এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৪১০ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৪১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ... | 193.90.37.77 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৮67821
  • as expected আবার একটা হাগুমুতু toi খুলে গেল।
  • তাপস দাশ | 122.79.37.73 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০৫67822
  • স্পেক্ট্যাকল টা জরুরি ছিল। এখন মনে হচ্ছে। এবং এটা প্রেসির আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিনা জানি না, কিন্তু একটা অবভিয়াস ডিসকার্সিভ স্পেসের জন্ম দিচ্ছে, যেটা হয়ত নিজেই একটা আন্দোলন।

    আন্দোলন আসলে স্পেক্ট্যাকল। একটা আন্দোলনে লোক কেন ইন্টারস্টেড হয়? স্পেকট্যাকলের জন্যে। স্বদেশি আন্দোলনের সময়ে ঐ যে পোড়ানোর কর্মসূচি, একটা স্পেকট্যাকল। দেওয়াল লেখা, বিশালাকার ফ্ল্যাগ তৈরি, মিছিল, এ সব স্পেকট্যাকল। কিম্বা কুশপুত্তলিকা দাহ। স্পেকট্যাকলে নিজের শরীর ব্যবহার করা থিয়েটারে হয়ে আসে। কিন্তু থিয়েটার তো আলাদা একটা কিছু। নিজের শরীর রাষ্ট্র শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা প্রভাকরণ শিখিয়েছিল। সেটা অন্তিম ব্যবহার। তার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিল আল কায়েদা। টুইন টাওয়ারের চেয়ে বড় স্পেকট্যাকল কী হতে পারত? এবার সেটা ভাল না মন্দ, পক্ষ না বিপক্ষ সে ভিন কথা। কিন্তু স্পেকট্যাকল ছাড়া হয় না। তমোঘ্ন নিয়ে এই আমার ৫ পয়সা। আপাতত
  • skip | 87.154.202.112 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০৮67824
  • বালের আন্দোলন ওটা
  • skip | 87.154.202.112 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০৮67823
  • বালের আন্দোলন ওটা
  • skip | 87.154.202.112 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১২67825
  • অপরাধ নেবেন না - মায়েরা, বোনেরা , দাদা রা
    একটু বেশী বলে ফেললাম । তবে বেশী হলেও এক্কেবারে ঠিক।
  • তাপস | 122.79.37.73 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩১67826
  • কী অবস্থা দাঁড়িয়েছে সাইটের!
  • aka | 80.193.106.168 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০১:০৩67845
  • গজেন্দ্র খুলী খিড়কির মতন সফট পর্নোর মতন আস্তে আস্তে খুলছে তমোঘ্নর ড্রেস। শেষে পড়ে রইল যা খুলী খিড়কির মতনই একটা প্রায় অশ্লীল কিছু যাকিনা সিম্বোলিক যে গজেন্দ্র ধুর মাল। সেটার সাথে প্রেসীর আন্দোলন জুড়ে ফেলা তমোঘ্নর আবেগ। যেটা মনে হল সে বুঝেছে। কিন্তু এই অকারণ থিওরাইজেশন হল বেগ যার সাথে সেই আবেগ যুক্ত নয়।
  • cm | 127.247.96.19 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০১:২৮67846
  • সামগ্রিক বদহজমের চরিত্রটি তুলে ধরার জন্য আকাদাকে গোটাকতক ক দেওয়া হল।
  • তাপস | 122.79.38.49 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০১:৩৫67847
  • কোন একটা ঘটনা ঠিক কী ও কেন, তা সাথে স্পষ্ট বুঝে ফেলা, চরিত্রনির্ণয়, হজমীশক্তি সম্পর্কিত মূল্যায়ন, কোনটুকু সকারণ, এ সবই বড় দ্রুততার সাথে ঘটে গেলে ফাঁক থাকার সম্ভাবনা থাকে। নিজেদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এও। এরকম শুনেওছি, নিজের জীবনেও দেখেছি। এখনও এমন যাঁরা পারেন, তাঁদের সাথে আমার মতের অমিল শুধু না, মূলগত প্রকৃতিতেই অমিল আছে মনে হয়।
  • 0 | 132.163.5.242 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৩67848
  • অনেস্ট্‌, আন্‌কন্ট্রোলেব্‌ল্‌ ইমোশনাল কন্টেন্ট্‌ না থাকলে কোনো আন্দোলন হয় না।
    আশা করবো ইউসি ডেভিস থেকে অর্থনীতিতে পিএচ্‌ডি ক'রে ফিরে আসার পরেও যেন তমোঘ্নের এই অভিনব আবেগপূর্ণ প্রতিবাদী মনটা একই রকম থাকে।
  • rabaahuta | 77.191.245.247 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৪67849
  • AP, তমোঘ্ন'র পোশাক নিয়ে যেমন আমার একেবারেই মাথাব্যথা নেই। এক প্রাপ্তবয়স্ক ভদ্রলোক আর পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সামনে যদি এমনি এমনি জাঙিয়া পরে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করেন তাইলে আমার কি আসে যায়। মুশকিল হচ্ছে কখনো শুনছি ভদ্রলোকের বাড়িতে জেনে ফেলায় তিনি বিচলিত, কখনো শুনছি তিনি এত ভালো ছাত্র কাল আমেরিকা যাচ্ছেন (তার সঙ্গে জাঙিয়ার কি সম্পর্ক কে জানে) কখনো শুনছি অচলায়তনের ঘাড়ে এই মোক্ষম গাঁইতি, কখনো আবার সোজা মণিপুরের প্রসঙ্গ চলে আসছে (আমি আসলে এইটাই নিতে পারছিনা)। মোটমাট তাঁর এই পোশাকটি খুবই বড় একটা ব্যাপার। তো এই কথাগুলি তো এমনি এমনি অথবা, ভুল করে জাঙিয়া জাস্টিফিকেশনের সঙ্গে মিলছে না। সত্যি বলতে কি, এত জাস্টিফিকেশনের আদৌ দরকারই বা কি ছিল? এই যে সুপারম্যান পাৎলুনের ওপর জাঙিয়া পড়েন তিনি কি বলেন, ওগো বাজারী কাগজ তোমরা আমার ছবি ছেপোনা, ক্রিপটনের সেজো জ্যেঠু দেখতে পেলে আমার সঙ্গে কথা বলবে না?
    ব্যাপারটা কি স্টেটমেন্ট না ভাষা না ফর্ম না ভুল না ক্যাজ সেই নিয়েই তো গুচ্ছ মতানৈক্য, তাঁদের মধ্য, যাঁরা তমোঘ্ন'র সঙ্গে সংহতিতে আছেন বা জাস্টিফাই করছেন। জাস্টিফিকেশন গুলি না এলে হয়তো অনেকখানি শক্তি থাকতো হয়তো। বলা যায়না হয়তো এক্ষুনি বকা খেয়ে গেলাম শক্তি থাকতো কি থাকতো না সেই বিচার করতে কে বলেছে মশাই।
    তাও ঠিক।

    তাপসদা, তা তো বটেই, সব মরণ নয় সমান। কিন্তু টুইন টাওয়ারে তো অসংখ্য অন্য মানুষের মৃত্যু জড়িত ছিল। এমনিতে আমরা চঞ্চল আমরা অদ্ভুত এইসব ঠিক আছে। কিন্তু টুইন টাওয়ার প্রসঙ্গ এলো বলে - এইরকম অভিঘাত এবং পরিণতি ভবিতব্য হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকলে একটু দূরদৃষ্টি প্রয়োজন। ঐ জীবন গুলি তো অন্যলোকের ছিল। অন্যের জীবন নিয়ে তো রোমান্টিসাইজ করে লাভ নেই।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:০৫67850
  • আকা,

    এগুলো অ্যাজিটপ্রপের চরিত্র। অ্যাজিটপ্রপের কোনো বাধা ধরা নিয়ম থাকতে পারেনা, বাই ডেফিনিশন। তমোঘ্ন এই প্রথম এরকম করল না। কয়েকদিন আগেই ভাটে একটা লেখা দিয়েছিলাম। যেখানে বাংলাদেশের ব্লগার খুনের প্রতিবাদ ও যেভাবে করেছে। এর আগে ওর নাম আমি শুনি যখন কামদুনিকে ফের পাব্লিক ডিসকোর্সে নিয়ে আসার প্রয়াসে ও গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে কুকুরের মত কোলকাতার রাস্তায় গলায় দড়ি বেঁধে হামাগুড়ি দেয়। এগুলোকে পার্ফর্মেন্স বলতে পার। স্পেক্টাকল বলতে পার। কিন্তু আদতে অ্যাজিটপ্রপ অর্থাৎ স্ট্রং পলিটিকাল মেসেজ ওয়ালা একধরণের থিয়েট্রিকাল পারফর্মেন্স। এ জিনিস নতুন না। বহু যুগের এবং খুবই এফেক্টিভ টুল। বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য।

    ঘটনার আগে ও পরে ঐ ঘটনাকে বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। পোস্টমডার্ণরা একভাবে করবেন, ক্লাসিকালরা আরেকভাবে। ঘটনার আগে ও এবং অন্যান্যরা বলেছে কেনো ও কীভাবে ঐ পোষাকে ও ওখানে উপস্থিত হয়। ঘটনার পরের ব্যাখ্যাও আছে। প্রেসিতে পুলিশ ঢুকে মারধোরের সাথে মলেস্টেশনও করে বলে অভিযোগ। এ কথা যখন অনুরাধাকে জানানো হয়, সে বলে কোথায় মলেস্ট করেছে আমাকে দেখাও! অনুরাধা এটা বলবে এই ভেবে তমোঘ্ন ঐ সাজ করেনি। কিন্তু অনুরাধা একথা বলার পরে, তমোঘ্নর ঐ মেসেজটির আরো একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

    এইযে আন্দোলনগুলোর ভাষা বদলাচ্ছে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই হাত তুলে মালিকের কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও-র বাইরেও যে কিছু বলার থাকে এবং কনসার্ভেটিভ বামেরা তাকে "লিবেরাল বুর্জোয়া টেন্ডেন্সি" বলে থামাতে পারছেনা, এটা বেশ ইন্টেরেস্টিং।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:০৮67851
  • বিজেপি সারা রাজ্য জুড়ে নিজেদের স্টুজেস বসাচ্ছে সমস্ত রকম ইন্স্টিটিউশনে। গজেন্দ্র সেরকমই একজন। একেবারে কোনো কোয়ালিফিকেশন নেই, ঐ কয়েকটা সিরিয়াল টাইপ অভিনয় ছাড়া। সেটার প্রতিবাদ বহুদিন ধরে FTII এবং দেশ জুড়েই চলছে। এখানে এলিটিসম আবার লোকে বার করছে কীভাবে কে জানে! ফিল্ম রোলটা তো বলেছে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সিম্বলিক। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ যেমন শুধুই দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ না, এটাও সেরকম।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:১১67852
  • মণিপুরী মায়েদের প্রসঙ্গটা ঠিক ভাবে আসেনি। হুতোর সাথে কিছুটা একমত। মণিপুরে যারা প্রত্যক্ষভাবে আক্রান্ত যাদের শরীর ও অস্তিত্ব আক্রান্ত, তারা ঐ প্রতিবাদে ছিলেন। তমোঘ্নর ক্ষেত্রে তা নয়।

    মিল একটা জায়গাতেই, নিজের শরীরকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। সাধারণত মহিলারাই করে থাকেন। ইরম শর্মিলাও নিজের শরীরকেই রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন কিন্তু।
  • a x | 138.249.96.10 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:২১67853
  • তমোঘ্নর বাড়িতে পুলিশ গেছে দেখলাম। আনন্দবাজার বাড়ির ঠিকানা ইত্যাদি সবই ছেপে দিয়েছে। আরো একজনকে হয়ত চুপ করানো গেল।

    এই লেখাটা থাক। সুচেতা ঘোষলের পাব্লিক পোস্ট ফেবুতে।

    "আহারে, প্রগতিশীলের পো, আহারে আমাদের নাজুক মননশীলতা, আহারে শরীরহীনতা, আহারে আমাদের টলটলে ভাবাবেগ, আহারে, আহারে, আহারে আমাদের পশমে মোড়া মস্তিষ্কগুলো, আহারে, আমাদের কোমল হৃদয়, আমাদের তুলতুলে মেরুদণ্ড, আমাদের ফিনফিনে চামড়া, আহারে! আহারে, আমাদের লেগেছে, ব্যাথা লেগেছে, খুব লেগেছে। আহারে, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা, আমরা বেটি বাঁচিয়েছি, পুড়িয়ে মেরেছি বেটির মুসলমান প্রেমিককে। আহারে, আমাদের আগ্রাসী জেন্ডার চেতনা, আহারে, আমাদের সেন্সিটিভ মাড়ি, আমরা টুথপেস্ট কিনে থাকি অনেক সময় নিয়ে। আহারে! আহারে। আমাদের শ্রেণীচেতনা, আমরা রিক্সাওয়ালা দেখলেই ডেকেছি তুই, আমলাকে বলেছি স্যার। আহারে। আমরা চে কে বলেছি সেক্সি, রবীন্দ্রনাথকে বলেছি ঠাকুর, নিজের সন্তানকে বলেছি শুয়োরের বাচ্চা। আহারে, আমাদের রসবোধ, আমরা কিন্তু কৌতুক বুঝি, ননভেজগুলো স্পেশালি, মাইরি, কী ক্রিয়েটিভিটি, খিকখিক! অথচ, আমরা সবাই সুবোধ বালক অথবা বালিকা অথবা সরকার। আহারে! আমরা চিকনি চামেলি মেরেছি চাকুম চুকুম, প্রেমিকাকে আদর করে ডেকেছি বেবি ডল, আর রাগ করে বলেছি সোনাগাছী। আহারে আমাদের ফ্যাবিন্ডিয়া, আমাদের সংস্কৃতি। আমাদের সচেতনতা। রাষ্ট্র যা বলে দেয়, যেভাবে বলে দেয় আমরা তাই করি। মুখ্যমন্ত্রী এসে ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগ ঘোষনা করে দিলেই আবির কিনতে ছুটি, প্রশ্ন করি না, মাননীয়ার ক্ষমতা কিকরে হয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার? আমরা প্রশ্ন করি না, কোনও প্রশ্ন করি না। আমরা গান গাই। আহারে আমাদের পঁচিশে বৈশাখী মন, আমরা সুরেলা এবং শান্তিপ্রিয়। রাষ্ট্র বলে দিয়েছে প্রতিবাদের ধরণ কেমন হবে, আমরা তাই পুলিশ ক্যালাতে এলে পিওর কটনের শাড়ি পরে গান গাই, আর ময়লা পাঞ্জাবি পরে কাব্যি আওড়াই। ধর্ষন করে এসে ভাত খাই, ধর্ষিতাকে বলি, "দেখাও তো দেখি কোথায় মলেস্ট করেছে"! আহারে আমাদের শালীনতা আর ঐতিহ্য। আহারে। আহারে, আমাদের আনন্দবাজার। আহারে!"
  • অহেতুক | 223.136.76.37 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:২৮67827
  • লেখায় তো গান্ডূমার্কা বালবাজারী এসবের ছড়াছড়ি। কমেন্ট পড়ে অবস্থার কথা মনে হচ্ছে কেন?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫০67854
  • FTII এর মিছিলে তমোধ্ন যে ভাবে প্রতিবাদ করেছেন সেটা নিয়ে কিন্তু কোনো বক্তব্য আসছে না। একটা রাস্তায় প্রকাশ্য মিছিলে কেউ ন্যাংটো হলেও কিছু বলার নেই বলেই মনে হয়। কিন্তু ভালো করে তমঘ্ন'র বিবৃতি পড়ে দেখুন - কোত্থাও বলে নি যে সে প্রেসিডেন্সিতে যাবে বলেই বেড়িয়েছিল।
    সে যে প্রেসিতে গিয়ে পোষাক পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল সেটা নিজেই লিখেছে

    "হুহু করে গেট খোলা হয় এবং ঢুকে পড়া হয় প্রেসিতে, এরকম একটি মুহূর্তে ব্যাগ থেকে পোষাক বের করে পরা সম্ভব ছিলনা, ঐ সময়ে দাঁড়িয়ে।"

    তার মানে তমোঘ্ন নিজেও জানত যে প্রেশিতে এই পোষাকে যাওয়ার কোনো কারণ নেই ।

    "হ্যাঁ, আমি ওই পোষাকেই উঠি এবং উঠে একটি অঞ্চল অব্দি এগোনোর পরে পিছিয়ে আসি, সুচেতার থেকে ব্যাগ নিই। পোষাক পাল্টাই এবং নেমে আসি। যদি এর জন্যে কারোর কাছে ক্ষমা চাইতে হয় তবে আমি এক এবং একমাত্র প্রেসির ছাত্রদের কাছে চাইতে পারি"

    এগোণো পিছনো কেন? কিসের ক্ষমা। কেন ক্ষমা?? পোষাক বদলানো কেন? তার মানে তমোঘ্ন প্ল্যান করেনই নি এইভাবে প্রতিবাদের - কিন্তু

    তার মানে তমোঘ্ন নিজেই বলছেন যে এটা নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন যে ওই পোষাকে প্রেসি যাওয়া উচিত হয়েছে কি না। অথচ সবাই তার এই বোল্ডনেস নিয়ে সোচ্চার।

    কতগূলো জট একটু ছাড়িয়ে দেবেন ?

    ১) প্রেসির আনদোলন ছাত্রছাত্রীদের - তাতে কেন ওছাত্ররা অংশ নিলেন? মানে যে কোনো আন্দোলনে যে কেউ ভিড়ে যেতে পারেন নিজের ফ্রাস্টেশান ওগড়ানোর জন্য?

    ২) যারা তমোঘ্নের সমর্থনে বিবৃতি দিচ্ছেন তারা কেউ কিন্তু ছাত্র নন - প্রেসির বা অন্য কোথাওকার। ছাত্রদের কারো থেকে কিন্তু তমোধ্নের সমর্থনে কোনো কথা জানতে পারি নি।

    ৩) ভিসি খুব খারাপ - নিঃসন্দেহে। তার পদত্যাগ চেয়ে রাজ্যপালের কাছে ধর্ণা নয় কেন? তিনি তো আচার্য্য। ভিসির appointment letter- এ তার সই আছে।

    ৪) পরের ভিসি যে এর চেয়ে ভালো হবে গ্যারান্টী কি ? ছাত্ররা কেন রাজপালের কাছে একটা প্রসেস অরিয়েন্টেড দাবী জানাচ্ছে না যে ভিসি কখনো কোন রাজনোইতিক ব্যক্তিত্বের সফর সঙ্গী হতে পারবেন না - কোন দলের সভায় যেতে পারবেন না ভিসি থাকা কালীন, ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার লোকের অভাব কেন?

    ৫) তমোঘ্ন যদি খুব সাহসী হন - তাহলে আকাউন্ট ডিয়াক্টিভেট করলেন কেন? ওটা কি US গিয়ে অন করবেন? যখন সেফ ডিস্ট্যান্সে আছেন
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫৯67855
  • অক্ষদা,
    তমোঘ্ন গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগের প্রতিবাদে যা করেছে, যেভাবে করেছে সেটা প্রেসিডেন্সির আন্দোলনের মুখে এসে পড়ায় ব্যাপারটা গুলিয়ে গেছে না?
    দৃষ্টি আকর্ষণ নিশ্চয়ই হয়েছে কিন্তু ফর অল দ্য রং রিজন্স, অল দ্য রং মেসেজেস!
    ব্যক্তি তমোঘ্ন কতটা সৎ, ক্রিয়েটিভ এবং কনসিস্টেন্স প্রতিবাদী তাতে আন্দোলনের কী যায় আসে বা কী লাভ হয় যদি তাতে আপামর জনসাধারণের চোখে প্রেসির ছাত্রদের দাবিদাওয়া ছাপিয়ে তমোঘ্নর পোশাক বা তার স্টান্ট (?) আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে?
    তাহলে কি প্রতিবাদের উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হয়ে যায় না?
    প্রতিবাদের ফর্ম আগের দিনের মত হতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দিচ্ছে না। কিন্তু যেকোন ফর্মের বিচার কি তার এফিকেসি দিয়ে হবে না?
    ব্যক্তিমানুষের আবেগ ও আত্মত্যাগ যদি সমষ্টির আন্দোলনে উদ্দেশ্যে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় তবে কাকে বেছে নেব?
    ২) ম্যাডাম সুচেতার "আহারে" পোস্টটি পড়লাম।
    উনি অনেক উঁচুতে দাঁড়িয়ে হোলিয়ার দ্যান দাউ অ্যাটিচুড থেকে বিদ্রূপ করছেন। ভালো লাগল না।
    কারণ যাদের করছেন উনি তো তাদেরই একজন। সেই আওয়াজ খাওয়া নিম্ন মেধার হিপোক্রিট মেজরিটি মধ্যবিত্তদের তাদের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি সহ ভালবাসতে না পারলে, তাদের "আদার" করে রাখলে হাতে থাকবে--!
    ৩)আবার অন্যদিকে দেখছি আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের একই ভাবে "আদার" করে বিদ্রূপ করা। ওদের সঙ্গেও এমপ্যাথি দরকার। ওদের বোঝা দরকার, চাবকে নয়।
    যেভাবে গুণী অধ্যাপকরা প্রেসি ছাড়ছেন, কিছু বিষয়ে অধ্যাপক নেই --সেগুলি নিয়ে ছাত্রদের দাবী কি অনায্য?
    ৪) ভিসি লোহিয়ার বক্তব্যের জবাবে প্রাক্তন অধ্যাপক অমল মুখো, আনান্দদেব এঁদের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। এঁরাও কি ব্যাগড়াপন্থী?
    ৫) ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে লোহিয়া ম্যাডামের বক্তব্য ছাত্রদরদী কম, ব্যুরোক্র্যাটিক বেশি লাগছে।
  • তাপস | 122.79.38.49 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:০১67856
  • জাস্ট পাসিং কমেন্ট, কেউ একজন কাল সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তমোঘ্নর বিবৃতি আদৌ ওনার নিজস্ব কিনা। কারণ স্ক্রিন শট পাওয়া যায়নি। এখন কি সে সন্দেহ ঘুচে মুছে গেছে?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:১৪67857
  • তাপস বাবু - আমি করেছিলাম । না সন্দেহ যায় নি। কারণ যে ধরণের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে তমোঘ্নের প্রতিবাদী চরিত্রের সাথে সেটা খাপ খাচ্ছে না। আমি মনে করি না যে এত সাহসী সে নিজের আকাউন্ট বন্ধ করে দেবে এবং কমিউনিকেশানের বাইরে চলে যাবে বাবা-মা ক্ষুণ্ণ হয়েছেন বলে।

    কিন্তু যতক্ষণ অন্য বিবৃতি না আসছে এবং যেহেতু তমোঘ্নের স্ট্যান্ড প্রমাণ করার জন্য এই বিবৃতিটাই ব্যবহৃত হচ্ছে - আমিও এটারই আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:২৩67858
  • সুচেতা ঘোষালের কাছে বোধয় আমি আগেও বকা খেয়েছি গুরুর পাতায়। এই আমার ভাইগ্য। কিন্তু এই উঁচু ডালে বসে নীচের মরমনুষ্যদের নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপের এলিটপনা বড়ই বিরক্তিকর। নাজুক মমনশীলতা এবং টলটলে ভাবাবেগের সব মানুষই যে রিক্সাওলাকে তুই বলে না এবং ধর্ষন করে এসে ভাত খায় না, অথবা ময়লা (এমনিতে আমার কিন্তু সব পাঞ্জাবীই ধুয়ে ইস্তিরি করে পরিস্কার) পাঞ্জাবী পরে কাব্যি আওড়ালেই যে "দেখাও তো দেখি কোথায় মলেস্ট করেছে" কে সমর্থন করে না সেটুকু বোঝা তো এমন কিছু কঠিন নয়। অবশ্য এটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। যেখানে মণিপুর আর প্রেসিডেন্সি এক লাইনে বসছে।
    আন্দোলনের একটি ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলেই আপনি বিরোধীপক্ষ, সে আপনার কজের সঙ্গে সংহতি থাকুক না থাকুক তাতে কি আসে যায়। মহাজ্ঞানী মহজন পৃথিবীর বড় বড় দাদারা এরকমই বলেছেন।
  • rabaahuta | 77.191.245.247 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৩২67828
  • জার্গন দেখলে অশিক্ষাজনিত অসহায়্তায় ভুগি। তবে স্পেকট্যাকল নামে যে জিনিসটার একটি ফর্মের চরম টুইন টাওয়ার, তার শুরুতে ভালো মন্দ ভাবাটা বোধয় মানবজাতির জন্যে শুভই হতো। শুভ অশুভ এইসব নিয়েও গভীর তর্ক হতে পারে, আমার কাছে যতদিন সম্ভব মানুষের বেঁচে থাকাটা শুভ, অন্যথাটি অশুভ। আল্টিমেট আরকি।
    এদিকে সাইটের অবস্থা খুব সঙ্গীন কিছু আমি মনে করছিনা যদিও (আমার মনে করায় কি আসে যায়, তবে আমি তো আমার কথাই লিখি, আর তার জন্যে সরিও চাই); তো, গালাগাল, খিস্তি এইগুলি আমি ঠিক ভালোবাসিনা। আপত্তি কিছু নেই, যার যেমন অভিরুচি , তবে ব্যক্তিগত জীবনে কখনো খিস্তি করার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু, তাপসদা সাইটের অবস্থা নিয়ে বিচলিত কেন হলেন, খিস্তি দেওয়া হলো বলে? অন্য কোন কারনেও হতে পারে, যেমন কমেন্টকারী রচনাটিকে যুক্তি তর্কে খন্ডন না করে সোজাসাপটা বাতিল করলেন বলে। কিন্তু এ তো নতুন কিছু না, দুয়েকজন সবসময়ই নাইভ মন্তব্য করে থাকেন। তো বাকী রইলো খিস্তি। ছোটবেলায় ধারনা ছিল গোপাল যেমন সুবোধ বালক, তেমনি খিস্তি করা খারাপ। পরে সেই ভালো খারাপ শূণ্য একের ধারনা পাল্টেছে। সাহিত্যে ব্যবহার হয় কারন এটিও মানুষের মুখের ভাষা। তারপর সোশাল মিডিয়া, লিখিত ইন্টার‌্যাকশনেও ব্যবহার হয় দেখি। তারপর এখানে শুনছি ভিসির টেবিলে মলত্যাগ করা যেত। হতেই পারে, আমি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কিছুই জানিনা, নিজের ছাত্রজীবন নিতান্তই মদ মোহ এইসবে খরচ করেছি। তবে খিস্তি কি আর তেবিলে মলত্যাগ থেকে খারাপ হবে? রচনাকার এটাও বলছেন 'শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয়'। তো বেশ, নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে তাইলে খিস্তি কি ভালো না মন্দ, শালীন না অশালীন, সবই যে গুলিয়ে যাচ্ছে। কনটেক্স্ট ভিন্নতর তাও জানি, কিন্তু এখানে দেখছি মণিপুরের মায়েরা এবং মা বাবা কথা না বলা নিয়ে বিচলিত এই পশ্শু দিন আমেরিকা চলে জাওয়া তমোঘ্ন এক জায়গায় বসে যাচ্ছে, তো কনটেক্সটও যে গুলিয়ে যাচ্ছে। ওপরের খিস্তিকারীর হয়তো এটাই ভাষা কিংবা আবেগের প্রকাশ, অপছন্দের প্রবন্ধের বিরুদ্ধে। শালীন কিংবা অশালীন, মুড়ি কিংবা মিছরি, সোশাল মিডিয়া কিংবা ভুবন, আমি তো কারোরই মেসোমশাই নই, কি করেই বা বিচার করবো? গুচ'র বিদগ্ধ টইয়ে খিস্তি ভালো না খারাপ? শালীন না অশালীন? গেল গেল না ঠিকোই আসে? বিচার করার দায়িত্ব আমার, না আমার থেকে ইকুয়েলতর কারো?

    অশিক্ষা মার্জনা করবে, আবার আমি সরি চাই। কিন্তু বড়ই কনফিজড।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫১67859
  • সিম্বলিক প্রটেস্টে প্রবলেম তো কিছু নেই, শুধু সিম্বলটা প্রটেস্টের থেকে বড় হয়ে উঠলে গোটা প্রয়াসটাই মাঠে মারা যায়।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.134 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫৩67860
  • রেজিস্টান্সের ফর্ম নিজেই একটা রেজিস্টান্স হয়ে উঠছে, এটাই সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। চুমু, ন্যাপকিন, ব্রা । নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে এই বদলে যাওয়া সময়টা দেখে যেতে পারছি
  • sinfaut | 127.195.58.31 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৮67861
  • এই সুচেতা মার্কা লেখাগুলো যত লেখা হবে তমোঘ্নর জাঙ্গিয়া অর নো জাঙ্গিয়া সব প্রতিবাদ গাধার পোঁদে চলে যাবে। অসহ্য স্তরহীন হার্পিং।
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৯67862
  • আমি বোধহয় অনেকটাই আউট অফ কনটেক্সট। সবটাই সোশাল মিডিয়ায় চলছে। একদিকে তমোঘ্নর বিবৃতি, যে, এটা কোনো পরিকল্পিত "প্রতিবাদ" নয় (মানে প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে নয়), পুরোটাই ঘটনাচক্র। এই বিবৃতিটা ফেসবুকে এবং এখানে ছড়িয়ে আছে। উল্টোদিকে আজ ফেসবুক খুলতেই ভেসে উঠল পাল্টা বিবৃতি। "...তমোঘ্ন হালদারের যে ফেসবুক বিবৃতিটি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটার কোনও সত্যতা আদপে প্রমাণ করা যাবে না, এবং প্রয়োজনীয় নয়। করবেন না। কোনও ভুল অথবা অসম্পূর্ণ তথ্য কে মিডিয়ার খাদ্য করে তুলবেন না। এটা বিপজ্জনক .... তমোঘ্ন সেদিন প্রেসিডেন্সিতে যায় অনুরাধার লোহিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিতে। অনুরাধা সেদিন ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন করেন, "কোথায় মলেস্ট করেছে দেখাও।", তমোঘ্ন দেখাতে গিয়েছিল কোথায় মলেস্ট করা হয়, কোথায় নগ্ন করা হয়, রোজ। সেদিন বিজেপির বিরোধীতায় যে মিছিল হয়, সেখানে তমোঘ্ন একা ছিলেন না, আমরা ছিলাম। প্রেসিডেন্সিতেও তমোঘ্ন একা ছিলেন না, আমরা অনেকে ছিলাম...."
    এটাও প্রচুর শেয়ার হচ্ছে। সবই সোশাল মিডিয়ায়। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল বোঝার উপায় নেই। আবার ছাত্রছাত্রীরাও দেখলাম দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

    সব মিলিয়ে কনফিউশন আছেই। এটা প্রতিবাদ না ঘটনাচক্র?
  • শ্রী সদা | 113.16.71.8 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১০67863
  • হুতোদার 25 August 2015 20:53:00 এর পোস্টে হাজারখানেক ক।
    এই হোলিয়ার দ্যান দাউ অ্যাটিটিউড, সামান্য দ্বিমত প্রকাশকারীকে কোনো এক খোপে ভরে দাগিয়ে দেওয়া এগুলো দেখলে জাস্ট হাসি পায়। বেসিক্যালি ম্যাচিওরিটির অভাব আর কী, সবেতে চোথা কমন পড়ে যায়।
    সিকিদা ঠিকই বলে, পব এক বৃহৎ আটচালা, এক দল কুঁদুলে এবং খেঁকি জনতা নিজেদের মধ্যে কাঁইমাই করে যাচ্ছে, আর একদল রাজ্যের বা দেশের বাইরে বসে তাদের তাতাচ্ছে আর মজা দেখছে।
  • | 24.96.52.165 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৪67865
  • রঞ্জনদা আর হুতো মিলে আমার কথাগুলো মোটামুটি বলে দিয়েছে। নতুন কিছু বলার নেই। অক্ষ যদি আরো কিছু বল তো দেখব।
  • Arpan | 125.118.56.140 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৪67864
  • কুরোশাওয়ার সিনেমাটা আবার দেখতে বসি। "সত্য"কে যে যেভাবে নির্মাণ করে চলে।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৮67866
  • 'রেজিস্টান্সের ফর্ম ...' ইত্যাদি, এইখানেই তো মুশকিল। কেউ বলছে ব্রা রেজিস্টান্সের ফর্ম, কেউ বলছে ও তো এমনি এমনি কেন শুধু শুধু ব্রা-র দিকে বিকৃতকাম দৃষ্টি দিচ্ছো, কে বলছেন আরে ও তো সময় পায়নি। তো ব্যাপারটা যে কি তাই তো বোঝা যাচ্ছেনা।

    চুমু, ন্যাপকিন বা গজাননাবিরোধী ব্রা নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। প্রতিবাদ, তার ফর্ম এইসব নানা কিছু। কিন্তু প্রেসিডেন্সিতে ব্রা, এই সেই হাতিয়ার, কাগজ কেন ছবি ছাপলো, উপসি ডুপসি এবং এই ঘন্টকে তীব্রতর কোনকিছুর সঙ্গে একাসনে বসানোর চেষ্টা এইখানেই তো গোলটা বাঁধছে। এবং আরো মুশকিল হলো গোল বাঁধলে সোজা ধর্ষক টর্ষক বলে একাকার।
    নাম ঠিকানা কি আনন্দবাজার ছপিয়েছে? আনন্দবাজারে দেখলাম ছবির নীচে ক্যাপশন 'অন্তর্বাস পরে বিক্ষোভ' আর পাশে নানা লোকের মন্তব্য। ঠিক সিওর নই, আগে তো ফেসবুকে ঐ ভদ্রলোকের বন্ধুদের পোস্টেই দেখলাম, যাঁরা এঁর সম্পর্কে সবই জানেন। হতে পারে আনন্দবাজারের তথ্যটা মিস করে গেছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন