এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৭৯৪১ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৭৯৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৮76042
  • কৃশানু,
    এই গল্পের মাধ্যমে সমাজের সমালোচনা বা মেয়েটির প্রতি সহানুভূতি(নাকি করুণা? ) কোনোটাই প্রকাশ হয়েছে বলে দেখতে পাই না, যদিও তা হলেও বিশেষ লাভ হতো না। খামোখা মেয়েরা করুণাপ্রার্থী হতে যাবে কেন? ওখানে একটা পুরুষ দাঁড় করালে তাকে আপন ভাগ্য জয় করবার দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এই দেখতেই চাইতেন না কি?
    উপরন্তু লেখক জানাচ্ছেন সমাজের অসাম্য টসাম্য নয়, সহানুভূতিও নয়, তিনি রসিকতা করেছেন ওসব নিয়ে।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.196.168 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৮76041
  • Zink - নাঃ আপনার মন্তব্যের উত্তরে আর কিছু লেখা যাবেনা। আপনার ভাষা অসংযত। সে ভাষা আমারও যে জানা নেই তা নয়, তবে আধা বয়সী মানুষদের ওপর তা প্রয়োগ করিনা। আপনি যত খুশি এবং যা খুশি লিখে যান। আর একখানা অভিনন্দন। এটাই শেষ।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৪১76043
  • পাই, একটা মেয়ে বলছে, " বাবা আর পড়বো না, বিয়ে দিয়ে দাও"
    এটা যে ঢিলের চেয়েও সাংঘাতিক একটা আঘাত, সেটা হয়তো সবার পক্ষে সত্য নয়, তবু কোথাও কোথাও তো সত্য। ঃ-(
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৪৩76044
  • সারমন আর পেন্সিল বাদে হাতে আর কিছুই থাকলো না।
    কিন্তু আমি কি দেখতে চাইতাম সেটা গেস করা এতই সহজ হয়ে গেল?
    আপাতত আমি যেটা দেখতে চাইছি বলে আপনার মনে হলো, সেরকম আধুনিক গল্প আমার ট্র্যাশ বিনে কিছু থাকতে পারে :-)
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৪৪76045
  • রূপঙ্কর, এই মায়াপাতায় মুখহীন পরিচয়হীন বয়সহীন কতগুলো এনটিটি আমরা, এখানে খামোখা বয়সের দোহাই তুলবেন না প্লীজ। যা বলতে ইচ্ছে হয় ফ্রীলি বলুন, কে আধা বয়সের কে দেড়া বয়সের সে আপনি জানবেন কী করে?
    ধন্যবাদ।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫১76046
  • কৃশানু, ওখানে "আপনি" একটা প্লেস হোল্ডার। আপনি মানে যদু মধু শ্যাম পল্টু বল্টু কেল্টু যে কেউ হতে পারে, সমাজের একটা বিশাল অংশ।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.196.168 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৩76047
  • মনোহর আইচ আর জোহরা সেগল ছাড়া আমার দেড়া বয়সের কেউ বেঁচে থাকলে কাগজে পেতাম। তা ছাড়া অত সস্তা ভাবছেন কেন ,সাবাইকে সব কিছু বলতে মানুষের রুচিতেও তো বাধে। খুঁচিয়ে দেখছেন নাকি, কিছু বেরোয় কিনা? আশাহত হবেন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৫76048
  • তর্কটার আর আগাপাশতলা কিছুই রইলো না।
    এত গুলো পোস্ট আমি যদু মধু দের জন্য করি নি।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৮76049
  • আর জিন্কের "ভাষা অসংযত" বলে দাবী যে করছেন, প্রমাণ করুন দেখি! কোথাও তার ভাষা একটুও অসংযত নয়। বরং আপনার রিসেন্ট পোস্টেই রুচির অভাব দেখতে পাই। কেন খোঁচাতে যাবো আপনাকে? কতগুলো ভ্যালিড প্রশ্ন করছি, সেটাকে খোঁচানো বলছেন কেন????
    নিজে খামোখা বয়সের কথা আমদানী করলেন, সেটাই বা কেমন রুচি? ????
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৯76050
  • আগের পোস্ট রূপংকরের লেখার উত্তরে।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:০৩76051
  • কৃশানু, একটা গল্প যখন বেরোয় তখন সেটা তো বহুজনের কাছে অ্যাকসেসিবল হয়, সেটাই বলতে চাইছিলাম। সমাজের বিরাট অংশ কীভাবে নেয়।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:০৭76052
  • গোপাল বড় সুবোধ বালক এর বেশি একটা লাইন লিখলেই তো চাপ সেক্ষেত্রে।

    এগজাম্পল? 'পথের পাঁচালি' চুরি করার অনুপ্রেরণা দেয়।
    'পদ্মানদীর মাঝি' ইলোপ করবার।

    ডি: এগুলো আমার বক্তব্য নয়। ওপরের তর্কের সার নিয়ে এক্সট্রাপলেশন।
  • siki | 135.19.34.86 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:১৩76017
  • রূপঙ্করদার উত্তরটা, চণ্ডালি ভাষায় বলতে গেলে, একেবারে খাপে খাপ। :)
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৪৪76053
  • না হে কৃশানু, জিন্কের বক্তব্য তা ছিল না। গল্প যা খুশি হতে পারে। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন লোকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কালচারাল কন্ডিশনিং থাকলে একই গপ্পের প্রায় একরকম প্রতিক্রিয়া বহুজনের ক্ষেত্রে হতে পারে।
    উদা নিন, এই গপ্পোটা বাঙালি পুরুষদের বিরাট একটা অংশ দিব্যি খোশমেজাজে নেবে, কোনো অসুবিধা হবে না।
    কিন্তু প্রাণপণে আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার ফিরে পেতে চাওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে এই গল্প একটা আঘাতের মতন এসে পড়বে।
    এইটুকুই।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৫৬76054
  • এগজ্যাক্টলি!! যেভাবে যুক্তিনিষ্ঠ, বিজ্ঞানসাধক, ইউরোপীয় শিক্ষায় আলোকিত সমাজের কাছে 'ক্ষুধিত পাষাণ' একটা আঘাতের মত এসে পড়ে। যদিও সেদিন কেউ এই জাতীয় পথ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন কিনা, আমার জানা নেই।
    সাহিত্যকে সাহিত্য-র মতন দেখতে যাওয়াই ভালো। যে কোনো শিল্পকেই। কোনো রং এর চশমাই তাকে সঠিক মূল্য দেয় না।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:০৪76055
  • সেটাই তো। জিন্কও ও তো তার পাঠপ্রিতিক্রিয়া জানিয়েছে মাত্র। কিন্তু এখানে আরো একটা বড় কিন্তু আছে। ক্ষুধিত পাষাণের মতন দূরের ও কল্পনার গল্প তো এটা না, এটা একেবারে জ্যান্ত সমসাময়িক সমাজের, যার আঁচ সবার গায়ে পড়ছে।
    বলুন তো, সাহিত্য সাহিত্যের মতন, শিল্প শিল্পের মতন---এ সবাই জানে, তাও কেন হানি সিং এর গান নিয়ে তর্ক হয়? কেন নিষিদ্ধ করার দাবী ওঠে কোনো কোনো গপ্পের কি সিনেমার?
  • | 190.215.7.53 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:০৬76056
  • আমার ছোটবেলায় নাম ছিল খ্যাঁদা। কী চাপ ভাবুন!! ঃ((

    সে যাই হোক সামান্য একটা গল্প নিয়ে আমার দুই পছন্দের মানুষ বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন। জিঙ্ক , তোমার বক্তব্য ঠিক। কিন্তু এখানে তুমি যদি গল্পের মূল বিষয় টা খেয়াল করো সেটা হল একটা নাম কে কেন্দ্র করে মেয়েটির জীবনে বিড়ম্বনা। এখানে রুপঙ্কর দা সেটাই বলতে চেয়েছেন, এখানে ও ই সামাজিক অসাম্যের ব্যাপার টা বোধহয় দেখান নি।

    রুপঙ্কর দা, আপনি যদি গল্পের মূল জায়গা টা বাদ দিয়ে শুধু এই ভাবে বিয়ে করতে চেয়ে "মেয়ে টিকে" দেখনে চান । সেক্ষেত্রে হয়তো জিঙ্ক রাইট।

    শুধু শুধু মনান্তর করে কী হবে। হাজার হোক এটা একটা ভার্টুয়াল ভাট বই তো নয়।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:১৩76057
  • ব, নাম একটা বাহানা মাত্র, মানুষ তার কর্মের মধ্য দিয়ে বাঁচে, কাজে উজল হলে ঐ নামই তখন মানুষের মুখে মুখে ফিরতো সগৌরবে।
    ওটা কথা না।
    কথাটা হলো একটি মেয়ে প্রপার্টি মাত্র, বাপের ঘর থেকে স্বামীর ঘরে যাওয়া অস্থাবর সম্পত্তি। সেটাকে "রসিকতা" করে দেখানো হচ্ছে যেন এটা একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, এরকমই হয় ও হওয়া স্বাভাবিক। ঃ-(
    একেবারে শেষে গিয়ে দ্যাখো, বাপ তার আরেকবার বিয়ে দিতে হলে কত খরচ হতো সেই হিসেব হচ্ছে। যেন বিয়ে ছাড়া মেয়েটার কোনো অবস্থান নাই, আত্মনিয়ন্ত্রণের কোনো অধিকার দূরের কথা, ভাবনাটাই নেই। ঃ-(
  • | 190.215.7.53 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২২76058
  • জিঙ্ক, তোমার বক্তব্য বুঝলাম। কিন্তু তুমি রিয়েল অবস্থা টা প্লিজ ভেবে দেখো আজকে এই
    ১। আধুনিক সমাজে ও এখন ও কুষ্ঠী গ্রহ নক্ষত্র গণ মিলিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। রাক্ষস গন মেয়ে র সাথে নর গণ ছেলে বিয়ে দেওয়া যাবে না। এইরকম অনেক বিধি নিষেধ আছে।

    ২। যতো ই লেখা পড়া শেখানো হোক , চাকুরীজীবি হোক; তবু ও দুর্ভাগ্য হচ্ছে বাবা মা এমন কী কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়ে টি ও বিয়ে কেই জীবনের চরম পাওয়া ভেবে থাকে।

    হওয়া উচিত নয়। কিন্তু এটাই বাস্তব।
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২৭76059
  • ব,
    তবেই বোঝো। এই ভয়ানক বাস্তবতার মধ্যে এইসব নিয়ে "খিল্লি" মানে রসিকতা হওয়া উচিত কিনা! সে গল্প হোক আর যাই হোক!
    এই আপত্তিটাই তো শয়ে শয়ে পোস্ট করে বোঝাতে চেষ্টা করছি!!!!
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.204.192 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ১০:২১76018
  • সিকি - আসলে ব্যাপারটা কি জান, আমরা বিহেভিয়রাল সায়ান্সে পড়েছি, কমিউনিকেশন কখনো ১০০% হয়না। তার কারণ, ট্রান্সমিশন আর রিসেপশনের মিসম্যাচ। এখন দেখতে হবে, বেশির ভাগ জায়গায় ম্যাচ হ'ল কিনা। যদি না হয়, তাহলে ট্রান্সমিশনে গোলোযোগ। ট্রান্সমিটার খারাপ। আর যদি ম্যাচিং বেশির ভাগ জায়গায় হয় তাহলে যেখানে হ'লনা, সেখানে রিসেপটর কী রকম দেখতে হবে। আবার সেই রিসেপ্টরে হয়তো অন্য কিছু ধরা পড়ে, অনেক উন্নত মানের কিছু, যা ম্যাংগো পাব্‌লিকের এলাকায় পড়েনা। এইসব ব্যাপার।
  • siki | 135.19.34.86 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ১১:১০76019
  • রিসেপটর, রিসেপটর, দ্যাট ইজ দা ওয়র্ড। :)
  • brc - slg | 37.125.202.33 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩৭76020
  • @রূপঙ্করবাবু,

    'আমাদের' মত ম্যাঙ্গোপাব-রা [ যাদের ' রিসেপটর' ঠিক-ঠাক] , তারা কিন্তু হেসেই যাচ্ছি ...
    আর ভেবেই যাচ্ছি --- কবে আবার এমন 'আলুপোড়া' খাওয়ার সুযোগ হবে ....

    আমাদের কিন্তু ' রিসেপটর ' ঠিক-ঠাক' -- গ্যারাণ্টি ...
    --- ' ঠিক-ঠাক' রাখতেই হয় স্যার ---

    - দু'পহা তো সক্কলে দিয়ে যায় -- টাহা ছাড়েন, আধুলি দেওয়ারও ক্ষেমতা তেনাদের নাই .. তাই, দু'পহা তেনারা দ্যান ...,

    ট্রান্সমিটার আপনার ---

    'আমরা', যখন যা পাই, চেটেপুটে খাই --- তায় আবার আমাদের নাক বোঁচা। সেই কারনেই আমরা বিন্দাস ..
    ' রিসেপটর ' ঠিক-ঠাক টিউন করে রাখার দায়িত্ব 'আমাদের' মত ম্যাঙ্গো-পাব দের।

    বুঝজন .. ইঃ

    অলম্ ইতি।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৪০76021
  • আমি ধানাই-পানাইয়ের ফ্যান -- কিন্তু এই লেখাটায় আমার রিসেপ্টরের ব্যান্ডউইড্থ জিঙ্কের সঙ্গে মিললো
  • শঙ্খ | 169.53.78.142 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০২:৩২76071
  • এইরে, নেহাত প্রেম করে না এগোলে বিয়ের বাজারে যে শুধুই জাতপাত, কোষ্ঠী বিচার আর মাসমাইনের হিসেব। পাঁচ অংক না ছয় অংক! ৮০-৯০% কেস। একেবারে লাইভ সিচুয়েশান বলছি। লেখাটায় রূপংকরদা তো সেটাই ডেপিক্ট করেছেন।
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৩:৫৮76072
  • কৃশানু, সোশাল কমেন্ট্রি তো হতেই পারে লেখার মধ্যে, কিন্তু লেখকের সহানুভূতি বা অ্যাক্সেপটেন্স কোনদিকে সেটাও তার লেখনীর মধ্যে দিয়েই ফুটে ওঠে। তাছাড়া এটা ঠিক সোশাল কমেন্ট্রির গল্প না, এটা একটা নিছক গল্প, নিজের বৃত্তের একটা গল্প, যা অনেকের "মিষ্টি" লেগেছে। এখানে লেখক প্রথম পুরুষে লিখছেন, কন্যার গল্প। সেখানে প্রশ্রয় আছে, স্নেহ আছে, কিন্তু সমাজের কনস্ট্রেন্টে মেয়ের মনোভাব এরকম কোনো বক্তব্য চোখে পড়েনি। সার্কাসম বা খিল্লির রুপেও না। "পাত্রপক্ষও আজকাল পড়াশোনা করা মেয়ে চায়", এটাতেও না। কিম্বা "বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম" এতেও না। বরঞ্চ প্রশ্রয়মূলক সমর্থন পাই। নির্বিকল্প গল্পকারের ভূমিকাতেও লেখককে আমি পাচ্ছিনা। বরঞ্চ as an afterthought যেন এইসব খিল্লি ইত্যাদি এখন বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জিন্কের মন্তব্য খুব একটা ভুল লাগছেনা।

    আর তুমি যা যা উদাহরণ দিলে, সেই কম্প্লেক্সিটি এখানে না আনাই ভালো। মানে এ তুলনা কীভাবে করবে জানিনা। তাও বলি, দুর্গার চুরি, অপুর চোখে ধরা পড়ার পর কী মনে হয়? সাদা কালো মেশানো চরিত্রে ধূসর জায়গা, ধূসর হয়েই আসে। গোলাপী না ঃ-)

    লেখাটা খুবই মাঝারি, আমার ভালো লাগেনি, এই লেখকের অন্যান্য লেখা অনেক বেশি মনোগ্রাহী লেগেছে। এই লেখাটা কেমন যেন কোনোভাবেই উত্তরণ করেনা কিছু। তাই আগে কিছুই লিখিনি, এখন লিখলাম।

    মুশকিল হল, গুরুর এই লে-আউটে লেখককে যেন উত্তর দেবার একটা দায় ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমার ভারী অপছন্দ, বিশেষ করে যেখানে প্রবন্ধ বা রেফারেন্স ধর্মী লেখা না, সেখানে লেখকের কাজ লেখার পরেই শেষ আমার কাছে, কাজেই এই তর্ক আমি পাঠকদের সাথেই করছি, লেখকের সাথে না।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:২৮76060
  • হানি সিং এর গান আর এ গল্পর মধ্যে তুলনাটা এতই নাইভ যে আমি বিস্ময়ে চুপ করে গেলাম। আর কথা বেরোবে বলেও মনে হচ্ছে না।

    এই গল্পও তাহলে ব্যান, বা ক্লাসিফিকেশন হওয়া উচিত। আর কার কার ওপর কোপ পরে কে জানে!!

    পদ্মা নদীর মাঝি ও জ্যান্ত সামাজিক সমাজের ছিল। ব্যান করে দেওয়া উচিত। ইলোপ করে গল্প শেষ। লেখকের সেন্টিমেন্টও ওই দিকেই ছিল। চারিত্রিক শিক্ষার পুরো হদ্দ-মুদ্দ করে ছেড়েছে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:২৯76073
  • লাস্ট-প্যারাটাকে আমি ক দিলাম। লেখক কেন কি ভেবে লিখেছেন, কোন সময়ের গল্প লিখেছেন, সেসব জিজ্ঞেস করলে লেখকের ওপর দায় বর্তে যায়, যেটা অনুচিত। লেখা ভালো লেগেছে কি খারাপ এবং কেন, সেটা অবশ্যই বলা উচিত।
    কিন্তু যারা লেখার ফ্যান তারা ফ্যান বলে কুমড় গড়াগড়ি দিচ্ছেন, একমাত্র যাঁরা একটি বিশেষ এঙ্গেল দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারছেন, তারাই সার সত্য বুঝেছেন, এই লাইনে হলে আমি আর তর্কে নেই, কারণ এই ভাবে কোনো কিছুকেই দেখতে অভস্ত্য নই। মার্ক্সবাদ বা নারীবাদ। বিজ্ঞান বা সত্য।

    বরং, নির্লিপ্ত ভাবে, চারিদিকে যা ঘটছে, লেখক তাই বলেছেন বলে মনে হচ্ছে। আর "পাত্রপক্ষও আজকাল পড়াশোনা করা মেয়ে চায়" এবং "বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম" এতে আমি সমাজকে প্রচ্ছন্ন রসিকতা করতে দেখছি।

    যখন গল্পকারকে সাজেস্ট করা হয়, মশাই , ওখানে ছেলেটি 'বাপি, আমার বিয়ে দিয়ে দাও' বলতে পারত
    তখন সমস্ত তর্ক বড্ড এঁড়ে হয়ে যায় এবং সেই তর্কের কাউন্টার করার জন্য কন্টেক্স্ট চেঞ্জ করে আমি পথের পাঁচালি বা পদ্মানদী আনলাম। সেখানে ডি: দেওয়াই আছে। মূল বক্তব্য হলো একবগ্গা কোনো ভিউ পয়েন্ট থেকে সব কিছু দেখতে যাওয়া ঠিক না। সেটা শুধু এই গল্পের ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই সত্যি।

    গল্পের রসত্তরণ হলো কি হলো না, সেটা নিয়ে খুব স্বাবাভিক্ভাবেই তর্ক করব না।
  • sosen | 111.63.138.181 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৩৩76075
  • বাবারে!
  • siki | 132.177.156.226 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৩৩76074
  • মা! মা গো! তুলে নে মা!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন