এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রীতম বসুর পঞ্চাননমঙ্গল

    souvik ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ জুলাই ২০১৮ | ৬৮৫০ বার পঠিত
  • সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো প্রবাসী বাঙালি যখন ডুবুরীর মতো ভাষা সাহিত্যের সেই পণ্ডিতি গবেষণার উপাদানকে ব্যবহার করে রোমহর্ষক এক থ্রিলার তৈরি করে দিতে পারেন পাঁচমুড়ার পঞ্চাননমঙ্গলের মতো উপন্যাসে।
    আকর্ষনীয় কাহিনী বিন্যাস নিঃসন্দেহে পঞ্চাননমঙ্গল এর আবিস্কার ঘিরে এখানে দানা বেঁধে উঠেছে, কিন্তু সেটাই এই বইয়ের প্রধানতম আকর্ষণ নয়। আমাদের হারানো অতীতের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, যা ইউরোপের চোখে জগৎ দেখার বাইরের এক নিজস্বতাকে খুলে দিতে চায়, তাকে আমরা এই আখ্যানে পেয়ে যাই। কীভাবে লেখা হত পুঁথি, কেন কাগজ ব্যবহারে আমাদের এখানে অনেক লিপিকরের দীর্ঘদিনের আপত্তি ছিল, তুলোট পাতা আর তালপাতার পুঁথির পার্থক্য কোথায়, কাহিনীর অন্তর্গত উপাদান হিসেবেই প্রীতম আমাদের তা জানিয়ে দেন। তুলে আনেন বাংলা বর্ণমালার বিবর্তন সূত্রটি। এই আখ্যানের অন্যতম প্রধান দুটি চরিত্রই সারা জীবন ধরে পুরনো সাহিত্য নিয়ে দুভাবে কাজ করেন – সদানন্দ ভট্টাচার্য ও হরু ঠাকুর। প্রথমজনের যদি পারিবারিক ব্যবসা ও নেশা আগ্রহের সূত্রে জহুরীর চোখ তৈরি হয়ে থাকে তো দ্বিতীয় জনের রয়েছে পুঁথি নকলের ও পুঁথি দেখার প্রাতিষ্ঠানিক তালিম। সেইসঙ্গে স্বাভাবিক কবিত্ব যা সহজেই ধরে নিতে পারে পুরনো সাহিত্যের ভাষা ও প্রকাশভঙ্গীটিকে।
    বস্তুতপক্ষে হরু ঠাকুরের আড়াল থেকে লেখক প্রীতম বসু নিজেই এখানে একটি পরীক্ষায় নেমেছেন। চর্যাপদের ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের মাঝের সময়ের বাংলা ভাষাটি, যার কোনও প্রামাণ্য উপাদান আমাদের হাতে এসে পৌছয় নি অন্ধকার যুগের আড়াল ভেদ করে, সেই ১৪০০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাভাষার রূপটি কেমন ছিল। গদ্য আখ্যানের পরতে পরতে মধ্যযুগের পুননির্মিত সেই ভাষায় দীর্ঘ দীর্ঘ পদ্য অংশ মিশিয়ে দেন প্রীতম, বিশেষত কাহিনীর মধ্যভাগ থেকে। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি দক্ষ আখ্যানকার প্রীতমের মধ্যেই কীভাবে মিশে আছে এক ভাষা গবেষক, ছন্দ বিশ্লেষক নিপুণ কবি।
    কুসুম কোঁঅলী তার ছিন্ডিআঁছে অলঙ্কার
    ছিন্ডিআঁছে যত মানভএ।
    গোরা তার দেহকান্ত আনুপাম বীর শান্ত
    দীঠি কৈল তারি মন জয়।
    ছিন্ন নিচোল ছিন্ন কেশ দেয়ি আপনা বেশ
    ঢাকিলেঁ তিরির লাজ
    পুরুষের বসনে জেন বনদেবী বনে
    অপরুব তার দেহসাজ।।
    বস্তুতপক্ষে ছিরিছাঁদ এর লেখক প্রীতম বাংলা ও সংস্কৃত ছন্দ নিয়ে কতখানি দক্ষ তার প্রমাণ এই আখ্যানের কয়েকটি চকিত মুহূর্তেও আছে। চর্যাপদের চৌপদীর থেকে বাংলা পয়ারের আদি পর্বের নির্মাণটিই শুধু নয়, সংস্কৃত কয়েকটি ছন্দের নিপুণ বিশ্লেষণ তিনি এখানে তুলে আনেন। এখানে আছে তোটক, তূণক, ভুজঙ্গপ্রয়াত প্রভৃতি ছন্দের দৃষ্টান্ত ও আলোচনা। প্রীতম একটি প্রশ্ন তুলেছেন, কিন্তু উত্তর দেন নি। সংস্কৃতে অন্তমিল নেই, বাঙালি তা পেল কোথা থেকে ? হয়ত মুণ্ডা ভাষার আলোচনা ও বাংলার ওপর তার প্রভাব থেকে এই প্রশ্নের উত্তরের দিকে এগনো যায়। তবে সে অন্য প্রসঙ্গ।
    পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গলের কাহিনীটি আকর্ষনীয়। গুডরিডস থেকে তা হয়ত অনেকেই পড়ে নিয়েছেন।
    “সদানন্দ ভট্টাচার্য পাঁচমুড়ো গ্রামের সঙ্গতিহীন জমিদার। কিন্তু বাংলার প্রাচীন সাহিত্য এবং পুঁথিপাটা নিয়ে ভদ্রলোকের বেশ নাড়াঘাঁটা আছে। বিদেশ থেকে এক ভদ্রলোক আসেন ওঁর কাছে,যাঁর নাম মিঃ ধাড়া। এঁর নাকি লন্ডনে একটা মিউজিয়াম আছে, সেখানে তিনি বাংলা সাহিত্যের পুরোনো সব পুঁথি সংগ্রহ করে রাখেন। এই পুঁথির কাজেই তাঁর এদেশে আগমন এবং সদানন্দ ভটচায্ এর কাছে নাড়া বাঁধা। কালাচাঁদ নামে এক পুঁথি চোর ধাড়াকে চন্ডীদাসের এক নকল পুঁথি বিক্রী করতে এসে সদানন্দের হাতে ধরা পড়ে। সদানন্দ যখন পুঁথির নকলনবীশীর ব্যাপারে জ্ঞান দিতে ব্যস্ত, সেইসময় খবর পাওয়া যায়, পাঁচমুড়ো গ্রামের প্রায় মজে যাওয়া পুকুর চয়নবিলের নীচে থেকে নাকি কিছু পাথর পাওয়া গেছে, যাতে পুরোনো কিসব অক্ষর খোদাই করা আছে। পাথরের ওপর খোদাই করা লেখা পাঠ করে সদানন্দ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন – পঞ্চদশ শতাব্দীর বাংলা ভাষায় এক অনন্য রচনার অংশবিশেষ। এই পঞ্চাননমঙ্গলের অস্তিত্ব নাকি অনেকটা নেক্রোনমিকনের মত। আরব মুসলমানদের কাছে এই বই নাকি,‘শয়তানের পুঁথি’? মানে পঞ্চানন মঙ্গল? কিন্তু সেরকম তো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায় না বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে....পঞ্চাননমঙ্গল আদৌ ছিল কিনা কে জানে?? কিন্তু এই কাব্য মোটেই অন্যান্য মঙ্গল কাব্যের মত গূঢ় জীবনদর্শন বা দেবস্তুতি নয়। এরমধ্যে লুকানো আছে ছন্দের মধ্যে অঙ্ক। গল্প এগিয়েছে এদিক ওদিক করে। কখনো ইতিহাস, কখনো বর্তমানকে ঘিরে। জালালুদ্দিনের সময়ের পঞ্চমুন্ডি গ্রামের ইতিহাসের ওপর ভর করে চলেছে পঞ্চানন মঙ্গল। তাতে যেমন এক বিয়োগান্তক মঙ্গলকাব্য আছে, তেমনি আছে এক অসম্ভব প্রতিভাবান বাঙালী কবিরাজের রচনায় গনিতের সাথে কাব্যের মেলবন্ধন। পড়লে চমৎকৃত হতে হয়। লুপ্ত এক মঙ্গলকাব্য ঘিরে এক অসাধারণ থ্রিলার”।
    পঞ্চাননমঙ্গল এর কাহিনীর অন্যতম আকর্ষণের দিক প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চার মণিমুক্তোগুলিকে তুলে আনতে পারা। যে কৃতিত্ত্ব আমাদের বিজ্ঞানীদের পাওয়া উচিত ছিল, অনেক সময়েই তাঁরা তা পান নি। আর্যভট্ট বা ব্রহ্মগুপ্তদের আবিস্কারগুলি আরবীয় অনুবাদের হাত ধরে পশ্চিমী জগতে পৌঁছেছে। কিন্তু সে ইতিহাসের অনেকটাই আড়ালে ঢাকা। প্রীতম বসু আমাদের সেই ইতিহাস এখানে আখ্যানের ফাঁকে ফাঁকে জানিয়ে দিতে চান। আটশো শতাব্দীর শেষভাগে ভারতীয় পণ্ডিতের হাত ধরে ভারতের সুপ্রাচীন গণিতবিদ্যা পৌঁছোয় বাগদাদের রাজসভায়,আরবিতে অনুবাদ করা হয় সেই পুঁথিগুলির। সেই সূত্রেই পরবর্তীকালে অল-খোয়ারিজমি ‘ভারতের সংখ্যা দিয়ে গণনাপদ্ধতি’ ব্যবহার করে “অ্যালগরিদম”এর জনক হিসাবে পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে পরিচিত হন। (অল-খোয়ারিজম এর অপভ্রংশই আজকের অ্যালগরিদম)। আর তারপর নানা আফগানী তুর্কি আরবী শাসক, যাদের অন্যতম বক্তিয়ার খিলজি - ভারতের গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করেন এবং সুপরিকল্পিতভাবে তিন মাস ধরে পোড়ান হয় ভারতের মহামূল্যবান পুঁথিসমূহকে, যাতে কিনা ভারতের একান্ত নিজস্ব গণিতবিদ্যা আবিষ্কারের উজ্জ্বল ইতিহাস কালের গর্ভে চিরকালের মতো নিমজ্জিত হয়। আমরা জানতে পারি না অনেক আগেই ভারতে জানা হয়ে গিয়েছিল আলোর গতিবেগের পরিমাপ, 'পাই'-এর মান, অ্যালজেব্রা, ত্রিকোণমিতি, দশমিকের ব্যবহার, তথাকথিত ‘পিথাগোরাসের থিওরেম’ – পিথাগোরাসের জন্মের দুশো বছর আগেই।
    এই গণিত চর্চার ইতিহাস যেমন আমরা জানি না, ঠিক তেমনি আজকের বাঙালি সেভাবে জানেন ই না আমাদের এই বাংলা নৌ নির্মাণ থেকে কামানের ব্যবহারে কত দক্ষ ছিল। চিনের নৌ নির্মাতারা যেমন আসতেন এই দেশে, তেমনি এদেশের যুদ্ধে প্রথম কামান ব্যবহারের গৌরব যিনি পেয়ে থাকেন সেই বাবর স্বয়ং কীভাবে তাঁর আত্মজীবনীতে বাঙালির কামান চালানোর দক্ষতার প্রশংসা করে গেছেন।
    এই লেখা শুধু আমাদের অতীতের জন্য গর্বকেই জাগিয়ে তুলতে চায় না। সেই অতীত কীভাবে আরবীয় তুর্কী মুসলমান শক্তির হাতে ধ্বংস হল সেই মনস্তাপও তৈরি করে। এই জন্যেই এই লেখা নিয়ে সতর্ক হবার অবকাশ আছে। যাতে ইতিহাসের বদলার রাজনীতি, যা আমরা রাম মন্দির আন্দোলনে বাবরি ভাঙার ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি, তা এ থেকে জন্ম নিতে না পারে। সম্ভবত লেখকও এই বিপদটি সম্বন্ধে সতর্ক। তাই আমরা দেখি পঞ্চানন এর মন্দিরটি একদিনের মধ্যে অনেক সহকারী জুটিয়ে তৈরি করে দেন যে কুশলী কারিগর, তিনিও এক মুসলমান। এবং তার পূর্বপুরুষদের মন্দির ভাঙার প্রায়শ্চিত্ত যেন তিনি এই কাজের মধ্যে দিয়ে করে যান। পারিশ্রমিক গ্রহণ করেও তা ফিরিয়ে দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের নজির রাখেন।
    বাঙালির অতীত মনন চর্চার ইতিহাস এখানে আছে, আছে বিদেশী শক্তির হাতে পর্যদুস্ত হয়ে সেই ইতিহাসকে হারিয়ে ফেলার মনস্তাপও। আর রয়েছে নিজের শিকড়ে ফেরার টান। মন্দিরের চাতালে কবিগান, ঝুমুর গান, আখড়ার সংস্কৃতি ফিরে পাওয়ার আগ্রহ। বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এমন নান্দনিক উপস্থাপণা বাংলা কথাসাহিত্যের অঙ্গনে কমই হয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ জুলাই ২০১৮ | ৬৮৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Amit Sengupta | 90045.205.891223.222 (*) | ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৯64935
  • চৌথুপীর চর্যাপদ প্রীতম বসুর আরেকটি ভাল বই। পড়ে ভাল লেগেছে।
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৭:৫৪64936
  • ভারতে আলোর গতিবেগ সম্পর্কে একটু আলোকপাত করবেন কি?
  • সিকি | 670112.215.34.219 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৭64937
  • :)
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৭64938
  • এইটা ১৩ইমে মানে দুইমাস দশদিন আগে লিখেছিলাম।

    =========================
    Name: দ

    IP Address : 116.210.212.99 (*) Date:13 May 2018 -- 10:05 AM

    ভাটে লিখেছিলাম, লিখে রাখি এখানেও।
    বাংলা ফিকশানের দশা তো একেবারে হাজা মজা আদিগঙ্গার মত। সেখানে এই বইকটা অনেকদিন পর বেশ লাগল।

    নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা - সন্মাত্রানন্দ (বেএশ ভাল)
    ছিরিছাঁদ - প্রীতম বসু (মোটামুটি)
    পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল - প্রীতম বসু (ভাল)

    আর আমেলা বা উনিশ কুড়িতে ছোটদের গল্পগুলো কিরকম প্ল্যাস্টিক টাইপের লাগে। সেখানে এই বইটা বেশ অন্যরকম

    মৌলিকমশাই কঠিন জীবনের রঙিন গল্প - সৈকত মুখোপাধ্যায়
    =========================

    তো, আমি থ্রিলারে যেহেতু তথ্যের খোঁজ খুব একটা করি না, থাকলে ভাল, না থাকলে নেই, আমার ভাল লেগেছে।

    এই লেখকের তিনটে বই যা যা বেরিয়েছে এখন পর্যন্ত, চৌ-চ সেরা বলতে পারি। তবে এই লেখকের সেরা, থ্রিলার রাজত্বে সেরা এমন নয়।
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০২:২০64942
  • বইটা পড়লাম। শুরুর একটু খানি মন্দ না। একটু শীর্ষেন্দু শীর্ষেন্দু হাবভাব ছিল। চোর, জমিদারবাড়ি ইত্যাদি। তারপর জটায়ু এফেক্ট চলে এল। মানে প্রবল রহস্য ও অ্যাকশন, রোমাঞ্চকর তথ্যাদির প্রাচুর্য। অব্শ্য জটায়ুর কোনো লেখা আমি ফার্স্ট হ্যান্ড পড়িনি, সত্যজিতের থেকে যেটুকু আন্দাজ পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতে বললাম। :-)

    হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা আছে কি নেই আমি জানিনা। জানা সম্ভবও নয়। আর দুম করে অ্যাজেন্ডা আছে বলে কাউকে ট্যাগ করে দেওয়া ঠিকও না, কারণ সাদা-কালোর মধ্যে অনেকখানি ধূসর এলাকা থাকে। আরও দুচাট্টি লেখা পড়লে, যদি আদৌ পড়ি, তবে হয়তো একটা অব্স্থান নিতে পারব।
  • sswarnendu | 670112.203.347812.114 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০২:২৯64943
  • বইটা বা লেখাটার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডার কথা বলিনি আদৌ, বই পড়িইনি তো কি করে বলব। আমার বক্তব্য নিছকই আলোর বেগ ইত্যাদি দাবী নিয়ে।
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০২:৩২64944
  • আহা ওটা তোমার কথার উত্তর না। বইয়ে আরও এলিমেন্ট আছে। গণিত এবং পদার্থবিত্যার প্রায় সবকিছুই প্রাচীন পুঁথি থেক এপাওয়া যাচ্ছে। পড়ে নিজেরই খটকা লেগেছিল। কিন্তু দুম করে অবস্থান নেবনা আরকি।
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০২:৪৫64945
  • মানে এই জায়গায় লাইনটা এত সরু, সে আর তোমাকে কী বলব। সমস্যাও কতরকম তার ইয়ত্তা নেই।
    প্রথম সমস্যা হল মূল টেক্সট পড়ে কিছু বোঝা যায়না। তুমিই আমাকে আর্যভট্ট দিয়েছিলে। পড়ে শেষ করেছি। কিস্যু বুঝিনি। কথাটা অবশ্য অর্ধসত্য হল, কারণ সবটাই বুঝেছি, কিন্তু সেটা টীকা পড়ে। মূল শ্লোকগুলো স্রেফ সূত্র, বাবার-হইল-আবার-জ্বর টাইপের। টীকাকার মানে বলে না দিলে কিছু বোঝার উপায় নেই। এবার টীকাকারের অ্যাজেন্ডা আছে কিনা, তিনি ঠিক না ভুল কে বিচার করবে?

    আসলে, আমার ধারণা প্রাচীন ভারতে সবই ছিল গুরুমুখী বিদ্যা। শিখতে হত মুখে মুখে। মনে রাখার জন্য কিচু সূত্র খালি লিপিবদ্ধ হত। অর্থাৎ কিনা শ্লোকগুলি মূলত সাংকেতিক চোতা। উদ্ধার করা অন্ধিকারীর কাম্য নয়। এবার প্রকৃত অধিকারী খুঁজতে গেলে ৩০০ খ্রিষ্টাব্দে যেতে হয়। সে তো টাইম মেশিন ছাড়া সম্ভব নয়।

    পশ্চিমের সঙ্গে এর মূল তফাত হল, প্লেটো বা ধরা যাক ইউক্লিডের লেখা, বহু হাত ঘোরার পরেও, টেক্সট হিসেবে দিব্যি পড়া যায়। আর্যভট্ট সেভাবে যায়না। আমাদের ডকুমেন্টেশনের পদ্ধতিটাই আলাদা। এখানে গুরু বা টীকাকার আবশ্যক। এই ধোঁয়াশার সুযোগ নিয়ে একদিকে প্রখর হিন্দু তাত্ত্বিকরা নিজেদের মতো টীকা রচনা করে যাচ্ছেন। অন্য দিকে বহু কৃতিত্ব সত্যি সত্যিই দুনিয়ায় অস্বীকৃত। অঙ্ক টঙ্ক বাদ দিলাম। পৃথিবীর প্রথম প্রজাতন্ত্রের কৃতি গ্রিসের ঘাড়ে চেপেছে। সে ঠিকই আছে, কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন জনপদগুলি তার চেয়ে খুব বেশি পরে নয়, বলা যায় প্রায় সম্সাময়িক। এইটা নিয়ে কোনো প্রচার নেই। প্রচার নেই আর্যভট্টের 'ওরকৃত' আবিষ্কার গুলি নিয়ে। উল্টোদিকে গণেশ এবং শল্যচিকিৎসা নিয়ে গুল্পের চর্চার প্রাবল্য।

    এই গোলমাল থেকে কীকরে বেরোনো যায় আমি জানিনা।
  • sswarnendu | 670112.203.347812.114 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৬64946
  • :)
    আমিও জানিনা
  • | 2345.110.9002312.134 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৪64947
  • "আমাদের ডকুমেন্টেশনের পদ্ধতিটাই আলাদা। "

    এর চেয়ে স্পষ্ট আর সার্থক ভাবে বোধহয় বলা যায়না!!

    একসময় এইটা আমার প্রাচীন তত্ত্বজ্ঞদের দুর্বলতা মনে হত। এখন মনে হয়না আর। এতটা ফ্লুইডিটি থাকাটাই ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে পাশুপাতের মতন কাজে লাগবে বলে মনে হয়...
  • | 2345.106.893423.41 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৬64948
  • ঈশান কি থারুরের ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার পড়েছ?
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫১64949
  • না। তবে ওই লাইনে আরও কেউ কেউ লিখেছেন তো।
  • pi | 7845.29.890123.210 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৩64950
  • এটা পড়া ?
    http://www.tifr.res.in/~vahia/dani-vmsm.pdf

    এসব কচকচি আবার উঠবে জানলে তখনই ডঃ দানি আর ডঃ ওয়াহিয়ার থেকে এসব নানা বিষয়ে কাউন্টার লিখিয়ে নেওয়া যেত !
  • sswarnendu | 670112.203.894512.61 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:১৭64939
  • ভাজপার বাজারে প্রাচীন ভারত সংক্রান্ত বিষয়ে লেখার সময় একটু সতর্ক হলে ভাল হয়। মূল লেখক কি লিখেছেন কিভাবে লিখেছেন জানি না, সৌভিকদা বেশ অসতর্কভাবেই লিখেছেন এখানে। যে কটা লেখা হয়েছে সেগুলোর সবকটার মেরিট একরকম নয় বলেই।

    ভারতে আলোর বেগ নির্নয় করার প্রশ্নই ওঠে না, আর বাকি দাবীগুলোরও নানান ক্যাভিয়াট আছে, কিন্তু সেগুলো এইটার মত কাঁচা মিথ্যেটা নয়।
  • pi | 4512.139.122323.129 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪৬64940
  • টইতে এই বই নিয়ে আলোচনায় যা লিখেছিলাম, এখানেও রাখি।

    প্রথমে এ বই পড়তে গিয়ে আমিও চমকেই গেছিলাম, আর মুগ্ধও হচ্ছিলাম। শরদিন্দু আর শীর্ষেন্দুর দারুণ ককটেলের সাথে ব্যাপক সব ছড়ার মিশেল, পদে পদে বহু ইন্টারেস্টিং অজানা বা ভুলে যাওয়া তথ্য। সবমিলিয়ে দারুণ ঝরঝরে, টানটান তো বটেই।

    কিন্তু তারপরে, মোট্টামুটি মাঝপথের একটু পর থেকে নানা জায়গায় হোঁচট খেতে থাকলাম। জানিনা কিছু মিস করছি কিনা। আপনি তো সদ্য পড়েছেন, মিস করলে একটু বলে দিন না।
    অনেক অনেক খটকা জেগেছে, আপাতত খালি দুটো বলি। এদুটো ক্লিয়ার হলে, বাকি।

    ৯৮ পাতায় লেখা, চোদ্দশ সালের পুঁথি তালপাতার হবে না, তেডেলে লেখা হবে। তালপাতা আর তেডেলের বহু পার্থক্য বলাই আছে, যা কিনা চিদানন্দের মত পোড়্খাওয়া লোকের নজরে পড়বেই। বলাই হয়েছে, তালপাতায় লেখা পুঁথি মানেই নকল পুঁথি বোঝা যাবে। তা, হরুঠাকুরের স্টকে তো তালপাতা ছিল, তেডেল যোগাড়্র কোন কথাও বলা হয়নি। এমনকি শেষের দিকে সব তালপাতায় লেখাই বলা হয়েছে, এটা কীভাবে মেলানো হল ? এমনকি কার্বন ডেটিং করেও মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে বলা হয়েছে নিজেদের থেকেই তো সেই কনফিডেন্স নিশ্চয় ছিল, যে মেলালে ধরা পড়বেই, যদি না সেই সময়ের তেডেল হয়। হরুঠাকুরের কাছে পুরানো তালপাতা থাকার কথা লেখা আছে, তেডেল না, উল্টে প্রশ্ন ছিল, তেডেল আর তালপাতার পার্থক্য জানার পরে, হরুঠাকুরের কাছে কি তেডেল আছে, তাহলে কী হবে ? সেই উত্তর তো পাওয়া গেলনা, শেষে দেখান গেল, তালপাতায় লেখা হচ্ছে ! এমনকি ঐ একবার, কেন তালপাতা ঐসময় হতেই পারেনা বলার পর থেকে পুরানো কথা যতবার এসেছে, বলা হয়েছে, ঐসময়, ঐ চোদ্দশ সালে তালপাতায় লেখা হচ্ছে ! ১২১ পাতাই দেখুন। ২০৭ পতায় লেখা, ১৪০০ সালের পুঁথি তালপাতার হবে না তো কী !

    ১৬২ পাতায় খুব স্পষ্ট লেখা আছে, চয়নবিল থেকে পাথর ওঠানোর পরে সরকার রাতারাতি মন্দির বানিয়ে দিয়েছে। ধাড়ার প্রথম দিন আসা, আর পরের বারে , কত দিনের তফাত ? শেখ তো সাতদিনের সময় দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে টেনেটুনেও ১৫-২০ দিনের বেশি তো হয়না। তো, সেই মন্দির যখন একদিনে বানানো হচ্ছে, তখন তাকে এত পুরানো, বটগাছ গজিয়ে যাওয়া দেখানোর জন্য এত চেষ্টা কেন ? চোদ্দশ সালের মূর্তিতে নাহয় আলুমিনিয়ম থাকলে চলবে না, মন্দির যখন সরকার এই দু'দিন আগে বানাচ্ছে তো তাতে আলুমিনিয়ম দিয়েছে কিনা তাই নিয়ে চিন্তা কেন ?

    যদিও শেখের খুনে শাকরেদ আর ধাড় এর মধ্যেই এসেছিল, যেদিন হরুঠাকুরকে চয়নবিলের ওখানে পাথত দেখতে এসে মারতেও চায়, তো, সেদিনও তো মন্দির ছিল না ! যে শেখ এতই হিংস্র আর খুনি , যে কালাচাঁদের বাড়ির পাশেই পাহারা বসায়, সে নাকি মূল জায়গা চয়নবিলে বা জমিদারবাড়ির ওখানে কোন পাহারা বসাল না ! এমনকি হরুঠাকুর তাদের গাড়ির হাওয়া খিলে দিছ্হে দেখে খিনের হুকুম দেওয়ার পরেও !! এরকম অসংগতি আরো পাতার পতার পর পাতা ধরে লিখে যেতে পারি, যার যেকোনোটাই গল্পকে পুরো ভেঞ্গে দিতে পারে। অবশ্য, যেখানে একেবারে ছোটখাট জিনিস নিয়ে যুক্তি তর্ক তথ্যের এত বাছ্বিার, সেখানে মূল গল্পই দাঁড়িয়ে আছে ব্যাখ্যাহীনভাবে পুরো গল্প স্বপ্নের ঘোরে পাওয়া নিয়ে। মানে এরকম ফিকশন হতেই পারে, কিন্তু যেখানে সেই নিয়ে বা বাকি বহু কিছু বড়্সড় চালুনির মত ফাঁক কোন প্রশ্ন তোলা হয়না, ওদিকে অন্য নানা তুচ্ছা ব্যাপারে সুঁচের মত ফাঁক নিয়ে এত তর্ক , ব্যাখ্যা চলে, এদুটো একসাথে মিশ খাওয়া অন্তত আমার কাছে খুব চাপের গোঁজামিল লেগেছে। হযবরল কি আলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড কি নানাবিধ ম্যাজিক রিয়েলিজম, সুর্রিয়েলিজম নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, বরং অত্যন্ত পছন্দ করি। আশা করি, এখানে সেসব দিয়ে জাস্টিফাই করা হবেনা।
    এখনো আরো মেজর কিছু খটকা তাও বলিইনি। অন্ত্যমিল আর গোঁজামিল দুটৈ খুব ভাল এ বইতে।

    এরপর কামান। ভাটে জিগেশ করছিলাম, বাবরনামায় বাঙালির কামান ব্যবহারের রেফারেন্স আছে কিনা। বইয়ে ১৯৪-৯৫ পাতা দেখুন। স্পষ্ট লেখা, ' বাবুরনামা পড়েছেন ? বাবর তার আত্মজীবনীতে বাঙালিদের কানাল চালানোর প্রশংসা করেছেন'
    আরো লেখা, 'অনেকের ভুল ধারণা আছে যে ভারতবর্ষে প্রথম কামান ব্যবহৃত হয় পাণিপথের যুদ্ধে। কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ভুল, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে ভারতে নানা যুদ্ধে কামান ব্য়্বহৃত হয়। বাঙালিরা দু'টো ব্যাপারে ভারতের সকলকে টেক্কা দিয়ে এসেছে-প্রথমটা হল কামান চালানো আর দ্বিতীয়টা হল নৌবিদ্যা'।
    পাণিপথের যুধ্ধ্হের নয় বছর আগে চট্টাগ্রামের শাসনকর্তার কামান দাগা, জানিনা সে সত্য কিনা, আপনারা ভাল বলতে পারবেন, কিন্তু সেদিন ভাটে দ্রি বাবরনামা থেকে যা যা কোট করলেন, বা আপনারা যা আলোচোনা করলেন, তাতে তো কামান চালানোর কথা নেই। ফায়ারওয়ার্ক্স নিয়ে লেখা ছিল দেখা গেল।

    আরো অনেক কিছু, ঐ পাতাতেই ও অন্যত্র, এখন আর টাইপ করতে পারছিনা, এসব কিন্তু সত্য বলে, ইতিহাদের পুরো রেফারেন্স দিয়ে , শেষে রীতিমত তথ্যসূত্র দিয়ে বলা।
    আলোর গতি, আলজেবরা, আলগরিদম নিয়ে খটকা নিয়ে নাহয় এসবের উত্তর পেলে আসব। বিশেষ করে 'আলগরিদম' নিয়ে। আরো নানাবিধ অসংগতি নিয়েও।

    অনেককিছুই ছিল, থাকতে পারে, যা জানিনা, না জানা খারাপ, জানলে খুব ভাল হয়, জানতে পারলে খুব ভাল লাগে, এসবই ঠিক আছে, কিন্তু সেটা সঠিক তথ্যনির্ভর হলে তবেই। মিসকোট বা মিসইন্টারপ্রিটেশন কি ওভারইন্টারপ্রিটেশন বিপজ্জনক লাগে। বেদে অনেক কিছুই আছিল মানে বেদে সব ছ্যাল কি এই আমাগো বাংলায় সব ছেল, এরকম প্রবণতা ও তৎপরতা দেখলে সিঁদুরে মেঘ সিনড্রোমে ডরাই আর কি। রীতিমতন ইস্লামোফোবিয়া টোবিয়ার প্রসংগ তো আনিইনি।
    এবার এসবই কেবল ফিকশনের দোহাই দিয়ে পার মোটেও পায়না, কারণ ইন্টারেস্ট তৈরিই করা হচ্ছে ইতিহাসের নামে বিল কেটে, তাকে রীতিমত সত্য বলে দাবি করে, ঐতিহাসিকভাবে সত্য নানা ঘটনা, নানা এক্সিস্টিং বইয়ের রেফারেন্স কোট করে। আর শুধু গল্প ভাবলেও , বললাম তো, এত অসঙ্গতি , ফাঁকফোকর আর তার বেশিরভাগ না বুঁজিয়ে রেখে দেওয়া, আর কিছু গোঁজামিল দিয়ে, নানা ছড়ার অন্ত্যমিল যতটা চমৎকৃত আর মুগ্ধ করে, এগুলো ঠিক ততটাই বিরক্তির উদ্রেক করে। ভাললাগাটা নালিফায়েড হয়ে যায়।
    এত সম্ভাবনা ছিল, পুরো অন্যরকম একটা আইডিয়া, এত নতুনত্ব, মৌলিকত্ব ছিল , লেখকের যা ক্যাপাবিলিটি ছিল, কল্পনা, ভাষা , ছন্দের উপর দারুণ দখ্ল ছিল, তার সদ্ব্যবহার হয়নি মনে হয়।

    এবারে ঐ বাবরনামা কামান প্রসঙ্গ আর আলোর বেগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা টইতে আর ভাটে আছে। কেউ পারলে তুলে রাখুন এখানে একটু।
    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1322038015334&contentPageNum=26

    স্বর্ণেন্দুও একটু লেখ না, সায়েন্টিফিক দাবিদাওয়াগুলোর ক্যাভিয়েটস নিয়ে।
  • sswarnendu | 670112.203.674512.92 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৮ ১১:১৭64941
  • প্রথমে আলোর দ্রুতি নিয়ে লিখি... সেইটা ভাজপা ও তার তল্পিবাহকদের দৌলতে বহুল প্রচারিত।

    প্রাসঙ্গিক শ্লোকটা সায়ন বা সায়নাচার্যের ঋগবেদের টীকা থেকে --- সায়নভাষ্য... শ্লোকের নাম্বার 1.50.4

    আমি সংস্কৃত জানি না, তাই তাই শ্লোকটা তুলে দিলাম।

    तरणिर्विश्वदर्शतो ज्योतिष्कृदसि सूर्य । विश्वमाभासि रोचनम् ।
    तथा च स्मर्यत योजनानां सहस्रम् द्वे द्वे शते द्वे च योजने । एकेन निमिषार्धेन क्रममाण नमोऽस्तु ते ॥

    taraNirvishvadarshato jyotiShkRRidasi sUrya | vishvamAbhAsi rochanam |
    tathA cha smaryata yojanAnAM sahasram dve dve shate dve cha yojane | ekena nimiShArdhena kramamANa namo.astu te ||

    Oh Sun! (You) overwhelm all in speed, visible to all, source of light. (You) shine pervading the Universe.
    It is remembered, [O Sun] bow to you, you who traverse 2,202 yojanas in half a nimesha.

    এই শেষটুকু এই দাবীর মূল ভিত্তি... অর্ধ নিমেষে ২২০২ যোজন পথ অতিক্রম করেন সূর্য।
    প্রথম যে জিনিস খেয়াল করার তা হল শ্লোকে স্পষ্টভাবেই সূর্যের কথা বলা হচ্ছে, তল্পিবাহকদের দাবীতে তা হয়ে গেছে আলোর দ্রুতি। ( এর মূল পাণ্ডা তল্পিবাহক হচ্ছেন লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির সুভাষ কাক )। এরপর নিমেষ ও যোজনকে এমনভাবেই ডিফাইন করা হচ্ছে যাতে এই শ্লোকটা থেকে প্রতি সেকেন্ডে শূন্য মাধ্যমে আলোর দ্রুতির খুব কাছাকাছি একটা সংখ্যা পৌঁছয়।

    মজার কথা হল নিমেষের মান সেকেন্ডের হিসেবে আর যোজনের মান কিলোমিটার বা মাইলে কত এর কোন একটা নির্দিষ্ট মান কোথাও পাওয়া যায় না। বেদ, বেদের ভাষ্য, পুরাণ ইত্যাদি সব মিলিয়ে নিমেষের একাধিক হিসেব আছে, যেগুলো বেশ আলাদা আলাদা। securely documented value ( literary evidence এর হিসেবে secure ) গুলো হচ্ছে
    0.213s
    0.457s
    0.48s
    0.533s

    এর মধ্যে একমাত্র একটাই আলোর দ্রুতির কাছাকাছিটা দেবে, বাকিগুলো সেইটার ধারে বারেও নয়, মানগুলোও নিজেরাও পরস্পরের ধারে বারে নয় আদৌ, এমনকি .48 আর .457 এও বিস্তর ফারাক আলোর দ্রুতির হিসেবে।
    খেয়াল রাখতে হবে এই হিসেবগুলোয় কিন্তু ডিরাইভ করা ইনডায়রেক্টলি, মানে এক দিনে কত নিমেষ সেই থেকে, আর এক সৌর দিনের মান সেকেন্ডে কত তা থেকে। চতুর্দশ শতকে এক সৌর দিনের মান নির্ভুলভাবে জানা ছিল এইটাই একটা প্রকাণ্ড দাবী ( পাঁজির যা হিসেব তাতে সৌর দিনের মান ভুল, তাই আজকের মকর সঙ্ক্রান্তির প্রায় সূর্যের মকরে সংক্রমণ ও দক্ষিণায়নের শেষ বিন্দু দুটোর থেকেই অনেক পরে পড়ে )।

    যোজন নিয়ে সমস্যা আরও বেশী, কারণ এক সৌর দিনের মত প্রায় ইউনিভার্সাল দূরত্বের মাপ নেই। তাই 9.6 km থেকে 14.4 km অবধি যা খুশি হতে পারে, এমনকি এই রেঞ্জের বাইরের কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও ঊড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    তাই এই নিয়ে প্রচারটা ভাজপার আরও অনেক কিছুর মতই প্রকাণ্ড ধাপ্পাবাজি।
  • দ্রি | 897812.19.121212.149 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৭64955
  • "तरणिर्विश्वदर्शतो ज्योतिष्कृदसि सूर्य । विश्वमाभासि रोचनम् ।
    तथा च स्मर्यत योजनानां सहस्रम् द्वे द्वे शते द्वे च योजने । एकेन निमिषार्धेन क्रममाण नमोऽस्तु ते ॥

    taraNirvishvadarshato jyotiShkRRidasi sUrya | vishvamAbhAsi rochanam |
    tathA cha smaryata yojanAnAM sahasram dve dve shate dve cha yojane | ekena nimiShArdhena kramamANa namo.astu te ||

    Oh Sun! (You) overwhelm all in speed, visible to all, source of light. (You) shine pervading the Universe.
    It is remembered, [O Sun] bow to you, you who traverse 2,202 yojanas in half a nimesha."

    @স্বর্ণেন্দু, এই কোটটা এবং তার তর্জমা কোত্থেকে পেলেন? আমার সোর্সটা চাই। সুভাষ কাকের পেপার? সংস্কৃতের তর্জমাটা কে করেছেন?

    "মজার কথা হল নিমেষের মান সেকেন্ডের হিসেবে আর যোজনের মান কিলোমিটার বা মাইলে কত এর কোন একটা নির্দিষ্ট মান কোথাও পাওয়া যায় না। বেদ, বেদের ভাষ্য, পুরাণ ইত্যাদি সব মিলিয়ে নিমেষের একাধিক হিসেব আছে, যেগুলো বেশ আলাদা আলাদা। সেcurely documented value ( literary evidence এর হিসেবে secure ) গুলো হচ্ছে
    0.213s
    0.457s
    0.48s
    0.533s"

    এইসব বিভিন্ন ভাষ্যের বিভিন্ন হিসেব এর সোর্সও চাই।
  • দ্রি | 127812.25.3490012.78 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৯64956
  • এছাড়া কিছু প্রশ্ন লেখককেও আছে।

    বক্তিয়ার খিলজির ভারতের আক্রমণের এবং নালন্দা ধ্বংসের বর্ণনার মূল সোর্স জানতে চাই। লাইব্রেরী ধ্বংস ব্যাপারটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। আলেক্সান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী ধ্বংসেরও নানারকম গালগল্প আছে।

    "'পাই'-এর মান, অ্যালজেব্রা, ত্রিকোণমিতি, দশমিকের ব্যবহার, তথাকথিত ‘পিথাগোরাসের থিওরেম’"

    এই প্রত্যেকটার মূল সোর্স চাই।
  • sswarnendu | 670112.203.127812.73 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১০:১৬64951
  • এই " আলাদা ডকুমেন্টেশনের পদ্ধতি " দুর্বলতা নয় কেন?
    প্রবল হায়ার্কিয়াল সমাজ ও তার অনুসারী গুরুবাদী শিক্ষা বলেই জনগণের জন্য হায়ার লার্নিং এর অ্যাক্সেস কখনোই ছিল না। হায়ার লার্নিং স্যাক্রেড, প্রিস্টীন ও কেবলমাত্র ' অধিকারীর' জন্য, এসব শাক দিয়ে যে মাছটা ঢাকা হয়েছে সেইটা হল প্রি-কলোনিয়াল যুগের পাবলিক এডুকেশন ব্যবস্থা যতই ভাল থাক, সেই ব্যবস্থাটাও একটা কলোনিয়াল ব্যবস্থার মতই, যাতে প্রশ্ন করতে কম আর মেনে নিতে বেশী শেখানোটাই টার্গেট।
  • sswarnendu | 670112.203.127812.73 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১০:২৫64952
  • এইজন্যেই এই বিশ্বেন্দু নন্দ ক্যাম্পের লেখা পড়লে হাঁসব না কাঁদব বুঝে উঠতে পারি না। ইউরোপিয়ানদের কলোনি হওয়ার আগে বাংলায় কত টোল-পাঠশালা ছিল, তাই নিয়ে কি সুন্দর পাবলিক এডুকেশন ব্যবস্থা ছিল, যা ইউরোপীয়রা ধ্বংস করে ইংরেজি-নির্ভর কেরানী তৈরির শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করে-- এইই সেসব লেখার প্রতিপাদ্য। সেসব লেখায় সন্তর্পণে এড়িয়ে যাওয়া হয় এই প্রসঙ্গটা যে সেগুলোও যা প্রোমোট করত তা ইংরেজি নির্ভর নয় বলেই আলাদা কিছু এমন নয়। বামুনদের অং-বং-চং এর মান্যি করতে যতটুক লাগে আর রোজকার হিসেব করতে যেটুকু লাগে তার বাইরে কিছু শেখানো হত এমন নয়। কলোনী জন শুধু বিদেশেরই হওয়া যায়, সমাজের বড় অংশ একটা ছোট্ট অংশের কলোনী হতে পারে না যেন!
  • পিনাকী | 893412.227.567812.133 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১০:৩৩64953
  • স্বর্ণেন্দুর বক্তব্যটা খানিকটা আমারও। গুরুমুখী শিক্ষা কি জ্ঞানকে উন্মুক্ত করে? হায়ারার্কি এবং শাসকের মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ করে? তাহলে আজকের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকাঠামো নিয়ে যে সমস্যা সেগুলো থেকে গুরুমুখী শিক্ষা কোথায় উন্নত? কিছুটা নন-এসেন্সিয়ালিস্ট - এটুকু বলা যায় হয়তো। সেটা হওয়ার যে সুবিধে সেগুলো থাকবে। তার বেশি কী? এটা নিয়ে আলোচনা হলে জানতে ইন্টারেস্টেড।
  • pinaki | 0189.254.455612.105 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১০:৩৮64954
  • ম্যান্ডেটরি ট্যাগ #সোমনাথরায় :-D
  • | 670112.193.783412.124 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:২০64958
  • দ্রি,
    নালন্দা ধ্বংসের কথা তবকাৎ-ই-নাসিরি তে আছে। এবার সেটার প্রথম অনুবাদ র‍্যাফাটি সায়েবের সম্ভবত। বক্তিয়ার খিলজি একটা মস্ত বিহার পুড়িয়েছিল, সেটা নালন্দাই কিনা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে কিনা জানি না। আপনার ফাইন্ডিংস শেয়ার করবেন।
  • দ্রি | 568912.234.781223.148 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:২৭64959
  • অবশেষে ঋগবেদ সংহিতার সায়নের টীকার প্রথম ভাগ পেলাম, ভেদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের। তারই ৩৪৭ পাতায় আছে প্রথমে মন্ডলের, ৫০ নং সূক্তের ৪নং শ্লোক। এবং তার সাথে সায়নের টীকা। পেলাম ঐ লাইনটা। শুধু 'স্মর‌্যতে' এবং 'সহস্রে' ইনস্টেড অফ 'স্মর‌্যত' এবং 'সহস্রম্‌"। 'স্মর‌্যতে'র পর বাকি অংশটুকু উইদিন সিঙ্গল কোট। সহস্রে দ্বে দ্বে শতে দ্বে অর্থাৎ ২২০২।

    তার মানে এটা যে কোন কারণেই হোক সায়ন লিখেছিলেন। কিন্তু বেদের মূল শ্লোকে তো এর কাছাকাছিও কিছু ছিল না। সায়ন এটা কোত্থেকে এনে হাজির করলেন কে জানে। ২২০২ যোজনের ব্যাপারটা মনে হয় বেদ পরবর্তী কালেরই অভিজ্ঞান। ঠিক হোক ভুল হোক, জেনারাল সূর্য্যের প্রশস্তির মাঝে ফট করে একটা সংখ্যা এনে ফেলাটা একটু কেমন যেন।

    [অফ টপিকঃ এই শ্লোকের টীকারই কন্টিনিউয়েশানে আরেকটা ইন্টারেস্টিং কমেন্ট আছে সায়নের।

    আদিত্যদর্শনস্য চন্ডালাদিদর্শনজনিতপাপনিহৈরণহেতুত্বাতূ

    চন্ডাল ফন্ডাল দেখে ফেলল যে পাপ হয় সূর্য্যের দিকে তাকালে সেইসব পাপ ধুয়ে মুছে যাবে।]

    বেশ। এইবার চাই নিমেষের রকমারি মীনিংএর রেফারেন্স।
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৮64960
  • নালন্দা অথবা বিক্রমশীলা। এবং বক্তিয়ারের ধারণা ছিলো, এগুলো দুর্গ। সেজন্যে বলেচিলেন "হিসার-ই-বিহার", অর্থাৎ বিহারের দুর্গ। সেখান থেকেই প্রভিন্সের নাম বিহার।
  • | 670112.193.783412.124 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৬64961
  • হুঁ।
    ব্যাটা এক মহা অশিক্ষিত শয়তান ছিল। গৌড়েও যথেচ্ছ অত্যাচার করেছে। আলমর্দন খাঁ টপকে দেবার আগে গৌড়ের বিধবা নারীরা রোজ চীৎকার করে অভিশাপ দিত নাকি।
  • sswarnendu | 670112.203.783412.48 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৬:৪৩64957
  • দ্রি,

    নিমেষের মাপগুলোর প্রত্যেকটার মূল সোর্স খুঁজে দিতে একটু সময় লাগবে, দিয়ে যাব। আপনি উইকিরই হিস্টরি অফ মেজারমেন্ট অফ স্পীড অফ লাইট এ একটা ডিসকাশন ( মূল আর্টিকল এ নয়, এডিট ডিসকাশন থ্রেডে ) পাবেন। সেখানেই আছে অনেকগুলো, তাও খুঁজে দেব। খানিক সময় দিন।

    আর অনুবাদটা প্রসঙ্গে, সায়নভাষ্যের গোটাটার কোন ইংলিশ ট্রান্সলেশন আছে বলে আমি জানি না, সম্ভবত নেই। মূল স্তোত্রটা ম্যাক্স মুলারের ভার্শন বা পরের তিলক ইন্সটিউটের ভার্শন দুটোতেই আছে। ইংরেজি অনুবাদটা নেট এ পাওয়া, এক্স্যাক্টলি কথা থেকে কপি পেস্ট করেছি এখন মনে নেই। কিন্তু বহু বহু জায়গায় আছে একই অনুবাদ... ঠিক না ভুল আমি জানি না বলেই মূল স্তোত্র সমেত তুলে দিয়েছি। মূল স্তোত্রটা এইটাই... সেইটা তিলক ইন্সটিটিউটের ভার্শন ইন্টারনেট আর্কাইভে আছে, তার সাথে মিলিয়েছি ( ছবি মেলানোর মত করে, আমি সংস্কৃত ক্যারেক্টার একদম চিনি না তা নয়, কিন্তু গড়গড় করে পড়তে পারি না )।
  • দ্রি | 897812.19.121212.150 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৪64962
  • He used to carry his depredations into thse parts and that country until he organized an attack upon the fortified city of Bihar. Trustworthy persons have related on this wise, that he advanced to the gateway of the fortress of Bihar with two hundred horsemen in defensive armour, and suddenly attacked the place. There were two brothers of Farghanah, men of learning, one Nizam-ud-din, the other Samsam-ud-din [by name], in the service of Muhammad-i-Bakht-yar; and the author of this book met with Samsam-ud-din at Lakhanawati in the year 641 H. and this account is from him. These two brothers were soldiers among that band of holy warriors when they reached the gateway of the fortress and began the attack, at which time Muhammad-i-Bakht-yar, by the force of his intrepidity, threw himself at the postern of the gateway of the place, and they captured the fortress, and acquired great booty. The greater number of inhabitants of that place were Brahmans, and the whole of those Brahmans had their heads shaven; and they were all slain. There were a great number of books there; and, when all these books came under the observation of the Musalmans, they summoned a number of Hindus that they might give them information respecting the import of those books; but the whole of the Hindus had been killed. On becoming acquainted [with the contents of those books], it was found that the whole of that fortress and city was a college, and in Hindui tongue, they called a college Bihar.

    [তবাকৎ-ই-নাসিরি, অনুবাদ মেজর এইচ. জি. র‌্যাভার্টি, পেজ ৫৫১-৫৫২]

    পয়েন্টস টু বি নোটেডঃ

    - যেকোন আক্রমণই 'হোলি ওয়ার'।
    - নেড়ামুন্ডু বুদ্ধিস্ট মংক এবং ব্রাহ্মণ সম্ভবত গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। একটা ফুটনোটে সেকথা লেখাও আছে।
    - প্রচুর খুনখারাপির কথা পরিষ্কার অ্যাডমিট করাই আছে। মোটামুটি ধরে নেওয়া যেতেই পারে প্রচুর স্কলার খুন হয়েছিলেন।
    - বইয়ের কন্টেন্ট নিয়ে বক্তিয়ার জানতে চাইলেও ইন্ডিস্ক্রিমিনেট বই পোড়ানোর কথা এইখানে অন্তত বলা নেই
    - এই 'কলেজ'টি দখল করে বক্তিয়ার ' 'গ্রেট বুটি' পেয়েছিলেন। সেগুলো সম্ভব্ত পুঁথিপত্র নয়, ধনসম্পদ। তো এই বিহারে বইপত্র তো ছিলই, কিন্তু মোস্ট লাইকলি অনেক ধনরত্নও ছিল। সেসব দিল্লি নিয়ে যেতে বক্তিয়ার কুতবুদ্দিনের স্নেহধন্য হয়েছিলেন, এবং অন্যান্য মিলিটারী জেনারালের ঈর্ষার কারণ হয়েছিলেন।

    সুপরিকল্পিতভাবে বই নষ্ট করার কথা তবাকৎ-ই-নাসিরিতে অন্তত নেই। কিন্ত এটা ইস্লামিক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু এই একই ঘটনার কোন বুদ্ধিস্ট অ্যাকাউন্ট কি আছে?
  • souvik ghoshal | 2345.110.345612.223 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০৯64963
  • সবই তো বুঝলাম। কিন্তু একটা বিষয়ই মনে খচখচায়। বাংলা সাহিত্যে বা বাংলার লেখাপড়ার পরিসরে এখনো পর্যন্ত মল্লবর্মন ছাড়া আর কেউকি নোটেবল আছেন তার দলিত, মুসলমান, অহিন্দু এবং অবর্ণহিন্দু পরিচয় নিয়ে। খুচরো পাবলিকেশন নয়, ব্যাপ্তিতে হিন্দু ও বামুন বাঙালি লেখক এবং লেখাপড়া-জানার পরিসরে বেশ সবল এরম সবার মতো? নেই
  • র২হ | 232312.172.01900.25 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৯ ০৮:৫১64964
  • এই বইটা পড়তে শুরু করলাম, কিন্তু পোষাচ্ছেনা। সব কালেক্টার প্রত্নব্যাবসায়ী অনুসন্ধানী এরা লিপি ও ভাষার পরিবর্তন আর্যভট্ট কিছু জানেনা - এ কেমন কথা?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন