এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • abantika | 122.79.37.121 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:৪১67750
  • মনোজ,
    ছবিটাকে আমি তো ডকুমেনটেশন হিসাবেই নিলাম. সত্যাসত্য যাচাইয়ের উপায় কোথায়! যারা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, বয়সে প্রবীণ, প্রাজ্ঞ, তারা হয়ত জানবেন. আক্ষরিকই আমি কেয়া সম্পর্কে জানতে অনেকদিন আগ্রহী ছিলাম. রুদ্রবাবুর পেজে কেয়ার নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা নেই. নান্দীকারের অফিসিয়াল পেজে শুধু পুরনো নাট্যাভিনেত্রী হিসেবে তালিকায় নাম আছে. আমাদের প্রজন্ম কীভাবে জানবে বলুন তো! দেবেশ নাটকের স্ক্রিপ্ট তৈরির সময় যথেষ্ট গবেষণা করেই নামেন. তবে নিশ্চয় আপনারা এ বিষয়ে অনেক ভালো বলতে পারবেন.
    এ কথা অস্বীকার করবার তো উপায় নেই যে বাংলা গ্রুপ থিয়েটারে রুদ্রবাবু একক ও সংযুক্তভাবে, প্রতিষ্ঠান. ফলত তথাকথিত না-প্রতিষ্ঠানের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েই গেছে তাঁকে নিচু দেখানোর. তবে ওই, কোনো প্রচেষ্টায় তো পুরোপুরি পক্ষপাতহীন হয়না. প্রসঙ্গত, গত বছর গ্রীনরুম থিয়েটারের একটা প্রডাকশন দেখেছিলাম. নাম উল্লেখ করছি, কারণ অত খারাপ উপস্থাপনা একমাত্র পাড়ার ক্লাবেই দেখা যায়. যেমন স্ক্রিপ্ট তেমনি অভিনয়. আড়াই ঘন্টা জুড়ে কেবল কেচ্ছা শুনিয়ে গেসলো. বলতে চাইছি, মাঠে যদি নামতেই হয় তবে সেয়ানে সেয়ানে নামাই ভালো. যেমন দেবেশ নামলেন. আফটার অল, উল্টোদিকের লোকটার নাম রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত. :)

    পাই,
    দেখে এসো. ভালো মেকিং. পাওলি নিজের সেরাটা দিয়েছে. মানে এর বেশি ওর পক্ষে সম্ভব নয় আরকি. :p রজতাভর চরিত্র-নির্মানও সাংঘাতিক নজর কাড়ে.
  • anonymous | 132.169.151.8 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০২:২৫67751
  • মনোজ বাবু,
    আপনি তো কেয়া কে নিয়ে অনেক কিছু জানেন --লিখুন না এখানেও
  • মনজ ভট্টাচার্য | 212.78.235.76 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩৩67752
  • অবন্তিকা।

    আমি সেই রকমই ভেবেছিলাম । কেয়ার সম্বন্ধে জানে খুব কম লোকই ! যারা তাকে জানে বলে দাবী করে - তারা সব উদ্ভট কিছু গল্প পেশ করে ! অথচ একটু কষ্ট স্বীকার করে মানিকতলার রাজেন্দ্র লালা স্ট্রিটে গিয়ে খোঁজ করলেই সেরকম লোক নিশ্চয়ই এখনো পেতে পারে ! আমি সাংবাদিকদের কথা বলছি !

    রুদ্রপ্রসাদের কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল ! - যার জন্যে নান্দীকারে অভিনয় করার সুযোগ পেল - তাকেই সেই দল থেকে চলে যেতে হল ! অজিতেশবাবু ও তার স্ত্রী ! একজন যদি নান্দীকারের শরীর হয় আরেকজন তার ধমনী !

    আমি খোঁজে আছি - দেবেশবাবুর সঙ্গে মোলাকাত করার । যদি সে সুযোগ পাই ! অবশ্য উনি তো বলেই দিয়েছেন - এটাই ওনার শেষ প্রচেষ্টা ! - কারণটাও হয়ত বোঝা যায় !

    যাই হোক - পরের সপ্তাহে দেখি সিনেমাটা দেখা যায় কিনা ! আপনাকে আবার ধন্যবাদ জানাই - রিভিউএর জন্যে !

    মনোজ
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০২:৪০67753
  • মনোজবাবু,
    "চিত্তদা" বলতে কি আপনি চিত্তরঞ্জন ঘোষ এর কথা বলছেন, যিনি শেয়ালদায় জগৎ সিনেমার কাছে পটলডাঙা লেনে থাকতেন? এই উত্তরটা জানা খুব দরকার। জানাবেন কিন্তু। উনি অনেক বিদেশী নাটকের বঙ্গানুবাদও করতেন। ওঁর কাছে কেয়া চক্রবর্তী সম্বন্ধে অনেক শুনেছি।

    "কেয়া সাঁতার জানত না" টা "কেয়ার বই" এ আছে। সাঁকরাইলের গঙ্গায় সাঁতরানোর মতো সাঁতার তিনি জানতেন না - এইটে বোঝানোর জন্যে হয়ত অমন উক্তি করা হয়ে থাকবে।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০২:৪৩67754
  • রত্না বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এখনো জীবিত থাকেন, ওঁর কাছেও কেয়া চক্রবর্তী সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা জেতে পারে। আগ বাড়িয়ে অনেক কিছু বলে ফেললাম।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৩:০৩67755
  • এই সিনেমার কিছু শুটিং আমাদের ইস্কুলে হয়েছে।
  • pi | 192.66.79.135 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৯67747
  • এটা নিয়ে ক'দিন অনেক কিছু পড়ছিলাম, শুনছিলাম। তবু ভাবছিলাম, দেখবো কিনা। তোমার লেখাটা পড়ে যাব ঠিক করলাম ঃ)
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৪১67748
  • কেয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে সিনেমা হয়েছে? নাটকের মত? কবে যে নেটে আসবে। এলে দেখতে হবে।
  • abantika | 122.79.36.69 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৮:০১67756
  • 'কেয়ার বই' এর সম্পাদনা তো সম্ভবত চিত্তরঞ্জন ঘোষেরই. সিনেমায় নীল চরিত্রটা করেছেন. 'কেয়ার বই' বহুদিন আউট অফ প্রিন্ট. শুনছি রিপ্রিন্ট হবে অন্য কোনো পাবলিকেশন থেকে.
    জাস্ট শেয়ারিং- সিনেমায় বইপাড়ার একটা দৃশ্য আছে. দেবেশ বাবু যেদিন দলবল নিয়ে ওটা শুট করতে যান গতবছর এইরকম সময়ে, আমি ইন্সিদেন্তালি সেখানে উপস্থিত ছিলাম. তখনই ছবিটা সম্পর্কে বিশ্বস্ত সূত্রে কিঞ্চিত ওয়াকিবহাল হই.
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১২67757
  • বাংলায় আন্তিগোনে ও ওঁরই লেখা (চিত্তরঞ্জন ঘোষ)। কেয়া করতেন নাম ভূমিকায় ও ক্রেয়নের রোলে অজিতেশ।
    কেয়া চক্রবর্তীর একটিমাত্র অভিনয় দেখতে পেরেছিলাম মঞ্চে। ফুটবলের প্রথম শো। হরির মাসী। এর পরপরই ওঁর মৃত্যু হয়।
  • abantika | 122.79.36.69 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৩67758
  • আন্তিগনের অনুবাদে কেয়া ও চিত্তরঞ্জন দুজনেরই নাম ছিল সম্ভবত. আমার যদিও বিদ্যে ওই বই আর সাইটে সীমাবদ্ধ. বাবা বোধ হয় একবার স্টেজে দেখেছিলেন. শুনেছি ভারি সুন্দরী. ও হ্যা, কবিতা সিংহের চরিত্রে উষসীও বে-শ.
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৪৭67759
  • হ্যাঁ। বইটা ছিলো, খুঁজে পাচ্ছিনা বহুকাল। ওখানে কেয়ার কিছু লেখাও ছিলো।
    যেমন একটা অনুদিত কবিতা, নাম সম্ভবতঃ "মারী ফারারের ভ্রূণহত্যা সম্পর্কে"; এই কবিতাটি অজিতেশ ও কেয়া দুজনে মিলে অনুবাদ করেছিলেন। মূল কবিতাটি বের্টোল্ট ব্রেশ্‌টের, "Bertholt Brecht: Concerning the Infanticide, Marie Farrar (1922)"

    শেষ পঙ্‌ক্তিগুলো এইরকম,
    ..Therefore, I beg you, check your wrath and scorn
    For man needs help from every creature born.

    অনুবাদে সম্ভবতঃ এইরকম ছিলো-

    "..তাহলে, আপনারা সব মানুষজন, রাগ ঘৃণাকে সামলান
    কারণ যে জন্মেছে, সে জন্মানোদের সাহায্য চায়।"

    এছাড়া ঐ বইয়েই আর্নল্ড ওয়েস্কারের দ্য ফোর সীজন্‌স্‌ এর অসমাপ্ত অনুবাদ (সরাসরি অনুবাদ নয়, পুরোটাই পাল্টে ফেলেছিলেন দেশের পটভূমিকায়), শুধু একটি সীজন "বসন্ত" ছেপে বেরিয়েছিলো। আমরা অত্যুৎসাহীরা সেইটেই মুখস্ত করে লেগে পড়তাম।

    ঐ বইয়ে, আরো মনে পড়ছে কেয়ার লেখা বেশ কয়েকটি স্বগতোক্তি গোছের লেখা। স্কুলের কথা। প্রথম অভিনয়, ইস্কুলের স্টেজে, ভিটামিনের ওপর একটি নাটিকা, তাতে ".. আমি খুব রোগা আর ফর্সা ছিলাম বলে আমাকে গাজরের রোল দেওয়া হয়েছিলো" এই লাইনটা এখনো মনে পড়ছে। তিরিশ বছরেরো বেশি আগের স্মৃতি, হয়ত ভুল লিখছি।
    একদিন দুপুরে চিত্তরঞ্জনবাবুর বাড়ীতে গেলাম, সঙ্গে এক বন্ধু ছিলো। খুব অময়িক তিনি। অনেকক্ষণ গল্প করেছিলেন। আমরা তখন সদ্য তরুণ। তবু আস্কারা দিয়েছিলেন। সে ১৯৮২ কি ১৯৮৩ হবে।
    আর অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে কেয়া চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ খুব কমই উঠেছিলো, কিন্তু মনে আছে। উনি তখন যাত্রা করতেন টাকা রোজগারের জন্য। মুঘল্‌-এ-আজম্‌। ১৯৮৩ র বর্ষায় এক দুপুরে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে গেলাম সিআইটি রোডে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে। টপ ফ্লোর। দরজায় কলিং বেল টিপবার আগে দশটা পয়সা রুমালের গিঁট খুলে টস করে, হেড হলে বেল টিপব, টেইল হলে ফিরে যাব, এইভাবে হেড হোলো। উনি ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে এসে দরজা খুলে আমাদের সঙ্গে বেশ অনেকক্ষণ নানান গল্প করেছিলেন। সেদিন কেয়ার কথা উঠেছিলো। ওঁর সিনেমায় অভিনয়ের কথা। কোনো একটা সিনেমায় কেয়া, সৌমিত্র ও সুচিত্রা সেন অভিনয় করেছিলেন। সিনেমার নাম মনে পড়ছে না এখন। সেই অভিনয়ের কথা, সুচিত্রা সেন ক্রমাগত ভুল অভিনয় (কোঅ্যাকটিং) করে যাচ্ছেন, কেয়া কিছু সংলাপ বলছেন, কিন্তু সুচিত্রার রিয়্যাক্‌শন সম্পূর্ণ ভুল। সেগুলো উনি আবার করে করে দেখাচ্ছিলেন। আমরা দুই সখী সেসব দেখে হেসে কুটিপাটি হচ্ছিলাম। সেই শেষ দেখা।
    ভুলভাল আবোলতাবোল বকলাম। আরো মনে পড়লে লিখব।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৯:১৯67760
  • আরো কিছু জিনিস মনে পড়েছে। কেয়া সংক্রান্ত আলোচনা। সেটা খোলা পাতায় লেখা উচিৎ হবে না। চাগ্রীর গপ্পো তে লিখব ভেবেছিলাম কিন্তু লিখিনি।

    যাগ্গে, মৃত্যু বিষয়ক মোটামুটি দুটো মত চালু ছিলো। হত্যা বা অ্যাক্সিডেন্ট। আত্মহত্যা শুনিনি। আমার ইস্কুলের কিছু বন্ধু রত্না কাকিমার কাছে গান শিখতে যেত, কিছু আলোচনা স্কুলের ক্লাসরুম অবধি চলে আসত।

    আবার ১৯৯৬ এ অন্যপক্ষের অন্যমতের লোকজনেদের খুব কাছ থেকে দেখি, একই ছাদের নীচে রাত্রিবাস করি কয়েকটা রাত। সেসময়ে কিছু কথা আলোচনা হয়েছিলো। সেসব ভার্শান ছেলেভোলানো গল্পের মতো লেগেছিলো। কারণ তা সত্যিসত্যিই ছেলেভুলোনোর কাজেই ব্যবহৃত হয়েছিলো হয়ত।
    যে এসমস্ত বলেছিলো, আমায় নিতান্ত দুধভাত ভেবেই গড়গড় করে সব বলে যেত, অনেক অনেক গভীর রাত অবধি। আমি তার পাশে শুয়ে শুনতাম, কিছু বলতাম না। মাথায় আমার অন্য অনেক চিন্তা থাকত। কিন্তু শুনতাম অনর্গল তার কথা। সকালে অবশ্য সে এসব কথা কিছুই বলত না।
  • abantika | 122.79.36.69 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ০৯:২২67761
  • লিখুন :)
    গোটা জীবনটাই তো চরম ভুলভাল আর আবোল তাবোল ব্যাপার. জীবন লিখুন.
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.2.135.81 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:৩৭67749
  • অবন্তিকা,

    আপনার এই লেখাটা পড়ে বেশ কিছু কথা জানা গেল !

    এখনো আমি নাটকের মতো সিনেমাটা দেখার সুযোগ পাই নি । খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে সুযোগ পাবো । - তো নাটকের ব্যাপারে আমার আপাতত কোনও বক্তব্য নেই ।

    বেশিরভাগ চিত্রনাট্যকার চিত্রনাট্য লেখার আগে বিশেষ ‘হোম ওয়ার্ক’ কথাটায় পাত্তা দেয় না । দেবেশবাবু যখন ‘কেয়া’ বইয়ের সম্পাদনা করেছেন – তখনই কিছু অন্তত খোঁজ নেওয়া উচিৎ ছিল ! বিভিন্ন নাট্য ব্যক্তিত্ব নানানরকম বক্তব্য রেখেছিলেন – কেয়ার মৃত্যুর পর ! – কোথা থেকে তার জীবন সম্বন্ধে অদ্ভুত সব উক্তি করলেন ! চিত্তদা আজ আছেন কিনা জানিনা - কিন্তু উনি কেয়ার সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতেন !

    আর তার জীবনকে মহান করতে গিয়ে – তার বাবার চরিত্রকে কিভাবে ভিলেন বানান হল – বুঝতেও পারা গেল না ! এ বিষয় কি কেয়ার পৈতৃক পরিবারের কারুর কোনও মতামত নেওয়া হয়েছে ? – কোথা থেকে রটিয়ে দেওয়া হল – কেয়া সাঁতার জানত না ! কেউ কি জানে – কেয়া সাঁতার শিখত অনেক অনেকদিন ধরে দেশবন্ধু পার্কে ! পুকুর এপার ওপার করার মতো সাঁতার জানত তো বটেই ! আর ওর বাবাই ওকে সাঁতার শিখিয়েছেন ! – এমনকি একটা বিরাট মেলোড্রামাটিক লেখাও দেখেছি – কেয়ার মা যখন বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে – তখন নাকি কেয়া বারাণ্ডার রেলিং ধরে কাঁদছিল ! দারুণ হৃদয়বিদারক দৃশ্য বটে ! কিন্তু সেটা কোন সালে ! কেয়ার মা সেখানে থাকত না কেন ! সত্যি কি না !

    কেয়া হল নাটকের নটি বিনোদিনী ! তাকে দিয়ে নান্দীকারের সমস্ত রকম কাজই করানো হত ! যখন প্রথম তের জন মুখ্য নাট্য শিল্পী দল ছেড়ে আচমকা চলে গেল – একটা নতুন নাটকের প্রথম শো থেকে – সেই সময়ে কেয়াকে সব চেয়ে দুরূহ রোল করতে হয়েছিলো ! তারপর থেকে প্রায় সব কাজ নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েছিল!

    নাটকের ইতিহাসে – কেয়া চক্রবর্তীর কোনও তুলনা নেই ! শুধু অভিনয় নয় – শুধু নিজেদের গ্রুপ নয় – তখন বাংলার নাট্যজগতের জন্যেও তার অসীম অবদান !

    মনোজ
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০১:১৫67768
  • প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে রঙ্গনা হলে গিএ দেখেছিলাম-- নান্দীকারের "ভালোমানুষ"। ব্রেখ্টএর "দ্য গুড উয়োম্যান অফ সেজুয়ান" এর অজিতেশকৃত অনুবাদ।
    ফাটাফাটি লেগেছিল। কারণ একবছর আগেই অরুণ মুখোপাধ্যায়ের "চেতনা" দলের "ভালোমানুষের পালা" দেখেছি যে! মন ভরে নি। যদিও ওঁদের মারীচ সংবাদ, জগন্নাথ দেখে আমি একেবারে ফিদা ছিলাম।
    এই নাটকে রুদ্রপ্রসাদ, অজিতেশ, রাধারমণ তপাদার সবাই ভালো। কিন্তু সবার ওপরে কেয়া শান্তার ভূমিকায়। ভুল বললাম-শান্তি ও শান্তাপ্রসাদের জোড়া ভূমিকায় কেয়া।
    গোবিন্দ প্লেনে করে পাইলট হয়ে যাচ্ছে আর কেয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে আঁচল উড়িয়ে ছটফট করে আর্তনাদে ফেটে পড়ছেন-- ও যেন দেখতি পায়, ঠাকুর! আমারে যেন দেখতি পায়।
    অথবা শান্তাপ্রসাদের ভূমিকায় গান গাইছেনঃ
    " আমি যখন মেয়ে থাকি
    তখন তাঁরা আসেন এবং,
    খুকখুক করে কাশেন এবং,
    তো-তো তো-তো করে বলেন ভালবাসি।

    আমি যখন ছেলে হই,
    কড়া কড়া কথা কই,
    তখন কথা শেষের আগে
    বলেন তাঁরা- এখন তবে আসি?"

    অজিতেশের অনুবাদ, অজিত পান্ডের গলায় "আটটি ঘোড়ার গান"--- সবই খুব ভালো লেগেছিল।

    অনুবাদটি বই হয়ে বেরলো। কিনে দেখি অজিতেশ উৎসর্গ করেছেন কেয়া চক্রবর্তীকে এই বলে-- কেয়া, আমার দেখা তুমি, তুমিই হলে ভালমানুষ।
    অজিতেশদা"।
    তখন কেয়া প্রয়াত।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.2.135.12 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০২:১২67769
  • কাল থেকে ব্যস্ততার কারনে দেখার সময় পাই নি । অজুহাত !

    অনেকের লেখা দেখছি ! - দেখে ভালো লাগছে যে এখনো কেয়াকে অনেক অনেক নাট্যপ্রেমী মনের মধ্যে রেখেছেন !

    কেয়ার প্রসঙ্গে ঠিক নয় - আমি বাংলা লাইভের মজলিশে - বেশ অনেকগুলো লেখা দিয়েছিলাম - যার মধ্যে কেয়ার প্রসঙ্গ এসে পড়েছে । সেই লেখাগুলো অনেকটা ব্যক্তিগত ! - অবশ্য নান্দীকার - অজিতেশদার অনেক প্রসঙ্গ লিখেছিলাম ।

    সুদীর্ঘ একতিরিশ বছর দেশের বাইরে থাকার জন্যে অজিতদার দল ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ঠিক ঠাক জানা নেই ! - কিন্তু যে কথা লিখেছিলাম - নান্দীকারের প্রান যদি হয় অজিতদা - তাহলে ধমনী হল তার স্ত্রী !

    কেয়া বইটা - ওর মৃত্যুর পর অনেক নাট্য ব্যক্তিত্যের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ! সম্পাদনা করেছেন দেবেশ চট্টপাধ্যায় । - যখন বইটা প্রথম প্রকাশ হয়েছিলো - তখন ছিলাম না বলে জোগাড় করতে পারি নি । এই বছরে এখানে সংসৃতির একটা নাটক দেখতে অকস্মাৎ বইটা পেয়ে গেছি ! - যদি কারুর কোনও প্রশ্ন থাকে - উত্তর দিতে বাধ্য থাকবো !

    সে - বোধয় লিখেছেন - অজিতেশদার বাড়িতে গেছিলেন ও কেয়া সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলেন ! হতেই পারে - উনি ও ওনার স্ত্রী কেয়াকে খুবই স্নেহ করতেন - ভালোও বাসতেন ! সেই নিয়ে একটা গুঞ্জন ছিল দলের মধ্যে ! কিন্তু সেটা শুধুই গুঞ্জন ! - অনেকগুলো নাটকে দুজনেরই অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল !

    চিত্তরঞ্জন ঘোষই - আমাদের চিত্তদা । উনি অনেক নাটক অনুবাদ করেছিলেন । - কেয়াদের তিনতলার বাড়িতে সবাইয়ের বেশ যাতায়াত ছিল ! - কেয়ার বাবা তেমন রক্ষণশীল ছিলেন না - যে কারুর সঙ্গে মিশতে দেন নি ! - কিন্তু সিনেমা করার সম্মতি দেন নি প্রথম প্রথম ! যে কারনে - সত্যজিত রায়ের নায়ক এর সাংবাদিক রোলটা করতে পারেনি ! আমরা খুবই হতাশ হয়েছিলাম সে সময় !

    যাই হোক, দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে । - কেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে এখনো ভালো লাগে !

    মনোজ
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৮67770
  • মনোজবাবু,
    খুবই তথ্যপূর্ণ ও মনোজ্ঞ আপনার আলোচনা। "কেয়ার বই" কোনোভাবে স্ক্যান করে আপলোড করা যায়? যারা দেশের বাইরে তারা পড়তে পারবে। আমরা সবাই কৃতজ্ঞ থাকব।

    হ্যাঁ, সবটাই গুঞ্জন। একদম ঠিক।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০০67771
  • রঞ্জনদা,
    একটা আবদার আছে। "ভালোমানুষ" বইটিও যদি স্ক্যান করা যায়। প্লীজ প্লীজ প্লীজ। ঐ বই আমি কখনো চোখেই দেখিনি। ঐ সমস্ত নাটক একটাও দেখা হোলো না। বড্ড দেরি করে জন্মেছি - দুঃখ হয়।

    "আটটি ঘোড়ার গান" সম্ভবতঃ শুনেছি। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে অ্যাকাডেমিতে একটা স্মরণ অনুষ্ঠান হয়, সেখানে। আরো অনেক নাটকের গান ছিল। সেসব নাটক কখনো দেখা হয়নি, হবেও না।

    আপনিও আরো লিখুন। অনুরোধ।

    শান্তা ও শান্তাপ্রসাদ এই দুই ভূমিকায় ওঁর অভিনয় যাঁরা দেখেছেন, সেই দুর্লভ মানুষদের মধ্যে আপনি একজন।

    এই নাটকের কিছু অংশ অন্য একটি মেয়ে (কলেজে আমার বেশ সিনিয়র, অনার্স ক্লাসের ছাত্রী) অভিনয় করেছিলো একটি নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্যে। তখন আমি স্কটিশে ১১-১২ ক্লাসের ছাত্রী। বিএড কলেজের একটা ফাঁকা ঘরে বিকেলের দিকে সেই কোয়ালিফাই করবার পরীক্ষা চলছে। আমাদের বাংলার অধ্যাপক অনিলবাবু বিচারকের ভূমিকায়। আমরা কয়েকজন ছেলেমেয়ে এককাভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় সেই মেয়েটির ডাক পড়ল।
    ভালোমানুষ কখনো দেখিনি, দেখবার প্রশ্নই নেই, কারণ সেই নাটক আর হবে না কোনোদিনো। মেয়েটি পাঁচ মিনিট অভিনয় করল। সম্ভবতঃ নাটকের শেষের দিকের কোনো অংশ, যেখানে সে বলছে, যে সে শান্তা এবং শান্তাপ্রসাদ, সম্ভবতঃ সে গর্ভবতী, এইসব।
    হাঁ করে অভিনয় দেখছি আর ভাবছি, কেমন করে সে এই নাটকের সংলাপগুলো জানল?
    ততক্ষণে তার সময় হয়ে গেছে, অনিলবাবু আমার নাম ডেকেছেন। আমার ৬মিনিটের কাজ হয়ে গেলে মেয়েটিকে জিগ্যেস করলাম, কে তোমায় এই নাটক দিলেন? কোত্থেকে শিখলে বলো। সে বলল - অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। সেই মুহূর্তে নিজেকে খুব হতভাগা মনে হয়েছিলো। ইশ্‌! মেয়েটা কত ভাগ্যবতী।
    এর কদিনপরে ফাইনাল প্রতিযোগিতা। কলেজের উৎসব "ক্যালিডোনিয়া"। সেখানে নানান কলেজ থেকে আসবে প্রতিযোগীরা। তিনদিন ধরে একের পর এক কত কী হয়ে চলেছে, উৎসবমুখর কলেজবাড়ী। নাটকের জন্যে অনেক কলেজ থেকে এসেছে। তার মধ্যে একটি ছেলেকে দেখলাম, সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়ে, সেও ইংরিজি অনার্স ক্লাসের পড়ুয়া। হলের ধারে চার নম্বর ঘরে আমরা সাজগোজ করছি, নাটকের পোশাক পরে। এক এক করে নাম ডাকা হলেই স্টেজে উঠে নিজের পার্ট অভিনয় করে দেখাতে হবে। সেই ছেলেটি পরেছে একটা বিরাট লম্বা ঝোলা শার্ট ও পাজামা। নীল সাদা ডোরাকাটা, লংক্লথের মতো মেটিরিয়াল। তাকে শুধোলাম, কী নাটক করবে তুমি? সে বলল - তামাকু সেবনের অপকারিতা।
    ব্যাস! ঐটুকু শুনেই আমার হয়ে গেছে। এতো অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সেই একক অভিনয়! কতোবার শুনেছি রেকর্ডে। ছেলেটির সঙ্গে আরেকটু আলাপ জমাতে চাই। শত হলেও মনে মনে যাকে গুরু মেনেছি, তারই নাটক করবে এই ছেলে। গায়ে পড়ে তাকে বলি, ঐ নাটক আমি শুনেছি রেকর্ডে। ছেলেটি উত্তর দেয় - আমি অজিতেশ বন্দ্যোপধ্যায়ের কাছেই এটা শিখেছি। এই জামাটা (সেই নীল সাদা ডোরাকাটা ঢলঢলে শার্টটা দেখিয়ে সে বলে) ওঁর। উনি যখন এই নাটকটা করেন, এইটা পরে করেন। আমায় দিয়েছেন।
    অদ্ভুত এক রকম লাগে আমার। রীতিমতো ভয় করতে থাকে। নিজের নাটক প্রায় ভুলে যেতে থাকি কিছুক্ষণ। এরপরে ছেলেটি যায়, ওর পারফর্ম্যান্স আমি উঁকি মেরে কিছুটা দেখি, কারণ আমার তখন মেকাপ ভর্তি, বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। যেটুকু দেখি, খালি ভাবি গুরু একে শিখিয়ে দিয়েছেন, এর পরণে গুরুর পোশাক, আশীর্ব্বাদ, এর সঙ্গে আমি পারব কেমন করে? হাতে পায়ে যেন ঝিঁঝিঁ ধরে যায়, কানে তালা লেগে যায়। সবার শেষে হোস্ট কলেজের নাম ডাকা হয়। চার নম্বর ঘর থেকে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে আমি স্টেজে ঢুকে পড়ি। একটা মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে কোথাও, সেটা তখনো বুঝিনি। হোস্ট কলেজ বলেই বুঝিনি। সব শেষে রেজাল্ট বলে দেওয়া হচ্ছে, বিচারকদের সামনেই। রিভার্স অর্ডারে। দ্বিতীয় হয়েছে সেই ছেলেটা। তারপরে কানে আবার তালা লেগে যায়। সে খুব চেঁচামেচি করছে সেটুকু শুনতে পাই। প্রায় মারামারি লেগে যায় একটা জায়গায়। ছেলেটা ঐ নাটকের পোশাকেই অ্যাসেম্বলী হল থেকে এরিয়ে যাচ্ছে। কী হয়েছে? সে চিৎকার করে বলছে, কলেজ থেকে কোনো প্রপ দেবার কথা নয়, তবু আমি সেই চেয়ারটা ব্যবহার করেছি। ওটা কলেজের সম্পত্তি। এ অন্যায়! আমাদের সিনিয়র ছেলেরা ওকে বাইরে নিয়ে গিয়ে ঠাণ্ডা করে। আমি কাঁদব কিনা বুঝতে পারিনা। আমার পুরষ্কার ফিরিয়ে দেব? কী করব আমি?

    এর কিছু পরে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো আবার। টিনেজার সুলভ চঞ্চলতা নিয়ে বলেছিলাম, ও (ঐ ছেলেটির নাম করে, সে এখন বিরাট নাট্যব্যক্তিত্ব) কে আপনি অভিনয় শিখিয়ে দিয়েছিলেন, ও কত লাকি। আমার আর নাটক করা হবে না, দেখবেন। উনি বলতেন, অনেক পড়তে হবে, লিখতে হবে। সবার আগে বিএ টা পাশ করে নিও। ওটা খুব দরকার।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৩67772
  • রঞ্জনদা,
    আপনি নির্ঘাৎ "তিন পয়সার পালা" দেখেছেন? লিখুন না একটু।

    বের্টোল্ট ব্রেশ্‌টের The Threepenny Operaর বাংলা রূপান্তর।
  • de | 24.139.119.174 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৮67762
  • সে - লিখুন!
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৫৭67763
  • আমার নিজস্ব একটা অবজার্ভেশন আছে।
    কেয়া চক্রবর্তীর মৃত্যুর পরে (১৯৭৭? ঠিক লিখ্লাম কি?) নান্দীকার থেকে কয়েকজনকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় নান্দীমুখ বলে একটি নাটকের দল গড়ে তোলেন। নান্দীকার কিন্তু এই প্রথম ভাঙে নি, এর আগেও ভেঙেছে। সেই প্রত্যেকবার ভেঙে যাওয়া থেকে তৈরী হয়েছে শক্তপোক্ত ভালো ভালো দল যারা নিজেদের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে দারুণ দারুণ সব নাটক দিয়ে। খুব বেশি দেশী নাটক হোতো না তখন। সমস্তই বিদেশী ক্ল্যাসিক্স্‌ এর বঙ্গানুবাদ বা রূপান্তর।
    কেয়া তো মারা গেলেন, অজিতেশ ও বেরিয়ে গেলেন দল থেকে - তাই বলে ফুটবল এর শো কিন্তু বন্ধ থাকেনি। বন্ধ থেকেছিলো হয়ত একটা শো। অ্যাকাডেমিতে তখন বুধবারটা বুক করা থাকত নান্দীকারের জন্যে (যেমনঃ বহুরূপীর জন্যে রবিবারের সন্ধ্যেটা বছরের পর বছর বুক হয়ে যেত; অদ্ভুত না?)। এর পরের শোয়ে ফুটবলে হরির মাসীর ভূমিকায় দেখা গেল স্বাতীলেখা চ্যাটার্জিকে। বেশ ভালো করেছিলেন তিনি অভিনয়। হরির জামাইবাবুর রোলে অজিতেশের জায়গায় অন্য একজন (নাম মনে পড়ছে না), কালীদা আগে যেমন ছিলেন তেমনই - রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। সমস্ত শো ই চলতে লাগল, আগের মতই। আন্তিগোনেতে নাম ভূমিকায় কিছুদিন পরেই দেখা গেল স্বাতীলেখা চ্যাটার্জিকে। ক্রেয়ন - রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। ক্রমে ক্রমে পুরোনো সমস্ত নাটকেই নতুন নট নটিরা স্থান করে নেন। নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র - আবার নতুন করে অভিনীত হয়। পুরোনো নাটকগুলো ঘুরে ফিরে হচ্ছিলো। আমরা কেয়া চক্রবর্তীকে ক্রমশঃ ভুলে যাচ্ছিলাম।
    নান্দীমুখের কাছে সেরকম কিছু নাটক বোধকরি ছিলো না। নতুন দল। কয়েকটা শো হয়েছিলো আন্তন চেখভের "নানা রঙের দিন" - অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (রজনী চাটুজ্জে) ও রাধারমন তপাদার (কালীনাথ) মিলে। এরপরে ১৯৭৯ এ এলো নতুন নাটক নান্দীমুখের। পাপ পুণ্য। এও বিদেশী নাটকের রূপান্তর। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। দুটো ইন্টারভ্যাল। কিশোর বয়সেই "বড়ো" সেজে ঐ নাটক দেখা হয়ে গেছল।দুটো ইন্টারভ্যাল কেন লাগে সেবার বুঝেছিলাম। এত বেশি মানসিক চাপ পড়ে দর্শকের ওপর, যে দুটো ইন্টারভ্যাল ছাড়া গতি নেই। আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, ঐ কিশোর বয়সেই ভালো নাটক আর অন্য নাটকের মধ্যে পার্থক্য বুঝবার জন্যে ঐ "পাপ পুন্য" যথেষ্ট। ঐ লেভেলের ডিরেকশান, মিউজিক, অভিনয়, নাটকীয়তা এর আগে দেখিনি। পরেও না। অন্ততঃ বাংলা নাটকে। খুব সচেতনভাবে বলছি, শম্ভু মিত্রেও অনেক অভিনয় দেখেছি। সেখানেও না। হয়ত আমি বায়াসড। হতে পারে।

    নাটকের জগতে পোলিটিক্স তো কম নয়। এরই মধ্যে আরো অনেক কিছু হয়ে চলেছিলো। ঐ কিশোরী বালিকা মস্তিষ্কে কিছু কিছু বুঝতাম, কিছু কিছু বুঝবার ক্ষমতা ছিলো না।
    হঠাৎ নান্দীকার এক নতুন প্রযোজনা নামিয়ে ফেলল। মুদ্রারাক্ষস। এক্কেবারে খোদ সংস্কৃত সাহিত্য থেকে - বিদেশী নয়। বাংলা রূপান্তর। কেয়াকে আমরা ভুলে যাচ্ছিলাম। শম্ভুমিত্র অনেকদিন আগেই বহুরূপী ছেড়ে দিয়েছেন তখন, বিরাট একটা পুরষ্কার পেয়েছেন। বিদেশী সম্মান। অনেক টাকার পুরষ্কার। চোখ অপারেশান হোলো। বেশ ভালো দেখতে পেতেন তখন চোখে। শম্ভু মিত্র নান্দীকারের হয়ে মুদ্রারাক্ষসে অভিনয় করে গেলেন, চানক্যের ভূমিকায়। বেশ অনেকগুলো শো দেখেছি, হয়ত প্রায় সবকটাই। ৫টাকার টিকিটে, অ্যাকাডেমির দোতলায় ব্যালকনির প্রথম সারির সীট। এর পেছনের্গুলো তিনটাকা, তার পেছনে একেবারে শেষ সারিতে কিছু দুটাকার টিকিটও পাওয়া যেত তখন। প্রতিটি শো। প্রতিবারের অভিনয়। লাইভ। আগেরটার সঙ্গে এবারটার পার্থক্য খুঁজে বের করবার মজা। এত থিয়েটার। সিনেমা নয়।
    জমে উঠল নান্দীকার। কেয়াকে ছাড়াই। অজিতেশকে ছাড়াই। এর পরে এলো নান্দীকারের নতুন নাটক "ব্যতিক্রম"। এটি আবার বিদেশী নাটক থেকে রূপান্তর। অভিনয়ে মূলতঃ দুটি চরিত্র। দুজনেই পুরুষ। কুলি (পাঁচুগোপাল দে) ও মালিক (নাম মনে নেই, ইনিই নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র তে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন)। শেষ দৃশ্যে অবশ্য আরো গোটা তিন চার চরিত্র আসে খুব অল্প সময়ের জন্যে। স্টেজের ওপরে আরেকটা নীচু স্টেজ। মরুভূমির সেট। সেই স্টেজে নাটক হয় কুশীলবদের নিয়ে। সেই স্টেজের বাইরে আরো কিছু মুখ দেখা যায়, আলো কম তাদের মুখে। সেখানে স্বাতীলেখাকে দেখা যায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে, কখনো বেহালা, কখনো অন্য কিছু, কখনো তিনি গান করেন। আবহ সংগীত। রুদ্রপ্রসাদের রোল - সূত্রধারের।
    নাটক দেখার নেশায়, এই নাটকও বেশ কয়েকটা শো দেখি। মনে দাগ কাটে না।
    আহা, ভুলেই গেছি। এরই মধ্যে "খড়ীর গণ্ডী" অভিনীত হয়ে যায়, গোটা তিন চার শো। মোটামুটি হাউসফুল। দর্শক খুব হাসে।
    এবার বিভিন্ন দলের মধ্যে অদ্ভুত একটা মিলন হয়। এসো সবাই মিলে মিশে কিছু করি - এই গোছের ড্রাইভ। অজিতেশ এতে নেই, কারণ এতে আছে বাকি প্রায় সমস্ত নামী নামী দল তখনকার, ইন্‌ক্লুডিং নান্দীকার (কিন্তু অদ্ভুতভাবে বহুরূপী বাদ!)। আমার মাধ্যমিক পরীক্ষার ঐ টাইমটায়। শম্ভু মিত্রকে আনা হয় ডেকে। তৃপ্তি মিত্র আসেন নি। তারপরে, সবাই মিলে চড়িভাতি করবার স্টাইলে শুরু হয়ে যায়, বের্টোল্ট ব্রেশ্‌টের নাটক। গালিলেওর জীবন। নাম ভূমিকায় শম্ভু মিত্র। পূর্ব জার্মানী থেকে আসেন নির্দেশক ফ্রিৎস্‌ বেনেভিৎস্‌। https://en.wikipedia.org/wiki/Fritz_Bennewitz
    কী দাপট সেই বুড়োর! নাটকের রিহার্সাল চলছে অ্যাকাডেমির স্টেজে। সে না জানে বাংলা, না জানে মারাত্মক কিছু ইংরিজি। তড়াক করে লাফ মেরে সে উঠে পড়ছে স্টেজে, ঠাটিয়ে ধমকাচ্ছে বাংলা থিয়েটারের রথি মহারথিদের, উন থেকে চুন খসলে অভিনয়ে। দোতলার ব্যালকনির রেলিঙের নীচে লুকিয়ে দেখছি আমরা সেইসব। ইল্লিগ্যালি। ভরসা অ্যাকাডেমির বেয়ারা কালীপদদা। টুঁ শব্দটি যেন না হয়, কেউ যেন দেখে না ফ্যালে। কড়া প্রহরা বাইরেও। সে এক দক্ষযজ্ঞ। বাঙালী জনতা সারারাত লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ক্যাথিড্রাল রোডে। সকাল বেলা টিকিটের কাউন্টার খুলবে সেই আশায়। সেই লাইনে মারপিট হয়ে যায়। ধৈর্য্যচ্যুতি, পুলিশ, লাঠিচার্জ। crème de la crèmeরা অ্যাক্টো করবে। এত গুণিজনের কাজ একসাথে দেখবার জন্য জনতা হন্যে হয়ে রয়েছে। গোটা সাত কি আটবার ঐ নাটক দেখি। কি আরো বেশি। খুব বেশি শো হয় নি। শম্ভু মিত্র রাজি হন নি। বেঁকে বসেছিলেন।
    যাই হোক, এই সমস্ত দক্ষযজ্ঞের ফলে নাট্যপ্রেমী জনতা কেয়া চক্রবর্তীকে ভুলে গেলাম।
    আশির দশকের গোড়ার দিকে নান্দীমুখের আরেকটা নতুন নাটক এলো - তেত্রিশতম জন্মদিবস। অ্যাবসার্ডিজম ঘরানার। নির্দেশনা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু উনি এ নাটকে অভিনয় করেন নি।
    ১৯৮৩র দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীতে অল্পক্ষণের অসুস্থতায় মাত্র ৫০ বছর বয়সে চলে গেলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
    নান্দীকার থেকে কিন্তু "কেয়ার বই" প্রকাশ করা হয়, নাটকের শেষে দর্শকেরা কিনেও নেন। মূল্য সম্ভবতঃ তিরিশ টাকা ছিলো। ঐ পর্যন্ত্যই।
    কেয়া চক্রবত্রী মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমের শেল্‌ফে স্থান করে নেন। এঁদের নামে গুগল করলেও বিশেষ কিছু আসে না।
    ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ এই দুটো বছর আমার জীবনের সবচেয়ে দামী সময়গুলোর একটা বড়ো অংশ। তখন তো ভালো করে বুঝতাম না, কোন মানুষটার সঙ্গে কথা বলছি গল্প করছি অখাদ্য সব লেখা পড়াচ্ছি। অপরিসীম দৌর্য নিয়ে শুনতেনও সেসব। সমস্ত আবদার। কত কত মিষ্টি আনাতেন। তারপরে নিজেই অনেকটা খেয়ে ফেলতেন। দশ বারোটা বিশাল বিশাল পান্তুয়া একাই। একটার পর একটা। এই স্মৃতি খুবই আনন্দের। এলোমেলো। এই সবের মধ্যেই কেয়া চক্রবর্তীর কথা স্মৃতি, ছিল। আস্তে আস্তে ফেড আউট হয়ে যাচ্ছিলো।
  • | 77.98.72.126 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫৩67764
  • সে দি, খুব ভালো লাগলো।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ১১:১৫67765
  • অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা মনে পড়ে। এসবের সঙ্গে কেয়া চক্রবর্তীর কোনো সম্পর্ক নেই। তবু।
    "ফেরীওয়ালার মৃত্যু" (আর্থার মিলারের দ্য ডেথ অফ অ্যা সেল্‌স্‌ম্যানের প্রায় অনুবাদই বলা চলে, কিন্তু...) নাটকটা অনেক পরে দেখি। এটা অনেক পরে বানানো। সারা হল আহা উহু করছে, উফ! কী অভিনয়। আহাউহু খুব ছোঁয়াচে, অভিভূত হয়ে গেলাম। দীর্ঘ বহু বহু বছর বাংলা নাটক দেখিনি। দেখার অভ্যাসটাই চলে গিয়েছে। কিঞ্চিৎ অদ্ভুত লাগছে নাটক, কিঞ্চিৎ নিজেকে। এই আমি কি সেই আমি? যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকত? অনেক পাল্টে গেছি। হয়ত সময় এর জন্যে দায়ী।
    কিন্তু একটা রহস্য পরে উদ্‌ঘাটিত হয়েছিলো। সেটা একটু পরে লিখছি।
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:০৪67766
  • "প্রণয় পাশা" ছবিতে কেয়া অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেনের সঙ্গে। ছবিটা কোথাও খুঁজে পেলাম না ইন্টারনেটে। পেলে, কেয়ার অভিনয় (বেশি নয়, অল্প) দেখা যেত।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪৩67767
  • আরো লিখুন - দরকার হলে আলাদা টই খুলে -

    কত অভিজ্ঞতা আপনার!!!
  • তাপস | 122.79.36.63 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫১67777
  • ইয়ে, বলছিলাম কী, সিনেমাটা কি আর কেউ দেখলেন? পাই দেখেছে জানি, কিন্তু লিখছে না। :-(
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫৪67773
  • সরি সে।
    তিন পয়সার পালা যখন হয় তখন আমি ভিলাইয়ে শয্যাশায়ী। দুটো ফুসফুসই যক্ষ্মায় আক্রান্ত। তাই দেখা হল না। কিন্তু মন দিয়ে ওঁদের বিজ্ঞাপন আর রিভিউগুলো দেখতাম।
    যাঁরা দেখেছেন তাঁদের মুখে শুনেছি ম্যাক দ্য নাইফের রোলে অজিতেশের দুর্দান্ত অভিনয়।
    দুটো বিজ্ঞাপন (একটা বোধহয় গান-সবই অজিতেশের করা) এখনও মনে আছে।
    "-- ইচ্ছে হলে হাঙরেরও দাঁত দেখতে পাবেন।
    কিন্তু যখন মহীনবাবু ছুরিটা চমকাবেন,
    দেখতে পাবেন না।"

    এবং,

    " মোহিনীমোহন দেব আর মোহিনীবালা দেবী,
    পুরুত বসে মন্ত্র পড়ায় অং বং চং কং,
    আমরা বলি হল কিসে,
    যদুর মামা মধুর পিসে?
    শুনে তারা বল্লে হেসে বিবাহং বিবাহং।"
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:০০67774
  • রঞ্জনদা,
    মোহিনীমোহন দেব গানটা খুব মজার, ওটা শুনেওছি।
    আচ্ছা, "গর্ত বড়ো ভাল" গানটা কোন নাটকের? কিছুতেই মনে পড়ে না।
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৮67775
  • উঁহু, এটা হয়তো কল্লোল বা রূপংকরদা অথবা নাটকের গান নিয়ে প্রোজেক্ট করেন যে গুরুভাই, "মহাভারতের কথা" চটি লিখেছিলেন , বলতে পারবেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন