এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৬৫ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.199.26 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৩ ১২:১৩76006
  • ওপরে যাঁরা লিখলেন, সব্বাইকে অনেকানেক ধন্যবাদ।
    কুমু ম্যাডাম ঃ ধানাই পানাই ২য় ভাগ তৈরীই আছে, কিন্তু এই মুহূর্তে ছাপার পয়সা নেই :( , কিন্তু তাই বলে বসে থাকছিনা। এবার বেরোচ্ছে (সম্ভবতঃ) আমার নাটক। তারপর আমার গল্প সঙ্কলন, তারপরও যদি বেঁচে থাকি, ধানাই পানাই চলবেই। অন্য কোথাওকার কথা জানিনা তবে গুরুতে আমার সবচেয়ে বড় উৎসাহদাত্রী আপনি। তাই বার বার সিকির কাছে খবর নিয়েছি, আপনার হাতে গেল কিনা। অনেক ছাপার ভুল আছে, নিজ গুণে ক্ষমা...।

    সুকি ঃ ধানাই পানাই তিনটে বিষয় নিয়ে, ১) আমার দেখা সত্যি ঘটনা, ২) কিছু কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে কিঞ্চিৎ - (অ-)দর্শন ও ৩) প্রকৃতি সংরক্ষণের (অপ-)প্রচার। এবার বানিয়ে লেখা গল্পের সঙ্গে খানিক বৈষম্য তো থাকবেই। নিজ গুণে ক্ষমা...।

    অরণ্য, এলএডিএনওএচসি, মিস্টি, টিম, - অনেক শুভেচ্ছা।
  • kumu | 132.176.32.39 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৩ ১২:২৬76007
  • বালাই ষাট,অমন কথা কইতে নাই,আপনি বহুদিন বাঁচবেন।
    ধানাইপানাই বই নিয়ে কয়েকটা কথা ছিল,আপনাকে মেল করতে পারি?হ্যাঁ হলে এইখানে মেল আইডি দেবেন?
    dr_jayantiadhikariরেডিফমেলে
  • সুকি | 212.160.16.215 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৩ ১২:২৯76000
  • দারূন রূপঙ্করবাবু - তবে একটু অন্যরকম মনে হল। ঠিক বোঝাতে পারছি না অন্যটা ঠিক কোথায়, তবে আপনার ধানাইপানাই এর সাথে তুলনা করেই মনে হয়!
  • শুদ্ধ | 127.194.224.207 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০১:৫৩76009
  • এ ধরণের গল্প থাকতেও বাংলায় কেন যে পরকীয়ার চোঁয়া ঢেঁকুড়ের হাম হাম গুড়ি গুড়ি গপ্পের সিনেমা হয় কে জানে! আজকে কেবলী আর শ্যামাপোকার গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল এঁদেরও তো লিখতে বললে পারে। গল্প সতেজ হয়, নির্মল হয়।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.222.209 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:০৩76010
  • বক্স অফিসে টোটাল ফেল করবে শুদ্ধ।
  • jhumjhumi | 127.194.242.216 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:১৯76011
  • এটা আগে পড়িনি কেন তাই ভাবছি ! খুব ভালো লাগলো। কি সুন্দর মিষ্টি গপ্পো। ঃ-)
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.207.248 (*) | ২৫ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:১৭76012
  • ঝুমঝুমিকে ধন্যবাদ
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ১১:২২76013
  • এই গল্প কোন সময়ের? ষাট কি সত্তরের দশকের হলে কথা নেই, কিন্তু এই ২০১৩ সালে হলে কেমন কেমন লাগে! মেয়েরা কি এখনো এরকম "বাবা আর পড়বো না, বিয়ে দিয়ে দাও" ধরনের মানসিকতা লালন করে? আর বাবা আর হবু শ্বশুরে মিলে এখনো এরকন জাতগোত্র রাঢ়ী বারেন্দ্র ঠিকুজী কুলুজী মিলিয়ে বিয়ে দেয়?
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.193.95 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:২৪76014
  • Ziink - গল্পটা এক্কেবারে হাল আমলের। যে ব্যাপারগুলো উল্লেখ করলেন, ওগুলো যে রসিকতা, তা সবাইকে বোঝাতে পারিনি বলে নিতান্তই লজ্জিত। ভাগ্যি ভাল, কিছু লোক বুঝেছেন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৩৯76015
  • এই ধরণের ঘটনা ( আর পড়ব না, বিয়ে দিয়ে দাও) এবং জাতগোত্র মিলিয়ে বিয়ে দেওয়া এখনো ঘটে। প্রথমটা কম, দ্বিতীয়টা যথেষ্ট বেশি।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৪৬76016
  • ধন্যবাদ রূপঙ্কর সরকার। ভালো রসিকতা বটে! ঃ-(
    এটা শ্যামাঙ্গকে নিয়ে করবেন তো ভবিষ্যতে! সেই ছেলে এসে বাপকে বলবে "বাবা, আমার বে দিয়ে দাও। আর পড়বো টড়বো না।"
    কৃশাণুকেও ধন্যবাদ।
    তাহলে সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। এস ওয়াজেদ আলির ভারতবর্ষ।
  • brc-slg | 37.125.202.33 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০১:০৪76022
  • এ বাবা, "রিসেপ্টরের ব্যান্ডউইড্থ" , রূপঙ্করবাবু-র ধানাই-পানাইয়ের ট্রান্সমিশন -এর সাথে মিসম্যাচ হয়নি !!!

    অভিনন্দন রূপঙ্করবাবু --- you are a lucky person ...
  • | 24.97.224.88 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:১৫76023
  • brc-slg র

    - দু'পহা তো সক্কলে দিয়ে যায় -- টাহা ছাড়েন, আধুলি দেওয়ারও ক্ষেমতা তেনাদের নাই ।। তাই, দু'পহা তেনারা দ্যান ।।।,

    এই কথাটা কি zink এর উদ্দেশ্যে? মানে zink এর ট্যাহা তো নয়ই আধুলী দেবার ক্ষমতা নেই, তাই উনি দু পহা দিচ্ছেন --- সেটাই কি বলতে চাইলেন?

    সেক্ষেত্রে এইটা কী করে জানা গেল?
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.196.168 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৩৯76024
  • না না, মতবিরোধ থাকতেই পারে, তাই বলে আবহ অশান্ত হলে আমারই খুব খারাপ লাগে। আমি বরং Zink ,দ এবং de দেবীদের কিছু ব্যাখ্যা যোগাই। যদিও রসিকতার ব্যাখ্যা করার মত ট্র্যাজিক আর কিছু হয়না, তবু -
    কেন বিয়ের কথা তুলল ? কেননা সে ঐ নামটা থেকে পালাতে চাইছিল। কলেজ এবং শহর পরিবর্তন করেও কাজ হ'লনা দেখে। তা ছাড়া তার বিয়ের প্রিকন্ডিশন ছিল, পাত্র যেন প্রবাসী হয়, ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে। এবার বলবেন, তাহলে তো হায়দ্রাবাদে পড়তেও যেতে পারত। হ্যাঁ তা পারত, যদি তার বিষয়টা সব জায়গায় পড়ানো হত, আর সবচেয়ে বড় কথা, এটা 'গল্প' হিসেবে উপস্থাপনা করা না যেত।

    এবার বর্ণ ও সমাজ মিলিয়ে বিয়ে। আমার যদি সেটাই হাইলাইট করার ইচ্ছে থাকত, তো সমাদ্দারের পদবী গোড়ার থেকেই মুখার্জী কিংবা গাঙ্গুলী হত। মজাটাও থাকতনা। আসলে ব্যানার্জীবাবু এমন সোনারচাঁদ জামাই পেয়েও বিয়ে 'না' দেবার জন্যই প্রথমে বর্ন ও পরে সমাজ ( রাঢ়ী, বঙ্গজ ইত্যাদি) ফ্যাকড়া তুলছিলেন।

    তবে ব্যান্ডউইডথ না মিললে এই সব ব্যাখ্যাও কোনও কাজে আসবেনা। কিন্তু কোনও গল্পকারই বোধহয় সকলের মনোরঞ্জন করতে পারেননা। আমি খুব খ্যাতিবান লেখকদেরও গালি খেতে দেখেছি, আমি তো তুচ্ছ 'লেসার মর্টাল'।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৫৬76025
  • দেখুন, লেখক, বিতর্কের ইচ্ছা নেই, তাই একটা সাদা কথা বলি। একটা হাইপোথেটিকাল অবস্থা ভাবুন, দাসপ্রথার মতন একটা বেদনাদায়ক ব্যাপার ধরুন সমাজে রমরম করে চলছে। সেই অবস্থায় দাসদের নিয়ে রসিকতা করে এক গল্প লিখলেন। দাসমালিকরা খুব এনজয় করলেন, বধাই দিলেন। কিন্তু ভাবুন লেখক, দাসরা নিজেরা কি সেই রসিকতা ওভাবেই নিতে পারবে????
    ঐ মেয়েটির জুতায় পা গলিয়ে দেখুন লেখক, ঐ মেয়েটির জায়্গায় একটি সমবয়সী ছেলেকে এনে দেখুন, তাকে দিয়ে "বাবা আর পড়বো না বিয়ে দিয়ে দাও" বলিয়ে দেখুন লেখক, একটু অন্যদিক থেকে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন।
    যদিও জানি এসব বলে কোনো লাভ নেই। লেখক বা তার ভক্ত পাঠক যারা কুমড়া গড়াগড়ি যায়, তারা এসব দেখতে রাজী হবেন না।
    পরিশেষে আবার জানাই, ধন্যবাদ।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৪২76026
  • একটু বলতে বাধ্য হচ্ছি।
    প্রথমত, দাস-প্রথার সাথে এটার তুলনা করা বেশ হাস্যকর। রমরম করে চলা সমাজের কথা জানি না, কিন্তু আজকের মূল্যবোধে দাসপ্রথা অন্যায়। বিয়ে করা অন্যায় নয়।
    দ্বিতীয়ত, নারীজাতিকে নিয়ে কোথাও রসিকতা করা হয় নি, নিরুপায়তার জায়গাটা সহজ ভাবে দেখানো হয়েছে। আমি তো দেখলাম, অপরের কমেন্ট গুলো অনুযায়ী, বিভিন্ন বয়েসের বহু মহিলারই গল্পটা ভালো লেগেছে। গল্পের ঘটনা সব সময় সকলের পছন্দ নাই হতে পারে। আমার যেমন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নেড়ে বলা অপছন্দ, তাই বলে কোনো একটা দাঙ্গা-র দৃশ্য বর্ণনায় কোনো লেখক সে ভাষা ব্যবহার করতেই পারেন। এই লেখায় তো কোথাও মনে হলো না, লেখক মেয়েটিকে বা নারীজাতিকে খাত করতে চেয়েছেন। মেয়েটি বিয়ে করতে চেয়েছে, বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতে এরকম হয়ে থাকতে অনেক দেখছি। এই বিশুদ্ধবাদী স্টান্সটার সাথে আমি বিশ্বভারতী-র গুরুদেবমি আর এ বঙ্গের মার্ক্সবাদ ঢেঁকুর ওঠা গণসাহিত্য কপ্চানোবাদীদের মিল পাচ্ছি, মানিক ই পড়তে হবেম আর হেমাঙ্গ বিশ্বাস ই শুনতে হবে। তার বাইরে দুনিয়া নেই।
    কোনো সমবয়সী ছেলেকে দিয়ে "বাবা আর পড়ব না, বিয়ে দিয়ে দাও" বললে হাস্যকর হবে এবং এ বঙ্গদেশের নয়, মঙ্গল গ্রহের সাহিত্য হয়ে যাবে। তার বদলে কি এটা বলানো যায় না কোনো ছেলেক দিয়ে "বাবা, আর পড়ব না, একটা দোকান দিয়ে দাও" - এটাও ঘটে থাকে বাস্তবে, তাই শুনতে অসুবিধে হয় না।
    অবশ্যই বলতে চাইছি না, বিয়ে করতে চাওয়াটাই একমাত্র পন্থা ছিল, কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও অবাস্তব তো নয়। তো এই অবস্থায় লেখক দুটো কাজ করতে পারেন। অবসরভ অথবা কারেকশন। এই দুটো পদ্ধতিতেই অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য নির্মান হয়েছে। এক্ষেত্রে লেখক যখন প্রথম পন্থা অবলম্বন করলেন, তাতে অসুবিধে কি হলো? লেখক তো কোথাও বলছেন না, এ রকম হওয়া উচিত ছিল, তাই হয়েছে। বরং উনি দেখছেন যে এটা হয়েছে। অসুবিধেটা বুঝছি না।
    পরিশেষে, brc - slg এর 6:07 এর পোস্ট টা ভালো লাগেনি। দমুদি কারেক্টলি পয়েন্টেড আউট।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৪৯76027
  • কৃশাণু, আপনার কথাতেই এর উত্তর আছে। ব্যাপারটা ঘটে, লেখক যা করতে পারেন, তা হলো অব্জার্ভেশন বা কারেকশন। কোনো অসুবিধা নেই, কোনো অসুবিধা ছিল না এই দুইয়ের একটাতেও। কিন্তু তা তিনি করেন নি, যা করেছেন, তা হোলো "খিল্লি", রসিকতা। নিজেই বলেছেন। করতেই পারেন, সেটা তার স্বাধীনতা। তাতে বত্রিশ পাটি বার করে হাসতেও পারে পাঠকের একাংশ। কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আরেক অংশ আহতও হতে পারে, বক্তব্য সেইটুকুই।
    ধন্যবাদ।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:০১76028
  • গল্পটা পড়ে যা বুঝেছি, রসিকতাটা সমাজএর দিকে ডিরেক্টেড। একটি মেয়েকে কতটা অসহায় করে তুললে তাকে পড়া ছাড়ার কথা ভাবতে হয়। এই সামান্য ব্যাপারে সহানুভুতি-র কত অভাব।

    এর বাইরে কোনো রকম খিল্লি আমি পাই নি আমার সীমিত বুদ্ধিতে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.196.168 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:০২76029
  • দেখুন Zink , বিতর্কের ইচ্ছে না থাকলে আর বিতর্কে জড়াচ্ছেন কেন। আমার গুষ্টিতে এবং পরিচিত জনের মধ্যে কোনও বিবাহিতা মহিলাকে 'দাসীবৃত্তি' করতে দেখিনি। আপনি হয়ত বলবেন, যা দেখেছেন, ওটাই দাসীবৃত্তি। দেখেননি কেননা আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর তফাত। সত্য কথা। একেবারে একশ ভাগ সত্য। তবে আমি যা বিশ্বাস করি তাই নিয়েই তো আমার লেখা। আমি তো আপনার চোখে দুনিয়া দেখবনা, আর সেই মতবাদ প্রচারও করবনা।

    আমি যা লিখেছি সেটাকে 'খিল্লি' বলাটা সমীচিন হয়েছে বলে আমার মনে হ'লনা। তবে বাক স্বাধীনতায় তো হস্তক্ষেপ করতে পারিনা, শুধু আপত্তি জানিয়ে রাখলাম।

    মেয়েটির সমবয়সী ছেলে গিয়ে বাবাকে বলবে, আর পড়বনা, বিয়ে দিয়ে দাও? তারপর তার ভরণপোষণ? আমাদের দেশে এখনও বিবাহিত স্ত্রীর ভরণপোষনের দায়িত্ব হাসব্যান্ডের( ‘স্বামী’ লিখলামনা আপনার সেন্টিমেন্টকে অনার করে) এবার সেই ছেলেটির ভরণপোষোণ কে করবে, স্ত্রী? এই প্রশ্ন্বেরও অনেক উত্তর আছে আপনার। তবে বিতর্ক যখন চাননা, তখন সে সব না হয় তোলাই থাক। আপনার গল্পটি ভাল লাগেনি এইটুকুই যথেষ্ঠ। তা কী আর করা যাবে আমার তো 'গড়াগড়ি' দেবার কুমড়োর অভাব নেই, আমি তাদের নিয়েই খুশি। তবে আপনার মতবাদ নিশ্চয়ই দৃষ্টি আকর্ষণের দাবী রাখে এবং তাই নিয়ে অন্য কোনও লেখক নিশ্চয়ই 'গল্প' লিখবেন গুরুচন্ডালিতে কোনও দিন। তাঁকে আমার আগাম অভিনন্দন। আপনাকেও
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:১২76030
  • আরে কী মুশকিল! লেখক মহাশয়, আপনি নিজেই তো বললেন "রসিকতা", গুর্চয়ের ভাষায় যাকে বলে খিল্লি। তবে এখন কেন ব্যাক আউট করছেন?
    আচ্ছা, একটুখানি সাম্যদৃষ্টিতে দেখতে এতটা অসুবিধা ? আমার সামান্য বুদ্ধিতে এটা আসে না। মানুষ হিসাবে দেখা যায় না, পুরুষ ও নারী ভাগ করে আলাদা দেখতেই হবে, সর্বত্র? সূক্ষ্ম ও স্থূল সব ভাবেই?
    স্বামী বা হাসব্যান্ড যাই লিখুন, একই তো অর্থ দাঁড়ায়। কোনো তো অসুবিধা নেই তাতে। খামোখা আমার সেন্টিমেন্টকে অনার করতে যাবেন ই বা কেন?
    আমাকে অভিনন্দন কেন দিলেন যদিও বুঝলাম না, তবে ধন্যবাদ আপনাকে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২০76032
  • অসাম্য তো সমাজেই, সেটাকে লেখক এড়িয়ে যাবেন? সোশ্যাল কমেন্ট্রি করবেন না? কেবল ইউটোপিয়া লেখা হবে?
    বেশ তো, তাহলে একটা এক্সপেরিমেন্ট করা যাক। নারী, পুরুষ যখন সমানই, আমি দিন কয়েক এর মধ্যে এই গল্পগুলোর চরিত্র গুলোর নাম পাল্টে পুরুষদের মহিলা ও মহিলা দের পুরুষ করে দেব।
    তাতে গল্পটা ঠিকঠাক হবে আশা করা যায়, একটা টই খুলে পেস্ট করে দেব খন!!
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২০76031
  • আরো একটা ব্যাপার, যেটা বলতেই শিউরে উঠছেন লেখক মহাশয়, ভেবে দেখুন তো, একজন গৃহকর্ম করা স্বামীর ভরণপোষণ কেন চাকরিরতা স্ত্রী করতে পারবেন না? বাধাটা ঠিক কোথায়?
    সেই বাধাটা গৃহকর্ম করা স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামী করলে হয় না কেন?????
    একটু সমান দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করুন, নিজেই লুপহোলগুলো দেখতে পাবেন।
    ধন্যবাদ।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.196.168 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২৪76035
  • গুরুতে 'খিল্লি' শব্দটার অর্থ 'খিস্তি' - তাই এরতদিন জেনে এসেছি। জানা ভুল হতে পারে।
    আমি সচরাচর ব্যাকআউট করিনা।
    আমার তথাকথিত 'গল্প'টির শেষে স্মিতা-আলোর কথোপকথন শুনে সাম্যদৃষ্টির অভাব পাওয়া গেল?
    এর চেয়ে সাম্য দেখাতে গেলে সারমন লিখতে হ'ত, গল্প নয়।
    স্বামী/হাসব্যান্ড এক নয়, অনেকে স্বামী কথাটার মধ্যে 'লর্ড' অর্থ খুঁজে পান , তাই বললাম। অপরের সেন্টিমেন্ট অনার করা ( আমার বিরোধী হলেও) আমার বদঅভ্যাস। চট করে যাবে বলে মনে হয়না।
    বিতর্ক না চেয়েও বিতর্কে আছেন, তা থাকুন।
    আপনাকে অভিনন্দন দিলাম কেন বুঝলেননা? দয়া করে এটারও ব্যাখ্যা চাইবেননা।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২৪76034
  • কৃশাণু, বুঝতে ভুল করছেন, অসাম্য আছে সমাজে, সেটা একটা ঘোর বেদনাদায়ক ব্যাপার। সেটা নিয়ে রসিকতা (লেখক নিজেই দাবী করেছেন রসিকতা বলে) কোথাও কোথাও আঘাত তৈরী করতে পারে।
    ঈশপের গল্পের সেই ব্যাঙগুলোর কথা মনে আছে? আমোদ পাবার জন্য বালকেরা যাদের ঢিল ছুঁড়তো????
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২৪76033
  • লিখবোনা ভেবে কাটিয়ে দিচ্ছিলাম। শেষে না পেরে লিখতে গিয়ে দেখি কৃশানু উপরের পোস্টে লিখে হেছে, যা যা বলার।

    আর জিংক জানতেন না, সমাজে এই কোষ্ঠী ইঃ মিলিয়ে মিলিয়ে বিয়ে হয় এখনো ? কোন কাগজে পাঃচাঃপাঃচাঃ বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি ? একটু অবাক হলাম।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:২৬76036
  • পাই, কৃশানুর পোস্টের উত্তর দিয়েছি, আপনার পোস্টেরও একই উত্তর।
    ধন্যবাদ।
    আমার অবাক লাগছে, এই গল্পটার পাঠপ্রতিক্রিয়ায় আগেই কেন এগুলো কেউ বলেন নি? জিন্ক তো এই সেদিন মাত্র দেখলো এটা!!!!
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩০76037
  • লেখক হে, আপনার জানা ভুল। গুর্চতে খিল্লি মানে রসিকতা, ইয়ার্কি।
    বাকীদের থেকে ভেরিফাই করে নিন।
    সাম্যদৃষ্টি কোথায় পাওয়া গেল? শেষে? একটা ন্যাকাষষ্টীপণা দেখিয়ে বলছেন সাম্যদৃষ্টি? বাহ, বাহ। বধাই।
    সাধারণ্যে এখন জদ্দুর জানি স্বামী আর হাসব্যান্ড একই অর্থ বহন করে। পুরাকালে হয়তো স্বামী র লর্ড মানে ছিল।
    আহা সামান্য বুদ্ধিতে বুঝে উঠতে পারছি না কেন অভিনন্দন দিলেন, বুঝিয়েই দিন না অনুগ্রহ করে। ঃ-)
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৩76038
  • উত্তর পরিস্কার হলো না! ইশপের গল্পের পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় কেউ বলেছেন, যে গল্পটা লেখা উচিত হয় নি, কারণ ঢিল ছোড়ার গল্প দিয়ে ব্যাং দের অবমাননা করা হচ্ছে?
    বরং গল্পের মাধ্যমে ব্যাং এর অসহায়তা আর বালকদের নিষ্ঠুরতা-র একটা দৃশ্য পাওয়া যায়।।
    এক্ষেত্রেও গল্পের মাধ্যমে মেয়েটির প্রতি একটু সহানুভুতি জাগে, আর সমাজের সমালোচনা হয়।
    এই তো বুঝলাম।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৫76039
  • লেখক এর জানার একটু ভুল আছে। খিল্লি মানে খিস্তি নয়।
    খিল্লি মানে রসিকতা - কিন্তু একটি বিশেষ ধরনের।
    যেটা এ গল্পে আমি পাই নি।
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৬76040
  • নাঃ, আমোদের জন্য ব্যাঙকে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে, এমনটিতো মনে হলনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন