এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার পূজো

    Nishan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮১৩৬ বার পঠিত
  • যেকোন দ্রব্যের আগে বিলিতি জুড়ে দিলে তার গুণ রীতিমত লোপ পায়, এ জিনিস বহুকাল যাবৎ চলে আসছে ! যেমন ধরা যাক বিলিতি বেগুন, আপনি পড়ছেন আর ভাবছেন এ বোধহয় আমেরিকার ফলন্ত ঝুলন্ত বেগুন, কিন্তু না! বিলিতি বেগুন হোলো টমেটো, পুরুলিয়ার দিকে আবার অনেকে টমেটোকে বলেন বিলিতি আমড়া। তাহলেই দেখুন, কেবল মাত্র বিলিতির গুণে বেগুনের বেগুনত্ব আর আমড়ার আমড়াগাছি লোপ পেয়ে কেমন একই রকম লালচে টমেটোয় পরিণত হোলো।
    তেমনই বিলিতি পূজোও একটি দুর্ঘট বস্তু বিশেষ, যা না বিলিতি না পূজো!
    বিলিতি বাঙালীও তাই, না বাঙালী না বিলিতি। এঁদের মূলতঃ দু একটি বিলিতি বন্ধু থাকে, আন্তর্জাতিকতার জন্য, বাকি এঁরা নিজেদের বৃত্তেই ঘুরঘুরে পোকার মত ঘুরঘুর করেন। তার মধ্যে কিছু আবার সুনীল গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণা, অতএব হাফ বিলিতি ধারায় স্ত্রী শয়ান দেন পরপুরুষের সাথে আর সেই অজুহাতে সোয়ামী কচি মেয়ে পেলেই কচলে হাতের সুখ করে নেন। কিন্তু রসুনের মতই মাথা আলাদা হলেও পশ্চাদ্দেশ আবিষ্ট যুগযুগান্তব্যাপী সংস্কারে, বাজারে কেচ্ছার ভয়ও আছে, অতএব বিবাহটি বজায় থাকে, আর ঐখানেই বিলিতিয়ানার শেষ। বদহজম আর কাকে বলে!
    এঁরা প্রতি সন্ধেয় প্রায় হুইস্কি বা ওয়াইন সহযোগে দেশের জন্য মড়াকান্না কেঁদে থাকেন, ফিরতে যদিও কেউ আটকাচ্ছে না, তবু নানা কাঁদুনি। অধিকাংশের এটা স্বীকার করার সৎসাহস পর্যন্ত নেই যে তাঁদের এখানে দিব্যি লাগে। দোষটাই বা কি তাতে? কিন্তু না, তাঁরা না কাঁদলে গঙ্গার জল কমে যাবে না, তাই বিদেশে বসে এঁরা নিরন্তর গঙ্গায় অশ্রু সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। আর দেশীয় রাজনীতির দুর্দশা নিয়ে টেবিলে তুফান তোলেন।
    মাঝে মাঝে দেশে গিয়ে এঁরা চাদ্দিক আলো করেন, এবং অভাগা আত্মীয়স্বজনকে বুঝিয়েই ছাড়েন বিলেতে কি হারে সুবিধা আমের মত গাছে ঝোলে আর "ইণ্ডিয়া কি ডার্টি বাবারেএএএ বাবারে, আর পারিনে!"
    গেলবার দিল্লী এয়ারপোর্টে বাঙালী বরের বিলিতি বউ দেখেছিলাম, বউ আমার সাথে বাংলায় কথা বললো দিব্যি, দাদা কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর বাংলায় আর শব্দক্ষয় করেননি, পাঞ্জাবী পাজামা ছেড়ে প্লেনের বাথরুম থেকে যখন বেরুলেন জিম করবেট মার্কা হাফপ্যাণ্ট পরে, কোন শালায় বলে বাঙালী সাহেব হতে শেকেনি!
    এঁরা শিখলেন না কাজের লোকের সাথে সমান ব্যবহার করতে, আমার মত ছাত্তরকে দেখলেই যাঁদের নাক হাফ কুঁচকে আসে কাজের লোকের প্রতি তাঁদের মহিমাময় ব্যবহার কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
    যাইহোক কতিপয় বন্ধুবর্গের নিরতিশয় অনুরোধে আমার দ্বিতীয়বার বিলিতি পূজোর আমড়াগাছি দেখার সুযোগ হোলো, আগেই বলেছিলাম তাঁদের, যে এ অতি দুষ্পাচ্য দ্রব্য, কিন্তু গরীবের কথা বাসি হলে ফলে, তাই তাঁরা গেলেন, ঢুকলেন, তিতিবিরক্ত হয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে এলেন।
    এখন শরৎকাল, ইংরাজমতে আটাম, যদিও মার্কিন দেশে 'ফল' কথাটা চলে, এবং গাছের পাতা সব ফাঁকা হয়ে যায় বলে ঐটেই আমার লাগসই লাগে, তবু বাটামের সাথে মিলের জন্য আটামটাই আমার পছন্দ। প্রকৃতি, শীতের কামড়টুকু বাদ দিলে সেজেছেন পরমা রূপে, প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলার মত গাছের পাতায় উঁকি দিচ্ছে হলুদ-লাল আগুন। নাঃ বঙ্গপ্রকৃতির মাধুর্য নেই বটে, কিন্তু এ অনন্য সৌন্দর্য অস্বীকার করি কি করে? কি অসামান্যা তিনি, তাঁর রূপে দশদিশ আলোকিত হোক।
    এমন শরৎ দিনে, গাড়ি চড়ে বেরোলাম পূজা সন্দর্শনে, ভালো কথা। পথের চাদ্দিক দেখি আর কেমন যেন নেশা লাগে, নেশার মত আশ্লেষে জড়িয়ে ধরতে চায় গাছের সবকটি পাতা, সবকটি ডাল, সবকয়টি গুল্ম যেন শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ডাকছে হাতছানি দিয়ে।
    সে যা হোক, সেসব পার করে অবশেষে উপনীত হলাম পথের উপান্তে, একটি হাইস্কুলের সামনে। (নামটা নাই বা বললাম, হরে দরে সবই এক)।
    ভিতরে ঢুকতেই দেখি, একটি টেবিলে হত্তা কত্তা বিধাতা তিনজন বসে আছেন, তাঁদের একজন আমরা কেবল প্রতিমা দর্শন করবো জেনে বললেন "১০ টাকা করে দিয়ে দিন তাহলে"। এখন মনে হচ্ছে ঐ টাকায় দু প্যাকেট রফিকির চিকেন ওভার রাইস হয়ে যেতো, অতি উপাদেয়। যা হোক দিয়ে তো ঢুকলুম, কিন্তু ঠিক ঢোকার সময়েই, যিনি আমাদের চাঁদা সংগ্রহ করছিলেন তাঁর সামনে এসে এক কাকিমা গোছের ভদ্রমহিলা এসে ইংরাজীতে কিসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলেন, আমার মন আনন্দে চনমন করে উঠলো, ভাবলাম বাঙালী প্রাদেশিকতা ছেড়ে বোধহয় আধুনিক হচ্ছে। কিন্তু সে মোলাসেস এ স্যাণ্ড! কতিপয় মুহূর্ত পরে তাঁর বিলিতি উচ্চারণের সুশীল বাংলা শুনে আমার উৎসাহ নেমে গেলো ফুস করে!
    তার প্রভাবেই বোধকরি, আমাদের চাঁদাকত্তা কাকু ফস করে মোড সুইচ করে চলে গেছেন ইঞ্জিরিতে, আমার দুবার বাংলা গলাখাঁকারিতেও কাজ হোলো না, অতএব সাধু সাবধান। চলো প্রতিমা সন্দর্শনে, আনন্দবাজারে পড়েছো, কুমোরটুলির হেববি উপকার হয় এসবে, তাও তুমি জানো, অতএব ভজ মন দুর্গানাম।
    ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ, উৎসবের দিন সাজগোজ না করলেই নয়, অতএব পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবীর ধাঁধায় চোখে তালা লেগে গেলো, ভাবতুম বিলিতিরা বোধহয় ভালোভাবে বুড়োতে জানে না, কিন্তু ঠাকুমাদের গালে লালচে আভা দেখে সে ভ্রম আমার দূরীভুত হোলো। স্থান কাল পাত্র নির্বিশেষে যে উটকো লোক থেকেই থাকে এই বিশ্বাসে স্থির হলাম অবশেষে।যে সমস্ত ফ্যাসান বঙ্গভূমে পাঁচ বছর আগে উপে গেছে তাদের নব আবির্ভাব। কিছু ব্লাউজ দেখে ভাবলুম বোধকরি প্রাচীন আদিবাসী সংস্কৃতি ফিরে আসছে, ওষ্ঠরঞ্জনী, গণ্ডরঞ্জনীতে সে ভুল গেলো ভেঙে।
    সাথে পাঞ্জাবী বন্ধু, সে পাছে ভাবে দুর্গাপূজার উৎস ও উদ্দেশ্য বাণিজ্যমেলা, তাই প্রাণপণে বোঝাতে শুরু করলাম কি কেন এবং কিভাবে দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসব থেকে বঙ্গীয় আবেগে পরিণত হয়েছে।
    ভুল পথে চলে পৌঁছে গেছিলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘরে, সেখানে ২৫ টাকা লাগতো, যাহোক যে কাকু সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি জানালেন তিনি বঙ্গভাষণে অপারগ, কি দুঃখের কথা! তিনি জানালেন হস্তবন্ধনী (যার দাম ২৫টাকা) ব্যতিরেকে প্রবেশ নিষেধ, উল্টোপথে হাঁটা দিলুম ফের।
    করিডোরের ভিতরে হট্টগোল, একদিকে ললনারা শাড়ি জামা গয়না কিনছেন আর অন্যদিকে সুনীল গাঙ্গুলীর কিছু মধ্যমানের বই, বাঙালনামা ইত্যাদি বিক্কিরি হচ্ছে. শুনতে পেলুম "বাঙালনামাটা পড়েছিস? ব্যপক বই" (ভাগ্যিস ভারতবর্ষে রাত, নইলে তপনবাবু নিশ্চিৎ হেঁচকি তুলতেন)
    সেসব কাটিয়ে ঢুকলাম প্রতিমা দর্শনে, ভিড়ে ভিড়াক্কার, আর কত রকমেরই চোখ দেখলুম, লাল নীল সবুজ বেগুনী রামধনু, সাথে টিসু পেপার থাকলে সৌন্দর্যের ভারী বিপদ, রঙের চলটা উঠে গেলেই কেলোর কীর্তি, সাড়ে সর্বনাশ। যাকগে সে আমার বিচার্য বিষয় নয়।
    তদুপরি ফেসবুক জমানায় পূজোয় গেলেই হয়না, একদিনের যে বাঙালীয়ানা উদযাপন, তা লোককে না জানালে হবে কেমন করে? কাজেই ফটো তোলার ঘনঘটায় গগন অন্ধকার, জনতার ফাঁকে ফাঁকে দুর্গামাতার রূপের ঝলক দেখাগেলো।
    তবে কিনা অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করবেই, বাঙালীয়ানার তালেগোলেও সেই চড়চড়ে অবস্থা!
    অতএব প্রবল ভিড়, পূজো না মেলা না মোচ্ছব বুঝতে বুঝতেই বন্ধুদের হাঁফ ধরে এলো, আমরাও বেরিয়ে এলাম।
    বাইরে আদিগন্ত সবুজ, বিকেলের রাঙা রোদ পড়েছে তেরচা হয়ে মাঠের কোণায়। হঠাৎ মনে হোলো এর আনন্দই বা কম কি?
    মৃত্যুধূপে আগুন জ্বালিয়ে ফুসফুসের শ্রাদ্ধ করলাম কিছুক্ষণ তারপর বাঙালী সুখাদ্যের আশায় পাড়ি দিলাম ক্যালকাটা অ্যাফেয়ার বলে এক রেস্তোরাঁর উদ্দেশ্যে!
    পথ বেশি না, মাইল পাঁচেক। রাস্তা ওয়ালপেপারের মত, ফোয়ারা, আর লাল হলুদ পাতা, তাই যাবার পথে শুঁড়িপথ নিলাম অষ্টাদশ শতকের এক চার্চের দিকে। চার্চের সামনে পৌঁছে দেখি, ওমা একি, সামনের মাঠে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে। হরিণী চোখ তুলে চাইলে আমার দিকে, গাড়ি থেকে নামলাম, নিশ্চল মুর্তির মত, নিরন্তর মৃত্যুর মত হরিণী তখনো তাকিয়ে আমার দিকে, তার ঘাস খাওয়া শেষ, আর ঠিক যে মুহূর্তে আমি ভাবতে শুরু করেছি জ্যান্ত তো, একলাফে বাদামী বিদ্যুতের মত সে হারিয়ে গেলো হলুদ বনে, বোধহয় তার নাকচাবি গেছে হারিয়ে। চাদ্দিক শুনশান, কেউ কোথাও নেই, আর বাতাসে হিমেল পরশ, তাই বিশেষ কালক্ষেপ না করেই আবার উঠলাম গাড়িতে।
    মাইল তিনেক দূরেই রেস্তোরাঁ, সামনে ইলেক্ট্রিকের তারে আটকে দ্বাদশীর চাঁদ, এদেশে চাঁদ কেমন হলদে রঙের হয়। আর যখন ওঠে তাকিয়ে থাকলে কেমন ঘোর লেগে যায়। মনে হয় হেথা নয় হেথা নয় অন্য কোন কথা। মনে হয় এই সব মেকী, সব রঙের চলটা, সাদা বাদামী হলদে মানুষের ভিড় এসব কিচ্ছু নয়, এই চাঁদে লাল মানুষের বর্শা হাতে ছুটে যাবার কয়া বাদামী ঘোড়ায় চড়ে, তার বর্শা চকচক করুক হলদে চাঁদের আলোয়, আর তার বর্শা দেখুক রক্ত, হলদে আলোয় বাদামী রক্ত ঝরে যাক পাথুরে মাটিতে, আর তৃপ্ত হোক এই বন্য মৃত্তিকা।
    যাহোক, ২০১৪য় দিবাস্বপ্নের আয়ু মিনিট কয়েক, বুফে খেতে ঢুকলুম রেস্তোঁরায়। তখনও ফাঁকা ছিলো, দুটি মার্কিন পরিবার, একটি ভারতীয় গ্রুপ যার দুজন অবাঙালী। ওয়েটার পূর্ব ইউরোপীয়, ভারী অমায়িক লোক। বোধহয় পূজোর কদিন ভিড়ভাট্টা বেশি হচ্ছে, অনভ্যেসের দরূণ তিনি হাঁসফাঁস করছেন তখনো।
    কিন্তু সাধু সাবধান, কিছুক্ষণের মধ্যেই জনা দশেকের একটি বাঙালী গ্রুপ এবং জনা চারেকের আরেক বাঙালী পরিবার এসে বসলেন আমাদের সামনে। সেই একই মেকী- আনা, কিছু ওয়াইন আল্ট্রা আঁতলামি এবং চামচে দিয়ে ডালভাত খাওয়া। সামনের দশজনের দলের কথায় বুঝলুম এঁদের রাত হয় না, night হয়, আর "kids দের ওদিকে পাঠিয়ে দিলে Adults রা এদিকে বসতে পারে, degeneracy কমে" অহো বাহ্য, পাশের টেবিলে দেখি আরেক কেলোর কীর্তি। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা এসেছেন, তিনিই আমার সেদিনের বাঙলা। পায়ে তাঁর চটি, পরণে সবুজ শাড়ি, বোধহয় পাশের টেবিলের বঙ্গসাহেবের মা। প্রসঙ্গতঃ শহুরে ভারতীয় বিদেশে গেলে মা এর মূলতঃ আমদানি ঘটে সন্তানলাভ হলে, এদেশে আয়া রাখা অতীব খরচসাপেক্ষ। ইউরোপীয় সভ্যতা এদেশে পৌঁছতে এখনো বছর পঞ্চাশেক দেরী আছে।
    মহিলা বড়ই উসখুস করছেন, করারই কথা, আমরাই করছি। কিন্তু আমাদের বয়েস কম, হজমশক্তি বেশী।
    চামচে দিয়ে খেতে গিয়ে তাঁর নাজেহাল দশা, হাত দিয়ে শুরু করার মুহূর্তেই ছেলের কটমট দৃষ্টিপাতে আবার চামচে। হে ধরণী দ্বিধা হও!
    অখাদ্য কিছু পাঁটার মাংস, আর গোয়ানীজ চিঙড়ির ঝোল খেয়ে এমনিতেই মেজাজ খিঁচড়ে দোদমা, তায় এসব নাটক দেখে ভারী বিষাদ নেমে এলো হলদে বাল্বের আলোয়। আমরা বেরোলাম বাড়ির পথে। মাঝে হায়দার দেখার কথা নিউপোর্ট মলে।
    এবারেই চমক, ভারতীয় সভ্যতার চমক। বাঙালী সদা হীনমন্যতায় ভোগে, প্রাণপণে মুছে ফেলতে চায় আত্মপরিচয়! যে সাহেবরা মলত্যাগের পর কাগজ দিয়ে পশ্চাদ্দেশ মোছে, কিন্তু প্রস্রাবের পর হাতধোয়ার ঘনঘটায় পৃথিবীর জলসঙ্কট ঘটিয়ে ফেলে তাদের নকলে বাঙালীও নানা জিনিস রপ্ত করতে থাকে, আরো একটু বাড়ালে, একা বাঙালী কেন, ভারতীয় মাত্রেরই এই ঔপনিবেশিক দাস মনোবৃত্তি আছে। কিন্তু পার্মানেণ্ট মার্কারের কালি তোলা কি অতই সহজ? তাই যেখানেই ভারতীয় সেখানেই ক্যাঁচাল। এঁরা বাঙলা হিন্দী বলেন বিলিতি টানে, ইংরিজিটা ঠিক কিসের টান তা বোঝার সাধ্য আমার কেন? ঈশ্বরের বাবারও নেই। বাঙলা বলার ফাঁকে ফাঁকে প্রতিশব্দ হাতড়াতে হয়। অবশ্য খোদ পশ্চিমবঙ্গেই আজকাল ইংরিজি জানার চেয়ে বাঙলা না জানার গরিমা বেশি। মা মেয়েকে বলেন "দেখো দেখো night এ কত star আকাশে" "ঐ দেখো বাবু, tiger" "আজ ঐ green জামাটা পরে যেও কিন্তু"। বাড়িতে অতিথি এলে বাঙালী বাচ্চা আজকাল ছড়ার বদলে rhyme বলে। দেশোদ্ধার হচ্ছে সন্দেহ কি?
    নিউপোর্ট মলের সিনেমায় ঈদ ও দুগগোপূজোর ডবল ধামাকায় তখন ত্রাহি মধুসূদন দশা। অতএব বাথরুমেও তার ব্যতিক্রম না। অন্য সব দিন যে মলের বাথরুম ঝকঝক করে, তার ক্লোজেটে ক্লোজেটে গু ভেসে বেড়াচ্ছে, এবং জায়গাটা চেন্নাইয়ের সিএমবিটি বাসস্ট্যাণ্ডের বাথরুমের চেয়েও নারকীয় আকার ধারণ করেছে! জাতের গুণ যাবে কোথায়!
    যাইহোক হায়দার আর দেখা হোলো না, হাউসফুল, রাত ১১টা অব্দি ভয়ানক বাজে ভূতের সিনেমা দেখে নিউ ইয়র্কের রাস্তা ধরলাম।
    আর সেই রাতেই আমার পূজো, রাত দেড়টার "এল" ট্রেনে আমার সম্মুখবর্তিনী, সাদা টি শার্ট আর মেক আপ ছাড়া কবিতার মত বসে রইলো। হাই তুলতে যখন মুখ হাঁ করে আলতো সরালো, দেখি পেছনের পোস্টারে লেখা "poetry in motion", সে কোথায় নামলো, কি করে, কি খায় কোথায় থাকে আমার কিচ্ছু জানার নেই, শুধু রেখে দিলাম গতিময় কবিতার স্থবির স্মৃতিটিকে, এবারের পূজোর ছবি বলে।
    যাইহোক এই আমার পূজো, শেষে একটাই কথা, দুধের সাধ ঘোলে মেটাবেন সেও ভি আচ্ছা, কিন্তু না ঘরকা না ঘাটকা চুল্লু দিয়ে মেটালে চোঁয়াঢেকুর ও বদহজমের, এবং শেষে বমণের প্রবল আশঙ্কা!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ অক্টোবর ২০১৪ | ২৮১৩৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ২১৮ - Nishan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১৩75008
  • প্রসঙ্গতঃ ফ্লাশিঙে একবার আমাকে এক দামড়া বুড়ো কু প্রস্তাব দিয়েছিলো, ঘটনাচক্রে আমি সেদিন গোলাপী জামা পরেছিলাম, তারপর থেকেই বাদ দিয়েছি।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:২৪75009
  • স্বাস্থ্যে বাঁদরামোর একটা নমুনা দিয়ে যাই। আমার মাতৃস্থানীয়া চতুর্থীর দিন ভারত-বিখ্যাত ডাক্তারের কাছে গেলেন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ে। তিনমাস আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়েছিল। ডাক্তার চারমাসের ওষুধ লিখে দিলেন। ওষুধ শুরু করার দেড়দিনের মধ্যে সাইড এফেক্ট শুরু হল। মাথা ঘোরা, বমি, অরুচি, এক ঘর থেকে অন্য ঘরে হেঁটে যাওয়ার শক্তি নেই। ডাক্তারকে ফোনে পাওয়া গেল না। ইনি ফোনে বিশ্বাসী নন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়েছিল ইমেল করে। এবং প্রথম ইমেলটি সন্ধ্যে সাতটার পরে করার পর জবাব এসেছিল দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে ইমেল না করলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাবে না। ইমেল কেন একটা বিশেষ সময়ে করতে হবে তার কারন আমরা বুঝিনি। অবশ্য দেশের কোন পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু বোঝার চেষ্টা করা আমরা অনেকদিনই ছেড়ে দিয়েছি। যাই হোক, রোগীর কথায় ফিরে আসি। ডাক্তারবাবুকে ফোনে না পেয়ে মেল করা হল। কি ভাগ্য উত্তর দিলেন। আজ অর্থাৎ লক্ষ্মী পুজোর দুদিন পর দেখা করতে বলেছেন। এর মধ্যে ওষুধ বন্ধ। ইতিমধ্যে যে ক্লিনিকে দেখানোর কথা সেখানে খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা বলেছেন ডাক্তারববু তো বাইরে গেছেন, ২৭ তারিখের আগে ফিরবেন না। আজ গিয়ে আদৌ দেখা পাওয়া যাবে কিনা আমরা জানি না। ডাক্তারকে আবারও মেল করা হয়েছিল। কোন উত্তর আসেনি। রোগীর অবস্থা একই রকম খারাপ। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩২75010
  • আরো একটা বাঁদরামোর কথা বলি। এবার রোগী আমার মা। ঘটনাস্থল দক্ষিণভারতের একটি বিখ্যাত হাসপাতাল। ইনিও আর্থ্রাইটিসের রুগী। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেন না। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা বাইরের কোন টেস্ট রিপোর্ট নেন না। অতএব কলকাতা থেকে যা যা করানো হয়েছিল সব বাতিল। নতুন করে টেস্ট করাতে হবে। টেস্ট সেন্টার থিকথিক করছে মানুষের ভীড়ে। আগে থেকে জানার কোন ব্যাপার নেই কখন টেস্টের সুযোগ মিলবে। অসুস্থ রুগীকে আরো হাজারো অসুস্থের সাথে সাত ঘন্টা অপেক্ষা করতে হল একটা ঘরে। হ্যাঁ, সাত ঘন্টা। রুগী দাঁড়াতে পারেন না। বসে ছিলেন। তাঁর বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধ সঙ্গী সাতঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন একটা টেস্টের জন্য।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩৫75011
  • আমি একটা উদাহরণ দিই, গত শীতে আমার তৎকালীন প্রেমিকা অসুস্থ হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর দরকার হোলো হঠাৎ। যাকেই ফোন করি সেই বলে দু হপ্তার আগে appo নেই, অতএব জনমত নিয়ে এল্মহার্স্ট হাসপাতালের আউটডোরে পৌঁছালাম। নানাবিধ পদ্ধতি, প্রথমে নাম লেখাও, তারপর, বিলিঙে গিযে আরেকবার নাম লেখাও, তারপর ডাক এলে আবার যাও ইন্সিওরেন্সের হ্যাপা বাতাও, তারপর এক নার্স প্রাথমিক পরীক্ষা করবে, তারপর ভিতরে ডাকবে, সেখানে আরেকজন নার্স দেখবে, তারপর এক্স রে হবে তারপর আরো দশটা টেস্ট হবে, তারপর ঐ নার্সই ওষুধ দেবে।

    সব তারপর গুলো গড়ে আধঘণ্টার উপর, এবং জিজ্ঞেস করলে কোন estimate দেয়না, ফলে বাইরে গিয়ে খেয়েদেয়ে আসবো তার উপায় নেই।

    ফল? হাসপাতালে ঢুকেছিলাম দুপুর ২:৩০টায় বেরোলাম রাত ১২:৩০!!!

    সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে।

    এতেই শেষ নয়, যে ওষুধ দিলো সে ওষুধ খাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বমি, এবং জনৈক ডাক্তার বন্ধু জানালেন অবিলম্বে বন্ধ করো ওষুধ। দীর্ঘ সেবা শুশ্রুষায় সেরে উঠলো। সর্দিজ্বর সাথে ভাইরাল।

    এতেই শেষ নয় কিন্তু, আমার কোম্পানী আরো দিচ্ছে, একমাস পরে যে বিলটা পৌঁছালো সেটা $৯২৫ এর, এবার ইন্সিওরেন্স কোম্পানীর সাথে আমড়াগাছি করো'গে যাও!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩৬75012
  • ১০>৭
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪১75013
  • ভারতবর্ষে ইউরোপের মত সুচারু কর বযবস্থা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং ৯১১ জাতীয় জিনিসের আশু প্রয়োজন।
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৪75014
  • পার্সোনাল জিপি ছিল না? তিনিও সময় দিলেন না? বড় শহরে তার মানে হঠাৎ অসুস্থ হলে ইমার্জেন্সি ছাড়া গতি নেই!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫৮75015
  • আমি সাধারণতঃ অসুস্থ হইনা, সেজন্য এর আগে ডাক্তার দেখাতে হয়নি, প্রেমিকা শহরে থাকতো না, অতএব যখন অসুস্থ হোলো তখন ঐ ঢপের এমার্জেন্সী ছাড়া গতি ছিলো না।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০৩74881
  • কলোস্টমি ব্যাগ যাদের হাগু সাধ্য-সাধনার ব্যাপার তাদের জন্য খুব সুবিধের।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১০74882
  • পেছনে গুয়ের ব্যাগ নিয়ে সেক্স??? সাড়ে সর্বনাশ! আমি মোটে আগ্রহ বোধ করছি না। এমনকি হাগুজে হলেও আমি স্বচ্ছন্দ বোধ করবো না...
  • Ekak | 24.99.133.76 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৪74883
  • হ্যা এটা কমন কসমেটিক প্র্যাকটিস করে ফেললে কেমন হয় ? যেমন চুল কাটা । দিব্য হবে কিন্তু । রেস্তুরান্তে খেতে খেতে গপ্প করতে করতে হাগু পেলে উঠে যেতে হবেনা । আর ধরুন তার মধ্যেই ডিজিটাল হাগু-টেস্টিং কিট ও থাকলো । রেগুলার শরীর-স্বাস্থের আপডেট । ব্যাগ গুলো বেশ কালারফুল হবে ডিফারেন্ট ডিসাইন । একটা হাগু-ব্যাগ ফ্যাশন ও গ্রো করবে ।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৫74884
  • নিউ ইয়র্কের হোবোদের মধ্যে এই প্রথা বহুল প্রচলিত যদিও! এবং পরিবেশ বান্ধব হবার কারণে তাঁরা সেগুলি ডাস্টবিনেই ফেলেন। ব্যাটারি পার্কে একবার এর স্পেশাল সুবাসে আমাকে উঠে যেতে হয়েছিলো!
  • aranya | 154.160.226.93 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৫74885
  • নিশানের লেখার আমি ভক্ত, ওর ফ্রাস্টেশন-টাও বুঝতে পারছি। বিবিধ ঢ্যামনামি, হারামি-গিরি তো কম দেখলাম না।
    এ গুলো ব্যক্তি-মানুষ নির্ভর, দেশ-কাল নির্ভর নয় -এইটুকুই বলার।
    যাদের আচরণ খারাপ লেগেছে, তার ভারতবর্ষে বা পশ্চিম বাংলায় থাকলেও হয়ত একই কাজ করতেন।
  • Ekak | 24.99.133.76 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:১৬74886
  • আরে সেক্স এর সময় চশমা খুলে রাখেন না ? অস্বস্তি বোধ করলে খুলে রাখবেন । বা কেও রাখবেন না ।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০০75043
  • আমার ছেলেবেলাতেও এসব বোকা বোকা জিনিস ছিলো না। আর আমার এখনো গোলাপী জামা আছে, এবং ফ্লাশিঙের ঘটনায় ঈষৎ বিরক্তি এলেও ভেবে চিন্তে আবার পরতে শুরু করেছি। অন্য আঙ্গিক থেকে কেত মারবো :D
  • Abhyu | 106.32.179.69 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৩75044
  • আমি দিব্যি গোলাপী জামা পরি। একবারই শুধু দাঁতের ডাক্তারের সেক্রেটারি তার পাশের জনকে বলেছিল - কি সুন্দর জামা, আমার বর তো কোনো মতে পরবে না। - ব্যস ঐ পর্যন্তই। (অবশ্য আমার আমেরিকান দাদা খুব রাগ করে আর গাঁইয়া বলে, তবে তাকেও একবার বলেছিলাম তুই ফ্যাশানের জানিসই বা কি, জামাটা র‌্যাল্ফ লরেনবাবুর)

    তবে এটাও মানতে হবে অ্যাকাডেমিয়ায় যা চলে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে সেটা চলবে না সবসময়।
  • Abhyu | 106.32.179.69 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৬75045
  • আকার বড়ো ছেলে খুব ভালো ছবি আঁকে আর ওর বন্ধুরা নাকি বলত - এমা মেয়েদের মত ছবি আঁকে - তা আমি রিমিদিকে বলেছিলাম ছেলেকে শেখাতে, যখনই কেউ টিনটিনকে বুলি করতে আসবে, তখনই বলবে, একটা বিখ্যাত মেয়ে পেন্টারের নাম কর তো!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৫75036
  • অন্যান্য আরেকটা অভিজ্ঞতার কথাও দুদিন আগেই লিখলাম, যেটা স্রেফ মজা, আপনি োড়লেন কি? এই সাইটেই আছে। আপনার যে সমস্ত আগ্রহ এই লেখাটাকে ঘিরেই সেটা আমার প্রতিভা না দুর্ভাগ্য কি হিসেবে নেবো তাই বুঝতে পারছি না। আমার কবিতাও আছে এই সাইটে, সেগুলোও পড়ে দেখুন, কারো নিন্দে পাবেন না!
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৭75037
  • গুচ্ছের জায়গায় অনেক বিশেষণ আছে , বা আমার কমেণ্টেও নানা কথা আছে যেগুলোতে স্পষ্ট সবাইকে আমি দাগাইও নি। আমার দাগানো লোকজনের মধ্যে আপনি পড়লে এবং দুঃখ পেয়ে থাকলে আমিও দুঃখিত :) এরপর থেকে লিখে দেবো নাহয় "এই লেখার সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক, বাস্তবের কোন চরিত্র বা ঘটনার সাথে মিল পেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়" :)
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৯75038
  • আমার আগের কমেন্টা টা অনেক-এর খারাপ লেগেছে। "দেশের মত ধর্ষকের দল এখানে ঘুরে বেড়ায় না"। Sorry । সত্তি বলতে আমারও ওভাবে বলা ঠিক হয় নি, তাড়াহুড়ো তে লিখতে গিয়ে ওটা লেখা হয়ে গেছে। নিজে অনেক দিন পরিবার নিয়ে Delhi তে কাটিয়েছি। ওখানে রাস্তা ঘাটে বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ যে ভাবে মেয়েদের ভোগান্তি করা হয়, বা হত, এখানে সেটা হয় না, এটুকুই যা বলার। নিজের তুতো-বোনেদের থেকে কলকাতার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর রোজকার যা গল্প শুনি, সেগুলোও খুব একটা বলার মত না। বাস, ট্রেন-এ এ সব যারা করে বেড়ায়, তারা কিন্তু বেশির ভাগ ভদ্রলোক এর মত দেখতে, ভেতরে যতোই জানোয়ার হোক না কেন। সমস্যা হলো বেশির ভাগ কেস এ মেয়েরা সহ্য করে নেয়, পুলিশ এর ভোগান্তি তে যেতে চায় না। যে একদন দুজন যায়, তাদের পরবর্তী অভিজ্ঞতা কেমন জানলে ভালো হত। Unsafe জায়গা এখানেও আছে, অনেক আছে, বাকি সব দেশেও আছে, তবু মনে হয় যে ভারত এর তুলনায় এখানে মেয়েরা কিছু টা হলেও নিরাপদে ঘোরাফেরা করতে পারে। রোজকার দিনগত পাপক্ষয় টা ভোগ করতে হয় না। ক্রাইম কোন দেশে নেই, মানুষ থাকবে আর ক্রাইম থাকবে না, তাহলে তো দুনিয়া স্বর্গ হয়ে যেত। কিন্তু ভালো পুলিশ সিস্টেম থাকলে ক্রিমিনাল-গুলো একটু হলেও ভয়ে ভয়ে থাকে। সেই ভয়-টা কি আমাদের দেশে আছে-?

    যাকগে, একদিন পরে খুলে দেখচি এখনো পাবলিক হাগজ নিয়ে পরে আছে। গু-বিশ্বকোষ টার কি হলো-?
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫০75039


  • we need reggae shark!
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১০75040
  • নীল ও গোলাপী নিয়ে কাল লিখতে চেয়েছিলাম।
    এইরকম কালার কোডিং করে দেওয়া বরাবরই ছিলো আছে।
    কয়েকটা ঘটনা বলি। আমি কলকাতার রাজাবাজার এলাকার ইস্কুলে পড়তাম। পাশেই মুসলমানদের পাড়া। যদিও আমাদের ইস্কুলে (হ্যাঁ গোটা ইস্কুলে) সে পাড়া থেকে মাত্র একজনই পড়তে আসত এবং সে আমাদের ক্লাসেই পড়ত। তখনই রং নিয়ে কিছু জিনিস শিখে ফেলি ক্লাসফ্রেন্ডদের কাছ থেকেই। একটা বিশেষ গোলাপী রং (আমার খুবই প্রিয় ছিলো রংটা) এবং উজ্জ্বল কচিকলাপাতা সবুজ - এই দুটো রংকে রাজাবাজারের মুসলমানী গোলাপী ও সবুজ নামে মনের মধ্যে দেগে দেওয়া হয়েছিলো। সেই সঙ্গে একটা ঘেন্না। ইশ্‌ ম্যাগো কি ক্যাঁটক্যাঁটে রং! এ বাবা রাজাবাজারের মত দেখাচ্ছে! এইরকমের মন্তব্য খুব কমন ছিলো। তখনো পোলিটিক্যালি কারেক্ট হতে শিখিনি, ধীরে ধীরে হয়েছি, রং দুটো এড়িয়েছি এবং ভাবখানা দেখিয়েছি যে ঐ রংদুটো নিয়ে আমার অ্যালার্জ্জি জাস্ট কাকতালীয়, এর মধ্যে কোনো রকমের সামাজিক কন্ডিশানিং নেই, এ আমার পসন্দ আপনা আপনা ব্যাপার। আমার অভ্যেস হতে থাকে "সোবার" কালারের জিনিস পোশাক পছন্দ করবার। কারণ অলরেডি আমার ভেতরে একটা লজ্জা ঢুকে গেছে - যদি ঐ গোলাপী রংটা আমার প্রিয় কেউ জেনে ফ্যালে, তবে সেটা খুব লজ্জার ব্যাপার হবে, আমার রঙের টেস্ট কি শেষমেশ রাজাবাজারের মুসলমানদের মতো হয়ে যাবে শেষকালে? ছি ছি, তবে তো কেউ আমাকে দলে নেবে না, একঘরে হয়ে লজ্জায় মাটিতে মিশে যাবো যে! তবে আজ সেকথা অকপটে বলতে দ্বিধা নেই যে আজো ঐ ক্যাঁটক্যাঁটে উজ্জ্বল গোলাপী রং সঙ্গে চকমকে জরি বা চুমকির কাজ করা একফালি কাপড়ের দিকে আমি এখনো লোভীর মতো চেয়ে থাকি, আমার খুব খুব প্রিয়। কিন্তু সেদিন বলতে পারি, ভয়ে লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে।

    আরেকটা ঘটনা এই কমাস আগের। ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়ে ফ্রান্সেস আমার চেয়ে এক বছরের বড়ো এবং সে আমার মেয়ের বন্ধু। ওরা দুজনে দোকানে গেছে কেনাকাটা করতে। ফ্রান্সেসের ছেলের বয়স ১০ কি ১১ তার জন্যে মোজা কিনবে সে। যে দোকানেই যায় বাচ্চা ছেলেদের জিনিসের ডিপার্টমেন্টে নীল থেকে আকাশির বিভিন্ন শেড, বাচ্চা মেয়েদের ডিপার্টমেন্ট যাবতীয় জিনিস গোলাপীর নানান শেড। দূর থেকে দেখলেই চেনা যাবে পুরো জায়গাটাই গোলাপী। সেখানে আবার অনেক ব্র্যান্ড ও জায়গা করে নিয়েছে, হ্যালো কিটি, ইত্যাদি। ফ্রান্সেস তার ছেলের জন্যে পছন্দমতো রং খুঁজে না পেয়ে বিরক্ত হয়ে ওঠে। টানা দু ঘন্টা ওরা ঘোরে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে, এত লম্বা সময় ধরে শপিং করা তার অভ্যেস নেই। শেষে তিতি বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেবার আগে ওদের মাথায় প্ল্যান খেলে যায়। বড়োদের ডিপার্টমেন্ট থেকে পছন্দের রংএর দুজোড়া মোজা পেয়ে যার, এক জোড়া মেয়েদের ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্যট জোড়া ছেলেদের ডিপার্টমেন্ট থেকে।
    এর পরে ফ্রান্সেসের মাথায় দুশ্চিন্তা খেলে যায়, ঐ মোজাগুলো পরলে ওর ছেলে আবার তার বন্ধুদের দ্বারা বুলীইড হবে নাতো? ছেলের ক্লাসমেটরা সকলে হয়ত অলরেডি কালার কোডে কন্ডিশন্ড হয়ে গিয়েছে।

    আরেকটা অবজারভেশন, এটা গতকালের। বাজার করতে বেরিয়ে বাসে ও লোকাল ট্রেনে প্র্যামসহ মায়েদের অবজার্ভ করছিলাম। প্র্যাম দেখলেই শিশুটির সেক্স জানা জাচ্ছিলো, বিশেষ করে মেয়ে শিশুউটির, ক্নোনোনা কোনো ভাবে প্র্যামের হাতলে বা পর্দায় বা ঢারনিতে বেবীপিঙ্কের ছোঁয়া। যে কেউ বলে দিতে পারবে প্র্যামের মধ্যে যে শিশুটি রয়েছে সে ছেলে শিশু না মেয়েশিশু। যদিও শিশুটি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে বা জেগে চেয়ে চেয়ে দেখছে বাইরের দুনিয়াআকে, সে তার সেক্স সম্বন্ধে কিছুই জানে না, তবু তাকে এখন থেকেই দাগিয়ে দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।
    ছোটো ছোটো বাচ্চাদেরো দেখলাম, বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চাদের, তারা ইতিমধ্যেই নিজেদের রং ব্যবহার করছে, ইচ্ছেয় কি অনিচ্ছেয় জানি না কারণ দোকানে তো সেরকম কোনো অপশন ই রাখেনি। মেয়ে বাচ্চা মানেই গোলাপী, ছেলে বাচ্চা নীল, কিন্তু ভুলক্রমেও গোলাপী নয়।

    আরেকটা বলি। কিছুবছর আগে আমাদের এক বস (ফ্রেঞ্চ ভদ্রলোক) কে জন্মদিনে কেউ একটা শার্ট প্রেজেন্ট করে (দাম টাম সব লীগ্যাল বাউন্ডারীর ভেতরেই, তাই ঘুষ নয়) শার্টটার রং আইসক্রীম পিঙ্ক। মানে খুব খুব হালকা গোলাপী, ভদ্রলোক খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। কে যেন টিটকিরি দিয়েছিলো, এই শার্ট পরলে ঠিক রিচার্ড কোয়েস্টের মতো দেখাবে। (রিচার্ড কোয়েস্ট একজন টিভি প্রেজেন্টার এবং তদ্দিনে ক্লোসেটের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন)। ভদ্রলোক উপহার ফিরিয়ে দেননি কিন্তু কোনোদিনো ঐ শার্ট পরেন নি।

    আরো কিছু মনে পড়লে পরে বলবো।
  • Nishan Chatterjee | 110.33.3.236 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৫৩75041
  • গোলাপী মেয়েদের রঙ আর নীল/কালো ছেলেদের এই stereotype মূলতঃ post WWII phenomenon, আগে এতটা ছিলো না, দিনে দিনে বেড়ে উঠছে।

    প্রথম observation টা দুর্দান্ত, রাণী কালারের কথা বললেন বোধহয়। সত্যিই না বুঝতেই কিরকম সব জিনিস মাথার মধ্যে ঢুকে যায়।

    মানুষের মধ্যে ভাগ করার প্রবণতা চরম বেশি, বোঝে না ভাগ করতে করতে একসময় গিয়ে কেবল আমি এবং আমি এবং আমিই পড়ে থাকে!
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:০৪75042
  • না- রাণী কালার নয়, অন্য একটা - নাম জানি না। ফ্লুয়োরেসেন্ট মার্কারে যেমন থাকে।

    আরেকটা ঘটনা, অন্তত ২৩ বছর আগে। আমার মেয়ে হয়েছে জেনে মা দেশ থেকে তার জন্যে ছোটো ছোটো জামা কাঁথা টুপি এ সমস্তর সেট পাঠিয়েছে। সবই আকাশী নীল। দোকানদার গোলাপী দিতে চেয়েছিলো মেয়ে হয়েছে জেনে কিন্তু ঠিক ঐ কোয়ালিটির জিনিসটায় তখন গোলাপীর স্টক শেষ, তাই তাড়াহুড়োয় আকাশী নীল পাঠাতে হয়েছে। অবশ্য যে দেশে তখন থাকতাম, সেখানে এসবের বিন্দু বিসর্গ ও তখন কেউ জানত না। এখন হয়ত গ্লোবালাইজেশনের সুনামীতে সব জেনে গিয়েছে।

    তার মানে কন্ডিশনিং আমাদের দেশেও শুরু হয়ে গেছল অন্ততঃ ২৩ বছর বা তারো বেশি আগে থেকে।

    ফ্রান্সেসেরো একই অবজার্ভেশন। ওর শৈশব ও আমার শৈশব প্রায় একই সময়ে, শুধু স্থান আলাদা, ওরটা ক্যালিফোর্নিয়া আমারটা পশ্চিমবঙ্গ। ওর বা আমার - আমাদের দুজনের ছেলেবেলাতেই আমরা মেয়ে মানে গোলাপী ও ছেলে মানেই নীল - এই ধরণের দাগিয়ে দেয়াটা স্মরণ করে উঠতে পারছি না। হয়ত ছিলো, হয়ত শুরু হয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু এতটা প্রকট ছিলো না।
  • - | 109.133.152.163 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১২:৩১75035
  • কে জানে, জনতার মিশনের এক্ষপিরিয়েন্সও এনারাই অভিজ্ঞতার মতো থাকলে সেটাও এই রকমই বিতর্কিত হত কিনা!!
  • aka | 81.91.97.27 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৬75046
  • হোহোহোহোহোহো

    খাসা ও দিব্য হয়েছে এইখানা। পুজো থেকে হাগজ। ঃ))))

    তবে ব্ল্যাংকোর সলিউশন মানতে গেলে শীর্ষাসন ছাড়া উপায় নেই। কি কঠিন এর থেকে দাদা কিছু না করলেই হল, আলটিমেটলি বায়োডিগ্রেডবল।
  • aranya | 78.38.243.218 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৫৫75047
  • ব্ল্যাঙ্কি বেশ আউট-অব-দ্য-বক্স ভাবনাচিন্তা করে, একক-ও
  • | 24.97.151.99 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৫75048
  • সে বর্ণিত ঐ গোলাপীটাকে আমি চিনেছিলাম 'বস্তি পিংক' নামে। বেশ দিব্বি বড়সড় হয়েও ঐ বস্তি-পিংকই বলতাম। অনেক পরে আস্তে আস্তে এর ভেতরের অসভ্যতা আর তাচ্ছিল্যটাকে চিনতে শিখি।
    সবুজ নিয়ে অবশ্য আমাদের কোনওরকম সমস্যা ছিল না। বরম ইলেকট্রিক গ্রীন মানে টুনি লাইটে যে উজ্জ্বল সবুজ রং থাকত, সেইটা খুব পছন্দ করতাম। আর তাতে কেউ কিছু বলতও না।

    নাঃ আমাদের ছোটবেলায় নীল গোলাপীর অমন দাগানো ব্যপার স্যাপার ছিল না। সমস্ত রঙের জামাই অবাধে পেয়েছি ও পড়েছি
  • jhiki | 121.95.121.109 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১১75051
  • যারা ঐ সবুজ-গোলাপী চিনতে পারছেননা তারা ইউটুবে পর্দা হ্যায় পর্দা গানটা দেখে নিতে পারেন।

    মুসলিমদের টয়লেটে জল ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানতাম , ভুল ও জানতে পারি। কিন্তু জানাটা ঠিক হলে আমেরিকায় তারা কিভাবে সামাল দেয়?
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১২75049
  • একচুয়ালি মেয়েদের নীল পরার থেকেও ছেলেদের গোলাপী পরাটা বেশি নো নো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন