এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৩২ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 24.139.119.172 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫৮68000
  • তাপস-বাউ - আপনার লেখাটা পছন্দ হোলো।

    এলিটিজম কি আমাদেরো নেই? প্রেসিডেন্সি, যাদবপুরে জোরে হাওয়া বইলেও আমরা লিখে পাতার পর পাতা ভরাই - হত রায়গঞ্জ কলেজ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় - কি কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজও - কেউ পুঁছতোও না!
  • cm | 127.247.99.55 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৬:২৫68001
  • স্পষ্ট করাকরির কিছু নেই এ হল একদলের আন্দোলন আন্দোলন খেলা।যে আন্দোলনের সাফল্য বা ব্যর্থতার প্রভাব আন্দোলনকারীর জীবনে বিশেষ (এ শব্দটা বিশেষ খেয়াল করে বসালাম) পড়েনা সে আন্দোলনকেই খেলা খেলা আন্দোলন বলি। এসবই বীন দেয়ার ডান দ্যাটের অংশ। কোন এক টই এ sch খাঁটি কথাটি বলেছেন এর চেয়ে অম্বিকেশের লড়াই বেশি সাহসী। ওনার বক্তব্যটুকু স্মৃতি থেকে লিখ্লাম ভুল হতে পারে।
  • cb | 213.0.215.3 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৩68002
  • দেব এর নামগুলি নিয়ে আমার দ্বিমত থাকল, এরা যেখান থেকেই এসেছেন সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড যথেষ্ট পোক্ত ছিল। আর বিদেশের সাথে সব কিছু তুলনা না করাই ভাল। এখানকার মত দোচনামি সব যায়্গায় নেই

    বুকানন প্রফেসর
    উলমার তো রীতিমত বিখ্যাত ক্রিকেটার

    ডাভ হোয়াটমোর ছোট টিম নিয়ে শুরু করেছিলেন (১৯৯৬ শ্রীলংকা)। বড় টিম করে ছেড়ে যান।
  • cb | 213.0.215.3 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩৬68003
  • আমার পোস্ট ইগনোর করুন এই আলোচনায়, জাস্ট দেবের উত্তরে লিখলাম।

    আর মাইক হেসন প্রথমদিকে যা ছড়িয়েছিলেন ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে, তাতে ওনার চাকরি গেলেও কিছু বলার থাকত না
  • ranjan roy | 132.162.248.208 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১০:০৭68004
  • এই বাওয়ালে আমার দু'পয়সাঃ
    ১) কয়েক বছর ধরে গুরুর পাতায় ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কোন কথা উঠলেই একটা কমেন্ট যত্র তত্র চোখে পড়েঃ
    -- আন্দোলন আন্দোলন খেলা!
    কেন? কারণ দুদিন বাদে ওইসব ছাত্রছাত্রীরা কলেজ/ইউনি ছেড়ে "কেরিয়ার" গড়তে অন্যত্র যান।
    এইধরণের মন্তব্য বিষয়ে আমার আপত্তি নিম্নবিধঃ
    ক) সব যুগেই ছাত্রছাত্রীরা ( কিছু ব্যতিক্রমকে বাদে) কেরিয়ার গড়ার তাগিদেই কলেজ/ইউনিতে আসে এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাদের অধিকাংশই পাশ করে অন্যত্র যান। বাকি জীবনে সেই আন্দোলনের বা সংগঠনের সঙ্গে কোন প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রাখেন না।
    খ) এটাই স্বাভাবিক নয় কি? ব্যতিক্রম শুধু তাঁরা যাঁরা ছাত্র রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিয়ে বহুবছর পর্য্যন্ত কোন না কোন বিষয়ে নাম লিখিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে নেতৃত্ব করে থাকেন। তবে কিছু সময় থেকে রেগুলার কোর্সের বয়ঃসীমা নির্ধারিত করে দেওয়ায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।
    গ) বঙ্গ সমেত প্রত্যেক রাজ্যেই কং-সিপিএম-বিজেপি-সমাজবাদী-তিনোমূল আদি সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই বহু নেতা ছাত্র অন্দোলনের অভিজ্ঞ্তাকেই পুঁজি করে স্বীয় দলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন( মমতা ও বিমান বসুকে দিচ্ছেন)।
    -- এটাই যখন ট্র্যাডিশন ( তাতে ছাত্রদের ভালোমন্দ যাইহোক) তবে বৃহৎ ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে পথে নামলেই ব্যঙ্গ করার ঔচিত্য কোথায়? তার চেয়ে সোজাসুজি আলোচ্য আন্দোলনটির দাবিদাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা /সমালোচনা করলে হয় না?

    ২) এই বাওয়ালের মধ্যে ফ্যাক্ট কী কী?
    --ক) প্রাথমিক ভাবে ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়বস্তু মূলতঃ অধ্যাপক/ ইন্ফ্রাক্স্ট্রাকচারের অপ্রতুলতা ও দুবছর ধরে বহিরাগতদের কলেজে ঢুকে তান্ডবের বিচার না হওয়া নিয়ে।
    যা আমার চোখে ছাত্রদের এক্তিয়ারভুক্ত দাবী ও ন্যায্য বলেই মনে হয়েছে।
    খ) একইভাবে মুখ্যামন্ত্রীর আগমন নিয়ে স্টুডেন্টদের বিরোধিতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপ দুটোই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত সীমার মধ্যে বলে আমার মনে হয়েছে।
    গ) প্রশ্ন উঠেছে তমোঘ্নের শক -ট্রিটমেন্ট প্রতিবাদ নিয়ে। প্রতিবাদের ধরণ নিয়ে কিছু বলার নেই।কিন্তু ঈশানের সঙ্গে একমত হয়ে এটাই বলব যে যেকোন এজিট-প্রপের উদ্দেশ্য জনতাকে সেন্সিটাইজ করিয়ে মবিলাইজ করা--সেটা করতে তমোঘ্ন ব্যর্থ হয়েছে, ডিস্কাশনের অভিমুখ ছাত্রদের দাবী ছেড়ে অন্যদিকে ঘুরে গেছে।
    আর তমোঘ্নও সেটা বুঝতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। ওঁর ফেসবুক পোস্টে সেটা স্পষ্ট। উনি মূলতঃ গজেন্দ্র পুরণের প্রতিবাদ করতে পথে নেমেছিলেন, প্রেসির আন্দোলনে জন্যে নয়।
    ৩) ছাত্রদের ক্ষমা চাওয়ায় আদৌ দক্ষিণপন্থীরা জিতেছে মনে হয় না। বরং প্রবলপ্রতাপী লোহিয়াম্যাম যে ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী কমিটিকে বদলে দিয়েছেন সেটা ওদের নৈতিক জিৎ বলেই মনে করি। আন্দোলনের স্বার্থে নমনীয়তা জরুরি।
  • ranjan roy | 132.162.248.208 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১০:১১68005
  • সরি! হবে "মমতা ও বিমান বসুকে দেখুন"।
    আর অধ্যাপক অম্বিকেশের লড়াইয়ের সঙ্গেও ছাত্র আন্দোলনের তুলনা হয় না। কারণ শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত-অধ্যাপকদের আন্দোলন ওঁদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত।
    কিন্তু সবারই ছাত্রজীবন অস্থায়ী ও স্বল্পকালীন।
  • তাপস | 190.215.88.29 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪৩68006
  • অক্ষ কাল বলছিল, গজেন্দ্রর খুলি খিড়কি নিয়ে আলোচনা হবে না কেন? পতি না কী বলে একটা সিনেমার কথাও বলছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছিল, গজেন্দ্রর নিযুক্তির বিরুদ্ধে পপুলারাইজ করার জন্যে যদি কিছু ইস্যু দেখানোর হয়, তাহলে মহাভারত নিয়ে বলা যেত। সেটা যথেষ্ট বেশি পপুলার ছিল এই খুলি পতির চেয়ে। এবং তার রাজনৈতিক অভিঘাতও বড় কম নয়। আজ আরেকটা লাইন দেখলাম, পরিচয় তুলেছে,

    Coming back to the present, what I want to consider as a problematic is the referencing of the New Wave, the nostalgia for a lost cinema in popular parlance. It is quite clear that a non-entity like Gajendra Chauhan should not be appointed as the FTII director, it defies the economic logic behind a film school that works as a supply-line for Bollywood. Hindi popular cinema generates a huge amount of revenue for the state and the state spends a miniscule part of it to subsidize film education. We wonder whether the Modi administration is going to represent itself as an incompetent one, one that fails to realize the significance of FTII in the domain of one of India’s largest industries.

    এবার এগুলো কতটা ঠিক ভুল সে জানি না, কিন্তু কম যুক্তিগ্রাহ্য কী? অবশ্য এ সব কথা সহজে বোঝানো সম্ভব নয় বোধহয়।
    পরিচয়ের লেখা তুললাম, লিঙটা দিয়ে রাখা উচিত। নইলে লোকে বকাবকি করে

    http://humanitiesunderground.org/nostalgia-for-the-light-the-ftii-fiasco-and-a-cinema-that-is-lost/
  • sm | 233.223.158.31 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫০68007
  • RR , আপনার পোস্টের উত্তরে। ছাত্ররা রাজনীতি ও আন্দোলন করবে, এটা স্বাভাবিক। কোনো দ্বিমত নেই তো। এখানে কথা হচ্ছিল বহিরাগত ও পাশ করে যাওয়া ছাত্র দের নিয়ে। প্রেসি বা যদু পুর ইউনিভার্সিটি। এদের নিজেদের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা যথেষ্ট। নিজেদের ইসুতে আন্দোলন করার সময় বহিরাগতদের দরকার কি? আই মিন কলেজ চত্বরের ভিতরে।
    তখন ছাত্রদের ভীড়ে বহিরাগতরা মিশে থাকলে, কেমন করে নিরাপত্তা রক্ষিত হবে? এটা কি মেনে নেওয়া যায়?
    আর পাস করা বা কলেজ ছুট ব্যক্তিরা কি করে ছাত্র হয়?কেউ যদি ক্ষেপ খেলওয়ারের মতন আন্দোলন দেখলেই যত্র তত্র ছুটে যায়, তাকে কি আন্দোলন আন্দোলন খেলা লোকে বলবে না?
    তারা যদি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন; তাহলেও তাদের গন্ডি অন্তত কলেজ চত্বরের বাইরে হওয়া উচিত। যেমন ধরুন মিছিল যদি কলেজ স্কওয়ার থেকে ব্রিগেড রওনা হত, এনারা সামিল হতে পারতেন বা বক্তব্য রাখতে পারতেন। কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে এদের অবাধ আনাগোনা, কেমনে সাপোর্ট করবেন?
    দ্বিতীয় কথা, দু বছর আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা, বর্তমান উপাচার্য্য কিভাবে জবাব দেবেন?
    আর বাকি রইলো, পুলিশের নিপীড়ন। উপাচার্য্য তো পুলিশ ডাকে নি। তিনি কিভাবে দায়ভার নেবেন?
    উপাচার্য্য যদি অপদার্থ হন। তাহলে ঘেরাও না করে আচার্য্যের কাছে প্রতিবিধান চান। তিনি তো রাজ্যের প্রশাসনের সর্বময় কর্তাও বটেন।
  • ranjan roy | 132.162.248.208 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:৩৬68008
  • sm,
    মনে হচ্ছে আমার বক্তব্যটা স্পষ্ট করতে পারিনি।
    ১) আমি অবশ্যই ছাত্রজীবন শেষের পরও ছাত্র আন্দোলনের নেতার পদ কুক্ষিগত করে রাখার ট্র্যাডিশনের বিরুদ্ধে। কারণ সেই ব্যক্তিরা সব রাজ্যেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রদের স্বার্থকে বলি দেন।
    ২) কিন্তু সেই নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীরা যদি বিবাদ নিষ্পত্তির জন্যে মধ্যস্থতা করতে চান? ধরুণ, এফটিটিআই পুণের ক্ষেত্রে প্রাক্তন ছাত্র/অধ্যাপক যাঁরা আজ নামকরা অভিনেতা/পরিচালক? বা স্কটিশের পোষাক বিবাদে প্রাক্তনী এক নামকরা গায়ক?
    ৩) আপনি কি নিশ্চিত যে জদুপুরের কলরব বা প্রেসির আন্দোলনের দাবীদাওয়াগুলোর সঙ্গে বর্তমান ছাত্রদের কোন যোগ নেই? এসব বাইরের লোকজনের উস্কানি প্রসূত? খেয়াল করুন, এতে কিন্তু এস এফ আই/আইসা সব নিজেদের ঝগড়া ভুলে ঐক্যবদ্ধ।
    ৪) আমার মূল সুর ছিল কথায় কথায় 'এরা তো দুদিন পরে কেরিয়ার করতে চলে যাবে' গোছের মন্তব্যে। অবশ্যই যাবে, সেজন্যেই পড়তে আসে। কিন্তু তাবলে যে কয় বছর তাদের ছাত্রজীবন সেইসময়টা মুখ বুজে গোপাল হয়ে থাকবে?
    তাহলে ভবিষ্যত জীবনে শিরদাঁড়া সোজা থাকবে না।
    ৫) ব্যক্তি বদলে গেলেও প্রশাসনিক পদ ও প্রতিষ্ঠান তো একই থাকে। যে ইউনিতে শাসক দলের কথিত ছাত্রনেতারা এসে ভাঙচুর করল, হাতিয়ার নিয়ে ঢুকল, অধ্যাপক ও মেয়েদের অপমান করল, পুলিশ এল--সেটার নিষ্পত্তির জন্যে বর্তমান ভিসি কোন পদক্ষেপ নেবেন না?
    উনি আগের ভিসির সময়ের আর্থিক, প্রশাসনিক সব কাজের কনসিকোয়েন্স ফেস করছেন কি না? এটা কি তার বাইরে? তাহলে হরদম ভিসি বদলালে কারও কোন আগের ভুল/ ঘটানার দায়িত্ব থাকবে না। কোন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান এভাবে চলে নাকি? চলতে পারে? কর্পোরেট বা পাবলিক সেক্টরে?
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:৪৯68009
  • এস এম,
    আপনি তো ভুলেই যাচ্ছেন যে উপাচার্যের কিছু দায়িত্ব আছে, কিছু জবাবদিহির দায় আছে। সেই জন্যই উপাচার্যকে ঘেরাও করা। ইউনি-র শিক্ষক বা শিক্ষা বিষয়েও যদি উপাচার্যকে টপকে আচার্য অবধিই চলে যেত হয়, তা হলে আর উপা থাকার দরকার কি ? আপনি কি সত্যিই মনে করেন না যে প্রেসী থেকে যে একের পর এক শিক্ষক চলে যাচ্ছেন তাতে উপা-র কোনো দায়িত্ব নেই ?

    মানে আপনার মতে দুবছর আগের হামলার ঘটনাতেও উপা-র কিছু দায়িত্ব নেই আবার এখনকার অবনতিতেও তাঁর কোনো দায় নেই। তাহলে তিনি আছেন কেন ? উনি এই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন ?
  • cm | 127.247.99.55 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:৫৫68011
  • কেন যাচ্ছেন বুঝতে হলে কোথায় যাচ্ছেন সেটুকু দেখলেই তো চলে। উপাচার্য্য কি পায়ে ধরে রাখবেন?
  • cm | 127.247.99.55 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১১:৫৫68010
  • কেন যাচ্ছেন বুঝতে হলে কোথায় যাচ্ছেন সেটুকু দেখলেই তো চলে। উপাচার্য্য কি পায়ে ধরে রাখবেন?
  • sm | 233.223.158.31 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১২:২২68012
  • মহামুশকিল, কে কেন কোথায় চলে যাচ্ছে, উপাচার্য্য তার কি করবে? আমি তো পড়েছিলাম, উপাচার্য্য হিসেবে প্রথম চয়েস ছিল,সব্য ভট্টা চার্জ্য (ভুল হলে কনফার্ম করবেন) ; তা তিনি হন নি কেন? আর সরকারী চাকরি কেউ খেতে পারে?
    কারোর পোষায় নি, বা বেতন কম সে চলে গেছে।হয়ত কেউ কেউ পড়ানোর মত পরিবেশ নেই বা খুব মেধাবী স্টুডেন্ট বেশি নেই, তাও চলে যেতে পারেন। উপাচার্য্য ও হয়ত বেশি সহযোগিতার হাত বাড়ান নি, তাও হতে পারে।
    সুতরাং কারণ একটা নয়। সুতরাং একজন কে বলির পাঁঠা করা উচিত নয়।

    --রঞ্জন বাবু, দু বছর আগের ঘটনায় বর্তমান উপাচার্য্য কেন দায়ী হবেন, কিছুতেই বোঝা গেল না । এত ভেঁড়া আর নেকড়ের জল খাওয়ার গল্প হয়ে গেল।
    আর প্রেসির গন্ডগোলে বর্তমান স্টুডেন্ট রা তো থাকবেই।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪১68013
  • কেউ বুঝবেন না শপথ করলে তাকে বোঝানো যায় না।

    সব্য ভট্ট থেকে সোমক রায় চৌধুরী সবাই রিসার্চ ইন্স্টি থেকেই এসেছিলেন, মাইনে কম ইত্যাদি জেনেই এসেছিলেন, পড়াতে হবে সেটাও জেনেই এসেছিলেন। তাঁরা নিজেরা কেউ বলেন নি যে মাইনের জন্য চলে যাচ্ছেন বা ছাত্ররা যথেষ্ট মেধাবী নয়। এই কথাগুলো তাঁদের মুখে আমরা বসাচ্ছি কেন ? কিন্তু ইউনিতে পড়ানোর মত পরিবেশ না থাকার জন্য যদি ভালো ভালো শিক্ষক চলে যান, আর সেটাও যদি উপাচার্যের দায়িত্ব না হয় তাহলে তাঁর দায়িত্বটা কি ? স্রেফ বাও করা ?

    দুবছর আগের ঘটনার জন্য এই উপাকে দায়ি করা হায়নি, সেই সময়কার উপা কেও বোধহয় দায়ি করা হয় নি। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই উপা-র দায়িত্ব নিশ্চই আছে।
  • AP | 24.139.222.45 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪৭68014
  • আর সরকারী চাকরী খেতে পারুক না পারুক সেই চাকরী ছড়তে বাধ্য করার কিছু অসুবিধে নেই। বিশেষ করে যাদের চাকরীর অভাব নেই, তাদের ক্ষেত্রে। কিছু নয় জস্ট রোজ নিয়ম করে 'মাইনে দিচ্ছি তাই হিসেব চাইছি' জাতীয় কথা শোনানৈ যথেষ্ট।
    অ লো এইকথাই বলেছিলেন তা বলছি না কিন্তু কিছু ভালো শিক্ষক যাঁদের সম্পদ মনে করা উচিত তাঁর চলে গেলে যে উপা বলেন 'আমাদের আরো অনেক ভালো শিক্ষক আছেন' তাঁর ঐ পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
  • Avishikta | 119.203.108.67 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৯68016
  • যার অজানা মূল্য, তার উচ্চতা গ্রহণ করা হলেও.
    আপনার সুন্দর আশীর্বাদ করতে হলে আপনার একটা অভিশাপ যোগ
    বরং তাদের আমাদের ইচ্ছা জন্মগ্রহণ করা
    কে, আসতে সময় আমার শ্লোক বিশ্বাস করবে

    বাইরে সবার দেখা মনে হচ্ছে, কিন্তু;
    আর নহে যে সূর্য সঙ্গে আমার অভিবাদন, তোমার চোখ,
    তারা আঘাত করার ক্ষমতা আছে, এবং কেউ না করবে,
    তুমি অনেক বেশী ন্যায্য করেছ, না উদ্দাম হতে

    চোখ দিয়ে শুনতে জরিমানা বুদ্ধি ভালবাসে জন্যে
    নীচ মর্যাদাবান চেয়ে মন্দ হতে ভাল এটা দেওয়াই,
    যে কিছুই আমার, তোমার কাছে মিষ্টি একটা কিছু
    না, সময়, তুমি আমি পরিবর্তন করতে পারি যে অহংকার করবে না |

    লিঙ্গ ধন বা সম্পদ এটি স্ব-হত্যা হতে তখনও জ্বলছিল
    তাদের মর্যাদা চিন্তা করে, আমার কৃতকর্ম দেখানো হবে না |
  • dd | 116.51.27.241 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১১:০১68017
  • কিন্তু যাকে নিয়ে এই টই ,সেই তমোঘ্ন কোথায়? তাকে তো কতোজনে চিন তেন ? তো কেউই তার আর খবোর রাখেন না ?
  • dd | 116.51.22.173 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫৮68018
  • কিন্তু যার নামে টই

    তিনি কই? তিনি কই ?
  • তাপস | 126.203.149.77 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৪৫68019
  • দেখুন এবং অন্যদেরকেও বাধ্য করুন দেখতে। চা খেতে গিয়ে যতবার জিভ পুড়বে আশা করবো ততবার মনে পড়বে ভিডিওটার কথা।

    তমোঘ্ন হালদার

    যার নামে টই তিনি এখানে। এই যে।

  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৩০68020
  • তমোঘ্নর ফর্ম আমার ভালো লাগেনা।
  • তাপস | 11.39.37.101 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৫৮68028
  • হ্যাঁ, স্কোয়ার ওয়ান। কারণ, এটা গুরুর পাতায় স্বীকৃত সত্য, যে বিদেশবাসী হলে অধিকার কমে যায়। কথা বলার। যেমন লুরু বা চেন্নাইবাসীরা কলকাতা নিয়ে স্পিকটি নট থাকেন। ভাল মন্দ নিয়ে কিছু বলেন্না।
    :- D
  • তাপস | 11.39.37.101 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:০০68029
  • প্রবাস=বিদেশ ধরা হবে?
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১২68030
  • ভিডিও টা মন্দ না । এপ্রোচ হিসেবে এটলিস্ট । ব্ল্যাক এন্ড হয়াইট হলে আর ক্যামেরা রেকটু ভালো হলে আরো ভালো লাগত । তমঘ্ন তো বক্তব্যপ্রধান । ব্ল্যাক এন্ড হয়ায়ট এ জমবে ।
  • হরি দাস | 11.39.36.131 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:২৫68031
  • ভুল বোঝাবুঝি হল কি? ”কোথায় গেল, বিদেশ চলে গেল, যাবার আগে নাম কিনে গেল, ইত্যাদি সব কুচ্ছো গাওয়া হচ্ছিল।" প্রসঙ্গে বলা।
  • হরি দাস | 11.39.38.226 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪০68021
  • আমারো ভাল লাগেনা।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৭68022
  • ফর্ম নিয়ে যাই ভাবি না কেন, ছেলেটার গাটস আছে।

    কোন এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা পড়েছিলাম, বিনয় হতে পারেন, ইংরেজ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে অত্যাচার সহ্য করতে পারবেন কিনা তার পরীক্ষা দিয়েছিলেন - জ্বলন্ত লন্ঠনের চিমনি হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখে। বন্ধুরা হতভম্ব অবস্থা কাটিয়ে টেনে সরানোর আগে হাতের চামড়া উঠে এসে চিমনির গায়ে আটকে ছিল।

    মনে পড়ল
  • aka | 81.91.98.109 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫২68032
  • ভয়ংকর।

    আসল ইস্যু গৌণ হয়ে গেল ফর্মের কাছে। দেখুন সবাই তমোঘ্নকে নিয়ে ও তার ফর্ম নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।

    তমোঘ্ন ও কি এটাই চায়? নইলে ভেবে দেখার অবকাশ আছে।
  • | 183.17.193.253 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:০৩68033
  • ভিডিও টি 'বিদেশে' তোলা। নিজের শরীর কে প্রতিবাদের এই ফর্মে ব্যবহার করতে গিয়ে উনি কোথায় গিয়ে থামবেন এইটা ভেবে চিন্তা হলো( ভিডিওটা দেখে)

    অরণ্যদা, প্রতিবাদের এই ভঙ্গীর কথায় মনে পড়লো, বৌদ্ধ ভিক্ষুর গায়ে আগুন লাগিয়ে বসে থাকা বা তিয়েন আন মেনের ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই যুবকের কথা। এইছবিগুলো পরে দেখেছি,রেকর্ড করে তুলে দেওয়ার মত শক্তিশালী গণমাধ্যম( ইউটিউব)সম্ভব্ত তখন ছিলো না।
  • তাপস | 11.39.38.151 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:২৭68023
  • ফর্ম নিয়ে বহু কথা হতে পারে। ব্যক্তিগত সততা নিয়ে কথা হচ্ছিল তো। কোথায় গেল, বিদেশ চলে গেল, যাবার আগে নাম কিনে গেল, ইত্যাদি সব কুচ্ছো গাওয়া হচ্ছিল। তা দেখা যাচ্ছে সেসব সত্যি ছিল না।
  • হরি দাস | 11.39.36.131 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৫০68034
  • তমোঘ্নর বা আনন্দবাজারের কাজ বিশেষ বিশেষ খবর আপনাদিগের গোচরে আনা। কেউ লেখে বাংলায় আর কেউ নাটকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন