এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রক্তিম বসন্ত , নববর্ষ ঃ-অধিকার অর্জনের অনমনীয় লড়াই

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯৩৮ বার পঠিত
  • বসন্ত উৎসব , রঙের উৎসব , ফাগুয়া -হোলী , বাঙ্গালীর দোল উৎসব এসে গেল । অদ্ভুত ভাবে ঠিক একই দিনে বছরের একই সময়ে সেই ঐতিহাসিক সময়ে থেকে কুর্দ জনতা রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং গণহত্যা অগ্রাহ্য করে আজকের দিনে (২১সে মার্চ ) রাস্তায় , প্রকাশ্য স্থানে জমা হয় ‘নিউ রোজ ‘ মানাতে । 'নিউ রোজ' হোল কুর্দ নববর্ষ একই সাথে বসন্তের উৎসব । আগের কালে পাহাড়ে পাহাড়ে শীতের ঝরা পাতায় আগুণ লাগানো হত । সারা কুর্দিস্তান , ইরাক , ইরান , তুরস্ক , আর্মেনিয়া , সিরিয়া এমনকি আফগানিস্তানের পাহাড় আগুনে লাল হয়ে যেত আজকের দিনে । কাল থেকে যে বসন্ত । সাত দিন ধরে নাচ ,গান , খানা পিনা, উপহার বিনিময়ের বাঁধন ছাড়া উৎসব । এখনো শহরে গ্রামে প্রত্যেক বাড়ি থেকে কাঠ কুটো জমা করে আগুণ লাগানো হয় । সেই আগুণকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে নাচ গান উৎসব । ঠিক কোথায় যেন আমাদের হোলির পূর্বের ন্যাড়াপোড়া অথবা 'হোলিকা দহনের’ সাথে অদ্ভুত একটা মিল আছে । আমাদের দেশেও বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রত্যেক বাড়ি থেকে এক টুকরো কাঠ জমা করে ‘ হোলিকা দহনের’ উৎসব পালন হত, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো হয় । আর ঠিক আমাদের হোলির দিনেই এই অনুষ্ঠান হয় সারা কুর্দিস্তান ,ইরান এমনকি আফগানিস্তান ,আর্মেনিয়াতে ।

    হয়ত’বা আমাদের এই হোলির পরম্পরার ইতিহাস , অদ্ভুত রকমের সাযুজ্য সম্পন্ন প্রথা এমনি হোলী কে ঘিরে যে মিথ তা কুর্দদের প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার এই উৎসব থেকেই ইরান আফগানিস্তানের পথ ধরেই এসেছে, কে জানে। কিন্তু চমকে ওঠার মত সাযুজ্য , একেবারে কার্বন কপি , বক রাক্ষসের মিথ এবং ভীমের হাতে তার মৃত্যু পর্যন্ত, প্রায় একই উৎসব একই মিথ ।

    কিন্তু কুর্দদের এই স্বাভাবিক হাজারো বছরের প্রাচীন বসন্ত উৎসব প্রায় ১০০ বছর ধরে আর উৎসব নেই - ক্রমে তা রক্তেরর্ নববর্ষ ,আত্মাভিমান পুনঃউদ্ধার , স্বাধীনতা এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অনমনীয় প্রতিরোধের লড়াই এ পর্যবসিত । তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি ,উগ্র জাতীয়তাবাদের হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনি । নিউ রোজ মানেই উৎসবের সাথে সাথে প্রতিরোধের প্রস্তুতি ।

    গত একশো বছরের মতো এই বছরেও তুরস্কের সরকার দেশ জুড়ে কুর্দ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে । গৃহযুদ্ধ চলছে সেই জুলাই থেকে পিকেকে’র সাথে । এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম বলি হয়েছেন ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি তে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কর্মরত এক ব্রিটিশ নাগরিক । কম্পিউটারের এই প্রফেসর কে 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানের নিমত্রন গ্রহণ করার কারনে পত্রপাঠ দেশত্যাগী করা হয়েছে তিনি নাকি সন্ত্রাস বাদীদের সমর্থক ,এক্ষেত্রে তুরস্কের সরকার আমাদের সরকারের বড় দাদা তুল্য । আমাদের দেশে পাকিস্তানে চলে যাও বলে ধমকি দেওয়া হলেও তুরস্ক ওইসব ফাঁকা আওয়াজে বিশ্বাস না করে কেবলমাত্র নিউ রোজের নিমত্রন গ্রহণ করার অপরাধে প্রফেসর কে সিধা প্লেনে তুলে দিয়েছে ।

    এই লেখা টি যখন আমি লিখছি তখন সারা তুরস্ক জুড়ে সাধারণ নাগরিকেদের নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে কোথাও কাঁদানে গ্যাস ,কোথাও জল কামান ছুঁড়ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী । নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নিউ রোজ ‘ এর আগুণ । অশ্বারোহী বাহিনী সাধারণ জনতার দঙ্গল ছত্রভঙ্গ করছে । ভাবা যায় আজকে এই একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশের ২৫% নাগরিক তাঁদের চিরাচরিত 'নববর্ষ’ পালনের এক নির্বিষ অনুষ্ঠান পালন করবেন আর রাষ্ট্র সেই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করবে , গুলি চালাবে এমনকি গন হত্যা ঘটাবে ? অথচ তুরস্কে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছে কেমাল আতাতুর্কের সময় থেকে আর কুর্দরাও সেই সময়ে থেকে প্রতি বৎসর সমস্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে পথে নামছে , অগ্রাহ্য করছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ,তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারী চোখ রাঙ্গানি , রক্তাক্ত নববর্ষ পালিত হচ্ছে প্রতিটি বৎসর ।

    ঐতিহাসিক সময় থেকে কুর্দরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হলেও আমাদের আকবরের মত অটোম্যান শাসক রাও কুর্দদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচরণ ,সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান নি । তাই সাংস্কৃতিক আধিপত্য নিয়ে , ভাষার আধিপত্য নিয়ে সংঘাতের ঘটনা ছিল অতীব নগণ্য । ঠিক যেমন দীর্ঘ মুসলমান শাসন কালে ভারতে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা হাতে গোনা যায় । কিন্তু অটোম্যান সাম্রাজ্যের শেষের দিক থেকে ক্রমে ইউরোপের সংস্কৃতি , আধুনিকতার ধারনা ,খ্রিস্টীয় ধর্ম এবং ইউরোপের সাথে সংস্পর্শ তুরস্কের অভিজাত সমাজের মানসিক গঠন বদলাতে থাকে । গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ অনুগামীগন এবং আর্মেনীয় খ্রিস্টান তুরস্কের ব্যবসা ,সম্পদ এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । কুর্দদের প্রথা , সংস্কৃতি ,ভাষা কেমন যেন ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখা শুরু হয় । তখন তুরস্কে তুর্কী জাত্যাভিমানের উদয়ের সময় । কুর্দ এবং অন্যান্য জনজাতির সাথে সংঘাতের বীজ বপনের সূত্রপাত ।

    অবস্থা চরমে ওঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তুরস্কে কেমাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী পার্টির উত্থানের সাথে সাথে । কেমাল আতাতুর্কের ধর্মের আধিপত্যহীন , আধুনিক , একতাবদ্ধ ,এক জাতী ,এক প্রাণ , এক ভাষা, এক গান এই তথাকথিত প্রগতিশীল সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনের দর্শন বিশ্বে বিশেষত পশ্চিমের দুনিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়ালেও স্থাপন করতে থাকে উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদ । সমস্ত মাদ্রাসা তুলে দেওয়া হয় । ডিক্রী বলে তুর্কী ভাষা ছাড়া সমস্ত ভাষা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । সমস্ত কুর্দ শহরের নাম তুর্কীয় নামে পরিবর্তিত হতে থাকে । প্রকাশ্য স্থানে কুর্দ ভাষায় কথা বলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । কুর্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক লহমায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় । আইন অমান্যে জেল এবং অত্যাচার নেমে আসে কুর্দ জনজাতির ওপর । জাতীয়তাবাদের নামে সংখ্যাগুরুর বুলডোজার চালানো হতে থাকে সংখ্যালঘু জনজাতির ওপর ।

    ঠিক এমনিটিই হয়ে থাকে আধুনিক সেকুলার 'নেসান স্টেটে’ । আমেরিকায় লিবার্টি সীমাবদ্ধ থাকে কেবল মাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য । ব্রিটেনে আইরিশ’রা হয়ে পড়ে উৎপাত । ইউরোপে ইহুদী এবং জিপসিদের দেখা হতে থাকে কৃমি কীটের থেকেও অধম হিসাবে । তুরস্কে কুর্দদের এক লহমায় অস্তিত্বই মিটিয়ে দেওয়া হয় । জাতীয়তাবাদী সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক হেজিমনি ।

    অসংগঠিত এবং সবল রাজনৈতিক পার্টির অনুপস্থিতিতে কুর্দরা নিজেদের মত প্রতিরোধ করতে থাকেন । রক্তাক্ত হতে থাকে প্রতিটি প্রতিরোধ । অবশেষে ১৯৩৮ -১৯৪০ সালের সময় থেকে কুর্দ প্রতিরোধ রাষ্ট্রের প্রবল শক্তির কাছে ক্রমশ হেরে যেতে থাকে । দীর্ঘ কাল প্রবাসে থাকার ফলে আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম যেমন নিজেদের ভাষা ,সংস্কৃতি বিস্মৃত হতে থাকে, সম্পৃত হতে থাকে বৃহৎ আগ্রাসী সংস্কৃতির সাথে । গান , নাচ , পোশাক , ভঙ্গিমা যেমন আজকের দিনে বলিউড গ্রাস করে নেয় ঠিক তেমনই পরবর্তী কুর্দ প্রজন্ম ভুলে যেতে থাকে নিজেদের ভাষা , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য এবং পরম্পরা । কিন্তু তুর্কী জনজাতি কুর্দদের ঠিক নিজের লোক বলে মানতে পারেনা -ঠিক যেমন আমরা নর্থ ইস্ট বাসিন্দাদের চিঙ্কি অথবা অন্যগ্রহের প্রাণী বলে মনে করি । আবার কুর্দরাও প্রাণপণ তুর্কী বনার প্রয়াসে ক্রমে নিজেদের সংস্কৃতি তুর্কীয় সংস্কৃতির সাথে মেলানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বিশাল তুর্কীয় জাতীয়তাবাদের সমুদ্রে ইতস্তত ভেসে থাকে ।

    ইতিমধ্যে আবদুল্লা অচালান ১৯৭০ এর দশকে কুর্দ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন ( এ বিষয়ে আমি অন্য পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি বলে সেই ইতিহাসের পুনারবৃত্তি আর করছিনা ) অচালান কুর্দ আইডেন্টিটি ,শ্রেণী নির্বিশেষে একতা এবং সংখ্যাগুরুর আইডিওলজিকাল হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনির আইডিওলজি গড়ে তুলতে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং এই হারিয়ে যাওয়া পরম্পরা 'নিও রোজ' প্রকাশ্যে পালন করতে কুর্দ জনতাকে উৎসাহিত করতে থাকেন । ভাষা এবং সংস্কৃতি এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র যা ধর্ম এবং শ্রেণী নির্বিশেষে এক ছিন্ন বিচ্ছিন ক্ষুদ্র জনজাতিকে একতাবদ্ধ করতে পারে । পিকেকে অগ্রগামী হিসাবে নিজেরা প্রকাশ্যে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং নিও রোজ পালনের উৎসব পালন করতে শুরু করে । রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এতকাল লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের নববর্ষ পালনের উৎসবে ধীরে ধীরে কুর্দ জনতা অংশগ্রহণ করতে শুরু করে । সাথে সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় দমনের ধারাবাহিকতা ।

    আবদুল্লা অচালান কুর্দ জনতার এই পরম্পরাকে 'কাউন্টার হেজিমনির ‘ আইডিওলজিতে পরিনত করতে থাকেন। 'নিউ রোজ' শ্রেণী এবং ধর্ম বিভেদ ভুলে আপামর কুর্দ জনতার রাষ্ট্র বিরোধী জমায়েতে পরিনত হতে থাকে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে । ‘ নিও রোজ ‘ কুর্দ জনতার সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে । নিউ রোজ এর পুন;উত্থান এবং এই উৎসব কে কেন্দ্র করে কুর্দ মবিলাইজেসান , তুরস্কের আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য সফলতা ।এ এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরোধী ক্ষুদ্র জনজাতির পাল্টা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত ।

    এক দিকে নিউ রোজের উৎসবকে কেন্দ্র করে ,তার সাথে জড়িত মিথ,অল্টারনেটিভ স্টোরি ,সাধারণ জ্ঞান ব্যবহারে কুর্দ সংস্কৃতি ,আইডেন্টিটির এক অভূতপূর্ব একতাবদ্ধতা অন্যদিকে তুরস্কের সরকারের এই একতাবদ্ধতার অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়াস । এই 'নিউ রোজের’ সাথে মিথ ,ইতিহাস এবং প্রতিবাদের সূত্র জড়িয়ে আছে - এ কোন সাধারণ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নয় - অত্যাচারী রাজার হাত থেকে হাজারো বছর পূর্বে কুর্দ জনজাতির মুক্তির সফলতার এবং বসন্ত আগমনের ইতিহাস বা লোককথা ভিত্তিক মিথ ।

    সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে এক আসিরিয়ান অত্যাচারী রাজা ছিল 'যুহাক’ । কোন এক সময়ে যুহাক ইরান এবং বর্তমান কুর্দিস্তান দখল করে । অত্যাচারী শাসন চলতে থাকে ১০০০ বছর ধরে । তার অত্যাচারের ফলে কুর্দিস্তানে বসন্তের আগমনই হতোনা । তার শক্তি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দিন দুই শক্ত সমর্থ যুবককে বলি দিয়ে তাঁদের ঘিলু এই রাজার কে খাদ্য হিসাবে দিতে হোত । কিন্তু যিনি এই কঠিন কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি দু জন যুবকের বদলে কেবলমাত্র একজনকে হত্যা করে তার ঘিলুর সাথে ভেড়ার ঘিলু মিশিয়ে রাজা 'যুহাক’ কে দিতেন । বেঁচে যেত একজন যুবক প্রত্যহ । কেমন যেন আমাদের বক রাক্ষসের গল্পের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা ? ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে অত্যাচারী রাজা 'যুহাক’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করল । অবশেষে 'কাওয়া’ পেশায় কর্মকার , যার ৬ ছেলে ইতিমধ্যে রাজা 'যুহাক’ এর এই অত্যচারে বলিপ্রদত্ত হয়েছে -বলি থেকে বেঁচে ফিরে আসা কুর্দ যুবকদের নিয়ে এক অকুতভয় সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন । কোন এক ঐতিহাসিক সময়ে ২০সে মার্চ রাত্তিরের অন্ধকারে সেই সৈন্যবাহিনী রাজা যুহাকের রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে , কাওয়া তার নিজের হাতে তৈরি এক বিশাল হাতুড়ীর ঘায়ে অত্যাচারী রাজা ’ যুহাক’ এর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে । কাওয়া ২১সে মার্চ পাহাড়ে আগুণ লাগিয়ে দেন দেশবাসী কে খবর দিতে যে অত্যাচার সমাপ্ত । ঠিক তার পরের দিন থেকে 'বসন্ত' প্রায় হাজার বছরের রাজা 'যুহাক’ এর অত্যাচারী শাসনের অবশেষে ফিরে এলো কুর্দিস্তানে ।

    এই যে শক্তিশালী মিথ । হাতুড়ীর আঘাতে অত্যাচারীর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে দেওয়ার প্রতীক । কুর্দ জাতীর স্বাতন্ত্রতা । প্রত্যেক দিন একজন সক্ষম যুবকের বলিদান স্বত্বেও অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজার বছর ধরে লড়াইয়ের ক্ষমতা । লোহা দিয়ে তৈরি জনজাতি । এই শক্তিশালী মিথ এবং তাকে ঘিরে উৎসবের পুন;উত্থান অদ্ভুত বুদ্ধিমত্তার সাথে অচালান প্রোথিত করে দিলেন কুর্দ জনতার হৃদয়ে । এই পরিপ্রেক্ষিতে 'নিও রোজ' তুর্কী জাতীয়তাবাদের চাপে বিচ্ছিন্ন কুর্দ জনতাকে একতাবদ্ধ করে দিল । পুনরায় কুর্দ জনজাতি রাষ্ট্রীয় দমন অগ্রাহ্য করে আতসবাজি পুড়িয়ে ,নেচে , গেয়ে , উপহার বিনিময় করে তাঁদের হাজারো বছরের এক প্রথা নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান পালন করতে শুরু করে । একই সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় অত্যাচার ।

    ১৯৯০ সালের 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানে নুসাইবিন শহরে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৩ জনের মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল । ১৯৯১ সালের অনুষ্ঠানে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। ইস্তাম্বুল , আদানা , জিজরে , কুল্প ,হানি এবং দিয়ারবাকির শহরে নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে তুরস্কের সরকার নির্বিচারে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালালে ৩১ জন লোক প্রাণ হারান । ১৯৯২ সালে ২০শে মার্চ পুনরায় পুলিশের গুলি চালনায় ২ জন নিরস্ত্র ব্যক্তির মৃত্যু হলে মানুষ ক্ষেপে ওঠে ২১ সে মার্চ ৯৪ জন নিরস্ত্র জনতার মৃত্যু ঘটে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালেও যথারীতি তুরস্ক সরকারের এই কুর্দ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধকরনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে । কিন্তু ততদিনে কুর্দ প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে পিকেকে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তাই এই দমন নেমে আসে শহরাঞ্চলে ।

    ১৯৯৩ সালের নিউ রোজ অনুষ্ঠান ভঙ্গ করার প্রাথমিক টার্গেট ছিল আদানা শহর । তুরস্কের পুলিশ অফিসাররা তার সাথে আক্রমণ নামিয়ে আনে বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালে ২১সে মার্চ বসন্ত উৎসব গুঁড়িয়ে দিতে প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয় । বাড়ি ঘরে নির্বিচারে গোলা বর্ষণ চলতে থাকে । এই আক্রমণে এক ১৬ বছরের কিশোর এক ৬২ বছরের বৃদ্ধ সমেত ৬ জন প্রাণ হারান । তুরস্কের সরকার ২০০২ সাল পর্যন্ত এই আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন ,কিন্তু অনমনীয় কুর্দ 'রাও এই নিউ রোজ অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৯৯৯ সালে আবদুল্লা অছালান কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক 'নিও রোজ' নববর্ষেরে সাথে সাথে অচালানের মুক্তির দাবীতে ম্যাসিভ কুর্দ জনতার সমাবেতে পরিবর্তিত হতে থাকে । ২০০০ সালে কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক কুর্দ জনতা রাস্তায় নামে নিউ রোজ পালন করতে ।

    প্রত্যেক বছর ক্রমাগত বেড়ে চলা জনতার ঢল এবং বিপুল ঐক্যবদ্ধতার কাছে অবশেষে রাষ্ট্র পিছু হটে । প্রায় একশো বছরের অবশেষে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনতার বলিদানে 'নিও রোজ' আজ এক সত্যিই দেখবার মত অনুষ্ঠান । পুনরায় এই বছর তুরস্কের সরকার 'নিউ রোজ’ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধ করেছে কিন্তু সমুদ্রের উচ্ছ্বাস বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানোর মত উড়ে গেছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা । নিউ রোজ ‘ কাওয়ার ‘ বিজয়ের উৎসব , অত্যাচারের অবসানে বসন্ত আগমনের উৎসব ।

    প্রতীক ,মিথ অনেক দেশেই অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সংগঠিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে । আমাদের আনন্দমঠ , ভারতমাতার কল্পনা ,পোঙ্গলে বলি রাজার ফিরে আসার মিথ ইত্যাদি কিন্তু এক শক্তিশালী মিথ ব্যবহার করে এক মৃতপ্রায় প্রথাকে জাতী ধর্ম শ্রেণী নির্বিশেষে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র জনজাতিকে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করার এত সফল দৃষ্টান্ত আধুনিক বিশ্বে অনুপস্থিত । অচালান সেই কারনেই কুর্দ জনতার হৃদয়ের নেতা । নিউ রোজ এক সত্যিই মনে রাখার মত বুদ্ধিদীপ্ত কাউন্টার হেজিমনি আইডিওলজি -রক্তাক্ত কিন্তু ঐক্যবদ্ধ অসাধারণ বসন্ত উৎসব ।

    সমস্ত কুর্দিস্তান জুড়ে , ইউরোপ জুড়ে এই বসন্তের উৎসব অশুভের পরাজয় এবং শুভর জয় ,পালিত হচ্ছে একই দিনে আমাদের হোলির সাথে সাথে — আপনাদের জন্য থাকলো এই উৎসবের কিছু চিত্র এবং ভিডিও । Here are the YPG & YPG fighters celebrating #Nowruz pic.twitter.com/iOXymhQ8HB
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.247 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৮56832
  • টিম যেটা বলছেন সেইটা এই ঃ- তুরস্ক সরকার নিজে ইরাক যুদ্ধ এবং পিকেকে’র সাথে যুদ্ধের খরচ ওঠাতে ড্রাগ এবং মাফিয়া ভরসায় ঃ-
    “ The Susurluk scandal was a scandal involving the close relationship between the Turkish government, the armed forces, and organized crime. It took place during the peak of the Kurdish–Turkish conflict, in the mid-1990s. The relationship came into existence after the National Security Council (MGK) posited the need for the marshaling of the nation's resources to combat the Kurdistan Workers' Party (PKK).

    পিকেকে ড্রাগ ডিল করে কিনা সেই বিষয়ে ইউরোপের পুলিশ
    " No evidence of PKK involvement in drug trafficking: Europol and U.S. DEA http://ekurd.net/mismas/articles/misc2012/2/turkey3728.htm#.Vv3RZTXyAsQ.twitte
    পিকেকে ড্রাগ ডিল করে কিনা সেই বিষয়ে জার্মানির বক্তব্য ঃ-
    The Federal Office for the Protection of the Constitution, Germany's domestic security agency, echoed this finding in its 2011 Annual Report on the Protection of the Constitution, stating that despite the US designation, there was "no evidence that the organisational structures of the PKK are directly involved in drug trafficking".

    পিকেকে বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক Aliza Marcus এর বই এর ড্রাগ বিষয়ক বক্তব্য “it does not seem that the PKK, as an organisation, directly produced or traded in narcotics." Aliza Marcus

    " কথা হল পিকেকে ড্রাগ ট্রাফিকিং করে কিনা। " না এভিডেন্স পাওয়া যাচ্ছেনা , অ্যালিগেশন এবংএভিডেন্স দুটো ভিন্ন বস্তু । বরং প্রমাণিত যে তুরস্ক সরকারের MIT ড্রাগ ডিলিং, মাফিয়া এবং ভাড়াটে খুনি চক্রে যুক্ত ।

    সুতরাং এই সব প্যাচাল পেরে লাভ নেই - অভিযোগ /পাল্টা অভিযোগ ,চক্রান্ত /কাউন্টার চক্রান্ত রাষ্ট্র বিরোধী লড়াইয়ে তো চলবেই কিন্তু পিকেকে এবং কুর্দ রা তত্বগত ভাবে এবং স্ট্রাতেজি গত ভাবে শক্তিশালী তাই বিগত ৪০ বছরে তুরস্কের ক্ষমতা হয়নি পিকেকে কে গুহাবাসী করে দেয় ।

    আর যে সমস্ত রেফ বই ইত্যাদি এই থ্রেড এ গবেষণা হিসাবে রেফার হচ্ছে সেই সব কাহিনী ১৯৯০ এর দশকের , আবদুল্লা অচালান নিজেই সেই দশকের নিজেদের কাজকর্মের আত্ম সমালোচনা করেছেন তাই অন্যের মুখে ঝাল না খেয়ে ওনার বই পরে নিলেই হয় । আর আলোচনা ২০০০ এর পরে বিশেষত রোজাভা মডেল নিয়ে ।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৬56849
  • এটা একদম টাটকা খবর, সামান্য গুগল সার্চে বেরিয়ে আসে

    PKK claims responsibility for attack in Turkey
    Baku, Azerbaijan, Apr. 1

    The Kurdistan Workers’ Party (PKK) terrorist group claimed responsibility for the attack in the southeastern Turkish province of Diyarbakir, the Turkish newspaper ‘Hurriyet’ reported Apr. 1.

    A car bomb attack in Diyarbakir killed seven policemen and injured 27 civilians.

    http://en.trend.az/world/turkey/2513408.html
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৯56850
  • ওপরের খবরটা দেখুন, ২০১৬-র মার্চ, গত সপ্তাহের ঘটনা (দশ বছর আগের নয়) - দেখুন লিখছে - PKK claims responsibility for attack in Turkey
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.247 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৭56833
  • পুনঃ; আমি বিন্দুমাত্র এই রাজনীতি ,আমেরিকা রাশিয়া বিষয়ে আগ্রহী নই , মনযোগী পাঠক দু চারটে কাগজ পড়লেই এই সব পেয়ে যাবেন যে PKK /TAK মাসতুতো পিসতুত ভাই কিনা । PKK সন্ত্রাসবাদী না স্বাধীনতা সংগ্রামী । ড্রাগ ডিলার না ড্রাগ ডিলার না । ১৯৯০ এর দশকের কাসুন্দি বিশ্ব ১৫ বছর পূর্বে ঘেঁটে নিয়েছে । তাও আলোচনার সূত্রে ১৯৯০ এর দশকের কিছু অর্ধপক্ব রেফ এ ২০ বছর পরের পিকেকে এবং তার বর্তমান কার্যকলাপ বিশ্লেষণের প্রয়াস দেখে ভালো লাগলো -যাই হক প্রয়াস তো আছে সরকারী অভিযোগ সমর্থনের হউক না ২০ বছর পূর্বের অ্যালিগেশন।

    কিন্তু মুল প্রশ্ন পিকেকে বিপ্লবী শক্তি না আল কায়দার মত ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদী ? রোজাভা মডেল বাস্তব না গুলের গল্প ? পিকেকে কি তুরস্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাচ্ছে না চাচ্ছেনা ? আদপে কি চাচ্ছে ? আপনি অত্যাচারীর পক্ষে না বিপক্ষে না নিরপেক্ষ ? মধ্যপ্রাচ্যে রোজাভার গণতান্ত্রিক মডেল প্রয়োগের সপক্ষে যুক্তি বর্তমান না আসাদ /লিবিয়া মডেল বেটার ? এই প্রশ্নের উত্তরে যথারীতি নীরবতা । তাই স্বাভাবিক ।

    এত দিন ধরে ভরসা করে আসা মডেলের অসারতার বিকল্পে অন্য একটা মডেল তাও সেই মধ্যপ্রাচ্যে হজম হতে জেলুসিল লাগে ।
  • dc | 132.174.168.210 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩২56834
  • এখন দেখার এই মডেলটা চলে কিনা, তবে তার জন্য বছর দশ কুড়ি অপেক্ষা করতে হবে।

    (আমার প্রেডিকশান বছর পাঁচ ছয়ের মধ্যেই এই মডেলের অস্তিত্ব থাকবেনা, হয় রোজাভার মিলিশিয়ারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করবে নাতো সাধারন ডেমোক্র্যাসি বলতে আমরা যা বুঝি সেটাই হবে। দেখা যাক। অবশ্যই এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা)
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৭56835
  • বিশার বলল, রোজাভা-য় মেয়েরা গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং পেলেও, নেতৃত্বে কোনো মহিলা নেই।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২৩56836
  • দেবব্রতবাবু প্রশ্ন করলেই তাদের রোজাভাবিরোধী, আসাদপক্ষীয় ধরে নিচ্ছেন। যাই হোক, দুটো কথা বলে যাই।

    এক, কুর্দদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও তাদের ওপর হয়ে চলা অন্যায় ইতিহাসে ডকুমেন্টেড, এ নিয়ে আমি সহানুভূতিশীল, আরো পড়ছি, ও জানতে চাইছি। তুরস্কের সরকার, পিকেকে, টাক, সিআইএ, আসাদ কারোর পক্ষাবলম্বন না করেই এটা করতে চাইছি। নিরপেক্ষ মানে রাষ্ট্রের দিকে এই জবরদস্তি লেবেলিং মানিনা।

    দুই, এই জানার মাধ্যম হিসেবে যা একেবারেই ভরসা করতে পারছিনা, তা হলো প্রোপাগান্ডামূলক লেখাপত্র, যার জ্বলন্ত উদাহরণ দেবব্রতবাবুর লেখা। আপাতত এই। পরে "টাইম পাসের" দরকার হলে আবার ফুট কাটবো।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৮56837
  • আসলে এক পক্ষ নিয়ে নিলে তখন এই প্রবলেম হয় - মনে হয় যারাই বিপরীতে বলছেন তারাই উল্টোপক্ষ।

    যাই হোক, রোজাভা নিয়ে আরো বক্তব্য আছে। রোজাভা-র কিছু পজিটিভ দিক আছে। কিন্তু সেটা যত না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি সামাজিক। রোজাভার সৃষ্টি এবং গোটা অস্তিত্বই একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাইড এফেক্ট, কিছু ভালো সাইড এফেক্ট। এখন সাইড এফেক্ট পার্মানেন্ট এফেক্ট হয়ে উঠতে পারে কি না সেটাই দেখার।
    ধরো, আজ না হলেও ধরো কাল তুর্কিস্তান আলাদা দেশ হল, পশ্চিমের সহায়তায় হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। মানে পশ্চিম যেমন করে আর কি, হ্ঠাৎ পাল্টি খেয়ে - ঐ যে দেখা যায় স্বাধীনতা - বলে ধেয়ে এসে ডেমোক্রেসি-র (ওদের সংজ্ঞায়) অ্যাডভার্টাইজ করতে পারে। আরব স্প্রিং-এর সময় পশ্চিম যেমন ইন্টারেস্ট দেখিয়েছিল।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৫56851
  • আপনার লিংক থেকেই এটাও পড়লাম।

    TAK was once linked to the PKK, Turkish officials as well as some security analysts say TAK still acts as a militant front of the PKK. Both TAK and the PKK say the relationship has been severed.
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০০56838
  • *কুর্দিস্তান আলাদা দেশ হলে...
  • lcm | 146.152.142.64 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০৮56852
  • হ্যাঁ, অফ কোর্স। সেটা আছে তো।
    বিভিন্ন ফ্যাকশন-এর - PKK, TAK, PYD, YPG, YPS, KRG, KDP... ... -- এদের কে কাকে ওন করে বা ডিসওন করে সে নিয়ে কনফিউশন আছে। এক পক্ষের এক মত তো অন্য পক্ষের অন্য মত। ওয়েস্টের কাছে এই এত গোষ্ঠীর এক মানে, তুরস্কের লোকজনের কাছে একরকম, সিরিয়ার কাছে একরকম।
  • দ্রি | 11.39.12.40 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৭56853
  • "পিকেকে বিষয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক Aliza Marcus এর বই এর ড্রাগ বিষয়ক বক্তব্য “it does not seem that the PKK, as an organisation, directly produced or traded in narcotics." Aliza Marcus"

    এখানে মার্কুসের বক্তব্য, পিকেকের টপ ম্যানেজমেন্ট সরাসরি ড্রাগ ট্রেডে ইভল্‌ভ্‌ড নয়। এবং সেটাও 'ইট সীম্‌স'। কিন্তু একই লেখায় মার্কুস বলছেন পিকেকে কুর্দ ড্রাগ ট্রাফিকারদের থেকে টাকা কালেক্ট করে। যেমন কিছু তৃণমূল নেতা নিজে হাতে ঘুষ না নিয়ে টাকাটা অফিসে জমা করে দিতে বলেন। মার্কুসের বই, ব্লাড অ্যান্ড বিলিফ থেকে পারিপার্শিক অংশটুকু কোট করছি (পেজ ১৮৪)ঃ

    It was an open secret that a number of Turkish Kurds were in-volved in the drugs trade, particularly heroin smuggling from Iran to Turkey (and from there to Europe). And in the 1980s the trade really started to boom, said a former city official from the border region. Kurds involved in the drugs trade, either because they truly believed in the PKK—or because they thought it a good business practice—frequently donated money to the rebels. There are also reports of PKK supporters in Europe who used their positions and contacts to trade in drugs—and then handed some of the profits to the PKK. And when PKK activists needed more money, they had no qualms about approaching Kurds who trafficked in narcotics.

    However, it does not seem that the PKK, as an organization, directly produced or traded in narcotics. 16 “The PKK was not directly involved,” stressed Kucuk Zeki, underlining what others in the PKK said. “But for example, [name withheld] would give an ad to the PKK’s newspaper and pay a lot of money. Or [name withheld] would pay money for something the PKK needed. The party knew where their money came from.”
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.237 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০২56839
  • অনেক কিছুই হতে পারে , তুরস্ক লড়াই জিতে যেতে পারে । আইসিস হেরে যেতে পারে । পিকেকে বাকি রাষ্ট্রের মত গণতন্ত্র মাথায় তুলে আধিপত্যবাদি হয়ে যেতে পারে । কিন্তু আপাতত বিগত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা পসিটিভ এবং সেইটাই শেয়ার করা । আগামী পাঁচ বছরে রোজাভা হেরেও যেতে পারে এবং যদি হেরে যায় তাহলে আমাদের নিস্ক্রিয়তা তার জন্য দায়ী হতে পারে - না কুড়ি বছর অপেক্ষা করার মত পরিস্থিতি নয় - বরং বর্তমানের বেস্ট মডেল মধ্যপ্রাচ্যে প্রয়োগ করার স্বপক্ষে গলা ফাটানো দরকার । আইসিস বা আসাদ বা ইজিপ্ট বা লিবিয়া বা সৌদি বা ইরাক নিশ্চয়ই বেস্ট মডেল নয় ? DC কি বলেন ?

    কিন্তু দু চারটে পয়েন্ট ক্লিয়ার করে নেওয়া প্রয়োজন ঃ- ১ " বিশার বলল, রোজাভা-য় মেয়েরা গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং পেলেও, নেতৃত্বে কোনো মহিলা নেই।" বিশার টি কে ? অবিলম্বে মাথার ডাক্তার দেখানো দরকার ।রোজাভায় সমস্ত সংগঠন যৌথ নেতৃত্বে চলে -পার্টি থেকে আর্মি , পুলিশ , কোর্ট ,মিউনিসিপ্যালিটি ইত্যাদি এই যৌথ নেতৃত্বের এক জন মহিলা হওয়া বাধ্যতামূলক , তা ছাড়া সমস্ত সংস্থায় ৪০% মহিলা সংরক্ষণ বাধ্যতা মূলক । বিশার কে শিগগিরি মাথার ডাক্তার দেখানো দরকার অথবা দশটা জেলুসিল একসাথে নির্ঘাত হজমের সমস্যা ।

    " রোজাভা-র কিছু পজিটিভ দিক আছে। কিন্তু সেটা যত না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি সামাজিক।" রাজনৈতিক তত্ব ছাড়া সামাজিক দিক পরিবর্তনের পন্থা আকাশ থেকে টপকায় না । বরং কি সেই রাজনৈতিক তত্ব , ঠিক না বেঠিক সেই হিসাব যুক্তিযুক্ত । রোজাভার সামাজিক পরিবর্তনের পেছনে সুচিন্তিত রাজনৈতিক দর্শন বর্তমান আর সেই রাজনীতিকেই ধরবার প্রচেষ্টা এই লেখাগুলিতে ।

    একপক্ষ তো বটেই , নিরপেক্ষ অবস্থান বলে বাস্তবে কিছু হয়না। যারা ভাবেন আমি নিউট্রাল তারা হাওয়ায় প্রাসাদ গড়েন । নিউট্রাল অবস্থানে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে মাত্র । গাড়ি চালাতে গেলে গিয়ার দিতে হয় । ফরওয়ার্ড না রিভার্স তা অবিশ্যি মানুষ ভেদে । হয় আপনি ওই পক্ষ অথবা এই পক্ষ কেবল ডিগ্রীর ফারাক হতে পারে ,কেউ সম্মুখ লড়াই লড়ে ,কেউ সমর্থক , আর কেউ বুদ্ধির জগতে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে সাধ্যমত । আর স্থিতাবস্থার সমর্থক , সিস্টেমের সমার্থক ঠিক একই কাজ করে উলটো দিকে । তাই আমি নিরপেক্ষ নই - নিরপেক্ষতার দাবী হাস্যকর ।

    প্রোপ্যাগান্ডা ততক্ষণ সত্য যতক্ষণ না কাউন্টার যুক্তি উপলব্ধ -আপাতত তা নেই । ২০ বছরের পূরানো অপ্রমাণিত অভিযোগ দিয়ে বর্তমানের হিসাব হয়না । টাইম পাশ হয় বটে ।
  • দ্রি | 11.39.12.40 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৭56854
  • "The Federal Office for the Protection of the Constitution, Germany's domestic security agency, echoed this finding in its 2011 Annual Report on the Protection of the Constitution, stating that despite the US designation, there was "no evidence that the organisational structures of the PKK are directly involved in drug trafficking".

    এটাও সেই একই বক্তব্য। যে পিকেকে অর্গানাইজেশানের হাইরার্কিতে যারা আছেন তারা নিজেরা ড্রাগ ডীলার এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। কিন্তু তার মানে এই নয় পার্টি ড্রাগের পয়সা পায় নি। এবং এটা ২০১১ র রিপোর্ট।

    ২০১৩ র ইন্টারন্যাশানাল নার্কোটিক কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজির রিপোর্টে আছে,

    In recent years, many ethnic Kurdish traffickers have expanded operations to larger cities in Turkey and other countries in Europe. In February 2012, the U.S. Treasury Department sanctioned supporters of the Kurdistan Workers’ Party (PKK) who ran significant drug trafficking networks based in Moldova and Romania, and in July, an estimated 1700 Turkish police and soldiers participated in a major crackdown on drug trafficking by the PKK in southeast Turkey.

    ড্রাগ ট্রাফিকিং হাতে নাতে প্রমাণ শক্ত কাজ। ২০১১ তে প্রমাণ না থাকলেও ২০১৩ তে থাকতে পারে।
  • dc | 132.174.168.210 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১০56840
  • আমি কিছুই বলিনা, মানে কারুর হয়ে গলা ফাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। যদি এই মডেল সফল হয় তো হবে, যদি সফল না হয় তো হবে না। আইসিস, ইরাক এরা বোধায় এমনিতেই আগামী পাঁচ দশ বছরে অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে। আমার ব্যাক্তিগত মত আগেই বলে দিয়েছি, তার কারনও অনেক আগেই বলে দিয়েছি - পার্পিচুয়াল মেশিন বানানো কেন সম্ভব না সে বিষয়ে পেরেলম্যান তাঁর বইতে চমৎকার লিখে গেছেন।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.237 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২০56841
  • নিশ্চয়ই নিয়তিতে যা লেখা আছে তাই হবে আমরা বরং গাড়ি নিউট্রাল গিয়ারে রাখি !
  • দ্রি | 11.39.12.40 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৫56855
  • "" No evidence of PKK involvement in drug trafficking: Europol and U.S. DEA http://ekurd.net/mismas/articles/misc2012/2/turkey3728.htm#.Vv3RZTXyAs
    Q.twitte"

    আমার মনে হয় এই ব্যাপারে ইকুর্দনেটের ভাষ্যকে সিরিয়াসলি নিলে টার্কিশ পুলিশের ভাষ্যও সিরিয়াসলি নিতে হয়। এতে তথ্য বিশেষ কিছু নেই, এবং এটি ২০১২ র ফেব্রুয়ারীর আর্টিক্‌ল।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৬56842
  • আহা - তুরস্কের মানুষের কথাও শুনতে হবে নাকি? এই যে, শুনুন --

    PKK is a Kurdish separatist terror organization founded by Abdullah Öcalan who has been in prison since 2002, it that has been attacking Turkey for more than 30 years now.

    They are responsible for the death of tens of thousands of people, some of whom were civilians.

    PKK's attacks at times were directed to civilians, mostly soldiers, cops, and politicians.

    The attacks on soldiers and cops are usually not something during fires from both sides were happening, but such attacks like placing bombs to roads, suicide attacks to police stations, and assassinating cops and soldiers when they were off duty, when they were just shopping in the street and such.

    PKK kidnaps, brainwashes teenagers to become terrorists.
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.139 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৪56856
  • নিশ্চই থাকতেই হবে অঙ্ক নাহলে কি করে মিলবে ? সবাই বলছে "no evidence that the organisational structures of the PKK are directly involved in drug trafficking".( তার অর্থ অর্গানাইজেশানের হাইরার্কিতে নয় পুরো পার্টী স্ট্রাকচার ) কিন্তু অঙ্ক তো মিলবেনা যে তেলও বেচছেনা ,মজুরী নেই ,দুর্ভিক্ষ নেই ,চেহারা দেখে না খেতে পাওয়া মনে হচ্ছেনা অথচ গুলী বারুদ কিনছে কোথা থেকে -নিশ্চয়ই তাহলে ড্রাগ ট্রেড এ যুক্ত ।

    কমন সেন্স -রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি কে ম্যালাইন করার সবথেকে বড় অস্ত্র হাওয়ায় কুৎসা ভাসিয়ে দেওয়া , কিছু লোক খাবেই -প্রমাণ করার তো আর দায় নেই !
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.139 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৮56857
  • ইকুর্দনেটের ভাষ্য নয় - ইউরোপল রেফ ।
  • দ্রি | 11.39.12.40 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫১56858
  • "সবাই বলছে "no evidence that the organisational structures of the PKK are directly involved in drug trafficking"।( তার অর্থ অর্গানাইজেশানের হাইরার্কিতে নয় পুরো পার্টী স্ট্রাকচার )"

    পার্টি ডাইরেক্টলি ইনভল্‌ড নেই যেমন সবাই বলছে, সবাই এটাও বলছে পার্টি ড্রাগ মানিতে চলে।
  • দ্রি | 11.39.12.40 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫৩56859
  • ওটাকে রেফ বলে না। ইউরোপলের কোন লোক কি বলেছে তার ফুল কোট না দিয়ে দু একটা কথা ভাসিয়ে দেওয়াকে খুব একটা সিরিয়াসলি নেওয়া যায় না।
  • দ্রি | 11.39.14.46 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:০৬56860
  • মাইকেল রাদু তাঁর পেপারে পিকেকে সম্বন্ধে লিখেছেন,

    The more important source of funds has been criminal activity, especially in Germany, Switzerland, France, Scandinavia, and the Benelux countries.(n31) Operating among Europe's 800,000 Kurdish immigrants, the PKK has been involved in theft, extortion, arms smuggling, human smuggling, and heroin trafficking. Infamous for its violence, the PKK is widely known to rely on murder and beatings as enforcement measures. Apparently, its methods have had their desired effect. Some sources estimate the PKK's annual income from criminal activities at $86 million.(n32)

    (n31) Ministry of Foreign Affairs, Drug Trafficking and Terrorist Organizations (Ankara: Republic of Turkey, Aug. 1998).

    (n32) "Kurdistan Worker's Party (PKK)," International Policy Institute for Counter-Terrorism, Jan. 27, 2000 (http://www.ict.org.il/inter_ter/orgdet.cfm?orgid=20). This source quotes the British National Service of Criminal Intelligence to the effect that in 1993 the PKK obtained 2.6 million pounds sterling from extortion and 56 million German marks from drug smuggling.

    একটা সোর্স টার্কির। সেটাকে ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু আরেকটা সোর্স বৃটিশ ইন্টেলিজেন্স।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:১৪56861
  • ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারন্যাশনাল নার্কোটিক্স এর রিপোর্ট মিথ্যে কারণ সেগুলো পশ্চিমি। টার্কির রিপোর্ট তো মিথ্যেই কারণ সেটা রাষ্ট্রের। একই হিসেবে পশ্চিমি স্কলারদের লেখাও হয় পুরোনো নয় মিথ্যে। তো কথা হলো, কুর্দ বাদে বাকি সবার কথাই অবিশ্বাস্য। তাই ইকুর্দ ডট নেট পড়ুন ও বিশ্বাস করুন। কোন প্রশ্ন নয়, বিপ্লব ক্রমে আসছে।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:১৭56862
  • টিম,
    কোনো প্রশ্ন নয়। এটা তো টাইম পাস, তাও আবার জেলুসিল খেয়ে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.80 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:২৪56843
  • তুরস্কের কথা শুনতে কেউ বারন করেছে বলে মনে হচ্ছেনা , কিন্তু ভুল ভাল বললে কি করে হবে ? Abdullah Öcalan who has been in prison since 2002, না তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে জেলে বন্দী ! এইবার ভাবুন যে সূত্র একটি সাধারণ তথ্যতে গড়বড় করে সেই সূত্র বাকি বিষয়ে কি করবে ? ধুর ধুর ! বাই দা ওয়ে " বিশার বাবু " কে কি মাথার ডাক্তার দেখানো অথবা দশটা জেলুসিল একসাথে খাওয়ানো হয়েছে ?
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:২৮56844
  • পিকেকে র সিভিলিয়ানদের উপর অ্যাটাকের তথ্যসূত্র কী কী ? আর ২০০০ এর পরে কী কী আছে ? দেবব্রতবাবু তো বারবার বলছেন দেখলাম, ২০০০ এর আগে পরে অনেক তফাত।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.80 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৪৮56845
  • বিশেষত ২০০৫ এর পরে , যখন থেকে পিকেকে ডেমোক্র্যাটিক কনফেডারিলিস্ম এর রাস্তায় সেই সময় থেকে সিভিলিয়ানদের উপর অ্যাটাকের তথ্যসূত্র নেই । সেই জন্য দেখুন যে সব তথ্য তা ৯০ এর দশকের । একটি মানে আঙ্কারা বাসে বোমা মারার ঘটনা পাওয়া গিয়েছিল তা সেটাও TAK , পিকেকে সিভিলিয়ান অ্যাটাক করেনা , যদি দুর্ঘটনা ঘটে সাথে সাথে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চায় । ৯০ এর পিকেকে এবং ২০০৫ এর পরের পিকেকে এক নয় ।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৪56863
  • কাল লসাগুদার কথায় রিসেণ্ট পশ্চিমী মিডিয়া ঘাঁটতে গিয়ে এটা পেলাম।
    Kurdish guerrillas have killed two Turkish soldiers in an ambush in south-east Turkey as fighting resumes between Turkish security forces and Kurdish militants, ending a two-year-old ceasefire. The attack came after Turkish aircraft heavily bombed bases of the Kurdistan Workers Party (PKK) in the Qandil Mountains in northern Iraq.

    In a sign that the PKK has resumed military operations against the government, a Turkish army vehicle on a road near Diyarbakir, the largest Kurdish city, was hit by bomb blasts followed by rifle fire, according to the army. A further four soldiers were wounded in the attack.

    The attack came in response to a heavy air raid by Turkish aircraft on PKK bases in the Qandil Mountains in northern Iraq on Saturday – ostensibly part of a new Turkish offensive against terrorist groups, said also to be aimed at Isis.

    But it came as the US was accused by Kurds of tolerating a renewed Turkish government assault on its Kurdish minority as the price for permission for US aircraft to use Turkey’s Incirlik air base against Isis jihadists for the first time.

    “The Americans are not very clever in calculating this sort of thing,” said Kamran Karadaghi, an Iraqi Kurdish commentator and former chief of staff to the Iraqi President, Jalal Talabani. “Maybe they calculate that with Turkey involved on their side, they don’t need the Kurds.”
    http://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/turkey-conflict-with-kurds-was-approving-air-strikes-against-the-pkk-americas-worst-error-in-the-10417381.html

    তা এই পি কে কে র বেসকে হেভিলি বম্ব করা নিশ্চয় কোন টেঅররিস্ট আক্ট হবেনা, কারণ রাষ্ট্র আর কবে টেররিস্ট হয়?

    ক'দিন আগে পড়া চমস্কির সাক্ষাৎকারেও এটা পড়েছিলাম। চম্স্কি কী স্কলার জানিনা।

    'সি জে পলিক্রনিউঃ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তথাকথিত এই যে দুনিয়াজোড়া যুদ্ধ তাতে তুর্কীর ভুমিকা, নিঃসন্দেহে আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে খলরাজনীতির এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এবং রুশ জেট বিমান ডুবে যাওয়ার পর তুর্কীকে “সন্ত্রাসবাদীদের শাকরেদ” তকমা দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন খুব ভুল কিছু বলেননি।

    কিছু আরব উপসাগরীয় দেশ যে আইসিসের মত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে, এই ঘটনাকে দেখেও না দেখার ভান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছে, কারণ জ্বালানী তেল – এ তো সহজেই বোধগম্য, কিন্তু তুর্কী যে মৌলবাদী ইসলামী সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করছে, সেই ঘটনায় তাদের চোখ বুজে থাকার কারণ কী?

    নোয়াম চমস্কিঃ তুর্কী চিরকালই ন্যাটোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার ভূকৌশলগত গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী। গোটা নব্বই এর দশক জুড়ে তুর্কী যখন তার কুর্দিশ জনগণের উপর ভয়ঙ্কর হামলা চালাতে থাকে, তখন থেকেই তুর্কী (ইসরায়েল এবং মিশর বাদ দিয়ে, এরা অন্য গোত্রভুক্ত) মার্কিন অস্ত্রের সব থেকে বড়ো ক্রেতা। এই সম্পর্ক কিছু কিছু সময়ে চাপের মুখে এসেছে, যেমন ২০০৩ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে, তুরস্ক সরকার তাতে যোগ দিতে অসম্মত হয়, যাতে তুরস্কের ৯৫% মানুষের সমর্থনও ছিল। গণতন্ত্রের আসল অর্থটা কী সেটা বুঝতে না পারার জন্যে তুরস্ককে তীব্র তিরস্কৃত ধিক্কার জানানো হয়। তুরস্ক মিলিটারি তুরস্ক সরকারের এমন এক ঘৃণ্য অবস্থান মেনে নেওয়ার জন্য, পল অয়ালভিতস, যাকে কিনা সংবাদ মাধ্যম বুশ সরকারের “idealist in chief” বলে অভিহিত করেছিল, তিনি তীব্র ভর্ৎসনা করেন এবং এর জন্য তাদের ক্ষমাপ্রার্থী হওয়া উচিত, তাঁর এও দাবি ছিল। এইরকম গুটিকয়েক ঘটনা বাদ দিলে এই দুই দেশের সম্পর্ক থেকেছে বন্ধুত্বের। সম্প্রতি তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইসিসকে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে ব্যাপারে এক চুক্তিতে পৌঁছয়ঃ (আইসিস কে আক্রমণের বিনিময়ে, মার্কিনীদের) তুর্কী সিরিয়ার কাছকাছি তার যুদ্ধঘাঁটিগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহারের করতে দেবে, প্রতিদানে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইসিসকে আক্রমণ করবে – যদিও তা না করে শেষত তারা কুর্দিশ শত্রুদের আক্রমণ করে।

    http://www.guruchandali.com/default/2016/01/18/1453134426621.html

    আচ্ছা, দ্রি কি তাইলে এবার তুর্কী বিষয়ে রাশিয়ার উল্টো অবস্থানে ? আর মনে পড়লো, অন্য টইতে দ্রি আর টি র লিংক দেওয়া নিয়ে দেখি অন্যেরা খোঁচাখুঁচি করেন ঃ)

    যাহোক, বক্তব্য হল, টার্কিকেও কিন্তু বহু পশ্চিমী মিডিয়া বা স্ক্লাররাও আদৌ ধোয়া তুলসীপাতা মনে করেন না বরং কুর্দদের উপর আক্রমণের জন্য প্রচুর নিন্দাই করেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন