এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৭৯৪৩ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৭৯৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.103.162 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪১76076
  • রূপঙ্কর হঠাৎ আমাকে ব্যাখ্যা যোগালেন কেন? আমি তো গল্প নিয়ে কিচ্ছুই বলি নি! brc-slgর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছি। তিনি এখনও কিছু বলেন নি দেখছি। আমার প্রশ্ন জারি রইল। পরে দেখে উত্তর দিলেও চলবে।

    গল্পটা লেখার প্রসাদগুণে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলা যায়, মাঝপথে ছেড়ে দিতে হয় না। Nothing more nothing less এই স্মিতাদের মত ঘরে পোষা বরে পোষা মেয়েদের দিব্বি দেখতে পাওয়া যায় আশেপাশে, কাজেই দু চারখান স্যাম্পল গল্পে টল্পেও আসবে স্বাভাবিক। আবার যারা ঘরে পোষা বরে পোষা টাইপ মেয়েদের খুব পছন্দ করেন বা স্মিতাদের বাস্তব প্রতিমূর্তিগণ সেসব গল্প পড়ে খুব খুশী হবেন, আবার একটু সরলমতি পাঠক অতশত তলিয়ে না দেখেও লেখার প্রসাদগুণেই মুগ্ধ হয়ে ভাল বলবেন। এদের দেখে বাস্তবে আমি যেমন বিরক্ত হই, তেমনি গল্পে পড়েও অনেকে অপছন্দ করবে সেটাও খুবই স্বাভাবিক। এই পর্যন্ত ঠিকই আছে।

    মুশকিল হল কারো লেখা অপছন্দ হলেই তাকে হুকুম করা যায় না --যান দেখি, এর পরে অমুকটা লিখে আনবেন তো --। লেখকের স্বাধীনতা বলেও একটা বস্তু আছে আর সেটাকে পাঠক হিসাবে সম্মান করা উচিৎ। লেখা অপছন্দ হলে লেখাটিকে ফালাফালা করে কেটে দেখানো যেমন পাঠকের স্বাধীনতা, তেমনি লেখকেরও স্বাধীনতা আছে পাঠকের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনা অথবা উপেক্ষা করার।

    আরো একটা কথা হল 'ন্যাকাষষ্ঠীপনা' জাতীয় শব্দ অপরিচিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার আসলে গালাগালি করাই, যেটাকে রূপঙ্কর টোন ডাউন করে 'অসংযত ভাষা' বলেছেন। এই ধরণের শব্দ ব্যবহার কোনও পাঠপ্রতিক্রিয়ায় সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত।
  • sosen | 111.63.138.181 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪২76078
  • দমুদিকে থ্যাঙ্কু। লিখতে ল্যাদ খাচ্ছিলাম।
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪২76077
  • ঐ এঁড়ে তর্ক কিম্বা এই "মা মা গো" গোছের কমেন্ট দুটোই একে অপরের পরিপূরক, এবং কোনটা আগে এসেছে সে তর্কে না ঢুকে বলি, সেইজন্যই কুমড়ো ইত্যাদি নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখি নাই ঃ-)
  • siki | 132.177.156.226 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪৩76079
  • সবাই এত মন দিয়ে লেখা পড়েন, এ-ত মন দিয়ে পড়েন, চুলচেরা বিশ্লেষণ চালান সমস্ত চরিত্রের, কেবল এটা বুঝতে পারেন না, এ গল্পের পটভূমিকা বহুদিন আগের। বহুযুগের ওপারের স্মৃতিচারণ। তখনকার বাংলা সমাজে এ ধরণের চিন্তাভাবনা অত্যন্ত কমন ছিল। সে সব সঠিক কি বেঠিক, এতযুগ পরে বসে আর সেসব আলোচনা করা যায় না, ঐ নির্লিপ্তভাবে সেই সময়টাকে দেখা যায় শুধু। গল্পের পাত্রপাত্রীর নিশ্চয়ই আজ অনেক বয়েস হবে।

    কলকাতার কলেজের সোশ্যালে শ্যামা নৃত্যনাট্য হচ্ছে, শুধু এইটুকু হিন্টই তো যথেষ্ট ছিল বোঝার জন্য যে, এই গল্পের সময়কাল সেই ষাট বা সত্তরের দশক।

    বাকি আর যতকিছু, হিজিবিজি আঁকাজোকা ব্লটিঙের 'পরে।

    উচ্চমান কি মধ্যমান জানি না, গুগুল উইকিপিডিয়া ঘেঁটে পলিটিকালি কারেক্ট বাংলা গদ্যের পাশে রূপঙ্করদার এই লেখাটি আমার অতি মনোরম, স্নিগ্ধ লেগেছে। গরমের দাবদাহের থেকে ফিরে যেন কাঁসার এক ঘটিতে ঠাণ্ডা জল।

    আর কিছু বলার নেই।
  • | 24.97.103.162 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪৮76081
  • সিকি,
    রূপঙ্কর নিজে কিন্তু 28 Apr 10:54PM এ বলেছেন ঘটনা একেবারে হাল আমলের।
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৪৮76080
  • সিকির আরো একবার লেখাটা পড়া দরকার। এ-ত মন দিয়ে না হলেও খানিক মন দিয়ে।

    শ্যামা নৃত্যনাট্য "ফিচেল" জিএস ইচ্ছে করে বলেছে। ষাঠ-সত্তর দশকে "ফ্যান্টা জিন্স" পরা মেয়ে অপিসে যেত না খুব একটা।
  • siki | 132.177.156.226 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫৩76082
  • ফিচেল জিএস এই যুগে ফচকেমি করেও সোশ্যালে শ্যামা নৃত্যনাট্যের কথা বলবে বলে মনে হয় না।

    ফ্যান্টা জিনস সত্তরের দশকে পরে কিছু মেয়ে অফিস যেত।

    রূপঙ্করদা "হাল আমলের" বলেছেন কি সিরিয়াসলি? আমার মনে হল মজা করে বলেছেন।
  • ranjan roy | 24.96.22.107 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫৯76083
  • দমু'র বক্তব্যকে বড় করে ক দিলাম। আর আলোচনায় ব্যবহৃত বিশেষণগুলো একটু সংযমের সঙ্গে ব্যবহার করা দরকার।
    পাঠ-প্রতিক্রিয়া সবাই দেবেন। কুমড়ো-গড়াগড়ি দেবেন বা তুলোধোনা করবেন। কিন্তু লেখককে লেখাটি ডিফেন্ড করার বা ব্যাখ্যা দেয়ার কোন দায় না থাকাই উচিত। লিখে ফেলার পরই লেখাটি শেষ, লেখক খালাস। খল্লাস নন।ঃ)))
  • siki | 132.177.146.255 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫৯76061
  • আমিও বেশ চেপেচুপে বসে আছি। কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। কিশানু, বেস্ট অফ লাক।

    রূপঙ্করদা, কোনও রসিকতা শুনলে শ্রোতা মজা পেয়ে খিলখিল হাসিতে গড়িয়ে পড়ে, তাই থেকেই খিল্লি কথাটা এসেছে। এটা একটা হস্টেল স্ল্যাং, কিন্তু খারাপ অর্থে নয়। খিল্লি মানে রসিকতা।
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:০৯76084
  • লেখাটা নিয়ে ব্যক্তিগত পছন্দ , অপছন্দের কথা বলছিনা। পাঠপ্রতিক্রিয়ার একটা মন্তব্য পড়ে প্রশ্নটা জাগলো। যারা লেখাটা পছন্দ করবেন, তাঁরা শ্যামাকে বা তার মত কেউ বলে বা তার মত কাউকে পছন্দ করেই লেখাটা পছন্দ করবেন, নট নেসেসারিলি। গল্পের চরিত্রের মধ্যে অপছন্দের ফ্যাক্টরও থাকতেই পারে, বাস্তবে যেমন থাকে আর সেটার প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে, এই জায়গা থেকেও গল্পের অ্যাপ্রিশিয়েশন করতে পারেন কেউ কেউ।মানে, এই সম্ভাবনা থাকতেই পারে। লেখকের ইন্টেনশন নিয়েও একই বক্তব্য। দু'রকম সম্ভনাই থাকতে পারে। শুধু এই পার্টিকুলার লেখা বা লেখনের কথা বলছি না।
  • | 24.97.103.162 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:১৮76085
  • উঁ?

    হুঁ ঠিকই বলেছ। যদিও আমার কাছে এই মেসেজ আসে নি গল্প থেকে তাও কারো কারো কাছে যেতেও পারে, সেই সম্ভাবনা আছে।
  • hu | 12.133.36.135 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৪২76086
  • এই গল্পটা নিয়ে আগে কমেন্ট করি নি, কারণ আমার প্রতিক্রিয়াও জিঙ্কের মতই হয়েছিল। তবে এটাও মনে হয়েছিল যে লেখক হয়তো শুধু নাম বিভ্রাটের মজাটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন। যেটা আমাকে অস্বস্তি দিচ্ছে সেটা হয়তো খেয়াল করেন নি। যাই হোক, আজ যখন আলোচনা হচ্ছেই তখন আমার পাঠপ্রতিক্রিয়াও রেকর্ডেড থাক।
  • Tim | 12.133.36.135 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৪৬76087
  • এবার একটু একটু করে পরিষ্কার হচ্ছে কেন গত শ-খানেক সপ্তাহ ধরে গুরুতে খালি রাজনীতির লেখা ছাপা হতো।
  • riddhi | 138.62.90.97 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৫২76088
  • লেখাটার প্রথম লাইন কেউ ভাল করে পড়েছে? ওটা দেখেই শিউড়ে উঠে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়েছি। আজকের যুগে এইভাবে রাগিং কে প্রচ্ছন্ন সমর্থন?
  • siki | 132.177.156.226 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৫৫76089
  • লাইক চাই। লাইক বাটন চাই। :))))
  • শঙ্খ | 169.53.174.144 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:৫৯76090
  • রেপু+ দিলুম। এইটেও অনেক সাইটে চলে।
  • a x | 138.249.1.198 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:১৯76091
  • সিকি, হ্যাঁ এ সেই সত্তরের দশক যেখানে নিশ্চয়ই মোবাইল ফোন ব্যবহার ও প্লেনে চরে দেশের ভেতর যাতায়াতও খুব কমন ছিল ঃ-))
  • Blank | 69.93.196.179 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৩২76092
  • মিনিময় দেখে গপ্প টা পড়লুম আর সবার লেখা পত্তর। দম দির Comment from দ on 30 April 2013 22:11:16 IST 24.97.103.162 (*) # এই পোস্টে ক।
    গল্পটা আমার ভালো লাগেনি, পুরনো দিনের নবকল্লোল টাইপ লেগেছে। ধানাই পানাই এর লেখকের কাছ থেকে আশা করা যায় না।
    কলেজে এমনি ভাষাতেও কেউ কথা বলে না আজকাল - জোর করে 'ফ্যান্টা' জাতীয় কথা জুড়ে আধুনিক বানাবার চেষ্টা মনে হয়েছে।
    zinc এর প্রথম পোস্টের সাথে কিছুটা একমত।
  • Blank | 69.93.196.179 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৩৪76093
  • সেদিন শরদিন্দুর ছোট গল্প খান কয়েক পড়ে দেখলুম, বেশ বাজে লাগছে। তাও শরদিন্দু কে পাশ মার্ক দেবো সময় টা ভেবে।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৩৯76062
  • পলিটিকাল কারেক্টনেসের ভূত পৃথিবীর যাবতীয় শিল্পসাহিত্যের ঘাড় মটকে দিতে পারে।
  • san | 69.144.58.2 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৪৯76063
  • ফ্র্যাংকলি স্পিকিং , এই লেখাটায় আমার প্রতিক্রিয়াও দে-দি এবং জিংকের মতই হয়েছে ! হতে পারে সমস্যাটা আমার নিজের মধ্যেই । এই মজাগুলোকে ঠিক মজা হিসেবে নিতে পারিনা।
  • ওপু | 24.99.68.220 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৫৯76064
  • ঠিক মতন সাজিয়ে গুছিয়ে বোলতে পারি না, তাই বেশীর ভাগ সময় চুপ থাকি। তবে এ ক্ষেত্রে জিঙ্ক দা/দি (!) কে সমর্থন করবো। বদলে চলা মানসিকতার সাথে সাথে এই ধরণের সাধারণ রসিকতা ঠিক মতন গ্রহন করতে পারি না। হয়তো আমি 'মেয়ে' বলে আমার একটু 'ঘা' লেগেছে, তবে সত্যিই একটু হলেও, 'ঘা' লেগেছে।
  • dukhe | 212.54.74.119 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:৫৮76065
  • আরো আছে। অসমাদ্দারেরা খোশমেজাজে পড়লেও সমাদ্দার-ফমাদ্দার কথাটা অনেক সমাদ্দারের কাছে বিশাল আঘাত। প্রবাসী পাত্রের চাহিদা বঙ্গবাসী পাত্রদের অবমাননা। আর শ্যামাপোকাদের যা তুশ্চু করা হয়েছে তা তো বলারই নয়।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১০:০৯76066
  • ওপুকে একটু বলে যাই। সব সাহিত্য সব সময়ে প্রিয় হয় না। এইরকম ভাবে পলিটিক্যালি কারেক্ট সাহিত্য লিখতে হলে খুব মুশকিল।
    সে ভাবে বলতে গেলে তো , 'এনিমাল ফার্ম' পড়তে গেলে আমার ব্যাপক অস্বস্তি হয়। তাবলে তার সাহিত্য গুণ, স্যাটায়ার মূল্য অস্বীকার করব?
  • san | 131.242.177.19 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১০:১৩76067
  • পলিটিকালি কারেক্ট সাহিত্য লিখতে তো কেউ বলেনি !
    পলিটিকাল ইনকারেক্টনেস সমাজে রইরই করে আছে, লেখাতেও থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
    কিন্তু তাতে হাসি পেতেই হবে এমন তো কোনো আইন নেই । পাঠপ্রতিক্রিয়া একেকজনের একেকরকমই হবে।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১০:২১76068
  • ঠিক। এমন কোনো আইন নেই। আবার পড়ে কেউ কুমড়ো গড়াগড়ি খেলেও তাই আপত্তি দেখি না।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১০:২৬76069
  • Dis is da creed, said-a'
    Monsieur Jacques Derrida:
    'Der ain'd no wrida,
    Und 'der ain'd no reada',
    eida!
  • | 126.202.97.93 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১১:৪৬76070
  • অ্যাঁ ওপু মেয়ে। আমি তো ভেবেছিলাম ছেলে। আমার ডাক নাম ও অপু।
  • nina | 79.141.168.137 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০১:১৯76095
  • আমার খুব ভাল লাগল---বেশ ঝরঝরে লেখা--বাবার আহ্লাদী মেয়ে, বরটিও বেশ----দিব্যি মন ভাল করে দেয়া লেখা!
  • Zink | 161.141.84.189 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০১:২৬76096
  • সেই জন্যেই জিন্ক প্রথমেই লেখককে জিগ্গেস করেছিল এই ব্যাপারগুলো উনি কী ভাবে কী কায়্দায় কী ভাবনায় লিখেছেন, কারণ গপ্পো পড়ে মনে হচ্ছিলো এগুলোর প্রতি ওনার সস্নেহ প্রশ্রয়। কিন্তু উত্তরে উনি বললেন "রসিকতা" করেছেন। শুধু তাই না, সেই নিয়ে আরো কজনে মিলে কেমন আঁকাবাঁকা ট্রান্স্মিটার ইত্যা বলতে লাগলেন। জিংক তো অবাক!!!!

    আর, শেষে এই ন্যাকাষষ্ঠীপণা। এটা এসেছিলো একটা প্রসঙ্গে। লেখক বললেন গপ্পের শেষে তিনি সাম্যদৃষ্টি দেখিয়েছেন। অথচ গপ্পের শেষে কী আছে? না, মেয়েটি বলছে বাবা আমায় প্লেনের টিকিট কিনে দাও, আবার বিয়ে দেবার থেকে তো খরচ কম! এটা এতখানি অপমানের মেয়েদের পক্ষে, সে বোঝানোর চেষ্টা করতে যাবো না। তাই ঐ কথাটি লিখেছিলাম।
    কিন্তু মানছি কনটেক্স্টবিহীন দেখলে ন্যাকাষষ্ঠীপণা খুবই অসংযত , তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী! তবে এটা লেখককে বলা হয় নি, একেবারেই না, এটা গল্পটার শেষাংশ সম্পর্কে এসেছে।
    লেখক বা পাঠক কারুর এইসব ব্যাপারের কোনোটা অন্যায় ও খারাপ লেগে থাকলে জিংক ক্ষমাপ্রার্থী।
    ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন