এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমি কি নিজেকে ভালো শিক্ষক (না কি বলব জ্ঞানার্জন সহায়ক) বলে মনে করি?

    Salil Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৫ | ৪১০১ বার পঠিত
  • যে কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রেই একথাগুলো প্রযোজ্য, বিশেষ করে প্রযোজ্য শ্রমজীবীর শিক্ষাব্রতীদের (আমার নিজের তো বটেই) সম্পর্কে।

    এই প্রশ্নগুলো/কথাগুলো মাথায় এল বলে লিখে ফেললাম। আপনাদের কী মনে হয় জানতে পারলে একটা আলোচনা করা যেতে পারে।

    ১) আপনি কি বাচ্চাদের অপছন্দ করেন? যে বয়সের বাচ্চাদের আপনি পড়ান তাদের মধ্যে থাকার সময় আপনি কি আনন্দ পান? না কি বিরক্ত বোধ করেন?

    ২) যে বিষয়টি আপনি পড়ান তা কি আপনার ভালো লাগে, না কি, ক্লান্তিকর মনে হয়? ‘বিষয়টি কেন পড়ান’, জিগ্যেস করলে আপনি এই উত্তরগুলোর কোনটা দেন – ‘সিলেবাসে আছে তাই’; ‘পরীক্ষায় আসবে তাই’; ‘কী-ই বা আর পড়াবো তাই’; ‘এগুলো ওদের জানা দরকার তাই’; ‘এগুলো ওদের শেখাতে চাই তাই’; ‘ওরা জ্ঞানার্জন করতে চাইছে, যৌথতায় উত্তরণের চেষ্টা করছে, সেখানে আমি অনুঘটক (সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই) হিসেবে থাকতে চাই তাই’।

    ৩) আপনার বিষয়টি আপনি সম্যক জানেন? পড়ানোর পদ্ধতি বা ক্লাসে আচরণ (আপনার এবং শিক্ষার্থীদের) বা মূল্যায়ণ (পরীক্ষা নয়) নিয়ে আপনি যা যা বলেন তা আপনি পুরো বিশ্বাস করেন? না কি সকলে যা বলছে তাই আপনি মেনে নেন।

    ৪) আপনি কি ক্লাসের একটা বড় অংশের দিকে খুব একটা নজর দেন না? বকুনি দেবার সময় ছাড়া? আপনি কি জনাকতক বাধ্য, উৎসাহী, মনোযোগী ছাত্রদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন?

    ৫) ‘আমার কিছু আসে যায় না’-গোছের মনোভাব নিয়ে পড়াতে যান? ‘তোরাই পাশ বা ফেল করবি – আমার আর কী?’ – এই কথাটা ছাত্রদের কখনো আপনি বলেন? ছাত্রদের সঙ্গে ব্যক্তিগত মানবিক স্তরে পারস্পরিক আদানপ্রদান (যাকে তথাকথিত ‘ভালো’ বাংলায় বলে ‘মিথষ্ক্রিয়া’) কেমন? আপনি পড়াবার দৈনন্দিন বিষয় ঠিক করেন কী ভাবে? যৌথ ভাবে পূর্বনির্ধারিত ও পরিকল্পিত ছক অনুসারে। না কি, যেদিন যা মনে হয় সেই মত?

    ৬) নিজেকে আপনি জানেন তো? চেনেন তো? আধ্যাত্মিক কোনো কিছু বলা হচ্ছে না, নিছক নিজের ভাবনা-চিন্তাকে যথাসম্ভব পরিষ্কার করে জানার কথা বলা হচ্ছে। সেই জানা নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল খুব ভালো করে জানা যে কেন আপনি এখানে পড়াতে এসেছেন, কী পড়াতে এসেছেন, আর কী ভাবে কী পদ্ধতিতে পড়াতে এসেছেন। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বা উচ্চতর পাশ-ফেলের পড়া কি ততটুকুই যতটুকু না হলে চলবে না, না কি ওইটাই সব?

    ৭) কী প্রয়োজন? একটা সুচিন্তিত শিক্ষাভাবনা। শিক্ষাদর্শন কথাটা একটু বেশি ভারী শোনায়। যে সব কথা নিয়ে ভাবতে হবে সেগুলো এই রকম – কাকে শিক্ষা? কার জন্য শিক্ষা? কী শিক্ষা? কী জন্য শিক্ষা? কেন শিক্ষা? কোথায় শিক্ষা?

    ৮) কী প্রয়োজন? ভাবা দরকার, শিক্ষা সম্পর্কে আপনার মনে যে সব গভীরভাবে প্রথিত ধারণা আছে (থাকাই স্বাভাবিক) সেগুলি নিয়ে কিছু দ্বিধা আছে কি আপনার মনে? শিক্ষা-শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও তাদের প্রকৃতি, আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে আপনি ভাবেন কি? কোন কোন বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আপনি কী ভাবেন? আরও বড় কথা, বিদ্যালয়-ব্যবস্থা, তার সামাজিক ভূমিকা, বা আদৌ কোনো তার ভূমিকা আর আছে কি না, এবিষয়ে ভাবেন কি আপনি? নিশ্চয় ভাবেন, নইলে আপনি শ্রমজীবী বিদ্যালয়ে পড়াতে এসেছেন কেন। সেই ভাবনাকে সুগঠিত রূপ দেবার কাজে আপনার ভূমিকা কী?

    ৯) আপনি কি আপনার বিষয় পড়ানোর পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়ে নেন যাতে আপনার সহ-শিক্ষাব্রতীরা তা সহজেই আত্মস্থ করে প্রয়োগ করতে পারেন?

    ১০) আপনি কি মনে করেন শিক্ষার্থীর মনোজগতে শিক্ষাবস্তুকে আবশ্যকীয় করে তোলা, তার সামাজিক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তাকে চেতনায় গভীর বিশ্বাসের স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? শিক্ষক হিসাবে আপনি কি অজানা থেকে জানার জগতে যাওয়ার জন্য সাঁকো তৈরি করে দিতে পারবেন বলে মনে করেন?

    ১১) আপনার কি মনে হয় কোনো ছাত্রকে পিছনে ফেলে বাকি সকলের এগিয়ে যাওয়া উচিত? সত্যি কি কোনো ছাত্র এত পশ্চাৎপদ হতে পারে যাকে ‘খারাপ’ বলে ‘ফেলু’ ছাত্র বলে দেওয়া যেতে পারে? না কি শিক্ষকের কাজ এক একজন ছাত্রের যে এক একটা পছন্দ আর জোরের এলাকা থাকতে পারে যেটা খুঁজে বার করে প্রত্যেককে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যায়? মনে হয় কি যে এক একজন ছাত্রের এগোনোর গতি এক এক রকম হতে পারে নানা কারণে? গতির সেই বিভিন্নতা চিহ্নিত করা শিক্ষকের দায়িত্ব?

    ১২) আপনার কি মনে হয় – ক) শিক্ষকদের প্রত্যেক ছাত্রের সংস্কৃতি সম্পর্কে সংবেদনশীল হতে হবে? খ) শিক্ষকদের মানা দরকার যে প্রত্যেক ছাত্রই সফল হতে পারে, তার নিজস্ব লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে? গ) শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের এক সম্প্রদায় গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত? ঘ) শিক্ষকদের সব সময় নতুন কিছু শেখার জন্য তৈরি থাকা দরকার? ঞ) শিক্ষণ পদ্ধতিতে সব সময় বৈচিত্র আনার চেষ্টা করা উচিত? চ) প্রত্যেকটি ছাত্রকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চেনা উচিত? তাদের পরিবারগুলির কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করা উচিত? ছ) নিজেরা চিন্তাশীল আর অন্তর্মুখী হয়েও ছাত্রদের জন্য মন খোলা হওয়া উচিত?

    ১৩) শিক্ষকদের প্রযুক্তিগত প্রকৌশলগত দক্ষতা – অন্তত কাজ চালাবার মত – থাকা উচিত?

    ১৪) মনে হয় কি যে শিক্ষকরা কখনই
    নিজেদের বিচারকের আসনে বসাবেন না।
    ‘নীতিবাগীশ’ (কদর্থে) হবেন না।
    শিশু বা কিশোর কিশোরীদের কাণ্ডকারখানায় সহজে আশ্চর্য/তাজ্জব হবেন না।
    নিজেদের পরিত্রাতা মনে করবেন না।
    ছাত্রদের উপরে নিজেকে বিজেতা মনে করবেন না।
    ছাত্রদের উপকার করছেন মনে করবেন না।

    মনে হয় কি যে শিক্ষকরা সব সময়েই

    ছাত্রদের আত্মসম্মান আত্মনির্ভরতা বাড়াতে, আরও মানবিক হয়ে উঠতে, যৌথতায় বিশ্বাসী হয়ে উঠতে সাহায্য করাই নিজের কাজ বলে মনে করবেন।
    জ্ঞানার্জনে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত বোধ করবেন।
    কখনোই নিজেকে ‘ক্ষমতা’র আসনে বসাবেন না।
    প্রশ্ন করা, আত্মসমালোচনা করায় উৎসাহ দেবেন।
    নিজেও তাই করবেন প্রতি মুহূর্তে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৫ | ৪১০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৯:৩০67487
  • পয়েন্টগুলো খুব ভালো।
  • ??? | 132.161.49.194 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৩:৩৩67488
  • পয়েন্টগুলো খুবই ভাল।প্রশ্নের ভেতরে চিহ্ণিত করা আছে একজন শিক্ষক/শিক্ষিকার কর্ত্তব্য।
    এই ১৪ টি প্রশ্নের কেউ উত্তর দেবেন ও তারপর বাকি আলোচনা এগোবে,ব্যাপারটি কি এরকম???
  • | 183.17.193.253 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৪:০৭67489
  • আদর্শ শিক্ষকের কর্তব্য /শিক্ষাপদ্ধতি নির্ধারণে এই প্রশ্নগুলো খুবই জরুরী।
    এরসঙ্গে যোগ করতে চাই মানসিক বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন কোনো সিলেবাস বানানো সম্ভব কিনা,যা একই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া ছাত্র/ছাত্রীদের মনেও বিষয়্টা সম্পর্কে আগ্রহ জাগাবে।

    হাতে কলমে শিক্ষার উপর কতখানি জোর দেওয়া হবে?

    শিক্ষক এগিয়ে থাকা ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে থেকে সহকারী হিসেবে কাউকে ক্লাশে সাহায্য করার জন্যে ডেকে নেবেন কিনা?

    শিক্ষকের মূল্যায়ন ছাত্র/ছাত্রীরা করতে পারবে কিনা।

    শিক্ষক প্রত্যেকটি ছাত্র/ছাত্রীর দুর্বলতা এবং জোরের জায়গা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন, দরকার হলে একটা নোটবুকে তিনি সেটা টুকে রাখবেন, এবং অভিভাবকের সঙ্গে অন্তত বছরে দুবার সেগুলো নিয়ে খোলামনে আলোচনা করবেন।

    ছাত্র,শিক্ষক এবং অভিভাবক একসঙ্গে একটা টিম হিসেবে কাজ করবেন।
  • | 213.132.214.156 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৫:২৬67490
  • আমি কিছুদিন পড়িয়েছি। সব গুলো পয়েন্টের র সাথে একমত হলাম।

    ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো।
  • Salil | 126.203.211.165 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৫:৩৯67495
  • Link ta thik gelo na. Die rekho. dekhbo nischoy.
  • Salil | 53.251.168.51 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৭:০৫67491
  • আরও কিছু কমেন্ট এলে আমি এক্ত্র করে এখানে দেবো ... আমার মন্তব্য সহ। তারপর আলোচনা চলতে পারবে। আরও একটু ডিটেল পেলে ভালো হয়। যাঁরা কমেন্ট করেছেন তাঁদের পরিচয় জানলে ভালো হত। আপত্তি না থাকলে।
  • Ekak | 24.99.34.241 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০৮:৩৫67492
  • সলিলবাবু,আপনি যে পার্ট টা লিপিবদ্ধ করলেন এটা তো সেট অফ এথিক্স । গুছিয়ে লিখেচ্ছেন ,বেশ বোঝা গ্যালো ।এবার একটু ডিটেইল এ না লিখলে অবজেকটিভলি আলোচনা করা সম্ভব নয় :) আপনি পয়েন্টগুলো যেভাবে লিখেছেন তাতে একজন শিক্ষক কেস বাই কেস কিভাবে চলবে অবহিত হবেনা । তার ফলে ,বুঝতেই পারছেন চিরকাল যা হয়েছে ,ঘরের দেয়ালে ভালো ভালো উপদেশ হিসেবে টাঙানো থাকবে ,ব্যবহৃত হবেনা ।

    মানে ,এককথায় বললে এগুলো ইমপ্লিমেন্ট করার একটা প্রসেস যদি ডিফাইন করেন ভালো হয় । মানে ভেবে দেখুন ১৪ নম্বর পয়েন্টে যেগুলো লিখেছেন একটা ক্ষেত্রেও আপার-লোয়ার বাউন্ড নেই । এগুলোর মধ্যে কোনো রিলেশন আছে কিনা ,থাকলে কী । এগুলোর চেকস এন্ড ব্যালান্স কারা করবে ।প্রসেস হিসেবে না লিখলে এগুলো হাতে-কলমে করতে গিয়ে কী ফলাফল হবে বোঝা যাচ্চেনা ।একটা ডিফাইনড সেট অফ ডিউটি না থাকলে (সেটাই এথিক্স কে ইমপ্লিমেন্ট করবে ) শিক্ষকমশাই এগুলো আত্মস্থ করতে বেজায় চাপে পরবেন আরকি । আশা করব এবার আপনি কী প্রসেসের মধ্যে দিয়ে এসব মেন্টেন হবে সেটা ডিফাইন করবেন ।আপনাদের হাতেকলমে অভিজ্ঞতা অনেক তাই এরকম উদ্যোগ নিয়ে পড়তে কৌতুহল হয় ,ভালো লাগে ।

    পয়েন্টগুলোর সঙ্গে অনেকটা একমত ।পুরোটা না । যৌথতার ধারনাও একটি স্কুলমাত্র । প্রকৃত শিক্ষক সেটাও খেয়াল রাখবেন আশা করব।

    একটা পয়েন্ট প্রস্তাব করব : সাবজেক্ট প্যাশন । শিক্ষক নিজে তাঁর সাবজেক্ট নিয়ে পাগলামি লেভেলে প্যাশনেট হওয়া জরুরি । ওটাতেই ডুবে আছে ,ভেবে যাচ্ছে ,সর্বক্ষণ ওই নিয়ে কথা বলছে এরকম । প্যাশন ইস লাইক আ ফ্লু :) স্টুডেন্টস জাস্ট গেট ইনফেকটেড । আমার কাছে প্রকৃত টিচার ওরকমই । দে জাস্ট ইনফেক্ট ইউ লাইফটাইম ।

    এনিওয়ে ,এগুলো এথিক্স ।ইম্প্লিমেন্টেশন প্রসেস টা বোঝার অপেক্ষায় রইলুম ।
  • সলিল | 126.202.211.73 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ১০:১১67493
  • আপনার ক্রিটিকাল অ্যাপ্রোচ ভালো লাগলো। আমরা কিছু বন্ধু একটা পরীক্ষামূলক স্কুলে যুক্ত আছি। ডিটেল জানতে আমার এখানে দেওয়া অন্য লেখা কয়েকটি দেখুন। একটা ধারণা পাবেন। আমরা কাজ করছি এখানে ও অন্যত্র মিলিয়ে অনেক বছর। শেখার পর্যায় এখনো পেরোতে পারিনি। ইম্প্লিমেন্টেশন প্রসেস নিয়ে লিখব বৈকি। খানিক লিখেওছি। কোনোদিন যদি আমাদের স্কুলে এসে উপস্থিত হতে পারেন তো খুব ভালো লাগবে। ঠিকই বলেছেন, শিক্ষকদের কিঞ্চিৎ পাগলাটে হওয়া খুব জরুরী। আমাদের স্কুলে সকলেই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান। পাগল হবার একটা পূর্বলক্ষণ। তবে সবাই যে আমার এই সেটের সঙ্গে একমত তা নয়।
  • pi | 233.176.0.224 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ১২:১৩67494
  • সলিলকাকু, এই প্রশ্নগুলো তুলে ভাল করেছ। এর মধ্যে কয়েকটা নিয়ে, বিশেষ করে ১১ এর পয়েন্টটা ও ১২ র কিছু পয়েন্ট নিয়ে কিছু আলোচনা এই সেদিনই হল (http://www.guruchandali.com/blog/2015/06/07/1433644443144.html#.VXbVIc9Viko), সেই প্রসঙ্গে এই কথাগুলো খুব মনে হচ্ছিল। ইন ফ্যাক্ট ঐ আলোচনায় মিক্সিং , শিক্ষাপদ্ধতি ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গে শ্রমজীবীতে তোমাদের স্কুলটার কথা এবং তোমার আগের অন্যান্য কিছু অভিজ্ঞতার কথা খুব মনে হচ্ছিল। বারবিয়ানা তো আছেই। ওখানে তোমাকে লিখতে বলবোও ভেবেছিলাম, কিন্তু তারপর নিজেরই আর কয়েকটা কারণে ওখানে লিখতে ইচ্ছে করছিল না। যাই হোক, পারলে দেখো, আর এই নানা আর্থ সামাজিক স্তরের ছেলেমেয়েদের মিক্সিং , নানা রকম মেধার মিক্সিং নিয়ে শিক্ষক হিসেবে কীভাবে দেখো, কীভাবে ডিল করো বা করা উচিত বলে মনে করো, জানিও। বিশেষ করে এখন দেশে আর টি ই চালু হয়ে যাবার পর থেকে যখন অভিভাবকেরা অনেকসময় না চাইলেও এরকম মিক্সিং হচ্ছেই আর দেখা যাচ্ছে অনেকসময় শিক্ষকএরা হয়তো সেই চাপ থেকেই ভীষণভাবে ডিসক্রিমিনেট করছ্হেন !
    আর নিম্ন আর্থসামাজিক স্তর, প্রতিকূল পরিবেশ থেকে আসা ছেলেমেয়েদের পড়ানো নিয়ে কী অভিজ্ঞতা সেটাও একটু লিখো, এখানে না হোক, ওখানে বা আলাদা করে।
  • cm | 116.208.60.146 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৩:৩৯67505
  • শিক্ষক আর জ্ঞানার্জন সহায়কের পার্থক্য কি/কোথায়? একজন ওপরে আর একজন পাশে নাকি একজনের দায় আছে আর একজনের নেই? কাউকে কি কিছু শেখানো যায়!
  • cm | 116.208.60.146 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৩:৪১67506
  • শারীরিক নির্যাতনে দেহে লাগে। আর দেহে ব্যথা না দিয়েও মনে ব্যথা দিলে? আমার মনে হয় ওতে বেশি লাগে।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৫:১৩67507
  • শারীরিক নির্যাতন এর দরকার কেন? মানসিক নির্যাতনের কথা তো তুলিই নি। নির্যাতন করতে হবে কেন? কোনো নির্যাতনের পক্ষেই তো বলছি না। কম বেশির তুলনাও টানিনি। কিন্তু তারমানে শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করার পক্ষে নিশ্চয় কেউ কেউ আছেন? নাকি ভুল ভাবছি। এক নির্যাতনের বিপক্ষে বলা মানে অন্য নির্যাতনের পক্ষে বলা নয়। ছাত্রদের কি আলোচনা করে, কথার মাধ্যমে কিছু দোষ ত্রুটি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়? শিক্ষকরা কি সেই পদ্ধতি শিখে নিতে পারবেন না? শারীরিক নির্যাতনেও মনের ওপরে প্রভাব পড়ে বৈকি! শরীরেও ব্যথা লাগে। কোন অধিকারে কোনো শিক্ষক বা মাতাপিতা যথাক্রমে ছাত্র বা সন্তানের সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন (সে কম হোক কি বেশি) করে, সেই জায়গাটা জানতে বুঝতে চাইছি।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৫:১৮67508
  • আর হ্যাঁ, মার খাওয়া একবার অভ্যাস হয়ে গেলে শিশুর মানসিক বিকাশ কি খুব ভালো হবে? এতক্ষণ যা বুঝতে পারলাম, যাদের মার খাবার অভ্যাস আছে তারা এতে খুব একটা দোষের কিছু দেখছেন না। শিশু বয়স থেকেই ভায়োলেন্স জাস্টিফায়েড হয়ে যাচ্ছে।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৫:৩৩67509
  • আসলে প্রভু-ভৃত্য, মালিক-সম্পত্তি মাস্টার-স্লেভ টাইপের দ্বৈত সম্পর্কের কালচারে মারধোর ভায়োলেন্স আরো নানারকম উঁচু নিচু নানা মাত্রার ডমিনেশন ডমিনেটেড ব্যাপারগুলো হাওয়া-বাতাসের মতন টেকেন ফর গ্র্যান্টেড।
    এটা উপর থেকে সারানো প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়। পুরো কালচারে জিনিসগুলো তরকারিতে নুনচিনির দানার মতন ছড়িয়ে আছে।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৬:০৭67497
  • ছাত্রদের শাস্তি (মারধোর) দেবার ব্যাপারটাও বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ নয় কি?
    অনেককেই বলতে শুনেছি ছোটোবেলায় ইস্কুলের মাস্টারের হাতে মার খেয়েছেন। বেধড়ক মার খেয়েও কোনো গ্লানিবোধ সেভাবে চোখে পড়েনি (হয়ত দেখবার ভুল আমার), অধিকাংশ ছেলেদের ইস্কুলেই ছাত্র পেটানোর রেওয়াজ আছে। সব ভালো ভালো ইস্কুল, ভালো ভালো রেজাল্ট করা ছাত্র বেরোয় পাশ করে। এই ছাত্র পেটানো ব্যাপারটা কি চাইড অ্যাবিউসের মধ্যে পড়ে না? চাইল্ড অ্যাবিউস মানে কি শুধুই সেক্সুয়াল অ্যাবিউস? কী বেসিসে একজন শিক্ষক ছাত্রের গায়ে হাত তুলতে পারে? সেটা আবার পরবরতীকালে ছাত্র মেনেও নিচ্ছে। ভুরি ভুরি উদাহরণ (লিঙ্ক খোঁজা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, খুঁজবোও না) এবং প্রাক্তন ছাত্ররা নিজমুখে স্বঈকারও করছে যে এইসমস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের পরে বেশ ভালো সম্পর্ক (ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক) তৈরী হয়েছিলো। এটা কীভাবে সম্ভব? চাইল্ড অ্যাবিউসে অভস্থ হয়ে গেছে এসমস্ত ছাত্রেরা? এটা কি ভাববার মত বিষয় নয়? ধরে নিচ্ছি এদের বাড়ীতেও বাপ মায়ের কাছে মার খাবার অভ্যাস আছে। এই সংস্কৃতি কি পাল্টানোর সময় এখনো আসেনি ভারতবর্ষে? পড়াশুনো করবার জন্যেই ইস্কুলে যাওয়া, কিন্তু শুধুমাত্র পড়াশুনো তো নয়। তার বাইরেও অনেক কিছু শিখবার থাকে। মার খেয়ে বড়ো হলে সেইভাবেই কি মানসিক গড়ন তৈরী হয়ে যায় না? লজ্জাবোধ আত্মসম্মান নিজের শরীরের ওপর অধিকারবোধ এগুলো আহত হয় না? মার খেয়ে সেই শিক্ষককে সম্মান করা যায়? ঘৃণা হয় না সেই শিক্ষকের ওপরে?
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৬:৫৯67510
  • 'বাবা মা টিচার বা অন্য কোনো লোকের অধিকার নেই বাচ্চার গায়ে হাত দেবার'

    - এটা তো একশ বার সত্যি। কিন্তু ছোটবেলায় কেউ মারলেই তাকে ঘৃণা করতে হবে কেন?

    ঘৃণার ব্যাপারে sm-এর পোস্ট-টা ভাল লাগল।
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৭:০৮67511
  • ছোটরা ভালবাসাটাও বুঝতে পারে। বাবার কাছে দু একবার মার খেয়েছি। কিন্তু ভালবাসা এত বেশি পেতাম, ঘৃণার প্রশ্নই আসে না।
    আর ঘৃণা করছি না মানে, মারধর-কে লেজিটিমাইজ করছি -এটা অতি সরলীকরণ।

    বড়-রা ছোটদের মারুক এটা কখনো ই চাই না। কিন্তু কেউ মারলেই তাকে ঘৃণা করতে হবে - সমীকরণ অত সহজ নয়
  • dc | 132.164.183.216 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৭:৪১67498
  • "মার খেয়ে বড়ো হলে সেইভাবেই কি মানসিক গড়ন তৈরী হয়ে যায় না?"

    এটাও ভেবে দেখার মতো কথা বটে! যদিও এরকম হয় কিনা জানিনা। আমি স্কুলে পড়ার সময়ে অনেক সময়েই মার খেয়েছি। মানে কানমলা, চুল টানা এসব তো হিসেবের মধ্যেই আনলাম না। বার দুয়েক স্কুলে বেতের মার খেয়েছি, আর বাবা কয়েক বার বেশ ভালো মতো পেটাই দিয়েছে। সেই বয়েসে অব্শ্য মার খেয়ে লজ্জা টজ্জা কিছু আসত না, রাগ হতো এটা মনে পড়ে। এতে করে কি আমার মানসিক গড়ন পাল্টে গেছে? জানিনা। তবে আমার স্কুলের এক মাস্টারমশাই আমাদের পাড়াতেই থাকতেন, তিনি কয়েকবার চড়চাপড় মেরেছিলেন বলে মনে পড়ে, তো বড়ো হয়ে যাওয়ার পর ওনার সাথে দেখা হলে সেসব তো কিছু মনে আসতো না। নর্মাল সম্পর্ক ছিল, ঘৃণা বা সম্মান কোনটাই না। রাস্তায় বা বাজারে দেখা হলে হাসতাম, কখনো দুয়েকটা কথা বলতাম।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৭:৪২67499
  • ঘৃনা জিনিস টা আসে একটু ভিন্ন ভাবে। দু একটা চড় থাপ্পড় মারলেই আসে না। একটি শিক্ষক যখন প্রাইভেট টুইশানি তে না পড়লে নাম্বার কমিয়ে দেয়, ঘৃনা তখন আসে।
    অকারণে কোনো দরিদ্র ছাত্র কে, হ্যাটা করে; ঘৃনা তখন আসে।
    কোনো একটি বাচ্চা চোখের প্রবলেম এ ভুগছে, কিন্তু বার বার বলা সত্বেও তাঁকে পিছনে বেঞ্চে বসতে বলে, তখন আসে।
    একটি ছাত্র/ ছাত্রী অঙ্ক টা বুঝতে পারছেনা বলে সারেন্ডার করার পর ও যখন সবার সামনে অপমান করে, তখন আসে।
    কিন্তু টিফিনের ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পর যখন ক্লাসে না ঢুকে পুকুর পাড়ে ঘুরে বেড়াতাম; আর টিচার এসে কান ধরে বেতের বাড়ি মারত; তখনকার মত খারাপ লাগলেও, এখন মনে হয় ঠিক করেছিলেন।
    সহপাঠীর জামায় পেনের কালী ছিটিয়ে দেবার জন্য যখন টিচার কান মূলে দিয়েছিল, সেটা ঠিক ই করেছিল।
    বড় ক্লাসে উঠে জয়েন্ট এ ভালো করার জন্য বাংলা ক্লাস চলাকালীন অঙ্ক করছিলাম; আর টিচার ক্লাসের বাইরে বের করে দিয়েছিল; সেদিন টিচার ই ঠিক ছিল।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:০৯67512
  • কেউ মারলে তাকে পাল্টা মার দিতে হবে। সুদে আসলে।

    শোধবোধ।
  • dc | 132.164.183.216 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:০৯67500
  • একমত।
  • se | 204.230.159.171 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:১৪67501
  • অর্থাৎ ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েও কোনো অসুবিধে হয়নি বলছেন? অ্যাবিউজড হওয়াটা ধর্তব্যের মধ্যে নেই?
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:২০67513
  • অ্যান আই ফর অ্যান আই মেকস দ্য ওয়ার্ল্ড ব্লাইন্ড
  • se | 204.230.159.171 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:২৩67502
  • আমি মনে করি বাবা মা টিচার বা অন্য কোনো লোকের অধিকার নেই বাচ্চার গায়ে হাত দেবার। কোনো দিষ করলে বা কিছু বোঝাতে হলে মুখে বোঝাতে হবে কথা বলে। মেরে নয়। যেই মুহূর্তে গায়ে হাত উঠছে ঐ শিক্ষক বাবা মা মর্যাদার আসন থেকে নেমে যাচ্ছেন।
  • dc | 132.164.183.216 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:২৫67503
  • না, যদ্দুর মনে হয় সেরকম তো কোন অসুবিধে হয়নি। আসলে ফিজিকালি অ্যাবিউসড হয়েছি, এরকম বোধটাই বহুদিন আসেনি। আজকাল এসব নিয়ে আলোচনা হওয়ায় এখন মনে হয়, হয়তো ওরকম একটা চিন্তা মাথায় আসা উচিত ছিল যে ফিজিকালি অ্যাবিউসড হচ্ছি। আসলে আমাদের ছোটবেলায় মার খেয়ে যে অন্য কিছু ভাবতে হবে সেই বোধটাই ছিলনা।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:২৬67514
  • অ্যান আই ফর অ্যান আই
    আ টুথ ফর আ টুথ
    আ হ্যান্ড ফর আ হ্যান্ড
    আ ফিঙ্গার ফর আ ফিঙ্গার
    আ টো ফর আ টো
    --
    ---
    ---
    বাট আ টিট ফর আ ট্যাট।
  • se | 87.59.50.152 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:২৯67504
  • হ্যাঁ, এই বোধটাই তৈরী না হওয়াটা আমাকে ভাবায়।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:৩০67515
  • একটা থাপ্পড় মেরে কেউ যদি বলে "তোর ভালোর জন্যই মারছি যাতে তুই আর আবাধ্যতা না করিস", সঙ্গে সঙ্গে যদি ঠাঁটিয়ে ঐ প্রহারকারীকে জোড়া থাপ্পড় মেরে বলা হয়, "তোর ভালোর জন্যই মারলাম রে, নইলে তুই একটা অ্যাবিউজার হয়ে যেতিস"---
    তাইলে কেমন হয়?
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১১ জুন ২০১৫ ০৮:৪৮67516
  • ছোটোবেলা মারধোর খেয়ে বড় হতে হতে যারা শুনতে থাকে, "তোর ভালোর জন্যই মারি", তারা জিনিসটাকে রোমান্টিসাইজ করে ফ্যালে, বড় হয়ে তারাই র‌্যাগিং সমর্থন করে, "আহা আমাদের ভালোর জন্যই তো বড়ো দাদারা র‌্যাগিং করছে"। আরো বড়ো হয়ে তারা রেপকেও রোমান্টিসাইজ করতে থাকে, "আহা তোর ভালোর জন্যই তো করছি, নইলে তুই কেমন ব্যাঁকা হয়ে যাচ্ছিস" ---এই অলাতচক্র চলতে থাকে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বইতে থাকে, কোনোদিন শেষ হয় না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন