এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চিন্টুর মুম্বাইদর্শন

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ জুন ২০১৫ | ৪৪৬৯ বার পঠিত
  • শিবাংগী বলেছিল, এ শহরে ডিসেম্বরেও ফ্যান চালাতে হয়। হাঁ করেছিল চিন্টু। হাঁ-করা তার পুরনো অভ্যেস। হাভাতে এক শহরতলীর হাঘরে, উঠে এসেছে ধ্যাবড়া এক চাকরি নিয়ে। চাকরিটা তার ‘ধ্যাবড়া’ মনে হয়, প্রায়ই যখন আগাগোড়া বাংলা মিডিয়মকে অনুবাদ আর উচ্চারণ গার্গল করে টিম কনফারেন্সে স্লাইড-শো’র আঁচে ট্যাঁস ভাষায় ডেমো দিতে হয়। এই ‘ট্যাঁস’-টাও এত হুহু বদলে চলেছে, সেটাও সে সাঁতরে ধরার চেষ্টা করে। প্রাথমিক মোলাকাতে লোকজন এমন ভাব দ্যাখায়, যেন ‘হাই বাডি’ বলে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। সঙ্গে ‘হট’, ‘খিউল’ (ইয়ে, কুল), ‘ওয়াও’-এর গুঁতো। ভারতবর্ষ লড়ে যাচ্ছে এখানে পৌঁছতে; আর এরা লড়ছে ইউকে, স্টেটস, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছতে। প্রতি দ্বিতীয় নাগরিক মানত রেখেছে, ‘শিকে ছিঁড়ে ভিসা পেড়ে দাও, মা!’ স্বপ্নাদেশ আসলেই, বিয়ার টেনে শিরডি কিম্বা জুতো ব্যাকপ্যাকে গুঁজে সিদ্ধিবিনায়ক। ভূগোল আর হিন্দি সিনেমা থেকে চিন্টু জেনেছিল, বম্বে, থুড়ি, মুম্বাই (বালাবাবুর চ্যালারা চ্যালাকাঠ বানাতে পারে) সমুদ্রতীরের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল। হররোজ উপচে ওঠা মানুষ আর গাড়ির ভিড় ওই ধারণাটাকে উষ্ণতার নাতি বানিয়ে ছেড়েছে। পিক আওয়ারের লোকাল ট্রেনে পাবলিক একটা নাটবল্টু পেলেও নিজেকে টাঙিয়ে দ্যায়। কোনও কোনও রাউডি রাঠোড় যদিবা ভেতরবাগে সেঁধোয়, ভিড়ের ঠ্যালায় বাকি পথটা ফিল্মফেয়ারের ত্রিভঙ্গ স্ট্যাচু। এক-একটা হ্যান্ডেলে সতেরোটা হাত। কানের লতিতে ঘাম গড়ালে বা কুঁচকিতে ফুসকুড়ি উশখুশোলে চোখ বুজে স্রেফ ইষ্টদেবতা স্মরণ। নাস্তিকরা অবশ্য সেটাকে গার্লফ্রেন্ডের স্মার্ট খুনসুটি ভেবে নেয়।

    চিন্টুর টিমে একঝাঁক ছটফটে মেয়ে। শিবাংগী, শালিনী, পুনম, ডোরিন, ময়ূরী। উইকএন্ডে তারা প্ল্যান বানায় পিকনিকের। সিবিচের পাশে এক ওয়াটার পার্ক। শহরে নতুন এবং সঙ্গীহীন চিন্টুকেও ডেকে নেয় ওরা। তরঙ্গ-উচ্ছলিত এতগুলো যুবতী জলকেলিতে একযোগে – রোমাঞ্চ-হিল্লোলে সে তো প্রায় হাফ-সেদ্ধ! অফিস-ক্যাবের গোলমাল থাকায় একাকী পুনমকে একবার রাত সাড়ে-বারোটায় পৌঁছে দিতে যায় ওর ফ্ল্যাটে। পুনমের মা ভিনদেশি ছেলেটিকে আপন আত্মীয়ের মতো মেনে নেন। এখানের মানুষের এটাই ধর্ম। এই শহর এভাবেই সকলকে নিজের করে নেয়। কলোনিয়াল প্রথামাফিক বসকে ‘স্যার’ বলতে হয় না। তারা নিজেরাই বলে দেন সরাসরি নাম ধরে ডাকতে। কোম্পানির আরএনডি ম্যানেজার, কাজ শেষে একদিন, রাত আড়াইটেয় চিন্টুকে নিয়ে যান এলাকা চেনাতে। উদ্ধত আলো আর উদ্দাম বাজনাওলা একটা বাড়ির সামনে সে আবার হাঁ। যশ চোপড়ার পোস্টারেও এত এত সুন্দরী একসঙ্গে দ্যাখেনি লাইফে! ম্যানেজার ফিসফিসোয়, “অপ্সরা নয়, ওরা বার ড্যান্সার!” হিন্দি ফিল্মে যদিও আজও খলবলাচ্ছে ‘আও রাজা’ বা ‘ফ্যাবিকল’ জাতীয় সিকোয়েন্স – আসলি মুম্বাইতে ওরা বহুদিনই হাপিশ। নানা অন্ধকার ধান্দায় ছড়িয়ে পড়েছে নিউ মুম্বাই আর থানে সংলগ্ন এরিয়ায়। মূল শহরে রমরমিয়ে পাঁচতারা যৌনব্যবসা, বিজনেস ট্যুরে কনভেন্ট এডুকেটেড এসকর্ট অথবা টোয়েন্টি-ফোর বাই সেভেন চাইলেই আপনার রুমে ম্যাসাজ হেভেন। আসলে এসব ‘ক্লিনমুম্বাই’ শুচিবাইয়ের সাইড এফেক্ট। যেমন, ফৈজাবাদের তেওয়ারি। ফোর্টের ফুটপাথে চা বেচত। রাতারাতি তাড়া খেয়ে, বউ-বাচ্চাকে গাঁওয়ে ছেড়ে, এখন মালাডে জুতো পালিশ করে। রাত্রে একটা দোকানের হাতায় শোয়। দোকানদার দয়া করে বারান্দার কোণাটুকু ছেড়েছে। চিন্টু দেখেছে, এ শহরে চা-দোকানের থেকে শুঁড়িখানা অনেক বেশি। এমনকি চোলাই খাওয়ারও যে সুসজ্জিত বার হতে পারে, তা-ও সে এখানেই জেনেছে। আরও অদ্ভুত, প্রায় প্রতিটি বারের নামকরণে হিন্দুয়ানি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। দেবীকৃপা বিয়ার পাব। সাঁইসন্ত লেডিজ বার। হরিপ্রসাদ পারমিট রুম।

    ‘ক্লিনমুম্বাই’-এর থিওরি মেনে বেশির ভাগ নতুন কোম্পানি বাড়তে থাকা মুম্বাইতে। গালভরা প্রি-লেজুড় ‘সাবার্ব’ কিম্বা ‘গ্রেটার’। পাওয়াইতে হিরানন্দানি। গোরেগাঁওতে রাহেজা। আইরোলিতে মাইন্ডস্পেস। বছর দশেক আগেও পাত্তা না-পাওয়া জায়গারা পাহাড়-জঙ্গল মুড়িয়ে বিশ-বাইশতলা ঘাড়ে উঠে গেছে জাতে। কোনও কোনও ম্যানগ্রোভ এরিয়ায় প্লাস্টিকের ডাঁই ঢেলে ঢেলে হয়ে চলেছে রেসিডেন্সিয়াল অ্যাপার্টমেন্টের হুড়ুদ্দুম কাজ। ফুট পঞ্চাশেক নিচেই হয়ত পাওয়া যাবে চোরাগোপ্তা খাঁড়ি। কিছু ভূবিজ্ঞানীর ধারণা, বহু বহু বছর আগে এখানে ছিল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, যা এখন সমুদ্রের নীচে। অশোকের পরবর্তী বৌদ্ধরা বেছেছিল এখানের নির্জন চরাচর। কানহেরি আর মহাকালির গুহাগুলো এখনও চিন্টুকে পৌঁছে দ্যায় সেই আদিগন্ত অপার চিরকালীন ভারতবর্ষে। শ’দেড়-দুই বছর আগেও তো জায়গাটা টুকরো টুকরো সাতটা দ্বীপ ছিল। স্থানীয়রা পেশায় ছিল মেছুড়ে। ক্রমে বন্দর এল। পর্তুগিজ আর ইংরেজ এল। শুরু হল ব্রিজ বেঁধে বেঁধে জুড়ে দেওয়া। পাহাড়ের পেট ফাটিয়ে ট্রেনপথ। দেশভাগের আগে-পরে এল কিছু লড়াকু উদ্বাস্তু, পরে তাদের কেউ কেউ হয়ে উঠল সেলিব্রিটি। আশির দশক থেকে পুরনো চালি আর খোলি, যা ছিল প্রধানত মিল-শ্রমিকদের আবাস, সস্তা দরে কিনে চারিপাশে ছড়িয়ে দেওয়া হল বিল্ডিং। টাওয়ার। দাদারকেও এক সময় ‘সাবার্ব’ বলা হত। সেটা ছাড়িয়ে হল বান্দ্রা। জুহুতে বসতি বেড়ে বেড়ে ছুঁয়ে দিল আন্ধেরি। এক সময় বোরিভেলিও আর ব্রাত্য রইল না। এখন তো ওয়েস্টার্ন লাইনে এগোতে এগোতে মিরা রোড-ভাইন্দর পেরিয়ে ভিরার অব্দি প্রায়-মুম্বাই। আর সেন্ট্রাল লাইন কল্যান ছাড়িয়ে হাত রেখেছে কারজাত-কাসারার দিকে। হার্বার লাইনে কয়েক বছর আগের ভাসি-পানভেলকেও চেনা দায়। খারগারে এসে গেছে নতুন এয়ারপোর্ট। চিন্টু চোখ বুজলে দেখতে পায়, দিন-কে-দিন জায়গাটা যেন লম্বাটে লেড়ো বিস্কুট, যার দক্ষিণ আর পশ্চিম অনবরত ডুব মারছে আরবীয় চায়ের গ্লাসে। আচ্ছা, ভিজতে ভিজতে বিস্কুটটা যদি আধখানা ভেঙে যায় গ্লাসের ভেতর? বা, ভগবান নামের বাচ্চাটা একদিন টুক করে এক টুকরো চাখে? চিন্টু চমকে উঠে চোখ খুলে ফ্যালে। সামনে নতুন বিল্ডিঙের জন্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়। ট্রাক-বোঝাই পাথর চলেছে মাল্টিন্যাশনাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে। দগদগে পাহাড়ের ঘা চুঁইয়ে নামছে পাথুরে জল। গুম গুম শব্দে বিশাল একটা চাঁই খুলে পড়ে পাশের টাওয়ারের পার্কিং-এ। দুটো গাড়ি তুবড়ে যায় পলকে। সিকিউরিটি হাত নাড়ে, “সব ঠিক হ্যায়, সাব।” দড়ি-ঘেরা ব্যারিকেডে উঁকি মেরে, পরে চিন্টু দেখেছে, শুকনো লাল ছোপ। রক্তের দাগ কি না, কেউ কারুর কাছে জানতে চায়নি।

    এ শহরের বেশ কয়েকটা মিডিয়াখ্যাত দুর্যোগ সে দেখেছে। ২০০৫-এর ২৬শে জুলাই। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি গোটা মুম্বাইকে ধস্তে দিয়েছিল। লাইট, খাবার, ফোনের নেটওয়ার্ক – কিছুই নেই। প্রোডাকশন ফ্লোরে অফিসের ভিপি থেকে হাউসকিপার – ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ঠায় জেগে, সারা রাত বসে। জল ফুরিয়ে যাওয়াতে উনিশতলার টয়লেট দুর্গন্ধে মাৎ। জানলা দিয়ে বোতল বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরে খেতে হচ্ছিল। রাস্তায় আটকে যাওয়া গাড়ির ভেতরেই মারা গেছিল অনেকে। হাইওয়ের ধারে জোগেশ্বরির খাটালে বেঁধে রাখা মোষেরা মারা গেছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। পরবর্তী দিন পনেরো হাইওয়ের দু পাশে মৃতদেহের পচা বদবু এলোমেলো হাওয়ায় জানান দিত। ২০০৬-এর ১১ই জুলাই। সিরিয়াল ট্রেন ব্লাস্ট। সন্ধে থেকে বন্ধ এ শহরের লাইফলাইন। সারা রাত। সাধারণ নাগরিকেরা পথের দু ধারে নেমে এসে কাজফিরতি মানুষদের নাগাড়ে বিলোচ্ছিল চা-জল-খাবার। পরের সকালে আবার সবকিছু নর্মাল। মানুষ আবার যে যার কাজে স্বাভাবিক। ২০০৮-এর ২৬শে নভেম্বর। কাসাভ-কাহানি। সিএসটি স্টেশন চত্বরে লাগাতার ফায়ারিং। সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি, প্রকৃতি, আর হালের টেররইজম – অনেকেই ব্লেড মেরেছে মুম্বাইয়ের গোড়ালিতে। ঘেঁটি টিপে চুবিয়েছে জলে। তবু সে ঘাড় নোয়ায়নি। কোনও কিছুই ভাঙতে পারেনি এখানের ‘চরৈবেতি’ প্রাণ। চিন্টু বুঝেছে, চলতে থাকাই এ শহরের মন্ত্র। এ শহরের দর্শন।

    এমনকি ভিখিরিদেরও শিফট বদলায় এখানে। যে স্কাইওয়াকের নীচে সকালে কোলে-বাচ্চা মহিলা, সন্ধেয় সেখানে হাত-বাঁকা অন্য কেউ। আমেদাবাদের কীর্তি বুঝিয়েছিল, অফিসমুখো ম্যাডামজিদের মায়া টানতে মা-শিশুর কৌশল, আর সুজ্যি ডুবলে রঙিন-ফুর্তির বাবুদের করুণার ময়দান খিঁচতে বিকলাঙ্গ। এ শহর বোঝে, ঠিকঠাক কায়দা জানলে ভিক্ষেটাও কি করে ব্যবসা হয়ে যায়। হোয়াইট গোল্ডের ব্যবসা ছিল জিগনেশদের। ঝাড় খেয়ে বেচে দিয়েছে। ড্রয়িংরুমের ডিভান তুলে মাতাল জিগনেশ একদিন দেখিয়েছিল কাঁচা টাকার বান্ডিল, থরে থরে সাজানো। ওরা এখন ক্রিকেট বেটিং-এ টাকা লাগায়। এখানের কলেজে-পড়া ছেলেমেয়েরাও আওড়ায় সেনসেক্স আর নিফটির ঘোরপ্যাঁচ। বাড়ির নির্ভরতা এড়িয়ে ওরা চায় নিজে কিছু করতে। পঙ্গু বাবাকে অবসর দিয়ে উনিশ বছরের দিশা চাকরি করে, করেসপনডেন্সে এমসিএ। নিজের বিয়ের খরচ সে নিজেই জমায়। অথবা একুশ বছরের রাকেশ। চাকরি নয়, সে স্বপ্ন দ্যাখে, একদিন হবে এক শেয়ার ব্রোকিং হাউসের মালিক। চিন্টু হাঁ করে দ্যাখে, মানুষ দিব্যি এখানে তরকারি কেনার প্লাস্টিকে লাখ লাখ টাকা মুড়ে হাতে ঝুলিয়ে ঘোরে। হয়ত ও পাশের লোকটার পকেটেই রয়েছে কোটি টাকার টুকরো হিরে। যে কোনও ফ্ল্যাটের ডিলে কত যে ব্ল্যাকমানি লেনদেন হয়, তার ইয়ত্তা নেই। তবু এই যে ধিংকাচিকা ধোয়ামোছা শহর, এই যে নিয়ত আদেখলা ‘মার্চ-অন’ ভিড়, এই যে জনগণবৈভবনায়কজয়হে – এসবের আড়াল-কাহিনি? হ্যাঁ, চিন্টু জানে, ওই সামনের গলিমুখে যে লোকটা রক্ত মেখে মুর্গি কাটে মেশিনের মতো, ও আসলে বাঙালি। চিন্টুর মতো শহুরের সামনে নিজের ভাষা বলতে লজ্জা পায়। ছোট ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতে সতেরো-আঠেরোর যে ছেলেগুলো নুডলস আর পাউভাজি সার্ভ করে – ওদের কারও বাড়ি মেদিনীপুরে, কেউ হয়ত মুর্শিদাবাদের। মাল্টিস্টোরিডের গায়ে ঝুলে ঝুলে প্লাস্টার মারে যে চেকপ্যান্ট – ওর বাড়ি খুলনা। এ শহরে, এ দেশে ওর কোনও পরিচয় নেই। পা পিছলে পড়ে মাথা ফেটে মরলেও কনট্রাকটরের কোনও দায় নেই হিসেব দেওয়ার। ওর রোগা বউটা গজিয়ে-ওঠা ফ্ল্যাটগুলোতে বাসন মাজে। ফাঁক পেলে খয়েরি দাঁত দেখিয়ে হাসে সিকিউরিটি গার্ড, শুতে চায়। বউটা ফ্যালফেলিয়ে যায়।

    আটতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চিন্টু এসব দ্যাখে। দূরে, অনেক দূরে, দ্যাখে, শচীনকত্তা হাত নেড়ে গান তোলাচ্ছে কিশোরকে। পাগলাটে কিশোর সিল্কের লুঙ্গিতে শিশু হয়ে আছে। ওদিকে রাহুল পেয়েছে এক নতুন ধুন, হারমোনিয়মে ক্রমাগত প্যাঁ দিচ্ছে সে। পাশের জানলায় দেবানন্দ বিশাল আয়নায় মুখস্থ করছে ‘গাইড’-এর ডায়লগ। আর রাজেশ ঘাড় বাঁকিয়ে বলে চলেছে, “বাবুমোশাই, জিনা হ্যায় তো বম্বেমে, মরনা হ্যায় তো বম্বেমে।” আচ্ছা, ওদের মাথার পেছনে ওই যেটা জ্বলছে, ওটা কি ফ্লাডলাইট? না, চাঁদরাত এটা? এখান থেকে চাঁদ বোঝা যায় না, জানলায় ধাক্কা খায় উলটোদিকের বিল্ডিং। কমপ্লেক্সের ছাদে হুটহাট উঠে পড়া বারণ। চাঁদ দ্যাখার জন্যে নীচে নামে চিন্টু। নবরাত্রি চলছে। সোসাইটির একফালি উঠোনে ধাঁই ধাঁই বাজছে বক্সের গান। দেশাইয়ের গিন্নি আর প্যাটেলের বউয়ের সঙ্গে ডান্ডিয়া নাচছে চৌরাশিয়া। এইবার ঢুকে পড়েছে কেরালার ডি’সুজা। ওই তো দৌড়ে আসছে সুব্রমনিয়মের মেয়ে। এসে পড়ছে চণ্ডীগড়ের বলওন্ত। গোল ছন্দে নেচে চলেছে ওরা। তালে তালে উঠছে লাঠির শব্দ। কেউ চেয়ারে, কেউ দাঁড়িয়ে তালি দিচ্ছে। চিন্টুর সামনে ঘুরে চলেছে আজকের অর্ধেক ভারতবর্ষ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ জুন ২০১৫ | ৪৪৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 109.27.138.238 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ০৯:৫০67366
  • বড়েমিঞা
  • ন্যাড়া | 109.8.155.110 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১০:০২67368
  • সিনফটের প্রথম কমেন্টটি অতীব ফানি ও ব্যাক্তিগতভাবে ইরিটেটিং, গিভেন দ্য হিস্টরি।
  • ন্যাড়া | 109.8.155.110 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১০:০২67367
  • সিনফটের প্রথম কমেন্টটি অতীব ফানি ও ব্যাক্তিগতভাবে ইরিটেটিং, গিভেন দ্য হিস্টরি।
  • kumu | 132.161.242.212 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১০:১৯67341
  • সুন্দর লেখা।
    জুহুবীচও বোধহয় বহুব্যবহৃত ও ক্লিশে হওয়াতে বাদ গেছে।যাগ্গে,বেশ লাগল।
  • উদয়ন | 160.107.176.12 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১০:৩২67342
  • হ্যাঁ, একদম ঠিক। জুহু বীচ আমার চোখে যথেষ্ট জঘন্য। বম্বের চৌহদ্দিতে আরও কয়েকটা বীচ আছে, সেগুলো যতদিন নোংরা না হয়, মঙ্গল।
  • kumu | 132.161.242.212 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১১:২৬67343
  • সমুদ্র দ্যাখেন ।সমুদ্রতট দেখার দর্কার কী।সমুদ্র দেখার জন্য আমি জল নুপুর বলে এক সিরিয়াল পর্যন্ত দেখেছিলাম।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১১:৫৪67369
  • লেখা নিয়ে কথা বলতে গেলে একটু গপ্পোগাছা তো আসবেই। নিজের গপ্পোও আসতে পারে। সেগুলো দিব্যি এনজয়েবল। এই যেমন এখানেই পাই লিখেছে। কতো জায়গায় লেখা থেকে আলোচনাও গজিয়ে ওঠে। ফলে কুমুদির মন্তব্যে আমি অ্যাট অল কোনো সমস্যা দেখতে পাইনি। উপভোগ্যই হচ্ছে।

    উদয়ন সম্ভবত নানারকম নিক দেখে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। লিখতে থাকুন, চাপের কিছু নেই, এমনিই চিনে যাবেন। আমরা একই নিকই মোটামুটি ব্যবহার করি। প্রতিদিন বদলাইনা। আর খেই হারিয়ে ফেললেও মেজাজ হারাবেন না। :-)
  • উদয়ন | 160.107.176.12 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১২:০৫67344
  • kumu , ফ্রি পরামর্শের জন্যে প্রচুর ধন্যবাদ। লেখা সম্পর্কে কিছু বললে ভাল লাগবে, নইলে এর পর অযথা বকবক বেকার।
  • Basudeb | 127.225.75.60 (*) | ২৭ জুন ২০১৫ ১২:৩৪67345
  • লেখাটা খুব ভালো লাগলো
  • Bratin | 122.79.36.50 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০১:১২67385
  • বোধি দা, লেখার সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে বলো নাহলে অযথা বকবক করো না ঃ))
  • সুকি | 129.160.188.41 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০১:১৫67370
  • লেখা ভালো লাগল

    লেখা নিয়ে কমেন্ট এবং লেখার বাইরে পাঠকের গল্প গাছা দুইই আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভালো লাগে। তবে সেই মত বিনিময়ের সময় লেখক বা পাঠক (দুই পক্ষ বা এক পক্ষ) অসহিষ্ণু হয়ে উঠলে মজাটা আর থাকে না। লেখকের অভিমান আর পাঠকের অভিমান মিলে মিশে কেস গড়বড় করে দেয় সেই ক্ষেত্রে।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০২:৩০67386
  • কি রে ভাই ! গুরুর টই মানেই তো তাই। মুম্বাই দিয়ে শুরু হবে শুভাপ্রসন্নের ফ্ল্যাট হয়ে কাক হয়ে ঝাড়ুদার পাখি হয়ে খোলা ভ্যাট হয়ে জল শোভনে গিয়ে শেষ হবে। উইকেন্ড হলে কলকাতার মেয়র হয়ে সুভাষ বসু হয়ে তোজোর কুকুর, জাপানি তেল ইত্যাদি অনেক কিছুই আসতে পারে। এখন কি সেই গরিমা টইয়ের পর নিয়ম টিয়ম পাল্টে গেল নাকি (মানে বলা ভালো, কিছু নিয়ম টিয়ম এলো নাকি? ) । তাহলে সেটার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়, নইলে আমার মত অটো চড়া (ভাবা যায়, ইন্ডিয়ায় অটো চড়ে, আবার তাতে নাকি মিটার আছে) পাতি পাবলিক সেসব জানবে ক্যামনে ।
  • S | 139.115.2.75 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০২:৩৮67371
  • লোকাল ট্রেন মুম্বাইয়ের প্রাণ। অতো তাড়াতাড়ি আর কোনো যান কোথাও পৌঁছে দেয়্না ঐ শহরে। সেকেন্ড ক্লাসে যাস্ট ওঠা যায়্না অনেক রাত অবধিও। তবে ফাস্ট ট্রেনে ফাস্ট ক্লাস মোটামুটি ৯ টার পরে ফাঁকা হয়ে যায়, তখন খুব মজা। কিন্তু গরম কালে ঐ ভীড় ঠেলে বেশিদিন চলাচল করা খুব মুশকিল হয়ে ওঠে। বিশেষত যাদের অন্য শহরে এমন একস্পি হয়নি।

    মুম্বাইতে সবকিছুর মারত্মক দাম। রিয়েল এস্টেট থেকে রেস্তোরা অবধি। কিন্তু ভ্যালু ফর মানি মনে হয় আর কোনো শহরে এতো ভালো নেই। মুম্বাইতে একটা জিন্স কিনুন হাজার ৪-৫ দিয়ে, পরেও মজা, অনেক দিন টিকবে, খুব ভালো জিনিস। কোলকাতাতে ৩ হাজারের জিন্স কিনে সেই মজা পাইনা। এইটা ব্যাক্তিগত মত। তবে কিছু ক্ষেত্রে কোলকাতার জিনিস কিনেও সন্তুস্ট হয়েছি। কিন্তু মল কালচারে কোলকতা মুম্বাইয়ের কাচ্ছে নেহাতই শিশু। প্রোডাক্ট - সার্ভিস সবই খুব ভালো, কিন্তু ফেলো কড়ি মাখো তেল। এক্দম ক্যাপিটালিস্ট শহর। বাসস্থান, শিক্ষা, আর স্বাস্থ্য - তিনটেই মারাত্মম এক্সপেন্সিভ।

    হ্যাঁ মুম্বাইতে প্রচুর গরীব লোকেরা থাকে, খুব খারাপ অবস্থায় থাকে। কিন্তু শহরটা বড়লোকেদের। মাসে মাসে বেশ ভালো টাকা আয় না করলে থাকা খুব মুশকিল। আর প্রপার্টি কেনার জন্যে হুলিয়ে ইনকাম করতে হবে। আমার মনে হয় গরীব লোকগুলো থাকে সুযোগের আশায়। এখনো ঐ শহরে র‌্যাগ টু রিচেসের অনেক গল্প জানা যায়। সেইগুলোর আশায় হয়তো লোক পরে থাকে। আর এ এক অদ্ভুত নেশা। সক্কলে দৌঁড়ে চলেছে। কে জিতবে।
  • Bratin | 122.79.37.143 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০২:৪৪67387
  • হয় হয় জান্তি পারো না!! ঃ))
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৩:২৩67388
  • সে অবশ্য ঠিক। এখানে স্লা আলোচনা করাই চাপ।
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৩:৩২67389
  • আমার মনে হয়েছিল, একটা ট্রাভেলোগ এর মত করে, একটা শহর, যেটা কিনা আমাদের দেশে আধুনিকতার মেটাফোর, সেটা নিয়ে ভদ্রলোক লিখেছেন। একদিনের বা কয়েক দিনের দেখা, আর বিচিত্র যে পেস অফ চেঞ্জ, সেটা নজর করেছেন। তো আমার তেমন ভাবে দাগ কাটে নি। হতে পারে, মুম্বাই সম্পর্কে আমি দীর্ঘদিন ধরে পড়াশুনো করছি বলে, সেটা মনে হয়েছে। স্বল্প পরিসরে আমি ইন্টারেস্টিং লেখা আমি পড়েছি। কিন্তু সমালোচনাটার এটা উদ্দেশ্য ছিল না যে শহর সম্পর্কে অবসারভেশন গুলোর দার্শনিক জায়গা গুলো কে কোনো ভাবে অস্বীকার করার। কিন্তু সেটা যে ভারতের শহরের লিভিং কন্ডিশন এর তুলনামূলক আলোচনা হয়ে যাবে আমি সত্যি ই ভাবি নি। ইয়া, দ্য রাইটার ডাজ নট নিড মাই ডিফেন্স। আমি পাঠক হিসেবে যা মনে হয়েছে বলেছি, কোনো নিয়মে লেখা বা আলোচনা বাঁধতে চাই নি।
  • pi | 192.66.3.163 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৩:৩৮67372
  • ও S, মুম্বইতে সবকিছুর মারাত্মক দাম, এমনটি নয়। ফ্যাশন স্ট্রীটে একবারটি ঘুরে আসুন। ও , ওটার কথা বোধহয় কেউ বলেনি এখনো ?
    আর পথে ঘাটে আশএপাশে গলি ঘুঁজিতে দোকান খুঁজুন, অনেক কিছু অনেক কমে পেয়ে যাবেন ঃ)। গলিঘুঁজিই বা বলি কেন, চার্চগেট, ভিটি চত্বর, জাভেরি বাজার এলাকায় ঐ কী যেন মার্কেটটা ছিল .. আর সে জিনিসপত্তর যে খারাপ, তাও মোটেই নয়। ফ্যাশন স্ট্রীট থেকে কেনা এক কুর্তি এই চোদ্দ বছর পার করে দিল। এখনো রং ডিজাইন দেখে লোকে জিগায় কোথা থেকে কিনলাম, কোন বুটিক থেকে ঃ)
    আর একটা ভাল লেগেছিল মুম্বইয়ের। লোকজন যে যেমন কাজ ই করেন না, মোটামুটি বেশ ফিটফাট, সুবেশ, সুবেশা, ফ্যাশনেবলও। জানিনা এসব ফ্যাশন স্ট্রীটের মত জায়গার সুফল কিনা, কিন্তু এই ব্যাপারটি বেশ ভাল লাগত। আমাদের ইন্স্টিটিউটের বাসে যখ্ন প্রথম উঠি, কে রিসার্চ স্কলার, কে সিকিওরিটি গার্ড, কে সাফাই কর্মী, কে ক্যান্টিনের ওয়েটার, কে ফ্যাকাল্টি, আলাদা করে কিছুই বুঝতে পারিনি। শুধু সাজপোশাক বলেই নয়, কথাবার্তা ধরণধারণ সবকিছু দিয়েই।

    চার্চগেটের ওদিকটায় তো ফুটপাথে ঢেলে বিকোতো বইপত্তর, অসম্ভব শস্তা দামে। খুঁজলে মণিমুক্তোও পাওয়া যেত। আর ছিল স্ট্র্যান্ড বুক স্টলের মত দোকান। কত নানা বিষয়ের নানা রকম বইয়ের কালেকশন ছিল আর দোকানের মালিক শুনেছিলাম বই পাগল, খুঁজে পেতে নিয়ে আসেন। পাগল বলেই বছরে মাঝেমধ্যেই অসম্ভব রকম সেল দিয়ে সেই বইগুলো সবাইকে পড়ার সুযোগও করে দিতেন। ভদ্রলোক কীসব যেন পুরস্কারও পেয়ে ছিলেন। ওঃ, এই তো পেয়েছি। গুগলবাবা কল্পতরু। পড়ে দেখুন, ভারি ইন্টারেস্টিং।
    http://www.strandbookstall.com/aboutstrand.aspx

    দাম যেটার অসম্ভব বেশি, সেটা হল প্রপার্টি। সেজন্যই অন্য অনেক শহরে পাকা বাড়িতে থাকতে পারার মত লোকজনও মুম্বইতে চউলে থাকেন। আর ধারাভির কথা তো লোকজন জানেনই নিশ্চয়।

    শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাইভেট স্কুলগুলোতে অন্যান্য রাজ্যের থেকে দাম কত বেশি জানিনা, আমার পরিচিতদের সবার বাচ্চাই প্রায় নেভিনগর বা বার্ক বা আই আই টি র কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে।

    স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কিছু নামকরা ডাক্তারের ফিজ বেশ বেশিরকম বেশি ছিল, তবে আবার বম্বে হাসপাতাল এর মত জায়গাও ছিল, যেখানে প্রায় বিনা পয়সাতেই তো চিকিৎসা হত, আর ভাল চিকিৎসাও। নাকের ফাংগাল ইন্ফেকশন নিয়ে মুম্বই মোটামুটি চষে ফেলতে হয়েছিল। ওখানেই ডঃ হিরানন্দানির মত ভগবানকেও দেখেছিলাম। বম্বে হাসপাতালেই নয়, নিজের প্রাইভেট চেম্বারেও দেখতেন অনেক কম ফিজে। কেউ গরীব শুনলে টাকা মকুব। এমনকি এই অধমকে স্টুডেন্ট বলেও অনেক কম টাকায় অনেক কিছু দেখে দিয়েছেন।

    আর ছিল নানাবিধ মেলা, নাটক, ফেস্টিভাল। সেও যেমন একদিকে নাসিরউদ্দীনদের নাটক প্রচুর পয়সা ফেলে দেখতে হত, আরে কী যেন নাম ছিল জায়গাটার .. সেখানে গেলে একাডেমির কথা ভেবে তুলনা করে খুব দুঃখু হত ঠিকই , কিন্তু এতরকম ফেস্টিভ্যাল ও অন্যত্র এত ভাল কিছু অনুষ্ঠানও হত যে, খোঁজখবর রাখলে অ্যাফোর্ডেবল টিকিট ঠিক যোগাড় হয়েই যেত, আফশোস তেমন থাকতো না। ফ্রি তেও কিছু কম ভাল জিনিস দেখি নাই।
    ধুর ! কালাঘোড়া ফেস্টিভ্যালের কথা মনে পড়ে মন হুহু করে উঠলো ঃ(

    আমার মুম্বইতে থাকা তো ছাত্রাব্স্থায়। তখন রিসার্চ স্কলারদের কতই বা আর স্কল হত। যদিও থাকার খরচা নিয়ে ভাবতে হয়নি, আর সেটা মুম্বইয়ের জন্য অনেক, স্বাস্থ্যের খরচও বেশ কিছুটাই, তাও , তাও বলবো যা টাকা পেতাম তা দিয়ে পাঠিয়ে টুঠিয়েও দিব্বি মজাসে কাটিয়েছি। হ্যাঁ, প্রচুর নামি দামি রেস্তোরাঁ বা মলে ঘন ঘন যেতে হলে হয়তো হত না, কিন্তু সেসবে কোনোদিনই তেমন মজা পায়িনি বা বলা ভাল, সেসব বাদেও দিব্বি মজায় দিন কাটানো যায়।

    কোলকাতার পরের পছন্দ বললে, আজও বলব, মুম্বই ঃ)। কেমন একটা প্রাণের আরাম মেরি জান টাইপের ব্যাপার আছে মুম্বইয়ের মধ্যে ঃ)
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৩:৪০67390
  • প্লাস চাইলে যেন লোকে শুনে উদ্ধার করে দেবে ঃ-))) দিস ইজ অ্যান আনবিলিভেবল প্লেস। এর পরে লেখা পড়ে কমেন্ট না করলে তাপস দাশ গাল দেবে মাইরি, বলবে হানি তুমি পড়ো না কেন, এ অইত্যাচার আর সইহ্য হয় না, তাপস তুমি ব্যক্তিগত ভাবে মাল খাওয়াও, নইলে তোমার আমার মুম্বাই এর কারোর ই প্রায়শ্চিত্ত হবে না ;-))))))))))))))
  • তাপস | 126.203.196.14 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৩:৫৬67391
  • :-)
  • shibir | 113.16.71.17 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৪:০৬67392
  • মুম্বাই নিয়ে যখনই কোনো মুভি দেখি কেমন যেন ওখানে না যাওয়ার একটা ইচ্ছা তৈরী হয়ে যায়। এই লেখাটা বা পরের কমেন্টস গুলোয় তার বাতিক্রম নয়।
    আচ্ছা S মুম্বাইতে আমি যদি একটা লি/লিভাইস এর জিন্স কিনি সেটা বেশি টেকসই বা আরামদায়ক হবে কলকাতার লি/লিভাইস এর থেকে ? এটা জানা ছিলনা যে এই জিন্স কোম্পানি গুলো শহর স্পেসিফিক জিন্স বানায়।
  • shibir | 113.16.71.17 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৪:০৯67393
  • কেউ লুরু নিয়েও একটা এরকম লেখা নামাক না। আমি লিখতে পারলে আমিই লিখতাম কিন্তু সেত হবার নয় তাই যারা পুরনো লুরুবাসী তারা ট্রাই করতে পারে ।
  • pi | 233.176.9.32 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৪:১৫67394
  • না যাওয়ার ইচ্ছে ? কেন ?
  • Bratin | 122.79.37.143 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৪:৩২67395
  • বোধি দা, তোমাকে তাপস দাশ 'হানি' বলছে? হাইলি সাসপিশাস!! ;)))))
  • | 131.245.146.229 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৪:৪২67396
  • ঠিক না যাওয়ার ইচ্ছে না হলেও যাওয়ার ইচ্ছে যে হয় না -- সেটা আমার ক্ষেত্রে সত্যি।
  • S | 139.115.2.75 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:০৯67373
  • পাই দেবী, আপনার মুম্বাইয়ের থেকে আমার মুম্বাই কিছুটা আলাদা। হয়তো সময়টা আলাদা। এবং অবশ্যই আপনি ছাত্রাবস্থায় ছিলেন, সেটা আলাদা করে দেয়। আজকাল মল ছাড়া তেমন জায়্গা নেই অন্তত ভালো জিনিস কেনার জন্যে। আমি দর দাম করার পাবলিক নই। ফ্যাশন স্ট্রিট আছে বটে। আর বান্দ্রাতেও স্টলগুলোতে বিক্কিরি হয়। কিন্তু মল থেকে কিনলেই মনে হয় জিনিস অনুযায়ী কম দামে পাওয়া যায়, আর সিওর ঠকছি না। সিনেমা দেখতে গেলে টিকিট ২০০র কাছাকাছি দিতে হোতো, তাও রাত সাড়ে দশটার শোতে। আর আপনি সাউথ মুম্বাইতে থেকেছেন বোধয়। আমি থেকেছি সাবার্বে, সেখান থেকে খুব কম সাউথ মুম্বাই যাওয়া হোতো/যেতো।

    হ্যাঁ প্রাইভেট স্কুলগুলোর কথা যা শুনেছিলাম, তাতে বছরে লাখ বেলাখ মতন নাকি দিতে হয়। অবশ্যি জানিনা সেটা কতটা সত্যি কথা। আর পপুলেশন এতো বেশি যে প্রাইভেট স্কুলে দিতেই হবে - অন্তত প্রোবাবিলিটি অনেক বেশি।

    বেসরকারী হাসপাতালে বা তেমন দাক্তারের হাতে পরলে পকেট ফাঁক করে নেয়। তবে ঘটনা যে গরীবদের জন্যে ৫০-১০০ টাকার ভিজিটের ডাক্তারও আছে।

    প্রপার্টি প্রাইস বেশি হওয়ার কারণে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। লোকে বলে যে ২০০৩-২০০৭ এর মধ্যে প্রাপার্টি প্রাইস নাকি প্রায় চারগুন হয়েছে। আর চউলে যারা থাকেন, তাদের একটা স্বার্থ আছে। ঐ চউল যেদিন টাওয়ারে পরিনত হবে, সেদিন ভাগ পাবে।
  • shibir | 113.16.71.17 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:১৩67397
  • খুব ফাস্ট লাইফ । আমার পোষাবে না।আমার লুরুই ভালো লাগেনা ।
  • Div0 | 132.166.181.91 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:১৭67398
  • ম্যাক্সিমাম সিটি। দূর থেকে এই অচেনা শহরটাকে দেখেছি অনেকদিন ধরে। তার্পর্তিঞ্চার্বার পুণে গিয়ে সবমিলিয়ে মোট মাস দেড় থেকে বেশ খানি চরিত্র দেখলাম কাছ থেকে। একটু অন্যরকম। একটু ভালোই। আর একটু কেমন যেন। হয়ত অদূর ভবিষ্যতে শহরটায় লম্বা সময় কাটিয়ে ফিরতে হবে। আর সেটাকে না-হওয়াতে গেলে টা-টা বলতে হবে আরও অনেককিছুকে, তো, সে ঠিক আছে। আঁকড়ে পড়ে থাকার দিন কবেই ফুরিয়েছে। এত কথা লিখতাম না যদি না গত ফেব্রুয়ারির শেষে প্রায় একটা সপ্তাহ থাকতে হত। এই থাকাটা লং ডিস্ট্যান্স মাসের মধ্যে বসে দুচোখ দিয়ে যতটা পারি শহর শুষে নেওয়ার থেকে কতই না আলাদা। গোটা রাত কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসে থাকার মত মুম্বই নয়। সুকেতু মেহতার মত এই শহরটা দেখতে চাই। জানি না থাকবো কোথায়। প্রথমবার যেতে যে শহর ঘুরে দেখাল, তাদের বরিভিলির একটা এফেক্ট পড়েছে মনে হয়। বাকিটা মানে প্রথমবারের ভালো লাগার রেশটা দেখি কদ্দিন লাগে কাটতে।

    @শিবির, লুরু নিয়ে লিখে ফেলুন।
  • h | 122.79.38.95 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:১৮67399
  • এতা একতা শহরের ব্যাপার না। নিম্নলিখিত ব্যাপার গুলোর মধ্যে কোনো এক্তা বিষয়ে আগ্ড় থাকলে তোমায় বম্বে নিয়ে পোর্তে হবে। ১। আর্বানিতি ২। হারতের আধুনিকতা ৩। পপুলার কালচার ৪। ভারতের সোশালিস্ত আন্দোলন ৫। হিন্দুত্ত্ব রাজনীতির ইতিহাস ৫। ত্রেদ ইউনিয়ন এবঙ্গ ইনদাত্রিয়াআজেশনের ইতিহাশ
  • Div0 | 132.166.181.91 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:২০67400
  • ** মাস না, বাস।
  • H | 122.79.38.95 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:২০67401
  • ।।।ভারতে ইমিগ্রেশনের ইতিহাস
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন