এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফিদেল কাস্ত্রো-র দেশে (পর্ব ৪)

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | ৯৭৭৭ বার পঠিত
  • কিউবায় মোট পনেরোটি প্রভিন্স আর একটি যাকে ওরা বলে স্পেশাল মিউনিসিপ্যালিটি। আমরা যেখানে গেছিলাম সেই প্রভিন্সের নাম ভিলাক্লারা। আর যে শহরের এয়ারপোর্টে নামলাম বা উঠলাম , সেটা সান্টাক্লারা। এইটুকু ইনফরমেশন অবশ্য যাবার আগেই জানতাম। আর তার সাথে যেটা আমার শিকড়গত বামপন্থা জানিয়ে রেখেছিলো, যে এই সেই সান্টাক্লারা, গেরিলা যুদ্ধের তীর্থক্ষেত্র। চে'র মাত্র সাড়ে তিনশ গেরিলা বাহিনী হারিয়ে দিয়েছিলো আমেরিকান মদতপুষ্ট পাঁচ হাজার সেনা , ট্যাংক , কামান বন্দুক আর সবচেয়ে বড়ো কথা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা-কে। রক্তপাত বেশি হয়নি তার কারণ গেরিলা বাহিনীর ছিল তুমুল জনসমর্থন। এমনকি এরকম-ও শোনা যায় , পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার সৈন্যরাও পরে স্বতঃস্ফূর্ত যোগ দিয়েছিলো চে'র সঙ্গে। সে যাগ্গে যাক। এসব কথা অবশ্য কোনো গাইড সেরকম করে বলেনি। খালি 'ব্যাটেল অফ সান্টাক্লারা' মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড দেখানোর সময় বলেছিলো ১৯৫৮'র সেই যুদ্ধের কথা। আমাদের সঙ্গে যেসব অন্যান্য টুরিস্ট ছিল , তারা বেশি জিজ্ঞেস করেনি , আমিও আর সেসব প্রসঙ্গ তুলিনি। আর তাছাড়া মেমোরিয়াল গ্রাউন্ডটা বহরে বেশ ছোট , আর গেরিলা যুদ্ধের সাক্ষি হিসেবে ট্রেনের ওয়াগনটা রাখা আছে। আসলে এই আবেগগুলো আমার যুবাবয়সের , তাই মাঝে মাঝে শিরদাঁড়া শিরশির করে।

    চে মেমোরিয়াল। অনেকগুলো কিউবিকল কংক্রিটের স্ট্রাকচার। একটা সাদা অনেক উঁচু রেকটেঙ্গুলার থামের ওপরে বাইশ ফুট দৈর্ঘের চে'র মূর্তি। এখানে ১৯৯৭ সালে বলিভিয়া থেকে উদ্ধার করা চে'র দেহাবশেষ সমাধিস্থ আছে। আর সঙ্গে তার ছয়জন গেরিলা কমরেড-এর দেহাবশেষ। রাজনীতি মানুন আর নাই মানুন, বামপন্থায় বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এইখানে দাঁড়ালে মন উতলা হবেই। আমি অন্তত রোমান্স-এ বিশ্বাস করি। এই একজনের স্বপ্নে আমার কলেজ জীবনের পরে প্রজন্ম পেরিয়ে এসেও গায়ে কাঁটা দেয় আমার। একটা সফল বিপ্লবে যার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় না। তারপরে-ও কঙ্গো আসে বলিভিয়া আসে। খুব কি মেলোড্রামাটিক শোনাচ্ছে ? নাহয় তাই। মেনে নিতে দোষ নেই।

    যাই হোক , সান্টাক্লারা দেখা ওই পাঁচ ছয় ঘন্টা। প্রথমত: আমরা যেখানে রিসর্টে থাকতাম , সেখান থেকে সান্টাক্লারা শহর প্রায় দুই ঘন্টার পথ। তাই রিসর্টে আরাম করব, সমুদ্রে চান করে বাদামি চামড়া আরো বাদামি করবো, সকাল বিকেল হাভানাক্লাব-উইথ-আনারসস্মুথি খাব, জীপসাফারি যাব , কার্নিভাল দেখতে যাব , মেয়ে-র বায়না মতো ডলফিনশো দেখতে যাব এইসব করে সান্টাক্লারা দেখতে দেখতে একদম ফেরারদিনে হয়ে গেল । আমাদের ফেরার উড়ান ছিল সন্ধ্যে সাতটায়। সকাল নয়টায় বেড়িয়ে , গোভিয়াটা বাস সান্টাক্লারা শহর দেখিয়ে , এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিলো বিকেল পাঁচটায়। চে'মেমোরিয়াল আর ব্যাটেলগ্রাউন্ড দেখা লাঞ্চ করার পরে আর অন্যকিছু দেখার সময় ছিল না।

    এইখানে বলে রাখি। আমার সাথে যতজন কিউবান মানুষের কথা হয়েছিল তারা সবাই প্রায় নবীন প্রজন্মের। আশির দশকে জন্ম। খুব বেশি হলে সত্তরের শেষ-এ। এরাই একটু আধটু যা ইংরেজি বলতে পারে। তো এদের চে'র ওপর শ্রদ্ধা আছে , আমাদের যেমন আছে মহাত্মা গান্ধী বা নেতাজি কে নিয়ে। এরা একটা সমাজতান্ত্রিক সিস্টেম-এ জন্মেছে , বড়ো-ও হয়েছে। এদের কাছে বিপ্লবটা নকশাল আন্দোলন-এর চেয়েও আগের। এদের কাছে ১৯৫৯ এর বিপ্লব ঠিক সপ্ন নয় বরং কিউবা'র একটা গৌরবময় ইতিহাস। এই রকম-ই আমার মনে হলো। একদিন রাতের দিকে বার-এ বসেছিলাম। একটি মেয়ে সার্ভ করছিলো। বয়স চব্বিশ-পঁচিশ হবে। একটু রাতের দিকে বলে একটু ফাঁকা-ই ছিল। আমি মেয়েটাকে পাঁচ পেসো টিপস দেওয়াতে , খুব খুশি হয়ে গালে একটা চুমু দিলো। এরকম হাসি খুশি মেয়েপুরুষের কথা তো বলেই আসছি। তো সেই মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম চে'র কথা। তাতেই মনে হলো , চে আর ফিদেল ওদের কাছে স্বতঃসিদ্ধ'র মতো। আমাদের রিসোর্টের কাছে, একটা শপিং প্লাজা ছিল। বা সান্টাক্লারাতেও দেখলাম অনেক কিউবান মেমেন্টো শপ। যেরকম সব শহরে , সব টুরিস্ট স্পটেই থাকে। সেইসব দোকানে অন্য অনেক কিছুর সাথে ভরিয়ে চে। বাঁশের মগ-এ চে'র ছবি। চে টিশার্টে-র আলাদা একটা সেকশন। শটগ্লাসে চে'র ছবি। বুকসেল্ফ-এ চে'ফিদেল-র বই। বিপ্লবের ইতিহাস। আমি-ও কয়েকটা জিনিষ কিছু কিনলাম। একটা বই কিনলাম 'ফিদেল আর রিলিজিওন'। এখনো পড়তে শুরু করা হয়নি। সবচেয়ে জরুরি ছিল বয়স্ক মানুষের সাথে কথা বলা যারা ১৯৫০-১৯৫৫-এর আগে জন্মেছেন। এরকম মানুষ কম-ই আলাপ হওয়ার সুযোগ হলো , আর হলেও হয়তো ভাষা ব্যবধানে আলাপচারিতা জমতো না।

    শপিংপ্লাজা বলতে মনে হলো বলে রাখি , কিউবা'র শহরের রাস্তাঘাট, সান্টাক্লারাতে পেডেস্ট্রিয়ান স্ট্রিট , রিসর্টের লাগোয়া প্লাজা সবখানে ইউরোপিয়ান স্টাইল। মানে রোম , ফ্লোরেন্স মনে পরে গেলো হাতে হাতে। সেইরকম ছাতাওয়ালা বাইরে বসার রেস্তোরা। সেই রকম গিটার বাজিয়ে গাইয়ে। দোকান বাড়িগুলোর সেই রকম আর্কিটেকচার। তফাতের মধ্যে এটাই , আগে যেমন বলেছি , এখানে কোনো ম্যাকডোনাল্ডস নেই বা নাইকের শোরুম নেই। শুধু তাই নয়, একটাও বিজ্ঞাপনে-র বিলবোর্ড নেই। একদিন রিসর্টের কাছে প্লাজাতে , একটা হলুদরঙের সিমেন্টের গাজিবো মতো জায়গায় বসে আছি। বেশ বড়ো জায়গাটা। ছয়-সাতটা লোহার বেঞ্চ। চারিদিকে ঘাসের লন। তিরিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ঝলমলে রোদের মধ্যে শীতল ছায়া টাইপ। দুজন বয়স্ক লোক , স্বামী-স্ত্রী-ই হবে। বরের হাতে গিটার , আর মহিলার হাতে একটা বংগো । আমায় জিজ্ঞেস করলো 'ইংলিশ ওর স্প্যানিশ'। আমি ইংলিশ বলাতে , আমার হাতের ঝোলা থেকে বের করে দুটো ম্যারাকাস ধরিয়ে দিলো। তারপর মহিলা আমার পাশে বসে স্প্যানিশ গান ধরলেন। নিজেই বংগো বাজালেন সাথে , আর ওর বর ঝমঝমিয়ে গিটার। আমায় ম্যারাকাস নিয়ে তালে তালে ঠেকা দিতে হলো। অসাধারণ একটা নাচুনে সুর। মন খুশি হয়ে যায়। আমার মেয়ে খুশি হয়ে একটু কোমর দোলালো। তারপর ওরা আরো একটা গান গাইলো। সেটা অবশ্য অতি পরিচিত গান। গোয়ান্তানামেরা। আমরা ছাড়াও বাকি যারা আশেপাশে ছিল , সবাই তিন পেসো চার পেসো করে বকশিস দিলো বুড়োবুড়িকে।

    ***
    কিউবার সমুদ্র অত্যন্ত সুন্দর। মিহি সাদা বালির সাগর সৈকত। জুন জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যারিকেন সিজিন বাদ দিলে , শান্ত আটলান্টিক।
    সাদা বালিয়াড়ি পেরিয়ে , অনেকদূর হেঁটে জলের ভেতর যাওয়া যায়। প্রায় স্বচ্ছ নীল জল। মোটরাইসড স্পোর্টস প্রায় নেই বলে দিগন্তে কিছু মার্চেন্ট শীপ ছাড়া ধু ধু নীল জল। আমাদের রিসর্টের নিজস্ব বীচ-এ দুটো বীচবার ছিল। সকাল ছটা থেকে বিকেল ছটা পর্যন্ত অফুরান সূরাপানের আয়োজন। ডিসেম্বরে তাপমান আঠাশ থেকে তিরিশের কাছে সেন্টিগ্রেড স্কেলে। তবে আদ্রতা তেমন নেই , যেমন থাকার কথা সমুদ্রের জন্য। প্রতিদিন ঝলমলে রুদ্দুর ছিল , আমরা যেকদিন ছিলাম।

    ফেরারদিন দেখলাম সান্টাক্লারা এয়ারপোর্টের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ট্রানসিট লাউঞ্জ। দুটো মাত্র গেট , আর সব উড়ান-ই কানাডা-র আর একটা ফ্লোরিডা যাচ্ছে। কোনো এয়ারওব্রিজ-টিজ নেই। উড়োজাহাজ গুলো দাঁড়াচ্ছে প্রায় গেটে-র মুখে , আমরা গেট দিয়ে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটে প্লেনে উঠলাম। একটা মাত্র ডিউটি ফ্রি শপ। আর একটা ক্যান্টিনের মতো কাউন্টারে বার্গার বিক্রি হচ্ছে। তিরিশ ডিগ্রি তাপে আমি গেঞ্জি আর হাপ্প্যান্ট পড়ে ছিলাম , প্লেনে ওঠার আগে বাথরুমে ঢুকে শীতের জোব্বা পরে নিলাম , কারণ পাঁচ ঘন্টার উড়ানের পরে দ্যাশে-র শহরে নামবো , ওয়েদার নেটওয়ার্ক বলছে সেখানে -৩০ ইন সেন্টিগ্রেডস্কেল।

    আগাম ওয়েদার দেখার কথায় মনে হলো , ইন্টারনেট ইত্যাদি কিউবা তে খুব-ই কন্ট্রোলড। প্রায় অলভ্য-ও বলতে পারেন। কাজকর্ম-ও বহু জায়গায় জাবেদা খাতায় হাতে লিখে হচ্ছে দেখলাম। আমাদের রিসর্টে , বাফে ছাড়াও দুটো আলাকারটা রেস্তোরা ছিল। সেখানে আগে থেকে বুকিং করতে হতো। তো সেসব বুকিং দেখলাম প্রাকঐতিহাসিক নীল রঙের বাঁধাই খাতায় হচ্ছে। রেস্তোরা-টা অবশ্য খুব-ই হাল ফ্যাশনে-র আর ভালো। একদিন স্টার্টারে , ঝিনুকের মধ্যে নারকোল আর চিংড়ি দিয়ে একটা আইটেম খাওয়ালো , মনে করলেই ভালোলাগছে। যেকথা বলছিলাম , ইন্টারনেট পরিষেবা-র অৱস্থা নেহাত-ই করুন। ETECS যেটা নাকি কিউবান টেলিকম কোম্পানি , তাদের ডাটা কার্ড কিনতে পাওয়া যেত ঘন্টাপ্রতি এক পেসো। কিন্তু তাতেও অনেক সাইট রেস্ট্রিক্টেড আর কন্ট্রোলড ছিল। এর কারণ কি, কেন, কোথায় নিয়ে বিস্তারিত অন্য কোনোখানে বলা যাবে , আপাতত বলি , ইন্টারনেট নিয়ে ওই আটদিন প্রভূত সমস্যায় ছিলাম আমরা , বিশেষ করে আমার মেয়ে।

    আমেরিকার সাথে কিউবা'র লাভ-হেট সম্পর্কের কথা হোক একটু। ১৯৫৯-এর বিপ্ল্বের পর , কিউবায় আমেরিকার যত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান , পাওয়ার প্ল্যান্ট , তৈল শোধনাগার সব কিউবার প্রলেতারিয়েত সরকার দখল করে। তারপরে ১৯৫৯ থেকে পরবর্তী কুড়ি বছরে প্রায় দশ শতাংশ কিউবান নাগরিক আমেরিকায় পালিয়ে আসে। এরা যদিও প্রধানত বিপ্লব পূর্ববর্তী জামানার উচ্চবিত্তশ্রেণী , কিন্তু মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবি -ও আছে এদের মধ্যে। প্রথম দিকে আমেরিকান এমবার্গো'র জন্য , এরা গেছিলো বেআইনি পথে , নৌকায় , স্টিমারে। পরে আমেরিকা নিজেদের স্বার্থে বছরে ২০,০০০ কিউবান কে ভিসা দেওয়ার নীতি নেয়। যাই হোক এমবার্গো চালু আছে গত অর্ধশতক। আমেরিকা কিউবার অর্থনীতিতে সাহায্য করে না, এমনকী বন্ধু দেশ যারা আমেরিকান ডলারের মুখাপেক্ষই তাদের-ও ঘুরিয়ে সাহায্য না করা শর্তাধীন রাখে। ওই আগে যেটা বললাম, কিউবা'র ইন্টারনেট ব্যবস্থার দুর্দশা হওয়ার এটাও একটা কারণ। তো যাইহোক এতো কথা বলতে গেলে ইতিহাস লেখা হয়ে যাবে। আমেরিকায় চলে আসা কিউবান আমেরিকানরা দেশে ফেলে আসা আত্নীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব-কে এখনো ডলার পাঠিয়ে থাকে। ওবামা জামানায় কিছু কিছু শিথিলতা হয়েছিল এমবার্গো-তে, সেই সময়-ই কিউবার কমিউনিকেশ ব্যবস্থা-র কিছু উন্নতি হয়। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প সাহেব আবার এইরকম ডলার ট্রান্সাকশন-র ওপরেও বিধি নিষেধ আরোপ করার চেষ্টায় আছে।

    তো আমায় এলিন (সেই জীপসাফারির গাইড মেয়েটি) বললো যে , কিউবা ক্লাসলেস সমাজ। মোটের ওপরে কথাটা সত্যি হলেও আমেরিকান সাহায্য পাওয়া আত্মীয় বন্ধুবান্ধব নাগরিক বৃন্দ অপেক্ষাকৃত বিলাসিতা করতে-ও পারে। ভালো জুয়েলারি পড়তে পারে , সৌখিন জুতো জামা পড়তে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাতে অবশ্য কোনো আফশোস নেই কিউবাতে। হাজারহোক একশো আমেরিকান ডলার মানিট্রান্সফার হয়ে এলে , সে যে নামেই আসুক , একশ ডলারতো যোগ হচ্ছে কিউবার অর্থনীতিতে।

    আরেকটা গুরত্বপূর্ন কথা। ক্রিসমাসের দিন বা ক্রিসমাস ইভে দেখলাম খুব হৈচৈ। কার্নিভালের কথা তো বললাম-ই , তাছাড়া-ও রিসর্টে স্পেশাল ডিনার। রিসর্টের থিয়েটারে সান্তাক্লজ শো বাচ্চাদের জন্য। এইসব দেখে আমি সেই ম্যানেজার কে জিজ্ঞেস করেছিলাম , 'ডু ইউ প্রাকটিস রিলিজিওন ?, কারণ আমি জানি ক্লাসিকাল ক্যামিউনিজম ধর্ম মানে না , যেমন চীন'। তাতে বললো , কিউবান রা রোমান ক্যাথলিক। আর পুরো দস্তুর ধর্মীয় আবেগপ্রবন। চার্চ আছে প্রতিশহরে , গ্রামে। ধর্মকে আমরা সংস্কৃতি হিসেবে দেখি। তবে চার্চের কোনো একটিভিটি নেই , চার্চ থেকে সমাজের ওপর কোনো আদেশ দেওয়া নিষিদ্ধ। এইটুকু-ই জানলাম। ফুর্তিবাজ কিউবানদের ক্রিসমাস ইভে নাচতে দেখলাম।

    সান্তা ক্লারা এয়ারপোর্ট থেকে একটা ইলাস্ট্রেটেড চে'র পোস্টারে-র বই কিনে ছিলাম। তাতে চে'র বাণী দেখলাম If you tremble with indignation at every injustice, then you are a comrade of mine.

    বিদায় কমরেড। তোমার স্ট্যাচু আমার কাছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকেও উঁচু।

    (শেষ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | ৯৭৭৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 57.15.43.71 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩64546
  • কল্লোলবাবু, তা তো হতেই পারে। আমি যথেষ্ট লোভী আর স্বার্থপর, কাজেই অন্যের চেয়ে ভালো থাকার ইচ্ছে আমার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশী।

    পিটিদা সঠিক প্রশ্ন করেছেন। এতো এতো বছরেও ভারতীয়রা ভারতে থেকে কেন ইনোভেশান ড্রাইভার হতে পারলো না? অথচ বিদেশের নানান কোম্পানিতে সিএক্সও লেভেলে ভারতীয়র ছড়াছড়ি, ইন্দ্রা নুয়ি, সত্য নাদেলা, রজীব বাগ্গা, কতো নাম। অবশ্য একটা আর্টিকলে পড়েছিলাম যে যেসব ভারতীয় বিদেশে যান তারা প্রায় সকলেই ট্রিপল সিলেক্টেড, তারা তো সফল হবেনই। তাও আমার মনে হয় এটা নিয়ে আরো লেখালেখি হওয়া উচিত। ভারতে এমপাওয়ারিং এনভায়রনমেন্ট কেন তৈরি করা যায় না?
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৪64529
  • ঈশান, আমার মতে টোটাল স্টেট কন্ট্রোলের প্রধান অসুবিধে ইকোনমিকের্র থেকেও বেশী সাইকোলজিকাল (বা বিহেভিয়রাল)।

    এই টইয়ের লেখককে আগেও কোট করেছি, আরেকবার করিঃ "ছোট খাটো মুদিখানা বা কিউবান মেমেন্টো বিক্রির হকারি মার্কা দোকান ছাড়া কিউবাতে ব্যক্তিগত মালিকানায় কোনো ব্যবসা নেই"।

    এরকম জেলখানার মতো কন্ট্রোল থাকলে আমার মনে হয় পার্সোনাল ইনিশিয়েটিভের আর মূল্য থাকে না, যার ফলশ্রুতি এইটাঃ "সব রকম সাইজের জুতো পাওয়া যাবে। তবে স্টাইল মোটে তিনটি"। আর এই সমস্যাটা এমনিতে ট্রিভিয়াল মনে হলেও, আমাদের সমাজে লং টার্মে এটার অনেকটা এফেক্ট পড়ে। নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করা, সেটা মার্কেটে আনা, সেটাকে বারবার আপডেট করা, আবার সেই প্রোডাক্টের সাথে কমপিট করে অন্য প্রোডাক্ট আনা, এইভাবে আমাদের সমাজ বা লাইফস্টাইল বারবার পাল্টেছে। টোটাল স্টেট কন্ট্রোলে এই প্রক্রিয়াটাই থেমে যায়, আর তার ফল সব ক্ষেত্রে পড়ে। এমনকি চীনেও দেখুন, অথরিটারিয়ন রেজিমের মধ্যেও অনেকটা ফ্রি মার্কেট করতে বাধ্য হয়েছে এই কমপিটিশান আনার জন্য। কারন কমপিট করতে চাওয়া, নিজের মতো করে কিছু করতে চাওয়া, অন্যের কন্ট্রোলে না থাকতে চাওয়া, এগুলো আমার মনে হয় মানুষের খুব বেসিক ক্যারেকটারিসটিক। এগুলো আটাকাতে গেলে বা এগুলো পাল্টাতে গেলে সমাজ স্তব্ধ হয়ে যাবে।

    "এমনকি আমেরিকান ডিসাইন ঝেঁপে টেপে হলেও ট্যাঙ্ক, উড়োজাহাজ, এসবও অতি চমৎকার" - বাক্যের শুরুটা দেখুন। একটা স্টেট কন্ট্রোল্ড নেশানকে কেন একটা তথাকথিত ফ্রি মার্কেট নেশানের থেকে ডিজাইন ঝাঁপতে হতো?
  • dd | 193.82.16.46 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৯64530
  • ""এমনকি আমেরিকান ডিসাইন ঝেঁপে টেপে হলেও ট্যাঙ্ক, উড়োজাহাজ, এসবও অতি চমৎকার" - বাক্যের শুরুটা দেখুন। একটা স্টেট কন্ট্রোল্ড নেশানকে কেন একটা তথাকথিত ফ্রি মার্কেট নেশানের থেকে ডিজাইন ঝাঁপতে হতো?"

    না, না। সেরকম কিছু নয়। মূলতঃ T 34 ছিলো বৃটীশ ট্যাংক ক্রিস্টির ডিজাইনে তৈরী। কিন্তু রাশান আর্টিলেরী, ভারী মর্টার এমন কি সাব মেশিনগান ও ছিলো সর্ব সেরা। কাট্যুশা রকেট তো গেম চেঞ্জার ছিলো। সব ক্ষেত্রেই "ঝেঁপে দেওয়া" নয়।
  • Ishan | 183.24.110.20 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৩64531
  • হ্যাঁ, আমি টি৩৪ (বাংলা অনুবাদে রাশিয়ান বইতে লিখত ত-৩৪ :-) ) প্রসঙ্গেই বলেছিলাম। আমেরিকান ডিজাইনটা ভুল লিখেছি। বৃটিশ হবার কথা। যুদ্ধ নিয়ে কি আর ডিডিদার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে পারি? :-)
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৮64532
  • সব ক্ষেত্রে ঝাঁপা নয় ডিডিদা। রাশিয়ার মিলিটারি আর স্পেস প্রোগ্রাম অবশ্যই চমৎকার ছিল, আমি শিওর অনেক সময়ে আমেরিকাও রাশিয়ার ডিজাইন ঝেঁপেছে। কিন্তু আমার আন্দাজ ওভারল সব কটা সেক্টর দেখতে গেলে বোধায় সোভিয়েত ইউনিয়নকে বেশী ঝাঁপতে হয়েছে। যেমন এখন চীনকেও অনেক ক্ষেত্রেই তথাকথিত ফ্রি মার্কেট নেশানগুলো থেকে ঝাঁপতে হয়, উল্টোটা খুব বেশী শোনা যায় না। (এটা আমার আন্দাজ, আপনি আর ঈশান কনফার্ম করতে পারবেন)।
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮64533
  • হঠাত মনে পড়লো, কয়েক বছর আগে চের্নোবিল নিয়ে একটা বই পড়েছিলাম। আর সেটা পড়তে পড়তে বারবার মনে হয়েছিল, স্টেট কন্ট্রোল একটা পুরো সমাজের সাইকোলজি কিভাবে পাল্টে দেয়। সুপিরিয়রকে প্রশ্ন করার অভ্যাস, অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করার অভ্যাস কিভাবে দমিয়ে দেয়। আর এই অথরিটি মানে শুধু স্টেট না, যেকোন অথরিটিকে চ্যালেঞ্জ করার অভ্যাস আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। এমনকি এক সময়ে মনে করা হতো মেনফ্রেম ছাড়া আর কোন কম্পিউটারের দরকার নেই, কিন্তু দুটো ছোকরা তার বাইরেও ভাবতে পেরেছিল আর নিজেদের লেখা ওএস বেচতে পেরেছিল বলে আজ আমি ঘরে বসে ইন্টারনেটে আড্ডা মারতে পারছি। সোভিয়েত ইউনিয়ন বা কিউবার মতো স্টেট কন্ট্রোল সব দেশে হলে পার্সোনাল কম্পিউটার রিভোলিউশান আসতো কি? না বোধায়।
  • SKM | 83.155.194.139 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৯64547
  • একটা এক্সাম্পল। আমি যখন ইসরো তে চাকরি করতাম। ইনোভেটিভ প্রপোসাল প্রেসেন্টেশন হলো ইন ফ্রন্ট অফ টপ বস। আমার প্রেসেন্টেশন এর ইসরো চেয়ারম্যান প্রসোনা -আমেরিকা কি এই কাজ করিয়াছে । আমার আনসার ছিল -পাইওনিয়ার কেন আমরা হবো na। যাই হোক প্রজেক্ট পেলাম। কিন্তু রি & দি বলে ইনসাইড টি কোম্পানি কেউ কে-অপারেট করলো না। আফটার that I লেফট কান্ট্রি।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৩64534
  • চীনে সায়েন্সের বেশ কিছু ভাল কাজকম্ম হয়। আম্রিগার সায়েন্সের প্রচুর ভাল কাজ চৈনিক লোকজনের করা।
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৬64535
  • একদম ঠিক। ভূরি ভূরি পেপার চীনে অথরশিপে বেরোয়।
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২১64536
  • এছাড়া ইনফ্রার দিক থেকেও চীনের অগ্রগতি দুর্দ্ধর্ষ। বিশেষ করে ওদের ট্রান্সপোর্ট সেক্টর, সিটি প্ল্যানিং ইত্যাদি পৃথিবীর সেরা।
  • Binary | 226.126.202.98 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৮64537
  • আলুচোনা চীন সোভিয়েটস না ঘুরে প্রিম্যারিলি কিউবায় রাখার চেষ্টা করছি। অত হাইফাই যুদ্ধও ওয়ার মেশিন এসব বুঝিনা জনগণ । আমার লেখা খালি কিউবা নিয়ে । একটা ইনসিগ্নিফিক্যান্ট দেশ আমেরিকার দৈত্যাকার প্রভাব থেকেও কিকরে সমাজতন্ত্র বজায় রেখেছে । ওদের কোনো ওয়ার মেশিনারি নেই । কামান বন্দুক সেনা বাহিনী কিছুই নেই । আমার লেখায় সমাজ তন্ত্র বিশাল কিছু বড় বড়ো দেশ ফেস এদের কথা-ও নেই । আমি জাস্ট কিউবা যা দেখেছি তাই লিখেছি বন্ধুগণ । খাদ্য শিক্ষা স্বাস্থ্য তে স্বয়ং সম্পূর্ণ ।
  • dc | 57.15.28.240 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫০64538
  • Binary বাবুর লেখা পড়তে তো খুবই ভাল্লেগেছে, এতো সুন্দর জায়গা থেকে ঘুরেও আসতে ইচ্ছে হচ্ছে।
  • modi | 95.248.227.164 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৩০64539
  • কালাশনিকভের ডিজাইন কে কার থেকে নিয়েছিল? রাশিয়ানরা আমেরিকা থেকে, না আমেরিকানরা রাশিয়া থেকে?
  • modi | 56.101.127.145 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৩০64540
  • কালাশনিকভের ডিজাইন কে কার থেকে নিয়েছিল? রাশিয়ানরা আমেরিকা থেকে, না আমেরিকানরা রাশিয়া থেকে?
  • PT | 213.110.242.25 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:০৯64548
  • বিদেশে ভারতীয়্দের এই "ছ্ড়াছড়ি" ঠিক বোধগম্য হয়না। তাঁরা সফল হন কারণ সম্ভবতঃ তাঁরা বিদেশে কোন আর্থসামাজিক সিস্টেম তৈরি করেন না। যেটা প্রচলিত ব্যব্স্থা, নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে সেটার ব্যবহার করেন মাত্র।

    কিন্তু চীনারা কি করে দিওয়ালীর টুনি বাল্বের ভারতীয় বাজার দখল করে ফেলে আর কেনই বা প্যাটেলের মূর্তির তৈরির অর্ডার পায়? কিউবা কি করে ম্যালেরিয়াকে পরাজিত করে? আমি ৮০-র দশকে কিরোভ থিয়েটারের সামনের রাস্তার প্রস্থ দেখে অবাক হয়ে ভেবেছিলাম যে মার্শাল প্ল্যান ছাড়া সোভিয়েত এমন রাস্তা বানাল কি করে?

    আমরা তো সব আলোচনাতেই আমাদের দেশের উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক বাজার আর তাদের দেশের "বিকৃত" বামপন্থার সরকারি অর্থনীতির তুলনা করে ঢক্কানিনাদ করি!! আমরা না দেখেছি সমাজতন্ত্র না এনেছি পুঁজিবাদ। এমনকি ইউরোপিয়ান সোসালিজমও অধরা রয়ে গেল। সেই কিছু না করতে পারাটাই সমস্যা নাকি?
  • কল্লোল | 233.227.120.186 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৩৩64541
  • ডিসি। ওই যে অন্যের চেয়ে ভালো থাকার ইচ্ছে, এটি না থাকলে আপনার - "আমার পরিবারকে নিয়ে নানান জায়গায় ঘুরতে ভাল্লাগে, ভালো খেতে ভাল্লাগে, দুয়েকটা বাড়ি বা গাড়ি কিনতে ভাল্লাগে" - এগুলো প্রাসঙ্গিক থাকে না।
    বাইনারীর 14 January 2018 10:08:01 IST পোস্টটিকে ক্ক।
    রাশিয়া বা চিনের ঝামেলাটা ওখানেই আমেরিকার চেয়ে বড় হবো - এই মনোভাবটাই বাঁশ হয়েছে।
  • PT | 213.110.242.25 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৫২64542
  • ভারতীয়দের বিস্তর গণতন্ত্র ও কারিগরী উদ্ভাবনী শক্তির ঢক্কানিনাদের পরেঃ Be it Prime Minister Narendra Modi’s pet project — 597-foot, world’s tallest ‘Statue of Unity’ of Sardar Vallabhbhai Patel in Gujarat — or the 216-foot-tall saint Ramanuja Statue to come up on on the outskirts of Hyderabad, there is significant involvement of Chinese companies in moulding them.
    আমাদের দেশের এই উন্মুক্ত "গনতান্ত্রিক" ও "প্রতিযোগীতামূলক" কাঠামো কেন বিশ্বের সেরা উদ্ভাবনীর জায়গা হতে পারে না তার একটা উত্তর খোঁজার সময় এসেছে।
  • sm | 52.110.145.204 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:১৩64543
  • পিটির প্রশ্ন টা আমিও করবো ভেবেছিলাম।
  • ? | 188.17.170.194 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫৯64544
  • বল্লভভাই পটেল কীভাবে ইউনিটিস সিম্বল হন?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:১২64549
  • কিন্তু কই, কিউবান বিজ্ঞানীদের নাম তো শুনতে পাই না! কেবলই ইউরোপ আর আমেরিকার বিজ্ঞানীদের নাম শুনি!!!! মাঝে মাঝে চাইনিজ বিজ্ঞানীদেরও শুনি নাম, তবে বেশিরভাগই অচীনবাসী চাইনিজ, বিদেশে(পড়ুন উরোপ আম্রিকা ) কর্ম ও বাস করছেন।
    সিয়া র ষড়যন্ত্র নয় তো? ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:১৫64550
  • এমনকি এক ব্যাটা চাইনিজ, সম্প্রতি কল্পবিজ্ঞান লিখে নাম করেছে, সেও থাকে বিলাতে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৪১64551
  • কিছুদিন আগে হার্ভার্ডের এক তরুণী বিজ্ঞীকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছিল, দ্বিতীয় আইনস্টাইন হবার সম্ভাবনা ইত্যাদি বলা হচ্ছিল, সেই তরুণীও কিউবান আমেরিকান। সম্ভব্ত ওর বাবা-মা কিউবা থেকে আমেরিকা চলে যান।
  • সিকি | 132.177.75.193 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:০৩64545
  • উনি স্বাধীনতার পরে সমস্ত প্রিন্সলি স্টেটগুলোকে একে একে ভারতরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত করে আজকের ভারতের ম্যাপের চেহারাতে আনেন।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:২৮64552
  • বিজ্ঞী না, বিজ্ঞী না, বিজ্ঞানী । ;-)
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:২৯64553
  • আর, বিখ্যাত কিউবান সাহিত্যিক ? তাঁদের নাম?
  • কল্লোল | 233.227.107.168 (*) | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:০৩64523
  • ডিসি আপনি লিখছেন - "ফ্যামিলি সুরক্ষিত থাকা" আর "ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়া", দুটোই আমার কাছে সমান প্রায়োরিটি।
    দুটো বিষয়ের সমান প্রায়োরিটি হয় না। ফ্যামিলির জন্য বেশী আয়ের সুযোগ ছাড়তে হলে বা উল্টোট হলে কি করবেন, সেটাই আমার প্রশ্ন ছিলো।

    আবার লিখছেন - আমি মরে যাওয়ার পর আমার পরিবারের কি হবে সে চিন্তা তো হয়ই
    যদি সেটা না করতে হয়, তবে কেমন হয়? ধরুন, আপনি জানেন আপনার সন্তনেরা কাজ ও বাসস্থান পাবেই। গ্রাসাচ্ছাদন ও মাথার উপর ছাদ নিশ্চিত। তারা আশেপাশের মানুষদের মতো-ই জীবন কাটিয়ে দেবে শান্তিতে ও আনন্দে। অন্যদের চাইতে ভালো-ও থাকবেনা খারাপও থাকবে না - তবে কি করবেন?
    পিরামিডটার মাথা খুব বেশী ভোঁতা হলে কি হবে?

    রবাহুতো। সে তো তারা চায় - যার আছে ভুরি ভুরি। কারুর ভুরি ভুরি না থাকলে?
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০২64555
  • ভুল বুঝবেন না ভাই, প্লীজ। ওভার অল অবস্থার কথা বলছি মাত্র। সামাজতান্ত্রিক দেশে ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে নানা ক্ষেত্রে নাম করেছেন এরকম উদাহরণ যত দেখা যায়, উল্টোটা কি তত দেখা যায়? সে বিজ্ঞানেই হোক বা শিল্পেই হোক বা অন্যকিছুতেই হোক। এইটারই কারণ বুঝতে চাইছি।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৩64556
  • আবার বানান । ঃ-) সমাজ , সামাজ না।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:০৬64557
  • আমাদের হুগলী জেলায় সেই নব্বুইয়ের শেষদিকে পূর্ণ সাক্ষর হয়েছিল নবগ্রাম, তাই নিয়ে কত অনুষ্ঠান কত আনন্দ। অথচ অবস্থাটা কিন্তু ---সে আর আপনাকে কী বলব পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেনই সব। ঃ-)
  • PT | 213.110.242.24 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪১64558
  • সাধারণভাবে তুলনাটা বোধহয় চীনের সাথে ভারতের আর কিউবার সঙ্গে হাইতির হওয়া উচিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন