ট। একে অস্বীকার করে তো লাভ নেই। অনেক কুর্দ এখন যুদ্ধে ইনভল্‌ভ্‌ড আছে। এবং যুদ্ধটা তারা ভালো করেছে। দুর্দান্ত ফাইট দিয়ে রুখে দিয়েছে আইসিসকে। কিন্তু এটাও ভাবতে হবে, যুদ্ধ হঠাৎ শেষ হলে এরা কী করবে? এদের অ্যাবজর্ব করার মত ইন্ডাস্ট্রি কী আছে? এক্সপোর্ট অপর্চুনিটি কী আছে? যুদ্ধ শেষ হলেও টার্কি কিন্তু এম্বার্গো বহাল রাখবে। এসব হার্ড রিয়েলিটি।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.229 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৪:৪২56733
  • মেঘনাদ বাবু :- " The pure form of direct democracy only exists in the Swiss cantons of Appenzell Innerrhoden and Glarus " সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে ডাইরেক্ট ডেমক্রাসির কথা আমি বলছিনা - সেই প্রয়োগ আমেরিকার কিছু সীমিত ক্ষেত্রে এমনকি মিউনিসিপ্যালিটি লেভেলও আছে , অন্য অনেক দেশেও আছে । রোজাভার মডেল প্রায় Swiss কান্তনস গুলির মত ।ডাইরেক্ট ডেমক্রাসি প্রায় সর্বত্র এমনকি মিলিটারি , পুলিশ ও জুডিসিয়ারি ।
  • দ্রি | 159.202.42.188 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৪:৫২56735
  • "তবে সিরিয়ার বাকি অংশ , ইরাক , লিবিয়া , ইয়েমেন এবং অন্যান্য যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলির তুলনায় প্রায় স্বর্গে আছেন ওখানকার অধিবাসীরা ।"

    একমত। সিরিয়া থেকে ডিসপ্লেস্‌ড কয়েক হাজার মানুষ রোজাভায় শরণার্থী ছিল। জায়গার অভাবে সবাইকে থকতে দেওয়া যায় নি।

    কিন্তু একথাও ঠিক পাশ্চাত্য দেশগুলোর কোয়লিটি অফ লাইফের সাথে রোজাভার কোন তুলনা হয় না। রোজাভার জীবনযাপনকে সাবসিস্টেন্স লিভিং বলা যেতে পারে। গুরুচন্ডালীর এলিটরা এধরণের লাইফে ইন্টারেস্টেড হবেন বলে মনে হয় না। যারা খুব দরিদ্র, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তারা হতেও পারেন। জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে।
  • দ্রি | 181.25.193.78 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৬:০২56736
  • "রোজাভার আফরিন ইউনিভার্সিটি সিরিয়ার বেঁচে থাকা এক মাত্র ইউনিভার্সিটি যেখানে ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারং পড়ানো হয় ,এইবার " ইলেকট্রিসিটি হীন, কম্পিউটারহীন, কীকহীন জীবন" সেখানে সারা সিরিয়ার একমাত্র ইউনিভার্সিটি " ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারং" পড়ায় কেন ?"

    আফরিন ইউনিভার্সিটি সবে খুলেছে। ২০১৫ র অগাস্ট থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। পুরো ইউনিতে সাকুল্যে শ`দুয়েক ছাত্র এনরোল্ড হয়েছে আপাতত। খুবই ভালো এফর্ট। সাফল্যের অনেক দেরী আছে। ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার আছে। কিন্তু গুরুর এলিটদের শুধু ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার থাকলে মন ভরে না। নিজেদেরও দুটো করে কম্পিউটার চাই। যে ব্যবস্থায় মাইনেই নেই, সেখানে মানুষ কম্পিউটার কিনবে কেমন করে? দেখুন, গুরুচন্ডালরা যদি যুদ্ধেও যায়, দুরাউন্ড গুলি চালানোর ফাঁকে একবার টইতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া চাইই চাই। আইফোন একেবারে মাস্ট। আর আপনি বারে বারে সিরিয়া, লিবিয়ার সাথে রোজাভার তুলনা করছেন কেন কে জানে। ওদের সাথে তো রোজাভার কোন কম্পিটিশান নেই। আসল কম্পিটিশান তো ইউ এস, সুইজারল্যান্ড আর বেঙ্গালুরুর সাথে।
  • দ্রি | 186.10.104.243 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৬:২১56737
  • "তাই অধিকাংশ কুর্দ আত্মসমর্পণের বদলে প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন এটা জেনেই যে হার্ডসিপ অপেক্ষা করছে । আত্মসমর্পণ করলে তো সেই কবেই তুরস্কেই করে নিতেন - সেই দেশে তথাকথিত " মেটিরিয়াল কম্ফর্ট ' কম কিছু নেই । কারো কারো কাছে আত্মসমর্পণ বেটার চয়েস কিন্তু বিগত ১০০ বছরের কুর্দ ইতিহাস সেই কথা বলছেনা "

    আত্মসমর্পণ করলেই কুর্দরা টার্কীতে আমীর হয়ে যেতেন, এটা কষ্টকল্পনা। টার্কীতে সেকেন্ড গ্রেড সিটিজেন হয়ে থাকার সুযোগটুকু অন্তত পেতেন। আর কোন কুর্দের মনে কী ছিল সে তো এত স্পষ্ট করে বলা যায় না। কুর্দ লীডারশিপ টার্কির সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণ কুর্দরা ভিন্নমত পোষণ করলেও তাদের করার বিশেষ কিছু থাকে না। আর তাছাড়া কিছু লোক ঠিকই নিজেরটা গুছিয়ে নেয়। এই যেমন আরেক জায়গায় আপনি বলেছেন,

    "আর এই যে আবেদন সেই আবেদন মূলত বিদেশে বসবাসকারী সম্পন্ন কুর্দ জনতার কাছে "

    কারা এই বিদেশে বসবাসকারী, সম্পন্ন কুর্দ? এরা তো বন্দুক নিয়ে লড়ছেনা। যাদের উপায় নেই তারাই লড়ছে। যাদের উপায় ছিল, তারা কেটেই পড়েছে (স্ট্যাটিস্টিকালি)। (এমন হতেই পারে একজন, দশজন, কিংবা একশোজন কুর্দ আছেন যারা সুযোগ থাকা সত্বেও পালাননি। কিন্তু সেটা কথা নয়। কথা হল একশোজনের যদি পালানোর সুযোগ থাকে তাহলে কতজন পালিয়েছেন)।
  • দ্রি | 186.10.104.243 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩১56738
  • একটা ব্যাপারে খটকা যায় নি। যে সরকার কোন ট্যাক্স কালেক্ট করে না, সে এত অস্ত্র কেনে কিকরে? পয়সাটা কোত্থেকে আসে।

    আবদুররহমান হেমো বলেছেন, "The income comes from selling oil products in the local economy."

    কিন্তু ওয়েট। লোকাল ইকনমিতে তো কেউ মাইনে পায় না। তাহলে তাদের কাছে তেল কেনার পয়সা আসে কোত্থেকে?

    তবে কি একটা স্পেশাল প্রিভিলেজ্‌ড ক্লাস আছে যাদের কাছে কোনভাবে ক্যাশ আছে/আসে? তারা কি একটু মোর ইকুয়াল গোছের ক্যাটেগোরি?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.17 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫২56739
  • দ্রি ঃ- না না এমনকি গুরুর গুরুরা যুদ্ধের মাঝে মাঝে চ্যাট ও করতে পারেন , মোবাইল নেট ওয়ার্ক বেশ ভালো ।

    " পাশ্চাত্য দেশগুলোর কোয়লিটি অফ লাইফের সাথে রোজাভার কোন তুলনা হয় না।" প্রশ্নই আসেনা আপাতত । একটা পিছিয়ে পরা যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চল । তবে গ্রীস স্পেনের অধিকাংশের তুলনায় , ইউরোপের ১২-১৩% আমেরিকার ১২-১৩ % গৃহহীন , রোজগার হীন জনতার তুলনায় বেটার অবস্থায়

    ।" সৈনিক তারা যুদ্ধ চলানোর জন্য খেতে পরতে পান , সুতরাং যুদ্ধ এই মানুষগুলোকে কাজ দিয়েছে, জীবনের পারপাস দিয়েচে। এটা তো ফ্যাক্ট। একে অস্বীকার করে তো লাভ নেই। "

    আমার জানা নেই খেতে পড়তে পাওয়ার জন্য কেউ যুদ্ধের ঝুঁকি নেন কিনা । যেখানে পেনসন নেই , বেতন নেই , বিধবা ভাতা নেই ,পরম বীর চক্র নেই , রাষ্ট্র থেকে এক লপ্তে যুদ্ধে নিহত হলে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই সেখানে লোকে স্রিফ খেতে পরতে পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করছেন ? এবং আপনার কথা মত ' যুদ্ধটা তারা ভালো করেছে। দুর্দান্ত ফাইট দিয়ে রুখে দিয়েছে আইসিসকে' স্রিফ খেতে পড়তে পারছেন তাই ? দ্রি এইটা ঠিক যুক্তি কিন্তু হলোনা । শুধু খেতে দিয়ে এই কমিটমেন্ট পাওয়া যায়না ।

    " যুদ্ধ হঠাৎ শেষ হলে এরা কী করবে? এদের অ্যাবজর্ব করার মত ইন্ডাস্ট্রি কী আছে? এক্সপোর্ট অপর্চুনিটি কী আছে? যুদ্ধ শেষ হলেও টার্কি কিন্তু এম্বার্গো বহাল রাখবে। এসব হার্ড রিয়েলিটি।" রোজাভার সামরিক শক্তি মোটামুটি ৫০০০০- ৬০০০০ কাছাকাছি এবং অধিকাংশ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যোদ্ধা সাধারণত ৮মাস থেকে ১৬ মাসের স্বেছাসেবক । বাকি সময় তাঁরা অন্য কাজ করেন তাই যুদ্ধ শেষ হলে কি হবে সেটি প্রশ্নই নয় । আপনি নিজেই লিখেছেন যে ৭০% যুদ্ধজনিত খরচ , যুদ্ধ না থাকলে সেই ৭০% সামাজিক খাতে বা ইন্ডাস্ট্রি খাতে ব্যয় হবে , অ্যাবজর্ব করার মত ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে সেই ৭০% অর্থে কি সমস্যা ?বরং যুদ্ধ শেষ না হলে কি হবে সেইটাই প্রশ্ন । কতদিন চলবে এই ভাবে ।

    " এক্সপোর্ট অপর্চুনিটি কী আছে? " হ্যা আছে - আফরিন মধ্য প্রাচ্যে এক নম্বর জলপাই উৎপাদনে -অলিভ তেল । অলিভ সাবান ইতিমধ্যে আফরিন এক্সপোর্ট করছে । অন্য কান্টন উল /গম / পশু জাত বিভিন্ন উৎপাদন এবং চিজ এক্সপোর্ট করছে । অধিকাংশ কুর্দ আত্মসমর্পণের বদলে প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন এটা জেনেই যে হার্ডসিপ অপেক্ষা করছে সুতরাং অসুবিধা কোথায় ?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.17 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৪56740
  • আপনি বলছেন " একটা ব্যাপারে খটকা যায় নি। যে সরকার কোন ট্যাক্স কালেক্ট করে না, সে এত অস্ত্র কেনে কিকরে? পয়সাটা কোত্থেকে আসে।" আপনি হোমোর ইন্টার্ভিউ টা একটু খুঁটিয়ে পড়ুন " And we also have some income from the border crossings." বাংলা স্মাগলিং - তুরস্ক এম্বারগো করে রেখেছে তাই আইনত তুরস্কে এক্সপোর্ট করা যায়না কিন্তু " border crossings" করানো যায় বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্য , পশুজাত উৎপাদন , চিজ , দুধ এবং অলিভ অয়েল তুরস্কে যায় এবং মেশিনারি , ওষুধ , কন্সিউমার গুডস আসে । তাছাড়া ইরাকের কুর্দিস্তানের সাথে অফিসিয়াল এক্সপোর্ট রুট বর্তমান ।

    পশ্চিমে কুর্দ রা ১৯৯০ এর দশক থেকে রিফিউজি হিসাবে বসবাস করে আসছে । কুর্দ রা মূলত রিফিউজি নিজেদের কোন দেশ নেই , পূর্বের ইহুদীদের মত । ইহুদীরা যেমন রিফিউজি হতে বাধ্য হয়েছিল কুর্দরাও তাই । কিন্তু কুর্দ সংস্কৃতি তাদের একতাবদ্ধ করে রেখেছে । পিকেকের মুল অর্থ স্রোত সেই ইউরোপের কুর্দ । ইউরোপের কুর্দরা বিগ প্রেশার গ্রুপ । তারা বন্দুক হাতে প্রত্যক্ষ না হলেও পশ্চিমের এবং বিশ্বের জনমত সৃষ্টিতে এই সংগ্রামের অন্যতম সক্রিয় অংশীদার ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৬ ০৭:৩৪56741
  • দেবব্রত,
    আচ্ছা, এই যে আপনি লিখলেন - আমেরিকার ১২-১৩% গৃহহীন - এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন বলুন তো।
    ইউএস-এর এখন (২০১৬) পপুলেশন ৩১৯ মিলিয়ন, তো ২০১৫-র হিসেব বলছে ৫৬৫,০০০ মানুষ গৃহহীন - তাহলে তো ১.৭ % দাঁড়াচ্ছে। একটু দেখবেন তো আপনার তথ্যসূত্র।

    আপনার দেওয়া আরো বেশ কিছু তথ্যসূত্রে এমন অসঙ্গতি আছে মনে হল। হতে পারে আপনি যেখান থেকে তথ্য পাচ্ছেন সেটি নির্ভরযোগ্য নয়।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.20 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:৪৯56742
  • টিম :- আপনি তো পড়ুয়া লোক । পুরো পড়ুন শব্দটা এইরকম ঃ-
    " ইউরোপের ১২-১৩% আমেরিকার ১২-১৩ % গৃহহীন , রোজগার হীন জনতার তুলনায় " সাথে রোজগার হীন কথাটা আছে কেবল গৃহহীন নয় , এই রোজগার হীন শব্দ টি চোখ এড়াইনি আসা করি ?

    এই বার তথ্য ঃ- " In 2009, 13.2% (39.8 million) Americans lived in poverty.Starting in the 1930s, relative poverty rates have consistently exceeded those of other wealthy nations. California has a poverty rate of 23.8%, the highest of any state in the country. This is updated from the November 2012 estimate of 23.6.

    In 2009 the number of people who were in poverty was approaching 1960s levels that led to the national War on Poverty.[10] In 2011 extreme poverty in the United States, meaning households living on less than $2 per day before government benefits, was double 1996 levels at 1.5 million households, including 2.8 million children.

    In 2012 the percentage of seniors living in poverty was 14% while 18% of children were.[8] The addition of Social Security benefits contributed more to reduce poverty than any other factor. তার সাথে রাস্তায় ,শেলটার এ কাটানো গৃহহীন অধিবাসী

    " এইটি উইকি বলছে - মনে হয় আমি ১২-১৩% কম লিখেছি । আশা করি আপনার তথ্য বিষয়ক সন্দেহর আপাত নিরসন হোল ?
  • dc | 15.2.64.118 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:৫১56743
  • যেটা বুঝতে পারছি সেটা হলো রোজাভা নামে একটা খুব ছোট্ট জায়গায় তিনটে ক্যান্টনমেন্ট মোটামুটিভাবে নিজেদেরটা নিজেরাই করে নিচ্ছে। এটা প্রশংসনীয়, আর এই যে নানান জনজাতির রিপ্রেজেনটেশন, মেয়েদের রিপ্রেজেনটেশন, এটা সত্যি খুব ভালো এফর্ট। (খবরগুলো আপাতত ফেস ভ্যালুতেই নিচ্ছি, বিশেষ করে দেবব্রতদা এতো উৎসাহী যখন, যদিও এরকম বহু ক্ষেত্রেই পরে দেখা গেছে যে এসব খবরে প্রচুর জল মেশানো থাকে - উদাহরন সোবিয়েত দেশ নামক প্রোপাগান্ডা ম্যাগ)। তবে এই স্বশাসন মডেল কি সফল হবে বা অন্যত্র অ্যাপ্লাই করা যাবে, বা অন্তত এই মডেলটাকে কি এক্সপ্যান্ড করা যাবে? ওনলি টাইম উইল টেল। অন্তত বছর তিরিশ অপেক্ষা করতে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন