এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমি বাংলাদেশে কুলদা রায়। আর ভারতে কলিমুদ্দিন শেখ।

    Kulada Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ মে ২০১৪ | ১০৫৮৯ বার পঠিত
  • মোদীকে আমি চিনি না। চেনার দরকারও নাই। পৃথিবীতে সকল মানুষকে চেনা যায় না। আর আমি বরিশালের মনু। যেখানে বরিশালের সবারেই চিনি না—সেখানে ভারত নামের একটা রাষ্ট্রের গুজরাতের নরেন্দ্র মোদিকে চিনতে যাব কোন দূঃখে।
    তবে আমার পাড়ার নরেন মুদিকে চিনতাম। বেচারা নরেন মুদি। তার মুদি খানায় বিস্তর কেনাবেচা হত। হিন্দুদের চেয়ে মুসলমান খদ্দের ছিল বেশি। তারা বিশ্বাস করেন নরেন মোদি নামের এই হিন্দু লোকটা মালে ভেজাল দেবে না। আর দাম লাগাম ছাড়া নেবে না। আমাদের পাড়ার সৈয়াদুল হক চাচা এই ব্যাপারে বড় করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, নরেন লোকটা হিন্দু হৈলেও খারাপ না।

    নরেন মুদির মাইজা ঠাকুরদা সাত চল্লিশে ইন্ডিয়া যান নাই। তাদের প্রতিবেশী দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য চলে গিয়েছিলেন। তবে ১৯৫০ সালে খবর এসেছিল—বরিশালের ফজলুল হকে সাহেবের ভাতিজা না ভাগ্নেকে কোলকাতায় ছুরি মেরে মেরে ফেলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মেরে ফেলা হয় ৯ দিনে দশ হাজার হিন্দুকে। বরিশালে মেরে ফেলা হয়েছিল ২৫০০ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়িঘর। লুটপাট করা হয়েছিল সহায়-সম্পদ। ধর্ষণের শিকার হয়েছিল অসংখ্য নারী। দখল করা হয়েছিল অনেকের জমিজমা। তখন নরেন মুদির মূলাদীস্থ মামাবাড়ির লোকজনের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল নদী। মাধব পাশার পিসে মশাই ছিলেন জমিদার বাড়ির সরকার বাবুর ব্যাগ-টানা লোক। সে সময় মাধব পাশায় একদিনে যে ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল—তার মধ্যে নরেণ মুদির ব্যাগ-টানা পিসে মশাই ছিলেন। যে সরকার বাবুর ব্যাগ টানতে টানতে তিনি নিহত হলেন—সেই সরকার বাবুর সঙ্গে জীবৎকালে তার পংক্তি-ভোজনের সুযোগ ক ঘটেনি। নমোশুদ্রের সঙ্গে এক পাতে খেলে ধর্ম থাকে! পিসে মশাইয়ের যে সামান্য জমি-জমা ছিল—সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় শত্রু সম্পত্তি।

    নরেন মুদীর মাসির বাড়ি মোড়েলগঞ্জে। পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড়ে সন্যাসী গ্রামে। ১৯৬৪ সালে কাশ্মিরে হজরত বাল মসজিদ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদের চুল চুরি গেছে বলে খবর হল। মেসোমশাই গিয়েছিলেন পিরোজপুরের কদম তলার হাটে শুপারী বেঁচতে। হাঁটের মধ্যেই তাকে ধরা হল। গলায় কিরিচের পোচ দিতে দিতে জুজখোলার রহিম মাওলানা চেঁচিয়ে বললেন, নমুর পো, কাশ্মীর থেইকা আমাগো নবীকরিমের চুল চুরি করছোস। তোরে আজ রেহাই নাই।

    পিসেমশাই মরার আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কাশ্মীরডা আবার কোন জাগায়! এখবর পাওয়ার পরে মাসি তার ছেলেপিলে নিয়ে বর্ডার পার হয়ে গেলেন। মেসো মশায়ের বন্ধু আব্দুল করিম তাদেরকে বর্ডার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন। হাত ধরে বলেছিলেন, বৌদি গো, আমরা সবাই রহিম মাওলানা না। দোষ নিয়েন না।

    দোষ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। মাসি ততক্ষণে শেয়ালদা স্টেশনে পৌছে গেছেন। সেখান থেকে দণ্ডকারণ্যে। এরপর খবর নাই। পৃথিবী থেকে ছাপা। এটা নিয়ে নরেণ মোদি একদিন দূঃখ করে বলেছিলেন, বুজলা বাবা, একাত্তরে বাবারে হারাইছি। দেশ ছাড়ছি। আবার স্বাধীন হইলে ফির‍্যা আইছি। ফির‍্যা না আইসা করব কী? পৃথিবীর কোনো জায়গায়ই আমাগো বাঁচন নাই।

    এই নরেন মুদিকে চিনি। খাতা-পত্রে লেখা নরেন্দ্র ওরফে নরেন মুদী। ইলেকশন আসলে নরেন মুদির পরিবার পোটলা পুটলি বেঁধে রাখতেন। আর গলায় সরিষার তেল। জানেন—আওয়ামী লীগ আর বিএনপি বা জাতীয় পার্টিই আর জামায়াত- জিতুক বা হারুক, তাতে কিছু যায় আসে না। নরেন মুদির উপর কোপ পড়বেই। চান্স পাইলে পলান মারবেন। আর পলাতে না পারলে গালটা বাড়িয়ে দেবেন। কী আর করা! মানব জীবন ধারণ করলে তার পেরসানীও সহ্য করণ ছাড়া উপায় নাই।

    ২.

    ২০০২ সালে ভারতের গোধরা নামে একটি জায়গায় ট্রেনে আগুন লেগেছে। ৫৮ জন যাত্রী মারা গেছে। সেই যাত্রীরা অযোদ্ধায় গিয়েছিল তীর্থ করতে। তারা হিন্দু। রটানো হল—মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মেরে ফেলেছে। ফলে সেখানে দাঙ্গা লেগে গেল। এরপর সাতদিন ধরে আহমেদাবাদে। এই দাঙ্গায় মারা গেলো ৭৯০ জন মুসলমান। আর হিন্দু ২৫৪ জন। মারাত্মকভাবে আহত হল ২৫০০ জন মানুষ। ২২৩ জনের কোনো খোঁজ নেই। আরেকটি সুত্রে জানা গেলো—গুজরাতের এই দাঙ্গায় ২০০০ মুসলমান মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ধর্ষণ করা হয়েছিল অসংখ্য নারীকে। মাসুম শিশু ওরফে শিশু গোপালকে জ্যান্ত আগুনে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।

    ঘটনাচক্রে সে সময়ে আমাদের নরেণ মুদি নেত্রকোণা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গৌরীপুর। আমাদের পাড়ার শফিদ্দিন খাঁর মরমর অবস্থা। তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। তার চেয়েও বড় কথা তিনি সন্যাসী গ্রামের মেসো মশায়ের মন্ধু আব্দুল করিমের ফুফা লাগে। শেষ অবস্থায় ডাক্তার বললেন, আপনার কী খেতে ইচ্ছে করে? খাঁ সাহেবের কথা বলার বিশেষ অবস্থা ছিল না। তবুও কষ্টে—সৃষ্টে বললেন, তিনি মহাশৈল মাছের কথা শুনেছিলেন বাল্যকালে এলাকার বিশিষ্ট কবিরাজ রসরঞ্জন মিত্তিরের কাছে। এই মাছ খেলে নাকি আশা পূর্ণ হয়।

    মহাশৈল মাছ পাওয়া যায় গৌরীপুরে। শঙ্খ নদীতে মাঝে মাঝে আসে গারো পাহাড় থেকে নেমে। শুনে নরেণ মুদি রওনা হয়েছেন মহাশৈল আনতে। খাঁ সাহেবের আখেরী হাউস পূর্ণ করতে সাধ জেগেছে। মাছটি তার একাত্তরে শহীদ বাবাও খেতে ইচ্ছে করতেন। এর মধ্যে গুজরাতে কী হল তার কিছুই জানেন না নরেন মুদি। অনেক কষ্টে মহাশৈল মাছ পেলেন। ঢাকায় আসতে আসতে দেখলেন শাখারী পট্টিতে দোকান-পাটে লুটপাঠ চলছে। বেশ কয়েকজন তাকে মাছ হাতে আসতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, নাম কী?
    তিনি বললেন, নরেন মোদী।

    আর যায় কোথায়। তারা রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চেপে ধরল। কে একজন চেঁচিয়ে বলল, ওরে ইলিয়াস, গুজরাতের দাঙ্গার নেতা নরেন্দ্র মোদীকে পাওয়া গেছে। সেইদিন তারা নরেন্দ্র মোদীকে খুঁজে পেলেও আমরা বরিশালের লোকজন নরেণ মুদীকে আর খুঁজে পাইনি। তিনি নাই হয়ে গেছেন।
    খাঁ সাহেব মহাশৈল মাছ খেতে পারেননি। তবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে গলার আওয়াজ একবার ফিরে পেয়েছিলেন। চেঁচিয়ে বলেছিলেন, কন তো ডাক্তার, এই গুজরাতের নরেণ মোদীর লগে পুরাণ ঢাকায় ইলিয়াস আলীর ফারাকটা কোথায়?

    ৩.

    আমাদের নরেন মুদিকে যে ইলিয়াস আলী নাই করে দিল, আর যে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের ফতিমার দুলহাকে খুন করতে বুলন্দ আওয়াজ দিল-এরা দুজনেই কিন্তু দুটো ধর্মের লোক। দুজনই তারা তাদের ধর্মে নিষ্ঠ। শুধু নিষ্ঠ হলে বিপদ ছিল না। কিন্তু বিপদ হতে শুরু করল যখন তাদের ধর্মকেই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করল। মনে করার মধ্যেও ঝামেলা কম। শুধু এই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্যে দিয়ে অন্য ধর্মকে শত্রু ঘোষণা করল, অন্য ধর্মের অস্তিস্ত্বকে নিজেদের ধর্মের জন্য বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করল। নিজের ধর্ম রক্ষার জন্য অন্য ধর্মের মানুষজনদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল। হত্যা করল। ধর্ষণ করল। সহায় সম্পত্তি কেড়ে নিল। দেশ ছাড়া করল। এটাই বিপদের জায়গা। এতোকাল যাদের মধ্যে ধর্ম এই অন্ধত্ব ঢুকিয়ে দিয়েছে—তারাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী হয়ে দাড়িয়েছে। ধর্ম মানুষের লজিক কেড়ে নেয়। বিচার-বোধ হারা করে। হিংসা আর প্রতিহিংসার বীজ মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এই ধর্ম-অন্ধ নিয়ে আমরা কী করবো?

    মনে করুন আমার এক পিসে মশাই। বরিশালের মঠবাড়িয়ার এক গ্রামে বাড়ি। মানবেন্দ্রনাথের গান আর দিলীপকুমারের অভিনয়ের পাগল। তার দিনদুনিয়াতে আর কিছু ছিল না। একাত্তর সালে তাকে মুসলমান হতে হয়েছিল। নাম হয়েছিল শাহজাহান। আর আমার পিসিমা মমতাজ। পিসাতো ভাইগুলোর নাম দারাশুকো, সুজা, আলমগীর। বোনটির নাম জাহানারা। রেগুলার মসজিদে যেতে হত। তাদের পালের গরু জবাই করেও খেতে হয়েছে। মুখে রাখতে হয়েছে দাড়ি। কপালে দাগ পড়ে গিয়েছিল। একাত্তরের পরে আমাদের বাড়ি এসে সেই দাড়ি কেটেছিলেন। আর হাহাকার করছিলেন। সেদিনই ঢোল-করতাল সহযোগে হিন্দু হয়ে গিয়েছিলেন। তাতে তার সমস্যা হয়নি।

    কিন্তু সমস্যা হয়েছিল—এর পরে তিনি অতিরিক্ত হিন্দু হয়ে গিয়েছিলেন। সব সময় মুসলমানদের পতন দেখতে চাইতেন। আমাদের মুসলমান বন্ধুদের দেখলে আড়ালে ডেকে নিয়ে আমাদেরকে চড় থাপ্পড়ও দিতেন। বলতেন, বিধর্মী গো লগে মেসো, সাহস তো কম না! তার মেয়েটি একটি মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করলে তাকে ত্যাজ্য করেছিলেন। আছড়ে পিছড়ে কান্নাকাটি করেছিলেন—মেয়েটি তাদের অনন্ত নরকে ঠেলে দিল। অদ্ভুদ।

    আরেকজন পিসেমশাই চিরকাল শিক্ষা-দীক্ষা ছিলেন। নিজের ছেলে-সন্তানদের কেউ কেউ দেশবিদেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার মন খারাপ হয়ে যায়। সেই পিসে-মশাই আমাকে বলেছিলেন, বোজলা বাবা, কৃষ্ণ ঠাকুর পুরুষোত্তম। বিএনপি-জামাতকে ধ্বংস করতে শ্রীকৃষ্ণ নতুন অবতার হয়ে আসবেন। চিন্তা করবা না। গীতায় এই কথা লেখসে। যিনি রাম--তিনিই কৃষ্ণ। তাদের একজন রামায়ণের পাতা থেকে ফাল দিয়ে পড়বেন। আরেকজন মহাভারতের পাতা থেকে সুদর্শন চক্র নিয়ে আসবেন। এসে বিধর্মীদের কচু কাটা কাটা করবেন।

    নতুন অবতারের খবর নেওয়ার জন্য আমার গীতা পড়ার দরকার নাই। বাল ঠ্যাকরে নামের এক লোক যখন হুংকার দিলেন—বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হলা হবে। সেখানে আবার রামের নামের মন্দির গড়া হবে, তখনই বুঝলাম শ্রীঅবতার এসে গেছেন। তার সাঙ্গোপাঙ্গোর নাম শিবসেনা। এরা মানুষ হলেও পাছায় ল্যাজ আছে। এদের নবীন নেতা নরেন্দ্র মোদী। তিনি রামরাজ্য চান। রামরাজ্যে অন্য ধর্মের লোকের কোনো চান্স নাই। সোজা পুশব্যাক করে দাও। আফগানিস্তান-পাকিস্তানের তালিবানরা এই কাজটি করছে। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীরা এই কাজটি করে চলেছে। তাদের রাজ্যে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোকদের থাকতে দেবে না। যারা থাকতে চাইবে তাদের সোজা গুলি করে মারবে। এরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

    এই সাম্প্রদায়িকতা একটা ছোঁয়াচে অসুখ। মানুষকে পাঠা করে তোলে। সে সব সময়ই অন্য মানুষকে শিং উচিয়ে তাড়া করে।

    কেউ ধর্ম পালন করে শান্তি লাভ করুক—আমার আপত্তি নাই। কেউ ধর্ম পালন না করেও শান্তি লাভ করুক তাতেও আমার আপত্তি নাই। তাদের ব্যক্তি জীবনে ধর্মে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার অধিকার দুই-ই আছে। আধুনিক রাষ্ট্র তাদের সেই অধিকারকে নিশ্চিত করে। কিন্তু মওদুদীর জামায়াতে ইসলামী বা মোদীর বিজেপি সেই অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার দুঃসাহস দেখায়। এইখানেই জামায়াতে ইসলামীর উত্থান দেখলে আমি কেঁপে উঠি। মোদীর বিজেপির উত্থানেও আতঙ্কিত হই। এরা কোনো রাষ্ট্র মানে না। নাগরিক বোঝে না। বোঝে-- জগতে মোদীর কাছে হিন্দু আছে। জামায়াতের কাছে মুসলমান আছে। আর কেউ থাকতে পারে না।

    আমরা ঠেকে শিখেছি--যে কোনো ধর্ম বা মত যখন শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করে হুঙ্কার ছাড়ে, সেটা তখন আর মত থাকে না--হিংসার অস্ত্র হয়ে ওঠে। এই হিংসার কাছে আমি তো আসলে কেউ নই। আমি বাংলাদেশে কুলদা রায়। আর ভারতে কলিমুদ্দিন শেখ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ মে ২০১৪ | ১০৫৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৪১73200
  • না অসুবিধে হবে কেন, বিশ্বাসের ওপর তো কোনো কথাই চলেনা। আপনার আদালতে পরম বিশ্বাস। এর ওপরে কিছু নেই। ব্যাস মিটে গেল।
  • তাপস দাশ | 122.79.37.69 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৪৩73202
  • মামুর কলে হ্যাশট্যাগ নাই ?
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৪৩73201
  • একক, মিডিয়ায় লেখালেখি কি ভারত রাষ্ট্র/সরকার কি চায়, তার ওপর অতটা ডিপেন্ড করে?
    অক্ষ, আপনি বলছেন যে রিডিফের মত বড় মিডিয়ার গেলে দেখব যে ভারতে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কোন চেঁচামেচি হচ্ছে না, তাই তো? - একমত।
  • hu | 188.91.253.21 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৪৯73096
  • রেগে যাই নি তো! দাঙ্গাবাজদের এবং যারা তাদের কাজ জাস্টিফাই করতে চায় তাদের তীব্র ভাবে ঘৃণা করি। তেমনটাই লিখেছি। আপনি যদি সে দলে না পড়েন তাহলে গায়ে মাখার কিছু নেই।
  • PL | 103.115.84.195 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৫১73203
  • a x যাক তাহলে ঠিক আছে। যদিও আমার আদালতের থেকে ঈশ্বরে বিশ্বাস আরো একটু বেশী, তবে সে অন্য কথা।
  • সিকি | 132.177.254.194 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৪:৫২73204
  • মামু কি চিড়িয়াপাখি নাকি? টুইট করবে হ্যাশট্যাগ দিয়ে?
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৫:৪৪73097
  • কুলদাবাবু, ঐ নামে টই আছে। সত্যি না গুজব ইত্যাদি শব্দ ওয়ালা।
    আর, সেই রিপোটের জন্য বা আল্টিমেটলি কোর্ট কেস দেয়া হয়েছিল? ঘটনা হলে তো কোর্ট কেস, শাস্তি ইত্যাদি হবেই। আছে কিছু রিপোট? জাস্ট আগ্রহী। জানালে বাধিত হই।

    হু, নিশ্চয়ই ঘৃনা করবেন। ঘৃনা একটা স্ট্রং ওয়ার্ড, তাই ওটা ব্যবহার না করেও বলব অন্যায় জাস্ট্ফাই করা অপছন্দের।
    আমার প্রশ্ন ছিল অন্যঃ ওটা যে "রটনা" মাত্র ছিল, বস্তুত হিন্দুদের ট্রেনে আগুন লাগানর কোনও ঘটনাই ঘটে নি এটি কি প্রমানিত সত্য?
    সত্যিই জানতে চাই।
  • tapos | 233.29.202.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৫:৫১73098
  • সিকি কি আজকাল কুলদা রায় নামে লেখে নাকি ? সিকির করা প্রশ্নের উত্তর এড্রেস করা হচ্ছে কুলদাবাবুকে !!!
    চল পাগলা !!!
  • - | 109.133.152.163 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৫:৫৫73099
  • সরি, সরি ঃ-)
    সিকিকেই করেচি প্রশ্নটা। তবে উত্তরটা যে কেউই দিতে পারেন।
    ধন্যবাদ তাপস।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৬:২৭73100
  • এটা "-" এর সারল্যপূর্ণ লোকের বিস্মৃতির উপর ভরসা রাখা প্রশ্নের উত্তর না। কিন্তু এইসব আপাত সরল, অথচ অতি চালাক প্রশ্ন/উত্তরেরই তো অডিয়েন্স থাকে - যার ফল হাতে নাতে দেখা গেল, সেই ভেবে এই বইটার উল্লেখ করতে চাই - মনোজ মিত্তা-র "The Fiction of Fact Finding: Modi and Godhra"

    বইটা পড়িনি, বইটার কথা পড়েছি এইখানে - http://sanhati.com/tweet/9200/ আর এইখানে- http://kafila.org/2014/03/15/the-fiction-of-fact-finding-modi-and-godhra/

    মনোজ মিত্তা SIT-র রিপোর্টের প্রতিটি লাইন বাই লাইন খুঁটিয়ে পড়েছে এবং তাই নিয়ে এই বই।

    সিদ্ধার্থ ভরদরজনের লেখা থেকে -

    "....His findings are as shocking as they are distressing. Consider the manner in which Modi himself was interrogated by the SIT. The authenticated transcript reveals a static question-and-answer session in which the SIT’s interrogator runs through a list of questions, many of them excellent ones, without ever challenging Modi’s answers, asking a follow-up question or confronting him with evidence from documents and depositions in the SIT’s possession that contradict what the chief minister was saying. [...]

    Mitta shows us how Modi is allowed to baldly deny having played any role in the incendiary decision to hand the bodies of the Godhra train fire victims to the Vishwa Hindu Parishad–the very organisation that had called for a Gujarat-wide bandh and unleashed violence across the state on February 28, 2002. This despite documentary evidence that undermined his claim. Another poorly phrased question allowed Modi to conveniently bury the fact that he had called the Godhra incident an act of terrorism, an inflammatory characterisation his government was eventually forced to back away from in the absence of evidence. No attempt was made to properly interrogate Modi for his disturbing anti-Muslim hate speech in Becharaji in September 2002 during his ‘Gaurav Yatra’ when there were Gujarat government files showing that the home department, which he directly controlled, had tried to hide the incriminating transcript from the Natio-nal Human Rights Commission (NHRC). The opening chapter on the Godhra incident also reveals the SIT’s incompetence, with its crack investigators recycling the Gujarat police’s version despite glaring inconsistencies. For example, not a single Hindu passenger on board coach S-6, Mitta reminds us, was willing to corroborate the police claim that members of the Muslim mob had entered their coach by cutting the connecting vestibule and pouring copious amounts of petrol on the floor. Above all, Mitta convincingly demonstrates how Raghavan and the SIT simply failed to connect the dots between the horrific anti-Muslim violence and its aftermath, especially those which showed concerted efforts at a cover-up by Modi’s administration.
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৬:৩২73101
  • কাফিলাতে মনোবীণার লেখাটা থেকে -

    Some central questions raised in this chapter are: who allowed Jaydeep Patel, then VHP joint secretary, to take custody of the bodies? Did the Gujarat chief minister Narendra Modi have any part in it? Or was it entirely the decision of local agencies as is being made out?

    The official version goes like this: Mahendra Nalvaya, Godhra’s revenue officer, requested the VHP to take possession of the bodies. But why was such an unprecedented decision taken in the first place? Equally important – was this decision legally tenable? Mitta replies with a categorical No. It was “legally untenable, irrespective of the context in which it had come into existence.” The law doesn’t allow any person other than the legal heir or guardian of the deceased to take custody of bodies. “If there was any exceptional reason to depart from the norm, the letter should have disclosed it.”

    “Worse, the administration showed such undue deference to the VHP at a time when it had already been mobilising kar sevaks around the country to defy the Supreme Court’s status quo order on Ayodhya and had just then posed a threat to the law and order with its bandh call,” writes Mitta.

    Why did the Modi government allow such gross violation of well laid down norms – unless the BJP was already hand in glove with the VHP?

    [...]
    The Nanavati Commission rejected the JSM’s plea to summon Modi and laid the responsibility for handing the dead bodies squarely at the door of local agencies. “The Commission would have us believe that though Modi happened to be in Godhra, none of the major decisions, such as sending the bodies to Ahmedabad, and asking the VHP to take their custody, had been taken with his knowledge or consent,” says Mitta.

    Modi is known to govern like an autocrat – a man who likes to be at the heart of all decision making. The argument of his leaving such a critical decision to local agencies, especially at such a sensitive time, is nothing short of ludicrous.

    That’s not all. Here is just one example of many such discrepancies marking the Nanavati Commission and SIT reports. Contradicting the commission, the SIT’s findings based on Modi’s and others testimonies (of those who were present at the meeting at the Godhra collectorate) confirmed the presence of the chief minister at that important meeting.

    [...]

    Mitta’s riveting account shows how terribly flawed the investigative processes were. How the entire effort seemed to have been focussed in making the lower level officials take the fall and shield Modi. Manoj Mitta’s book reminds us once again that court acquittals are not always the last word and questioning them – especially in the face of such huge contrary evidence – is only the right thing to do. And before the BJP and their allies accuse Mitta of whitewashing the 1984 riots and being a Congress agent, they should check out his previous book which took the Congress to task for its role in that episode of violence.
  • tapos | 233.29.202.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৬:৪৪73103
  • কিন্তু সিদ্ধার্থ বারদারাজন, মনোজ মিত্তা বা মনোবীণাও যে রটনাকারী নয় সেটা কি প্রমাণিত সত্য?

    হাইফেন কি এরকম কিছু বলবেন না?
  • jhiki | 212.67.46.11 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৬:৫৯73104
  • যে ৩১ জন কোর্টে দোষী প্রমাণিত হয়ে জেল খাটছে, তারা তাহলে নিরপরাধ ছিল!!

    সত্য সেলুকাস ইত্যাদি ইত্যাদি....
  • π | 24.139.209.3 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:০৩73105
  • ঝিকিদি কি অক্ষরধাম কাণ্ডের ছ'জনের কথা জানে ? যারা দোষী প্রমাণিত হয়ে এতদিন জেল খাটছিল, তিনদিন আগে তাদের কী হল ?
  • jhiki | 212.67.46.11 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:০৭73106
  • এই কদিন আমি অন্য কোন খবরই জানিনা, তবে খুঁজে পড়ে দেখছি।

    তবে নাগরিক হিসেবে আমি দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি।
  • ranjan roy | 24.99.98.184 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:১২73107
  • এই লেখাটা কেন আগে পড়িনি? হনুর বক্তব্যের সাথে একমত।
  • swarnendu | 41.164.232.232 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:২৪73206
  • লিঙ্কের লেখাটা ভাল লাগল... 'ভিক্টিম কমপ্লেক্স'...
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৩৪73108
  • ড্যাশকে বলি, অর্ধদর্শন ভয়ঙ্করী। আপনি শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিত টইয়ের হেডিংটাই দেখেছেন, ভেতরে কী লেখা আছে পড়ে দেখেন নি। যদি দেখতেন তা হলে নিচের পোস্টদুটো আপনার চোখ এড়াত না। আপনার, শুধু আপনার চোখের জন্যই নিচে কপি-পেস্ট করে দিলাম।

    Name: b

    IP Address : 24.139.196.6 (*) Date:08 May 2014 -- 10:11 PM

    এই টইয়ের নাম একটু ভেবেচিতে দিলে ভালো হত। এট যে গুজব নয়, সে বিষয়ে দ্বিমত নেই বোধ হয়।

    Name: তাপস

    IP Address : 126.203.218.59 (*) Date:08 May 2014 -- 10:14 PM

    আসলে আমিও অফিসে ছিলাম, সিকি বলল, তাড়াহুড়ো করে করলাম। আরেকটু ভেবে চিনতে দিলে পলিটিক্যালি কম রং হত, সন্দেহ নেই । এডিট করার উপায় জানা থাকলে এডিট করে দিতাম ।

    ------------------------------------
    আশা করি আর মনে করছেন না যে এখানে এখনও কেউ এটাকে "গুজব" বলে মনে করে?
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৩৬73109
  • অবিশ্যি এতকিছুর পরেও টন্ট করার ইচ্ছে থাকলে টন্ট করে যেতেই পারেন। সে বিষয়ে সমস্ত উপাদানই মজুদ ঐ টইয়ে এবং অন্যান্য টইয়ে।
  • s | 182.0.249.87 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৪২73110
  • খুব ভাল লেখা। মন ছুঁয়ে গেল।
    গুজরাতের ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও ঘৃণিত। সর্বস্তরে বহুল নিন্দিত এবং আদালতে বিচারও হয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের যেভাবেই হোক নরেন্দ্র মোদী বেঁচে গেছেন। এ ভারতের বিচারব্যবস্থা, প্রাশাসনিক ব্যবস্থার গলদ।
    কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের যে বর্ণনা কুলদাবাবু দিয়েছেন সেটারও গুরুত্ব অপরিসীম। সংখ্যাগুরুদের হাতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিয়ম করে হত্যা, ধর্ষণ, ঘরে ও সম্পত্তিতে আগুন লাগানো এ নিয়ে যতটা চেঁচামেচি হওয়া দরকার তার ১০% হয় কিনা সন্দেহ। কিছু মুক্তমানা বাংলাদেশী নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করেন কিন্তু সে কন্ঠ যথেষ্ট জোরালো আওয়াজ তোলে না। জানি না এইসব ঘটনাগুলোর কতগুলো আদৌ বিচার হয়েছে বা শাস্তি হয়েছে। সংখ্যাগুরু বাংলাদেশী মুসলমানেরা হিন্দুদের উপর অত্যাচারকে প্রায় নিজেদের অধিকার করে নিয়েছে।
    আমেরিকাতে প্রচুর বাংলাদেশী হিন্দুর সংগে পরিচয় হয়েছে, কথাবার্তা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে তারা বেঁচে গেছে। আর ও দেশে যাবার কথা ভাবতেই পারেন না তারা। নিজের মাতৃভুমিতে ফিরতে চান না কখনও, ভয় পান, জীবনের ভয়।
    কিন্তু কোন সংখ্যালঘু ভারতে ফিরে আসতে নিশ্চয়ই দ্বিধা করবেন না। তাই গুজরাত হওয়া সত্বেও ভারত এবং বাংলাদেশের বা পাকিস্থানের তুলনীয় নয়।
  • tapos | 233.29.202.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৪৪73111
  • সিকি বলেছে। একটা এডেনডাম শুধু, একটা জিজ্ঞাসা চিহ্নও ছিল ওই টইটাতে । এনিওয়ে, এই চাপানউতোর চলুক, লেখাটা ওপর দিকে থাকছে । যেটা জরুরি ।
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৪৫73112
  • ও হ্যাঁ, গোধরা সম্পর্কিত আপনার নিষ্পাপ প্রশ্নগুলো পড়ে কেন জানি না মনে হচ্ছে গোলপোস্ট সরানোর চেষ্টা করছেন।

    আপনার উনিশে মে-র পোস্ট থেকেঃ "আর প্রশ্নটিঃ "সেই যাত্রীরা অযোদ্ধায় গিয়েছিল তীর্থ করতে। তারা হিন্দু। রটানো হল—মুসলমানরা হিন্দুদেরকে মেরে ফেলেছে।"
    আপনি নিশ্চিত, সেটা "রটনা" মাত্র ছিল, ঘটনা নয়?"

    আপনার আজকের পোস্ট থেকেঃ "আমার প্রশ্ন ছিল অন্যঃ ওটা যে "রটনা" মাত্র ছিল, বস্তুত হিন্দুদের ট্রেনে আগুন লাগানর কোনও ঘটনাই ঘটে নি এটি কি প্রমানিত সত্য?
    সত্যিই জানতে চাই।"

    ট্রেনে আগুন লাগানোর কোনও ঘটনাই ঘটেনি, এমন কথা কে কোথায় লিখেছে, সেইটা একটু আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে বাধিত হই। বরং আপত্তিটা ছিল হিন্দুদের "মুসলমানেরা" পুড়িয়ে মেরেছে, এই মিথনির্মাণটির বিরুদ্ধে, যে মিথে বিশ্বাস করিয়ে পরবর্তী কদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে নিজের প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রেখে এবং নিজের গুণ্ডাবাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে প্রায় একতরফা হত্যালীলা চালিয়েছিলেন এই নরাধম মোদী। হ্যাঁ, কোর্ট প্রমাণ করতে পারে নি, খুব স্বাভাবিক, ক্ষমতায় বসে থাকা কাউকে অপরাধী প্রমাণ করা খুব কঠিন, পবন বনসলকেও অপরাধী প্রমাণিত করা যায় নি, লালু যদ্দিন ক্ষমতায় ছিলেন, লালুর অপরাধও প্রমাণ করা যায় নি, মমতা এখনও ক্ষমতায় রয়েছেন নিরবচ্ছিন্ন সাপোর্ট পেয়ে, তাই কোর্ট এখনও কিছুই প্রমাণ পায় নি, ধরে নিতেই হবে মমতা একজন নিষ্পাপ নেত্রী, সত্যই সততার প্রতীক।

    কোর্টের দোহাই দিয়ে যদি ধরেও নিই সত্যিই নরেন মোদী অপরাধী নন, কিন্তু তাঁর শাসনকালে এমন ঘৃণিত ঘটনা ঘটল, তার জন্য আজ পর্যন্ত তিনি কোনও দুঃখপ্রকাশ করেন নি (দেখুন, দুঃখ বানান ঠিক লিখেছি), করেন নি তো বটেই, উপরন্তু ২০০২-২০০৩ সালের তাঁর ভাষণের ভিডিওগুলোতে মুসলমানদের ওপর ঘেন্না চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে এখনও দেখা যায়। অতি সম্প্রতি তাঁকে আবারও "ক্ষমা চাইবেন না?" এই প্রশ্ন করাতে তিনি গাড়িতে চাপা পড়া কুকুরের বাচ্চার জন্য দুঃখপ্রকাশ করার অ্যানালজি দিয়েছেন।

    মোদী বেটার অল্টারনেটিভ কিনা, মোদী দেশকে সত্যিই আগে এগিয়ে নিয়ে যাবেন কিনা, সেটা এখনও পর্যন্ত আমার কাছে ম্যাটার করে না, যতক্ষণ না এক কম্যুনাল গণহত্যার নায়ক হিসেবে তিনি যোগ্য শাস্তি না পাচ্ছেন, যেমন শাস্তিপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সজ্জন কুমার কিংবা জগদীশ টাইটলাররা।
  • PL | 103.115.84.195 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৭:৫৬73113
  • আমাদের বিচারব্যবস্থা, প্রাশাসনিক ব্যবস্থায় বড্ডো গলদ ঃ-(
  • Tim | 188.91.253.21 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:০৫73115
  • ভুল। আমাদের মধ্যেই গাদা গাদা গলদ। না জানার গলদ, না জানতে চাওয়ার গলদ, সময় না দেওয়ার গলদে ছেয়ে আছে অনেকদিন থেকেই সব। এই প্রশাসন আমাদের তৈরী। এই নির্বাচনের রেজাল্টের মাধ্যমে আমাদের ফিলোজফি কথা বলেছে।
  • PL | 103.115.84.195 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:১০73116
  • তা হবে। ভুল সবই ভুল, এই জীবনের পাতায় পাতায়...
  • jhiki | 212.67.46.18 (*) | ২০ মে ২০১৪ ০৮:২৪73118
  • পাই, তুমি লিঙ্ক দেওয়ার আগেই দেখলাম। মেনে নিলাম ঐ ছজন অপরাধী ছিলনা। এও মানলাম নিহত দুই ফিদাইন কারও সাহায্য ছাড়াই অক্ষরধামে হামলা করেছিল।

    কিন্তু গোধরার ট্রেনটাতে তো কোন NSG ছিলনা। থাকলে আর তাদের হাতে একজন অপরাধীও মারা পড়লে, এই ঘটনাকে 'রটনা' বলার আগে লোকে দুবার ভাবত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন