এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • নো ওয়ান কিলড ফেলানি

    একরামুল হক শামিম লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৮২১ বার পঠিত
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়নকালে চতুর্থ বর্ষে 'আন্তর্জাতিক আইনে' গার্সিয়া অ্যান্ড গারজা মামলা পড়তে হয়েছিল। মনে আছে, এ নিয়ে ক্লাসরুমে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি মেক্সিকো ভার্সেস ইউএসএ, ১৯২৬ নামে পরিচিত। এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে নিষ্পত্তি হয়েছিল। মেক্সিকোর একটি দরিদ্র পরিবারের দুই সন্তান রাতের আঁধারে রিওগ্রানদে নদী সাঁতরে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা অতিক্রম করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়। তারা এমন এক স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় যেখানে মেক্সিকো ওযুক্তরাষ্ট্রের আইনে নদী পারাপার নিষিদ্ধ ছিল। সীমান্তরক্ষী অফিসার চোরাচালানের উপর নজর রাখার জন্যই বিশেষভাবে নিযুক্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অব মার্শাল সীমান্তরক্ষী অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং অফিসারকে চাকরি থেকে অব্যাহতির আদেশ দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই আদেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং অফিসারকে পুনঃরায় চাকরিতে বহাল করেন। বিষয়টি মেক্সিকো-ইউএসএ জেনারেল ক্লেইমস কমিশনে বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হয়। আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, অফিসারের কৃতকর্ম রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা যেভাবেই বৈধ করার চেষ্টা করা হোক না কেন এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো কাজ নয়। শিশু দুটির অনানুমোদিত স্থান দিয়ে নদী পারাপারের চেষ্টা নিঃসন্দেহে বেআইনি কাজ। কিন্তু কেবল এই কারণে কেনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানো আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত বা অনুমোদিত হতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনে ব্যক্তির প্রতি আচরণের একটি ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য মাত্রা রয়েছে। এমন কোনো আইন নেই যার মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতি এমন অমানবিক আচরণ সমর্থিত হতে পারে। সুতরাং মেক্সিকান শিশু দুটির হত্যা নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী হবে। সেই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিহতের বাবা-মাকে ২ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণের চেয়ে বড় বিষয় হলো দায়ী পক্ষ দণ্ড পেয়েছে।


    গার্সিয়া এবং গারজা মামলাটি অনেকদিন পরে প্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়ে গেল। তবে এবারের ফলাফল ভিন্ন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ভোরবেলা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। কনস্টেবল অমিয় ঘোষ গুলি করে। কাঁটাতারে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারপর থেকেই ফেলানী হত্যার বিচারের দাবি জানানো হয়। নানা ধাপের পর সেই বিচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট। স্বাভাবিকভাবেই এ বিচার কাজ নিয়ে অনেক রকমের প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম রক্তক্ষয়ী সীমান্ত। সেই সীমান্তের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম কোনো বিচার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক রকমের প্রত্যাশা থাকে। সীমান্তের হত্যাকাণ্ড বন্ধে এই মামলা হতে পারতো প্রথম ধাপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পথ উন্মোচিত হয়নি। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া।


    ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে শুরু হয় ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার। সকালে কোচবিহারের সোনারীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে উক্ত বিচারকাজ শুরু হয়। বিএসএফ এর আইন The Border Security Force Act, 1968 অনুযায়ী গঠন করা হয় জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট। মোট পাঁচজন বিচারক বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডি আই জি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী। ১৪ আগস্ট বুধবার থেকে শুনানি শুরু হয়। কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই অমিয় ঘোষ তাঁর ৫ দশমিক ৫৬ মিলিমিটার ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন, যাতে নিহত হয় ফেলানী। ফেলানীকে হত্যার দায়ে বিএসএফের অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিয় ঘোষ ঘটনার পর থেকেই ক্লোজ অ্যারেস্ট থাকেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর ইউনিটের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের এলাকার মধ্যেই সীমিতভাবে ঘোরাফেরা করতে পারতেন। শুনানির শুরুতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়। নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে ফেলানীকে হত্যা করলেও এর জন্য দোষ স্বীকার করেনি কনস্টেবল অমিয় ঘোষ। এরপর ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। জেনারেলসিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট ৬ সেপ্টেম্বর বিচারকাজ শেষ করে।  রায়ে ভারত-বাংলাদেশসীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। রায়ের পরে বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট ১৯৬৮ অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের রায়ের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরুর কথাও জানানো হয়।


    দুখঃজনক হলেও সত্য, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টের এই বিচার ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। 'নো ওয়ান কিলড জেসিকা'র মতো যেন বলা হলো 'নো ওয়ান কিলড ফেলানী'! বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ব্যক্তি ফেলানীর ওপর যে নির্মম ও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে তা কোনো আন্তর্জাতিক আইনেই সমর্থিত হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে গার্সিয়াঅ্ যান্ড গারজা মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা আবারও মনে করা যেতে পারে।


    ফেলানী হত্যাকাণ্ড সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইকনিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের সঙ্গে ভবিষ্যতের আরও অনেক ঘটনার সংযোগ হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারকে এখন এ ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে। এতোদিন বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর পর্যায় থেকে দেখা হয়েছে। এখন আশা করবো বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যেখানে জানে যে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের রাইফেল থেকে চালানো গুলিতেই ফেলানীর মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর পর অমানবিকভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেলানীর মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সেখানে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া নিঃসন্দেহে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তুলবে।


    দ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অ্যাক্ট, ১৯৬৮ এর ১১৭ ধারা অনুযায়ী এই আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।


    ১১৭ ধারায় রয়েছে- 117.Remedy against order, finding or sentence of Security force Court.


    (1) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by any order passed by any Security Force Court may present a petition to the officer or authority empowered to confirm any finding or sentence of such Security Force Court, and the confirming authority may take such steps as may be considered necessary to satisfy itself as to the correctness, legality or propriety of the order passed or as to the regularity of any proceeding to which the order relates.


    (2) Any person subject to this Act who considers himself aggrieved by a finding or sentence of any Security Force Court which has been confirmed, may present a petition to the Central Government, the Director- General, or any prescribed officer superior in command to the one who confirmed such finding or sentence,and the Central Government, the Director- General, or the prescribed officer,as the case may be, may. pass such order thereon as it or he thinks fit.


    ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আদেশ প্রদান করেছে যে সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের বিচার ক্রিমিনাল কোর্টেও করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায়কে সেট অ্যাসাইড করে দেয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুইজন বিএসএফ সদস্য কর্তৃক একজন কাশ্মিরী কিশোরীকে হত্যার মামলায় এমন আদেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সব ধরনের মামলা সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে করা বাধ্যতামূলক নয়।  (The SC held that it was not mandatory to try all such cases in the security force court, and the commanding officer must adduce sufficient reasons on why the case should not be sent to a criminal court. It said specific provisions under the armed forces laws could not summarily take away general laws.)


    কিছুটা দেরি হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে। যেভাবে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স ফেলানী হত্যা মামলায় রায় প্রদান করেছে তা ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করেছে। পাশাপাশি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পথকে আরও উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশ এবং ভারত দুটি দেশকেই সীমান্তে হত্যাকান্ডে বন্ধে ফেলানী হত্যা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৬৮২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১২75335
  • কি গদগদে সেন্টি রে বাবা!! অভাবের মহিমা কীর্তনও শুরু হয়ে গেল।
  • দেব | 116.216.27.56 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১৯75336
  • সাইফুল, কঠিন প্রশ্নটা এবার করি। পরিস্থিতি যখন এই, ধর্মের ভিত্তিতে দেশটাকে ভাগ করাটা কি ঠিক হয়েছিল? বিপ্লবদাও একই প্রশ্ন মুক্তমনাতে করেছেন।

    এবং, বিপ্লবদার কথামত যদি প্রস্তাব ওঠে, যে এইসব সমস্যার সমাধানে ভারত - বাংলাদেশের একটা ফেডারেশন হোক, আপনার কি মত তাতে?
  • cb | 99.231.97.13 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:২১75337
  • ফেবুত এরকম আলোচনা হয় বলে শুনেছি (এক বন্ধু সদস্য) , এইধরনে একটি গ্রুপের ও সদস্য নই। থ্যান্ক গড!!!!
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:২২75338
  • সেই ফেডারেশনে ভারত পাগল করা বড়দাগিরি করবে, হাড়মাস জ্বালিয়ে খাবে। প্রথম প্রশ্নটা নিয়ে আর কি বলব।
  • Tim | 188.91.253.11 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৪৪75339
  • জাতীয়তাবাদের এইরকম কোন একটা শেডের রঙ দেখিয়েই সেনাবাহিনীতে রিক্রুট ও ট্রেনিং দেওয়া হয়। তাই মেরা মুলুক মহান টাইপ বক্তব্য দেখলে আজকাল আর অবাকও হইনা।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৪৬75340
  • ক।
  • দেব | 116.216.27.56 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৫৮75341
  • 13 September 2013 12:49:29 IST এ আমার প্রশ্নটা যিনি থ্রেডটা খুলেছেন তাকেও। আর বিপ্লবদা মানে বিপ্লব পাল, বিপ্লব রহমান নন, জাস্ট টু ক্ল্যারিফাই। অবশ্য বিপ্লব রহমানদার মতটাও জানতে চাই।
  • সাইফুল | 190.149.14.172 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:২৪75342
  • দেব @ ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা ঠিক হয় কি হয় নাই সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না তবে ভারত বাংলাদেশের একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হোক সেটা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা করার যে প্রক্রিয়া হয়েছিল সেই ১৯৫২ থেকে তার সব কিছুতেই ভারতের ইন্ধন ছিল।ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এই ভুখন্ডে পাকিস্তান বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা করা হয়।শেখ মুজিব এর ষোলকলা পূর্ন করেন। ৭১ এর যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে ভারত যে আচরন বাংলাদেশের সাথে করছে তার ইতিহাস দেখলে মনে হয় যে বাংলাদেশ ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও বর্তমান আওয়ামীলীগ তথা ভারতের আজ্ঞাবহ সরকার যেভাবে ভারতের সার্থ দেখভাল করে নিজে দেশের সার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক কাজকর্ম করে যাচ্ছে তাতে করে এই দেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে বেশি দেরী হবে না। বর্তমানে তো বাংলাদেশ অঘোষিত ভারত(এদেশ আর ভারতীয় সুশীলের কাছে) ! তবে ভারতের জন্য চিন্তার বিষয় যেটা সেটা হচ্ছে এ দেশের সব মানুষকে আপনারা আপনাদের আজ্ঞাবহ আওয়ামীলীগ সরকারের মত ভাববেন না । মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাছাড়া ইদানিংকার কিছু ঘটনা নিয়ে খোদ আওয়ামীলীগের মধ্যেও ভারত বিদ্বেষী মনোভাব দেখা দিচ্ছে।তা না হলে আওয়ামীলীগ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে।ভারত যদি এদেশ দখল করতে চান তাহলে বলবো বোকার স্বর্গে বাস করবেন।আপনারা বাংলাদেশের কথা চিন্তা না করে নিজেদের ২৮ টি রাজ্যের কথা ভাবুন।নিজেদের অখণ্ডতা রক্ষা করুন।আসাম নিয়ে তো আর কিছু বলার নাই। তেলেঙ্গানা নিয়ে এইতো গতকালও একটা কলাম পড়লাম।নিজেরা কট্টর হিন্দুত্ববাদী আর গোড়ামি থেকে এখনো বের হতে পারেন নাই। সাম্প্রদায়িক হামলা , দাঙ্গা সবচেয়ে বেশি হয় ভারতে। সঙ্খ্যালঘু মুসলমানদের কোন নিরাপত্তা নাই ভারতে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে আছেন নিজেরাই।অভাবের তাড়নায় মানুষ আত্মহত্যার নজির ভারতেই আছে। ধর্ষনের হাত থেকে নিজের দেশের মেয়েরা এমনকি বিদেশিরাও নিরাপদ নয়। এইতো কিছুদিন আগে কোন এক পত্রিকায় পড়লাম এখনো ভারতে মানুষ রাস্তা ঘাটে পায়খানা করে। দৈনিক ৩২ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। ২০১১ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স অনুযায়ী পৃথিবীর ৮৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ৬৭তম। ভারতের অবস্থা দুর্ভিক্ষপীড়িত রুয়ান্ডার চেয়েও খারাপ। এসব ভয়ঙ্কর তথ্য ভারতকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। কারণ, এ দেশটি এখন সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র কিনে আর ব্যয় করে শুধু বাহাদুরি দেখাতেই ওস্তাদ ভারত। ভারতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান নন্দী ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারত স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির মাত্র ১.২ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। এটা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কম। ভারতের মধ্যপ্রদেশের চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে প্রতি ১ হাজার শিশুর মধ্যে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১০৩টি শিশু মারা যায়। ইউনিসেফের হিসাবে, ভারতে ৫ বছর হওয়ার আগেই ১ হাজার শিশুর মধ্যে ৬৬ জন মারা যায়। ভারতে প্রতিদিন অপুষ্টির শিকার হয়ে মারা যায় ৩ হাজার শিশু । So দাদাবাবুরা নিজেদের চরকায় তেল দিন।ফেডারেল রাষ্ট্র হবার স্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন।
  • j | 230.227.106.153 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:২৮75343
  • হানুদার কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে

    হানুদা 7C ডোভার লেনে চেম্বার খুললে খবর দিও ;-)
  • cm | 127.208.210.33 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:০০75344
  • তা কি ফয়সালা হল আমরা যে যার নিজের দেশেই থাকব? তো তেমন থাকলেই চলে আর এই সব ফ্যাচাঙে যেতে হয় না।
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:১০75345
  • সাইফুল, বিশ্বাস করুন আপনারা আজও পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত থাকলেও ফেলানীকে এভাবেই মরতে হত।

    ভারতের পশ্চিম সীমান্তে বেড়া আছে আরো আগে, নব্বইএর দশক থেকে। আর সেটা মই দিয়ে টপকানো ও যায় না। কেন জানেন? বেড়াটা তিন থাকে তৈরী আর মাঝখানের থাকটা ইলেক্ট্রিফায়েড। আর্মির চলিত কথায় এই থাকটা 'কোবরা' লাইন বলে পরিচিত। গুজরাত থেকে জম্মু পর্যন্ত কয়েক হাজার কিলোমিটার লম্বা ব্যবস্থা। পুরোটা ফ্লাডলাইট দেওয়া। ভারত সীমানা সিল করার ব্যাপারে সিরিয়াস।

    কোন পাকিস্তানী এভাবে মরে না কেন তাহলে? সোজা উত্তর, পেটের দায়ে এপারে আসতে হয় না বলে।

    এবার এইটা ভাবুন কি করবেন। ভারতের আচরণ এরকমই থাকবে। গ্যারান্টী। কিছু এরেস্ট হবে, কিছু প্রাণ হারাবে।
  • de | 190.149.51.69 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:১২75346
  • পুউরো বিএনপির নির্বাচনী বক্তব্য, হাসিই পায় এসব দেখলে!
  • Tim | 188.91.253.11 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:১৫75347
  • একটা আদ্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে বিষাক্ত রাজনীতি করে কিভাবে সেটা সম্পর্কে মানুষকে নিরাসক্ত করে দেওয়া যায় তার উদাহরণ হয়ে থাকবে সাইফুলের পোস্টগুলো।
  • সাইফুল | 190.149.29.13 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:১৩75348
  • দেব "কোন পাকিস্তানী এভাবে মরে না কেন তাহলে? সোজা উত্তর, পেটের দায়ে এপারে আসতে হয় না বলে। " হা হা হা । একজন পাকিস্তানি মারলে যে পাঁচজন হিন্দুস্থানি মারা পড়ে এ জন্য পাক ভারত এবং চীন সীমান্তে ব্যাটাগিরি চলে না। দেখান ব্যাটাগিরি।আমরাও দেখবো কতদিন চলে এইসব।২০০১ সালের কথা কি মনে নাই।বিএসএফ কীভাবে ধুতি খুলে পালিয়েছিল?? আসলে আগের বিডিআর তো আর এখন নাই।এখনকার বিজিবি হচ্ছে নপুংসক।গুলি খেয়ে মরে আর বাল ফালান পতাকা বৈঠক করে।
  • সাইফুল | 190.149.29.13 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:১৮75349
  • আর পেটের দায়ে এপারে যে আসে সেইটা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলেন দাদাবাবু? ! আর আসবে নারে বাবুরা আর আসবে না। বেশি দিন না একটু অপেক্ষা করেন। এইসব ভিখিরির জাত আপনাদের আর বিরক্ত করবে না । অনেক বিরক্ত করলাম আমিও । অনেক বলে ফেলেছি আপনাদের নিয়ে । ক্ষমা করবেন ।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:২২75350
  • যাক, তাহল অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে বলছেন ?
  • j | 230.227.106.153 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:২৯75351
  • আর যাই করেন এপার বঙ্গকে যেন আবার মার্জ কইরা লিবেন না ....
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৩৩75352
  • সাইফুল, আপনি সব পোষ্টগুলো আদৌ পড়েছেন কি? পেটের দায়ে যে এরা আসে সেটা অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে।

    ২০০১ এ আবার কি হল? কার্গিল তো ৯৮ - ৯৯ এর ঘটনা।
  • কান্না কান্না কান্না | 132.164.207.72 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৩৮75353
  • উফ আমি...আ....আআআমি একটু কাঁদবো। আমার বড়ো কান্না পাচ্ছে সাইফুল! আমাকে একটা বাটি দেবে?
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৪২75354
  • ও সরি ২০০১ মানে পাকিস্তান নয়, আপনি বাঙ্গলাদেশ বর্ডারের কথা বলছেন। হ্যা তো কি হল?
  • Bangladesh Navy | 190.149.21.137 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৫২75355
  • ভারত মহাশয়, ২০০১ এর শিক্ষা ভুইলা গেছো নাকি?

    ২০০১ সালে আমাদের বিডিআর রৌমারি সীমান্তে স্পট যুদ্ধে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে অতর্কিত আক্রমণকারী বিএসএফ এর ৯১ টা সৈনিককে গুলি করে শিকার করছিলো (বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাদের ৮১ জন সদস্যের নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছিলো), আর বিএসএফ রাতের অন্ধকারে সব লাশ সরাইতে না পেরে ১৬ টা লাশ বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর ফেলে রেখে চলে যায় (আর আনঅফিসিয়াল তথ্য হচ্ছে, ঐদিন প্রয় ৩০০মত বিএসএফ সদস্য জাহান্নামে গিয়েছিল)। অপরপক্ষে বিডিআর এর পক্ষে শহীদ হয়েছিল ৩ জন। কি, ভুলে গেছো সেই স্মৃতি? ভুলে গেলে আয় আরেকবার, সেই দুঃসহ মুহূর্ত গুলো আরেকবার মনে করিয়ে দেই।

    শোন, অস্ত্র আমাদের হাতেও আছে। কিন্তু আমরা তোমাদের বিএসএফ এর মতন নিরস্ত্র মানুষ দেখলেই গুলি ছোঁড়ার মতো সাক্ষাত নপুংশক বা DICKLESS না। আমরা অস্ত্র হাতে অস্ত্রধারীদেরই ঘায়েল করি, নিরস্ত্রকে না। অনেক ভারতীয়রাও আমাদের সীমান্তে জীবিকার প্রয়োজনে ঢুকে, আমরা কিন্তু তাদের দেখামাত্র গুলি করে মেরে ফেলি না। তারা অন্যায্য কিছু করলে গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করি।

    আর হ্যাঁ, কতগুলো ভারতীয় মানুষরূপী শয়তানকে নিধন করার জন্য আমাদের কষ্ট করে সীমান্তের ওপাড়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, আমরা নিজ সীমান্তে বসে পাখি মারার মত করে তোমাদের মারতে পারি। কিন্তু আমরা সেটা করি না, কারন আমরা নিপাট ভদ্রলোক। তবে ভদ্রলোক হিংস্র বাঘের প্রতিমূর্তি ধারন করতে কিন্তু বেশি সময় নেয় না। সুতরাং সাবধান।
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৫৮75356
  • উরিশশালা! ভয়ে থর্থরিয়ে কেঁপে গেলাম তো!
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:০৪75357
  • ধুর্বাল।
  • cb | 202.193.116.137 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:০৪75358
  • ধুর্বাল্বিচি
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:২১75359
  • বাঘের বিচি মনে হয়
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৩২75360
  • ২০০১ এর ঘটনাটা ভারত ঠিক খেয়াল করেনি। ইয়ার্কি না। সত্যিই করেনি। গতবছরের সাইবার যুদ্ধটা মনে আছে? বাঙ্গলাদেশের পত্রপত্রিকায় যা লেখা হয়েছিল, অত মারাত্মক ব্যাপার কিন্তু এপারে কেউ দেখলই না। এটা আমার মনে হয় একটা প্ল্যানড কিছু আছে। বাঙ্গলাদেশকে ক্রেডিট না দেওয়ার।
  • pi | 118.22.228.16 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৪২75361
  • আওয়ামি বি এন পি র রাজনীতির মধ্যে যাচ্ছিনা। কট্টর ভারত বিদ্বেষ যেটা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়, রাজনীতির জন্য, সেটাও আপত্তিকর। ভারতের লোকজন মাত্র এই অমানুষ , বেইমান বলে ট্যাগিয়ে দেওয়াও। কিন্তু এই তর্কে কিছু মন্তব্য দেখে অন্য একটা প্রশ্ন পেল। ভারত সম্বন্ধে অনেক তথ্যই যা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিক, আমরা নিজেরাই হামেশা সেগুলো বলে থাকি। তাহলে সেগুলো শুনে এত খারাপ লাগছে কেন, অন্য দেশের মানুষ সেগুলো বলছেন বলে ? কোন একটা ফর্মে গদগদ ন্যাশানালিজম কি আমাদের ক্ষেত্রেও কাজ করে না? সে থাকতেই পারে।
    তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার সময় সেকথা ভাবিনা ?

    আর আমি rabaahuta on 09 September 2013 19:55:16 IST এই পোস্টে অক্ষরে অক্ষরে ক দি।
  • pi | 118.22.228.16 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৪৬75362
  • * ভারতের আভ্যন্তরীণ অবস্থা সম্বন্ধে এবং সীমান্তে বিএসেফের কীর্তিকলাপ সম্বন্ধে অনেক তথ্যই সঠিক। সেগুলো নিয়ে আমরাও বলি বা বলা উচিত। অন্য দেশের কেউ বললে এত গায়ে লাগছে কেন।
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৫১75364
  • আরে ক্ম্প্যুটারে বসে এভাবে রাজা উজির না মেরে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করলেই তো হয়। আর তাতে mandatory participation হিসেবে দু'দেশের পলিটিশিয়ানদের পাথিয়ে দেওয়া হোক। তাতে কিছু আপদ চুকবে আর দু'দেশেই ভিখিরির সংখ্যা কমবে।
  • পাখি | 132.164.207.72 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৫১75363
  • ও সাইফুল, তুমি নিজ সীমান্তে বসে পাখি মারার মত করে আমাদের মেরে ফেলতে পারো? উফ্ফ তুমি যে সাতমার পালোয়ানের থেকেও বড়ো বীর গো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন