এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফাঁসিচক্র

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ আগস্ট ২০১৫ | ২৩৭৬ বার পঠিত
  • এই বিতর্কটা চলবেই, কারণ আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে আর যারই অভাব থাক অপরাধীর কোনও অভাব নেই আর মাঝে মাঝেই তাদের ফাঁসীকাঠের দিকে পাঠাতেই হয়। তখনই আমাদের এই অনিবার্য তক্কাতক্কিতে ঢুকে পড়তে হয়। এখানে আপনাকে একটা পক্ষ নিতেই হবে, দিনের শেষ আপনি মৃত্যুদন্ডের পক্ষে অথবা বিপক্ষে, কোনো মাঝামাঝি অবস্থান নেই। আমরা সদ্য একটা ফাঁসিচক্র সামলে উঠলাম, ঘুলিয়ে উঠল আমাদের থিতিয়ে পড়া মতামত গুলো। আপাততঃ আমাদের সামনে কেউ নেই, তাই আসুন এই সুযোগে নিজেদের যুক্তি ও আবেগগুলো নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরি। এখানে নিরপেক্ষ মানে পক্ষবিহীন নয়, পক্ষপাতবিহীন।
    মৃত্যুদন্ডের পক্ষে ও বিপক্ষে যাঁরা যারা তাঁদের প্রায় সরাসরিই ‘লিগ্যাল’ আর ‘মরাল’ দুটো ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। কেন সেটা এই কথোপকথন এগোলেই বোঝা যাবে। যাঁরা পক্ষে তাঁদের একটা অসুবিধেজনক অবস্থান আছে। তাঁদের কোনও না কোনও একটা ঘটনার (পড়ুন একটা অভিযুক্তের) সাপেক্ষেই মৃত্যুদন্ডটা কতটা উপযুক্ত সেটা বিচার করতে হয়। তবে এর একটা সুবিধেও আছে তাঁরা ঘটনার অভিঘাতটা সরাসরি কাজে লাগাতে পারেন। অন্যদিকে মৃত্যুদন্ডের বিরোধীদের আবেগটা স্থিতিশীল, ঘটনাগুলো বদলে বদলে গেলেও এঁদের যুক্তিগুলো বদলায় না।
    সুতরাং। ‘লি’-রা বক্তব্য শুরু করবেন, অপরাধের গুরুত্ব দিয়ে। সাধারণতঃ সন্ত্রাস, খুন, বা ধর্ষণ + খুন। মানে যে লোকটা এতগুলো লোককে (সংখ্যাটা বদলে যাবে) খুন করেছে বা এতগুলো মৃত্যুর কারণ হয়েছে, এইরকম নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করেছে তাকে কি ভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় ! (হ্যাঁ, লি-রা তর্কের উত্তেজনায় প্রায়ই ফাঁসী না হওয়া আর শাস্তি না হওয়াকে গুলিয়ে ফেলেন)। তার জন্য চরম শাস্তিই নির্দিষ্ট। আমাদের দেশের আইনে ফাঁসীই চরম শাস্তি তাই এর অন্যথা হওয়ার অর্থ হল ওই ঘৃণ্য অপরাধের গুরুত্ব খাটো করে দেওয়া। এইটুকুর উত্তরে ‘ম’-দের বক্তব্য খুব সোজাসাপ্টা। ক্ষমার বা শাস্তি না হওয়ার প্রশ্নই নেই, চরম শাস্তিই হোক, কিন্তু চরম শাস্তির সীমাটা প্রাণদন্ডের আগেই থেমে যাক। কারণ প্রাণদন্ডও একপ্রকারের হত্যাই, রাষ্ট্র নির্দিষ্ট হত্যা। আর হত্যার বদলে হত্যাকে প্রতিশোধ বলা যায়, বিচার বলা যায় না কারণ তা সংশোধনের কোনও রাস্তা খোলা রাখে না, বরং তা হিংসাকে প্রশ্রয় দেয়, ‘অ্যান আই ফর অ্যান আই উইল মেক দ্য হোল ওয়ার্ল্ড ব্লাইন্ড’, তাই প্রাণদন্ড ব্যাপারটাই বিচার ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া উচিৎ। তাহলে আর অপরাধের গুরুত্ব কমে যাওয়ার সমস্যা থাকবে না।
    ‘লি’-গোষ্ঠী মৃত্যুদন্ডহীন বিচারব্যবস্থা ও শাস্তির কথা ভাবতেই পারেন না। তাঁদের কাছে মৃত্যুদন্ড তুলে দেওয়ার অর্থই হল অপরাধীকে দয়া দেখানো। তাই এর উত্তরে লি-রা বলেন যে মানুষ ঠান্ডামাথায় (!) এতগুলো প্রাণের হানি ঘটাতে পারে (কিম্বা সমতুল্য অপরাধ) তার কোন সংশোধন সম্ভব নয়। ক্ষণিকের উত্তেজনায় যে মানুষ খুন করে ফেলে, তার ক্ষমা (!) হয়। কিন্তু যে প্ল্যান করে এতগুলো নিরপরাধ লোককে খুন করেছে বা এই নৃশংস ধর্ষণ করেছে, তাকে কেন দয়া দেখান হবে ? যে প্রাণের মূল্যই বোঝে না, তার প্রাণের কি মূল্য ? এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হবে যে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আসামী ছাড়া পেয়ে আবার অপরাধ করেছে। কিন্তু ম-রা মনে করেন মানুষ সংশোধনযোগ্য। কোনও মানুষই অপরাধি হয়ে জন্মায় না, ক্ষণিকের উন্মাদনায় অপরাধ করে মানুষ অনুতপ্ত হয়। সন্ত্রাসবাদী গণহত্যার পেছনেও থাকে কিছু না কিছু ভ্রান্ত ধারণার ইন্ধন। তার কাউন্সেলিং করে তার মাথা থেকে সেই ভুল ধারণা তাড়ালে সে শুধরে যেতে বাধ্য। অজস্র উদাহরণ আছে, বন্দীদের নিয়ে অলকানন্দা রায়ের বাল্মিকী প্রতিভার পরিকল্পনা এবং তার সাফল্যের কথা বলা হবে জোর দিয়ে। তবে ম-রা উদাহরণের ওপর ভরসা করেন না, করেন পদ্ধতির ওপর তাই অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে তাঁরা প্রয়োজনে আমৃত্যু বন্দী করে রাখারও পক্ষপাতি।
    লি-রা এখানে কেস-স্পেসিফিক কিছু উদাহরণ দেবেন, আজমল কাসভ বা রাম সিং (নির্ভয়া) এর কথা। এরা যাদের হত্যা করেছে তাঁদের পরিজনদের দুঃসহ যন্ত্রণার কথা তুলে বলবেন ‘আপনার (ম-র) বাড়ির লোকের সঙ্গে এটা হলে আপনি বুঝতেন’। ম-রা এর উত্তরে বলবেন, ‘ঘটনাটা তো আপনার (লি) বাড়ির লোকের সঙ্গেও হয়নি, তাহলে আপনি কি করে তাঁদের মনের কথা জানছেন ? কেন ভাবছেন যে যাঁদের পরিবার নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তাঁরা সবাই অপরাধির মৃত্যুদন্ডই চাইছেন ? কারণ অপরাধীর মৃত্যুদন্ড হলে তাঁদের প্রিয়জন ফিরে আসবেন তাও নয় আর তাঁর অভাবটা পূর্ণ হয়ে যাবে এমনও নয়। কিন্তু এমন অন্ততঃ দুটো ঘটনার কথা তো আমরা সবাই জানি যেখানে যিনি নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন তাঁর পরিজনই মৃত্যুদন্ড চাননি। গ্রাহাম স্টেইনের স্ত্রী আর রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। আর মৃত ব্যক্তির পরিজনের আবেগের কথা মাথায় রাখলে তো ‘অপরাধের গুরুত্ব’ মানে যার ভিত্তিতে ‘বিরলতম’ শিরোপা, তার কোনও মানেই থাকে না; কারণ খুনী একজনকে খুন করুক আর একশো জনকে খুন করুক যে খুন হচ্ছে তার পরিবারের লোকের যন্ত্রনা একইরকম। এমনকি সে ভাবে দেখতে গেলে কারুর ভুলে বা দুর্ঘটনায় (ডাক্তার বা ড্রাইভার) মৃত্যু হলেও সেই মানুষটির পরিজনের কষ্টও একই থাকে, তাহলে কি আমরা সকলেরই প্রাণদন্ড চাইব, নাকি আমরা মৃত্যুতে মৃত্যুতে অভিঘাতের তফাত করব ? নাকি আসলে নিহতের পরিজনের কষ্টের বদলে হত্যাকারীর পরিজনকে একই কষ্টের মধ্যে ফেলতে চাইব !
    লি-দের বক্তব্য হল, হাজার হাজার অপরাধীর মধ্যে মাত্র কয়েকজনকে প্রাণদন্ড দেওয়া হয়, তাও দীর্ঘ বিচারপদ্ধতির মধ্যে দিয়ে, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের যাবতীয় সুযোগ দেওয়ার পর। তার মানে সেই অপরাধ গুলো সর্বোচ্চ আদালতের বিচারে বিরলতম অপরাধ নিশ্চই। তাহলে সেইটুকু বিশ্বাস আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর রাখতে পারব না কেন ? কিন্তু ম-দের মতে বিচার ব্যাপারটা শুধু কেস-স্পেসিফিকই নয় দেশ-স্পেসিফিকও বটে। তাই আমাদের দেশে যেখানে বিচার কেনা যায়, সেখানে কোনো বিচারই পুরোপুরি ভরসাযোগ্য নয়, অর্থাৎ ভুল লোককে যে ফাঁসীতে চড়ানো হচ্ছে না তার গ্যারান্টি কোথায় ? আর যদি সত্যিই ভুল লোককে মারা হয়, সে ভুল তো কোনোভাবেই সংশোধন করা যাবে না, তারই বা খেসারত কে দেবে ? যেমন আজ ধনঞ্জয় চ্যাটার্জীর কথা শোনা যাচ্ছে। তাকে নাকি সত্যিই অপরাধী সাজানো হয়েছিল। যে দেশে সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সের নামে ঘোষিতভাবেই বানানো গল্পও বিশ্বাস করানো হয় (আরুষি তলোয়ার), যে দেশে প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে ‘পাবলিক ইম্পাল্‌স্‌’ কে-ও ফাঁসী দেওয়ার কারণ হিসেবে ঘোষণা করা যায় (আফজল গুরু), সে দেশের রাষ্ট্রের হাতে প্রাণদন্ডের অধিকার দেওয়া তো ভয়ঙ্কর ! তা ছাড়া আমরা গত তিনটে মৃত্যুদন্ডের ক্ষেত্রে বিরলতম-র যা নমুনা দেখলাম। আজমল কাসভ সরাসরি খুন ও সন্ত্রাসের জন্য যে শাস্তি পেল, আফজল গুরু শুধু গাড়ি / বাড়ি বুক করে দিয়ে (মানে আদালতের রায়ে শেষ অবধি এ ছাড়া সরাসরি কিছু অপরাধের কথা বলা নেই) সেই শাস্তিই পেল, আর ইয়াকুব মেমনকে তো পাকিস্তান থেকে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেকে এনে ২০ বছর জেলে রেখে শেষে ফাঁসী দেওয়া হল। তার ক্ষেত্রেও ওই সারকামস্ট্যাশিয়াল এভিডেন্স ছাড়া কিছু বলা যায় নি। তাহলে কোথাও বিরলতম অপরাধ যে করল তার সঙ্গে কোনোভাবে জুড়ে গেলেই সেও বিরলতম শাস্তি পাচ্ছে আবার কোথাও সরাসরি গণহত্যার নায়ক দেশের প্রগতির প্রতীক প্রধানমন্ত্রী হয়ে দাঁড়াচ্ছে্ন। এই আদালতের হাতে হত্যার অধিকার দেওয়া ! হয়তো কয়েক হাজারের মধ্যে মাত্র কয়েকজন এই শেষ বিচার পায়, কিন্তু সেই কয়েকজনও তো মানুষ, দেশের নাগরিক এবং কারুর না কারুর বাবা-ছেলে-ভাই। কোন অধিকারে আমরা একটি মানুষের জীবনও বাজী ধরতে পারি ! শুধুমাত্র সেই মানুষটি আমার কেউ নয় বলে ?
    আসলে লি-দের হাতে প্রাণনাশ ছাড়া কোন বিকল্প নেই কিন্তু ম-দের হাতে (মানে মাথায় !) শাস্তির অনেক উপায় আছে। কোন হিংস্র পদ্ধতি নয়, তাঁরা মনে করেন একটা প্রাণ খামোখা নষ্ট না করে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ, তার ইচ্ছেমত বেঁচে থাকার স্বাধীনতা হরণ করে তাকে দিয়ে কাজ করানো হোক, কঠোর পরিশ্রমের কাজ। এইভাবে সে বেঁচে থাকার যোগ্যতা অর্জন করুক। লি-রা মনে করেন এই ভাবে বেঁচে থাকা তো মৃত্যুরই সমান। তাহলে আর তাকে মেরে ফেললে ক্ষতি কিসের ? ম-রা এই কথাকে চূড়ান্ত অমানবিক মনে করেন। কারণ একটা মানুষের মূল্য তো তার নিজের ও পরিজনদের কাছে, তাঁরা যখন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণভিক্ষা করেন, তখন বুঝতে হবে তাঁদের কাছে সেই প্রানের মূল্য আছে, তা নস্যাৎ করার অধিকার আমাদের নেই। কেউ আমার ঘরের লোককে খুন করলে আমারও তাকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করতে পারে কিন্তু আমার হয়ে অন্য কারুর সেই ইচ্ছেটা হলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় কি !
    লি-রা যেটাকে মোক্ষম যুক্তি মনে করেন, সেটা হল, অপরাধীকে দয়া দেখালে সম্ভাব্য অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে। অন্যদিকে ফাঁসীর মত চরম শাস্তির ভয় থাকলে ভবিষ্যতের অপরাধীরা অপরাধের আগে দুবার ভাববে। এই কারণেই পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে প্রাণদন্ড চালু আছে, কোনো কোনো গবেষণা নাকি দেখিয়েছে প্রাণদন্ডের ভয়ে অপরাধের হার কমে গেছে। কিন্তু ম-গোষ্ঠী এই যুক্তিকে মোটেই আমল দেন না। তাঁদের মতে যেকোন অপরাধের পেছনে হাজারটা কারণ থাকে, শাস্তির মাত্রার সঙ্গে অপরাধের যদি এতই সরাসরি সম্পর্ক থাকত তা হলে প্রাচীনযুগ থেকে শুরু করে এতদিনে অপরাধ বলে আর কিছু থাকত না। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে যেসব বীভৎস পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়া হয়, তাতে সেইসব দেশ একেবারে অপরাধিশূন্য হয়ে যাওয়া উচিত ছিল এতদিনে। কিন্তু তা হয়নি কারণ মানুষ অপরাধ করার সময় তার শাস্তি মৃত্যু না যাবজ্জীবন তাই ভেবে করে না, বরং মনে মনে ভাবে আমি কিছুতেই ধরা পড়ব না। কারণ আসলে কোনও শাস্তিই না পাওয়া অবধি কেউ বুঝতে পারে না সেটা আসলে কি রকম। আজ যারা মনে করছে সারাজীবন জেলে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল, তাদের মধ্যে ভবিষ্যতের অপরাধিও থাকতে পারে, তারাও আসলে জানে না সত্যি মরে যাওয়াটা ভালো কিনা। তাই ধরা যে পড়ব, শাস্তি যে হবে, এই ভয় থাকা দরকার কিন্তু তার জন্য প্রাণদন্ডই দরকার, এমন কথার পক্ষে তেমন জোরালো যুক্তি কিস্যু নেই।
    এই পর্যায়ে এসে লি-রা দস্তুরমত রেগে গিয়ে বলেন ম-দের এই অহিংস শান্তিকামী ধ্যানধারণা এতটাই অবাস্তব যেন অন্য দেশ আক্রমণ করলেও এই নীতি বজায় রেখে অস্ত্রশস্ত্র তুলে রেখে কাউন্সেলিং করে যাওয়া উচিৎ আর ততক্ষণে আক্রমণকারীরা মেরে শুইয়ে দিক। তবে ম-রা মুচকি হেসে এই উত্তেজনা ঝেড়ে ফেলে বলেন বিচারব্যবস্থা আর প্রতিরক্ষাকে গুলিয়ে ফেলা একান্তই বোকামি। যুদ্ধ এমনিতেই একটা চূড়ান্ত অনৈতীক আর বর্বর ব্যাপার, যেখানে হিংসা আর শুধুমাত্র হিংসাই কাজ করে। যেখানে কোন নিয়মই খাটে না আর মানবিকতার কোন জায়গাই নেই। আর আদালত হল নিয়মের-আইনের-চুলচেরা বিশ্লেষণের জায়গা।।।যুদ্ধক্ষত্রের নিয়ম দিয়ে বিচারব্যবস্থা চালানো হলে সে বড় সুখের সময় নয় আর তার কুফল আমরা সবাই ভোগ করব। তাই এইরকম তুলনা করা একেবারেই উচিৎ নয়।
    ----------------------------------------------------------------
    লি- আর ম- দের তক্কাতক্কি এখানেই শেষ। এই তর্কের শেষে মনে হয় ম-রাই যেন জিতে গেল (বা লেখক তাদের জিতিয়ে দিলেন) কিন্তু বাস্তবে লি-রাই জেতে। তাই আমাদের গণতন্ত্রে আজও ফাঁসি হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ আগস্ট ২০১৫ | ২৩৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সিকি | 132.177.128.177 (*) | ১০ আগস্ট ২০১৫ ০৯:০৬67680
  • সুন্দর লেখা।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৭:২৭67681
  • তুললাম।
  • tania | 165.57.254.1 (*) | ১১ আগস্ট ২০১৫ ০৮:০২67682
  • লি-দের তরফ থেকে আর একটা যুক্তি দেওয়া হয় - সন্ত্রাসবাদী বা খুনিকে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানো না হয় হবে, কিন্তু তার মস্তিষ্কও যে কঠোর পরিশ্রম করে আরেকটা খুন বা সন্ত্রাসের প্ল্যান ভাঁজবেনা সেটা কে গ্যারন্টি দেবে? এখানে অবশ্যই সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের কথা বলা হচ্ছে। আর এদের বাঁচিয়ে রেখে আরেকটা ততোধিক জঘন্য অপরাধ (উদাঃ প্লেন হাইজ্যাক) করার জন্য তার সঙ্গীসাথীদের উদ্বুদ্ধ করার মানে কি?

    ম-দের বক্তব্য জানতে ইচ্ছুক।
  • 0 | 132.163.70.240 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৩:০১67687
  • রৌহিনের লেখা "মারণী ফন্দি?" পড়ে এলাম। তানিয়ার প্রশ্নটা ওখানে আলোচিত চার'টে প্রশ্নের থেকে আলাদা।

    তানিয়ার প্রশ্নটা - "এদের বাঁচিয়ে রেখে আরেকটা ততোধিক জঘন্য অপরাধ (উদাঃ প্লেন হাইজ্যাক) করার জন্য তার সঙ্গীসাথীদের উদ্বুদ্ধ করার মানে কি?"

    -- এর যৌক্তিক উত্তর অলরেডি সিকি দিয়ে দিয়েছেন।
    তার সাথে অল্প অ্যাড্‌ করি। বিশেষতঃ 'বন্দী সাথীদের ছাড়ানো'র এই একটা কারণে কয়েকটা অপরাধের পাশাপাশি কিন্তু এমনিই অন্যান্য অনেক কারণে অনেক গুণ বেশীসংখ্যক অপরাধ ('বিরলতম' ক্যাটেগরির) হয়ে থাকে।
  • রৌহিন | 233.223.135.203 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৩:২২67688
  • একক অবশ্যই আই উড কেয়ার টু - সেটা আমার দায়িত্ব বই কি। "স্বাভাবিক মানবিক বোধ" বলতে কি বোঝাতে চাইছি সিকির শেষ প্যারাটায় তার কিছুটা বলা আছে। আমার লেখাটাতেও এ নিয়ে কিছু বলেছি। যেটা যোগ করব সেটা হল এই একবিংশ শতাব্দীতেও মৃত্যুদন্ড ছাড়া একজন অপরাধীর শাস্তিবিধান করা যাচ্ছে না এটা ভাবতে পারিনা। মৃত্যুদন্ডকে আমি মূলতঃ রাষ্ট্রের তরফ থেকে নেওয়া প্রতিশোধ হিসাবেই দেখি এবং প্রতিশোধের ভাবনাকে "স্বাভাবিক" মানবিক ভাবনা বলে ভাবি না - প্রতিশোধের ভাবনা সমাজ নির্মাণ করে দেয়।
    আরেকটা কথা - এটা আমার লেখাটায় একটু বিস্তারিত বলা আছে - অপরাধের ইতিহাস। অপরাধ স্বয়ম্ভূ নয় - প্রত্যেক অপরাধ, সন্ত্রাসের জন্মের পিছনে আমাদের সবার কিছু ভূমিকা থেকেই যায় - মৃত্যুদন্ড অবশিষ্ট বিচারটাকে আরো জটিল করে তোলে - এবং সাধারণতঃ অবিচারে পরিণত করে।
  • রৌহিন | 233.223.135.203 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৪৯67690
  • a x অনেক ধন্যবাদ। এটা একটা মূল্যবান সংগ্রহ হিসাবে রাখলাম। পড়তে একটু সময় লাগবে - ৮৮ পাতার পেপার। আশা করি আজ রাতটুকু যথেষ্ট হবে। আবারো ধন্যবাদ
  • একক | 24.99.69.143 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৯67691
  • "রাষ্ট্রের তরফ থেকে" কথাটার মানে কী ? আমি এই লিগালিটি আর মরালিটির এপার-ওপার বিভাজন বুঝতে পারিনা। কালেকটিভ মরালিটি স্ট্রাকচারড লিগালিটির জন্ম দেয় । গণতন্ত্রে যা হচ্ছে তা কালেকটিভ এর ইচ্ছাতেই হচ্ছে । কোথাও কোনো জেনেরিক উইন্ড মিল নাই যাকে দোষারোপ করে ঘুমুতে যাওয়া যাবে । কালেকটিভ মনে করছে প্রতিশোধ নাও তাই নেওয়া হচ্ছে । যাঁরা লিগালিটি দেখিয়ে ফাঁসি চাইছেন তাঁদের মরালিটিও যে লিগালিটির সঙ্গে মার্জ করেনা সেটা কীকরে জানা গ্যালো ।

    এবার অন্যদিকের মরালিটি হলো সিকি যা লিখেছে ।

    সিকি যেটা লিখেছে ওটা ক্ষাত্রধর্ম । অস্ত্রহীন ও শরণাগত কে রক্ষা করো । উহার কোনো কালেকটিভ লিগালিটির দায় নাই । কারণ পরিস্থিতি বিগরালে ইউন্যানিমাস্লি মাথা কেটে নেওয়ার যুক্তিও ওই ধর্মই দেয় । ঐযে "যুদ্ধপরিস্থিতি" ওই শব্দটাই তো আলগা শব্দ । হিস্টরিসিসম দিয়ে ব্যাখ্যা করলে আমরা সর্বদাই কোনো না কোনো যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে আছি । ঘরে বাইরে শত্রু । যুদ্ধক্ষেত্রে ঠকানো জায়েজ কারণ ইতিহাস শিখিয়েছে শত্রুর বিনাশ কর্তব্য । কাজেই ভুলিয়ে ভালিয়ে ট্র্যাপ-এ ফেলে ফাঁসি দেওয়া আর যাই হোক ক্ষাত্রধর্ম -এর পরিপন্থী নয় ।

    মানে ,মোদ্দা কথা আগে মরালিটি ভার্সাস মরালিটির জায়গাটা ক্লিয়ার হোক । লিগালিটি তারই আমসত্ব । এদিক ঠিক হলে ওদিকটা হয়ে যাবে ।
  • রৌহিন | 233.223.135.203 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪২67683
  • ম দের ম বলাতে আপত্তি আছে - বক্তব্যে অবশ্যই নেই। এটা মরালিটির প্রশ্ন নয় (মরালিটি শুনলে আসলে আমার শুধু জেঠামশাইই মনে পড়ে না একটা ইরিটেশনও তৈরী হয় শরীরের মধ্যে) - প্রশ্নটা স্বাভাবিক মানবিক বোধের। মূল্যবোধকে নীতিবোধের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে আমি রাজি নই। এই প্রসঙ্গে আমি নিজেও দু-পয়সা ফেলেছি আজ এই সাইটেই সুতরাং আমি কোন দলে সেটা সেখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে - কিন্তু সেই দলটাকে ম না বলে মা (মানবতাবাদী) বললে স্বস্তি পাব।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ১১:৪২67684
  • ধন্যবাদ রৌহিন। ম হোক বা মা তাতে বিশেষ কিছু এসে যায় না। মারণী ফন্দি-তে তানিয়ার সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া আছে তাই আর এখানে লিখলাম না। আলোচনা চলুক।

    তবে নীতিবোধ কি খুবই খারাপ জিনিস না কি জ্যাঠামশাইর সবাই খুব বদ্ধমনা ! মনে ধরুন সিধুজ্যাঠা... ঃ-)
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ১২:১২67685
  • "প্রশ্নটা স্বাভাবিক মানবিক বোধের।"

    প্রচন্ড লোডেড একটা ফ্রেস । কেয়ার টু এক্সপ্লেইন ?
  • সিকি | 132.177.128.177 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ১২:৩৭67686
  • প্লেন হাইজ্যাকের পরে পণবন্দী সম্পর্কে ভারতের নীতি বদল করা হয়েছিল। যার এফেক্ট দেখা গেছে ২৬/১১তে। পণবন্দীদের ছাড়াবার জন্য কোনও নেগোশিয়েশনে না গিয়ে পুলিশ মিলিটারি - জঙ্গীদের মারতে শুরু করেছিল।

    সন্ত্রাসবাদী বা অন্য তথাকথিত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী (ধনঞ্জয়ের মত) যাতে অন্য ধ্বংসাত্মক কাজে নিজেদের নিয়োজিত না করে, সেটা দেখা ল অ্যান্ড অর্ডারের কাজ। সেভাবে দেখতে গেলে তো পোটেনশিয়ালি যে কোনও অপরাধীকে ছাড়াতেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে তার সঙ্গীরা - ছত্তিশগড় বা ঝাড়খণ্ডে আমরা দেখেওছি, কীভাবে জেল আক্রমণ করে সঙ্গীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। সেটা বন্ধ করতে গিয়ে কি তা হলে মাওবাদীদের ধরা পড়ামাত্রই গুলি করে মেরে ফেলতে হবে?

    দুজনের হাতেই যখন অস্ত্র, তখন যুদ্ধপরিস্থিতি। যুদ্ধে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়, যুদ্ধে সাধারণত মানবতার গল্প থাকে না। কিন্তু একজন নিরস্ত্র বন্দীকে - সে যত ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী বা খুনীই হোক না কেন, সে যখন নিরস্ত্র, তখন তাকে আটকে রেখে তার মৃত্যুর তারিখ শুনিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে মেরে ফেলার মধ্যে রাষ্ট্রের কল্যাণকামী রূপের দেখা পাওয়া যায় না। ওটাকে যুদ্ধ বলে না, খুন বলে।
  • 0 | 132.163.65.82 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:১৮67706
  • একক, যখনই মানুষ তার বিবেক, শুভবুদ্ধি, ন্যায়-অহিংসার উন্নত আদর্শকে অপরাধ-সন্ত্রাসের কাছে হেরে যেতে, ভীত-সন্ত্রস্ত হতে দেয়, তখনই সে তার বিচারের আইনের মধ্যেও নিরস্ত্র সন্ত্রাসী-অপরাধীর বিরুদ্ধে মারণাস্ত্রের উপস্থিতিকে মেনে নেয়।

    বিচারের আইনে মারণাস্ত্রের উপস্থিতির অর্থই হলো সন্ত্রাসাপরাধী মানসিক প্রবৃত্তির জয় মেনে নেওয়া।
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:৩৩67707
  • @ 0
    এটা এত সহজে বলতে পারিনা । শুভবুদ্ধি -ন্যায় -অহিংসার পরিধি এগুলো সবই পরিস্থিতিসাপেক্ষ তো । মীনস আর এন্ড এর সংঘাত টা স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই । কোনো একদিকে ঝুঁকবেই। ইটস লাইক এ ট্রল কন্ট্রোল মেকানিসম ।ধরুন আপনি একটা কমিউনিটি বানালেন যেখানে বলে দিলেন কেও ব্যান হবেনা সবাই নিজের মত জানাতে পারবে বাকস্বাধীনতা ইত্যাদি ইত্যাদি । এবার এই ব্যাখ্যার মধ্যেই ডাইভার্সন এর বীজ লুকিয়ে আছে । যেখান দিয়ে একটা থ্রাদ এনটিটি ট্রল হয়ে ঢুকলে আপনার সুখের কমিউনিটি ভোগে পাঠাতে পারে । বাধ্য করতে পারে ব্যান করতে । ভার্চুয়ালি এগুলো পরীক্ষা করে করে দেখেই বলছি । অন্তলোজিকালি একটা ফ্রেময়ারকে এটা ধরা সম্ভব না । এখানেই ডিসেপশন এর পাওয়ার কাজ করে । যে একইসঙ্গে ক্ষতিকর এবং দরকারী । খুবই জটিল সাবজেক্ট । এত সহজে ইহাই মানবিকতা বলতে পারিনা আমি । এখনো অবধি যা বুঝেছি এই ক্যাচাল টা পার্ট অফ দ্যা গেম । একটা কষা বিষাদ ছাড়া কিছু পরে থাকেনা আলটিমেটলি ।

    সেম ফর ওই বাকস্বাধীনতা ইত্যাদি । বাই ডিফল্ট স্বাধীনতা তো কিছু হয়না । পুরোটাই সিস্টেম কি প্রিভিলেজ প্যাকেজ দিচ্ছে তার ব্যাপার । স্বাধীনতা একটা প্রিভিলেজ । আমেরিকা যা পারে তা বাংলাদেশ পারেনা । তাই বলে ব্যক্তি মানুষ কি বাকস্বাধীনতা চাইবে না । চাইবে । বড় কষা বিস্বাদ ব্যাপর এসব । আর প্রচুর প্রচুর পাওয়ার রিলিস প্রতিটা গেম লেভেলে । রক্ত । হাহাকার । এই সব ।
  • 0 | 123.21.70.72 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০০67709
  • একক, বাক-স্বাধীনতার অধিকার কখনোই বাই ডিফল্ট্‌ বা কোনো প্রিভিলেজ-প্যাকেজ নয়, তার কিন্তু অবশ্যই একটা সুনির্দিষ্ট ভিত্তি থাকে, যেটা বন্যা আহ্‌মেদের লেখায় উল্লেখ করা আছে।

    "...বাক্‌-স্বাধীনতা খর্ব করার একমাত্র অধিকার থাকতে পারে একটি সমাজের সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং তারা কাউকে মত প্রকাশে কেবল তখনই বাধা দিতে পারে যখন সেই মত অন্য কারো “অবৈধ-সরাসরি-ক্ষতির” কারণ হতে পারে।..."
    "...এখন প্রশ্ন হলো ধর্মের যেকোনো রকমের সমালোচনাকে এই “অবৈধ-সরাসরি-ক্ষতি” এর কাতারে ফেলা যায় কি না। উত্তর হলো কোনোভাবেই যায় না। এমনকি অবৈধ তো দূরের কথা ধর্মের যাদৃচ্ছিক সমালোচনা বা ব্যঙ্গ প্রায় কখনোই কারো সরাসরি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে না। কোনো ধরণের অনুভূতিতে আঘাত কোনো সরাসরি ক্ষতির মধ্যে তো পড়েই না, এমনকি স্রেফ ক্ষতির মধ্যেও পড়ে না।..."

    এবারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ যদি সন্ত্রাসী মৌলবাদ প্রণোদিত জনসমর্থনের লোভে এই সুনির্দ্দিষ্ট ভিত্তির গণ্ডী পেরিয়ে যায়, তাহলেই বাক-স্বাধীনতায় অন্যায় অবাঞ্ছিত বাধা তৈরী হয়।

    বিবেক, শুভবুদ্ধি, ন্যায়, এগুলো সব স্থান-কাল-পরিস্থিতি নিরপেক্ষ। কিন্তু অহিংসা অবশ্যই পরিস্থিতি নির্ভর। সেইজন্যেই মানুষের মনের মধ্যে যথাসম্ভব একটা সুস্পষ্ট বিভাজন-রেখা দরকার - শান্তির আর যুদ্ধের পরিস্থিতির। কখন মারণাস্ত্রের ব্যবহার অপরিহার্য আর কখন তা নয়। বিচারের আইনের মধ্যেও যদি নিরস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার্য মারণাস্ত্রের উপস্থিতি থাকে, তাহলে তো অপরাধের ভিতরকার ভয়সন্ত্রাসকে আগেই ভীত, সন্ত্রস্ত মনের মধ্যে এন্‌ট্রি দেওয়ার মাধ্যমে মনের ভিতরেও অকাম্য যুদ্ধপরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। সন্ত্রাসের টার্গেট্‌ও ঠিক সেটাই।
  • একক | 24.99.195.169 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০১67710
  • বন্যার লেখা পড়েছি । দাবি সনদ বলে মনে হয়েছে । কোনকিছুই "কেন" ব্যাখ্যা করার জায়গা নেই ,জাস্ট পর পর এটা ওই ওটা এই বলে যাওয়া । এগুলোকে আমি বন্যার সেট অফ এথিক্স হিসেবে দেখতে রাজি আছি । কোনো সার্বজনীন উত্তর হিসেবে নয় । ওনার দাবি নিয়ে উনি এগোন। শুভেচ্ছা ।

    "বিবেক, শুভবুদ্ধি, ন্যায়, এগুলো সব স্থান-কাল-পরিস্থিতি নিরপেক্ষ"।

    না ইতিহাস তা বলে না । এগুলো যুগে যুগে গোষ্টি তে গোষ্টি তে পরিবর্তিত হয়েছে সেই সেই সিস্টেম কে পুষ্ট করার জন্যে । এরকম নিরপেক্ষতা থাকলে এতদিনে সবাইকে ন্যায দেওয়ার ম্যাজিক ওয়্যান্ড আবিস্কার হয়ে যেত । পুরোটাই লার্নিং । এবং তার প্রয়োগ ।প্রয়োগে কিছু বিগড়ায় কিছু বানে ।তার বেসিসে আবার লার্নিং । এগুলোকে নিরপেক্ষ ভাবা একধরনের স্টেটিস্ট স্টান্স । এবং সেইকারনে আস্তিক্য ও বটে । মানে এরকমই মনে হয় ।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১০:১৯67692
  • একককে বলি, এটা কিন্তু শুধু তর্কের জন্য তর্ক নয় (মানে আপনি আগে কয়েকবার এই কথা বলেছেন কিনা, তাই আগেই বলে রাখলাম), তাই কি বুঝছেন, কেন বুঝছেন না, বা কি চাইছেন কেন চাইছেন না ইত্যাদি পরিস্কার করে বলা দরকার। নাহলে শুধুমাত্র যত্ন করে গুলিয়ে দিতে গিয়ে নিজেই রাস্তা ভুলে যাবেন, যেমন এখানে গিয়েছে।
    যেমন সিকি-র কথা থেকে ক্ষাত্রধর্মের প্রসঙ্গ টেনে এনে একবার বলেছেন ক্ষাত্রধর্ম হল শরণাগতকে রক্ষা করা আবার শেষে লিখেছেন 'ভুলিয়ে ভালিয়ে' ফাঁসি দেওয় নাকি ক্ষাত্রধর্মের বাইরে নয়। তাই কোনদিকটা ঠিক হলে কি ঠিক হয়ে যাবে তা সম্ভবতঃ আপনি নিজে ছাড়া কেউ বুঝল না।
    তবু কিছু কথা তুললে আবার কিছু বলার /লেখার সুযোগ হয়। তাই প্রথমে লিগ্যাল আর মরালের ভাগটা পরিস্কার করি। এটা অবশ্যই কিছু কঠোর বিভাজন নয়, তবে পক্ষে ও বিপক্ষে (ফাঁসির) যাঁরা তাঁদের যুক্তিবিস্তারের ভিত্তিতে একটা শ্রেনীবিভাগ। ফাঁসি দেওয়া আইনে আছে তাই যাঁরা এর সমর্থনে বলেন তাদের প্রধান জোর হল 'ইহা লিগ্যাল', ইহা 'বিরলের মধ্যে বিরলতম'... সুতরাং আমাদের এই নিয়ে আর কিছু ভাবার নেই। যা হয়েছে বেশ হয়েছে, সরকার যা উচিত মনে করেছে, তাই করেছে (আমার সঙ্গে তো করেনি, তাহলে ভাবতাম !)। তাই তাঁরা লিগ্যাল বা 'লি'। এই লিগ্যালিটির পেছনে যে তাঁদের কোনো মরাল সাপোর্টের গল্প নেই, সেটা বোঝা যায় এইভাবে কারণ তাঁরা এর ঔচিত্য নিয়ে ঘটনা নিরপেক্ষভাবে কিছু বলতে পারেন না। তাঁরা কি কি কারণ দেখান তা এই লেখা এবং রৌহিনের লেখায় আছে।

    কালেক্টিভ মরালিটিই লিগ্যলিটির জন্ম দেয়, ঠিক। কারণ সরকার কোনো একটি লোক নয়। কিন্তু সেই কালেক্টিভ লিগ্যালিটি কোনো ধ্রুব সত্য নয়। যখন কোনো লিগ্যালিটির বিরুদ্ধে এত কথা ওঠে, তখন গণতন্ত্রে সেই লিগ্যলিটির নিজেকে প্রশ্ন করার দায় তৈরি হয়, তবে কি কোনো ভুল হচ্ছে ? তখন তলিয়ে ভাবার দরকার পড়ে, যে ঠিক 'কেন' কালেক্টিভ মরালিটি ফাঁসি চাইছে ? এর পেছনে তাদের মরাল সাপোর্টটা ঠিক কি ? যদি কালেক্টিভ মরালিটি 'ও খুন করেছে তাই ওকেও মরতে হবে' এর বাইরে কিছু বলতে না পারে, তাদের জাস্ট প্রতিশোধপ্রবণ ছাড়া আর কি বলা যায়, বলুন ! সেই মানসিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়াই 'রাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রতিশোধ'। রাষ্ট্র যদি নিজের নাগরিককে সংশোধনের সুযোগ না দিয়েই 'সংশোধনের অযোগ্য' মনে করে ঝুলিয়ে দেয়, তাকে জাস্ট বদলা নেওয়া ছাড়া আর কি বলা যায়, বলুন তো !

    লিগ্যালিটি ও মরালিটির ওপরে আছে হিউম্যনিটি বা মানবিকতা, যা মনে করে প্রাণ ধ্বংস করার অধিকার কারুর নেই। তার (মানবিকতার) সব দাবি 'যুক্তিসঙ্গত' নাও হতে পারে। তার সংগে আমার কোনো বিরোধ নেই কিন্তু যেহেতু এই লেখায় 'ম' দের তরফের সব দাবিই আমি খুব যুক্তিযুক্ত মনে করি তাই এখানে আমি হিউম্যান বা মানবিক না বলে 'মরাল'ই বলেছি।
  • 0 | 132.163.65.82 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৩67693
  • একক লিখেছেন - "ঐযে "যুদ্ধপরিস্থিতি" ওই শব্দটাই তো আলগা শব্দ। হিস্টরিসিসম দিয়ে ব্যাখ্যা করলে আমরা সর্বদাই কোনো না কোনো যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে আছি। ঘরে বাইরে শত্রু।"

    -- যুদ্ধ এড়ানোর জন্যে বারবার আলোচনার টেবিলে বসে বাদপ্রতিবাদ, আলোচনার মাধ্যমে কোনোমতে কিছু টেম্পোরারি বা রিলেটিভ্‌লি পার্মানেন্ট্‌ কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক শান্তিচুক্তি তৈরী করার বহু চেষ্টা যখন বিফল হয় বা হতে থাকে, একমাত্র তখন'ই যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরী হয় বা চলতে থাকে, যেখানে দুই বা ততোধিক সশস্ত্র সামরিক পক্ষ একে অন্যকে মারার চেষ্টা করে।
    এর বাইরেও ক্রমাগত অনিয়মিত অঘোষিত গেরিলা খণ্ডযুদ্ধও চলে। সেখানেও কিন্তু সশস্ত্র সামরিক, আধা-সামরিক ও বিভিন্ন মাত্রার প্রশিক্ষিত জঙ্গী বাহিনী অংশ নেয়।
    এছাড়া বিশেষতঃ দাঙ্গার মতো পরিস্থিতিকেও প্রায় যুদ্ধের পরিস্থিতি ধ'রে নিয়েই শুট্‌-অ্যাট্‌-সাইট্‌ অর্ডার জারী করা হয়, কারণ সেখানেও সিভিলিয়ানরা বা ওই প্রশিক্ষিত জঙ্গীরাও সশস্ত্র থাকে।
    এগুলোর ক্ষেত্রেও কিন্তু সমান্তরাল আলোচনা প্রক্রিয়া চলতে থাকে। কখনো শান্তি আসে, কখনো আসেনা।

    মানে, মোদ্দা কথা হলো 'যুদ্ধপরিস্থিতি' বলতে এরকম কিছু বিশেষ, স্পষ্ট, চরম জরুরি পরিস্থিতিগুলোর ধারণাই আমাদের মনে আসে। যেগুলোর থেকে আমাদের রোজকার সাধারণ জীবনের ঘটনাপ্রবাহ অবশ্যই আলাদা। যখন ওই পরিস্থিতিগুলো আসে, তখন আমরা, মানে নিরস্ত্র সিভিলিয়ান পপুলেশন্‌ কিছু কম-বেশী সময়ের জন্যে 'যুদ্ধপরিস্থিতি'র মধ্যে পড়ে যাই। তখন কিন্তু এই রোজকার সাধারণ জীবনের 'শান্তি' বিঘ্নিত হয়। মানে, কমন্‌ নিরস্ত্র সিভিলিয়ানের রোজকার জীবনের 'শান্তি'পরিস্থিতি নিরাপদ করতেই তার থেকে আলাদা সশস্ত্র 'যুদ্ধপরিস্থিতির' তৈরী হয় - যেখানে সমস্ত নৈতিক/মানবিক মূল্যবোধের সাপেক্ষেই মারণাস্ত্রের প্রয়োগ অনিবার্য, অপরিহার্য।
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:১০67694
  • এইত সমস্যা আপনার লেখায় মন্তব্য করার । হ্যা তে হ্যা না দিলেই ধরে নেন তর্কের জন্যে তর্ক । আগেও তাই করেছেন :) যাই হোক বলছেন যখন বুঝতে পারেন নি ,একবার অন্তত স্টেপ বাই স্টেপ চেষ্টা করছি লেখার ।ক্ষাত্রধর্ম বলেছিলুম বুঝতে সহজ হবে বলে । সে যখন বোঝেন নি এবং আপনি জানেন বাকিরাও বোঝেনি ...যাক ,বিষয়ে ফিরি ।

    আপনি লিগালিটি আর মরালিটি কে দু পক্ষ খাড়া করে একটা প্রবন্ধ ফেন্দেছেন । কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা আদৌ দুপক্ষ নয় । যারা লিগালিটির কথা বলে ফাঁসি চাইছে তাদের মরালিটি ও ফাঁসি কে সাপোর্ট করে । লড়াই টা মরালিটি ভার্সাস মরালিটি ।

    "বিরলের মধ্যে বিরলতম " থাকবেই । বাউন্ডারী কন্ডিশন দিয়েই একটা ধারণার অবস্থান নির্দিষ্ট হয় । কিন্তু তাতে এটা কিকরে বোঝা গ্যালো যে ওটা লিগালিতির বাউন্ডারী কন্ডিশন ,মরালিটির ও নয় ?

    "লিগ্যালিটি ও মরালিটির ওপরে আছে হিউম্যনিটি বা মানবিকতা" । এই যে দুম করে এটা লিখলেন । এই কথাটা র আদৌ কি মানে কিস্যু বুঝলুম না । হিউম্যানিস্ম বলতে চাইছেন ? তাহলে সেটা তো রাসনালিস্ম আর এম্পিরিসিস্ম এর ওপর প্রতিষ্ঠিত । হিউম্যানিস্ম একটা এথিকাল স্ত্যান্দ ।এখন , এথিক্স আর মরাল অবশ্যই সেম নয় । কিন্তু সেখানেও কালেকটিভ মরাল থেকেই এথিক্স জন্ম নেয়, অন্য গ্রহ থেকে এসে কেও রুলস সেট করেনা । কাজেই "ওপরে আছে " কথাটার নিকটতম মানে যা বুঝলুম তা হলো গ্রেটার মাস যে এথিকাল স্ট্যান্ড এ পৌছচ্ছে সেটাই মানবিকতা ।

    তো আমাদের গ্রেটার মাস এখন ল্যাম্পপোস্ট এ ঝুলিয়ে মারা কে এথিকাল মনে করছে ।আপনি লিখলেন "যা মনে করে প্রাণ ধ্বংস করার অধিকার কারুর নেই" এই ধারণা বহু শত হাজার বছর ধরে চলে আসছে কাজেই এটাকে এস্টাবলিশ্দ ফেইথ সিস্টেম বলতে পারি । এস্তাব্লিশ্দ ডকত্রাইন এর ওপরে এম্পিরিসিস্ম কে স্থান দেওয়া হিউম্যানিস্ম এর লক্ষণ ।তাহলে যাঁরা বলছেন ফাঁসি দিলে , শত্রুকে অত্যাচার করে মারলে অপরাধ কমবে ,অমুক দেশে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট এর ভালো ফল পাওয়া গ্যাছে ইত্যাদি ইত্যাদি ... তারা তো এম্পিরিকালি ভাবার চেষ্টা করছে । তাদের কথা শুনতে প্রবলেম কোথায় ? তাদের ডেটা বা স্টাডি ভুল কিনা তাই নিয়ে হাজার বার তর্ক করতে পারেন । কিন্তু ডেটা /স্টাডি না দেখেই এইযে মানবতা মানেই অমুক বলে খুঁটি পুঁতে দেওয়া এত ফিদেইস্ম এর লক্ষণ । যেটা মানবতার বিরোধী ।

    মানে মোদ্দা কথা , মানবিক বলুন বা মরাল ব্যাপারটা সেই আদতে গ্রেটার মাস এর হাতে এবং কোনভাবেই স্থির কিছু নয় । কিছু মানুষ নিজের মরাল অবস্থান আড়াল করার জন্যে লিগালিটির হাওয়া কল দেখাচ্ছে । তাদের সেই আড়াল টা না দিয়ে ডিরেক্টলি মরাল কেই এটাক করতে বাধা কোথায় ?
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:১৮67695
  • @0

    ভেবে দেখুন , যারা বা যাদের টেররিস্ট আক্রমনের শিকার হতে হয় তাদের কাছে কিন্তু সর্বদাই যুধ্ধপরিস্থিতি । যাদের সীমান্তে শত্রুপক্ষের স্নায়পারের সীমার মধ্যে জীবন কাটাতে হয় বা যখন মুম্বাই এর মত শহরে একটা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে বা ধরুন লাহোর এও তখন একটা সো কল্ড শান্ত দিনে ওই এলাকার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেও ঠিক "স্বাভাবিক " লাগেনা । একটা বিচ্ছিরি ভয় চেপে বসে থাকে । প্রিয়জন কেও ওই এলাকায় থাকলে এবং বিস্ফোরণের অনেকদিন বাদেও হটাত একদিন তার ফোন অফ পেলে আমরা পেগলে যাই । খবর নি আবার কিছু ঘটল কিনা । নেট দেখি । এগুলো ঠিক স্বাভাবিক জীবনযাপন না । আপনার হয়ত অভিজ্ঞতা আছে , জানবেন ।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:২৭67696
  • একজন নিরস্ত্র বন্দির সাপেক্ষে সেই রকম যুদ্ধপরিস্থিতিই কি আমরা পেরিয়ে এলাম ? যেখানে বন্দির বিপক্ষে শুধুমাত্র 'পারিপার্শ্বিক প্রমাণ' ছাড়া সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকার আর কোনো সরাসরি প্রমাণই যোগাড় করা গেল না, তখনও কি বলব মারণস্ত্রের প্রয়োগ অনিবার্য ছিল ? না কি 'জনগণ' (মানে বিশেষতঃ হিন্দু জনগণ) চাইলে যে কোন পরিস্থিতেতে যুদ্ধপরিস্থিতির অজুহাত দেওয়া চলে !

    তবে এটা আমার প্রতিপাদ্য নয়। একমাত্র সত্যিকারের যুদ্ধ ছাড়া আমি এমন কোনো পরিস্থিতিই দেখতে পাই না যেখানে এই মারণী ফন্দির বিকল্প হয় না। সেই কথাই এই লেখায় বলা আছে। বা উল্টোদিক থেকে বললে কোনো মারণস্ত্রেরই এমন ক্ষমতা দেখি না যা এই ব্যপক অর্থে 'যুদ্ধপরিস্থিতি' থেকে উদ্ধার করতে পারে। বরং এর ভুল ব্যবহারে মূল্যবোধের অবক্ষয়, সাম্প্রদায়িক গণরোষ সমেত বহুপ্রকার ক্ষতিসাধনই সম্ভব। রাষ্ট্র সেই অপরাধ অস্বীকার করতে পারে না।
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:০০67697
  • "রাষ্ট্র সেই অপরাধ অস্বীকার করতে পারে না।" এই জায়গা টা তেই বারংবার আপত্তি জানাচ্ছি । নইলে মৃত্যুদন্ড কাজের নয় এ আমার ব্যক্তিগত মতামত । এই যে আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আছি । সবকিছুই কালেকটিভ এর ইচ্ছে তে হচ্ছে অথচ যেটা খারাপ সেটার দিকে আঙ্গুল তোলার জন্যে আমরা একটা "রাষ্ট্র " খাড়া করে নি , এটা বিপজ্জনক । এটা করে আমরা একচুয়ালি পার্সোনাল মরালিটি ওপেনলি প্রকাশ করার দায় এড়িয়ে যাই । সেইকারণেই মনে হয় লিগালিটি টেনে আড়াল করার জায়গা টা প্রথমেই সরিয়ে দিলে মানুষ পার্সোনাল মরালিটি নিয়ে নেকেডলি কথা বলতে বাধ্য হবে এবং হয়ত সেটা বেটার কালেকটিভ মরালিটি অর্থাত লিগালিটির জন্ম দিতে পারে । কিন্তু সেটা ফাইনালি কারো না কারোর পার্সোনাল মরালিটির বিপক্ষে যাবেই ।

    আর "সত্যিকারের যুদ্ধ " বলতে আপনি কি বলছেন ? সীমান্তে যা ঘটে তার কতটুকু খবর আমরা রাখি ? কোনো সেনার বাড়ির লোক জানেনা তাদের সন্তান পরেরদিন বাঁচবে কিনা । খুব বড় কেও মারা না গেলে খবর হয়না । ইন্টেলিজেন্সের লোক দোল বেঁধে ধরিয়ে দিয়েছিল আইকে গুজরাল ।পাকিস্তানের মাটিতে তাদের খুন করা হয় । সবই আমার-আপনার স্বার্থে যাতে আমরা "সত্যিকারের যুদ্ধ" পরিস্থিতির আঁচ না পাই । একটা বিশাল প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া হিংস্র যুদ্ধের আঁচ ও আমরা পাইনা তাই মনে হয় সত্যিকারের নয় । আমি বলছিনা যে এই বিদেশ নীতি -ওয়ার স্ট্রাটেজি র মধ্যে ভুল কিছু নেই । আছে । কিন্তু এই প্রতিনিয়ত হিংসা আমাদের টাচ করেনা বলেই যুধ্ধপরিস্থিতি নয় বা সেই পরিস্থিতিতে শত্রুকে ভুলিয়ে নিজের শিবিরে এনে শাস্তি দেওয়া যায়না এমন নয় । শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড অকাজের মনে করি । কিন্তু সে আমি মনে করলেই তো হবেনা । আফটার অল কালেকটিভ যা বলবে । থুড়ি মানবিকতা ।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:০০67698
  • একক, আপনার সমস্যা হল আপনি যে কোন আলোচনাকে নিজের পছন্দমত খাতে বইয়ে দিতে চান। তাই কোনো লেখাই ভালো করে পড়ারই দরকার মনে করেন না, কিন্তু নিজের পছন্দমত কিছু কিছু মন্তব্য কর যান। তাই তর্কের জন্য তর্ক যে আসলে আপনার আইডিয়া, আমি জাস্ট রেফার করেছি মাত্র, এটা খেয়াল করেন নি।
    যাই হোক, শেষ যে চারটে ফাঁসির ঘটনা স্মরণে আছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পরপর ভাবুন (লেখে ফেললে আরো ভালো হয়), তবেই বুঝবেন বিরলের মধ্যে বিরলতম-র বাউন্ডারি কন্ডিশন কেমন ঠিকঠাক কাজ করছে।
    আপনার 'শত্রু' কথাটা পড়ে আশ্চর্য হলাম। শত্রু আর অপরাধি যে এক নয়, তা নিশ্চই আপনি জানেন। এই সব সময়ে সত্যিই মনে হয় আপনি শুধু তর্ক করবেন বলেই তর্ক করছেন। দেশের নাগরিক অপরাধি হতে পারে শত্রু হবে কি করে ! তবে শত্রুকে বা অপরাধিকে অত্যচার করে মেরে সুফল পাওয়া গেছে এমন ডেটাই বা কে দিল আর সেটাই শেষ কথা হয়ে থাকবে এটাই বা কি করে ঠিক হল !
    লিগ্যলিটি আর মরালিটির ব্যাপারটা আগেও বলেচি আবারও বলছি, প্রাণদন্ডের পক্ষে যাঁরা তাঁদের যুক্তি (যা মূল লেখায় বলা আছে) বিস্তারই বলে তাঁরা এই ব্যপরে মরালিটি ধার ধারেন না। যেকোন যুক্তিকেই তো 'মরালিটি' বলা যায় না, তাহলে তো এই কথাটাই অর্থহীন হয়ে পড়বে।

    তবে আপনি যে কত বড় তাত্ত্বিক সেটা বোঝা গেল যে মানবিকতাকেই মানবতার বিরোধি প্রমাণ করে ছাড়লেন...
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:১১67699
  • "অপরাধী " লিগাল টার্ম । "শত্রু " মরাল । মরালিটি আমাদের বলে হোয়াট ইস রং হোয়াট ইস রাইট । রং/ রাইট কিসের প্রেক্ষিতে ? না , ব্যক্তিগত স্বার্থ । শত্রু কে ? না ,যে আমার স্বার্থবিরোধী ।

    এগুলোতো পর পর যুক্ত । আপনি নিজেই মরাল -লিগাল এসব টার্ম না এনে এমনি যদি বলতেন ভাইসব আপনারা কি মৃত্যুদন্ড সমর্থন করেন ? তার একরকম উত্তর হত । নিজেই বেশ জার্গন তার্গন এনে লিখলেন ,এখন খেই খুঁজে না পেয়ে বলছেন আমি অন্য খাতে বইয়ে দিতে চাই ।

    এই মানবিকতা , মরালিটি এগুলো প্রত্যেকটা ওয়েল ডিফাইনদ শব্দ তো । ফন্গ্যবেনে কিছু না । কাজেই আমি যা বলছি একেবারেই জানা কথা জানাচ্ছি ।নতুন কিছু না । শত্রু যখন লিখেছি তখন বুঝেই লিখেছি । মরাল অবস্থান থেকে অপরাধী কথাটার কোনো বেস দাঁড়ায় না । আশা করি বুঝতে পারছেন ।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:১৪67700
  • বার বার সীমান্তের কথা বলে কি প্রমাণ করতে চাইছেন ? সারাদেশের লোক তো সীমান্তে বাস করে না, তাদের (তার মধ্যে আমি-আপনিও আছি) মধ্যে কেন এই মাপের হিংসা থাকবে যার জন্য রাষ্ট্রকে এই বর্বর প্রথাকে গৌরবাণ্বিত করতে হবে? আর কে বলেছে শুধু 'রাষ্ট্রকে' দোষরোপ করা হচ্ছে ? দোষরোপ করা হচ্ছে সেই গণ-উন্মাদনাকে যাকে তুষ্ট রাখতে রাষ্ট্র প্রাণদন্ডকে টিকিয়ে রেখেছে এবং কিছু লোকক শত্রু 'খাড়া' করে ফাঁসি দিয়ে দেশপ্রেম দেখাচ্ছে।

    আমি সীমান্তে থাকি না বলে যুদ্ধ পরিস্থিতির আঁচ পাই না, আপনিও আফজল গুরু বা ইয়াকুব মেমনের কেউ হন না তাই এত সহজে কালেক্টিভিটি = মানবিকতা=প্রাণদন্ড এই সমীকরণ লিখতে পারেন।
  • Tirjak | 24.139.222.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:১৮67701
  • ধনঞ্জয় চ্যাটার্জী কার শত্রু ছিলেন ভাই ? তাকেও কি 'ভুলিয়ে ভালিয়ে' এনে শাস্তি দেওয়ার দরকার পড়েছিল ?
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:২৫67702
  • একটা তত্বের যেমন বাউন্ডারী কন্ডিশন ,একটা দেশের তেমন সীমান্ত । আর আপনার কে কোথায় থাকে আমি জানি না । আমার খুব কাছের লোকজন সীমান্তেও কাজ করে মৃত্যু মাথায় নিয়ে । আমার ছোটবেলার বন্ধু ফোর্সে আছে যাকে মাওবাদী এলাকায় যেতে হয় মাইন্ সামলে । আবার কারো হয়ত মাওবাদী বন্ধু আছে যে, যে কোনদিন ফোর্স এর হাতে খুন হতে পারে । কাজেই যে যার জায়গা থেকে রি একশন দেবে এটা স্বাভাবিক । একে গণ উন্মাদনা বলে দাগিয়ে দেওয়া খুবেকটা কাজের কথা বলে মনে করিনা ।

    গণ -উন্মাদনার থিওরি খুব মারাত্মক । কে উন্মাদ কেও জানেনা । কেও আগুন জ্বালাচ্ছে কেও জল ঢালছে । শেষে পুরে মরবেন না জলে ডুবে সেটা বলা সম্ভব নয় । আমি কোনো সমীকরণ দি নি । আমি মানবিকতার সমীকরনেই ভ্যালু পুট করে দেখিয়েছি যে ওটি ও কিছু সবার-ওপরে রাখার মত ভর্সাযোগ্য জিনিস না । আপনি ব্যাখ্যা করুন না মানবিকতা মানে কি । স্পষ্টভাবে লিখুন । আপনার যখন এতই মনে হচ্ছে আমি গোলাচ্চি । আপনি সমীকরণ লিখুন ,বাউন্ডারী সেট করুন । আমি ভ্যালু বসাবো । প্রোগ্রাম ও আপনার । টেস্টার ও আপনি । এভাবে তো হয়না :)
  • 0 | 132.163.65.82 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:৩১67703
  • একক, টেররিজ্‌মের ঘটনা বা তার সর্বদা সম্ভাবনা কিংবা ক্রস-বর্ডার ফায়ারিং যে সব জায়গায় হয় বা হতে থাকে, সেখানে অস্বাভাবিক, স্পষ্টতঃ চরম জরুরি 'যুদ্ধপরিস্থিতি'র বিবেচনায় নিরস্ত্র সিভিলিয়ান্‌ পপুলেশনের স্বাভাবিক 'শান্তি'পরিস্থিতি যথাসম্ভব নিরাপদ করার জন্যে পুলিশের কাছে, মিলিটারির কাছে, এমনকি জায়গা-বিশেষে প্রশিক্ষিত সিভিলিয়ান পপুলেশনের কাছেও মারণাস্ত্র প্রয়োগের 'যুদ্ধপরিস্থিতি'কালীন অধিকার দেওয়া হয়। কারণ সেক্ষেত্রে সমস্ত নৈতিক/মানবিক মূল্যবোধের সাপেক্ষেই মারণাস্ত্রের প্রয়োগ অনিবার্য, অপরিহার্য এবং বিতর্কের ঊর্দ্ধে।

    সন্ত্রাসের যুদ্ধপরিস্থিতির বাস্তব অস্বাভাবিকতাকে মেনে নিলেও তাকে মনের ভেতরকার ন্যায়-অহিংসার ভিত্তিতে তৈরী স্বাভাবিক জীবনের ধারণাকে সন্ত্রস্ত করতে, আঘাত করতে সুযোগ দেওয়া হয় যখন আমরা মনে করি আদালতের গণ্ডীর মধ্যেও সেই সন্ত্রাসের অদৃশ্য উপস্থিতি আছে। তখনই সন্ত্রাস জিতে যায়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন