এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফিদেল কাস্ত্রো-র দেশে (পর্ব ৪)

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | ৯৮২৯ বার পঠিত
  • কিউবায় মোট পনেরোটি প্রভিন্স আর একটি যাকে ওরা বলে স্পেশাল মিউনিসিপ্যালিটি। আমরা যেখানে গেছিলাম সেই প্রভিন্সের নাম ভিলাক্লারা। আর যে শহরের এয়ারপোর্টে নামলাম বা উঠলাম , সেটা সান্টাক্লারা। এইটুকু ইনফরমেশন অবশ্য যাবার আগেই জানতাম। আর তার সাথে যেটা আমার শিকড়গত বামপন্থা জানিয়ে রেখেছিলো, যে এই সেই সান্টাক্লারা, গেরিলা যুদ্ধের তীর্থক্ষেত্র। চে'র মাত্র সাড়ে তিনশ গেরিলা বাহিনী হারিয়ে দিয়েছিলো আমেরিকান মদতপুষ্ট পাঁচ হাজার সেনা , ট্যাংক , কামান বন্দুক আর সবচেয়ে বড়ো কথা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা-কে। রক্তপাত বেশি হয়নি তার কারণ গেরিলা বাহিনীর ছিল তুমুল জনসমর্থন। এমনকি এরকম-ও শোনা যায় , পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার সৈন্যরাও পরে স্বতঃস্ফূর্ত যোগ দিয়েছিলো চে'র সঙ্গে। সে যাগ্গে যাক। এসব কথা অবশ্য কোনো গাইড সেরকম করে বলেনি। খালি 'ব্যাটেল অফ সান্টাক্লারা' মেমোরিয়াল গ্রাউন্ড দেখানোর সময় বলেছিলো ১৯৫৮'র সেই যুদ্ধের কথা। আমাদের সঙ্গে যেসব অন্যান্য টুরিস্ট ছিল , তারা বেশি জিজ্ঞেস করেনি , আমিও আর সেসব প্রসঙ্গ তুলিনি। আর তাছাড়া মেমোরিয়াল গ্রাউন্ডটা বহরে বেশ ছোট , আর গেরিলা যুদ্ধের সাক্ষি হিসেবে ট্রেনের ওয়াগনটা রাখা আছে। আসলে এই আবেগগুলো আমার যুবাবয়সের , তাই মাঝে মাঝে শিরদাঁড়া শিরশির করে।

    চে মেমোরিয়াল। অনেকগুলো কিউবিকল কংক্রিটের স্ট্রাকচার। একটা সাদা অনেক উঁচু রেকটেঙ্গুলার থামের ওপরে বাইশ ফুট দৈর্ঘের চে'র মূর্তি। এখানে ১৯৯৭ সালে বলিভিয়া থেকে উদ্ধার করা চে'র দেহাবশেষ সমাধিস্থ আছে। আর সঙ্গে তার ছয়জন গেরিলা কমরেড-এর দেহাবশেষ। রাজনীতি মানুন আর নাই মানুন, বামপন্থায় বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এইখানে দাঁড়ালে মন উতলা হবেই। আমি অন্তত রোমান্স-এ বিশ্বাস করি। এই একজনের স্বপ্নে আমার কলেজ জীবনের পরে প্রজন্ম পেরিয়ে এসেও গায়ে কাঁটা দেয় আমার। একটা সফল বিপ্লবে যার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় না। তারপরে-ও কঙ্গো আসে বলিভিয়া আসে। খুব কি মেলোড্রামাটিক শোনাচ্ছে ? নাহয় তাই। মেনে নিতে দোষ নেই।

    যাই হোক , সান্টাক্লারা দেখা ওই পাঁচ ছয় ঘন্টা। প্রথমত: আমরা যেখানে রিসর্টে থাকতাম , সেখান থেকে সান্টাক্লারা শহর প্রায় দুই ঘন্টার পথ। তাই রিসর্টে আরাম করব, সমুদ্রে চান করে বাদামি চামড়া আরো বাদামি করবো, সকাল বিকেল হাভানাক্লাব-উইথ-আনারসস্মুথি খাব, জীপসাফারি যাব , কার্নিভাল দেখতে যাব , মেয়ে-র বায়না মতো ডলফিনশো দেখতে যাব এইসব করে সান্টাক্লারা দেখতে দেখতে একদম ফেরারদিনে হয়ে গেল । আমাদের ফেরার উড়ান ছিল সন্ধ্যে সাতটায়। সকাল নয়টায় বেড়িয়ে , গোভিয়াটা বাস সান্টাক্লারা শহর দেখিয়ে , এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিলো বিকেল পাঁচটায়। চে'মেমোরিয়াল আর ব্যাটেলগ্রাউন্ড দেখা লাঞ্চ করার পরে আর অন্যকিছু দেখার সময় ছিল না।

    এইখানে বলে রাখি। আমার সাথে যতজন কিউবান মানুষের কথা হয়েছিল তারা সবাই প্রায় নবীন প্রজন্মের। আশির দশকে জন্ম। খুব বেশি হলে সত্তরের শেষ-এ। এরাই একটু আধটু যা ইংরেজি বলতে পারে। তো এদের চে'র ওপর শ্রদ্ধা আছে , আমাদের যেমন আছে মহাত্মা গান্ধী বা নেতাজি কে নিয়ে। এরা একটা সমাজতান্ত্রিক সিস্টেম-এ জন্মেছে , বড়ো-ও হয়েছে। এদের কাছে বিপ্লবটা নকশাল আন্দোলন-এর চেয়েও আগের। এদের কাছে ১৯৫৯ এর বিপ্লব ঠিক সপ্ন নয় বরং কিউবা'র একটা গৌরবময় ইতিহাস। এই রকম-ই আমার মনে হলো। একদিন রাতের দিকে বার-এ বসেছিলাম। একটি মেয়ে সার্ভ করছিলো। বয়স চব্বিশ-পঁচিশ হবে। একটু রাতের দিকে বলে একটু ফাঁকা-ই ছিল। আমি মেয়েটাকে পাঁচ পেসো টিপস দেওয়াতে , খুব খুশি হয়ে গালে একটা চুমু দিলো। এরকম হাসি খুশি মেয়েপুরুষের কথা তো বলেই আসছি। তো সেই মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম চে'র কথা। তাতেই মনে হলো , চে আর ফিদেল ওদের কাছে স্বতঃসিদ্ধ'র মতো। আমাদের রিসোর্টের কাছে, একটা শপিং প্লাজা ছিল। বা সান্টাক্লারাতেও দেখলাম অনেক কিউবান মেমেন্টো শপ। যেরকম সব শহরে , সব টুরিস্ট স্পটেই থাকে। সেইসব দোকানে অন্য অনেক কিছুর সাথে ভরিয়ে চে। বাঁশের মগ-এ চে'র ছবি। চে টিশার্টে-র আলাদা একটা সেকশন। শটগ্লাসে চে'র ছবি। বুকসেল্ফ-এ চে'ফিদেল-র বই। বিপ্লবের ইতিহাস। আমি-ও কয়েকটা জিনিষ কিছু কিনলাম। একটা বই কিনলাম 'ফিদেল আর রিলিজিওন'। এখনো পড়তে শুরু করা হয়নি। সবচেয়ে জরুরি ছিল বয়স্ক মানুষের সাথে কথা বলা যারা ১৯৫০-১৯৫৫-এর আগে জন্মেছেন। এরকম মানুষ কম-ই আলাপ হওয়ার সুযোগ হলো , আর হলেও হয়তো ভাষা ব্যবধানে আলাপচারিতা জমতো না।

    শপিংপ্লাজা বলতে মনে হলো বলে রাখি , কিউবা'র শহরের রাস্তাঘাট, সান্টাক্লারাতে পেডেস্ট্রিয়ান স্ট্রিট , রিসর্টের লাগোয়া প্লাজা সবখানে ইউরোপিয়ান স্টাইল। মানে রোম , ফ্লোরেন্স মনে পরে গেলো হাতে হাতে। সেইরকম ছাতাওয়ালা বাইরে বসার রেস্তোরা। সেই রকম গিটার বাজিয়ে গাইয়ে। দোকান বাড়িগুলোর সেই রকম আর্কিটেকচার। তফাতের মধ্যে এটাই , আগে যেমন বলেছি , এখানে কোনো ম্যাকডোনাল্ডস নেই বা নাইকের শোরুম নেই। শুধু তাই নয়, একটাও বিজ্ঞাপনে-র বিলবোর্ড নেই। একদিন রিসর্টের কাছে প্লাজাতে , একটা হলুদরঙের সিমেন্টের গাজিবো মতো জায়গায় বসে আছি। বেশ বড়ো জায়গাটা। ছয়-সাতটা লোহার বেঞ্চ। চারিদিকে ঘাসের লন। তিরিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ঝলমলে রোদের মধ্যে শীতল ছায়া টাইপ। দুজন বয়স্ক লোক , স্বামী-স্ত্রী-ই হবে। বরের হাতে গিটার , আর মহিলার হাতে একটা বংগো । আমায় জিজ্ঞেস করলো 'ইংলিশ ওর স্প্যানিশ'। আমি ইংলিশ বলাতে , আমার হাতের ঝোলা থেকে বের করে দুটো ম্যারাকাস ধরিয়ে দিলো। তারপর মহিলা আমার পাশে বসে স্প্যানিশ গান ধরলেন। নিজেই বংগো বাজালেন সাথে , আর ওর বর ঝমঝমিয়ে গিটার। আমায় ম্যারাকাস নিয়ে তালে তালে ঠেকা দিতে হলো। অসাধারণ একটা নাচুনে সুর। মন খুশি হয়ে যায়। আমার মেয়ে খুশি হয়ে একটু কোমর দোলালো। তারপর ওরা আরো একটা গান গাইলো। সেটা অবশ্য অতি পরিচিত গান। গোয়ান্তানামেরা। আমরা ছাড়াও বাকি যারা আশেপাশে ছিল , সবাই তিন পেসো চার পেসো করে বকশিস দিলো বুড়োবুড়িকে।

    ***
    কিউবার সমুদ্র অত্যন্ত সুন্দর। মিহি সাদা বালির সাগর সৈকত। জুন জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যারিকেন সিজিন বাদ দিলে , শান্ত আটলান্টিক।
    সাদা বালিয়াড়ি পেরিয়ে , অনেকদূর হেঁটে জলের ভেতর যাওয়া যায়। প্রায় স্বচ্ছ নীল জল। মোটরাইসড স্পোর্টস প্রায় নেই বলে দিগন্তে কিছু মার্চেন্ট শীপ ছাড়া ধু ধু নীল জল। আমাদের রিসর্টের নিজস্ব বীচ-এ দুটো বীচবার ছিল। সকাল ছটা থেকে বিকেল ছটা পর্যন্ত অফুরান সূরাপানের আয়োজন। ডিসেম্বরে তাপমান আঠাশ থেকে তিরিশের কাছে সেন্টিগ্রেড স্কেলে। তবে আদ্রতা তেমন নেই , যেমন থাকার কথা সমুদ্রের জন্য। প্রতিদিন ঝলমলে রুদ্দুর ছিল , আমরা যেকদিন ছিলাম।

    ফেরারদিন দেখলাম সান্টাক্লারা এয়ারপোর্টের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ট্রানসিট লাউঞ্জ। দুটো মাত্র গেট , আর সব উড়ান-ই কানাডা-র আর একটা ফ্লোরিডা যাচ্ছে। কোনো এয়ারওব্রিজ-টিজ নেই। উড়োজাহাজ গুলো দাঁড়াচ্ছে প্রায় গেটে-র মুখে , আমরা গেট দিয়ে বেরিয়ে হেঁটে হেঁটে প্লেনে উঠলাম। একটা মাত্র ডিউটি ফ্রি শপ। আর একটা ক্যান্টিনের মতো কাউন্টারে বার্গার বিক্রি হচ্ছে। তিরিশ ডিগ্রি তাপে আমি গেঞ্জি আর হাপ্প্যান্ট পড়ে ছিলাম , প্লেনে ওঠার আগে বাথরুমে ঢুকে শীতের জোব্বা পরে নিলাম , কারণ পাঁচ ঘন্টার উড়ানের পরে দ্যাশে-র শহরে নামবো , ওয়েদার নেটওয়ার্ক বলছে সেখানে -৩০ ইন সেন্টিগ্রেডস্কেল।

    আগাম ওয়েদার দেখার কথায় মনে হলো , ইন্টারনেট ইত্যাদি কিউবা তে খুব-ই কন্ট্রোলড। প্রায় অলভ্য-ও বলতে পারেন। কাজকর্ম-ও বহু জায়গায় জাবেদা খাতায় হাতে লিখে হচ্ছে দেখলাম। আমাদের রিসর্টে , বাফে ছাড়াও দুটো আলাকারটা রেস্তোরা ছিল। সেখানে আগে থেকে বুকিং করতে হতো। তো সেসব বুকিং দেখলাম প্রাকঐতিহাসিক নীল রঙের বাঁধাই খাতায় হচ্ছে। রেস্তোরা-টা অবশ্য খুব-ই হাল ফ্যাশনে-র আর ভালো। একদিন স্টার্টারে , ঝিনুকের মধ্যে নারকোল আর চিংড়ি দিয়ে একটা আইটেম খাওয়ালো , মনে করলেই ভালোলাগছে। যেকথা বলছিলাম , ইন্টারনেট পরিষেবা-র অৱস্থা নেহাত-ই করুন। ETECS যেটা নাকি কিউবান টেলিকম কোম্পানি , তাদের ডাটা কার্ড কিনতে পাওয়া যেত ঘন্টাপ্রতি এক পেসো। কিন্তু তাতেও অনেক সাইট রেস্ট্রিক্টেড আর কন্ট্রোলড ছিল। এর কারণ কি, কেন, কোথায় নিয়ে বিস্তারিত অন্য কোনোখানে বলা যাবে , আপাতত বলি , ইন্টারনেট নিয়ে ওই আটদিন প্রভূত সমস্যায় ছিলাম আমরা , বিশেষ করে আমার মেয়ে।

    আমেরিকার সাথে কিউবা'র লাভ-হেট সম্পর্কের কথা হোক একটু। ১৯৫৯-এর বিপ্ল্বের পর , কিউবায় আমেরিকার যত বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান , পাওয়ার প্ল্যান্ট , তৈল শোধনাগার সব কিউবার প্রলেতারিয়েত সরকার দখল করে। তারপরে ১৯৫৯ থেকে পরবর্তী কুড়ি বছরে প্রায় দশ শতাংশ কিউবান নাগরিক আমেরিকায় পালিয়ে আসে। এরা যদিও প্রধানত বিপ্লব পূর্ববর্তী জামানার উচ্চবিত্তশ্রেণী , কিন্তু মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবি -ও আছে এদের মধ্যে। প্রথম দিকে আমেরিকান এমবার্গো'র জন্য , এরা গেছিলো বেআইনি পথে , নৌকায় , স্টিমারে। পরে আমেরিকা নিজেদের স্বার্থে বছরে ২০,০০০ কিউবান কে ভিসা দেওয়ার নীতি নেয়। যাই হোক এমবার্গো চালু আছে গত অর্ধশতক। আমেরিকা কিউবার অর্থনীতিতে সাহায্য করে না, এমনকী বন্ধু দেশ যারা আমেরিকান ডলারের মুখাপেক্ষই তাদের-ও ঘুরিয়ে সাহায্য না করা শর্তাধীন রাখে। ওই আগে যেটা বললাম, কিউবা'র ইন্টারনেট ব্যবস্থার দুর্দশা হওয়ার এটাও একটা কারণ। তো যাইহোক এতো কথা বলতে গেলে ইতিহাস লেখা হয়ে যাবে। আমেরিকায় চলে আসা কিউবান আমেরিকানরা দেশে ফেলে আসা আত্নীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব-কে এখনো ডলার পাঠিয়ে থাকে। ওবামা জামানায় কিছু কিছু শিথিলতা হয়েছিল এমবার্গো-তে, সেই সময়-ই কিউবার কমিউনিকেশ ব্যবস্থা-র কিছু উন্নতি হয়। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প সাহেব আবার এইরকম ডলার ট্রান্সাকশন-র ওপরেও বিধি নিষেধ আরোপ করার চেষ্টায় আছে।

    তো আমায় এলিন (সেই জীপসাফারির গাইড মেয়েটি) বললো যে , কিউবা ক্লাসলেস সমাজ। মোটের ওপরে কথাটা সত্যি হলেও আমেরিকান সাহায্য পাওয়া আত্মীয় বন্ধুবান্ধব নাগরিক বৃন্দ অপেক্ষাকৃত বিলাসিতা করতে-ও পারে। ভালো জুয়েলারি পড়তে পারে , সৌখিন জুতো জামা পড়তে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাতে অবশ্য কোনো আফশোস নেই কিউবাতে। হাজারহোক একশো আমেরিকান ডলার মানিট্রান্সফার হয়ে এলে , সে যে নামেই আসুক , একশ ডলারতো যোগ হচ্ছে কিউবার অর্থনীতিতে।

    আরেকটা গুরত্বপূর্ন কথা। ক্রিসমাসের দিন বা ক্রিসমাস ইভে দেখলাম খুব হৈচৈ। কার্নিভালের কথা তো বললাম-ই , তাছাড়া-ও রিসর্টে স্পেশাল ডিনার। রিসর্টের থিয়েটারে সান্তাক্লজ শো বাচ্চাদের জন্য। এইসব দেখে আমি সেই ম্যানেজার কে জিজ্ঞেস করেছিলাম , 'ডু ইউ প্রাকটিস রিলিজিওন ?, কারণ আমি জানি ক্লাসিকাল ক্যামিউনিজম ধর্ম মানে না , যেমন চীন'। তাতে বললো , কিউবান রা রোমান ক্যাথলিক। আর পুরো দস্তুর ধর্মীয় আবেগপ্রবন। চার্চ আছে প্রতিশহরে , গ্রামে। ধর্মকে আমরা সংস্কৃতি হিসেবে দেখি। তবে চার্চের কোনো একটিভিটি নেই , চার্চ থেকে সমাজের ওপর কোনো আদেশ দেওয়া নিষিদ্ধ। এইটুকু-ই জানলাম। ফুর্তিবাজ কিউবানদের ক্রিসমাস ইভে নাচতে দেখলাম।

    সান্তা ক্লারা এয়ারপোর্ট থেকে একটা ইলাস্ট্রেটেড চে'র পোস্টারে-র বই কিনে ছিলাম। তাতে চে'র বাণী দেখলাম If you tremble with indignation at every injustice, then you are a comrade of mine.

    বিদায় কমরেড। তোমার স্ট্যাচু আমার কাছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকেও উঁচু।

    (শেষ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ জানুয়ারি ২০১৮ | ৯৮২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:০৭64591
  • চে-র কিছু উক্তি -

    'A revolutionary must become a cold killing machine motivated by pure hate'

    'If the nuclear missiles had remained, we would have used them against the very heart of America, including New York City…We will march the path of victory even if it costs millions of atomic victims…We must keep our hatred alive and fan it to paroxysm'
  • Binary | 208.169.6.50 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:২০64592
  • অরণ্য , 01:26:17 এর পোস্ট টা সেলুট । আই ডিফার বাট আই এগ্রি :)
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৩৮64593
  • বাইনারী, আমি বহু বিষয়েই দ্বিধাক্রান্ত, কোন সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।
    যারা খুব প্রত্যয়ের সাথে 'সঠিক' সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাদের কিছুটা ঈর্ষাই করি :-)
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৪৮64585
  • ডিটেইলস লেখার তো সময় এখন একেন্বারেই নেই। সংক্রান্তি পেরিয়েও শিরে পুরো সংক্রান্তি।
    একটু ছোট করে লিখি। ক্যান্সারের ইমিউনোথেরাপি। ড্রাগ, ব্যাকসিন এসবের থেকে আলাদা নতুন একটা কনসেপ্ট। ক্যান্সারের ভ্যাক্সিন বলে অনেক জায়গায় লিখতে দেখেছি, কিন্তু ঠিক ভ্যাক্সিন না যে প্রিভেন্ট করবে, বরং ট্রিট করবে। আবার ভ্যাকসিনের মত ইমুইন সিস্টেম বুস্ট করবে। এটা বেশ বুদ্ধি করে করেছে। মেনিনজাইটিসের একটা প্রোটিন ( এটাও কিউবার একটা পাথব্রেকিং কাজ, মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন) , যা দিয়ে মানুষের শরীরের ইমুইন সিস্টেম ট্রিগারড হয়, তার সাথে
    ক্যান্সার ছড়াতে সাহায্য করে যে এপিডার্মাল গ্রোথ ফ্যাক্টর , তাকে জুড়ে দিয়েছে, ফলে যে আন্টিবডি তঈরি হচ্ছে, সেটা এই গ্রোথ ফ্যাক্টরেরও বিরুদ্ধে। শরীরে স্বাভাবিকভাবে নিজের প্রোটিনের বিরুদ্ধে যেটা অটৈমুইন ডিজিজ না হলে হয়না।
    তো ক্যান্সার ছড়ানো আটকাচ্ছে। সারভাইভাল বাড়ছে।

    কিউবায় ট্রায়ালে সাফল্য পেয়েছিল। একহ্ন আম্রিগাতেও নিউইয়র্কে ট্রায়াল হচ্ছে। আম্রিগার লোকজনও কিউবা গিয়ে এই থেরাপি নেন। এই দেখুন।

    http://www.bbc.com/news/magazine-39640165

    এটা নিয়ে বিস্তারিত পড়তে চাইলে এখানে দেখতে পারেন ঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5346887/

    একদম লেটেস্ট খবর ফলো করিনি। আরো অন্য অনেক কাজও হচ্ছে। ক্যান্সারের বায়োমার্কার ইত্যাদি।

    একটা দেশে এতদিনের স্যাংশনের পরেও, মানে কেমিক্যাল ইত্যাদি সবকিছু আসতে বাধ থাকবে, সেখানে এই ধরণের রিসার্চ করা অপারেষনি কতটা কঠিন সেটা ল্যাবরিসার্চের সাথে যুক্ত বা সে নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা থাকলে যে কারুরই অনুমান করা উচিত আর থাকলে এধরণের মন্তব্য আসত না, কী বা করেছে, কত কম করেছে ইঃ ইঃ।
  • de | 24.139.119.175 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:০৩64586
  • মেডিক্যাল রিসার্চে পাথব্রেকিং কাজ কিউবাতে হয় বলেই পড়েছিলাম - এখন পাইয়ের কথায় আরো স্পষ্ট হোলো -

    বিশাল ফান্ড লাগবে যে রিসার্চে, যেমন সিনক্রোটন রিসার্চ বা বিগ অ্যাক্সিলারেটর বা রিয়াকটর প্রোজেক্ট কিম্বা স্পেস রিসার্চ, সেসব কাজ যে কিউবাতে হবে না, তা তো বোঝাই যায় - এমবার্গো ব্যাটলে কতো সময় যায় - আমি যেখানে আছি, সেখানে থেকেও কিছুটা বুঝতে পারি! তাও এতোগুলো বছর ধরে!
  • Binary | 226.126.202.98 (*) | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৫৭64554
  • প্রথমত একটি দুটি পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক বিজ্ঞানীর কথা হচ্ছে না । কিউবার শিক্ষার মান আশপাশের দেশ থেকে অনেক অনেক উন্নত , তা ইউনেস্কো-র পরীক্ষা থেকে-ই জানা যায় , কিউবা ১০০ শতাংশ সাক্ষর , এইসব ছেড়ে তিন চারটে নোবেল প্রাপ্ত মানুষের নাম বেটার বুঝি ? তাহলে তো বলতে হয় স্বাধীনতার পরে-ও ভারতে সাহিত্যিক বলতে রবি ঠাকুর । তা ভাই জানতেই যদি ইচ্ছে হয় একটু ঘাঁটা ঘাঁটি করলেই হয় । কিউবার নোবেল প্রাপ্ত সাহিত্যিক লিসান্দ্র ওটের ।কিউবা ছেড়ে আমেরিকায় গিয়ে পান নি । কিউবায় বসেই পেয়েছেন ।আর সেটা বিপল্যের পরেই । একটা উদাহরণ দিলাম ভাই । বাকি গুলো নিজেই দেখে নিন না ।
  • dc | 57.15.4.98 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১২64594
  • পাই ম্যাডামকে ধন্যবাদ, কিউবার ক্যান্সার রিসার্চ নিয়ে জেনে ভালো লাগলো। স্যাংশান ফেস করেও এরকম কাজ করা যে অত্যন্ত কঠিন, সে ব্যাপারে একমত।

    "সোভিয়েত আর চিন দিয়ে কিউবার বিচার হয় না"

    কল্লোলবাবুর সাথে একমত, তবে আমি ঠিক কিউবার বিচার করিনি, বা সোভিয়েত ইউনিয়ন বা চীনেরও না, আমি স্টেট কন্ট্রোলের বিরুদ্ধে বলেছি। মানে যে দেশেই ওরকম স্টেট কন্ট্রোল থাক না কেন, আমি কখনো সেই দেশে গিয়ে থাকতে চাইব না (আমার ব্যাক্তিগত মত)। আমি পার্সোনাল ফ্রিডম এ বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করুক সেটা চাইনা। তার মধ্যে কিছু হস্তক্ষেপ তো অবশ্যই মেনে নিতে হয়, যেমন না চাইলেও ইনকাম ট্যাক্সাম দিতেই হয়, কিন্তু যতোটা পারি রাষ্ট্রের নাক গলানোর বিরুদ্ধে বলি।
  • dd | 59.205.217.247 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৫64595
  • কিউবার অনেক লোকই dc'র সাথে একমত। এক হিসেবে কিউবার ২০% লোক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন - মূলতঃ আমেরিকায়।

    আমেরিকা এখন রেস্ট্রিক্ট করে ইমিগ্রেশন। সেটা না করলে আর কিউবার বাধা না থাকলে আরো কতো লোক দেশ ছাড়তো কে জানে?

    আর আত্মত্যাগের হিসেবটা (আত্মত্যাগ = শ্রদ্ধা)আমার পোষায় না। সারা ইসলামি দুনিয়া জুড়েই সুইসাইড বম্বারের হামলা চলছে। গতকালই বাগদাদে দুই আত্মঘাতী র হামলায় অ্যাট লিস্ট ৩০জন মারা গেছেন। যদিও ইরাকী নিউস দাবী করেছে মৃতের সংখ্যা ১২১। কিছু সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মামল নয় - গোষ্ঠী সংঘর্ষ। অকাতরে প্রাণ দিলেন যে দুই সুইসাইড বম্বার তাদের আত্মত্যাগের উপর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৭64596
  • আত্মত্যাগ করে শহীদ হলে জন্নত প্রাপ্তি, যেখানে ৭২ জন হুরীর সঙ্গ পাওয়া যাবে - একথা ভেবে যারা প্রাণ দেয়, তাদের আমিও শ্রদ্ধা করি না।

    মৃত্যুর পর বিশাল প্রাপ্তিযোগ - এহেন বিশ্বাস তো চে, চারু, কিষেণ কারুরই ছিল না। তারা জানতেন, মৃত্যুতেই সব শেষ।

    তাদের আত্মত্যাগ-কে শ্রদ্ধা জানাব বই কী
  • PT | 213.110.242.25 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৯64597
  • "আমেরিকা এখন রেস্ট্রিক্ট করে ইমিগ্রেশন। সেটা না করলে আর কিউবার বাধা না থাকলে আরো কতো লোক দেশ ছাড়তো কে জানে?"

    আমেরিকা রেস্ট্রিক্ট না করলে কতো ভারতীয়, পাকিস্তানী বা বাংলাদেশী আমেরিকায় পাড়ি জমাতো? কিউবানদের তুলনায় মেক্সিকানদের আমেরিকায় পাড়ি জমানোর সংখ্যা কি রকম?

    "Mexico represents the largest source of immigration to the United States. Of the 32.5 million foreign born covered in the March 2002 CPS, 9.8 million or 30 percent were from Mexico; the next largest source, the Philippines, accounted for only one-seventh as many at 1.4 million. The rest of Latin America accounted for 7.3 million or 23 percent. Asian immigrants, at 8.5 million, made up 26 percent of the total foreign-born population. There were 5.4 million foreign born from Europe and Canada, accounting for 17 percent of all immigrants. Africa and the remaining countries, at 1.4 million, made up four percent of all foreign born. "

    "There are 2 million Hispanics of Cuban ancestry living in the U.S. today, the fourth largest Hispanic origin group behind Mexicans, Puerto Ricans and Salvadorans."
    http://www.pewresearch.org/fact-tank/2017/01/13/cuban-immigration-to-u-s-surges-as-relations-warm/

    কিউবার রাষ্ট্রব্যব্স্থা না-পসন্দ হতেই পারে। কিন্তু শুধু বেছে বেছে কিউবাকে নিয়ে গালগপ্প আর কতদিন চলবে?
  • কল্লোল | 233.227.105.201 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫০64598
  • ডিসি অর ডিডির সাথে একমত।
    রাষ্ট্রের খবরদারী সবসময়েই খারাপ। মার্ক্স নিজেও রাষ্ট্রের খবরদারীর বিরুদ্ধে ছিলেন, সেটা ওনার প্যারী কমিউনের ওপর লেখায় খুব স্পষ্ট।
    The first decree of the Commune, therefore, was the suppression of the standing army, and the substitution for it of the armed people.
    Like the rest of public servants, magistrates and judges were to be elective, responsible, and revocable.
    রাষ্ট্রের সেনাদল কে ভেঙ্গে দিয়ে মানুষের হাতে অস্ত্র থাকবে, সমস্ত সরকারী আধিকারীক, বিচারব্যবস্থা সহ নির্বাচিত হবে মানুষের দ্বারা, যাদের ফিরিয়ে আনার অধিকারও থাকবে মানুষের হাতে। সূত্র - ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ কর্ল মার্ক্স ১৮৭১ - প্যারী কমিউন অধ্যায়।
    কার্যক্ষেত্রে এর উল্টোটাই হয়েছে।
    মার্ক্স চেয়েছিলেন রাষ্ট্র নয় মানুষের শাসন। প্রকৃত অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্র।

    চে বা অন্য যে কারোরই মানুষ মারার যুক্তি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আত্মত্যাগ মানেই মহান - এটারও কোন মানে নেই।
  • Binary | 208.169.6.50 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৫64601
  • মিনিকিট কি রকম জিনিষ ?
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৭64599
  • 'আত্মত্যাগ মানেই মহান - এটারও কোন মানে নেই' - অবশ্যই।

    নিজস্ব কোন প্রাপ্তির আশায় (যেমন বেহেস্ত, হুরী ইঃ) আত্মত্যাগ করলে তা অবশ্যই মহান নয়।
  • Ishan | 202.189.128.15 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৪64602
  • ইনোভেশনের গলা টিপে মারার জন্য কিউবার কী দরকার। এই পশ্চিমবঙ্গে বছর তিরিশ আগে নোবেল প্রাইজ পাবার যোগ্য কাজ হয়েছিল, কোনো সরকারি সাহায্য ছাড়াই। ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় বিশ্বের দ্বিতীয় টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছিলেন। আমি বায়োলজির কিছুই জানিনা, কিন্তু যা পড়েছি, তাঁর পদ্ধতি অন্যজনের চেয়ে (মানে যিনি ৬৭ দিন আগে বিদেশে আরেকটি টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছিলেন) তুলনামূলক ভাবে আধুনিকতর ছিল। তা তাতে কী হল, প্রচুর প্যাঁক দেওয়া হল, কমিশন বসে তাঁকে মিথ্যেবাদী বলল, এবং তিনি সুইসাইড করলেন। বাঙালি মুদ্ধিজীবি রেগুলার মায়াকোভস্কির সুইসাইড নিয়ে কেঁদে মরে যাচ্ছে, নেরুদাকে নিয়ে আদিখ্যেতার শেষ নাই, কিন্তু গলা টিপে মারার উদাহরণের জন্য চিলি কী রাশিয়ায় যাবার তো দরকার নেই। বঙ্গেই মজুদ। এগুলো টিপিকাল তৃতীয় বিশ্বের সিনড্রোম। সবাই হাহাকার করবে, কিছুই পাথব্রেকিং কাজ নাই বলে, কিন্তু কেউ করলে তাকে গলা টিপে মারবে। পুঁজি নাই, অর্থ নাই, নিজের উপর বিশ্বাস নাই -- সবই চক্রাকার পদ্ধতি। তৃতীয় বিশ্বের এই টিপিকাল "আমরা পারিনা" সিনড্রোম থেকে রাশিয়া, কিউবা বহুলাংশে কেটে বেরিয়েছে, সন্দেহ নাই।
  • b | 135.20.82.166 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫৩64603
  • ও না না, মিনিকিট একরকম বঙ্গীয় চাল (মানে রাইস আর কি)। এক সময় কিউবাতে এখেন থেকে চাল পাঠানো হত কি না।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:৪১64600
  • বাইনারী কিউবা-য় গেলেন অথচ আমাদের মিনিকিট খেলেন না? মর্ম্মাহত হলাম।
  • PT | 213.110.242.24 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:০০64604
  • Ishan | 202.189.128.15 (*) | ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:৫৯64605
  • মৃণালকান্তি দাশগুপ্ত, ডিএন কুন্ডু, জেসি চট্টোপাধ্যায়, কৃপা মিনা, অজিত মাইতি, অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায়। কৃতবিদ্য হুজ হু সব। ডিরেক্টর, অমুক তমুক। এঁরাই তো বলেছিলেন সুভাষবাবু বুজরুক। আন্দাজ করতে পারি, এর জায়গায় অন্য পাঁচটি নাম বসালেও, একই রিপোর্ট আসত। সমস্যাটা কি তাহলে পরিকাঠামোর, নাকি মাইন্ডসেটের? আর এই মাইন্ডসেট নিয়ে কোনোদিন পাথব্রেকিং কিছু হবে?
  • কিউবান ছাগল | 117.77.92.63 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৬64606
  • পশ্চিমবঙ্গের কমরেড-দের চাল আমরা ভুলি নি, ভুলবো না
  • dc | 57.15.55.14 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৩64607
  • ঈশান যেটা লিখেছেন, সেটাকেই বোধায় কলোনিয়াল হ্যাংওভার বলা হয়। সত্যেন বসু থেকে ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়, কতোজনকে যে এই অবিশ্বাস আর তাচ্ছিল্য পোয়াতে হয়েছে তার ঠিক নেই। সেজন্যই আগে লিখেছিলাম, ক্ষমতাকে অন্ধভাবে অনুসরন করা, তাকে প্রশ্ন না করা, এটা বোধায় ভারতীয় ঐতিহ্য।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৪64608
  • মেঘনাদ সাহাকেও। অনেক তাচ্ছিল্য পোয়াতে হয়েছে।
  • dc | 57.15.55.14 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৮64609
  • অনেক নাম আছে, আরেকজন তো ক্লাসিক, রামানুজন। আর এঁরা তো তাও যেভাবেই হোক ফেমাস হয়েছেন, পরবর্তী প্রজন্ম অন্তত এঁদের কাজ বুঝতে পেরেছেন। আরও কতো লাখ সম্ভাবনাময় মানুষজন তো কোথাও পৌঁছতেই পারেন নি।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫০64610
  • আমাকে এই কেসটা বরাবর হন্ট করে।
    আজকাল তো অনেক ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম হচ্চে, এটা নিয়ে করা যায় না? সেই সময়ে কনফারেন্স গুলোতে যাঁরা সুভাষ বাবুকে হ্যাটা করেছিলেন, তাঁদের এখনকার পজিশন নিয়ে। নাকি কাদা ঘাঁটার ভয় আছে?

    তবে কুন্ডু-মিনা-দাশগুপ্ত-মাইতি এদের পাশাপাশি ডক্টর আনন্দ কুমারও থাকেন। কি বলব, সিলভার লাইনিং?
  • ল্যাগব্যাগর্নিস | 116.203.147.142 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৬64611
  • ওই তো বললাম - জুগাড় ইনোভেশনে মেরে রেখেছে। আর আপনার কাজ জরুরী কিনা সেটা বলে দেবে বর্তমান বিজনেস ইউনিট (যারা শুধু আজকেরটা নিয়ে ভাবে)।

    ঘোড়ার মুখে শুনুন - গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না - কথাটা অত্যন্ত বাস্তব। এরাজ্যে আলাদা করে না, গোটা ভারতেই।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:১৬64612
  • আমাকেও হন্ট করে, এমন একটা কাজ করেছিলেন ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ঐ সময়ে, কত অসুবিধার মধ্যে..

    তাচ্ছিল্য একটা ফ্যাকটর, ঈর্ষাও থাকতে পারে হয়ত, সেই বাঙালী কাঁকড়ার গপ্পো
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৬:১৬64619
  • একেই বুঝি বলে "ব্রাহ্মণের হিতের নিমিত্ত ব্রাহ্মণ কর্তৃক ব্রাহ্মণ শাসন" ?
    ঃ-)
  • de | 69.185.236.56 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:৪৯64613
  • সত্যিই এই কেসটা রিওপেন হওয়া উচিত - এমন একজন মানুষের এতো অসম্মান! এই প্যানেলের লোকেদের শাস্তি হোলো না! এরকম আরো একটা কেস বোধহয় চঞ্চল মজুমদারের কেসটা। একই রকম বদনাম, অপমান ওনাকেও অকারণে ফেস করতে হয়েছিলো -

    মেয়ের ব্যাগে একটা ব্যাজ দেখলাম - জুগাড়, দিশি সিনোনিম অব ক্রেয়েটিভিটি!
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৪৫64614
  • কিন্তু উইকি বলছে চঞ্চল মজুমদারের বিপক্ষে টাকা তছরুপের অভিযোগ করে হেনস্থা করা হয়েছিলো। দুটো ঠিক এক নয় মনে হচ্ছে।
  • de | 69.185.236.52 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৫২64615
  • না না , একদম একইরকম ঘটনা ঘটেছিলো বলিনি তো -

    কিন্তু অকারণ হেনস্থা, অসম্মান একইরকম - ওরকম একজন শিক্ষক যে কতো বড়ো অ্যাসেট - উনি টিআইএফারের থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের হেড পোস্ট ছেড়ে বাংলায় এসেছিলেন -
  • sm | 52.110.146.207 (*) | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৩৬64616
  • সুভাষ মুখর্জি, ফিজিওলজি ডিগ্রী করলো সচ্চিদা নন্দ ব্যানার্জির আন্ডারে, কাজ করলো সরোজ ভৎচার্জি আর সুনীত মুখার্জীর সঙ্গে।
    আবার যাঁরা হেনস্থা করল তার মধ্যেও রয়েছে অচিন্ত্য মুকুজ্জে আর জে সি চাটুজ্জে।
    ব্রাহ্মন্য বাদের হদ্দ মুদ্দ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন