এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার পূজো

    Nishan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮১৩৮ বার পঠিত
  • যেকোন দ্রব্যের আগে বিলিতি জুড়ে দিলে তার গুণ রীতিমত লোপ পায়, এ জিনিস বহুকাল যাবৎ চলে আসছে ! যেমন ধরা যাক বিলিতি বেগুন, আপনি পড়ছেন আর ভাবছেন এ বোধহয় আমেরিকার ফলন্ত ঝুলন্ত বেগুন, কিন্তু না! বিলিতি বেগুন হোলো টমেটো, পুরুলিয়ার দিকে আবার অনেকে টমেটোকে বলেন বিলিতি আমড়া। তাহলেই দেখুন, কেবল মাত্র বিলিতির গুণে বেগুনের বেগুনত্ব আর আমড়ার আমড়াগাছি লোপ পেয়ে কেমন একই রকম লালচে টমেটোয় পরিণত হোলো।
    তেমনই বিলিতি পূজোও একটি দুর্ঘট বস্তু বিশেষ, যা না বিলিতি না পূজো!
    বিলিতি বাঙালীও তাই, না বাঙালী না বিলিতি। এঁদের মূলতঃ দু একটি বিলিতি বন্ধু থাকে, আন্তর্জাতিকতার জন্য, বাকি এঁরা নিজেদের বৃত্তেই ঘুরঘুরে পোকার মত ঘুরঘুর করেন। তার মধ্যে কিছু আবার সুনীল গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণা, অতএব হাফ বিলিতি ধারায় স্ত্রী শয়ান দেন পরপুরুষের সাথে আর সেই অজুহাতে সোয়ামী কচি মেয়ে পেলেই কচলে হাতের সুখ করে নেন। কিন্তু রসুনের মতই মাথা আলাদা হলেও পশ্চাদ্দেশ আবিষ্ট যুগযুগান্তব্যাপী সংস্কারে, বাজারে কেচ্ছার ভয়ও আছে, অতএব বিবাহটি বজায় থাকে, আর ঐখানেই বিলিতিয়ানার শেষ। বদহজম আর কাকে বলে!
    এঁরা প্রতি সন্ধেয় প্রায় হুইস্কি বা ওয়াইন সহযোগে দেশের জন্য মড়াকান্না কেঁদে থাকেন, ফিরতে যদিও কেউ আটকাচ্ছে না, তবু নানা কাঁদুনি। অধিকাংশের এটা স্বীকার করার সৎসাহস পর্যন্ত নেই যে তাঁদের এখানে দিব্যি লাগে। দোষটাই বা কি তাতে? কিন্তু না, তাঁরা না কাঁদলে গঙ্গার জল কমে যাবে না, তাই বিদেশে বসে এঁরা নিরন্তর গঙ্গায় অশ্রু সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। আর দেশীয় রাজনীতির দুর্দশা নিয়ে টেবিলে তুফান তোলেন।
    মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে এঁরা চাদ্দিক আলো করেন, এবং অভাগা আত্মীয়স্বজনকে বুঝিয়েই ছাড়েন বিলেতে কি হারে সুবিধা আমের মত গাছে ঝোলে আর "ইণ্ডিয়া কি ডার্টি বাবারেএএএ বাবারে, আর পারিনে!"
    গেলবার দিল্লী এয়ারপোর্টে বাঙালী বরের বিলিতি বউ দেখেছিলাম, বউ আমার সাথে বাংলায় কথা বললো দিব্যি, দাদা কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর বাংলায় আর শব্দক্ষয় করেননি, পাঞ্জাবী পাজামা ছেড়ে প্লেনের বাথরুম থেকে যখন বেরুলেন জিম করবেট মার্কা হাফপ্যাণ্ট পরে, কোন শালায় বলে বাঙালী সাহেব হতে শেকেনি!
    এঁরা শিখলেন না কাজের লোকের সাথে সমান ব্যবহার করতে, আমার মত ছাত্তরকে দেখলেই যাঁদের নাক হাফ কুঁচকে আসে কাজের লোকের প্রতি তাঁদের মহিমাময় ব্যবহার কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
    যাইহোক কতিপয় বন্ধুবর্গের নিরতিশয় অনুরোধে আমার দ্বিতীয়বার বিলিতি পূজোর আমড়াগাছি দেখার সুযোগ হোলো, আগেই বলেছিলাম তাঁদের, যে এ অতি দুষ্পাচ্য দ্রব্য, কিন্তু গরীবের কথা বাসি হলে ফলে, তাই তাঁরা গেলেন, ঢুকলেন, তিতিবিরক্ত হয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এলেন।
    এখন শরৎকাল, ইংরাজমতে আটাম, যদিও মার্কিন দেশে 'ফল' কথাটা চলে, এবং গাছের পাতা সব ফাঁকা হয়ে যায় বলে ঐটেই আমার লাগসই লাগে, তবু বাটামের সাথে মিলের জন্য আটামটাই আমার পছন্দ। প্রকৃতি, শীতের কামড়টুকু বাদ দিলে সেজেছেন পরমা রূপে, প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলার মত গাছের পাতায় উঁকি দিচ্ছে হলুদ-লাল আগুন। নাঃ বঙ্গপ্রকৃতির মাধুর্য নেই বটে, কিন্তু এ অনন্য সৌন্দর্য অস্বীকার করি কি করে? কি অসামান্যা তিনি, তাঁর রূপে দশদিশ আলোকিত হোক।
    এমন শরৎ দিনে, গাড়ি চড়ে বেরোলাম পূজা সন্দর্শনে, ভালো কথা। পথের চাদ্দিক দেখি আর কেমন যেন নেশা লাগে, নেশার মত আশ্লেষে জড়িয়ে ধরতে চায় গাছের সবকটি পাতা, সবকটি ডাল, সবকয়টি গুল্ম যেন শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ডাকছে হাতছানি দিয়ে।
    সে যা হোক, সেসব পার করে অবশেষে উপনীত হলাম পথের উপান্তে, একটি হাইস্কুলের সামনে। (নামটা নাই বা বললাম, হরে দরে সবই এক)।
    ভিতরে ঢুকতেই দেখি, একটি টেবিলে হত্তা কত্তা বিধাতা তিনজন বসে আছেন, তাঁদের একজন আমরা কেবল প্রতিমা দর্শন করবো জেনে বললেন "১০ টাকা করে দিয়ে দিন তাহলে"। এখন মনে হচ্ছে ঐ টাকায় দু প্যাকেট রফিকির চিকেন ওভার রাইস হয়ে যেতো, অতি উপাদেয়। যা হোক দিয়ে তো ঢুকলুম, কিন্তু ঠিক ঢোকার সময়েই, যিনি আমাদের চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন তাঁর সামনে এসে এক কাকিমা গোছের ভদ্রমহিলা এসে ইংরাজীতে কিসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন, আমার মন আনন্দে চনমন করে উঠলো, ভাবলাম বাঙালী প্রাদেশিকতা ছেড়ে বোধহয় আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু সে মোলাসেস এ স্যাণ্ড! কতিপয় মুহূর্ত পরে তাঁর বিলিতি উচ্চারণের সুশীল বাংলা শুনে আমার উৎসাহ নেমে গেলো ফুস করে!
    তার প্রভাবেই বোধকরি, আমাদের চাঁদাকত্তা কাকু ফস করে মোড সুইচ করে চলে গেছেন ইঞ্জিরিতে, আমার দুবার বাংলা গলাখাঁকারিতেও কাজ হোলো না, অতএব সাধু সাবধান। চলো প্রতিমা সন্দর্শনে, আনন্দবাজারে পড়েছো, কুমোরটুলির হেববি উপকার হয় এসবে, তাও তুমি জানো, অতএব ভজ মন দুর্গানাম।
    ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ, উৎসবের দিন সাজগোজ না করলেই নয়, অতএব পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবীর ধাঁধায় চোখে তালা লেগে গেলো, ভাবতুম বিলিতিরা বোধহয় ভালোভাবে বুড়োতে জানে না, কিন্তু ঠাকুমাদের গালে লালচে আভা দেখে সে ভ্রম আমার দূরীভুত হোলো। স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যে উটকো লোক থেকেই থাকে এই বিশ্বাসে স্থির হলাম অবশেষে।যে সমস্ত ফ্যাসান বঙ্গভূমে পাঁচ বছর আগে উপে গেছে তাদের নব আবির্ভাব। কিছু ব্লাউজ দেখে ভাবলুম বোধকরি প্রাচীন আদিবাসী সংস্কৃতি ফিরে আসছে, ওষ্ঠরঞ্জনী, গণ্ডরঞ্জনীতে সে ভুল গেলো ভেঙে।
    সাথে পাঞ্জাবী বন্ধু, সে পাছে ভাবে দুর্গাপূজার উৎস ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যমেলা, তাই প্রাণপণে বোঝাতে শুরু করলাম কি কেন এবং কিভাবে দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসব থেকে বঙ্গীয় আবেগে পরিণত হয়েছে।
    ভুল পথে চলে পৌঁছে গেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘরে, সেখানে ২৫ টাকা লাগতো, যাহোক যে কাকু সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি জানালেন তিনি বঙ্গভাষণে অপারগ, কি দুঃখের কথা! তিনি জানালেন হস্তবন্ধনী (যার দাম ২৫টাকা) ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষেধ, উল্টোপথে হাঁটা দিলুম ফের।
    করিডোরের ভিতরে হট্টগোল, একদিকে ললনারা শাড়ি জামা গয়না কিনছেন আর অন্যদিকে সুনীল গাঙ্গুলীর কিছু মধ্যমানের বই, বাঙালনামা ইত্যাদি বিক্কিরি হচ্ছে. শুনতে পেলুম "বাঙালনামাটা পড়েছিস? ব্যপক বই" (ভাগ্যিস ভারতবর্ষে রাত, নইলে তপনবাবু নিশ্চিৎ হেঁচকি তুলতেন)
    সেসব কাটিয়ে ঢুকলাম প্রতিমা দর্শনে, ভিড়ে ভিড়াক্কার, আর কত রকমেরই চোখ দেখলুম, লাল নীল সবুজ বেগুনী রামধনু, সাথে টিসু পেপার থাকলে সৌন্দর্যের ভারী বিপদ, রঙের চলটা উঠে গেলেই কেলোর কীর্তি, সাড়ে সর্বনাশ। যাকগে সে আমার বিচার্য বিষয় নয়।
    তদুপরি ফেসবুক জমানায় পূজোয় গেলেই হয়না, একদিনের যে বাঙালীয়ানা উদযাপন, তা লোককে না জানালে হবে কেমন করে? কাজেই ফটো তোলার ঘনঘটায় গগন অন্ধকার, জনতার ফাঁকে ফাঁকে দুর্গামাতার রূপের ঝলক দেখাগেলো।
    তবে কিনা অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করবেই, বাঙালীয়ানার তালেগোলেও সেই চড়চড়ে অবস্থা!
    অতএব প্রবল ভিড়, পূজো না মেলা না মোচ্ছব বুঝতে বুঝতেই বন্ধুদের হাঁফ ধরে এলো, আমরাও বেরিয়ে এলাম।
    বাইরে আদিগন্ত সবুজ, বিকেলের রাঙা রোদ পড়েছে তেরচা হয়ে মাঠের কোণায়। হঠাৎ মনে হোলো এর আনন্দই বা কম কি?
    মৃত্যুধূপে আগুন জ্বালিয়ে ফুসফুসের শ্রাদ্ধ করলাম কিছুক্ষণ তারপর বাঙালী সুখাদ্যের আশায় পাড়ি দিলাম ক্যালকাটা অ্যাফেয়ার বলে এক রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে!
    পথ বেশি না, মাইল পাঁচেক। রাস্তা ওয়ালপেপারের মত, ফোয়ারা, আর লাল হলুদ পাতা, তাই যাবার পথে শুঁড়িপথ নিলাম অষ্টাদশ শতকের এক চার্চের দিকে। চার্চের সামনে পৌঁছে দেখি, ওমা একি, সামনের মাঠে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে। হরিণী চোখ তুলে চাইলে আমার দিকে, গাড়ি থেকে নামলাম, নিশ্চল মুর্তির মত, নিরন্তর মৃত্যুর মত হরিণী তখনো তাকিয়ে আমার দিকে, তার ঘাস খাওয়া শেষ, আর ঠিক যে মুহূর্তে আমি ভাবতে শুরু করেছি জ্যান্ত তো, একলাফে বাদামী বিদ্যুতের মত সে হারিয়ে গেলো হলুদ বনে, বোধহয় তার নাকচাবি গেছে হারিয়ে। চাদ্দিক শুনশান, কেউ কোথাও নেই, আর বাতাসে হিমেল পরশ, তাই বিশেষ কালক্ষেপ না করেই আবার উঠলাম গাড়িতে।
    মাইল তিনেক দূরেই রেস্তোরাঁ, সামনে ইলেক্ট্রিকের তারে আটকে দ্বাদশীর চাঁদ, এদেশে চাঁদ কেমন হলদে রঙের হয়। আর যখন ওঠে তাকিয়ে থাকলে কেমন ঘোর লেগে যায়। মনে হয় হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন কথা। মনে হয় এই সব মেকী, সব রঙের চলটা, সাদা বাদামী হলদে মানুষের ভিড় এসব কিচ্ছু নয়, এই চাঁদে লাল মানুষের বর্শা হাতে ছুটে যাবার কয়া বাদামী ঘোড়ায় চড়ে, তার বর্শা চকচক করুক হলদে চাঁদের আলোয়, আর তার বর্শা দেখুক রক্ত, হলদে আলোয় বাদামী রক্ত ঝরে যাক পাথুরে মাটিতে, আর তৃপ্ত হোক এই বন্য মৃত্তিকা।
    যাহোক, ২০১৪য় দিবাস্বপ্নের আয়ু মিনিট কয়েক, বুফে খেতে ঢুকলুম রেস্তোঁরায়। তখনও ফাঁকা ছিলো, দুটি মার্কিন পরিবার, একটি ভারতীয় গ্রুপ যার দুজন অবাঙালী। ওয়েটার পূর্ব ইউরোপীয়, ভারী অমায়িক লোক। বোধহয় পূজোর কদিন ভিড়ভাট্টা বেশি হচ্ছে, অনভ্যেসের দরূণ তিনি হাঁসফাঁস করছেন তখনো।
    কিন্তু সাধু সাবধান, কিছুক্ষণের মধ্যেই জনা দশেকের একটি বাঙালী গ্রুপ এবং জনা চারেকের আরেক বাঙালী পরিবার এসে বসলেন আমাদের সামনে। সেই একই মেকী- আনা, কিছু ওয়াইন আল্ট্রা আঁতলামি এবং চামচে দিয়ে ডালভাত খাওয়া। সামনের দশজনের দলের কথায় বুঝলুম এঁদের রাত হয় না, night হয়, আর "kids দের ওদিকে পাঠিয়ে দিলে Adults রা এদিকে বসতে পারে, degeneracy কমে" অহো বাহ্য, পাশের টেবিলে দেখি আরেক কেলোর কীর্তি। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা এসেছেন, তিনিই আমার সেদিনের বাঙলা। পায়ে তাঁর চটি, পরণে সবুজ শাড়ি, বোধহয় পাশের টেবিলের বঙ্গসাহেবের মা। প্রসঙ্গতঃ শহুরে ভারতীয় বিদেশে গেলে মা এর মূলতঃ আমদানি ঘটে সন্তানলাভ হলে, এদেশে আয়া রাখা অতীব খরচসাপেক্ষ। ইউরোপীয় সভ্যতা এদেশে পৌঁছতে এখনো বছর পঞ্চাশেক দেরী আছে।
    মহিলা বড়ই উসখুস করছেন, করারই কথা, আমরাই করছি। কিন্তু আমাদের বয়েস কম, হজমশক্তি বেশী।
    চামচে দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা, হাত দিয়ে শুরু করার মুহূর্তেই ছেলের কটমট দৃষ্টিপাতে আবার চামচে। হে ধরণী দ্বিধা হও!
    অখাদ্য কিছু পাঁটার মাংস, আর গোয়ানীজ চিঙড়ির ঝোল খেয়ে এমনিতেই মেজাজ খিঁচড়ে দোদমা, তায় এসব নাটক দেখে ভারী বিষাদ নেমে এলো হলদে বাল্বের আলোয়। আমরা বেরোলাম বাড়ির পথে। মাঝে হায়দার দেখার কথা নিউপোর্ট মলে।
    এবারেই চমক, ভারতীয় সভ্যতার চমক। বাঙালী সদা হীনমন্যতায় ভোগে, প্রাণপণে মুছে ফেলতে চায় আত্মপরিচয়! যে সাহেবরা মলত্যাগের পর কাগজ দিয়ে পশ্চাদ্দেশ মোছে, কিন্তু প্রস্রাবের পর হাতধোয়ার ঘনঘটায় পৃথিবীর জলসঙ্কট ঘটিয়ে ফেলে তাদের নকলে বাঙালীও নানা জিনিস রপ্ত করতে থাকে, আরো একটু বাড়ালে, একা বাঙালী কেন, ভারতীয় মাত্রেরই এই ঔপনিবেশিক দাস মনোবৃত্তি আছে। কিন্তু পার্মানেণ্ট মার্কারের কালি তোলা কি অতই সহজ? তাই যেখানেই ভারতীয় সেখানেই ক্যাঁচাল। এঁরা বাঙলা হিন্দী বলেন বিলিতি টানে, ইংরিজিটা ঠিক কিসের টান তা বোঝার সাধ্য আমার কেন? ঈশ্বরের বাবারও নেই। বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিশব্দ হাতড়াতে হয়। অবশ্য খোদ পশ্চিমবঙ্গেই আজকাল ইংরিজি জানার চেয়ে বাঙলা না জানার গরিমা বেশি। মা মেয়েকে বলেন "দেখো দেখো night এ কত star আকাশে" "ঐ দেখো বাবু, tiger" "আজ ঐ green জামাটা পরে যেও কিন্তু"। বাড়িতে অতিথি এলে বাঙালী বাচ্চা আজকাল ছড়ার বদলে rhyme বলে। দেশোদ্ধার হচ্ছে সন্দেহ কি?
    নিউপোর্ট মলের সিনেমায় ঈদ ও দুগগোপূজোর ডবল ধামাকায় তখন ত্রাহি মধুসূদন দশা। অতএব বাথরুমেও তার ব্যতিক্রম না। অন্য সব দিন যে মলের বাথরুম ঝকঝক করে, তার ক্লোজেটে ক্লোজেটে গু ভেসে বেড়াচ্ছে, এবং জায়গাটা চেন্নাইয়ের সিএমবিটি বাসস্ট্যাণ্ডের বাথরুমের চেয়েও নারকীয় আকার ধারণ করেছে! জাতের গুণ যাবে কোথায়!
    যাইহোক হায়দার আর দেখা হোলো না, হাউসফুল, রাত ১১টা অব্দি ভয়ানক বাজে ভূতের সিনেমা দেখে নিউ ইয়র্কের রাস্তা ধরলাম।
    আর সেই রাতেই আমার পূজো, রাত দেড়টার "এল" ট্রেনে আমার সম্মুখবর্তিনী, সাদা টি শার্ট আর মেক আপ ছাড়া কবিতার মত বসে রইলো। হাই তুলতে যখন মুখ হাঁ করে আলতো সরালো, দেখি পেছনের পোস্টারে লেখা "poetry in motion", সে কোথায় নামলো, কি করে, কি খায় কোথায় থাকে আমার কিচ্ছু জানার নেই, শুধু রেখে দিলাম গতিময় কবিতার স্থবির স্মৃতিটিকে, এবারের পূজোর ছবি বলে।
    যাইহোক এই আমার পূজো, শেষে একটাই কথা, দুধের সাধ ঘোলে মেটাবেন সেও ভি আচ্ছা, কিন্তু না ঘরকা না ঘাটকা চুল্লু দিয়ে মেটালে চোঁয়াঢেকুর ও বদহজমের, এবং শেষে বমণের প্রবল আশঙ্কা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮১৩৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ২১৮ - Nishan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 47.150.84.12 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:২৫75030
  • বাহ এইত্তো আমার বড়োনোক হওয়ার রাস্তা তৈরী হচ্ছে। এলিডি হাগু।
  • sm | 122.79.38.36 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৩৯74893
  • নিজের কথায় বলতে পারি, দেশে ফিরতে চাই না. কারণ বিদেশে যত কষ্টই থাক, একটা ভালো সিস্টেম এ এখানে কাজ হয়, আমাদের দেশের মত ঘুষের ওপর ভরসা করতে হয় না। এখানে মেয়েরা নিজের মত ঘুরে বেড়াতে পারে, দেশের মত ধর্ষকের দল এখানে ঘুরে বেড়ায় না। কিছু সমস্যা হলে পুলিশ অন্তত ভালো ভাবে কথা বলে, দেশের পুলিশ র মত কুকুরের মত behav করে না। পলিটিকাল লিডার রা এখানেও useless , কিন্তু বং লিডার দের মত একটা সম্প্রদায় কে নগ্ন ভাবে তোষণ করে না।

    -----
    আধুলি আপনার আগের করা একটা পোষ্টের পরি প্রেক্ষিতে আমি লিখেছিলাম । আপনি নিজেই পড়ুন কি লিখেছেন। আমার পরে মনে হলো দেশ মানেই ধর্ষক দের স্বর্গরাজ্য আর বিলেত মানেই মেয়েদের চলা ফেরা বিপদ মুক্ত। অন্যান্য বিষয় গুলিতেও ভীষণ রকম অসাদৃশ্য ।এতটা তীব্র কনট্রাস্ট বোধ হয় নয়। আমি কি ভুল বুঝছি?
    মুশকিল হলো আপনি বিরূপ সমালোচনা সঝ্য করতে পারেন না। আম্মো বহু বছর বিদেশে কাটিয়েছি। এন আর আই দের সম্মন্ধে খাপ্পা নই; যথেষ্ট সহানুভূতিশীল । বার বার লিখেছি , এন আর আই দের ভালো দিক নিয়ে লেখার অবকাশ আছে। তবুও আমাকে এমন এন আর এই বিরোধী দাগিয়ে দিচ্ছেন কেন? এত টা অসহিষ্ণু হবেন না।
    যে কোনো দেশে গিয়ে সেই দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া টাই আবশ্যিক।
    তা বলে, নিজের সতন্ত্রতার উপর হস্তক্ষেপ করব কেন? সাহেব রা বাড়িতে বাইরের জুতো পরে ঘুরলেও ,আমার বাড়িতে সেটা প্র্যাকটিস করব কেন বা কোনো বিদেশী অতিথি এলে তাকে দয়া করে জুতো বাইরে খুলতে বলব না কেন?
    আমি যদি মনে করি আমার ২ বছরের শিশু, মায়ের কাছে শুলে কম্ফর্তেবেল ফিল করে, তাকে অন্য ঘরে শো আবো কেন?
    এসব ছেড়ে আপনি ই বরং হাগজের বাইরে বেরোতে পারলেন না। আলুচনা টাও সেদিকে ঘর ফেরা করছে।
    আর হ্যা, সংস্কৃতিক আদান প্রদান, সেটাও তো ভীষণ কম চোখে পড়ে।কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এশিয়ান ও ককেশিয়ান; দু দলেরই খুব কম মেলা মেশা দেখেছি। কালো মানুষদের কথা তো বাদ ই দিলাম। প্রত্যেকেই নিজের ককুনের মধ্যে থাকতে চায়। এবার আপনি বলুন সমিস্যে টা কোথায়?
    উদাহরণ তো হাজার টা দেওয়া যায়, খালি হাগজ নিয়েই পরে থাকলে আলোচনা তাও সেই দিকে চলে যাবে।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০২74894
  • আমাকে কেউই সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। :-(
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৪74895
  • কালোদের মধ্যে একটা অন্য ব্যপার কাজ করছে বলে আমার ধারণা। মুখে যতই স্বাধীনতার বুলি ফড়ফড়াক, মার্কিন দেশে কালোরা সামাজিক স্বাধীনতা পেয়েছে ৮০র দশকে। তারা এখনো সামাজিক ভাবে পিছিয়ে চুড়ান্ত মাত্রায়। তার মধ্যে ভারতীয় এবং চীনারা এসে গুচ্ছের চাকরি নিচ্ছে, কাজেই ওরা আমাদের দেখে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসাবে।

    আমার বেশ কিছু কালো বন্ধু আছে এবং তারা দিব্য ভালো মানুষ। আরবি বন্ধুও আছে, সাদাও আছে, বাঙালীই বরং কম।

    আবার ভারতীয়দের দিক দিয়েও কালো বিদ্বেষ কম কিছু না, নানান নাম কেলে, কালো, সেগুলো যখন বুঝতে শুরু করলো তখন বাব্বন।

    এই শহরে এখনো লাতিন এবং কালোদের যথেষ্ট দুর্গতি হয়। মুসলমানদেরও কম না।

    কদিন আগে ৭ নাম্বার ট্রেনের সামনে সুনন্দ সেন নামের বাঙালী ভদ্রলোককে ঠেলে ফেলে দেবার ঘটনা আশাকরি সবারই মনে আছে।

    আমার নিজের স্মরণে আছে ট্রেনে দুদুবার ঝামেলায় আমার কোন দোষ না থাকা সত্ত্বেও পাব্লিকের ঝামেলা পোহানোর।

    স্ট্যাটেন আইল্যাণ্ড ফেরিতে হাজার খানেক লোকের মধ্যে কেবল মাত্র আমি আর আমার বন্ধুকে চেক করা হলো দুবার, এবং ঘটনাচক্রে সে দিন আমরা পাঞ্জাবী পরে ছিলাম।

    সবই কি কাকতালীয়?

    কে বললো আমেরিকায় রেপ হয়না? আর কে বললো বিকিনি পরা মানেই নারী স্বাধীনতা। পাতি এখানকার লোকের বিকিনি পরা মেয়ে দেখে চোখ টাটানো দেখেছেন? নেহাৎ এখন লোকের চোখ সয়ে আছে। একি বুদ্ধবাবুর মরুদ্যান নাকি?

    আর এখানেও রাজনীতির scam হয় বৈকি কিন্তু সেটা এতটাই উচ্চ লেভেলে যে আমাদের হাত পৌঁছায় না। ভিয়েতনামের যুদ্ধটাই একটা গোটা scam, wealth distribution পাতি চুলকে গেছে। গুচ্ছের হোবো, যারা স্টেশনে খায় হাগে শোয়, কাল শরীর খারাপ হলে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে বসে থাকতে হবে! (ভারতেও তাই, কিন্তু সেবা করার লোকটা অন্ততঃ পাওয়া যাবে)

    আর যে দেশে বাচ্চা জন্ম থেকেই শেখে গোলাপী মানে মেয়েদের রঙ আর নীল মানে ছেলেদের, সেখানে havoc gender equality ভাবতে আমার একটু অসুবিধা আছে!

    যাঁরা এদেশে এসে সুখে আছেন এবং দাবী করছেন যে দেশে নানা অসুবিধা, তাঁরা ভালো করে ভেবে দেখুন তো দেশে আপনার ঠিক কতটা অসুবিধা হোতো?

    তফাতটা আমার মনে হয় মূলতঃ শ্রেণীগত, যে শ্রেণীর লোক ভারতে বাম্বু খায় সে শ্রেণীর লোক এদেশেও ভয়ানক কিছু সুখে নেই! ছাত্র হলে, বিশেষতঃ নিউ ইয়র্কে, এই শ্রেণীর এতটাই কাছে চলে আসা যায় যে চাক্ষুষ দেখা যায়!
  • | 183.17.193.253 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৭74897
  • এসেম,এই আলোচনাগুলো পড়ে হাসতে হাসতে যদিও মন ভালো হয়ে যাচ্ছে তবু না লিখে পারলাম না।

    এদেশে সাদা কালো নির্বিশেষে বহুলোক এখন বাড়িতে ঢুকে জুতো খুলতে হবে কিনা জিজ্ঞাসা করেন।ফলে এদেশীয় লোকমাত্র কে অনুরোধ করার দরকার হয় না। অনকেই নিজেরাই জানতে চান।

    বাচ্চাকে কে কোথায় শোয়াবে তাই নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার কারণ কি কে জানে! যে যার নিজের সুবিধে মত শোয়াবে। আপনি বাচ্চাকে পাশের ঘরে না শোয়ালে চাইল্ড সার্ভিসের লোকজন ধরে নিয়ে যায় বলে তো শুনিনি।
    দেশেও বহুলোক বিশেষ করে শীতকালে ঘরে চটি পড়েন। এরমধ্যে অনুকরণের কি আছে?ঘরে চটি পরার হাজারগন্ডা কারণ আছে

    বিলেতে খুন, ধর্ষণ সবই হয়। তবে কি বলুন তো, রাস্তায় বেরোলেই বুকের নিরাপত্তার জন্যে হাতদুটো ঢালের মত ব্যবহার করতে হয় না।

    বাথরুম সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন ছিলো,ওটা যদি দেখে দয়া করে কিছু আলোকপাত করেন...
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৭74896
  • | 183.17.193.253 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৪74898
  • নিশান বোধকরি কোনো স্বর্গরাজ্যের কথা ভেবেছিলেন। আমেরিকা তার সঙ্গে না মেলায় খুব কষ্ট পেয়েছেনঃ(
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৬74899
  • মিঠুদির লেখা কথা গুলো আমিও লিখতে যাচ্ছিলাম.।আমি বাড়িতে বাইরের জুতো পরে থাকিনা। সাদা কালো হলদে নির্বিশেষে যে কোনো গেস্ট আসুক, তাদের জুতো খুলে ভেতরে ঢুকতে বললে কেউই কিছু মনে করেনা। দিশি জামা আমিও এখানে পরি।
    কিন্তু হাগজ নিয়ে আপনার যা দাবি তা রিসনেবল নয় আমার মতে। এবং আমার মনে হয় অনেকের মতেই নয়, তাই মূল আলোচনা ঐদিকে ঘুরে গেছে। গাড়ু বদনা লোটা কিনে আনুন, কিন্তু পুরো বাথরুম রিমডেল করা খুবই খরচ সাপেক্ষ।
    এবং ঝকঝকে শুকনো বাথরুম কে না পছন্দ করে? দেশে আমাদের বাড়ির সবাই বাথরুমের মেঝেতে জল ঢালার প্রয়োজন হলে তারপর "জল-ঠেলা" দিয়ে পরিস্কার করে দিতাম, দিনে একাধিকবার। তাই এটা এদেশে এসে নতুন অভ্যেস আমার অন্তত নয়, এবং আরো অনেকেরই নয়।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৭74900
  • লে হালুয়া আপনি বোধহয় আগের কমেণ্টগুলো পড়েননি। আমি দোঃখ সুখ কোনটাই পাইনি, যাঁরা স্বর্গরাজ্য ভাবছিলেন তাঁদের বললাম অতটাও স্বর্গরাজ্য নয়। আপনি কথা বোঝেননি নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করছেন, শ্রী ম?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৮74901
  • আমেরিকা ভারি সুন্দর দেশ, পকেটে পয়সা থাকলে।
    ভারতও তাই, ব্রেজিল কিংবা জার্মানি বা উগান্ডাও।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৯74903
  • Exactly my point lcm!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৯74902
  • আর দেশে হাত ঢাল করে বেরোতে হয় এবং এখানে হয় না, কারণ দেশের বস্তাপচা মালেরা এখানে এসে একটু গুটিয়ে থাকে, আর এখানকার লোক এবিষয়ে তুলনায় ভদ্র, আমেরিকার সমালোচনা করাটা আমার উদ্দেশ্য ছিলো না!
  • | 183.17.193.253 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৩74904
  • যদি না বুঝে থাকি বুঝিয়ে দিলেই হয়। 'ভান' অনেক কঠিন শব্দ। বল্লে মনে হবে, আপনার বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত না হলে আপনি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৬74906
  • এটুকু না লিখে গেলে মহাপাপ হবে - হাগজ সংক্রান্ত আলোচনাটি অতি নির্মল হচ্ছে ঃ-))
  • | 183.17.193.253 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৬74905
  • ও আচ্ছা। তাহলে আপনার যুক্তি অনুসারে বস্তাপচা মালেরা গুটিয়ে থাকায় আপাতত বুক রেহাই পাচ্ছে- তাহলে তো নিরাপত্তার প্রশ্নে আমার আর আমার মেয়ের জন্যে এটি একটি সুবিধেজনক দেশ।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৭74907
  • তবে কি এবার ধরো পকেটে পয়্সা আছে। ধরো মিড্‌ল ক্লাস। লাইফস্টাইল একটু ইজি - এই আর কি।
  • aranya | 154.160.226.93 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩১74908
  • আমি ঈশান-কে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছি।
    নিয়ে অব্দি বড় মনোকষ্টে আছি - বাঙাল ও এনারাই হিসাবে :-(
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩২74909
  • অ্যামেরিকা ভালো লাগার একটা বড় কারন হল ওখানে একদম একা একা বেড়াতে যেতে পারি। মেয়ে হওয়ার জন্য কোন অসুবিধেতে পড়ি না। দেশে এটা করার কথা চিন্তা করতে পারি না। দেশে এইরকম একা মেয়ে ট্র্যাভেলারের খোঁজ পেলেই ধারনা সংশোধন করে নেব। বিজনেস ট্রিপ হলে চলবে না কিন্তু। ট্র্যাভেল এজেন্সিও চলবে না। সাধারন একটি মেয়ে একটু ঘুরতে চাইছে। আর কোন পরিচয় নেই। ব্যাস!
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৫74911
  • আরে আমিই তো ব্যাকপ্যাক নিয়ে একা একা ঘুরি, ঘুরেছি।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৫74910
  • মানতে পারলামনা। যে টাকায়, মানে যে ইনকাম গ্রুপে থেকে এখানে যা লাইফস্টাইল উপভোগ করি, দেশে তা পারবনা।

    তবে এ মধ্যবিত্তের কথা।

    নিশানের দেওয়া গ্রাফ দেখলাম। অনেকটা নুন লাগবে, কারণ আমাদের দেশে সেক্সুয়াল এসল্ট রিপোর্টিং অনেক কম। এখানে Frottage রেপ না হলেও সেক্সুয়াল এসল্ট, ধরা পড়লে ও প্রমান হলে জেল/ফাইন/কাউন্সেলিং অনেক কিছুই হতে পারে, দেশে এ ধারা থাকলে প্রায় সব বাড়ির একজন করে পুরুষমানুষ অভিযুক্ত হবে।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৮74912
  • হুচি, চটপট সংশোধন করে নাও!
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৯74913
  • মানে দেশে বিদেশে সর্বত্রই।

    তবে ম যেটা বলল, বিদেশে ঐ নিজের নারীদেহটি নিয়ে সর্বদা অ্যান্টেলা অন রেখে সতর্ক হয়ে চলতে হয় না। দেশে হিমালয়ের বেশ খানিকটা ওপরে না যাওয়া পর্যন্ত ঐ সদাসতর্ক মোডে থাকতে হয়।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪১74915
  • ভাগী, ইজি বলতে, আমেরিকায় ইজি বলেছি।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪১74914
  • *অ্যান্টেনা

    তেমনি আবার আম্রিকায় বিশেষ করের পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টের সুবিধে বিশেষ নেই বলে দেশটাকে আমার একেবারে ভাল্লাগেনি। তুলনায় ইউরোপ অন্নেক ভাল। ভারতও তাই।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪২74916
  • ইউরোপ এক্সপেন্‌সিভ, আমেরিকা তুলনায় শস্তা
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৪74918
  • দমুদি বড় শহরগুলোতে আছে। ছোট শহরে মনে হয় খরচা পোষায়না। তাছাড়া ওই যে ইন্দিপিন্দী!
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৪74917
  • তাই? তাহলে হাম ভি করেগা। একা একা টইটই করার মত সুখ কিছুতে নেই। কিন্তু দেশে সবাই বারন করে। আর নিজেও যে কবার বাধ্য হয়ে করেছি অভিজ্ঞতা ভালো না। অবশ্য তখন বয়েস কম ছিল। ঐ যে দমদি যেটা লিখল - আত্মরক্ষার চিন্তায় এমন বিভোর ছিলাম যে পথের আনন্দ প্রাণ খুলে উপভোগ করতে পারিনি।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৮74919
  • হ্যাঁ, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাবটা অ্যামেরিকার একটা বড় নেগেটিভ পয়েন্ট। তবে এলসিয়েমদার কথা ঠিক - অ্যামেরিকা অনেক সস্তা। মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা সহজ।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৯74920
  • ইকি তুমি জানতে না? প্রথমবার সেই ১৯৯৮ সালে কুন্ডু স্পেশ্যালের সাথে গেছিলাম। ব্যাস! সেই প্রথম ও শেষ। তারপর থেকে একা একাই।
    দিল্লী গুরগাঁও থাকতে আমার একটা ব্যাগ রেডি থাকত সবসময়। অনেক উইকেন্ডেই বা এমনকি শুক্রবারেও বসকে 'একটু বেড়াতে যাচ্ছি' এসেমেস করে দিয়ে বাস ধরে হরিদ্বার বা উখীমঠ কোথাও একটা চলে গেছি। সেখান থেকে ট্রেকার বা বাসে চেপে ছোটখাট কোনও জায়গা।

    ব্যাপ্পক লাগে।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৫২74922
  • আমি একবারও বলিনি দেশে সমস্যা নেই। আলবাৎ আছে। এবং আমি মনে করি, সে সমস্যার দায় আমারও, তাই বিদেশে বসে দেশে কি খারাপ সেই নিয়ে আমি আলোচনা করবো না, দরকারে দেশে ফিরে যদি কিছু করে উঠতে পারি তারপরই বলবো।

    সবাইকেই সামাজিক ভাবে দায়িত্ব নিতে হবে এমনটা নয়, যার যার নিজের জীবন নিজের ব্যপার, আমি লিখলেও তো সবাই পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে যাবে না। কিন্তু বিদেশে অ্যাত্ত সুবিধা আর দেশে এই দেশে ওই বললে কানে লাগে।

    তার চেয়েও বাজে লাগে কাঁদুনি।

    আমি একটা দূর্গাপূজা দেখে লিখিনি, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি বিলেত ফেরত আত্মীয়দের দর বাড়া এবং ব্যবহার, নিজের কানে বন্ধুর মার্কিন প্রবাসী আত্মীয় দের বলতে শুনেছি "ও ছাত্র ওরা তো ভিখিরির মত থাকে"। আমার পাড়ায় আমার মার্কিন বাসের পর সম্মান বৃদ্ধি দেখেছি, আমি যা লিখেছি তা এসবের সাবসেট মাত্র।

    মূল সমস্যা জাতীয় হীনমন্যতা। যা পরাধীনতার ফল।

    আর ম' আমি অসহিষ্ণু হইনি, আপনার কথাটা এতটাই অযৌক্তিক ঠেকলো তাই বললুম।

    অবশ্যই আপনার মেয়ের জন্য ভালো দেশ, অস্বীকার করছি না, কিন্তু আমার ভেবে লাভ কি? আপনি তো আর আমাকে জামাই করবেন না।

    সেক্ষেত্রে আমি ভাববো আমার দিদি বোন ভাইঝি দের নিয়ে যারা দেশে রয়েছে, এবং তাদের সুবিধাকল্পে আমি এখানে যা শিখলাম তা যদি দেশে কিছুটাও নিয়ে যেতে পারি আপনার মেয়ের মত আরো দশটা মেয়ে নির্ভয়ে ঘুরতে পারবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন