এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সাধু কালাচাঁদ, ট‍্যাঁপা-মদনা, পটলা ও রুনু

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪৫৭৮ বার পঠিত
  • 'ভালো লাগছে না রে তোপসে' বা 'ডিলাগ্রান্ডি' বললে বাঙালি মননে এক ধরনের রিফ্লেক্স অ্যাকশন কাজ করে যেন। ফেলুদা/তোপসে, টেনিদা, ঘনাদা ইত্যাকার নামগুলি বাঙালির আড্ডার স্বাভাবিক উপাদান। এই অনুষঙ্গগুলি দিয়ে বাঙালি তার হিউমারের অভ্যাস ঝালিয়ে নেয়, কিছুটা আক্রান্ত হয় নস্টালজিয়াতেও।

    তবে, এইসবের মধ্যে বাল্যবেলায় পড়া কিছু কিশোরচরিত্ররা হারিয়ে গেছে, কিছুটা উপেক্ষিতই যেন তারা। ক'জন আর নগণ্য সাধু কালাচাঁদকে মনে রেখেছে? ট্যাঁপা-মদনা বললে আমরা ক'জনই বা সহসা আবার ক্লাস ফোরের পূজাপ্রাক্কালে চলে যাই? এইসব চরিত্ররা আমাদের কিশোরবেলায় ছিল, সেই নিরুপদ্রব সময়ে, যখন আমরা ততটা ফারাক করতে শিখিনি লেখকে-লেখকে। গোগ্রাসে ছড়িয়ে থাকা বঙ্গভান্ডারের বিবিধ রতন তথা নানাবিধ পত্রপত্রিকা নির্দ্বিধায় চেটেপুটে নেওয়ার বেখাপ্পা বয়স তখন। সেই তখন, বহুশ্রুত কাকাবাবু-সন্তুর পাশাপাশি শক্তিপদ রাজগুরুর নগণ্য পটলা কিভাবে যেন অতিপরিচিত মাসতুতো ভাই হয়ে উঠেছিল। এই লেখায় সংক্ষেপে মনে করিয়ে দিতে চাই কয়েকটি ততটা-আলোচিত-নয় চরিত্র। বিস্মৃতির অতলে যারা রয়ে গেল, প্রিয় পাঠক, নিঃসঙ্কোচে তুলে আনুন সেই সব অক্ষরে গাঁথা নুড়ি-পাথর। তাই, আপনারাও লিখুন, এই প্রসঙ্গে যা যা মনে পড়ে। এই লেখা এই বাচাল গদ্যকারের অন্য ভুলভাল লেখার মতই, মূলত স্মৃতিনির্ভর। সন্দীপন তো বলেইছেন, স্মৃতির নির্বাচন ও প্রত্যাখ্যান নিজস্ব নিয়মে চলে, এখানে আমরা কিছুটা অসহায়। তাই যা যা মনে পড়ছে খুব সংক্ষেপে একে একে লিপিবদ্ধ করছি।

    প্রথমেই মনে আসছে সাধু কালাচাঁদের কথা। এই চরিত্রটি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় অনন্য বয়ানে বুনেছেন। হতকুচ্ছিত, ক্লাস সেভেনের, কালাচাঁদের গায়ে এমনকি মারকিউরোক্রোম লাগানো খোস পাঁচড়াও রয়েছে; কোনো বিশেষ মেধা, কোনো গরিমাই নেই, অথচ কালাচাঁদ যেন এক মূর্তিমান বিপজ্জনক অ্যানার্কির ফ্যাতাড়ু। চৌবাচ্চার ফুটো থেকে জল বের হওয়ার দুরূহ অঙ্ক সলভ করতে ব্যর্থ হয়ে সে গোপনে স্বকল্পিত এক্সপেরিমেন্টের আশ্রয় নেয়। ঘড়ির টাইম ধরে স্কুলের জলের ট্যাঙ্কের তলার ফুটো সবার অগোচরে খুলে দেয় সে, অঙ্কের উত্তর মেলাবে বলে। সারা স্কুলকে সারাদিন তৃষ্ণার্ত রেখে শেষে জোটে হেডমাস্টারের অবধারিত ধোলাই। বাবার হাতে, মায়ের হাতে অকাতরে মার খায় কালাচাঁদ, কিন্তু তার একরোখা জীবনীশক্তি জাগিয়ে রাখে এক নিরুদ্দিষ্ট ভুবন, সেই ফেলে আসা স্কুলে নিলডাউন হওয়ার, বেঞ্চের ওপর কান ধরে দাঁড়ানোর প্রহর, সেই রুগ্ন ও অকিঞ্চিৎকর কৈশোর, যা ধরা নেই কোনো জাগতিক ফোটোগ্রাফে।

    স্মৃতিই ব’লে দিলো, সম্ভবত ১৯৮০ সনের পুজোবার্ষিকী আনন্দমেলায় প্রকাশিত হল আশাপূর্ণা দেবীর 'গজ উকিলের হত্যা রহস্য'। সম্ভ্রান্ত সমাজ থেকে দূরে অন্ধকারজগতের দুই কিশোর ‍ট্যাঁপা মদনার অবিশ্বাস্য আবির্ভাব ঘটল। তারা যেন তাদের প্রখর ইনটুইশন ও বাস্তবতার সম্যক ধারণা থেকে ধরে ফেলতে পারল সামাজিক অপরাধের স্বরূপ, প্রকৃত আততায়ীর ঠিকানা। এক সহৃদয় ব্যক্তির বদান্যতায় তারা সমাজের মেইমস্ট্রিমে আসতে পারল, ঘটল আলোকপ্রাপ্তি। ১৯৮১-পুজোতে আশাপূর্ণা লিখলেন ' ছুটিতে ছোটাছুটি'। ট্যাঁপা মদনা এবার ধরে ফেলল এক দুর্বৃত্তের কারবার। এই দুর্বৃত্ত, ডাক্তারের ছদ্মবেশে, নিরীহ মানুষকে প্রথমে বিচিত্র পদ্ধতিতে উন্মাদে পরিণত করত, ল্যাবরেটরিতে পুরে রাখত, এবং ব্যবসা চালাত। কোনমতে পড়াশুনো জানা ট্যাঁপা-মদনার চরিত্রেও বলবার মত বুদ্ধিদীপ্ত গরিমা ছিল না, কিন্তু ছিল সহৃদয় মানবিকতা, সেই নৈতিকতা, যা প্রান্তিকদের সহজাত। এক সহজিয়া বাস্তববোধ থেকেই তারা ধরে ফেলতে পেরেছিল অপরাধীদের।

    কিন্তু, পরে আর কোথাও ট্যাঁপা-মদনার কাহিনী চোখে পড়ে নি।

    শক্তিপদ রাজগুরুর পটলা পঞ্চপান্ডব ক্লাবের কর্ণধার। সে তোতলা এবং অসম্ভব হুজুগে। তাকে কখন কোন হুজুগে ধরে, সেই কাহিনীগুলিই বিবৃত করেছেন লেখক। সেই হুজুগ ভাঙাতে অসমর্থ হয় বাকি সদস্যরা। একটা গল্প বেশ মনে পড়ছে। পটলাকে নাটকের হুজুগে ধরেছে। সে স্ক্রিপ্টরাইটার, পরিচালক তথা নায়ক। উত্তম পুরুষে লেখা আখ্যানের কাহিনীকার, পঞ্চপান্ডবেরই একজন, পটলার বাড়িতে গিয়ে দেখছে পটলা স্বরচিত নাটকের স্ক্রিপ্টের অংশবিশেষ আবৃত্তি করে চলেছে, কিছুটা গানেরই ঢঙে:

    "কার ঋণ, কিসের ঋণ?
    তোমাদের ঋণ দেবোনা,
    তোমরা সুদখোর, পিশাচ, কসাই"

    বন্ধুরা, এই অংশটি পড়ে, তোতলা পটলাকে দৃশ্যায়িত করে, ক্লাস সেভেনে এতটাই আলোড়িত হয়েছিলাম যে, স্বরচিত এক হাস্যকর সুরে এই অংশটি চুপিচুপি গাওয়ার চেষ্টা করতাম। এবং এই পটলাপ্রয়াস ধরা পড়ে যাওয়ার পর নিজের দিদির উপহাসের পাত্র যে হতো, সে পটলা নয়, এই অধম গদ্যকার, যার বয়েস তখন বারো তেরো।

    রকমারি শারদীয়া কিশোর ভারতীর দৌলতে এক আশ্চর্য কিশোরের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম, যার নাম রুনু। মধুমতী নদীর তীরে পুব বাংলার মাজেদিয়া না কি যেন একটা গ্রাম। আশ্চর্য গ্রামীণ ও সহজ জীবন ফুটে উঠেছিল রুনুর আখ্যানসমূহে। নিতান্ত সাধারণ পরিবারের জাতিতে নমঃশূদ্র রুনু আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, চিনছে গ্রাম থেকে গঞ্জ, গঞ্জ থেকে শহরে বড় হচ্ছে তার বৃত্ত। পারিবারিক বন্ধন ছাড়িয়ে অনাত্মীয়ের বন্ধন কত ব্যাপক হতে পারে, কি অপরূপ হতে পারে ওপার বাংলার নদীবাহিত গ্রামীণ লোকজীবন, তার বিবরণ দিতেন শ্যামাদাস দে নামের এক অপরিচিত লেখক। মনে পড়ছে রুনুর লেখা কৈশোরের ছড়া:

    "আমাদের ছাগলের তিনখানি বাচ্চা:
    একআনি, দুয়ানি আর রুক্মিণী নাম।
    ঘাস খায় কম কম, দুধ দেয় সাচ্চা।
    ছাগলের মধুমতী নাম রাখিলাম।"

    মনে পড়ে গেল রুনুর এক বাল্যসখী ছিল, যার নাম ছিল চুয়া, যার কথা ভাবলেই সেই তেরো বছরেও ঈষৎ বয়স-অনুচিত প্রেম পেয়ে বসত। রুনুশীর্ষক অন্তত পাঁচটি উপন্যাস পড়েছিলাম, যা মায়াময় ও সজল।
    এই মায়াময়তা পেয়েছিলাম বুদ্ধদেব গুহর 'ঋভুর শ্রাবণে'। সেই প্রকৃতির কন্যা বুলবুলি, যে ঋভুকে অবলীলায় বলে, ' বড়লোকের পু, তোর মুখে মারি ছু।' ঋভুর শ্রাবণ পড়ে যদি বুলবুলিতে মায়া না পায় তবে আপনি মরমী পাঠক নন। ঋভুর শ্রাবণ আমাকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর পড়ার সমতুল্য অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। ঋভুর অন্যান্য উপন্যাস লেখা হলেও তা 'ঋভুর শ্রাবণ' তুল্য হয়নি। আহা, লিখতে লিখতেই লেখাটির সঙ্গের মায়াবী ইলাস্ট্রেশন মনে পড়ে গেল।

    এবং মনে পড়ে যাচ্ছে দীনেশচন্দ্রের ভাবা, সমরেশ বসুর গোগোলের কথা। পাশাপাশি মনে পড়ছে আশুতোষের জমাটি পিন্ডিদার কাহিনীগুলো, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের রুকু সুকু, প্রফুল্ল রায়ের কাবুল আর টাবুল, এরকম নানান ধরনের চরিত্র।

    এতগুলো চরিত্রের কথা মনে রয়ে গেছে কারণ সত্তর ও আশির দশককে বাণিজ্যিক মনোপলি ও হেজিমনির ব্যারাম বাংলা সাহিত্যকে পুরোটা গ্রাস করতে পারেনি। এই দুই দশক বেদম ফাইট দিয়েছে হরেক কিসিমের পত্র পত্রিকা ও শারদসম্ভার, নানান বৈচিত্রের লেখক লেখিকাদের নিয়ে। যে চরিত্রদের কথা লিখলাম তারা স্বতন্ত্র উপন্যাস ও কাহিনীর অংশ হলেও এই গদ্যকারের কাছে তারা যেন রকমারী পত্রপত্রিকার বাগানে অন্যান্য গাছ গাছালির সঙ্গে মিলেমিশে থাকা স্বাভাবিক গুল্ম ও বীরুৎসমূহ, যাদের স্বকীয় পত্রপুষ্পবিন্যাস সনাক্ত করতে কোনোদিনই সমস্যা হয়নি।

    সেই কৈশোরের আপাতঅপ্রতিভ, নিতান্ত এলেবেলে চরিত্রগুলি ছিল আসলে আমাদের মতই নিষ্প্রভ ও গরিমাহীন, কিন্তু তারা ঠিকানা দিয়েছিল কোনো-গন্তব্য-নেই এমন এক তুমুল নিরুদ্দেশের।

    (কৃতজ্ঞতা: স্বর্ণেন্দু সেন)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৪৫৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সুমনা সান্যাল | 7845.11.34900.247 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭65214
  • শ্যামাদাস দে' র লেখা 'রুণু হোলো রণজিৎ' কিশোর ভারতী তে যখন পড়ি তখন আমার স্কুলবেলা। মনে পড়ে, রুণু র সবরকম বিরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দারিদ্র‍্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে যাবার অদম্য মনোভাব আমাকে অসম্ভব অনুপ্রেরণা দিতো। তারপর আশ্চর্যভাবে একবার স্কুলেও প্রাইজ পেলাম শ্যামাদাস দে'র বই 'রুণু রুণু রুণু'। কিন্তু সেই শেষ। এরপর আর কখনো রুণুর সঙ্গে দেখা হয়নি।বারবার ফেসবুকের নানান বই এর গ্রুপে শ্যামাদাস দে'র রুণুর সন্ধান চেয়েছি, পিডিএফ চেয়েছি। অবাক হয়েছি দেখে যে কেউই শ্যামাদাস দে' র নাম পর্যন্ত শোনেননি। আজ এই লেখা আমাকে স্কুলের দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো। কাবুল টাবুল আর তাদের ধুরন্ধর মাস্টার, ভন্টিদা আজও আমাকে সঙ্গ দেয়,কারণ সেই লেখাগুলো আমার কাছে আছে। সাধু কালাচাঁদের স্কুল ফাইনাল! উফফ! ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে ছক্কা দাগের উত্তরগুলো মুখস্থ করা, উনি তো প্রণম্য মশাই। অনেক ভালোবাসলাম এই লেখাকে
  • | 2345.106.893423.242 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫১65215
  • রুনু, ভাবা আর দুরন্ত ঈগল কিশোর ভারতীতে পড়া আমার বেস্ট তিনখানা।

    বাকী সবই ভীষণ চেনা চেনা, ছলছলে স্মৃতি। বগলামামা পিন্ডিদা পল্টু-কানু-বাঞ্চু অমরেশমামা এরাও ছিলেন ছোটবেলা জুড়ে।
  • ddt | 4512.139.6790012.6 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৭65216
  • আর একটু পিছিয়ে গেলে দেব সাহিত্য কুটিরের যুগে বগলামামা ও তার নবরত্ন বেশ ছিল (রাজকুমার মৈত্র?)। আরো পিছিয়ে নরেন্দ্রনাথ মিত্রের জ্যাঠতুতো-খুড়তুতো চার ভাইয়ের এক সিরিজ (চরিত্রগুলোর নাম ভুলে গেছি)। অমরেশ সিরি্জে বালক চরিত্র না থাকলেও দেব সাহিত্যের শারদীয় সংখ্যাতে বেরোত।
  • kihobejene | 3478.223.4567.61 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:০৪65217
  • Runu khub bhalo laagto kintu trilogy r first paart tai bar bar pora; jotodur mone porche kothao porechilam lekhak er uttorshuri r publishers der jhamelai 2nd r 3rd part sebhabe bajare beroi ni; tobe first part ta osadaron ...

    lekhon bolchen je Runu nomoshudro jati .. srmiti jodi fail na kore amar mone hoche Runu brahmin chilo karon he goes to stay with the "Kar"s who are in different village and sekhane ek kakima bolen je Runu ke nijer bason nijei dhuye nite hobe karon he is of higher caste :-) in any case probably immaterial in broader contest ...

    tobe khub interesting laagto jekhane runu ekta note (not written hy him) hubuhu same likechlio (ekbar dekhe) karon he had photographic memory ...

    and chua was so special ... uponashsher sheshe runu babar shonge nouko kore chole jache .. sobai noditire dekha korte esechilo ... ashe ni sudhu chua
  • প্রতিভা | 2345.110.673412.86 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:১১65210
  • আর একটা ছক্কা হল, কুশান।
  • শর্মিষ্ঠা | 7845.11.90089.253 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:৩২65211
  • ঝরঝরে সাবলীল লেখা ,অনেক পুরানো স্মৃতি উসকে দিলো ♥♥
  • অনিরুদ্ধ সরকার | 670112.202.452312.82 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৪৯65212
  • আমার এক বাল্যচিত স্বভাবের কথা কারো সঙ্গেই সেয়ার করব না ভাবছিলাম ।
    কিন্ত এখন আর অসুবিধে নেই ।
    যত পুরোনো পূজাবার্ষিকী ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে থাকি।
    তোমার লেখা সব চরিত্র গুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকে। একটা মনে পড়ে গেল "কিকিরা"!
    আর এখনও ভীষণ রকম ভক্ত আমি "রোভার্সের রয়" এর!
    দুলেন্দ্র ভৌমিক এর কিছু চরিত্র ও অসাধারণ!
    ভাল লাগত কিশোর ভারতীর অশোক সেনগুপ্তর লেখা।
    যিনি আমার মামার বাড়ির পাশের বাড়িতে থাকতেন এবং আমরা মামা বলেই ডাকতাম ।
    গ্রামের নাম ভবানীপুর
  • Deb | 23.219.781212.195 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৪৭65213
  • ভালো লেখা।
    ঋভুর শ্রাবণ সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়ের অলংকরণ সহ অপূর্ব।
    ট্যাপা মদনার পরে আরো গল্প বেরিয়েছিল।
    যেহেতু এই বিষয়ে আমার অগাধ জ্ঞান আর স্মৃতিশক্তি
  • প্রভাস চন্দ্র রায় | 785612.40.6778.26 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৪65231
  • এই চমৎকার লেখাটি আমার ছেলেবেলার স্মৃতিই কেবল নয় বড় বেলার অনেক কথাও মনে করিয়ে দিল। এখনো পুরোনো ছোটদের শারদীয়া বের করে পড়তে বসলে নতুন মনে হয়।
    এই লেখাটি পড়তে গিয়ে অনেক আগে, সম্ভবত উল্টোরথ, একটি নাটক পড়েছিলাম। নাটকটি তৎকালীন অনেক সাহিত্যিক মিলে অভিনয় করবেন বলে নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় এক রাতের মধ্যে লিখেছিলেন। নাম ভাড়াটে চাই। কেউ পড়ে থাকলে, নিশ্চিত তাঁর ভালো লেগেছে।
  • ন্যাড়া | 890112.217.782323.153 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৮65218
  • কালাচাঁদ একটি কালজয়ী চরিত্র, যে একদিন সকালে উঠে দেখে বাংলা 'ক' কী করে লিখতে হয়, তার আদ্ধেকটা শুধু মনে আছে। তবে কালাচাঁদের প্রি-কার্সর হিসেবে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে এসেছিল 'ক্লাস সেভেনের মিস্টার ব্লেক'। মফস্বলের অমন মেদুর স্কুল-স্টোরিজ আর কেউ লিখবেন না।

    কান্তি পি দত্ত-র ভোল্টুদাকে না দেখে প্রবন্ধের পৌনে এক নম্বর কেটে নেওয়া হল। বাকি দশে দশ।
  • dc | 232312.164.45900.118 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২৯65219
  • বগলামামার গল্পগুলো আমার অসম্ভব ভালো লাগতো। খুব ছোটবেলায় আমি আর মা একসাথে বসে পড়তাম আর আমি হেসে গড়াগড়ি দিতে থাকতাম। গল্পগুলো টুকরো টুকরো এখনো মনে আছে, যেমন একটা গল্পে তাহের হোসেনের মুর্গি চুরির বর্ণনা। আচ্ছা এই গল্পগুলোর পিডিএফ কি পাওয়া যায়? বা বইগুলো কিনতে পাওয়া যায়?
  • দীপাঞ্জন | 90067.181.9000112.45 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৭65220
  • রুনু যে বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করতো, সেই বাড়ির রাঙাবৌদির সাথে রুনুর এক মধুর সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। "বৃন্তচ্যূত রুণু"তে রুনু শরৎচন্দ্রের বিজয়া নাটকে নামচরিত্রে অভিনয় করেছিল আর সেই নাটকের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে রুনু আর বৌদির সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছিল। রুনু রাঙাবউদির ভাই থেকে প্রায় বোন হয়ে উঠেছিল কয়েক দিনের জন্য। হাসি, চুয়া আর রাঙাবৌদির সাথে রুনুর নিবিড় মধুর সম্পর্ক শ্যামাদাস দে সংবেদনশীলতার সাথে লিখেছিলেন তা বাংলা কিশোর সাহিত্যে সত্যি দুর্লভ। শ্যামদাসের সাথে দীনেশচন্দ্র ছিলেন, শান্তিপ্রিয়র খেলা নিয়ে লেখা (থ্রী ডব্লিউ টাই সিরিজ), নারায়ণ দেবনাথের ইন্দ্রজিৎ বনাম ব্ল্যাক ডায়মন্ড। আরও অনেক ভুলে যাওয়া লেখা - বানভাসি বলে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে লেখা একটা উপন্যাস প্রচন্ড প্রভাবিত করেছিল মনে আছে। কলকাতার কাছেই আনন্দমেলা শুকতারা পড়ে বড় হওয়ার মাঝে পত্র ভারতী অন্য দুনিয়া খুলে দিয়েছিল। একমাত্র সমতুল্য অভিজ্ঞতা পাঁচ-ছয় বছর পরে ঋত্বিক আবিষ্কার।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.4512.47 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৩65232
  • আলোচনা জমে উঠেছে। আপনাদের সবাইকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ। আমার মূল লেখাটির চেয়ে আলোচনায় আরো অনেক নাম, অনেক নিজস্ব স্মৃতি উঠে আসছে দেখে ভাল লাগছে। এই প্রসঙ্গে জানাই, এই বিষয়টি নিয়ে দেবাশিস (দেব) আলাদা একটি তথ্যমূলক ও সমৃদ্ধ টই খুলেছেন। সেটিও দেখতে পারেন। লিঙ্ক দিলাম।
    আমার এই ধরনের লেখার একটাই উদ্দেশ্য। নস্টালজিয়া উসকে দেওয়া এবং আপনাদের লিখতে প্ররোচিত করা। সে জায়গায় আমি কিছুটা সফল। কারণ আপনার নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। করুন আরো।

    দেবাশিসের লিংকটি দেওয়া রইল।

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1545020518993#writehere
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:০৯65233
  • খুবই উপভোগ্য - মূল লেখা এবং মন্তব্যসমূহ
  • স্বাতী রায় | 781212.194.1245.88 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:১৩65221
  • সাধু কালাচাঁদ দারুন প্রিয় ছিল - উফ সেই কোরা ধুতির তলা দিয়ে পরীক্ষার হলে টোকার গল্প - !

    আচ্ছা আর গোমো স্টেশনে দেখা করে সেই যে ছেলেগুলো পুজোর ছুটিতে বাড়ী ফিরত, তিনি কোন দাদা বা মামা ছিলেন? কোলিয়ারী অঞ্চলের গল্প - কিছুতেই মনে পড়ে না।

    রুকু-সুকু ও ভারী প্রিয় ছিল, এখনো পড়তে গেলে ভাল লাগে। আর রুকু-সুকুর সঙ্গের ছবিগুলোও খুব মনকাড়া ছিল।

    আর খুব ভাল লেগেছিল সন্দেশে ধারাবাহিক ভাবে বেরোন রেবন্ত গোস্বামীর একটি লেখা - টপ্পা ছিল তার নায়ক। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম পরের কিস্তির জন্য। বই টার নাম আর মনে নেই। কারোর মনে থাকলে জানাবেন?
  • সুহাসিনী | 12.39.787812.145 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:২৫65222
  • তেমন-কেউ-না সাধু কালাচাঁদ খুব প্রিয় ছিলো তখনও, আর এখনও। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও এক খানা বই ছিলো - ক্লাস সেভেনের মিস্টার ব্লেক। হলদে রঙা প্রচ্ছদে দুষ্টুছেলের ছবি ছিল। তার বোধ হয় আর একটা পার্টও ছিল - সমুদ্রে কোথায় কোয়েশ্চেন পেপার ছাপা হয় সেই অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে। এটা বোধ হয় তত ভালো লাগেনি। তবে কালাচাঁদ আর অমিয়গোপালের বন্ধু মিস্টার ব্লেককে একটুও ভুলে যেতে চাই না।
  • | 342323.191.1256.108 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:৩৫65223
  • স্বাতী রায় ঐ দুই নং বগলামার নবরত্ন। হাবু কেবু সাধন ইত্যাদি।
  • মানস মন্ডল | 127812.51.457812.148 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৪65224
  • নিদারুন সত্য কথা । শৈশব উসকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.1245.88 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:১২65225
  • ধন্যবাদ দ - দুষ্টুমিগুলো খোপে খোপে বসে গেল :D
  • অপ্রয়োজনীয় | 785612.49.9001223.39 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:০০65226
  • ছোটবেলা ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ।
    গোগোল, পিন্ডিদা, রুকু সুকু, কাবুল আর টাবুল আর কিকিরা
  • বগলামামা | 785612.49.9001223.39 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:০৭65227
  • আচ্ছা আর গোমো স্টেশনে দেখা করে সেই যে ছেলেগুলো পুজোর ছুটিতে বাড়ী ফিরত, তিনি কোন দাদা বা মামা ছিলেন? কোলিয়ারী অঞ্চলের গল্প - কিছুতেই মনে পড়ে না।
    - বগলামামা
  • dc | 232312.164.45900.118 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৬65229
  • উফ বগলামামাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সামনেই ক্রিসমাসের ছুটি আসছে, গল্পটা জমিয়ে পড়বো ঃ)
  • স্বাতী রায় | 781212.194.1245.88 (*) | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৫৩65230
  • থ্যাঙ্কু বগলামামা
  • কুশান | 238912.66.4512.47 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১৯65234
  • ও হ্যাঁ, বগলামামাকে স্পেশাল থ্যাংকস।
    :-)
  • দীপাঞ্জন | 90067.181.9000112.45 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪২65244
  • কেউ কেউ নিশ্চয়ই পড়বে, কিন্তু সংখ্যাটা খুবই কম মনে হয়। আমাদের সময়ও যে খুব বেশি সংখ্যায় বাচ্চারা পড়তো তা তো নয়। ভেবে দেখুন আপনাদের ছোটবেলার পাড়াপ্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কত শতাংশ প্রান্তিক বাংলা কিশোর সাহিত্য পড়তো বা পড়ে আলোড়িত হতো। আনন্দমেলা কত বিক্রি হতো পশ্চিমবঙ্গে? কিশোর ভারতী বা দেব সাহিত্য কুটির পূজাবার্ষিকী আরও কম। অনেকেই ওই পত্রিকাগুলো পড়লেও শুধু কমিকস পড়তো - বাঁটুল, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে আর ব্ল্যাক ডায়মন্ড। শ্যামাদাস দে বা শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় পরে মুগ্ধ পাঠকপাঠিকার সংখ্যা তখনও নগন্য ছিল।

    দুরকমের দূরত্ব - ভাষাগত দূরত্ব আর অভিজ্ঞতা ও কল্পনার অভাবজনিত দূরত্ব। তিরিশ-চল্লিশ বছর পরে ভাষাগত দূরত্ব অনেক বেড়েছে বলেই মনে হয়। বাংলাদেশের বাস্তবতা জানিনা, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষাই যেখানে বিপন্ন ও প্রান্তিক, সেই ভাষায় লেখা প্রান্তিক কিশোরে সাহিত্যের আবেদন কমাই স্বাভাবিক। তার ওপর অডিওভিসুয়াল মিডিয়ার আক্রমণে ভাষা নির্বিশেষে সারা পৃথিবীতেই শব্দের শবযাত্রা।

    অভিজ্ঞতা আর কল্পনার ধারাবাহিকতাও মনে হয় অনেকটা হারিয়ে গেছে। যে শ্যামল বাংলা ও বাঙালির স্মৃতি থেকে শ্যামাদাস বা শ্যামল
    লিখতেন তা কিছুটা হলেও শহর মফস্বলে তিরিশ চল্লিশ বছর আগে বেড়ে ওঠা কল্পনাপ্রবণ বাঙালি কিশোরে কিশোরীর অভিজ্ঞতার আওতায় ছিল। সরকারি বেসরকারি বাংলা স্কুলে বিভিন্ন আর্থসামাজিক স্তরের মধ্যে মানসিক আদানপ্রদান ছিল। প্রাক-৯১ অর্থনীতিতে বিভিন্ন স্তরের মধ্যে জিনিও কম ছিল। প্রতি পুজোর বা গরমের ছুটিতে গ্রামে ফেরা ছিল। তা না থাকলেও শিশু মহল ও গল্পদাদুর আসরে বাংলা গান কবিতা ছিল। সে গান কবিতায় বাংলার গ্রাম, নদী, গাছ, আগাছা ছিল। তাই বহির্মুখী পাশ্চাত্যয়িত নাগরিক ফেলুদা-কাকাবাবু-অর্জুন-শঙ্কু-গোগোলের পাশাপাশি অন্তর্মুখী শিকড়খোঁড়া রুনু-কালাচাঁদ-বগলামামা-ট্যাঁপা-পটলা জায়গা পেত - আজ কি আর তা সেভাবে সম্ভব?

    তবে আমি একুশ বছর দেশছাড়া আর স্বভাব নিরাশাবাদী। যাঁরা দেশে আছেন, বাঙলা ভাষাসাহিত্যের প্রকাশনার সাথে যুক্ত, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।
  • Deb | 23.219.781212.195 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭65235
  • ধন্যবাদ কুশান।
  • pi | 4512.139.122323.129 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৫65236
  • দুঃখিত, অন্য টইতে চলে গেছিল। প্রশ্নটা এই লেখা আর তার সূত্রে দেবের টইতে করার ছিল।
    এই যে এত আক্ষেপ করা হয়, এখনকার শিশু কিশোররা বাংলা পড়েনা, তাদের উপযুক্ত সেরকম ভাল সেরকম বই নেই বলে, মানে মূল কারণ সেটা অনেকেই বলেন, তো এই বইগুলো তারা পেলে পড়বে মনে হয় ? না পড়লে কী কী কারণে না ?
    রাশিয়ান বইয়ের প্রোজেক্ট নিয়েও জানার ইচ্ছে ছিল, ওমনাথরা এত সুন্দর করে স্ক্যান করে সব ফিরিয়ে আনল, এখনকার বাচ্চারা তো কম্পুতেই সেসব পড়তে পারে বা মোবাইল। ফিডব্যাক কী ?
  • কুশান | 238912.66.2312.239 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৫65237
  • Pi, তোমার কথার সূত্র ধরে বলি, দ্যাখো, রাশিয়ান বই বাংলায় আমরা পড়েছি চুটিয়ে। বাংলায় অনুবাদ করতেন ননী ভৌমিক, মঙ্গলাচরণ এমনকি সমর সেনের অনুবাদে পড়েছি। অসামান্য অনুবাদ।

    তো, এখন তুমি হ্যারি পটারের সমতূল্য অনুবাদ বাংলায় করতে পারবে? এত ল্যাটিন আমেরিকার চমৎকার সাহিত্য, তুমি বাংলায় অনুবাদগুলো পড়ো, পড়তে হোঁচট খাবে।

    আনন্দমেলা তে টিনটিনের অনুবাদ অসামান্য হতো বলেই তা এত কিশোর পাঠক পেয়েছিল।
    একটা ব্যক্তিগত কথা বলি। আমি সম্প্রতি আমার মেয়েকে' বুরাতিনোর কান্ডকারখানা' দিলাম। পড়ে ও উচ্ছসিত। রাশিয়ান থেকে অনূদিত।

    ছোটদের লেখা, যদি বিদেশি সাহিত্যের হয়, প্রথম শর্ত হল সহজ ও চমৎকার গদ্য।

    আরেকটা পয়েন্ট, আমরা ইস্পাত বা মাকারেঙ্ক ভালবাসতাম কারণ তখনো সোভিয়েত টিঁকে তো ছিল। আর্কাদি গাইদার পড়ে আমরা যে প্রেরণা পেতাম, আজকের ছোটরা না পেলে, দোষ তাদের নয়, দোষ সময়ের।

    বিদেশি বইয়ের অনুবাদ তো ছাড়ো, আমরা দেশি জিনিস রাখতে পারি না। এই যে রুনুর উপন্যাস নিয়ে এতজনের এই হাহাকার, এই হাহাকার আমার ছিল। দোকানে দোকানে ঘুরেছি, রুনুর উপন্যাস যদি পাওয়া যায়। ভাবতাম এ শুধু আমার খামখেয়াল আর পাগলামি। আজকে এই লেখা পড়ে যারা রুনুর খোঁজ আমারই মত করছেন, তাদের লেখা মন্তব্য পড়ে দেখছি শুধু আমি একা নই, আরো অনেকে পাগলের মতই খুঁজেছে।
    যাঁরা রুনু পড়েননি, তারাই বুঝবেন, ও জিনিস আর হবে ন্স। এবং ঐ লেখা 13-14 বছর বয়সের কাঁচা ও টাটকা আবেগ নিয়ে পড়ার।
    যে বিবর্ণ অথচ জীবন্ত চরিত্রগুলোর জন্য আক্ষেপ ছিল, এখন অনেকের লেখা থেকে বুঝতে পারছি এই আক্ষেপ আমাদের সেই নিহত কৈশোরের। সময়টাই যে হারিয়ে গেছে!!
  • Deb | 23.219.781212.195 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২৩65238
  • কুশানের সঙ্গে সহমত। ভাষার লুসিডিটি, মৌলিক হোক বা অনুবাদ, আমার কাছে একটি গল্পের পাঠক হওয়ার প্রাথমিক শর্ত। কনটেন্ট তারপরে। সে যতই বৈপ্লবিক হোক না কেন। আমায় যদি কোনো লেখক টানতে না পারেন, আমিও তাঁকে জোর করে টানবো না।

    সময়ের জিনিসটা সময়ে পড়তে হয়। না হলে পরে আবেগ মরে যায়। ঠিক।

    আর একজন হ্যারি পটারের অন্ধ ভক্ত হিসেবে বলতে পারি ওটা ইংরেজিতেই পড়া হোক। যেহেতু ওটা অপরিচিত কোনো ভাষা নয়। হ্যারি পটারের মূল জাদু কিন্তু জেকেআরের ল্যাঙ্গুয়েজ।

    আর রুনু ও বগলামামা নিয়ে আমার ধারণা - ইন্টারনেটে এই পাবলিক ডিমান্ড বর্তমান প্রকাশকরা নজর রাখছেন। খুব শিগগিরই ই হয়তো বেরুবে। হয়তো কপিরাইট নয় সমস্যা চলছে। রুনু হয়তো বুক ফার্ম বের করতে পারে, আমার স্পেকুলেশন। কারণ, ওর কোনো গল্প ইন্দ্রনাথ তাঁর ব্লগে দেননি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন