এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৫৯৭ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৫৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 24.139.119.173 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৮67894
  • তিনি এখন আর ট্যাঁ ফোঁ করবেন না - নাহলে সাম্রাজ্যবাদী দেশে যাবার পারমিট আটকে যেতে পারে - ভালয় ভালয় পৌঁছে গিয়ে তাপ্পর নেট বিপ্লবে অংশগ্রহণ করবেন।

    প্রেসিতে আন্দোলনের সারবত্তা আছে কি নেই - কি কারণে আন্দোলন, ইস্যু কি কি - এইসব ছাপিয়ে এখন শুধুই ওই "গজাননবিরোধী ব্রা" য়ে এসে ঠেকেছে। বর্তমান আন্দোলন শুধুই ব্রা-পন্থী বা ব্রা-বিরোধী - প্রেক্ষিতকে পুরোপুরি এইভাবে গুলিয়ে দেওয়া কম কথা না!

    এনিওয়ে লোহিয়া দেবীর বাও করা নিয়ে যাঁদের প্রবলেম - তারা একটা স্ট্যান্ডার্ড থ্রেশহোল্ড সেট করলে পারেন, ঠিক কত অ্যাঙ্গেলে বাও করলে সেটা তোষামোদী বাও হবে না। সেই স্ট্যান্ডার্ডটা সমস্ত উপাচার্য্যদের পাঠানো হোক!
  • 0 | 123.21.71.252 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৪২67920
  • আমি লিখেছিলাম, "আশা করবো ইউসি ডেভিস থেকে অর্থনীতিতে পিএচ্‌ডি ক'রে ফিরে আসার পরেও যেন তমোঘ্নের এই অভিনব আবেগপূর্ণ প্রতিবাদী মনটা একই রকম থাকে।"

    lcm পরে লিখেছেন, "অবশ্য হাজার ছাতা মাথায় নগ্ন প্রতিবাদী মানুষ - যে সব প্রতিবাদীরা অভিনবত্ব খুঁজছে তারা ভেবে দেখতে পারে।"

    এই থ্রেডেই আগে লিখেছিলাম, "স্ববিরোধিতা (ফর্ম্ ও ইন্টেন্ট্), কাল্চারাল্ শক্, অপরিণত ছেলেমানুষী, ইরেলিভ্যান্স্, অপরিণামদর্শিতা, এক্সেসিভ্ আন্রুলি ইমোশন, অ্যাটেন্শন্-মংগারিং, এ'সব অজস্র অভিযোগের ন্যায্যতা-অন্যায্যতার প্রসঙ্গ এবং সব রাজনৈতিক দলাদলির বাইরে গিয়ে এমন অদ্ভুত ধরনের সাহসী প্রতিবাদ দেখা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।"
    ---------------
    আমার মতে মারণাস্ত্র নিয়ে সহিংস প্রতিবাদ করতে যতোটা আবেগ ও সাহস লাগে, অহিংস ভাবে কোনো নতুন উপায়ে প্রতিবাদ করার জন্যে প্রকাশ্যে বিপরীত লিঙ্গের অন্তর্বাস পরে বা নগ্ন হয়ে চলতে তার থেকে কিছু কম সাহস লাগেনা। তার এফেক্ট্‌ও কিছু কম হয় না। সেটা হোকচুম্বন আর তমোঘ্নর এই কাজে বেশ ভালোভাবেই বোঝা গেছে।

    এই প্রতিবাদের সাহসের জন্যেই তসলিমা কিংবা বাংলাদেশী ব্লগারদের প্রশংসা সম্মান প্রাপ্য হয়, তাদের লেখার থেকেও বেশী।

    মণিপুরে ৩০ জন নগ্ন হয়ে হেঁটেছেন - সেই প্রসঙ্গ এখানে তোলা যাবেনা কেন? রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কি রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? নাকি তার ইমোশনাল কন্টেন্টের গুরুত্ব বেশী?

    যদি কোনোদিন হাজার মানুষ নগ্ন হয়ে ছাতা মাথায় জমায়েত-মিছিল ক'রে কোনো ইস্যুতে অহিংসভাবে প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়, তাদের সেই অভিনব প্রতিবাদের সাহসকে সশ্রদ্ধ সম্মান জানাবো।
  • lcm | 146.152.142.62 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫৩67921
  • এগ্জ্যাক্টলি, নগ্ন শরীরকে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার - এ জিনিস জেনারেলি হয়েছে - ফেমিনিজ্‌ম, মুভমেন্ট এগেইন্‌স্ট জেন্ডার বায়াস, ট্রান্সজেন্ডার মুভমেন্ট, হিউম্যান ট্রাফিকিং প্রতিরোশ, স্টপ ফ্লেশ ট্রেড, স্টপ স্লেভারি -- এই সবেই দেখেছি।

    এদেশে সাম্প্রতিক কালের কয়েকটি প্রতিবাদী ঘটনা, যেমন --- অকুপায় মুভমেন্ট (ওকল্যান্ডেরটি একদম কাছ থেকে দেখেছি), বা, স্যানফ্রানসিস্কো লোক্যাল ট্রেনওয়ার্কাস ইউনিয়ন স্ট্রাইক, বা, শিকাগো তে স্কুল শিক্ষক/কর্মী-দের দীর্ঘদিনের লড়াই -- এগুলোতে নগ্ন শরীর ব্যবহার দেখতে পাই না। ইন জেনারেল তেমন শুনতেও পাই না।

    কোনো এক ফিল্ম ইন্স্টিটিউটের ডিরেক্টর পদে কে এলো না গেল তা নিয়ে এমন ভাবে প্রতিবাদ করা যায় না তা নয়। ইন ফ্যাক্ট, যে কোনো বিষয় নিয়ে প্রতিবাদেই নগ্ন শরীর আনা যায়, অসুবিধে কিছু নেই তো। পেয়াঁজের দাম বাড়ার বিরুদ্ধেও নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ কেউ করতেই পারে।

    গজেন্দ্র-কে ডিরেক্টর পদে বসিয়েছে বিজেপি, সেটা নিয়ে তো মিডিয়া হৈ চৈ করছে, বিদর্ভে চাষী আত্মহত্যা নিয়ে ততটা নয়। মিডিয়া যাই খাওয়াবে তাই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠতেই পারে, কিন্তু সকলে তাতে তেমঙ্গ গুরুত্বও নাও দিতে পারে। গজেন্দ্রর আগে কারা ডিরেক্টর ছিল, তারা কোন পার্টির ছিল - জিগ্গেস করলে কেউ বলতে পারবে কি না আমার সন্দেহ আছে। গজেন্দ্রর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে প্রতিবাদে ক্রশড্রেসিং/ন্যুডিটি ইত্যাদি ঠিক ক ছটাক করে আছে তাতে নিয়ে কি এসে যায়, ফিল্মইন্সটিটিউট নিয়েই বা এত মাথাব্যাথারই বা কি আছে।

    কিন্তু এই যে দাবী - এরকম করে এক সাংঘাতিক ধাক্কা দেওয়া হয়েছে কনভেশন্যাল থিংকিং-এ, এটা আমার মনে হয় না। বরং, এটাকে অ্যাবের‌্যান্স মনে হয়, যেমন এক লাখ পোষাক পরা লোকের মধ্যে একজন নগ্ন হয়ে খেলার মাঠে দৌড়োয়, সেটা ঠিক কোনো ধাক্কা মনে হয় না, অ্যাবসোলিউটলি অ্যাবের‌্যান্ট, সেইরকম। এবারে আমার মনে হওয়া, অন্য কারো মনে হতেই পারে সাংঘাতিক সামাজিক চিন্তাধারা বদলের সূত্রপাত হল এই থেকে।
  • cm | 127.247.96.171 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫৭67922
  • আরে মশাই মাকুদের আপনার মতই মনে হচ্ছে। আর নকুরা সলিডারিটির জন্য কিছু বলছেনা। এ অতি সোজা প্যাটার্ন রিকগনিশন।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১০67923
  • মণিপুরের প্রসঙ্গ তোলা না যাওয়ার কি আছে। অনেকেই তুলছেন। কিন্তু আমার যেমন, হজম হচ্ছে না আরকি। ভিসি কিংবা গজাননের অযোগ্যতা এবং বছরের পর বছর সেনাবাহিনীর হাতে ভূমিসন্তানদের হত্যা বা ধর্ষন - দুটি ঘটনার মধ্যে গুরুত্বের হেরফের আছে বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়। অবশ্য অন্যভাবে দেখলে গজানন হলো রাষ্ট্রের কাল হাত তার এক্সটেনশন হলো আফস্পা ইত্যাদি। সবই ব্রহ্ম, কি ভিসি কি তুতানখামেন কি অশ্বমেধের ঘোড়া। মশা এবং যুদ্ধজাহাজ দুয়েরই সদর দপ্তরে বাসা, দাগাও কামান। যুদ্ধের সময় মৃত্যু দেখতে দেখতে নাকি নিকতজনের মৃত্যুও মানুষের কাছে সহজ হয়ে যায়। সেইরকম আমাদের তোশকের তলায়ও দৈনন্দিন মশারির মতো একটা করে আকাশী নীল কামান রাখা থাকবে, আমরা রোজ দড়ি বেঁধে টাঙিয়ে ঘুমাবো।

    প্রতিবাদ, তার ধরন কোন কিছু নিয়েই কোন বলার নেই। কিন্তু যে প্রতিবাদীকে নিয়ে এতো উচ্ছাস সে আদৌ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলো কিনা তাই কেউ জানে না, তাকে ঠাকুর বানিয়ে পটচিত্র এঁকে ফেলে গণ আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে মণিপুর ভিয়েতনামের পাশে বসিয়ে দেওয়াটা দেওয়াটা আরোপিত লাগে আরকি।
  • lcm | 146.152.142.62 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৫67924
  • এগজ্যাক্টলি, হুতো যা বলেছে। একে বলে তক্কের খাতিরে সব মাখিয়ে দাও।
  • cm | 127.247.96.171 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৬:২২67925
  • আর আমি বলব ওটিই ট্রেডমার্ক ।
  • . | 208.7.62.204 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩৮67895
  • কেন আগুনখেকো বিপ্লবী হলে সাম্রাজ্যবাদী দেশে যেতে পারবে না? সেদেশে যে ড্লারে ইংকাম! তারপর আবার সাম্রাজ্যবাদী সিটিব্যাংকে পুরো টাকাটা রাখব না ছোট্ট করে সাম্রাজ্যবাদী শেয়ার মার্কেটে খাটিয়ে নেবো এসব কঠিন সিদ্ধান্ত। কবছর ঘষটে নিতে পারলেই একটা বাড়ি, গাড়ি আর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ট্রিপ। সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব তো আছেই। আগুনখেকো বিপ্লবীদের অনেক কাজ। এসব হেজিপেজি দেশে পড়ে থাকলে হবে?
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.132.5 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:০৪67926
  • ঠিক এটাই বলেছিলাম । তমোঘ্ন বা তমোঘ্ন-র বদলে একটি মেয়ে যদি নগ্ন শরীরে চলে আসত আপনাদের এত কিছুই মনে হত না। ঠিক যেমন মণিপুর নিয়ে মনে হচ্ছে না। সমস্যাটা হয়ে গেছে তমোঘ্ন ব্রা পরেছে বলে।

    কেন মণিপুরের সাথে তুলনা করা যাবে না বলতে পারেন? এক জায়গায় আর্মি নামিয়ে স্বাধীনচেতা ভূখণ্ডকে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আরেক জায়গায় রাষ্ট্রের পেটোয়া শিল্পি নামিয়ে অথবা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গিয়ে স্বাধীন চিন্তার হেজিমনিকে নিজের কতৃত্বে আনতে চাইছেন। তফাত তো এটুকুই ! হ্যাঁ এক ক্ষেত্রে মণিপুরের মায়েরা নিজেরা অ্যাফেক্টেড, আরেক ক্ষেত্রে তমোঘ্ন নিজে অ্যাফেক্টেড নয়, সলিডারিটি দেখাতে গেছিল। তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল?
  • Du | 107.79.230.34 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১০67927
  • করা যাবে না কেন? করা যেমন যাবে হজম না হলে বলাও যাবে। কথায় কথায় মণিপুর আমারও হজম হয় না, হবেও না। কেন, বোঝাতে যাবার কোন মানে নেই।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:১১67928
  • মণিপুর নিয়ে মনে হচ্ছে না? মনে হওয়া গুলো আলাদা নিঃসন্দেহে। হা হতোস্মি। আর তাছাড়া আমার অন্তত তমোঘ্নর ব্রা নিয়ে আদৌ কোন বক্তব্য নেই। দেবতার জন্ম টাইপ ব্যাপারটায় সমস্যা জাস্ট।

    নাঃ মহাভারত কেন অশুদ্ধ হবে। ঐ যে বললাম সবই পরমব্রহ্মে বিলীন। কামান কিংবা ফ্লাই সয়াটার, সবই তো আসলে হননযন্ত্র।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৩৪67929
  • ছেলে মেয়ে তৃতীয় লিঙ্গ ব্রা কথাকলির কস্টিউম ধাক্কাপাড় ধুতি কিছুতেই কিছু এসে যায়না। কিন্তু যে আন্দোলনকারী মা বাবার বকুনি খেয়ে ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে আর জাস্ট সময় পায়নি বলে জাঙিয়া পরে স্লোগান দিয়েছে, তাকে মণিপুরের পাশে বসাতে সিরিয়াসলি অসম্ভব আপত্তি আছে। ফেসবুক ব্রা জাঙিয়া কোন কিছু নিয়েই এই শ্লেষ গুলি আসতো না, যদি এই ফ্লাইং রোবট, গজাননের মুক্তিসূর্য হাওয়াকলের হন্তারক মহামানব বানানোর চেষ্টাগুলি না হতো।
    তমোঘ্ন এবং তাঁর বন্ধুরা খুবই চমৎকার মেধাবী ভদ্রলোক। কিন্তু মণিপুরের পাশে, একাসনে রাখতেই হবে?
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৩৮67930
  • ঐ ব্যক্তি এখন কোথা? চিড়িয়া ফুড়ুৎ স্টাইলে উড়ে গ্যাছেন?
    ঃ-)
  • SS | 160.148.14.8 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৪৬67931
  • মণিপুরের সাথে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে কে ডিরেক্টর হল তার তুলনা ? সাধারণ বোধবুদ্ধিতে করা যায় ? একদিকে নিজের শরীর মন টুকু অক্ষত রেখে বেঁচে থাকার অধিকার, যেটা কিনা বেসিক হিউম্যান রাইট - তার সাথে ফিল্ম ইন্স্টিটিউট? যেটা না থাকলেও অধিকাংশ ভারতবাসীর কিচ্ছু যাবে আসবে না, শুধু একটা প্রিভিলেজড নিশ সেগমেন্টের লেকচার দেবার একটা বিষয় কমবে। এইটুকু বোধ ও যদি না থাকে তাহলে 'সলিডারিটি' শব্দটা উচ্চারণ না করাই ভাল। অন্তত লোকের খোরাক হতে হবে না।
    আর মণিপুরে অত্যাচারিত মেয়েদের ভাই, বাবা বন্ধুরা যদি ব্রা পরে মিছিল করত তাহলে দেখতেন সাধারন মানুষ দু হাত তুলে তাদের সমর্থন করত। কোনটা হুজুগ আর কোনটা সলিডারিটি সেটা মানুষ ঠিক বোঝে। লম্বা প্রবন্ধ লিখে বোঝাতে হয় না।
  • রৌহিন | 233.223.132.191 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৩67896
  • পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি / কুযুক্তি / অপযুক্তি / অর্ধযুক্তিগুলো দেখছিলাম - ভালোয় মন্দয় মিশ্র অনুভুতি লাগছিল। শেষ দুটো (দে আর ডট) দেখে বুঝলাম আন্দোলনের যা-ই হোক এই টইটা গাধার নিতম্বে যেতে এবার প্রস্তুত। যাই হোক তবু প্রবল আশাবাদী হয়ে আরোগ্য কামনা করি।
  • de | 69.185.236.53 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১০:২৬67897
  • যাক্‌, সকাল থেকে একটা অন্ততঃ কাজের কাজ করেছি
    - উড়ো টই গোবিন্দায় নমো!
  • topon | 190.148.69.210 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪০67932
  • যারা বহু বছর ধরে মিলিটারি অত্যাচারের বিরুদ্ধে মনিপুরের মহিলাদের প্রতিবাদের সাথে এই প্রেসির ছাত্রদের সৌখিন আন্দোলনের তুলনা করার কথা ভাবতে পারেন, তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েই সন্দেহ আছে। অবশ্য এনাদের কাছে এই মানসিক অসুস্থতা প্রথমবার নয়, এর আগেও বামাতি জামাতিদের মত মৌলবাদীদের পা-চাটা অর্থহীন লেখা দেখা গেছে।

    মনিপুরে যারা গেছেন অন্তত একবার কিছুদিনের জন্য, তারা সবাই জানবেন ওখানে কিভাবে আর্মি সাধারণ লোকের ওপর অত্যাচার করে। নর্থ কোরিয়ার সাথে কোনো পার্থক্য নেই। এর সাথে কলেজ এ জাঙ্গিয়া পরে ন্যাকামো করা আর তারপর ঘরের কোনে লুকিয়ে ফেবুতে স্টেটমেন্ট দেওয়ার কম্পারিসন এর তুলনা টানা এসব পাগল ছাগল দের পক্ষেই সম্ভব।

    আর প্রেসির ছাত্রদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য তো দিনে দিনে পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে, আর একটা JU-কলরবের তামাশা হতে গিয়ে হতে পারল না , এই দু:খে এখন মৌনী মিছিল চলছে, কত্রপক্ষের সাথে কোনো কথা বলতে তারা রাজি নয়। হয় মাই way, or highway, এই মানসকতাকে যত কম পাম্পার করা যায় ততই মঙ্গল।
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫২67898
  • সেই সব কিছুর শেষে, আম্রিকা, অম্রিকা! হায় কি যাদু আম্রিকার! ঃ-)) যারা সুচেতার লেখায় ওপর থেকে নীচে দেখা দেখেন, বিরোধী সুরে কথা বললেই হ্যানত্যান নাকি সুচেতার বক্তব্যে। তারা কোনো কারণে এই বিরোধী বক্তব্য এলেই পুরো আবালের মত আম্রিকায় আসা, তোতাপাখির মত সেই একই হাইপোথেটিকাল বাড়ি গাড়ির আক্রমণ গুলো দেখে চুপ থাকেন বা নিজেরাই বলে যান, এ বেশ মজার।

    দেশের লোকেদের তো বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। কদিন আগেই শুনলাম দেশ থেকে আফ্রিকা সফর, ইতালি সফর এগুলো খুবই সহজ এখন। তারপরেও কিসের এত অসূয়া? এত চিড়বিড়ানির এক্স্যাক্ট কারণটা আজও বুঝলাম না। দেশের মাল্টিন্যাশনালে চাকরি করে, আম্রিকার ক্লায়েন্ট মেইন্টেন করলে, ও দেশে থেকে বিদেশে বেড়াতে গেলে বক্তব্যের সারবত্তা কোন কারণে ঠিক বেড়ে যায়, অন্যথা যায় না এ বোঝা সম্ভব না।

    নেট বিপ্লব কথাটাও মজার। তমোঘ্ন আদৌ এসেছে কিনা এখনও জানিনা, এতদিন ধরে কোলকাতার রাস্তাতেই সে তার সমস্ত প্রতিবাদ করেছে। আগে যাদের নেট বিপ্লবী বলা হত, তারা অনেকেই দেশে ফিরে গেছে। অনেক নেটবিপ্লবী এইদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক মুভমেন্টের সাথে যুক্ত। কেউ কেউ আরো অনেকের মতই দিন আনে দিন খায়, বাচ্চা মানুষ করে, গুরুতে আপনাদের মতই বিভিন্ন বক্তব্য রাখে।

    বরং এক কাজ করা যাক এবার, লোকেদের মাইনার লিস্ট করা হোক। পিপিপি দিয়ে গুণ করলে লোকেদের বাড়ি গাড়ি সংক্রান্ত কৌতুহলও মিটবে আর সেই বুঝে বক্তব্যের ওজন ঠিক হবে। ভালো আইডিয়া না?
  • Parnolina. | 79.64.8.100 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১১:৪৫67933
  • শাক্য মোক্ষম জায়্গায় আঘাত হেনেছেন। পুলিশের সামনে বমি করা, আমার মতে সার্ট্রের নসিয়া কন্সেপ্তের র ন্যাচারাল ডেরিভেটিভ । সার্ট্রে শুধু নসিয়া নিয়ে মেতে্ছেন কিন্তু উনি বমি করা এড্ভোকেট করেননি। এখানেই শাক্য সার্ট্রেকে ছাপিয়ে গেছেন। কুডোস। আর তাছাড়া যে কোনরকম এক্স্কৃটার ( হাগু হিসু মুট বমি) এসেন্স যে আসলে নিও-ফ্রয়েডিও , পোস্ট-মারকিউসিয়ান, তার সিন্ট্যাগ্ম্যাটিক প্রোজেক্স্শানে একটু বাড়াবাড়ি তো হবেই।

    -- thanks, parnolina.
  • তাপস | 122.79.35.182 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১১:৫৭67899
  • মাইনের কথা যখন হচ্ছেই, তখন গুরুতে লেভি দেওয়ার কথাটা আর একবার পেড়ে রাখি
  • sch | 213.147.88.114 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১২:০২67900
  • হ্যাঁ তাপস বাবু এটা খুব যুক্তিপূর্ণ। আমরা এত বড়ো একটা প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক কিছু রসদ যোগাড় করি । কিছু রিটার্ণ দেওয়া উচিত। কোনো কিছু Help guru জাতীয় অনলাইন ফান্ডিং সিস্টেম রাখা সং্যক যেখানে কেউ ইচ্ছে হলে তার সাধ্যমত খুব সামান্য কিছু হলেও দিতে পারবে? INR এ - ডলারে না।
  • | 77.98.72.126 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১২:২৫67901
  • কী সব হচ্ছে!! আপনারা যথেষ্ট বুদ্ধিমান। এই সব ব্যাপার গুলো কি একটু ইগনোর করা যায় না? একটু ভেবে দেখুন !!
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.21.134 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪১67902
  • কি ভাগ্যিস দেশে ফিরে এসেছিলাম পড়াশোনা শেষ করে ! নাহলে সাম্রাজ্যবাদীদের দেশে থাক্কার অভিযোগে কোনো কিছু নিয়েই মুখ খোলার অধিকার থাকত না :(
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৬67935
  • বাপরে । কিন্তু সিন্ট্যাগম্যাটিক কেন, বমি হওয়া আর বমি করা, এদের তফাত প্যারাডাইমগত না? :-)

    যাইহোক, আমার ভয়েসটাও রাখা দরকার। যে পয়েনগুলি নোট করলাম, তাতে দুখানা জিনিস গুলিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্য করলাম।

    ১। প্রেসিডেন্সি কলেজে সেই সুবিখ্যাত হামলা এবং তার তদন্তে ঢিলেমি, যেটা নিয়ে এই আন্দোলন শুরু, সেটা আর সিনে নেই। থাকা দরকার ছিল।

    ২। মাকু-নকু ট্র্যাডিশনাল বিভাজনটা এই ক্ষেত্রে লক্ষ্য করছিনা। রাগী মাকুরা রাগী নকুদের মতই ব্যাপারটার পিছনে আছে। এটা ইন্টারেস্টিং।
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৯67936
  • হুতো, একটু পিছিয়ে ভাবা দরকার। এইসব হবার বেশ কিছুদিন আগে এখানে তমোঘ্নর আরো একটি "প্রতিবাদ-পার্ফর্মেন্স"-এর কথা লিখেছিলাম। বোধহয় ভিডিওও দিয়েছিলাম। তখন কেউ ভিলেন বানায়নি, তাই তার অ্যান্টি-হিরো হয়ে ওঠাও হয়নি। শাক্যর এই লেখার কিছু জায়গায় একমত নই আগেই লিখেছি, কিন্তু এই লেখা ঐ মিডিয়ার মোড়লগিরির রিয়াকশন হিসেবেই দেখছি। একদিকে চরম অব্স্থান নিলে অন্যদিককেও একটা পোলারাইজড অবস্থানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

    মিডিয়া হাত ধুয়ে ভিলেন বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। বাউ-এর লেখাতে পরিষ্কার আছে। এবং এও নাকি শোনা যাচ্ছে যে এতই দৃষ্টিকটু পর্যায়ে হয়েছে এই সমবেত মিডিয়া ছিছিক্কার যে আজ থেকে নাকি আরো "ব্যালাসন্ড রিপোর্টিং" হবে।

    অনুরাধার ঐ প্রায় হরাইজন্টাল হয়ে নমো নমো আর এই মেয়েটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া - এই দুটো ইমেজ ছাপিয়ে একটি লোমশ পুরুষের ব্রা জাঙ্গিয়া পরা ইমেজ কেন এত চর্চার দাবী করে? সেই উত্তর আমাদের নিজেদের ভেতরের মরালিটি থেকে কি একেবারেই বিচ্ছিন্ন?

    আর বাবা-মার কথায় ফেবু ডিঅ্যাক্টিভেটেড এটা এই প্রথম শুনলাম।
  • rabaahuta | 77.191.245.247 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:১০67937
  • অক্ষদা, আমার ক্ষেত্রে, ব্রা জাঙিয়া ইত্যাদি কিছুতেই কিছু আসে যায় না, 'মণিপুর' শব্দটা না এলে একটা মন্তব্যও আমি করতাম না।

    আমার চোখে তমোঘ্ন আদৌ ভিলেন নয়, আন্দোলনের সারবত্তা নিয়েও আমার সন্দেহ তো নেইই, বরং সলিডারিটিই বোধ করছিলাম, সেটা অবশ্য সুচেতার আহারে আর রৌহিনের উচিত অনুচিত পরে ঘেঁটে লাট হয়ে গেছে।
    তমোঘ্নকে আন্দোলনের সুবিধেজনক ইমেজের খোপে ফেলাটা নিয়ে আমার সমস্যা হচ্ছে, মূলধারার, বৃদ্ধ সাবধানী রাজনীতির সঙ্গে তফাৎ পাচ্ছিনা।
    সব শেষেও, আবার, মণিপুর না এলে আমি আদৌ কোন মন্তব্য করতাম না, তত্ত্ব নিয়ে মন্তব্য করার ফান্ডা আমার নেই।

    আর মা বাবার কথায় ফেবু বন্ধ করাটা অবশ্য একটু, ইয়ে, আমার বাড়িয়ে বলা। মা বাবা কথা বলছেননা তাই ফোনে কথা বলা যাচ্ছেনা এইসব থেকে টেনে টুনে বানিয়ে ফেলেছি, রুপকথা তো এই ভাবেই বাড়ে।
    তবে উচিত হয়নি, মার্জনা চাই।
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:১৯67938
  • ওহো যেগুলো বুঝতে পারছিনা, সেগুলোও বলা দরকার।

    ১। ভিসির নমো করার ছবি কী সিগনিফিক্যান্স বহন করে বুঝতে পারছিনা। ওটা বড়োজোর "প্রভু আমার প্রিয় আমার" ক্যাপশানের একটা পোস্টারের বিষয় হতে পারে। কিন্তু ঝুঁকে পড়ে নমস্কার তো কোনো অপরাধ নয়, সেটা প্রতিকারেরও কোনো দাবী করা যায়না। এমনকি ওটা স্রেফ সৌজন্যও হতে পারে। এটা আন্দোলনের ফোকাস করার কি মানে বুঝছিনা।

    ২। একটি মেয়েকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ছবির কি মানে বুঝছিনা। কোনো জমায়েতে বা ঘোষিত বিক্ষোভে মহিলা পুলিশ থাকার দাবী থাকতেই পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এক জায়গা থেকে বেরোচ্ছেন, এক দল ছেলেমেয়ে তার রাস্তা আটকাবে, এবং পুলিশ কিচ্ছু না করে মহিলা পুলিশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, যাতে করে ছেলেমেয়েরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত অবাধে পৌঁছে যেতে পারে, এটা আশা করার কোনো মানে হয়না। পুলিশ লাঠিও চালায়নি, গ্রেপ্তারও করেনি, স্রেফ চ্যাংদোলা করে সরিয়েছে। তাতে জামা-টামা একটু উঠবেই। এটা জাস্ট ইস্যু তৈরির জন্য তৈরি মনে হচ্ছে।

    ৩। প্রতিবাদের ধরণ নিয়ে সমস্যা আছে। ইন ফ্যাক্ট কামদুনির প্রতিবাদে হামাগুড়ি দেওয়া, আর ব্লগার খুনের প্রতিবাদে "আমাকে চড় মারুন" বলা নিয়েও আছে। নৈতিক কিছু না, কিন্তু প্রতিবাদের উদ্দেশ্য তো লোককে কানেক্ট করা, তাক লাগিয়ে চমকে চোদ্দ করে দেওয়া হলে অবশ্য অন্য কথা, কিন্তু সেরকম নয়ই আশা করছি। কলরব জিতেছিল, পাবলিক প্রেশারে, কানেক্ট করা গিয়েছিল বলে। এখানে তো দেখছি প্রতিবাদটা কেন, আদৌ হয়েছে কিনা, এসব বোঝাতেই দম বেরিয়ে যাচ্ছে। কানেক্ট করার বদলে পাবলিক প্রেশারে নিজেদেরই ক্ষমা চাইতে হচ্ছে। তাহলে আর এই বস্তুটা করে লাভ কী হল?
  • rabaahuta | 77.191.245.247 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:২৩67939
  • তমোঘ্নর ইমেজকে তমোঘ্নর থেকে বড় করে তোলাটাই নেওয়া যাচ্ছে না। সে নিজেই (সন্দেহের অবকাশ সহ) বলছে জামাকাপড় অন্যের ব্যাগে থাকায় হুহু করে ঢুকে যায় তারপর সময়মত ব্যাগ খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং বাড়িতে এই নিয়ে চাপে আছে ইত্যাদি, তো সেই সবই ঠিক আছে, খুবই স্বাভাবিক। যদি সচেতনভাবে করতো (করতেই পারতো, দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্যে যে খুবই এফেকটিভ সেটা তো অলরেডি প্রমানিত) তাহলেও ঠিক ছিলো।
    কিন্তু পাকেচক্রে জাঙিয়াকে মণিপুর ভিয়েতনামের পাশে বসানোটা সুবিশাল চাপ।

    আর আমার কাছে মৃত্যু এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেটোয়া এই দুটি আলাদা। তবে এই নিয়ে কোন বক্তব্য নেই, তত্ত্বগতভাবে এক হতেও পারে, আমি তো আর জানিনা।
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:৩১67940
  • হ্যাঁ, আরও একটা কথা বলার আছে। মিডিয়া খুব গাল খাচ্ছে তমোঘ্নত ব্রা পরা ছবি নিয়ে "ব্যবসা" করার জন্য। সেটা কেন খাচ্ছে বুঝিনি। যে ছবি এক জাজ্বল্যমান প্রতিবাদ, শারীরিক বিভঙ্গের মূর্ছনায় যে প্রতিবাদ সর্বাঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে আসছে, খবরের কাগজে তার ছবি বেরিয়ে তো ভালই হবার কথা। প্রেসিডেন্সির বাইরে লাখো লাখো মানুষ প্রতিবাদের ছবি দেখতে পাবেন, প্রতিবাদীদের পক্ষে এর চেয়ে ভালো জিনিস তো হয়না। তাহলে মিডিয়া গাল খাচ্ছে কেন বুঝছিনা।
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:৪০67941
  • হুতো,

    না, ঐ কথাগুলো সে আদৌ বলেছে কিনা জনা যায়নি। ওগুলোও রূপকথা হতে পারে ঃ-)

    মিডিয়া ব্যবসা করেছে বলি নি। মিডিয়া ক্ষমতার হাওয়া বুঝছে ও সেই বুঝেই অনেক কিছু কভার করছে ও করছেনা। আর শুধু ছবি বার হয়েছে? ও বাওয়া লেখা গুলো পড়নি নাকি? তমোঘ্ন-র বাড়ির হদিশ দেওয়া কি কোনো উদ্দেশ্যবিহীন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন