এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাঙ্গর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে

    Swarnendu Sil লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ আগস্ট ২০১৮ | ৫৮৫৭ বার পঠিত
  • এই লেখাটা ভাঙ্গর, পরিবেশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানা স্ট্যাটাস, টুকরো লেখায়, অনলাইন আলোচনায় যে কথাগুলো বলেছি, বলে চলেছি সেইগুলো এক জায়গায় লেখার একটা অগোছালো প্রয়াস। এখানে দুটো আলাদা আলাদা বিষয় আছে। সেই বিষয় দুটোয় বিজ্ঞানের সাথে সাথে আমার রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তাও জড়িত অবশ্যই, কারণ আর সব কিছুর মতই বিজ্ঞানও রাজনীতি মুক্ত বা রাজনীতি বহির্ভূত বিষয় নয়।

    আমি মনে করি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিকারক।
    এ কথা আমি ভাঙ্গর আন্দোলনে যখন পরিবেশ সংক্রান্ত কথাবার্তা প্রথম উঠে আসছে তখনো লিখেছিলাম। ভাঙ্গরের 'পরিবেশকর্মী'-দের কথাবার্তায় যে পরিমাণে মিথ্যে উঠে এসেছে, সেই পরিমাণে আদৌ উঠে আসেনি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্রিটিকগুলো, যেগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে সত্যি। বিদ্যুৎ মানুষের প্রয়োজন, এইটা ধরে নিয়েই বলছি ( এইটা ধরে নেওয়ার কারণ আমার এখনও পর্যন্ত তাইই মনে হয়, যদিও বিদ্যুতহীন উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পর্কিত মতামত সিরিয়াস হলে আমি পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দেওয়ার খুব পক্ষপাতী নই ) --- বিদ্যুৎ উৎপাদন এমন কেন্দ্রীভূত ভাবে হতেই হবে তা আদৌ নয়, মানে কয়েকটা সেন্টারে, মানে পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে ও তা দেশজোড়া ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, এই মডেলই একমাত্র মডেল নয়। এই মডেল চলে কারণ এতে

    ক) শিল্পাঞ্চল, মানে যেখানে প্রচুর বড় কারখানা ইত্যাদি সেখানে বিদ্যুৎ যোগানের সুবিধে
    খ) শহরাঞ্চলের সুবিধে
    গ) তাপবিদ্যুৎ, পরমাণু বিদ্যুৎ, বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ( যার জন্যে বড় বাঁধ লাগে ) সেগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন সুবিধে

    অর্থাৎ এককথায় বললে মুনাফা করার সুবিধে, পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা ও পুঁজিপতি শ্রেণি ও সুবিধাভোগী শ্রেণির সুবিধে।

    ক্ষতি কি কি?

    উপরের ওই তিনটে পয়েন্ট-এ চোখ বোলালেই ক্ষতি বোঝা যাবে।। শিল্পাঞ্চল, শহর এবং ওই তিন ধরণের বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা দূষণ ছড়ায় ও পরিবেশের যা ক্ষতি করে, তা অপূরণীয় বস্তুত। সবকটারই যাকে 'কার্বন ফুটপ্রিন্ট' বলে তা প্রচুর ( মানে প্রচুউউউউরই ) বেশী, অন্যান্য দূষণও সেই অনুপাতেই।

    এছাড়াও এই মডেলে রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন আসলে বেশ ধীর গতিতে এগোয়, গ্রামে কম বিদ্যুৎ পৌছনো, বিদ্যুতের হাল খারাপ থাকা ইত্যাদি হয়েই থাকে। কারণ এই মডেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন যত লার্জ স্কেলে করা যাবে ও ট্রান্সমিশন যত হাই ভোল্টেজে করা যাবে তত সুবিধে, খরচার দিক থেকেও, এনার্জি এফিসিয়েন্সির নিরিখেও, কারণ নইলে এনার্জি লস বেশী হয়, ফলত খরচাও বেশী হয়। কিন্তু ওই হাই ভোল্টেজ থেকে বাড়ীর ভোল্টেজে নামিয়ে আনতে প্রথমে ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্টেশন ও ধাপে ধাপে নেমে এসে শেষত ট্রান্সফর্মার লাগে। সেসব বসানো ও তার মেইনটেন্যান্স সবই করতে হয়, যা অল্প জায়গায় ঘনবসতি থাকা শহরাঞ্চলে করার থেকে গ্রামে করা শক্ত, গ্রামের সংখ্যাও বেশী, তুলনামূলক প্রত্যন্ত অঞ্চলেও গ্রাম থাকে।

    -----------------------

    সাধারণ গরিব মানুষের সুবিধে আছে কিছু? আছে। এসবের খুদকুঁড়ো হিসেবে বাড়িতে বিদ্যুৎ যোগানেরও উন্নতি হয়, তা শুধু শহরাঞ্চলে নয়। গ্রামে 'লো ভোল্টেজের সমস্যা' কমবেশি ভারতে সর্বত্র, সেসবের খানিক উন্নতি হয়। রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন হলে আগে বিদ্যুৎ ছিল না এমন অঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছয়। আর ( গ্রামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী) কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্ভব হয়। এখনও ভারতে গ্রামাঞ্চলে মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের বেশ খানিকটা অংশ জমিতে জল দেওয়ার পাম্প চালাতে ব্যবহার হয়।

    লাভ-ক্ষতির ব্যালেন্স?
    ক্ষতির দিক এ অনেক বেশী, এমনকি লাভ বলে মনে হওয়া অনেকগুলোও আসলে ক্ষতি, যেমন ধরুন এই যে জমিতে জলের পাম্প ব্যবহারের ফলে ভারতে বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল চাষের কাজে ব্যবহার হয়, তাতে জলস্তর নেমে যায়। সেজন্যে ভারতে প্রায় সর্বত্র ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক, অন্যান্য সমস্যা যেমন জমি খরাপ্রবণ হয়ে পড়া, ভূমিক্ষয় ইত্যাদির কথা যদি বাদও দেন।

    এবার তাহলে আপনি প্রশ্ন করবেন আমি ভাঙ্গরের আন্দোলন নিয়ে ক্রিটিকাল কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খানিকটা আগেই লিখেছি।

    ১) এই বিষয়গুলো আদৌ তুলে আনা হয়নি, খুব আবছাভাবে একজন দুজন খানিক বলেছেন।
    মূল প্রচারে থেকেছে যেসব কথা তা বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল ও মিথ্যে।

    তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্র -- আপনার বাড়ীর পাশের হাই ভোল্টেজ লাইনের তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্র থেকে আপনার ক্ষতির আশঙ্কা যা, তার চেয়ে আপনার ব্যবহারের মোবাইল ফোন থেকে, কাছাকাছি বসা মোবাইলের টাওয়ার থেকে আপনার ক্ষতির সম্ভাবনা তার চেয়ে ঢের বেশী। বাড়ীর অনেক ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিই, যেমন ধরুন পাম্প থাকলে পাম্পের মধ্যের আর্মেচারের যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটটা, ও তার থেকে যে দূরত্বে আপনি যান প্রতিনিয়ত, সেটার তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্রটা ওই দূরত্বে প্রায় ততটাই শক্তিশালী যতটা ওই অনেক উঁচুতে থাকা হাই ভোল্টেজ লাইনের জন্য আপনার বাড়িতে তড়িৎচুম্বকক্ষেত্রটা। পৃথিবীর নিজের চৌম্বকক্ষেত্রের মান ওই হাই ভোল্টেজ লাইনটা আপনার বাড়িতে যা চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে তার চেয়ে বেশী নয় শুধু, অর্ডার অফ ম্যাগনিচুউডে বেশী, মানে একটা ডিজিট বেশী লাগে মানটা লিখতে। ভূচৌম্বক ক্ষেত্রের তারতম্য যা হয় স্বাভাবিকভাবেই, সেই তারতম্যের মাত্রার কাছাকাছি শক্তির তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্র আপনার বাড়িতে তৈরি হবে ওই লাইনটার জন্যে, যাতে কিসস্যু হয় না। ক্যান্সার, বন্ধ্যা হয়ে যাওয়া কিম্বা ক্ষেতের ফসল, জলের মাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিছক ডাহা মিথ্যে-- এমন কোন সংযোগ কথাও প্রমাণিত হয়নি। বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু পেপারে এরকম ইঙ্গিত যেটুকু যা করা হয়েছে সেগুলোর মেথডোলজিকাল সমস্যা আছে, সেসব বহু আলোচিতও। WHO র তড়িৎচুম্বকক্ষেত্র সংক্রান্ত গাইডলাইনে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যাবে, যা নেট এ ফ্রিতে পড়া ও ডাউনলোড করেও রাখা যায়।

    [ জানাবোঝার গোলমাল হতে পারে তাই বলে রাখি, তড়িৎচুম্বক ক্ষেত্র থেকে ক্ষতির আশঙ্কা শুধুই ক্ষেত্রের শক্তির মাত্রার( field strength) ওপর নির্ভর করে না, আর একটি জরুরী বিষয় হল ফ্রিক্যুয়েন্সি, অর্থাৎ ক্ষেত্রটা কতবার তার পোলারিটি উলটোচ্ছে, মানে চুম্বকের উপমায় ভাবতে পারেন কতবার উত্তর মেরু-দক্ষিণ মেরু উলটে যাচ্ছে। হাই ভোল্টেজ লাইনে ভোল্টেজই শুধু অনেক বেশী, ফ্রিক্যুয়েন্সি আপনার বাড়ীর এসি লাইনের যা, তাইই। নিজেই মিলিয়ে নিতে পারেন সেটা ৫০ হার্জ, অর্থাৎ সেকেন্ডে পঞ্চাশ বার পোলারিটি উলটোয়। এইটা কিছুই না। মোবাইল ফোন থেকে ক্ষতির আশঙ্কা বহুগুণ বেশী, যদিও সেইটার ক্ষেত্রের শক্তির মাত্রা আরও অনেক অনেক অনেক গুণ কম। কারণ তার ফ্রিক্যুয়েন্সি অনেকটা বেশী। আপনার ফোন এ ডেটা কানেকশনের ওই যে 3G, 4G ইত্যাদি দেখেন বা শোনেন, ওই G টা গিগাহার্জের G। এক গিগাহার্জের অর্থ সেকেন্ডে ১০০ কোটি বার পোলারিটি উলটোয়। ]

    SF6-- SF6 ও আদৌ বিষাক্ত গ্যাস নয়, তাই লীক যদি করেও তার থেকে ওখানের মানুষজনের বিন্দুমাত্র ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। SF6 এর সিলিন্ডারের মুখে মুখ দিয়ে SF6 শোঁ করে টেনে নিলেও কিসসু হয় না, শুধু SF6 ভারী গ্যাস, তা আপনার গলায় স্বরতন্ত্রীর আশেপাশে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ স্বরতন্ত্রীর কম্পাঙ্ক পালটে যায় বলে আপনার গলার আওয়াজ পালটে যায় কিছুক্ষণের জন্য, তারপর আপনিই স্বাভাবিক হয়ে যায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই। এইটাকে মজার খেলা হিসেবে লাইভ টেলিভিশন শো তে করাও হয়েছে একাধিকবার, ইউটিউবেই সেসবের ভিডিও পাওয়া যায়। SF6 বেশ পোটেন্ট গ্রীনহাউস গ্যাস, কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে অনেকটা বেশী পোটেন্ট। কিন্তু প্রথমত গ্রীনহাউস গ্যাসের জন্য সমস্যা একটা গ্লোবাল সমস্যা, অর্থাৎ সারা পৃথিবীর, ভাঙ্গরের মানুষদের আলাদা করে সেজন্য ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। আর দ্বিতীয়ত সার্কিট ব্রেকারে যে পরিমাণ SF6 ব্যবহার হয়, তা এতই অল্প এলাকার কার্বন এমিশনের তুলনায় যে কার্বন ডাই অক্সাইডের থেকে অনেকটা বেশী পোটেন্ট হওয়া সত্ত্বেও ওই সাবস্টেশনের সব SF6 লীক করে বাতাসে মিশবে ধরে নিলেও সাবস্টেশনটা না হয়ে যতটুকু গ্রিন হাউস গ্যাস বাঁচানো যাবে, ভাঙ্গরের ওই আন্দোলনরত গ্রামগুলোতে সোলার কুকারের প্রচলন করলে তার চেয়ে অনেক অনেক অনেকগুণ বেশী গ্রীনহাউস গ্যাস এফেক্ট কমানো যাবে।

    আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের, গ্রাম-শহর নির্বিশেষেই বিজ্ঞান সংক্রান্ত জানাবোঝার অবস্থা বেশ করুণ। তাই সেই দেশে শিক্ষিত শহুরে লোককে এইসমস্ত মিথ্যে গুজব প্রচার করতে দেখলে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে গা জ্বালা করে। দেশের শিক্ষার বেহাল অবস্থার ফলে মানুষের জানাবোঝার অভাবের সুযোগ নিয়ে তাঁদেরকে মিথ্যে বলে ভুল বোঝানো আমার কাছে চূড়ান্ত অনৈতিক কাজ, সে লক্ষ্য যাইই হোক না কেন। আমি এ নিয়ে ক্রিটিকাল মূলত প্রায় সবটাই সে জন্যেই।

    এবার আসি বিকল্প কি চাই, সেই প্রসঙ্গে। কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা না থাকলে ন্যাশনাল গ্রিডেরও প্রয়োজন থাকবে না। বিকেন্দ্রীভূত উৎপাদন মডেলের সুবিধে ও সমস্যাগুলো পুরো উলটো উলটো। গ্রামে গ্রামে গ্রামের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সেখানেই উৎপাদন হবে ও ব্যবহৃত হবে, এই মডেল চালাতে গেলেই বড় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, বড় জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ও সেজন্যে বড় বাঁধ বা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনটাই না দরকার পড়বে, না লাভজনক হবে। সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ, ছোট জলবিদ্যুৎকেন্দ্র এসবই দরকার পড়বে ও চলবে, তাতে গ্রীনহাউস গ্যাস এমিশন ও অন্যান্য দূষণ ও পরিবেশগত ক্ষতি সবই একলাফে বহুগুণ কমবে।
    বিদ্যুৎ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হবে বলে বেশিদূর ট্রান্সমিশনের প্রশ্নই নেই, তাই ট্রান্সমিশন লসও অনেক কম ও লস কমাতে হাই টেনশন লাইনও লাগবে না, দেশজোড়া ন্যাশনাল গ্রিডও না। গ্রিড নেই তাই শহর ও শিল্পাঞ্চল প্রচুর বিদ্যুৎ টেনে নিচ্ছে তাই গ্রাম অন্ধকারে এও হবে না। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন করে কাজের কাজ অল্প হওয়ারও প্রশ্নই নেই, উলটে গ্রামেই বিদ্যুৎ থাকবে, জোরালো বাতি জ্বলবে, লো ভোল্টেজের টিমটিমে আলো নয়। বরং শহর ও শিল্পাঞ্চলের বিদ্যুৎ যোগানোই সমস্যা হবে, কারণ শিল্পাঞ্চল তো বটেই, এমনকি বড় কিম্বা মাঝারি শহরেরও যা বিদ্যুৎ চাহিদা, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ সেখানেই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে বিদ্যুৎ স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমে আসবে। বিদ্যুৎ ব্যবসাও বন্ধ হবে।

    কিন্তু এছাড়াও একটা কথা আছে। কি চাই লিখলাম, কিসের বিরোধিতা করি তাও। কিন্তু পুঁজিবাদ এমনই কেন্দ্রীভূত একটা ব্যবস্থা ( বস্তুত টিকে থাকা যেকোন সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই এই ধর্ম আছে) যাকে একটু-আধটু পালটে নিতে গেলে সেইটা আরও খারাপ হয়। অনেকটা পালটে ফেললে যা নতুন একটা স্টেবল ও সুফলদায়ী ব্যবস্থা হবে, কিন্তু অল্প পালটে খানিকটা সুবিধে করব ভাবলে তা আগের চেয়েও খারাপ হবে। কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন উঠে গেলে একরকম, কিন্তু সেইটা একই রকম থাকবে ও ভাঙ্গরে সাবস্টেশনটা হতে দেব না, এতে লাভ কিছুই নেই, বরং ক্ষতি। যুক্তি এসেছে এই সাবস্টেশন বিদ্যুৎ ব্যবসার জন্যে, এতে সাধারণ মানুষের কোন লাভ নেই। মুশকিলটা হল গোটাটা একটা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন উদ্বৃত্ত হলে সেটাকে না বেচে আলাদা করে লাভ কিছু নেই, উলটে ক্ষতি, কারণ ওই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দূষণ যা হওয়ার হয়েইছে, এখন বিদ্যুৎটা কাজে না লাগলে সেটা গোটাটাই পুরো বেকার। তাছাড়া বিদ্যুৎ বেচে যদি মুনাফা হয়, তাহলে বিদ্যুৎ বেচার জন্যে মুনাফাখোররা উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ, নতুন ট্রান্সমিশন সাবস্টেশন এসবের জন্যে অপেক্ষা করবে না, দরকারে গ্রামকে অন্ধকার রেখেই তারা বিদ্যুৎ বেচবে। একটা সাবস্টেশন হতে না দিয়ে তা আটকানো যাবে না, বরং আরও বেশী কিছু গ্রামে টিমটিমে আলো আরও বেশিদিন থাকবে। সাদা বাংলায়, ভাঙ্গরে সাবস্টেশনটা হলে আশেপাশের এলাকায় টিমটিমে বিদ্যুৎ বাতি একটু জোরালো হত। লোডশেডিং কমত কিনা অবশ্য বলা শক্ত, কারণ লোডশেডিং load shedding শব্দেই পরিষ্কার যে এটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থার কোন ত্রুটির জন্য হয় না, বিদ্যুতের যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশী হয়ে যাচ্ছে তাই ইচ্ছে করেই এক একটা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে load ঝেড়ে ফেলা হয়।

    এছাড়াও রাজারহাট হওয়ার পর থেকেই ফেজ ৩ এবং অন্যান্য নানা রকম প্রোজেক্টে ভাঙ্গর অঞ্চলে প্রোমোটাররা বহুতল বাড়ি বানাতে আগ্রহী। মূলত জোর করে জমি নেওয়া ইত্যাদি নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রধানত সেসব নিয়ে, সাবস্টেশনের জমির পরিমাণ মাত্র ১৩ একর, মানে ৩০০ মিটার x ৩০০ মিটারের চেয়ে কম জমি। সাবস্টেশন ও লাইনগুলোর জন্যে খুঁটি ইত্যাদি হলে ওই অঞ্চলে বহুতল নির্মাণ বেআইনি হত, ফলত পুঁজির স্বাভাবিক নিয়মেই প্রোমোটার ও জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমে আসত।

    ক্ষতির মধ্যে তারগুলোর নিচে তাদের রাইট অফ ওয়েতে চাষ বা কোন কিছু করা বেআইনি। এখন পশ্চিমবাংলাতেই বহু জায়গায় এমন তারের নিচেই মানুষ দিব্যি চাষ কলাবাগান সবই করেন, বেআইনি হলেও, ফলত এইটা প্রবল ক্ষতি এমন আদৌ নয়, করা দিব্যি যায়, না করা উচিৎ, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা একদম এড়াতে। যদি নাও করেন, তাহলে সেই সব জমির ক্ষতিপূরণের দাবীতে আন্দোলন হতে পারত, কিন্তু আন্দোলনে 'প্রাণঘাতী পাওয়ার গ্রিড দুর হঠো' এই স্লোগান ও এই স্পিরিটই থেকেছে। বস্তুত এই সমস্ত জমির জন্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রেকমেন্ডেশন এর আগে একটা কেসে আদালতের এক বেঞ্চই দিয়েছিল, ফলত ক্ষতিপূরণ পাওয়া ততটা সমস্যার না হওয়ারই কথা। প্রসঙ্গত পাওয়ার গ্রিড গোটা দেশজোড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবহন নেটওয়ার্কটাকে বলে। তাই ভাঙ্গরে কেন, কোন একটা জায়গাতেই 'পাওয়ার গ্রিড' বসানো যায় না। ভাঙ্গরে যা বসার কথা ছিল তাকে বলে ট্রান্সমিশন সাবস্টেশন, এখনও তাইই বসছে। যদিও ইতিমধ্যেই আন্দোলনের নেতারা ' পাওয়ার গ্রিড অপসৃত। তার জায়গায় বসবে সাবস্টেশন, আন্দোলনের জয়। '-- ইত্যাদি বলে আর এক দফা মানুষকে ভুল বোঝানোর খেলায় নেমেছেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ আগস্ট ২০১৮ | ৫৮৫৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বয়স - Swarnendu Sil
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৮ ০৩:৩০63823
  • যারা এতদিন অলীক স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা দু-এক পহা দেবে নাকি?

    "সোমবারই প্রশাসনের কাছ থেকে আট লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক নিয়েছেন ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত আলমগিরের দাদা মোস্তাকিন মোল্লা। তিনি কতটা খুশি? প্রশ্নের উত্তরে তাঁর জবাব, “কমিটির সবাই মিলে যা করেছে তা তো মানতেই হবে।” কমিটির সবাই কি এই চুক্তিতে সহমত? প্রশ্নটা আসে কারণ, চুক্তির পর রবিবারের বিজয়মিছিলে দেখা যায়নি আজিম মোল্লা বা আবুলের মতো প্রথম সারির অনেক নেতাকেই। মঙ্গলবার বিদ্যুত্ প্রকল্পের সামনে কমিটির নেতাদের ভিড়েও এঁদের দেখা যায়নি।

    মোস্তাকিনের মত রাখঢাক নেই মাছিভাঙার বৃদ্ধ সিদ্দিক মোল্লার। গত দেড় বছরে আন্দোলনের যে কোনও মুহূর্তে এই বৃদ্ধকে সবসময়ে সামনে থেকে দেখেছি। যদিও এই বৃদ্ধের এক ছটাকও জমি নেই। তাঁর সাফ কথা, “কেউ খুশি নয়। গলা ধাক্কা দিয়ে যদি কেউ আপনাকে দশটা টাকা দেয়, তা হলে কি আপনার ভাল লাগবে?”

    মঙ্গলবার যখন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ নির্মীয়মাণ সাব স্টেশনে ঢোকেন, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন খামারআইটের শেখ জয়নালও। তিনি বলেন, “আমরা তো পুরো প্রজেক্টেরই বিরুদ্ধে ছিলাম। এখন নেতারা যদি এটা মেনে নেন, আমরা আর কী করব?”"
    https://www.anandabazar.com/state/how-government-managed-to-appease-bhangor-agitators-an-untold-story-dgtl-1.847694?ref=hm-ft-stry-left-1
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৮ ০৪:০১63824
  • দেখুন, হলদি নদী দিয়ে যখন কুমির আর হাঙ্গর আসতে পারে, তখন তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে, এস এফ সিকস গ্যাসে লোকে হেঁচকি তুলে পায়খানা করতে পারে, সাব স্টেশন পাওয়ার গ্রিড হতে পারে, রুমাল বেড়াল হতে পারে, হার্বার্ট, স্পেন্সার, হাঁচি, কাশি, টিকটিকি সব হতে পারে।
  • sswarnendu | 342323.191.8912.73 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৮ ০৭:৩৪63825
  • @dc
    ঠিক। শুধরে নেব। এখানে উপায় নেই।

    ওগুলোর ফ্রিক্যুয়েন্সি গিগাহার্জ অর্ডারে জানতাম, আপনার লিঙ্কেও তাইই বলছে। G টা generation এর G, Gigahertz এর G নয়, সেইটা আমার ভুল ধারণা ছিল। অনেক ধন্যবাদ।
  • PP | 9004512.142.340112.12 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৮ ০৮:২৭63826
  • সেকি PT সার ও আনন্দবাজারের রেফারেন্স দিচ্ছেন কি দিনকাল।
  • dc | 127812.49.671223.73 (*) | ১৪ আগস্ট ২০১৮ ১২:৫৯63822
  • 3g বা 4g এর g বোধায় GHz মাপে না, মানে ওটা ফ্রিকোয়েন্সি বোঝায় না। যদ্দুর জানি ওটা জেনারেশান বোঝায়।

    এখানে একটা টেবিল দেওয়া আছে, সেটা অনুসারে 3g টেকনোলজির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড 1.8-2.5 GHz আর 4g টেকনোলজির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড 2-8 GHz:

    https://www3.nd.edu/~mhaenggi/NET/wireless/4G/

    ফ্রিকোয়েন্সি ওভারল্যাপের একটা বড়ো কারন হলো জেনারেশান গ্যাপটা খুব ওয়েল ডিফাইনড নয়।
  • PT | 340123.110.234523.22 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০১:৪৯63828
  • PT স্যার বহুদিন ধরেই আবাপ-র রেফারেন্স দিচ্ছেন কেননা সংহতির মত অবয়বহীন পত্রিকর গপ্প-গুজব বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু একদা যাঁরা "পাওয়ার গ্রিড কী? খায় না মাথায় দেয়?" দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন তাঁরা কি "সাব স্টেশন কি? খায় না মাথায় দেয়" প্রসঙ্গে কিছু লিখবেন?

    ইতিহাসবাবু জানাচ্ছেন যে অতিবামেরা পব-তে চিরকালই "শ্রেণীশত্রু"-দের হাতের পুতুল হতেই থাকবে। তারা একদা কংশাল রূপে ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিল আর এখন তিনোশালে রূপান্তরিত। কাজেই অলীক বাবুর কলিক পেইনের জন্য হাসপাতাল গমন ও "গ্রিডের বদলে সাব স্টেশন পেলাম টাক্ডুমাডুমডুম"-এর কোন সম্পর্ক আছে কিনা কে জানে!!

    আরেকটা অসইব্য কথা লিখেই ফেলি। বাম সরকার কি ১৪x৮ লাখ দিলে নন্দীগ্রামে কেমিকাল হাব হত?
  • pi | 2345.110.674512.224 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০২:২৩63829
  • পিটিবাবু ছোটাইদির দেওয়া লিন্কের লেখাটাও পড়েছেন নিশ্চয়। আর স্বর্ণেন্দুর লেখা নিয়েই বা কী মত?
  • PT | 340123.110.234523.22 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৩:০২63830
  • ছোটাই দি কে তো চিনিনা। তিনি কি নামে লেখেন?
  • Pi | 2345.110.674512.224 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৩:২২63831
  • ছোট আই। মানে i ঃ)
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৪:১৬63834
  • নন্দীগ্রাম হতনা। নদীগ্রামের স্কেল অনেক অনেক বড় ছিল। সব পক্ষই পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে চলে গিয়েছিল। এসপার কিংবা ওসপার কিছু একটা হবারই ছিলি। কিন্তু নমনীয় হলে সিঙ্গুর হয়ে যেত। সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে লক্ষণ শেঠ কোম্পানিকে কন্ট্রোল করলে বাম সরকারের পতনও হতনা।
  • PT | 340123.110.234523.17 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৫:২৩63835
  • আমি তো এখনো নিশ্চিত যে সিঙ্গুরের কারখানা কিংবা নন্দীগ্রামের কেমিকাল হাব কোনটাই ইস্যু ছিল না। প্রধানতম, বোধহয় একমাত্র ইস্যু ছিল বাম সরকারকে উৎখাত করা-যে কোন ভাবে।
    সে কম্মটি হওয়ার পরে কোন কৃষক-দরদীরাই আর ওমুখো হয়নি। এমনকি সেখানি কৃষকেরা ভিক্ষের চাল ও ডোলের টাকার ওপরে নির্ভর করে কেমন আছে তার খোঁজও কেউ নেয়না।
    ""এক জমিদাতা বলছিলেন, ‘‘জমিই চেনা যায় না, তো চাষ।’’ আর এক জনের আক্ষেপ, ‘‘কারখানাও হল না, জলে গেল চাষও।’’ হাঁড়ি কী ভাবে চড়বে, তা নিয়ে সিঙ্গুর আতান্তরে। ইচ্ছুক-অনিচ্ছুকের দড়ি টানাটানিও আর প্রায় নেই। রোজগারে টান প্রায় সকলকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে একই বিন্দুতে।"
    https://www.anandabazar.com/state/singur-land-remains-useless-because-
    no-one-can-identifies-their-land-1.844351

    কিন্তু নন্দীগ্রামে যত দোষ লক্ষণ শেঠঘোষ হলে নন্দীগ্রামের সিবিআই-এর চার্জশীটে তার নাম নেই কো। উল্টে দেখছি গুচ্ছের তিনো সমর্থকদের নাম। যে কাগজের নাম করতে নেই তারা এইরকম একটা তালিকা দিয়েছে (সত্যের দায় আমার নয়)ঃ
    The incident at the Bhangabera Bridge has 129 accused, four of them deceased. The first name on the list is one Ashok Mondol, a resident of Sonachura & Trinamul worker. His elder brother, Ajay Mondol was a Trinamul candidate in the Panchayat elections & has become a Panchayat Samiti member. There is Subodh Patra, TMC candidate for the 2003 Panchayat polls from Sonachura. Accused no. 116 is Sonachura resident Rabin Mondol, a local TMC leader. He had played a big role in the year long terror & anarchy in that region. The key protagonist of this campaign, Krishnapada Mondol, is a TMC worker & relative of TMC leader, Nishikanta Mondol. Other accused, Rashbehari Khara, Prasenjit Karon, Gobinda Paik,Shankar Dalapati, Raghunath Dolui, Satyaranjan Manna, Lakhikanta Gayen, Robi Das are all known Trinamul workers & leaders.

    নন্দীগ্রামের মানুষ কেমন আছে কেউ জানতেও চায়না এখন কিন্তু হাওয়ায় কি এখন অন্য কোন খবর ভাসছে?
    "নন্দীগ্রামে কি বইতে শুরু করেছে ‘গেরুয়া হাওয়া’"
    https://www.anandabazar.com/district/midnapore/increasing-influence-of-bjp-in-nandigram-1.846792?ref=midnapore-new-stry
  • sswarnendu | 342323.191.8912.73 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৪৮63832
  • এই তো... কেন্দ্রীভূত বনাম বিকেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জায়গায় আলোচনা সিপিয়েম বনাম তৃণমূল এ চলে গেছে :)

    সব টই ই হীরাভ হবে তো সেই টইটা আর আলাদা করে রাখা কেন?
    রাজনীতির এতই দেউলিয়া অবস্থা যে চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও দলাদলির রাজনীতির বাইরে অন্য কিছু বলতে ভাবতে অক্ষম এনারা। :)
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ০৯:০৮63833
  • বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রীভূত হবে না বিকেন্দ্রীভূত হবে সেটা তো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বোধ নিয়েই ঠিক করবে। তাহলে এই আলোচনাটা রাজনীতি বাদ দিয়ে কি করে হবে?

    এই যে "পুঁজিবাদ এমনই কেন্দ্রীভূত একটা ব্যবস্থা" অথবা "আন্দোলনের নেতারা.......আর এক দফা মানুষকে ভুল বোঝানোর খেলায় নেমেছেন" জাতীয় শব্দবন্ধ এই নিবন্ধে ব্যবহৃত হয়েছে এগুলো কি রাজনৈতিক দলাদলির বাইরের বক্তব্য? নেতারা কারো অনুপ্রেরণায় মানুষকে "ভুল" বোঝাচ্ছেন না তো-আগেও যেমনটা করেছিলেন?

    আসলে ঐ সিঙ্গুর, কারখানা, নন্দীগ্রাম, কেমিকাল হাব ইত্যাদির উল্লেখ শুনলে ইদানিং অনেকেই দেখি বিবশ ও বিপন্ন বোধ করেন।
  • aranya | 560123.148.1256.34 (*) | ১৫ আগস্ট ২০১৮ ১০:২৩63836
  • 'কাজেই অলীক বাবুর কলিক পেইনের জন্য হাসপাতাল গমন ও "গ্রিডের বদলে সাব স্টেশন পেলাম টাক্ডুমাডুমডুম"-এর কোন সম্পর্ক আছে কিনা কে জানে!!'

    - অলীক অসুস্থ, কাগজে পড়েছি। ওপরের লাইনের বক্তব্য-টা ঠিক বুঝলাম না।
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৮ ০২:৫২63840
  • মানে, এতে অবাক হবার কী হল। প্রধান বিরোধী নেত্রীর নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রধানতম লক্ষ্যটিই ছিল বামফ্র্নট সরকারকে সরানো। শুধু ওইসময় নয়, তার আগে এবং পরে সেটাই তাঁর মূল দাবী ছিল। বিরোধীদের সেটাই লক্ষ্য হবে, এতে অস্বাভাবিক তো কিছুই নেই।

    তাই ক্ষমতার রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরের গুরুত্ব এই কারণে নয়। গুরুত্বটা এই কারণে, যে, বহু মানুষ, যাঁরা বাম সরকারের পাশে ছিলেন, পাশে না থাকলেও বিপক্ষে ছিলেননা, তাঁরা এই সময় পক্ষ পরিবর্তন করেন। বামফ্রন্টের গণভিত্তি ক্ষয়ে যায় এবং এবং ভোটের অঙ্কে তাঁরা হারেন।
  • PT | 340123.110.234523.17 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৮ ০৩:১৬63837
  • আমি যে সবটা বুঝেছি এমন দাবী করছি না তাই টাকডুমাডুমডুম। কংশাল শুনেছিলাম চোখে দেখিনি সে ভাবে কিন্তো ২০১১-র পর থেকে অতিবামেদের তিনোর কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

    এই খবরের যে সঠিক মানে কি কে জানে!!
    "..., কমিটির অন্দর মহলেই ভাঙন ধরেছে। সূত্রে খবর, অলীক চক্রবর্তী গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ কর্তারা তাঁর কাছেও লুকোননি— কী ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ওই সময় অলীক চক্রবর্তীর চিকিৎসা জরুরি ছিল। তাঁকে একদিকে যেমন চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, পাশাপাশি, হেফাজতে নিয়ে তাঁকে প্রথমেই আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    সূত্রের খবর, ভাঙড় থানাতে অলীক চক্রবর্তীকে নিয়ে এসে, তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ চার সহযোগী— মীর্জা হাসান, অলি মহম্মদ, সাজারুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেনের সঙ্গে সামনা সামনি কথা বলতে দেওয়া হয়। প্রশাসন এক দিকে আলোচনার দরজা খোলা রাখে, অন্য দিকে রাজি না হলে যে আইনি পদক্ষেপ আরও জোরালো হবে, সেই বার্তা স্পষ্ট ভাবে দেয়। আর তাতেই বরফ গলে।"
    ttps://
    angor-agitators-an-untold-story-dgtl-1.847694?ref=hm-ft-stry-left-1
  • tc | 456712.100.125612.63 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৪৩63838
  • কাঁচা মিথ্যে গুজব ছড়ানো আর খুচরো অশান্তি করা ছাড়া নকুরা আর কিছুই করে না। দলিল পাল্টা দলিল ইত্যাদি প্রসব করে হাজার খানেক দল উপদলে ভাগ হয়ে গিয়ে এখনো যারা অন্যত্র কেটে পড়তে পারে নি তারা কেউ কেউ সংশোধনবাদী হয়ে খুঁটে খাচ্ছে আর কেউ কেউ ঘাসপার্টি তে ভিড়েছে। অলীক বাবু খুব সম্ভব ফ্রি এজেন্ট ধরণের ব্যাগড়াবাবু। সর্বত্র অবাধ বিচরণ। যেখান থেকে যা খিঁচে নেওয়া যায় আর কি।
  • sm | 7845.15.450123.162 (*) | ১৬ আগস্ট ২০১৮ ১১:০১63839
  • ইস্যু চাই।ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ /ইউনি গণ্ডগোল এ বেশি নজর কাড়া যায় না।
    জমি জমা নিয়ে হলে, কৃষক, গ্রাম বাসী নিয়ে বেশ আলোড়ন তোলা যায়।
    নদী বাঁধ, পরমাণু কেন্দ্র, বিশ্ব উষ্ণায়নের কুভাব নিয়ে সেরকম হিড়িক তোলা মুশকিল। কি আর করা!
    তবে, মানতে হবে, তারাও রাজনীতির মাঠে নেমেছে। নিজেদের প্যাঁচ পয়জার শো করবেই।
    শুধু,মিথ্যে ও গুজব না ছড়ালেই হলো।
  • aranya | 560123.148.1256.34 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৯:১৭63841
  • 'প্রধান বিরোধী নেত্রীর নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রধানতম লক্ষ্যটিই ছিল বামফ্র্নট সরকারকে সরানো'
    - শুধু প্রধানতম নয়, একমাত্র লক্ষ্য, তাতে সিঙ্গুরের মানুষের ক্ষতি হলেও
  • sm | 7845.11.9002312.59 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০২:১৫63846
  • গত সপ্তাহে কেউ চা শ্রমিক দের দুর্দশা নিয়ে লিখেছিল। নিশ্চয় পড়েছেন।শিল্প শিল্প করে উদ্বাহু নৃত্য করলে চলবে?
  • PT | 671212.193.563412.104 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০২:৪৯63847
  • আমি জানিনা আপনার প্রফেশনটা কি। কিন্তু যা যা ব্যবহার করেন তার প্রায় সবই কোন না কোন শিল্পের ফলশ্রুতি। এমনকি জে কম্পু বা স্মার্টফোন টিপে তক্ক চালাচ্ছেন সেটাও কোন শিল্পের এন্ড-প্রোডাক্ট। ওষুধ খান তো? সেও শিল্প।
    সব বাদ দিয়ে শুধু সিঙ্গুরের শিল্পটাই হারাম এ কেমন অবস্থান?

    শ্রমিকের দুরবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে অন্য কথা। তো JU-তে যারা চা খেয়েছে তারা কোন না কোন ভাবে শিশু শ্রমিকের বঞ্চনার অংশীদার হয়েছে। পরের বারে কোনো অনুষ্ঠানে খাওয়ার আগে রান্নাঘরে একবার উঁকি মারবেন।
  • sm | 7845.11.343412.224 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৩৮63848
  • আপনি কি বলতে চাইছে, চেষ্টা করেও বুঝতে পারছি না। আমি শিল্প বিরোধী নই, এমন কি ন্যানো বিরোধী ও নই।আমি কেবল মিডিয়া আর তার চাটুকার দের শিল্প পতি বলে তোল্লাই দেবার বিপক্ষে।শিল্প হোক, কিন্তু শিল্প পতির জন্য এতো উমেদারি করবে কেন ,কোন রাজ্য সরকার।?সে বুদ্ধবাবুই করুক বা মমতা সরকার ই করুক।পব তে ভারী শিল্প হতে গেলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, প মেদিনী পুর বা আলিপুর দুয়ার বাছতে হবে। শিল্প পতি দের ইনভেস্ট করতে হবে। কম জমি নিতে হবে।সিঙ্গুর কেসে পুরো উল্টো জিনিস দেখেছি। এটা মিডিয়ার সুচারু চক্রান্ত!শিল্প না হলে নাকি একটি অঙ্গ রাজ্য শেষ হয়ে যাবে। পব না নিলে অন্য রাজ্য খপ করে তুলে নেবে। নিক। কোন ক্ষতি নেই। গুজরাট ন্যানো নিয়েছে, তাতে বিরাট কিছু হয় নি।
    বরঞ্চ দেশের আইন টাটা কে একতরফা কুইট করার জন্য কাঠ গোড়ায় দাঁড় করাতে পারতো।
    এই পোড়া দেশ ,কোন শিল্প পতির একটি চুলও বাঁকা করতে পারে নি।
    এইজন্যই আশি বছরের বৃদ্ধা, ইনকাম ট্যাক্স ফাইল না করার জন্য চিঠি পায়, আর মালিয়া, নীরব মোদী, হাসতে হাসতে প্লেনে চড়ে।
  • sm | 2345.110.125612.155 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৪২63842
  • সিঙ্গুরের মানুষ মানে যারা কৃষক, তারা তো ভরাডুবির হাত থেকে বেঁচে গেল!
    বামেরা আর টাটা মিলে কিছুই তো বাকি রাখে নি।
  • PT | 671212.193.563412.104 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৫:১৩63849
  • এত কম জেনে কথা না বলে মাস ছয়েকের জন্য পরিবার (বয়্স্ক ও শিশুসহ) পরিবার নিয়ে খর্গপুরে থেকে আসুন। তার পরে আলোচনা হবে।

    আর এখানে যারা সিঙ্গুরে শিল্পের জন্য সওয়াল করেছে তারা কেউই মিডিয়ার চাটুকার বলে মনে হয়্না। আর সকলেই অবগত আছে যে শিল্প্পতিদের চুল ব্যাঁকা করা সহজ নয়।
    কিন্তু তার জন্য কি আমরা সকলে টাটা সল্ট খাওয়া বন্ধ করে ডান্ডি অভিযান করেছি নাকি?
  • sm | 7845.15.344512.254 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৫:১৯63850
  • আপনি আবার নির্বোধের মতন কথা বলছেন। নুন উপকূলে না বানিয়ে কলকাতার বুকে বানানো হলে, তাকে বলে অবিমৃষ্যকারিতা!নুন টাটা না বানালে বাটা বানাবে। নাহলে সরকার বানাবে। এর জন্য এতো তেল দেবার কি আছে?
    আপনি টাটার নুন খেয়ে তার বিরোধিতা না করতেই পারেন কিন্তু আমি নই।--))
  • PT | 671212.193.563412.104 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৬:১৯63851
  • এইতো টাটার নুনের গুণ গাওয়ার
    জাস্টিফিকেশন রেডি। প্রথমতঃ গাড়ী ছাড়া বাঁচা যায় কিন্তু নুন ছাড়া বাঁচা যাবেনা। দ্বিতীয়্তঃ তাহলে নুনই কি সেই স্বপ্নের শিল্প যেখানে শ্রমিকেরা বঞ্চিত নয়?

    ......fulfilling India’s salt needs comes at a price, as the salt pan workers face problems like abnormally thin legs which become so stiff that even after death, they do not burn in the funeral pyre.

    Their legs are then collected by their relatives and buried separately in a small grave with salt so that they can decompose naturally, workers at the salt pans here said.......

    ........But despite working hard in harsh climatic conditions with day temperatures rising to 40 degrees and nights witnessing 5 degree Celsius temperature, the Agariyas earn a meagre Rs 60 per ton."
    https://www.thehindubusinessline.com/news/variety/indias-salt-workers-live-work-and-get-cremated-in-salt/article23089785.ece

    ......the farmers suffer from skin lesions, severe eye problems owing to intense reflections off the white surfaces, and tuberculosis. A salt worker of Kutch seldom lives beyond 60 years.
    https://www.aljazeera.com/indepth/inpictures/2016/08/salt-farmers-india-rann-kutch-marshes-160823114732598.html

    তাই বলে ঐ শ্রমিকদের হয়ে লড়তে মেধাদিদি বা অগ্নীবেশদাদা যাবে নাকি? নাকি তাই নিয়ে SM শিল্পপতিদের কলার ধরে টানাটানি করবেন অহেতুক বাইট খরচা করে? ধুস! ওখানে বাম সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেসব ভেবে দেখা যেত!!
  • PT | 015612.129.7867.119 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৮:২১63843
  • বেঁচেছে? কলকাতার সব সুযোগ-সুবিধে উপভোগ করে বসে কৃষক প্রেম?
    " হাঁড়ি কী ভাবে চড়বে, তা নিয়ে সিঙ্গুর আতান্তরে।"-খবরে প্রকাশ।
  • sm | 7845.11.235612.229 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ১০:৩৬63844
  • ন্যানো হলে কি হতো? কিছু জনতা,কলকাতা বা ভিনরাজ্যের থেকে, ইঞ্জিনিয়ার এর চাকরি পেতো ;এই তো!
    আর কিছু পেতো কি সিঙ্গুর?
    কিছু লোক কারখানার শ্রমিক হতো আর কিছু লোক চপ ফুলুরির দোকান দিতো।
  • PT | 015612.129.7867.119 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ১০:৫৯63845
  • তো এখন তারা কি করছে?
    হাঁড়ি না চড়ার থেকে তো শ্রমিক হওয়া বা চপ-ফুলুরি ভাজা বেশী ভাল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন