এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ঘামের জলে নৌকো চলে দেখবি চল

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৬৪১৫ বার পঠিত
  • সময়টা ছিল ২০০৩-এর ডিসেম্বর অথবা ২০০৪-এর জানুয়ারি। আমি তখন একুশ এবং কলেজের ফাইনাল ইয়ার। কলেজ থেকে পিকনিকে গেলাম আমরা ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা দল বেঁধে। জায়গাটা ছিল বাটানগর ছাড়িয়ে গংগার ধারে এক মরে যাওয়া টাউনশিপ, যেখানে কোনো এক সময়ে একটা কারখানা ছিল এবং তাকে ঘিরে লোকালয়। এখন শীতকাল, এখানে সন্ধ্যে নেমে যায় সকাল হতে না হতেই, এবং সারা অঞ্চল জুড়ে একটা কালচে কুয়াশার চাদর।
    সেই মৃত জনপদ আসলে গোটা কারখানা জুড়েই। তার বড় রাস্তার পাশে বন্ধ কোয়ার্টারের সারি, তার ভাংগা দেওয়াল জুড়ে বর্ষার ড্যাম্প, নিঃঝুম পানের দোকান, অচল বাসের কংকাল, ফ্যাক্টরীর ছমছমে বিশাল বিল্ডিং, বন্ধ ওয়েল্ডিং মেশিন, মাল ট্রান্সফার করার রেললাইন যা এই মুহূর্তে একলা নির্জন-শুধু এক শুকনো খটখটে হাওয়া হা হা করে ছুটে যাচ্ছে গংগার দিকে। এই ফ্যাক্টরির এখন কিছু খুচরো আয় হয় পিকনিক বা বিয়েবাড়ির জন্য ঘরভাড়া দিয়ে। বাকী যে সব লেবারারেরা ছিল তারা জন খাটতে যায় কলকাতার দিকে। অথবা এখানে ওখানে শীর্ণ চায়ের গুমটি। দিনমজুরী। অথবা হয়ত কিছুই না। চুপচাপ নিজের ঘরে বসে থাকা।
    জায়গাটা রম্য এবং নির্জন। অস্বাভাবিকভাবে কোনো পাখিও ডাকছিল না। মাঝে মাঝে শুধু ছুটকো নৌকা ভেসে যাচ্ছিল নদীর ওপর দিয়ে। নদীর ওপারে সারিসারি বন্ধ জুটমিল। সারা অঞ্চল জুড়ে আগাছা, ঝোপঝাড়। তারই মধ্যে একটা দুটো ভাংগা মন্দির অথবা পোড়ো সিগারেটের দোকান। আমরা অনেকেই গাঁজা খেতে অথবা প্রেম ও খুচরো শরীর করতে সেই ঝোপ-জংগলে সেঁধিয়ে গিয়েছিলাম একে একে। নদীর ধারে বান্ধবীদের সংগে বসে দেখেছিলাম এখানে ওখানে মরা সাপের খোলস পড়ে আছে অবহেলায়, এবং জলের ধার থেকে মাটি ফাটিয়ে উঠে আসছে বট-অশ্বত্থের চারা। গোটা জায়গাটার দখল নিয়ে নিচ্ছে প্রকৃতি।
    আমাদের অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে তুলেছিল লোকাল বাচ্চারা। আধময়লা জামা গায়ে, নাকে শিকনি, চোখে পিচুটি। এরা অনেকেই স্কুলে যায় না আর। সারাদিন টো টো, ফ্যাক্টরীর ভাংগা বাড়িতে লুকোচুরি অথবা ক্রিকেট। এদের সকলের-ই চোখের দৃষ্টি মরা আর ঘোলাটে। ডাকলে সাড়া দেয় না। কথা বলতে গেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। শুধু দূর থেকে নিঃশব্দে লক্ষ্য করে যায় আমাদের। একে একে তারা জড়ো হচ্ছিল দূরে। নিঃসাড়ে দেখে যাচ্ছিল আমাদের নেশা করা, শরিরী ঘনিষ্ঠতা। আমরা খুব সহজ হতে পারছিলাম না এদের সামনে। বাচ্চাগুলো কোনোরকম বিরক্ত করছিল না। কাছেও আসছিল না। শুধু মরা চোখে অপেক্ষা করছিল দূরে দাঁড়িয়ে। আমরা শেষে বিরক্ত হয়ে উঠে চলে গেলাম অন্য দিকে, দলের মধ্যে। কারন মনে হচ্ছিল দলছুট হলেই আরো বেশি করে নজরবন্দী হয়ে যেতে হবে।

    কিভাবে বন্ধ হল এই ফ্যাক্টরী? লোকাল চায়ের দোকানে বসে জিজ্ঞাসা করেও খুব সদুত্তর পাইনি। কেউ-ই বিশেষ পুরনো কথা তুলতে চায়না আর। টুকরোটাকরা কিছু শব্দ যা ভেসে আসছিল তা দিয়ে একটা ছবি খাড়া করার চেষ্টা করছিলাম নিজের মনে কিন্তু সেসব অসম্পূর্ন ছিল। বছরের পর বছর লস, ম্যানেজমেন্টের অবিমৃশ্যকারীতা, শক্তিশালী ইউনিয়ন না থাকা, রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ না করা, লেবার ট্রাইবুনালে হেরে যাওয়া কেস এরকম নানান শব্দ। তারপর এক সুন্দর সকালে তালা ঝুলে গেল গেটে আর খুব মন দিয়ে বাধ্য ছেলের মতন একে একে ওয়ার্কারেরা বাড়ি চলে গেল। না, বিশেষ কোনো প্রতিরোধ হয়নি। এমনকি পিএফ বা গ্র্যাচুইটির টাকাও পায়নি কেউ। শুনলাম, এই গোটা অঞ্চল নাকি রিয়েল এস্টেটের কাছে বেচে দেওয়ার প্ল্যান চলছে কিন্তু কিছু আইনী জটিলতায় আটকে গেছে সেই প্রক্রিয়া। জটিলতা কেটে গেলেই যে মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমিক এখনো এই মরা জনপদে পড়ে আছে নেহাত অভ্যেসের বশে, তারা উচ্ছেদ হবে। প্রকৃতির হাত থেকে আবার একটানে দখল নেবে রিয়েল এস্টেট। সে মেঘমল্লার শুনবে কি না জানা নেই যদিও।
    দুপুরের রান্নার পর খেতে বসেও অস্বস্তিটা যাচ্ছিল না। দূরে দাঁড়িয়ে একঠায় সেই বাচ্চার দল নিঃশব্দে দেখে যাচ্ছে আমাদের। ওদের কি কিছু খাবার দেওয়া যায়? কিন্তু ডাকতে গেলেই পালিয়ে গেল। আবার ফিরে আসল একটু বাদেই। অথবা এরা হয়ত অন্য দল। সকলকেই একরকম দেখতে লাগছিল। আমরা নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতেও সচেতন হয়ে যাচ্ছিলাম মাঝে মাঝে। অনুভব করছিলাম আমাদের ওপর নজরদারী চালানো হচ্ছে নিঃসাড়ে।
    নিঃশব্দ সেই মৃত জনপদে অন্ধকার নেমে এসেছিল ঝুপ করে। আমরা ফেরার জন্য উশখুশ করছিলাম। পুরো জায়গাটাই ভৌতিক লাগছিল। নদীর জল থেকে উঠে আসছিল একটা হিমাভ ভাপ। আর সেই শুকনো হাওয়া আমাদের হাড়ের ভেতর ঢুকে খটখটে করে দিচ্ছিল আমাদের মগজ। আমাদের কথা, গল্প, আড্ডা, গান, প্রেম সব একে একে নিভে আসছিল। নদীর ওপারে অন্ধকারে ভূতের মতন দাঁড়িয়ে থাকা সারসার জুটমিলগুলো দেখে ভয় লাগছিল আমার। মনে হচ্ছিল এই গংগা, এই জুটমিল, ওই বাচ্চাগুলো, এই ঘন ঝোপ, মরা সাপের খোলস, ভাংগা শিবমন্দির, একলা রেললাইন-এই সবকিছুই চুপচাপ প্রহর গুণছে। সময় অপেক্ষা করছে।
    না, সেই মরা অজগরের মতন বিশাল নিঃঝুম জনপদে কোনও প্রতিরোধ হয়নি ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবার পরেও। শুধু গত তিন বছরে ঝুপ ঝুপ করে কয়েকজন লেবারার একা অথবা সপরিবারে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েছিল, অথবা গলায় ঢেলে দিয়েছিল শস্তা কীটনাশক। কোনো খবর হয়নি সেগুলো। কোনো প্রতিরোধ হয়নি, আন্দোলন হয়নি, ঘটেনি উচ্চকিত আলোড়ন। আপাতত সব শান্তিকল্যাণ হয়ে আছে। শুধু চায়ের দোকানে বসে এক ঘোলাটে চোখের বৃদ্ধ বলেছিল যে সন্ধ্যের পর ফ্যাক্টরী চত্বরে কেউ ঢুকতে চায়না। গা-টা একটু ছমছম করে। আর বলেছিল, মনের ভুল-ও হতে পারে, তবু মনে হয় যেন আজকাল অনেক অচেনা মুখের বাচ্চা ছেলেমেয়ে ভিড় করেছে এই অঞ্চলে। তাদের আগে দেখা যায়নি কোথাও। তারা কাছে আসে না। কথাও বলে না। চুপচাপ দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে যায় এই ফ্যাক্টরীকে। তাদের সকলকেই যেন একইরকম দেখতে। তারা কোথা থেকে আসে, কোথায় মিলিয়ে যায়, কেউ জানে না। শুধু একটা করে সপরিবারে আত্মহত্যা ঘটে আর আরো নতুন নতুন বাচ্চা এসে জড়ো হয় অন্ধকার মাঠের ধারে, নদীতিরের জংগলে কিংবা পোড়ো-তেঁতুলের তলায়।
    বাসে ওঠার আগে শেষবার পেছন ফিরে দেখে নিলাম গোটা জায়গাটা। জামের গায়ের মতন পাতলা অন্ধকার আস্তে আস্তে বিছিয়ে যাচ্ছিল জংগলের ওপর। জনপদটা মনে হচ্ছিল ঢালু হতে হতে গংগার বুকে নেমে গেছে। গম্ভীর নদী এখন কানায় কানায় পূর্ণ। ভোঁ করে একটা স্টিমার বেজে চলে গেল কোথাও। মিটমিটে আলো জ্বলে উঠেছে আশেপাশের ঝুপড়িতে। দুরে আধো অন্ধকারে মনে হল বেশ কয়েকটা বাচ্চা ছেলেমেয়ে ঝোপঝাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছে সারি বেঁধে। একটু বাদেই ঘন কুয়াশা নামবে। ইচ্ছে করলেই এখন নৌকা নদীর ঘাটে ভিড়িয়ে চার্ণক নেমে আসতে পারে যে কোনো সময়ে। বুকে হাত রেখে বলতে পারে- আমিই রাজা, আমিই সময়, আমিই ইতিহাস।

    পুনশ্চঃ কাল খবরে দেখলাম উত্তরবংগের বন্ধ চা-বাগান এবং শ্রমিকদের আত্মহত্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্যে কয়েকজন বাম যুবকর্মীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার জামিন-অযোগ্য ধারায় এফ আই আর করেছে। আলো ক্রমে আসিতেছে। এ মৃত সভ্যতার সৎকারগাথা লিখবে কোন অন্ধ রাজা, অয়দিপাউস নিজেও জানে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৬৪১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Arpan | 125.118.58.0 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:০২57450
  • পড়তে গিয়ে অস্বস্তি হয়, কপালে বিনবিনে ঘাম জমে।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.24.203 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:১৬57451
  • পরে একবার ওদিকে গেছিলাম। সেই কারখানা চত্বর পুরো উধাও। ইডেন সিটির কোনো প্ল্যানড প্রজেক্ট হবে বলে অঞ্চলটা নেওয়া হয়েছে শুনলাম। ফ্যাক্টরী চত্বর পুর সমতল করে মাটিতে মিসিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারদিকে বড় বড় হ্যাজাকের আলো। অচেনা মুখ প্রচুর। এখন কি অবস্থা জানি না
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:৪৬57452
  • ভালো লাগলো লেখাটা, অস্বস্তিকর এবং যথাযথ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:২১57453
  • দারুণ লিখেছে।
    এই এলাকাগুলোয়ে কয়েকবার গেছি, অনেক আগে, আশির দশকে, বাটানগর-বজবজ-বিড়লাপুর এলাকায় গঙ্গার ধারে, জুটমিল এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরি....
  • একেবারে | 127.194.31.175 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:৩৭57454
  • যে শাক্যকে আমি চিনি, আমি চিনতাম।

    বুকে আয়।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 55.64.226.48 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২৮57444
  • সাক্যজিতবাবু,

    খুব সুন্দর করে এই লেখাটা লিখেছেন ! কোনও আধিক্য নেই ! - একেবারে সত্যি ঘটনা !

    আজও যদি তুমি কোনও গাঁয়ে দেখো - ভাঙা কুটিরের সারি - - - !

    শুনলাম চা বাগানগুলো নাকি কেন্দ্রিয় সরকার নিচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গেই শোনা গেল - সরকারী অধিগ্রহনের কি কি বাধা ! তাই এখনই সরকার নিতে পারছে না ! এবং তাদের এ ক্ষমতাও নেই - যে গোয়েঙ্কাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কোনও বাগান খোলাতে পারে ! - মানবিকতা ব্যাপারটা তো শিল্পপতিদের মধ্যে থাকতে নেই ! তারা লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা লুণ্ঠন করে নিতে পারে ! কিন্তু বাগান খুললেই আর্থিক ক্ষতি !

    - অথচ মানুষের পেট তো থেমে থাকে না । তাই আত্মহত্যা তাদের একমাত্র হাতিয়ার !

    তাই পিকনিকে গিয়ে আপনারা দেখলেন মরা শিশুদের নীরব মিছিল ! - ওরা কি বলছিল ওদের চোখ দিয়ে ! - এসো - দেখো - তোমরা করছ বনভোজন ! আর আমরা এখন আর খাই না ! বেঁচেও নেই যে তোমাদের বিরক্ত করবো !

    অথচ আমরাও এককালে এখানেই খেলে বেড়াতাম । আমরাও বাঁচতে পারতাম তোমাদের সন্তানদের মতো !

    মনোজ
  • achintyarup | 125.111.242.141 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৩57445
  • অদ্ভুত
  • achintyarup | 192.66.25.129 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:২২57446
  • লেখাটা খুব পছন্দ হল
  • I | 192.66.23.14 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৩57447
  • খুব ভালো লেগেছে।
  • I | 192.66.23.14 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৪57448
  • খুব ভালো লেগেছে।
  • a | 208.7.62.204 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৬57449
  • খুব ভালো লেখা।
  • জানা ছিল | 47.220.35.202 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০২57455
  • মমতা আর ব্যাগড়াবাবুরা আন্দোলন করে গঙ্গাতীর শশ্মান বানিয়ে ফেলেছে।
  • শাক্যজিতের | 186.126.237.214 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:২৪57456
  • লাস্ট পোস্টটাও ভালো লাগলো। জায়গাটা এক জায়্গায় আটকে থাকেনি, পাল্টেছে, আরো পাল্টে যাবে হয়তো। আবাসন উঠবে, নতুন নতুন লোক এসে থাকবে। এই পরিবর্তনই তো এগিয়ে চলার প্রতীক।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.24.203 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:০৯57458
  • এগিয়ে চলা মানেই সবসময় ভাল বলে মনে হয় না। আবাসন উঠবে নতুন মানুষ এসে থাকবে এবং পুরনো মানুষেরা ভূত হয়ে যাবে, এটা খুব একটা উন্নয়নের লক্ষণ কি?
  • এটাই তো | 47.48.65.116 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:১৭57459
  • সভ্যতার ইতিহাস। একদল মুছে যাবে, তাদের জায়গায় আরেক দল উঠে আসবে, তারাও একদিন কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। চার্নিং চলবেই। আলাদা করে উতলা হওয়ার কিছু নেই।
  • | 125.117.219.174 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:৩০57460
  • ভাল লাগল। বেশ ভাল।
  • Robu | 11.39.137.102 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:০৭57457
  • শাক্যর সাথেই একবার আদিম জনপদ নিয়ে কথা হয়েছিল ফেবুতে। মনে পড়ে গেল।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৫৩57461
  • এগিয়ে চলা !!!! মানে সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট - সত্যিই, কিছু উন্নয়ন চলছে বটে..
    খুবই ভাল লিখেছে সিড
  • নী পা | 23.17.125.9 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৫৫57466
  • অনেক কথা বলতে ইচ্ছা হল লেখাটি পড়ে
  • নী পা | 23.17.125.9 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:০০57467
  • সাধারণত গুরুর নীরব পাঠিকা হয়েই থেকেছি এতদিন। কিন্তু শাক্যজিতের প্রতিটি লেখাই পড়েছি তীব্র আগ্রহভরে। এক একটা লেখা আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এই লেখাটির সাথে আমার এক পার্সোনাল কানেকশন তৈরী হয়ে গেল কারণ আমার বাবাও দূর্গাপুরের এরকম এক বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার লেবার অফিসার ছিলেন। আমার শৈশবে দেখা সেই মুমূর্ষূ মফস্বল আবার জ্যান্ত হয়ে উঠল চোখের সামনে। কাল লেখাটা পড়ে এত নড়ে গেছিলাম যে ফোন করে বাবাকে ফোনের মধ্যেই শোনালাম পুরোটা। বাবা শুনে অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন "ভদ্রলোকের সাথে চেনাজানা থাকলে একবার নিয়ে আসবি? এরকমভাবে আমাদের কথা আর কেউ বলেনি কখনো"।

    শাক্যজিত, আরো লিখুন। আপনার অসামান্য এই কলম, হারিয়ে ফেলবেন না প্লিজ
  • sinfaut | 74.233.173.203 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:৩৬57462
  • "অথবা এরা হয়ত অন্য দল। সকলকেই একরকম দেখতে লাগছিল। "

    ঠান্ডা লাগলো।
  • প্রতিভা সরকার | 11.39.38.109 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:০৩57463
  • দেখার চোখ থাকতে হয়। তবেই খবরের কাগজের কেজো গদ্য বা সরকারি পরিসংখ্যান কণ্টকিত গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ না হয়ে তা হয়ে ওঠে এমন একটি লেখা। অনেকবার ভাঙা কারখানার পাশ দিয়ে যেতে হয়েছে, অনেকবার চা বাগানের দুর্দশা আলোড়িত করেছে। এমন লেখা লিখতে পারিনি যা নিজের সন্তুষ্টিকেই ব্যঙ্গ করবে বহুকাল আর অন্যেদের আপাতসুখি মানসিকতাকেও ঘেঁটে দেবে ভালভাবেই। শাক্যজিতের একটা ব্লগের জন্য বহুকাল অপেক্ষা করা যায়।
  • 0 | 120.227.77.105 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:২০57464
  • এর'ম দরদী সচেতন দেখার চোখ আর ভাবার মন ক'জনের থাকে?!
    পাশকাটানো, এড়িয়ে যাওয়া কেজো স্বার্থপর ব্যস্ততায় এতো অভ্যস্ত, অমানুষ হয়ে যাচ্ছি যে মাঝে মাঝে এমন ঝাঁকুনির বড় দরকার।
  • ranjan roy | 24.96.76.75 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:৪৩57465
  • অস্বস্তিকর জরুরী লেখা।
  • reek | 75.162.175.19 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৫57468
  • বুকের মধ্যে ঠান্ডা শিরশিরে অনুভূতি হলো। চা বাগান গুলোর জন্য এমন লেখা লিখতে না হয় আপনাকে :(
  • aka | 80.193.97.35 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪০57469
  • গুড ওয়ান শাক্য। ভালো লাগল।
  • শেখর সেনগুপ্ত | 212.142.91.242 (*) | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:০০57470
  • দেখার চোখ, সাথে সংবেদনশীল মন ও কলমের জোর থাকায় শাক্যর ব্লগটা এত নাড়া দিয়ে গেল়
    এইভাবে তুমি আরো নাড়া দিয়ে যাও শাক্য, তাতে যদি আমার ঘুম ভাঙ্গে, চোখ খোলে়
  • জগন্নাথ | 186.126.237.214 (*) | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:২৭57471
  • বেশী নাড়া দিলে অন্য বিপদ হতে পারে, সাবধান।
  • শাক্য | 23.17.125.9 (*) | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:১৬57472
  • :) :)

    নিপা, ধন্যবাদ। আপনার বাবাকে আমার নমস্কার জানাবেন :)
  • Gautam Mistri | 11.39.38.68 (*) | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৬57473
  • বাটা নগর, বকুলতলায় রেকিট এন্ড কলম্যান ---- কর্মব্যস্ত অন্ন জোগানো জায়গাগুলো এখন অন্যের ঘুম পুরী। শ্মশান ভূমিতে কে ঘুমাবে? তারা খাবার কোথায় পাবে? যক্ষরা ভাত খায় না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন