এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তমোঘ্ন কেন বাড়াবাড়ি করল না?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৫১ বার পঠিত
  • প্রেসিডেন্সীর আন্দোলন এবং ব্রা কেসে মজা লাগল লোকজনের প্রতিক্রিয়া দেখে। কিভাবে ব্যাপারটাকে হ্যান্ডল করতে হয় জানেই না। এইখানে আমাদের দেখার চোখ এখনো যে পরিণত হয়নি তার আবার প্রমাণ পাচ্ছি। তিনখানা কমন রিঅ্যাকশন দেখলাম।

    ১। এই সব ফালতু কাজ করে আন্দোলনের মেইন ইস্যু থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া হল।
    উত্তরে বলার, এই কাজটা হল বলেই আন্দোলনটা সর্ব-ভারতীয় মিডিয়াতে খবর হল। নাহলে মমতা ব্যানার্জীর রাজ্যে পুলিশ এবং/অথবা তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ছাত্র পেটানোর সংস্কৃতি এতই গা-সওয়া হয়ে যাচ্ছিল যে আর কেউ মাথাই ঘামাত না। বরং দিনে দিনে সেট রুল হয়ে যাচ্ছিল যে ছাত্রেরা কোনো একটা ইস্যুতে অবস্থান করবে, অথরিটিকে ঘেরাও করবে, পুলিশ ঢুকবে, ধরে ক্যালাবে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকাবে এবং মলেস্ট করবে, ছেলেদের চ্যাংদোলা করে গোল্লাছুট খেলবে। সেই নিয়ে পথ অবরোধ হবে, ছাত্র ধর্মঘট হবে, কাগজে কাগজে নিন্দার বন্যা বইবে, বামপন্থী বুদ্ধিজীবি অভিনেতার চোখের পাতা সাড়ে বাইশ ডিগ্রি কাঁপিয়ে “এই পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম” মার্কা ন্যাকাষষ্টী ডায়লগ, স্টার আনন্দে সুমন দে-র বালবাজারী এবং ছদ্ম বিস্ময়ে গলার পারদ উচ্চে তুলে “এ কেমন সরকার এ কেমন গণতন্ত্র” নামের পেটফাটা কমেডি, সাথে ফাউ হিসেবে ৩৬৫ দিন কাগজটার খোরাক, তারপর আস্তে আস্তে সকলে ভুলে যাবে। মাঝে মাঝে পিতৃ-তর্পণের মতন বিড়বিড় করে বলা হবে “পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার দিদির একশো বারো”, সেই বলাতেও কোনো জোর থাকবে না, জাস্ট গান্ধী-টুপী পরা ঘুষখোর কংগ্রেসী নেতাদের স্বাধীনতা দিবস পালনের মতন দায় সারা। এবারেও হয়ত এগুলোই সব হবে, কিন্তু খেলার রুলটা ওলট-পালট হয়ে গেল তমোঘ্ন-র জন্য। যদি পুলিশ ঢুকে ছাত্র পিটিয়ে বেরিয়ে যেত, সকলে নিন্দে করত প্রতিবাদ প্রতিরোধ হত কিন্তু কেউ ভুলেও দিশেহারা হয়ে যেত না। যেমনটি জোকার বলেছিল যে যখন সবকিছু প্ল্যানমাফিক ঘটে তখন কেউ প্যানিক করে না, সে বিশাল বড় অন্যায় অবিচার হলেও। কিন্তু যখন-ই সেই প্ল্যানে কোনো অন্তর্ঘাত ঘটে, সমস্ত হিসেব নিকেশের মা বোন হয়ে যায়। সিস্টেম তখন বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে। তমোঘ্ন তার শরীরকে সেই অন্তর্ঘাত হিসেবে ব্যবহার করেছে। ঠিক যেভাবে করেছিলেন মণিপুরের মায়েরা, অথবা ঠিক যেভাবে ধাওয়া করা আমেরিকান ট্যাংকের সামনে প্রাণভয়ে দৌড়নো ভিয়েতনামী তরুণীর নগ্ন দেহের ছবি যুদ্ধবিরোধীতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলন মরতে মরতেও মরবে না তার বড় কারণ তমোঘ্ন-র শরীর ।

    ২। এরপর কি আন্দোলনের নামে যা খুশি হবে? কেউ যদি ভিসির ঘরে হাগু হিসু করে দিয়ে আসে সেতাকেও কি মানতে হবে?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, যা খুশি হবে। হাগু হিশু নিয়ে এত আপত্তি কিসের? ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকায় চাইকিন বা শেখনারেরা ওপেন থিয়েটারে প্রকাশ্যে মলত্যাগ দেখিয়েছেন, দেখিয়েছেন গণ-সংগম, এবং সেটাও আনসিমুলেটেড। সেটাকেও কিভাবে প্রতিবাদের মাধ্যম করে ফেলা যায় অনেক অনেক এক্সপেরিমেন্টেশন হয়ে গেছে তা নিয়ে। কারোর যদি মনে হয় ভিসির ঘরে মলত্যাগ করে সে প্রতিবাদ জানাবে তো সেটাই করবে। শালীন কি অশালীন বিচার করার দায়ীত্ব আপনার নয় কারণ এই পৃথিবীর কোনো আন্দোলন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। বামপন্থীরা যদি বলেন যে এটা ছাত্র-আন্দোলনের পদ্ধতি নয় তো সবিনয়ে বলব যে আপনারা তাহলে রেজিমেন্টেড আন্দোলন নামিয়ে দেখান প্লিজ ! কবে আপনি রেজিমেন্টেড মুভমেন্ট নামাবার মতন জায়গায় আসবেন ততদিন আপনার মুখ চেয়ে বসে থাকা হবে নাকি? প্লিজ অন্য রাস্তা দেখুন !

    ৩। এই ভাবে ব্রা পরে আসা চরম অশালীনতা।
    এই পয়েন্টটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেককে দেখলাম যারা সত্যিকারের সহমর্মী হয়েও এই অশালীনতার পয়েন্টটা তুলছেন। তাঁদের সলিডারিটি নিয়ে অন্তত আমার কোনো প্রশ্ন নেই। এবার তার উত্তরে মাথামোটা আগমার্কা খাজা লিবারালেরা “কোনটা অশালীন তা কে ঠিক করে দেবে” টাইপের গান্ডূমার্কা গোল গোল লজিক দিচ্ছে, এবং কোনো পক্ষই কারোর কথা বুঝতে চাইছে না। এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা যে অত্যন্ত প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মানুষেরাও এতটা বাড়াবাড়ি নিতে পারছেন না। সমস্যাটা ব্রা পরা নিয়ে। তমোঘ্ন যদি খালি গায়ে আসত তাহলে তাঁদের কিছু আসত যেত না। তার থেকেও বড় কথা, তমোঘ্ন বা তার কোনো বান্ধবী যদি নগ্ন শরীরে আসত তাহলে এই মানুষেরাই তাকে মাথায় তুলে নাচতেন। কারণ তার নগ্নতার মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রশক্তির নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখতেন। মনে করে দেখুন মহাশ্বেতা দেবীর “দ্রৌপদী” গল্পটা। পুলিশের অত্যাচার নিতে নিতে নিতে নিতে দ্রৌপদী একসময় নিজেই নগ্ন হয়ে গিয়ে বলে “আয় আমায় ভোগ কর”। বামপন্থীরা, সব রং-এর বামেরাই, মাথায় তুলে নেচেছেন সেই গল্প নিয়ে। মণিপুরের মা-দের নিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটা ছেলে যখন ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্তর্বাস মিলিয়ে মিশিয়ে পরে আসছে তাকে নিতে পারছেন না। সমস্যাটা মনে হয় পেট্রিয়ার্কাল গেজের। একটা সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে নিজেকে কেন একটা মেয়ের স্তরে “নামাবে”? কেন সে নিজের মধ্যে জোর করে নারীত্ব আনবে? লক্ষ্য করে দেখবেন আধুনিক ভারতীয় সমাজে এমন কোনো চিহ্ন আর ধীরে ধীরে থাকছে না যা দিয়ে ছেলেদের পোষাক আলাদা করা যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট পাজামা যা-ই বলুন না কেন সেটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলে পড়ছে (ধুতি ব্যতিক্রম কিন্তু কটা এযুগের ছেলে আর তা পড়ে!)। উল্টোদিকে মেয়েদের পোষাক খুব নির্দিষ্ট। একটা ছেলে কখনো সেটা পড়তে পারে না। আমাদের চোখে তখন সেটা অস্বাভাবিক। নিতে পারে না সেটা। ফলে, একটা মেয়ে যদি সেদিন কন্ডোম সেজে আসত তাহলে তাকে নিয়ে প্রতিবাদের নতুন ফর্ম বলে নাচানাচি শুরু হয়ে যেত।। যা ছিছিক্কার করার সেটা ওই প্রাচীনপন্থীরা করতেন, যারা পার্কে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে থাকলেও ভুরু কোঁচকান। আর করত বিজেপি আর তৃণমূলীরা কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক শিশুর মতন, এখনো বোধবুদ্ধি ডেভেলপ করেনি বলে তাদের এই আলোচনা থেকে বাদ রাখলাম। কিন্তু বামপন্থীরা কন্ডোম সাজা মেয়েটিকে ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশনের নতুন রূপ বলে দাগিয়ে দিতেন। সমস্যাটা হয়ে গেল একটা ছেলে ক্রস-ড্রেসিং করল বলে। আমাদের চোখে সেই ছেলেটা অস্বাভাবিক হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। যে ছাত্র-আন্দোলনের রূপ আমরা মাথার মধ্যে দেগে নিয়ে নিয়ে অভ্যস্ত তার সাথে এগুলো মিলছে না। এমনকি কোনো এলজিবিটি ফর্মের সাথেও মিলছে না, কারণ তমোঘ্ন-র সেরকম কোনও অ্যাজেন্ডাও ছিল না। তার অ্যাজেন্ডা পিওরলি পলিটিকাল, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে রাষ্ট্রশক্তির নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । বাবার জন্মে আমাদের কেউ শোনেনি যে এইরকম ইস্যুতে পতাকার বদলে, ব্যানার ফেস্টুন লালঝান্ডার বদলে একটা ছেলে নিজের শরীরে নারীচিহ্ন বসিয়ে নেবে। আবারো সেই জোকারের কথাই ধার করে বলি, এটা প্ল্যানের বাইরে। নগ্ন শরীর বা নারীশরীরে পুরুষ-চিহ্ন ধারণ করলে যদিও বা মেনে নেওয়া যেত, তমোঘ্ন-র কেসটা টু মাচ হয়ে গেছে।

    আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। এখন বাড়াবাড়ির-ই সময়। এক্সট্রিমিটিকে ভয় লাগলে নেকুপুষু চোর-পুলিশ খেলা খেললেই হয়। সিস্টেম-ও তাতে খুশি থাকে। কোনো কিচ্ছু বিগড়োয় না। তমোঘ্ন-র সুযোগ ছিল আরেকটু বাড়বাড়ি করে সব কিছু বিগড়ে দেবার। কেন করেনি জানি না। মনে আছে সুবিমল মিশ্র একটা লেখায় খেদ প্রকাশ করেছিলেন যে যুক্তি তক্ক গপ্পো-তে ঋত্বিক কেন ক্যামেরার ওপর শুধু মদ-ই ঢেলে দিলেন, কেন ছ্যাড়ছ্যাড় করে মুতে দিলেন না? রামায়ণ চামারে কি? হবেও বা...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৫ | ২৪১৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rouhin | 192.66.48.249 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪৩68024
  • তাপসকে "ক"
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৩২68035
  • সেই, শুধু আবাপ-র কারও চামড়া পোড়ে না, অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় না, তমোঘ্ন-কে যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৩৪68036
  • ম, ঠিক। ভারতেও বিভিন্ন আন্দোলনে বা প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছে কেউ কেউ
  • হরি দাস | 11.39.38.81 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৪68025
  • তমোঘ্নর সততা প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য নাই, তবে ভিডিও দেখে কোন দেশে আছেন কি করে বোঝা যাচ্ছে?
  • | 183.17.193.253 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৪68037
  • অরণ্যদা,তমোঘ্নর রেকর্ডিং টা কে করলো? টেক-রিটেক কতবার হলো- এইসব প্রশ্নও শুনলাম(অন্যত্র)। এর সঙ্গে বৌদ্ধভিক্ষু বা ট্যাংকের সামনে লোকটার তুলনা হয় না।
  • অ্যারোহেড | 208.7.62.204 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:১০68026
  • কেন যাবে না? ভিডিওর শুরুর দিকে অ্যারোহেড জলের বোতল থেকে কেটলিতে জল ঢালা হচ্ছে। অ্যারোহেড ব্র্যান্ড অ্যামেরিকাতে বিক্রি হয়।
  • হরি দাস | 11.39.37.32 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৯:২৫68027
  • লেঃ পচা, তাহলে কি আবার ব্যাক টু স্কোয়্যার ওয়ান?
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৪৯68038
  • আকা ঠিক কী বলছেন ?
    তমঘ্ন র ছবিপত্র -রিসেন্ট ভিডিও এসব দেখে তো এটা পরিস্কার যে এখানে ফর্ম ই কন্টেন্ট । এরকম প্রচুর ক্ষেত্র হয় তো যেখানে ফর্ম টাই কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে । নইলে খুব সাধারনভাবে প্রতিবাদ জানানো যেত ,এত খালি গা -চেঁচামেচি কিছুর দরকার পরত না । তমঘ্ন কে আমার আর্টিস্ট হিসেবেই মনে হয়েছে , আদৌ গায়ে আগুন দেওয়া বৌদ্ধ্হ সন্নাসী টাইপ নয় । এই ফর্ম টা নিয়ে যদি সে সিরিয়াসলি কাজ করে তাহলে অনেক বেশি মানুষের কাছে অনেক এফেক্টিভ ভাবে নিজের বক্তব্য পৌছে দিতে পারবে । এবার তমঘ্ন নিজে যদি মনে করে সে আর্টিস্ট নয় , শুধুমাত্র প্রতিবাদী তাহলে এসব খালি গা-জাঙ্গিয়া -হু হু চিত্কার কাটিয়ে দিয়ে ভাবুক সাধারণ অম্বুলে -বদহজমের রোগী শ্রোতা দর্শকের কাছে কিভাবে সরল ভাবে পৌছনো যায় । দুটো র মাঝামাঝি তে ভুগলে মুশকিল ।
  • Rabaahuta | 37.59.10.237 (*) | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৫:৫৭68039
  • চপলতা ক্ষমা করুন।
  • khyaks | 117.217.133.50 (*) | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৮:১৪68040
  • "আর এসব দেখেই মনে হচ্ছে, আরেকটু বাড়াবাড়ি কেন হল না ! তমোঘ্ন কেন নিজের পুরুষাংগ ব্যবহার করল না ! কেন বমি করে আসল না পুলিশের সামনে। "
    শাক্যর মত খিল্লিবাজরা এইসব লিখে কতজন wannabe কে যে বাড়ে তুলেছে।
  • dd | 59.207.59.81 (*) | ২৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৬68041
  • এই টই আরো বেশী করে লোকে পড়ুক। লোকশিক্ষে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন