এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৬২১ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪৬২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫০67942
  • পড়েছি তো। খুব বড়ো করে "অসভ্যতা"কে ফোকাস করছে। কিন্তু অসভ্যতার "প্রমাণ" টা তো মিডিয়া ম্যানুফ্যাকচার করেনি। ওটা ঘটনাস্থলের ছবি। সেটা পাবলিক খাচ্ছেও।

    ফর্ম সুপ্রযুক্ত হলে তো এরকম কথা হবার কথা নয়। এই যে মণিপুর নিয়ে এত কথা। মিডিয়া তো সাধারণভাবে ন্যাশনালিস্ট, ওই সব উত্তর-পূর্ব টুর্ব বোঝেনা। কিন্তু তাদের কারোর সাধ্য হয়নি, নগ্ন মায়েদের ছবিকে অশালীনতা বলে চালানোর।

    এই পার্থক্যটা যদি প্রতিবাদীরা না বুঝে যা করেছে বেশ করেছে অ্যাটিটিউড নিয়ে চলেন, তাহলে আন্দোলনটাই গোল্লায় যাবে আর কি।
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫৪67943
  • বিটিডাব্লু। একটু আগে দেখলাম নতুন হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে। আমিওতমোঘ্ন।
  • a x | 83.136.18.161 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫৮67944
  • নগ্ন মা-দের প্রতিবাদ আমাদের চোখেও অন্য মাত্রা পায়। মিডিয়া ও আমরা একে অপরের একস্টেনশনও।

    আর কলরব কী জিতে গেছে সেটা ক্লিয়ার না একেবারেই।
  • dd | 116.51.139.69 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৩:০৬67945
  • ঈশেনের পোস্ট গুলো ভাল্লাগলো, মানে আম্মো সেই মত। সে জন্নেই পছন্দো হয়েছে।

    যেটি তমোঘ্নর পোস্ট বলে এখানে দেওয়া হয়েছে। ওটা আমার কিন্তু ধারনা ওর নিজেরই পোস্ট।

    এয়ার্কি নয়। আমার পড়েই "আহারে" বলতে ইচ্ছে করেছিলো। মনে হোলো খুব সৎ আর সরল একটা ছেলে,কোনো ঢাক ঢাক গুড় গুড় নেই। বিদেশ যাবে দু দিন পরে,তার আগেই মা বাবা কথা বলছে না।

    নিতান্তো তালেগোলে প্রেসিডেন্সীতে ঢুকে পরে ঐ অবস্থায় ফোকাস হয়ে পুরো আন্দোলনটাকেই ঘেঁটে দিয়েছে। ওর খুব খারাপ লেগেছে।

    চেনা হলে বলতাম ।"ধুর ফাগোল। নো চিন্তা। লোকে ঠিক ভুলে যাবে"। কিন্তু চিনি না তো।

    মুষ্কিল হয় মইওয়ালাদের নিয়ে। এরা লোকেদের গাছে চরানোর ইজারা নিয়েছেন। তমোঘ্নর কপালেও এর কমতি নেই।
  • তাপস | 122.79.39.155 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৪67955
  • জয়রাজ ভট্টাচার্য, একটা লেখা লিখেছে। অভিনেতা। গান্ডু সিনেমায় অভিনয় করেছে। ফলে ওকে গান্ডু বলা যাবে নিশ্চয়। এখন কলকাতাতে। গাড়ি আছে কিনা খবর নেওয়া যেতে পারে। নিঘিন্নে ক্যারেক্টারে অভিনয় করেছিল। কী রুচি! ছিঃ ছিঃ!! ব্বিদেশ চলে যাবে? যেতে পারে কিন্তু। আরো সব কী খুঁজে বের করে ফেলতে হবে। কিন্তু তার আগে এইটা পড়ে নিন। জয়রাজের লেখা

    আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করবো এই লেখায় আপনাদের, শাশ্বতী ঘোষ, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, এবং আরও যতেক দালাল। যেহেতু যাহা ব্যক্তিগত তাহা রাজনৈতিক। যেমন- তমোঘ্ন আমাকে ব্রা পরিয়ে দিতে বলে, বলে- ওর পরার অভ্যাস নেই। আমি ওকে জানাই আমিও ব্রা পরিয়ে দিইনি কাউকে কখনও। তারপর কলেজ স্কয়ারের একটা পেচ্ছাপখানায় আমি প্রথমবার কাউকে ব্রা পরিয়ে দিই। প্রথমবার আমার ভাই কে ব্রা পরিয়ে দিই। মুততে আসা পুলিশ আমাদের দিকে তাকায়, তমোঘ্ন বলে আমাকে ব্রা তে বেশি ভালো দেখায় ওর চেয়ে। পুলিশের নিজের বাঁড়ার ওপর কন্ট্রোল থাকে না, কিছুটা পেচ্ছাপ নিজের বুটের ওপরে পড়ে। ঠিক যেমনটা তমোঘ্ন চেয়েছিল এবং অগস্ত বোয়ালও। এর পর কালো জাঙিয়া আর সাদা ব্রা, যাতে লেখা খুলি খিড়কি, তার ওপর এক্সপোসড ফিল্ম রোল জড়ানো হয়। এই ফিল্ম রোল খুলে নেবে কেউ, বস্ত্রহরণ করবে। ভারতীয় মিথলজির সবচেয়ে চেনা নারী নির্যাতনের রিমেক হবে। যেমনটা হয়েছিল ৮৮ সালের কোন এক রবিবার পুনিত ইশার, পঙ্কজ ধীর, মুকেশ খান্না গজেন্দ্র চৌহানদের উপস্থিতিতে, বি আর চোপড়ার নির্দেশে, তমোঘ্নর জন্ম হয়নি তখনও। কিন্তু তা হলেও তমোঘ্ন মহান ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য সম্পর্কে অবগত ছিল।
    আর তমোঘ্ন অবগত ছিল যে, গজেন্দ্র চৌহান রূপা গাঙ্গুলি কে বাজী রেখে পাশা খেলায় হারে। তখন রূপা গাঙ্গুলি তাকে প্রশ্ন করে ( করেছিলো কি? মহাভারতে আছে, কিন্তু বি আর চোপড়ায়?) গজেন্দ্র যদি আগেই নিজেকে হেরে গিয়ে থাকে, তাহলে সে কোন অধিকারে তাকে বাজী রেখেছে? তমোঘ্ন চেয়েছিল রূপা গাঙ্গুলির অফিসে গিয়ে এই প্রশ্নটা করতে। কোন খুলি খিড়কি দিয়ে সেই প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিতে উটের গ্রীবার মতো। যেহেতু গজেন্দ্র খুলি খিড়কি পছন্দ করেছেন। তমোঘ্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন ছিল। গজেন্দ্রর সংস্কৃতি সম্পর্কে। অনুরাধার প্রস্তাবিত সংস্কৃতি সম্পর্কে।
    সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সে আর্তোর প্রস্তাবনাকে মান্যতা দিতে চেয়েছিল বি আর চোপড়ার মতই। আর্তো যেমন লাতিন আমেরিকান অ্যাজটেক মিথলজির দিকে প্রবল তাড়নায় ছুটে যান। যেহেতু সংস্কৃতি কালেক্টিভ, আর্ট ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। সেহেতু সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রিচুয়াল জরুরী হয়ে ওঠে। তমোঘ্ন বি আর চোপড়ার মিথলজির নতুন বয়ান তৈরি করছিলো নতুন রিচুয়াল দিয়ে। আর্তো যেমন চান মানুষকে বাধ্য করতে তাঁরা নিজেদের দেখুক, আর চিনে নিক তাঁদের অন্ধকার, ক্লীবতা, ভন্ডামি।
    তমোঘ্ন থিয়েটার অফ দা ক্রুয়েলটিকে প্রয়োগ করেছিলো, সফল হয়েছে সেই প্রয়োগ। অমোঘ প্রয়োগ।
    এখন সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ব্যাপারটা খেলো হয়েছে। মানে ওর সৃজন প্রক্রিয়ায় প্যান্টি যেরকম কমপ্লেক্সিটি নিয়ে এসেছে, তমোঘ্নর ক্ষেত্রে ব্রা সেরকম পারেনি। আর উনি বলেছেন এরকম করলে আসল আন্দোলনের ক্ষতি হবে। এইটা খুব ভালো অবজারভেশন। এই যে আসল আন্দোলনের আসে পাশে উনি আরও কিছু নকল আন্দোলন দেখতে পেয়েছেন এটা খুব আনন্দের কথা, আমাদের হাওড়ায় এলে ব্যাপারটা আরো পরিস্কার হবে, হাওড়ায় বোট্যানিকাল গার্ডেনে একটা অতি প্রাচীন বটগাছ আছে, সেখানে লেখা আছে- গাছের মূল শেকড় কোনটা বলতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে। কিন্তু মজার কথা হোল মূল শেকড়টা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা অনেক কাল আগে সেটা অপারেশান করে সরিয়ে দিয়েছেন, নকল শেকড়গুলোর জন্যই গাছটা কয়েক শতাব্দী ধরে বেঁচে আছে। অথবা ধরুন ১৯৫৬র ২রা ডিসেম্বর কুবাতে গ্রানামা ভিড়লে, বিপ্লবীরা কয়েকটা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বাতিস্তার সেনাবাহিনীর সাথে অসম লড়াই শুরু করে। মজার কথা প্রথম সাফল্য পান রাউল কাস্ত্র, যিনি চে আর ফিদেল কে শ্যাডো করছিলেন, অর্থাৎ নকল করছিলেন। তাই আসল এবং নকল আন্দোলন নিয়ে সঙ্গীতার উপলব্ধি বলা যায় প্রায় বৈপ্লবিক।
    আবার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেছেন- তিনি এক ধরণের এমপ্যাথি থাকার সত্ত্বেও প্রতিবাদের ভাষাটা ঠিক বুঝতে পারেন নি। এরকমই এক অসুবিধার কথা এক আর্ট আপ্রিশিয়েটর একবার পিকাসোকে জানান। তিনিও অনিন্দ্যর মতো পিকাসোকে অনুযোগ করেন ছবির ভাষা তার বোধগম্য হচ্ছে না। পিকাসো বলেন এ তাঁর দুর্ভাগ্য, কিন্তু বোদ্ধা কি চীনা ভাষাটা বোঝেন? বোদ্ধা না বললে, পিকাসো বলেন- ভাবুন, পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ ওই ভাষায় কথা বলেন, তাঁদের কি দুর্ভাগ্য! ভাবুন তমোঘ্নর কি দুর্ভাগ্য, অনিন্দ্যর মতো মানুষ, যিনি, আজকালকার মেয়েগুলো সব ক্যাট এর মতো দারুন প্রতিবাদি গান সৃষ্টি করেছেন তিনি কিনা প্রতিবাদের এই ভাষা বুইতে পারেননি।
    কিন্তু সবচেয়ে সাধু সংবেদন আসে কোলকাতার নারীবাদী আন্দোলনের সেরা বাঙালি শাশ্বতী ঘোষের কাছ থেকে। এত স্পষ্ট করে তমোঘ্নর অ্যাজিট-প্রপ কে আর কেউ পড়তে পারেন নি। উনি বলেছেন- অদ্ভুত। অর্থাৎ অ্যাবসার্ড। তমোঘ্নর শরীরী ঘোষণা নিশ্চিত ভাবেই অ্যাবসার্ড ছিল, আগেই এ প্রশ্নে আর্তোর অবতারনা করেছি। বলেছেন- ছেলেটিকে যারা চেনেনা তাঁরা বার করে দিলেন না কেন? এটাই সবচেয়ে জরুরী প্রশ্ন। ছেলেটিকে কেউ চেনে না কেন? নারী আন্দোলনের অকুতোভয় নেত্রী ঠিক ধরতে পেরেছেন। চেনার প্রাথমিক উপায়টাই তো তমোঘ্ন গুলিয়ে দিতে চেয়েছেন। একটি ছেলে যদি ব্রা পরে, শুধু ব্রা আর জাঙিয়া পরে ঘোরে তাকে, কোন পরিচয়ে চিনবো? খুব অশালীন তো বুঝলাম, কিন্তু খুব ছেলে অশালীন না খুব মেয়ে অশালীন? শাশ্বতী প্রস্তাব করেছেন, তাকে ছাত্ররা কেন বের করে দেয়নি, তাঁরা দেয়নি, কারণ বের করে দেওয়ার জন্য ওখানে পুলিশ ছিল। কিন্তু শাশ্বতী দেবী বলুন তো পুলিশ কেন বের করে দেয়নি? কারণ পুলিশ অত্যন্ত জেন্ডার সেন্সেটিভ হয়ে উঠেছে এই রাজ্যে, পুলিশ বুঝতে পারেনি পুরুষ পুলিশের উচিৎ ছিল দায়িত্ব নেওয়া না মহিলা পুলিশের!
    যে মেয়েদের ক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে সে মেয়েই, যাকে সবাই চিনতে পেরেছে, তাকে কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে পুরুষ পুলিশরাই ধরে নিয়ে গেছে। কোন কনফিউশন হয় নি। নিদারুন শালীনতা বজায় রেখে পুলিশের হাত তাঁদের ঠিক কোন কোন প্রত্যঙ্গে ঘোরা ফেরা করেছে, ভিসি তা প্রকাশ্যে জানতে চেয়েছিলেন! তমোঘ্ন সেটাই জানাতে গিয়েছিলো। যতই হোক গজেন্দ্র, পুনিত ইশার, মুকেশ খান্না, পঙ্কজ ধীররা বি আর চোপড়ার নির্দেশ কি ভাবে পালন করেছে, সেটা তো আর রূপা গাঙ্গুলি বলবেন না। সেখানে শালীনতা আর সংস্কৃতির প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। সেই শালীনতা কে মান্যতা দিতেই তমোঘ্ন বিজেপি অফিসের কাছ থেকে প্রেসিডেন্সিতে গেছিলো। নানা রকম সেটিং আছে। আপনি শাশ্বতী দেবী যেমন এ বি পির গাড়ীতে কামদুনি গেছিলেন। তাই ব্যাপারটা আপনি ধরতে পেরেছেন। এসব সেটিং সম্পর্কে অনুরাধা দেবীর ঠিক ধারণা নেই। তাই উনি প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্যের কথা বলে বসেছেন। ইয়ং বেঙ্গলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তাঁরা ঐতিহ্যের অনুসারী নয়। ব্যাটারা গরুর মাংস খেত ভাবুন, সে মাংসের উচ্ছিষ্ট নাকি হিন্দুদের বাড়িতে ফেলে আসতো! ঐতিহ্যর বিরুদ্ধাচরণ করাই প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্য। সেদিক থেকে তমোঘ্ন প্রায় একক ভাবে প্রেসিডেন্সির ঐতিহ্যের ত্রাতা হয়ে উঠেছিলো।
  • quark | 24.139.199.12 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:০৪67946
  • আহা অপরাধ কেন হ'বে? উনি তো বলেছেন, নেহাৎ উনি মাড়োয়ারি ব'লে কারো পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন না।

    ভাগ্যিস!
  • sm | 233.223.154.6 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১০67947
  • সব জাপানি গুলো কে একসঙ্গে ঘেরাও করা উচিত।বাও করা বেরিয়ে যাবে।
  • Arpan | 125.118.20.226 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৯67956
  • একজন অভিনেতাকে পেটের দায়েও অনেক সময় খুলি খিড়কির মত সিনেমায় অভিনয় করতে হয়, "গজেন্দ্র খুলি খিড়কি পছন্দ করেন" এই দুর্দান্ত ডিডাকশনে আসার আগে। চাড্ডিদের বিরোধিতা করছি ঠিক আছে, কিন্তু সফট পানু সিনেমাটাও ঠিকঠাক বানাতে এলেম লাগে এইটা মাথায় রাখলে ভালো হয়। নাহলে এইরকম মেরিটোক্রেসি কম্প্লেক্সের জন্ম হবেই।
  • Arpan | 125.118.20.226 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২০67957
  • * এই দুর্দান্ত ডিডাকশনে আসার আগে সেটা একবার ভেবে দেখা যেতে পারে
  • তাপস | 122.79.39.155 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৬67958
  • এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই, যে একধরনের এলিটিজম যাদবপুর প্রেসির ছাত্র আন্দোলনের ভাষায় বিরাজ করে। তা লেখার ভাষা, শ্লোগানের ভাষা, এবং হয়ত শরীরী ভাষাতেও।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:২৭67959
  • পুলিশ আজকাল লাঠি চালায় না, খালি হাতে মেয়েদের মলেস্ট করে - যাদবপুরে, প্রেসিডেন্সিতেও
    লাঠি চালালে বোধহয় বেশি নিন্দেমন্দ হয়
  • cm | 127.247.96.171 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩০67961
  • ছোটবেলা আঁকার পরীক্ষায় ভারি দুরবস্থা হত নীচে লিখে দিতে হত গরু, কুকুর এই রকম। তমোঘ্নর অবস্থাও দেখছি সেই রকম।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩০67960
  • ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোল, কৃষক আন্দোলন - এসব টার্মের চাইতে মানুষের আন্দোলন হিসাবে দেখা বেটার
  • sch | 24.99.22.25 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩৬67948
  • এবার কালচার কাকুর মতো আন্দোলন মেসো বা প্রতিবাদ পিসে টার্মটা কি ইউজ করা যায়? যারা বলে দেবে কোথায় কতোটা "বাড়াবাড়ী" করতে হবে
  • I | 192.66.90.225 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৪২67962
  • জয়রাজের লেখাটা ভালো লাগলো। ধারালো। একমত নই, তবু ভালো লাগলো। কিন্তু পিতিবাদ করে লিখতে ইচ্ছে করে না। সময়ও নেই।
  • I | 192.66.90.225 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০২67963
  • শুধু একটাই কথা -ব্রা পরলেই পিকাসো, এইরকম বললে মহীনের (জীবনানন্দ-খ্যাত, গৌতমীয় নয়) সেই প্রাচীন ঘুড়াগণও একযোগে হেসে উঠতে পারে, এবং পৃথিবীর কিমাকার ডায়নামোসমূহের সমবেত আওয়াজ ছাপিয়ে সে হাস্যধ্বনি এমনকি শোনাও যেতে পারে। আর এমনটাও মনে হতে পারে, প্রতিবাদ-ট্রতিবাদ নয়, জয়রাজ-তমোঘ্ন সমেত প্রেসিডেন্সীর ছাত্রগণ আসলে এক দুরূহ শরীরশিল্প রচনা করতেই সেদিন ভিসির ঘরে, আশেপাশে জমায়েত হয়েছিলেন। কাজেই মূর্খ মানুষ, যারা চীনাভাষা, পিকাসো, ব্রা ইত্যাদি কিসুই বোঝে না কিন্তু নিকট অতীতেই যাদবপুর বুঝেছিল এবং ব্যাপক ভালোবাসায় পড়ে গিয়েছিল, তারা একটু ব্যোমকেই যায়। আর দেখা যাচ্ছে যে কোটি কোটি মানুষ চীনা ভাষা বুঝলেও, আদতে কিন্তু অত কোটি পিকাসো বোঝে না, সে পিকাসো ( বা অন্য লোকে)যাই বলুন না কেন। আর, এবার থেকে "প্রতিবাদের মানে বই নেই কেন" -বলে অগা লোকে চেল্লাতেও পারে, বিশেষ করে যখন মানে না বুঝলেই -"এইও" বলে শিল্প(নাকি প্রতিবাদ?)পুলিশ ধমকে দিচ্ছেন।

    তবে কিনা শেষমেশ এদের জড়িয়েমড়িয়েই থাকি এবং এইসব কথাচালাচালি নিতান্তই নিজেদের ঘরোয়া ঝগড়া বলে মনে করে থাকি।
  • sosen | 177.96.46.224 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:২১67965
  • জয়রাজের লেখাটা কেমন অযাচিত কৈফিয়ৎ এর ন্যায় শোনাচ্ছে।
    ব্রা প্যান্টি পরে উক্ত পুরোনো ঘটনার তদন্ত দাবি করাই যেতে পারে, আর তার পরে কেউ সেটা কন্টিন্যু নাই করতে পারে-তার চয়েস রে বাবা। মূল দাবিগুলোতে সংহত থাকলেই ভালো হতো। কে কতোটা ঝুঁকছে সেটাও বিশেষ জরুরি নয়, আমার রিসার্চের জন্য কোটি কয়েক টাকা দিলে আমিও সাষ্টাঙ্গ হয়ে যাবো। সেই টাকা কেউ নিজের ব্যাগে না পুরে থাকলে আর ক্ষতিটা কি? নাকি এই ফেবুপ্লবীরা নেটওয়ার্কিং করেন না? পোস্টাপোস্টি এবং ফুটেজ কামনা দেখে তা তো মনে হয় না।
  • de | 24.139.119.172 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:২৩67949
  • উফ্‌- কাল এক্কেরে ভীমরুলের চাকে ঢিল ছুঁড়ে গেছি তো!

    সবার সঙ্গে কি সব কিছুর তুলনা হয়? যেমন মণিপুরী মায়েদের সাথে তমোঘ্নর তুলনা হয় না- তেমনি বাংলাদেশী ব্লগারদের সঙ্গে যাঁদের নেট-বিপ্লবী বলেছি তাঁদেরও তুলনা হয় না। অভিজিৎ রায় সহ আরো যেসব ব্লগাররা চাইলেই নিরাপদ দূরত্বে বসে উইকেন্ড টাইম পাস করে বাণী দিতে পারতেন - কিন্তু তা না করে স্বেচ্ছায় বিপদের মুখে ঝাঁপ দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে শখের অ্যাকটিভিস্টদের জাস্ট তুলনাই হয় না।

    আর আম্রিগার নাম শুনলেই অতো সেন্সিটিভ হয়ে সব কথা গায়ে টানার দরকার নেই - কারোকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি আমি। তমোঘ্যানার ফেবুর ঘ্যানঘ্যানানি জাস্টিফিকেশন শুনে বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ওই পোস্ট করেছি।

    বাও করা নিয়ে অতো কথা হচ্ছে দেখেই তো কাল স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে বল্লাম - কত অ্যাঙ্গেলে ম্যাক্সিমাম ঝোঁকা যাবে, সেটা বলা হোক। তবেই আর সমস্যা থাকবে না!
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:২৯67966
  • এই লেখাটা ফেসবুকে পড়েছি, যদিও 'যতেক দালাল' শব্দগুলি পড়ে তুমুল বিরাগ উপস্থিত হয়। এই ব্র্যান্ডিং গুলো আর নেওয়া যায়না।
    লোকজনের নিজস্ব শালীনতাবোধ থাকার অধিকারটা তো খুব দোষের কিছু মনে হয়না। অধিকার রক্ষার জন্যে যখন এতকিছু বিশেষ করে। অবশ্য এ আমাকে অশালীন বলেছে আমি ওকে দালাল বলবো, এইরকম হিসেব হতে পারে, কয়েন আদান প্রদান, মূল্যগুলো মিলিয়ে নিলে অসুবিধে কি।

    'আর উনি বলেছেন এরকম করলে আসল আন্দোলনের ক্ষতি হবে' এই ব্যাপারটা অবশ্য তর্কযোগ্য। সত্যিই কি হয়নি?
    'কিন্তু খুব ছেলে অশালীন না খুব মেয়ে অশালীন?' সত্যি কি লোকজন এই লাইনে ভাবছে? নাকি আসলে উদারপন্থীদের হীনতর মরমনুষ্যদের অপেক্ষাকৃত অনুদার প্রমান করার চেষ্টা?

    ইনফ্যাক্ট এই তক্কোটায় জড়িয়ে আমি খুব আতান্তরে পড়েছি। বেসিকেলি যাদের সঙ্গে তক্কো করছি তাঁদের লেখাপত্র কিংবা শেয়ার করা লেখাপত্র পড়ে প্রভাবিত এবং একমত হই অহরহ। কিন্তু এইখানটায় নিতান্ত দশচক্রকে ভগবান বানানোর চেষ্টা মনে হচ্ছে, যেটা নিতে পারছিনা।
  • Tim | 140.126.224.137 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩২67967
  • ইন্দোদা কে ক দিলাম কয়েক ঝুড়ি
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৯67968
  • এর একটা তীব্র উত্তর দিতে ইচ্ছে করে, কিন্তু চট করে হাত নড়েনা। এরা তো আমাদেরই অনুজ। পরে হয়তো লিখব কখনও, আপাতত শুধু এইটুকু বলি, যে, অ্যাজিটপ্রপ মানে তো বিক্ষোভ ও প্রচার। অ্যাজিটেশন ও প্রোপাগান্ডা। সব মিলিয়েই একটা ফর্ম, যেখানে প্রোপাগান্ডা শব্দটির অস্তিত্ব বিষয়টাকে অন্যান্য "সূক্ষ্ম" ও "শীলিত" আর্টফর্ম থেকে আলাদা করে। অ্যাজিটপ্রপ মানেই তার একটা "গণ"চরিত্র থাকে, জনতাকে রিলেট করানোর দায়টা সেখানে বাধ্যতামূলক।

    জয়রাজের এই লেখা, আরও অনেক সাদা-কালো ডিভিশনের কথা ছেড়ে দিলেও, এইটুকু অন্তত প্রমাণ করছে, যে, এটা অ্যাজিটপ্রপ হয়ে ওঠেনি। যেকোনো কারণেই হোক হয়ে ওঠেনি। অ্যাজিটপ্রপ স্বতঃপ্রভ, তার কোনো ব্যাখ্যা লাগার তো কথা নয়। প্রোপাগান্ডা নিজেই একটা ন্যারেটিভ, সেটারই কাজ মানুষের কাছে পৌঁছনো। তাকে বোঝাতে গিয়ে কঠিনতর আরও কঠিনতর মেটা-ন্যারেটিভের জাল বুনলে প্রাথমিক অ্যাজিটপ্রপের ব্যর্থতার কথাই স্বীকার করা হয়।

    জয়রাজের এই লেখাকে আমরা মেটা-প্রপ বলতে পারি। অর্থাৎ কিনা প্রোপাগান্ডাকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা। এরকম যত মেটাপ্রপ লেখা হবে, যত তীব্র ও যত ধারালো হবে তার ভঙ্গী, সেগুলো সবই প্রাথমিক দুর্বলতাটাকেই স্পষ্টতর করে তুলবে এবং তুলছে, এই আর কি।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৪৫67969
  • 'কেন মণিপুরের সাথে তুলনা করা যাবে না বলতে পারেন?' - শাক্য লিখেছে এটা।

    মণিপুরের সাথে তুলনা করা যাবে না এই জন্য যে প্রতিবাদের বিষয়/কারণে আকাশ পাতাল তফাত।

    বহুদিন ধরে চলতে থাকা খুন, ধর্ষণের সাথে কোন ইনস্টিটিউটে রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েম, অনিয়ম ইঃ-র কোন তুলনাই হয় না
  • Bhole Baba | 122.79.36.29 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১০67950
  • যারা তমোঘ্ন কে দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেছে তারা সব সিস্তেম এর দাস।এরা হয় বিজেপি,ছিপিএম,বা তিনোমুলি।আর এবিপি এদের বেদ ,উপনিসদ,কোরন ।এদের সন্খ্যা দেশে এতো বেরে গে্ছে বোলেই এই সমাজের এতো অবোনোতি।এরা নিজেরাই নিজেদের সন্তান দের কবর খুড়ে দিয়ে জাচ্ছে।
  • I | 192.66.89.61 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৭67970
  • আর ইয়ে, কি বলে - "এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্বভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল"-এই লাইনটা যতবারই পড়ছি, ততবারই শিব্রামের "আমার সম্পাদক শিকার" গপ্পের শিকার-হওয়া সম্পাদকের বিষন্ণ কথাক'টি মনে পড়ে যাচ্ছে- "এতে আমার কাগজ খুব বিখ্যাত হয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু পাগলামির জন্য বিখ্যাত হয়ে কী লাভ?"
  • rabaahuta | 215.174.22.27 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৯67971
  • তবে এই তমোঘ্নকে একবার বেস্ট অফ লাক টাইপ শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ থাকলে জানাতাম।
    পড়াশুনো করতে দূরে যাওয়ার কথা সেই মার্কেটে এইসব বাওয়ালি তারপর আবার বাড়িতে পুলিশ গেছে, এ যেন এইসব কাটিয়ে ভালোয় ভালোয় গন্তব্যে পৌঁছয়। যদিও আন্দোলন করার আগে উচিত অনুচিত ভাবার প্রয়োজনীয়তার বিপক্ষে অপ্রত্যক্ষ স্লোগান পড়েছে, কিন্তু নিতান্ত রক্ষণশীল মানসিকতায় যেকোন আন্দোলনের সারবত্তা হিসেবে ঔচিত্যবোধতাকে প্রিরিকুইজিট বুঝি। ভুল হওয়ার ভয়ে পথে না নামাটা কাজের কথা নয়, কিন্তু উচিত অনুচিতকে কাটিয়ে দিলে তো গজাননও আন্দোলন নামিয়ে দেবে। তো সেইসব বিবেচনা করে নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্যে ভদ্রলোকের সাফল্য কামনা করি। অ্যাটলিস্ট জীবনের এইরকম গুরুত্ত্বপূর্ণ সময়ে থানা পুলিশের চক্করে না পড়ে ভালোয় ভালোয় প্লেন ধরে যেন।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:১৯67951
  • দে বার বার স্ট্যান্ডার্ড এর কথা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড সেট করলেই মানে কে ! না হলে 'বাও' বিষয়ে একট সেট করা স্ট্যান্ডার্ড তো আছেই। সেটা বলে উপাচার্যের এক ডিগ্রীও ঝোঁকার দরকার নেই, মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে টাকা যাচ্ছে প্রেসিডেন্সীর অ্যাকাউন্টে, উপাচার্যে এখানে মাধ্যম মাত্র, গ্রহীতা নন। তাঁর তরফ থেকে কৃতজ্ঞতার প্রতীক 'বাও' আদৌ দরকার নেই। তবে বাও নিয়ে এই বাওয়ালির পেছনে উপা-র মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয় লন্ডন যাত্রা সমেত আরো অনেক কাজের ইতিহাস আছে। শুধু বাও-এর জন্য ছাত্ররা বড়জোর বিরক্ত হয়েছে, ঘেরাও করেনি।
  • I | 192.66.89.61 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:২০67972
  • অ্যাজিট প্রপ দেখে একাত্মবোধ করার বদলে লোকে যদি বলে- "মাতৃভূমি লোক্যালে জায়গা পাওয়ার জন্য ছেলেরা আজকাল কী না করছে !"-তাহলে সে সত্যিই বড় দুঃসময়।
  • a | 70.240.142.115 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:২৮67952
  • সমস্যা হল আচাজ্যি মহায় বলে দিয়েছেন ছাত্রদের কাজ উপাচার্যের অপসারণ দাবি করা নয়। এবার কি রাজভবন ঘেরাও হভে?
  • sch | 24.99.206.98 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৪৮67973
  • "আমরা যারা সেই সাহসটুকু দেখাতে পারিনি বা পারিনা, অথবা কোনোদিন পারবোনা, তাদের অন্তত সেই সাহসের প্রতি সমান ভাবে সম্মান দেখানো দরকার।"

    তমোঘ্ন কি শেষ অব্দি সাহস দেখালেন? উনি কি প্রেস কনফারেন্স করে জানালেন যে "এই ফেবুর বিবৃতি পুরো ভাঁওতা - আমার লেখা না। আমি কোনো ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন মনে করছি না, আমার ইচ্ছে হয়েছিল এই ভাবে প্রতিবাদ জানাতে তাই জানিয়েছিলাম - ব্যাগ কার হাতে ছিল, পোশাক বদলানোর সময় ছিল কি না এগুলো ভাটের কথা।"

    এর থেকে অম্বিকেশ কিন্তু বেশী সাহসী।

    সমস্যাটা কিন্তু তমোঘ্নের প্রতিবাদের ফর্ম নিয়ে থেকেই যাচ্ছে। সে প্রতিবাদের ব্যাখ্যার জন্য পাতার পর পাতা ভাট বকে, বিদেশী রেফারেন্স দিয়ে সেটার লেজিটেমিসি দিতে হচ্ছে - সেটা কি সো কলড স্পেকাটাকেল তোইরী করতে পারল। যারা বুদ্ধিজীবীদের ভাষায় "মধ্যমেধার" মানুষ, "মধ্যবিত্ত" জীবন যাপন করে তারা তমোধ্নের নাম শুনলে হয় ফ্যাক করে হেসে ফেলছেন অথবা বিরক্তিতে ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন।

    তমোঘ্নকে মনে মনে ধন্যবাদ নিশ্চ্য়ই দু'জন জানাচ্ছেন - একজন অনুরাধা লোহিয়া আর অন্যজন তার প্রভু - এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কত সহজে লাইমলাইটটা তাদের ওপর থেকে সরিয়ে নেবার সুযোগ করে দিল - আরেকটা যদুপুর হতে দিল না। সেই জন্যেই পুলিশ গিয়েছিল - তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চান - তমোঘ্ন না বুঝেই পালিয়ে গেলেন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন