এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • নো ওয়ান কিলড ফেলানি

    একরামুল হক শামিম লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৮২৪ বার পঠিত
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়নকালে চতুর্থ বর্ষে 'আন্তর্জাতিক আইনে' গার্সিয়া অ্যান্ড গারজা মামলা পড়তে হয়েছিল। মনে আছে, এ নিয়ে ক্লাসরুমে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি মেক্সিকো ভার্সেস ইউএসএ, ১৯২৬ নামে পরিচিত। এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে নিষ্পত্তি হয়েছিল। মেক্সিকোর একটি দরিদ্র পরিবারের দুই সন্তান রাতের আঁধারে রিওগ্রানদে নদী সাঁতরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা অতিক্রম করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়। তারা এমন এক স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় যেখানে মেক্সিকো ওযুক্তরাষ্ট্রের আইনে নদী পারাপার নিষিদ্ধ ছিল। সীমান্তরক্ষী অফিসার চোরাচালানের উপর নজর রাখার জন্যই বিশেষভাবে নিযুক্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অব মার্শাল সীমান্তরক্ষী অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং অফিসারকে চাকরি থেকে অব্যাহতির আদেশ দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই আদেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং অফিসারকে পুনঃরায় চাকরিতে বহাল করেন। বিষয়টি মেক্সিকো-ইউএসএ জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হয়। আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, অফিসারের কৃতকর্ম রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা যেভাবেই বৈধ করার চেষ্টা করা হোক না কেন এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো কাজ নয়। শিশু দুটির অনানুমোদিত স্থান দিয়ে নদী পারাপারের চেষ্টা নিঃসন্দেহে বেআইনি কাজ। কিন্তু কেবল এই কারণে কেনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত বা অনুমোদিত হতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনে ব্যক্তির প্রতি আচরণের একটি ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য মাত্রা রয়েছে। এমন কোনো আইন নেই যার মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতি এমন অমানবিক আচরণ সমর্থিত হতে পারে। সুতরাং মেক্সিকান শিশু দুটির হত্যা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী হবে। সেই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিহতের বাবা-মাকে ২ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণের চেয়ে বড় বিষয় হলো দায়ী পক্ষ দণ্ড পেয়েছে।


    গার্সিয়া এবং গারজা মামলাটি অনেকদিন পরে প্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়ে গেল। তবে এবারের ফলাফল ভিন্ন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ভোরবেলা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। কনস্টেবল অমিয় ঘোষ গুলি করে। কাঁটাতারে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারপর থেকেই ফেলানী হত্যার বিচারের দাবি জানানো হয়। নানা ধাপের পর সেই বিচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট। স্বাভাবিকভাবেই এ বিচার কাজ নিয়ে অনেক রকমের প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সীমান্ত। সেই সীমান্তের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম কোনো বিচার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক রকমের প্রত্যাশা থাকে। সীমান্তের হত্যাকাণ্ড বন্ধে এই মামলা হতে পারতো প্রথম ধাপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পথ উন্মোচিত হয়নি। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া।


    ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে শুরু হয় ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার। সকালে কোচবিহারের সোনারীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে উক্ত বিচারকাজ শুরু হয়। বিএসএফ এর আইন The Border Security Force Act, 1968 অনুযায়ী গঠন করা হয় জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট। মোট পাঁচজন বিচারক বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডি আই জি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী। ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে শুনানি শুরু হয়। কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই অমিয় ঘোষ তাঁর ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন, যাতে নিহত হয় ফেলানী। ফেলানীকে হত্যার দায়ে বিএসএফের অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষ ঘটনার পর থেকেই ক্লোজ অ্যারেস্ট থাকেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর ইউনিটের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের এলাকার মধ্যেই সীমিতভাবে ঘোরাফেরা করতে পারতেন। শুনানির শুরুতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়। নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে ফেলানীকে হত্যা করলেও এর জন্য দোষ স্বীকার করেনি কনস্টেবল অমিয় ঘোষ। এরপর ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। জেনারেলসিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট ৬ সেপ্টেম্বর বিচারকাজ শেষ করে।  রায়ে ভারত-বাংলাদেশসীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। রায়ের পরে বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৬৮ অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের রায়ের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরুর কথাও জানানো হয়।


    দুখঃজনক হলেও সত্য, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের এই বিচার ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। 'নো ওয়ান কিলড জেসিকা'র মতো যেন বলা হলো 'নো ওয়ান কিলড ফেলানী'! বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ব্যক্তি ফেলানীর ওপর যে নির্মম ও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে তা কোনো আন্তর্জাতিক আইনেই সমর্থিত হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে গার্সিয়াঅ্ যান্ড গারজা মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা আবারও মনে করা যেতে পারে।


    ফেলানী হত্যাকাণ্ড সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইকনিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের সঙ্গে ভবিষ্যতের আরও অনেক ঘটনার সংযোগ হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারকে এখন এ ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। এতোদিন বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পর্যায় থেকে দেখা হয়েছে। এখন আশা করবো বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যেখানে জানে যে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের রাইফেল থেকে চালানো গুলিতেই ফেলানীর মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর পর অমানবিকভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেলানীর মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া নিঃসন্দেহে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তুলবে।


    দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট, ১৯৬৮ এর ১১৭ ধারা অনুযায়ী এই আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।


    ১১৭ ধারায় রয়েছে- 117.Remedy against order, finding or sentence of Security force Court.


    (1) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by any order passed by any Security Force Court may present a petition to the officer or authority empowered to confirm any finding or sentence of such Security Force Court, and the confirming authority may take such steps as may be considered necessary to satisfy itself as to the correctness, legality or propriety of the order passed or as to the regularity of any proceeding to which the order relates.


    (2) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by a finding or sentence of any Security Force Court which has been confirmed, may present a petition to the Central Government, the Director- General, or any prescribed officer superior in command to the one who confirmed such finding or sentence,and the Central Government, the Director- General, or the prescribed officer,as the case may be, may. pass such order thereon as it or he thinks fit.


    ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আদেশ প্রদান করেছে যে সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের বিচার ক্রিমিনাল কোর্টেও করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায়কে সেট অ্যাসাইড করে দেয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুইজন বিএসএফ সদস্য কর্তৃক একজন কাশ্মিরী কিশোরীকে হত্যার মামলায় এমন আদেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সব ধরনের মামলা সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে করা বাধ্যতামূলক নয়।  (The SC held that it was not mandatory to try all such cases in the security force court, and the commanding officer must adduce sufficient reasons on why the case should not be sent to a criminal court. It said specific provisions under the armed forces laws could not summarily take away general laws.)


    কিছুটা দেরি হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে। যেভাবে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স ফেলানী হত্যা মামলায় রায় প্রদান করেছে তা ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করেছে। পাশাপাশি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পথকে আরও উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি দেশকেই সীমান্তে হত্যাকান্ডে বন্ধে ফেলানী হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৮২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 12.133.48.103 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৪৭75392
  • আমি আবার কি ভুল করলাম? আমি তো এমনকি কাউকে ভিখিরি বা বাঘের বিচি কিছুই বলিনি।
  • pi | 118.22.228.16 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৪৮75393
  • বিএসেফ বেশ করেছে গুলি চালিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী দেখলেই গুলি চালানো উচিত,গরীব দেশ থেকে এরা এসে সস্তার কাজ করে আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে ইঃ এই মন্তব্যগুলি এই ফোরামেই ছিল।
  • Tim | 12.133.48.103 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৫৩75394
  • এবং সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ ও প্রতিপ্রশ্ন গুলোও এই ফোরামের তথাকথিত "বাংলাদেশবিদ্বেষী" ভারতীয়রাই করেছে।
  • pi | 118.22.228.16 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৫৬75395
  • আরে ওটা তোমাকে বলিনি। ব্ল্যাংককে বলা।

    হ্যাঁ, প্রতিবাদ ভারতীয়রাই করেছে, সেটা আমিও সাইফুলবাবুকে দেখতে বলেছি।
  • Ishan | 214.54.36.245 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৫৯75396
  • এইটায় লিখবনা লিখবনা করেও একলাইন লিখে ফেলি। ভারত-বাংলাদেশ গুলিগোলা ভাচ্চুয়ালি সেই ইয়াহু চ্যাটরুমের জমানা থেকে দেখে আসছি। দেখলেই বিচ্ছিরি লাগে। গুরুতে যেন না হয়, একটু দেখুন প্লিজ। আর কাঁটাতার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আমারও খুব জোরালো বক্তব্য আছে সেই নিয়ে। তা, ওই নিয়ে একটা টই খুলি?
  • সাইফুল | 190.149.31.253 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১২75397
  • * ব্রেকিং নিউজ *

    বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলা পুনর্বিচারের (রিভিশনাল ট্রায়াল) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিএসএফের মহাপরিচালক (বিশেষ-পূর্ব) বিডি শর্মা এ আদেশ দেন।

    সম্প্রতি ফেলানীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বিএসএফের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে এই রায় প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে মামলা পুনর্বিচারের দাবি ওঠে। কলকাতার একটি মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়।

    মন্তব্য : এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পররাষ্ট্রনীতিতে বিদেশে বিশেষ করে ভারতের কাছে চরম ভাবে ব্যর্থ এবং দেশের মানুষের কাছে নিন্দিত আওয়ামী লীগ সরকারকে রক্ষার ভারতের একটি কৌশল হতে পারে। বিচার আবার শুরু হবে এবং তা আগামী নির্বাচনের আগে শেষ হবে না। এরপর যখন শেষ হবে তখন সেই বিএসএফ সদস্যেকে আবারও নির্দোষ ঘোষণা করা হবে।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১৫75398
  • ব্ল্যান্কি, আবার নাক গলাই। 19:59:03 IST। গোর্খাল্যান্ড বিষয়ে আমার কোনই মতামত নেই, কিছু জানিইনা আসলে। কিন্তু আলাদা রাজ্য দাবী করা আর দেশ ভাগ, এই দুটোর মধ্যে বিশাল তফাৎ আছে সেটা বুঝতে পারি।

    বিহার ভেঙে ছত্তিশগড় হলো, তাতে কি আর এদিক থেকে ওদিকে ট্রেন ভর্তি লাশ গেছে না লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছে?

    ত্রিপুরাতেও ছোটবেলা থেকে আদি বাসিন্দাদের আলাদা রাজ্যের দাবী ও ভায়োলেন্স দেখেছি, অনেককিছুকেই অপরিণত, লোভ, স্বার্থ, রাজনীতির খেলা মনে হয়েছে। কিন্তু দেশভাগের সঙ্গে কি এক খাপে পড়বে সেগুলো?

    দেদি, Comment from de on 13 September 2013 18:51:36 IST 190.149.51.66 (*) #- এ তো স্বপ্ন। অবাস্তব, পূরণ হবার মত নয়, কিন্তু এর থেকে সুন্দর আর কি হতে পারে।

    Imagine there's no countries
    It isn't hard to do
    Nothing to kill or die for...

    ...Imagine all the people
    Sharing all the world...

    পোশাক বা নাচ গানের স্টাইল নিয়ে অবশ্য আমার কোন বক্তব্য নেইঃ)
  • শ্রী সদা | 24.99.250.28 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:২১75399
  • "বিএসেফ বেশ করেছে গুলি চালিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী দেখলেই গুলি চালানো উচিত,গরীব দেশ থেকে এরা এসে সস্তার কাজ করে আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে ইঃ এই মন্তব্যগুলি এই ফোরামেই ছিল। "~ এর মধ্যে বাংলাদেশের মুন্ডপাত বা মহান ভারতরাষ্ট্রের জয়গান কোথায় আছে পাইদি একটু দেখিয়ে দিলে খুশী হতাম।
    ভারত নিজের সীমান্ত রক্ষা করবে, অন্যান্য দেশও তাই করবে - এর মধ্যে ভুল কিছু আছে বলে মনে করি না। আর বেআইনি অনুপ্রবেশ এর একটা বড় ঝামেলা যে অর্থনীতির বারোটা বেজে যাওয়া সেটা নিয়ে কাউকে দ্বিমত পোষন করতে এই থ্রেডে এখনো অব্দি দেখিনি। আজকে কোনো ভারতীয় ব্রিটেন বা মার্কিন দেশে বেআইনিভাবে ঢুকতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরলে আমি অন্তত ঃ ঐ দেশের সীমান্তরক্ষীদের দোষ দেওয়ার আগে ঐ অনুপ্রবেশকারীর দোষ দেখতাম - কেউ তো নেমন্তন্ন করে ডেকে নিয়ে যায়নি, নিজেই বেআইনি পথে ঢুকতে গেছিল। বেশ হয়েছে বলা ভুল , কিন্তু এটাই হওয়ার ছিল।
    আর গরিব দেশের প্রসঙ্গ এসেছে অন্য কারণে। বাংলাদেশের গরীব মানুষ বর্ডার টপকে এদেশে আসে তার একটা বড় কারণ দারিদ্র্য, বর্ডার না টপকালে না খেয়ে মরবে । কিন্তু দুঃখের বিষয় ধনতন্ত্রী সমাজ এই ইকুয়েশন মানে না এবং আরো বড় দুঃখের বিষয় হল যে আমি নিজেও সেই পুঁজিবাদী সমাজেই বাঁচি, তার অ্যাডভান্টেজ নিই, এবং এর থেকে বেটার অল্টারনেটিভ সমাজব্যবস্থা এই মুহূর্তে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করি না। এর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি মোটেই রিলেভেন্ট নয়, গরীব দেশের লোকজন চাইবে বেটার অর্থনৈতিক পরিবেশে গিয়ে বাঁচতে, অপেক্ষাকৃত ধনী দেশ চাইবে না তাদের রিসোর্সে বাইরের লোকজন এসে ভাগ বসাক, অন্ততঃ তাতে যদি না তাদের অন্য কোনো দিক দিয়ে বিশেষ কোনো লাভ না হয়। এটাই বাস্তব।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৪২75400
  • হুতো দা, আমি দুটো কে এক করে দেখছি না। আমি বলছি যে আমরা যখন বলছি দেশ ভাগ না হলেই ভালো হতো, তখন কিসের ভিত্তিতে আমরা রাজ্যভাগ কে সাপোর্ট করছি।
    যদি বলি যে ধর্ম সত্তার চেয়ে জাতি সত্তার দাম বেশী - তাহলেও এসে যায় যে জাতি সত্তা আর ধর্ম সত্তা দুটো খুব কাছাকাছি জিনিস।
  • সাইফুল | 190.149.7.204 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৪75401
  • @pi আমি আসলে উপরের সব পোস্টগুলোই পড়েছি। আমি নিজেও বলেছি যে আমাদের সীমান্তেও অনুপ্রবেশ হয়।মিয়ানমার সীমান্তে প্রতিদিন অনেক রোহিঙ্গা অবৈধভাবে ঢুকছে বাংলাদেশে।কই আমরা তো তাদের গুলি করে মারছি না।আমাদের যে রাইফেল বন্দুক নেই তা তো না।আমরা তাদের ধরে স্রেফ মিয়ানমারে পুশ ব্যাক করি।

    আসলে কারও মাঝে যদি তিল পরিমান মানবতাবোধ থেকে থাকে তাহলে সে বিএসএফের এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করতে পারে না।উপরে পোস্টে অনেকে এর নিন্দা জানিয়েছেন।উনাদের আমার সশ্রদ্ধেয় সালাম।

    এইসব নিরীহ গরীব লোক যারা বর্ডার পেরোতে চায় তাদের ধরে আমাদের দেশের পুলিশের হাতে তুলে দিলেই তো হয়।আমরা তো আর বলছি না যে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হোক।ভাই এরা গরীব।আসলে আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ অভাবী তুলনামূলক অন্যান্য এলাকার চাইতে। দোষ আমাদেরই।আমরা কেন এদের উপযুক্ত জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি না ! তবে আশার কথা হচ্ছে এখন বাংলাদেশের তরুন সমাজ এটা নিয়ে অনেক সোচ্চার।খোদ ভারতপ্রেমী যারা আছেন তারাও এটা নিয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। একটা জনমত সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই সরকার সীমান্ত নিয়ে একটা সুরাহা করবে। সীমান্তের লোকজন যাতে আর ভারতে না যায় আর তাদের দেশের ভিতরে কাজের সুযোগ করার ব্যবস্থা করা যায় সেটা নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো ইনশাআল্লাহ্‌।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১২75402
  • আমি খিস্তি করেছি গারমেন্ট বিজনেস নিয়ে মনোভাব আর যুদ্ধের হুঙ্কার শুনে। আবার যুদ্ধের হুঙ্কার দেখলে আবার খিস্তি করব, সে ভারতীয়রাই হুঙ্কার দিক বা বাংলাদেশিরা।
  • Mainul | 181.207.39.182 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৩75403
  • যা বুঝলাম, ফেলানিকে না মেরে কয়েকটা ফেসবুকীয়/গুরুর সুশীলকে সাবড়ে দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। হাজার হাজার লোক বি এস এফ কে বার আঙ্গুল দেখিয়ে পারাপার করবে, আর কয়েকটা গুলিতে মরবে না, মামার বাড়ির আবদার নাকি? বি এস এফের বন্দুকের নলে কি নিরোধ লাগানো থাকবে?

    আর বর্ডারহীন পৃথিবী! হু। বলি সাম্যবাদ আর মার্ক্সবাদের লাল ন্যাকরাটা তো অনেকদিন পরে থাকলেন, এবার পাল্টালে হয় না? সংক্রমণ হবে যে। এদিকে বিদেশের ঠান্ডা ঘরে বসে পুঁজিবাদের লাভের গুড় চেটেপুটে খাবে, কে এফ সি, সিসিডি, বারবি কিউ, পকেটে আইফোনে ছাড়া দিন চলবে না, স্যালারি ২০% না বাড়ালে তেড়ে ম্যানেজারের বাপ বাপান্ত করবে, আর গরিব মানুষদের বেলায় সাম্যবাদের ন্যাকরা জড়ানো চাই।

    আর পাতি কথা, আমাদের দেশে কি প্রবলেম হচ্ছে, কোন মন্ত্রী কত ঘোটালা করছে, সেটা আমরা বুঝব। অন্যদেশ থেকে বেআইনি ভাবে এসে বলবে, আগে নিজেরা দুর্নীতিমুক্ত হও, পরে আমাদের বলতে এস, ততদিন আমরা অনুপ্রবেশ করে যাই, যা খুশি তাই? ৫০০০ অনুপ্রবেশ করতে হলে, ৫০ ফেলানিকে প্রাণ দিতে হবে।

    আর বাংলাদেশীদের কাছে জ্ঞান শুনতে হচ্ছে আজকাল। ওদের দেশ এত উন্নতি করছে, বস্ত্রশিল্পে চীনের পরে, আরো হাজার গন্ডা দাবী, বলি কই, অন্য দেশে অনুপ্রবেশ কিছু কমছে তাতে? আর বি এস এফের বন্দুকের নলে নীরোধের আশা না করে নিজেদের দেশের মানুষকে রাত্রে তা ইউজ করতে বলুন, অনেক উন্নতি হবে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৯75404
  • চলুক সাইকেল।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৩৫75405
  • Comment from সাইফুল on 13 September 2013 13:54:19 IST 190.149.14.172 (*) #
    '১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা করার যে প্রক্রিয়া হয়েছিল সেই ১৯৫২ থেকে তার সব কিছুতেই ভারতের ইন্ধন ছিল।ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এই ভুখন্ডে পাকিস্তান বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা করা হয়।শেখ মুজিব এর ষোলকলা পূর্ন করেন।'

    ভারত নিশ্চয়ই অভিসন্ধিমূলক মদত দিয়েছে... অস্বীকার করার মত কোন তথ্য নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন এইসবই, বাইরের মদত আর ষড়যন্ত্র ছিল? হবেও বা।

    এখানে আর তর্কের চেষ্টা করা উচিত হবে না। এমনিতে বেশী ধর্মীয় স্লোগানেও আমার অ্যালার্জি আছে।

    তবে 'মইনুল'এর পোস্ট যখন পড়েই গেছে বলে যাই, সইফুল অনুপ্রবেশ চলতে দেওয়া হোক একবারও বলেননি। আপনার চোখে ন্যাবা হলে সেটাতো আপনারই সমস্যা। পুঁজিবাদের ঠান্ডা ঘরে বসে লাভের গুড় খাওয়াটা জাতিবিদ্বেষ ছড়ানোর থেকে খারাপ মনে করেন, ভালো কথা।
  • Tim | 12.133.48.103 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৩75406
  • হ্যাঁ সইফুল কোথাও লেখেননি যে অনুপ্রবেশ করে ভালো করেছে, করতে দেওয়া হোক।
    এবার পারষ্পরিক গোলাগুলি বন্ধ হোক।
  • Mainul | 181.207.39.182 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৫75407
  • আমি সইফুলকে টার্গেট করে বলিনি। ফেসবুক আর গুরুতে কি আপনি সাম্যবাদের ন্যাকরা জড়ানো সুশীল দেখতে পাচ্ছেন না? চোখ থেকে নীরোধটা খুলে ফেলুন। ওটা ওর আসল জায়গায় ইউজ করুন।
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৫75408
  • মইনুলের কথার টোন খুব খারাপ লাগল।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫১75409
  • ফেসবুকের কথাগুলো ফেসবুকে বললে ভালো হয়না? আপনি হয়তো খুবই দামী কথা বলছে, কিন্তু এখানে তেমন সমঝদার কই। উলুবনে মুক্তো ছড়িয়ে তো লাভ নেই, আপনার এই নিরোধ ফেটিশের কদর করার মত তো লোক তো আর যেখানে সেখানে পাবেননা।
  • শ্রী সদা | 24.96.80.190 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০০75410
  • মইনুলবাবুর বক্তব্যের ধরণ ভালো লাগেনি। কিন্তু "কে এফ সি, সিসিডি, বারবি কিউ, পকেটে আইফোনে ছাড়া দিন চলবে না, স্যালারি ২০% না বাড়ালে তেড়ে ম্যানেজারের বাপ বাপান্ত করবে, আর গরিব মানুষদের বেলায় সাম্যবাদের ন্যাকরা জড়ানো চাই।" ~ এই লাইনটা ঠিক ফেলে দেওয়ার মত মনে হলনা। মানে চারপাশে খুঁজে পাওয়ার মত খুব পরিচিত প্যাটার্ন। নিজেকে ইনক্লুড করেই বলছি।
  • সাইফুল | 190.149.7.202 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১২75411
  • mainul @ চেঙ্গিস খানের জাত ভাই নাকি ?! ভাল তো ! ভাল না ?! অনুপ্রবেশ কি শুধু আমরাই করি?আপনারা করেন না? ফেন্সিডিল আর অন্যান্য ভারতীয় চোরাচালানকারীকে তো কোলে করে বর্ডার পাস করিয়ে দেওয়া হয়। তা গুলি শুধু গরু ব্যবসায়ীদের বুকে লাগবে আর ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীদের মুখে মধু তাতো হয় না।আজ পর্যন্ত একটা মাদক ব্যবসায়ী মরতে শুনলাম না।শুধু মারে যারা গরু আনে তাদের। মারলে সবাইকে মারো।তাতে দুইটা লাভ।মাদক ব্যবসায়ীও কমলো , গরু ব্যবসায়ীও মরল আর দেশের মানুষও কমলো।

    আর বাংলাদেশীদের কাছ থেকে জ্ঞানের কথা শুনা কি পাপ? যে গুলো বলেছি সেগুলো কি মিথ্যে?
  • দেব | 37.63.157.47 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২৪75412
  • না না সাম্যবাদ নয়। বলছিলাম বাংলাদেশকে ভারতের একটা অঙ্গরাজ্য করে নিলে এইসব ঝামেলা কমে। কাঁটাতার 'তুলে' দেওয়া মানে সেটাই।

    তা তাতে সম্মতি/আপত্তি থাকতেই পারে, দু'দিকেই। বিভিন্ন কারণে। কিন্তু সাম্যবাদের পারটিকুলারলি কিছু নাই এতে।
  • বাংলাদেশ | 190.149.7.203 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২৭75413
  • ভারত আমাদের বন্ধু।ভারত সীমান্তে গুলি করে মানুষ মেরে আমাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করছে।ফারাক্কা বাধ দিয়ে সমগ্র উত্তরাঞ্চল শুষ্ক করে ফেলেছে।তাতে কি হয়েছে!ভারত আমাদের বন্ধু।টিপাইমুখ বাধ দিয়ে পূর্বাঞ্চল মরুভূমি করার পায়তারা করছে।ভালই তো।মরুভূমি দেখতে আর রাজস্থান যেতে হবে না।এখানে বসেই তা দেখতে পারবো।তিস্তা চুক্তি করতে গড়িমসি করছে।করবেই তো।ভারত কত বড় দেশ।তাদের কি আর সময় আছে আমাদের দেখার,আমাদের কথা ভাবার? আসলেই ভারত আমাদের বন্ধু।সীমান্তের ওপারে অবাধে ফেন্সিডিলের কারখানায় ফেন্সিডিল উৎপাদন করছে।তারা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য ফেন্সিডিল এদেশে পাঠাচ্ছে।আর আমরা তা খেয়ে মস্ত বড় পিনিক করছি।ভালই ত।এইরকম বন্ধু না থাকলে আমরা ফেন্সিডিলের স্বাদ থেকে বঞ্ছিত হতাম।তাই ভারতকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। যারা বলবেন তারা রাজাকার ,জামায়াত শিবির , বিএনপির দালাল।
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩০75414
  • হনু। বুঝলাম। মানে বুঝিয়ে ছাড়ল আরকি। যদিও আমি ঐ লাইনেই যাচ্ছিলাম না আদৌ। বেসিকালি সব সরকারই খাজা আর সব মানুষই প্রায় একরকমের - এইরকম একটা দার্শনিক টোন আনার চেষ্টা করছিলাম, কেউ দিলনা।
  • Ishan | 214.54.36.245 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩১75415
  • এগুলো কী হচ্ছে কী? ভারত বাংলাদেশ আপাততঃ দুটো দেশ। দুটো দেশ বন্ধু শত্রু কিস্যু হয়না। সেই নিয়ে "ভারত আমাদের বন্ধু" বা "ভারত আমাদের শত্রু" বা "বাংলাদেশ বন্ধু/শত্রু" বলে এখানে নিজেদের মধ্যে চাট্টি বাওয়াল করা ছাড়া লাভ কী হবে?
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫৩75416
  • মারিয়ন সাত্রাপি-র সেই বিখ্যাত উক্তি। অক্ষদা, তোমার টোনটা আমি ভালই বুঝেছি।
  • সাইফুল | 68.97.242.30 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৪০75332
  • @ rabaahuta আপনি কোন দেশের নাগরিক? যে দেশেরই হোন না কেন লেখাগুলো পড়েন।না ভিখিরি আর চাষাভুষাদের লেখা পড়েন না ??

    বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত কোনটি? এ প্রশ্নের জবাবে আমাদের মনে ভেসে উঠতে পারে ফিলিস্তিনিদের গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্তের কথা। কেননা, বছরের পর বছর সেখানকার বহু ফিলিস্তিনির নিষ্ঠুর হত্যার খবর বিশ্বের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে। এখন অবশ্য ২৫ মাইল সীমান্তজুড়ে তারা গড়ে তুলেছে নিরাপত্তাপ্রাচীর এবং পাঁচটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রবেশপথ। অবশ্য, গাজা এখন কার্যত বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত জেলখানা। অন্য আর যে সীমান্তে রক্ষীদের গুলিতে প্রাণহানির কথা শোনা যেত, সেটি হলো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর সীমান্ত। কিন্তু গুগলে অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে এই প্রশ্নের উত্তরটি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কেননা, সংখ্যার দিক থেকে সীমান্তে প্রাণহানিতে বিশ্ব রেকর্ডটি আমাদেরই। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে হতাহতের সবাই না হলেও অন্তত ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশি।
    কিছুদিন পর পর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে খবর চোখে পড়লেও বিষয়টি যে একটা বিশ্ব রেকর্ডে দাঁড়িয়েছে, সেটা প্রথম গণমাধ্যমের নজরে আসে বছর চারেক আগে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর-এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের এই আচরণ যে এতটা ভয়াবহ এবং গুরুতর রূপ নিয়েছে, সেটা বুঝতে না পারার কারণ প্রধানত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা। সামগ্রিকভাবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় সন্দেহভাজনদের হত্যার বিষয়টিকে যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে, সেটা বুঝতে আমাদের সময় লেগেছে অনেক।
    ‘ইন্ডিয়া’স গ্রেট ওয়াল—দ্য ওয়ার্ল্ডস ডেডলিয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই। চ্যানেল ফোরের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন রাগম্যানের প্রায় সাড়ে আট মিনিটের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি ইন্টারনেটে এখনো পাওয়া যায়। তাঁর প্রতিবেদনে তিনি দেখিয়েছেন যে সীমান্তে হতাহত ব্যক্তিদের সবাই গরু পাচারকারী অথবা চোরাকারবারি নন। এসব অবৈধ কারবারে কেউ কেউ নিশ্চয়ই জড়িত, কিন্তু তার চেয়েও বেশি দুর্ভোগ এবং বিপদের শিকার হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার সাধারণ কৃষক এবং তাঁদের পরিবারগুলো। চাষাবাদের কাজ করার সময় বিএসএফের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন অথবা গুলি খেয়ে বেঁচে গেছেন এ রকম বেশ কিছু গ্রামবাসীর সাক্ষাৎকার রয়েছে ওই প্রতিবেদনে। অভিন্ন নদীর প্রবাহে সীমান্ত বিভাজন হয়েছে এ রকম তিস্তার এক অংশে নৌকায় বাংলাদেশি নারীদের একটি দলকে পাচারের দৃশ্যও তাঁর প্রতিবেদনে রয়েছে। সীমান্তে যে প্রায় দুই হাজার মাইলজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হচ্ছিল, তার পাশ ধরে লোকজনের চলাচল এবং সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক নজরদারি ওসব জনপদের মানুষের জীবনযাত্রায় যে কী ধরনের ছন্দপতন ঘটিয়েছে, তার প্রতিফলন আছে জোনাথনের প্রতিবেদনে।
    কিন্তু চ্যানেল ফোরের প্রতিবেদন ইংল্যান্ডের দর্শকদের আলোড়িত করলেও বাংলাদেশ বা ভারতে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। এই দুই দেশের কোনো টিভি চ্যানেল ফোরের ওই প্রতিবেদন পুনঃপ্রচার অথবা তারপর কী ঘটছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে নিজস্ব কোনো রিপোর্ট বা অনুষ্ঠান করেছে বলে শোনা যায়নি। অথচ, বিষয়টি নিয়ে দুই দেশেই জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক সূচনার মতো ‘ফলোআপ’ করার এক চমৎকার সুযোগ তখন তৈরি হয়েছিল। সুযোগ বলছি এ কারণে যে এ ধরনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিশেষভাবে বাংলাদেশে কোনো চ্যানেলই অর্থের সংস্থান করে না। সুতরাং বড় ধরনের অনুসন্ধানের কাজ ছাড়াই চ্যানেল ফোরের প্রতিবেদনকে তখন কাজে লাগানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
    চ্যানেল ফোরের রিপোর্টেরও দেড় বছর পর ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এ ধরনের নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ শিরোনামে বিশদ আকারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শতকের প্রথম ১০ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন এক হাজারের মতো বাংলাদেশি, যার অর্থ হচ্ছে গড়ে প্রতিবছর ১০০ জন অর্থাৎ প্রতি সাড়ে তিন দিনে একজন করে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। কোনো ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়া শান্তির সময়ে কোনো দেশ তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের এই হারে হত্যা করছে—এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নেতৃত্ব এবং নাগরিক সমাজ বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেবে তা কল্পনা করাও দুষ্কর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতেও যেমন বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে গেছে, তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা এর ভয়াবহতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা ফেলানীর নিথর দেহের ছবি সাময়িকভাবে আমাদের কিছুটা বিচলিত করলেও সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতা শুধু ক্ষমতাসীনদের একার নয়, এর আগে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন তাঁদেরও।
    ফেলানী হত্যার বিচার বিএসএফের আদালতে না করে ফৌজদারি আদালতে অনুষ্ঠানের জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশ কোনো দাবি জানিয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। নাকি সরকার আশা করেছিল বিএসএফ তাদের নিজেদের বিচারে নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করবে? ‘সীমান্তে সন্দেহভাজনদের গুলি করা বন্ধ হবে না’ মর্মে বিএসএফের সাবেক প্রধান ইউ কে বনশলের বহুল প্রচারিত বক্তব্য (ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২ বিবিসি) বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিরা কি ভুলে গিয়েছিলেন? ফেলানীর হত্যাকারী তো তাঁর বাহিনীপ্রধানের নির্দেশনাই অনুসরণ করেছেন। তাহলে সেই বাহিনীর আদালত কেন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করবেন?
    ২০১১ সালের ২৫ জুলাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে চিঠি দিয়ে সীমান্তে নতুন করে হত্যা এবং নির্যাতনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর দ্রুত ও স্বচ্ছ ফৌজদারি তদন্ত এবং ন্যায়বিচার দাবি করেছিল। ওই চিঠিতে তারা বলেছিল, ‘শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমায় প্রবেশের কারণে ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে কলম্বো কোনো পদক্ষেপ নিলে ভারত যখন প্রতিবাদ করে, তখন তাদেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের এত দ্বিধা কেন?’ এ ধরনের যুক্তি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কণ্ঠে শোনা যায় না। বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে এটুকু নৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে না পারলে সেই সম্পর্কে বন্ধুত্বের আর কি অবশিষ্ট থাকে?
    ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের আরেকটি খবরের উল্লেখ এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ধারণের একটি গবেষণা চালায়। তাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কী ধরনের রাজনৈতিক সমস্যা তৈরি হতে পারে, তার সম্ভাব্য কয়েকটি কাল্পনিক অবস্থার বিশ্লেষণ করা হয়। এতে যেসব সম্ভাব্য চিত্র তাদের সামনে উত্থাপিত হয়, তার একটি ছিল বাংলাদেশের একটি বিশাল এলাকা সাগরে তলিয়ে যাওয়ার কারণে কোটি মানুষের বাস্তুহারা হওয়া। এসব বাস্তুহারা স্বভাবতই বাঁচার আশায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতমুখী হতে চাইবে এবং তখন যে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে, সেটা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিতে পারে।
    একাত্তরে কোটি খানেক বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ভারতের পক্ষে কি মেনে নেওয়া সম্ভব? সুতরাং দুই হাজার মাইল কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ তো একটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। বিএসএফের নিষ্ঠুরতার কারণে এই সীমান্তে বাংলাদেশিদের সন্ত্রস্ত রাখাটাই হয়তো তাদের কৌশলের অংশ। সীমান্ত এলাকায় চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) মোতায়েনের ঘোষণা (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩) এ ধারণাকেই সমর্থন করে। যদিও বিএসএফ-প্রধান বাংলাদেশ সীমান্তে এ ধরনের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন। অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মতে, ভারতে সন্ত্রাসীদের কথিত অনুপ্রবেশের সমস্যা পাকিস্তান সীমান্তে প্রকট হলেও ভারতের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়। এর উপসর্গ বা লক্ষণ হিসেবে তাই তারা বলে থাকে যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান, চীন কিংবা মাওবাদী সন্ত্রাসকবলিত নেপালের সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা বাংলাদেশ সীমান্তের মতো এতটা নয়।
    সীমান্ত সম্মেলনের মতো বিচ্ছিন্ন আলোচনা বা উদ্যোগে ভারতের এই সীমান্ত রক্ষানীতিতে যে পরিবর্তন আসবে না, সেটা বোঝার জন্য ইতিমধ্যেই অনেক কালক্ষেপণ হয়েছে। প্রাণ গেছে অনেক বেশি নিরীহ বাংলাদেশির। অথচ এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা শুধু এখনো পর্যন্ত শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ। সীমান্তে হত্যা বন্ধের জন্য ভারতের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির ন্যূনতম একটি পদক্ষেপ হতে পারে জাতীয় সংসদে সর্বদলীয় প্রস্তাব পাস, যাতে তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায় যে তাদের নাগরিকের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, ছোট প্রতিবেশীর অনুভূতি তার থেকে আলাদা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়ে নিজেরা একে অপরকে রাজপথে মোকাবিলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলেও সীমান্তে মৃত্যুর মিছিল বন্ধে অন্তত একটা সমঝোতা হওয়া উচিত। তাহলে ওই প্রস্তাবে গণতান্ত্রিক ভারতের নেতাদের এ কথাটিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাবে যে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পরিচয়টি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা বাড়ায় না। সামগ্রিক সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন না ঘটিয়েও তা সম্ভব হতে পারে।
    কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন।
  • সাইফুল | 68.97.241.249 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৪৬75333
  • ভারতকে অমানুষ ,বেঈমান বলায় স্বাভাবিক ভাবেই আপনাদের আতে ঘা লাগবে।লাগাটাই স্বাভাবিক,যেমনটি আমাদের দেশের মানুষকে চোর,ভিখিরি,অশিক্ষিত ইত্যাদি বলায় আমার লেগেছিল। সে আর আপনাদের দোষ দিয়ে কি লাভ বলুন ! কবেই জানি রবীন্দ্রনাথই বলে গিয়েছিলেন এপার বাংলার মানুষ মূর্খ চাষাভুষার দেশ ! ! !
  • সাফুল | 68.97.241.249 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৭75334
  • @ Ribhu হাহাহা।আপনার কমেন্ট পড়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না । আমাদের দেশের টেক্সটাইল মিল সম্পর্কে আপনি হুদাই মিথ্যা কথা বলছেন কেন? এদেশে এইসব মিলের বেশিরভাগ শ্রমিক এদেশেরই।তারা হতে পারে গরীব,চাষাভুষা,ভিখিরি।তারপরেও তারা এদেশের।দু একজন বিদেশী থাকতে পারে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে তবে শ্রমিক যারা আছে তারা সবাই এদেশেরই।আমি মানি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না ঠিক কিন্তু তার দায়ভার শুধু মালিকদের নয়।বেদেশি ক্রেতাদেরও আছে।উনারা কম দামে আসেন আমাদের দেশ থেকে কাপর কিনতে।আমরা উনাদের দেওয়া বাজেটের ভিতরে কাপর বানিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে আমাদের ব্যবসা গুটানোর পথ খুলে দেই আর কি ! !
  • একরামুল হক শামীম | 190.148.209.98 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৮75417
  • সীমান্ত, কাঁটাতার, অন্য দেশ এসব বাক্য ব্যবহার করতে করতে আমরা ভুলে যাচ্ছি ফেলানী একজন মানুষ ছিলেন। একজন মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের ব্যবহার কেমন হবে সেই আলোচনা হওয়া জরুরী। সেটি বোধ হয় সভ্য রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও।
    প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শত্রুতা জিইয়ে রেখে কিংবা শত্রুভাবাপন্ন অবস্থান বজায় রেখে প্রিডিটারমাইন্ড হয়ে কোনো কিছু বিশ্লেষণ করায় সমাধান আসবে না। সেখানে এক দিকে অবস্থান নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। 'বাংলাদেশ ভারতের শত্রু' কিংবা 'ভারত বাংলাদেশের শত্রু' এমন অবস্থান জারি থাকলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পৃথিবীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সীমান্ত হিসেবেই থেকে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন