এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৪৮ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sinfaut | 127.195.58.31 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২১67867
  • উফ্ফ হুতো! এক লাইনে বলে দিচ্ছি, পরে ফের যদি জিগিয়েছোঃ
    ব্রা হলো টেক্স্ট।
  • cm | 127.247.96.19 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৩67868
  • ও হরি এবুঝি মলেস্টেশনের বিরুদ্ধে পেতিবাদ ছেল? অ যদুপুর তোমার ফয়সালা কতদূর?
  • Arpan | 125.118.56.140 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৫67869
  • আর সাবভার্সন কোনটা?
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৮67870
  • ঃE
  • . | 208.7.62.204 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৯67871
  • হিহি এরকম সত্যকথন বইল্যা ফালায়েন না সদাবাবু। রাজ্যটা তো কবেই মায়ের ভোগে গ্যাসে, ওখানে আর ফিরেও যাবনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে একদল আরেকদলকে তাতাচ্ছে আর মুর্গি করে মজা লুটছে, এ দেখতে বড়ো আমোদ লাগে। দে হাগুমুতু, দে পুরুষাংগ, দে স্পেক্টাকল, দে ঘুলিয়ে। লি পচা।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩০67872
  • ও আচ্ছা পুলিশ যাওয়ার খবরে ঠিকানা ছেপেছে। সরি চাইতে চাইতে বিরক্ত হয়ে গেলাম।
  • cm | 127.247.96.19 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩৩67873
  • "আর একদল রাজ্যের বা দেশের বাইরে বসে তাদের তাতাচ্ছে আর মজা দেখছে।" একদম ঠিক।
  • . | 188.162.193.233 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪২67829
  • খুচিয়ে দিয়ে মজা দেখার জনতা অনেক আছে। স্পেক্টাকল চাই বলে মুর্গি এগিয়ে দিয়ে নিজে পেছনে দাড়িয়ে পোস্ট ঝাড়বে এরকম তো আছেই। নিজেদের তো স্পেক্টাকল নামানোর দম নেই তাই অপেক্ষা যদি একটা বার খাওয়া ক্ষুদিরাম পাওয়া যায়।

    তবে কালেক্টিভ শুভবুদ্ধিও এখনো আছে।

    এই সময়ঃ সভা শেষে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ জানান, 'উপাচার্যের ঘরে টেবিল চাপড়ানো, তাতে উঠে বসা, ঘরে ঢুকে নাচা, উপাচার্যদের নামের তালিকায় কালি লেপা এবং তাঁর ঘর-সহ ঐতিহ্যবাহী এলাকায় দেওয়াল লেখা ও পোস্টার সাঁটানোর মতো হঠকারী আন্দোলনের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।'

    তা সোশ্যাল মিডিয়ায় হাগুমুতুওলা আর স্পেক্টাকলওলাদের পেছন থেকে খোচানোর চেষ্টা এবারের মতো ধাক্কা খেলো।
  • তাপস | 122.79.36.63 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪৫67874
  • এই যে রাজ্য বা দেশের বাইরে প্রসংগ, আপনাদের কখনো মনে হয় না, যে আপনারা প্রোফাইলিং করে চলেন?
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৫৯67875
  • তমোঘ্নকে কেউ তাতিয়েছিল বা তাতাচ্ছে এরকম তো মনে হয়নি। এটা যদি শক হয় তো সেটা আচমকাই। কারো তাতানোর অপেক্ষায় ছিলনা।

    তবে এখন, মনে হচ্ছে, নানাপ্রকার ন্যারেটিভ নির্মিত হচ্ছে। সেগুলো কোনোটাই ঠিক রাজ্যের বাইরের লোকেরা তৈরি করছেন না। এই শাক্যর এই লেখাটাও একটা চিন্তন প্রক্রিয়ার ফল, তার সঙ্গে একমত হই বা না হই, ভৌগোলিক অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নাই।
  • শ্রী সদা | 113.16.71.8 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০৮67876
  • "আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে।"
    ~ এগুলো তাতানো নয় ? ঐ জনৈকা সুচেতা ঘোষালের বালখিল্য লেখাটা তাতানো নয় ?
  • 0 | 123.21.67.251 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:২৩67877
  • স্ববিরোধিতা (ফর্ম্‌ ও ইন্টেন্ট্‌), কাল্চারাল্‌ শক্‌, অপরিণত ছেলেমানুষী, ইরেলিভ্যান্স্‌, অপরিণামদর্শিতা, এক্সেসিভ্‌ আন্‌রুলি ইমোশন, অ্যাটেন্‌শন্‌-মংগারিং, এ'সব অজস্র অভিযোগের ন্যায্যতা-অন্যায্যতার প্রসঙ্গ এবং সব রাজনৈতিক দলাদলির বাইরে গিয়ে এমন অদ্ভুত ধরনের সাহসী প্রতিবাদ দেখা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
  • SS | 160.148.14.8 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৭67878
  • এত সব গম্ভীর শক্ত শক্ত টপিকের মধ্যে রবাহুতোর "চুমু, ন্যাপকিন বা গজাননাবিরোধী ব্রা" পড়ে এমন হাসি পেল যে বিষম খেয়ে একাকার। রবাহুতর প্রতি পরামর্শ, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র আন্দোলনের জন্যে একটা ট্যাগ লাইন বানিয়ে ফেসবুক ইত্যাদিতে প্রচার করুন। এর থেকে যথাযথ বিশেষণ আর কিছু হয় না।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫৮67830
  • মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা এই বাণীগুলো দিচ্ছেন তারা কেউই কিন্তু এই পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র না। তমোধ্ন আই আস আই এর প্রাক্তন ছাত্র, উপরের লেখায় যিনি ইনোভেটিভ আন্দোলনের আহবান দিয়েছেন তিনিও কিন্তু প্রেসির ছাত্র নন বলেই মনে হল। যাদের আন্দোলন, যাদের সমস্যা তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা শুনতে পেলে ভালো লাগতো।

    কর্পোরেট বা আকাডেমিয়ার সেফটির ঘেরাটোপে বসে গরম লেখা লিখে লোক তাতানোটা খুব বৈপ্লবিক বলে মনে হয় না। কারণ তারা জানেন এই লেখাগুলো লিখলে বা দু দশবার মিছিলে হাঁটলেও তাদের ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক সুরক্ষার কোনো হেলদোল হবে না।

    প্রেসিডেন্সিকে বিকিয়ে দিচ্ছে বলে যারা ভিসির পদত্যাগ চাইছেন তারা যখন "সাম্রাজ্যবাদী শক্তির" ফান্ডিংএ পি এইচ ডি করতে যাবার আগে বিপ্লবের পরকাষ্ঠা হয়ে ওঠেন তখন খুব কনফিউশান লাগে। এরা কি ধান্দাবাজ না চালাক?
  • utpal mitra | 212.191.212.178 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:০৯67831
  • কুযুক্তির চমত্কার উদাহরণ এরপরে পুলিস এসে বলবে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল বলার আপনারা কে?
    তখন সামলাতে পারবেন তো ? পুলিশী অত্যাচারের প্রতিবাদে কান্নাকাটি করবেন না তো ?
  • utpal mitra | 212.191.212.178 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৩67832
  • """"সাম্রাজ্যবাদী শক্তির" ফান্ডিংএ পি এইচ ডি করতে যাবার আগে বিপ্লবের পরকাষ্ঠা হয়ে ওঠেন তখন খুব কনফিউশান লাগে। এরা কি ধান্দাবাজ না চালাক?""""

    নিশসন্দেহে ধান্দাবাজ চালাক
  • byaang | 132.167.225.26 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৯67879
  • "গজাননাবিরোধী ব্রা" টা ফাটাফাটি হইসে। ঃ)))))
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৪67880
  • একটা সিরিয়াস কথায় খালি হাসাহাসি। আপনাদের জন্যেই গুরু কেবলই লঘু হয়ে যাচ্ছে।
  • byaang | 132.167.152.115 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৮67881
  • গজেন্দ্রকে গজাননা করে দিলিই বা কেন?
  • ranjan roy | 132.161.206.24 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৯67833
  • ১)হ্যাঁ, আমি কনফিউজড।
    হ্যাঁ, আমি প্রেসির ছাত্রদের পক্ষে। ওদের কলেজে ঢুকে দু'বছর আগে শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্রয় প্রাপ্ত ছাত্রনেতারা যা করে গেছে (যার সমাপ্তি দারোয়ানকে গ্রেফতার করে তারপর তাকে শাসকদলের ইউনিয়নের সদস্য বানিয়ে ছেড়ে দিয়ে) তাতে অমল মুখোপাধ্যায় এবং অন্য এনকোয়ারি রিপোর্ট জমা হওয়ার পরও কোন অ্যাকশন হয় নি দেখে ক্ষুব্ধ।
    তা সত্ত্বেও কনফিউজড।
    ২) না, আজকের ছাত্র আন্দোলন আমার দেখা অর্ধশতাব্দী আগের আন্দোলনের ফরমূলায় চলবে সেটা মনে করি না। নিশ্চয়ই সময়ের তাগিদে আন্দোলন নতুন নতুন রূপ খুঁজে নেবে।
    ৩) না, কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রেজিমেন্টেড আন্দোলনই মুক্তির পথ--এমন বিশ্বাস নেই। বরং দলগুলির দাবাখেলার স্বার্থে ছাত্রদের ঘুঁটি হতে বহুবার দেখেছি।
    ৪) কিন্তু কিছু প্রশ্ন চিরন্তন। স্পেক্টাকল কার জন্যে? শাসকের জন্যে নাকি ব্যাপক জনসমর্থনের জন্যে?
    তমোঘ্ন কাকে ক্রস-জেন্ডার ইস্যুতে সেন্সিটাইজ করতে চাইছে? শাসকদলকে? অনুরাধা লোহিয়াকে? ব্যাপক জনতাকে?
    ৫) ক্রস-জেন্ডার ইস্যু কি প্রেসির ছাত্রাঅন্দোলনের অভিমুখ? যদি তা না হয় তাহলে ইস্যুকে হাইজ্যাক করার অধিকার তমোঘ্নকে কে দিয়েছে?
    ৬) মণিপুরের ইস্যুতে মিলিটারির ক্রমাগত অবাধে রেপ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ (যেখানে আফস্পা নিয়ে কথা বলার কোন ফোরাম ছিল না) আর প্রেসির ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তমোঘ্নর ঘোষিত ভাবে ভিস্যুয়াল শক দেওয়ার প্রচেষ্টা কি করে সমতুল্য হল তা আমার বুদ্ধির অগম্য। এতে এগজিবিশনিজম বেশি বলে মনে হচ্ছে। শ্লীল-অশ্লীল প্রশ্ন বিবেচ্য নয়।
    বিবেচ্য হল কোন রণকৌশল কি রননীতির অধীন থাকবে না তাকে ছাড়িয়ে যাবে?
    ৭) রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন কখনই ব্যাপক জনসমর্থন ছাড়া জেতার আশা করতে পারে না। তমোঘ্নর ঘটনাটি কি বাস্তবে শক দেওয়ার চেয়ে বেশি বিরক্ত করে নি?
    আর উনি কয়েকদিনের মধ্যে চলে যাবেন নিজের জায়গায়। অথচ এই হঠকারী পদক্ষেপ? যার ইমপ্যাক্টের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা ওঁর নেই? তাই কনফিউজড।
    ৮) আমি খুশি, ছাত্র আন্দোলন ভুলের জন্যে ক্ষমা চাইবার সাহস দেখিয়েছে। ওদের জয় হোক!
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৭:০৯67882
  • সে তো লসাগুদা বোধয় প্রথম বলেছিল (হলধর কিনা, তাই জানেনা আরকি)। তো আমি দেখলাম গজেন্দ্র'র থেকে গজানন নামটা শুনতে ভালো। কিন্তু নাম যাই হোক প্রেক্ষিতটা তো সিরিয়াস নাকি।
  • . | 186.126.237.217 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১৪67834
  • যাদের ছাত্র আন্দোলনে বিশ্বাস নেই তারাই কিন্তু হাগুমুতু চাই স্পেক্টাকল চাই এসব বলে খোচাতে থাকে। কারন এরা নিজেরা তো আর ছাত্র না, ছাত্র আন্দোলনে আর যায়ও না, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় গম্ভীর পোবোন্দো নাবায় আর খোচায় এই আশায় যে আরেকটা ক্ষুদিরাম যদি জোটানো যায়। তাহলে বেশ একটা তামাশাও হবে পেপারে টিভি চ্যানেলে আলোচনাও হবে আর নিজেরাও কম্পুর সামনে বসে উত্তেজনার আগুন পোয়াবে আর কয়েকটা পোস্ট করে দেবে। তবে প্রেসির ছাত্ররা এবারের মতো মুর্গি হোলোনা। ওদের জয় হোক!
  • a x | 138.249.96.10 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১৯67883
  • রঞ্জনদা,

    প্রথম তিনটে পয়েন্ট আমাকে লিখেছেন মনে হয়, তার উত্তর দিচ্ছি।
    ১ও ২ -

    ব্যাপারটা অনেকটাই ইচ্ছাকৃত গোলানোর চেষ্টা। পুলিশ মলেস্ট করেছে, এর চেয়েও বেশি একজন ব্রা পরে গেছে কিনা তা নিয়ে হাইলাইট করা। কিন্তু মিডিয়ার কাজই তাই, সে ঠিক আছে।

    গজেন্দ্র চৌহানের নামটা এই কদিনে যতবার গুরুর পাতায় এসেছে, সেই তুলনায় শেষ কমাসে কবার এসেছে ভেবে দেখবেন। FTIIর আন্দোলন কিন্তু প্রায় চার মাস হতে চলল। কল্কাতাতেও মাঝে মাঝেই এইসব মিছিল টিছিল হয়। খেয়াল করে দেখবেন, FTII'র আন্দোলনে তমোঘ্ন ব্রা-জাঙ্গিয়া পরুক কি ফিল্ম রীল পরুক, কিস্সু এসে যেতনা। মিডিয়া FTII বিরোধী মিছিল কে হাইলাইট করছেনা। যেই তমোঘ্ন প্রেসির মত "পবিত্র, ঐতিহ্যময়" প্রাঙ্গণে এসে পড়ল, তমোঘ্নর ঐ ব্রা-জাঙ্গিয়ার সাথে গজেন্দ্রও এলেন। না আনতে চেয়েও। শুধু গজেন্দ্র এলেন না, অনুরাধার কোথায় ধর্ষণের মত অতীব অশ্লীল আচরণও এল। এগুলো এত সহজে আসত না। আসেনা।

    আর এগুলোকে আলাদা করে দেখছেন কেন? এই যে একদিকে বিজেপি নিজেদের লোক বসাচ্ছে সেন্ট্রালি আর অন্যদিকে মমতা রাজ্যে নিজের লোক, পেটোয়াবাজি চালাচ্ছে, এগুলোকে এক করে দেখেন না? একটা আন্দোলন আরেকটায় এসে মেশেনা?

    ৩) সুচেতা তো সেল্ফ ক্রিটিসিজম করেছে অনেক জায়গায়! ভিসি পদত্যাগের ঘটনাটা যেভাবে ঘটেছে, তাই নিয়ে স্পষ্ট মত দিয়েছে। নিম্ন মেধার কথাটা কোত্থেকে আনলেন বুঝলাম না। রিকশাওয়ালাকে তুই তোকারি করা যারা তারা নিম্নমেধা? অনুরাধা কোথায় ধর্ষণ হয়েছে দেখাও ইত্যাদি বলেছেন, সেটাকে শ্লেষ করেছে। ইন জেনেরাল মানুষের এই শ্লীল অশ্লীল বোধ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। এখানে প্রকাশ হওয়া ব্যঙ্গাত্মক লেখা দেখেই তো বরং অভ্যস্ত আমরা। কই বলেন না তো আহা শেখোভিয়ান মমত্ববোধে সবাইকে কাছে টেনে না বোঝালে কি তারা বুঝবে?

    আরেকটা কথা, এর মধ্যে ছাত্র/ছাত্রীরা ক্ষমা চাইতেই পারে, কারণ ছাত্রছাত্রীরা কোনো হোমোজেনাস বডি না। তারপর তাদেরও বহুবিধ ক্যালকুলেশন করে চলতে হয়। প্যান্টি উপন্যাস খ্যাত সঙ্গীতাও কোনো এক্দিন ব্রা পরা পুরুষের মধ্যে অশালীনতা খুঁজে পান।

    কোনো প্রতিবাদের এফিকেসি কীভাবে সেটা প্রেডিক্ট করার ক্ষমতা সত্যিই আমার নেই। আমি রাজনৈতিক ভাবে একার রাজনৈতিক আচরণে বিশ্বাসী না। কিন্তু তা সত্ত্বেও, একা মানুষের ক্যানগানের রাস্তায় ট্যংকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ার প্রভাব এই জীবনেই দেখেছি। গা-সওয়া প্রতিবাদ তো অনেক দেখলাম।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.134 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৩৭67884
  • এটাই আমি ফেসবুকে লিখলাম কাল । তমোঘ্ন-র প্রতিবাদ এফ টি আই আই নিয়ে হলেও প্রেসির সাথে খাপে খাপ হয়ে যায়। দুই ক্ষেত্রেই শিক্ষা ক্ষেত্রে রাষত্রের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ ঘহটেছে। ইস্যু খুব আলাদা কিছু নয়। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ সেই হিসেবে গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ হয়ে গেছে দুই ক্ষেত্রেই
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫৪67885
  • প্রশ্নটা এখানেই। এই খাপটা তাত্ত্বিকরা বাইরে থেকে চাপাচ্ছেন নাকি নয়? মিলে যাবার পোটেনশিয়াল মানেই কিন্তু মিলে যাওয়া নয়।

    গায়ত্রী চক্কোত্তি স্পিভাকের একটা লেখা আছে। স্বাধীনতাপূর্বকালে ভুবনেশ্বরী ভাদুড়ি নামে এক মহিলা ছিলেন, যিনি রাজনৈতিক কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেটা খুবই সুস্পষ্ট একটা রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট ছিল। কিন্তু মৃত্যুর পর দেখা গেলে পপুলার ডিসকোর্স (গায়ত্রী এই শব্দদুটো মনে হয় ব্যবহার করেননি, আমি করলাম), ওটাকে গর্ভবতী হয়ে আত্মহত্যা করা বলে চালিয়ে দিল। মানে স্ক্যান্ডাল এবং সুইসাইড। সেটা গপ্পে পুরো খাপে খাপ মিলে গেল।

    এখানে অবিকল একই জিনিস মনে হচ্ছে। তমোঘ্ন বলে একজন রাজনৈতিক অ্যাকটিভিস্ট ছিলেন। যিনি কোনো একটা কারণে ব্রা পরে প্রেসি গিয়েছিলেন। এবার কোনো এক রাজনীতির দাবী হল ওটাই প্রোটেস্টের র‌্যাডিকাল ফর্ম। জিনিসটা খাপে খাপ মিলে যায়।

    তফাত হল এই যে, ভুবনেশ্বরীর স্টেটমেন্ট ছিল রাজনীতির, যেটা সমাজের প্রয়োজনে স্ক্যান্ডাল হয়েছিল। আর তমোঘ্নর স্টেটমেন্ট কি ছিল জানিনা, কিন্তু মনে হচ্ছে অ্যাজেন্ডার প্রয়োজনে সেটা 'রাজনীতি' হয়ে যাচ্ছে। তমোঘ্নর "নিজস্ব" স্টেটমেন্ট কী হবে জানিনা, সেটা রাজনীতি হতেও পারে। কিন্তু তা হলেও, এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা অ্যাজেন্ডাপ্রসূতই, তমোঘ্ন কী চেয়েছিল, তার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে না।
  • riddhi | 146.165.222.105 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৩৯67886
  • ওরে বাবা, গজানন না গজেন্দ্র। কোন এক হলধর( হাইলি lcm da) এই মিশটেক টা করেছে, আর ক্যারি হচ্ছে। বাকি টপিকে রবাহুতোকে ক। ঐ হাসির খোরাক আবেগাপ্লুত যস্টিফিকেশান গুলো না এলে বেটার হত। ইস্যুটা আসতে না আসতেই দেখলাম একটা চরম থিওরীটিকাল লেখা নেমে গেল, যেটাই কিছুই বোঝা গেল না, লিখছে ঐ মিছিলে শরির নির্মান হল, আবার অন্য জায়গায় সেটা বিনির্মান হয়ে অন্য শরীর নির্মান হল, এইরোকোম। নির্মান জিনিস্টাকে এমনিতেই দুচোখে দেখতে পারি না। তার পরেই তমোঘ্নর স্টেটমেন্ট এল যেটা ওনেস্ট লাগল।কেউ হয়্তো যোশে তক্ষুনি একি পোশাকেই অন্য ইভেন্টে চলে যেতে পারে, কিন্তু একটু ডিস্টেন্সড জনতা, যাদের হাতে টাইম আছে, তাদের একটু ভেবে লাইন নামানোর স্কোপ নেই ? ফ্যাক্ট্স নিয়ে আপডেটেদ হবার সময় নেই,? না, তক্ষুনি যা কাছে আছে, ( ল্যাং টো আবেগ, আর গতে বাঁধা কিছু কিওয়ার্ড্স )নিয়ে নিয়ে সব ইস্যুতেই ডাইভ মারতে হবে?
  • riddhi | 146.165.222.105 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৪৪67887
  • সুচেতা একটা গরুর রচনা নামিয়েছে, পাতি। খাটেইনি। জেন্ডার ইস্যু নিয়ে একটা টেম্প্লেট লেখা আছে, সেটা ফ্লোট করে খালাস।
  • তাপস দাশ | 126.203.200.217 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:১৬67835
  • "জার্গন দেখলে অশিক্ষাজনিত অসহায়্তায় ভুগি। তবে স্পেকট্যাকল নামে যে জিনিসটার একটি ফর্মের চরম টুইন টাওয়ার, তার শুরুতে ভালো মন্দ ভাবাটা বোধয় মানবজাতির জন্যে শুভই হতো। শুভ অশুভ এইসব নিয়েও গভীর তর্ক হতে পারে, আমার কাছে যতদিন সম্ভব মানুষের বেঁচে থাকাটা শুভ, অন্যথাটি অশুভ। আল্টিমেট আরকি।"

    কোন কিছুই শুরুতে ভেবে নিয়ে তারপর শুরু করা যায় কি? মানবজাতির জন্যে কোনটা শুভ- যতদিন সম্ভব বেঁচে থাকা, যে কোন মূল্যে? আমার তেমন মনে হয় না, বেঁচে থাকা মানে তো শুধু শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া নয়, অন্তত আমরা যে কন্টেক্সটে কথা বলছি। আরও একটু সহনীয় বেঁচে থাকার জন্যেই তো কত কিছু করা হয়, করা যায়। তেমন কৃতকর্মের সামনে আমরা টুপি খুলি- মাথা নোয়াই। আল্টিমেট ওরকম হয় কি হুতো?

    আমি জানি না, হুতোর কথা ঠিক বুঝেছিলাম কিনা, নিজের বোঝা মাফিক উত্তর দিলাম।

    আর বাকি অংশের উত্তর এখানে নয়, অন্য টইতে দেব। যে টই আপাতত ডুবে আছে, সেটা তুলে এনে। :-)
  • aka | 80.193.106.168 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৩০67836
  • স্পেক্ট্যাকলকে ম্যানেজমেন্ট ভাষায় সেলসম্যানশিপ বলে এই বুঝলাম। রাজা খৈনী মনে পড়ে গেল - কালো বাইক, কালো গেন্জী, কালো ঝোলা থেকে বেরল কালো প্যাকেটে প্রথম প্রিমেড খৈনী। এখন তার সাথে রাজা বিস্কুট হয়েছে।

    কিন্তু সবেরই একটা প্রেক্ষিত আছে। খৈনীর স্পেক্টাক্যালে যেমন অমর্ত্য সেন মানায় না। প্রেসীর ছাত্রদেত আন্দোলনে ক্রস ড্রেসিঙ্গের প্রয়িজন্যীয়ত বুঝতে অক্ষম। আর তমোঘ্ন র আন্দোলন অন্য হয়ে থাকে তাইলে প্রেসীতে ঢুকলই বা কেন?
  • তাপস | 126.203.200.217 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪০67837
  • সেলস্ম্যান শিপ? হ্যাঁ তেমনভাবে ভাবা যেতেই পারে। আগুনে কাপড়, অন্যান্য জিনিস ফেললে যে দৃশ্য রচিত হয়, তাতে বহু মানুষ জড় হয়, দেখতে। এর কোন ফ্রয়েডীয় ব্যাখ্যাও (ধ্বংসকাম) থাকতে পারে। হয়ত এতো না অ্যানালিসিস করেই স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে এই বহ্ন্যুতসব হত। আয়োজনের পিছনে হয়ত লোককে আকৃষ্ট করার মনোবাঞ্ছা থাকত। হয়ত কেন, থাকতই তো! নিজেরা নিজেদের বাড়িতে ছোট ছোট অগ্নি কাণ্ড ঘটানো হত না। কিম্বা কাঁচি বোঁটি দিয়ে বাড়ির মধ্যে কেটে ফেলা হত না কাপড়। বিদেশী জিনিস নিজেদের পুকুরে ডুবিয়ে দেওয়া হত না। লোক জড় করা হত। স্পেকট্যাকল কিম্বা সেলস্ম্যানশিপ।
    চৈতন্যের সংকীর্তনের দল বের করাও এরকমই। স্পেকট্যাকল কিম্বা সেলস্ম্যানশিপ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন