এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • শ্যামাপোকা

    রূপঙ্কর সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৭১ বার পঠিত
  • - এক থাপ্পড় লাগাব অসভ্য মেয়ে, সিনিয়ারদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় জাননা ?

    - যাব্বাবা, আমি কোথায় ভাল মনে বলতে গেলাম, তোমার জীন্‌সটা ফ্যান্টা, আর তুমি চমকে দিলে ? দেখ, সিনিয়ার বলে অত এয়ার নিওনা, মোটে তো দুবছরের বড় –

    - চমকে দিলাম আবার কী ভাষা, ঠিক করে কথা বল। আমাকে কী বলে ডাকলে তুমি ? আমার নাম শুচিস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোট করে, স্মিতা। বুঝলে ?

    - কী করে জানব দিদিভাই, দুনিয়ার লোক তোমায় শ্যামা বলে ডাকে শুনি, তাই আমিও বললাম, শ্যামাদি। খুব অন্যায় করেছি না? পায়ে ফায়ে ধরতে হবে নাকি?

    নাম জিনিষটা খুব ডেঞ্জারাস। একবার রটে গেলে কোথা থেকে কোথায় চলে যায় কেউ বলতে পারেনা। এই যে সমাদ্দার সাহেব, কোথায় হ্যামিলটনগঞ্জ বলে নর্থ বেঙ্গলের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বদলি হয়ে এলেন। ওঁর বাড়িও ঐদিকেই। কিন্তু এতদূর এসেও নিস্তার নেই। নতুন জায়গায় জয়েন করার পর এক হপ্তাও কাটেনি, কেবিন থেকে হলে বেরোলেই চার দিকে আওয়াজ, ভুতো - ভুতো – প্রথম প্রথম একটু সন্দেহ ছিল, এরা কি আমায় বলছে? যাঃ, সে নাম এতদূরে বারাসতে লোকজন জানবে কী করে – কোথায় উত্তরবঙ্গের হাসিমারা আর কোথায় চব্বিশ পরগনার বারাসত। কিন্তু সন্দেহ নিরসন হল অচিরেই। অবশ্য সমাদ্দার সাহেবের সঙ্গে শুচিস্মিতার কোনও পরিচয় নেই, কোনও সম্পর্কও নেই। একটাই কমন ফ্যাকটর – বারাসত।

    ক্ষুদিরাম পল্লী থেকে বারাসত কলেজ কতই বা দূর, যাতায়াতেরও সুবিধে। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সেদিন ফার্স্ট ইয়ারের মেয়েটার ওপর রেগে গিয়ে দুকথা বলায়, হ’ল আরো বিপদ। চতুর্দিকে এত ‘শ্যামাচরণ’ গজিয়ে গেল, যে কলেজ যাওয়াই এখন মুশকিল। ঐ যে, সেকেন্ড ইয়ারের হিস্ট্রির দেড়েলটা, হৃদয়পুর না কোত্থেকে যেন আসে। সেদিন হেঁড়ে গলায় শুরু করল, নেচে নেচে আয় মা স্যামাআআ – আমি মা তোর সঙ্গে যাব।  স্মিতার কান ফান লাল হয়ে গেল। কিন্তু যেদিন ব্যাটাচ্ছেলে আরও এক ধাপ আওয়াজ তুলে শুরু করল, স্যামা মা কি আমার কালোরে, স্যামা মা কি আমার কালো – কালো রূঊঊপে দিগম্‌বোরি হিদিপদ্‌দো করে মোর আলো – স্মিতা ছুটে কলেজ থেকে বেরিয়ে এল।

    স্মিতা বলল, বাপি, আমায় কোলকাতার কলেজে ভর্তি করে দাও, ইয়ার লস হলে হবে।  বাপি বললেন, সেকিরে, তুই কোলকাতায় যাবি পড়তে ? মরে যাবি মা, ট্রেনে এখন কুম্ভমেলার ভিড়। জনসংখ্যা কী হারে বেড়েছে তুই জানিস ? আবার ট্রেন থেকে নেমে বাস। সরাসরি বাসেও অবিশ্যি যাওয়া যায়, কিন্তু তুই পারবিনা মা। মা বললেন, সব নষ্টের গোড়া তুমি। ‘শ্যামাপোকা’ নামটা কে দিয়েছিল শুনি? এখন সাধু সাজছ ? বাপি বললেন, আহা সে তো আমার আদরের নাম, সেটা সবাই জানবে কেন। কিরে মা, তোকে সবাই শ্যামাপোকা বলে নাকি? স্মিতা বলল, চুপ কর বাপি, পোকা ফোকা বলেনা এখন। কিন্তু বাকিটাই বা বলবে কেন। আমি বারাসত কলেজে পড়বনা ব্যাস।

    মা বললেন, তোমার জন্য মেয়েটার কী সব্বোনাশ হ’ল বল দেখি। ওই রকম বিদ্ঘুটে নাম কেউ দেয় ? বাপি বললেন, কী আশ্চর্য, সে তো কোন ছোটবেলায় ও আলো দেখলেই ছুটে আসত বলে আমি আদর করে ডাকতাম। তোমার মনে নেই, সেবার ভাগলপুর থেকে বড়দি এল। বাংলার তেল মশলা সহ্য হয়নি, রাত্তিরে বারো চোদ্দবার বাথরুম গেছে। তা যতবার ওঘরের আলো জ্বলে আমার শ্যামাপোকা ততবার জেগে উঠে বারান্দায় বেরিয়ে যায়। মা বললেন, থামবে তুমি? আবার সেই অলুক্ষুণে নাম। মেয়েটা এক্ষুণি কেঁদে ভাসাবে। দরকার নেই ওর এখানে পড়ে। ও কোলকাতাতেই পড়বে।

    কোলকাতার কলেজে এসেও কি শান্তি আছে ? সেদিন জিসেক অর্চনাদি বলল, অ্যাই শুচিস্মিতা, তুমি নাচতে পার? এবার আমাদের সোশালে কবিগুরুর ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে, তুমি নাচবে তো ? প্রশ্নটা মোটেই ইনোসেন্ট নয়। অর্চনাদির মুখটা যে ফিচেল ফিচেল ছিল, তা ঠিক চোখে পড়েছে। স্মিতা সেদিন বাড়ি ফিরে বলল, বাপি, আমি আর পড়বনা। আমার বিয়ে দিয়ে দাও।

    ব্যানার্জিবাবু বললেন, বিয়ে? সে তো খুব ভাল কথা মা, কিন্তু একটাও পাশ দিবিনা ? না না, তোকে চাকরি করতে হবে তা বলছিনা, তবে ইয়ে, মানে পাত্রপক্ষও তো আজকাল একটু লেখাপড়া চায়। তুই না হয় আবার কলেজ বদল করে – স্মিতা বলল, তুমি আমার বিয়ে দেবে কিনা। হ্যাঁ আর দেখো, পাত্র যেন প্রবাসী হয়। আমি ওয়েস্ট বেঙ্গলে থাকব না।

    সাত সকালে দরজায় টিংটং। ব্যানার্জীবাবু হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলেই দেখেন হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটা মোটাসোটা হাসিহাসি মুখ। কে, কী বৃত্তান্ত, এসব জিজ্ঞেস করার আগেই বলে কিনা, ও মশাই, আপনার মেয়েটাকে আমার চাই। ব্যানার্জীবাবু একটু ঘাবড়েই গেলেন, বারাসত আজকাল জায়গা ভাল নয়। প্রায় রোজই কাগজে চোখ কপালে তোলা খবর। ভাগ্যি ভাল মেয়েটা কলেজ যাওয়া বন্ধ করেছে। না ফেরা ইস্তক যা চিন্তা – কিন্তু এরকম মোটাসোটা হাসিমুখ হাফবুড়ো কিডন্যাপার ? লোকটাকে কোনওদিন বারাসতে দেখেছি বলেও তো মনে হচ্ছেনা।

    ব্যানার্জীবাবু ছ’খানা মাদুলি বাঁধা সিড়িঙ্গে হাতে বাইসেপ্‌স খুঁজে পেলেননা। স্যান্ডো গেঞ্জির ফাঁক দিয়ে তেত্তিরিশ ইঞ্চি বুকটাকে ফুলিয়ে ছত্তিরিশ করতে গেলেন, তাও হ’লনা। তবে কথা হ’ল, নিজের বাড়ি, এটা নিজের পাড়া, তার ওপর দিনের বেলা, মামদোবাজি নাকি? – কি ক্কি ক্কি ব্যাপার কী, মেয়েটাকে চাই মানে ? কী ভেবেছেন কী, দেশে আইন কানুন সব উঠে গেছে নাকি? যদিও এ ব্যাপারে খানিক সন্দেহ নিজেরও ছিল, তবু বললেন, সাহস তো কম নয় – মোটা লোকটা বলল, সে আপনি যাই বলেন, মামনিকে আমি নিয়ে যাবই। আজ প্রিলিমিনারি কথাবার্তা বলে গেলাম। আর একদিন আসব চা খেতে।

    আবার চা খেতে আসবে বলছে। শ্যামাকে, থুড়ি স্মিতাকেই বোধহয় মামনি বলল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যানার্জীবাবু বললেন, তা সে চা নাহয় আজই খেয়ে যান, কিন্তু ব্যাপারটা – লোকটা বলল, আমি সমাদ্দার, ব্লক অফিসে সবে চার্জ নিয়েছি। আজ চাপাডালির মোড়ে বাস থেকে নামতে গিয়ে কাদা ভর্তি গত্তে পা পড়ে কি আছাড়টাই না খেলাম। চশমাটা কোথায় চলে গেল, কিচ্ছু দেখতেও পাচ্ছিনা, হঠাৎ দেখি একটা মেয়ে এসে আমায় তুলে ধরল, ওড়না দিয়ে কাদা মুছিয়ে দিল, আবার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ – না মশাই এ মেয়ে আমার চাই। তাবলে ছেলে আমার ফ্যালনা নয়, রীতিমত আর্কিটেক্ট, বরোদায় পোস্টেড। এই বৈশাখেই –

    বাড়ি বয়ে সম্বন্ধ ? আবার এই মেয়েই চাই ? ওদিকে মেয়ে যেমনটি বলেছিল, ছেলে ওয়েস্ট বেঙ্গলের বাইরে – কার মুখ দেখে উঠলাম আজ, কিন্তু – কিন্ত, আমতা আমতা করে ব্যানার্জীবাবু বললেন, ইয়ে, মানে আজকাল এগুলো অনেকে মানেনা, তবে আমাদের আত্মীয়স্বজন একটু গোঁড়া বুঝলেন, মানে সমাদ্দার ফমাদ্দার – মোটা লোক রেগে গেল। ফমাদ্দার মানে? এইযে, এটা কী ? বলে জামার তলা থেকে খামচে একটা তেলচিটে পৈতে বের করল। নির্ভেজাল বামুন মশাই, রীতিমত ভরদ্বাজ। আপনি তো শান্ডিল্য, ওহ্‌একেবারে রাজযোটক মশাই। ব্যানার্জীবাবু তবু বললেন, ইয়ে মানে, এদেশি রাঢ়ী ফাঢ়ী নয় তো? সমাদ্দার বললেন, আরে মশাই ঢাকা অর্জিনাল। এই বৈশাখেই কিন্তু –

    সমাদ্দার জুনিয়রের ভাল নাম অলকেন্দু, ডাক নাম আলো। জামাই দেখে তো ব্যানার্জী পরিবার থ। এতো সত্যি আলো করে আছে গো, আমাদের মেয়ের চেয়েও তো জামাই দেখতে ভাল। জামাইয়ের ছুটি শেষ, বরোদায় উড়ে গেল তারা। সেখানে আলোর সারাদিন কাজ আর কাজ, স্মিতার সময় আর কাটতে চায়না। বেশ রাত করেই ফেরে আলো। স্মিতা দৌড়ে গিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আদর খায়। দুষ্টুমি করে জামাই বলে, ও, আলো দেখলেই দৌড়ে আসো, তুমি আমার শ্যামাপোকা।

    - খি ? খি ভললে থুমিঃ ? খি ভললেঃ ? নাকের পাটা ফুলে আছে, স্মিতা ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে – ছিটকে সরে যায়। আমি কালই বারাসত চলে যাব। এক সপ্তাহের মধ্যে উকিলের চিঠি পাবে তুমি – পেছন পেছন আলো দৌড়য়, আরে আরে হ’লটা কী, কী এমন বললাম – দড়াম করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল। নাও এবার সোফায় ঘুমোও।

    ব্যানার্জীবাবু বললেন, কিন্তু মা, সেই নামটা তো আলোর  জানার কথা নয়, বরোদার লোক বারাসতের নাম জানবে কেমন করে, ওটা ও কিছু না ভেবেই – স্মিতা বলে, তুমি চুপ কর। আমার শ্বশুরের নাম ভুতো তুমি জান ? হ্যামিল্টনগঞ্জের নাম বারাসতের লোক জানল কী করে ? তুমি একটা ভাল উকিল দেখ। ব্যানার্জী বাবু বললেন, কী বিপদ, একটা বিয়ে দিতেই তো প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্ধেক বেরিয়ে গেল। যদি আবার দিতে হয় – আচ্ছা তুই না হয় ক’দিন একটু ভেবে নে। স্মিতা বলল, ভাবার কিছু নেই। তুমি উকিল ডাক, ডিভোর্সের কারণ দেখানো হবে, মেন্টাল টর্চার। ব্যানার্জীবাবু বললেন, কাউকে শ্যামাপোকা বললে মেন্টাল ইয়ের কেস দাঁড়াবে? মানে, আমিও ও তোকে আদর করে শ্যামাপো – স্মিতা দৌড়ে বেরিয়ে গেল।

    আট দিনের দিন একটা ফোন এল স্মিতার মোবাইলে –

    - স্মিতা ফোন অন করল। ওদিক থেকে -

    - হ্যালো – হ্যালো –

    - এদিকে চুপ।

    - হ্যালো, আমি আলো বলছি –

    - হ্যাঁ দেখা যাচ্ছে, নামেই সেভ করা আছে।

    - সাত দিন তো কেটে গেছে, উকিলের চিঠি পাইনি।

    - এদিকে চুপ।

    - ভাল উকিল কি পাওয়া গেছে? আমার চেনা একজন ছিলেন –

    - ইয়ার্কি হচ্ছে? ফোন কেটে দেব কিন্তু –

    - বলছি কি, চলে এলে হ’তনা? এখানে এসেও তো সেপারেশন চাওয়া যায়।

    - আমার ভাল লাগছেনা –

    - ভাল কি আমারই লাগছে –

    - যদি ফিরে যাই, কী নামে ডাকবে আমায় ?

    - ওই যে, আলোর সঙ্গে যে নাম ওতপ্রোত না কি যেন বলে, -শ্যামাপোকা -

    স্মিতা গিয়ে বলল, বাপি আমায় প্লেনের টিকিট কেটে দাও প্লীজ, একটু খরচা হবে তোমার। তা দুবার বিয়ে দেয়ার চেয়ে তো অনেক কম।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ৮০৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 60.82.180.165 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০১:৩৫76097
  • আমার অসম্ভব খারাপ লেগেছিল। দুঃখপ্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

    বাকি অনেকেরই জিন্কের দৃষ্টিভঙ্গী এবং হয়তো প্রকাশভঙ্গীও খুবই সঙ্গত লেগেছিল। তাঁদের মতামতও জানতে চাই। গোটা দৃষ্টিভঙ্গীটা সম্পর্কে আমার মতামত আমি পরে দেব।
  • Zink | 161.141.84.189 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০১:৫৭76098
  • হ্যাঁ, ঐ "প্লেনের টিকিট কিনে দাও, আরেকবার বিয়ে দেবার থেকে তো অনেক খরচ কম" পড়েও জিংকের অসম্ভব খারাপ লেগেছিল, তার আগে "বাবা আর পড়বো না, বিয়ে দিয়ে দাও" পড়ে আরো খারাপ লেগেছিল। আর ঐ ট্রান্স্মিটার রিসিভার ইত্যাদি নিয়ে দলেবলে মিলে যখন নানা কথা আঁকাবাঁকা করে বলছিলেন ওনারা, তখনও অসম্ভব খারাপ লেগেছিল জিংকের। দুঃখপ্রকাশ উভয়পক্ষেরই হওয়া উচিত না কি?
  • riddhi | 118.218.136.234 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০২:০৪76099
  • ১) জিন্ক শ্যামাঙ্গ বলছিলেন না? শরীর আর মনের নানা প্রপার্টির ওপর ভিত্তি করে ছেলেদের মধ্যে কেবলা, আলু, কেল্টু, কেলুচরণ ইত্যাদি খুব চলে। মেয়েদের মধ্যে ওয়ার্স্ট্কেস সিনারিও কি?-শ্যামা!! তাতেই এই বাওয়াল।

    ২) প্লেনের টিকিট কেটে দাও লাইনটা চরম অপমানজনক কেন, এটা কি কেউ বুঝেছে!

    ৩) আর "বাবা আমার বিয়ে দিয়ে দাও" এটা বলা যুগ বা জেন্ডারের ওপর নির্ভর করে! আমি আর আমার জেঠার তিন ছেলে তো ২০ বছর বয়্স থেকে বিয়ে দাও বিয়ে দাও বলে জেঠাকে পাগল করে মেরেছি।
  • sosen | 111.63.208.53 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০২:১৫76100
  • হুস!
    এইরকম নেহাত নিরিমিষ গপ্প নিয়ে এরম ফালতু বাগবিনিময় হচ্ছেই বা ক্যানো?
    গল্পের সব ক্যারেক্টারের সঙ্গে নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে চাইলে হেব্বি মুশকিল। মানে ওই শ্যামার মত সাদা সাপটা মেয়ে -ও আছেই তো, রোজ -ই দেখি। যে কিনা পড়াশুনো করে চাগ্রি করে অন্য কোথা-ও চলে যাওয়ার থেকে বাবার পাত্তর খুঁজে বে দিয়ে দেওয়াকে মোটেই নিম্নতর অপশন ভাবে না। অন্য কারোর ভাবার কারণ -ই বা কি? যার জীবন তার তার। এইটা শীর্ষেন্দুর লেখা নিয়ে-ও একবার হয়েছিল। তবে অনেকের খারাপ লাগতেই পারে, সেক্ষেত্রে "আমার খারাপ লাগলো" এটাই যথেষ্ট। পাঠকের পছন্দ -অনুযায়ী মেসেজ দেওয়ার দায় লেখকের নাই। অনেক সময় লেখায় কোনো মেসেজ -ই থাকেনা। এটাতেও কিছু ছিলনা।
    মানে পিতিবাদের আরো বৃহত্তর ক্ষেত্র বাছলে এত শক্তি অপাত্রে নষ্ট হয়না।
  • Abhyu | 107.89.21.100 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০২:১৯76121
  • "পিতিবাদের আরো বৃহত্তর ক্ষেত্র বাছলে এত শক্তি অপাত্রে নষ্ট হয়না।" - আমার কেমন মনে হয়, কি বললেন এর চেয়ে চেয়ে কে বললেন টা অনেক বেশি ইম্পর্ট্যান্ট, সুতরাং এটাও ঐ হতই, সুযোগের অপেক্ষায় ছিল কেস। নইলে এই লেখা নিয়ে এতো মিনিময় হয়?
  • | 190.215.65.249 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০২:৩২76101
  • ১। সোসেন গুছিয়ে লিখেছে। এই মেয়ে টা জাস্ট টু গুড। ঃ)

    ২। যারা জিঙ্ক র সাথে একমত প্রকাশ করেছে তার অ ই "নারী স্বাধীনতা/সন্মান" ঠিক্ঠাক রক্ষিত হয় নি সেই লাইনে লিখেছে।

    ৩। জিঙ্ক আলোচনা করতে করতে উত্তেজিত হয়ে ও ই শব্দ টি ব্যবহার করেছে। যে টা একে বারেই অভিপ্রেত নয়।
  • swati | 194.64.38.52 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৩:১০76102
  • উফ্ফ, বাঁচা গেল, সোসেনকে ধন্যবাদ ......
  • hu | 12.133.37.89 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৪:০৭76103
  • জিঙ্কের প্রকাশভঙ্গী খুব সঙ্গত লাগেনি। কেন জিঙ্কের মত পাঠপ্রতিক্রিয়া হল তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে জানলে হয়তো আগেই ডিসক্লেমার দেওয়া যেত। তবে মেয়েটি যখন বলছে - আবার বিয়ে দেওয়ার খরচের সাথে প্লেনের ভাড়া কম ইত্যাদি - তখন খুব খারাপও লেগেছিল। পাঠকের কাছে গল্পটা আর মজার থাকেনি। সব গল্প ভালো লাগতে হবে এমন মাথার দিব্যিও কেউ দেয়নি। তাহলে কেন এ কথা বলা? কারন লেখক প্রতিক্রিয়া দিলেন - " যদি ম্যাচিং বেশির ভাগ জায়গায় হয় তাহলে যেখানে হ'লনা, সেখানে রিসেপটর কী রকম দেখতে হবে।" জিঙ্ক নামক রিসেপটরটা ছাড়াও আরো কয়েকটা জায়গাতেও যে ম্যাচিং হয়নি সেটুকুই জানিয়ে যাওয়া।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.188.65 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৪:৩৪76104
  • ভেবেছিলাম এই আলোচনায় আর আসবনা। কিন্তু দেখলাম প্রয়োজন আছে। সোসেনকে ধন্যবাদের ভাষা জানা নেই। আমার ঊর্দ্ধতন চতুর্দশ পুরুষের ( এবং নারীদেরও ) দিব্যি কোনও মেসেজ সত্যিই ছিলনা, নেই। যেহেতু ‘ধা্নাই পানাই’ এর উল্লেখ অনেকে করলেন, তাই বলি, ওখানে ‘বালতি’ নামে একটি পর্ব আছে। সেটি সত্য ঘটনা। কিন্তু সেই সূত্র ধরে আমার কিছু ছোট গল্প আছে, যেগুলো নাম-কেন্দ্রিক। যেমন, শ্যামাপোকা, লিও, পঞ্চানন, গবেট, শুভ্রামোনিয়াম, ইত্যাদি। এগুলো সবই মানুষের পেছনে লাগার নাম। এই পেছনে লাগা থেকে মহা বিপত্তি হতে পারে। আমি লোককে মোটামাইনের চাকরি ছেড়ে দিতে দেখেছি। ক’দিন আগে দুই সহকর্মীকে গুলি করে মারার ঘটনা কাগজেও বেরিয়ে ছিল। কেউ কেউ এই নাম খুব সহজে মেনে নেয় ( আমার ‘গবেট’ নামে গল্পে আছে)।
    কেউ আবার তেলে বেগুনে জ্বলে যায়। এই গল্পের স্মিতা কলেজ বদল করেও নিস্তার না পেয়ে বিয়ে করে পালাতে চেয়েছিল। যাঁরা ‘বিয়ে’ টাকে মূখ্য ব্যাপার ভাবছেন, তাঁরা ‘প্রবাস’ ব্যাপারটা মূখ্য বলে খেয়াল করুন, তাতেই পরিষ্কার হবে (বলে আমার ধারণা)।

    রসিকতা বলতে আমি ‘উপহাস’ বোঝাইনি, ‘মজা’ বোঝাতে চেয়েছিলাম। অনেকে মজা পেয়েছেন, তাও দেখেছি।

    আরও অনেক বিষয়ে কনফিউশন দেখলাম। ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য হচ্ছে যখন, তবে কোন দশক, ষাট না সত্তর? নৃত্যনাট্য কি সত্যিই হবার ছিল? ফিচেল অর্চনাদি তো ক্ষ্যাপানোর জন্য বললেন।

    ভেবেছিলাম, আর গুচে লিখবনা। কিন্তু এই ‘নবকল্লোল’ টাইপ এবং অত্যন্ত ‘মাঝারি মানের’ গল্পও অনেকের ভাল লেগে গেছে দেখলাম। তাঁরা আরও পড়তে চান তাও বলেছেন। তাই ঈশানদা ও পাইদি বললে আবার পাঠাব। আমি সুনীল গাঙ্গুলী নই। আমার লেখের মান মাঝারিই হবে। আমি মানুষটাও সেই মাপের। আমি মধ্যবিত্ত কেরানি সার্কলের মানুষ। বর-পোষা, ঘর পোষা, বৌরা আমার ঘরে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে। আমার লেখাতে তাঁরাই আসবেন। তাই স্বাভাবিক।
  • | 190.215.66.109 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৪:৩৭76105
  • আপনি আবার সেন্টু খাবেন না যেন রুপঙ্কর দা ।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৪:৫১76106
  • বোঝো! এই যে কইলেন - "...আমি খুব খ্যাতিবান লেখকদেরও গালি খেতে দেখেছি, আমি তো তুচ্ছ 'লেসার মর্টাল'..." । শ্যাষে নিজেই কিনা সেন্টু খেলেন। তাও কিসে, না, ন্যাকাষষ্ঠীপনা, আর, নবোকল্লোলী - হেইগুলা কোনো গাল হইল! ধুস্‌।
    সুনীল/শীর্ষেন্দু/সমরেশ...দের দ্যাখ্সেন - খাজা, অখাইদ্য, পাতে দেওয়া যায় না, ট্র্যাশ, দালাল... লোকে কত বাহারি গাল দেয়। কি কপাল ওনাদের। কিন্তু ওনারা পায়ের ওপর পা নাচাইয়া পরের লেখায় মনোনিবেশ করেন, পাঠকদের পার্শ্ব/উর্ধ্ব/নিম্ন কত রকম ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়া আসে... সব শান্ত চিত্তে উপভোগ করেন...
  • de | 190.149.51.67 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৫:৩১76107
  • এই গল্পটা বেরোবার দিনই পড়েছি -- কিছু বলিনি, কারণ ঐ "বিয়ে দিয়ে দাও -- প্লেনের টিকিট " ইঃ শুনে ভালো লাগেনি। তার সম্পূর্ণ দায় পাঠক হিসেবে আমার, কোথাও লেখক দায়ী নন। কারণ তিনি তাঁর মতো লিখেছেন, লেখকের স্বাধীনতায় আমি সম্পূর্ন বিশ্বাসী। লেখকের কোথাও মর‌্যাল অব দ্য স্টোরি সেট করার দায় আছে এটাও মনে করি না! কিন্তু একই সঙ্গে আমি খোলা-পাতায় পাঠকের পাঠ-প্রতিক্রিয়ার স্বাধীনতাতেও বিশ্বাসী। শুধু জিঙ্কের পাঠপ্রতিক্রিয়া থাকলে তার পরেও আমি কিছু লিখতাম না, কারণ সব গল্পের/লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়া আমি দিই না। আমার প্রবলেম হলো রিসেপ্টর -ট্রান্সমিটার ইঃ ব্যাঙ্গাত্মক উক্তিতে। এটা পড়ে মনে হলো এই লেখার নায়িকাটিকে ন্যাকা আর অকর্মার ঢেঁকি তো আমারো লেগেছে, এ'রকম স্যাম্পল দেখেছিও তো কম নয় -- তাহলে খারাপ লাগার দায়টা জিঙ্ক কেন একা নেয়! আমিও সাথে থাকি! সেই জন্যই ওই একলাইন লিখেছিলাম --

    আশা করি যথেষ্ট বোঝানো হলো ঃ)

    আমি কিন্তু প্রথমেই লিখেছি যে "ধানাই পানাই" এর আমি ফ্যান -- একই লেখকের সমস্ত লেখা পছন্দ না-ও হতে পারে, সেটাই স্বাভাবিক!
  • riddhi | 118.218.136.234 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৫:৪৩76108
  • তবে সিকির মত নিষ্ঠুর মানুষের কাছে এই প্রতিক্রিয়াই আশা করি। উনি হলেন প্রথম বাঙ্গালী হোলোকস্ট-ডিনাইয়ার, শুধু ডিনাইয়ার না, ইন্ভার্টার!! একটা ছিঃ দিলাম।
  • bb | 127.195.181.122 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৫:৪৬76109
  • সোসেনকে গুরু থেকে একটা কিছু দেওয়া যায় না? এইরকম তুফানে জল ঠেলে শান্ত করার জন্য?
  • siki | 132.177.156.226 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৫:৫৬76110
  • ল্লেপ্পচা!
  • | 126.203.139.62 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৬:২৮76111
  • লাল সেলাম ছাড়া যা কিছু দেওয়া হোক তাতে আমি আছি bb দা !! ঃ)
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৬:৫২76122
  • দলাদলি টা এত সাংঘাতিক এখানে! প্রতিক্রিয়া কেন হলো, কেন সেটা আরেকজনের মতন হলো, কেন অন্য আরেকজনের মতন হলো না, তার জবাবদিহি পর্যন্ত চেয়ে বসেন হর্তাকর্তা!!!!!
    কী অবস্থা! অথচ তার আগের ট্রান্স্মিটার রিসিভার ইত্যাদির আঁকাবাঁকা ব্যঙ্গবিদ্রুপ কর্তাবাবু সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যান!
    এইরকম দলাদলিটা ঠিক কেন?????
  • dukhe | 127.194.254.7 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:১০76112
  • আরে গালিই যদি না খেলেন তো লেখক কিসের? 'সহজ পাঠ' অবধি গালাগাল খায়। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে-তে 'হায় বিধি বড়ই দারুণ' লিখে সলিল চৌ নিয়তিবাদী বলে গাল খেলেন।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.203.179.122 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:১৬76113
  • আবার লিখতে হ'ল বাধ্য হয়ে। de তো একশ ভাগ ঠিক। মেয়েটি ন্যাকা আর অকর্মার ঢেঁকি তো বটেই। স্মার্ট মেয়ে হ'লে, কে শ্যামা বলল, আর কে গৌরী বলল, তাতে থোড়াই কেয়ার করে বারাসত কলেজেই লেখাপড়া চালিয়ে যেত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নায়িকাদের কি 'নায়িকা'-ই হতে হবে? এগুলো গল্প হলেও শেকড় আছে বাস্তবেই।

    আগেই বললাম, লোকের পেছনে লাগার কিছু 'নাম' নিয়ে আমার এক গল্পের সিরিজ আছে। এগুলো বাস্তব। মানে আমাদের মত কেরানি মার্কা সমাজে বাস্তব। এই সব নামে ক্ষেপে গিয়ে আত্মহত্যা এবং খুন পর্যন্ত হয়ে গেছে। সেগুলো সত্য ঘটনা। হয়তো সমাজের উচ্চ স্তরে, বা বিদেশে এরকম কোনও ঘটনা অনেকে দেখেননি, ভাবতেও পারেননা। কিন্তু আমি আমার পরিবেশ নিয়েই লিখি। তার বাইরের কথা জানব কেমন করে।
  • Ishan | 202.43.65.245 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:২১76123
  • তিনটে কথা।

    ১। খোলা পাতায় কমেন্ট করলে তার পরে প্রশ্ন আসবেই। ডিসক্লেমার দিলেও আসবে। কারণ এটা খোলা ফোরাম। সেটার উত্তর দেওয়া বা না-দেওয়া ব্যক্তিগত পছন্দ। তবে কোনো প্রশ্নকেই কৈফিয়ত চাওয়া বলে মনে করে রিঅ্যাক্ট করাটা আমার যথাযথ মনে হয়না। ব্যক্তিগতভাবে।

    ২। "আমি অমুকের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে একমত" এইরূপ ব্ল্যাংকেট স্টেটমেন্ট দিলে, মনে হয়, তার অবস্থানের সঙ্গে একমত, এইরকমই বোঝায়। সেরকম স্টেটমেন্ট দেবার আগে মতামতদাতারই অনৈক্যের জায়গাগুলি পরিষ্কার করে দেবার দায়। নইলে রাম যদি বলেন "আমি হিটলারের সমর্থক" আর আমি যদি বলি আমি রামের দৃষ্টিভঙ্গীতে একাত্ম, তাহলে জনৈক শ্যাম আমাকে প্রশ্ন করবেন, আপনি মশাই সত্যিই হিটলারকে সমর্থনযোগ্য মনে করেন?এক্ষেত্রে যেমন, প্রশ্ন করলাম নইলে তো প্রকাশভঙ্গীর ক্ষেত্রের দ্বিমতটুকু জানা যেতনা। একটা প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও পাইনি। "এই গল্প কোন সময়ের? ষাট কি সত্তরের দশকের হলে কথা নেই, কিন্তু এই ২০১৩ সালে হলে কেমন কেমন লাগে! মেয়েরা কি এখনো এরকম "বাবা আর পড়বো না, বিয়ে দিয়ে দাও" ধরনের মানসিকতা লালন করে? আর বাবা আর হবু শ্বশুরে মিলে এখনো এরকন জাতগোত্র রাঢ়ী বারেন্দ্র ঠিকুজী কুলুজী মিলিয়ে বিয়ে দেয়?" -- এই অবাক বিস্ময়ের সঙ্গেও হুচি একমত তো? কৈফিয়ত নয়, আমার দিক থেকে উত্তরের প্রত্যাশাটুকু জানিয়ে রাখলাম।

    ৩। যেখানে লেখার সমালোচনা হয়, লেখককে "আপনি অমুকটা লিখে দেখবেন তো কতো দম দেখব" ধরণের ভাষায়, সেখানে লেখকেরও "আপনার মশাই রেসপন্ডারে গোলমাল আছে" বলার রাইট আছে বলেই মনে হয়। সংযত প্রতিক্রিয়া আশা করলে ক্রিয়াটিও সংযত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। লেখক কে, কি তাঁর ব্যক্তিপরিচয়, কতটা সহনশীলতা, ইত্যাদির ঊর্ধ্বে উঠেই।
  • dukhe | 127.194.254.7 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:২৩76114
  • আহা যা দেখছেন লিখে যান। সব সৎ পরামর্শ কি গ্রহণ করা যায়? এক সরকারি অফিসার তো মানিকদাকে পথের পাঁচালির শেষটাও বদলে দিতে বলেছিলেন।
  • Ishan | 202.43.65.245 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:২৪76124
  • আমার লেখাটি খানিকটা হুচির পোস্টের উত্তরে, খানিকটা সাধারণ। zink এর পোস্টটি দেখার আগেই উত্তর দিয়েছি। zink এর পোস্টটি কুরুচিকর মনে হওয়ায় আপাততঃ উত্তর প্রদানের যোগ্য বিবেচনা করলাম না।
  • lcm | 34.4.162.218 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:২৬76115
  • হ্যাঁ, লিখে যাবেন। বিভূতিবাবুকে বেশী লেখার জন্যে দেশের সম্পাদক গাল দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ভাবুন তাইলে...
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৩০76125
  • বাহ বাহ, জিংক এর পোস্ট কুরুচিকর আর ঈশান এর পোস্ট সুরুচিকর!
    চমৎকার!
    এক্ষুণি অনেক ক নিয়ে এসে পড়বেন হয়তো দলের লোকেরা!
    সাধারণ ভাবে একটা কথা মাঝে মাঝে মনে হয়, এই যে লোকে এসে অমুকজনের কথায় রাশি রাশি ক দিয়ে ঐক্যমত্য প্রকাশ করে যান, তারা সবাই কি সেই ক য়ের ব্যাখ্যা করেন বা করতে বাধ্য থাকেন?
  • Zink | 161.141.84.239 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৩৮76126
  • আলোচনার মধ্যে ঢুকে পড়ে একজন ব্যক্তি যদি প্রায় হুকুমের সুরে বহুজনকে বলেন , "আপনারা বলুন কেন কেন কেন ওকে সমর্থন করলেন? ব্যাখ্যা করুন," ---সেটা কেমন শোনায়? খুব সুরুচির?
    এত স্পষ্টই কর্তাগিরি!
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৪৬76127
  • গল্পের নায়িকা কি নায়িকার বাবা শ্বশুর মানেই তাদের 'আদর্শ', সর্বগুণসম্পন্ন, পঃ কাঃ হতে হবে, এই এক্ষপেক্টেশনটা কি আমাদের মধ্যে গাঁথা থাকেই ? এই পাঠপ্রতিক্রিয়া দেখে বার্বার এই প্রশ্নটা খচখচাচ্ছে। কোন চরিত্র ন্যাকা কি দুর্বল হতে পারেনা নাকি আশেপাশের ( কি আমাদের নিজেদের মতই, কোন কোন ক্ষেত্রে) দোষে গুণে মেশানো লোকজন গল্পের চরিত্র হতে পারেনা ? নাকি, তারা প্রধান চরিত্র হলে মুশকিল ? নাকি, এইসব চরিত্রকে সব্সময় কোন ভিলেনের ভূমিকাতেই খাড়া করতে হবে ?

    জিংক বা অন্যেরা, লেখক তো বলেই দিচ্ছেন, নায়িকা অতি সাধারণ, ন্যাকা একটি মেয়ে। তারপরেও আপত্তি থাকলে সেটা কোন জায়গায়, এই ন্যাকামিটা দেখানো নিয়ে ? তার প্রধান চরিত্র হওয়া নিয়ে ?
  • | 190.215.6.109 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৪৭76128
  • ওফ ইশান আর জিঙ্ক প্লিজ এবার থামা যাক। ঃ((
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৫১76116
  • এল সি এম,
    কোনো সরকারী কর্মচারী নয়, স্বয়ং বিধান রায়ের নামে এই গুল্পটি চলে। উনি নাকি হরিহরের গ্রাম ছাড়ার ভয়ংকর বিরোধী ছিলেন, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে লোন নিয়ে হরিহর ট্রাক্টর কিনে চাষবাস করুক এই ওনাঅর ইচ্ছে ছিলো।
  • dukhe | 127.194.254.7 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৭:৫৭76117
  • উঁহু, বিধান রায় নন, গ্রামোন্নয়ন না কোন দপ্তরের অফিসার মনে হচ্ছে।
  • pi | 172.129.44.120 (*) | ০১ মে ২০১৩ ০৮:০৬76129
  • ২০১৩ তে এখনো এরকম হয়, জিন্কের প্রথম পোস্টের এই অবাক হওয়া নিয়ে আমি কিন্তু আমার প্রথম পোস্টেই অবাক হয়েছিলাম। জিগেশ ও করেছিলাম। সেই পোস্ট পড়ে যাঁদের মনে হয়েছে, তাঁদেরও এক প্রতিক্রিয়া, সেই নিয়ে তাঁদের জিগেশ করা যাবেনা ? ঃ( প্রশ্নটা তো জিংকের পোস্ট কেন সমর্থন করলেন, তাই নিয়ে নয়, এই গল্পে উল্লিখিত ব্যাপারগুলো নিয়ে অবাক হওয়া নিয়ে। এর মধ্যে দলাদলি ইঃ কোত্থেকে আসছে !!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন