এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • নো ওয়ান কিলড ফেলানি

    একরামুল হক শামিম লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৯১৩ বার পঠিত
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়নকালে চতুর্থ বর্ষে 'আন্তর্জাতিক আইনে' গার্সিয়া অ্যান্ড গারজা মামলা পড়তে হয়েছিল। মনে আছে, এ নিয়ে ক্লাসরুমে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি মেক্সিকো ভার্সেস ইউএসএ, ১৯২৬ নামে পরিচিত। এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে নিষ্পত্তি হয়েছিল। মেক্সিকোর একটি দরিদ্র পরিবারের দুই সন্তান রাতের আঁধারে রিওগ্রানদে নদী সাঁতরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা অতিক্রম করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়। তারা এমন এক স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় যেখানে মেক্সিকো ওযুক্তরাষ্ট্রের আইনে নদী পারাপার নিষিদ্ধ ছিল। সীমান্তরক্ষী অফিসার চোরাচালানের উপর নজর রাখার জন্যই বিশেষভাবে নিযুক্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অব মার্শাল সীমান্তরক্ষী অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং অফিসারকে চাকরি থেকে অব্যাহতির আদেশ দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই আদেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং অফিসারকে পুনঃরায় চাকরিতে বহাল করেন। বিষয়টি মেক্সিকো-ইউএসএ জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হয়। আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, অফিসারের কৃতকর্ম রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা যেভাবেই বৈধ করার চেষ্টা করা হোক না কেন এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো কাজ নয়। শিশু দুটির অনানুমোদিত স্থান দিয়ে নদী পারাপারের চেষ্টা নিঃসন্দেহে বেআইনি কাজ। কিন্তু কেবল এই কারণে কেনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত বা অনুমোদিত হতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনে ব্যক্তির প্রতি আচরণের একটি ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য মাত্রা রয়েছে। এমন কোনো আইন নেই যার মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতি এমন অমানবিক আচরণ সমর্থিত হতে পারে। সুতরাং মেক্সিকান শিশু দুটির হত্যা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী হবে। সেই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিহতের বাবা-মাকে ২ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণের চেয়ে বড় বিষয় হলো দায়ী পক্ষ দণ্ড পেয়েছে।


    গার্সিয়া এবং গারজা মামলাটি অনেকদিন পরে প্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়ে গেল। তবে এবারের ফলাফল ভিন্ন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ভোরবেলা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। কনস্টেবল অমিয় ঘোষ গুলি করে। কাঁটাতারে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারপর থেকেই ফেলানী হত্যার বিচারের দাবি জানানো হয়। নানা ধাপের পর সেই বিচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট। স্বাভাবিকভাবেই এ বিচার কাজ নিয়ে অনেক রকমের প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সীমান্ত। সেই সীমান্তের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম কোনো বিচার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক রকমের প্রত্যাশা থাকে। সীমান্তের হত্যাকাণ্ড বন্ধে এই মামলা হতে পারতো প্রথম ধাপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পথ উন্মোচিত হয়নি। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া।


    ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে শুরু হয় ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার। সকালে কোচবিহারের সোনারীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে উক্ত বিচারকাজ শুরু হয়। বিএসএফ এর আইন The Border Security Force Act, 1968 অনুযায়ী গঠন করা হয় জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট। মোট পাঁচজন বিচারক বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডি আই জি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী। ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে শুনানি শুরু হয়। কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই অমিয় ঘোষ তাঁর ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন, যাতে নিহত হয় ফেলানী। ফেলানীকে হত্যার দায়ে বিএসএফের অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষ ঘটনার পর থেকেই ক্লোজ অ্যারেস্ট থাকেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর ইউনিটের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের এলাকার মধ্যেই সীমিতভাবে ঘোরাফেরা করতে পারতেন। শুনানির শুরুতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়। নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে ফেলানীকে হত্যা করলেও এর জন্য দোষ স্বীকার করেনি কনস্টেবল অমিয় ঘোষ। এরপর ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। জেনারেলসিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট ৬ সেপ্টেম্বর বিচারকাজ শেষ করে।  রায়ে ভারত-বাংলাদেশসীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। রায়ের পরে বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৬৮ অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের রায়ের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরুর কথাও জানানো হয়।


    দুখঃজনক হলেও সত্য, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের এই বিচার ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। 'নো ওয়ান কিলড জেসিকা'র মতো যেন বলা হলো 'নো ওয়ান কিলড ফেলানী'! বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ব্যক্তি ফেলানীর ওপর যে নির্মম ও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে তা কোনো আন্তর্জাতিক আইনেই সমর্থিত হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে গার্সিয়াঅ্ যান্ড গারজা মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা আবারও মনে করা যেতে পারে।


    ফেলানী হত্যাকাণ্ড সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইকনিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের সঙ্গে ভবিষ্যতের আরও অনেক ঘটনার সংযোগ হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারকে এখন এ ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। এতোদিন বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পর্যায় থেকে দেখা হয়েছে। এখন আশা করবো বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যেখানে জানে যে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের রাইফেল থেকে চালানো গুলিতেই ফেলানীর মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর পর অমানবিকভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেলানীর মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া নিঃসন্দেহে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তুলবে।


    দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট, ১৯৬৮ এর ১১৭ ধারা অনুযায়ী এই আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।


    ১১৭ ধারায় রয়েছে- 117.Remedy against order, finding or sentence of Security force Court.


    (1) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by any order passed by any Security Force Court may present a petition to the officer or authority empowered to confirm any finding or sentence of such Security Force Court, and the confirming authority may take such steps as may be considered necessary to satisfy itself as to the correctness, legality or propriety of the order passed or as to the regularity of any proceeding to which the order relates.


    (2) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by a finding or sentence of any Security Force Court which has been confirmed, may present a petition to the Central Government, the Director- General, or any prescribed officer superior in command to the one who confirmed such finding or sentence,and the Central Government, the Director- General, or the prescribed officer,as the case may be, may. pass such order thereon as it or he thinks fit.


    ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আদেশ প্রদান করেছে যে সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের বিচার ক্রিমিনাল কোর্টেও করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায়কে সেট অ্যাসাইড করে দেয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুইজন বিএসএফ সদস্য কর্তৃক একজন কাশ্মিরী কিশোরীকে হত্যার মামলায় এমন আদেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সব ধরনের মামলা সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে করা বাধ্যতামূলক নয়।  (The SC held that it was not mandatory to try all such cases in the security force court, and the commanding officer must adduce sufficient reasons on why the case should not be sent to a criminal court. It said specific provisions under the armed forces laws could not summarily take away general laws.)


    কিছুটা দেরি হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে। যেভাবে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স ফেলানী হত্যা মামলায় রায় প্রদান করেছে তা ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করেছে। পাশাপাশি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পথকে আরও উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি দেশকেই সীমান্তে হত্যাকান্ডে বন্ধে ফেলানী হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৯১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumu | 24.98.56.104 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৩৮75289
  • যা লিখতে যাচ্ছিলাম,রূপঙ্করদা ঠিক সেইগুলোই লিখে দিলেন।
    দ,ঠিকই।মেয়েটি যে গোলেমালে পিছিয়ে পড়ছে,বাবা হয়তো টেরই পান নি।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.177.206 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৩৯75290
  • নেটে দেখছিলাম কিছুক্ষণ আগে, ৭২ না ৭৪ এইরকম একটা সংখ্যা
  • দেব | 116.196.150.189 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৫২75291
  • কয়েকটা ভুল এসাম্পসন রয়েছে দুদিকেই। বাংলাদেশের কেউ দাবী করেনি যে তাদের অবাধে ভারতে ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। এদের বক্তব্য দেখামাত্রই নির্বিচারে গুলি না চালিয়ে এরেস্ট করে ফেরত পাঠাও।

    এখন ব্যপার হল বিএসএফের ইন্সট্রাকশনও এক্সাক্ট এটাই! এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সেটাই হয়। নইলে বর্ডারে রোজ যে হারে লোক পারাপার হয় শ্যূট এট সাইট চালালে লাশে ভেসে যেত। যারা এই দাবীটা করছেন তারা না জেনে বলছেন।

    কিন্তু (একটা 'কিন্তু' থাকবেই) কিছু ক্ষেত্রে পারমিশন আছে গুলি চালানোর। যেমন -

    ১. অনুপ্রবেশকারীরা যদি বিএসেফের ওপর হামলা করে।

    ২. দাঁড়াতে বলা সত্ত্বেও যদি ছুটে পালানোর চেষ্টা করে।

    ফেলানীর ব্যাপারটাও এরকম কিছু একটা হয়েছে। আনফরচুনেট। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া টপকাচ্ছে যে, সে একজন মামুলি মজুর না ফেন্সিডিল স্মাগলার, বিএসএফের হাবিলদার বুঝবে কোদ্দিয়ে?

    বিএসএফ অনেকক্ষেত্রেই চোখ বুজে থাকে। সীমান্তে খুব সাধারণ বাণিজ্যও, তেল, চিনি এইসবও কনসিডার্ড স্মাগলিং। এসবের ওপরে রেন্ট সিকিং হয়। এগুলোর সংশোধন দরকার। কিন্তু অফিসিয়াল পজিশন এর থেকে সফট আর কি করা যেতে পারে?

    বর্ডারে স্মাগলিং প্রায় সম্পূর্ণ ওয়ান ওয়ে। ভারত টু বাংলাদেশ। জড়িত দুদিকের লোকেরাই। গরু নিয়ে কিছু করার নেই। ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে। বাকি পণ্যগুলোর ওপরে বেশী ট্যারিফ চাপিয়েছে বাংলাদেশ। বল এট দেয়ার কোর্ট।

    মৃণালের সাথে অংশত একমত। যারা কাজ খুঁজতে আসে তাদের জব কার্ড দিলে সমস্যা অনেকটা কমে। বাঁশ দিয়ে বেড়া পেরোতে হয় না। এবং নিশ্চয়তা থাকে। ভারতে পার্মানেন্ট সেটল করার প্রবণতা কমবে। দালালদের হাতে নাজেহাল হতে হয় না। সমস্যা এতে লোকাল শ্রমিকদের বিপদ আছে। মৃণালের বক্তব্য অলরেডি তো এরা কাজ করছেই। আইনি অধিকার দিলে ক্ষতি কি। এটা ঠিক না। এখন সংখ্যায় কম। লিগ্যাল করে দিলে ফ্লাডেড হয়ে যেতে পারে। এতজনকে পোষার ক্ষমতা ভারতের জাস্ট নেই।

    দূর্ভাগ্যবশত মইনুল যা বললেন সেটাই বাস্তব। ৫০০০ অনুপ্রবেশ হলে ৫০ প্রাণ হারাবে।
  • Shibir | 113.16.68.8 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:২৫75292
  • কিছু তথ্য

    In 2010, Human Rights Watch (HRW) issued a 81 page report which alleged "over 900 of abuses by the BSF" in the first decade of the 21st century. The report was compiled from interviews with victims of BSF shootings, witnesses and members of the BSF and its Bangladeshi counterpart. According to HRW, while most of them were killed when they crossed into Indian territory for indulging in cattle raiding or other smuggling activities.(Wiki)

    আমি শুনেছিলাম কোনো international organisation থেকে BSF কে black listed করা হয়েছে প্রচুর মানবাধিকার লংঘনের জন্য ।

    আমার এক prof এর আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদ bangaldessh সীমান্তে । BSF এর অত্যাচারের গল্প শুনেছি ওনার কাছ থেকে।
  • কল্লোল | 125.241.103.115 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:০৬75271
  • যে মানুষেরা নিরুপায় হয়ে ঢুকছে, তাদের জন্য গুলি। যারা তাদের ঘুষ নিয়ে ঢোকাচ্ছে, তাদের জেল। যারা তাদের রেশন কার্ড ও পরিচয়পত্র তৈরীর চক্র চালাচ্ছে, তাদের বিধানসভা।
    বাঃ
    যারা জাল টাকা নিয়ে ঢুকছে, তাদের গুলি। যারা কলো টাকার পাহাড় গড়ছে, তাদের রাজ্যসভা।
    ওয়াহ ওয়াহ।
    "সব দেশ নিজের নিজের স্বার্থ দেখবে আর ভারত বসুধৈব কুটুম্বকম করে যাবে ......."
    কোন কোন দেশে বেআইনীভাবে সীমান্ত পার করলেই গুলি - এরকম আইন আছে? শ্রীসদা জানেন?
  • কল্লোল | 125.241.103.115 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:১৮75272
  • নতুন বিষয়ঃ মুজফফরনগরের দাঙ্গা - কয়েকটি তথ্য আর কিছু আশা - এরকম একটা টইতে দেখি মিথ্যে ভিডিও ক্লিপিংস ছড়িয়ে, দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছে। যিনি ছড়িয়েছেন, তাকে শনাক্তও করা গেছে। তার জন্য গুলিটুলি কেউ লিখছে না। ক্ষীই মুস্কিল। অবশ্য দাঙ্গা লাগানোটা তো অপরাধই নয়। তাই তো? তাতে বিএসএফের কাজ কমে যায়। এই মৌকায় বেআইনী অনুপ্রবেশকারীদের সরকারী না হোক, বেসরকারী গুলি জুটে যাবে। আরে! সব দায়িত্বই কি সরকারের!!!
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৩৬75309
  • Jose Rodríguez was killed last year in the Mexican border town of Nogales as he went out to buy a hot dog. U.S. border agents shot him eight times. He was 16 years old.... - এটা হয়েছে মেক্সিকোর ভেতরে, ওদের ল্যান্ডে।
    ... in the past five years U.S. border agents have shot across the border at least 10 times, killing a total of six Mexicans on Mexican soil. The killings have gone unpunished after a court ruled the Mexican victims have no standing to sue in U.S. courts since they died on their own soil...
    এটা শুধু "শট অ্যাক্রশ দ্য বর্ডারের" স্ট্যাট। তাও ক্যাসুয়্যলটি হয়েছে বলে স্ট্যাটে এসেছে। বর্ডারের মধ্যে শুটিং আরো বেশী। ইউএস-মেক্সিকো বর্ডারে যে পরিমান মানুষ প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যে মারা যান তার কাছে এই সংখ্যা তেমন বেশী কিছু নয়।
    আবার, যে সংখ্যক মানুষ রোজ ঝুঁকি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার ডিঙিয়ে এপার-ওপার করেন সে তুলনায় গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা বোধহয় কম।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৪৬75310
  • যে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা আছে তাদের ভৌগোলিক অবস্থান কোনোটাই বাংলাদেশের মতন নয়। পাঞ্জাবের কিছু গ্রাম বাদ দিলে, ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে (মরুভূমি, পাহাড়...) জনবস্তির ঘনত্ব কম। চীন-এর সঙ্গে বর্ডার-ও দুর্গম, জনবসতিশূণ্য জায়গায়। নেপালের সঙ্গে বর্ডার -ও অপেক্ষাকৃত হালকা জনবসতি এলাকায়। পাকিস্তান, চীন, নেপাল - এই তিনটি দেশের অন্য প্রতিবেশী দেশ আছে, একমাত্র ভারতই তাদের বর্ডারের সিংহ্ভাগ দখল করে নেই। চীন ও নেপালের সাথে ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ব্যবধান অপেক্ষাকৃতভাবে বেশী।

    বাংলাদেশের বর্ডার সে তুলনায় অনেকটাই হ্যাবিটেশন এলাকায়, উর্বর ধানজমির মাঝখান দিয়ে চেলে গেছে কাঁটাতার। বাংলাদেশের বর্ডারের সিংহভাগ জুড়েই ভারত। বর্ডার সংলগ্ন রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি প্রায় হুবুহু এক। এবং, বাংলাদেশ ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ। এই বর্ডারে আইনি/বেআইনি যেভাবেই হোক যারা যাতায়াত করেন তারা অনেকেই চোরাচালানকারী, অপরাধী, টেররিস্ট নন। দুই দেশের সরকারের উচিত বর্ডারে গুলি চালানোর পলিসি নিয়ে আলোচনায় বসা এবং নিয়মিত আলোচনা চালু রাখা। ভারতের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উচিত নয় ভারত-বাংলাদেশ সীমানাকে অন্য বর্ডার পলিসির নিরিখে দেখা - ইট্‌ মে ডিমান্ড্‌স স্পেশাল ট্রিটমেন্ট।
  • aranya | 154.160.98.31 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:০১75303
  • 'ফেলানি প্রতিবাদ
    কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানি হত্যার আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে এবং জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত করে তাঁরা সুবিচারের দাবি জানান। দাবি জানান সীমান্তে হত্যা বন্ধেরও। '
    - আজকের আবাপ-র 'বিদেশ' বিভাগে 'টুকরো খবর'-এর মধ্যে ফেলানি-কে নিয়ে ক লাইন, অতি কষ্টে জায়গা পেল
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:২৭75311
  • দমদি অন্যত্র এই লিঙ্কটা দিয়েছিল, এখানেও থাকুক- http://www.sachalayatan.com/himu/37121
  • de | 190.149.51.67 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১০75304
  • বাংলাদেশ সীমান্তকে নেপালের মতো করে দেওয়া যায় না কেন? নেপালীদের তো ভারতে এসে কাজকম্মো করে খেতে বাধা নেই, বাংলাদেশীদেরই বা কেন থাকবে? জব কার্ড ইস্যু করাটাও একটা অপশন --

    বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স দুদেশেরই একইরকম অসভ্য। ওরা ওপরের ইন্স্ট্রাকশন ফলো করে মাত্র -- আসল দোষী তো দুই দেশেরই শাসকরা!

    বাচ্চা মেয়েটির মারা যাওয়াটা নিন্দনীয় -- আটক করাই উচিত ছিলো!
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৪০75305
  • "নেপালীদের তো ভারতে এসে কাজকম্মো করে খেতে বাধা নেই, বাংলাদেশীদেরই বা কেন থাকবে?"

    নেপালিরা শিবপূজো, বিষ্ণু পূজো করে , জানেন না? ওরা বিদেশী ক্যানেকে হব?
  • cm | 71.95.189.220 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:১৬75306
  • আমি শুধু তথ্যটুকু রেখে যাই।

    নেপাল আয়তন ৫৬,৮২৭ বর্গ মাইল জনসংখ্যা ২৮,৯৫১,৮৫২

    বাংলাদেশ আয়তন ৫৫,৫৯৯ বর্গ মাইল জনসংখ্যা ২৫০,১৫৫,২৭৪
  • de | 190.149.51.66 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:২৪75307
  • বুঝলাম -- জনসংখ্যার চাপ বিপুল!
  • কল্লোল | 125.242.182.40 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:০৩75308
  • জনসংখ্যা ঘনত্ব সামান্য তথ্যঃ
    বাংলাদেশ - ১০৩৩.৫ প্রতি বর্গ কিমি
    কিন্তুঃ
    শ্রীলঙ্কা - ৩২৩ প্রতি বর্গ কিমি
    পাকিস্তান - ২২৬.৬ প্রতি বর্গ কিমি
    ইয়ে, মানে এই সীমান্তগুলোও নেপালের মতোই..........................
  • কল্লোল | 111.63.192.112 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৫৩75302
  • মৃণাল। গুলি করছেনা কেন? কালোটাকা কাদের আছে, সরকার জানে না? এরকম কিছু মনে হয়েছে আপনার? তাই গুলি করছে না? ওদের গুলি করার সাহস না থাকলে, দয়া করে গরীব মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ায় বিএসএফের অবদান রাখতে হবে না।
  • নিঃসঙ্গ গ্রহচারী | 190.149.31.253 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৫৪75314
  • - ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত ৫ বছরে বিএসএফ দিনে-রাতে নির্বিচারে গুলি করে ৪৩৭ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। একইভাবে আহত হয়েছে ৩৫৯ বাংলাদেশী।

    - বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর ও মানবাধিকার সংস্থা সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৭ এর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফ ও ইনডিয়ার সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে ১৬০ বাংলাদেশি । আহত হয়েছে ১৪৪ জন । এছাড়া ইনডিয়ান কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ২১ জন । ১৬৫ জনকে কিডন্যাপ করা হয়েছে । নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে আরো ৩২ জনের নাম । ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে দুটি । লুটের ঘটনা নয়টি ।

    এখানে http://bsfchronicle.blogspot.com/ আরো বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
  • Muhammed Saiful Alam | 68.97.248.126 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:০৮75315
  • আপনাদের বিএসএফ শুধু গুলি করে মারে নিরীহ গরু ব্যবসায়ীদের। আমি স্বীকার করি যে এরা ভারতে অবৈধ পথে গিয়ে গরু নিয়ে আসে। তাই বলে গুলি করে মারা এটা কোন ধরনের আইন?? আর যারা ভারতীয় ফেন্সিডিল আর মাদক ব্যবসায়ী তাদের তো মোহাব্বাতের সহিত বর্ডার পাস করিয়ে দেয়! আমরা বাংলাদেশীরা গরীব হতে পারি কিন্তু আমরা আপনাদের মত অমানুষ নই। আমাদের দেশেও মিয়ানমার থেকে অনেক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে।তাই বলে আমরা তাদের গুলি করে মারছি না।আপনারা ভারত আসলে একটা বেইমান।মুখে বলেন বন্ধু আর কাজে কর্মে শত্রুর চেয়েও শত্রু।ধিক জানাই আপনাদের।
  • Muhammed Saiful Alam | 68.97.248.126 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১৯75316
  • উপরে একজন লিখলেন বাংলাদেশের জনসংখ্যা নাকি ২৫০,১৫৫,২৭৪ !! বলি ভাল করে পড়াশুনা করবেন।উপরে কিছু কমেন্ট পড়ে মনে হল বাংলাদেশ একটা ভিখারির দেশ! আরে দাদাবাবুরা এদেশের মানুষ গরীব ঠিক আছে কিন্তু মানুষের মন অনেক বড়।আসেন না একবার বাংলাদেশে। বেড়িয়ে যাবেন আর দেখবেন জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি থাকার পরও , অভাব অনটন থাকার পরও মানুষ কেমন দিব্যি সুখে শান্তিতে বাস করে।এদেশকে এতো অবহেলা করবেন না।আমাদেরও আছে অনেক কিছু।গার্মেন্টস শিল্পে আমরা চীনের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছি।প্রাকৃতিক সম্পদও আছে প্রচুর।আমরা পরিশ্রমি।আমাদের আছে বিপুল জনশক্তি। ইনশাআল্লাহ্‌ আগামী দশ বছর পরে দেখবেন আমাদের চেহারা পাল্টে গেছে। আমি সেইদিনের অপেক্ষা করি যে দিন ভারতীয়রা আমাদের দ্বারে দ্বারে এসে কাজ খুজবে।আমি আশাবাদী। হয়তো একটু বেশীই আশাবাদী।
  • b | 135.20.82.166 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫২75317
  • আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। সইফুল আলম,আমি যাবো কিন্তু! কাজ করতে, থাকতে।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০২75318
  • সইফুল আলমের 'আপনারা ভারত আসলে একটা বেইমান' 'আপনাদের মত অমানুষ' এসব মন্তব্য অতি বাজে লাগলো। বাংলাদেশের মনুষ অভাব অনটন নিয়েও সুখে শান্তিতে বাস করছেন জেনে ভালো লাগলো, তবে গার্মেন্টস ব্যাবসা নিয়ে গর্বিত হওয়া কতটা সমর্থনযোগ্য তাতে আমার দ্বিধা আছে।

    আপনার আশাবাদীতাও অবশ্য আমার সঙ্গে মেলেনা। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের জন্যে কোন মানুষকেই কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না, এমন হলেই তো ভালো হয়। অবশ্য আপনি প্রতিবেশীর দুর্দশা আকাঙ্খা করাটাকে নিজের উন্নতির পরাকাষ্ঠা বলে মনে করলে আমার কি বলার আছে।
  • Muhammed Saiful Alam | 68.97.248.126 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০৩75319
  • @b> ধন্যবাদ। আপনাকে স্বাগতম।আমার দোয়ার আপনার জন্য সবসময় খোলা থাকবে।আমার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট জেলায়।একসময় এটি আসামের অন্তর্গত একটি জেলা ছিল।দেশ বিভাগের পর এটি বাংলাদেশের মধ্যে পড়ে যায়।খুব সুন্দর আমার জেলা।এখানে আছে হযরত শাহ জালাল (র) ও হযরত শাহ পরান (র)এর মাজার। তাছাড়া সিলেটে আছে অনেক চা বাগান।এর খ্যাতি সারা দেশব্যাপি।আছে মিঠা পানির জঙ্গল।জাফলং,মাধবকুন্ড,লাউয়াছড়া,শ্রীমঙ্গল প্রভৃতি জায়গায় গেলে আপনার অনেক ভাল লাগবে।অনেক সুন্দর আমাদের এই অঞ্চল। সাতকরা নামের একপ্রকার লেবু আছে যেটা দিয়ে তরকারি রাঁধা হয় আমাদের এই এলাকায়।খেলে স্বাদ সারাজীবন মুখে থাকবে।আর ইলিশ মাছ না খাইয়ে তো ছাড়বো না । হাহাহা ।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১০75320
  • আর বিয়েসেফ বিডিআর সকলেই প্রভূত বদ, তবে ' নিরীহ গরু ব্যবসায়ীদের' কথা পড়েও বেশ আমোদ পেলাম। গরু ব্যাবসা (পাচার) ভালো কি মন্দ সে অন্য প্রসঙ্গ, কিন্তু গরু ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময়ই খুব নিরীহ কিছু নন (তাতে তাদের দিকে, অন্তত সঙ্গত থ্রেট ছাড়া গুলি চালানোটা সমর্থনযোগ্য হয় না)।
  • মুহাম্মদ সাইফুল আলম | 68.97.248.126 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১৩75321
  • @ rabaahuta> স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুসারে মুজিব সরকার বেরুবাড়ী ছিটমহল ভারতের কাছে প্রত্যর্পণ করে। বিনিময়ে যে তিনবিঘা করিডর বাংলাদেশকে দেওয়ার কথা ছিল, আজও তা দেওয়া হয়নি। মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশকে কেবল তা ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয় ভারত, সে-ও মালিকানা নিজের কাছে রেখে। এই অসম বিনিময়কেই ঢাকঢোল পিটিয়ে সরকারের সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ২০০৯ সালে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের একটি প্রটোকল সম্পাদন করেছিল দুই দেশ। এ চুক্তি এক যুগান্তকারী অর্জন হিসেবে বহুবার বর্ণনা করে তা দুই দেশের বন্ধুত্বের অমর স্মারক বানিয়ে ফেলে সরকার। কিন্তু নানা অজুহাতে এ চুক্তি ভারতের পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য আজ পর্যন্ত উপস্থাপনই করা হয়নি।ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তিস্তা চুক্তি নিয়ে। প্রায় তিন দশক ধরে এই নদীর পানি বণ্টনের আলোচনা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক ও যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়। এসব স্মারক আর বিবৃতির নানা ব্যাখ্যা করে বলা হলো, তিস্তার পানি চুক্তি নাকি এবার হচ্ছেই হচ্ছে। তিস্তার পানি আর বেদখলীয় ছিটমহল পাওয়া যাবে—এই প্রচারণা চালিয়ে সরকার ভারতের টিপাইমুখ প্রকল্পে সানন্দে রাজি হয়ে যায় এবং সীমান্তে হত্যাকাণ্ড প্রায় বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয়। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের মাটিতে নির্মূল করার মতো কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যাশা মেটাতে সর্বতোভাবে আত্মনিয়োগ করে। ভারতের টিভি চ্যানেল, পণ্য আর চাকরিজীবীদের জন্য প্রায় একতরফাভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের দুয়ার। হাতে থাকে কেবল ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার শেষ দর-কষাকষির অস্ত্র। সীমিতভাবে সেই ট্রানজিটও ভারতকে দিয়ে দেওয়া হয় বিনা মাশুলে। এমনকি বাংলাদেশের মাটির ওপর দিয়ে ভারতের ভারী মালামাল পরিবহনের জন্য তিতাস নদীর প্রবাহ বন্ধ করে আড়াআড়ি রাস্তা নির্মাণের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নজিরবিহীন এক আত্মত্যাগ করে বসে বাংলাদেশ সরকার!

    এইগুলো পড়ার পর আর ভারতকে ঈমানদার বলতে রুচিতে বাধে।আমি ভারত সরকারকে বলছি কথাগুলো সাধারণ জনগণকে নয় ।আর গার্মেন্টস ব্যবসা নিয়ে আপনার দ্বিধা থাকায় আমি বিচলিত নই। পরিসংখ্যান ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিবে। ভাল থাকবেন ।সালাম ....
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২২75322
  • আমি গার্মেন্ট্স ব্যবসার রেভিনিউ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দিগ্ধ নই, তার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের অধিকার, 'সুখ শান্তি' ইত্যাদির নিরীখে, এই শিল্পটি সামগ্রিকভাবে কতটা গর্ব করার মত সেটা ভাবছিলাম।

    আর কোন পৃথিবীর রাষ্ট্রেরই 'ঈমান' সম্পর্কে আমার কোন আস্থা বা বক্তব্য নেই।

    ভালো থাকবেন আপনিও ঃ)
  • a x | 138.249.1.194 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২৭75323
  • সইফুল, "ভারত আসলে বেইমান" - এই কথাটার কি কোনো মানে হয়? বেইমান বলছেন যখন তখন প্রাকৃতিক ভারতকে বলছেন না অবশ্যই, তাহলে কে বেইমান, ভারতীয়রা? ভারত সরকার? শেষেরটা হলে তো অবশ্যই, প্রায় সব সরকারই, নিজেদের দেশের লোকের সাথেই বেইমানি করে, তো অন্য দেশ। কিন্তু আম ভারতীয় বেইমান এরকম তো হয়না, যেমন সব বাংলাদেশি বেইমান হতে পারেনা। দেশের কাঠামোই তো কৃত্রিম - মাঝে মাঝেই যেখানে সীমারেখা বদলে যায়, সেখানে তার ভিত্তিতে কোনো জাতিকে একধারসে কিছু বলাটাও কৃত্রিম নয় কি?
  • a x | 138.249.1.194 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩০75324
  • গারমেন্ট ফ্যাক্টরির ব্যপারে আমিও রবাহুতর কথাই বলব। আচ্ছা এই গারমেন্টের ফ্যাক্টরিতে যেভাবে শ্রমিকদের সমস্ত অধিকার তুচ্ছ করে মুনাফা লোটার ব্যবস্থা চলছে, তাতে বাংলাদেশি সরকার নিজের দেশের সাথে বেইমানি করছেনা?
  • h | 127.194.225.94 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:১১75325
  • অক্ষ, ডোন্ট গেট ইন্টু দিস। এটা বেসিকালি বিএনপি ন্যারেটিভ বনাম আওয়ামী ন্যারেটিভ। ভারত বিরোধিতা বা সহযোগিতা এই বিতর্কে একটা বড় ইসু। এখন যেহেতু তুই ভারতীয় হিসেবে ভারত সরকারকে ডিফেন্ড করতে বেশিক্ষন পারবি না, অথচ বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী বিতর্কে পার্টিসিপেট করতে যাবি, সেটা অসম ননসেন্স জগাখিচুড়ি হবে। বাংলা দেশের ইলেকশন মেটা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। যেটা আনফরচুনেট, লিবেরাল বা ইগালিটেরিয়ান পজিশন নিয়ে তুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ইলেকশন বিতর্ক তো ছাড়, সীমান্ত সমস্যা নিয়েও আলোচনা করতে পারবি না, কারণ ডিবেট ইজ ফ্রেমড অন প্রিন্সিপল্স ওফ এস্টাবলিশ্ড ন্যাশনালিজম। এই সব কারণে আমার জেনেরাল বক্তব্য হল, বাংলা দেশ একটা আলাদা দেশ, তাদের রাজনীতি তারা করুক। জেহেতু দু দেশের রুলিং এলিট ই তথইবচ, তাদের পোলিটিকাল অ্যালাই রাও তথইবচ, তাই এই তুই বেড়াল না মুই বেড়াল এ পার্টিসিপেট করতে আমার অন্তত বয়ে গেছে। এই যে মমতা হিরো হলেন, বাংলা দেশের সংগে তিস্তা চুক্তি না করে, তাতে বি এন পি ন্যারেটিভ এর পোলিটিকাল কারেন্সি বেড়েছে। পেট্রিয়টিজম জিনিস টি খুব ই চাপের, কারণ, এই ডিবেটে তোকে কাউকে না কাউকে কোন না কোন দেশের লোক বলে , শুধু সেই জন্যেই গাল দিতে হবে।
  • সামিম | 122.79.36.88 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:১৬75312
  • শুধু এক কথা বিএসএফ ঘুষ নেই অমক করে তমক করে। আরে বাবা কি দর কার অনুপ্রবেশের। লেকচার না ঝেড়ে সীমান্তের অর্থনীতি উন্নতির চেষ্টা করুন। আর আন্ত্রজাতিক আইন নিজের পকেটে পুরে রাখুন আন্তর্জাতিক আইন বিডিআর কে বিএসএফ মারার অনুমতি ও দেয়না বা বাংলাদেশীকে অবৈধ সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি। তাই ওসব নিজের কাছে রাখুন। মানবিকতার নামে বিএসএফ বা*ছা* করতে পারেনা। তাদের দায়ীত্ব আছে। যাঃ করেছে বেশ করেছে।
  • h | 213.132.214.156 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:২৩75313
  • হ্যা এটাই আমাদেরো পয়েন্ট, তাদের দায়িত্ত্ব মানুষ খুন করা হয়ে থাকতেই পারে, সেটা একটু লোটিশ দিয়ে ঘোষণা করে দিলেই তো মিটে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন