এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যাদবপুর - আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি

    অভিষেক তুঙ্গা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩২১৮ বার পঠিত
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদের থেকে আমরা একটি চিঠি পাই। সেটি খোলা চিঠি হিসেবে প্রকাশ করা হল। বলা বাহুল্য, লেখার বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের নিজস্ব।


    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ঠিক কী ঘটেছিল ?


      ঘটনার সূত্রপাত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র PRINTING DEPT. এর মানিক হালদার এবং CONSTRUCTION DEPT. এর অনুপম ঘোষ ও IT DEPT. এর দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রকে দিয়ে। সকলেই থাকত JADAVPUR UNIVERSITY-এর SALTLAKE CAMPUS-এর হস্টেলে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম বর্ষেই যে কারণে ছাত্রটি কথা কাটাকাটির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের নাকে ঘুষি চালায়। তবে তখনকার মতো ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাপ্রবাহে ছাত্রটি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে থাকে।


                         দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি অবৈধভাবে হস্টেলে নিজের রুমে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে রাখতে শুরু করে। গত ২২এ অগাস্ট চতুর্থ বর্ষের প্রিন্টিং টেকনোলজির ছাত্র তথা হস্টেলের anti-ragging squad এর প্রাক্তন সদস্য মানিক হালদার তা হস্টেল সুপারের নজরে আনে, এতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে কেউ বা কারা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটির ঘরের কাঁচ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কে বা কারা ঘটনাটি কেন ঘটাল নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২৩শে অগাস্ট ঘটনাটি নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হস্টেলে একটি মিটিং বসে যেখানে মানিক, অনুপম ও অন্যান্য ছাত্ররাও উপস্থিত ছিল। মিটিং-এ দু-তরফেই উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি চলে, ২য় বর্ষের ছাত্রটি সাহস থাকলে one to one লড়াই-এর চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে। এরই মধ্যে অনুপম মেজাজ হারিয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রটিকে চড় মেরে বসে। যদিও মিটিংটি শেষ হয় সবাই-সবাই কে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। এমনকি অনুপম ও সেই ছাত্রটি পরস্পরকে কোলাকুলিও করে।


                        পরের দিন কেউ ২য় বর্ষের ছাত্রটির দরজার বাইরে মলত্যাগ করে যায়। এরকম পশুচিত কাজ কোন জানোয়ার করে গেল কে জানে, কিন্তু ২য় বর্ষের ছাত্রটি UGC –এর ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করে। (অভিযোগটি র‍্যাগিং এর অভিযোগ হিসেবে দায়ের করেনি)



    এর পরের ঘটনাপ্রবাহঃ


    ১) VC ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সদস্যের একটি FACT FINDING COMMITTEE তৈরি করে। যদিও কোন ছাত্র কোনোভাবেই এই তদন্ত কমিটির বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব টের পায়নি।


    ২)এই কমিটি অনুপম ও মানিককে ডেকে পাঠায় ও সেদিনের চড় মারার ঘটনার স্বীকারোক্তি নানা ছলা-কৌশলে লিখিয়ে নেয়। যদিও এরা জানতই না এই কমিটি আসলে তথাকথিত র্যামগিং-এর তদন্ত কমিটি। এমনকি এই কমিটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইকে জেরা করেনি।


    ৩) গত ১০ই  সেপ্টেম্বর anti-ragging committee-এর মিটিং ডাকা হয়, কোন agenda ছাড়াই। যেখানে on table agenda –য় এই প্রসঙ্গটির উত্থাপন করা হয়। যেহেতু প্রায় সব ছাত্রছাত্রীরাই র‍্যাগিং–এর বিরোধী, তাই ছাত্র-সদস্যরা ঘটনাটি র‍্যাগিং ধরে নিয়ে শাস্তির পক্ষে সম্মতি দিয়ে আসে, একমাত্র সল্টলেক ক্যাম্পাসের সদস্য মিঠুন ও সাধারণ সম্পাদক সৌভিক ছাড়া। এরা অল্পবিস্তর ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহল ছিল। শাস্তির পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী অনুপম ও মানিককে শোকজ করা হয়।


    ৪) show-cause –এর জবাব পাওয়ার আগেই registrar মিডিয়াতে শাস্তির ঘোষণা করে দেয়।



    আমাদের বক্তব্য কী?


    ১) যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে তাকে র‍্যাগিং করা হয়েছে,কিন্তু প্রকৃতই র‍্যাগিং হয়েছে কিনা,তার সঠিক অনুসন্ধান হওয়া উচিত।


    ২) গোটা ঘটনায় মানিক এর দোষ অবৈধভাবে রুম-এ ছাত্র রাখার ঘটনা সুপার-এর নজরে আনা! অনুপমের দোষ উত্যক্ত কথাকাটাকাটি মধ্যে চড় মেরে বসা,যেটা আবার নিজে মিটিয়েও ফেলে। বাকি ঘটনাগুলো কারা করেছে প্রমাণিত নয়, তাহলে কি করে এই দুজনকে র‍্যাগিং এর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?


    ৩) Fact Finding Committee এভাবে লুকিয়ে অনুসন্ধান চালানো কেন? এমনকি Anti Ragging Committee-এর মেম্বারও জানতে পারলো না!


    ৪) Anti Ragging Committee Meeting-এর আগেও agenda তে কেন সদস্যদের Ragging-এর অভিযোগ বা মিটিং এর বিষয়ে কিছু জানাল হল না?


    ৫) একটি বচসার ভিত্তিতে যদি Ragging-এর শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে কাল football মাঠে offside নিয়ে বচসা বা প্রেম নিয়ে senior-junior-এর মধ্যে গণ্ডগোলকেও Ragging বলে চালানো হবে।


    ৬) তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।


    ৭) কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।



    আমাদের দাবী কী?


    ১) এত অবিচার ও অস্বছত্তার জন্য  Anti Ragging Committee Meeting পুনরায় ডেকে পুরো ঘটনাটির পুনরালোচনা করা হোক।


    ২) যতক্ষণ না পুরো ঘটনাটির পুনারালোচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ শাস্তি লাগু করা যাবে না।



    আরো কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ


    ১) ভিসি (উপাচার্য) কি আইনবিরোধী কিছু করেছেন?


    - র‍্যাগিং-এর শাস্তির আইন তো রয়েছেই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ মিথ্যে অভিযোগে ব্যবস্থা নেবেন এরকম কোনও আইন নিশ্চয়ই নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই তো হয়েছে।


    ২) আমরা কেন আচার্য (রাজ্যপাল)-এর কাছে যাচ্ছি না?


    - ভিসি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি যদি এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমরা বাইরের কাউকে কীভাবে ভরসা করবো? আর, আচার্যের কাছে যাওয়া মানে তো পক্ষান্তরে মেনেই নেওয়া যে ভিসির ক্ষমতার আওতায় বিষয়টা মেটানো যাচ্ছে না।


    ৩) কর্তৃপক্ষ কি র‍্যাগিং-এর অভিযোগকে পুনর্মূল্যায়ণ করতে পারেন?


    - পারেন না এরকম কোনও আইন কিন্তু নেই। তার মানে নতুন করে তদন্ত ও বিচার করাই যায়।


    ৪) আমরা কেন আলোচনার বদলে আন্দোলনের (শান্তিপূর্ণ হলেও) রাস্তা বেছে নিলাম?


    -আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি বললেন যে ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠানো হয়ে গেছে, ফলে সিদ্ধান্তগুলো আর পুনর্বিবেচনা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আলোচনার কোনও রাসতা তিনি খুলে রাখতে দিলেন না। ফলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে হল।


    ৫) আমাদের আন্দোলনে কেন ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারকে অমানবিক ভাবে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল?


    - আমরা কাউকেই ঘেরাও করিনি। তাঁরা চাইলেই বেরিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই থেকে গেছিলেন। তাঁদের কাছে খাবার জল বা ওষুধ ও পৌঁছোচ্ছিল। কিন্তু বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছিল। সে নিয়ে তাঁদের খুব হেলদোল দেখা যায় নি।


    ৬) প্রো ভিসি অসুস্থ জানা স্বত্ত্বেও তাঁকে কেন আটকে রাখা হল?


    - আগেই বলা হল কাউকে আটকে রাখা হয় নি। মিডিয়ায় প্রো ভিসি-র অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আমরা দেখা করি। তিনি জানান যে ঠিক আছেন, কিন্তু আমরা তাঁকে আবারও বলি তিনি চাইলেই চলে যেতে পারেন। পুরো কথোপকথনটাই ভিডিও রেকর্ড করা আছে। মিডিয়া অন্যভাবে প্রচার করছে, কিন্তু মিডিয়া যেটা দেখাচ্ছে না যে তিনজন ছাত্র গুরুতর ভাবে অসুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    ৭) ফেটসুর জিএস অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এ গিয়ে কেন ছাত্রদের শাস্তির পক্ষে মত দিয়েছিল?


    - ভুল তথ্য। অ্যান্টির‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এর মিনিট দেখলেই সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রার নিজেও তা স্বীকার করেছেন?


    ৮) আমাদের আন্দোলনের কী কোনও রাজনৈতিক রং আছে?


    আমাদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও পদক্ষেপগুলি জেনারেল বডির মিটিং-এ ঠিক করা হয়। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যানারের পার্টি যুক্ত নেই।


     ৯) আমরা কি র‍্যাগিং এর সমর্থক?


    - কখনোই না। আমরা মনে করি র‍্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। আর সিনিয়র জুনিয়র হিসেবের বাইরেও সমাজের সর্বত্র র‍্যাগিং হয়ে আসে। কোথাও অফিসার অধস্তন কর্মচারীকে র‍্যাগিং করে, কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অথরিটি ছাত্রদের র‍্যাগ করে। তাই র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সচেতনতা এবং র‍্যাগিং করবো না এই আত্মসচেতনতাও দরকার। শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে র‍্যাগিং নির্মূল করা যাবেনা।



    ছাত্রছাত্রী ও বৃহত্তর সমাজের কাছে আমাদের আবেদন-


    টানা ৫২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর আমাদের রিলে অনশন প্রায় ৯০ ঘণ্টা অতিক্রম হতে চলল। এখন অব্দি পিতৃসম কর্তৃপক্ষ একবার জানারও প্রয়োজন মনে করল না, ছাত্রছাত্রীরা কেমন আছে! এর মধেই আমরা পাচ্ছি বিশাল সমর্থন- দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা তাদের fest- U-Turn স্থগিত রেখেছে, Electronics-এর দুই ছাত্র VC-র হাত থেকে switzerland-এর একটি নামী scholarship নিতে অস্বীকার কারেছে, Production ও Computer Science-এর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিজেদের ক্লাস বয়কট এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও চলছে বিক্ষিপ্ত ক্লাস বয়কট। রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদেরও বিশাল সমর্থন- Virginia Tech থেকে Sector-V, IIT থেকে IIM চিঠি পাঠাচ্ছেন তারাও। JNU থেকে Presidency, আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন কলেজের সমর্থন। আসলে সমর্থন ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন কখনই টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এই আন্দোলন আর শুধু ইঞ্জিনিয়ারীং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আটকে নেই, Arts থেকে Science, সমস্ত Faculty-র ছাত্রছাত্রীরা এতে যোগদান করেছে। আগামী বুধবার বিকেল ৩টায় (সময় পরিবর্তিত হতে পারে) Union Room-এর সামনে থেকে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হচ্ছে- যেকোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্বিশেষে ,যেকোনো বয়স ও পেশার মানুষ এতে যোগদান করতে পারেন, অবশ্যই কোনোরকম রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া। উন্নততর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পাশে চাই সবাইকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arunabha De | 69.93.203.34 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৩১75709
  • বেশ তো , ওটা নাহই ঠিক উদাহরণ দি নি, কিন্তু আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি তখন আমার উদেশ্য সফল
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৯75710
  • আইসা-র লিফলেট-টা খুবই ভাল লাগল।
  • mila | 71.8.33.132 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৫75698
  • দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি।
    ==============================================================
    উপরের লাইন গুলো পরে অনেক প্রশ্ন মাথায় আসছে
    যেমন যাদবপুর এর সংস্কৃতি বলতে লেখক ঠিক কি বুঝিয়েছেন? (এখন তিনি যদি বলেন সেটা কেবল মাত্র যাদবপুর এর অ্যালুমনি রাই বুঝতে পারবেন তাহলে একটু মুশকিল, কিন্তু খোলা পাতায় এই লেখা শুধু যাদবপুর এর জন্যে নয় ধরে নিয়েই এত প্রশ্ন করা )
    কোনো ছাত্র যদি যাদবপুর এর 'সংস্কৃতি' (সেটা যাই হোক না কেন) এর সাথে মানিয়ে নিতে না চায়, কিন্তু মেরিট এর ভিত্তি তে যাদবপুর এ পড়ার সুযোগ পায়, তাহলে? যাদবপুর এর 'সংস্কৃতি' এর সাথে মানিয়ে নেওয়া তা বাধ্যতামূলক কেন?
    ===============================================================
    'যতক্ষণ না পুরো ঘটনাটির পুনারালোচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ শাস্তি লাগু করা যাবে না।'-- পুনরালোচনা করলেই শাস্তি দেওয়া যাবে? নাকি শাস্তির মাত্রাও ছাত্র রাই ঠিক করবে এটাই দাবি?
    ==============================================================
    'ভিসি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি যদি এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমরা বাইরের কাউকে কীভাবে ভরসা করবো? আর, আচার্যের কাছে যাওয়া মানে তো পক্ষান্তরে মেনেই নেওয়া যে ভিসির ক্ষমতার আওতায় বিষয়টা মেটানো যাচ্ছে না।'
    ===============================================================
    'এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান'-- দু পক্ষই তো অনার ছাত্র, রুচি ও মূল্যবোধ এর উপর ভরসা রাখতে হলে দুপক্ষের উপরেই ভরসা রাখতে হয়, নিলে কোনো পক্ষের উপরেই না, ভরসা রাখতে হলে এক পক্ষের অভিযোগ কে 'মিথ্যা অভিযোগ' ধরে নেয়াটা লিডিং স্টেটমেন্ট নয় কি? এই বাক্য থেকে 'আমরা আর ওরা'র গন্ধ পাচ্ছি
    ==================================================================
    'তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।'
    ==================================================================
    চড় মারার ঘটনার পরেই ফেত্সু হোস্টেল এর কোড অনুযায়ী শাস্তির দাবি করেনি কেন? ছেলে টিকে UGC এর দ্বারস্থ হতেই বা হলো কেন? এখন বেগতিক দেখে ব্যাপারটা নিজেদের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার কথা মনে হচ্ছে কি?
    ===================================================================
    'উন্নততর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পাশে চাই সবাইকে।'
    =====================================================================
    উন্নততর ক্যাম্পাস মানে কি? যেখানে ভিন্ন সংস্কৃতির লোক এলে তাকে কোনো না কোনো ভাবে নিজেদের সংস্কৃতি তে পরিবর্তন করা যায়? সেই প্রসেস এ একটা আধটা চড় থাপ্পর মেরে দিলে তার শাস্তি না হওয়া?
    =======================================================================
  • মতি | 233.176.135.126 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২৬75699
  • আক্স চেয়েছিলেন, দিলাম আইসা-র পুরো লিফলেটটা পরের পোষ্টে।
  • মতি | 233.176.135.126 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২৭75700
  • র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে একটি প্রচারপত্র

    বন্ধু,
    চলমান এই আন্দোলন সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইসা ইউনিটের পক্ষ থেকে কয়েকটি কথা তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চাই|

    ছাত্রদের এই আন্দোলন শুধু ছাত্র সমাজে নয় বৃহত্তর সমাজেও র‍্যাগিং নিরোধে সদর্থক আলোচনার পরিসর তৈরী করেছে| ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং নির্মূল করার প্রশ্নে কর্তৃপক্ষের সাথে কোন ছাত্র সংগঠনের বিরোধ আছে বলে মনে হয়না| কিন্তু, বিরোধ তখনই হয় যখন কর্তৃপক্ষ র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে এই লড়াই থেকে ছাত্রদেরই বিচ্ছিন্ন করতে চায়| যেমন, এই ক্ষেত্রে তদন্ত করা হল অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির ছাত্রদের বিচ্ছিন্ন রেখেই, এমনকি মিডিয়ার কাছে এমন ভাবে বয়ান দেয়া হল যেন ছাত্ররা সবাই র‍্যাগিং সমর্থক! এর আগে, র‍্যাগিং আটকাতে কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক ইয়ারের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা আলাদা ব্লকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ছাত্ররা তা আটকে দেয় আন্দোলনের মাধ্যমে| র‍্যাগিং আটকান মানে সুস্থ স্বাভাবিক মেলামেশা আটকে দেওয়া!! র‍্যাগিং রোধে আলাদা আলাদা ব্লকে বিচ্ছিন্ন রাখা মানে কি সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে পারস্পরিক সন্দেহ অবিশ্বাসকেই বাড়িয়ে তোলা নয়?

    ইউ জি সি-র সংজ্ঞা অনুযায়ী র‍্যাগিং হল ''teasing, treating or handling with rudeness a fresher or any other student." অবশ্য এই সংজ্ঞা কেবলমাত্র ছাত্র-ছাত্র সম্পর্কের ক্ষেত্রেই প্রোযোজ্য| শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই নীতি মানা হয়না| কেন? সেক্ষেত্রে কি প্রভূ-ভৃত্য বা অভিভাবক-নাবালক সম্পর্কটা স্বতঃসিদ্ধ? টীজিং বা রূড ব্যবহার করলেও অভিভাবককে তো র‍্যাগার বলা হয়না! ভিসি এই চলতি বিতর্কে একটি লেখায় নিজেকে সমস্ত ছাত্রের অভিভাবক হিসাবে দাবি করেছেন| প্রথাগত ভাবে সিনিয়ররা জুনিয়রদের ''র‍্যাগিং'' করে ঠিক একইরকম এক অভিভাবকত্বের দাবিতেই, হস্টেলে তাই সব ফ্রেশারেরই ডাকনাম ''বাচ্চা''!! আমরা এই অবমাননাকর সম্পর্ক চাইনা| আমরা গণতান্ত্রিক সম্পর্ক চাই| শিক্ষক-ছাত্র, ছাত্র-ছাত্র, সিনিয়র-জুনিয়র সব ক্ষেত্রেই|

    আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি এবং মিটমাট হয়ে যাওয়ার পরের অপরাধটির সাথে তারা কোনভাবেও যুক্ত নন-- এই গ্রাউন্ডে শাস্তিপ্রাপ্ত দুই ছাত্রের কর্তৃপক্ষ বা কোর্টের কাছে স্থগিতাদেশ চাওয়ার অধিকার আছে| ইউ জি সির চাপে তড়িঘড়ি উপাচার্য্য ছাত্রদের অন্ধকারে রেখেই শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা ক'রে বিভ্রান্তি ছড়ান| অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলকে ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র শাস্তি ঘোষণার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে| ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েও ভিসি শেষে আবার বেঁকে বসেন 'ইউজিসিকে জানানো হয়ে গেছে' এই বাহানায়| অনাস্থা বাড়ে| সেখান থেকেই দাবি উঠেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঠামোয় ছাত্রদের যেটুকু প্রতিনিধিত্ব আছে অন্ততঃ পক্ষে সেটুকুকে সম্মান দিয়ে স্বচ্ছ পুনর্দতন্ত হোক| কিন্তু কর্তৃপক্ষ কি আদৌ তা মানবে? কথায় আছে হাকিম নড়ে তবু হুকুম নড়েনা!

    পুনর্তদন্তের দাবিকে আমরা দ্বিধাহীন ভাবে সমর্থন জানিয়েছি| কিন্তু, অভিযোগকারীর সুবিচার পাওয়ার অধিকারকে নাকচ করে দিয়ে তাকেই অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেয়ার প্রবণতাকে আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি| ঘটনাবলী থেকে একথা স্পষ্ট যে প্রীতম সুব্বার ওপর নিদারুন অন্যায় হয়েছে| সিনিয়র স্টুডেন্টের হাতে থাপ্পড় খাওয়ার পরও সে সবার কথা মেনে মিটমাট করে নিয়েছিল, অথচ তার পরেও তার ঘরের সামনে বিষ্ঠা ছড়িয়ে তাকে উত্যক্ত করা হয়| এই চরম লজ্জাজনক ঘটনার কথা ফেটসুও অস্বীকার করেনি| এই ঘটনা প্রীতম সুব্বার প্রতি আবাসিকদের একাংশের ঘৃণা ও বিদ্বেষের স্বরূপকেই দেখিয়ে দেয়| হস্টেলের যে বা যারাই একাজ করুক না কেন তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলঙ্ক| তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন, ঘৃণা বর্ষিত হওয়া উচিত তাদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধেই| অথচ, ''রগচটা'' ''সিনিয়রকে ঘুঁসি মেরেছিল'' ইত্যাদি বলে প্রীতমের বিরুদ্ধেই ঘৃণা সম্প্রচার করতে দেখলাম আমরা আফসু নেতাদের তরফ থেকে, এবং সেটাও করা হল আফসুর সাধারণ সভার সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অবমাননা করে| আমরা এর তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছি| আন্দোলনের নেত্রৃত্বের একাংশের প্রচারেও একই সুর শুনতে পাওয়া গেছে| এই ধরণের প্রচারের ফলে নিজের ক্লাসে ও হস্টেলে প্রীতম সুব্বা ও তার ঘনিষ্ঠরা একঘরে হয়ে পড়তে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা এবং সেটা হ'লে যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে তার চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কী হবে!

    বন্ধু, কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের ''র‍্যাগিং সমর্থক'' আর নিজেদের র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা হিসাবে তুলে ধরতে চায়ছে| বাস্তবে কর্তৃপক্ষ কেবল শাস্তি ঘোষণার হোর্ডিং ও শাস্তি প্রদান করেই দায় সারে, কিন্তু র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা ছাত্র-সংগঠনগুলিকেই নিতে হয়| এই আন্দোলন কর্তৃপক্ষের ধামাচাপা দেওয়া আরেকটি বিষয় প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে| বছর খানেক আগে লেডিজ হস্টেলের এক ছাত্রীকে লাগাতার সেক্সুয়াল ব্ল্যাকমেলিং করে ছ'জন ছাত্র ও দু'জন ছাত্রীর একটি গ্রুপ| ডিপ্রেসনের শিকার হয়ে মেয়েটিকে ব্যাঙ্গালোরে চিকিতসাধীন হতে হয়| তার অভিযোগকে ''অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেল''-এ উত্থাপন ও তদন্ত করার বদলে চিকিৎসা খরচ হিসাবে কয়েক হাজার টাকার ব্যবস্থা করেই হাত ধুয়ে ফেলে কর্তৃপক্ষ| ইউজিসির তরফ থেকে ''ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার চাপ'' ছিলনা বলেই কি?!

    গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত সমস্ত সংগঠন ও ব্যক্তির কাছে জেইউ আইসা ইউনিটের পক্ষ থেকে আবেদন জানাই যে প্রীতম সুব্বার বিরুদ্ধে যে কোন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হও|

    এবং, এসো আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি দাবি তুলে ধরিঃ

    ১) অবিলম্বে লেডিজ হস্টেলের ছাত্রীটির অভিযোগ অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলের আওতায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক| আগামী সময়ে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টি থেকে একজন ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হোক ''জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন অ্যান্ড অ্যাকশন এগেইনস্ট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট(GSCASH)''-এর প্রতিনিধি হিসাবে, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিজেই জেন্ডার সেন্সিটিভিটি গড়ে তোলার একটি কার্যকরী মাধ্যম হতে পারবে|

    ২) র‍্যাগিং রোধে জেইউ ছাত্র সমুদায় ও কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার বদলে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে অবিলম্বে অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলের মিটিং ডেকে বর্তমান ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হোক| আগামী দিনে কর্তৃপক্ষ নিজেকে ও অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলকে কেবলমাত্র শাস্তি দাতা সংস্থার সংকীর্ণ ভূমিকা থেকে মুক্ত করে র‍্যাগিং বিরোধী কনভেনশন/ আলোচনা/ বিতর্কসভার আয়োজন করুন যেখানে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ইত্যাদি সবাই ক্ষমতার ফিউডাল হায়ারার্কি ভেঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিসরে পরস্পরের চোখে চোখ রেখে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে|

    ------------------------------------------------
    অরুমিতা ও ইপ্সিতা কর্তৃক প্রকাশিত, ২৫সেপ্টেম্বর২০০১৩, জেইউ
  • k | 131.241.218.132 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:১২75701
  • একটি উপায় তো আছেই, মল-এর DNA test ঃ-)
  • k | 131.241.218.132 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:২১75702
  • রিলে অনশন-একটি অত্যন্ত দুর্বল অস্ত্র। সত্যি প্রতিবাদ করতে হলে "রিলে"-টা বাদ দিয়ে "অনশন"-টা চলুক।নাহলে এই প্রতিবাদ-এর ভান বন্ধ হোক।
  • pi | 118.12.173.94 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:২৬75703
  • আমরণ অনশন শুরু হতে গেছে, সেটা জানেন না ?
  • Abhijit | 24.96.123.237 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:০৩75712
  • একটা কথা এখনো বুঝতে পারলাম না: চড় মারা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করে মিটিয়ে নেয়া হলো, জানলার কাছ ভাঙ্গা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেবার জন্য মিটিং ডাকা হলো, তাহলে ঘর-এ দুটো অন্য ছেলে থাকা-র জন্য সুপার-এর কাছে যেতে হলো কেন? তুমি দোষ করলে নালিস আর আমি করলে বালিস, এটা কি ঠিক কাজ?

    প্রীতম সুব্বা-কে অন্যায়ের বিরুদ্ধে একা রুখে দাড়ানোর জন্য অভিনন্দন।
  • Abhijit | 24.96.123.237 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১৩75713
  • ফেত্সু-র এইসব ধর্ষকামী যুক্তিকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। এদের লিফলেট-টি ভিকটিম সামিং-এর টেক্সট বুক উদাহরণ।
    - ও কেন সংখ্যাগুরু সংস্কৃতি-র সাথে মিশে যেতে পারল না?
    - ও কেন মিটিং-এ রাগিয়ে দিল, তাই তো মারতে হলো।
    - ও কেন জানলার কাছ ভাঙ্গা মেনে নিল না।
    - প্রীতম ঘুষি "চালায়" আর অনুপম চড় "মেরে বসে" একটা active অন্যটা প্যাসিভ।

    তাও ভালো যে এখনো এরা বলে নি যে ওই মলত্যাগ-ও ও নিজে-ই করেছিল।

    অন্যায় কে support করছেন, তাও এত নির্লজ্জ ও বুদ্ধিহীন ভাবে।
  • Abhijit | 24.96.123.237 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১৯75714
  • "অনেক কিছু ই লেখা হযে গেছে তাই আর সেসব লিখছি না ......... তবে ইটা বুঝলাম যে যাদবপুর এর সব 4th ইআর এর ছাত্র রা একদম বাচ্চা, সরল , সুবোধ বালক সকল, গোপাল আর অপু র ককটেল বলা যেতে পারে।"

    একদম। আর এই খোলা চিঠি-টি প্রাকশ-এর জন্য ধন্যবাদ। যেটুকু বোঝা যাচ্ছিল না, তাও পরিষ্কার হয়ে গেল।

    হোস্টেল-এ আমরাও থেকেছি, ভাই ও বোনেরা।
  • soham | 24.96.28.192 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৭75715
  • Tobe Jai bolo Bhai...Lekhata Pore Ja bujhlam....Chor Marata Bisal Onnay hoyeche....Eto uttejona ase ki kore ! R moltag o Kach vanga aro baje bisoy...Onno Vabe handle korte Parte Final year chele ra Jhamela ta k...Tobe sotti kotha bolte 1st year Chatrti disahin hoye UGC r Webpage Report koreche...

    Anyway,Kortipokkho o ekhtre Sothik vabe Handle korte parten...Ami nije JU r pass out, o 2nd Campus ei Bere otha ! Dujon kei ami dihkkar janachi ohetuk jotilta r jonno.

    Increase your patience dear Brother.
  • sujash | 213.147.88.10 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩৩75720
  • Dirgho 16 diner akotrito student movement er folsorup aj prothom bar authority r torof theke student der sathe alochonay bosa holo.. Dirgho alochonar por authority sikar kore nilo je sotti e gafiloti royeche.. sompurono ghotonar todonte, tar execution e nd in the overall working structure of "Anti-ragging Committee".. "Aj jodi sotti e amra mone kortam je tomader dabi vittihin, onoitik tahole ami aj dariye ato kotha tomader sathe boltam na" Dean Of FET Sibaji Bondopadhyay... agami 8 tarikher EC meeting e sompurno ghotonar porjalochonar assas diyechen university r 4 dean nije ese somosto student der samne ( Dean FET SCIENCE ARTS STUDENTS).. Emotabosthay dariye amra amoron onoson multubi rakhlam.. Ei morme amar personal kichu kotha.. Goto 2 soptaho dhore je je byaktigon (Student Teacher Passout) Facebook take nijeder propaganda korechilan FETSU r andolon "gunda giri, ragger der" ei boktobbo procharer uddyesse tader kache onurodh akbar apnara "FACT FINDING" committee r report ti pore dekhben.. Tar por o jodi mone hoy FETSU r andolon onoitik pls amake UNFRIEND korben.. Tenara joto boroi "RAJNITI BID" hon na kano basic common sense er ovab ache bolei amar bodh hoy ( aro kichu kotha tader uddesse bolar chilo nehat public forum tai marjona korlam).. THANK YOU.. Media r kothay nachben na.. Come to ju, come to the place where it all started, talk with us get informed with the reality.. Long live FETSU.. Long live Independent Student Movement.. courtesy Rajarshi Maitra
  • মতি | 233.231.1.130 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫০75716
  • ইসি মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এই আশ্বাস দেয়ার পর অনশন তুলে নিয়েছে ফেটসু নেতারা। পূজোর ছুটির ঠিক আগে, ৮ অক্টোবর ইসি মিটিং। এই মিটিং থেকে কি পুনর্তদন্তের সিদ্ধান্ত হবে? ইসিতে এখন কোন ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নাই।

    পুনর্তদন্ত যদি হয় তাহলে সবচেয়ে বড় আকারে যে প্রশ্নটি আসবে তা হল জাস্টিস। আভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ তো এবার পাচ্ছেনই, কিন্তু প্রীতম জাস্টিস পাবে তো?

    প্রীতমের জন্য সুবিচার নিশ্চিত করা এই আন্দোলনের আগামী এজেন্ডা হয়া উচিত, বিশেষত বিবৃতির

    ৬) তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।

    ৭) কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।

    এই দুটি পয়েন্ট যদি মাথায় রাখা যায়।

    কিন্তু দুঃখের কথা ওই দুটি পয়েন্ট এখনো পর্যন্ত মুখ রক্ষার্থে বলা বলেই মনে হচ্ছে। সেই কারনেই বোধ হয় জয়ের উচ্ছ্বাস তেমন দেখা যাচ্ছেনা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে, কোথায় যেন একটা কাঁটা খচখচ করছে সবার মনে! সুবিচারের দাবিতে লড়াই! সুবিচার কি প্রীতমের জন্য প্রযোজ্য নয়!
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩৯75721
  • ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট কোথায়?
  • cb | 127.194.72.243 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:১৩75717
  • সুবিচারের দাবিতে লড়াই! সুবিচার কি প্রীতমের জন্য প্রযোজ্য নয়!

    এই কথাটি বললেই শুভম বাবু ইংরিজি অক্ষরে বলবেন

    "Khub kharap lagche dekhe.. erokom ohetuk baje ortho dewa hchhe. FETSU kokhonoi 'victim' er biruddhe noy !! eta FETSU r clear stand !!!!

    এই বালের মত পোস্টারটা দেখে মোজা জ্বলে গেল। সবাই জানে কে কাঁচ ভেঙ্গেছে আর কে মাল নামিয়েছে
  • Arunabha De | 24.96.5.58 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:২২75718
  • একটা বিজয় মিছিল বেরোলো না? আর FETSU নাকি ওই 2nd yr এর ছেলে টি র সুবিচার নিশ্চিত করবে !!!!!! সেটা যে নিশ্চিত ভাবে করবে, সেটা এই খোলা নর্দমা মানে চিঠি টি পড়লে ই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে
  • kaushik | 127.211.91.76 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:২০75719
  • EC মিটিঙের ওপর ফেটসু ভরসা রাখে আজকাল? আমাদের সময় তো বলত - যাদবপুরে শত্রু তিন/ EC, VC, আলিমুদ্দিন।
    তা আজকাল কি বলে? EC, VC, আর পিসি?
  • Abhijit | 24.99.115.2 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৮75722
  • মিডিয়ার কোথায় নাচছি না, আপনাদের খোলা চিঠি-তে যা লিখেছেন তার ওপর ভিত্তি করেই প্রিতম-এর জন্য চিন্তা হচ্ছে।

    সব থেকে আপত্তিকর অংশটা হচ্ছে, "যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি।"

    অর্থাৎ, এটি বাড়িতে নতুন আসা বৌমাটির দোষ, সে কেন তার নিজস্ব আত্মপরিচয় বাড়ির চৌকাঠে বিসর্জন দিল না, তাই তো তাকে চর মারতে হলো, গায়ে আগুন ধরাতে হলো।

    কিভাবে সংখ্যাগুরু-রা শুধু মাত্র সংখ্যা-র জোরে জিতে যাই, এই ঘটনা তার পর্ত্যক্ষ প্রমান।

    যারা প্রত্যক্ষ প্রমান-এর দাবি জানাচ্ছেন তারা খুব ভালো ভাবে জানেন যে মানসিক অত্যাচার-এর প্রত্যক্ষ পরিমান পাব খুব কঠিন, অপরাধী ধরা আরো কঠিন। এক্ষেত্রে তো at least অর্য়াচার হয়েছে তার প্রমান আছে।

    ফেত্সু-কে ধিক্কার জানাই।
  • Arnab Ghosh | 24.99.49.157 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৫75723
  • Somvoboto apnara je bakyangso ti ke akromon korchen, seti sotyi'i politically incorrect. Kintu apnara je ortho ti tule dhorte chaichen, seti'i FETSU'r essence, ta tader onyo sob boktobyo o karjokrom theke mone hoy na. Tai FETSU ke dhikkar na avinondon janabe sadharon chhatro-chhatri ra, ta kromosho bojha jabe.

    Borong, AISA ke ei karone dhikkar janano jay je, Eto din pore ese ei leaflet bar kore tara party baji korte chaiche. Byapok sadharon chhatro andalon-er sathe ache... Eta bujhe tara tader party-goto munafa tulte giyechilo (tai prothome unconditionally andalon'er sathe chhilo), subidha korte pare ni, ekhon at least gorkha vote consolidate kore nite chaiche. Gorkha der jati goto porichoy gourob-er sathe swikar kore niye'o tar prokrito sreni porichoy je, asol unnoto-toro atmo-porichoy'er bodh, ta campaign AISA korbe na, sodhon badi der ta korar kothao noy (jemon CPM).

    Borong Presidency University IC-r ghosona ti pore dekhte paren:

    Jadavpur University and, certainly, the Faculty of Engineering has always had a spirit of independence inherent in its students, counter to the hegemonic, regressive social order. This spirit is not one of elitism, but that of unity and inclusiveness. This spirit is reflected in the active community life of the students, their cultural aspirations and activities, the way they choose to lead their lives, their politics among a myriad other things.

    Given the heritage, the tradition and the trend on campus, it is but natural to infer that the phenomenon of RAGGING would not have as strong a presence in JU as in our society on the whole. It is, then, in-congruent, but not surprising, perhaps, to see that incidents of ragging in JU are so strongly highlighted by the dominant media houses. There is a sense among the public that ragging is a more severe problem in engineering colleges than other institutes. It is interesting to note that JUFET has the lowest numbers of reported cases of ragging among all engineering institutes in the state. Why, then, does the Media spotlight shine so brightly on JUFET? There seems to be a concerted effort to malign and devalue the students' unity of JU. The authority, the media, various political groups, big or small, are party to these efforts. The recent incident, labeled as "ragging" brings these issues to the forefront.

    What was essentially a scuffle between two senior hostel-mates, over allotments of rooms for first years, has been branded as ragging by the media, the authority and the political groups with sectarian interests. From the outset, the incident was tagged as ragging, rather than as a disciplinary issue, which would've made a lot more sense. This points to a blatant, indiscriminate misuse, mal-use of anti-ragging rules. This ends up victimising the student community and vitiates the healthy atmosphere of the campus. This has to stop.

    It is appalling to see personal and confidential information relating to the students and this incident being leaked to the media. This shows that the University authority, far from being impartial, is actually in cahoots with the media. Further, we see that the statements of the students' representatives were wildly distorted by the Authority. We demand an investigation into the matter and an apology by the authority along with required action.

    The general students of JU have reacted against these efforts with a spirited display of unity, leaving behind their differences. They are protesting for their rights, without any dependence whatsoever on any political party, or any partisan colour. The rally on the 25th, with over 500 general students proves this further. This has made all partisan forces, big or small, uneasy, as it points to their lack of connection with the movemental student mass.

    The ethnic identity of Subba, was highlighted to distance him from the protesters. We wish to make it clear, that Subba, just like us, is a Student of JU, our friend. Ethnic, Caste, Religious, linguistic inequality and barriers can only be demolished with progressive movements, struggle. JU has shown that this is possible.

    The focal point of the whole issue is the question of dignity of JUFET and JU as a whole. Many players had already sided with Corporate media houses and their agenda. Now at this crucial juncture, some others are resorting to various convoluted, vague logic, as they try to justify their betrayal of the movemental mass of general students.

    In todays' age, where prisons are renamed 'correctional facilities', by the state itself, it is not hard to fathom that that solely giving out punitive measures against 'accused' will not eradicate ragging. The prescription given even by the established order is that of more participation in community life, social activities, cultural activities. JU, which is known for its vibrant campus life, progressive student force, various cultural activities and protests on ideological issues, organically and naturally satisfies this prescription, without the authority having to impose these measures. Going by the Authority's own logic, then, incidents of ragging should be few and far between in JU. Then, it is not surprising to see that the authority in its eagerness to break the student unity and impose the recommendations of the Lyngdoh Commission report, would try and seek out and label any stray incident of disciplinary infraction as 'RAGGING'. We have heard that a professor annd member of anti-ragging committee at JU had submitted a letter to the committee, to bring to light the fact that the decision about this specific case
    was pre-decided, pre-meditated. This fact, further highlights the conspiracy on the part of the authorities.

    We, the Independents' Consolidation, backed by support of a lion's share of the general students of Presidency, are in solidarity with the movemental mass of JU and their struggle. We have seen the students of the Arts Faculty of JU also coming forward in solidarity. We see, reflected in this movement, the self-organisation, progressive independence as opposed to elitist exclusiveness, and the rejection of obsolete political ideas of organisation of movement, as propagated by groups big and small. Salute to the active movemental mass of general students of JU and countless others who have been able to assess the situation correctly and have shown their solidarity and support to the movement.

    LONG LIVE INDEPENDENT STUDENTS' MOVEMENT!
  • Subham Rath | 127.194.45.188 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫২75724
  • ax babu . fact finding committee r hard copy ti amar kache roeche.. kalker mdhye scan kore soft copy ti upload kre dewar chesta korchi.
  • Subham Rath | 127.194.45.188 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫৯75725
  • FETSU kokhonoi majority minority die chole na .. eta FETSU r practice noy..tai onurodh krbo.. Jadavpur e ese je practice ta r cholachol roeche.. setir sakkhi hote.
    Tahle jekono din jekono general body meeting er decision ei majority minority diei beriye jeto.. seta konodin hoyni.. !!jotokhn na kono common minima e pouchono gche totokkhn kono gb r decision toiri hyni..! fetsu r practice smbndhe obogoto na thakle.seta sombndhe proshno korte paren janbar jnne tarpor e somalochonao korte paren.. kintu obogoto na theke somalochona korata obantor o orthohin.
  • গোর্খা ভোট | 121.93.178.74 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৩১75726
  • কনসলিডেট করতে চাইছে!!
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৩৮75727
  • যাক, আইসা-র ব্যাপারটা ঠিক বলেছিলাম তা হলে।
  • shankar | 121.93.178.74 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫১75728
  • ''The ethnic identity of Subba, was highlighted to distance him from the protesters.''-আইসি লিখেছে।

    এই বিবৃতিতেই তো ফেটসুর পক্ষ থেকে অভিষেক তুঙ্গা এই এথনিক আইডেন্টিটি নিয়ে বলেছেন। এবং একটি কমেন্টে অভিজিত সঠিক ভাবেই তা সাম আপ করেছেন এই ভাবে

    - ও কেন সংখ্যাগুরু সংস্কৃতি-র সাথে মিশে যেতে পারল না?
    - ও কেন মিটিং-এ রাগিয়ে দিল, তাই তো মারতে হলো।
    - ও কেন জানলার কাছ ভাঙ্গা মেনে নিল না।
    - প্রীতম ঘুষি "চালায়" আর অনুপম চড় "মেরে বসে" একটা active অন্যটা প্যাসিভ।

    তাছাড়া এই ''আইডেন্টিটি'' দিয়ে আইসোলেট করার ঘটনা তো আর কোথাও চখে পড়েনি! আইসি নেতারা কি এই বিবৃতিটাকেই আক্রমণ করছেন?
  • pinaki | 148.227.189.9 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৭75729
  • অর্ণব, ঘোলা জলে মাছ সবাই ধরতে চায়, সেজন্য আইসাকে একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। এক্ষেত্রে ভেতরের গল্প যাই হয়ে থাক, আইসার লিফলেটটা যথেষ্ট ঠিকঠাক। ফেটসুর লিফলেটটা ওরকম হলে খুশি হতাম। ফেটসুকে পলিটিকালি কারেক্ট লিফলেট লিখতে কি কেউ মানা করেছিল?

    আমরা যারা হস্টেলে থেকেছি, তারা জানি হস্টেলে কিছু ছেলে সব সময়ই থাকে যাদের অধিকাংশ জনতা নানা কারণে পছন্দ করে না। এবং সেসব ক্ষেত্রেই যাবতীয় দায় জনতার - এমন নাও হতে পারে। আমি ধরে নিচ্ছি এক্ষেত্রেও হয়তো ঘটনাটা সেরকম। আমি এও ধরে নিচ্ছি (ফেটসুর প্রতি বিশ্বাস বশে) যে প্রথম দিনের ঝামেলাটা দ্বিপাক্ষিক ছিল। এসব ধরে টরে নিলে চড় মারামারি অব্দিও কোনো বক্তব্য থাকে না। কিন্তু তার পরের অংশটুকু (যার সাক্ষী নেই) সিম্পলি অন্যায় হ্যারাসমেন্ট। যার সাথে সেটা হয়েছে সে কোণঠাসা ফীল করেছে, করে হাতের সামনে যাদের পেয়েছে তাদের নামে অভিযোগ করেছে। ঘটনা যদি এইটা হয়, তাহলে ছেলেটির যাবতীয় সামাজিক ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েও অভিযোগ জানানোর জন্য তাকে কোনোভাবে দায়ী করা যায় না। বরং ফেটসুর উচিৎ ছিল ছেলেটির সাথে বসা, তাকে একধরণের সেন্স অফ সিকিওরিটি দেওয়া। কারণ এক্ষেত্রে ফেট্সু ইউনিভার্সিটির মেজরিটিকে রিপ্রেজেন্ট করছে, আর উল্টোদিকে ছেলেটি প্রায় একা। এবং যেকোনো দ্বিপাক্ষিক বিরোধে মেজরিটিকেই বেশী দায়িত্ব নিতে হবে। অন্ততঃ সচেতন অংশের কাছে সেরকমই প্রত্যাশা। আর এই সচেতনতার প্রথম প্রতিফলন হওয়া উচিত ছিল আন্দোলনের বয়ান থেকে প্রীতম সুব্বার কি কি দোষ/সীমাবদ্ধতা সেগুলো অজুহাতের টোনে হাজির না করা। এ নিয়ে হস্টেলের সাধারণ জনতার সেন্টিমেন্টের কিছুটা বিপরীতেও হয়তো যেতে হত। কিন্তু দায়িত্বশীল আন্দোলন করতে গেলে সেই চাপ তো নিতে হবে।

    অথরিটির বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত সমস্যা নিয়ে, বা পুনর্তদন্তের দাবী নিয়ে আন্দোলন অবশ্যই ন্যায্য। ছেলেদুটি যদি গু রাখা ইত্যাদিতে জড়িত না থাকে তাহলে সেই দায়ে তাদের যাতে শাস্তি না হয় সেজন্য অবশ্যই লড়তে হবে। সে নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই।
  • shankar | 121.93.178.74 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০৪75730
  • আইসা-র লিফলেটটাও পড়লাম। কই, প্রীতম সুব্বার আইডেন্টিটি তুলে কোনো সঙ্কীর্ণ ইঙ্গিত তো পেলামনা!! বরং তাদের সমগ্র লিফলেটটা একপেশেপনার বাইরে বেরোতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে।

    আর, রোবু,
    আন্দোলন থেকে সরে গেছে বলেও তো দেখছিনা! আইসার তোলা দাবিগুলো তো কোনোভাবেই তা দেখাচ্ছেনা!
    এই যে ওরা লিখেছে

    ১) অবিলম্বে লেডিজ হস্টেলের ছাত্রীটির অভিযোগ অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলের আওতায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক| আগামী সময়ে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টি থেকে একজন ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হোক ''জেন্ডার সেন্সিটাইজেশন অ্যান্ড অ্যাকশন এগেইনস্ট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট(GSCASH)''-এর প্রতিনিধি হিসাবে, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিজেই জেন্ডার সেন্সিটিভিটি গড়ে তোলার একটি কার্যকরী মাধ্যম হতে পারবে|

    ২) র‍্যাগিং রোধে জেইউ ছাত্র সমুদায় ও কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার বদলে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে অবিলম্বে অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলের মিটিং ডেকে বর্তমান ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হোক| আগামী দিনে কর্তৃপক্ষ নিজেকে ও অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলকে কেবলমাত্র শাস্তি দাতা সংস্থার সংকীর্ণ ভূমিকা থেকে মুক্ত করে র‍্যাগিং বিরোধী কনভেনশন/ আলোচনা/ বিতর্কসভার আয়োজন করুন যেখানে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ইত্যাদি সবাই ক্ষমতার ফিউডাল হায়ারার্কি ভেঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিসরে পরস্পরের চোখে চোখ রেখে নিজের মত প্রকাশ করতে পারে|
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০৫75731
  • পিনাকীদা কে ক ক ক।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১৩75732
  • শঙ্কর, আইসার প্রথম দিনের স্ট্যান্ড আর এই লিফ্লেট এর স্ট্যান্ড এর মধ্যে যোজন তফাৎ। আর আইসা যদি আন্দোলন থেকে সরে না যায়, খুব ভালো কথা। সেক্ষেত্রে ফেটসু আইসাকে ধিক্কার দিচ্ছে কেন? টার্ফ দখল রাখতে সহ-আন্দোলনকারীদের ধিক্কার দিতে হচ্ছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন